“যে পুরুষ নাচতে জানেনা , তাকে কখনই তরবারী দিও না. ” – কনফুসিয়াস (৫৫১-৪৭৯ খ্রী:পূর্ব)
নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা- কথাটা সম্ভবত একজন নারীর এবং যার নাচার কথা তিনি একজন পুরুষ। একজন নারীর কথায় না নাচতে পারার খেসারত এতদিন অজানা ছিলো। না নাচাটাই বরং ছিলো অনেকের কাছে গর্বের বিষয়! এটা সেটা দিয়ে নারীদের মন পাওয়ার জন্যে কি করেনি পুরুষেরা ? ক্রেডিট কার্ডে লাল বাতি জ্বালিয়েছে , হাতের মুঠোয় প্রান নিয়ে দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে লাল কাপড় বেঁধেছে , বিশ্ব সংসার তছনছ করে একজন কবি ১০৮ টা নীল পদ্ম পর্যন্ত তুলে এনেছেন । কিন্তু নাচতে চায়নি পুরুষেরা। নৃত্যে যে বসতি লক্ষী তা এতদিনে জানা ছিলো না। কিভাবে এখন তা জানলাম ? এবার কোমরে সীট বেল্ট বেঁধে শুনুন তাহলে।
সাম্প্রতিক গবেষণার* ফলাফলে দেখা গেছে যে , সুন্দর নাচতে পারাটা সুস্বাস্থ্য এবং উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা নির্দেশ করে। এখানে নর্তক একজন পুরুষ এবং দর্শক একজন নারী। আপনি যখন কোন ডিস্কো বা নাইট ক্লাবে গিয়ে নাচেন বা হাত পা ছোরা ছুরি করেন , উপস্থিত নারীদের বুঝতে বাকী থাকে না যে আপনি একজন ভালো নর্তক না আপনার ডান্স ফ্লোর বাঁকা । এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে এটা আবার কিভাবে বিজ্ঞানীরা বের করলেন। বিষযটা যদিও খুবই জটিল কিন্তু তারপরেও সহজ করে বলা যাক।
প্রথম বারের মত এই ধরনের গবেষণায় বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হযেছে। এটার সাহায্যে খুব সূক্ষ ভাবে হিসাব করা যায় যে নাচের সময় কোন ধরনের এবং শরীরের কোন অংশের নড়াচড়া নারীরা খেয়াল করছেন। এই হিসাব পরে নারীদের দেয়া রেটিংয়ের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। পরীক্ষাগারে নাচবার জন্য পেশাদার নর্তকের বদলে সাধারন কিছু পুরুষদের সাধারন একটা ড্রামের তালে তালে নাচতে বলা হয় ১২টি ক্যামেরার সামনে। এই দৃশ্যগুলো পরে কম্পিউটারের সাহায্যে এনিমেডেট কার্টুন বা অবতারে [চিত্র-১] রূপান্তর করা হয়। এই অবতার গুলো দেখে নারীরা এক থেকে সাতের মধ্যে যেকোনা নাম্বার রেটিং দিতে পারেন। দেখা গেল যে , একজন পুরুষের ধর, গলা এবং মাথার দিকেই নারীরা বেশী নজর দিয়ে থাকেন। হাত -পার গুরুত্ব্ব তেমন নেই। নাচের গতির পাশাপাশি নাচের ধরন বদলানোটা এখানে গুরুত্বপূর্ন। সবচেয়ে কম রেটিং পেয়েছে ‘ড্যাডি ডান্স’ মার্কা নাচ।
চিত্র-১ : পরীক্ষায় ব্যবহ্নত অবতারগুলির একটিকে দেখা যাচ্ছে প্রথমে (ক) স্হির এবং পরে (খ) নৃত্যরত অবস্থায়।
গবেষণার মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো এটা দেখা যে , অন্যান্য প্রাণীদের মত মানুষও প্রেম নিবেদনের সময় নির্দিষ্ট ধরণের শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করে কি না যা চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার On the origin of species by means of natural selection, or the preservation of favoured races in the struggle for life – এ উল্লেখ করেছিলেন। অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই সব অঙ্গভঙ্গি তাদের বয়স, স্বাস্থ্য , প্রজনন ক্ষমতা এবং হরমোনের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য নির্দেশ করে থাকে। পুরুষ প্রাণীদের এসব কসরৎ করতে শারীরিকভাবে যথেষ্ঠ সক্ষম হতে হয়। গবেষনায় যেসব নর্তক নারীদের কাছ থেকে উচ্চ রেটিং পেয়েছেন তাদের রক্তের বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তাদের স্বাস্থ্যও অপেক্ষাকৃত উত্তম। অতএব , নারীর মন পেতে হলে অজুহাত ছেড়ে আজ থেকেই ভালো নাচার অভ্যেস করুন। দেখবেন যে, আপনার প্রিয়তমা আপানাকে কাছে ডেকে নিয়ে বলছে , আ যা নাচ লে !
