সামহয়্যার ইনে একটা পুরানো পোস্ট খুঁজতে যেয়ে উপরের পোস্টাটাতে চলে যাই। তারেক বিন যায়াদের কাহিনী জানা ছিলো, তার ঐতিহাসিক ভাষনাটাও পড়া ছিলো। তারিকের সৈন্যদের ইমানী শক্তি যে পুরাপুরি ছিলো সেই বিষয়ে কোন সন্দেহঃ নাই। তবে সেই ইমানী শক্তির মূলে কি ছিলো সেটা লেখককে জানানোর জন্যই ইন্টারনেটে সার্চ দিলাম তারিকের ভাষনটার খোঁজে। পেলাম উইকিপিডিয়ার লিঙ্ক। উইকিপিডিয়াতে ভাষনটা পেয়ে মনে মনে খুশিই হলাম খুব বেশী কষ্ট
করতে হলো না বলে। তারিকের মূল ভাষনটা খুব একটা বড় না, ছোট ছোট তিনটা মাত্র প্যারাগ্রাফ। কিন্তু উইকির ভাষনটা পড়েই বুঝলাম গড়বড় আছে কোথাও। মনে হচ্ছে কিছু একটা মিসিং। কিন্তু সেটা কি চট করে মনে করতে পারছিলাম না। আরেকটু খুঁজতেই পুরো ভাষনটা পেয়ে গেলাম। উইকির ভাষনটায় মূল ভাষণের দাড়ি-কমা সহ সবই দেয়া আছে শুধু দ্বিতীয় প্যারার চারটা লাইন মিসিং। কি আছে সেই চার লাইনে? পাঠকদের জন্য দ্বিতীয় প্যারাটাকে ভেঙ্গে লাইন তিনটিকে মাঝখানে আলাদা করে বোল্ড করে দিলাম। ভাষনের প্রথম এবং তৃতীয় প্যারাগ্রাফ দুটো উইকির লিঙ্কে পাবেন।
Remember that if you suffer a few moments in patience, you will afterward enjoy supreme delight. Do not imagine that your fate can be separated from mine, and rest assured that if you fall, I shall perish with you, or avenge you.
You have heard that in this country there are a large number of ravishingly beautiful Greek maidens, their graceful forms are draped in sumptuous gowns on which gleam pearls, coral, and purest gold, and they live in the palaces of royal kings.
The Commander of True Believers, Alwalid, son of Abdalmelik, has chosen you for this attack from among all his Arab warriors; and he promises that you shall become his comrades and shall hold the rank of kings in this country. Such is his confidence in your intrepidity. The one fruit which he desires to obtain from your bravery is that the word of God shall be exalted in this country, and that the true religion shall be established here. The spoils will belong to yourselves.
সূত্র: Medieval Sourcebook: Al Maggari: Tarik’s Address to His Soldiers, 711 CE, from The Breath of Perfumes
ভাষন পড়লেই বোঝা যায় তারিকের মূল বক্তব্য কি! কি সেই মূলা যা সেই সব নও মুসলিমদের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। আর তাছাড়া তাদের পিছনে হটার রাস্তাও তো বন্ধ! যাই হোক, তারিকের মূল কথা ছিলো…. যুদ্ধ করো, জেতো, সম্পদ লুন্ঠন করো, প্রাসাদ বন্দিনীদের রেপ করো….. আর বিনিময়ে মুসলিম জাহানের নেতা আল ওয়ালিদ কি চায়? সে চায় আল্লাহর নাম আন্দালুসের (স্পেনের) সবার মুখে মুখে থাকবে এবং একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম আন্দালুসে (স্পেন) প্রতিষ্ঠিত হবে। তরবারী দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার সবচাইতে উৎকৃষ্ট প্রমাণ বোধহয় তারিকের ভাষনটা। পাঠক মনে রাখবেন খৃষ্ঠান ধর্মও সে যুগে তরবারীর মাধ্যমেই সবচাইতে বেশি প্রতিস্ঠিত হয়েছে।
এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। তারিকের ভাষণে গ্রীক রমনীদের কথা বলা হয়েছে তার কারণ সম্ভবতঃ এই যে অষ্টম শতাব্দীতে স্পেন ছিলো বাইজেন্টাইন (রোম) সাম্রাজ্যের অধীনে যার রাজধানী ছিলো কনস্টানটিনোপলে। তখনকার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সরকারী ভাষা ছিলো গ্রীক। আর সেই সময়কার আরবদের কাছে শত্রু মানেই গ্রীক। কিন্তু সবকিছু বিবেচনায় করলে স্পেনের প্রাসাদের মেয়েরা ভিসিগথ (জার্মান) ছিলো বলেই মনে হয়। তারা কি আসলেই গ্রীক ভাষায় কথা বলত, সেটা জানার কোন উপায় এখন আর নাই। আর রাজা রড্রিক কি আসলেই নদীতে ডুবে মরেছিলো? উত্তর হলো না, সে তারিক বাহিনীর হাতেই নিহত হয়েছিলো।
আর যুদ্ধে লুন্ঠনকৃত সম্পদের পরিমান কেমন ছিলো?
“He took up the pearls, the armour, the gold, the silver, and the vases which he had with him, and found that quantity of spoils, the like of which one had not seen. … he wrote to Musa Ibn Nossevr informing him of the conquest of Andalus, and of the spoils which he had found… Afterwards Musa Ibn Nosseyr set out for Andalus…Tarik then met him, and tried to satisfv him, saving: “I am merely thy slave, this conquest is thine.” Musa collected of the monev a sum, which exceeded all description. Tarik delivered to him all that he had plundered.”
সূত্র: History of the Conquest of Spain by the Moors
by Ibn Abd-el-Hakem 860 A.D.
কিন্তু কেন আলোচ্য ওই তিনটি লাইন উইকিপিডিয়ায় চেপে যাওয়ার প্রয়াস? তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে উইকি তথ্যসূত্র হিসাবে খুব একটা নির্ভর যোগ্য না হলেও বহু সংখ্যক মানুষ ইদানীং উইকির উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে খুব সহজেই তথ্য খুঁজে পেতে। ইতিহাস ইতিহাসই। সেখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে লাইন গুলো চেপে যেয়ে তারিক ইবনে যায়াদ কিংবা তার যোদ্দাদের মহামানব বানাবার এই প্রচেষ্টা কেন? এমনতো না যে তখনকার দিনের ইউরোপের সব রাজ-রাজড়ারা এর থেকে ভালো কিছু ছিলো। বরং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এর চেয়ে আরো খারাপ ছিলো। তবে তারা যদি সেগুলোকে স্বীকার করে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে তবে মুসলিমদের এই হীনমন্যতা কেন? মুসলিমরা কেন পারেনা ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রেখে বর্তমান নিয়ে ভাবতে?
গত কয়েকদিনে ব্লগে হুমায়ুন আহমেদের “ঘেটু পুত্র কমলা” সিনেমা নিয়ে একশ্রেনীর ব্লগার বেশ হৈ চৈ করলেন। এদের একজন বলছেন, “আমার জানা মতে বাংলাদেশে ঘেটুপুত্রের প্রচলন কখনোই ছিলো না। পশ্চিমবঙ্গে প্রচলন থাকতে পারে কিন্তু মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে কখনোই ছিল না। বাংলাদেশে সমকামীতা প্রসঙ্গটি হনুমান হুমায়ন আহমেদের কল্পনাপ্রসূত; ঐতিহাসিক কোন ঘটনার অবলম্বনে নয়।”
ইতিহাসকে অস্বীকার করার কি নির্লজ্ব প্রয়াস!! উনি জানেন না তাই হতে পারে না। আর হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারে কিন্তু মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে থাকতে পারে না। কি দারণ কথা… মুসলিমরা এরকমটা করতেই পারে না। কয়েকদিন আগে আফগানিস্হানে এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঘেটু পু্ত্রদের মতই প্রচলিত “বাচ্চা বাজি” নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে সমাজের প্রভাবশালী একশ্রণীর মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই কিভাবে বর্তমান সময়েও ছোট ছোট বাচ্চাদের মানসিক, শারিরীক এবং যৌন নির্যাতন করে থাকে।
লিঙ্ক: বাচ্চা বাজি (bacha bazi) : আফগানিস্হানে প্রচলিত বিকৃত শিশু (যৌন) নির্যাতনের সংস্কৃতি।
প্রায়ই দেখা যায় কোরানের কোন আয়াত কিংবা সহী হাদীস গ্রন্হের কোন হাদীসের সমালোচনা করলে বিশ্বাসীরা সবচাইতে সহজ রাস্তাটা বেছে নেয়। কোরানের আয়াতের ব্যাখ্য বা হাদীসটিকে ভুল বলে চালিয়ে দেয়া। ভুলকে ভুল কিংবা অসত্যকে অসত্য বলে মেনে না নিয়ে কোনদিন কোন জাতি উন্নতি করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয়না। আর সেকারনেই হয়ত বিশ্বে মুসলিমরা আজও সব কিছুতে পশ্চাদপদ।
আশা করি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে আমরা সবাই ইতিহাসকে ইতিহাস হিসাবেই মেনে নিতে শিখব। আর ইতিহাসের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের মানুষের জন্য একটা সুন্দর সুস্হ আবাসযোগ্য পরিবেশের পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহায্য করব।
আসলে এ যুগের মুসলমানদের পক্ষ থেকে একটু জবাব আমিই দিচ্ছি।
একজনের বাড়িতে কিছু গৃহপালিত পশু থাকতো , যাদের স্বভাব ছিল বাড়ির বাইরে জুতো দেখলে ঐ জুতো চিবিয়ে নষ্ট করে ফেলতো। তাই গৃহকর্তারা ঘরের সব জুতো ভেতরে লুকিয়ে রাখতেন।
তার মানে এই নয় যে গৃহকর্তা অস্বীকার করছেন, যে তিনি জুতো পড়েন। বরং ঐ পশুগুলোর কারনেই যা সমস্যা।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের স্বভাব ঐ পশুদের মতন। যারা ২০০০০ বনাম ১২০০০০ কে চোখে দেখবে না, ভাষনের শুরুতে ঈমানী চেতনার কথা দেখবে না, ঐ তিন লাইন নিয়েই পরে থাকবে অ পরিবেশ নষ্ট করবে। তাই এ ধরনের সত্য ঐসকল মানুষদের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়।
আর আমাদের মানসিকতাই এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা মুসলিম পূর্বজদের দোষ দেখি। কিন্তু যারা দোষ দেখায় তারাই যে তখনকার সেই পূর্বজদের তুলনায় কোথায় ছিল, তা প্রকাশ করে না……………
ইহাকে বলে আন্তর্জাতিক পলিটিক্স 😀 :)) :rotfl:
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
আসলে এখানে ইমানী চেতনার চেয়ে মনে হয় অন্য কিছু কাজ করছে। ইউরোপে ডার্ক এজ চলছিল তখন। সেই যুগে ১২০০০০ সেনা আদৌ কোন সুশিক্ষিত সেনা ছিল নাকি শুধুই চাষিদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল এই ইতিহাস জানতে পারলে ভাল লাগত।
২০০০০ সুশিক্ষিত সেনার বিরুদ্ধে ১২০০০০ চাষি কে আধা খেঁচড়া ট্রেনিং দিয়ে ছেড়ে দিলে তারা যুদ্ধ করতে পারবে কেন? আপনার আমার মত লোককে অল্প বিস্তর অস্ত্রশিক্ষা দিয়ে পেশাদার সেনাবাহিনীর সামনে যুদ্ধ করার জন্য ছেড়ে দিলে সংখ্যা গোনার আগেই মনে হয় আমরা মরে সাফ হয়ে যাব বলেই আমার ধারনা।
কাজেই এখানে ইমানী চেতনার চেয়ে অন্য ব্যাপারগুলোই বেশি চোখে পড়া স্বাভাবিক।
@অর্ফিউস, অবশ্যই খুঁজে দেখা উচিত। আমি খুঁজে দেখছি। আপনারাও দেখুন। কিন্তু স্পেনের ক্ষেত্রে না হলেও আরো অনেক ক্ষেত্রেই ঈমানী চেতনাকে কর্মরত অবস্থায় দেখা গেছে। রোমান, পারস্য, আর…… ক্রুসেডগুলোর কথাও মনে পড়ছে……
আর কিছু মানুষের শুধু নিকৃষ্ট দিক খুঁজে বেরানোর যা স্বভাব আছে তাও তো সত্য। কমেন্টের মূল দিক আসলে তাই ছিল।
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
আসলে ক্রুসেডগুলো হয়ত ঠিক আছে কিন্তু রোমান মানে তো আসলে তখন বাইজান্টাইন মানে রোম সাম্রাজ্যের পশ্চিম অংশের পতনের পর পুর্ব অংশ। এদের শক্তি প্রকৃত রোম সাম্রাজ্যের ধারে কাছ ছিল কি? পশ্চিম রোমে কিভাবে জার্মানিক বর্বরদের ধারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল;পুর্ব রোমান সাম্রাজ্যকে প্রকৃত রোমান সাম্রাজ্যের ছায়া বলেই মনে হয় যেটা দিন দিন আরো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আপনি দেখেছেন যে ৪র্থ ক্রুসেডের সময় ক্যাথলিকরাই ক্রুসেডাররাই কিন্তু অর্থডক্স রোমান/বাইজান্টাইনদের উপর চড়াও হয়ে কত ক্ষতি করেছিল।
পারসিক সাম্রাজ্যটা নিয়ে একটু খটকা আছে, তেমন জানি না, চেষ্টায় আছি, জানতে পারলে আপনার সাথে আলোচনা করব এ নিয়ে।
সেটা ঠিক বলেছেন, আর তাই নৈতিক কারনেই আমি নিজেও এদের সাথে কথাবার্তায় স্বস্তি অনুভব করি না। আলোচনা যা নিয়েই হোক গঠন মুলক হওয়াই কাম্য, কাদাছোড়াছুড়ি বা ব্যক্তি/জাতি বিদ্বেষ কখনই ভাল ফল বয়ে আনেনা বলেই আমার বিশ্বাস।
উইকি থেকে লাইনগুলা সরানো হয়েছে নভেম্বরের ১৪ তারিখে।
এই কাজ করা হয়েছে মালয়েশিয়ার একটি আইপি থেকে।
সূত্র যাচাই করে এই সেন্সর করা লাইনগুলো আমি আবার যোগ করে দিয়েছি, তবে আপনিও সেটা করতে পারতেন। উইকির নির্ভরযোগ্যতা কিন্তু এমনি এমনি বাড়বে না। এরকম ভুলভাল কিংবা ভ্যান্ডালিজমকে দেখামাত্র মেরামত করলেই বাড়বে। কাজেই “উইকিতে অমুক জিনিষটা ভুল” বলার চাইতে হয়তো সে ভুলটা শুধরে দেয়াটাই আপনার জন্য সহজ হতো।
ভাবছিলাম নীরবতায় পালন করবো। অনেক পাঠকের মন্তব্য এবং লেখককে কঠিন ভাষায় সমালোচনা করে তাদের বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, যার সাথে আমি ভিন্নমত পোষন করি।
১) বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারের পিছনে “ধর্মের” অবদান কখনোই ইতিবাচক( positive) ছিল না, ছিল নেতিবাচক (Negative). কোরান,বাইবেল, বেদ-গীতার চর্চা ও অনুশীলন করে কোন কালে কেহ Scientist হয়েছে এমন উদাহরন ইতিহাসে নাই। বিজ্ঞানের সাধনা ও scientific methodology অনুসরন করেই কারো পক্ষে বিজ্ঞানী হওয়া সম্ভব। তার জন্য তাকে পূর্ববর্তি এবং সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক গবেষনার (জাতি ধর্ম নির্বিশেষে) উপরই নির্ভরশীল হতে হয়। কোন বিশেষ ধর্মগ্রন্থের প্রতি বিশ্বাসী হওয়া বা না হওয়ার সাথে তার “বিজ্ঞানী” হওয়ার কোনই সম্পর্ক নাই। তাই ইসলামের স্বর্নযুগ, খৃস্টানদের dark age এ কথাগুলোর কোনই মানে নাই- এর পিছনে ধর্মের (কোরাণ-হাদিস, বাইবেল, বেদের) কোনই ভুমিকা সেখানে ছিল না।
২) ইসলাম ও মুসলমানের মন্দ কাজের সমালোচনার জবাবে ‘খৃস্টান /হিন্দুদের’ একই রুপ বা অন্যরুপ মন্দ কাজের উদাহরন টানার প্রচেষ্ঠা একটা logical fallacy. Two wrongs can not make one right.
