– আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
– Allah creates what He pleases; surely Allah has power over all things.
সূরা নূর- আয়াত নং-৪৫(২৪ : ৪৫)
পৃথিবীর সবগুলো প্রধান ধর্মেই মানুষ কিংবা অন্যান্য প্রাণীদের উৎপত্তি সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে ইশ্বরকে এভাবেই গুনাণ্মিত করা হয়েছে। এ মহাবিশ্বের সবকিছুই তার সুপরিকল্পিত ডিজাইনের ফলাফল। আজকের পোস্টে আমরা প্রকৃতিতে-প্রাণীজগতে জন্ম/সৃস্টি প্রক্রিয়ায় ঘটে এমন কিছু ঘটনা যা ইশ্বর কতৃক সুপরিকল্পিত ভাবে ডিজাইন করা সেরকম কিছু ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হব। ।
প্রাণীজগতে শিশুহত্যা (Infanticide) এবং সহোদর হত্যা (Siblicide) অহরহই ঘটে। জন্মের পরপরই, যখন বাবা-মা কিংবা অন্য সদস্যরা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে কোন শিশুকে হত্যা করে তখন তাকে Infanticide বলে। আর এই হত্যা যখন ভাই-বোনের হাতে ঘটে তখন তাকে বলা হয় Siblicide। Siblicide কখনও কখনও মাতৃ গর্ভে থাকতেই ঘটে থাকে।
আগে এ ঘটনাগুলোকে ব্যতিক্রম হিসাবে মনে করা হলেও বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা জানতে পারছি যে এই ধরণের হত্যার ঘটনা অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখী, মাছ, কিংবা কীট পতঙ্গের মধ্যে আসলে বহুল প্রচলিত। পুরো প্রাণীজগতেই জন্মের পরপরই কিংবা শিশু অবস্হাতেই সহোদরদের মধ্যে প্রতিযোগীতা দেখা যায় যা কিনা পরবর্তীতে হত্যার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। অনেক সময়ই এই হত্যাকান্ডে মা-বাবা অংশগ্রহণ করে অথবা এটাকে ঠেকাতে কোন ভূমিকাই রাখে না। কিছু উদাহরণ দেখা যাকঃ
১) স্যান্ড শার্কঃ মায়ের গর্ভে থাকা অবস্হাতেই শিশু হাঙরেরা একজন আরেকজনকে আক্রমণ করে হত্যা করে এবং তাদের খেয়ে ফেলে যা তাদের পুষ্টি জোগায়। শুরুতে ২০টির মত শিশু হাঙর মায়ের গর্ভে বড় হতে শুরু করলেও ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে একটি মাত্র স্যান্ড শার্কের শিশু বেঁচে থাকে। যে শিশু হাঙরটি ভূমিষ্ঠ হয় তার সম্পর্কে অবধারিত ভাবেই বলা যায় যে সে তার অন্যান্য ১৯টির মত ভাই-বোনকে মায়ের গর্ভেই হত্যা করেছে। এদের জন্মের শুরুই হয় সহোদর ভাই কিংবা বোনকে হত্যা এবং ভক্ষণের মাধ্যমে।
২) ব্লু ফুটেড বুবিজঃ জন্মের পরপরই ভাই বোনদের হত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় সামুদ্রিক পাখীদের মধ্যে। এই পাখীদের সব সময় তা দিতে সক্ষম এমন সংখ্যার চেয়ে একটি বেশী ডিম পাড়ে। এর পর যেটা ঘটে তা নির্ভের করে নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখী এবং খাদ্যের পর্যাপ্ততার উপর। ব্লু ফুটেড বুবিসদের মধ্যে সহোদর হত্যার ঘটনা শুরু হয় যখন সবচাইতে বড় বাচ্চাটি স্বাভাবিকের চাইতে ২০ ভাগের বেশী ওজন কমে গেলে। বড় বাচ্চাটি তখন তার ছোট ভাই-বোনদের ঠোকর দিতে দিতে