বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরপরই অসংখ্যবার ‘কোন সাবজেক্টে ভর্তি হলাম এবং কেন ভর্তি হলাম’ জাতীয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাবজেক্টের নাম ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান’ শুনেই সাধারণ মানুষজন বেজায় নাখোশ হয়ে যাচ্ছে। তাদের নাখোশ হবার কারণটাও সহজেই অনুমেয়। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে-কোনো সাবজেক্টের নাম শুনেই তারা তৃপ্তিময় দয়ার হাসি হাসতে থাকেন, তাদের দয়ার শরীর থেকে দয়া তখন গ’লে গ’লে পড়ে। সেই সাবজেক্টে দেশে কোনো চাকুরী না থাকায়, পাশ করবার পরপরই যে পরিমাণ দুর্দশার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, সেটা ভেবে দুশ্চিন্তার তাদের অন্ত থাকে না। কিন্তু এই ১৯৯৯ সালেও বাংলাদেশে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান’ তুলনামূলকভাবে নতুন সাবজেক্ট হবার কারণে তারা কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না, এটা আসলে কি জিনিস, কি হবে এটা দিয়ে। কিন্তু তাই বলে থেমে যাবার পাত্রও তারা নন। অহরহ অনুরোধ নিয়ে আসছেন, প্রিন্টার নষ্ট হয়ে গেছে, সেটা একটু ঠিক করে দিতে হবে। আমি প্রিন্টার ঠিক করতে পারি না শুনেই আকাশ থেকে প’ড়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি না কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়।’ তবে যেটা বুঝাতে গিয়ে রীতিমত আমার কান্না পেতে লাগল, সেটা হচ্ছে- ফকিরাপুল এলাকায় মাত্র এক হাজার টাকায় যে কম্পিউটার শেখানো হয়, তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার শেখার পার্থক্য কি? কেউ কেউ আবার সরস মন্তব্য করলো, ‘আরে, একটাতে আট মাস লাগে, আরেকটাতে আট বছর লাগে, আর কোনো পার্থক্য নেই।’
এর মাঝখানে ব্যতিক্রম হয়ে ধরা দিলেন পূর্বপরিচিত এক উচ্চশিক্ষিত ভদ্রলোক। এই লোকটি আমাকে ব্যাপক পরিমাণ উৎসাহ দিয়ে বলে যেতে লাগলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই না আমি নিয়েছি। উল্লেক্ষ্য, কম্পিউটার বিজ্ঞানে ভর্তি হবার জন্য মেডিকেল ভর্তি বাতিল করবার কারণে কাছের মানুষজনের কাছ থেকে আমাকে যারপরনাই কটু কথা শুনতে হচ্ছে। এর মাঝে এই ভদ্রলোক যেন আশীর্বাদ হয়ে নাজিল হলেন। কিন্তু তাতে কি, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়। শেষের দিকে এসে তিনি এমন একটা কথা বললেন, তাতে আমার আশ্রয় পাবার সর্বশেষ স্থানটুকুও কলঙ্কিত হয়ে গেলো। তিনি অত্যন্ত আস্থার সাথে আমাকে বললেন, ‘তোমরা কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়লেই সমাজের এই দুষ্টুলোকগুলোকে সামলানো যাবে।’ কোন দুষ্টুলোকের কথা বলছেন সেটা বুঝতে পারলাম একটু পরে। চরম নাটকীয় ভঙ্গিতে তিনি বলে যেতে লাগলেন, ‘মতিঝিল এলাকায় সেদিন দেখলাম, কম্পিউটারের দোকান থেকে মালিক বাইরে যাবার সাথে সাথে কর্মচারীটা কী-বোর্ডের মধ্যে ইঞ্জেকশান দিয়ে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তোমরাই এগুলো ঠেকাতে পারবে।’ আমি কিছুক্ষণ তাজ্জব হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম, তারপর বললাম, ‘কী-বোর্ডে ইঞ্জেকশান ঠেকানোর জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানী হতে হবে কেন, লম্বা চওড়া দেখে একটা পাহারাদার বসিয়ে রাখলেইতো হয়? ’
