দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় একটা দারুন খবর প্রকাশিত হয়েছে ২৮ শে নভেম্বর তারিখে। খবরটা হলো –
খবরের শিরোনাম- কে শয়তান ?
চট্টগ্রামে আট বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছে সরকারী মুসলিম হাই স্কুল মসজিদের সাবেক ইমাম মওলানা মাইনউদ্দিন(৪২)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এয়াকুব নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যপারে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মওলানা মাইনউদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিয়ে এ কাজের জন্য শয়তান-কে দায়ী করে। ——– প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাইনউদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে দাবি করে , শয়তানের প্ররোচনায় সে এ গর্হিত কাজ করেছে।
খবরটি নি:সন্দেহে দারুন মর্মান্তিক, বর্বর ও পাশবিক। একজন মসজিদের ইমাম যার বয়স ৪২ যার ইমামতি করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের তার পক্ষে এ ধরনের পাশবিক অপরাধ ঘটানো ও অত:পর এর দায়ভার শয়তানের ওপর চাপানোর প্রচেষ্টার মধ্য থেকে মুসলিম মানসের একটা বহি:প্রকাশ চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। শয়তানের ওপর দোষ চাপানোর আগে আমরা একটু বিষয়টাকে বিশ্লেষণ করি। একজন ইমাম যে চট্টগ্রাম মহানগরীর একটা মোটামুটি বড় মসজিদে ইমামতি করেছে দীর্ঘদিন বলা বাহুল্য প্রতিষ্ঠিত কোন মাদ্রাসা থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেই অত:পর ইমাম হিসাবে চাকুরী করত। এর অর্থ যে কোন সাধারন মুসলমানের চাইতে ইসলাম সম্পর্কে অনেক বেশী তার জানা শোনা। সে যখন ইমামতি করত , নামাজের আগে প্রতিদিন নামাজিদের প্রতি খুতবা পাঠ করত। সে খুতবায় সে অবিরল ধারায় মানুষকে উপদেশ দিত, বলত- আল্লাহর রাস্তায় চলতে, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত পালন করতে, দৃঢ়ভাবে আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি বিশ্বাস রাখতে বলত, বলত ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য জিহাদ করতে, বলত – জীবনে নবী মোহাম্মদের আদর্শ ও তার জীবন পদ্ধতি অনুসরন করতে। বিশেষ করে শুক্রবারের জুম্মার নামাজের সময় তার খুতবা পাঠ হতো অতি দীর্ঘ। এ ধরনের একজন লোক যে ইসলামের সৈনিক হিসাবে নিজেকে বিশ্বাস ও দাবী করে সে কিভাবে এ ধরনের বর্বর ও পাশবিক কাজ করতে পারে ? তার কি দোজখের ভয় ছিল না ? সে কি জানত না তার এ ধরনের গুনাহ এর কাজের জন্য কি শান্তি নির্ধারিত আছে ? এখন আমরা পর্যালোচনা করে দেখি তার এ ধরনের জঘন্য কাজের জন্য শয়তানের ওপর দোষ চাপানোটা যুক্তি যুক্ত কি না।
এ বিষয়ে মহানবী মোহাম্মদ কি ধরনের উদাহরন রেখে গিয়েছে সেটা দেখা যাক। মোহাম্মদ নিজ জীবনে প্রায়ই এ ধরনের কাজকে আল্লার নির্দেশিত কাজ বলে চালিয়ে দিয়েছে। তার একটা হলো তার ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করার মাধ্যমে। হঠাৎ করে মোহাম্মদ স্বপ্নে দেখল- সে বেহেস্তে বেড়াতে গেছে আর তার সামনে ফেরেস্তারা সূক্ষ্ম রেশমী বস্ত্রে আচ্ছাদিতা আয়শাকে তার সামনে হাজির করেছে। এ স্বপ্ন সে কয়েকদিন দেখল বার বার। আর এর অর্থ হলো- আল্লাহ চায় মোহাম্মদ যেন বুড়া কালে প্রায় দুধের শিশু আয়শাকে বিয়ে করে। আবু বকর ততদিনে মোহাম্মদের দাসে পরিনত হয়ে গেছে, তার পরও সে আমতা আমতা করতে লাগল কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না , পরিশেষে বিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে সবকিছুর সমাপ্তি ঘটল।
সহী বুখারী, ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০
আয়েশা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি স্বপ্নে তোমাকে দুই বার দেখেছি।এক ফিরিস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন ও গ্রহন করুন , এটা আপনার জন্য। আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় এটা অবশ্যই ঘটবে। তখন আমি সিল্কের আবরন উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম। আমি আবার বললাম যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে এটা অবশ্যই ঘটবে।
সহী বুখারী, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।
সহী বুখারী, ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
আয়েশা হতে বর্নিত- মহানবী তাকে ছয় বছর বয়েসে বিয়ে করেন, নয় বছর বছর বযেসে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। হিসাম জানিয়েছিল- আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মূত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বছর যাবত বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।
অত:পর আয়শা তিন বছর তার বাপের বাড়ীতে থাকল , যখন তার বয়স ৯ বছর তখন সে মোহাম্মদের সাথে স্ত্রী হিসাবে সংসার করতে গেল। তার মানে মোহাম্মদ ৯ বছরের একটা নাবালিকার সাথে সেক্স করা শুরু করল যখন তার বয়স ৫৪ বছর। আলোচ্য ঘটনার ইমাম ৪২ বছর বয়েসে ৮ বছরের একটা শিশুর সাথে সেক্স করেছে। তাই সেদিক দিয়ে খুব বেশী খারাপ কিছু সে করে নি মোহাম্মদের তুলনায় এটা বলা যায়। তবে, মোহাম্মদ যেটা করেছে নানা ছলা কলা আর ভনিতা করে , আলোচ্য ইমাম তার ধার ধারেনি তাই আইন ও সমাজের দৃষ্টিতে সে ধর্ষণকারী হিসাবে গন্য হয়ে গেছে ও এখন বিচারের কাঠ গড়ায়। তবে একথা নি:সন্দেহ যে , মোহাম্মদ সেই ১৪০০ বছর আগে যে কান্ডটি ঘটিয়েছিল ঠিক সেই কান্ড এ সময়ে ঘটালে তাকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হতো তা সে আয়শার বাপ যতই তাকে মোহাম্মদের সাথে বিয়ে দিক। এ ক্ষেত্রে মোহাম্মদ, আবু বকর সবাইকেই হাজতে যেতে হতো আর বিচারের সম্মুখীন হতে হতো। ধরে নেয়া যায়, বিচারের পর মোহাম্মদের শাস্তির মাত্রা বেশী হতো কারন সে ছলা কলা করে আবু বকরকে বাধ্য করেছিল তার সাথে আয়শাকে বিয়ে দিতে। মোহাম্মদের শাস্তি হতো যে কয়টা কারনে তা হলো – নাবালিকা শিশুকে বিয়ে করা , বিয়ের জন্য শিশুর পিতা মাতাকে নানা কথায় ফুসলানো তথা প্রতারনা করা ও নাবালিকা সাথে সেক্স করার মত পাশবিক অপরাধ করা যা জামিন অযোগ্য । আবু বকরের শাস্তি হতো লঘু কারন সে স্বেচ্ছায় বিয়েতে রাজী হয় নি , তাকে ফুসলানো হয়েছিল।
পালক পূত্র জায়েদের সুন্দরী ও যৌনাবেনদনময়ী স্ত্রী জয়নাবকে মোহাম্মদের বিয়ে করা ছিল আর একটি উদাহরন। একদা মোহাম্মদ জায়েদের বাড়ীতে হঠাৎ হাজির হয়ে জয়নাবকে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দেখল কারন সে তখন কাপড় পাল্টাচ্ছিল। এ ধরনের একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জয়নাবকে দেখে মোহাম্মদের দেহে ও মনে উত্তেজনা সৃষ্টি হলো। জয়নাবকে একান্তভাবে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা জাগল তার। কিন্তু মনের এহেন ভাব কারো কাছে প্রকাশ করা যাচ্ছিল না। কারন বিষয়টি তখনকার সমাজ ব্যবস্থায়ও ভীষণ অসভ্য ও ভব্যতাহীন ছিল। সেই আধা বর্বর যুগেও পুত্র বা কন্যা পালক হিসাবে পালন করা একটা বড়রকম সম্মানের ও মানবিক ব্যপার হিসাবে পরিগনিত ছিল এবং তাদেরকে আপন পূত্র বা কন্যা সন্তান হিসাবেই গন্য করা হতো। যেমন তখন সমাজে জায়েদকে জায়েদ বিন মোহাম্মদ বলে ডাকা হতো, এর অর্থ- মোহাম্মদের পুত্র জায়েদ। তো এ ধরনের প্রায় নিজ পূত্র জায়েদের স্ত্রীকে দেখে কাম তাড়িত হওয়া যেমন অসৌজন্যমূলক কাজ , তাকে বিয়ে করতে চাওয়া তো রীতিমত বর্বর একটা কাজ। তাই মোহাম্মদ কোনক্রমেই কাউকে তার মনের কথা বলতে পারছিল না। কারন এটা কাউকে বলা মানে তার এতদিনকার অর্জিত সম্মান নবুয়ত্ব সব জলাঞ্জলী দেয়ার মত একটা ব্যপার হবে। তখন পরমকরুনাময় আল্লাহ আর তার প্রিয় নবীর এ ধরনের পরকীয়া প্রেমের কষ্ট দেখে স্থির থাকতে পারলেন না। অতি সত্ত্বর তিনি ওহী নাজিল করলেন।
আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেন নি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর তাদেরকে তোমাদের জননী করেন নি এবং তোমাদের পোষ্যপূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করেন নি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র । আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন ও পথ প্রদর্শন করেন। আল কোরান, ৩৩:০৪
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন, আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন এবং আপনি যখন তাকে বলেছিলেন তোমার স্ত্রী তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন কিছু গোপন করছিলেন যা আল্লাহ প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করছিলেন অথচ আল্লাহকে অধিক ভয় করা উচিত। অত:পর জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করলাম যাতে মুমিনরা তাদের পোষ্যপুত্রেরা তাদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাদেরকে বিবাহ করার ব্যপারে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হয়। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিনত হয়েই থাকে। আল কোরান, ৩৩:৩৭
উক্ত আয়াত নাজিলই হয় মোহাম্মদ যাতে জয়নাবকে বিয়ে করতে পারে সে উদ্দেশ্যে। এ আয়াতে অন্য যেসব কথা আছে তা বাহুল্য মাত্র বা আসল উদ্দেশ্যের সাথে সম্পূরক মাত্র। এ আয়াত নাজিলের পর জায়েদ তার স্ত্রীকে তালাক দেয় ও অত:পর মোহাম্মদের জয়নাবকে বিয়ে করতে আর কোন বাধা রইল না। এ আয়াত নাজিলের আগেই প্রকাশ হয়ে পড়েছিল যে মহানবী মোহাম্মদ তার পূত্রবধূ জয়নাবের প্রেমে পড়েছে। আর এ প্রেম যে সে প্রেম নয় একেবারে আল্লাহ নির্দেশিত প্রেম। তার ঘরে তখন জলজ্যন্ত চার চারটি বউ, এত বউ থাকতেও মহানবী তার পূত্রবধু জয়নাবের প্রেমে হাবু ডুবু খেল।যাকে বলে পরকীয়া প্রেম। কি রোমান্টিক প্রেম! আর সে প্রেমের সফল পরিনতি ঘটাতে স্বয়ং আল্লাহকে ওহী পাঠাতে হলো। প্রকারান্তরে আল্লাহ নিজেই এ ধরনের একটা অনৈতিক ও অসামাজিক বিয়ের ঘটকালি করেন।ফলে এ ধরনের একটা অসামাজিক প্রেমের কলংক থেকে মোহাম্মদ শুধু বেঁচেই গেল তাই নয় বরং ইসলামের ইতিহাসে এ এক মহা রোমান্টিক প্রেম কাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। শুধুমাত্র ব্যক্তি মোহাম্মদের অসামাজিক, অভব্য, শিষ্টাচার বহির্ভূত পরকীয়া প্রেম বাস্তবায়ন করতে যেয়ে আল্লাকে যে মহা অন্যায় কাজটি করতে হয়েছে তা হলো- অনাথ ও দরিদ্র শিশুদেরকে নি:সন্তান দম্পতি বা সাধারন দম্পতি কর্তৃক দত্তক হিসাবে নেয়াকে অবৈধ করা হয়েছে বা অনুৎসাহিত করা হয়েছে।অথচ একটা অনাথ দরিদ্র বাচ্চাকে নিজের বাচ্চা হিসাবে পালন করা যে কোন বিচারেই একটা মহান মানবিক কাজ। আর সেটা করা হলো ব্যক্তি মোহাম্মদের অজাচারী প্রেম লীলা বৈধ করার জন্য। বেচারা ইমাম মাইনুদ্দীনের কপাল খারাপ, তার পক্ষে কেউ নেই, তাই আজকে হাজতে বসে বিচারের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ তার পেয়ারা নবী মোহাম্মদ যে কাজ করে ১৪০০ বছর আগে মহা রোমান্টিক প্রেমের জন্ম দিয়েছে, ঠিক সে কাজটা এখন করলে লোকে তাকে ছি ছি করত, সমাজচ্যুত করত, এমনকি হাজতে যাওয়াও বিচিত্র ছিল না।
পরিশেষে, নিজের ভুল কাজ বা অসাধূ কাজের দায় দায়িত্ব শয়তানের ওপর চাপানোর কিচ্ছা। খোদ কোরানেই কিন্তু এর প্রমান আছে। কোরান বলছে নবী রসুলরাও মাঝে মাঝে শয়তানের দ্বারা প্ররোচিত হয়। এটা তাদের জন্য পরীক্ষা স্বরুপ। পরে আল্লাহই আবার তাদেরকে রক্ষা করেন বা তাদের কাজ কর্মকে শুদ্ধ করে দেন। যেমন- বহু চেষ্টা চরিত্র করেও যখন মক্কাতে মোহাম্মদ ইসলাম প্রচার করতে পারছিল না , তখন তার মধ্যে একটা হতাশার জন্ম নিল। অন্যদিকে কুরাইশরা তাকে বার বার তাদের দেব দেবীদেরকে স্বীকার করে নেয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল। তখন মোহাম্মদ মনে করল-হালকা ভাবে কোরাইশদের দেব দেবীদেরকে স্বীকার করে নিয়ে সে মক্কাবাসীদের সাথে একটা সমন্বয় সাধন করে তার ইসলাম প্রচার করবে। যেমন নীচের আয়াত-
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওজ্জা সম্পর্কে? পূত্র সন্তান কি তোমাদের জন্য আর কন্যা সন্তান আল্লাহর জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন । এগুলো কতকগুলো নাম বৈ তো নয় যা তোমরা ও তোমাদের পূর্ব পুরুষরা রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলিল নাজিল করেন নি। তারা অনুমান ও প্রবৃত্তির অনুসরন করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার কাছ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। আল কোরান, ৫৩:১৯-২১
এ আয়াতের মাঝে এমন কিছু ছিল যার মাধ্যমে মোহাম্মদ স্বীকার করে নিয়েছিল তৎকালীন কোরাইশদের কর্তৃক স্বীকৃত দেব দেবীদেরকে। কিন্তু পরবর্তীতে সে লাইনগুলো বাদ দেয়া হয় এ অজুহাতে যে সেসব আয়াত শয়তান কর্তৃক মোহাম্মদের কাছে এসেছিল, জিব্রাইল কর্তৃক নয়। একারনে এ আয়াতকে বলা হয় শয়তানের আয়াত বা স্যটানিক ভার্স্ । আর এ ধরনের মিশ্রন আল্লাহ নিজেই বিশুদ্ধ করে দেন যা বলা হচ্ছে নীচের আয়াতে-
আমি আপনার পূর্বে যে সকল নবী ও রসূল প্রেরন করেছি তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে শয়তান তখনই তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রন করে দিয়েছে। অত:পর আল্লাহ দুর করে দেন যা কিছু শয়তান মিশ্রন করে। এর পর আল্লাহ তার আয়াত সমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময় ও প্রজ্ঞাময়। এ কারনে যে শয়তান যা মিশ্রন করে আল্লাহ তা পরীক্ষা স্বরূপ করেন তাদের জন্য যাদের হৃদয়ে রোগ আছে ও যাদের হৃদয় পাষাণরূপ। গোনাহগাররা দুরবর্তী বিরোধীতায় লিপ্ত আছে। ২২: ৫২-৫৩
তারা তো আপনাকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছিল যে বিষয় আমি আপনার প্রতি ওহির মাধ্যমে প্রেরন করেছি তা থেকে আপনাকে পদস্খলন ঘটানোর জন্যে তারা চুড়ান্ত চেষ্টা করেছে যাতে আপনি আমার সাথে কিছুটা মিথ্যা সম্বন্ধযুক্ত করেন। এতে সফল হলে তারা আপনাকে বন্ধু রূপে গ্রহন করে নিত। আমি আপনাকে দৃঢ়পদ না রাখলে আপনি তাদের প্রতি ঝুকেই পড়তেন। আল কোরান , ১৭: ৭৩-৭৪
এখানে পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে মোহাম্মদ তার কথা বার্তার মধ্যে উল্টো পাল্টা কিছু থাকলে ও সেসব নিয়ে কোন রকম সমালোচনা উঠলে তাকে খুব তাড়াতাড়ি সংশোধন করে নিত আল্লাহর ওহীর মাধ্যমেই। যেমন শয়তানের আয়াত বা কুরাইশদের দেব দেবীকে স্বীকার করে নেয়ার আয়াত সম্পর্কে মোহাম্মদের সাহাবীরা সমালোচনা শুরু করে দেয়ার পর পরই উক্ত আয়াত নাজিল হয়। মোহাম্মদ খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে যে কুরাইশদের দেব দেবীকে স্বীকার করার অর্থ হচ্ছে তার এতদিনকার প্রচারিত ইসলামের অসারতা প্রকাশ করা যা তার সাহাবীরাও তাকে বুঝিয়েছিল। কিছু সাহাবি কুরাইশদের ভয়ে পালিয়ে আবিনিশিয়ায় গেছিল বসবাস করতে। তাদের কানে যখন মোহাম্মদের এ ধরনের আয়াতের কথা পৌছলো তখন তারা তাদের যাবতীয় দু:খ কষ্ট যে খামোখা তা বুঝতে পেরে মক্কায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর অবশ্যম্ভাবী ফলাফল ছিল ইসলামের অপমৃত্যু। যা মোহাম্মদ ও তার অপরাপর সাহাবীরা বুঝতে পেরেছিল আর তাই তাড়া তাড়ি ঐ আয়াত সমূহকে শয়তানের আয়াত বা শয়তানের কাজ বলে প্রচার চালিয়ে তাকে থামান হলো।
তাই স্বয়ং মোহাম্মদই যেখানে তার উল্টা পাল্টা কাজ কর্ম বা কথা বার্তার জন্য শয়তানের কাজ বলে চালিয়ে দিত সেখানে তার উম্মতরাও যে সে কাজটি করবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বরং সেটাই স্বাভাবিক। আর এভাবেই সম্ভব প্রতিটা অপরাধ বা কুকামের শাস্তি থেকে নিজেকে বাচানো। এভাবেই ইসলাম যে কোন অপরাধীর কৃত অপরাধ থেকে তাকে রক্ষা করার নিদান দিয়েছে। কোন একটা অপরাধ করে শুধু বললেই হলো যে সে সেটা শয়তানের প্ররোচনায় করেছে আর অত:পর তওবা করে নিলেই হলো, তাহলে পরম করুনাময় আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দেবেন যেমন তিনি করেছেন সকল নবী ও রসুলের ক্ষেত্রে। এটা আরও যুক্তি যুক্ত একারনে যে – খোদ আল্লাহ প্রেরিত নবী রসুল যেখানে ভুল ত্রুটি করেন সেখানে সাধারন মানুষরাতো আরও বেশী ভুল ত্রুটি করবে। দুনিয়ার সর্বশেষ নবী , সর্বশ্রেষ্ট মানব আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করেছেন সম্পূর্ন পারফেক্ট রূপে সেই নবী মোহাম্মদ যদি শয়তানের দ্বারা প্রতারিত হতে পারে তাহলে সাধারন মানুষতো প্রতারিত হবে পদে পদে ,আর তার জন্য মহান করুনাময় আল্লাহ তালা সব সময় প্রস্তুত আছে তাদেরকে মাফ করে দিতে। শুধু স্বীকার করে নিতে হবে যে সে যেটা করেছে সেটা শয়তানের প্ররোচনায় , ব্যস বাকী দায়িত্ব আল্লাহর। ঠিক একারনেই পশ্চিমা দেশের কারাগার সমূহে মাঝে মাঝে দাগী আসামীদের দেখা যায় ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে। আর সেটা করে তারা যেন প্রমান করে যে ইসলাম হলো মূলত: অপরাধীদের জন্য একটা অনুকূল ধর্ম। এত কিছুর পরও যদি আলোচ্য ইমাম মাইনউদ্দিনকে আদালত কোন শাস্তি দেয় তা হবে আল্লাহর সাথে পাল্লা দেয়ার মত ব্যপার। আমি পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে দোয়া মাগফেরাত কামনা করি , হে পরোয়ার দেগার , করুনার মহাসাগর , মাইনউদ্দিনকে তুমি রক্ষা কর শয়তানের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কৃত তার অপরাধ থেকে, আর যারা তোমার করা আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে ইমামকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তোমার করা আইনকে অপমান করছে তাদের ওপর গজব নাজিল করো, আমীন। বলেন, সুবহান আল্লাহ।
ওহ বলতে ভুলে গেছি, পত্রিকায় মাঝে মাঝে পাশ্চাত্য দেশে গীর্জার পাদ্রী কর্তৃক ধর্ষণ বা সমলিঙ্গের সাথে যৌনতা এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়। যা নিয়ে ওসব দেশে বেশ হৈ চৈ ও হয় মনে হয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে কখনো বলতে শোনা যায় না যে সে শয়তানের প্ররোচনায় এ ধরনের কান্ডটি করেছে। ধরা পড়লে স্রেফ নিজের ওপরই দোষটা নিয়ে নেয়। শয়তানের ওপর দায়ভার চাপায় না। তাই মহানবী মোহাম্মদ আসলে বড়ই দয়াল আর বিচক্ষন। সে তার উম্মতদের জন্য শয়তান নামক এক ঢাল রেখে গেছে যাবতীয় অপকর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। এ মহান কাজের জন্য তাই আল্লাহ মোহাম্মদকে বেহেস্তে নসীব করুন, তার ওপর শান্তি বর্ষণ করুন।
আসলে , পোস্টের নাম দেখে ভাবলাম লেখক আমার কাছে শিখতে চাইছেন। পরে বুঝলাম, তিনি কি যেন শিখাতে চাইছেন।
শয়তান এক মহান ব্যক্তির উপাধি। (H) সেই মহান ব্যক্তি এতটাই মহান যে যখন পাপাচারের কারনে তার সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয় তখন তার মহীমা দেখে তাকে বাঁচিয়ে দেয়া হয়। (Y) সেই মহান ব্যক্তি অত্যন্ত যুক্তিবাদী ছিলেন। ফেরেস্তাকূলের শিক্ষকও হয়েছিলেন।
অতএব আমাদের এখানকার সমস্ত মহাজ্ঞানী গুণীরা নিজেদের শয়তানের অনুসারী বলতে পারে, নাকি ??
তাকওয়া বিহীন ইলম এর যদি কোন দাম থাকতো তাহলে শয়তান সৃষ্টিকূলের সেরা বলে বিবেচিত হত……………
আপনি যাদের কথা উল্লেখ করলেন, উনারা সবাই কি ৫০ এর ঘর পেরিয়ে গিয়ে বালিকা বিয়ে করেছিলেন?
মায়েদের অল্প বয়স উল্লেখ করার পাশাপাশি বাবাদের বয়সটাও উল্লেখ করা দরকার ছিল। অমুসলিম রবীন্দ্র নাথের বয়সটাই বা কত ছিল?
কলেজলাইফে হোস্টেলে খুব ভোরে উঠে কোরাস মিলাতে হত। তার একটি হলো-
“সকলি তোমার ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি।
তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি।।”
এক মধ্য রাতে দেয়াল টপকে ইত্তেফাক মোড়ে ডিম-পরোটা খেয়ে ফিরে এসে ধরা খেলাম। উত্তর দিয়েছিলাম- সবই মায়ের ইচ্ছা…
ওরকম ভীমরতির ব্যাপারটা নিয়ে কথা তুললে শেষ পর্যন্ত যেটা দিয়ে ডিফেণ্ড করা হয় তা হল- তখনকার সমাজে ওসব প্রচলন ছিল। আর তখনকার সমাজব্যবস্থা মেনে নিয়েই ওসব করা হত। তো তখনকার কর্মকাণ্ড এখনকার নিয়মনীতি দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না।
বুঝলাম। সেই জীবনব্যবস্থাকে “সর্বশ্রেষ্ট” বললেও না হয় মুখ বুজে থাকি (তখনকার সময়ের প্রেক্ষিতে)। কিন্তু যখন “সর্বকালের” বলে মার্কেটিং করা হয় তখন যদি ভাবি শয়তানদের চোখের পাপড়ি নাই; চক্ষুলজ্জা বলেও কিছু নাই- তাহলে কি কোনো অপরাধ হবে!?
বয়স্ক (৫১)নবী মুহম্মদ, নাবালিকা (৬) আয়শাকে বিয়ে করেছেন—এই বিষয়টি কিছু হাদিস দিয়ে প্রমাণ দিয়ে দিলেন। এখন সেই একই বিষয়টি আরো হাদিসের ক্রস রেফারেন্সে সহজেই প্রমাণ করা যায় উপরোক্ত হাদিসগুলো তথ্যভিত্তিক নয়, সম্পূর্ণ বানানো– তাহলে আপনার এই লেখা এবং আয়শা এপিসোডের (আকাশ মালিক) সেই রম-রমা বর্ণনার অবস্হান কোথায় হবে? শুধু তাই নয় ইতিহাস ভিত্তিক খুঁজতে গেলেও ঘটনার সাথে মেলেনা। এছাড়া আরো অপরিচিত কিছু লেখকের লেখা এখন যখন বিভিন্ন লাইব্রেরীতে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, যার সাথে এই সব হাদিসের বর্ণনার কোন মিল নেই। সেগুলোর অবস্হান কোথায়? কেন সেগুলো সাধারন জনগনের কাছ থেকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে?
আর কোরান ভিত্তিক বিয়ের নিয়ম অনুযায়ীও এই বিয়ে হওয়ার কথা নয়। নবীর কি এমন গুন ছিলো বা কি দিয়ে সব সাহাবাদের মুখ বন্ধ রেখেছিলেন এমনসব অমানবিক কাজ করা সত্ত্বেও? যা সে সমাজে প্রচলিত বিষয়গুলো, তিনি যদি নিজেই মেনে চলতেন তাতে কে তাকে বাঁধা দিতে আসত বা একটা ধর্মগ্রন্হেরই বা প্রয়োজন কেন? তিনি তো ব্যবসায়ী ছিলেন-পয়সা ছড়ালেই তো সব ব্যবস্হা হয়ে যেত। হযরত আবু বকরকে তিনি কি দিয়ে জাদু করেছিলেন যে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন?
@আইভি,
আগে প্রমান তো করুন সম্পূর্ন বানানো তার পর দেখা যাবে। আপনার বক্তব্যের মূল কথা হলো- যে সব হাদিস মহানবীর চরিত্রকে কলংকিত করছে তা সব বানান আর বাকীসব সত্য্। অদ্ভুত আবদার বটে। হাদিস ছাড়া কোরান বোঝার কোন উপায় আছে ? আর সেই হাদিসেরই রেফারেন্স দেয়া হচ্ছে যা হাজার বছর ধরে সহি হিসাবে মুসলিম দুনিয়াতে সমাদৃত। আর আপনি হু্ট করে বলছেন সেই সহি হাদিস বানান। সহি হদিসকে যদি বানান বলেন , কোরানকেও তেমনি বানান বলেন না কেন ? তাহলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, এত যুক্তি তর্কের কোন দরকার পড়ে না। নিজের সাথে আর কত প্রতারনা করবেন ? সত্য চিরকাল চাপা থাকে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
মামা তো হন না, তাই আবদার করবো কেন?
হাদিস আর কোরান এক জিনিস নয়। হাদিস ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় অর্থাত নবী কি করেছেন, বলেছেন –সত্য-মিথ্যার সমন্বয়। আর কোরান নবীর কাছে প্রেরিত ঐশী বানী যা সামাজিক নিয়ম-কানুন, দর্শন, অতীত নবী কাহিনী, আর সর্তকবাণীর সমন্বয়। কোরান বিশ্বাস আর হাদিস বিশ্বাস এক নয়।
@আইভি,
যখন কোরানই বলে যে মুহাম্মদের আদর্শই সর্বোত্তম তখন হাদীসের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। তবে আপনি বলেছেন, কোরান ঐশী গ্রন্থ। আচ্ছা, ঠিক কি প্রমাণের ভিত্তিতে আপনি ধরে নিয়েছেন যে কোরান ঐশী গ্রন্থ? আমি এ বিষয়ে দুটি পর্ব লিখেছি। যদি ওখানে গিয়ে বিস্তারিত জবাব দিতেন তবে খুবই খুশি হতাম।
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? – ১
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? -২
আপনি যেহেতু কোরান অনলি মুসলমান তাই আপনার কাছে এ অনুরোধ। কেউ যদি কোরানকে ঐশী বলে প্রমাণ করতে পারেন তবে সব ল্যাঠা এখানেই চোখে যায়। ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
আইভিকে এসব কথা বলে মনে হয় লাভ নেই। তিনি বুঝতেই পারছেন না , হাদিস স্বীকার না করলে মোহাম্মদ থাকে না আর মোহাম্মদ না থাকলে কোরান থাকে না।
@আইভি,
হ্যা তাই তো। তো কোরান সংকলিত হয়েছিল মোহাম্মদ মারা যাওয়ার বেশ কয় বছর পর তার সাহাবীদের স্মৃতি থেকে গৃহীত কোন কোন ক্ষেত্রে হাড় বা চামড়ায় লিখিত বিভিন্ন জনের সংগৃহী তথ্য থেকে। হাদিসও সংগৃহীত হয়েছিল সাহাবীদের স্মৃতি ও লিখিত তথ্য থেকে মোহাম্মদের মৃত্যুর পরে, কোরানের মতই কায়দায়। এখন হাদিস এর মধ্যে সত্য মিথ্যার মিশ্রন থাকলে কোরানের মধ্যে তা থাকবে না কেন ? তার চাইতে গুরুতর প্রশ্ন হলো- কোন হাদিস সত্য আর কোন হাদিস মিথ্যা এটা কিভাবে বুঝব? আপনি যে হাদিসকে সত্য বলে রায় দেবেন তার ভিত্তি টা কি ? কোন হাদিস সত্য আর কোন হাদিস মিথ্যা এ সিদ্ধান্ত দেয়ার কত্তৃত্ব আপনাকে কে দিল ? আর আপনি বললেই কি কোন হাদিস মিথ্যা হয়ে গেল নাকি ?হাদিস ছাড়া মোহাম্মদকে কেমনে জানবেন ? মোহাম্মদ যে সত্যবাদী, নীতি পরায়ন, ন্যায়বিচারক, সমাজ সংস্কারক, দুনিয়ার সকল সময়ের শ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ এটা আপনি কোথা থেকে জানলেন? তাকে যদি ঠিকভাবে না জানেন তাহলে তার কোরান আল্লাহ প্রেরিত প্রমানের ভিত্তি টা কি ? আপনার নিকট একটা অত্যন্ত সাদা মাটা লজিক কাজ করছে না , সেটা হলো আপনি হাদিসকে উড়িয়ে দেয়ার সাথে সাথে মোহাম্মদ সহ কোরানকেও যে উড়িয়ে দিচ্ছেন এ অতি সাধারন বিষয়টা আপনার মাথায় ঢুকছে না আর এ জন্য আমি দারুনভাবে ব্যথিত। ধন্যবাদ আপনাকে।
@ভবঘুরে,
কোরান সংগ্রহ সম্পর্কে আমাদের জানা এই তথ্যটি সঠিক নয়। মন্তব্যে এর চেয়ে বেশি বর্ণনা করা গেল না।
যেহেতু কোন হাদিস সত্য আর কোন হাদিস মিথ্যা তা বের করার কোন ক্রেডিবিলিটি নেই, সবই লেখা হয়েছে পাঁচ-ছয় জেনারশনের শোনা কথার উপর ভিত্তি করে, তাই আমি ইসলামের অথরিটি হাদিসকে দিতে পারিনা। ইসলামের ভিত্তি কোরান। যেহেতু ইতিহাস সংগ্রহে অর্থ ও রাজনীতির এত খেলা চলেছে, এ ক্ষেত্রে কোরান ভিত্তিক নবীকে যতটুকু জানা যায় তাই আমি গ্রহণ করবো। মুহম্মদ কয়টি বিবাহ করেছিলেন, তার পারিবারিক জীবন কেমন ছিল, সামাজিক জীবন কি রকম ছিল সেই সত্য তথ্য না পেলেই কোরানকে উড়িয়ে দেয়া হয় সেটা আপনার বা আপনাদের মত অনেকের ধারনা, আমার নয়।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, এখন যদি আমি আমার কোন অমুসলিম বন্ধুকে ইসলাম সম্বন্ধে জানানোর চেষ্টা করি তাহলেকি তাকে কোরান পড়তে দিলেই চলবে নাকি হাদিস বইগুলোও দিয়ে আসব? এরপরও কথা থাকে, কাদের হাদিস বইগুলো দিব–শিয়া, সুন্নী না সুফী মতবাদ? এক কোরান পড়ে কি তার ইসলাম জানা হবেনা, নাকি নবীর জীবনীও লাগবে তার সাথে?
@আইভি,
আপনি এবার সত্যি সত্যি অদ্ভুত কথা বললেন । যে ব্যাক্তি নিজেকে আল্লাহ প্রেরিত নবী দাবী করছে, তার কাছে আল্লাহ নিয়মিত ওহি পাঠাচ্ছে বলে দাবী করছে সে লোকটা কেমন ছিল সেটা আগে জানাটা জরুরী নয় কি ? রহিম করিম নামের কেউ এসে বলল সে আল্লাহর নবী তাহলে তাই বিশ্বাস করতে হবে ? আমি নিজেই যদি দাবী করি আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন আপনাদের মত অন্ধ মানুষদেরকে আলো দান করতে , আপনি বিশ্বাস করবেন ? এখন কোরানে তো মোহাম্মদের জন্মবৃত্তান্ত, তার স্বভাব চরিত্র, কাজ কর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই বলেনি। এমন কি বলে নি কয় বার নামাজ পড়তে হবে এটাও। তাহলে ?
কোরানের মধ্যে কোথাও লেখা আছে মোহাম্মদ কবে জন্ম গ্রহন করেছিল বা কোথায় জন্মগ্রহন করেছিল ? কোরান পড়ে মোহাম্মদকে মোটেও জানা সম্ভব নয়। কেউ যখন সরাসরি কোরান পড়ে তার অর্থ করতে বসে তখন আপনাদের মত লোকেরা তাকে উপদেশ দেন – কোরান পড়তে হবে তফসির সহকারে , হাদিস সহকারে তাহলেই কোরানের সঠিক অর্থ জানা যাবে। আর বস্তুত বিষয়টাও তাই। তফসির ও হাদিস ছাড়া কোরান পড়লে কোরানের কিছুই বোঝা যায় না কারন অধিকাংশ আয়াত নাজিল হয়েছে কোন না কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে , এখন ঘটনার বিবরন তো কোরানে নেই। আছে হাদিসে। এমতাবস্থায় কোরান বোঝার উপায় কি ? যেমন নিচের আয়াত –
এখানে মোহাম্মদ কাকে অনুগ্রহ করেছে ? মোহাম্মদ কার স্ত্রী কার কাছেই রাখতে বলেছিল? মোহাম্মদ অন্তরে কি গোপন করছিল ও কি কারনে লোক নিন্দার ভয় করছিল ? এখানে জায়েদ ও জয়নাব কে ?