মেরে ফেলে অথবা বাসা থেকে বের করে দেয়। ফলশ্রুতিতে ছোট বাচ্চাটি খাদ্যের অভাবে কিংবা অন্য প্রাণীদের আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যায়। যতগুলো প্রজাতির পাখীর মধ্যে এই ঘটনা লক্ষ্য করা যায় তাদের সবার মধ্যে যে মিলটা খুব বেশী দেখা যায় তা হলো বড় বাচ্চাদের হাতে ছোট বাচ্চারা নিহত হয়। আরও আশ্চর্য্যজনক ঘটনা হলো বাবা-মা এই হত্যা ঠেকানোর কোন প্রচেষ্টাই নেয় না। প্রকৃতপক্ষে বাবা-মাও কখনও কখনও এই হত্যায় অংশগ্রহণ করে। বড় বাচ্চাটি যখন ছোটবাচ্চাটিকে ঠুকরিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় বাবা কিংবা মা পাখিটি তখন ছোট বাচ্চাটির বাসায় ঢোকার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে। ব্লু ফুটেড বুবিস পাখিদের ক্ষেত্রে এই হত্যা প্রচেষ্টা একটি দলগত প্রচেষ্টা বা টীম এফোর্ট।
৩) কোকিলঃ যত ধরণের প্রজাতির মাঝে শিশুহত্যার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে কোকিলকে নিঃসন্দেহে চ্যাম্পিয়্যন হিসাবে ধরা যায়। মা কোকিল অন্য পাখীদের বাসায় ডিম পাড়ে। একটি পাখীর বাসায় একটিই ডিম। কোকিল শিশু ডিম থেকে ফুটে বের হওয়ার সাথে সাথেই সে যে কাজটি করে তা হলো অন্য ডিমগুলোকে বাসা থেকে ফেলে দেয়া, এমনকি জন্ম নেয়া বাচ্চাকেও। শিশু কোকিলের পিঠে বিশেষ ধরণের একটি গর্তের মত থাকে যেটা তাকে ডিমগুলোকে দুই ডানার মাঝের খাঁজে উঠাতে সাহায্য করে এবং পাখির বাসার কার্নিশের উপর দিয়ে ফেলে দিতে সাহায্য করে। কোকিল শিশুরা এই কাজটি সহজাত প্রবৃত্তির বশেই করে থাকে। আর এই কাজটা সে করে ডিম থেকে ফুটে বের হওয়ার সাথে সাথেই যখনও কিনা তার চোখ ফুটেনি বা অন্ধ অবস্হাতেই।
৪) মৌমাছিঃ রাণী মৌমাছি মারা যাওয়ার পর লার্ভাগুলো একটি বিশেষ রাজকীয় সেল-এ বিশেষ যত্নে লালিত হতে থাকে। এই সেল সাধারণ অন্যান্য সেল থেকে বড় হয়ে থাকে। লার্ভা গুলিকে সাধারণ কর্মী মৌমাছিরা বিশেষ ধরনের খাবার খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখে। এদেরই একজন হয়ে উঠবে ভবিষ্যতের রাণী। কিন্তু অবাক করা ঘটনা হলো প্রথম ভবিষ্যত রাণী মৌমাছিটা লার্ভা থেকে পিউপাতে পরিণত হওয়ার সাথে সাথেই সে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দী সহোদরাদের, এক্ষেত্রেও প্রায় বিশটির মত, হুল ফুটিয়ে মেরে ফেলে। একজনও তার হাত থেকে নিস্তার পায় না। এভাবেই সে তার সব বোনদের যারা তার প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠতে পারে তাদেরকে সে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
৫) প্যারাসিটোয়েড বোলতাঃ আরেকটা চরম উদাহরণ হলো এই পয়ারাসিটয়েড বোলতারা যারা কিনা নিজেরা প্যারাসিটিক না কিন্তু অন্য একটি হোস্ট দেহে ডিম পাড়ে এবং সেই হোস্টের দেহেই বাচ্চারা খেয়ে-দেয়ে বড় হয়। মা বোলতা একটি শুঁয়োপোকাকে হুল ফুটিয়ে প্যারালাইজড করে ফেলে এবং সেটার দেহে দুটি ডিম পাড়ে। একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে ডিম।