সে যাই হোক। ভর্তি যখন হয়েই পড়েছি জগতের নির্মম নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষাতো দিতেই হবে। জীবনে বসন্তও আসে, আবার পরীক্ষাও আসে। কিন্তু তাই বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে-তারিখ দিয়েছে, সে-তারিখে পরীক্ষা দিলেতো সমাজে আর মুখ দেখানোর উপায় থাকবে না। একটা স্ট্যাটাস আছে না! অতএব, আন্দোলন। মানি না, মানবো না। অমুক তারিখ পরীক্ষা হ’লে, জ্বলবে আগুন কার্জন হলে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে চোরের উপর বাটপারি বলেও একটা কথা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও যে-দিন থেকে পরীক্ষার তারিখ দেবার সিদ্ধান্ত নেন, সেটা না ব’লে দু’সপ্তাহ আগের একটা তারিখ ঘোষণা করেন; যাতে করে ছাত্ররা পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন করলে পরীক্ষার তারিখ দু’সপ্তাহ অনায়াসে পিছিয়ে দিতে পারেন। সাপও মরলো লাঠিও ভাঙ্গলো না। সে-যাই হোক, অন্য সব ডিপার্টমেন্টের সবার সাথে সাথে আমি আর আমার রুমমেট গেলাম আন্দোলনে। বিজ্ঞান অনুষদের ডীন বললেন, ‘সব ডিপার্টমেন্ট থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি আসো।’ তিনি তাদের নাম আর রোল নম্বর কাগজে লিখছেন। আমাদের বুঝতে বাকী থাকলো না, আগামীকালই ডিপার্টমেন্টে নামগুলো পাঠিয়ে দেবেন, তারপর বুঝতে হবে কত ধানে কত চাল। আমরা দুজন গিয়ে সুন্দর করে আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে বিরক্তিকর দু’জন, যাদের কর্মকান্ডে সমস্ত ক্লাস অতিষ্ঠ, তাদের নাম আর রোল নম্বর নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়ে চলে আসলাম। পরবর্তী দিন ও-’দুজনকে চেয়ারম্যান স্যার ডেকে নিয়ে কি করেছিলো সেটা বলে আর পাপের পরিমাণ বাড়াতে চাই না। অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হলে বলতে পারি, দুজনের বারোটা বাজিয়ে, ক্লাসের অন্য আর সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
লিখিত পরীক্ষার পর বাকী আর পাঁচ-সাতটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা দিন আসে। কোন এক অজানা কারণে যে-দিন শিক্ষকেরা অতিরিক্ত রকমের মুখ টান টান করে রাখেন। যেন এই খানিকক্ষণ আগে তাদেরকে জানানো হয়েছে যে, আগামীকালের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। সে-দিন তারা সবাই যেন বাংলা সিনেমার ‘চৌধুরী সাহেব’। দেখে মনে হয়, সমস্ত ‘গরীব কিন্তু ছোটলোক নয়’ স্টুডেন্টদের সাথে কয়েকপুরুষ ধরে চলে আসছে তাদের পারিবারিক বিদ্বেষ। সেই রাগে শুধু আজকের দিনটাতেই যেন শিক্ষকদের পায়ের তালু থেকে মাথার চুল পর্যন্ত কাঁপছে। বাংলাদেশের বিখ্যাত ‘ভাইভা’ পরীক্ষার কথা বলছি। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিনশত চৌষট্টি দিন ধরে এই একটা দিনের হুমকিই দিয়ে যায়, ‘ভাইভাতে দেখে নেয়া হবে। দেখে নেবার জন্য আর কোন অস্ত্র সমাজ তাদেরকে দেয়নি।’ কিন্তু তাতে কি! অপব্যবহারের জন্য অস্ত্র একটা হলেই যথেষ্ট। পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যারা বিনয়ের সাথে ক্ষমতার ব্যবহার করেন। শিক্ষকেরাও মানুষ। ঠিক এখানটাতে আমি বিস্তারিত না বলে রেখে দিলাম। কারণ, এমন শিক্ষকও আছেন, যাদের দেখলে শত শত স্টুডেন্ট শ্রদ্ধায় মাথা নত করে ফেলে, যাঁদের বিনয়ী ও সত্যিকারের অভিভাবকসুলভ আচরণের কারণে শিক্ষক সমাজ এখনো শিক্ষক সমাজ। কত ছাত্র-ছাত্রীর জীবন নির্মিত হয়েছে তাঁদের দিক-নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে। তাঁদের সন্মানার্থে এই বিষয়টি আর না বাড়িয়ে এখানেই শেষ করলাম।
হঠাৎ একদিন। সত্যি বলতে গেলে, একদমই হঠাৎ একদিন দেখি, তুই তুই করে আন্তরিকতার সহিত নাম ধরে ডাকা আমার বন্ধুটি তুমিতে চলে গেলো, তুমি তুমি করে রাশভারী কণ্ঠে ডাকতে শুরু করলো। কিছুই বুঝতে পারছি না। নীলক্ষেতের মোড় থেকে রিক্সা ভাড়া করে সাথে উঠতে বললো। রিক্সাওয়ালার সাথে দামাদামী করলো। রিক্সাওয়ালা দশ টাকার কমে যাবে না। সে আরো এককাঠি সরস হয়ে বললো, বিশ টাকা দেবে। হল গেটে আসার সাথে সাথে রিক্সাওয়ালাকে মাত্র দুইটা টাকা আর সাথে লেখার অযোগ্য এমন কিছু বাক্য শুনিয়ে দিল, রিক্সাওয়ালা কাঁপতে কাঁপতে চলে গেলো। আমি বুঝে উঠতে পারলাম না, এই পরশু দিনও ঠিক মত নিজের শার্টটা পরতে না-পারা আমার বন্ধুটার হলোটা কি? হল গেইট দিয়ে ঢোকার সাথে সাথে দেখি, জুনিয়ররা মায়া মাখানো ভঙ্গিতে জড়সড় হয়ে কাচুমাচু করে তাকে সালাম দিচ্ছে। আমার আর বুঝতে বাকী থাকলো না, আমার বন্ধুকে এখন আর কেন্টিনে খেয়ে টাকা দিতে হবে না; চায়ের দোকানে দোকানদার তাকে চা দেবে, সাথে সালামও দেবে, কিন্তু ভুলেও টাকা নেবে না। অথচ আমি চা চাইলে বলবে, একটু পরে আসেন। আমার বন্ধু এখন মহামান্য নেতা, লিডার। সে এখন অসাধারণ ছাত্র, আর আমি সাধারণ ছাত্র।
ভারাক্রান্ত আর অনিশ্চিত মন নিয়ে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে চলি। মন, বিচিত্র সে-জিনিস কখন যে ভালো হবে আর কখন যে খারাপ হবে সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারবে না। মিনিটের মধ্যেই বিচিত্র এই মন অসম্ভব রকমের ভালো হয়ে গেলো। আমারই আরেক বন্ধু, হসপিটালে যাচ্ছে। অসহায় কোন মহিলা, ঢাকা শহরে যার হয়তো পরিচিত একটা লোকও নেই, কেউ হয়তো তাকে বলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে গিয়ে খোঁজ করে দেখতে পারে। তার ছোট্ট মেয়েটা হসপিটালের ফ্লোরে শুয়ে আছে। রক্ত দরকার। আমি দেখেছি আমার বন্ধু নিজের পকেটের টাকা খরচ করে চলে যাচ্ছে হসপিটালে রক্ত দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়, এ-এক অদ্ভুত জগৎ, আজব জায়গা, সত্যিকারের ফ্যান্টাসী কিংডম। একই দিনে এক বন্ধুকে দেখেছি, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টেনে নিয়ে আসা রিক্সাওয়ালার রক্ত চুষে খেতে; ঠিক অন্য বন্ধুকে আবার দেখেছি, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টিউশনি করে আনা টাকায় নিজে রিক্সা ভাড়া দিয়ে, অসহায় কারো জন্য নিজের শরীরের রক্ত দিতে হসপিটালে যেতে। দুঃখ পাওয়ার মত কারণ এখানে যেমন আছে, সুখি হওয়ার মত কারণও কম নেই। জীবনে নিম্ন রুচিবোধসম্পন্ন মানুষের আচরণে যেমনটা ছোট হয়ে গেছি, বিবেকবান মানুষের মহানুভবতায় আবার প্রাণবন্তও হয়ে গেছি। কখনো রোদ, কখনো মেঘ, কখনো-বা বৃষ্টি; এর নামই বুঝি জীবন!