* সম্পূর্ণ গবেষণা পত্র :
“Male dance moves that catch a woman’s eye”
Nick Neave, Kristofor McCarty, Jeanette Freynik, Nicholas Caplan, Johannes Hönekopp and
Bernhard Fink
The Royal Society Journal Biology Letters.
doi: 10.1098/rsbl.2010.0619
আদিবাসী সমাজে পুরুষদের নির্বাচিত হতে নৃত্যপটুতা আবশ্যক। কিন্ত কৃষিভিত্তিক সমাজে আবার দেখা যাচ্ছে মেয়েরা নৃত্যকলাতে বেশী আসক্ত হয়েছে। কিন্ত প্যাগান কৃষিসমাজে নর নারী উভয় নৃত্যকলাতে পটু ছিল।
নৃত্যকলার ধ্বংশের পেছনে একেশ্বরবাদের ভাল ছায়া আছে। নৃত্যকলা সিন বা হারাম-এগুলো একেশ্বরবাদি ধর্মগ্রন্থ প্রসূত। ভারতে ভরত নট্যম বা
ওডিসির জন্ম মন্দির থেকেই। নৃত্য প্যাগানদের কাছে পূজা এবং ধর্মের অঙ্গ। এটা রোমান, গ্রীক, আরব, ভারতীয় সব প্যাগান সভ্যতাতেই দেখা গেছে।
কিন্তু মহম্মদ দেখেছিলেন পানাসক্ত এই ধরনের নৃত্যপ্রিয় সমাজ আসলেই দুর্বল মিলিটারির শক্তির জন্ম দেয়-সেই জন্যে ইসলাম স্ফূর্তি নাচা গানার বিরুদ্ধে। আবার ভারতে নাচের মাধ্যমেই দেবতার আরাধনা হয়।
ল্যাটিন বা স্প্যানিশ সমাজে পুরুষ আজও ভাল সালসা নাচ না জানলে
গার্লফ্রেইন্ড পাবে না। লস এঞ্জেলেসে থাকার সময়, আমি অনেক সালসা নৃত্যের আসরে গেছি এবং সেখানে পুরুষের নৃত্যপটুতা , একটা বড় মেটিং সিলেকশন ফ্যাক্টর। সেখানে আমাদের বঙ্গ সমাজে পাত্রের পকেটের মাপ আসল মেটিং ফ্যাক্টর হয়ে গেছে। তবে পকেটের মাপ এবং নৃত্যকলার চাপ-উভয়ই রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসের বাহক। হয়ত বাঙালী মেয়েদের ভুঁড়িওয়ালা পাত্রে আপত্তি নেই-কারন তারাও যে দেহ স্লিম রাখার ব্যাপারে সচেতন, তা বোধ হয় কেও দাবী করবে না।
@বিপ্লব পাল,
পাগান রোমান সাম্রাজ্যের পানাসক্ত এবং নৃত্যপ্রিয় মিলিটারী কিন্তু পরবর্তীকালের একেশ্বরবাদী মিলিটারীর চেয়ে বহুগুনে শক্তিশালী ছিলো। পাগান রোমান সম্রাটরা এট সেটা করলেও স্ত্রী কিন্তু একটাই রাখতেন। মূলত: একেশ্বরবাদ রোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করে তার পতন নিশ্চিত করে।
পুরোপুরি একমত। আমি নিজেই সালসা এবং টাংগো নৃত্যের চর্চা গত ৩০ বছর ধরে করছি। টাংগো শিখতে বুয়েনস আইরেস পর্যন্ত ঘুরে এসেছি। এটার মেটিং মূল্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পকেটের মাপ আর শিকারের ভাগ একই জিনিষ। পকেটের মাপে কেনা সঙ্গী সহজেই অন্যরা বশ করতে পারে , পকেটওয়ালার অগোচোরেই।
@সংশপ্তক,
ইসলাম নাচের বিপক্ষে নয়। যারা মনে করেন ইসলাম নাচকে অনুমতি দেয় নি, তারা মূলত ইসলাম এবং কোরান সম্পর্কে মিথ্যা বলছে। কোরানে নাচের কথা স্পষ্ট ভাবেই উল্লেখ আছে।
হাই স্কুলে থাকতে আমাদের ধর্মের টিচার, হাফেজ স্যারকে এক ছাত্র জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার ইসলামে কি নাচ নিষিদ্ধ? স্যার জবাব দিয়েছিলেন- কোরানে আছে, “কুল আউজুবি রাব্বিন নাচ, মালিকিন নাচ, এলাহিন নাচ।” (সুরা নাচ)
অর্থাৎ মালিক নাচে, আল্লাহ নাচে। তার সাথে নবী নাচে।
বিয়াপক বিনোদন পাইলাম। আবার কষ্টও পাইলাম। আমি বেশ কিছুদিন নাচ শিখেছিলাম, এতে আমার প্রেমিকা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কারণ অন্য নারীর সাথে নেচেছিলাম বলে সহ্য করতে পারে নি।
@মাহফুজ,
মন্দের ভালো! চিন্তা করে দেখেন তো- যদি আপনাকে নাচ শিখিয়ে কয়েকদিন “বাঁদর নাচ” নাচিয়ে তারপর চলে যেত… :-Y
@শ্রাবণ আকাশ,
ভাইরে বাঁদর নাচ তো আরো ভালো। ডারউইন তত্ত্বের মধ্যে থাকা যেতো। কিন্তু এখন যে নাচা নাচছি, জীবনটা ফানা ফানা হয়ে যাচ্ছে। বাজারে যাও, তেল শেষ, লবণ আনো, চাল আনো, স্কুলে যাও, কাপড়টা কেচে দাও, ঘরটা ঝাড় দাও। এসব নাচের ধকল আর সইতে পারছি না। মুক্তি চাই।
