মুক্ত-মনায় কিছু দিন যাবত বেশ ঝড় বাদল চলছে। আসেন ভাইয়েরা মাথা ঠান্ডা করি। কবিতা পড়ি। 😀
তুমি এসে দাঁড়াতেই
আকাশে সাতটি রংধনু পর পর
উঠে দাঁড়াল এটেনশন হয়ে,
অথচ কয়েকদিন ধরে কোন বৃষ্টি ছিল না।
তুমি একটু হাসতেই
চন্দ্রদেবী নিজেকে বাহুল্য মনে করে
সঙ্গে সঙ্গে তার চাকুরিতে ইস্তফা দিল
অথচ সেদিন প্রচন্ড পূর্ণিমা হবার কথা ছিল।
তুমি একটু কথা বলতেই
সমস্ত পাখিরা চুপটি মেরে গেল
হতভম্ব একশটি কোকিল নির্দ্বিধায় করল আত্নহত্যা
অথচ সেদিন তাদের বাৎসরিক গানের উৎসব ছিল।
তোমার নগ্ন হাতে একটু ছোঁয়া মাত্রই
আজন্ম অন্ধ ছেলেটা মূহুর্তেই
ফিরে পেল পৃথিবী দেখার শক্তি
অথচ তার দৃষ্টি ফিরে পাবার কথা ছিল না।
ফুলের বনে তোমার প্রবেশ মাত্রই
তোমার পদস্পর্শে ধন্য হবার জন্য
মাটিতে গড়াগড়ি দিল অন্তত চারশ প্রজাতির ফুল
অহংকারি সাদা গোলাপেরা মূহুর্তেই
আতঙ্কিত হয়ে ফ্যাকাশে খয়েরী হয়ে গেল
অথচ সেদিন ছিল বসন্তের প্রথমা।
তুমি হাটছিলে
রাস্তার দুপাশের সমস্ত বৃক্ষেরা
মাথা নুইয়ে তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছিল
সমস্ত কিছুই হয়ে যাচ্ছিল চিরসবুজ
তোমার শৈল্পিক পায়ের অনন্য স্পর্শে
অথচ জায়গাটি ছিল অনুর্বর মরুভুমি।।
মুক্তমনায় আসলাম অনেকদিন পর।এসেই আপনার কবিতা দেখলাম।আমি কি না পড়ে পারি।তবে জানিনা কবিতাটি প্রকাশের এতদিন পরে করা মন্তব্য কর্তৃপক্ষ আদৌ প্রকাশ করবে কি না।
আফরোজা আলম ঠিকই বলেছেন, শুধু কবিতা না যেন এক শান্তির পরশ।
ভালো লেগেছে।
আর আপনার বাংলা বানানেরও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।ভুল খুঁজেই পেলাম না এগুলো ছাড়াঃ
প্রচন্ড >> প্রচণ্ড
আত্নহত্যা >> আত্মহত্যা
মূহুর্তেই >> মুহূর্তেই
খয়েরী >> খয়েরি
হাটছিলে >> হাঁটছিলে
মরুভুমি >> মরুভূমি
কবিতাটি ভাল, তবে আদিরসের অভাব :-(। “তোমার নগ্ন…” দেখে একটু অাশাণ্বিত হয়েছিলাম, কিন্তু সে গুড়েও বালি পড়ল।
@রৌরব,
ওহ স্যার, মাই মিসটেক, মাই মিসটেক। পরের বার এই ভুল হবেনা। :laugh: :laugh:
অনেক ধন্যবাদ জানাই। :rose2:
অপূর্ব, সাধু সাধু।
@নাসিম মাহ্মুদ,
নাসিম ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাঠের জন্য। :rose:
চমৎকার!
অপূর্ব হয়েছে!
@লাইজু নাহার,
আপনি যে চরণগুলো কোট করলেন, সেগুলোকে এক বাক্যে বললে বলতে হয় “অহঙ্কার পতনের মূল।”
কবিতার মধ্য দিয়ে সমাজকে বোদলে ফেলা সম্ভব। নিজেকে বোদলে ফেলা সম্ভব। নিজেকে বোদলে ফেলতে কবিতা পড়তে শুরু করেছি চরমভাবে। আপনি যে ছয়টি কবিতা মুক্তমনায় দিয়েছেন সেগুলো পুনরায় পড়েছি। আপনার বিং দেয়ার প্রিন্ট করে পকেটে রেখেছি। হাটি হাটি পা পা করে আপনাদের (কবিদের) দলে ভিড়ছি।
@মাহফুজ,
এবার একটা কবিতা লিখে ফেলুন!