পরবর্তী পর্ব (পর্ব ৩)
(চলবে…)
[email protected]
Nov 19, 2010
নিদারুনস্।
খুব ভাল লাগলো। :yes: :yes: :yes:
@শুভজিৎ ভৌমিক,
অনেক ধন্যবাদ। 🙂
:yes:
@ক্রান্তিলগ্ন,
ধন্যবাদ। 🙂
ভাইয়া একটা পারসোনাল প্রশ্ন করি,
আপনি কোন ব্যাচের ?
আর আপনার লেখা অদ্ভুত ভালো লেগেছে।
@Turzo,
আমি CSEDU 5th ব্যাচ এর স্টুডেন্ট ছিলাম (HSC-1998)।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
১৯৯৯ সালের দিকে কি হয়েছিল বলতে পারিনা তবে ৯০ দশকের শুরুতে computer science খুব ই সম্মানের subject ছিল। সেরা ছাত্র্র রা computer science পরার আগ্রহ দেখাত।computer science এর ছাত্রদের সবাই admire করত।৯০ দশকের IT revolution এর পরে এ অবস্থা কেমন করে হল?
@Shafiq,
১৯৯৯ সালে অর্থাৎ যখনকার কথা আমি বলছি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টপ র্যাংকড্ সাবজেক্ট কম্পিউটার বিজ্ঞান-ই ছিল। এবং আপনার কথা মতই, computer science এর ছাত্রদের সবাই admire করত। আসলে এখনো কম করে না এবং বাংলাদেশে এখন বেশ কিছু বিশ্বমানের সফট্ওয়্যার ফার্ম আছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি আমার অন্য একটা লেখায় লিখেছিও।
কিন্তু আমি বলতে চেয়েছিলাম, সাধারণ মানুষ এর সাথে একদমই পরিচিত ছিলো না, তুলনামূলকভাবে যতটা তারা পরিচিত মেডিক্যাল সায়েন্স বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে। যদিও এখন সাধারণ মানুষ এর সাথে অনেক বেশি পরিচিত।
ভালো থাকবেন। 🙂
আপনার লেখার ভঙ্গীটা সত্যিই অসাধারণ। রীতিমত অদ্ভুত। পড়ার সময় মনে হয় বাস্তবে পাশে বসে কোনো বন্ধু তার নিজের জীবনের গল্প শোনাচ্ছে।
@নিঃসঙ্গ বায়স,
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। 🙂
সুন্দর লেখা… চালিয়ে যান… এই পৃথিবীর সব কিছুই এরকম ফ্যান্টাসি..