@শ্রাবণ আকাশ, আহারে… 😥
আর মুক্তি লাভ তো খুবই সহজ- বিশ্বাস, ১০০% খাঁটি সরিষার তেলের মতো… 🙂
উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা কথাটা পরিস্কার হলো না। এখানে কোয়ালিটি নাকি কোয়ান্টিটির কথা বলা হয়েছে? সম্প্রতি বাংলাদেশে ইমাম প্রশিক্ষণ আর নৃত্য প্রদর্শনী নিয়ে যা হয়ে গেল তাতে তো গবেষনা ভুল মনে হচ্ছে। একদল লোক যায়া নৃত্য পছন্দ করে না কিন্তু আবার উচ্চ প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী। :-/
@হোরাস,
গবেষণায় এটা কিন্তু বলে নি যে নাচতে পারাটা একমাত্র প্রজনন ফিটনেস মার্কার। অটোমান সুলতানেরা হারেমের হাজার হাজার উপপত্নীদের দ্বারা বংশাণু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন নিজে না নেচে, উল্টো নর্তকীদের নাচিয়ে আমোদিত হতেন।
@হোরাস,
একই প্রশ্ন তো আমারো। 😕
@হোরাস,
উপরে অপার্থিব ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছেন যে , পুরুষের নাচতে পারাটাকে একমাত্র প্রজনন ফিটনেস মার্কার হিসেবে দেখানো এই গবেষণার উদ্দেশ্য নয়। মেটিং প্রার্থী হিসেবে পুরুষের আবেদন কৌশল এবং নারীর প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করাই গবেষণার মূখ্য উদ্দেশ্য। একজন নারীকে তার ইচ্ছার বিরূদ্ধে গর্ভবতী হতে বাধ্য করা বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোন থেকে ধর্ষণ বলাই শ্রেয়। যেমন, ওরাংউটান প্রাণী সমাজে পুরুষেরা ধর্ষকামী হয়ে থাকে।
@সংশপ্তক, আমি জানি। আমার কমেন্টের শেষ অংশটা সিরিয়াসলি নেবেন ভাবিনি। ওটা মজা করার জন্য দিয়েছিলাম। তবে এখনও কোয়ালিটি বনাম কোয়ান্টিটির ব্যাপারটা অবশ্য ক্লিয়ার হতে পারি নাই। গবেষণায় আসলে কোনটা মিন করেছে, নাকি দুটোই?
@হোরাস,
বায়োক্যামিকাল টেস্টের ফলাফল কোয়ান্টিটির পাশাপাশি কোয়ালিটির ব্যাপারটাও নিশ্চিত করেছে। গবেষণার টিমটা আসলে জীববিজ্ঞানীদের নিয়েই গঠিত। বিস্তারিত টেকনিকালিটি জানতে চাইলে , লেখায় রেফারেন্স যেটা দিয়েছি ওটা নেড়েচেড়ে দেখতে পারেন।
নাচ বিষয়ে “আমার দেশ” পত্রিকার একটি সংবাদ। পোস্টটির সঙ্গে একেবারেই প্রাসঙ্গিক নয়, তবে কৌতূহলোদ্দীপক।
হায়রে… সবকিছুই দেখি নারীদের অধিকারে/ অধিকারে চলে যাচ্ছে!!! :guli: পুরুষদের জন্য বাকী রইলো কী??? :-Y
Avatar মানে অবতার নয়।
@ক্রান্তিলগ্ন,
সংস্কৃত শব্দ “अवतार” = অবতার = avatar ( ইন্দো-ইউরোপীয়)
সংস্কৃত শব্দ “अवतार” বা অবতার বা avatar ( ইন্দো-ইউরোপীয়) এর আক্ষরিক অর্থ পুনর্জন্ম। ধার্মিক অর্থে তার ব্যবহার হতে পারে আবার কম্পিউটারে একটা ধারনা বা ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব বোঝাতে তা ব্যবহৃত হতে পারে। আশা করি বিষয়টা আপনার কাছে পরিস্কার করতে পেরেছি। শাব্দিক বিভ্রান্তি এড়াতে সংস্কৃত এবং লাতিন চর্চা করা দরকার।
@সংশপ্তক/ আমি আবারও দ্বিমত পোষণ করছি।
হ্যাঁ, Avatar এর দুইটা অর্থ আছে- ১। অবতার, ২। কম্পিউটারের এনিমেইটেড চরিত্র যাকে একজন মানুষ ভার্চুয়াল জগতে তার প্রতিনিধি হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে উল্লেখ্য, অবতার = জীবদেহধারণকারী দেবতা/ বিষ্ণু/ ঈশ্বর/ পরমাত্মা/ ব্রহ্ম (যেটাই বলেন না কেন)। আমাকে কেউ কোনভাবে অন্য মানুষ বা অন্য প্রাণী বানিয়ে দিলে আমি অবতার হয়ে যাব না। আর, আমরা যেহেতু বাংলাভাষী, সুতরাং একটা শব্দের বাংলা অর্থটাই মুখ্য বিষয়।
আপনার সুচিন্তিত বক্তব্যের সাথে আমার স্বল্প জ্ঞানের বিরোধ লাগায় আমি উইকিপিডিয়া দেখে আবার নিশ্চিত হয়ে নিয়েছি, চাইলে দেখতে পারেন-
১। avatar = হিন্দুধর্মের অবতার
২। ভার্চুয়াল avatar