শু্যোপোকার দেহে তৈরী হয় বাচ্চাদের জন্য একটি নার্সারী যাতে রয়েছে সীমিত খাদ্য সরবরাহ। মা বোলতা ডিম পেড়ে চলে যাওয়ার পর আর কখনও ফিরে আসে না। এই ডিম দুটো দ্রুত একটা ক্লোনিং পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায় যাকে বলা হয় পলিএমব্রয়নি, যা থেকে ২০০’র মত যময ভাই এবং প্রায় ১২০০’র মত যময বোন জন্ম নেয়। এর মধ্যে থেকে ৫০টির মত বোন খুব দ্রুত বড় হয়’। এদের দেহের তুলনায় বিশাল বড় একটি চোয়াল তৈরী হয় এবং এদের কোন সেক্স অর্গান থাকে না। তাই এদের নিজেদের প্রজননেরও কোন সম্ভাবনাও থাকে না। এরা নিজেদের ভাইগুলোকে খেতে শুরু করে। যে ভাইটি আগে পিউপাতে পরিনত হয় সে অন্যান্য ভাইদের পিউপাতে পরিণত হওয়ার আগেই নিজেদের বোনদেরকে নিষিক্ত করা শুরু করে। একেকটি ভাই বোলতা বহুসংখ্যক বোনকে নিষিক্ত করার ক্ষমতা রাখে।
বড় চোয়াল ওয়ালা বোনরা শেষপর্যন্ত অল্প কয়েকটি ভাইকে জীবিত রাখে যাতে হোস্ট শুঁয়োপোকার দেহের সীমিত খাদ্য সরবরাহ বোনগুলোর বড় হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত থাকে। আরও অবাক হওয়ার মত ঘটনা হলো মা বোলতাটি হুল ফুটিয়ে প্যারালাইজ করা থেকে বাচ্চারা বড় হওয়া পর্যন্ত শূঁয়োপোকাটি জীবিত থাকে। এতে করে বাচ্চাদের খাবার পচে যায় না। কি অবাক কান্ড!!!!
৬) সিফাকা লিমার: পুরুষ সিফাকা লিমারেরা শিশু হত্যার অভিনব পন্হা অবলম্বন করে থাকে। মেয়ে লিমারদেরকে মনঃসংযোগ নস্ট করে তাদের কোল থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তারা অদ্ভূত কিছু কাজ করে যেমন মেয়েটির কাঁধ কিংবা বাহুতে কামড় দেয়া। মেয়ে লিমারটির কোলের শিশু অরক্ষিত হয়ে পরলে ছেলে লিমারটি শিশু লিমারটিকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পেট দুভাগ করে মাটিতে ফেলে দেয়। বলাই বাহুল্য শিশু লিমারটি সংগে সংগে মারা যায় না। তাকে ভোগ করতে হয় একটি দীর্ঘ বেদনাদায়ক মৃত্যু।
সিফাকা লিমারই শুধু নয় এরকম ২০টি প্রজাতির প্রাইমেট এবং প্রোসিমিয়ানদের (লোয়ার প্রাইমেট) ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানীরা শিশুহত্যার প্রচলন পর্যবেক্ষন করেছেন।
উপরেল্লিখিত প্রজাতি ছাড়াও আরও বহু প্রাণী, মাছ কিংবা কীটপতঙ্গের জন্ম এবং জীবন ধারণের প্রক্রিয়ার সাথে শিশুহত্যা এবং সহোদর হত্যার প্রক্রিয়া অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। যেমন স্পটেড হায়েনা, মাগেলানিক পেঙ্গুইন, রয়াল পেঙ্গুইন, আমেরিকান কুটস (পাখি), ইউরোপীয়ান কালো সারস, বটল নোজ ডলফিন, ম্যাকাকি বানর, হনুমান, সিংহ, এবং প্রায় সব ধরণের প্যারাসিটোয়েড বোলতা ছাড়াও আরও অনেক অনেক প্রাণী।
সৃস্টিকর্তা কেন এই প্রাণিগুলার ক্ষেত্রেই এমন কস্টদায়ক এবং জটিল পরিকল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন তার কোন ব্যাখ্যা করা যায় না তবে জীব বিজ্ঞানীরা দাবী করে থাকেন এই ঘটনাগুলোর তাৎপর্য্য নাকি বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