এসবের উত্তর কি আপনি কোরান থেকে দিতে পারবেন ? যদি না পারেন কথাগুলো স্রেফ ফালতু কথায় পর্যবসিত হবে। যেহেতু এসব প্রশ্নের পরিস্কার উত্তর হাদিসে আছে আর তা থেকে মোহাম্মদের আসল চেহারা পরিস্কার ফুটে ওঠে যা আপনাদের চির চেনা বা বিশ্বাস করা মোহাম্মদের সাথে মেলে না আর তখনই আপনারা শুরু করে দিয়েছেন নিজেদের মনগড়া মতামত। আপনি নিজেই একটু ভাল মতো মাথা খাটান না আর ভাবুন না যদি শৈশব থেকে আপনার ব্রেন টাকে ওয়াশ করা না হতো , আপনার ব্রেনে মোহাম্মদের অতি রঞ্জিত ছবি একে দেয়া না হতো, আর এখন কোরানের এ সমস্ত উদ্ভট ও অসামাজিক অমানবিক আয়াত আপনার কাছে পেশ করা হতো , আপনি কি বলতেন ? হাদিসকে অস্বীকার করলে মোহাম্মদই তো থাকে না ।কোরানের কোথাও মোহাম্মদের নামও নেয়া হয়েছে বলে দেখা যায় না। তাহলে আপনারা যাকে মোহাম্মদ বলে বিশ্বাস করছেন কোরান যার কাছে নাজিল হয়েছিল সে-ই যে মোহাম্মদ তার প্রমান কি ? শিয়া সুন্নী মতবাদের কথা বলছেন? এটা করেছে কারা ? তারাই করেছে যারা সরাসরি মোহাম্মদের সাথে ওঠা বসা করত। যারা মোহাম্মদের সাথে সরাসরি ওঠা বসা করত , তারা তো মোহাম্মদকে ভালই চিনত , জানত , এর পরেও তারা এত ভিন্ন মত হয় কি করে ? উদ্ভট ও আজগুবি কথা বার্তা বললে তা যুক্তি হয় না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
দেখুন মুসলমান হওয়ার জন্য বা মুসলমান হিসাবে জীবণযাপনের জন্য এসকল প্রশ্নের উত্তর জানা আবশ্যক নয়। মুহম্মদ নামে কেউ ছিল কিনা বা তিনি কেমন লোক ছিলেন , সেটা জানাও আবশ্যক নয়। বাস্তবতা হলো , মুহম্মদের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্বের কোন প্রমান বর্তমান যূগে বিদ্যমান নেই। এক আল্লাহতে বিশ্বাস ও আল্লাহর বাণী কোরান অনুযায়ী জীবণযাপন করলেই মুসলমান হিসাবে দায়িত্ব সম্পূর্ণ হবে বলেই আমি মনে করি। আমি হাদীসে বিশ্বাস করি না , কই আমারতো কোন অসুবিধা হচ্ছেনা।
আজাইরা মুহম্মদের ব্যাক্তিজীবণ ও তথাকথিত হাদীস নিয়ে সময় নষ্ট না করে , ইসলামের মূল কোরান নিয়ে গবেষনা করুন ও পারলে সেখান থেকে ভুল প্রমাণ করুন।
@ফারুক,
আপনি কি কলেমা তাইয়েবা বিশ্বাস করেন না? “লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ”?
যিনি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ তার সম্পর্কে জানার কোন দরকার নেই?
@আদিল মাহমুদ,
মোহাম্মদের কীর্তিকলাপের জন্য তাঁকে স্বীকার করে নেয়াটা একটা যন্ত্রনা আর স্বীকার না করলে এ ছাড়াতো কোন উপায় দেখছিনা। :-Y
@ব্রাইট স্মাইল্,
কোরান অনলী ভাইদের এটা খুবই মৌলিক দূর্বলতা আমার কাছে। ওনাদের চিন্তাভাবনা অনেক আধুনিক, ওনাদের মত করে ধর্ম পালন করলে মনে হয় অনেক ঝামেলা এড়ানো যেত। তবে এই তত্ত্বীয় যায়গায় ওনারা খুবই অযৌক্তিক কথাবার্তা বলেন।
যিনি কোরানের মত এত মহান শেষ ঐশ্বী গ্রন্থ নিয়ে এলেন তার সম্পর্কে জানার কোনই দরকার নেই (উপায় নেই সেটা অন্য তর্ক হতে পারে)? রাম শ্যাম যদু মধু সে যে কেউই হতে পারে? হতে পারে দস্যু তস্কর বা সাধু যে কোন কিছুই? কলেমা তাইয়েবা, কলেমা শাহাদাত তাহলে কেন এতই গুরুত্বপূর্ন? যার কোন গুরুত্ব নেই তাকে এভাবে গুরুত্ব দেওয়া কেন ইসলামের মৌলিক ভিত্তি?
@আদিল মাহমুদ,
কোরান ওনলি একটা নতুন প্রজাতি। এরা অনেক দেখে শুনে বুঝতে পেরেছে মোহাম্মদকে আর মহামানব করে রাখা যাচ্ছে না হাদিস মোতাবেক। কিন্তু সংস্কার বশে ইসলামকে বাতিলও করতে পারছে না। তাই শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে কোরান ওনলি মতবাদী সেজেছে। এরা সব জেনে শুনে না বোঝার ভান করে আছে । নইলে মোহাম্মদ ছাড়া কোরান আর ইসলাম কিভাবে হতে পারে তা এদের মাথায় ঢুকছে না। অথচ কোরান বার বার বলেছে- বিশ্বাসী হলো সেই যে আল্লাহ ও তার প্রেরিত নবী মোহাম্মদের প্রতি বিশ্বাস করবে। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ ইমান, এই ইমানের মূল প্রতিপাদ্যও তাই। অথচ এনারা এখন নিজস্ব মনগড়া বয়ান নিয়ে হাজির হয়েছেন। এরা উপলব্ধি করতে পারছেন না যে তারা যেটা বিশ্বাস করেন তা পরিপূর্নভাবে ইসলাম বিরোধী যা তাদেরকে প্রকারান্তরে কাফিরে পরিনত করছে। কোরানের বক্তব্য অনুযায়ী আল্লাহ ও নবী মোহাম্মদকে সমভাবে ও একই সাথে বিশ্বাস করতে হবে- না হলে সে বিশ্বাসী বা মুসলমান নয়, শুধুমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করলে হবে না। মনে হয় ওনারা কোরানের মূল সুরটাই ধরতে পারছেন না।
@আদিল মাহমুদ,
সঠিক শাহাদা নামে আমার একটি পোস্ট আছে। সেটা পড়লেই বুঝবেন , কলেমা তাইয়েবার দরকার আছে কি নেই।
শাহাদা।(সাক্ষ্য) (১) , শাহাদা।(সাক্ষ্য) (২) ও সঠিক শাহাদা।
@ফারুক,
মোহাম্মদের ব্যাক্তিজীবন যদি আজাইরা বিষয় হয়, তার নবুয়ত্ব আর তার কোরান কেন আজাইরা হবে না ?
@ভবঘুরে,
ভাল প্রশ্ন।
কোরান সকলের জন্য নয়। একথা কোরানের প্রথমেই বলে দেয়া আছে। আল্লাহভীরু মুত্তাকিন ছাড়া আর সকলের জন্যই কোরান আজাইরা।
২:২ এ সেই কিতাব , যাতে কোনই সন্দেহ নেই , পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের (মুত্তাকিনদের) জন্য,
@ফারুক,
যে লোকের ব্যাক্তিজীবন আজাইরা, সে ব্যাক্তিটিও আজাইরা হবে। আর আজাইরা ব্যাক্তির কথাও আজাইরা। কোরান মোহাম্মদের মুখে বলা কোরান ও আজাইরা। এখন এই আজাইরা কথা তথা কোরানে যারা বিশ্বাস করে তারাও আজাইরা।
এটার আসল অর্থ হলো = এ সেই আজাইরা কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, আর এ কিতাব হলো আজাইরা লোকদের জন্য।
কি বলেন ?
@ফারুক,
আবার দাবী করা হয় যে এটা সর্বকালের সমস্ত মানবজাতির একমাত্র পথপ্রদর্শক!
একটু চিন্তা করলেই যে আজাইরা প্যাচ লেগে যায়!
কোরাঅানে মোহাম্মদ নামটি মোট চারবার অাসছে, কোনো কথা বলার অাগে যাচাই করবেন
@আইভি,
তাজ্জব কি বাত, ইসলামিস্টরাই নবীজীর বালিকা বিবাহকে স্বীকার করেই সেটাকে ডিফেন্ড করার জন্য কত রকম যুক্তির কসরত করে, সে যুগের আলোকে বিচার করতে হবে, পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে করা ইত্যাদি, আর আপনি একেবারে অস্বীকারই করে বসলেন। আরো মজার ব্যাপার নন-সহি হাদীস উদ্ধৃত করলে ইসলামিস্টরা তেড়ে আসেন, বলেন সহি হাদীস উদ্ধৃত করুন, ঐসব ভন্ড হাদীস নায়। আর আপনি উলটো পথে গিয়ে সহি হাদীসকে সমালোচনা করছেন নন-সহি হাদীসের রেফেরেন্স দিয়ে। বড়ই আমোদিত হলাম। আবু বকরকে যাদু করতে হবে ওরকম প্রভাব প্রতিপত্তি ওয়ালা লোকের চাপে পড়ে বা তোষণ করতে এযুগেও অনেক লোক বালিকা কন্যা দিতে বাধ্য হত আইনী বাধা না থকলে।
@যাযাবর, ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের একটি অতি প্রিয় প্রচারনা হলো – শেষ নবী মুহম্মদ শিশু নির্যাতনকারী ছিলেন। কথিত আছে মুহম্মদ যখন আয়েশাকে বিয়ে করেন , তখন তার বয়স মাত্র ৬ বছর ছিল এবং তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু হয় আয়েশার ৯ বছর বয়সে। এই নাস্তিকদেরি বা দোষ কি? বহু মুসলমান বিশেষ করে সুন্নি মুসলমানরা ও অন্ধভাবে এটাই বিশ্বাস করে। তাদের এই অভিযোগ বা বিশ্বাসের ভিত্তি হলো চরম মুহাম্মদ বিদ্বেষী বুখারীর একটি হাদীস । বুখারীর হাদীসগ্রন্থে এমন বহু হাদীস পাওয়া যায় , যেগুলো আমাদের প্রিয় নবী মুহম্মদের অবমাননাকারী। এই হাদীসটি যে বুখারী কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন শুধুমাত্র মুহম্মদ বিদ্বেষের কারনে , তার প্রমান হলো এমন আরো হাদীসের বর্ননা তার গ্রন্থে পাওয়া যায় , যেগুলো এই হাদীসের পরিপন্থি বা সাংঘর্ষিক।
নবী মুহাম্মদ কোরানের আদর্শেই জীবন পরিচালিত করতেন। তার জীবনাদর্শ সর্বকালের মুসলমানদের জন্য অনুকরনীয়। তিনি কোরানের পরিপন্থি কোন কাজ করতে পারেন না। কোরান থেকে বিবাহের যোগ্যতা বা উপযুক্ত বয়সের যে দিগনির্দেশনা পাওয়া যায় , তাতে এটা প্রতীয়মান হয় যে শিশুবিবাহ ইসলামে নিষিদ্ধ। যারা আগ্রহী তারা ৪:৬ , ৪:২১ , ৩০:২১ ও ২৫:৭৪ আয়াতগুলো পড়ে দেখতে পারেন। এই আয়াতগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলাম না , কারন নাস্তিকরা কোরানে বিশ্বাস করে না এবং সুন্নি মুসলমানরা ও কোরানের চেয়ে হাদীসের বর্ননায় বেশি আস্থাবান। যেহেতু এই অভিযোগের ভিত্তি হলো বুখারী বর্নীত একটি হাদীস , তাই হাদীস থেকেই প্রমানের চেষ্টা করব যে উক্ত হাদীসট ছিল ভূয়া। বুখারী হাদীসটি তার গ্রন্থে স্থান দিয়েছেন মুহাম্মদ তথা ইসলামকে অবমাননা করার জন্য কিনা তা আল্লাহই ভালো জানেন।
১) এই হাদীসটির বর্ননাকারীদের শেষ ব্যাক্তি হিশাম বিন উর্ওয়া তার বাপের কাছ থেকে হাদীসটি শুনেছিলেন। হাদীসটি মূলত আহাদ হাদীস। হিশাম তার জীবনের প্রথম ৭১ বছর মদিনায় কাটালেও মদিনার কেউ এই হাদীসটি শোনেনি , এমনকি তার বিখ্যাত ছাত্র মালিক বিন আনাস ও এই হাদীসের উল্লেখ করেন নি। হিশামের শেষ জীবন কাটে ইরাকে । একারনেই এই হাদীসের বর্ননাকারী বাকি সকলেই ইরাকি। ইয়াকুব ইবনে শায়বাহ বলেছেন , “হিশামের সকল হাদীস বিশ্বাসযোগ্য , শুধুমাত্র ইরাকিরা যেগুলো বর্ননা করেছে সেগুলো ছাড়া।” মালিক বিন আনাস , যিনি হিশামের ছাত্র ছিলেন , তিনি হিশামের ইরাকিদের মাধ্যমে বর্নীত হাদীসগুলোকে সন্দেহকরে ওগুলোকে বাতিল করেন। (সুত্র – তেহজিবুল তেহজিব , লেখক-ইবনে হাজার আল আশকানি। বইটি হাদীস বর্ননাকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে লিখিত।)
২) এমন বিবরন পাওয়া যায় যে , হিশাম বিন উর্ওয়া শেষ বয়সে স্মৃতিশক্তির দুর্বলতায় ভুগেছিলেন , যেকারনে তার শেষ বয়সের অর্থাৎ ইরাকে বসবাসকালীন বর্নীত হাদীসগুলোতে বিশ্বাস করা যায় না। (সুত্র- আল যাহবি লিখিত “মিজানুল-আই
তিদাল”। বইটি হাদীস বর্ননাকারীদের জীবনী নিয়ে লিখিত।)
৩) বুখারীর কিতাবুল তাফসিরে একটি হাদীস পাওয়া যায় , যেখানে আয়েশা নিজেকে সূরা ৫৪ নাযিলের সময় কিশোরি মেয়ে ‘যারিয়াহ’ (শিশু ‘সিবিয়াহ’ নয়) হিসাবে দাবী করেছেন।
Volume 6, Book 60, Number 399:
Narrated Yusuf bin Mahik:
I was in the house of ‘Aisha, the mother of the Believers. She said, “This revelation: “Nay, but the Hour is their appointed time (for their full recompense); and the Hour will be more previous and most bitter.” (54.46) was revealed to Muhammad at Mecca while I was a playfull little girl.”
স্মরন থাকে যে , সূরা ৫৪ হিজরীপূর্ব ৯ সালে মক্কায় অবতীর্ন হয়। আয়েশার সাথে নবীর বিয়ে হয় ২য় হিজরীতে। এখন সূরা ৫৪ নাযিলের সময় আয়েশার বয়স ৫ বছর ও হয় (যেহেতু তার এই ঘটনা স্মরন আছে এবং এর নিচে হলে তাকে কিশোরি না বলে শিশু বলা উচিৎ ছিল) তাহলে বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ৫+৯+২=১৬ বছর ন্যুনতম ছিল। দাম্পত্য জীবন শুরু হয় আরো ২ বছর পরে। তাহলে আমরা কোন হাদীসটি বিশ্বাস করব? এটি নাকি হিশাম বিন উর্ওয়া বর্নীত হাদীসটি? ১৬ নাকি ৬? বুখারী এই আপাত বিরোধী ২ টি হাদীস কিভাবে তার গ্রন্থে সংকলন করলেন? বলাবাহুল্য দুটৈ সহী হাদীস!!
৪) অনেক হাদীসের বর্ননায় পাওয়া যায় আয়েশা ওহুদের যুদ্ধে নবীর সফরসঙ্গী ছিলেন। ওহুদের যুদ্ধে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ১৫ বছরের নিচে কাউকে যুদ্ধে নেয়া হয় নি। ওহুদের যুদ্ধ ২য় হিজরীর নিকটবর্তী কোন এক সময় সংঘটিত হয়। এর অর্থ দাড়ায় আয়েশার বয়স বিয়ের সময় ১৫ বছরের বেশি ছিল।
৫) ঐতিহাসিকগন মহিলা সাহাবি ‘আসমা’র বয়স সম্পর্কে একমত। আসমা , আয়েশার বড় বোন ও বয়সে আয়েশার থেকে ১০ বছরের বড়। তাকরিবুল তেহজিব ও আল-বিদায়াহ ওয়াল নিহায়াহ বই দুটিতে বর্নীত হয়েছে যে , আসমা ৭৩ হিজরী সালে ১০০ বছর বয়সে মারা যান। এর অর্থ দাড়ায় , হিজরতের সময় আসমার বয়স ছিল ২৭ বছর। আয়েশা যেহেতু আসমার চেয়ে ১০ বছরের ছোট , তাহলে হিজরতের সময় আয়েশার বয়স ছিল ১৭ বছর। আয়েশার বিয়ে হয় ২য় হিজরীতে । এই হিসাবে আয়েশার বয়স বিয়ের সময় হয় ১৯ বছর।
(For Asma being 10 years older than Ayesha, see A`la’ma’l-nubala’, Al-Zahabi, Vol 2, Pg 289, Arabic, Mu’assasatu’l-risalah, Beirut, 1992. Ibn Kathir confirms this fact, [Asma] was elder to her sister [Ayesha] by ten years” (Al-Bidayah wa’l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 371, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). For Asma being 100 years old, see Al-Bidayah wa’l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 372, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). Ibn Hajar al-Asqalani also has the same information: “She [Asma (ra)] lived a hundred years and died in 73 or 74 AH.” Taqribu’l-tehzib, Ibn Hajar Al-Asqalani, Pg 654, Arabic, Bab fi’l-nisa’, al-harfu’l-alif, Lucknow).
৬) তাবারি তার ইসলামের ইতিহাস বইতে উল্লেখ করেছেন যে , আবুবকরের ৪ সন্তানের সকলেই ইসলামপূর্ব ৬১০ সালের আগেই জন্মগ্রহন করেন। আয়েশার বিয়ে হয় ৬২৪ সাল বা ২য় হিজরীতে। এর মানে দাড়ায় বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ন্যুন্নতম ১৪ বছর ছিল। (Tarikhu’l-umam wa’l-mamlu’k, Al-Tabari, Vol 4, Pg 50, Arabic, Dara’l-fikr, Beirut, 1979).
৭) ঐতিহাসিক ইবনে হিশামের বর্ননামতে আয়েশা উমর ইবনে আল-খাত্তাবের বেশ কিছু আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। এর অর্থ দাড়ায় আয়েশা ৬১০ সালের কাছাকাছি সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন । এখন যদি ধরা যায় তিনি বুঝে শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন , তাহলে তখন তার বয়স ছিল ৭-৮ বছর। এই হিসাবে আয়েশার বয়স বিয়ের সময় ২০ বছরের উপরে হয়। (Al-Sirah al-Nabawiyyah, Ibn Hisham, vol 1, Pg 227 – 234 and 295, Arabic, Maktabah al-Riyadh al-hadithah, Al-Riyadh).
এইরুপ আরো অনেক হাদীস বা ঐতিহাসিকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমান করা যায় যে আয়েশার বয়স বিয়ের সময় ৬-৭ বছর ছিল না। স্মরন করা যেতে পারে যে , রসূল নিজমুখে কিন্তু বলেননি যে , বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল ৬-৭ বছর। এই দাবী করেছে হিশাম ইবনে উরওয়া নামে এক লোক তার বাপের বরাত দিয়ে। বুখারী এইরুপ একটি বিতর্কিত হাদীস সংকলন করে প্রমান করেছেন , তিনি কতটুকু সততা ও পরিশ্রম করে হাদীস সংকলন করেছিলেন।
@ফারুক,
আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে প্রমান করার চেষ্টা করলেন বিভিন্ন সূত্র মোতাবেক আয়শার বয়স ৬ বা ৯ বা ১৪ বা ২০ ইত্যাদি যখন তাকে মোহাম্মদ বিয়ে করে। তার মানে বিভিন্ন সূত্রের যথার্থতা সম্পর্কে আপনার প্রশ্ন। সেই একই প্রশ্ন আপনি মোহাম্মদের অন্য কার্যকলাপ সম্পর্কে কেন করছেন না ? অর্থাৎ মোহাম্মদ সত্যি নবী ছিল কি না , কোরান আল্লার প্রেরিত কি না , মোহাম্মদ মেরাজে গেছিল কি না ইত্যাদি ? এসব নিয়েও যদি আপনি প্রশ্ন করতেন তাহলে আপনার মন্তব্যের যৌক্তিকতা থাকত। ব্যক্তিগত অসামাজিক কাজ কর্ম যেমন জয়নাবকে বিয়ে, দাসী/যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনাচার, অমুসলিমদেরকে প্রতি নিষ্ঠুর আচরন, তাদেরকে অকাতরে খুন বা উচ্ছেদ করার বারংবার হুমকি ধামকি, বেহেস্তে হুর নামক যৌবনবতী নারীর লোভ দেখিয়ে মানুষকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধকরন যা কোরানের সবচাইতে ভালগার একটা বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয়- এসব ব্যপারে আপনার কোন খটকা লাগে না ? কখনো মনে এ প্রশ্ন উদিত হয় না যে এ ধরনের নিষ্ঠুর ও ভালগার কথা আল্লাহ কিভাবে বলতে পারেন ? প্লিজ নিজের ব্রেইনটা একটু খাটান, একটু নিরপেক্ষ মন নিয়ে কোরান পাঠ করুন আপনিই সব কিছু আবিষ্কার করতে পারবেন।
@ভবঘুরে,
কোরান মুহম্মদের মিরাজের কথা বলেনি, বন্দী বা দাসীদের সাথে যৌনাচার, বা জয়নবকে বিয়ের কথা বলেনি (যায়েদ বলে কি সত্যি কোন পালক সন্তান ছিল? কোরানে কোথাও নবীর পরিবারের কারো নাম উল্লেখ করেনি অথচ পালক পুত্রের নাম এসেছে, অদ্ভুদ নয় কি, আমাদের সমাজে রহিম, করিম, যদু, মধু বা ইংরেজিতে John doe একটা সাধারন নাম, যায়েদ নামটি কি কোরানে সাধারন অর্থে ব্যবরিত হতে পারেনা, নাকি হাদিস লেখকগনের কথাই শেষ কথা?), অকারন খুন বা বেহেস্তে নারী সঙ্গীর কথাও বলেনি, হুর মানে যোগ্য সঙ্গী। হাদিসলেখকগণ নারীদের কখনো মানুষের পর্যায়ে ভাবতে পারেনি, তা না হলে তাদের জন্য হুরের মত বর্ণনামুলক কিছু রেখে যেতেন। এই একটি বিষয় দিয়েই হাদিসলেখকদের তদকালীন মানসিকতা উপলব্ধি করা যায়। একটা প্রসঙ্গ ভুলে গেছেন, তাহলো স্ত্রী-প্রহার। এর বিষয়ে আগেও বেশ বলা হয়েছে। যে শব্দটি দ্বারা প্রহার বুঝানো হয় এই ‘দারাবা’ শব্দের অনেকগুলো অর্থ হয়; কিন্তু তফসিরকারীগণ সেই সব অর্থ না বসিয়ে এই বউ পিটানো অর্থটিই ব্যবহার করে কেন?
@ফারুক,
এখানে ইসলামের মূল রেফেরেন্সের বাইরে গিয়ে কোন ব্যক্তির লেখাকে রেফেরেন্সে দেওয়াটা ঠিক নয় এবং শেষরক্ষা করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হবে সেটা। সহী হাদিস, ইশাকের সিরাত, তাবারী আর তফসির সমূহই ইসলামের মূল রেফেরেন্স। আপনার উদ্ধৃত হাদীস (Volume 6, Book 60, Number 399: সংক্ষেপে ৬:৬০:৩৯৯) বুখারীতেই শুধু আছে এবং শুধু একবারই। আয়েশার ৬/৯ বছরের বাগদান/বিবাহের কথা স্পষ্ট করে বুখারী হাদীসে অন্তত তিনবার আছে। এবং তা শুধু বুখারীতেই নয়, সহী মুসলিমেও আছে। আরো আছে তাবারীতে, সুন্নাহ দাউদে। আয়েশার বিয়ের বয়স নিয়ে তর্ক হয় ইসলামিস্টদের (ইসলামিক স্কলার অর্থে) সাথে কুরান-অনলীদের। এটা ইসলামিস্টদের সাথে ইসলাম ব্যাশারদের তর্ক নয়। বলাই বাহুল্য কুরান-অনলীরা ইসলামে করুণভাবে সংখ্যালঘু। যাই হোক কয়েকটা পয়েন্ট তোলা যায়। এক, তিনটা হাদীস বনাম একটা হাদীস, এই কারণেই বাকী তিনটি হাদীসকেই গ্রহণ করতে হবে, যেখানে আয়েশার বয়স স্পষ্ট করে বলা আছে। দুই, ৬:৬০:৩৯৯ এ বর্ণীত সুরা কামার পুরোটাই একই সময়ে নাজিল হয় নি। কোন সুরারই পুরোটা একই বছরে নাজিল হয় নি। কয়েক বছরে তা ব্যাপ্ত থাকে। ঐ আয়াত ৫৪:৪৬ যে সুরার প্রথম দিকে নাজিল হওয়া তার প্রমাণ কি? শেষের দিকেও তো হতে পারে, হিজরতের ঠিক আগে। এমনকি এটা মাদানীও হতে পারে, যেমনটি মনে করেন তফসিরকার Muqatil ibn Sulaiman (দেখুন http://ahlalhdeeth.com/~ahl/vb/attachment.php?attachmentid=59353&d=1219927832) এই লিঙ্কের প্রবন্ধ একজন হাদীস বিশেষজ্ঞের লেখা। কুরাণেও স্ববিরোধিতামূলক অনেক আয়াত আছে। সেখানে হাদীস তো কোন ছার। তবুও যুক্তি যতটুকু ব্যাবহার করা যায় তাতে ইসলামিস্ট ও কুরান অনলীদের উভয়ের যুক্তি ই অসার প্রতীয়মান হয়। পরিহাসের ব্যাপার ইসলামিস্টদের সাথে কুরান-অনলীদের বিতর্কে য়াবার ইসলামিস্টরাই বেশি কন্সিস্টেন্ট। যদিও আমার ব্যক্তিগত মতে কুরান-অনলীরা ইসলামিস্টদের চেয়ে অনেক কম ক্ষতিকর।
@যাযাবর,
মূল লেখকদের রেফারেন্স নিজের মন মতো না হলে দরকারে নিজের লেখাকেই রেফারেন্স হিসাবে দাখিল করলে কেমন হয় ? ইসলামিস্ট বলেন আর কোরান ওনলি বলেন উভয় প্রজাতির অবস্থা অনেকটা সেরকম পর্যায়ে পৌছে গেছে।
@ভবঘুরে,
ভাষাটা…ঐ যে বললেন …উভয় প্রজাতির অবস্থা…
অসাধারণ! এত চমৎকার ভাষা ভদ্র পরিবেশ ছাড়া আসেই না। শুনলেই মনে হয় এর কাছে থেকে কিছু শিখি।
:guru:
@যাযাবর,
যদিও কথা বলছেন ফারুকভাইয়ের সাথে, আমি একটু অংশ নি। এই প্রসঙ্গে আমার কয়েকটা কথা আছে:
১. প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন খাওলা, প্রস্তাব শুনে আবু বকর বয়স-রিলেটেড কোনো আপত্তি করলেন না, আবার মুহম্মদ স.-এর সাথে বিয়ের কথা হবার আগে জুবাইর ইবনে মুতিমের সাথে বাগদান হয়ে ছিলো….এইসব ফ্যাক্ট জানার পর আমার আয়েশার বয়স নিয়ে জানার আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে। মনে হলো যে এর মানে হলো যে এদের কাছেই তো বয়সটা সমস্যা মনে হয় নি। আয়েশার বাবা মা কিংবা খাওলা, অথবা তখনকার কুরাইশরা (মনে রাখবেন, রাসুল স. তখন ভয়ঙ্কর খারাপ সময় কাটাচ্ছেন, এখন যত আপত্তিকর মনে হচ্ছে, তখনো এত আপত্তিকর মনে হলে মুহম্মদ স. সিম্পলি উড়ে যেতেন, শেষ নবী হওয়া চুলোয় যেত)…কারো কাছেই ব্যাপারটা খারাপ কিছু ছিলো না। এর কারণটা কী?
এটাকে জাস্ট একটা প্রশ্ন হিসেবেই নেবেন। মনে করেন আমি ব্যক্তিগত মত জানতে চাচ্ছি।
২. আমরা যেভাবে দেখছি ব্যাপারটা, বিষয়টা আসলেই সেরকম হলে আয়েশার মুহম্মদ স.-কে ঘৃণা করার কথা। কিন্তু সত্যি কথা হলো, যে-দুটো সোর্সের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসলাম, তার একটা হলো হাদিস, যাতে কিনা আয়েশা হলেন দ্বিতীয় বৃহত্তম বর্ণনাকারী। আর সেইখানে সেই ঘৃণার বিন্দুমাত্র নমুনা পাওয়া যায় না।
আয়েশার এই ঘৃণা না করার কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
৩. কালচার হিসেবে যারা [আমার বাবা, আদিলভাইয়ের বাবা, অথবা সেই সময়ের আরো অসংখ্য মুসলিম/অমুসলিম মানুষ] অল্প বয়সে আমাদের মা’কে বিয়ে করেছেন, এবং যারা লালসা নিয়ে উপভোগ করার জন্য অল্পবয়সী মেয়ে বিয়ে বিয়ে করে, এই উভয় প্রকারের মানুষদেরকে আপনি কি একইপাল্লায় মাপেন?
এদের অনেকেই আছে, নিতান্ত ভালো মানুষ। পছন্দটা মায়ের, বোনের…। কারো কাছেই একসময় এসবকে একেবারেই খারাপ কিছুই মনে হতো না। তখন যারা বিয়ে করেছেন এভাবে, তাদের সবাইকেই কি আপনি একপাল্লায় মাপেন?
নবী/অনবীর কথা বাদ দেন। এই তিনটা প্রশ্ন করলাম নিতান্ত ব্যক্তিগত আগ্রহে। সম্ভব হলে জবাব দেবেন।
@এন্টাইভণ্ড,
কারন হলো ভালমতো জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই আয়শা দেখল সে এমন একজনের স্ত্রী যার কথায় মানুষ ওঠে বসে , প্রবল ক্ষমতাধর একজন গোষ্ঠিনেতা। মোহাম্মদ আয়শা বিশেষভাবে ভালবাসত যা সাহাবীরা দেখত, ফলে তারাও আয়শাকে সেরকম সম্মান করত। আয়শা জ্ঞান হওয়ার পর দেখল সে অনেকটা রানীর মত জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আয়শা কেন , বর্তমান যুগেও বহু সুন্দরী নারী অশিতিপর স্বামীর ঘর করতে ঘৃণাবোধ করবে না। উদাহরন, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বর্তমান স্ত্রী। তা ছাড়া সেকালে শিশু বা বালিকা বিবাহ একটা সাধারন ঘটনা ছিল , যা আয়শা জ্ঞান হওয়ার পর বুঝতে পারল ফলে তার মধ্যে ঘৃণাবোধ সৃষ্টির সুযোগই ছিল না। মোদ্দা কথা এ ধরনের ঘটনা যে ঘৃণ্য সেই বোধটাই তখনকার আরবদের মধ্যে ছিল না। কিন্তু এখানকার আলোচ্য বিষয় সেটা নয়। এখানে মূল যে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে তা হলো – সর্বকালের মানুষের জন্য আদর্শ শ্রেষ্ট মানব মোহাম্মদের এহেন শিশু বিয়ে সেকালে কোন সমালোচনার সৃষ্টি না করলেও বর্তমানে করছে, যা একালের আদর্শের সাথে বেমানান। তার অর্থ মোহাম্মদের আদর্শ কোন সর্বকালের মানুষের জন্য নয়, শুধুমাত্র তার সময়ের জন্য। আশা করি বুঝতে পারছেন।
@এন্টাইভণ্ড,
ভাই, জটলা পাকাতে পাকাতে অনেক দূর সরে গেছেন। কার্যের ফল দেখে কি কার্যের যথার্থতা নির্ণয় হয়? কি ভাবে দেখছি আবার কি? একটা ছয় বছর বালিকাকে ৫১ বছর পুরুষের বিয়ে বা ৯ বছর বয়সের বালিকা বধূর সাথে ৫৪ বছরের পুরুষ (যার ৪ টা স্ত্রী ইতিমধ্যে বিদ্যমান) এর যৌন মিলনকে কি ভাবে দেখা যায়? উপরন্তু যেখানে সেই পুরুষ সকল মানুষের সকল সময়ের জন্য এক আদর্শ পুরুষ বলে দাবী করা হয়? তার পর সেই বালিকা বড় হয়ে কি মনে করল সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে? আর কি মনে করল সেটাই বা বিবেচ্য হবে কেন কাজটির ভাল মন্দ বিচারে? ৯ বছরের বিবাহিত বধূই বা কেন, ৫,৬… বছর বয়সের কোন শিশুকে বিয়ে না করেও সঙ্গম করার পর সে যদি বড় হয়ে সঙ্গমকারীর প্রতি কোন কারণে সদয় হয় তাহলে কি Retroactively কাজটা খুব ভাল হয়েছিল বলে বিচার করবেন? কার্যের পরবর্তী ফলাফল অবান্তর।
@যাযাবর এবং ভবঘুরে,
১. আয়েশার সাথে বিয়ের সময় মুহম্মদ স.-এর সাওদা ছাড়া আর কোনো স্ত্রী ছিলেন না।
২. মুহম্মদ স.-এর জীবনকে মানুষের জন্য অনুসরণীয় বলা হয়েছে, একথা ঠিক। কিন্তু বিয়ের সংখ্যাই বলে দেয় যে অনুসরণীয় দৃষ্টান্তের মধ্যে “বিয়ে”টা নেই। এর অর্থ হলো, বিয়ে সঙ্ক্রান্ত বিষয় সর্বযুগের সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয় হবে, এই ধারণাটা ভুল ধারণা। অর্থাৎ, রাসুল স.-কে অনুসরণ করো বলতে তাঁর কার্যাবলী এবং বাণীর মধ্যে যা কিছু অনুসরণ করতে বলা হচ্ছিলো, সেগুলোর মধ্যে বিয়ের সংখ্যা কিংবা কনে/বরের বয়স ছিলো না। সুতরাং এই বিষয়াদি যুগোত্তীর্ণ করার কোনো প্রয়োজন ছিলো না।
ঠিক এইরকম আর একটা বিষয় ছিলো সম্ভবত কিছু একটা চাষ করার পদ্ধতির ব্যাপারে রাসুল স.-এর পরামর্শ দান সঙ্ক্রান্ত। তখন রাসুল স. রিভিল করে দিয়েছিলেন যে দুনিয়াবী বিষয়াদিসমূহে রাসুল স.-কে ফলো করার কোনো প্রয়োজন নাই। সেটা শরিয়তের উদ্দেশ্য না। রাসুল স. একবার একটা কবিতা সংশোধনের চেষ্টাও করেছিলেন। তাই দেখে মানুষ বুঝে গিয়েছিলো যে নবী কবিতা বোঝেন না।
তবে বিয়েই বলেন, আর, চাষবাসই বলেন, সবকিছুর সাথে যখনই নৈতিক প্রসঙ্গটি চলে আসে, ন্যায় অন্যায় প্রসঙ্গটি চলে আসে, তখনই আল্লাহ নবীকে ফলো করার কথা বলে দিয়েছেন।
কেউ যদি বলেন যে নবীতো সামান্য চাষবাস-এর বিদ্যায় সেই যুগকেই পার হতে পারেন নি, সর্বকালের যুগে আদর্শ হলেন কীভাবে(?), অথবা, সাধারণ কবিতা-ই তিনি বোঝেন না, অথচ কবিতার ভাষায় সর্বকালের মানুষদের জন্য দিকনির্দেশনা দিতে চান, এইটা কীভাবে সম্ভব(?), এইটা তার নবুওয়াতকে সন্দিহান করে দিয়েছে….ইত্যাদি, তাহলে সে ঠিক এই ভুলটা করলো যে, আল্লাহ রাসুলের যেইযেই ব্যাপারকে অনুসরণীয় বলেন নি, সেইসেই ব্যাপারকে যুগোত্তীর্ণ ধরে এবং অনুসরণীয় ধরে সেইসেই ব্যাপারকে দিয়ে তাকে পরিমাপ করলো।
কিন্তু, উদাহরণস্বরূপ, কবিতার ক্ষেত্রে কখন তাকে অনুসরণের প্রসঙ্গ? যখন কবিতা প্রসঙ্গে নৈতিকতার প্রসঙ্গে (শ্লীলতা/অশ্লীলতা) তিনি কথা বলেছেন, তখন। এই প্রসঙ্গ-যে কোনো যুগের মধ্যে আটকে থাকবে না, এতো সহজকথা। ধরা যাক, পোষাকের কথা। কী পোষাক রাসুল পরেছেন, সেইটা অনুসরণের কথা অবাস্তব, সেইকথা কোথাও বলাও হয় নি। কিন্তু পোষাক দিয়ে লজ্জা ঢাকার ক্ষেত্রে সেই লজ্জাকে কীভাবে ডিফাইন করা হবে, সেই প্রসঙ্গে মুহম্মদ স.-এর কথা এবং কাজ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আমি বলতে চাচ্ছি,
বিয়ের সংখ্যা, কনে/বরের বয়স ইত্যাদিও এই পোষাক, চাষবাস এবং কবিতার মত। সেই যুগের সীমানা থেকে বের হয় নি। বের করার কোনো নিয়তও ছিলো না। যেহেতু এগুলো অনুসরণীয় না, এগুলো দিয়ে নবীর যুগ-সীমানা বিচার না করাই সঠিক হবে।
@এন্টাইভণ্ড,
ভাইজান, কোনগুলি অনুসরনীয় আর কোনগুলি অনুসরনীয় নয় তার একটা তালিকা দেয়া যাবে কি ? আর যেগুলি অনুসরনীয় নয় সেগুলি তা না হওয়ার কারনটাও কি বলবেন ?