@akashnill,
ঠিকই বলেছেন, গোটা পৃথিবীটাই ফ্যান্টাসি…
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
আমার হার্ডওয়ার আর ট্রাবলসুটিং কোর্স আগেই করা ছিলো। তাই প্রতিবেশি ডেকে নিয়ে কম্পিউটার নস্ট হয়ে গেছে বল্লেও প্রবলেম হয়না 😀
@রিদোয়ান,
এরকম জানলে আগে থেকে ও-দু’টো কোর্স করে রাখতাম।
তাহলে প্রতিবেশিদের কাছে এত নাজেহাল হতে হতো না। 😀
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। এবং পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
@মোজাফফর হোসেন,
ধন্যবাদ।
আরো আটটি পর্ব পাবেন। 🙂
ভালো থাকুন।
প্রিন্টার নষ্ট হয়ে গেলে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রকে ডেকে আনা প্রসঙ্গে মনে পড়লো একটি ফৌজি কৌতুক।
এক অফিসার, ধরা যাক মেজর, সৈনিকদের ডেকে বললেন:
– তোমাদের মধ্যে যারা বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে, তারা দুই কদম সামনে এসে দাঁড়াও।
এগিয়ে এলো দাঁড়ালো ৪-৫ জন। মেজর তাদেরকে বললেন:
– তোমরা চলো আমার সঙ্গে। একতলা থেকে দোতলায় একটা পিয়ানো টেনে তুলতে হবে।
লেখা ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শেষ অংশটি।
@নির্ধর্মী,
😀 😀
খুবই প্রাসঙ্গিক এবং মজার কৌতুক।
আবারো একটি অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট দিতে হচ্ছে।
পাঠকদের অনুরোধে পরীক্ষামূলকভাবে পোস্ট প্রিয়তে নেবার একটি ফিচার যোগ করা হয়েছে। লগইনকৃত সদস্যরা পোস্টের নিচে “”প্রিয় পোস্টের তালিকায় যোগ করুন”” লেখাটি দেখতে পাবেন। প্রিয়তে নেয়া পোস্টের তালিকা বাম সাইডবারে নিচে দেখাবে। চাইলে তালিকা থেকে পোস্ট মুছতেও পারবেন। ডান সাইডবারে “পাঠক প্রিয় পোস্ট” এর নিচে যেসব পোস্ট সব থেকে বেশি পাঠক প্রিয়তে নিয়েছেন তার তালিকা দেখানো হবে।
ফিচারটি এখনও পরীক্ষাধীণ,তাই আমি পাঠকদের অনুরোধ করছি পছন্দের দু-একটি পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে সবকিছু ঠিকমত কাজ করছে নাকি জানাতে।
@রামগড়ুড়ের ছানা, ধন্যবাদ ভাইজান। অনেকদিন অপেক্ষা করাইছ। আন্দোলনে নামার আগেই ভালয় ভালয় অপশনটা দিয়া ভাল করছ, নাইলে খবর ছিল :rotfl:
বেশ লাগছে লিখে যান।
@আফরোজা আলম,
বরাবরের মতই, দশটা পর্ব লিখবো।
ভালো থাকুন। 🙂
ভাই সাহিত্যে পড়েও একই ধরণের কথা শুনতে হয়।অনেকে ইংরেজী সাহিত্যকে মনে করে ওটাতে শুধু গ্রামার পড়ানো হয়!!!!!!!!!আমি তো শুনে তাজ্জব।
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
সব জায়গাতেই মনে হয় একই অবস্থা। 😀
সুন্দর হয়েছে লেখাটা।
@তমসো দীপ,
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। 🙂
@মইনুল রাজু, আপনিও ভালো থাকুন, আরও সুন্দর সুন্দর লেখা লিখুন। শুভকামনা রইল। 🙂
আসলেই তা-ই :yes:
এক অদ্ভুত বিচিত্র মন -মানসিকতা সম্পন্ন আমাদের এই জীবন। :-/
রক্ত চোষাকারী আর চোষিত ঘরে-বাইরে,গ্রামে-গঞ্জে, শহরে- বন্দরে সর্বোপরি রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের মধ্যে আছে বলে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ও এর বাইরে নয়।তবে আমাদেরগুলোর অধোপতন একেবারে শেষ নিন্মস্তরে অধোপতিত।যাকে এখন বলা হয় ” সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ”।
যথারীতি লেখা প্রানময় , চলতে থাকুক——————– :rose:
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
যথারীতি মামুন ভাইয়ের উৎসাহ প্রদানকারী মন্তুব্য।
মেসেজ পেয়েছিলাম। ঈদের সময় বেশ কয়েকটা পরীক্ষা ছিল, একটা কম্পিটিশান ছিল।