সূত্র:
১) আল-কোরান
২) বর্ন টু রেবেল – ফ্রাঙ্ক জে সালোওয়ে
৩) উইকি
৪)গুগল ইমেজ
৫) টাইটেলের ইংরেজী অংশটুকু ৮০’র দশকে সারা দুনিয়া ব্যাপী বিপুল জনপ্রিয় “The Gods must be crazy” মুভি সিরিজ থেকে ধার করা হয়েছে।
বিশ্বাসীদের হানি আঘাত, আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত জাতীয় পোষ্ট-ই মনে হয়েছে। আজকের বিশ্বে বিজ্ঞানের কোন থিওরি বা ফ্যাকট সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ? আমাদের জন্ম, মৃত্যু যদি বিবর্তণ তত্ত্ব দিয়েই হবে তবে মৃত্যুর পর জীবন পাওয়ার ব্যাপারে বিবর্তন তত্ত্ব আমাদের কি বলে ? আমাদের দেহের জটিল সব কোষ, ডি এন এ, প্রোটিন অণু এর চেয়েও অনেক অনেক সহজ একটি কম্পিউটার বা মোবাইলের গঠন। প্রকৃতি কেন লক্ষো কোটি কোটি বছরের বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার সাহায্যে এমন একটি ডিভাইস তৈরি করে দেইনি ? কেন ভিন গ্রহে প্রাণ তৈরির জন্য পৃথিবীর মতো একটি পরিবেশ তাকে খুজতে হবে ? কেন সেই গ্রহের উপযুক্ত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ায় ডি, এন, এ, অার এন এ, কোষ বা অন্য কোন বিল্ডিং ব্লক তৈরি করতে প্রকৃতির এখন পর্যন্ত বসে থাকতে হবে ? জানতে অাগ্রহী ।
যখন কোন কিছুর উত্তর পাওয়া যায়না তখন মানুষ ঈশ্বরের আবডালে নিজের জানতে চাওয়ার ইচ্ছাকে লুকিয়ে ফেলে। তাই বলা যায় ঈশ্বরে বিশ্বাস মানে জানতে চাওয়ার অনিহার আমজনতা রূপ। “আল্লার ইচ্ছা তাই এমুন হইসে” টাইপ চিন্তা যদি সব মানুষ করতো তবে আমরা এখন কোথায় থাকতাম একবার চিন্তা করুন; অন্ধকারের পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা নই, আমরা ভাগ্যবান কারন কিছু মানুষ “ঈশ্বরের ইচ্ছা” উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে উত্তর নিজেরাই খুঁজে বের করেছিলেন :))
তারাই মূলত উন্নত যারা “কে?-কি??-কেন???-কবে????-কোথায়?????” প্রশ্ন গুলোর উত্তরে “ঈশ্বর জানেন” উত্তরটি না দিয়ে আরও বেশী প্রশ্ন ও গবেষণা করে প্রমান সমেত সঠিক কিংবা নির্ভুল (প্রায়) উত্তরটি দেন।
প্রিয় হোরাস; অনেক কষ্ট করে এতগুলো তথ্য জোগাড় করে লেখাটি দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
এত্ত গুলা অজানা তথ্য (U)
আমার মন্তব্য কেন দেয়া হয়নি, জানতে পারি?
@sarat srabon, আমি কোন মন্তব্য মডারেশন করিনি। এমনকি আমি আপনার কমেন্টটা দেখিওনি। ওটা সম্ভবতঃ ব্লগের মডারেটর মডারেট করেছেন। ধন্যবাদ।
আপনি একটি সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধার্মিকরা ঈশ্বরের মতই কালা, অন্ধ ও বধির।একটি জায়গায় শুধু ব্যতিক্রম তারা ঈশ্বরের মত নির্বাক নয়।
বিশ্ব জগতের বৈচিত্র মানেই তাদের কাছে পাগলা ঈশ্বরের লীলা।
@রাজেশ তালুকদার, পাগলা না হলে কি আর এরকম ডিজাইন করা সম্ভব? হা হা …..