কার বর্ণিত হাদিসটি তবে সহি? নবীর মৃত্যূ ১৫০/২০০ বছর পরে সামান্য একটা বয়স নিয়েই এত মতভেদ! অথচ এই হাদিস লেখকদের উপর আস্হা হারালে বা তাদের কাজের সততার অভাব বললেই তেড়ে আসে।
@আইভি,
যুক্তি হীন ভাবে আস্থা হারালে তো তেড়ে আসবেই। তার পরেও তেড়ে আসত না যদি আপনি বা আপনারা কোন সহি ইসলামের ইতিহাস আমাদেরকে উপহার দিতেন। তাও পারেন না, আবার ইসলামী দুনিয়ায় হাজার বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রতিষ্টিত ও বিখ্যাত ইসলামী ঐতিহাসিকদের বক্তব্যকেও গ্রহন করবেন না , তাহলে তো আপনাদের অযৌক্তিক বক্তব্য শুনে তেড়ে আসাটাই স্বাভাবিক। তাই না ?
অসাধারণ ভাল হয়েছে। আপনি আপনার যৌক্তিক মান বজায় রেখেছেন। :yes:
ভেবেছিলাম এই নিয়ে আর বেহুদা কথা বাড়াবো না, তবে অভ্যাস খারাপ বলে কথা। অনেকের একই রকম কথাই এক সাথেই জবাব দিতে হচ্ছে বলে কাউকে আর আলাদা করে জবাব দি্চ্ছি না।
অনেকের থেকেই আমার জ্ঞান ভান্ডারে বেশ কিছু নুতন জিনিস যোগ হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ।
দুনিয়ায় ধর্ষনের কোন ধর্ম ভিত্তিক প্রোফাইল আছে বলে জানতাম না। যদিও পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় যে এই অপরাধ মুসলমান দেশগুলিতে পশ্চীমা নন-মুসলিম দেশগুলির তূলনায় অনেক কম। অবশ্য তার মানেই অবধারিতভাবে এই না যে মুসলমান দেশগুলিতে ধর্ষন কম হয়। সেটা জানার সঠিক কোন উপায় নেই। আসলে তার দরকারও নেই। যাই হোক, এখানের অনেকের কথা থেকে বুঝতে পারলাম যে অন্য কোন ধর্মের লোকে, পাদ্রী/যাজক/পুরুত এরা বা নাস্তিকে ধর্ষন করলে সে অপরাধ নিয়ে তেমন চিন্তিত হবার কিছু থাকে না। যদিও সমীকরনে বলে যে মুসলমান দেশগুলির থেকে নন-মুসলমান দেশগুলিতে এই অপরাধের হার অনেক বেশী।
তবে মুসলমান কেউ বিশেষ করে মোল্লা শ্রেনীর কেউ এই কুকাজে ধরা পড়লে আমাদের অবশ্যই ব্যাপারটাকে ধর্মীয় চোখে চিন্তা করতে হবে। যেমন শিশু ধর্ষনের দায়ে কেউ ধরা পড়লে সে লোকে বিবি আয়েশাকে নবীজি বিবাহ করেছিলেন এই আদর্শ মাথায় রেখে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা মেনে নিতেই হবে, সে মুখে যাইই বলুক বা আসল কারন যাই হোক। আর সাবালিকা ধর্ষন করলে বলতে হবে যে কোরান হাদীসে ক্রীতদাসী উপভোগ জায়েজ এবং প্রাচীন শরিয়া আইনে ধর্ষিতা সুবিচার পায় না এই কারনেই তাদের ধর্ষন প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়। অন্য কথায়, বিবি আয়েশা এপিসোড জানা না থাকলে এসব মোল্লা আলেমে শিশু ধর্ষনে বা বাকিরা কোরান হাদীস জানা না থাকলে সাবালিকা ধর্ষনে মোটেও প্রবৃত্ত হত না। এতে তো কোন ভুল করার অবকাশ আমি দেখি না।
আমি আগে জানতাম যে কোন অপরাধ বা বিশেষ কোন প্রবৃত্তি কোন বিশেষ শ্রেনীর লোকের মধ্যে আছে কিনা তা জানতে হলে ষ্ট্যাটিস্টিক্যালী আগে প্রমান করতে হবে যে সেই অপরাধ বা প্রবনতা কেবল সেই শ্রেনীর লোকের মাঝেই প্রবল। নাহলে সমস্যার ইউনিকনেস কিভাবে বোঝা যায়?
যেমন মুসলমানদের কথাই ধরি না? অনার কিলিং এর কারন যাই হোক এতে কোন সন্দেহ নেই যে এই রোগ মুসলমানদের মাঝেই সবচেয়ে প্রবল। এখানে অবশ্যই মুসলমান জাতি বা ইসলামী বিশ্বাস অবশ্যই আলোচনা বা সমালোচনার মুখে পড়বে। এতে কোন ভুল নেই। তবে শিশু ধর্ষন দূরে থাক, সামগ্রিকভাবে ধর্ষনের তালিকাতেই যেখানে দেখি মুসলমান দেশগুলির অবস্থান অনেক নীচে সেখানে আমি একই যুক্তিতে এই রোগ মুসলমানদের চেয়ে বরং নন-মুসলিমদের সমাজে কেন বেশী সেইই আলোচনাই বেশী যুক্তিসংগত মনে করতাম। যাই হোক, এখন মত পালটেছি।
পরিসংখ্যান উলটো বলে আমার বুঝতে আর অসুবিধে হচ্ছে না। আর যদি কোনভাবে উলটো পরিসংখ্যান থাকত তাহলে কি ভালই না হত ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি!
এখন থেকে আমাদের দেশে মনে হয় অন্যান্য অপরাধের কারন নির্নয়েও এই ফর্মুলা খুবই সাহায্য করবে। যেমন দেশের মুসলমান ধর্মাবলম্বিরা কেন ডাকাতি করে? জবাব হবে তাদের আদর্শ নবীজি লুট পাট করতেন বলে কিছু হাদীসে আছে। তার উম্মতরা তারই আদর্শ পালন করে। আসলেই তো তা হতে পারে। একই অপরাধ এক এক দেশে এক এক কারনে হতেই পারে। আমেরিকায় হয়ত ডাকাতি করে পয়সার জন্য, আর মুসলমান দেশে করে নবীজির আদর্শের জন্য।
পাশ্চাত্যের দেশগুলির খ্রীষ্টান যাজকদের কথা আমি বা আর কেউই তাদের অপরাধ টেনে মুসলমান মোল্লার অপরাধ লঘু করার জন্য বলিনি। সেই উদাহরন আমি অন্তত টেনেছি এটা দেখাতে যে সেসব অপরাধের পর তারাও শয়তনের প্ররোচনায় এসব কাজ করেছে বলে দাবী করে, পাদ্রী যাজক ছাড়াও আরো অনেক কুখ্যাত অপরাধী একই রকম দাবী করে। কেউ গায়েবী আওয়াজ শুনে, কেউ মাথার ভেতর ডেমোনিক নির্দেশ শুনে। সেসবের জন্য পশ্চীমে ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কেউ টান দিয়ে বেহুদা হাসাহাসি করে না। তাদের হয় মানসিক রোগী হিসেবে চিকিতসা করে আর নয়ত মিথ্যুক সাব্যস্ত করে। ধর্ম বিশ্বাসের জন্যই তারা এমন অপরাধ করেছে চট করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় না। অবশ্য তারা শয়তানের দোহাই পাড়লে তা হয়ত এড়িয়ে যেতে হবে, তবে মুসলমান মোল্লা শয়তানের দোহাই পাড়লে একেবারে কোরান হাদীস থেকে শুরু করে নবীজির জীবন টানতে হবে তাও হতে পারে। এক্ষেত্রে মানসিক রোগ বা মিথ্যা কথা বলার কোন সম্ভাবনা নেই।
আর একটি বিশেষ অনুরোধ থাকল। আমাদের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ম শিক্ষার নামে নানান বিষ বৃক্ষ বপন করা হয় জানি। তবে মাদ্রাসায় বা কোন ওয়াজ মাহফিলেও ঘোর কট্টর কোন মোল্লা আলেম নবীজির বিবি আয়েশাকে বিবাহের হাদীস বয়ান করে সেই সুন্নত পালনের জন্য কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন এমন একটি উদাহরনও কেউ দেখাতে পারলে কৃতার্থ হব।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার এবারকার মন্তব্যের বিষয় আদৌ বোধগম্য হলো না। আপনি দেখলাম আপনার এ নিবন্ধের প্রতিটি মন্তব্যে বার বার বলার চেষ্টা করেছেন মাদ্রাসাতে ধর্ষণ করার জন্য উৎসাহিত করা হয় কিনা বা কেউ নবীর আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে নাবালিকা ধর্ষণ বা বিয়ে করে কি না। প্রথমে বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছিলাম কিন্তু দেখলাম যে আপনি বিষয়টি হালকা ভাবে প্রকাশ করছেন না। যাহোক, আপনার সমস্ত মন্তব্য পাঠ শেষে আমার এ প্রতীতি হয়েছে যে , আপনি আলোচ্য নিবন্ধের মূল ভাবধারাটা ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন অথবা ধরার চেষ্টাই হয়ত করেননি।নিবন্ধের মূল ভাবধারাটা ছিল – মুসলমানদের মধ্যে অনেক সময় কেউ যদি অন্যায় কাজ করে ফেলে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, কাজটা করার পর সে অনেক সময়ই দোষটা নিজের ঘাড়ে না নিয়ে ধর্মীভাবে শয়তানের প্ররোচনা বলে চালিয়ে দিয়ে অন্তত নিজের বিবেকের কাছে বিশুদ্ধ থাকতে চায়। আর সে কাজটা যদি কোন ইমাম প্রজাতির কেউ করে তখন বিষয়টাকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কারন ইসলামের ধ্বজা ধারী তারাই, তারাই ইসলাম প্রচার করে , অন্যকে ইসলাম শিখায়। এমতাবস্থায় একজন ইমাম নাবালিকা ধর্ষণ করার পর যদি তাকে শয়তানের প্ররোচনা বলে নিজের বিবেকের কাছে দায়মুক্ত থাকতে চায় তাহলে তা অবধারিতভাবেই তার ধর্মের রীতি নীতিকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলবে। তখন শুরু হবে , ইসলামে সত্যি কি এ ধরনের কোন বিধান বা ঘটনা আছে কি না যার মাধ্যমে শয়তানের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় থেকে মুক্ত হওয়া যায়। আর সে পরীক্ষা নীরিক্ষা থেকে জানা গেল যে স্বয়ং মহানবীই অনেক সময় নিজের ব্যাক্তিগত কুকাজ ( শিশু আয়শাকে বিয়ে, পালক পুত্রের স্ত্রী জয়নাবকে বিয়ে) কে বৈধ করতে গিয়ে গায়েবী বানী বা স্বপ্নের আশ্রয় নিয়েছে ( সোজা কথায় চাতুরীর আশ্রয়), নিজের উল্টা পাল্টা কথার দায়ভার শয়তানের ওপর চাপিয়েছে যা আলোচ্য নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে খুব ভালভাবেই। আর সে কারনেই মাঝে মাঝে দেখা যায়, কোন ইসলাম জানা লোক যদি কোন আকাম করে ধরা খেয়ে যায় তখন সে আকামের দায় থেকে নিজের বিবেককে মুক্ত করার জন্য ইসলামেরই সাহায্য নেয় অনেকসময়। এর অর্থ এই না যে সে কোরান , হাদিস বা মহানবীর জীবনী থেকে উৎসাহিত হয়ে কাজটি করেছে অথবা মসজিদ বা মাদ্রাসায় এ ধরনের কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়- এ ধরনের কথা নিবন্ধে বলা হচ্ছে। সোজা কথায় কুকাজটি করার পরই সে চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে বিবেকের দংশন থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে ইসলামের রীতি নীতির সাহায্য নিয়েই। এখন বিষয় হলো – মহানবীর এসব কু-কাজ কারবার থেকে কেউ কুকাজ করতে উৎসাহিত হয় কি না বা কোন মাদ্রাসাতে এ ধরনের কুকাজ করার জন্য উৎসাহিত করা হয় কি না, আলোচ্য নিবন্ধের ভাবধারার সাথে এ বিষয়টি নিতান্তই বেমানান ও অপ্রাসঙ্গিক। অথচ বার বার আপনি সেটাই উল্লেখ করে চলেছেন যার উদ্দেশ্য ঠিক বোধগম্য নয়। তবে মহানবীর একটা কাজ মুসলমানদেরকে দারুনভাবে উদ্বুদ্ধ করে, সেটা হলো বহুবিবাহ। বহু মোল্লা ইমাম কেই দেখা যায় একাধিক বিয়ে করতে।
অন্য ধর্মের এ ধরনের বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ন নয় বা কেন নিবন্ধে সেভাবে আলোচিত হয়নি, তাও কিন্তু অনেক লেখক পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছেন মন্তব্যে। তার পরও বলছি ,কারন হলো – ইসলাম অন্য ধর্মকে স্বীকারই করে না , ইসলাম দাবী করে সে হলো একমাত্র সত্য ও শ্রেষ্ট ধর্ম যা জগত ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত বলবত থাকবে ও যা সবাইকে অবশ্য মান্য করতে হবে। তো এ ধরনের একমাত্র সত্য ও শ্রেষ্ট ধর্মের মধ্যে অসত্য ও নিম্নমানের কাজের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অনুমোদন বা সমর্থন যদি দেখা যায় তাহলে সেটাকে তো অবশ্যই প্রচন্ড সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে। ইসলামের দাবী অনুযায়ীই অন্য ধর্মের প্রসঙ্গ টানা এখানে অযৌক্তিক কারন ইসলাম বলছে অন্য ধর্মগুলো পুরনো ও ভুলে ভরা , তার অর্থ তাতে যে অসংখ্য অনিয়ম ও ভ্রান্ত ধারনা আছে সেটা ইসলাম আগেই স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং নতুন করে এখানে তা উল্লেখ নিস্প্রয়োজন। যদি অন্য কোন ধর্মকে ইসলামের তুলনায় শ্রেষ্ট হিসাবে প্রমানের প্রয়াস থাকত আলোচ্য নিবন্ধে তাহলে অন্য ধর্মের বিষয়াবলী উল্লেখ করার দরকার হতো। যেহেতু তুলনা করা হচ্ছে না , সেহেতু খামোখা অন্য ধর্মের গুরুরা কি করল না করল তা এখানে উল্লেখ করতে কেন হবে তা ঠিক বোধগম্য হলো না ।
পরিশেষে , ধর্ষণের হার মুসলমান দেশে কম না কি বেশী এটা কিভাবে আপনি সঠিকভাবে নির্নয় করবেন যখন মুসলমান দেশের অধিকাংশ ধর্ষণ্ই গোপন করে যাওয়া হয় সঙ্গত কারনেই ?
আপনার গোটা মন্তব্যের মধ্যে উপরে উক্ত অংশটুকু ছিল সব চাইতে বেশী অপ্রাসঙ্গিক ও বেমানান। তাই এর ওপর কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছা হলো না।
@আদিল মাহমুদ,
সুদীর্ঘ মন্তব্যের এইটুকুই যতেষ্ট আপনার মনের ক্ষোভ বুঝার জন্যে। না, এই কথাগুলো মোটেই ঠিক নয়। যে দেশের মানুষ আয়েশা, জয়নবের কাহিনি কোনদিন শুনেনি সে দেশেও ধর্ষণ হয়। সুতরাং বুঝা গেল ধর্ষণের সাথে ধর্মের সম্পৃক্ততা নেই, কেউ ধর্মের বাণীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্ষণ করেনা। পশ্চিমের কোন দেশে ধর্ষণকারি ধরা পড়লে পুলিশ জিজ্ঞেস করেনা সে কোন ধর্মের। তাহলে কেন এখানে এই বিতর্ক? যে মানুষ বুকে কোরান হাদিস ধারণ করেন, যে মানুষ ধর্মের মাধ্যমে মানবতা প্রচার করেন, যিনি পাপ-পূণ্যের ধার ধারেন, তার দ্বারা যখন কোন অমানবিক, আকাম-কুকাম, পাপকর্ম সঙ্ঘটিত হয়, মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই আতংকিত হয়, চিন্তিত হয়। এখানে প্রশ্ন হলো মানবতার। একজন সাধারণ মানুষ কর্তৃক ধর্ষণ আর একজন পাদ্রী, পুরোহিত বা আলেম কর্তৃক ধর্ষণকে মানুষ সমান চোখে বিবেচনা করবেনা। এখানেই ধর্ম চলে আসে, ধর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ধর্ম মানুষের বাহিরের অর্থহীন খোলস মাত্র, ভিতরে সকল মানুষ সমান। মানুষের জৈবিক চাহিদা, মনের লোভ লালসা হিংস্রতার সামনে ধর্মের বা ধর্মের শিক্ষার কোন মূল্য নেই।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ যেহেতু পুরুষ কর্তৃক সঙ্ঘটিত হয়, সুতরাং এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। The evolution of human rape
আর এখানে Rape and Evolution নামে একটি সুন্দর আরগুমেন্ট আছে পড়ে দেখতে পারেন।
এখানে আরো একটা কথা বলতে চাই, যে কোন ধর্মের, ধর্মগ্রন্থের বা ইসলামের সমালোচনা করা মা’নেই মুসলিম বিদ্বেষ নয়। আমার কথা আমি বলতে পারি, আমি জগতের কোন ধর্মের, বিশ্বাসে, মতের মানুষকেই ঘৃণা করিনা, ঘৃণা করি ধর্মগ্রন্থের অমানবিক , রিতি-নীতি, মিথ্যাচার, প্রতারণা ও আইন-কানুনকে।
@আকাশ মালিক,
আপনার কি মনে হয় যে আমি ইসলামের সমালোচনা খুব কম করি? যাক সে কথা।
আমার কথা খুবই সোজা। খুব বেশী তত্ত্বীয় জ্ঞান আমার নেই। সহজ যুক্তিবোধে যা বুঝি তা হল একজন মানুষ যখন কোন অপরাধ করে তখন তা মানুষ হিসেবে করে। তার বর্ন বা ধর্মের সাথে সেই অপরাধের সরাসরি কোন যোগ না পাওয়া গেলে সভ্য জগতে কেউ তার বর্ন বা ধর্মের সাথে অপরাধের যোগ সূত্র টানে না। যেমন, একজন মুসলমান নাম ধারি কেউ চুরি ডাকাতি করতে পারে। এখন কোন লোকে নেহায়েত ছীটেল না হলে কোন হাদীসে কার কি লুট পাটের কাহিনী আছে তার সূত্র ধরে প্রমান করার চেষ্টা করবে না যে এই মুসলমান নামধারি লোকে তার ধর্ম বিশ্বাসের কারনেই চুরি ডাকাতি করেছে।
উলটো দিকে এখন কোন মুসলমান নামধারি কেউ যদি তার ধর্ম রক্ষার দাবী করে কোরানের আয়াত আউড়ে বা নবীজির বলা কাফের নিধনের আদর্শ সম্বলিত কোন হাদীস আউড়ে নিরীহ মানুষ বোমা মেরে হত্যা করে তবে সেক্ষেত্রে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের গুরুত্ব দিতেই হয়। এতে কোন মানা নেই, দোষেরও কিছু নেই; বিশেষ করে এই রোগ যদি কোন সময়ে বেশ কিছু লোকের মাঝে দেখা যায় তবে তার গুরুত্ব বহুগুনে বৃদ্ধি পায়।
এই দুই সোজা ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট কেউ বুঝতে না পারলে তার লজিক্যাল সেন্স শূন্য বলতে হবে।
বলতে পারেন যে আলোচ্য মোল্লা শয়তানের দোহাই পেড়েছে। এখন একটু অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করেন। আমার কথা হয়ত মোল্লার উকিলের মত শোনাবে। আপত চোখে মনে হতে পারে যে এই মোল্লা শয়তানের উপর দায় চাপিয়ে নিজের অপরাধ ঢাকতে চাচ্ছে। আসলে কি তা? খেয়াল করেন সুইসাইড বোমারুদের সাথে কিন্তু এই মোল্লার ধর্ম ব্যাবহার করার বড় ধরনের তফাত আছে। মোল্লা কিন্তু অনুতপ্ত হওয়ার সুরে এই শয়তানের উপর দায় ভার চাপিয়েছে। সে কিন্তু স্বীকার করছে যে কাজটা সে খুবই খারাপ করেছে (হতে পারে এটা ভান মেনে নিচ্ছি)। তবে সে কিন্তু ঘুনাক্ষরেও দাবী করার চেষ্টা করেনি যে তার ধর্ম বিশ্বাস বা নবীর আদর্শ তাকে এমন কাজের প্ররোচনা দিয়েছে। তেমন কিছু কি আপনার চোখে ধরা পড়েছে? সুইসাইড বোম্বার বা অনার কিলিং এর দায়ী পুরুষেরা কিন্তু সরাসরি বীরের মত দাবী করে যে এমন আচরন তাদের ধর্মীয় অধিকার। সুইসাইড বোম্বার বা অনার কিলারদের তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনেই তাদের অনেক ভাই ব্রাদাররা প্রকাশ্যে বা গোপনে সাপোর্ট দেয়। মুসলমানদের যতই সমস্যা থাকুক, যতই পশ্চাদপদ হোক, এই মোল্লার প্রতি কয়জন মুসলমান নৈতিক সমর্থন দেবে বলে আপনার বিবেক বলে? কোন মুসলমান বলবে যে এই মোল্লা নবীর হাদীস পালন করেছে তাই আমরা তার কোন দোষ দেখি না, তার এই কাজ সাপোর্ট করি? তফাতটা কি বোঝাতে পেরেছি?
যদি কেউ দেখাতে পারতেন যে এই মোল্লা বা আর অন্তত একজন মোল্লাও একই কুকাজ করে বিবি আয়েশার ঘটনা কোট করেছে তো তাও চিন্তা করতে পারতাম। ষ্ট্যাটিস্টিক্স দেখানোর দাবী না হয় ছেড়েই দিলাম।
@আদিল মাহমুদ,
:yes: :yes: :yes:
@আকাশ মালিক,
– সেটা অস্বীকার করেছে কে? নৈতিকতার সকল উতসই ধর্ম এমন তত্ত্বে বিরোধীতা করে অন্য ব্লগে অজস্র তর্ক চালাতে আপনিই তো আমাকে বহুবার দেখে থাকবেন। সব মোল্লা আলেম মানেই ফেরেশতা এমন দাবী তো মনে হয় ঘোর গোঁড়া মোল্লাও করবে না।
বিচারকেও ঘুষ খায়। একজন পুলিশের ওসিও ঘুষ খায়। এখন বিচারকের ঘুষ খাওয়া নিশ্চয়ই পাবলিকের চোখে অনেক বেশী রকমের দৃষ্টিকটূ মনে হবে। সেটাই স্বাভাবিক। কারন তত্ত্বীয়ভাবে তার হবার কথা আদর্শ মানব, ধর্মাবতার বলে তাদের ডাকা হয় তো সেজন্যই।
সুপ্রীম কোর্টের জজ সাহেব ঘুষ গ্রহনের দায়ে ধরা পড়লে কি আপনি কোন রকম বিবচেনা ছাড়াই দেশের প্রচলিত পুরো আইন ব্যাবস্থার উপর হামলে পড়বেন নাকি আগে দেখার চেষ্টা করবেন যে সেই জজ সাহেব কোন ভাবে আইনের আশ্রয় বা ফাঁকের সুযোগ নিয়ে এই অপকর্ম করেছেন কিনা সেটা? যেমন, তিনি দাবী করলেন যে আইনের এত নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি ঘুষ খাবার অধিকার রাখেন, তাই তিনি নিজের কোন দোষ দেখেন না।
এমন কিছু যদি সেই জজ সাহেব না দেখান তবে কি আপনার দেশের আইন বা সংবিধানকে গালাগালি করা উচিত ঘুষ খাবার সুযোগ করে দেবার জন্য নাকি শুধু ব্যাক্তি জজকে গালি দেওয়া উচিত চরম অসততার জন্য?
@আকাশ মালিক,
কিন্তু সেই আকামটার সাথে ধর্মের একটা যৌক্তিক এবং পারিসংখ্যানিক যোগসূত্র থাকার দরকার। পাদ্রীরা গণ্ডায় গণ্ডায় ডাইনী পুড়িয়েছে — এটাতে ধর্মের সরাসরি ইন্ধন রয়েছে। কারণ, বাইবেলে এর সমর্থন পাওয়া যায় (যৌক্তিক যোগসূত্র) এবং হাজার হাজার ডাইনী পোড়ানোর পর একে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায় না (পারিসংখ্যানিক যোগসূত্র)। জিহাদী ফ্যাসিজম সম্বন্ধেও একই দাবী করা যায় খুব শক্তভাবে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে যেকোন মোল্লার যেকোন কাজকে ইসলামের সাথে যেন-তেন-প্রকারেন যুক্ত করাটা যৌক্তিক নয়।
:yes: আমি তো বলব ব্যক্তি মানুষকেও ঘৃনা করা যেতে পারে, যদি সে মানবতাবিরোধী বিশ্বাসের ব্যবহার করার চেষ্টা করে। আর ধর্মগ্রন্থের সমালোচনার কথা তো ছেড়েই দিলাম।
@আদিল মাহমুদ,
“মাদ্রাসায় বা কোন ওয়াজ মাহফিলেও ঘোর কট্টর কোন মোল্লা আলেম নবীজির বিবি আয়েশাকে বিবাহের হাদীস বয়ান করে সেই সুন্নত পালনের জন্য কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন এমন একটি উদাহরনও কেউ দেখাতে পারলে কৃতার্থ হব।”
আসলেই কি শিক্ষা দেয়া হয় সেটা আমরা কেউই জানি না সরাসরি। কারণ অন্য কারো উপস্থিতিতে ওখানে শিক্ষা দেয়া হয় বলে শুনিনি। তবে বন্ধু-বান্ধব বা ওখানে পড়া এলাকার পোলাপানদের কাছে শুনি- বিধর্মীদের “যেকোনো প্রকারে” ধর্মান্তরিত করতে পারলে নাকি তাদের ১৪ পুরুষ বেহেস্তে যাবে!
@আদিল মাহমুদ,
ভাই, এই উদাহরণ তো অপ্রয়োজনীয়। মোল্লা আলেমের এটা শিক্ষা দেবার দরকার কি? কুরাণ স্বয়ং যেখানে বলছে নবী শ্রেষ্ঠ মানবের উদাহরণ এবং তা অনুকরণযোগ্য, সেখানে আবার মাদ্রাসায় আলাদা করে শিক্ষা দেবার কি আছে। মাদ্রাসায় হাদীস পড়ান হয়, আর হাদীসের একাধিক জয়গায় লেখা আছে আয়েশার বিয়ে আর বয়সের কথা। আরেক সহী হাদীসে আছে অল্প বয়সী মেয়ে বিয়ে করার জন্য নবীর পরামর্শ যাতে তার সাথে খেলা যায়। হাদীস যখন পড়ানই হয়, কুরাণ যেখানে বলছে নবীকে অনুসরণ কর, সেখানে মোল্লা আলেমদের ঘটা করে শেখানর অবান্তর বাখোয়াসের কি দরকার।
স্যাটানিক ভার্স সঙ্ক্রান্ত:
আপনি বলতে চাচ্ছেন যে মুহম্মদ স. আসলে প্ল্যান করেই সেই “আয়াত”গুলো বলেছিলেন {{যার মাঝে এমন কিছু ছিল যার মাধ্যমে মোহাম্মদ স্বীকার করে নিয়েছিল তৎকালীন কোরাইশদের কর্তৃক স্বীকৃত দেব দেবীদেরকে। }}
স্যাটানিক ভার্স বলা হয় যে আয়াতকে, তার অর্থ হলো: {These are the high-flying cranes and their intercession is to be hoped for}
এর আগের দুটো আয়াতের সাথে মিলিয়ে পড়লে:
“Have you seen al-Lāt and al-‘Uzzā and Manāt, the third, the other?’ [Q.53:19-20] These are the high-flying cranes and their intercession is to be hoped for.
ঐতিহাসিকদের যারা স্যাটানিক ভার্সেসের কথা বলেন, তারা আরো বলেন যে এখন আমরা ২১-২৬ নং যে আয়াত দেখি, সুরা নাজমে এটা শুরুতে ছিলো না। {{These are the high-flying cranes and their intercession is to be hoped for. }}– এই অংশ পরে সরিয়ে দিয়ে ২১-২৬ নংআয়াতসমূহ নাজিল করা হয়। যারা মনে করেন মুহম্মদ স. আসলে নিজেই কোরান রচনা করেছেন (নিজের যোগ্যতায় বা অন্য কারো থেকে চুরি করে), তারা বলেন যে মুহম্মদ স. আসলে প্ল্যান করেই এই কাজটা করেচেন।
চলেন আমরা দেখি যে এই আয়াতগুলো আদৌ কোনো প্ল্যানের অংশ হতে পারে কি না। হইলে দেখি তাঁর নিজে থেকে প্ল্যান-প্রোগ্রামের নমুনা।
সেইটা করতে গেলে আমাদেরকে খুব মনযোগ দিয়ে সুরাটির সেই আয়াতগুলো পড়তে হবে:
Have you ever seen LAt and Uzza[19] and another, the third Manat?[20]
এর পর পড়া যাক পরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা সেই আয়াত: These are the high-flying cranes and their intercession is to be hoped for.
এরপর রয়েছে ২১-২৬ নং আয়াত, যা কিনা তাবারির বর্ণনানুসারে, আসলে প্রথমে ছিরো না; সংশোধন হিসেবে পরে এসেছে।
এবং তারপর হচ্ছে: ২৭-২৮ নং আয়াত: Those who do not believe in the hereafter give the angels the female names.[27] But they have no knowledge of it. They follow mere conjecture; and surely conjecture does not avail against the truth at all. [28]
সুতরাং মুহম্মদ স. যখন এই সুরাটি বিশ্বাসী/অবিশ্বাসী সবার সামনে পড়েন, তখন, যদি উপরোক্ত বর্ণনা সত্য হয়, তাহলে, ১৯-২০ নং পড়ার পর সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা আয়াতটা পড়ে শুনিয়েছেন, এবং তারপর পড়েছেন, ২৭ এবং ২৮ নং আয়াত।
এখন আসেন ধারাবাহিকভাবে পড়ে যাই:
অর্থটা দাঁড়াচ্ছে অনেকটা এরকম যে, লাত, উজ্জা, মানাত এই দেবীগন হলেন high-flying cranes, এবং এই দেবীদের শাফায়াত/মধ্যস্থতা (intercession ) আশা করা হয়; যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাদেরকে ফিমেল নাম (تَسْمِيَةَ الْأُنثَىٰ) দিয়ে ডাক। কিন্তু তারা এ-সম্পর্কে কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানের অনুসরণ করে…..
_________
জানেন তো তখনকার সময়ে আরবে প্রচলিত মত অনুসারে বলা হতো যে ফেরেশতারা হলেন আল্লাহর মেয়ে। এদিকে যে-তিন দেবীর কথা উল্লেখ করা হলো, তাদেরকেও আল্লাহর মেয়ে (বানাতাল্লাহ) বলা হতো। অর্থাৎ, এই তিনদেবীকেও ওরা আসলে ফেরেশতাই ভাবছে। এই অবস্থায় যদি বলা হয় যে, Those who do not believe in the hereafter give the angels the female names.[27] But they have no knowledge of it. They follow mere conjecture; and surely conjecture does not avail against the truth at all. [28]. তাহলে এটা কি কোনো স্বাভাবিক যুক্তিতে চিন্তা করা সম্ভব যে এই অংশটা হলো আসলে তাদের দেবদেবীকে স্বীকার করে ইসলাম প্রচারের চিন্তার প্রকাশ? এই আয়াত পড়ে সমঝোতা চাওয়া কোনো বুদ্ধিমান মানুষের লক্ষণ মনে হয় (আল্লাহর নবী হিসেবে হোক, আর ভণ্ডনবী হিসেবে হোক)? তারপর আবার বলছেন প্ল্যান-প্রোগ্রাম? কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্ল্যান-প্রোগ্রাম করে এই কথা বলবে নাকি?
________________________________
আরো কথা হলো এই যে, এর পরের সমস্ত কথাই হলো আল্লাহকেন্দ্রিক। এমনকী শেষ আয়াতটিও হলো: prostrate yourselves before Allah and worship Him while you can![62]
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে মক্কার কুরাইশরা মাত্র একবার তিনদেবীর নামশুনেই এত বেহুশ হয়ে গেছিলো যে সেজদা করার কথা শুনে বিন্দুমাত্র চিন্তা ভাবনা না করে সেজদা করা শুরু করলো?
তাবারি রিলেট করেছেন:
এইটা কীভাবে সম্ভব বলেন তো দেখি?
___________________________________
ভবঘুরে,
এই লিংকে আকাশ মালিকভাইয়ের সাথে একটা আলোচনা হয়েছে এসম্পর্কিত। সেখানে আরএকটু ডিটেইলসে যাওয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণেই সেই লিংকটিও দিলাম।
@anti bhondo,
আপনি পড়তে জানতে আগ্রহী জেনে প্রাসঙ্গিক বিধায় আব্দুল্লাহ বিন সাদ বিব আবি সারাহ সম্পর্কিত এই লিঙ্কটি দিলাম, পড়ে দেখবেন।
@আকাশ মালিকভাই, জবাব দেবার আগে এপ্রসঙ্গে কয়েকটা প্রশ্ন আসলো মনে সেটার জবাব আগে অনুসন্ধান করি:
১. বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে আবদুল্লাহ মানুষ সৃষ্টির বর্ণনা শুনে খুবই আশ্চর্য হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে বলে উঠেছিলো: “So Blessed be God the Fairest of creators!” [فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ]
রাসুল স. বলেছেন “Write it down; for thus it has been revealed .”
এটা কি হতেই পারে না যে এরকম বর্ণনার পর মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে যা ভাববে, ঠিক সেই কথাটাই আসলেও নাজিল হয়েছিলো? কোরানের বিভিন্ন জায়গাতেই আল্লাহর এইরকম প্রসংশাকারী বানী তো এর আগেও এসেছে।
আমরা ঠিক কী কারণে ধরে নিচ্ছি যে মুহম্মদ স. মিথ্যা বলেছিলেন?