৩) মুসলমানেরা জ্ঞানে- বিজ্ঞানে কেন এত পিছনে তার কিছু উত্তর এ দুটো ভিডিও ফুটেজে পাওয়া যাবেঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=kGz4TdtYkAE&NR=1
httpv://www.youtube.com/watch?v=ujhDQuOTCgg&feature=related
@গোলাপ, আমার লেখাটা পড়ে এব্যাপারে একটু বিস্তারিত আলোকপাত করুন।
:yes: :yes: :yes:
চমতকার লেখার জন্য হোরাসকে ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয় লেখাটা আরেকটু বড় হলে, বিশ্লেষণ আরেকটু বেশী হলে পড়াটা আরও সুখকর হতো। সর্বোপরি আপনাদের মতো লেখকের লেখা পড়া শুরু করার আগেই শেষ হয়ে গেলে নিজেকে কেমন যেনো একটু বঞ্চিত বঞ্চিত মনে হয় :-D। মুসলমানরা যে ইতিহাসবিমুখ এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে এর চেয়ে বেশী সহমত প্রকাশ করতে পারি না। শুধু কি ইতিহাস, মুসলমানরা কি বিমুখ নয় বলেন; বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন কিসে মুসলমানরা বিমুখন নয়। আচ্ছা মুসলমানরা কেনো এতো রিটার্ডেন্ট হয় এই ব্যাপারে কিন্তু একটা বিস্তারিত পোস্ট লিখতে পারেন। কারণ বলাই বাহুল্য একাধিক। সুন্দর একটা আলোচনার খোরাক হবে সেটা।
ফরিদ আহমেদের প্রথম বক্তব্যটা মিথ্যে নয় কিন্তু আসল যুক্তিটা আরেকটু ভেতরে। হোরাস হীণমন্যতা শব্দটা ব্যবহার করেছেন কারণ মুসলিমদের নিজেদের ভেতর থেকে উঠে আসা আত্মসমালোচনাটা অত্যন্ত স্বল্প। সেখানেই মুল পার্থক্য। Absolute বলে কিছু হয় না। মুসলমানেরা ১০০% গোঁড়া আর বাকিরা সবাই ১০০% উদার এরকম দাবি কেউ করছে না। মুসলমানেদের মধ্যেও মুস্তাফা কামাল আতার্তুক রয়েছেন। কিন্তু বাকিদের তুলনায় মুসলমানেরদের মধ্যে প্রগতিশীল মানুষের সংখ্যাটা বিপজ্জনক ভাবে কম। অনুপাত ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপুর্ণ। সেটা মাথায় রাখা দরকার। আর বাকিরা কেউ নিজেদের সব দোষত্রুটি স্বীকার না করলে আমরাও করব না, এরকম অসাধারণ যুক্তি দিলে চিন্তা আছে। একটু ভেবে দেখুন ক্ষতিটা আসলে কার হবে? আপনার? না বাকিদের?
খোদ আমেরিকার ভেতরে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা কম হয়নি। ভারতে প্রমোদ মুথালিকের চাঁচাছোলা সমালোচনা করেছে সবকটি সংবাদপত্র। কিন্তু মুসলমানেদের নিজেদের সবথেকে বড় শত্রু আজকে হল নিজেদের গোঁড়ামো। তার বিরুদ্ধে মুসলমানদের ভেতর থেকে আওয়াজ খুবই কম শোনা যায়। তার চেয়েও মারাত্মক হল যখন কিছু মুসলিম নিজেদের সবচেয়ে লজ্জাকর প্রথাগুলোকে সরবে সমর্থন করতে শুরু করেন। জাকির নায়েক একেবারে অঙ্ক কষে প্রমাণ করেছেন যে ইসলামী দেশগুলিতে কেন অন্যদের ধর্মাচরণ করতে দেওয়া উচিত নয়। ওনার বক্তব্য ২ + ২ = ৪ অতএব ইসলাম সঠিক। ভগবান! বিশ্বাস না হলে দেখুন এখানে।
@দেবোত্তম,
আপনার সাথে পুরোইএকমত। জাতি ধরে কাউকে গালাগাল করা রেসিজমের পর্যায়ে পড়ে। তবে সেই সাথে এও মনে রাখতে হবে যে প্রত্যেক জাতিরই কিছু না কিছু দোষ ত্রুটি থাকে। সেগুলোর সমালোচনা হতেই পারে। আমরা নিজেদের বাংগালী বলে কি বাংগাল জাত তুলে অনেক কিছুর সমালোচনা করি না?
কোন সন্দেহ নেই যে এভাবে জাতি ধরে সমালোচনা করলে যারা প্রগতিশীল তাদেরও বেহুদা বেহুদা অন্যায়ভাবে দায় নিতে হয়। এর সমাধান কি আমি জানি না। বাংলাদেশে দূর্নীতির ব্যাপক প্রভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে যারা সত ভালমানুষ তাদের ঘাড়েও এভাবেই দায় পড়ে।
– এর সত্যতা সম্পর্কে মনে হয় না সন্দেহের কিছু আছে। তবে মনে হয় এই সমস্যা আরো বহুগুনে বাড়িয়েছে আরো একটি বিষয়। মুসলমানদের মধ্যে প্রগতিশীল নেই এমন ধারনা তো মোটেও ঠিক নয়। প্রগতিশীল আর গোঁড়া এর ভাগাভাগি আসলেই কত হবে তা বলা যায় না। তবে একটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে যারা নিজেদের মুসলমান বলে সদম্ভে প্রচার প্রসার করেন তারা বেশীরভাগই গোঁড়া দলে পড়েন। প্রগতিশীলরা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় বড় করে দেখেন না। এখানেই পার্থক্যটা গড়ে উঠে। এ কারনেই মুসলমান জাতি কেমন তা দেখাতে তালেবানদের ছবি বা সৌদী মহিলাদের দেখানো হয়, মালয়েশিয়ার বা তুরষ্কের মুসলমানদের নয়।
লেখাটার শিরোনামেটা একটু দৃষ্টিকটু লাগছে। অবশ্যই এটা আপনার ইচ্ছা, আমি শুধু আমার মতামতটা জানালাম। 🙂
এযুগের সব মুসলমানই কি ইতিহাসের ব্যাপারে হীনমন্য? কি জানি 🙁
মুক্তমনায় কোনো প্রচলিত ধর্মমতের বিরুদ্ধে লিখতে গেলে কেনো ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক স্কেলে অন্যমতগুলিকেও মেপে লিখতে হবে? বর্তমানে বাংলা ব্লগগুলোতে ইসলামের বিরুদ্ধে যে বেশি করে লেখা আসছে,তা সত্য। কিন্তু এর কারণ কি? অন্য ব্লগের কিছু ব্লগারের মতে সবই পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র। আর কিছু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আসলে কি তাই?