@রাজেশ তালুকদার,
চমেতকার বললেন ভাই “ধার্মিকরা (:-X )ঈশ্বরের মতই কালা, অন্ধ ও বধির।একটি জায়গায় শুধু ব্যতিক্রম তারা ঈশ্বরের মত নির্বাক নয়।”
হোরাস, মুগ্ধ! আরেকটা কথা বলতে চাইছিলাম কিন্তু বলা উচিত হবে না।
বেশ কিছু বানান ভুল আছে। আর বানানটা বোধহয় লেমুর (Lemur, উচ্চারণ: \ˈlē-mər\), লিমার নয়। অন্তত, সত্যজিৎ রায়ের লেখায় তেমনটাই পড়েছিলাম। সত্যজিৎ রায়ের লেখায় এটাও পড়েছিলাম লেমিং নামে একরকমের ইঁদুর গণআত্মহত্যা করে। এটায় ঈশ্বরের করুণার তো প্রমাণ নেই-ই, বিবর্তনের দিক থেকে এর ব্যাখ্যা মুশকিল। উত্তরটা অনেক পরে পেলাম এখানে। অন্যেরাও পড়ে নিতে পারেন, মজা পাবেন। সাইটটাই মজায় ভর্তি।
আবারো শুভেচ্ছা, শারদীয়। আশা করি, পরের লেখা এত দ্রুত দেবেন না! 😛
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, প্রথমেই লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ দেই। সময় করে অবশ্যই দেখব। আর উচ্চারণটা বোধহয় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। আমেরিকায় টিভিতে বাচ্চাদের একটি অনুস্ঠান দেখায় “জাবু-মাফু”। সেখানে প্রধান একটি প্রাণী (লিমার) ক্যারেক্টার আছে। সেই অনুস্ঠানে ওদেরকে আমি এই উচ্চারণটা করতেই শুনেছি। সত্যজিৎ রায় হয়ত বৃটিশ উচ্চারণ ফলো করতেন।
বানানের ব্যাপারটা খেয়াল রাখার চেস্টা করব। ধন্যবাদ।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
হা হা … ভালো বলেছেন। তবে নেক্সট পোস্ট আসলেই খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন। 🙂 আপনাকেও শারদীয় শুভেচ্ছা। :rose2:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
আমিও ব্যাপারটার ব্যাখ্যা একসময় খুঁজেছিলাম। পরে দেখেছিলাম যে, লেমিং এর এই ‘গণ আত্মহত্যার’ ব্যাপারটা আসলে পুরোটাই মিথ। এর মধ্যে কোন সত্যতা নেই। কোন এলাকায় লেমিং এর সংখ্যা বেড়ে গেলে এরা অন্য জায়গায় মাইগ্রেট করে কখনো নদীও পাড়ি দেয় (এরা সাঁতার কাটতে ওস্তাদ)। বেকুব পাব্লিকেরা ভাবে এরা বুঝি নদীতে দল বেঁধে আত্মহত্যা করছে 🙂 । দেখুন এখানে।
দারুণ সাবলীল একটা লেখা!!
ঈশ্বর বেচারারে খামোখাই দোষারোপ করছেন আপনারা। এই রকম একটা বিশ্বজগত তৈরি করা কী কম খাটুনির কাজ। বিশ্ব সৃষ্টির বিশাল কাজের পরে ক্লান্ত-শ্রান্ত বিধাতা রিপ ভ্যান উইংকলের মত গভীর নিদ্রায় গিয়েছেন। আর এই সুযোগেই শয়তানের কারসাজিতে পৃথিবীতে এতসব বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। জেগে উঠলেই কেয়ামত ঘটিয়ে আবার সব ঠিক করে ফেলবেন তিনি।
কত অজানারে!
নারীবাদী বলে গালি খেলেও জানতে ইচ্ছে করছে survival of the fittest এ লিঙ্গভেদে পুং না স্ত্রীলিঙ্গ বেশি শক্তিশালী? পরিসংখ্যান কি বলে? সৃষ্টিকর্তা কাকে বেশি পৃথিবী টিকিয়ে রাখতে চান?
@গীতা দাস,
আমারতো ধারণা ধর্মগ্রন্হগুলি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা পুরুষ জাতিকে টিকেয়ে রাখতে চান। আর survival of the fittest অনুযায়ী সঠিক কোন পরিসংখ্যান আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা মেয়েরা।
@গীতা দাস,
এখানে একবার বায়োলজীর টিচার বলেছিলেন মেয়েরা ষ্ট্রং!
কারণ হিসেবে বলেছিলেন-অল্প বয়সে ছেলে সন্তানের মৃত্যুর হার বেশী!