২. একথা আমি অবশ্যই স্বীকার করি যে নিরপেক্ষ ইতিহাস পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে এইভাবেই ধরা পড়ার কথা যে, মুহম্মদ স. মিথ্যা কথাও বলতে পারেন। অন্তত সেই চান্স তো আছে। কিন্তু আবদুল্লাহ ভুলভাবে ইন্টারপ্রেট করেন নি, অথবা তার উপলব্ধি এবং মুহম্মদ স.-এর প্রতি নাজিল হওয়া বাক্যটি [فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ] আসলে কো-ইনসিডেন্স নয়, সেটাও তো আমরা নিশ্চিত না।
কথাটা আরো একটু ইলাবোরেট করি। যদি কথা আর একটু বড় হতো, বেশ কতগুলো আয়াত নিয়ে এই ক্লেইম হতো, তাহলে আমি এই কথা বলাটা খুবই ইনএ্যাপ্রোপ্রিয়েট বোধ করতাম যে এখানে কো-ইনসিডেন্স হয়েছে। কিন্তু এখানে ক্ষুদ্র একটা বাক্যাংশ মাত্র! এইটুকুর জন্য মুহম্মদ (যিনি কিনা গোটা বইটা লিখলেন…এ্যালেজডলি), এতবড় একটা রিস্ক নেবেন?
৩. আপনার দেওয়া লিংকে পড়লাম, উইকিতেও আছে, যে মুহম্মদ স. নাকি পরে তাকে ক্ষমা করে দেন।
এইটা এমন আশ্চর্যের একটা কথা যে টাস্কি খেয়ে গেলাম ভাই। মহানবী স. -এর তখন জোর দাপট! যে-লোকটা তার সমস্ত “জারিজুরি” প্রকাশ করে দিচ্ছিলো, তাকে তিনি ক্ষমা করে দিলেন!!!
@এন্টাইভণ্ড,
মুহাম্মাদ তাকে ক্ষমা করে নি, পরিস্থিতির কারনে আব্দুল্লাহ সেদিন প্রানে বেঁচেছিলেন। মক্কা বিজয়ের পর যে দশজন লোকের (৬জন পুরুষ ৪জন মহিলা) মৃত্যু পরোয়ানা মুহাম্মাদ জারি করেছিল, আবদুল্লাহ বিন সা’দ বিন আবি সারাহ ছিল তার ‘নাম্বার ওয়ান’ টার্গেট। কিন্ত মুহাম্মাদ তার দুই মেয়ের জামাই ওসমানের হস্তক্ষেপে তা প্রত্যক্ষভাবে কার্যকর করতে পারে নাই বলে, এবং মুহাম্মাদের সাগরেদরা সেদিন তার ‘পরোক্ষ signal’ ঠিকমত ধরতে পারে নাই বলেই আবদুল্লাহ্ প্রানে রক্ষা পেয়েছিলেন। ঘটনাটি ছিল নিম্নরুপঃ
“হিট লিষ্টের” অন্যান্য ভিক্টিমদের তালিকা”
২) আবদুল্লাহ বিন খাতাল এবং তার দুই ‘singing girls’
৩) আল হুয়ারিথ (Huwayrith) বিন নুকায়েদ
৪) মিকায়েস (Miqyas) বিন সুবাবাহ্
৫) ইকরিমা বিন আবু জেহেল
৬) সারাহ
৭) হিন্দ বিনতে উতবা বিন রাবিয়াহ
৮) কুরেইবাহ্ (Quraybah)
@গোলাপ,
ঘটনার বর্ণনায় আমার ক্ষমা-ই মনে হয়েছে:
নিরাপত্তা দিতে না চেয়েও নিরাপত্তা দেয়া। ক্ষমা করতে না চেয়েও ক্ষমা করা। কিন্তু করেছেন যেটা সেটা ক্ষমাই। তিনি না চাইলেও।
আমি এই ঘটনাটার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলছি। যে-লোকটা একজন ক্ষমতাধর লোকের মহাপ্ল্যান বাস্তবায়নের সমস্ত “জারিজুরি” ফাঁস করে দিলো, তাকে হত্যা করার জন্য মুহম্মদ স. ‘পরোক্ষ signal’ দেবেন? তাও এমন পরোক্ষ ইঙ্গিত যা আবার তার এতদিনের সাথীরা ধরতেও পারলো না?
আপনারা তো যুক্তিবাদী লোক। সন্দেহ তো আসলে বরং আপনাদের কাছ থেকে আসার কথা। আপনি আমাকে বলেন তো, যে লোক নাম্বার ওয়ান টার্গেট, যে কিনা নবীর ওহিতে কারিকুরি করার সাক্ষীদের মধ্যে অন্যতম, তাকে ছেড়ে দেবার জন্য “দুই মেয়ের জামাই-এর হস্তক্ষেপ”-এর যুক্তি কি বড় বেশি দূর্বল হয়ে যায় না?
@এন্টাইভণ্ড,
আমার কাছে মোটেও দূর্বল যুক্তি মনে হচ্ছে না। নিজের জামাতা, সহকর্মী এবং প্রথম শ্রেনীর একজন সাহাবার প্রতক্ষ্য বিরোধিতা করার সে মুহুর্তে তার কোনই প্রয়োজন ছিল না। সে মুহুর্তে সে ছিল victorious, জয়ের আনন্দে আনন্দিত পরাক্রমশালী মহানায়ক।
স্বীকার করছি আপনার কাছে এ যুক্তি খুবই দূর্বল! হয়তো প্রমান করতে চাইছেন যেহেতু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহকে মারে নাই তাই ‘ওহিতে কারিকুরি করার’ ব্যপারটার কোন ভিত্তি নেই (আকাশ মালিকের দেয়া লিংক)।
@গোলাপ,
আমার কাছে আসলেই তাই। খুব দূর্বল যুক্তি। বরং তিনি যেহেতু তখন পরাক্রমশালী, এইজন্যই তার এমনকী সহকর্মী সাহাবীকেও পরোয়া করার কথা ছিলো না। একটা “ভণ্ড” লোকের হাতে অনেক ক্ষমতা আসার পর যখন সে দেখলো যে তার ভণ্ডামি ফাঁস হবার উপক্রম, তখন সে নিজের জামাতার অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেবে, এই চিন্তা একেবারেই খেলো মনে হয়েছে। কিন্তু এইটুকু আমি জানি, আমার কাছে যা খেলো, অন্যের কাছে তা খেলো না-ও হতে পারে।
কিন্তু আপনি একটা ব্যাপারে ভুল করছেন। {মুহম্মদ স. যেহেতু আব্দুল্লাহ ইবনে সারাকে মারে নাই, সেহেতু ‘ওহিতে কারিকুরি করার’ ব্যপারটার কোন ভিত্তি নেই}।
আপনি ভুল করেছেন। এইকথা আমি প্রমাণ করতে চাচ্ছি না; কারণ, আমি জানি, মুহম্মদ স. ইবনে সারাকে মারেন নাই, এইকথা সর্বোচ্চ এইটুকু পর্যন্ত প্রমাণ করতে সক্ষম যে অন্তত ইবনে সারার ঘটনার ক্ষেত্রে ওহির কারিকুরি একেবারেই নেই। এর বেশি না। অন্য এমন কোনো যুক্তি কিঙবা ঘটনা আছে কি না যা কিনা আরো শক্তভাবে ইঙ্গিত দিতে পারে যে ওহির ক্ষেত্রে কারিকুরি ব্যাপারটার ভিত্তি আছে, তা তো আমি জানি না, তাই না?
@এন্টাইভণ্ড,
এটা কি ধরণের যুক্তি? ক্ষমা করতে না চাওয়ার পর অবস্থার চক্রে শাস্তি ঘটলা বলে ক্ষমা করার কৃতিত্ব? কেই যদি হত্যা করার জন্য কোন লোকের উপর গুলী চালায় কিন্তু গুলী টার্গেট মিস করলে কি হত্যাকারী টার্গেটকে প্রাণভিক্ষা দিল বলা যায়?। নবী যেখানে নিজে বলছেন যে তিনি মৌন ছিলেন যাতে কেউ তাকে হত্যা করে। কেউ তার মৌনতাকে মৌনং সম্মতি লক্ষণং বুঝলনা বলে নবীকে ক্ষমা করে দেয়ার কৃতিত্ব দেয়াটা হাস্যকর যুক্তি। আর নবী যথেষ্ট ক্যালকুলেটেড ছিলেন বোঝা যায়। তিনি লাফ দিয়ে তলোয়ার চালিয়ে কল্লা নিলেন না বা “ব্যাটার কল্লা কাট” বলে চিল্লিয়ে উঠলেন না কারণ তাঁর নবী ইমেজের ব্যাপারেও তিনি সচেতন ছিলে এই পর্যায়ে বিজয়ের পর। তাই দুকুল রক্ষার জন্য মৌনতার কৌশল (যা মিস-ফায়ার করল) বেছে নিলেন। কাজ করলে ভাল, না কজ করলেও বড় তেমন ক্ষতি নেই।
@যাযাবর,
উইকিতে ক্ষমার কথাই বলা হয়েছে। আমি এজন্য উইকির প্রসঙ্গ দিয়েই বলেছি। উইকিতে বলা হয়েছে:
Uthman begged him to pardon Abdullah and on the third attempt Muhammad accepted Abdullah’s oath of loyalty, effectively pardoning him.
আমি বলেছি:
খুব কি আলাদা কিছু বলেছি?
আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এতে কি মনে হয় আমি ক্ষমার জন্য কৃতিত্ব দিতে চাচ্ছি? এখানে কি কৃতিত্ব আদৌ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
@আদিল মাহমুদ
আপনি শিউর তো? আমি কোরান হাদিস তন্ন তন্ন করে ধর্ষন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে খুজে দেখেছি, পাইনি। হয়ত আমার চোখ এড়িয়ে গিছে। কোরান এবং হাদিসে “ব্যাভিচার” সম্পর্কে বিভিন্ন শাস্তির কথা বলা আছে। মৃত্যু পর্যন্ত ঘরের ভিতর বন্দি করে রাখা বা ১০০ ঘা বেত্রাঘাত, সবই ব্যাভিচারের শাস্তি। ইসলামে ধর্ষনের শাস্তি কি, কেউ যদি জানাতে পারতেন, উপকৃত হতাম।
ভবঘুরে, আপনি বলেছেন,
এরপর আপনি ব্যাখ্যা করেছেন যে আসলে মুহম্মদ স. যে-উদাহরণ রেখে গেছেন, সেটাই আমাদের আলোচ্য ধর্ষক বাবাজীকে ধর্ষণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
মুহম্মদ স. ধর্ষণ এবং ধর্ষকের ব্যাপারে কী উদাহরণ রেখে গেছেন, সেই প্রসঙ্গে এই হাদিসটিও দেখবেন। এখানে আবু দাউদের একটা হাদিস আছে, যা কিনা এই কথার অপোজিট একটা ঘটনা পেশ করে যেখানে এক মহিলাকে রেপ করার কারণে একজনকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
সিদ্ধান্ত নেবার ভার আপনাকেই দিলাম।
@anti bhondo,
না ভাই আপনি ভুল ধারনা করেছেন। আমি বুঝাতে চেয়েছি মুহাম্মদের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে কাজটি কেউ করে না বা করেনি কারন বর্তমান সমাজে কেউ যদি বলে মুহাম্মদ করেছে বলে আমিও করছি তাহলে নির্ঘাত তার স্থান হবে হাজত বা পাগলা গারদ।তবে ঘটনাক্রমে কেউ এ ধরনের কাজ করে ফেললে তার কাজকে জায়েজ করতে গিয়ে বা নিজেকে বিবেকের কাছে সাফ রাখতে গিয়ে মোহাম্মদ কৃত উদাহরন তুলে ধরতে চায়। যদি মোহাম্মদ নিজেই এ ধরনের কাজ না করত তাহলে তার উম্মতরাও এ সুযোগটি নিতে পারত না। এটাই ছিল নিবন্ধের মূল বক্তব্য। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
মুহম্মদ করেছে বলে আমিও করছি… কথাটা বলে আপনি বোধহয় বলতে চাচ্ছেন যে,
আপনার আগের কথাটার চাইতে এই কথাটা লজিকালি বেটার। পার্থক্যটা বুঝতে হলে আপনাকে একটু নিরপেক্ষভাবে মাথাটা খাটাতে হবে। মুহম্মদ স. একটা কাজ করেছেন বলে আমিও করছি, এটাকে মানুষ হাজতে ভরবে কেন? মুহম্মদ স.-এর প্রচুর কার্যাবলী আছে যেগুলো, নিতান্ত অন্ধ এবং একপাক্ষিক চিন্তার দোষে দুষ্ট না হলে যেকেউ স্বীকার করবে। সুতরাং সেগুলো মুহম্মদ স.-এর একজন অনুসারী হিসেবে কেউ যদি করে তাকে হাজতে ভরবে কেন? কিন্তু কিছু ব্যাপার আছে যেমন ধরেন জিহাদ। এখন যদি যথাযোগ্য ক্ষেত্র ছাড়া কেউ একজন এসে হুঙ্কার দিয়ে বলে মুহম্মদ স. জিহাদ করেছেন এইজন্য সে-ও জিহাদ করবে, তাহলে তাকে হাজতে ভরা ছাড়া উপায় নাই। এবং দেখেন বাংলাদেশে সেই মুসলমানেরাই কিন্তু এই হাজতের উপযুক্ত লোকদেরকে [বাংলাভাই, শায়খ রহমান] পৃথিবী থেকেই বিদায় করেছে।
এই কথাটা আসলেই খুব সত্যি। এবং শুধু ধর্ষণ কার্যটির কথা বললে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যদি এমনকী কেউ চিন্তাও করে যে {{মুহাম্মদ আয়েশাকে কম বয়সে বিয়ে করেছে বলে, একজন মুসলমান ধর্ষণ করার সুযোগ পাবে বা ধর্ষণ করে ফেললে সেই কথা বলে বিবেকের কাছে নিষ্কৃতি পাবে}} তাহলে তার চিন্তাটাও কিন্তু পাগলা গারদবাসীর লেভেলের চিন্তাই হবে।
নিজের কাজকে জায়েজ করতে গিয়ে অথবা নিজেকে বিবেকের কাছে সাফ রাখতে গিয়ে কেউই যে মুহম্মদ স. এর দোহাই দেয়নি, বরং শয়তানের দোহাই দিয়েছে, সেটা আদিলভাই আপনাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আদিলভাইকে মাইনাছ!
ভবঘুরে, আপনাকে একটা কথা বলি। কেন এই ধর্ষক লোকটি তার ধর্ষণের কারণ হিসেবে মুহম্মদ স.এর আয়েশা-বিবাহকে উল্লেখ করেনি, এবং কোনো ধর্ষকই কখনোই করে নি, তা কি জানেন? কারণটা হলো, চূড়ান্ত বিকৃত মনষ্ক না হলে, এবং “ছিটেল” চিন্তার অধিকারী না হলে বালিকা বিবাহ থেকে ধর্ষণের অনুপ্রেরণা কোনো মানুষ পেতে পারে না। সে-ও পায় নি। সে জানে এবং স্বীকার করেছে যে শয়তানের উষ্কানিতে সে এই কাজ করেছে। এই কথাটাও আপনি যদি একটু “মাথা খাটাতেন”, তাহলে আপনার মাথায় খুব সহজেই “ঢুকে যেত”। শয়তান-যে মানুষকে উষ্কানী দিয়ে খারাপ কাজ করিয়ে দেবে, এই হুশিয়ারি তো আল্লাহ কোরানে, এবং নবী হাদিসে বলেছেন বহুবার, কিন্তু সেই সাথে তো এটাও বলেছেন যে শয়তানের উষ্কানী প্রসঙ্গে সতর্ক করা হলো, এখন কেউ যদি শয়তানের কাছে হেরে যায়, তার জন্য শাস্তি অবধারিত। সুতরাং এইটা জানার পর একজন ধার্মিক কখনো “শয়তানের উষ্কানীতে করেছে” এই কথা শাস্তি থেকে বাচতে বা বিবেকের আঘাত থেকে বাচতে বলতে পারে না।
এইটা কিন্তু খুব কমনসেন্সের কথা। আপনি বোধহয় অন্যকে মাথা খাটানোর কথা বলতে বলতে নিজের মাথাটার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। আহা!
ভবঘুরে, একজন বিশ্বাসী লোকের কাছে থেকে আপনার যদি যুক্তি শিখতে হয়, সেটা একজন মুক্তমনা হিসেবে আপনার জন্য খুবই অপমানজনক হবার কথা। এই অপমানটুকু আমি আসলে করতে চাচ্ছি না। তবে আমার ধারণা অন্যকে মাথা খাটাতে না বলে আপনি যদি একটু নিজে খাটাতেন, এতক্ষণ আপনি নিজেই বিষয়টা ধরে ফেলতেন।
মুহম্মদ স.-এর আয়েশাকে বিবাহ করার কাজ যদি তার উম্মতের জন্য ধর্ষণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতো অথবা ঘটনাক্রমে কেউ করে ফেললে সেই বিবাহ করার ঘটনা তার বিবেককে নিষ্কৃতি দিতো, তাহলে ধর্ষক এই অল্প কয়েকটা বের হতো না। বরং প্রতি বছর হাজারে হাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বের হতো ধর্ষক হিসেবে। বরং প্রতিটা প্র্যাকটিসিং মুসলিম হতো একএকজন ধর্ষক। সেইটে কি হয়?
________________________________
১. ভবঘুরে, আমি এত রূঢ়ভাবে বিতর্ক করি না। আপনাকে বললাম। বললাম শুধু এই কথা বুঝানোর জন্য যে, অন্যকে মাথা খাটানোর কথা বলা, মাথায় ঢুকছে না, এই কথাগুলো, খুব গ্রস। এইকথা আপনাকে বলা দরকার।
২. যুক্তি বিষয়ে এই মুক্তমনাতেই অপার্থিবের একটা অসাধারণ প্রবন্ধ আছে। সেইটা পড়ে নিলে আপনার কিছু ব্যাপারে ইমপ্রুভ হবে। তখন হয়তো কথা বলে ভালো লাগতেও পারে।
ভালো থাকবেন।
@এন্টাইভণ্ড,
ইস্যুটা হল ধর্ষণকে হাদীসের আয়েশা-বিবাহ দ্বারা ডিফেন্ড করা নয়, কুরাণের শয়তানের প্ররোচনায় কুকাজ করার প্রভিশনের দ্বারা ডিফেন্ড। কুরাণে যেহেতু মানুষের কুকর্মকে শয়তানের প্ররোচনায় ঘটে সেহেতু তাবৎ কুকর্মের (করার পর ধরা পড়লে) দায় যে কোন মুসলীম শয়তানের উপর চাপিয়ে দিতে পারে। কুরাণে এটা উল্লিখিত না থাকলে এই গুরুত্বপূর্ণ (বিশ্বাসীদের জন্য) ডিফেন্স থেকে মুসলিম অপরাধীরা বঞ্চিত হত।
“সে জানে”? আপনি কি করে জানেন সে জানে? তার মনের ভিতরের কথা কি গায়েবী ভাবে জেনে গেলেন? স্বীকার করার প্রশ্নও উঠেনা। “স্বীকার” করারটা অপরাধের বেলায় খাটে। শয়তানের উস্কানিতে করা একটা অযুহাতের ব্যাপার, স্বীকারোক্তির ব্যাপার নয়। এবং এই অজুহাত কুরাণই তার জন্য তৈরী করে রেখেছে।
আর ধর্ষনের ব্যাপারটি ভিন্ন ইস্যু। ইমামের ধর্ষনের ডিফেন্স হিসেবে নয়। অনেক বলতে চাইছে যে নবীর নাবালিকাকে বিয়ের দ্বারা ( লালসার দ্বারা উদবুদ্ধ হয়ে, প্রভাব খাটিয়ে) সেক্স করাটা রেপকে লিগালাইয করার সমতুল্য। বিয়ে না করে সনঙ্গম করলে তো সেকালেও এটা গ্রহণযোগ্য হত না। আর নবীরে যেখানে প্রভাব প্রতিপত্তি, সঠিক সময়ে সঠিক আয়াত আসার গ্যারান্টি আছে, সেই পথে যাবার দরকারই বা কি? আরেকটা ব্যাপার হল এই বিয়ের দ্বারা মুসলিমদের নাবালিকাকে বিয়ে করার পথ খুলে দেয়া হল, সেক্যুলার আইনে না হলেও শরীয়া আইনে তো বতেই। এখনো বাংলাদেশে বর ও কনের বয়সের ফারাক বিরাট হয়ে গেলে বলতে শোনা যায়, আমাদের নবীজীতো আয়েশাকে ৬/৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। এই আইয়েশার বয়সের ব্যাপারটা ইমামের ধর্ষনের প্রসঙ্গের বাইরে হলেও এত গুরুতর একটা ব্যাপার যে যে কোন সময় তোলা হলেও ক্ষতি নেই।
@যাযাবর,
তাহলে তো নবীই সমস্ত শাস্তি থেকে সকলকে বাঁচিয়ে যেতেন। অথচ দেখেন সেই বিশ্বাসীদের জন্যই এমন এমন সব কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করে গেছেন ভদ্রলোক যে এই আপনারাই হঠাৎ তেড়ে মেরে উঠছেন, বলছেন ছি ছি ছ্যা, কী মধ্যযুগীয় শাস্তি। মজার বিষয় কী জানেন, এই “মধ্যযুগীয়” শাস্তি কিন্তু বিশ্বাসীদেরই উপর প্রযুক্ত হয়েছিলো।
আসেন আরো একটু ভালোভাবে ব্যাপারটা দেখা যাক। কোরানে শয়তানের উল্লেখ থাকতে পারে যে যে সম্ভাব্য কারণে, তা আমাদের আলোচনায় উঠে এসেছে:
১. মুসলমান অপরাধীরা যেন নিজেদেরকে ডিফেন্ড করাতে পারে সেজন্য (আপনার মতে)
২. মুসলমানরা যেন চিনে রাখে শয়তানই তার আসল শত্রু; আর এই শত্রু যেন কোনোভাবে তাদেরকে পরাস্ত করতে না পারে। বারবার শয়তানের উষ্কানী প্রসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছেই এই কথা বলে যে, এখন কেউ যদি শয়তানের কাছে হেরে যায়, তার জন্য শাস্তি অবধারিত।
সুতরাং এইটা জানার পর একজন ধার্মিক কখনো “শয়তানের উষ্কানীতে করেছে” এই কথা শাস্তি থেকে বাচতে বা বিবেকের আঘাত থেকে বাঁচতে বলতে পারে না। বরং তাকে সহজেই বলা হবে যে শয়তান যে তোমাকে খারাপ কাজ করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করছে সেটা তো বারবারই কোরানে বলা হয়েছে; এবং তার কাছে হেরে গেলে কী শাস্তি পাবা, সেইটাও তোমার অজানা নয়, তাহলে তুমি এখন শাস্তিরই যোগ্য। (আমার মত)
ভাবনাটা আপনার উপরেই ছাড়লাম।
_______________________
দেখুন আবার বলছি, সে যদি মাদ্রাসা থেকে আসলেই পড়ে থাকে, তাহলে সে অবশ্যই ছোটবেলা থেকেই তাকে বারবার কোরান থেকে সতর্ক করা হয়েছে [আপনি এটাকে নাহয় ব্রেন ওয়াশ বলেন], তার অবশ্যই জানার কথা [যদি সে আসলেই বিশ্বাসী হয়ে থাকে] যে, শয়তান তাকে প্রতিনিয়ত খারাপ কাজের দিকে টেনে নিতে চাচ্ছে।
সে যদি নিজেকে বাঁচাতে না পারে তাহলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। সেই শাস্তিও তার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। এরপরও যদি সে অপরাধ করে ফেলে, এর মানে হলো, সে শয়তানের কাছে হেরে গেছে। অতএব, যে ভয়াবহ শাস্তির প্রসঙ্গ তার কাছে এর আগে বলা হয়েছিলো, তা তাকে ভোগ করতে হবে। আপনি যেন বুঝতে ভুল না করেন, আরো স্পষ্ট করে বলি, এই শাস্তি শুধু পৃথিবীতে থাকাকালীন। পৃথিবী থেকে চলে যাবার পর আল্লাহ তার সাথে কী ব্যবহার করবেন, সেইটা শুধু আল্লাহই জানেন।
আপনাকে একটা কথা বলি, যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তার জারি করা পার্থিব শাস্তি আর অজানা পরলৌকিক শাস্তির ভয় সামনে রাখলে শয়তানের ব্যাপারে সতর্ক না হয়ে একজন বিশ্বাসী লোক পারে না। পদস্খলন যার হচ্ছে, শয়তানের কাছে যে হেরে যাচ্ছে, আল্লাহ তার জন্র শাস্তি তো নির্ধারণ করেই রেখেছেন।
@এন্টাইভণ্ড,
আমার মত এটা না। এটা যে আমার মত সেটা আপনারই মত। কুরানে শয়তানের প্ররোচনার কথা উল্লেখের “কারণ” নিয়ে আমি তত্ব আলোচনা করিনি। ডিফেন্ড করার জন্যই শয়তানের উল্লেখ করা হয়েছে আমি বলিনি। ওটা হাইপোথেটিক্যাল ব্যাপার। যেটা আমার বক্তব্য সেটা হল ঐ উল্লেখের ইম্পলিকেশন মুসলীমদের জন্য। এটাকে কুকর্ম করার পর একটা ডিফেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কেউ চাইলে । নবী নিজেই তার কয়েকটা ভুলের জন্য এই শয়তানকেই দায়ী করেছেন। শয়তানের কাছে হেরে যাওয়ার জন্য কি শাস্তি পেলেন নবী? শাস্তি পাননি। এটাই তো একটা উদাহরণ হয়ে গেল বিশ্বাসীদের জন্য। যেটা এই ইমাম করেছে। এই ইমাম তো বলেনি যে সে শয়তানের কাছে হেরে গেছে বলে শাস্তি তার প্রাপ্য। সে আত্মরক্ষার জন্য এই সেট্যানিক ডিফেন্সের আশ্রয় নিয়েছে। কুরাণের মত একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ মানব জাতির জন্য সর্বকালের গাইড বইয়ে এরকম দায়িত্বহীনতা বা ঢিলেমী আশা করা যায় না। আর শয়তান সৃষ্টি করল কে? আল্লাহ নয় কি। সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তাই তো আল্লাহ। মানুষকে কুপথে চালাবার দায়িত্ব তাহলে চূড়ান্ত বিচারে কার? কাজেই আরো গভীর ভাবে দেখলে এই শয়তানের অস্তিত্ব বা সৃষ্টিই মানুষের কুকর্মের একটা ভাল ডিফেন্স।
@যাযাবর,
এইকথাটা আমি উপরে যথেষ্ট ভেঙ্গে বলেছি। কুকর্ম করার পর একটা ডিফেন্স হিসেবে ব্যবহার যদি করাই যেত, তাহলে মুহম্মদ স. পাথর ছুড়ে মানুষ হত্যার রেওয়াজ করে যেতেন না। আর, সাহাবীরাও নিজে থেকেই এসে বলতেন না যে, হে রাসুল আমি ব্যাভিচার করেছি, আমাকে শাস্তি দিন। তারা তো তখন ভাবতেই পারতো যে যাচ্ছালা, শয়তানের ধোকায় এটা করে ফেলেছি, গোপন আছে, গোপনই থাকুক…।
আমি বুঝলাম না, আপনাদের তো ধারণা যে মুহম্মদ স. নিজেই ধান্দাবাজি করেই কোরানটা লিখে ফেলেছেন। তো, ভালো কথা, মুহম্মদ স. নিজেই যদি শয়তানের উল্লেখ এজন্য করবেন যে <>, তাহলে তিনি কেন আবার শাস্তি দিতে যাবেন? এতে তো আরো মানুষদের দূরে সরে যাওয়ার রাস্তা পাকাপাকি হয়।
___________________________
সেইভুলগুলো কী কী? যাযাবর, ভাসাভাসা কথা বলবেন না। এই কমেন্ট সেকশনেই স্যাটানিক ভার্স নিয়ে কিছু কথা বলেছি, সেগুলো পড়ে আশা করি কথা বলবেন। সেইখানে একটা লিংক দেওয়া আছে, স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে আকাশ ভাইয়ের সাথেও কথা হয়েছে, সেগুলো পড়েন ঠাণ্ডা মাথায়, তারপর বলেন, আপনার অভিযোগ কী? মুহম্মদ স. তার কোন কোন ভুলের জন্য শয়তানকে দায়ী করেছেন?
________________________________
২৪:২১> হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।
৬:১৪২>শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু
২:২০৮> হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু
১৭:৬৩> আল্লাহ বলেনঃ চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি।
বুঝতেই পারছেন, আপনি যে-রকম ভাবছেন, স্যাটানিক ডিফেন্সের সে-রকম কোনো রাস্তাই আল্লাহ খোলা রাখেন নি।
@এন্টাইভণ্ড,
যারা প্রচন্ড বিশ্বাসী তাদের মাথা একটু মোটা হয় জানতাম। তাই আপনার নিচের মন্তব্যে আশ্চর্য হচ্ছি না=
আলোচ্য নিবন্ধের ধর্ষক ইমামের ধর্ষণের সাথে মোহাম্মদের আয়শা বিয়ে, পালক পূত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নাবকে বিয়ে এসবের সরাসরি সম্পর্ক নেই কিন্তু একটা সাধারন লজিক্যাল সম্পর্ক আছে যেটা বোধ হয় আপনার সীল মারা মাথায় ঢোকেনি এত দীর্ঘ সময় পরেও। সম্পর্কটা হলো – এসব কাজ অনৈতিক আর অসামাজিক ছিল সেই আরব দেশেও তখনকার সমাজে , সেই সময়েও মানুষজন বন্ধুর শিশু মেয়েকে বিয়ে করত না বা করার মত জঘন্য চিন্তা করত না স্বাভাবিক ভাবে, আর পালক পূত্রের স্ত্রীকে বিয়ের মত চুড়ান্ত অনৈতিক কাজ তো তারা কল্পনাও করত না । কিন্তু মোহাম্মদ নিজেকে নবী দাবী করে সেই সব কাজ কারবার করেছে আর তা করতে যেয়ে একবার স্বপ্নের আর একবার কোরানের বানীর উছিলা বা অজুহাত গ্রহন করেছে। আর ধর্ষণকারী ইমাম তার ধর্ষণের জন্য শয়তানের উছিলা বা অজুহাত গ্রহন করেছে। এটাই হলো সম্পর্ক। এটা হলো ইসলামের সেই শিক্ষা- দুর্জনের ছলের অভাব হয় না যা মোহাম্মদ নিজেই বারংবার নিজ জীবনে দেখিয়ে গেছে। তাই অনেক সময়ই মানুষ অপকর্ম করে নানা রকম উছিলা বা অজুহাত তুলে তার দায়ভার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায়। এর অর্থ এ নয় যে আমি বলছি – মোহাম্মদের এসব কাজ কারবার দেখে উৎসাহিত হয়ে মানুষ এ ধরনের আকাম কুকাম করে। যারা বিষয়টিকে এভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তারা বিষয়টিকে অতি সরলীকরন করছে।
@ভবঘুরে,
১.
আচ্ছা।
২.
অথচ অন্য একটা মন্তব্যে এই আপনিই বলেছেন:
আপনি-যে আসলে কী বলতে চান, সেটাই একটা রহস্য। তাবারি কিংবা হাদিস থেকে আমরা সেই সংক্রান্ত যে বর্ণনাগুলো পাই, তাতে মনে হয় আপনার পরের কথাটাই ঠিক: এধরণের বিয়ে সেই সময়ে অনৈতিক আর অসামাজিক ছিল না।
৩.
আপনার “লজিকাল” সম্পর্কের নমুনাটা মনে হয় এরকম:
মুহম্মদ স.-এর আয়েশাকে বিয়েকরণ (যা কিনা সেসময়ে জঘন্য, অসামাজিক এবং অনৈতিক ছিলো) : মুহম্মদ স.-এর বিয়ে সঙ্ক্রান্ত স্বপ্নের অজুহাত :: মহিউদ্দিনের ধর্ষণ (যা এসময়ে জঘন্য, অসামাজিক এবং অনৈতিক) : মহিউদ্দিনের এসঙ্ক্রান্ত শয়তানের অজুহাত।
আসেন বিষয়টা আমরা একটু সিরিয়াসলি পর্যালোচনা করি।
৩-ক. তাবারির বর্ণনাটা উইকিতে যেভাবে এসেছে (জুবাইর ইবনে মুতিমের সাথে আয়েশার বাগদান), তাতে বোঝা যায় এই বয়সে তখন মেয়েদের বিয়ে হতো। অস্বাভাবিক, অনৈতিক কিংবা অসামাজিক ছিলো না।
৩-খ. তাবারির বর্ণনা থেকে জানা যায় যে খাওলা প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন মুহম্মদ স.-এর কাছে। এর অর্থ হলো, অজুহাত হিসেবে কোনো স্বপ্নকে উছিলা বা অজুহাত দেন নি মুহম্মদ স.। স্বপ্নের বর্ণনা হাদিসে এসেছে। কিন্তু অজুহাত হিসেবে নয়। বিয়ের বেশকিছুদিন পরে আয়েশাকে বলেছেন সেকথা। তবু এইক্ষেত্রে ধরে নিলাম যে মুহম্মদ স. স্বপ্নকে ডিভাইন অর্ডার হিসেবে মেনে আবু বকরকে সেটা মানার জন্য প্রেসার দিয়েছেন (যদিও এর পক্ষে কোনো রেফারেন্স নেই)।
৩-গ. একটু আগেই বলেছি যে কোনো মুসলমান (মাদ্রাসার ছাত্রতো বটেই) কখনো কোনো অবস্থাতেই শয়তানের কথা অজুহাত হিসেবে বলতে পারে না।
কারণ, কোরান থেকে একজন মাদ্রাসা ছাত্র প্রায়ই জানছে যে,
___________________
২৪:২১> হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।
৬:১৪২>শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু
২:২০৮> হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু
১৭:৬৩> আল্লাহ বলেনঃ চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি।
_____________________
স্পষ্ট করে তাকে জানানো হচ্ছে যে শয়তানের কাজই হলো বিপথগামী করানো। এবং যদি কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাহলে জাহান্নামই হবে শাস্তি, সেখানে সে শয়তানের অজুহাত দেখাবে কোন সেন্সে? {শয়তানের অজুহাত}এই দুইটা শব্দ একসাথে হবে কোন কারণে?