(অফ টপিক// সংস্কৃত আর হিব্রু ভাষা শেখা আমার অনেক সখের মধ্যে দুইটা। রেফারেন্স পেলে খুশি হব।)
:coffee:
@ক্রান্তিলগ্ন,
শুধ উইকিপিডায়ার উপর আস্থা রেখে দ্বিমত প্রকাশের আগে একটু ভেবে দেখা উচিৎ।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি , বাংলাভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দ সমূহের অর্থের পরিবর্তন হয় না।আর বাংলা ভাষা থেকে সংস্কৃত বাদ দিলে কিছু অবশিষ্ট থাকে না। অবতার (“अवतार”) একটা সংস্কৃত শব্দ। এটা একটা জেনেরিক শব্দ যেটা কোন ধর্ম দিয়ে সীমিত করা যায় না। সংস্কৃত থেকে শব্দটা সরাসরি ইউরোপীয় ভাষা সমূহে avatar প্রবেশ করে। আপনার সুবিধার্থে সংস্কৃত-ইংরেজী অভিধান দিয়ে দিলাম। এখানে অবতারের কতগুলো অর্থ হয় তা দেখে নিন।
সংস্কৃত এবং হিব্রূ শিখতে হলে উইকিপিডিয়া ছেড়ে একাডেমিয়াতে আসতে হবে। কারন এ দুটোই এখন মৃত ভাষা। ইসরাইলে যে আধুনিক হিব্রূ ভাষায় এখন কথা বলা হয় তা তোরার হিব্রূ থেকে ভিন্ন মিশ্র একটা ভাষা। ভাষা শেখায় আপনার সাফল্য কামনা করছি।
@সংশপ্তক/ দেখলাম। কিন্তু কোথাও তো অবতার = পুনর্জন্ম দেখলাম না।
ঈশ্বর জীবদেহে পৃথিবীতে অবতরণ করলে সেই রূপকে অবতার বলা হয়।
অব- = (এখানে) নিম্নগতি অর্থে
তরণ = পাড়ি দেয়া
তাহলে পুনর্জন্ম কিভাবে আসলো?
(
)
এখন আপনি যদি বলতে চান যে ১। শুধু যে ঈশ্বর/ দেবতা পৃথিবীতে নেমে আসবে তা তো বলা নেই, ২। পৃথিবীতেই যে নামতে হবে তা তো বলা নেই। তবে,
১। আপনার প্রবন্ধে উল্লেখিত avatar কিভাবে এবং কোথা হতে ভার্চুয়াল জগতে নেমেছে বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়।
২। আমি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলে অবতার হয়ে যাব না, হেলিকপ্টার থেকে লাফ দিয়ে ভুমিতে নামলেও অবতার হয়ে যাব না।
৩। প্রবন্ধে উল্লেখিত avatar কিভাবে পুনর্জন্ম লাভ করল বুঝিয়ে দিন।
৪। পুনর্জন্ম মানেটা বুঝিয়ে দিন।
৫। অবতার শব্দটিকে বাংলায় এবং সংস্কৃতে ব্যাবচ্ছেদ করে বুঝিয়ে দিন কিভাবে তার আক্ষরিক অর্থ ‘পুনর্জন্ম’।
:coffee:
@ক্রান্তিলগ্ন,
প্রথমেই আপনার মুক্তমনার নিজস্ব লগ ইন ব্যবহার না করে অন্য পরিচয়ে মন্তব্য করাতে আমার মন্তব্য পড়তে এবং উত্তর দিতে অসুবিধা হচ্ছে। আপনি নিজস্ব পুরোনো লগ ইন ব্যবহার করলেই বরং খুশী হতাম 🙂
আপনি Straw man ফ্যালাসি ব্যবহার করছেন যা কোন উপকারী বস্তু নহে। সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত কম্পিউটারের avatar ‘lingo’ নিয়ে প্রবন্ধে ‘অবতার’ শব্দের ব্যবহারে আপনি আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করার অধিকার IT এবং প্রযুক্তিবিদেরা সংরক্ষন করে। এরকম তর্ক করার বদলে একটা বিকল্প শব্দ যেমন ‘প্রতিমূর্তি’ প্রস্তাব করলেও ভেবে দেখা যেত। তা না করে আপনি আপনার ধর্মীয় অবস্থান থেকে
থেকে Straw man ফ্যালাসি ব্যবহার করছেন। অন্য এক জায়গায় দেখলাম , প্রাচ্যের একটা ঈশ্বর নিরপেক্ষ ধর্মকে মনোবিজ্ঞান হিসেবে তুলনা ধরা হয়েছে। এখানে আমি নিশ্চয়ই ভাববাদ নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি। শুধুমাত্র পাঠকদের বিভ্রান্তি থেকে দুরে রাখার জন্য আপনাকে অবজ্ঞা না করে আপনাকে আমি উত্তর দিয়েই চলছি।
আপনি লিখলেন যে,
কিন্তু কোথায় কি দেখলেন তা তো আমাদের দেখালেন না। তার বদলে নিচের Straw man ফ্যালাসি ছুড়ে মারলেন আমার প্রবন্ধটি সম্পূর্ন না পড়েই।
ফেনসিডিলের কাপটা মন্তব্যের শেষে না দিলেই পারতেন। নেশাজাতীয় বস্তু আমি সম্মান দেখিয়ে এড়িয়ে চলি। পরিশেষে, বিতর্কের এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি যার প্রতি আপনার সম্মান দেখানো আশা করছি। ওম বিজ্ঞান !