বাংলাদেশেও তাই দেখেছি!
এখানে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ছেলেদেরই বেশী চোখে পরে!
ছেলেরা আবার বুদ্ধিধিমত্তার ক্ষেত্রে হয় খুব সফল নয়ত একেবারেই কম!
পরিসংখ্যান তাই বলে!
মেয়েরা নাকি বেশীরভাগই মাঝামাঝি!
@হোরাস,
এরকম লেখা আরও লিখবেন আশা করি!
@লাইজু নাহার,
আমি মানব সমাজের পুং ও স্ত্রীলিঙ্গ নিয়ে জানতে চাইনি। লেখাটি পড়ে প্রকৃতিতে যে যুদ্ধ সেখানে fittest কে জানতে আগ্রহী।
তার পরেও ধন্যবাদ আমার মন্তব্যে সাড়া দেওয়ার জন্য।
@লাইজু নাহার, ধন্যবাদ উৎসাহের জন্য। :rose2:
@ফরিদ আহমেদ, হা হা হা .. :yes: 😀
অন্যরকম ভালো লাগল।
@আফরোজা আলম, ধন্যবাদ। :rose2:
ধর্মবাদীরা আপাত অনেক নিষ্ঠুর ঘটনাকে নিষ্ঠুর বলতে রাজী নয়।
যেমন- বনে বাঘ ও হরিণ একসাথে বাস করে। বাঘের বংশবিস্তার হয় মাত্র ১/২ শাবক দিয়ে পক্ষান্তরে হরিনের বংশবিস্তার হয় ৫/৬ টা শাবক দিয়ে। এখন বাঘ হরিণ শিকার করে খায় ফলে হরিণের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং বাঘ ও হরিণ উভয়ই বেচে থাকে। যদি বনে বাঘ না থাকত তাহলে বনে এত বেশী হরিণ বৃদ্ধি পেত যে তাদের খাবার শেষ হয়ে যেত, খাদ্যাভাবে তারা মারা পড়ত। বাঘ হরিণ শিকার ক’রে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করে বলে হরিণ খাদ্যাভাবে মারা পড়ে না। আবার বনে হরিণ না থাকলে খাদ্যাভাবে সব বাঘ মারা যেত। ফলাফল- বাঘ ও হরিণ এদের সম্পর্ক আপাত বৈরী হলেও পরস্পর টিকে থাকার জন্য তাদের এ বৈরী সহাবস্থান দরকার।
তাই ধর্মবাদীরা এ ধরনের বৈরী সম্পর্ককে নিষ্ঠুর বলতে নারাজ। তারা নিষ্ঠূর বলত যদি বাঘের কারনে সব হরিণ মারা পড়ত ও হরিণের বিলুপ্তি ঘটত।
আলোচ্য নিবন্ধের সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করলেও ঠিক একই রকম ফলাফল বেরিয়ে আসবে। মানে , টিকে থাকার জন্যই আপাত ও ধরনের হত্যার দরকার, তা না হলে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতো। তাই ধর্মবাদীদের বক্তব্য- এ ধরনের আপাত হত্যা আসলে নিষ্ঠুর কোন ঘটনা নয়।
মানুষেরা যে শিশুকে ডাষ্ট বিনে ফেলে রাখে মুলত- বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মালে লোক লজ্জার ভয়ে। অতি দরিদ্র পরিবারের শিশুও অনেক সময় পরিত্যক্ত হয় দারিদ্রের কারনে। সেটাকেও সেই টিকে থাকার কারন হিসাবে ধরা যায়। তাবে মানুষেরটা অনেক কৃত্রিম মনে হয় মানে মানুষ ইচ্ছে করলে এ ধরনের আপাত নিষ্ঠুরতা এড়াতে পারে।
@ভবঘুরে,
ধর্মবাদীদের সাথে আমার এখানে একটু দ্বিমত আছে। আপনি যে বাঘ-হরিণের কথা বললেন তার সাথে আমার লেখার ঘটনাগুলোর পার্থক্য আছে। শেষমেষ যদি মাত্র একটিই স্যান্ড শার্কের বাচ্চা জন্ম নেয় তবে অন্য আর দশটা প্রাণীর মত একটি শিশু(বা দুটি শিশু) মায়ের গর্ভে বড় হলেই তো হত। খামাখা ২০ জনকে প্রাণ দিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করে বাকী সবাইকে হত্যা করার কি দরকার ছিলো? বা কোকিলকে নিজের বাসায় ডিম পাড়ার সিস্টেম করলেই হত!!! অন্য ঘটনাগুলোও একই ভাবে ব্যাখ্যাহীন।