[একটা ছোট নোট: শয়তানের অজুহাত একজন দেখাতে পারে। যে মনে করে যে আসলে এগুলো মিথ্যা কথা। সেক্ষেত্রে সে মনে করবে যে জাহান্নাম বলে তো কিছুই নেই। সুতরাং যা ইচ্ছা তাই করি, তারপর শয়তানের অজুহাত দিয়ে দেবখন…
কিন্তু ভালো করে বুঝে রাখুন, যে লোক মনেই করছে যে এগুলো মিথ্যা কথা, সেতো অবিশ্বাসীই। আপনি তো বলছেনই বিশ্বাসীদের কথা। তার সাথে এই এ্যানালজির তো প্রশ্নই আসবে না। ]
এঅবস্থায়, আপনার মাথা মোটা হোক, চিকন হোক, না বোঝার তো কোনোই রাস্তা দেখি না যে যে-লোক মাদ্রাসায় পড়ে অথবা নিয়মিত কোরান হাদিস পড়ে, সে কখনোই কোনো অবস্থায় অজুহাত হিসেবে শয়তানের কথা বলতে যাবে না। শয়তানের অজুহাত বলে কিছু নেই।
৩-ঘ. আপনার এ্যানালজির খণ্ডাংশগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। এইবার সরাসরি আপনার এ্যানালজি নিয়ে কথা বলি।
মুহম্মদ স.-এর আয়েশাকে বিয়েকরণ (যা কিনা সেসময়ে জঘন্য, অসামাজিক এবং অনৈতিক ছিলো) : মুহম্মদ স.-এর বিয়ে সঙ্ক্রান্ত স্বপ্নের অজুহাত :: মহিউদ্দিনের ধর্ষণ (যা এসময়ে জঘন্য, অসামাজিক এবং অনৈতিক) : মহিউদ্দিনের এসঙ্ক্রান্ত শয়তানের অজুহাত।
সহজভাষায় আপনি বলতে চাচ্ছেন, আয়েশাকে বিয়েকরণের সাথে মুহম্মদ স.-এর স্বপ্নের সাফাই দেয়ার যে-সম্পর্ক, মহিউদ্দিনের ধর্ষণের সাথে শয়তানের অজুহাত দেয়ার ঠিক সেই সম্পর্ক।
এ্যানালজির আলাপ:
৩-ক-তে আমরা দেখিয়ে এসেছি যে আপনার নিজের কিছুক্ষণ আগে করা একটা উক্তি {{এ ধরনের ঘটনা যে ঘৃণ্য সেই বোধটাই তখনকার আরবদের মধ্যে ছিল না।}} (যা কিনা আসলে তাবারি দ্বারা সমর্থিত) প্রমাণ করে দিচ্ছে যে আয়েশার বিয়েটা {জঘন্য, অসামাজিক এবং অনৈতিক} ছিলো না।
৩-খ-তে আমরা দেখিয়েছি যে আমরা যদি এমনকী ধরেও নি যে মুহম্মদ স. স্বপ্নের সাফাই দিয়েছেন [যদিও তিনি আসলেই স্বপ্নের সাফাই দিয়েছেন, এমন কোনো দলীলগত প্রমাণ নেই], তবু ৩-গ দিয়ে আমরা দেখিয়েছি যে মহিউদ্দিন একজন ইমাম যেহেতু, অজুহাত হিসেবে শয়তানের কথা কোনো অবস্থাতেই বলতে পারে না।
অর্থাৎ, আয়েশাকে বিয়েকরণের সাথে মুহম্মদ স.-এর স্বপ্নের সাফাই দেয়ার যে-সম্পর্ক [যদি আদৌ সেরকম কোনো সাফাই থেকে থাকে], মহিউদ্দিনের ধর্ষণের সাথে শয়তানের অজুহাত দেয়ার ঠিক সেই সম্পর্ক থাকার কোনো কারণই নেই, কারণ মহিউদ্দিনের ধর্ষণের সাথে শয়তানের অজুহাতেরইআদতেই কোনো সম্পর্ক নেই।
৪. সুতরাং, আমরা দেখলাম, আলোচ্য নিবন্ধের ধর্ষক-ইমামের ধর্ষণের সাথে মোহাম্মদের আয়শা- বিয়ের সরাসরি সম্পর্ক তো নেই-ই, সাধারণ লজিকাল সম্পর্কও নেই।
৫. একটা শেষ কথা। আপনার মাথা সঙ্ক্রান্ত কোনো খারাপ স্মৃতি আছে কি না আমি জানি না, কিন্তু মনে হলো এই “মাথা”ব্যাপারটা আপনার জন্য অনেক সেন্সেটিভ। কারো সাথে তর্ক একটু বড় হয়ে উঠলেই “মাথা খাটানো”, “মাথায় ঢোকা”, “মোটা মাথা”, ইত্যাদি বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত বের হয়ে আসছে। এই ভঙ্গিটা যে ভদ্র সমাজে মানুষের সাথে কথা বলার রীতি না, এই ব্যাপারটা সম্ভবত আপনাকে সময় থাকতে কেউ শেখায় নি। যে-কারো ভেতরে যদি যুক্তিবোধ থাকে, তাহলে আমার মনে হয়, অন্যের মাথা মোটা না কি চিকন, ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা না করে যুক্তিখণ্ডনের দিকেই মনোনিবেশ করা উচিত।
নিদেনপক্ষে, অন্যকে সম্মান করেও যে তার সাথে দ্বিমত পোষণ করা যেতে পারে, সেই মনোভাব অন্তত আমি মুক্তমনার একজন লেখকের কাছে থেকে আশা করতে পারতাম। আমার ভাগ্য ভালো, মুক্তমনার আরো লেখকের লেখা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাথেকে আমার এইকথা মনে হয়েছে যে, আপনি এবং আপনার কথাভঙ্গি যথাক্রমে মুক্তমনা এবং মুক্তমনার অধিকাংশ লেখকের কথাভঙ্গিকে প্রকৃতপক্ষে রিপ্রেজেন্ট করেন না।
ভালো থাকবেন।
@এন্টাইভণ্ড,
এ ভঙ্গিটা ভাইজান মোহাম্মদের কাছ থেকে শেখা। মোহাম্মদ তার ইসলাম প্রচার করতে যেয়ে যে ভাষায় কথা বলত- আমরা এখন সেটা শিখছি। এ জন্যে আমি মোহাম্মদের কাছে কৃতজ্ঞ।
এটাও মোহাম্মদের কাছ থেকে শেখা কথা ভঙ্গি। মোহাম্মদ একটা ব্যপারে খুব পরিষ্কার ছিল। তা হলো যা ভাবত বা বুঝত সরাসরি তা প্রকাশ করত ও প্রয়োজনে সেটা দিয়েই আক্রমন করত। কোরান ও হাদিসের ছত্রে ছত্রে তার প্রমান। এখন সেই একই কায়দাটা আমি গ্রহন করলে সমস্যা হবে কেন ? মোহাম্মদের আমলে পৌত্তলিক প্রথা সত্যিকার অর্থেই একটা অনুপযোগী প্রথা ছিল। মোহাম্মদ সেটা বুঝতে পেরে সরাসরি তাকে আঘাত করত অনবরত। বর্তমান যুগে আমরা দেখছি ইসলাম তার উপযোগীতা হারিয়েছে। তাই আমরা মোহাম্মদের কৌশল অবলম্বন করে আঘাত করে যাচ্ছি কুপমন্ডুক আর কুসংস্কারাচ্ছ্ন্ন মানুষগুলোকে উদ্ধার করতে। অনেকে সেটা পছন্দ করে না , কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। মোহাম্মদ যখন কুরাইশদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করত তখনও প্রায় কেউ তা পছন্দ করত না, তাতে তো ইসলাম প্রচার থেমে থাকেনি। পরিশেষে গোটা আরব সহ অন্যান্য দেশের বিপুল মানুষ ইসলাম কবুল করেছে। এখন আমার কথার স্টাইল আপনার পছন্দ হচ্ছে না , কিন্তু হয়ত একদিন উপলব্ধি করবেন আসলে এভাবে আঘাত করাতেই আপনার চোখ খুলে গেছে। লোহার দরজা যখন মরিচা ধরে আটকে যায় তখন তাকে ঘা মেরেই খুলতে হয়। এ ছাড়া কোন উপায় নেই। ধন্যবাদ আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
এখানে শাস্তি হবে। ঠিক করে নিলে ভাল হয়।
আর বেশ আলোচিত বিষয় নিয়ে লিখেছেন।দরকার ছিল লেখাটির।
আমি একবার এরকম শুনেছিলাম যে পাদ্রীরা কিছু বালকদের ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হবার পর দাবি করেছিলান ঐ বাচ্চাদের মধ্য দিয়ে শয়তান নাকি তাদেরকে প্রলুব্বধ করেছিল একাজে। কিন্তু তারা তো দয়ার সাগর তাই যীশুর নামে সেই বালকদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন (! কে কারে ক্ষমা করে!) আর এ সুখবর শুনে ঐ বালকদের বাবা মা শান্তি পেয়েছিলেন যে তাদের সন্তানদের পাপ মোচন হল !!! :-Y :-Y
দুঃখিত রেফারেন্স দিতে পারলামনা।
ভাই, আল্লাহ ইন্টারনেট দিয়েছেন শুধু পর্ন এর জন্য নয়। কোনো লেখা দেবার আগে একটু ইন্টারনেট রিসার্চ করলে হয় না? ইংরেজীতে একটি বহুল প্রচলিত Phrase, ” the devil made me do it”. একটু নেটে এই Phrase টি র সাথে Priest, Pedophilia যোগ করে একটা সার্চ দিন তো। কয় লাখ হিট আসে দেখুন। শুধু এই বছরের ক্যাথলিক Pedophilia কেলেংকারী থেকে কয় হাজার হিট আসে।
@shafiq,
আল্লাহ ইন্টারনেট কিভাবে দিলেন বুঝলাম না। আর পর্ন হল কিভাবে? লেখাটা তো বর্তমান ও অতীতের সমন্ময় করে লেখা। এখন ব্যাপারটা যদি আপনার পর্ন মনে হয়,তবে তার দায়িত্ব সম্পূর্ন নবী মোহাম্মদের।
হ্যা ভাই,এটা ওনার করা উচিত।হোরাসের আগের পোষ্টে আল্লাচালাইনা খুব সুন্দর একটা পথ বাতলে দিয়েছেন,প্রতিটা ধর্মসংক্রান্ত পোষ্টের শেষে একটা ডিসক্লেইমার দেওয়া থাকবে,যেখানে লেখা থাকবে এরকম ঘটনা নিন্মোক্ত মতবাদগুলিতেও দেখা যায়,
১। খ্রিষ্টান
২।হিন্দু
৩।বৌদ্ধ
৪। শিখ
৫ জৈন
৬। ….
৭।…
……
……
১০০।……..
তারপরও হয়ত কেউ আপত্তি করে বসবে যে ‘ভুডু’ সম্প্রদায়ের কুকীর্তি এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি,অতএব এটা পক্ষপাতমুলক পোষ্ট। লেখক ভুডুবিদ্বেষী।
আমি এই নিয়মটা অলিখিত ভাবে সবাইকে মেনে চলার আহবান জানাই। তাতে এই ধরনের প্রশ্ন তোলা কমবে।
@রুশদি,
আমি একটু সংশোধিত আকারে ডিস্ক্লেইমার(গুলি) দেয়ার পক্ষপাতী।
১। এরকম ঘটনা নিন্মোক্ত মতালম্বীদের মধ্যেও দেখা যায়ঃ
১….
২….
৩….
ইত্যাদি
২। এরকম ঘটনার প্রেরণা (নবীর কুকাজের দায় শয়তানের) আর কোন ধর্মের গ্রন্থে লিখিত পাওয়া যায় না।
৩। এরকম ঘটনা (নাবালিকা বিবাহ, পুত্রবধূকে বিবাহের অহী) অন্য কোন ধর্মের প্রচারক/সংস্কারকের ক্ষেত্রে দেখা যায় নি।
৪। অন্য ধর্মালম্বীদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হলে স্বর্গে গিয়ে ৭০ জন হুরী পাওয়ার প্রতিজ্ঞা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে নেই।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
কোন অতিরঞ্জন নয়, সত্য কথা মাত্র
@shafiq, হ ব্রাদার। ‘ইন্টারনেট আল্লা শুধু পর্ণ ব্রাউস করার জন্য দেয় নাই’ এটা অনুধাবন করেই কি মুক্তমনায় একটা কমেন্ট করে ফেললেন, ইন্টারনেটের একটি অল্টার্নেটিভ ব্যাবহারের প্রায়োগিক প্রমান হিসেবে?
খ্রিষ্টান পিডোগিরি করলে মুসলমানদের পিডোগিরো হালাল হয়ে যায় কিভাবে?
খ্রিষ্টানের পিডোগিরি দেখে মুসলমান পিডোগিরি শিখছে, এইবার খ্রিষ্টানের ফ্রিজ আবিষ্কার, টিভি আবিষ্কার, কম্পিউটার আবিষ্কার ইত্যাদি দেখে মুসলমানও যদি নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করা শিখে ফেলতে পারে কোনমতে, আল্লার দয়ায়, খু-উ-ব খু-উ-ব ভালো হয় তাইলে।
@আল্লাচালাইনা, irony /farce বোঝা আপনাদের জন্য কষ্টকর বুঝলাম। মূল রচনায়, ভবঘুরে,
“ওহ বলতে ভুলে গেছি, পত্রিকায় মাঝে মাঝে পাশ্চাত্য দেশে গীর্জার পাদ্রী কর্তৃক ধর্ষণ বা সমলিঙ্গের সাথে যৌনতা এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়। যা নিয়ে ওসব দেশে বেশ হৈ চৈ ও হয় মনে হয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে কখনো বলতে শোনা যায় না যে সে শয়তানের প্ররোচনায় এ ধরনের কান্ডটি করেছে। ধরা পড়লে স্রেফ নিজের ওপরই দোষটা নিয়ে নেয়। শয়তানের ওপর দায়ভার চাপায় না। ”
আমি আদিল মাহমুদ এর বক্তব্যগুলি আরেকবার মনো্যোগ দি্য়ে পড়তে অনুরোধ করছি। বিশেষকরে, “মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বালিকা বিবাহ করলে তার দায় নবী মোহাম্মদের আর রবী ঠাকুর বাল্য বিবাহ করলে তিনি যুগের প্রথা পালন করেছেন মাত্র এমন ধরনের এক পেশে যুক্তিতে আমি বিশ্বাসী না।”
আশাকরি মুক্তমনা মুক্তচিন্তার জা্য়গা, আপরিনত এ্ড়ে নাস্তিকতার ক্ষেত্র নয়।
@Shafiq,
আমিও এ ধরনের যুক্তিতে বিশ্বাসী না। কিন্তু সমস্যা হলো – রবী ঠাকুর তার পালিত ধর্মকে একমাত্র সত্য ধর্ম দাবী করে গোটা মানবজাতির ওপর চাপিয়ে দিতে চায় নি। সে কারনেই তার ঘটনাকে তার সময়ের প্রচলিত ঘটনার কাতারে ফেলে তার একটা মুখরক্ষার ব্যাখ্যা দেয়া যায়। কিন্তু ইসলাম ও মুসলমান নিয়ে রাজনীতি করা জিন্নাহ যেখানে জানে যে ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম , মোহাম্মদ হলো সর্বশ্রেষ্ট মানুষ যার জীবনাদর্শ ও কাজকর্ম কেয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে তখন তার নাবালিকা বিয়ে করাটাকে সেই সময়ের প্রচলিত ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়াটা যুক্তি যুক্ত নয় মোটেই আর যারা সে অপচেষ্টা করে তাদেরকে সোজা ভাষায় বলব ধান্ধাবাজ ধুরন্ধর। আর জিন্নাহ যে নাবালিকা বিয়ে করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা গ্রস্থ হয় নি তার মূল কারন তার জানা ছিল যে মহামানব মোহাম্মদ সে নিজেই একটা দুধের শিশুকে বিয়ে করেছিল। তাই তার মনে এ বিষয়ে কোন হীনমন্যতা ছিল না। বর্তমানেও মুসলমানদের মধ্যে এ নিয়ে কোনরকম হীনমন্যতা লক্ষ্য করা যায় না কিন্তু আপনি দেখবেন রবীন্দ্রনাথের বিষয়টি অমুসলিম তথা হিন্দু সমাজে উঠলে তারা বিষয়টিকে নৈতিকভাবে সমর্থন করে না। তার কারন হিন্দুরা বিষয়টিকে ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে দেখে না। এটাই হলো অন্তর্নিহিত বিষয়। এর পরেও আপনি তর্কের খাতিরে তর্ক করতে পারেন তবে তা হবে পন্ডশ্রম।
@ভবঘুরে,আমি আবার বলছি, ইন্টারনেট শুধু পর্ণ এর জন্যে নয়। দুনিয়ার সবকিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে। জিন্নাহ মোহাম্মদের আদর্শে অনুপ্রানিত ছিলো সেটা তার ঘোর বিরোধীরাও বলবে না। আপনি আপনার রচনাটি আবার পড়ুন এবং মন্তব্যগুলি অনুসারে একটু ইন্টারনেট ঘেটে দেখুন। তার পরে বুঝবেন আপনার মোল্লা-মোহাম্মদ-শয়তান থিসিসের কি আর আবশিষ্ট থাকে।
@Shafiq,
আমাদের লেখা পড়ে কি আপনার মনে হয় আমরা ইন্টারনেট কে পর্ন দেখার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করি ? যদি তা না হয় , আপনি খামোখা কেন এ অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতরন করলেন? এটাও অবশ্য আপনাদের মত মানুষদের একটা অপকৌশল একজন মানুষকে নিজেই একটা দোষে দোষারোপ করে অতপর তাকে দোষী সাব্যাস্ত করা। যাহোক আপনাদের কৌশলগুলো এখন সবাই জানে , তাই তাতে খুব সুবিধা এখন আর হবে না।
তা হয়ত সত্য কিন্তু তিনি রাজনীতিটা করতেন ইসলাম নিয়ে আর তার দলের নাম ছিল মুসলিম লীগ। ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম অনুসরন না করলেও সাধারন মানুষকে ইসলামের তাবিজ দিয়ে বিভ্রান্ত করা তো তার জন্যে সোজা ছিল। বরং এ ব্যপারে জিন্নাহ পাকা খেলোয়াড় ছিলেন। নাকি এটাও অসত্য ? সোজা কথা হলো- জিন্নাহ পুরোপুরি ইসলামী জী্বন পালন করতেন কি করতেন না সেটা বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হলো- তিনি ইসলামকে তার স্বার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতেন কিনা। আশা করি বুঝেছেন এবার।
আপনি যে ব্যপারটি বুঝতে পারছেন না সেটা হলো- মুসলমানরা নানারকম অপকর্ম করে কোরান হাদিস থেকেই সে অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অজুহাত খুজে পেতে পারে যা স্বয়ং মোহাম্মদ নিজ জীবনে দেখিয়ে গেছে, কোরান ও হাদিসে যার নিদর্শন আছে, অন্য ধর্মে সে সুযোগ নেই। আর বলাই বাহুল্য, মোহাম্মদের জীবনাদর্শ ও জীবন পদ্ধতি প্রতিটি মুসলমানের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে। আলোচ্য নিবন্ধের সেটাই মূল ভাবধারা। তাই পাদ্রী, যাজক বা হিন্দু গুরুরা কি করল না করল তা এখানে অবান্তর। অবশ্যই অন্য ধর্মের গুরুরা ধোয়া তুলসী পাতা নয়, তারাও এক একটা বদমাশ ছাড়া আর কিছু না। আর তাই তাদের সাথে তুলনা দেয়ার মানে হলো আসল প্রসংগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। যদি অন্য ধর্মের কিতাবে সেটা থাকে আপনি রেফারেন্স দিয়ে দেখাতে পারেন। যাযাবর, ব্রাইট স্মাইল , আল্লাহ চালাইন্যা ওনারা তাদের মন্তব্যে সুন্দরভাবে বিষয়টি ইতোমধ্যে তুলে ধরেছেন। কিন্তু আপনার ভোতা মাথায় তা ঢুকছে না বলে আমি ভীষণভাবে মর্মাহত।
@Shafiq,
আপনি যখন আল্লাহর মনের ইচ্ছে-অনিচ্ছের খবরা-খবর রাখেন, আমাকে আরো কিছু খবর দিয়ে যান।
১) আল্লাহর ইন্টারনেট রেডি করতে কত বছর লাগলো? শুনলাম জন্মেছিলেন তিনি বহু আগেই, বয়স কত হবে অনুমানিক?
২) মোল্লা ব্যাটা যখন শিশুটিকে ধর্ষণ করছিল আল্লাহ তখন হাসছিলেন, না কাঁদছিলেন?
৩) শয়তানের প্রোরোচণায় মিয়াসাহেব ব্যাটা রেইপ করতে পারতোনা যদি এই রেইপের পিছনে আল্লাহর পূর্ব প্লান না থাকতো। আল্লাহ এই প্লানটা কবে করে রেখেছিলেন?
৪) শয়তানকে সৃষ্টি করেছে কে? মানুষকে ধোঁকা দেয়ার শক্তি শয়তানকে কে দিয়েছে?
৫) শয়তানের শক্তি বেশী না আল্লাহর শক্তি বেশী?
৬) শিশুটির যদি একটা কুত্তা থাকতো, সেই কুত্তার সামনে মোল্লার বাবারও ক্ষমতা হতোনা শিশুটিকে রেইপ করে। একটা নিরপরাধ, অসহায় শিশুকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে আল্লাহর কি একটা কুত্তার শক্তিও নাই?
@আকাশ মালিক,
পৃথিবীতে কেউ ধর্ম খুলে রেখে সেক্স করেনা, আবার সেক্স খুলে রেখে ধর্ম করেনা। ধর্মকে অযথা দোষারোপ না করে, ধর্মিক (নৈতিক!) ব্যক্তিকে দোষারোপ করা নৈতিক মানসিকতার পরিচয়। শয়তানের ব্যাখ্যা কোন প্রয়োজন আছে কি? প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক বহু প্রাচীন ইতিহাস।
@আকাশ মালিক,
ভালই বলেছেন, আপনার আল্লাহর অস্তিত্ব বর্ণনা অসাধারন। আপনার প্রশ্নগুলি পড়ছিলাম আর সুপারম্যান, স্পাইডারম্যানের কথা মনে পড়ছিল। আপনার মনের মত আল্লাহর সরাসরি একশ্যানে নামে উচিত।
@Shafiq,
“ইন্টারনেট শুধু পর্ণ এর জন্যে নয়। দুনিয়ার সবকিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে।”
এতদিন শুনে এসেছি দুনিয়ার সব কিছু কোরান আর ব্যাদে আছে। আর এখন কি শুনছি! সব নাকি ইন্টারনেটে আছে। কেয়ামতের আলামত নাতো!
ভবঘুরে বলেছেন,
আর যাযাবর বলেছেন,
যাযাবরকে ধন্যবাদ।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
দুই জনের বক্তব্য মোটেই ভিন্ন নয়। মোহাম্মদ ৬ বছরের শিশু বিয়ে করেছিল আর জিন্নাহ করেছিল ১৪ বছরের মেয়ে। সেই জন্য যাযাবর বলছেন আকাশ পাতাল তফাত। আসলেও তো বিষয়টি তাই। ৬ বছরের শিশু কন্যা আর ১৪ বছরের বালিকা কি এক কথা হলো নাকি ?
@ভবঘুরে,
তাই নাকি? 🙁 আর একটিবার দয়া করে পড়ে দেখুন,
তাহলে কি *নাবালিকা* আর *বালিকা* “মোটেই ভিন্ন নয়?” কি বলেন? যাযাবর আবার *বালিকা* শব্দটার অর্থ একেবারে খোলাসা করার জন্য লিখেছেন, “নাবালিকা ছিলনা।” আপনি যাকে *নাবালিকা* বলছেন তাকে যাযাবর বলছেন “নাবালিকা ছিলনা।” আপনাদের এই অভূতপূর্ব মতৈক্যের জন্য অভিনন্দন! 😀
ভাল থাকুন।
@Shafiq,
পাদ্রীদের যৌন নিপীড়ন আর ইমামদের যৌন নিপীড়নের তুলনা তাৎপর্য্যপূর্ণ নয়, তুলনা করতে হবে কুরান/হাদিস ও বাইবেল (নিউ টেস্টামেন্ট, যা খ্রীষ্টানদের মূল ধর্মগ্রন্থ, আরো বিশেষ করে বললে শুধু মার্ক বা ল্যুক অধ্যায়টি) এবং মুহম্মদ ও যীশুর এর সাথে। ইমাম বা পাদ্রী তো শয়ে শয়ে পয়দা হয়। এই পয়দার রেসিপিটা দেখতে হবে। কুরাণের মুহম্মদের যাপতীয় ভুল ত্রুটি কে শয়তানের কাজ বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। বাইবেলের কোথায় সেরকমটি দেখেন? বা পুত্রবধুকে বিয়ে করার জন্য আয়াত নাজিল হয়, হাস্যকর যুক্তি দেখিয়ে (আল্লাহর এর চেয়ে ভাল কোন কাজ ছিলা না বোধহয়)। যীশুর নাবালিকা বিয়ের লালসার কথা কি আছে কোন খ্রীষ্টান বইএ? আরো অনেক কিছু এরকম বলা যায়।
আর জিন্নাহ্এর বালিকা বিবাহ (নাবালিকা ছিল না, ১৪ বছর বয়স ছিল যতদূর জানি) এর সাথে মুহম্মদের নাবালিকা বিবাহের আকাশ পাতাল ফারাক। জিন্নাহ কখনও নিজেকে মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ পথনির্দেশক বলা দাবী করেন নি। আর এই বিবাহ তাঁর পরিবার থেকে ঠিক ক্মরে দেয়া, তিনি তাঁর মায়ের বাধ্য ছেলে হয়ে তা মেনে নিয়েছিলান। মুহম্মদের মত ছল চাতুরীর আশ্রয় নেননি। একটাই বিয়ে করেছিলান। আর মুহম্মদ আরো চারটা স্ত্রী থাকা অবস্থায় ছইয় বছরের বালিকাকে নিয়ে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি দেখে সে বালিকাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেলেন। এই কি মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শকের আদর্শ, অনুসরণ করার জন্য?
@যাযাবর,
খ্রীস্ট ধর্মের কিছু মর্ষকামী ধারার সাথে যৌন অপরাধের সরাসরি সম্পর্ক আছে। বিশেষত ক্যাথলিক চার্চ এজন্য কুখ্যাত। সবকিছু সরাসরি বাইবেলে বলে দেয়া থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, বাইবেলে না বললেও বেশ কিছু পাদ্রীয় অসুস্থতা তাদের ধর্মের কারণেই ঘটেছে। এই সর্বজনবিদিত সত্যটি আদৌ বিতর্কাধীন, এতেই আমি অবাক হচ্ছি। ক্যাথলিক খ্রীস্টধর্মের যৌন কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রচণ্ড ভাবে guilt চাপিয়ে দেয়া মানুষের ওপর (বিশেষত যৌনতার কারণে, কিন্তু অন্য কারণেও) এগুলো সবই অসুস্থ প্রবণতা, এবং সৃষ্টি করে অসুস্থ মানুষের।
ইসলামের কথা বলতে হলে খ্রীস্টধর্মের কথা বলতে হবে এমন কোন কথা নেই, এধরণের ভারসাম্য-বাদ আমি প্রচণ্ড অপছন্দ করি। কিন্তু মূল প্রবন্ধেই ব্যাপারটি ছিল সরাসরি (যেটি shafiq উল্লেখ করেছেন)
শয়তানের ওপর দায়ভার চাপানোটা যেখানে বিশ্বাসী খ্রীস্টানদের মধ্যে পেশাদার পর্যায়ে চলে গেছে, সেখানে এই মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়।
@আল্লাচালাইনা,
এটা আসলে মুল বিষয় বস্তুকে ঘুরিয়ে দেয়ার একটা অপকৌশল। জোকার নায়েক তুলনামূলক ধর্ম নিয়ে জ্ঞান গর্ব বক্তৃতা দেয়ার সময় ভুলে যায় যে – যেখানে ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মকে স্বীকারই করে না ও ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম,সেখানে ইসলামের সাথে যে অন্য ধর্মের কোন তুলনামূলক আলোচনাই হতে পারে না । অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করে সহজ সরল মানুষগুলোর সর্বনাশ করে। লোকটা উপমহাদেশের মুসলমান গুলোকে পুরো গাধাতে পরিনত করে ফেলেছে।
@shafiq,
ভাইজান বোধ হয় পর্ন দেখার জন্যেই মূলত: ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ?
এত সুন্দর এস্কেপিং রুটের ব্যবস্হা থাকার পরেও তা গ্রহণ না করাটা অমার্জনীয় অপরাধ। মোল্লা সাহেবকে সঠিক মূহুর্তে সঠিক পথটি গ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন। :rose2:
@হোরাস, মোল্লারা তাহলে বেশ গ্রেম্যাটারের অধিকারী,কি বলেন? :laugh:
@হোরাস,
আপনার রসবোধের তারিফ করতে হয়।
@হোরাস, :laugh: :laugh: :laugh:
নারী বিষয়ক সংবাদ নিয়ে পর্যালোচনা করার সময় করতে পারছি না। আপনি এ নিয়ে দারুন লিখেছেন। প্রেক্ষাপটও প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যুবহুল, তবে বহুল আলোচিত।
এ ধরণের পর্যালোচনা আরও প্রত্যাশা করছি।
@গীতা দাস,
এ ধরনের আলোচনা সব সময়ই কম/বেশী চলতে থাকা উচিত। নইলে মানুষ তাড়াতাড়ি সব ভুলে যায়। আমরা বড় ভুলোমনা জাতি যে ! তা ছাড়া নিত্য নতুন পাঠকের আগমন ঘটে। তাদেরও তো বিষয়গুলো জানা দরকার।
@ভবঘুরে,
একমত।
যীশু খৃষ্টেরও আয়েশার মত কোন কাহিনী থাকলে কি পাদ্রী যাজকদের এই জাতীয় কাজ কারবারের দায় যীশুর উপর চাপিয়ে দিতেন?
সহি ইসলাম অনুযায়ী নারী জাতি সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন, মানি। আয়েশাকে নবী মোহাম্মদ সেকালের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিবাহ করেছিলেন। কোন সন্দেহ নেই সে ঘটনা তার নওবুয়ত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি যুগের বাজে কালচার থেকে মুক্ত ছিলেন না তা এ ঘটনা প্রমান করে। তবে সেটাকে ধর্ষন কিভাবে বলা যায় বা এই মোল্লার আলোচ্য ঘটনার সাথে তূলনা করা যায় আমি বুঝি না। এই মোল্লা কি সে মেয়ের বাবা মার কাছে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেছিল, নাকি নবী মোহাম্মদ আয়েশার সাথে বলপূর্বক কিছু করেছিলেন? উনি যেভাবেই হোক বা আজকের দিনে যতই বাজে শোনাক সে যুগের প্রচলিত নিয়ম মেনেই আয়েশাকে বিবাহ করেছিলেন।
বদ কাজ করলে মানুষ সব সময়ই তার দায় অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে মোল্লা সাহেব বেছে নিয়েছেন শয়তানকে। বলতেই হবে যে এই ধারনা ইসলামেই আছে, যাবতীয় সব কুকাজের কুমন্ত্রনা দেয় শয়তান। তবে এই ছূতায় অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে শয়তানের উপর যাবতীয় দায় চাপানোর তরিকা কি ইসলাম দেয়? আমি তো তেমন কিছু জানি না। কাজেই এই লোকের দাবীর প্রতি গুরুত্ব দেবার কি আছে?
গুরুত্ব দেবার থাকত যদি আইন আদালত সেটা গ্রহন করত। তা কি হবে? শুনেছি সৌদী আরবে নাকি যাদূ টোনা জ্বীনে ধরা এসব আদালত স্বীকৃত। আপনি কাউকে যাদু টোনা করেছেন এই মর্মে আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় এবং তার শাস্তিও হতে পারে। আমাদের দেশে তো এসব আলামত অন্তত নেই।
@আদিল মাহমুদ,
মিলটা হলো -মোহাম্মদ ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে যৌন সঙ্গম করে যা বর্তমান কালে নাবালিকা ধর্ষণের মারাত্মক অপরাধে দুষ্ট (বিবাহ করে হলেও) আর আলোচ্য ইমাম ৮ বছরের নাবালিকাকে বাস্তবেই ধর্ষন করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছে।
অমিলটা হলো- মোহাম্মদ ছলা কলা করে আয়শাকে বিয়ে করে কাজটা করেছিল ,যেখানে ইমাম বিয়ে না করেই কাজটা করে অপরাধ করেছে, আর সে অপরাধের দায়ভার অত:পর শয়তানের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। যদি মোহাম্মদ আলোচ্য ইমামের মত আয়শাকে বিয়ে না করে ধর্ষণ করত তাহলে নির্ঘাত সে আল্লাহর কাছ থেকে ওহি নাজিল করে তাকে বৈধ করে নিত যেটা সে পালক পুত্রবধু জয়নাবকে বিয়ে করতে গিয়ে করেছে। এছাড়া বন্দী নারীদেরকে বিয়ে ছাড়াই ধর্ষণ করার মত বিধান মোহাম্মদ কিন্তু আল্লাহর ওহীর মাধ্যমেই জায়েজ করেছে। সেখানে আলোচ্য ইমামের এ ধরনের ওহী নাজিলের সুযোগ নেই। এটাই হলো অমিল।
@ভবঘুরে,
আমি নবীর পক্ষে বা বিপক্ষে না গিয়ে স্রেফ যুক্তির চোখে ব্যাপারটা দেখার চেষ্টা করছি।
নবীজি আয়েশাকে বিবাহের ব্যাপারে ছলা কলা করছিলেন তা হাদীস নিরপেক্ষ মনে পড়লে মনে হতে বাধ্য। একমত। এতেও একমত যে যুদ্ধবন্দী মহিলাদের ভোগ্যপন্য হিসাবে ব্যাবহারের বিধান কোরানেই পরিষ্কার আছে। বেশ কিছু হাদীসে তার স্বাক্ষ্যও আছে। নিঃসন্দেহে এসব আধুনিক মানবতার সংজ্ঞানুযায়ী বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে তারপরেও বলতে হয় যে আয়েশাকে তিনি ধর্ষন করেননি, ক্রীতদাসী হিসেবেও ভাগে পাননি। ছলা কলা করে হলেও, তার পিতার সম্মতিতেই বিবাহ করেছিলেন। এই যুগেও আমাদের চার পাশেই এমন অনেকই হয়। প্রথমে হয়ত মেয়ে বা মেয়ের বাবা মা রাজী না, ছেলে অনেক ছলা কলা করে বিয়ে করল। বাবা মা প্রথমে অমত থাকলেও পরে মত দিল। এসব বিয়ে কে কি ধর্ষন বলা চলে?
এই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে আয়েশার ঘটনা শুধু ধর্ষনই নয়, শিশু নির্যাতন বলেও গণ্য হবে তবে সেই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে আয়েশার সাথে ওনার সম্পর্ককে আমি বিবাহই বলব, ধর্ষন নয়। মানুষ তার যুগের কাছে সীমাবদ্ধ। আমরাও হয়ত এই যুগে এমন বেশ কিছু আচরন নির্ধ্বিধায় করে যাচ্ছি যা ১০০০ বছর পরে অমানবিক মনে হবে।
আয়েশাকে বিবাহ না করে ধর্ষন করলে কি হত তা হয়নি, পুরোপুরি হাইপোথিটিক্যাল। আলোচ্য ঘটনার সাথে যোগ আছে বলে মনে হয় না।
আলোচ্য ইমাম কি একবারও বলেছে যে সে নবীজির বিবি আয়েশাকে বিবাহ ঘটনা থেকে অনুপ্রানিত হয়েছে? সে তো উলটো দোষ দিয়েছে শয়তানকে। সে আয়েশার উদাহরন টানলে তর্কের খাতিরে না হয় মানা যেত যে আয়েশার ঘটনার কিছু হলেও যোগ আছে।
@আদিল মাহমুদ,
এত কিছু পড়ে ধর্ষণ কাকে বলে তাই পরিস্কার হল না। আমি তো জানতাম কোন মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সঙ্গম করলেই সেটাকে ধর্ষণ বলা হয়। ইহা হতে পারে কোন যুবতী মহিলার ক্ষেত্রে,কোন শিশুর ক্ষেত্রে এমনকি নিজের স্ত্রীর ক্ষেত্রেও। কিন্তু এখানে দেখছি মুহম্মদ(সঃ) ৯ বছরের শিশু কন্যাকে বিয়ে করে সঙ্গম করেছেন, তাই এটাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। তাহলে কি শিশু কন্যাটির(বিবি আয়েশা)সম্মতিতেই মুহম্মদ(সঃ) তাকে সঙ্গম করেছিলেন? ৯ বছরের কোন শিশু কী সঙ্গম অর্থ বোঝে? যদি নাই বোঝে তাহলে সে সম্মতি দিবে কিভাবে? আবার
এই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে যদি সেটা শুধু ধর্ষণই নয় শিশু নির্যাতনই বোঝায়,তাহলে মুহম্মদের(সঃ) কাজকর্ম অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত বা একেবারে আখেরাতের পূর্ব পর্যন্ত অনুসরণীয় হবে কেন? আমরা সেই যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিনা কেন?
@বোকা বলাকা,
“এই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে যদি সেটা শুধু ধর্ষণই নয় শিশু নির্যাতনই বোঝায়,তাহলে মুহম্মদের(সঃ) কাজকর্ম অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত বা একেবারে আখেরাতের পূর্ব পর্যন্ত অনুসরণীয় হবে কেন? আমরা সেই যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিনা কেন?”