এখানে কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক,পৃথিবীতে একজন মুক্তমনার পক্ষে ইসলাম যে সবচাইতে বড় হুমকী,তা সর্বজনস্বীকৃত। এর থেকে বর্বর ধর্মচর্চা অন্তত এর রাইভ্যাল সেমেটিক বা আর্যধর্মের মাঝে নেই। আপনি একটা টেষ্ট করতে পারেন। যদি বাংলাদেশ বা পশ্চিমবাংলায় থাকেন,তা হলে একটা হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে তার পুরোহিতকে নিয়ে একটু ধর্মচর্চা করুন। ধর্মের বিরুদ্ধে যুক্তি দিন।কিছুক্ষণ পরেই তিনি আত্মসমর্পন করবেন নিশ্চিত এবং আপনাকে এজন্য কোনো খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হবে না শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে। একইকথা চার্চের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।তবে পাদ্রীরা পড়াশোনা বেশি করেন,তারা হয়ত সহজে মানতে চাইবেন না আপনার যুক্তি,কিন্তু এক্ষেত্রেও আপনাকে খারাপ ব্যাবহার পেতে হবে না অন্তত ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে।
এবার মহা-শান্তির ধর্ম ইসলামের ধর্মক্নেদ্র মসজিদে যান। গিয়ে সেখানে ইমাম এর সাথে নাস্তিকতা নিয়ে আলোচনা করেন (যদি আপনার ঠ্যাং না কাঁপতে থাকে চাপাতির ভয়ে,এখন তরোয়াল না থাকলেও চাপাতি আছে)। কপাল খুবই ভালো হলে শতকরা ৫ ভাগ ক্ষেত্রে আপনি অন্য ধর্মের ব্যাবহারের ন্যায় ব্যাবহার পেতে পারেন। যারা একটু অন্য ব্লগে ঘোরাঘুরি করেন তারা ব্যাপারটি ভাল জানবেন। আমি নিজে এমন কতগুলি উদাহরন দিতে পারি। একজন পরহেজগার মুসলমান,যিনি প্রতিবছর হজ্জ্ব করেন এবং এবছরও গেছেন,তিনি আমুতে মোহাম্ম্মদকে অবমাননা করা নিয়ে বক্তব্য দিছিলেন যে তার এলাকার সমস্ত হিন্দু পুরুষ ও শিশুদেরকে মেরে এবং নারীদেরকে ধর্ষিত করে এর জবাব দেবেন। তার মতের অনুসারী ব্লগে প্রচুর বিদ্যমান। এরা সবাই প্রচলিত অর্থে শিক্ষিত। তাদের মনোভাব দেখেন। এই ব্লগেই Theist নামক ব্লগার ইসলামের যে কোনো সমালোচনাকে ডিফেন্ড করার মাধ্যম হিসেবে সমালোচনাকারীকে প্রকাশ্য জনপথে সমালোচনা করার কথা বলেন,যার মুলভাব বুঝতে পিএইচডি করা লাগে না।
আমাদের মাননীয় মডারেটর মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ, যদি ইসলামের সমালোচনা আপনারও গাত্রদাহ করে তাহলে একটা নতুন নীতিমালা প্রনয়ন করুন,যেখানে একটা ধর্ম সংক্রান্ত পোষ্টে ঠিক কোন কোন ধর্ম কত শতাংশ করে জায়গা দখল করবে তার নিখুঁত নিয়ম থাকবে। তাহলে লেখকের আর ইসলামবিদ্বেষী অপবাদ নিতে হয় না।
@রুশদি,
:yes:
:laugh: খুবই সত্যি কথা।
কিছু বলার আগে ভেবেচিন্তে বলাটাই শোভন। আমি মন্তব্য করি মডারেটর হিসাবে নয়, ব্যক্তি মানুষ হিসাবে। মুক্তমনার মডারেশনের নীতিমালা খুব ভালভাবেই দেয়া আছে মুক্তমনায়। নতুন করে পাল্টানোর কিছু নেই।
আমার কাছে ইসলাম আর মুসলমান দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। একটা ফালতু বিশ্বাসমাত্র, অন্যটার সাথে জড়িত আমার মতই সাধারণ মানুষেরা। ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই, কিন্তু মুসলমান বিদ্বেষ নিয়ে ভয়াবহ আছে। কিন্তু, এই দুটোর পার্থক্য বোঝার মত ক্ষমতা আপনার নেই বলেই ধারণা করছি।
ইসলামের সমালোচনাতে আমার গাত্রদাহ হয়েছে এমন দুই চারটা নয়, একটামাত্র উদাহরণ হাজির করতে পারলেই প্রীত হবো।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার ব্যক্তিত্ব খুবই প্রখর,তবে আপনি যেহেতু দ্বৈতসত্ত্বার অধিকারী,সেহেতু মডারেটরকে বলা মানেই আপনাকে বলা। আমার মডারেটর বলা হয়ত ঠিক হয়নি,বহুবচনে বলা উচিত ছিল। সেই জন্য আপনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আপনার ধারণার বহর দেখে আমি মচতকৃত হলাম। আমি কি আমার মন্তব্যে “মুসলিমবিদ্বেষী” বলেছি? হোরাস আমার খুবই প্রিয় একজন লেখক,তার মুক্তমনার লেখার জন্য না,আমার ব্লগে লেখার জন্য। একথা বলার কারণ মুক্তমনায় লেখার আগেই তার সাথে আমার আমুতে পরিচয়,এবং সেখানে তার সাহচর্যে আমি তার লেখাকে খুবই ভালো পাই। তার লেখায় কোথাও মুসলিম বিদ্বেষ পাইনি,আপনার যেটি আবিস্কার করলেন। আমি যতদুর জানি তার আত্মীয়স্বজন মুসলিম,যেমন আমারও। কেউ কি নিজের আত্মীয় স্বজনকে ঘৃণা করতে পারে? সেজন্য আপনার আরোপিত ট্যাগ দেখে একটু কড়া কথা বলে ফেলেছি। আমি কোথাও সাধারন মুসলিম জনগোষ্ঠির জাতিগত কোনো সমস্যা নিয়ে লিখি নাই,আমি প্রতিটা সমস্যার মুলে যেতে চেয়েছি এবং সেখানেই আঘাত করতে চেয়েছি। আমার কাছে তাই মুসলিম বিদ্বেষের কোনো মূল্য নাই,কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষের আছে। আবার ইসলামের নিয়ম নিয়ে কথা বললে সাধারন মুসলিমের মাথা আউলা হয়ে যায়,যেখানে অবধারিতভাবেই কিছু ব্যক্তি বা জাতিগত প্রসঙ্গ চলে আসে। তাই আপনি এই দুটোকে পুরোপুরি আলাদা করতে পারবেন না,কখনই না। যদি না ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি ‘ ণীতি অবলম্বন করা হয়।
একটু চেস্টা করলেই মনে হয় পাওয়া সম্ভব,তবে আমি এনিয়ে আর এগোতে চাই না। এখানে এর সমাপ্তি হলে ভাল হয়।
সবশেষে,আপনি আঘাত পেয়ে থাকলে আবার দুঃখ প্রকাশ করছি।
@রুশদি,
আপনার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। কিন্তু বলছি না। আন্তরিক দুঃখ প্রকাশের যে সুমার্জিত এবং সুসভ্য সংস্কৃতি আপনি প্রদর্শন করেছেন, তারপরে কিছু বলতে যাওয়াটা মোটেও সুশোভন নয়।
@ফরিদ আহমেদ, লেখাটা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এত দেরীতে প্রকাশ হল কেন? এনিওয়ে,আপনার জন্য :yes:
@রুশদি,
এই বিষয়ে চরম আপত্তি জানিয়ে গেলাম। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফরিদ ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে কারোর দ্বিমত থাকলে উনাকে তখন একজন মডারেটর হিসেবে চিহ্নিত করে বক্তব্য দেওয়া হয়। এই অভ্যেসটা আমাদের পরিহার করা উচিৎ। একজন ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ কিংবা অভিজিৎ যখন মন্তব্য করেন তাঁদের নিজেদের নামে তখন সেটা উনাদের নিজেদের বক্তব্য। সেটার সাথে মডারেটরদের টেনে আনার প্রয়োজন কোন দেখি না। উনারা উনাদের ব্যক্তিগত অভিমত যে কোন লেখাতেই দিতে পারেন।
এবার বলি ব্যক্তি ফরিদ ভাইয়ের করা মন্তব্যটি লেখক যেমন বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন তেমনি হয়েছেন আরো অনেকেই। একই প্রসঙ্গ একই ধরণের অন্য লেখাতেও এসেছে, আরো আসবে বলেই জানি। বিষয়টি ব্যলান্সের নয় যে সকল ধর্মকে ব্যলান্স করে কিছু বললাম। বিষয়টি হচ্ছে অতিসরলিকরণে দুষ্ট লেখা। এটাই এই লেখার মূল দুর্বলতা। লেখাটি যদি উইকির বিষয়বস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে ঠিক থাকতো, যদিও সেটা নিয়ে উইকিতেই কথা বলা আরো বেশি ভাল। তারপরেও ব্লগ লেখাতে আমি কোন আপত্তি দেখি না। আমরা চাই আমাদের অনুভুতিগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। কিন্তু লেখক যখন একজন উইকি ভুক্তিকারির ভুলকে একজন মুসলমানের ইচ্ছাকৃত ইতিহাস চেপে যাওয়া, সেখান হতে এক লাফে সকল মুসলমানের হীনমন্যতায় চলে যান তখন মুক্তমনার পাঠক হতে কোন আপত্তি না আসলেই অবাক হতাম। ফরিদ ভাইকে ধন্যবাদ জানাই আপত্তিটুকু করেছেন সে জন্য। সেটা যদি লেখক শুরুতেই বুঝতে পারতেন তবে এত মন্তব্যের প্রয়োজন হতো না, এতো ট্যাগিং পর্যন্ত যেতো না। যে কোন প্রকার ট্যাগিং এর বিপক্ষে আমি। যারাই ট্যাগিং করছেন আমার আপত্তিটুকু জানিয়ে গেলাম। আমার মনে হয় মডারেটরদের এই ট্যাগিং এর বিরুদ্ধে কিছু করা উচিত। লেখায় ভুল থাকলে, দুর্বলতা থাকলে জানান কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ট্যাগিং করলে তাকে সতর্ক করা উচিত।
@স্বাধীন,
একমত :yes: ।
@রৌরব,
আসলেই তাই। ফরিদ ভাই অভিজিত এনারা নিজেদের নামে যখন মন্তব্য করেন তখন তারা আর দশজন ব্লগারের মতই করেন।
মডারেটর হিসেবে মন্তব্য করলে তখন মডারেটর নামেই করেন। এ সোজা ব্যাপার নিয়ে প্রায়ই অনেকে অনর্থক ঘোট পাকান। তারা মডারেটর হিসেবে বিশেষ ক্ষমতা প্রদর্শনের চেষ্টা করছেন এমন ইংগিতও করে থাকেন।
খুবই অবিবেচকের আচরন।
@রুশদি, আপনি জানেন আপনার বলা সকল কথাই আমারই মনের কথা। ইসলামের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভুতি কথায়, কাজে বা কর্মে, স্পিরিটে, আচরণে প্রকাশ করাকে আমি একটি সংবেদনশীল মনের অধপতন হিসেবেই গন্য করি। তারপরও এটা একুশ শতাব্দী আপনাকে মেনে নিতে হবে। এখন সভ্যতার যেই স্তরে উন্নিত হয়েছি আমরা, তাতে একজন কারো ইসলামের মতো একটি ডিজগাস্টিং ধর্মের বিরুদ্ধে নির্বিচারে বিষোদ্গার করার যথার্থ অধিকার যদি এমনকি থেকেও থাকে, মুক্তমনার মতো একটি ব্রাইটদের ফোরামে আমি মনে করি সেই বিষোদ্গারের বিরোধীতা করা উচিত। দশ জনের মধ্যে আট জন যদি তালিয়া বাজিয়েও যায়, অন্তত দুইজনের আমি মনে করি ভদ্রতা করে হলেও তার বিরোধীতা করা উচিত, সৌজন্যবোধের খাতিরে। বলাই বাহুল্য আমি প্রথম দলেই থাকবো, তবে সংখ্যালঘু দ্বিতীয় দলের প্রতি আমার সহানুভুতিই থাকবে, কেননা আমি জানি ইন্টারনেটে সৌজন্যবোধ প্রদর্শন করা কতোটা পেইনফুল একটা কাজ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে হোরাস এই পোস্টে কোন বিষোদ্গার করেনি। এরচেয়ে ভদ্রভাবে এই কথাগুলো আর কিভাবে বলা সম্ভব আমি জানি না। আমি ভাবছিলাম ‘মুসলমানরা এতো অপদার্থ হয় কেনো’ শিরোনামে একটি পোস্ট লিখবো। অঙ্ক করে না মুসলাম, মুসলমান কবিতা লেখে না গান করে না, ফুটবল খেলে না, তাদের জমিতে ফলন হয় একটা কাফির জমির এক দশমাংশ, অপেক্ষাকৃত বেশী নির্বাচনযোগ্য জাতি এসে ধোসা মাইর দিয়ে তাদের ভূমি কেড়ে নেয় দেশ কেড়ে নিয় তাদের পাঠায় জেনিভা ক্যাম্পে! আসলেইতো মুসলমানরা এতোটা অকর্মার ঘটি এতোটা অপদার্থ হয় কি করে? আবার সাহস কতো তাদের কুকুরছানার মতো পুচ পুচ করে বাচ্চা পয়দা করে নিজেদের জনপুঞ্জের আকার বানিয়েছে দেড় বিলিয়ন যার বেশীরভাগই বাস করে দারিদ্রসীমার অ-নে-ক নীচে, অশিক্ষায়?
তবে আপনার এই কথাটা সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি।
আমি মনে করি আপনি যদি ‘আমাদের মাননীয় মডারেটর’ শব্দটি ব্যাবহার না করে শুধু ‘মাননীয় মডারেটরগন’ বলতেন তাহলে কথাটা সুন্দর শোনাতো, এখন কেমন যেনো একটু ধরি মাছ না ছুই পানি জাতীয় আঘাত টাইপের একটা কিছু মনে হচ্ছে। আমি মনে করি এটা নিছকই একটি সরল আপার অসতর্কতা আপনার পক্ষ হতে। একবার হালকা একটু দুঃখ প্রকাশ করলে এটার সমাপ্তি এখানেই হইয়ে যাবে আমি নিশ্চিত।
@আল্লাচালাইনা, আপনার ইমেইল টা দেন তো। দরকার আছে।
@রুশদি, ব্যক্তিগত বার্তা চেক করেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকার অনুসৃত ভারসাম্য রক্ষার নীতি (বিএনপির সমালোচনা করলে তাৎক্ষণিকভাবে বা একটু পরে আওয়ামী লীগেরও সমালোচনা করা, বা উল্টোটা) মুক্তমনাতেও চর্চা করা উচিত? কিছু মন্তব্য পড়ে অন্তত তা-ই মনে হলো, যেন কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম নিয়ে আলোচনাকালে অন্য ধর্মগুলোর প্রসঙ্গ এনে তুলনা না টানলে লেখাটিকে পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে বলে অভিযুক্ত করা যাবে।
ভুল বুঝে থাকলে দুঃখিত।
@নির্ধর্মী, আমিও বোধহয় আপনার মত ভুল বুঝেছি।
@হোরাস, লেখা এবং সব মন্তব্য পড়লাম। কেন যেন আপনাকে একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করছে,
আপনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক পোস্ট নীরবতা পালন করলাম!!!!(এক মিনিট নীরবতা পালনের মত আর কি)
পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
@লীনা রহমান, আমিও ভাবছিলাম নিরবতাই পালন করে চলবো নাকি। পরে দেখলাম উইকএন্ড, কি লাভ? সময় টময় কাটাই একটু আলোচনা করে। শত হলেও আমরা উষ্ণ রক্তের লোমশ স্তন্যপায়ী জীব। সোস্যাল স্টিমুলেশন, মিউচুয়াল কাডলিং নাড্জিং এর প্রয়োজন রয়েছে বৈকি আমাদের! 😀
@আল্লাচালাইনা, আমি নীরব থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। 🙂
আর আপনি হঠাৎ হারিয়ে গেলেন কেন?বেশি ব্যস্ত নাকি? লেখা ছাড়েন কিছু।
@লীনা রহমান, ছাড়বো লেখা ক্রিস্টমাসে 🙂 । আমি ব্যস্ত না কোন সময়ই। ব্যস্ত হতে পারার গুন অর্জন করে ফেললেতো জীবনের একটা গতিই করে ফেলতাম ইতোমধ্যে, নাকি? আপনি ভালো আছেন নিশ্চয়ই? আপনার লেখা কোথায়, প্রটাগনিস্টিক একটি লেখা নামিয়ে ফেলুন দ্রুত।
মধ্যযূগের ইতিহাস মিথ নির্ভর। এর উপরে ভিত্তি করে উপসংহারে আসা কতটা যুক্তিযুক্ত?
note: The selection above is from the History of the Conquest of Spain by the Egyptian Ibn Abd-el-Hakem (d. 870 or 871 ), who also wrote a history of Egypt. He mixes myths and fact in his account, which was written a century and a half after the events it describes.