@ভবঘুরে, আপনি তো দেখি আমার কথাই বলে দিলেন। আমি আরো একটু যোগ করব। সন্তান ভুমিষ্ট হবার আগেই মায়েরা এখন সেচ্ছায় এবারশন করছে। ”মেয়ে” শুধু মাত্র এই অপরাধে যে কত শিশুকে মরতে হয়, জন্মের আগে, পরে, ধর্ষিত হতে হয়।
চমৎকার লেখা। একটানে পড়ে ফেললাম।
@আলিম আল রাজি, ধন্যবাদ রাজি। :rose2:
বিবর্তনবাদ আসলে আমাদের কোন নীতি কথা বা আদর্শ শিক্ষা দেয় না।নীতি বা আদর্শ আমাদেরকেই গড়ে নিতে হবে। সোজা কথা ।
@ভবঘুরে, শতভাগ সহমত।। বিবর্তনবাদ শুধু ব্যাখ্যা করে পৃথিবীর বুকে উদ্ভিদ এবং প্রাণী জগতে এত বিচিত্র ধরণের প্রজাতি আসলো কিভাবে। এটা শুধু প্রাণী কিংবা উদ্ভিদ কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে সেই মেকানিজম ব্যাখ্যা করে। অন্য কিছুই না। বিবর্তন তত্ব বলে না এটা ফলো করে সমাজ/রাস্ট্র বানাতে হবে। সে জন্য সমাজ বিজ্ঞান এবং রাস্ট্র বিজ্ঞানের অনেক তত্ব আছে।
@ভবঘুরে, @হোরাস
কথাটা আক্ষরিক অর্থে নির্ভুল। তবে একটু ব্যাখ্যা দরকার। নৈতিকতা কেউ কাউকে শিক্ষা দিচ্ছে না। নৈতিকতা প্রাকৃতকভাবে উদ্ভূত। নৈতিকতা চূড়ান্ত বিচারে বিবর্তনেরই পরিণতি। এটাই বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের অনুসন্ধানজাত অভিজ্ঞান। মানুষ নিজেই বিবর্তনের উৎপাদ্য। মানুষ যা কিছু করে তা বিবর্তনের লক্ষ্য মেটানোর তাগিদেই করে। বা ঘুরিয়ে বললে বিবর্তনের নিয়মের দ্বারাই মানুষের তাবৎ আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। মানুষের ইচ্ছা, চেতনা এগুলিকে বিবর্তনের বাইরে কোন স্বতন্ত্র স্বত্বা হিসেবে মর্যাদা দেয়াটা ভুল হবে বৈজ্ঞানিকভাবে। কারণ এগুলি সবই বিবর্তনেরই সৃষ্টি। কাজেই মানুষ নীতি তৈরী করে বলার পরেও এটাই বুঝতে হবে আসল নীতিকার বিবর্তনের নিয়ম (আরো পেছনে গেলে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র)। মানুষ নিমিত্ত মাত্র। নৈতিকতার বিবর্তনীয় উৎসের উপরে আমি মুক্তমনায় একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম। তাতে আরো বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
অভিজিতের এক রচনার উপর মন্তব্য করতে গিয়ে অপার্থিব জানালেন বিবর্তনবাদ বড়ই নিষ্ঠুর। এই বাদে ক্ষমা, দয়া দাক্ষিণ্য, প্রেম, ভালবাসা, করুণা ইত্যদি্র কোনই মূল্য নাই। আমাদের মরতেই হবে এবং একটুকুও সম্ভাবনা নেই recycle হবার।
হোরাসের এই প্রবন্ধ পড়ে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। এখন দেখছি প্রকৃতিও বড়ই নিষ্ঠু্র।
ওদিকে কোরান শরিফ বলছে আল্লাহ পাক আমাদের অবশ্যই আবার জীবিত করবেন—অবশ্যই আমাদেরকে recycle করবেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লা পাকের কথায় বিস্বাস করাটাই নিরাপদ। হয়ত বা আমরা recycle হব।
কি হবে বিবর্তনবাদ এবং জীববিজ্ঞানের এত বিশাল বিশাল থিওরী জেনে? এত সব গালভরা বুলি শুনে? এতে আমাদের জীবনের কোন আশার বাণীই ত নেই। সে জন্যই কী আল্লাহ, কোরান, হাদিস এই সবে বিস্বাস করা অনেক নিরাপদ নয়?