:yes:
আমারও ঠিক এটাই মনে এসেছিল।
@বোকা বলাকা,
এই ফালতু বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করতে আমার আর রুচি ছিল না। তব আপনার সাথে যেহেতু আগে তথা হয়নি তাই কিছুটা দায় অনুভব করছি।
সেকালের আরবে যতটুক জানি, (শুধু সেকালের আরব কেন, একালের আরব বা এমনকি বাংলাদেশেও এমন ঘটে)। মেয়েদের মতামতের কোন তোয়াক্কা না করেই বিয়ে দেওয়া হয় বা হত। নিঃসন্দেহে বহু মেয়ের মতের বাইরেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়, কাজেই মতামতের তথা উঠলে এ যুগেও তেমন ধর্ষন অহরহই চলছে। শিশু কেন? বড়দেরো মতের বাইরে বিয়ে দিলে তো ধর্ষনই হবার কথা আসলেই। কথা ঠিকই আছে। তবে মুশকিল হল একে সামাজিক ভাবে ধর্ষন বলা হয় না। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে গিয়ে দেখেন ১০/১২ বছরের মেয়ে বিয়ে দেওয়া এখনো আকছারই চলছে। সেসব মেয়েদের স্বামীদের ধর্ষনকারী বলে গ্রেফতার করা হয় বলে জানি না। রবীন্দ্র সংগীত আমার খুবই প্রিয়, তবে এখন থেকে ওনার গানও শুনতে গেলে কেবল মনে পড়বে যে আমি একজন শিশু ধর্ষনকারীর গান শুনছি। খুব মুশকিলে ফেললেন। দয়া করে এখন আবার রবীন্দ্রনাথ নিজেকে নবী দাবী করেননি এসব বলতে আসবেন না। কে নবী আর কে সাধারন মানুষ তা আমার কাছে বিবেচ্য না। আমি মোহাম্মদকে নবী দাবী করছি না। দুজনের শুধু একই প্রথা পালন করেছিলেন সেটই বলি। একজন শিশু ধর্ষনকারী হলে আরেকজনও একই যুক্তিতে তাই হবেন। বলতে গেলে সে হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে বরং আরো বড় অপরাধী সেক্ষাত্রে আমি বলব, কারন তার সময় আরো অনেক বেশী আধুনিক। রবীন্দ্রনাথের এত বড় জঘণ্য অপরাধ নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না, এমনকি উচ্চারনও করেন না। বিষয়টা আপনার কাছে আশ্চর্যকর লাগে না? ব্যাক্তিত্বই হোন না কেন তাকে কি এভাবে ছাড় দেওয়া উচিত?
আমার নিজের পরিবারেই এরকম বেশ কিছু ধর্ষনকারী বহাল তবিয়তেই আছেন। আমার নিজ পিতৃদেব যখন মাতাকে বিবাহ করেন তখন মাতার বয়স ১৫, আজকের ষ্ট্যান্ডার্ডে তিনিও আন্ডার এজ ছিলেন। অতএব আর যায় কোথায়, আমার বাবা ধর্ষনকারী? ওনাদের যুগে ওনার আরো বন্ধুবান্ধব ১০/১২ বছরের মেয়ে বিয়ে করেছিলেন। তারা সবাই যে ধর্মিক তা নয়, এদেরও অনেকেই ধর্ম কর্মের ধারও ধারতেন না। বাবা মরে বেচে গেছেন, তবে জীবিত শিশু ধর্ষনকারীদের তো ধরে ধরে ইচ্ছে করছে এখন জেলে পুরে দেই।
– এ কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করার মানে কি বুঝলাম না। আমি কি দাবী করেছি যে মুহম্মদের(সঃ) কাজকর্ম অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত বা একেবারে আখেরাতের পূর্ব পর্যন্ত অনুসরণীয়? তেমন কিছু আপনার চোখে পড়লে দেখান। এখানেও বলেছি যে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে তার নবী ইমেজে জল ঢেলে দিয়েছে।
আর আমার শেষ একটি উদাহারন শোনেন ঠান্ডা মাথায়। ৭০ দশকের পুরনো দিনের অতি স্মার্ট ফিল্মী নায়ক কারো ছবি দেখেন। দেখবেন যে ৩৬ ইঞ্চি বহরের বেল বটম প্যান্ট ও আরো হাস্যকর পোষাক পরে আছে দেখলে এখন হাসি আসবে। তবে এই আমলে আমাদের হাসি পেলেও আমরা বলি না যে নায়ক ব্যাটা কেমন খেত। বলি কি? যে সময়ের যা চল তার বিচার সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতেই হয়।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত কিন্তু মুহম্মদ(স) যখন নিজেকে আল্লার দূত হিসেবে পরিচয় দিয়ে সর্বকালের মানুষদের আরাধ্য করে তোলে তখনই খটকাটা লাগে। আপনার মূল্যবান লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@বোকা বলাকা,
তার মাঝে খটকার কিছু নেই। কয়েকটি সম্ভাবনা আছে।
১। ওনাকে জড়িত এসব ইতিহাস বানোয়াট? (সেক্ষেত্রে সত্য ইতিহাস কি তার কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমান নেই, কারন ওনার সম্পর্কে প্রচলিত কোন কিছুরই আর ক্রেডিবলিটি থাকে না। কেবলোনার ভাল কিছু হলে বিনা প্রশ্নে শুদ্ধ আর আপত্তিকর কিছু হলেই বানোয়াট ষড়যন্ত্র এমন তালগাছ মার্কা কথাবার্তা কোন যুক্তিই না।)
২। ওনাকে শেষ নবী হিসেবে দাবী করে যা প্রচলিত আছে যে ওনার সুন্নাহ মেনে চলতে হবে এই ধারনা ভুল।
এসব কাহিনী সত্য হয়ে থাকলে উনি আল্লাহর নবী যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ, যাকে বিনা প্রশ্নে অনুসরন করা সবার কর্তব্য এইসব ধারনা বিশ্বাস করে থাকা অত্যাশ্চর্য বলতেই হবে।
@আদিল মাহমুদ,
ইসলামে ধর্ষিতাকেই বরং শাস্তি দেয়া হয়, অপমানিত হয়,ধর্ষক অনেক কমে পার পেয়ে যায়। বাংলাদেশে গ্রামের মোল্লা সালিশ ছেলেদের নাম কে ওয়াস্তে শাস্তি দিয়ে ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ এগিয়ে এসে আগেই ধরে ফেলাতে সালিশের হস্তক্ষেপে যেতে পারেনি বলেই রক্ষা। ইসলামী দেশে শরিয়া আইনে এরকম অপরাধে ইমামের শাস্তির কোন নজীর কি আছে কি?
@যাযাবর,
আপনার কথা ব্যাবহারিক অর্থে সঠিক বলতে হয়।
তবে থিয়োরিটিক্যালী ইসলাম ধর্ষিতাকে শাস্তি দেবার কথা কিন্তু বলে না। ধর্ষন প্রমানিত হলে কিন্তু দায়ী পুরুষকে শাস্তির বিধান আছে। ইসলাম বলে যে ধর্ষিতা ধর্ষন প্রমানে ব্যার্থ হলে তারপর তাকে শাস্তি দিতে। মুশকিল হল ধর্ষন প্রমানের যে সব প্রাচীনপন্থী তরিকা ইসলাম বাতলেছে তাতে ধর্ষন প্রমান করা একটা মেয়ের জন্য আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভব ব্যাপার। কেউ কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষনের মিথ্যা অভিযোগ আনলে তা নিশ্চয়ই শাস্তিযোগ্য। মুশকিল হল পুরুষ শাসিত ততকালীন আরবে ধর্ষন প্রমানের যে উপায় নাজিল হয়েছে তা প্রায় অবাস্তব একটা পন্থা।
এই সোজা ব্যাপার মোল্লা শাসিত তথাকথিত মুসলমান দেশের লোকের মাথায় ঢোকে না। এর দায় অবশ্যই ইসলামের মূলনীতির উপর পড়ে, শুধু মোল্লাদের উপর নয় তা মানি। কোরান হাদীস ১০০% মেনে চলতে হবে এই আজন্ম লালিত বদ্ধমূল ধারনা থেকেই যাবতীয় সমস্যার শুরু।
@আদিল মাহমুদ,
“কোরান হাদীস ১০০% মেনে চলতে হবে এই আজন্ম লালিত বদ্ধমূল ধারনা থেকেই যাবতীয় সমস্যার শুরু।”
:yes:
@যাযাবর,
নিচের হাদিসটা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো কথাটা বলে:
ধর্ষিতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষককে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে।
@anti bhondo,
সেই মোহাম্মদই আবার যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে অকাতরে ধর্ষণ করার বানী আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দেয়। তাহলে আপনার উপরোক্ত হাদিসের মাহাত্ম আর থাকল কোথায়? অনেক পেশাদার খুনীও দেখবেন কখনও কখনও বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করে। সেটা করে বলে তাকে কি মহান মানুষ হিসাবে আখ্যায়িত করতে হবে নাকি ? আর মোহাম্মদ যেহেতু একটা ধর্মের প্রবর্তক, তাকে তো মাঝে মাঝে ভাল কাজ করতেই হয়, না করলে মানুষ তাকে মানবে কেন ? কিন্তু সেই ভাল কাজ দিয়ে তো আর খারাপ কাজ গুলোকে ঢাকা যাবে না , তাই না ? কেন ঢাকা যাবে না ? কারন সেই ব্যক্তি দাবী করছে সে সারা দুনিয়ার মানবজাতির কাছে সর্বকালের জন্য আদর্শ। সুতরাং তার প্রতিটি কর্মকান্ডকে প্রত্যেক যুগের মানদন্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে। সেই ১৪০০ বছর আগে শিশু বিয়ে চালু ছিল বলে মোহাম্মদের শিশু বিয়েকে জায়েজ করলে বলতেই হবে মোহাম্মদ বর্তমান যুগের মানদন্ডের পরীক্ষায় মারাত্মক ভাবে ফেল করেছে আর তাই তার আদর্শ ও শিক্ষা বর্তমান যুগের জন্য অচল।
@ভবঘুরে,
কোন সেই বাণী যে বাণীতে বলা হয়েছে “যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে অকাতরে ধর্ষণ “ করো?
@এন্টাইভণ্ড,
এই মুক্তমনাতেই খোজ করুন , পেয়ে যাবেন। বার বার একই বিষয়ে উত্তর দিতে বিরক্ত লাগে।
@ভবঘুরে,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@এন্টাইভণ্ড,
সুরা ২৩:৫-৬ আর সুরা ৭০:৩০ দ্রঃ এই দু জায়গাতেই স্ত্রী “ও” যুদ্ধবন্দী/দাশী বলা হয়েছে, অর্থাৎ যুদ্ধবন্দী/দাশী কে বিয়ে না করেই সঙ্গম করা যাবে। মতের বিরুদ্ধে সঙ্গম করাকে ধর্ষণ আর স্ত্রী বাদে কাউকে সম্মতিতে সঙ্গম করলে ও সেটাকে ব্যাভিচারই বলে। কিন্তু কি কৌশলেই আয়াতের দ্বারা ব্যভিচার/ধর্ষণকে জায়েজীকরণ করা হল। যুদ্ধবন্দী বা দাশীদের মতের তোয়াক্কা যে করাই হত না সেটা বলাই বাহুল্য। ধর্ষন বলে কোন ধারণাই বোধহয় ছিল না নবী বা মুমিনদের অভিধানে সেযুগে।
@ভবঘুরে,
সহমত।
যে ব্যক্তি নিজেকে “সর্বকালের জন্য আদর্শ মানব” বলে দাবী করে “তাকে সৃষ্টি না করলে বিশ্ব ব্রম্মান্ডের কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না” বলে প্রচার করে; সে ব্যক্তির কাজ কারবার যদি হয় তার সমসাময়িক মানুষদেরই মত/কিংবা তাদের চেয়েও খারাব তাকে আর যাই বলা যাক, মহামানব বলা যায় না।
@anti bhondo,
সহী বুখারী বা সহী মুসলীম কোনটাতেই এই হাদীস নেই। এই দুটোকে প্রকৃত সহী হাদীস বলা হয়। সুন্না দাউদ যদিও সিহাহ সিত্তার মধ্যে পড়ে কিন্তু সহী নয়, যার জন্য তাকে সহী দাউদ বলা হয় না। ইসলামিস্টরাই সহী বুখারীকে প্রকৃত আর বাকী সব গুলোকে নাকচ করে দেয় (অবশ্য যখন সুবিধে হয় তখন অবস্থান বদলাতে কুন্ঠাবোধ করে না)।
@যাযাবর,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
আজকে আপনি আর ভবঘুরে আমাকে বেশ বিনোদন দিলেন। আপনি নিশ্চয়ই কৌতুক করেছেন, তাই না? যখন আলোচনার ইচ্ছে হবে, বলবেন, ঠিকাছে?
হাসানোর জন্য ধন্যবাদ।
@এন্টাইভণ্ড,
ধীরে বন্ধু ধীরে, not so fast!
“হা হা প গে” এর উপরে ভুল অংশ কুয়োট করলেন স্যর। নীচের অংশটা কুয়োট করলেই সঠিক হত
এবারে আসি কাজের কথায়।
১। http://en.wikipedia.org/wiki/Six_major_Hadith_collections
They are sometimes (erroneously) referred to as Al-Sihah al-Sittah, which translates to “The Authentic Six”.
erroneously -> ভুল করে। (ছয়টার সবগুলোই সহী নয়)
২। http://en.wikipedia.org/wiki/Sunan_Abu_Dawood
Abu Dawood declared some of Hadiths in his book to be
unauthentic, which makes his book different from
Sahih Bukhari and Sahih Muslim
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Hadith_terminology
A number of books were authored in which the author
stipulated the inclusion of only sahih hadith. Only
the first two are considered to have achieved this
(অর্থাৎ শুধু শুধু বুখারী আর মুসলীম সহী)
@যাযাবর,
আপনি বলেছিলেন,
তো আমরা এই হাদিস থেকে প্রমাণ করলাম যে ইসলামে ধর্ষিতাকে কিছুই বলা হয় না। আর ধর্ষককে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়।
শুধু তাই না, চারজন সাক্ষীর যে ব্যাপারটা থাকে, এখানে এমনকী সেটাও দেখা গেল না।
আশা করি একজন মুক্তমনা হিসেবে আপনার ভেতরে এই মানসিকতা ডেভেলপ করেছে যে ভুল করলে সেই ভুল ধরিয়ে দেবার পর স্বীকার করতে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
এই মোল্লা যদি মেয়ের বাবা মার কাছে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে যেত সে প্রস্তাব কখনও গ্রহনযোগ্য হতোনা, তাই বলপূর্বক ধর্ষন ছাড়া উপায় ছিলনা। কিন্তু আয়েশাকে পাওয়ার জন্য নবী মোহাম্মদ জানতেন যে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলে যে কোন উপায়ে তা গ্রহনযোগ্য করানো হবে, কারন সে ক্ষমতা উনার আছে। এখানে নবী আর ঐ মোল্লার মনের ইচ্ছা বা ভাবনাগুলোর মধ্যে কোন তফাৎ নাই, খালি বাস্তবায়নের পদ্ধতি ভিন্ন। নাবালিকা বিয়ে আর নাবালিকা ধর্ষন একই ইচ্ছার দুটো ভিন্ন রুপ এবং এর কন্সিকোয়েন্স যে কোন যুগে যে কোন সমাজে একই হতে বাধ্য।
@ব্রাইট স্মাইল্,
:yes:
@ব্রাইট স্মাইল্,
শিশু ধর্ষন কি আর অন্য কোন লোকে করে না? শুধু মোল্লা বা যাজকেরাই করে?
তারাও নবীজির শিক্ষায় দিক্ষীত হয়ে শিশু ধর্ষন ঘটায়?
আলোচ্য মোল্লা কেবল টুপি দাড়ি পরে ও মসজিদের ঈমাম বলেই এই এনালজি টানতে হবে?
এমনকি রহিম করিমের মত সাধারন মুসলমানেও এই কাজ করলে কেউই বিবি আয়েশার ঘটনা মনে হয় না টানতেন বলে। এই রকম প্রতিদিনই পত্রিকায় কত আসে।
উক্ত মোল্লা দায় দিয়েছে শয়তানের। ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখতে গেলে আলোচনা হতে পারে সেদিক থেকে। সে কি বলেছে যে আমি নবীজির বিবি আয়েশাকে বিবাহের মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই কাজ করেছি? এই যুগে কোন পাগলেও এমন দাবী করবে?
@আদিল মাহমুদ,
একমত।
@আদিল মাহমুদ,
শুধু এ জন্য এই এনালজি টানা নয়। বরং মোল্লা মওলানাদের মধ্যে বিকৃত যৌন রূচি বেশি দেখা যায় বলেই এই এনালজি টানা। মোল্লা মওলানারা মানুষকে সততার পথে পরিচালিত করে বলে দাবি করে থাকে। তাদের মধ্যে এই নৈতিক অধঃপতন যখন অধিক হারে দেখা যায়, তখন সন্দেহ হয়। জানতে ইচ্ছা করে, তারা এসব কাজের অনুপ্রেরণা কোথায় পায়? খুঁজতে খুঁজতে দেখা যায়, The One and Only মোহাম্মদই হল সকল অপরাধের অনুপ্রেরণা!
এ ধরণের আরও একটি ঘটনা পড়ুন।
@আদিল মাহমুদ,
না এবং না । কিন্তু কেন এই অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ? কে এই কথাগুলি বলেছে? প্রসঙ্গের বাইরে যাওয়াটা তো জানতাম ইসলামিস্টদের কৌশল।
মূল লেখক আর ব্রাইট স্মাইল কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা স্পষ্ট। এক হল এই ইমাম আর মোহাম্মদের মধ্যে উদ্দেশ্যগত কোন পার্থক্য নেই। কৌশলগত পার্থক্যটা মুহম্মদের ক্ষমতার জন্য। কাজেই মুহম্মদ এই কাজ করেও সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে পার পেয়ে গেলেন অহীর বদৌলতে আর এই হতভাগা ইমাম সেরকম কোন ছল চাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে ডিরেক্ট অ্যাকশনে নেমে গিয়ে ধিকৃত হল। কপটতা আর কাকে বলে।
আর কেনই বা টানবে। ইমামরা হলেন জীবন যাপনের সর্বোত্তম পন্থা ইসলামের শিক্ষক। তারা এই কাজ করলেই না এটা টানা অর্থবহ হয়। রাম করিমেরা তো লক্ষ লক্ষ ছাত্রকে জীবন যাপনের সর্বোত্তম পন্থা ইসলাম শেখায় না। আর ইমামেরা নবীর জীবনী আদ্যোপান্ত জানে এবং নবীজীর জীবনকে আদর্শ মনে করে সচেতনভাবে না হোক অবচেতনভাবে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা ছাত্ররাও নবীর জীবনী ও আদর্শ শিখছে। নবীর এই ঘটনা তাদের মনে একেবারি কোন প্রভাব ফেলবে না মনে করা এক নির্বোধ সরলতা।
@যাযাবর,
এ জাতীয় খবর প্রায়ই বিদেশের মিডিয়ায়ও আসে, অমূক পাদ্রী বা যাজক এ জাতীয় কাজ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। স্বভাবতই এই জাতীয় খবরে আলোড়ন ওঠে। ওঠারই কথা। ধর্মের দাবী হল নৈতিকতা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে। সেই তারা যখন এসব করতে গিয়ে ধরা খান তো মানুষ খেপবেই। তাই বলে কেউ এসব ঘটনার সাথে উপযুক্ত কারন না থাকলে ধর্মের সম্পর্ক খুজতে যায় না। দায় ব্যাক্তির ওপরেই দেয়। কেউ খোজ করতে যায় না বাইবেলে নারীকে কি চোখে দেখা হয়েছে বা এমন কিছু।
এসব মোল্লা আলেম পশ্চাতপদ হতে পারে, হতে পারে মৌলবাদী, নারী বিদ্বেষী। সেসব শিক্ষা নিঃসন্দেহে তারা তাদের ছাত্রদের মাঝেও দেয়। তাই বলে তারা মাদ্রাসার ছাত্রদের শিশু ধর্ষনের শিক্ষা দেয় এমন ভাবনা বাড়াবাড়ি।
আপনাদের কথা মেনে নিতাম যদি এমন কোন পরিসংখ্যান দেখাতে পারেন যেটা প্রকাশ করে যে শিশু ধর্ষকের তালিকায় মোল্লা মাওলানাদের সংখ্যা অন্য লোকের তূলনায় অস্বাভাবিক রকমের বেশী। মোল্লা মাওলানাদের এই জাতীয় খবর মাঝেই মাঝেই চোখে পড়ে সেটা ঠিক, তাই বলে সে সব বিচ্ছিন্ন কোন খবরের ভিত্তিতে বলা যায় না যে সমাজে শুধু মোল্লা আলেম মাওলানারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বেড়াচ্ছেন। বলা যায় কি?
আমার জানা মতে তেমন কোন ষ্ট্যাটিসটিক্যাল রেকর্ড নেই। শিশু ধর্ষন বিশ্বের সব দেশেই একটি অন্যতম মারাত্মক অপরাধ। আর মোট মোল্লাদের ভেতর এই জাতীয় অপরাধ কতজন করে তারই বা কি কোন পরিসংখ্যান বা অন্তত ধারনা পাওয়া যায় এমন কোন সূত্রও আছে?
তেমন কিছু দেখা ছাড়া কিভাবে আমি বলি যে একজন মোল্লার বা মুসলমানের একজন নন-মুসলিমের তূলনায় শিশু ধর্ষন প্রবনতা বেশী? তার পরেই না দেখার বিষয় মোল্লা মাওলানাদের এমন প্রবনতার পেছনে ধর্মের ভূমিকা কতটুকু সেটা।
অন্য লোকের কথা তোলা আপনার কাছে অপ্রাসংগিক মনে হল কেন? নন-মুসলিমদের সাথে তূলনা না করলে আমি কেমন করে বুঝব এই অপরাধে আপনাদের দাবীমত ধর্ম বা নবীজির আদর্শের কোন ভূমিকা আছে?
@আদিল মাহমুদ,
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় আপনি এত কিছু দেখা এবং বুঝার পরও কেন শক্ত করে মুখ খোলছেন না। আপনি নিশ্চই জানেন, ইসলামের বড় মাহজাব হানেফি, শাফেয়ী, মালেকি, হাম্বলী এবং ইভেন সালাফি দের দৃষ্টিতে ধর্ষনের শাস্তি পাথর ছুড়ে মৃত্যু দন্ড, যদিও কিছু সংখ্যক ফিকাহ বিদ এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু ঘটনা যাইহোক, কোন ইসলামী আইনবিদদের দৃষ্টিতেই এটি সামান্য অপরাদ হিসাবে ধরা হয় না। এ-সব এখানে বলে লাভ নেই, হয়ত আপনি নুতুন কোন যুক্তি নিয়ে আসবেন। আমি এখন তর্ক করতে চাই না, কিন্তু আমি যা বুঝাতে চেয়েছি, তা নিশ্চই বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
আপনার বক্তব্য ধরতে পারলাম না।
ধর্ষন ইসলামে খুব বড় অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় জানি। কেবল মুশকিল হল ধর্ষন প্রমানের যে উপায় ইসলামে বাতলানো আছে তা খুবই অবাস্তব এবং সম্পূর্ন অচল। এই তরিকার উপর ভিত্তি করে বিচার আচার চালাতে গেলে যা হবার শরিয়া ওয়ালা দেশগুলিতে তাইই হয়। অপরাধী পুরুষ ছাড়া পেয়ে যায় আর নিরপরাধ ধর্ষিতা মহিলা শাস্তি পায়।
এর মানেই এই না যে ইসলাম ধর্ষন জায়েয করে। আর আলোচ্য ইমামের ঘটনার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষনের শীর্ষ তালিকায় থাকা দেশগুলির ভেতর কোন মুসলমান দেশের নাম সম্ভবত নেই। এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে জানতে ইচ্ছে করে। আমি জানি না যেসব নন-মুসলিম দেশ ধর্ষন তালিকায় শীর্ষে আছে তারা বিবি আয়েশার ঘটনা কিংবা যুদ্ধবন্দীদের ধর্ষনের ইসলামী তরিকা থেকেই শিক্ষা নেয় কিনা।
তর্ক হতে পারে যে মুসলমান দেশগুলিতে এসব অনেক গোপন করা হয়, তবে ষ্ট্যাটিস্টিক্স থেকে অন্তত মোটামুটি ধারনা তো পাওয়া যায়।
ইসলামকে আমি যুগের চোখে বাতিল এবং অসম্পূর্ন ব্যাবস্থা হিসেবেই যুক্তির চোখে দেখি। তবে তার মানে এই না যে যুক্তির নামে অবান্তর কথা বলব। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বালিকা বিবাহ করলে তার দায় নবী মোহাম্মদের আর রবী ঠাকুর বাল্য বিবাহ করলে তিনি যুগের প্রথা পালন করেছেন মাত্র এমন ধরনের এক পেশে যুক্তিতে আমি বিশ্বাসী না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার যে সমস্যা,সব মডারেট মুসলিম এবং কিছু ইসলামপন্থী নাস্তিকেরও একই সমস্যা। আপনার কথা এক দিক থেকে সত্য। কোন সভ্য সমাজেই এ ধরনের কিছু হতে পারে না। ঠিক আছে,কিন্তু আপনি আয়নার অন্য পিঠটা দেখতে পেলেন না। মাদ্রসায় বলা হয় না নাবালিকা গমন কর,ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে শেখানো হয়,মুহম্মদ শুধু পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষই নয়, বরং আল্লাহর বন্ধু। তার সবকিছুই মেনে চলা সুন্নাত। একথা কি কোনো আলেম ইমাম বলবে যে নবীজির কিছু ব্যাপার মেনে চলা উচিত না?? নিশ্চয়ই এ ধরনের কথা বলার সাহস কারও নেই। সুতরাং,তার কর্মকান্ড কেউ যদি অনুসরন করতে যায়,তার থেকে আপনি মুহম্মদ এবং মাদ্রাসা,দুটোকে দায়মুক্ত কিভাবে করবেন?? আপনি বলবেন,তাহলে অন্য ধর্মাবলম্বীরা কি একই অনুপ্রেরনা থেকে করে? আপনার প্রশ্নটা কিছুটা ইডিয়টিক হয়ে গেল। আমেরিকায় একজন খুনী যে কারনে খুন করে,বাংলাদেশে কি একই কারণে খুন করবে? কিন্তু খুন তো দুই জায়গায়ই হচ্ছে। খ্রিষ্টান যাজকদের কুকর্মের পেছনে মূলত নারীসংগবিমুখ চার্চের নীতিই দায়ী। কিন্তু মোল্লাদের তো মোহাম্মদ নারীবিমুখ করেননি,বরং সকাল বিকেল সন্ধেবেলা,যাতে ফ্রেশফুড পাওয়া যায় সেই ব্যবস্তা করে রেখেছেন। তারপরও তাদের এই কীর্তি অবশ্যই আলাদা করে সমালোচনা আশা করে।
@আদিল মাহমুদ,
ধর্ষন যদি ইসলামে খুব বড় অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তাহলে ধর্ষন প্রমানের যে উপায় ইসলামে বাতলানো আছে তা অবাস্তব হয়ে যায় কি কারনে? কাজটিকে বড় অপরাধ হিসেবে গন্য করা হলো আর কাজটি প্রমানের উপায়টি বাস্তবায়ন করার বেলায় অবাস্তবতার পরিচয় দিল? অবাস্তব বললে মনে হয় বিষয়টি অজ্ঞতা বশত হয়েছে বা সে যুগে ধর্ষন সম্পর্কে লোকজন খুব ভালোভাবে ওয়াকিবহাল ছিলোনা তাই ধর্ষন প্রমানের উপায়গুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আসলে এটা হলো ‘জাতে মাতাল তালে ঠিক’ -এর নমুনা। বিচারটিকে এমনই কায়দা করে করানো হয় যে পুরুষ ছাড়া পেয়ে যায়। শারিয়া পালনকারী দেশগুলিতে অপরাধী পুরুষ ছাড়া পেয়ে যায় কেন? কারন শরিয়া আইনে পুরুষ মানুষের জন্য ধর্ষন অপরাধ বলে বিবেচিত হয়না, শরিয়া মোতাবেক এটা ধর্ষিতা মহিলারই অপরাধ। আর সে জন্যই শরিয়া আইনের অনুসারী ঐ ইমাম মনে মনে নিজকে নির্দোষ হিসাবেই মানে। কোন অপরাধবোধ তার মধ্যে কাজ করেনা।
@আদিল মাহমুদ,
“ধর্ষন ইসলামে খুব বড় অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় জানি। কেবল মুশকিল হল ধর্ষন প্রমানের যে উপায় ইসলামে বাতলানো আছে তা খুবই অবাস্তব এবং সম্পূর্ন অচল। ”
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ধর্মে এমন “অবাস্তব” ও “অচল” উপায় আপনি খুঁজে বের করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন, এজন্য যদি এখন আপনার মাথায় দাম ধার্য করা হয়- কি করবেন?! 🙂
@আদিল মাহমুদ,
আবারও Straw man খাড়া করে অভিযোগ করছেন। কে একথা বলছে? আপনি ভবঘুরের বক্তব্যের মূল কথা বা ব্রাইট স্মাইল আর আমার মন্তব্য বুঝতেই পারছেন বা বুঝতে চাচ্ছেন না। এই ইমাম দিয়ে কথা শুরু হলেও ভবঘুরের মূল বক্তব্য ছিল (১) কুরাণে নবীর সব ভুল ভ্রান্তির দায় শয়তানের উপর চাপিয়ে দেয়াটা এই ইমামের তার ধর্ষনের দায় শয়তানের উপর চাপিয়ে দেয়ার মূল প্রেরণা (২) নবীর বালিকা বিবাহ আর ইমামের বালিকা ধর্ষনের মধ্যে বিরাট কোন ফারাক নেই। এই ব্যাপারে ব্রাইট স্মাইলের মন্তব্য আবার পড়ুন, যদি আন্তরিক হোন। (৩) যেটাতে আমিও জোর দিয়েছি সেটা হল যেখানে মুসলিমেরা (মডারেটরাও) দাবী করে যে ইসলাম সুন্দর জীবন যাপনের সর্বোত্তম উপায় আর ইসলাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সেখানে এই ধর্মের শিক্ষক/প্রচারক ইমামেরাই যদি বালিকা ধর্ষণ করে, তাহলে এই দাবীর অসারতা মোক্ষম্ভাবে প্রমাণিত করে। (৪) এটা আমার মূল কথা, যেখানে মাদ্রাসায় লক্ষ লক্ষ ছাত্র ইসলামী শিক্ষা পাচ্ছে, এটাই প্রত্যাশিত যে তারা নবীর ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ের কথাও জানবে (হাদিস বাধ্যতামূলক মাদ্রাসায়) আর জয়নাবের স্ত্রীকে নবীর বিয়ের জায়েজীকরণের কাহিনীও জানবে। এসব জানার প্রভাব কি শূন্য হবে তাদের জীবনে? আপনার প্রশ্ন/উক্তি আমাদের এই সব মূল কথা/প্রসঙ্গের সাথে একেবারে অবান্তর অ সংগতিহীন।
@যাযাবর,
কি যে বলেন ভাই , আদিল ভাই ভালই বুঝতে পারছেন। আসলে মনে হয় উনি একটু বাজিয়ে দেখতে চাইছেন, 😀 ।
@যাযাবর,
শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়া, বালিকা বিবাহ, মাদ্রাসা শিক্ষা সব এসেছে হাদিস থেকে। এই হাদিস লেখক, সংগ্রহক এবং প্রচারকগণেরই সব দোষ। তথ্য জগত তো আর এখনকার মত এত সহজলভ্য ছিল না বা বইপত্র সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে ছিল। কয়জন কোরান চর্চা করেছে, অথবা কয়জনই সে যুগে এই হাদিসগুলো পড়ে সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের জ্ঞান চর্চা বাড়লেও এই সব বই অস্বীকার করার মত সাহস অর্জন করতে পারেনি। এই হাদিসবিশারদ্গণ যা বলতেন তাই ইসলামের অংশ হয়ে উঠেছে, এমনকি নবীর জীবনীও তাদের মস্তিস্ক প্রসূত। একজন সাধারণ মুসলমান কোরান আরবীতে না বুঝে পড়ে যায়, কিন্তু জ্ঞান নেয় হাদিস থেকে। মুসলমানরা তাদের অজ্ঞতার কারণেই কখনই এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি, হযরত মুহম্মদ এটা বলেছেন বা করেছে্ন বলে মুসলমানদের যতখানি দুর্বল করা যায়–বা বিশ্বাস করানো যায় এখনকার বিজ্ঞাপনদাতাগণও
বুঝি এই হাদিস লেখকদের মতো এতখানি করিৎকর্মা হয়ে উঠতে পারেনি। কোরান তো বলেনি বালিকা বিবাহ কর, কিন্তু হাদিস বলেছে। হাদিস কোরানের ব্যাখ্যা–কে যে এটা চালু করেছে কে জানে? শিয়াদের হাদিস নবীকে যেভাবে বর্ণিত করে, সুন্নীদের হাদিস করে তার উলটো। একিই মানুষের দু’রকম জীবন-যাপন হয়ে কি করে?