From Ibn Abd-el-Hakem, History of the Conqziest of Spain, trans. by John Harris Jones (Gottingen, W. Fr. Kaestner, 1858), pp. 18-22
http://www.fordham.edu/halsall/source/conqspain.html
@ফারুক, Abd-el-Hakem এর হিস্ট্রী স্পেন বিজয় সম্পর্কে সবচেয়ে পুরোনো হিস্ট্রি। বাকী সবকিছুই তার থেকেই এসেছে। তাই সেই হিস্ট্রীকে বাদ দিয়ে আর কোন উপায় নাই স্পেন বিজয়েরে ইতিহাস লেখার।
John Harris Jones Abd-el-Hakem এর যে মিথ এর কথা বলেছেন কখনও ভেবে দেখেছেন যে সেই মিথের কারণে হয়ত তারিক আজ মহৎ ব্যক্তি। মিথ না থাকলে হয়ত তারিককে আরও খারাপ ভাবে উপস্হাপন করতে হত।
এটাও কিন্তু একটা সম্ভাবনা, কি বলেন?
প্রচন্ড ব্যাস্ততার মাঝেও দুটো কথা বলতে এলাম ফরিদ ভাই ও সৈকতের কথার জের ধরে।
আমার কাছে এ লেখার বিরুদ্ধে বলার মত পয়েন্ট আছে দুটি।
প্রথমত, উইকি আসলেই কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র না, যদিও অধিকাংশ লোকে সহজ রেফারেন্স হিসেবে উইকির ওপর ভাল ভরসা করে, তাই এর গুরুত্ব দিতেই হয়। তবে তার চাইতে বড় পয়েন্ট হল আলোচ্য তথ্য ম্যানিপুলেশন যে কোন মুসলমানই অতি অবশ্যই করেছে এর কোন তথ্যগত প্রমান নেই। শুধু মাত্র জোর অনুমান। সেই অনুমানের ভিত্তিতে মুসলমানদের ইতিহাস লুকানোর প্রচেষ্টার বিশ্লেষন শক্ত হয় না।
এটাকে মনে হয় মুসলমান না টেনে যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের উদ্দেশ্য করে বললেই বেশী যুক্তি সংগত হত।
দ্বিতীয়তঃ, অন্য কোন ব্লগের লেখা রেফারে করলে আগে সেখানেই লেখা দিলে তা ফেয়ার হয়।
ফরিদ ভাই এর কথার জের ধরে বলি যে মুক্তমনা তো বিশ্বাস করে যে সব ধর্মই মূল্যহীন, সব ধর্মেই কুসংস্কার আছে, সব ধর্মগ্রন্থই যুক্তিহীন অর্থহীন কথাবার্তা। তাহলে মুক্তমনায় শুধু কোরান বা ইসলামের পেছনেই কেন এত বেশী লেখা আসে? অন্য ধর্মের সমালোচনাকারী লেখা কেন তত বেশী আসে না? এর উত্তর যেখানে সেখানেই মনে হয় ফরিদ ভাই এর অভিযোগের জবাব আছে। হোরাস এখানে মোটেও দাবী করার চেষ্টা করেননি যে একমাত্র মুসলমানদের ভেতরেই যুদ্ধবন্দীদের উপর ধর্ষনের প্রবনতা দেখা যেত। খৃষ্টানদের উদাহরন তিনি নিজেই দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়নি যে সেই অংশ ওনার মূল আলোচ্য ছিল। যতদুর মনে হয় যে ওনার মূল আলোচ্য ছিল প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস চেপে যাওয়া বা নিজের কোলে ঝোল টেনে আনার মারাত্মক প্রবনতার সমালোচনা।
কিছু সমস্যা থাকলেও লেখাটার দরকার ছিল, আমি নিজেও এই কাহিনী জানতাম না। প্রায়ই শুনি অনেকে দাবী করছেন স্পেনে মুসলমানদের শৌর্য বীরত্ব…উন্নত সভ্যতা থেকে আধুনিক ইউরোপ গড়ার দাবী।
@আদিল মাহমুদ,
ঐতিহাসিক পদ্ধতি মেনে এ দাবি করলে সমস্যা ছিলনা। কথাটার মধ্যে সত্যতাও আছে যথেষ্ট। আন্দালুস তথা ইউরোপে মুসলিমদের অবদান সম্বন্ধে বহু কাজ পশ্চিমারাই করেছে, বিশেষত দেখুন মারিয়া রোসা মেনোকাল-এর বইগুলি।
কিন্তু সমস্যা হল, এসব দাবিদারদের ৯৯ শতাংশ এই দাবিগুলি করে নৈর্ব্যক্তিক ঐতিহাসিক তথ্য হিসেবে নয়, truimphalist এবং অনতিগোপন সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে (ফরিদ আহমেদ তেড়ে ওঠার আগে বলি, ভারতীয়/আর্য শ্রেষ্ঠতাবাদী, খ্রীস্টান শ্রেষ্ঠতাবাদী সকলের মধ্যেই এটি দেখা যায়, যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে এটি সচেতন ভাবে কমে এসেছে)।
তা যদি না হত, তাহলে “অবদান”-এর ব্যাপারটি একতরফা হতনা। তখন সাদা চোখেই দেখা যেত, অবদান সবারই আছে এবং অবদানগুলি পরস্পরনির্ভর। শুধু ইউরোপীয় রেনেসাঁসের প্রসঙ্গে যদি আসি: ইউরোপীয় রেনেসাঁসে মুসলিমদের অবদান আছে মন্তব্যটি যতটুকু সঠিক, ইউরোপীয় রেনেসাঁস মুসলিমদেরই অবদান যেটি খ্রীস্টানরা চুরি করেছে, এই মন্তব্যটি ততটুকুই বালখিল্য ও হাস্যকর।
আমার মতে, হোরাস এই একদেশদর্শিতাটিকেই হাইলাইট করেছেন, যদিও হয়ত আরেকটু গুছিয়ে করতে পারতেন।
@রৌরব,
:-X
ইউরোপ রেঁনেসার সময়ে মুসলমানদের কাছ থেকে জ্ঞানের অংশটুকু নিয়েছে তার অধিকাংশই এসেছে মূলত আরো আগের প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার জ্ঞান থেকে। মধ্যযুগে খ্রিস্টান চার্চের গোঁড়ামির কারণে (এখন যে গোঁড়ামিটা করছে মুসলমানেরা) ইউরোপ পুরো গ্রীক সভ্যতার জ্ঞানকেই হারিয়ে ফেলেছিল। অন্যদিকে আরবের এবং টার্কির লোকেরা সেটিকে খুব সযত্নে রক্ষা করেছিল। সেই রক্ষিত জ্ঞানই ইউরোপিয়ানরা নিয়ে যায় রেঁনেসার প্রাক্কালে। আর এর ফলশ্রুতিতেই সূচিত হয়ে ইউরোপের নবজাগরণ।
@ফরিদ আহমেদ,
😉
ঠিক, কিন্তু আরো ব্যাপার আছে। আরব-তুর্কিদের সংস্পর্শ তো ছিলই। কিন্তু গ্রীক সভ্যতার জ্ঞান বাইজান্টিয়ামে কিছু সংরক্ষিত ছিল গ্রীক খ্রীস্টান পুরোহিতদের কাছেও, সবই আরবি থেকে অনুবাদ নয়। শুধু তাই না, খ্রীস্টান জগতে গ্রীক ধ্যান-ধারণা পুরোপুরি উবে যায়নি কখনই, একটা সূত্র বজায় ছিল, সেন্ট অগাস্টিন বা টমাস অ্যাকুইনাসের কাজের মধ্যে দিয়ে…..ইত্যাদি ইত্যাদি।
@রৌরব,
– দারুন বলেছেন। সভ্যতায় অবদান কম বেশী সবারই আছে। কারো কৃতিত্ব যেমন ছিনতাই করা অন্যায় তেমনি কারো কৃতিত্ব বাড়িয়ে বলাও অন্যায়।
তবে যারা কবে কি করেছে তার ভিত্তিতেই কেবল চিরকাল শ্রেষ্ঠত্বে ভোগে তাদের নিয়েই সমস্যা বাঁধে। আজকের দিনের বাংলাদেশের বা ইংল্যান্ড আমেরিকারই কোন খৃষ্টানে কি আধুনিক বিজ্ঞানের যত অবদান আমরা চারদিকে দেখি তার বেশীরভাগই তাদের ধর্মেরই লোকে গত ৩০০ বছরের মধ্যে আবিষ্কার করেছে বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করে বা বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ায়? আমার তো মনে হয় না। অন্যদিকের অবস্থা তো জানেনই।
@আদিল মাহমুদ,
:yes: আপনার সাথে সহমত। (আর হোরাস আরেকটু গোছিয়ে লেখতে পারতেন। তিনি সাধারণত যে মানের লেখা লেখেন এটা সে মানের হয় নি।)
একটু ভিন্ন বিষয়ে আসি। আচ্ছা, আদিল ভাই, আপনি তো অনেক দিন থেকে আছেন, ঠিক কি কারণে মুক্ত-মনায় ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বেশি পোস্ট আসে বলে আপনার মনে হয়? অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কেন এতটা আসে না? এর অন্যথা করা কিভাবে সম্ভব বা করার চেষ্টা করা উচিত কিনা? আর করলেও তা কি রকম হতে পারে? (শুধু আপনার ভাবনাটা জানতে চাচ্ছি, বিশেষ কিছু না)
@সৈকত চৌধুরী,
এই অভিযোগ মুক্তমনার বিরুদ্ধে খুবই পুরানো। যদিও জবাব জটিল কিছু না। মুক্তমনা যেহেতু মূলতঃ বাংলাদেশীদের সাইট তাই এখানে স্বাভাবিক ভাবে ধর্ম নিয়ে আলোচনা হলে ইসলাম আসবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যদি ধর্মত্যাগীদের হিসেব করা হয় তবে মুসলমান থেকে নাস্তিক বা মুরতাদ হয়েছে তেমন সংখ্যাই বেশী হবে। ভারতে তেমনি হবে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ কারীদের সংখ্যা।
কাজেই বাংলাদেশী ধর্মত্যাগীরা কেন ধর্ম বিরাগ হল সে কারন বয়ান করতে গেলে অবশ্যই ইসলামকেই টেনে আনবে এতে অবাক হবার মতন কোন ব্যাপার নেই, নেই কোন গুরুতর ষড়যন্ত্র। আর ধর্মত্যাগী ছাড়াও বাংলাদেশে কেউ যদি ধর্মীয় কুসংস্কার বা গোঁড়ামী এসবের বিরুদ্ধে লেখে তবে তাকে ইসলামের নামে প্রচলিত নানান কুপ্রথাই আগে টানতে হবে। হিন্দু ধর্মে আরো বেশী আছে বলে সে নিশ্চয়ই বাংলাদেশে বসে হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করাকে প্রায়োরিটি দেবে না। বা ব্যালেন্স করে নিজে নিরপেক্ষ সাজার চেষ্টা করার জন্য একদিন ইসলামের বিরুদ্ধে লিখলাম আরেকদিন খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে লেখলাম এভাবে হিসেব করে লিখবে না।
এর অন্যথার মনে হয় না তেমন দরকার আছে। বাংলাদেশের কেউ ধর্ম সম্পর্কে ভিন্ন ভিঊ পেতে চাইলে সে হিন্দু, খৃষ্টান বা ইহুদীদের সম্পর্কে আগ্রহী হবে না, হবে ইসলাম সম্পর্কেই। আর ব্যালেন্স করার বেহুদা চেষ্টা না করেই বলতে চাই যে সব ধর্ম বা জাতির মাঝেই গোঁড়ামী কুসংস্কার মৌলবাদের এসবেরে বীজ থাকলেও মুসলমানদের মধ্যে জাতিগত ভাবেই এসব সমস্যা একটু বেশী মাত্রায়ই আছে। মুসলিম জাতীয়তাবাদ মুসলমানদের একটি দ্বৈত সত্ত্বা দেয়, শুধু সেখানেই শেষ নয় এটি সরাসরি বা কখনো বা কৌশলগত কারনে একটু ঘুরিয়ে শ্রেষ্ঠত্ববাদ প্রচার করে। হয়ত তাতে রাজনৈতিক কিছু কারনও ইন্ধন হিসেবে আছে। তবে এই কারনেও অন্যথার তেমন প্রয়োযন আছে বলে মনে হয় না।
@সৈকত চৌধুরী,
আমারও তাই মনে হচ্ছে। আরেকটু সময় নিয়ে গুছিয়ে লেখার প্রয়োজন ছিলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :rose2:
এই চারটি লাইন যে কেউ পরবর্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ ভাষনের সাথে জুড়ে দেয় নি , তা জানার কোন উপায় আছে কি?