@সংশপ্তক,
তেমনি একই কারণে আমিও প্রশ্ন করেই চলেছি। 🙂
যাই হোক, আমিও আর কথা বাড়াতে রাজি নই। কারণ, যুক্তিতর্ক বিষয়ে একজন গুণীজনের একটা বাণী আছে, সেটা মনে পড়ে গেল। আমার মগজের নিরাপত্তার কথাটাও তো ভাবতে হবে, নাকি? 🙂
আমিও একটা বাণী দিয়ে যাই। 😀 যে ব্যাক্তি কফির কাপকে fancy-dil (ফেন্সিডিল) এর কাপ বলে মনে করে তার সাথে তর্কে যেও না, সে তোমার বুদ্ধিকে তার পর্যায়ে পরিণিত করবে। আমিন
[দুঃখ প্রকাশ- বানানটা শখ। আর প্রথম মন্তব্যে অবতারের আগে ‘এখানে’ হবে।]
[আলোচনায় যবনিকা পতন]
:coffee:
@মুক্তমনা এডমিন/
এই ব্যাপারটা একমাত্র আপনি-ই সকলকে বোঝাতে পারবেন।
@সংশপ্তক/
এই পরামর্শটা খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ এর জন্য।
:coffee:
এর মনস্তাত্তিক বিশ্লেষনটা কি হতে পারে, মানে আমি বলতে চাচ্ছি ঠিক কি কারনে একজন পুরুষের অন্য অংগ-প্রতংগের থেকে গলা এবং মাথার দিকেই নারীদের বেশী নজর থাকে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ঠিক যে কারনে ময়ূরের পেখমের দিকে ময়ূরী আকৃষ্ট হয়। সঙ্গী নির্বাচন।
নাচতে পারাটা বিরাট গুণ হতে পারে, তবে তারচে’ বড়ো গুণ নাচাতে পারা 😀
গবেষণার কথা বাদ দিয়ে একটি লঘু কথা বলি।
বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী, আমরা নৃত্য-অপারদর্শিতার দায় চাপিয়ে দিই উঠোনের ওপরে। তবে নৃত্য-অপটিয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে রুশরা কিন্তু দোষ চাপায়, দুঃখিত, অণ্ডকোষের ওপরে। তারা প্রজননক্ষমতার ইঙ্গিতবাহী রসবাক্য ব্যবহার করে: বাজে নর্তক, তবে ভালো পিতা :laugh:
@নির্ধর্মী,
বলেন কি ? রুশ নারীরা এ ব্যপারে কি বলে ?
লেখাটা কেমন জানি একটু নিউজ রিপোর্টের মতো মনে হলো, আরেকটু তাত্বিক আরেকটু স্কলারি হলে পড়ে আরও ভালো লাগতো। প্রাণী ডিসপ্লে করে। মানুষও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে মানুষের ডিসপ্লে অনেক অনেক বেশী নাটকীয়। কেউ ডিসপ্লে করে নিজের লাইব্রেরি, কেউ মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট, কেউ গাড়ী, কেউ এমনকি এটাও ডিসপ্লে করে যে তার প্রাক্তন মেইট কতোটা ফিট ছিলো- ফলে সে নিজেও কতোটা ফিট রিফ্লেক্টিভলি। একটি ক্লাব এনভায়রনমেন্টে নাচতে জানাটা নিঃসন্দেহে নির্বাচনযোগ্য, এটা একটি আত্নবিশ্বাসের পরিচায়ক। তবে ক্লাব এনভায়রনমেন্টে নাচতে জানাটা ছাড়াও পোষাক-আশাক, মেইক-আপ, কি দৃষ্টি সে বিনিময় করছে, কতোটা টাকা সে খরচ করছে + কতোটা অল্চ্রুইস্টিক সে যেমন অন্যের জন্য কতো ড্রিঙ্ক সে কিনছে ইত্যাদি সবকিছুই মেইট পাওয়া অনুঘটিত করে বলে আমি মনে করি। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, শুভ অভিষেক।
@আল্লাচালাইনা,
আমার উদ্দেশ্য তাহলে দেখা যাচ্ছে সফল। 🙂
@সংশপ্তক
মজার একটি লিখা।
মেয়েদের নাচের সময় ছেলেরা কিসে বেশী নজর দেন তার উপর কোন study আছে কি?