@আদিল মাহমুদ,
মূল নিবন্ধের ভাবধারাটা কিন্ত এটা না। কেউ উজ্জীবিত হয়ে করছে বা কোন মাদ্রাসা বা মসজিদে এ ব্যপারে উজ্জীবিতও করছে – এ কথা বলা হচ্ছে না কিন্তু কেউ এ ধরনের কাম করে বসলে ইসলাম বা মোহাম্মদের জীবনী থেকে রেফারেন্স খুজে নিজ অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার অপচেষ্টা করে – সেটাই নিবেন্ধর মূল ভাবধারা।
@ব্রাইট স্মাইল্, :yes: :yes:
@আদিল মাহমুদ,
সে তো বলাই বাহুল্য।
খুব বেশী মাত্রায় গুলিয়ে গেলো না কী? 😕
হযরতের সময়ের প্রেক্ষাপটে শিশু ধর্ষন ও নাবালিকা বিবাহের মধ্যে প্রথমটিই অপরাধ, দ্বিতীয়টি নয়। তাই কথিত ফুসলানোও সে সময় কোনো অপরাধ নয়। …মাত্র একশ বছর আগেও এই উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটেও প্রথমটিই অপরাধ, দ্বিতীয়টি নয়।
আর এই সময়ের প্রেক্ষাপটে দুটিই গুরুতর অপরাধ; তবে প্রথমটির জন্য যাবজ্জীবন দণ্ড হতে পারে, দ্বিতীয়টির জন্য ওই মাত্রার শাস্তি প্রযোজ্য নয়।
@বিপ্লব রহমান,
মোটেই গুলিয়ে যায় নি। ১৪০০ বছর আগে আরব দেশে শিশু বিয়ে চালু ছিল আর যাকে বলা হতো অন্ধকার যুগের বর্বর রীতি। সেই সব বর্বর রীতি থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার কথা বলেই মোহাম্মদ তার ইসলাম প্রচার করা শুরু করে। তো সেই মোহাম্মদ নিজেই যদি বর্বর প্রথা অনুসরন করে একটা শিশুকে বিয়ে করে তাহলে তার প্রচারিত ধর্মের সাথে সেটা স্ববিরোধি হয়ে গেল না ? তার পর দেখতে হবে , এ বিয়ের কোন আদৌ দরকার ছিল কি না। সূক্ষ্ম বিচারে দেখা যায় কোনই দরকার ছিল না। ইসলামিস্টরা বলে- আয়শার পিতা আবু বকরের সাথে পারিবারিক বন্ধন বৃদ্ধি করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।অথচ তারও একযুগ আগে আবু বকর মোহাম্মদের দাসে পরিনত হয়ে গেছে। ইসলাম প্রচারের সাথে পারিবারিক বন্ধনের সম্পর্কটা সেখানে একটা খোড়া যুক্তি নয়? আর বিয়েটা কে করছে? সে-ই করছে যাকে মুসলমানরা দাবী করছে মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ট মানব, আল্লাহ প্রেরিত মহানবী। মোহাম্মদ এমন কাজ কেন করবে যা তাকে প্রচন্ডরকম সমালোচনায় ফেলে দেবে হাজার বছর পর ? তার জীবন বিধান যদি কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আদর্শ হিসাবে ধরা হয় তাহলে তাকে এসব ধরনের সমালোচনাযোগ্য কাজ পরিহার করাই তো বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু সে সেটা করেনি।তার মানে মোহাম্মদ বুঝতে পারেনি ভবিষ্যতে তার এ কর্মকান্ড তাকে প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে ফেলে দেবে। আর আল্লাহও তাকে ঠিক ভাবে অবগত করেনি। অত্যন্ত বালখিল্যভাবে বর্তমানে ইসলামিস্টরা তার এ হীন কাজকে তৎকালীন সমাজের প্রচলিত কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন বলে মোহাম্মদকে বাচানোর চেষ্টা করে থাকে। যাহোক, তার এ ধরনের একটা বিয়ে কি তাকে সর্বশ্রেষ্ট মানুষ বা আল্লাহ প্রেরিত মহানবীর সাথে মানানসই হয় ? এ বিয়ে না করলে ইসলাম প্রচারে তার কোন অসুবিধা হতো ? হতো তো না-ই , বরং এ বিয়ের কারনেই বর্তমানে মোহাম্মদ ও ইসলাম সবচাইতে বেশী বিপদে আছে। সেকারনেই শুরু হয়েছে আয়শার বয়স সংক্রান্ত হাদিসকে দুর্বল হাদিস বলে বাতিল করে দিয়ে আয়শার বয়স বাড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা। বিভিন্ন সাইট বা ভয়েস চ্যাটে এ ধরনের প্রানান্তকর চেষ্টা দারুন কৌতুহলের বিষয়।
@ভবঘুরে,
শিশু ধর্ষন ও নাবালিকা বিবাহকে একই পাল্লায় ফেলে গুলিয়ে ফেলার কথা বলছিলাম। সেই সঙ্গে বলছিলাম ওই সময়ের প্রেক্ষাপট ও সামাজিক বিচার ব্যবস্থার কথা। …
যা-ই হোক। আপনার এখনকার মন্তব্যটুকু ঠিকই আছে। কিন্তু মূল লেখায় এ সব কথা অনুপস্থিত। :deadrose:
@বিপ্লব রহমান,
নাবালিকা বিবাহ আর শিশু ধর্ষন এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
আর মুহাম্মদ ১৪০০ বছর আগে এটা করেছেন বলে তাকে রেহাই দেয়া যায় না, কারণ তিনি নিজেকে সর্ব কালের জন্য আদর্শ বলেছেন ও তার প্রচারিত ধর্মে তাকে অনুসরণ করার কঠোর নির্দেশ রয়েছে। তাই সর্বকালেই মুহাম্মদের এ সমালোচনা হবে বিশেষ করে যতদিন ইসলাম থাকবে।
@সৈকত চৌধুরী,
১৪০০ বছর আগে, হযরতের সময়ে এর আইনগত ও সামাজিক পার্থক্য অবশ্যই ছিলো। এমন কি ১০০ বছর আগেও এই উপমহাদেশেও এর আইনগত ও সামাজিক পার্থক্য ছিলো।
এই সামান্য বিষয়টি বোঝাতে পারিনি, এটি আমারই ব্যর্থতা! :-Y
@বিপ্লব রহমান,
১৪০০ বছরের প্রথা অনুযায়ী নাবালিকা বিবাহ আর নাবালিকা ধর্ষণের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও যে তিক্ত সত্যটা চাপা যাচ্ছেনা সেতা হল মুহম্মদের নাবালিকা তখনকার প্রথাতেও স্বাভাবিক ছিলনা। প্রথমত এই নাবালিকা বিয়ের বাসনা মুহম্মদের নিজের যৌন কল্পনা প্রসূত, আয়েশাকে ছোট বেলায় ক্রীড়ারত অবস্থায় দেখার সময়। একটা ৫৪ বছরের প্রবীণ লোকের জন্য এটা বিকৃতি যে কোন সময়ের নিরীখে। আর এই বিয়েটা পরিবার কর্তৃক পারস্পরিকভাবে আয়োজত ছিল না। মুহম্মদ নিজের উদ্যোগে আবু বকরের কাছে এই প্রস্তাব নিয়ে যান। আবু বকর তখন সম্পূর্ণভাবে নবীর নিয়ন্ত্রণে। আবু বকর প্রথমে আপত্তিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু মুহম্মদের চাপে নতি স্বীকার করতে হয়েছিল। এটা কার্যত বলপ্রয়োগে বিবাহ। সভ্য দেশে এরকম বিয়েকে অবৈধই বিচার করে। সভ্য দেশে স্ত্রীকে ধর্ষণেরও শাস্তির বিধান আছে। সভ্য দেশে কার্যক্ষেত্রে অফিসের কোন করুমকর্তার সঙ্গে অধীনস্ত কর্মচারীর সম্পর্কতেও বিধিনিষেধ আছে, কারণ সেখানে প্রভাব খাটানোর সুবিধা থাকে। তার মানে প্রভাব খাটিয়ে সম্পর্ক(যৌন) খারাপ চোখে দেখা হয়। কাজেই নবীর ক্ষেত্রে স্পষ্টত এটা প্রভাব খাটিয়ে ছয় বছরের শিশুকে বিয়ে করার ঘটনা। আর ১৪০০ বছর আগে যে ছয় বছরের শিশুর সাথে ৫৪ বছরের বৃদ্ধ যার ইতিমধ্যে চারটা স্ত্রী আছে সেই বিয়েটা যে প্রথাসম্মত ছিল সেটা আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন? নিশ্চিত হয়েই কি আপনি এই যুক্তি দিলেন নাকি নবী খারাপ কাজ করতে পারেন এটা আপনার মন মানতে চায়না বলে নিশ্চিত না হয়েই এই যুক্তি?
@যাযাবর,
আপনি কী মন্তব্য ভালো করে না পড়েই পাল্টা মন্তব্য করেন? 🙁
ওপরে আমার মন্তব্যটি আরেকবার পড়ে দেখবেন? আমি বলেছি:
আবারো বলছি: আইনগত ও সামাজিক অপরাধ– একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষাপটেই বিচার করা উচিৎ। হযরতের আইনগত ও সামাজিক অপরাধ হয়েছে কি না, সেটি ১৪০০ বছর আগের সময়ের প্রেক্ষাপটেই বিচার করা যৌক্তিক।
আপনার বাদবাকী বক্তব্য প্রাসঙ্গিক নয় বলে সে বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। অনেক ধন্যবাদ। 🙂
@বিপ্লব রহমান,
আপনার একই উক্তি দুবার উদ্ধৃত করে নতুন কোন যুক্তি হল না। আপনি মডারেট ইসলামিস্টদের মতই চর্বিত চষ্য আওড়াচ্ছেন নবীকে তখনকার মানদন্ডে বিচার করা উচিত। এটা একটা খোঁড়া ডিফেন্স নবীর জন্য। সেই সময়কার রহিমুদ্দি করিমুদ্দিদের তখনকার মানদন্ডে বিচার করা উচিত বললে ঠিক আছে। নবী তো রাস্তার কোন রহিমুদ্দি কলিমুদ্দি না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। গোটা মানব গোষ্ঠীর আদর্শ সৃষ্টিকারী পথপ্রদর্শক। তার বেলায় শুধু একটি বিশেষ সময়ের আলোকে বিচার কেন? আর তখনকার সময়ের মানদন্ডে বিচার করলেও তো তার আলোচ্য কর্মকান্ড কোন মহান আদর্শ বলা যায় না। আর মহামানবকে তো সর্বকালের মানদন্ডে বিচারে পাশ করতে হবে। আর শুধু পাশ নয় এক অতি মহান আদর্শ সৃষ্টি করতে হবে। আপনি কি সৎসাহসের সাথে বলতে পারবেন যে আজকের বা সেদিনকার মানদন্ডেও মুহম্মদ কোন মহামানব নয়, এবং তখনকার। আপনি যদি মুহম্মদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের দাবী মেনে নেন তাহলে তখনকার সময়ে তাঁকে বিচারের দাবীটা হাস্যকর, স্ববিরোধিতামূলক।
@যাযাবর,
আমি কী কোথাও বলেছি, ‘হযরত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব‘? তাহলে এই প্রসঙ্গ বার বার আসছে কেনো? আজব! 😉
আমি শুধু বলতে চেয়েছি, ….যাক…কি বলতে চেয়েছি, তা না হয় আর না-ই বললাম। কারণ সেটিও হয়তো আপনার কাছে আবারো ‘মডারেট ইসলামিস্টদের মতই চর্বিত চষ্য আওড়ানোর‘ মতো শোনাবে।
অথচ এই পয়েন্টে তর্কটি শুরু হয়েছিল এই লেখার লেখক ভবঘুরের সঙ্গে। সেটিও শেষ হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু একই পয়েন্ট আপনি কেনো বারবার আটকে যাচ্ছেন– তা বোধগম্য নয়। তাই আপনার সঙ্গে যুক্তি-তর্ক বৃথা। আর আমার সৎসাহস আছে কী নেই, তা নিয়ে সময় নষ্ট না হয়, না-ই করলেন। :yes:
—
অ/ ট: ছদ্মনামের লেখায় ও মন্তব্যে পাল্টা মন্তব্য করতে প্রায়ই আমি স্বস্তিবোধ করি না। একে ব্যক্তিগত পাঠরুচিও বলা যায়। এখন থেকে এই অস্বস্তিটুকু আরো বাড়বে।
@যাযাবর,
বিপ্লব রহমান অনেকটা উদার পন্থী মানুষ কট্টর না, তবে আপনার মতো পাকা নাস্তিক না , তাই ওনার কথার সুর একটু নরম গরম। একটু ধৈর্য ধরুন ভাই, সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।
@বিপ্লব রহমান,
সব কথা মুল লেখায় দিলে তো পাবলিক মন্তব্য করার সুযোগ পাবে না। তাই কিছু কিছু বিষয় অপ্রকাশিত রাখতে হয় ভাই।
@ভবঘুরে,
ঞঁ!! 😛
@বিপ্লব রহমান,
এই যুক্তি “মডারেট/উদার” মুসলিমেরা তোতা পাখীর মত আওড়ান। আপনি ইসলামিস্টদের সাথে বিতর্কের মূল স্পিরিটটই ধরতে পারেন নি। ইস্লামিস্ট না থাকলে এই মুক্ত-মনা ব্লগের দরকার হত না। আবুল কাশেমকে কষ্ট করে লম্বা লম্বা প্রবন্ধ লিখতে হত না। কুরান যদি একটি ইতিহাস বই হত যাতে লেখা আছে মুহম্মদ বলে একজন ষষ্ঠ শতাব্দীতে জন্মে ছিলেন, যিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলে, ছয় বছর বয়সের এক বালিকাকে বিয়ে করেছিলেন ইত্যাদি, তাহলে এই সব ইসলাম সমালোচনামূলক লেখার দরকার ছিল না। কিন্তু যেখানে ইসলামিস্টরা দাবী করে বেড়াচ্ছে যে মুহম্মদ সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, এবং এই দাবীর সমালোচনা করলে সহিংস হয়ে ওঠে তাহলে অবশ্যই বেশী মাত্রায় গুলান হয় নি। বেশি মাত্রায় কেন, গুলানই হয়নি। প্রগতি একদিশ, unidirectional. আগে যেটা গ্রহণযোগ্য ছিলে এখন সেটা যদি অগ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সেটা ভবিষ্যতে আবার গ্রহণযোগ্য হবে না। খারাপ খারাপই। সর্ব সময়ের জন্য। শুধু এটাই বলা যায় অতীতের মানুষ খারাপ কে চিনতে পারেনি। তাহলে একজন “সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক” নবী কেন একটা খারাপ প্রথাকে অনুসরণ করবেন? আর আল্লাহই বা কি জানতেন না যে সেই সময়ের কাজ ভবিষ্যতে খারাপ বলে বিবেচিত হবে? তাহলে কি করে এই রকম নবী নির্বাচন করলেন? কাজেই ইসলামিস্টদের ঔদ্ধত্যমূলক দাবী যে মুহম্মদ সকল মানুষের চেয়ে সকল সময়ের জন্য সেরা, তার জবাবে এই সব অপ্রিয় সত্য বলতেই হবে।
@যাযাবর,
খুব বিনয়ের সঙ্গেই বলছি, আপনি বোধহয়, আরেকটু বেশী মাত্রায় গুলিয়ে ফেলেছেন। :deadrose:
হযরত শ্রেষ্ঠ নবী বা মহামানব বা সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক কি না, তা এখানে মোটেই আমার আলোচ্য নয়। এমন কি মডারেট/উদার মুসলিমেরা কি বলছেন, তা-ও এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
আমি বলতে চেয়েছি, আইনগত ও সামাজিক অপরাধ– একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষাপটেই বিচার করা উচিৎ। হযরতের আইনগত ও সামাজিক অপরাধ হয়েছে কি না, সেটি ১৪০০ বছর আগের সময়ের প্রেক্ষাপটেই বিচার করা যৌক্তিক।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :rose:
@যাযাবর,
তাই নাকি? ইস্লামিস্ট এবং এন্টাই ইস্লামিস্টদের চর্বিত চর্বণ শোনানোই মুক্তমনার একমাত্র উদ্দেশ্য তা তো জানা ছিল না! আমার ধারণা ছিল মুক্তমনা এর চেয়েও অনেক বেশী কিছু করতে সক্ষম, এমন কিছু ব্যতিক্রমধর্মী কাজ মুক্তমনা করে যা বেশীরভাগ বাংলা ব্লগের পক্ষেই ধারণ করা সক্ষম নয়! মুক্তমনার এরকম ডিস্কোপিং দেখে একটু দুঃখিতই হলাম, আমার কেন যেন ধারণা ছিল আমার মত অনেকেই ইস্লামিস্ট খেদানোর একমাত্র ‘পবিত্র’ উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তমনায় লেখালিখি করেন না। কেউ কেউ সেটা করলে করতেই পারেন, তবে তাদেরকে এ ধরণের জেনারাইলেজশন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাবো।
@বন্যা আহমেদ,
আমি দুঃখিত এই অনিচ্ছাকৃত ভুল ইঙ্গিতের জন্য। আমি বলতে চেয়েছিলাম মুক্ত-মনা গ্রুপ, আমার যতদূর মনে পড়ে ২০০১ সালে মুক্তমনা গ্রুপ মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামী, কুযুক্তি ও অসহনশিলতার জবাব দেয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়। মুক্তমনা গ্রুপেরও ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়ে বর্তমান ব্লগে এসে উদ্দেশ্যটা অনেকটা বারোয়ারী হয়ে গেছে। সেটা ভালই। যাহোক আমি মুক্তমনা গ্রুপ বা ব্লগ বলি না ক্রন অন্তর্নিহিত ইঙ্গিত ছিল ধর্মবাদীদের কুযুক্তি ও দাবীর জন্যই মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা ও উদ্ভব। আবার ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই ভুল বুঝাবুঝির জন্য।
@যাযাবর,
হুম, আপনি তো দেখি বহুতি পুরানা আদমী, মুক্তমনার ইতিহাসটাও আপনার মুখস্থ, বুঝলাম :-/ ।
যাক কাজের কথায় আসি, আপনি এখানে যা বলেছেন তা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, আপত্তি শুধু ছিল ‘ইস্লামিস্টদের ঠ্যাঙ্গানো = মুক্তমনার অস্তিত্ব’ সমীকরণটি নিয়ে। তবে আপনার ‘বারোয়ারী’ শব্দটা নিয়ে আপত্তি জানাতেই হচ্ছে। যতদূর জানি এখনো মুক্তমনার খুবই সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য রয়েছে। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে দিবানিশি প্রি-মধ্যযুগীয় কয়েকশ’ পৃষ্ঠার একটা বই এবং দর্শনের আগাপাশতলা বিশ্লেষণের সীমিত চৌহদ্দিতে আবদ্ধ না থেকে আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, যুক্তি, দর্শনে তা বিস্তৃত হয়েছে। এটাকে বারোয়ারি না বলে বলা যায় যে, মুক্তমনার সদ্যদের বুদ্ধিবৃত্তিক এন্টারপ্রাইজটা একটি মাত্র মধ্যযুগীয় দর্শন নিয়ে ঘষ্টাঘষ্টি করার জন্য অতিরিক্ত বড়।
@বন্যা আহমেদ,
একই ধারণা আমারও ছিল এবং বলতে দ্বিধা নেই সে জন্যই মুক্তমনায় আগমন। কিন্তু একথাও দুঃখের সাথে স্বীকার করতে হচ্ছে যে মুক্তমনায় এখন এন্টাই ইস্লামিস্ট (অন্তত একটিভ সদস্য) সদস্যরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমি, কিংবা ফরিদ ভাই, কিংবা আদিল ভাইয়ের মত হাফ-নাস্তিক বা ধার্মিকের প্রতি সহানুভুতিশীল :-Y মানুষেরাই এখন সংখ্যালঘু। এখন সংখ্যালঘু হয়ে কোন মন্তব্য করতে ভয় হয়, তারপরেও স্বভাবগত দোষে করে ফেলি। তবে অনেক কমিয়ে দিয়েছি, সামনে আরো কমিয়ে দিবো, বলুন ইনশাল্লাহ।
@স্বাধীন,
এন্টাই ইস্লামিস্ট বলতে কী বুঝাতে চেয়েছেন, কথাটার একটু ব্যখ্যা প্রয়োজন। কি কি কারণে একজন সদস্য এন্টি ইসলামিস্ট বা প্রো ইসলামিস্ট হয়?
হাফ নাস্তিক মানেটা কী? ফরিদ ভাই, কিংবা আদিল ভাই হাফ নাস্তিক বুঝলেন কী ভাবে?
না, না, আপনি কারো ভয়ে মন্তব্য কমিয়ে দিবেন কেন, বলুন আপনার ভয় দূরীকরণে কী কী করা উচিৎ।
@আকাশ মালিক,
স্বাধীনের মন্তব্যটা হতাশা থেকে এসেছে। এটাকে আক্ষরিক অর্থে না নেওয়াটাই মনে হয় সবচেয়ে ভাল। আমি নিজেও খুব হতাশ। আমাকেও ইদানিং প্রায় মন্তব্যেই দাবী করতে হচ্ছে যে আমি একজন খাঁটি নাস্তিক, ইসলামপ্রেমি নই। সাধারণ মুসলমানদের পক্ষে যে কথাগুলো বলি সেটি শুধুমাত্র তারা আমার আপনার মত রক্তমাংসের মানুষ বলেই মানবিকবোধ থেকে বলি। এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কি আছে বলেন?
@ফরিদ আহমেদ,
তবে মুক্তমনা এর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আছে। তা হলো – এখানে নাস্তিক বা উদারমনাদের মধ্যে কিছু মৌলবাদী নাকি গুপ্ত অবস্থায় আছে। প্রথমে আমিও বিশ্বাস করিনি , পরে বিভিন্ন জনের মন্তব্য ও লেখা পড়ে বিষয়টি হালকা ভাবে হলেও নজরে এসেছে।
@ভবঘুরে,
তাই নাকি? আপনি ব্লগে আসার বহু আগে থেকেই মুক্তমনার অস্তিত্ব ছিলো, থাকবে। আপনার এত পেরেশান না হলেও চলবে। আপনি যেমন অনেকের লেখা পড়ে মনে করেন ‘এখানে নাস্তিক বা উদারমনাদের মধ্যে কিছু মৌলবাদী নাকি গুপ্ত অবস্থায় আছে’, ঠিক তেমনি আপনার লেখা পড়ে অনেকের মনে হতে পারে, ভবঘুরের মধ্যে একজন ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু মৌলবাদী গুপ্ত অবস্থায় আছে। বিশেষতঃ আপনি মুক্তমনায় বেশ কিছু পোস্টে যেভাবে গীতাকে ডিফেন্ড করেছিলেন এই বলে কোরাণের চেয়ে গীতা কতটা উত্তম, যেভাবে রণদীপম বসুকে উপদেশ দিয়েছিলেন হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদ আর মণুসংহিতা নিয়ে না লিখতে, কেবল ইসলাম নিয়ে লিখতে – তাতে অনেকেরই সেটাতে সন্দেহ হতে পারে কিন্তু। কিন্তু কারো কোন কিছু মনে হলেই যে সেটা ঠিক হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়, তাই না? তাই এধরণের সরলীকৃত বক্তব্য দেয়ার আগে ব্যাপারটা মনে রাখতে অনুরোধ করছি।
@অভিজিৎ,
আপনার মন্তব্যটা কিন্তু যথেষ্ট বালখিল্য হয়ে গেছে, অন্তত আপনার কাছ থেকে আমি এটা আশা করি নি। আমি আমার মন্তব্যে কারও নাম উল্লেখ করি নি, অথচ আপনি সেটা করে আপনার স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশ করলেন। কোন মন্তব্য প্রকাশ করার আগে আপনাকেও দশ বার সেটা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
@ভবঘুরে,
আপনি বিনা উস্কানিতেই বলেছেন ‘এখানে নাস্তিক বা উদারমনাদের মধ্যে কিছু মৌলবাদী নাকি গুপ্ত অবস্থায় আছে’ – এটা আমার চোখে অপ্রাসঙ্গিক আর বালখিল্যই ছিলো। আমি দেখাতে চেয়েছি সেটা যে কেউ আপনার সম্বন্ধেও ভাবতে পারে। এটাতে আমার ‘স্ট্যান্ডার্ড’ প্রকাশ হয়ে পড়লে, সেটাই আমার স্ট্যান্ডার্ড – ডোন্ট ওরি।
@অভিজিৎ,
আমি একটা সাধারন মন্তব্য করেছি ফরিদ আহমদের মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করিনি। তাই ওটাতে উস্কানির কিছূ আছে তা আমি মনে করি না। কিন্তু কারও নাম ধরে কিছু বলার মানে সেটা উস্কানি আর সেটা করলেন আপনি। অথচ আপনার কাছ থেকে সেটা কোনমতেই আশা করিনি কারন যেরকম পান্ডিত্যপূর্ন লেখা আপনার এখানে দেখি। আর এটাই যদি হয় আপনার আসল স্ট্যান্ডার্ড , তাহলে আমার বলার কিছুই নেই। , সো , ডোন্ট ওরি ঠু।
নাম ধরে বললেই কেবল অপরাধ, আর কোন নাম না নিয়ে ঢুস ঢাস করে কোন কিছু বলে দিলে দোষ নেই, এ যদি স্ট্যান্ডার্ড হয় তবে আমি সত্যই নিরূপায়। আপনি সামগ্রিকভাবে মুক্তমনা নিয়েই বলেছেন, কাজেই এর সাথে প্রথম থেকেই যেহেতু আমি জড়িত আছি, এবং সদস্যপদটাও যেহেতু আমার বা ফরিদ আহমেদ এর মত কারো হাত দিয়েই যায়, আমি তার উত্তর দেয়া প্রয়োজন মনে করেছি।আর, ঢালাও ভাবে কেউ বলে দেবে – ‘ মুক্তমনায় মৌলবাদীরা গুপ্ত অবস্থায়’ আছে, আর আমি তার দায় দায়িত্ব নেবা না তা কি হয় নাকি! কাজেই, এরকম মন্তব্য ভবিষ্যতে করলে আবারো এরকম উত্তর পাবেন, এটি বলতে পারি।
ভাল থাকুন।
@ভবঘুরে,
হালকাভাবে যেহেতু নজরে এসেছে, এবার সজোরে না হয় একটু জানান দিন। সবাই মিলে মুক্তমনার গুপ্ত মৌলবাদীদের নির্মূল করি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
আমার একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ দাবী আছে যা আগে উত্থাপন করি নাই। মুক্ত-মনায় মডারেটরদের স্বনামে মন্তব্য করা বন্ধ করা হোক আর তার পরিবর্তে সবাইকে একটি করে নিক দেয়া হোক। নিকটা হতে পারে এরকম-
“আমি মডু নই-১”
“আমি মডু নই-২”
“আমি মডু নাও হতে পারি”
“মুক্ত-মনার শপথ, আমি মডু নই” ইত্যাদি।
আইডিয়াটা কেমন হল জানাবেন।
@সৈকত চৌধুরী,
আইডিয়া খারাপ না। আমি যে একজন নিরীহ, গোবেচারা, সাধারণ মানুষ, কারো সাথে পাছে না, এই কথাটা কেউ আর বিশ্বাস করে না আমার মুর্তিমান মডারেটর পরিচয়ের কারণে। 🙁 আমি অবশ্য অন্য একটা নিক নিতে আগ্রহী। আমার জন্য ‘নামহীন’ নামের একটা নিক দেওয়া যেতে পারে। স্বাধীন একজন মানুষ হিসাবে ‘নামহীন’ পরিচয়ে একটু শান্তিতে মন্তব্য করতে চাই মুক্তমনায়। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার যে দশা তাতে করে আপনার জন্য এ নিকটাই দরকার-
“আল্লার কসম, আমি মডু নই”
আরেকটি নিক মাথায় এল- “সাধারণ ব্লগার হিসাবে বলছি”।
‘আমি মডু নই, আমারে মাইরেন না’ এইটা বেশি পছন্দ আমার। 🙂
@ভবঘুরে,
আপনার লেখা আমার ভাল লাগে। কিন্তু এখানে যেটা বললেন সেটা ভুল করলেন। নানা মনসিকতার লেখক বা মন্তব্যকারী মুক্তমনায় আছেন সত্য তবে সবাই বিশেষ (Special) এখানে। তাই দেখে আপনার যদি ওটা মনে হয়েও থাকে সেক্ষেত্রে যোগাযোগের আরো বুদ্ধিমান রাস্তা ছিল। আপনি নিজের পায়ে (আর বেশ কয়েকজনের সহ) নিজে কুড়াল মারছেন।
আশা করি ওটা আপনার সাময়িক ভুল এবং শীঘ্রই শুধরে নিবেন।
@ ফরিদ ভাই, আমি আসলে স্বাধীনের হতাশার সাথেও একমত নই। মুক্তমনার পোষ্টগুলো বিচার করলেই বোঝা যাবে যে যাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মনে করে উনি দুঃখ পাচ্ছেন, তারা মোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠ নন। এখানে যে ধরণের লেখা এবং বিষয়বস্তুর নিয়ে আলোচনা হয় সেগুলো আর কোন বাংলা ফোরামে সম্ভব? এটাকে গড়ে তুলতে আপনাদের মত অনেকেরই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কতগুলো ছদ্মনাম নিয়ে একটা মধ্যযুগীয় কয়েকশ’ পাতার বই আর মধ্যযুগীয় এক ব্যাক্তিকে নিয়ে দল বেঁধে দিবশ-রজনী হাউমাউ করতে খুব বেশী কিছুর দরকার পড়েনা, যে কেউ করতে পারে, এতে কোন দায় দায়িত্ব থাকে না। কিন্তু আপনার মত যারা নিজেদের নামে লেখে এবং মুক্তমনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের গ্যাটের সময় খরচ করে তাদের ম্যচুরিটি ভিন্ন হতেই হয়। আপনি কাদের কাছে খাঁটি নাস্তিকতার প্রমাণ দেন? এদের কাছে? কেন দেন? কোন কোন জায়গায় মুখ খুললেই ছাগু বানিয়ে দেওয়ার প্রবণতার সাথে এখানে মডারেট মুসলিম বানিয়ে দেওয়ার প্রবণতাটাও বেশ হাস্যকর। আমাদের মত যারা প্রায়-জন্ম থেকে নাস্তিকতার দর্শন এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটা বুঝে নাস্তিক হয়েছে তাদের যদি এখন নাস্তিকতার প্রমাণ দিতে হয় বা এ নিয়ে কৈফিয়ত হাজির করতে হয় তাহলে মুক্তমনার মত প্ল্যাটফর্মকে টিকিয়ে রাখার দরকার কি?
@বন্যা আহমেদ,
ঠিক ধরেছেন , দায়িত্ব থাকে না । তবে মুক্তমনাকে সজীব ও প্রানবন্ত রাখতে তাদের ভূমিকা মোটেও কম নয় বোধ হয়। আর মধ্যযুগীয় কয়েকশ পাতার বই ও ব্যাক্তিটাই কিন্তু বাধ্য করেছে আপনাদেরকে এ ধরনের উদার ও মুক্ত মনের অন্তর্জাল সাইট খুলতে। কুপমন্ডুকতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে সব ফ্রন্টই খোলা রাখতে হয়। খালি বিজ্ঞান ও ডারউইন চর্চা যদি মানুষকে পরিপুর্ন উদার ও সংস্কারমুক্ত করত তাহলে দুনিয়ায় এখন আর একটাও আস্তিক খুজে পাওয়া যেত না। হাউ মাউ শব্দটা একটু শ্লেষাত্মক, একটু অন্যরকম হয়ে গেল। বেশী কিছু দরকার পড়ে না বলছেন? হাসালেন। এ বিষয়গুলো লিখতে বহু সময় ও ব্রেইন খরচ করতে হয় শুধুমাত্র সঠিক বিশ্লেষণ এর জন্য। বরং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লিখতে অত বিশ্লেষণের দরকার নেই। কয়েকটা সাইট ঘুরে কিছু তথ্য যোগাড় করেই লিখে ফেলা সম্ভব।
@ভবঘুরে, আপনার সাথে আমার বিতর্ক করার কোন কারণ আছে বলে মনে করিনা। যিনি কতগুলো সাইট ঘুরে বিজ্ঞানের লেখা লেখা যায় বলে মনে করেন তার সাথে আর কিসের ভিত্তিতে তর্ক করবো বলুন :-Y ? আর, সব ফ্রন্ট খোলা রাখা হয় বলেই তো সবাই লিখতে পারছেন, না হলে তো আর পারতেন না। তবে যে ফ্রন্টেই বাড়াবাড়ি করা হবে সেখানেই আপত্তি জানানো হবে। ছদ্মনামীরা দায় দায়িত্ব না নিলেও যারা নিজের নামে লেখেন এবং সাইট চালান তাদের উপরই যে শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা এসে পড়ে এটা তো কারও না বোঝার কথা নয়।
@বন্যা আহমেদ,
আমি আসলে অপ্রয়োজনে কারো সাথেই বিতর্ক পছন্দ করি না। আপনি আপনার শ্লেষাত্মক মন্তব্য দিয়েই তো বিতর্কের সূত্রপাত করলেন। আমি তো আর আগ বাড়িয়ে বিতর্ক করতে যাই নি। ইটটি মারলে ,——— বুঝে নেন।
@বন্যা আহমেদ,
ভাল বলেছেন। :yes:
যার কাছে মনে হয় বিজ্ঞান নিয়ে লেখাটা পরিশ্রমসাধ্য কোন ব্যাপার নয় কিন্তু ধর্ম নিয়ে লিখতে গেলে প্রাণান্তকর পরিশ্রম করতে হয়, তিনি নিশ্চয় বিশাল কোন বিজ্ঞানী এবং একই সাথে ধর্ম সম্বন্ধে তেমন কিছু জানেননা। তা নাহলে তথ্য, যুক্তি আর বিশ্লেষনের কাজটা খুব সহজ আর মতামত দেয়ার কাজটা খুব কঠিন হয় কিভাবে ?
@মোঃ হারুন উজ জামান,
ইন্টারনেটের যুগে এটাই তো সব চেয়ে বড় হাতিয়ার যে আমরা যে কোন বিষয়ে খুব দ্রুত তথ্য পেতে পারি আর একটু চেষ্টা করলে সে বিষয়ে দু চার কথা লিখেও ফেলতে পারি যদি লেখার হাত থাকে। এটাতে এত আশ্চর্য হলে ইন্টারনেটেরই তো অপমান হয় বলে আমার মনে হচ্ছে। পরিশেষে যারা এখানে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করেন- সেগুলো অবশ্যই ভাল মানের কিন্তু মৌলিক তো নয়। তাই না ? মৌলিক রচনা হলেই তা হতো সত্যিকার কষ্ট সাধ্য।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
হ্যাঁ, ঠিক যেমনটি যাঁরা বলেন ধর্ম নিয়ে লেখাটা পরিশ্রমসাধ্য কোন ব্যাপার নয় কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে গেলে প্রাণান্তকর পরিশ্রম করতে হয় (এটাও বলা হয়েছিল, তাই তুললাম)। আসলে ব্যাপারটা কুয়ালিটির ব্যাপার। বিনা পরিশ্রমে দুটোই লেখা যায়, কিন্তু নীচু মানের হবে। ভাল মানের লিখতে হলে দুটোই পরিশ্রম সাপেক্ষ। কোন টা বেশি পরিশ্রম সাধ্য সে তর্কে নাই বা গেলাম, কারণ তুলনা করলে (যেমন কুরান/বাইবেল, ইস্লমা/খ্রীষ্ঠ দর্ম) রাজনৈতিক শুদ্ধবাদীরা তেড়ে আসেন, সব বিষ্ঠারই সামন গন্ধ ইত্যাদি শুনতে হয়। তুমি কে হে বিচার করার কোনটা বেশি সহজ (বা কম পরিশ্রমসাপেক্ষ)?, ইত্যাদি।
ভবঘুরে বলেছেন,
আর যাযাবর বলেছেন,
যাযাবরকে ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
এত খাটাখাটুনি করে যারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তমনায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করছেন তাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক একটা মন্তব্য। বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি এমনিতে শূন্যের কোঠায়, মুক্তমনা অন্ততঃ এই জায়গাটাতে একটা শক্ত জমিন গড়ে তুলেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে একদল নিরলস, কঠোর পরিশ্রমী, উদ্যমী, আন্তরিক, এবং মেধাবী বিজ্ঞান লেখকদের কল্যানে। আপনার এই অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য তাঁদেরকে গভীরভাবে আহত করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
@ফরিদ আহমেদ,
ধর্মীয় বিষয় ছাড়াও আমি এই সাইটে দু একটা ভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লিখেছি যা লিখতে আমার আধা ঘন্টাও লাগেনি। অথচ ধর্মীয় বিষয়ে লিখতে বেশ কয়দিন লেগে যায়।
এটাই বরং আমার বা আমার মত আর যারা এ সাইটে লেখালেখি করে সাইটটিকে মাতিয়ে রাখে তাদের জন্য অপমানজনক। আমি অপমানজনক কিছুই বলিনি। বলেছি কিছু বিজ্ঞানের সাইট দেখে বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ লেখা সম্ভব। এতে অপমানজনক কি হলো । কথাটা কি আমি অসত্য বলেছি? হতে পারে যারা আপনারা পেশাগত কাজ নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকেন তাদের জন্য যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। কিন্তু আমি তো অপমানজনক কিছু বলিনি। বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধে লেখকের বিশ্লেষণের সুযোগও কম, কারন যা কিছু বলার তা বিজ্ঞানী বা গবেষক নিজেই সেটা করে দেন। তবে যেটা করা যায় তা হলো – সহজ সরল ভাষায় বিষয়টিকে সাধারন্যে তুলে ধরা যায়। আর আমার এ মন্তব্যটি ছিল বন্যা আহমেদ এর করা একটা শ্লেষাত্মক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। উনি ওনার মন্তব্যে আমরা যারা ধর্মীয় বিষয়ে লেখা লেখি করি তাদের বিদ্যা বুদ্ধিকে তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করেছেন এই বলে যে আমরা নাকি – হাউমাউ করি।কই আমরা তো আপনাদের কোন বিষয়ে তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করি না। আপনাদেরকে আমরা সব সময় যথেষ্ট সম্মান করি আপনাদের লেখা বিশেষ আগ্রহ সহকারে পড়ি। অথচ বিপরীতে আমরা যদি এ ধরনের তাচ্ছিল্যপূর্ন মন্তব্য দেখি তখন তো একটু সমস্যা হয়। আমরা তো এখানে জ্ঞান বিদ্যা জাহির করতে আসি না, আসি সামাজিক দায় বদ্ধতা থেকে কিছু করার মানসে।
@ভবঘুরে,
আমার বক্তব্য আপনারা যারা ধর্ম বিষয়ে লেখালেখি করেন তাদের জন্য অপমানজনক হবে কেন? সেরকম কোনো কিছু কি আমি বলেছি?