আপনি এই যে মূলার কথা বল্লেন , তা মধ্যযূগের সকল সেনাবাহিনীর সামনেই ঝুলানো ছিল এবং সকল ধর্মের সেনাবাহিনীই যুদ্ধে জিতলে এই কাজগুলৈ করত। তাহলে অন্যদের সাথে মুসলমান সেনাবাহিনীর পার্থক্য কি ছিল , যেটা তাদের কে অন্যদের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট এনে দিয়েছিল? শুধুই পরকালে বিশ্বাস ও হুর পাওয়ার লোভ? খৃষ্টান সৈনিকরা ও তো পরকালে বিশ্বাস করত।
যদিও এই সকল ইতিহাস থেকে সত্যটা জানা আদৌ সম্ভব নয় বলেই আমার ধারনা , তবুও আমার মনে হয় ১২ হাজার সৈন্যের শুধু বাহুবলে ১লক্ষ ২০ হাজার সৈন্যের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব নয় যদি না লোকাল জনসাধারন গ্রীকশাসনে অতীষ্ট হয়ে মুসলমানদেরকে সাহায্য না করে। একারনেই আমার কাছে সেই ইতিহাসটিই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় , যেখানে বলা হয়েছে , মুসলমানদের উন্নত চরিত্র ও সূশাসনে আকৃষ্ট হয়ে বেশিরভাগ দেশের লোকজন মুসলমান সেনাবাহীনিকে আমন্ত্রন করে নিয়ে গিয়েছিল এবং নামকা ওয়াস্তে যুদ্ধ বা যুদ্ধ ছাড়াই মুসলিম শাসন প্রসার লাভ করে।
@ফারুক,
কম সংখ্যক সৈন্য নিয়ে অনেক বেশি সৈন্যকে পরাস্ত করার এত-ত বেশি উদাহরণ, এবং এত বেশি কারণ পাওয়া যায় ইতিহাসে যে তার ক্লান্তিকর তালিকা এখানে দেব না। কিন্তু “লোকাল জনসাধারণ”, “গ্রীকশাসন” টার্মগুলো ব্যাখ্যা করবেন কি? কারা এরা?
@রৌরব, মধ্যযূগীয় ইতিহাস যেটা পাই , তা হয় অতিরন্জিত , না হয় বড়বেশি একপেশে । একারনেই এই সকল ইতিহাসে আমার বিশ্বাস নেই। মন্তব্যে আমি আমার নিজস্ব ধারনার কথাই বলেছি , কোন ইতিহাস নির্ভর তথ্য তুলে ধরিনি। গ্রীকশাসনের বদলে রোমান শাসন বা পারস্য শাসন বসিয়ে দিতে পারেন , তাতেও আমি কি বোঝাতে চেয়েছি , সেটা বুঝতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আপনার কাছে সাধারন ঘটনা মনে হলেও , আমার কাছে ১২হাজারের কাছে ১লক্ষ২০ হাজারের হার কে অবাস্তব মনে হয়। কারন সে কালের বিবদমান দুই সৈন্য দলের অস্ত্রের গুণগত পার্থক্য বর্তমানের আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যেকার অস্ত্রের পার্থক্যের মত এত ব্যাপক ছিল না।
@ফারুক,
আশা করি মুসলিম বিজয়ের কাহিনীগুলিতেও আপনার skepticism একই পর্যায়ে থাকে 😉
এভাবে সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক ইতিহাস চর্চা কি সত্যিই বাঞ্ছনীয়? ভিসিগথরা কোন অর্থে “বাইরের লোক”, কেন তাদের জ্বালায় “লোকাল জনগণ” অস্থির সেসব জানবার প্রয়োজন নেই, শুধু সৈন্য সংখ্যা পার্থক্যের সম্ভবত একপেশে ও অতিরঞ্জিত (আপনারই বক্তব্য অনুযায়ী) রিপোর্টের উপরে একটি বিশেষ সময় সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা যায়?
@রৌরব,
এটাতো আমার মন্তব্য থেকেই আপনার বোঝা উচিৎ ছিল। “আপনার কাছে সাধারন ঘটনা মনে হলেও , আমার কাছে ১২হাজারের কাছে ১লক্ষ২০ হাজারের হার কে অবাস্তব মনে হয় ” এটাতো আমারি মন্তব্য।
সত্যিকথা বলতে কি , মধ্যযূগীয় ইতিহাসের এই দশা দেখেই , আমি নবীর সীরাত (জীবণী) ও হাদীসের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়েছি।
@ফারুক,
উইকির আপডেটকারী সূত্র হিসাবে সে সোর্স উল্লেখ করেছে সেখানেই পুরো ভাষণটা আছে। তার মানে সে নিজেও এটা নিয়ে সন্দিহান না। শুধু নিজে আপডেট করার সময় সেটা চেপে গেছে।
খৃষ্টান সৈনিকদেরও বহু বিজয় গাঁথা আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ক্রুসেডের সময় তাদের কিভাবে ধন সম্পদের লোভ দেখিয়ে এবং ইহকালে পাপ মোচনের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধে নেয়া হত সে ইতিহাস সবারই জানা। মূলার লোভ তাদেরও কম ছিলো না।
প্রথমতঃ গ্রীক সৈন্যে না, ভিসিগথ (জার্মান) সৈন্য। আর কারনটাও আমি পোস্টে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। ভিসিগথ রাজা রড্রিক স্বীকার হয়েছিলো তৎকালীন স্পেনের অন্যান্য রাজাদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের। ইতিহাসবিদদের ধারণা রড্রিকের দ্বারা অন্য এক রাজার (নামটা মনে পরছে না) মেয়েকে “ভায়োলেট” করার ঘটনাই এর পিছনের কারণ। সাধারণ জনগনের এতে কোন ভূমিকা ছিলোনা। সে রাজাই মূলতঃ তারিককে দক্ষিণের জিব্রাল্টর প্রণালী দিয়ে জাহাজে করে স্পেনে ঢুকতে সাহায্য করে। রড্রিক তখন উত্তরে টলেডোতে যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলো। তারিকের স্পেন প্রবেশের কথা শুনে তাড়াহুড়া করে রড্রিক দক্ষিনে ফিরে আসে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
@হোরাস,
সোর্সের দেয়া পুরো ভাষনটির ঐ চার লাইন নিয়ে হয়ত উইকির আপডেটকারীর নিজেরি সন্দেহ আছে , তাই ঐ চার লাইন বাদ দিয়েছে। এমনটা কি হতে পারে না?
উইকির আপডেটকারী কি মুসলমান? এব্যাপারে খোঁজ নিয়েছিলেন কি?
@ফারুক,
ভাষণটার রেফারেন্সে যে লিংক দেওয়া আছে, সেই লিংকে গেলেই ওই চারটি বাক্য পাবেন। প্রথমে ভাষণটা আপলোড করে পরে ওই চারটি বাক্য জুড়ে দেওয়ার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে বলবেন কি? কেউ যদি মুসলমানদের চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে ওই ভাষণটি আপলোড করত, তবে প্রথমেই ওই চারটি বাক্য জুড়ে দিত।
@পৃথিবী, ভাষনের রেফারেন্সে যে লিংক দেওয়া আছে, সেই লিংকে যেয়ে দেখলাম , সেটার সোর্স Source.
From: Charles F. Horne, ed., The Sacred Books and Early Literature of the East, (New York: Parke, Austin, & Lipscomb, 1917), Vol. VI: Medieval Arabia, pp. 241-242.
তা এই চার্লস্ ভদ্রলোক মুসলমানদের চরিত্র হননের চেষ্টা করেন নি , সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কি?
@ফারুক, আমার পোস্টেই মূল লেখকের নাম এবং তার বইয়ের নাম দেয়া আছে।
লেখাটা অন্য ব্লগের পোষ্টের সমালোচনা হলেও বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং underappreciated(কয়জনই বা ইতিহাসের বই ঘাটতে যায়), তাই এখানে আমি কোন সমস্যা দেখছি না।
আপনার প্রতি অনুরোধ রইল যে উইকিপিডিয়াতে আপনি কষ্ট করে এই তথ্যটা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। আলাপ পাতায় কেউ কেউ এ নিয়ে হাউকাউ করতে পারে, কিন্তু যুতসই তথ্যসূত্র উল্লেখ করলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। উইকিপিডিয়ার মান যাই হোক, আমাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে যে উইকিপিডিয়া এখন এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যে উইকিপিডিয়া ছাড়া মানুষ অথৈ জলে পড়বে। আপনি যদি উইকির প্রতি অবজ্ঞাবশত এই তথ্যটি যোগ না করেন, তবে বাঙ্গালীদের পাশাপাশি সারা বিশ্বের অনেকেই সঠিক তথ্যটি জানতে পারবে না। আমার মনে হয় খুব কম মানুষই উদ্ধৃত রেফারেন্স লিংকে গিয়ে মূল ভাষণটি চেক করবে।
@পৃথিবী,
মজার ব্যাপার না!!!! … উইকিতে যে তথ্যসূত্র দেয়া আছে সেখানে ক্লিক করলেই কিন্তু পুরো ভাষণটা পাওয়া যায়। কিন্তু আমি বুঝতে অক্ষম তবে কেন লাইনগুলা উইকিতে চেপে যাওয়ার চেষ্টা? যে আপডেট করেছে সে হয়ত ধরেই নিয়েছে কেউ আসল লিঙ্কে যাবার প্রয়োজন হয়ত অনুভব করবে না।
বিজয়ীরা সবসময়ই ঠিক। তাদের কোন দোষ থাকে না।
:-Y
ইতিহাস নিয়ে বিশেষ করে অতীত কুকর্ম নিয়ে হীনমন্যতা যে শুধু মুসলমানদের আছে তা নয়, প্রায় সব ধর্মালম্বী বা সব জাতির লোকদের মধ্যেই এই প্রবনতা ক্রিয়াশীল। অযথাই এখানে মুসলমানদেরকে দায়ী করা হচ্ছে এক তরফাভাবে।
কোনো ফরাসীকে জিজ্ঞেস করে দেখুনতো যে তাদের আর্মি ব্যাটল অব মন্টি ক্যাসিনোর পরে ইটালিয়ান মেয়েদেরকে রেপ করেছে কি না, কোনো রাশিয়ানকে ডেকে জিজ্ঞেস করুন যে, তাদের লালবাহিনী জার্মানি এবং পোলান্ডে গণহারে রেপ করেছে কি না, কিংবা কোনো ভারতীয় নাগরিককে বলে দেখুন যে তাদের আর্মি কাশ্মিরে বা শ্রীলংকায় শান্তি বজায় রাখার মহৎ মিশন নিয়ে গিয়ে তামিল তরুণী এবং কিশোরীদেরকে বলাৎকার করেছে কি না, বা কোনো সার্বকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে তারা বসনিয়ান মুসলমান মেয়েদেরকে গণধর্ষণ করেছে কি না? এরা যদি সবাই স্বীকার করে আর মুসলমানরা যদি অস্বীকার করে তবেই শুধুমাত্র মুসলমানদেরকে এক তরফা গালি দেওয়াটা জায়েজ হয়, না হলে নয়।
যুদ্ধে ধর্ষণ করাটা মুসলমানদের আবিষ্কার নয়, সেই প্রাচীন কাল থেকেই গ্রীস বলেন আর রোম বলেন, পৃথিবীর সর্বত্রই এই কুকর্ম বিদ্যমান ছিল। হাল আমলের সুসভ্য দেশসমূহের সামরিক বাহিনীও এর থেকে মুক্তি পায় নি। ইরাকে ইউএস আর্মির ধর্ষণই এর প্রমাণ। লেখক এইসব ইতিহাসসমূহকে চেপে গিয়ে নিজেই বরং পশ্চাদপদ মুসলমানদের মতই হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন।
@ফরিদ আহমেদ,
একমত। রেপ সবসময়ই পৃথিবীতে ছিল। আর ইতিহাস সাধারণত লেখা হয় বিজয়ীদের দিয়ে। তারা নিজেরাই রেপ করলে সেটা আর ঘটা করে লিখবে কেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী বাহিনীর অত্যাচারের কথাই আমরা বইয়ে পড়ি, বিপরীতটা কয়জন জানে।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার সাথে দ্বিমত। আমাদের দেশে যেহেতু মুসলমানরাই সংখ্যাগুরু তাই আমরা মুসলমানদের নিয়েই বেশি ভাবব এটাই স্বাভাবিক।
লেখক কি বলেছেন যে এ প্রবণতা অন্য কোনো জাতির মধ্যে ক্রিয়াশীল নয়? তিনি এখানে মুসলমানদের এই প্রবণতাকে সামনে নিয়ে এসেছেন। ধরি ক, খ, গ একটা অপরাধ করল। এখন আমি যদি বলি ক এই আপরাধ করেছে তার মানে তো এটা নয় যে আমি খ ও গ এর অপরাধ অস্বীকার করলাম। লেখক এখানে বিভিন্ন জাতির মধ্যে তুলনা করেন নাই, তিনি তুলনা করেছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। এখন মুসলমানরা যদি কোনো বিষয়ে পিছিয়ে পড়ে তবে সেটা যদি সামনে নিয়ে না আসা হয় তবে তাদের উন্নয়ন বা উপলব্ধি কিভাবে সম্ভব?