@গোলাপ,
প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মেটিংয়ে নারী সবসময় নির্বাচক এবং পুরুষ প্রার্থীর ভুমিকা পালন করে। পুরুষের পছন্দ নির্ভর করে তার নিজস্ব পরিস্থিতির উপর। ভারী নিতম্ব এবং প্রতিসম মুখাবয়বের প্রতি পুরুষদের আগ্রহ বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে।
@গোলাপ,
এর উপর আমার একটা বি-রাট empirical study আছে এবং চলছে…তবে পেপার আকারে কবে বেরোবে বলতে পারছি না।
@রৌরব,
অপেক্ষায় রইলাম।
প্রেমে সফলতার অব্যর্থ ফর্মুলা:
:-Y :guru: :rotfl: …….. :heart: :rose: :-*
@রৌরব,
এ সফলতাকে ডিএনএ পর্যন্ত বিস্তৃত না করতে পারলে প্রকৃতি নারাজ হবে।
@সংশপ্তক,
অ, আপনি উত্তর দিয়েছেন দেখছি। আসলে সারা রাত ডান্স ক্লাবে ছিলাম তাই আগে দেখিনি….(কামিং ডার্লিং)….আচ্ছা সংশপ্তক সাহেব, পরে কথা হবে।
@সংশপ্তক
কি আর করবেন, পেখম নেই, কেশর নেই, নাচই ভরসা 🙁 । তবে মেয়েদের হাতে আজকাল যেহেতু ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা (অর্থনৈতিক স্বাধীনতা) বাড়তে শুরু করেছে লাল বাতি জ্বলানোর ব্যাপারটা একসময় ঘুচেও যেতে পারে, তবে ইয়ে মানে……… নাচের ক্ষেত্রে কোন ছাড়াছাড়ি নেই।
@বন্যা আহমেদ,
ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বাড়া ক্রেডিট রেটিং সংস্থায় নেতিবাচক তালিকাভূক্ত ব্যক্তির সংখ্যার সমানুপাতিক। সব মানুষেরই একটা পর্যায়ে ক্রেডিট কার্ডের সম্মোহনী ক্ষমতা উপেক্ষা করা কঠিন।
একমত। কেউ ছাড়তে চাইলেও প্রাকৃতিক নির্বাচন তো ছাড়বে না।
@সংশপ্তক,
নাহ, আসলে বলতে চেয়েছিলাম, একসময় ছেলে এবং মেয়ে সমানভাবেই ক্রেডিট কার্ডে লাল বাত্তি জ্বালাতে সক্ষম হবে, এটা আর ছেলেদের এক্তরফা দুঃখ থাকবে না, এই আরকি!
ভালো কথা উল্লেখ করলেন, এটা নিয়ে আগেও ভেবেছি, কিন্তু উত্তর পাইনি। মানুষের সমাজে কিভাবে নারীরা নির্বাচকের ভূমিকা থেকে এত দূরে সরে গেল? বেশীর ভাগ সমাজেই তো মেট সিলেকশানের ব্যাপারে নারীদের কোন বক্তব্যই থাকে না। বাবা, চাচা, ভাই বা বিত্তশালী পুরুষেরা সিদ্ধান্তটা চাপিয়ে দেয়। এমনকি পশ্চিমে আগে ‘মেয়েদের স্বামী পছন্দ করার অপশান আছে’ বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা পারিবারিক এবং সামাজিক চাপ দ্বারাই নির্ধারিত হত। সাংস্কৃতিকভাবেই এই ব্যপারটা বদলে গেছে আমাদের সমাজে??
@বন্যা আহমেদ,
জীব বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নারীরা নির্বাচকের ভূমিকা থেকে দূরে সরে গেছে কি না তা নিশ্চিত করতে হলে , একটা জনগোষ্টীর ওপর ব্যপক আকারে গোপন পিতৃত্ব পরীক্ষা চালাতে হবে। একজন নারী স্বেচ্ছায় এবং অনিচ্ছায় দুভাবেই মেটিংয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। এটা নিয়ে গবেষনা প্রকাশ হলে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।
@সংশপ্তক, না না থাক থাক, পিতৃত্ব, ফিতৃত্ব আবার কি? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাও ঠিক না, পরীক্ষা তো দূরের কথা, ভূমিকম্প যত কম ঘটে ততই মঙ্গল, সবাই সুখে শান্তিতে থাক :-)। কিন্তু আমি অত্যন্ত সাদা মন নিয়ে সাদা চোখে যে মেটিং প্রেফারেন্সগুলো দেখা যায় সেগুলোর কথাই জিজ্ঞেস করছিলাম, সেখানে সামাজিকভাবে মেয়েদের কোন চয়েস না থাকার ব্যাপারটা কখন এবং কিভাবে আরোপিত হল, এই আর কি।
@বন্যা আহমেদ,
খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন করেছেন । শিশুমৃত্যুর এবং প্রসূতি মৃত্যর হার যে পরিবেশে উঁচু , সেখানে প্রজননে সক্ষম কম বয়সী মেয়েদের মেটিং মূল্য অনেক বেশী। এদের যাতে অল্পসংখক পুরুষ কুক্ষিগত না করতে পারে , মজুদ না করতে পারে , চুরি না করতে পারে এজন্য এদের পাহারা দেওয়ার জন্য সামাজিক নিয়মের সৃষ্টি। এছাড়াও অপেক্ষাকৃত উন্নত পুরুষের পেছনে যাতে সব মেয়েরা না ভাগে সেটাও একটা কারন। মেয়েদের নারী স্বজনরা তাই মেয়েদের আগলে রেখে তাদের মেটিং মূল্য বাড়ায়। এ বিষয়ে আমার লেখার ইচ্ছা আছে।