ধর্ম বিষয়ে লেখালেখির ক্ষেত্রে অসংখ্যবার আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। তারপরেও আবার দিচ্ছি। আপনারা যারা ধর্ম বিষয়ে পরিশ্রম করে লেখালেখি করেন সেগুলোকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথেই দেখি আমি। মনোযোগ দিয়ে পড়ারও চেষ্টা করি। মুক্তমনাতে এগুলোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু সমস্যা হয় কিছু অতি সরলীকরণের ক্ষেত্রে। কোনো ধর্ম নিয়ে লিখতে গেলে সেই ধর্মের অনুসারী লোকেরাও আলোচনায় চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ওটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যখন কোনো একটা ঘটনাকে বিচ্ছিন্নভাবে তুলে নিয়ে পুরো সম্প্রদায়কে দায়ী করা হয় বা কোনো ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে দায়ভার পুরো ধর্ম বা সেই ধর্মের লোকদের উপর ঠেলে দেওয়া হয়, তখনই মূলত আপত্তিটা আসে। কোনো একজন ব্যক্তির খারাপ একটা কাজকে অযথাই যদি আমরা ব্যাকট্রাক ধর্মের সাথে মিশিয়ে দিতে পারি (যদিও আমি বলছি না যে ধর্মের কারণে খারাপ কাজ হয় না।) তবে কেন অসংখ্য ভাল কাজকে ব্যাকট্রাক করি না, ধর্মের সাথে মেলানোর চেষ্টা করি না?
@ভবঘুরে,
হতে পারে। তবে একই কথা আমিও বলতে পারি আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে, যে আগে যখন ধর্ম নিয়ে লিখতাম তখন লেখা লিখতে খুব একটা সময় লগাতো না। কোরান হাদিসের রিসোর্স তো অনলাইনেই আছে। ফেইথ ফ্রিডম কিংবা ইসলামওয়াচের মতো সাইটও এখন গণ্ডায় গণ্ডায়। কেউ কিন্তু বলতেই পারে – ধর্ম নিয়ে লেখা বরং অনেক সহজ। কোন সামাজিক কিংবা নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে যেতে হয় না, কতকগুলো আয়াত তুলে দিয়ে আগে পরে বিশ্লেষণের নামে কিছু চালিয়ে দিলেই হল। বরং ভাল বিজ্ঞানের লেখা লিখতে একাডেমিক জার্নাল সার্চ করতে হয়, এই সংক্রান্ত বই সংগ্রহ করে পড়তে হয়। যেমন ধরুণ – সংসপ্তক যে পুরুষের নাচ এবং মেটিং স্ট্র্যাটিজি নিয়ে লিখেছেন, কিংবা শিক্ষানবিস যখন বর্ণবাদ এবং মানুষের বংশগতীয় বৈচিত্র্য নিয়ে লেখেন, তখন আমি দাবী করব – খুব কম রিসোর্সই অনলাইনে পাওয়া যায়। সঠিক গবেষণার হদিস না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না কোন ভাবেই। তবে হ্যা – গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মত বিষয় কিংবা জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে কোন লেখা লিখতে চাইলে আলাদা কথা অবশ্য। 🙂
এর উত্তর উপরেই দিয়েছি। আপনি যেমন বলছেন কিছু বিজ্ঞানের সাইট দেখে বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ লেখা সম্ভব, ঠিক তেমনি অন্য অনেকেই দাবি করতে পারে – কোন এন্টি ইস্লামিক সাইট দেখে রাতারাতি ইসলামবিরোধী লেখা লিখে ফেলা সম্ভব। কিন্তু শেষ বিচারে এগুলো ব্যক্তিগত মতামতই। কোনটা কঠিন, কোনটা সহজ, কিংবা কোনটা বেশি পরিশ্রমসাধ্য আর কোনটা অনায়াসে করা যায় -এ ধরণের তুলনামূলক আলোচনা মুক্তমনার মত জায়গায় না হওয়াটাই সমীচীন বলে মনে করি। আমাদের এই সকল ছোটখাট ক্ষুদ্রতার উর্ধ্বে থাকা উচিৎ। আপনার যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তা নিয়েই লিখুন, অন্যদের কন্ট্রিবিউশনকে খাট না করে।
@বন্যা আহমেদ,
আরওতো অনেক মধ্যযুগীয় বই ও ব্যাক্তি আছে কিন্তু পার্টিকুলার কোন বই ও ব্যাক্তিকে নিয়ে “দিবশ-রজনী হাউমাউ” করার নিশ্চয়ই কোন কারন আছে বলেই মনে হয়।
কাউকে ছাগু বলা আমার মনে হয় বাজে রুচির পরিচায়ক, কারন ছাগু শব্দটা বিশ্রী এবং অড্। কিন্তু কাউকে মডারেট মুসলিম বলার মধ্যে কি অন্যায় বুঝা গেলোনা।
আমার মনে হয়না “প্রায়-জন্ম থেকে নাস্তিকতার দর্শন এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটা” বুঝে যাঁরা নাস্তিক হয়েছেন তাঁদের নাস্তিকতার প্রমাণ দিতে হয়, তাঁরাতো সবাই তাঁদের প্রজ্ঞার জন্য সুপরিচিত। কিন্তু যাঁরা ঐ ক্যাটেগরিতে পরেন না তাঁরাও মুক্তমনার প্ল্যাটফর্মে তাঁদের মতামত রাখতে পারেন বলেই আমার বিশ্বাস।
@বন্যা আহমেদ, @ভবঘুরে
:yes: সহমত।
ভাল লাগলনা মন্তব্যটা।
কি বললেন এটা। মুক্তমনায় অনেকের বিজ্ঞানবিষয়ক এমন অনেক লেখা দেখি যা এতটাই জ্ঞান, সময় এবং অধ্যবসায় দাবি করে যা আমরা যারা জানিনা ওসব বিষয়ে তাদের কল্পনারও বাইরে। আপনি শিক্ষানবিসসহ আরো অনেক লেখকের লেখা দেখলে বুঝবেন।এ মন্তব্যটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।মুক্তমনার আমার এত প্রিয় সাইট হবার একটা মূল কারণ কিন্তু এর বিজ্ঞান মনস্কতা।
এই মন্তব্যটাও মোটেও ভাল লাগলনা।
ইদানিং অনেকের কমেন্ট পড়ে কষ্ট পাচ্ছি। অনেক কথা বলার ইচ্ছে করছিল কিন্তু এত জায়গায় কমেন্ট করা সম্ভব না, আসলে ভালও লাগছেনা কমেন্ট করতে।তাই এক জায়গাতেই মনের কিছু কথা বলে গেলাম।মুক্তমনা আমার খুবই ভালবাসার জায়গা এবং এর স্থান একটি বারোয়ারি সাইট বা এন্টি ইসলামিক বা এন্টি ধর্ম সাইট হওয়ার থেকে অনেক উপরে। কারণ এখানে আদতেই আমি মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞানমনস্কতার চর্চা দেখেছি এবং মুক্তমনা সেই জায়গাতেই থাকবে সবসময় এটা আমি বিশ্বাস করি এবং মনে প্রাণে চাই।
@লীনা রহমান,
আপনার এ কথাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। কমেন্ট করতে ভাল লাগছে না বলে বরং আরো বেশি করে মন্তব্য করবেন, নিজের পছন্দ অপছন্দগুলো জানিয়ে যাবেন, নয়তো নিজের অজান্তেই ‘সংখ্যালঘু’ হয়ে যাবেন, শুধু সংখ্যায় নয়, মননেও। তাই যেখানেই অসঙ্গতি দেখবেন, সেখানেই আসুক আপনার প্রতিবাদ এবং সুপরামর্শ।
@অভিজিৎ,
যেখানে উক্ত মন্তব্য করেছিলেন সেখানে অপশন না থাকাতে এখানেই মন্তব্য করলাম।
তাই-ই তো করি। কিন্তু তা করলে কেউ যদি তাকে হাউমাউ বলে তাচ্ছিল্য করেন তাহলে আমার কি করার আছে? আমি তো কারও কন্ট্রিবিশনকে খাটো করি নি, করিও না কখনো। যিনি এরকম তাচ্ছিল্যপূর্ন মন্তব্য করে অন্যের কন্ট্রিবিউশকে খাট করে নিজেকে বিরাট পন্ডিত হিসাবে জাহির করতে চাইবেন তাকে পাল্টা কিছু মন্তব্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর এর জন্য দোষটা বর্তাবে যিনি সেটা শুরু করেছেন তার ওপর। যাহোক, আপনার কথাই শিরোধার্য, এটা নিয়ে আর কথা না বাড়ানোই বাঞ্ছনীয়। ভাল থাকবেন।
@লীনা রহমান, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোই বলার চেষ্টা করেছিলাম গতকাল যাযাবরকে। আপনিও যে একই কারণে মুক্তমনায় আসেন সে কথা যেনে ভালো লাগলো।
আর কালকে বেশ কিছু কথা বলেছি প্রচন্ড বিরক্তি থেকে। গত কয়েকদিনের বেশ কিছু মন্তব্যে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছি, আর ‘হাউমাউয়ের’ কথাটা সেখান থেকেই এসেছে। আমি সাধারণত ধর্ম এবং বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে লেখাগুলোতে মন্তব্য করি না, কারণ এ তে আগ্রহ হারিয়েছি সেই ছোটবেলায়, আমার জীবনে এর প্রাসংগিকতা হারিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু যারা ধর্মের সমালোচনা করে স্কলারলি লেখা লেখেন তাদেরকে শ্রদ্ধা না করার কোন কারণ নেই, এরকম লেখক মুক্তমনায় অনেকই আছেন। আমার আপত্তি হচ্ছে ধর্মের সমালোচনার নামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোতে বা কেউ কোন কিছুতে আপত্তি জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে আক্রমণ করাতে। এ তে করে শুধু পরিবেশই যে দুর্গন্ধময় হয় তা নয়, মুক্তমনার অনেকদিনের অর্জনগুলোও নষ্ট হয়। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করে দেখেছেন বিজ্ঞানের লেখাগুলোতে আমরা কি রকম তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি, কিন্তু সেখানে তো আমরা ‘অমুকের গাত্রদাহ’ হচ্ছে বা ‘তমুক গুপ্তভাবে অবিজ্ঞানমনষ্ক’ বলে গালাগালি করিনা। ধর্ম নিয়ে লেখাগুলোতে কোন কিছু নিয়ে আপত্তি জানালেই ধর্মবাদী, গুপ্ত মৌলবাদী বা মডারেট মুসলিম হয়ে যাওয়ার প্রসংগ আসে কেন? এবং সেটা যতবারই আসবে ততবারই আমাদের মত কিছু মানুষের কাছ থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হবে, অতীতেও যখন চোখে পড়েছে প্রতিবাদ করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। ফরিদ ভাইকে উদ্দেশ্য করে গত কয়েকটা পোষ্টে যেসব কথাবার্তা এবং ইঙ্গিত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোটা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছিল (উইকেন্ডে শহরের বাইরে থাকার কারণে এ ধরণের মন্তব্যগুলোর প্রতিবাদ আগে করতে পারিনি) কারণ মুক্তমনায় এ ধরণের মানসিকতা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তমনা আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পিছনে ফরিদ ভাইয়ের অবদান কতখানি সেটা যারা জানেন না তাদের পক্ষেই শুধু এ ধরণের মন্তব্যগুলো করা সম্ভব।
@বন্যা আহমেদ,
বিজ্ঞান কোন স্পর্শকাতর বিষয় না যে তা নিয়ে খুব বেশী তর্কাতর্কির সুযোগ আছে। ধর্ম একটা স্পর্শকাতর বিষয় তাই তা নিয়ে বহু তর্কাতর্কির সুযোগ রয়ে গেছে। আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্মের ওপর মন্তব্য করা থেকে বিরত আছেন বলে তাতে মৌলবাদিতা বন্দ থাকেনি। আপনি চুপ আছেন বলেই অন্যকে সে দায়িত্ব স্বেচ্ছায় পালন করতে হয়। পরিশেষে, যে লিখতে পারে সে ধর্ম সহ যে কোন বিষয়েই সাবলীল লিখতে পারে তা বোধ হয় এ মুক্তমনাতেই অনেককেই দেখেছেন। বস্তুত: কেউ কেউ শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ওপর লেখে বলেই অনেকেই আর ও বিষয়ে এখানে লিখতে আগ্রহ বোধ করে না। আর মাঝে মাঝে একটু হালকা তর্ক বিতর্ক খারাপ না মনে হয়। আপনি কি বলেন? আমি আবারও বলছি- আমরা এখানে কেউ পান্ডিত্য দেখাতে আসি না।
@ভবঘুরে, আপনাকে জবাব দেব না ঠিক করেছিলাম, কিন্তু আপনার এই মন্তব্যটি এতখানিই হাস্যকর যে ভাবলাম হাসিটা না হয় আপনার সাথে শেয়ারই করি। বলুন তো আমি কি কোথাও কোনদিন বলেছি যে মৌলবাদ তাড়ানোর মহান উদ্দেশ্যে নিয়ে আমি লেখালিখি করি? আমি নিজেকে কোন লেখক বলেই মনে করি না, পান্ডিত্য জাহির করতে আসার তো প্রশ্নই আসে না। আমার যে বিষয়ে ইন্টেরেস্ট যে বিষয়ে দুই একটা ব্লগ লিখি এ পর্যন্তই। আপনার লেখা লাইনটা বেশ কয়েকবার পড়লাম, ‘আমি চূপ করে থাকলে মৌলবাদ থেমে যাওয়ার’ প্রসংগ কেন আসলো সেটা কিন্তু কিছুতেই বোধগম্য হল না। ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কি করে কোন ‘ক্রিয়া’ বা কাজ করার বা থামার নিশ্চয়তা দিতে পারে তা বুঝে ওঠার মত ‘পান্ডিত্য’ মনে হয় এখনো আমি অর্জন করতে পারিনি :-Y । আমি তো ব্লগে কবিতা কিংবা ছড়া প্রকাশিত হলেও সাধারণতঃ নীরব বা নিস্ক্রিয় থাকি। তা বলে কি আমি ‘কবিতা বিরোধী’দের উস্কে দিচ্ছি? যুক্তির বলিহারি বটে!
যাক, এবার আসল কথায় আসি, কয়েকটা কথা বোধ হয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার।
আপনি লিখেছিলেন এই মধ্যযুগীয় ধর্মের বিরোধীতা করার জন্যই নাকি মুক্তমনা সাইট খুলতে হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে আপনার এই ধারণার মধ্যেই বোধ হয় ভুল বোঝাবুঝির মূল কারণটা লুকিয়ে রয়েছে। কোন একটি ধর্মের জন্য মুক্তমনা খুলে রাখা হয়নি, মুক্তমনার ব্যাপ্তি তার চেয়েও অনেক বড় বলেই আমার বিশ্বাস, সে কথাটা আমি যাযাবরকেও বলেছিলাম। কেউ যদি শুধু এই মানসিকতা নিয়ে মুক্তমনায় লেখালিখি করেন তাদের সাথে অন্যদের অন্যদের দ্বিমত হবে সেটাই স্বাভাবিক। আজকে বিশ্বব্যাপী ইসলামী মৌলবাদ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই সে নিয়ে বেশী লেখালিখি হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে মুক্তমনার উদ্দেশ্য ‘ইসলাম পিটানো নয়’, তার চেয়েও অনেক গভীর। মুক্তমনার সদস্যদের সেটা মাথায় রেখেই লেখালিখি করা উচিত।
ধর্ম নিয়ে লেখা প্রসঙ্গে আমি ‘দলবেঁধে হাউমাউ’ কথাটা বলিনি, বলেছিলাম কেউ প্রতিবাদ করলেই সাথে সাথে তার পিছনে কিছু লেবেল লাগিয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে। সেখান থেকে ধর্ম বনাম বিজ্ঞান বিতর্ক টেনে আনার কোন প্রয়োজনই ছিল না, কিন্তু আপনি সেটা এনেছেন। ‘ইট’ বা ‘পাটকেল’ কোনটা ছোড়াই আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আর বিজ্ঞানের লেখায় তর্কাতর্কি হয় স্পর্শকাতরতা নিয়ে নয়, যুক্তি, প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। ধর্মের বিরোধীতা করে যারা লেখালিখি করেন তাদের লেখায় যদি কুযুক্তি থাকে তাহলে তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে, কেউ দ্বিমত করতে বা আপত্তি জানাতেই পারে। এর আগে কয়েকটা ধর্মসংক্রান্ত লেখাতেই দ্বিমত করার সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্রীভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। ফরিদ ভাইকে আরেকটা লেখায় যা বলা হয়েছে বা এখানেও যে ইঙ্গিতগুলো টেনে আনা হয়েছে সেগুলো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন আবার দেখছি ‘গুপ্ত মৌলবাদী নাস্তিক; ‘ইসলামপন্থী নাস্তিক’ এগুলো বলাও বেশ ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে। অন্যান্য ব্লগে এ নিয়ে সংশয় থাকলে থাকতে পারে, মুক্তমনায় যারা নাস্তিক তারা প্রকাশ্যেই নাস্তিক, যারা নন তারাও প্রকাশ্যেই সেটা বলেন, এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে আসাটা বা গুতোগুতি করাটা নিতান্তই হাস্যকর। আমার তো মনে হয় মুক্তমনার অনেক সদস্যই শুধু ধর্মের বিরোধীতা করার জন্যই নাস্তিক নন, নাস্তিকতার মূল দর্শনটা বুঝেই নাস্তিক। হোরাসের লেখা আমি খুবই পছন্দ করি, কিন্তু তার উইকি নিয়ে লেখাটার মূল বক্তব্যের সাথে আমি মোটেও একমত নই, আপনার এই লেখাটার সাথেও আমি দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু তাই বলে কি আমি ‘গুপ্তভাবে মৌলবাদী বা ইসলামপন্থী’ হয়ে যাবো?
যাই হোক, আশা করছি আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পেড়েছি। এ নিয়ে আর কথা বাড়াবো না। মুক্তমনার মান বজায় রাখার জন্যই একটি সুস্থ , উদার এবং মুক্ত পরিবেশ বজার রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। ভালো থাকবেন।
@ভবঘুরে,
ভবঘুরে,
দাদা ভাই, এবার ক্ষান্ত দেয়া যায়না? প্লীজ। আমি বিশ্বাস করি, মুহাম্মদ, কোরান আর ইসলামের বাইরেও আপনার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত প্রসারিত। সেই ইবনে ওরাক, হিশাম, তাবারি থেকে নিয়ে অগণিত জ্ঞাণী গুণী ইতিহাসবিদ, স্কলার এই তিনটি (মুহাম্মদ, কোরান ও ইসলাম) বিষয় বা বস্তু নিয়ে এপর্যন্ত প্রচুর লেখালেখি করেছেন। সত্যাগ্রহী, সত্যান্বেষী মানুষেরা সে সব থেকে তাদের ইচ্ছেমত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আপনার কাছে আমার বিণীত অনুরোধ, প্লীজ অন্তত কিছু দিনের জন্যে, এ তর্কের এখানে সমাপ্তি টেনে অন্য কোন বিষয়ের উপর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দিন।
ভাল থাকুন-
আকাশ।
@ফরিদ আহমেদ,
@ফরিদ আহমেদ,
তাহলে এবার আপনিও নিশ্চয়ই “ইসলাম ব্যাশার” দের হতাশাটা বুঝতে পারবেন। তাদেরকেও পই পই করে দাবী করতে হয় যে তারা মুসলিম বিদ্বেষী নয়, শুধু ইসলামের সমালোচক। আপনিও একবার বললেন যে ইসলাম বিদ্বেষী আর মুস্লিম বিদ্বেষীর তফাৎ বোঝেন। তাহলে “ইসলাম” ব্যাশার বলে কটাক্ষ করাটা অসাম্নজস্যপূর্ণ হয়ে যায় নয় কি? আর ইসলামা ব্যাশাররা যে মুসলিম বিদ্বেষী নয় সেটা বুঝতে রকেট সাইন্স লাগে না। এই “ইসলাম ব্যাশারদের” মা বাবা, ভাই বোন, বন্ধু সবাইত মুসলীম। দবে হ্যাঁ ইসলামিস্ট আর মুস্লীম এক নয়। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, এদের অধিকাংশই মুস্লিম, ইসলামিস্ট নয়। ইসলাম ব্যাশ করলে ইসলামিস্টরা নিজেরা ব্যাশিত হয় বলে সচেতন সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাশিত হবার দায়িত্ব তাদেরই। ইসলামিস্টদের ব্যাশিত হওয়ায় তাদের প্রতি মানবিক মূল্যবোধ অনুভব করার কোন কারণ দেখি না।
@যাযাবর,
আমাদের মতের পার্থক্যের জায়গাটা যে অনেকখানিই কমে আসছে সেটা আপনার এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে। ইসলামকে সমালোচনা করলে যদি দেখি যে ইসলামিস্টরা ব্যাশিত হওয়া নিয়ে ক্রন্দন করছে সেক্ষেত্রে আমারও কোনো দুঃখবোধ হয় না, বরং একধরনের উল্লাসই অনুভব করি। কিন্তু গণহারে মুসলমানদেরকে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী বলে গালিগালাজটাকে মেনে নিতে পারি না কোনোভাবেই।
@স্বাধীন,
আমি আসলে আস্তিক নাস্তিক এসব পরিচয়ে মোটেও গুরুত্ব দেই না। লেখালেখি করার সময় গুরুত্ব দিতে চাই যুক্তিবোধকে। সেটা কখন কার পক্ষে গেল বা বিপক্ষে গেল তা মনে করতে চাই না। এই কারনেই মনে হয় দুই পক্ষের চরমপন্থীদের কাছেই আমি অপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব। আমি যতই নিজেকে আস্তিক পরিচয় দেই নেট জগতে অনেকের কাছেই আমি নাস্তিক, তেমনি আবার কারো কারো কাছে আমি প্রগতিশীলতার আড়ালে ছূপা ইসলামিষ্ট।
কেউ যদি আগে থেকেই ঠিক করে ফেলেন যে তিনি ধার্মিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবেন বা ধর্মবিরোধীদের হয়েই কেবল অন্ধভাবে কথা বলবেন তাহলে তো মুশকিল। তখন যুক্তিবাদের মাথায় বাড়ি পড়ে।
সংখ্যালঘু মনে হলে ছেড়ে দেবেন কেন? সমাজের যাবতীয় বড় বড় ভুল ধারনা সংখ্যাগুরুরাই সবসময় পালন করে আসে, সংখ্যালঘুরাই ভুল ধারনা ভাংগায়।
এই বিশেষ “মওলানা মাইনউদ্দিন” লোকটা তো সিজোফ্রনিক সোশিওপ্যাথও হতে পারে।
ইসলামী শিক্ষার “সুফল” এর আরো কিছু উদাহরণঃ
১। খবরটি বেরিয়েছিল ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী ডেইলী স্টার পত্রিকায়।
ফতুল্লার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার মসজদের পেশ ইমাম সাইফুল ইসলাম রাজাপুর প্রাইমারী স্কুলের চতুর্থ গ্রেডের আট বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি আরবী পড়ার জন্য ইমামের বাসায় গিয়েছিল
(http://www.thedailystar.net/2005/02/14/d50214011717.htm)
২। খবরটা বেরিয়েছিল ২০০৪ সালের ১লা মার্চ ডেইলী স্টার পত্রিকায়।
খেজমতপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ রুহুল আমিন ও দুজন সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান একজন শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে ।
(http://www.thedailystar.net/2004/03/01/d40301071478.htm)
৩। এই খবরটা বেরিয়েছিল ২০০৪ সালের ১২ই জুনের ইত্তেফাক পত্রিকায়। রংপু্র জেলার বদরগঞ্জের খালিশা হাজিপুর আজিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মৌলানা আবু হায়দারকে এক মেয়ের সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে তাকে গর্ভবতী করায় কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়।
৪। এই খবরগুলি বেরিয়েছিল ২০০২ সালের ৫ই মের ইত্তেফাক পত্রিকায়।
– পুলিশ গাজীপুরের মাউনা চৌরাস্তা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও উপজিলা জাতীয় ওলামা পার্টির সভাপতি হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলামকে এক জমি ক্রেতার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
– ফসল নষ্ট করার কারণে মাদ্রাসা শিক্ষক ফজলুর রহমানের গরুকে তার প্রতিবেশি কৃষক শুরুজ আলী আটকে রাখলে ফজলুর রহমান ক্রোধান্বিত হয়ে শুরুজ আলীকে রড দিয়ে আঘাত করলে শুরুজ আলী মারা যায়। ঘটনাটি ঘটদে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।
৫। এই খবরটা বেরিয়েছিল ২০০২ সালের ৩০শে মের ইত্তেফাক পত্রিকায়।
কাপাসিয়ার মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই আলেম পরীক্ষার্থীর জন্য প্রক্সি দিতে গিয়ে মৌলানা বরকতুল্লাহ ও মৌলানা মোহম্মদ ধরা পড়ে। ওই দুই মৌলানার প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকার হাদিয়ার বিনিময়ে এই প্রক্সি কাজে নিয়োজিত করে তিন প্রিন্সিপাল, বেগুনহাটির মৌলানা মমতাজুদ্দিন, রাউনাতের মৌলানা আব্দুর রহমান ও রাউতকোনার মৌলানা ফজলুল হক। পরিক্ষার্থীরা রাউতকোনা মাদ্রসার ছাত্র।
৬। এই খবরটা বেরিয়েছিল ২০০২ সালের ২রা আগস্ট জনকন্ঠ পত্রিকায়।
মির্জা আবেদ বেগ নামক দারুল এহসান মাদ্রাসার এক ছাত্রকে পুলিশ ছিন্তাইএর সময় গ্রেপ্তার করে।এই সময় তার কাছে পাঁচ রাউন্ড গুলি সহ একটা পিস্তল ছিল।
@যাযাবর, এটাকে কেবল ইসলামী শিক্ষার ‘সুফল’ বলা উচিত হবেনা। অন্য যেকোন পদ্ধতিতে শিক্ষিত মানুষেরাও এই ধরণের অপকর্মগুলো করতে পারে।এই ঘটনাগুলো কেবল ইসলামী শিক্ষার তথাকথিত ঐশ্বরিকতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
@মিথুন,
কেবল ঐশ্বরিকতাকে চ্যালেঞ্জ নয়, আরো অনেক কিছু করতে পারে। ইসলামিস্টরাই বুক ফুলিয়ে দাবী করে, ইসলাম সঠিক জীবন যাপনের জন্য এক সর্বাংগীন ধর্ম, সর্বশ্রেষ্ঠও বটে। এরপরো সেই ইসলাম শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার ইসলামী শিক্ষার পরও এইসব কুকাজ ইসলামিস্টদের আদর্শ মানুষ তৈরীর এই মহান রেসিপির অসারতাই প্রমাণ করে। আমি অপেক্ষা করছি কোন ইসলামিস্ট আবারো শয়তানের উপর দায়ভার চাপায় কি না দেখতে। সর্বশক্তিমান আল্লাহও শয়তানকে থামাতে পারেন না মানুষকে কুকর্মে প্ররোচিত করা থেকে। মজার ব্যাপার নয় কি। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি এই সব কুকাজ করা থেকে বিরত রাখার গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কেন মাদ্রাসাহ শিক্ষার জন্যরে কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করবে সরকার/জনগণ? আর কি লাভ হয় এই শিক্ষায়?
@যাযাবর, আমার মনে হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে শয়তানরে ঐদিন একটু হাইপারএকটিভ ছিলো। একেবারে, পড়বি তো পর মালির ঘাড়ে, ফতুল্লার হুজুররে ঠাইসা ধইরা বলছে ‘এই আট বছরের মেয়েটাকে ধর্ষণ করে ফেল।না করলে খবর আছে।’ হুজুরকে দোষারোপ করার আগে হুজুরের দুর্দশার কথাটাও একবার চিন্তা করে নিবেন আশা করি।
@ ভবঘুরে
আমার আগের মন্তব্যটি আপনার উত্তরের উত্তরে লেখা। ভুল করে আলাদা মন্তব্যে দিয়ে ফেলেছি 🙁
আপনার সঙ্গে শতভাগ সহমত। আর সত্যি বলতে, আমি কখনওই মনে করি না, গোখরো সাপ বিষাক্ত বলতে গেলে অন্যান্য বিষাক্ত সাপগুলোর কথাও উল্লেখ করা আবশ্যক।
আমি, খুব সম্ভব, আমার মন্তব্যের মূল সুরটি বোঝাতে পারিনি। স্মাইলি যোগ করেও 🙁 । আমারই ব্যর্থতা।
আসলে মুক্তমনায় সাম্প্রতিককালে কিছু মন্তব্য পড়ে আমার মনে হওয়া ধারণাটি একটু ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।
এবারে, আশা করি, বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
@নির্ধর্মী,
দু:খ করার কারন নেই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম মূল সুর। তারপরেও আমি আত্মপক্ষ সমর্থনসূচক বক্তব্য দিয়েছি। কারন এসব মন্তব্য তো সবাই পড়ে। আর সে কারনেই আত্মপক্ষ সমর্থনসূচক ব্যখ্যা।
ভাই ভবঘুরে, ভারসাম্য রক্ষার রীতি অনুযায়ী – ইসলামের মোল্লা নিয়ে আলোচনা করলে অন্য ধর্মগুলোর পুরোহিত, যাজকদের নিয়ে অলোচনা করাও আবশ্যক। নইলে এ ধরনের লেখা একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট ঘোষিত হবার সম্ভাবনা আছে 😉
যেহেতু আপনি তা করেননি, ধরে নিচ্ছি, এটাও শয়তানের প্ররোচনা 🙂
@নির্ধর্মী,
কথাটা ঠিক। তবে একেবারে শেষ দিকে খৃষ্টান পাদ্রীদের কথা বলা আছে, আপনার নজর এড়িয়ে গেছে মনে হয়। আসল কথা হলো, অন্য ধর্ম দুনিয়াতে তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি বর্তমানে করছে না , যা করার অনেক আগেই করে ফেলেছে। তাই অন্য ধর্ম নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা কম। বর্তমানে ইসলামই সারা দুনিয়াতে সমস্যা সৃষ্টি করছে, আর সেকরনেই মুসলমান মোল্লাদের নিয়ে আমার মাথা ব্যথা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আগে অনেক নিবন্ধেই আমার ব্যখ্যা দেয়া আছে।
@ভবঘুরে,
তো? জুলু জাতির কথাতো বলেন নাই, তারপর ইনুইট, এস্কিমো, গারো, সাওতাল এইসব জাতির কথাওতো বলেন নাই। শুধু খ্রিষ্টান আর মুসলমান জাতির কথা বললে হবে?
হক কথা। হাঁতুড়ি পেরেকে সঠিক লেগেছে। পাদ্রীরাও যৌন নিপীড়ন করে, ছেলেদের অবশ্য, কিন্তু শয়তানের দোহাই দেয় না, স্বীকার করে শাস্তিও পায়। ইসলামে শয়তান নামক এক ঢাল ঠিক করা আছে শেষ রক্ষার জন্য। লেখাটা কুরাণ অনলী বা নবী অনলীদের গালে চপেটাঘাত করবে। অনেক কুরান/নবী অনলী মুসলিমা, যেমন ফরিদা মজিদ ইসলামের সব ঘৃণ্য দিককে মওদুদীর আবিষ্কার বলে চালিয়ে নবী ও কুরাণের বন্দনা করেন।
@যাযাবর,
কোরান ও হাদিসে মেয়েদের এত অপমান করার পরও যে কিছু তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা ইসলামের জয়গান করে তা দেখলে সত্যিই মাঝে মাঝে আশ্চর্য হয়ে যাই।
@ভবঘুরে,
কেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই পাখী’ কবিতাটি পড়েন নাই?
খাঁচার পাখী বলে, ‘ –খাঁচাটি পরিপাটি, —কেমনে বাঁধা চারিধার,
— আকাশে কোথা বসিবার ঠাঁই–?”
বিয়ের ব্য়সটা যে ৬ আর ৫১, এটা আমার জানা ছিল না। আমি জানতাম ৯ আর ৫২। যা জানা ছিল, তা বলাতেই আমার বন্ধু রেগেমেগে আগুন। আর রাগবারই কথা। স্কুল জীবনের প্রায় বন্ধুই বিয়ের বাজার থেকে বউ এনে সংসার পেতে বসেছে। আর আমি কি-না নেমে এসেছিলাম পথে। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য, বন্ধুটি আকুল হয়ে বলেছিল, ” বিয়া-শাদী কর, ধর্মের পথে ফিইরা আয়, দেখবি অনেক শান্তিতে আছস।”
তার কথা শুনে মনে হয়েছিল আমি খুব অশান্তিতে আছি। সাংগঠনিক শক্তির (সময় ৮৫-৯৩, ঢাকা) ভিত্তি ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল বলে প্রকাশ্যে নাস্তিকতা করতে পারতাম।
বন্ধুটিকে বললাম, “কেন করছি না, জানিস?”
“কেন?”
“তুই তো বিয়ে করেছিস এবং একটা মেয়েও হয়েছে?”
“হ্যা।”
“তোর মেয়েকে বিয়ে করবো বলেই, বিয়ে করিনি।”
“নাউজুবিল্লা।” বন্ধু ভাইব্যা একটা কথা কইলাম আর তুই এমন একটা কথা কইতে পারলি?”
“তোর নবী করতে পারলে আমি পারবো না কেন?”
“তুই আর নবীজী কি এক কথা। এই জন্য আল্লায় কইছে শয়তানের কাছ থাইক্যা দশ হাত দূরে থাকবা, হেগোর লগে কথায় পারবা না।”
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, ধর্মের বড় নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠছে শয়তান। কথাটা এভাবে কখনো ভাবিনি।
@চার্বাক,
এখনো বয়েসের ব্যপারটা অধিকাংশ মানুষ জানে না। সবাই জানে আয়শা হলো মুসলিম জাহানের মাতা , কিন্তু তাকে মোহাম্মদ কত বছর বয়েসে বিয়ে করেছিল তা তেমন কেউ জানে না , কোন ইসলামী জলসাতেও বিষয়টি কেউ মনের ভুলে উল্লেখ করে না। এটাই আসলে মুসলিম সমাজের একটা বড় সমস্যা তারা নবী মোহাম্মদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কম জানে বা জানার চেষ্টা করে। আর এ ঘটনাটা পরে দৃষ্টিকটু হতে পারে ভেবে চালাক মোহাম্মদ আয়শাকে মুসলিম জাহানের মাতা হিসাবে চালু করে দিয়ে গেছে যাতে এ ব্যপার নিয়ে কেউ কোন রকম উল্টা পাল্টা প্রশ্ন না করে।
@ভবঘুরে,
লেখকের বিষয় নিয়া কথা আছে, উনি কোন দর্শনের মানুষ? খুবই মেজাজি টাইপের লেখা, নিজেকে জাহির করতে গিয়া অন্য যে কাউকে দোষারোপ করা এক ধরনের স্বভাব। সে স্বভাব লেখার নীতিতে পরিপুষ্ট।
@ চার্বাক,
ইসলামী জালছায় যারা বক্তব্য রাখে তারা মুখুস্ত বিদ্যায় পারদর্শী, শরীয়তের মতাদর্শে’র বাইরে যেতে পারেনা।
@ চার্বাক,
বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করতে চাওয়ার মধ্যে নবাব শাহাজাদা ভাবনার কিছু নাই। নিজের একটা সন্তান থাকলে এ শব্দটা সম্ভবত অনুচ্চারিত থাকতো।
@কিংবদন্তী,
ইসলামী জালছায় যারা বক্তব্য রাখে তারা মুখুস্ত বিদ্যায় পারদর্শী, শরীয়তের মতাদর্শে’র বাইরে যেতে পারেনা।
ক্থাটা কেন বলা হলো অর্থ উদ্ধার করতে পারলাম না।
নিজের একটা সন্তান থাকলে এ শব্দটা সম্ভবত অনুচ্চারিত থাকতো।
এ কথাটা আপনি ঠিক-ই বলেছেন, তবে প্রশ্নটা আমাকে না করে “সর্বকালের সর্বশ্রষ্ঠ পয়গম্বর” মোহাম্মদকে করলে ভাল হতো। দ্বিতীয় উপায়, চার্বাকের জায়গায় মোহাম্মদের নামটা বসিয়ে দিন, দেখবেন মন ভাল হয়ে গেছে।
@কিংবদন্তী,
প্রত্যেকের নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে , কারো কাছে সেটা ভাল কাছে সেটা ভাল না । এটাই তো জগত , তাই না ?
“কি বলি আজ ভেবে না পাই,
পাছে লকে ধরে যদি কোপায়।”
প্লাসাইলাম+++
FB তে share করলাম