লেখকের কিছু লাইন পড়েন-
লেখকের এখানে উদ্দেশ্য না কে কোথায় কতটা ধর্ষণ করেছে তা দেখানো। তিনি wiki এর এই দুঃখজনক ঘটনা বিবৃত করেছেন যার আসলেই প্রয়োজন ছিল । এখন কারো যদি ইচ্ছে থাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা তিনি নতুন একটা পোস্ট দিয়ে বা মন্তব্যে তা বলতে পারেন। সুতরাং ইতিহাস চেপে যাওয়ার অভিযোগের কোনোই গ্রহণ যোগ্যতা নেই।
আমার একজন প্রিয় লেখককে এভাবে আক্রমণ করায় দুঃখ পেলাম।
@সৈকত চৌধুরী, Sohomot.
@সৈকত চৌধুরী,
কোথায় আক্রমণ করলাম যে দুঃখ পেলেন? বরং মুসলমানরাইতো অভিযোগ করতে পারে যে হোরাস তাদেরকে আক্রমণ করেছেন সাধারণীকরণের নামে। হোরাস আপনার যে রকম প্রিয় লেখক, আমারও সেরকমই প্রিয় একজন লেখক। কাজেই, আমি তাঁকে আক্রমণ করেছি এই ভাবনাটা মাথা থেকে দূর করে দিন আপাতত।
আপনার সাথেও আমি বিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করি এ বিষয়ে। আমাদের দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগুরু বলেই বেশি বেশি ভাবাটাও মনে হয় খুব একটা স্বাভাবিক নয়। কোথায় কোন এক ব্লগার বললো যে ঘেটুপুত্র কমলা বাংলাদেশে ছিল না, বা কারা কারা দাবী করলো যে কোন হাদীস ভুল, আর সেখান থেকেই লেখক উপসংহারে পৌঁছে গেলেন যে সত্যকে অস্বীকার করার কারণেই সারা বিশ্বে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি পশ্চাদপদ। এই বক্তব্যইতো তুলনামূলক আলোচনাকে টেনে নিয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে না যে অন্য ধর্মালম্বীরা সবাই সত্যকে সত্য মনে করে আর ভুলকে ভুল মনে করে, শুধু মুসলমানরা ছাড়া।
তাই বুঝি? আমার কাছে কিন্তু মনে হয়েছে যে বোল্ড করা ওই চার লাইনকে সামনে রেখেই লেখক তাঁর লেখাটা লিখেছেন। আর সেকারণেই হয়তো একটা পুরো প্যারা জুড়েই গ্রীক রমণীদের কথা এসেছে।
@ফরিদ আহমেদ, :yes:
@ফরিদ আহমেদ,
“ঘেটু পুত্র কমলার” সেই ব্লগারের সাপোর্টারের সংখ্যা দেখলে আপনি একথা বলতেন না। যাই হোক, মুসলিমরা বিশ্বাস করে কোরান হাদীসের উপরে কোন সত্য নাই। এটা তো মানেন। যে কারণে তারা বিবর্তন বাদ এবং তা সম্পর্কিত যাবতীর জীববিজ্ঞানের তত্বকে তারা অস্বীকার করতে চোখের একটি পলক ফেলার সময়ও ব্যয় করতে রাজী না। এটাতো মানেন? তারা মনে করে সকল বিজ্ঞানের সোর্স কোরানে আছে। এটা তো জানেন? আপনি হয়ত অস্বীকার করবেন তবে বেশীর ভাগ মূসলিমই আপনার সাথে একমত হবে না এটাও আমি জানি। উপরের উদাহরণগুলা কি সত্য অস্বীকার নয়? আর আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন মুসলমানদের পশ্চাদপদতার পিছনে এই সব সত্য অস্বীকারের কোন ভূমিকা নেই। আমি বলছি না এগুলাই একমাত্র কারণ। তবে এড় ভূমিকাও খুব একটা কম নয়।
বিজ্ঞানের সত্যকে অস্বীকার করে হাদীস কোরাণ নিয়ে পরে থাকা এবং সেই সাথে মধ্যযুগে মুসলিমরা কত উন্নত ছিলো এবং অন্যদের তুলনায় কত মহৎ ছিলো সে ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকাই মুসলমানদের পশ্চাদপদতার একটি বড় কারণ। এটাই আমার অভিমত। আমি পোস্টে এত ডিটেইলস বলার দরকার হবে সেটা ভাবিনি।
ঠিক। তবে কতটা ধর্ষন করেছে সেটা দেখানোর জন্য না। বরং তারিক এবং তার সেনাবাহিনীও যে একেবারে সাধুপরুষ ছিলোনা যেমনটা সবসময় আমাদের গেলানোর চেষ্টা করা হয় সেটা দেখানোর জন্য। কতটা ধর্ষন করেছে সেটা দেখানোর ইচ্ছা থাকলে সংখ্যা কিংবা বর্ননা নিয়ে হাজির হতাম। আর একটা উদ্দেশ্য হলো উইকির আপডেডট কারী যে একটা জ্ঞানপাপি, এবং উইকির উপর যে খুব বেশী নির্ভের করা ঠিক না সেটা দেখানোও।
আবার ভাববেন না আমি শুধু তারিককেই খারাপ বলছি আর সেসময়কার অন্যদের ভালো বলার চেস্টা করছি। সেটা কখনই নয়।
@হোরাস,
হয়তো। তবে আপনি একজনের কথা বলেছেন, সেই কারণে আমি তাকে একক ব্লগার হিসাবেই বিবেচনায় নিয়েছি।
সম্পূর্ণ মানি এবং জানি। এবার আপনি আমাকে বলুন, আপনার এই কথাগুলোতে মুসলমানের জায়গায় খ্রিস্টান বা হিন্দু এবং কোরান হাদিসের জায়গায় বাইবেল বা বেদ বসিয়ে দিলে আপনি কি সেটাকে মানেন বা জানেন কি না? বিজ্ঞানের সত্যকে কি শুধু মুসলমানেরাই অস্বীকার করে? অন্য ধর্মালম্বীরা করে না?
তারিক এবং তার সেনাবাহিনী কী করেছে বা করে নি সেটা নিয়ে আমি আসলে আপত্তি জানাই নি। আপনার লেখার মূলসুর কেটে গিয়েছে উপসংহারে গিয়ে। যখন আপনি জেনারালাইজেশন করেছেন। উইকির দুর্বলতা নিয়ে যে আলোচনা ছিল সেটাতে থাকলেই সমস্যা ছিল না কোনো। কোন ছাগু উইকিতে ওই চার লাইন দেয় নি সেটার জন্য পুরো মুসলমান জাতিকে ধরে টেনে আনার বিষয়টা কতখানি যুক্তিযুক্ত হয়েছে সেটা ভেবে দেখবেন আশা করি।
সেরকম কিছু ভাবি নি আমি। এই তারিক বেটা কে সেটাই জানি না আমি। এই প্রথম নাম শুনলাম তার।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার কথা ঠিক সব ধর্মেই কম বেশী আছে তবে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে আছে সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমি যে জিনিষটা ভেবে অবাক হই সেটা হলো বিজ্ঞানে মৌলিক অবদানের ক্ষেত্রে খ্রীস্টান ধর্ম যাজকদের অবদানের কথা ভাবলে। যেমন: ডারউইন, মেন্ডেল, জর্জ লেমাইট্রে (Georges Lemaître – বিগ ব্যাং থিউরী) এইতো গেলো যুকান্তকারী মৌলিক অবদানের কথা। এছাড়া আরও অসংখ্য মৌলিক অবদানের কথা বলা যায় যা এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। এ নিয়ে আমার একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।
এছাড়াও খ্রীস্টান ধর্মের রিফর্মেশনও খ্রীষ্টান পাদ্রীদের হাত ধরেই শুরু হয়েছে। মার্টিন লুথার কিংবা জন কেলভিন শুরু করেছিলেন যে আন্দোলন তা পরবর্তিতে প্রটেস্টান্টিনিজমের জন্ম দেয়। আর প্রটেস্টান্টিনিজমের পপুলারিটি দেখে ক্যাথলিকরা নিজেদের অনেকখানি সংশোধন করতে বাধ্য হয়। মার্টিন লুথারের “The doctrine of two kingdoms” জন্ম দেয় আধুনিক কালের চার্চ এবং রাস্ট্রের পৃথকীকরনের আন্দোলনের।
এরকম কিছু অবদানের কথা কি আমরা মুসলিম ধর্ম যাজকদের, যারা ইসলাম সম্পর্কে সব চাইতে ভাল জানে, সম্পর্কে বলতে পারব? না, পারব না। বরং তাদের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন উদ্ভট ফতোয়া দেয়া ছাড়া আর কোন উদাহরণ দিতে পারব না।
@হোরাস,
মুসলিম ধর্মযাজকদের কথা জানি না। তবে আপনি আধুনিক সময়ে ইউরোপের আবিষ্কার সমূহ দেখে যে রকম অবাক হচ্ছেন, ঠিক সে রকমই অবাক হবেন যদি মধ্যযুগের আরবে যান। সপ্তম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর সময়ে ইউরোপ যখন অন্ধকারের মধ্যে হাঁসফাঁস করছে, এক হাজার বছরেও যেখানে একটামাত্রও আবিষ্কার নেই, ঠিক সেই সময়ে জ্ঞান -বিজ্ঞানে আরবরা সারা বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোকচ্ছটায় আলোকিত করছে চারিদিক। গণিত বলেন, রসায়ন বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞান বলেন, স্থাপত্যবিদ্যা বলেন সবকিছুতেই আরব বিজ্ঞানীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তখন।
গ্রীক ও রোমান সভ্যতার পতনের পর এবং আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতার মাঝের সময়টুকু বিশ্বসভ্যতার জ্ঞানের ধারাটিকে বহমান রেখেছিল মুসলমানেরাই। আজকের মুসলমানদের দুরবস্থা দেখে সেগুলোকে আমরা অস্বীকার করতেই বেশি পছন্দ করি। প্রত্যেক সভ্যতারই উত্থান এবং পতন আছে। ইসলামিক সভ্যতার দুর্ভাগ্য যে এটা তার স্বর্ণসম সময়কে পিছনে ফেলে এসেছে।
জাহেদের এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন, সেক্ষেত্রে হয়তো মুসলমানদের সম্পর্কে আপনার ধারণাটা কিছুটা পাল্টাতে পারে।
@ফরিদ আহমেদ, আপনি আমার পয়েন্টের পুরাটাই মিস করছেন। আমি এখানে আলোচনা করছি ধর্ম বিষয়ে, ধর্ম পুস্তক, কিংবা ধর্মের বিধি নিষেধ সম্পর্কে যারা বিশষজ্ঞ তাদের নিয়ে। সাধারণ ধর্মানুসারীদের নিয়ে নয়। সে হিসাব না হয় নাই করি।
আর মধ্য যুগের মুসলিম মনিষীদের ব্যাপারে আমার ভালোই ধারণা আছে। এটা একটা মজার ব্যাপার যে ইবন রুশদ, ইবনে সিনা, আল কিন্দী, ওমর খৈয়াম সহ প্রায় সবাই সংশয়বাদী ছিলো। সে সময়ের মুসলিম মনিষীরা তাদেরকে কাফের আখ্যা দিতে পর্যন্ত কার্পন্য করেনি। অথচ তারাই বর্তমানের মুসলমানদের একমাত্র গর্বের বিষয়।
@হোরাস,
আমি আপনার সাথে একমত । দেখুন আপনি শুধু তারিক বক্তব্য এর কথা বলেছেন এই মুক্তমনায়। তাতে কজন যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আমার মনে হয় তারা আসলে মক্তমনায় নিজেদের দাবী করা মুক্তমনা, কিন্তু আসলে তা নয়। আপনার বক্তব্য ছিল যে wiki তে কেন বক্তব্য টি edit করা হল কিন্তু তারা এইটি কে অন্য ” ভাবে নিয়েছেন !! এখানে আপনি যদি মুসলিম কর্তৃক spain বিজয় এর সময় ৩০০০০ হাজার এর বেশি গ্রীক রমণী হারেমে প্রদান ও অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয় সে কথা লিখলে এই সব কথিত মুক্তমনাদের মন্তব্য কি হত তাই ভাবছি…।। :guli: :lotpot:
@দৃষ্টিহীন,
দৃষ্টিহীন। যথার্থ নামকরন।
এই সব কথিত মুক্তমনারা তথাকথিত মুক্ত কথা বলছে এই কারনে যে লেখক তার লেখায় শুধু চাতুরী করে এডিট করা তারিককেই দোষারোপ করেন নি। তিনি তারিক নামে লোকটি যে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সেই সম্প্রদায়ের সবাইকেই তারিকের মত বলে মনে করছেন এবং বলছেন। আপনার কি তাই মনে হয়?
@সাইফুল ইসলাম, দেখুন আমি খুব ভালোভাবেই হোরাসের লেখা পরেছি সেখানে কোথাও পুরু সম্প্রদায়কে দায়ী করা হয়নি । আমার মনে হয় কারো মনে কি আছে তা নিশ্চয় অন্য কারো জানার কথা নয় !!! গ্রাম দেশে একটা কথা আছে যে ” যে চোরা সে মনে মনে জানা । ” যাদের তারিকের জন্য সমবেদনা ছিল তারাই সেই রকম মনে করছে !!!