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। 🙂
খুবই সুন্দর লেখা। রামগড়ুড়ের ছানা ভায়ের সাথে একমত। কম্পিউটার সায়েন্সে আমাদের কি পড়ায় আসলেই আমরা কাউকে বোঝাতে পারি না। প্রতিবেশী অনেকে এখনো XP সেটআপ দেবার জন্য এই আমাকেই ডাকে। তাদের ধারণা কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ি বলে আমি এইটা ভালো পারি!!! 🙁 🙁 🙁
@আক্তার হোসেন,
কিন্তু এর মাধ্যমে ছোট্ট করে হলেও সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতিবেশিদের সাথে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারেন।
কি পড়ি সেটা বুঝে ফেললে হয়তো কোন কিছুর টাইম কমপ্লেক্সিটি বের করে দিতে বলবে। সেটাতো আরো বিপদের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। 😀
ভালো থাকবেন।
সকালে(মানে ১২টায় আরকি) উঠেই এমন একটি লেখা পড়ে মনটাই ভালো হয়ে গেল। বিশেষ করে শেষ প্যারাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
কম্পিউটার সায়েন্স চয়েজ করার পর অনেকেরই এরকম অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। অনেকেই বুঝতে পারেনা কম্পউটার সায়েন্সে আসলে পড়ায়টা কি। ওয়ার্ড,এক্সেলতো এখন বাড়ির পিচ্চিটাও পারে,কম্পিউটার চালানো(!)তো খুব সোজা একটা কাজ,এটা আবার ভার্সিটিতে গিয়ে শেখার কি আছে? আমি কাওকে ঠিকমত বুঝাতে পারিনি আমি আসলে কি শিখছি।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
রামগড়ুড়ের ছানা, এখনতো তাও মানুষ কিছুটা হলেও বুঝে, দৈনন্দিন অনেক কিছুতে আইটি’র ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের সময়, ১৯৯৯ সালে কি অবস্থা ছিলো বুঝতে পারছেন?
@মইনুল রাজু,
আপনার এই লেখাটি cse-du’র অনেকেই বেশ পছন্দ করেছে। অনেককেই পড়তে দিলাম,সবাই প্রশংসা করেছে খুব।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
অনেক ধন্যবাদ রামগড়ুড়ের ছানা।
আসলে ‘সিএসইডিইউ’ এর অনেক কাহিনী সিরিজটাতে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেক স্মৃতিই এই ‘সিএসইডিইউ’-কে ঘিরেই।
আবারো ধন্যবাদ। 🙂
:guru: :guru: অন্নেক অন্নেক ভাল লাগল
:hahahee: :hahahee:
:hahahee: :hahahee:
আমাদেরকে বি ডি আর বিদ্রোহের পরদিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, শুধু ফিন্যান্সের ছাত্র ছাত্রীদেরই পরীক্ষা হয়েছিল সেদিন 😥
:yes: :yes:
:-Y
:yes:
@লীনা রহমান,
অন্নেক অন্নেক ধন্যবাদ। 😀
দেখি আপনাদের হলগুলো নিয়েও লিখতে হবে।
ভালো থাকুন।
@মইনুল রাজু,
:deadrose:
দ্বিতীয় পর্ব থেকেই শুরু করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ-দুঃখ খুব সুন্দর করে লিখেছেন। শাব্বাশ! :rose:
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। 🙂
@মইনুল রাজু,
প্রথম পাতায় বেশ কয়েকটা জ্ঞাণীদের জন্যে জ্ঞানভরা লেখার মাঝে সাধারণ মানুষদের জন্যে সহজ বোধগম্য ভাষায় লেখাটি পেয়ে যারপর নাই খুশী হয়ে একটু জৌক করার ইচ্ছে জেগেছিল। শেষ প্যারাটা পড়ে মনটা ভারী হয়ে গেল।
কথাগুলো যেন মস্তিষ্কের হার্ডডিস্কে জীবন নামক ফোল্ডারে সেইভ করা অনেকগুলো ফাইল একসাথে চোখের সামনে খোলে দিল।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। :yes:
@আকাশ মালিক,
হার্ডডিস্ক ফোল্ডার ফাইল সব এক বাক্যে নিয়ে আসলেন। শুনতে ভালোই লাগলো। 🙂
ভালো থাকবেন।
রাজু,
লেখাটি যথারীতি ভাল লেগেছে।
@গীতা দাস,
অনেক ধন্যবাদ গীতা’দি। 🙂