মন্তব্যের জন্য কি বোর্ড ধরে বসে থাকলাম!
আমার মত নাম না জানা সামান্য কবির কবিতা
প্রিন্ট করে পকেটে রেখেছেন! 🙂
নিজেকে যেন মেঘের সাথে উড়ে যেতে দেখছি …
মনে হয় বাংলাদেশে!
@লাইজু নাহার,
হেই ধন্যবাদ ধন্যবাদ। আপনারটা কবে আসছে?? 🙂
চমৎকার।
কবিতা বুঝি কম আগেই স্বীকার করেছি আগের কোন এক মন্তব্যে। তারপরেও একটি মতামত দিই।
এই বাক্যগুলো শেষ হয়েছে ছিল অথবা ছিল না দিয়ে।
আবার শেষের দিকে বাক্যগুলো শেষ হয়েছে “ছিল” বাক্যের মাঝে দিয়ে।
আমার মতে সব সময় একই বাক্য গঠন ব্যবহার করা হলে ছন্দটা আরো ভাল থাকে এবং সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাক্য গঠনটাই শ্রুতি মধুর লাগে, ছন্দটা থাকে ভাল।
এভাবে হতে পারে
কবিতা কবির, তাই কবির কথাই শেষ কথা 😀 ।
@স্বাধীন,
আপনি কবিতা কম পড়েন নাকি? তাও আমারটা পড়ছেন অনেক ধন্যবাদ। ছন্দের কথাটা মাথায় থাকবে। 🙂 🙂
@ সাইফুল ভাই,
কবিতা পড়ে মাথা ঠাণ্ডা করবো, নাকি ঠাণ্ডা মাথায় কবিতা পড়বো?
কে এই তুমি, বড় জানতে ইচ্ছে করে। এমন ‘তুমি’ এর সংস্পর্শ পেত বড় মন চায়। এমন ‘তুমি’ -এর সংস্পর্শে মরুভূমিতে সবুজ জন্মে। সবই কেমন যেন মোজেজা মোজেজাপূর্ণ ভাব। প্লিজ এমন ‘তুমি’ এর সন্ধান কি কেউ আমাকে দেবে না? নাকি নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে? নাকি এটা সম্পূর্ণ অলীক? বলতে ইচ্ছে করছে- “পীরিতি কাঠালের আঠা লাগলে পারে ছাড়ে না।” অথবা “প্রেমের মরা জলে ডুবে না।
@মাহফুজ,
ভাইজান হেতেরে খুজতাছি। 😀 😀
@মাহফুজ,
দুটোই।
সাইফুল ইসলামের তুমি এলেই পড়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটা কবিতা মনে হয়ে গেল —-
তোমার মত কারও ছোঁয়া বৃক্ষ যদি পায়
বৃক্ষ তবে সবুজ হয়ে যায়।
মুক্তমনার নিয়মিত কবি সাইফুল ইসলামকে ধন্যবাদ কবিতা ও কবিতা পড়ার আহ্বানের জন্য।
@গীতা দি,
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি কবিতাটি পড়ার জন্য। 🙂
@সাইফুল ইসলাম ,
সেই সৌভাগ্য কি হবে ? ঈশ্বর , মুখ তুলে চাও ! নাকি , আশি মণ ঘি-ও জোগাড় হবে না, রাধাও নাচবে না ! 🙂
@সংশপ্তক,
😀 😀
বাংলা কবিতা আমার যেন রোমান্টিক যুগে প্রবেশ করল।
:laugh: :laugh: :laugh:
@সূর্য,
মিয়া বাই বালাই কইছেন। দুয়া রাইখ্যেন গো। :rotfl:
সাইফুল ইসলাম,
দারুন লিখেছেন! পঙতি ক’খানা পড়ে সত্যি ভালো লেগেছে! কিন্তু ! কিন্তু শেষে এসে বুঝলাম নাহয়, আমার অনন্য শৈল্পিক পদস্পর্শে মরুভূমির বালুকারাশি উর্বর হচ্ছে! কিন্তু স্যালুট জানাতে ওখানে বৃক্ষেরা পথের দু’ধারে এলো কোথা থেকে ! :-/ দুষ্টুমী করলাম, দারুন হয়েছে! :yes:
@কেশব অধিকারী,
ঐ সময় সে রাস্তার ধারে ছেলে। 😀
ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
কবিতা নয় , একমুঠো শান্তির পরশ। সাধু -সাধু। 🙂
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ জানাই পাঠের জন্য। 🙂