@সংশপ্তক,
এই বিশ্লেষণটা আংশিকভাবে সঠিক হলেও সব সমাজের জন্য মনে হয় প্রযোজ্য নয়। প্রথমত, এধরণের বেশীর ভাগ সমাজেই মেয়েদের মেটিং মূল্য তো বাড়েই না, বরং তাদেরকে বার্ডেন হিসেবে গণ্য করা হয়, উলটো যৌতুক দিতে হয় বিয়ের দেওয়ার সময়। আর দ্বিতীয়তঃ নারী স্বজনেরা নয় বরং পুরুষ স্বজনেরাই এই নারীদের আগলে রাখার দায়-দায়িত্বটা পালন করে।
@বন্যা আহমেদ,
শিকারী-সংগ্রাহক পরিবেশে এটার প্রচলন শুরু হয় যা বেশীরভাগ সমাজ থেকেই এখন উঠে গেছে। কিন্তু আরব সমাজে এখনও ছেলেরা উল্টো মেয়েদের যৌতুক দেয় এবং তা অনেক বড় অংকের ব্যপার। পয়সার অভাবে অনেক আরব পুরুষই এখন বিয়ে করতে পারছে না। ব্যাংক থেকে লোন নিতে হচ্ছে। ককেশাস, মধ্য এশিয়া, ইরান এবং কুর্দী সা
সমাজেও একই নিয়ম।
@সংশপ্তক, জানতাম আপনি এই আরব সমাজের কথাই বলবেন, তাই ‘আংশিক’ ভাবে সঠিক বলেছিলাম। কিন্তু মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী হলেও বেশীরভাগ সমাজেই এখনও মেট সিলেকশানে নারীদের নিজেদের ভুমিকা অত্যন্ত সীমিত। আপনি যে সমাজগুলোর কথা বলছেন, সেগুলো অত্যন্ত ট্র্যডিশানাল পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। নারী কিংবা তাদের নারী স্বজনেরা নয়, বরং পুরুষেরাই এখানে মেয়েদের মেট সিলেকশানে প্রধান ভূমিকা রাখে। সেটা আমাদের উপমহাদেশের জন্যও প্রযোজ্য যেখানে আবার উলটো যৌতুক দিয়ে মেয়ে বিদেয় করতে হয়। আর মধ্যপ্রাচ্যের বেশীরভাগ সমাজেই এখনও বহুবিবাহ প্রথা চালু আছে। এভাবে দাম বাড়ানোর ফলে উলটো যেটা হচ্ছে ‘অপেক্ষাকৃত উন্নত পুরুষেরা’ই ঘুরেফিরে কিন্তু পণ দিয়ে মেয়েগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে, আর বিরাট একটা অংশ বিয়েই করতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যের রাজা-বাদশা এবং ধনী ব্যক্তিরা এক হালি করে বিয়ে করে আবার কিছুদিন পরে তাদের বিদেয় করে দিয়ে আবার আরেক হালি নতুন মেয়ে নিয়ে আসে চড়া দাম দিয়ে। তার ফলে আপনি যে ডিস্ট্রিবিউশানের কথা বলছেন সেখানে তাও কিন্তু ঘটছে না।
আপনার সাথে এ নিয়ে বিতর্ক করাটা আমার উদ্দ্যেশ্য নয়, বরং আলোচনা করার জন্যই প্রশ্নগুলো করছি। মানুষের সমাজ এতই ডিভার্স যে মাঝে মাঝে মনে হয় ‘ওয়ান সাইজ ফিটস ইট অল’ ধরণের ব্যাখ্যা হয়তো সবসময় নাও খাটতে পারে।
@বন্যা আহমেদ,
একমত । পুরো বিষয়টাই আবর্তিত হচ্ছে চারটি জিনিষকে ঘিরে :
Mate retention – নারী ও পুরুষ
Paternity Uncertainty- পুরুষ
Mate Value – নারী ও পুরুষ
Mate Guarding – পুরুষ
এই চারটি জিনিষিই নানাভাবে ঘুরেফিরে মানুষের মেইট সিলেকশনকে প্রভাবিত করছে। যেসব সমাজে হারেম , বহুবিবাহের মত মজুদদারী প্রথা ছিলোনা ঐ সব সমাজে এখন নারীরা অন্যান্য প্রানীদের মতই নির্বাচকের ভুমিকা পালন করছে।
মজার তো! কিন্তু কেমন যেন গভীর হলনা লেখাটা।শুরুতে আপনি বলেছিলেন
উচ্চ প্রজন ক্ষমতা কিভাবে নির্দেশ করে এটা পরিস্কার হলনা।
@লীনা রহমান,
লেখায় দেখুন , আমি উল্লেখ করেছি ,
মানুষসহ সব স্তন্যপায়ী প্রানীরা কাছে মেটিং এর সময় স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে একটা জিনিষে খুবই গুরুত্ব দেয় , সুস্বাস্থ্য = উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা ।
@সংশপ্তক,
আবারো বুঝলামনা। আমার শুকনা শুকনা নানা নানী আর দাদা দাদীরা তো ডজনে ডজনে বাচ্চা পয়দা করে ফেলেছে। আর নানী দাদীদের এমনকি আমাদের মা দেরও কি এভাবে চুজ করার সুযোগ ছিল?এখনো কিন্তু এ ব্যাপারে তেমন মাথা ঘামায়না মানুষ বা মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই সুযোগ পায়না বা চায়না এ ব্যাপারটি দেখে ছেলে পছন্দ করার। সুস্বাস্থের দিকে এত জোর কি দেয়া হয়?