@দৃষ্টিহীন,
আচ্ছা দেখি আপনার দাবী সঠিক কিনা।
প্রথমেই শিরোনামের দিকে খেয়াল করিঃ
স্পেন বিজয়ের প্রাক্কালে তারিক ইবনে জায়াদের ঐতিহাসিক ভাষন এবং এযুগের মুসলিমদের ইতিহাস নিয়ে হীণমন্যতা
এখানে এযুগের মুসলিমদের দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে বলবেন কি দৃষ্টিহীন ভাই?
শুধুমাত্র তারিক মিয়াকেই? কি জানি হতেও পারে। 🙁
আরেকটু দেখিঃ
এখানে মুসলিমরা কেন?? শুধু তারিক না কেন??
শত হলেও পোষ্টটা তো তারিককে নিয়েই হবার কথা ছিল(আপনাদের কথা অনুসারে), তাই না?
আরেকটু দেখি কি বলেন, দেখব?? আচ্ছা দেখিঃ
আপনার কি মনে হয় এই আকামের দায় শুধুই মুসলমানের? হয় মনে??
আপনি চাইলে অন্য ধর্মের মহামানব(!!!!!)দের এমন অনেক উদাহরন আমি দিতে পারব। শুধু একটু নেটটা ঘেটে রেফারেন্স বের করতে হবে এই আর কি। তেমন কিছু না। আপনি যেহেতু অনেক কিছুই দেখতে পাননা, আপনার হয়ে এই কাজটা আমি করে দিতে রাজি আছি। শুধু লাগলে বলবেন।
এইরকম ধারনা করে নেয়াটা কতটুকু শালীন আমি জানি না । এই একই রকম যুক্তিতে কিন্তু আমিও বলতে পারি, আপনি, হোরাস মুসলিম বিদ্বেষী। বলব নাকি??
যাই হউক, বহুত কতা কইলাম।
ধইন্যা।
@সাইফুল ইসলাম,
হা হা … আপনি দেখি আবার নতুন প্রসঙ্গ নিয়ে আসলেন। আমি তারিককে কোন দাষারোপই করিনি। আপনি “শুধু চাতুরী করে এডিট করা তারিককেই দোষারোপ করেন নি” কোত্থেকে নিয়ে আসলেন। তারিক এমন কিছু করেনি যা সে যুগে অন্যরা করত না। এবং সেটা নিয়ে আমার কোন সমস্যাও নেই। আমার সমস্যা যারা তার ভাষনের শুধু পজেটিভ দিকগুলো প্রচার করে কিন্তু নেগেটিভ দিকগুলো চেপে যায় তাদের নিয়ে। তারিক কোন ইস্যু না।
কোথায় পেলেন এটা? আমার মুখে কথা গুজে দেবেন না। যা লিখিনি তাও আমাকে এখন ডিফেন্ড করতে হবে নাকি!!! তাইলে তো সমস্যা।
@সাইফুল ইসলাম,
তারিককের প্রশ্ন আসছে কেন? আপনি যে আসলেই আমার পোস্টটা ঠিকমত পড়েন নি সেটা বোঝা যাচ্ছে।
নাহ! পোস্টটা ইতিহাসের শুধু ভালো দিকগুলোকে হাইলাইট করে অন্ধকার দিক গুলোকে চেপে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে মহৎ প্রমাণ করার চেষ্টার বিরুদ্ধে।
অবশ্যই না। সেটা কখন বললাম? মুসলামানদের আকামের কথা বলতে হলে কি আমাকে হিন্দু, খ্রীস্টান, ইহুদীদের আকামের কথাও বলতে হবে নাকি? এমন কোন নিয়ম থাকলে জানাবেন। পরবর্তীতে দেয়ার চেষ্টা করব।
হা হা …. এটা হলো হীণমন্যতার নতুন হাতিয়ার। সমালোচনা করলেই বিদ্বেষী ট্যাগ লাগানো। আপনি আমাকে বিদ্বেষী বললেন তাতে অসুবিধা নাই কিন্তু আমি কেন আপনাকে হীণমন্য বললাম সেই নিয়ে আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের আশায় থাকলাম।
আর পরবর্তীতে পোস্টে কি লিখেছি সেটা অনুধাবন করার আমন্ত্রণ রইল।
@সাইফুল ইসলাম,
দুঃখিত হোরাস। আমি আসলে তারিক লিখে ফেলেছিলাম ভুল করে। ঐ খানে হবে, যে আসলে এডিট করে কুকর্মটি করেছে।
আমার পিসিটা নষ্ট তাই বন্ধুর বাসায় বসে এই পোষ্টে কমেন্টস করছি। না হলে অনিচ্ছাকৃত এইভুল সাথে সাথেই ঠিক করতে পারতাম।
যাই হোক এবার আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@হোরাস,
কথাটা বুঝতে আমার একটু অসুবিধা হচ্ছে। এই কথায় কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে ঐ সকল ধর্মযাজক খ্রীষ্টান হওয়ার কারনেই ঐ আবিষ্কারগুলো করতে পেরেছে?
মুসলমানদের পশ্চাদপদতার কারন কি তারা মুসলমান এই কারনে নাকি তারা ইসলাম ধর্ম পালন করে এই কারনে?
একজন মুসলমান কি জন্মগত কারনেই নিন্ম মন মানসিকতার নাকি সে ইসলামিক একটা পরিবেশে বেড়ে ওঠে সে জন্যে সে পশ্চাদপদ মানসিকতার?
যদি সে জন্মগত কারনেই নিন্ম মন মানসিকতার হয় তাহলে আমি অন্তত মুক্তমনার কথা বলতে পারি যেখানে অনেক জন্মগত মুসলমানই “নিন্ম মন মানসিকতার” না। আর যদি এটা পরিবেশগত কারনে মানে যদি তারা ধর্মগত কারনে বা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে “নিন্ম মন মানসিকতার”
হয় তাহলে আমাদের মনে হয় তাদেরকে দোষ না দিয়ে ঐ নষ্ট ভ্রষ্ট পরিবেশটাকেই দোষ দেয়া উচিত।
এটা অনেকটা একটা দরিদ্র ছেলেকে সে কেন দরিদ্র সেজন্য তাকে দোষারোপ করার মত নয় কি?
@সাইফুল ইসলাম,
কথাটা অবিশ্বাস্য ঠেকলেও পুরো ভুল নয় কিন্তু। জ্ঞান চর্চার একটা ধারা খ্রীস্টানদের মধ্যে, বিশেষত পাদ্রীদের মধ্যে টিম টিম করে হলেও অন্ধকার যুগেও ছিল। এর ঐতিহাসিক কারণ আছে। Enlightenment-এ জেসুইটদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অবদান বিরাট (এটি একটি উদাহরণ)।
@রৌরব,
একই যুক্তি কি আরব বিজ্ঞানীদের বেলায় খাটানো যায় না? তারা তো মুসলমান ছিলো। তারা কিভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারায় অবদান রেখেছিল?
@সাইফুল ইসলাম,
আমার বক্তব্য এই নয় যে ধর্মের ম্যাজিক গুণ তাদের সাহায্য করেছিল। কিন্তু ওই সময়ের প্রেক্ষিতে যে কারণেই হোক শিক্ষার ধারাটা খ্রীস্টান পাদ্রীদের কিছু গ্রুপের মধ্যে ছিল। ফলে বিশেষত ন্যাচারালিস্টদের মধ্যে পাদ্রীরা বিরাট ভূমিকা রেখেছে। “ঈশ্বরের পৃথিবীর সব সৃষ্টি ক্যাটাগোরাইজ করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব” এই টাইপের delusion এ আক্রান্ত হয়ে হলেও উদ্ভিদবিদ্যা ও জীববিদ্যায় তারা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এটা ঐতিহাসিক তথ্যের ব্যাপার, খ্রীস্ট ধর্মের প্রশংসা-নিন্দার ব্যাপার না। শুধু ন্যাচারালিস্ট নয়, অন্য অনেক ব্যাপারেও এটা দেখে গেছে। হিন্দু প্যাগানদের খ্রীস্ট ধর্মের আলোকে দীক্ষিত করার লক্ষ্য নিয়ে ভারতীয় ভাষা গুলোর ইতিহাস গবেষণা থেকে শুরু করে বৈয়াকরণিক ক্যাটাগোরাইজেশন, এসব বহু কিছু পাদ্রীরা করেছে। ইসলামী মোল্লারা হিন্দুদের ধর্মান্তকরণে সমান আগ্রহী ছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু তাদের পদ্ধতিটা বোধহয় উইলিয়াম কেরীর মত ছিল না। এই পার্থক্যটা অগুরুত্বপূর্ণ নয়।
ইসলামী স্বর্ণযুগের বিজ্ঞানীরা বেশির ভাগ স্রেফ ওই বিশেষ দেশে বা সময়ে জন্মেছিলেন বলে মুসলিম ছিলেন, নিউটন বা গ্যালিলিও যে অর্থে খ্রীস্টান ছিলেন। সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
১০০% সহমত।
ইসলামী মৌলবাদ প্রচার, জিহাদ রপ্তানী ও যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে আরবদের তুলনায় জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বহুগুনে শ্রেষ্ঠ জাতির প্রতি ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার ছাড়া আরবদের কোন ভূমিকা এখানে নাই। প্রায় সব ক্ষেত্রেই তাদের হাতে পরাজিত সেই জাতিগুষ্ঠির লোকেরাই (যারা আগে থেকেই জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নত – যেমন- ভারত, পারসীয়ান ইত্যাদি) সে যুগে অবদান রেখেছিলেন। They were Muslim by chance, native people by inheritance/attitude and knowledge. ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ইসলাম প্রচারক ও ইসলামী মৌলবাদীরা বিজ্ঞানের সে চর্চাকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
@সাইফুল ইসলাম,
আমি শুধু ফ্যাক্ট দিয়েছি আর তো কিছু বলিনি। আপনি নিম্ন মানসিকতা সহ আরও কি কি তত্ব নিয়ে আসলেন? কেন জানতে পারি। আমিও আপনার মত জানতে চাই এটা কেন? আপনিই বলেন না কেন এরকমটা? আমি আপাততঃ এইখানে কোন কারণ দেখাতে চাই না…. কারণ ট্যাগ বেশি হয়ে সেটা নিয়ে চলতে ফিরতে অসুবিধা হইতে পারে।
ফরিদ ভাইকে উপরে আমার অভিমত বলেছি …. তবে এখন আপনার এ ব্যাপারে মতটা কি সেটা জানতে চাই। আপনার মতে এর কারণ কি?
@হোরাস, মন্তব্যের জবাব দিন অপশন কাজ করছে না, তাই এখানে দিলাম।
হ্যা সেটা করুন। আমারও সেইরকমই মত। এরপর থেকে মুসলমানদের অপকর্ম নিয়ে লেখার সময় একটা তারকা চিন্হ দিয়ে নীচে নির্ঘন্ট দিবেন-
মুসলমান ছাড়াও আরও যেই সকল জাতি এইপ্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের তালিকা-
১. হিন্দু
২. খ্রীষ্টান
৩. ইহুদী
৪. ………
…………
১০০।
and so and so forth.
তখন এসে সাইফুল হয়তো বলবে- “জুলু জাতি যেখানে অন্যান্য আর সকল জাতির তুলনায় এই ধরণের কুকর্ম বেশি সম্পাদন করে থাকে সেখানে শুধু হিন্দু, খ্রীস্টান, ইহুদীদের কৃত কুকর্ম বর্ণন করে লেখা এই বিদ্বেসী পোস্টে আমার তীব্র আপত্তি জানালাম।” :lotpot:
আপনি আর কি করবেন, আপনি তখন হয়তো আপনার জাতি তালিকায় যোগ করবেন-
১০১. জুলু জাতি
আপনার তালিকা ১০১ ছাড়িয়ে গেলেও, বলাই বাহুল্য, সাইফুলের তালিকা এখনও শুরুই হয়নি। :lotpot:
মুখে কথা গুঁজে যাওয়া জনিত সমস্যার হাত থেকে খুব সহজে উপসম পাবার একটি উপায় আপনাকে বাতলে দিতে পারি কি? নিজের মুখটা বন্ধ রাখুন, রাইট? সিম্পল! মুখই যদি বন্ধ থাকে তখন তো কথা চাইলেও আর সেখানে গুঁজে যেতে পারবে না, নাকি? as an advice!