@লীনা রহমান,
সমস্যাটা হয়েছে সুস্বাস্থ্য = উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা লেখাতে।
উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা = সুস্বাস্থ্য বললে সমস্যা হত না। বিবর্তনের প্রেক্ষায় সেটাই সুস্বাস্থ্য। আমাদের চোখে যা সুস্বাস্থ্য বা স্বাস্থ্যহীন মনে হয় সেটা যে বিবর্তনীয় সুস্বাস্থ্য (অর্থাৎ উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা) বা স্বাস্থ্যহীন হবে তেমন কোন কথা নেই। উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা বলতে পুরুষ শুক্রাণুর উচ্চ ঘনত্বকেই বোঝায়। অনেক পুরুষ একচেষ্টাতেই সন্তান জন্ম দিতে পারে, আবার অনেকে অনেকবার চেষ্টা করে একবার সফল হয়। আবার কেউ কখনই পারে না। লিক লিকে লোক পেশীবহুল পুরুষের চেয়েও বেশী ফার্টাইল হতে পারে। আরেকটা ব্যাপার বিবর্তনের প্রসঙ্গে অনেকে ভুলে যায় সেটা হল বিবর্তনীয় কৌশল এক ঐতিহাসিক ব্যাপার। অনেক পছন্দ বা কৌশল অতীতে প্রজনন সুবিধা দিত বলে উদ্ভূত হয়েছিল। এখন সেটা অতীতের মত প্রজনন সুবিধা না দিলেও অতীতের স্বাক্ষর হিসেবে সেই পছন্দগুলি টিকে আছে। অনেকটা মিষ্টি স্বাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণের মত।
নাচা ভাল-শরীরের জন্যে ভাল। ভারতীয়রা নাচার জন্যেই বিখ্যাত এবং পৃথিবীর সর্বত্র বলিউড টিউন মাত করছে।
দুর্ভাগ্য বাঙালীর-প্রথমে ইসলাম এবং পরে বৃটিশদের কবলে পড়ে নাচতে ভুলে গিয়ে ছিল-নইলে আদিবাসি বাঙালীরাও নাচতে ভালবাসে। কিন্ত ব্রাহ্মণ্য বা ইসলাম ধর্ম নাচাকে খুব প্রশয় দেয় না-ইসলামের সুফীরা নাচে, বৈষনবরাও নাচে-কিন্ত এদের গ্রহণযোগ্যতা কম।
ইসলাম এবং ব্রাহ্মন্য ধর্ম বাঙালীর অনেক কিছু ক্ষতি করেছে-এর মধ্যে একটা বড় ক্ষতি নৃতাত্ত্বিক ভাবে নৃত্যপ্রিয় বাঙালীকে নৃত্য বিমুখ করা।
@বিপ্লব পাল,
বৃটিশ নাকি ব্রাহ্মন্য ধর্ম ?
@বিপ্লব পাল,
সুন্দর একটা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। কেরানী সংস্কৃতি বাংগালীকে খেলাধুলা বিমূখও কম করেনি।
পুরুষের নৃত্য এবং নারীউপভোগ্য, তথ্যনির্ভর এবং জীব বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত একটি লেখা। ভালই লেগেছে, তবে ভূমিকাটি —–
বড্ড অসংবেদনশীল কথা দিয়ে শুরু করেছিলেন।
মোটেই তা নয়। পুরুষ সুনীল কিন্তু নারীর নাচার জন্যে লিখেছে।
আরও লিখুন, নিজে নাচুন, অন্যকে নাচান। তবে জেন্ডার সংবেদনশীলতা আশা করি।
@গীতা দাস,
ক্রেডিট ক্রান্চ এই মূহুরতের সবচেয়ে বেদনাদায়ক বাস্তবতা। ক্রেডিট কার্ড দেয়াই হয় ব্যালেন্স ডেবিট ( লাল) রাখার জন্য। তা না হলে তো সবাই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতো।
গবেষণার ফলাফলের সাথে ২০০ ভাগ সহমত! নাচতে পারাটা বিরাট গুণ!
@স্নিগ্ধা,
হ্যাঁ, ঠিক যেমন কোমর আর নিতম্বের বেড়ের অনুপাত>০.৭ হওয়াটাও এক বিরাট গুণ!
ভুল করলাম। >০.৭ না হয়ে <০.৭ হবে।
@অপার্থিব,
অসুবিধা নাই, বিজ্ঞানীরাও মাঝে মাঝে ভুল করে আমাদের মতোই, it happens 🙁
@স্নিগ্ধা,
অসুবিধা নাই, বিজ্ঞানীরাও মাঝে মাঝে ভুল করে আমাদের মতোই, it happens 😉
@অপার্থিব,
এখন বুঝলাম ভুল দুটো করে ফেলেছি 🙁
@অপার্থিব,
হা হা হা হা – মনটাই ভালো হয়ে গেলো 😀
@অপার্থিব,
নাচের কথা শুনেই আমার মত বেসামাল হয়ে গেলেন নাকি? 😥
@স্নিগ্ধা,
কোন সন্দেহ নেই।