@ফরিদ আহমেদ,
সহমত। :yes:
@সৈকত চৌধুরী,
একমত। মার্কিন কলোনিয়ালিস্টদের পিকট গণহত্যার কথা আলাপ করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে “ভারসাম্য” রাখার জন্য তালিবান কর্তৃক হাজারাদের হত্যার কথা টানতে হবে, এমন কোন কথা নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
কেউ যদি না জেনে অস্বীকার করে তার অজ্ঞতাকে মেনে নেয়া যায়। তবে কেউ যদি জেনেশুনে তথ্য ম্যানিপুলেট করে তবে সেই জ্ঞানপাপীকে ছাড় দেয়ার প্রশ্ন আসে না। উইকিতে যে তারিকের ভাষণটা আপডেট করেছে সে প্রশ্নাতীত ভাবেই জ্ঞাপাপী। আর কথা হলো যে ফরাসী কিংবা রাশিয়ানদের কথা আপনি এখানে বলছেন তারা কেউ বই কিংবা আলোচ্য উইকিতে কিছু লুকাচ্ছে কিনা যা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ পড়ে বিভ্রান্ত হতে পারে। তারাও যদি জ্ঞানপাপী হয় তবে অবশ্যই তাদেরকেও ছাড় দেয়ার প্রশ্ন আসে না।
মনে হচ্ছে অভিজিতের সাম্প্রতিক পোস্টের উল্লেখিত মনোবিজ্ঞানী সাতোসি কানাজাওয়ার গবেষণার মত করে কারা বেশী ইতিহাস লুকাতে পছন্দ করে এরকম একটা গ্রাফ দেখাতে পারলে ব্যাপারটা সহজে মিটমাট করা যেত। তাছাড়া আপনার অভিযোগ খন্ডানোর আর কোন সহজ রাস্তা আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি আমার ব্যক্তিগত ধারণা কি সেটা বলেছি। আর আপনি যেহেতু দ্বিমত প্রকাশ করছেন তবে ধরে নিতে পারি আপনার ধারণা মুসলিমরা নয় অন্য ধর্মের লোকেরা ইতিহাস লুকাতে বেশী পছন্দ করে। কোন অসুবিধা নাই। বাকিটা আমি পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
আমি এ ধরনের দাবী কি কোথাও করেছি?
আমি তো তুলনামূলক ইতিহাস আলোচনা করছি না এখানে। তাই আমার ইতইহাস চাপাচাপির প্রশ্নই বা আসছে কেন? আমি আলোচনা করেছি ইতিহাস চেপে যাওয়া বা অস্বীকার করার মনোভাব কাদের মাঝে বেশী সেটা। সে ব্যাপারে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে যা উপরে আলোচনা করেছি। তবে আমাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার জন্য দুঃখ পাইলাম।
@হোরাস,
সম্পূর্ণ একমত।
আপনি খুব সম্ভবত ধরতে পারেন নি যে আমি কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছি। সে কারণেই এরকম অদ্ভুত লাইনগুলো লিখেছেন।
নাহ করেন নি। কিন্তু আপনার লেখার টোনটা যে কোনো পাঠককেই ধারণা দেবে যে তারিক বাহিনী গ্রীক রমণীদের ধর্ষণ করার প্রবল আগ্রহ নিয়েই যুদ্ধে গিয়েছিল।
আপনিতো মুসলমানদের পশ্চাদপদতার কারণ বিশ্লেষণ করেও এই আর্টিকেল লেখেন নি। লিখেছেন উইকিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ নিয়ে। অথচ তার মধ্যে কত সুন্দর করে পুরো মুসলমান জাতির দুর্গতির কারণকেও বিশ্লেষণ করে ফেলেছেন। ইতিহাস নিয়ে চাপাচাপি এসেছে আপনারই কারণে। আপনি একজন ব্লগার বা কিছু সংখ্যক ব্লগারের ইতিহাস অস্বীকার করার নির্লজ্জ প্রয়াসকে সাধারণীকরণ করেছেন। সে কারণেই এই চাপাচাপি করা হয়েছে শুধু এটুকু জানার জন্যে বা জানানোর জন্যে যে অন্যেরাও একই কাজ করে কি না?
আমার কারণে দুঃখ পেয়েছেন শুনে আমিও দুঃখ পেলাম। আপনাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করি নি আমি। আপনার যুক্তিটাকেই শুধু আপনার দিকে ঠেলে দিয়েছিলাম মাত্র।
@ফরিদ আহমেদ,
এটা একটা মোটিভ তো অবশ্যই ছিল না হলে তারিক তার ঐটুকু ভাষনে গ্রীক রমণীদের কথা আনবেনই বা কেন? তখনকার দিনের যেকোন যুদ্ধের একটাবড় আকর্ষনই ছিলো লুটপাট করা আর ধর্ষন করা। মুসলিমরাও তার থেকে কোন ব্যতিক্রম ছিলো না।
তবে আপনি বলেছিলেন
আমার লেখার টোনে এটা কিভাবে বোঝা যায় সেটা এখনও আমি বুঝতে পারেলাম না।
হ্যা আপনি বলতে পারেন আমার কারণ বিশ্লেষন ভুল। সেটা বললেও আমি মেনে নেব। কিন্তু আপনি আমাকে ইতিহাস চেপে যাওয়ার কথা বলে হীণমন্যতা করেছি বললেন, সেটা কিভাবে?
মুসলমানদের পশ্চাদপদতার কারণ বিশ্লেষন করতে হলে কি আমাকে অন্যদের ইতিহাস বলতে হবে? তা নাহলে যে অভিযোগ করেছেন সেটা ঠিক হয় কিভাবে?
এর সাথে আরেকটু যোগ করি। আর আমি তো পোস্টে বলেই দিয়েছি সে সময় ইউরোপীয়ানদের অবস্হা মুসলিমদের চেয়েও খারাপ ছিলো। বলিনি?
@ অভিজিৎ, স্বাধীন, এবং সংশপ্তকঃ “মন্তব্যের জবাব দিন” কাজ করছে না কেন বুঝতে পারছি না। তাই একসাথে সবাইকে এই কমেন্টে উত্তর দিলাম।
উইকিতে আমি কন্ট্রিবিউট করতে পারি বা কমপ্লেইন করতে পারি, সেটা ঠিক আছে। এটা আমি জানি বলে হয়ত করব। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই জানে না আর সেখানেই হচ্ছে আসল সমস্যাটা। যারা জানে না তারা উইকির বিকৃত তথ্যকেই সত্য বলে ধরে নেবে এবং ভুল জিনিষটা নিজে জানবে এবং প্রয়োজনে অন্যদের জানাবে।
উইকি’র থেকেও বড় সমস্যা হচ্ছে মুসলিমদের অতীত ইতিহাস বা যেকোন ঘটনাকে নিজেদের মত করে সাজিয়ে নেয়া। মানসিকতাটাই এখানে আসল সমস্যা।
@হোরাস,
ইতিহাস , ধর্ম, ভাববাদ, অধিবিদ্যা ইত্যাদির মত অবৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে কোন ফলপ্রসু আলোচনা আদৌ সম্ভব নয়। ইতিহাসের ( যেমন, ১১শ শতকের) কোন জিনিষটা ভূল আর কোন জিনিষটা সঠিক তা বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে সঠিকভাবে বিচার করতে হলে ঐ ১১শ শতকে ফিরে গিয়ে কম পক্ষে দুই রকমের মডেল তৈরী করে তা ইমপিরিকালি পরীক্ষা করতে হবে যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
আসল সমস্যা হলো একজন মানুষ কতটুকু পর্যবেক্ষন নির্ভর বৈজ্ঞানিক নীতিমালা মেনে চলছে। একটা ওয়েবসাইটের ‘বিকৃত’ তথ্যকেই সত্য বলে ধরে না আর ঘরে বসে বাবা , মা , নানী-দাদীদের বলা আষাঢ়ে গল্প বিশ্বাস করা একই জিনিষ। বৈজ্ঞানিক নীতিমালা মেনে চললে ইতিহাস , ধর্ম, ভাববাদ, অধিবিদ্যা ইত্যাদির মত অবৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে মানুষের সময়ক্ষেপণ করার কথা নয়। কোন কিছুর পর্যবেক্ষণগত গুনা গুন না থাকলে তা আমি বিজ্ঞান মহলে আলোচনার উপযুক্ত মনে করি না।
আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের জাভা স্ক্রীপ্ট কোন কারনে কাজ করছে না। enable না থাকলে enable করে নিতে হবে। প্রক্সি ব্রাউজার ব্যবহার করলে , সেখানেও জাভা স্ক্রীপ্ট enable করতে হবে।
@সংশপ্তক,
সমস্যাতো এখানেই। ফারুক ভাইকে দেখেছি উইকি থেকে বিগ ব্যাং, বিগ ক্রাঞ্চ তত্ব নিয়ে কোরানের সত্যতা প্রমান করার চেস্টা করতে। আমি বলছি না যে উইকিতে যা থাকে তার সব ভুল বা উল্লেখিত বিগ ব্যাং বা বিগ ক্রাঞ্চ তত্বও উইকিতে ভুল দেয়া আছে। আমি শুধু ব্যাপারটা উল্লেখ করলাম ইদানীং উইকি কি পরিমান নির্ভরতার যায়গা হয়ে উঠছে সেটা বোঝানোর জন্য।
নিচের কথাটা পড়লেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। এটা একটা উডাহরণ। সবাই এটাকে একই দৃষ্টিতে দেখবে এমন কোন কথাও নেই। তবে একটা আইডিয়াতো পাওয়া যায়।
Top Ten Most Useful Websites of This Decade
No. 2 How many of us now look up information on Wikipedia? (Okay I can hear a collective cringe by some, but it is a good place to start for the basics.) I just can’t image life without it. According to it’s founder, Jimmy Wales, more than 340 million people use Wikipedia every month. Wales started Wikipedia in 2001 growing it into a non-profit in 2003. Wikipedia now contains more than 13 million articles in 271 different languages, according to a Time.com article that was published in August 2009.
@হোরাস,
কিভাবে এই সমস্যা দূরিকরন সম্ভব বলে মনে করেন?
@ফারুক, মনে করেন যে লোকটি উইকিতে তারিকের ভাষণটা দিয়েছেন তিনি কোনকিছু না লুকিয়ে পুরোটা দিলেই হত। সবাই যদি অন্ততঃ নিজের কাছে সৎ থাকি তাহলেই সমস্যা হওয়ার কথা না।
@হোরাস, আসলে উইকিতে যে কেউ কন্ট্রিবিউট করতে পারে। এট যেমন উইকির সফল হওয়ার প্রধান দিক, তেমনি তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার ক্ষেত্রে সব থেকে দুর্বলতম দিক। কয়েকদিন আগে আমি বাংলা উইকিতে গিয়ে বেশকিছু ভুল দেখতে পাই। আমি ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে জানতাম বলে ভুল গুলো বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু যারা আগে থেকে এসব বিষয় জানে না তাদের কি হবে? আমার মনে হয় উইকির উপর যত কম নির্ভর করা যায় ততই ভাল।
@ সংশপ্তক এবং অভিজিৎ,
আমার লেখার মূল বিষয়বস্তু কিন্তু উইকিপিডিয়ার মত একটি সাইটের বিরুদ্ধে। লেখায় অন্য ব্লগের যে প্রসংগে এসেছে সেটি শুধু মুসলিমদের সামগ্রিক মনোভাবের একটি চিত্র তুলে ধরতেই ব্যবহার করেছি। আমি কিন্তু সেই লেখাগুলোকে রিফিউট করিনি।
তবুও আপনাদের আপত্তি থাকলে আমি অবশ্যই লেখাটা মুছে দেব।
@হোরাস,
না, মুছে ফেলার মতো আপত্তিজনক কিছু ঘটে নি। তবে প্রত্যেক সাইটের মত আমরাও একটু স্বকীয়তা, মৌলিকত্ব প্রভৃতি আশা করি লেখকদের কাছ থেকে। আশা করি ভবিষ্যতে সহযোগিতা পাব।
এবার লেখা প্রসঙ্গে বলি। আমি তো যতদূর জানি উইকি ওপেন সোর্সে নিয়ন্ত্রিত হয়, কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছায় অনিচ্ছায় নয়। আপনি যদি মনে করেন ভাষণের কোন লাইন উল্লেখ করা হয়নি, তাহলে আপনিও তা যুক্ত করতে পারেন। প্রোপার রেফারেন্স দিয়ে যোগ করলে তা মুছে ফেলার তো কোন কারণ নেই। রাগিব সাহেব ভাল বলতে পারবেন অবশ্য।
@অভিজিৎ,
সহমত।
@হোরাস,
উইকিপিডিয়া যে কেউ সম্পাদনা করতে পারেন এবং তা অন্যদের দ্বারা ভেরিফাই করা হয়। আমি নিজেই উইকির জার্মান এবং ইংলিশ ভার্সনের একজন নিয়মিত কন্ট্রিবিউটর। কোন লেখা নিয়ে আপত্তি থাকলে বা চ্যালেন্জ করতে হলে তার জন্য উইকির এই টেমপ্লেইট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও উইকির ফোরামে আপনার মতামত তুলে ধরতে পারেন।
অন্য একটা ব্লগে প্রকাশিত লেখার ওপর আলোচনা মুক্তমনায় না করে সংশ্লিষ্ট ব্লগে করাটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। মুক্তমনায় চমৎকার সব লেখা রয়েছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যায় কিংবা নতুন কোন মৌলিক লেখা দেয়া যায়। এভাবে রিসাইক্লিং চলতে থাকলে , মুক্তমনা অন্য ব্লগের স্ক্রীন শট দেয়া একটা ঠুনকো সাইটে পরিনত হবে। বিষয়টা ভেবে দেখার জন্য মুক্তমনা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সংশপ্তক ঠিকই বলেছেন। এভাবে অন্য ব্লগের লেখার লিঙ্ক দিয়ে এখানে আলোচনা করাটা সমিচীন নয়, বস্তুত যার লেখার সমালোচনা করা হচ্ছে তিনি যখন এখানে লিখছেন না।
হোরাস পাঠকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের জন্য মৌলিক লেখা লিখুন না। সেটাই ভাল হবে।