@আবুল কাশেম,
এক্কেবারে ঠিক কথাই বলেছেন। তাই তো বলি- জানার কোন শেষ নেই জানার চেষ্টা বৃথা তাই ।
@ভবঘুরে, :laugh:
@আবুল কাশেম,
এখানেও সমস্যা আছে। আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরেনের কোষের স্হায়ীত্বকাল বিভিন্ন হয়ে থাকে। কোন কোন কোষ বেঁচে থাকে কয়েক ঘন্টা আবার কোন কোন কোষ বেঁচে থাকে কয়েক বছর। সাধারণতঃ গড়ে আমাদের দেহের সবগুলো কোষ প্রতিস্হাপিত হয় প্রত্যেক সাত বছরে। তার মানে ৭০ বছর বেঁচে থাকলে কমপক্ষে ১০ বার আমাদের দেহের সমস্ত কোষগুলো রিসাইকেলড হয়। এই কোষ গুলো কোথা থেকে আসে? আসে প্রকৃতি থেকে অথবা অন্য মৃত মানুষ কিংবা জীব-জন্তুর (বা অন্য যে কোন কিছু কল্পনা করে নিন) দেহের রিসাইকেলড অনু-পরমাণু থেকে। যদিও মৃতদেহের অনু-পরমাণু গুলো রিসাইলকেলড হতে মিনিমাম কয়েক দশকের প্রয়োজন হয়।
আমাদের দেহের প্রতিটা কোষ গড়ে ৭*১০^১৫ বা ৭০০০ বিলিয়ন পরমাণু (৭ লক্ষ কোটি) পরমানু দ্বারা গঠিত। এতো শুধু একটা কোষ। পুরো দেহের কথা ভাবুনতো!!! সংখ্যাটা এতই বিশাল যে ধারণা করা সম্ভব না। এই হিসাবে ধারণা করা যায়, আপনার-আমার দেহের একটা উল্লেখযোগ্য পরিমান পরমাণু, প্রায় ১০০ কোটির মত,বার্ড্রান্ড রাসেলের দেহ থেকে এসেছে। আরও ১০০ কোটি এসেছে মুহাম্মদ, যীশূ, ডারউইন, গৌতম বুদ্ধ, আবু জেহেল, চেঙ্গিস খান, …….. বা অন্য যেকোন ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম আপনি মনে করতে চান তাদের দেহ থেকে। তবে হয়ত সময়ের অভাবে এখনও আইনস্টাইন, বা আরজ আলীর দেহের পরমাণু গুলো এখনও আপানাদের দেহের অংশ হয়ে ওঠেনি।
এখন কথা হলো, আল্লাহ পাক যখন আমাদের আবার জীবিত করবেন তখন অনু-পরমাণুর বন্টন নিয়ে সমস্যায় পরে যেতে পারেন। 😛
@হোরাস,
মনে হয় না। কারন আল্লাহ পাকের অসাধ্য কিছু নেই। এর একটা সমাধান সূত্র নিশ্চয়ই তার জানা আছে যা আমরা জানি না।
@হোরাস,
ব্যাপারটা বুঝলাম না। একটু পরিষ্কার করেন তো দাদা। 😀
@সাইফুল ইসলাম, দাদা???? যদিও দাদা ডাক-টাতে আমার কোন সমস্যা নাই। প্রোফাইলিং করলেন কিনা বুঝলাম না। যাইহোক…
আমরা তো জানি যে বস্তুর ধ্বংস নাই। শুধু অবস্হার পরিবর্তন হয়। মানে কোন একটা বস্তু ক্ষয় হলে সেটার অনুপরমাণু গুলো অন্য কোন কিছুর অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয় (সাধারণতঃ)।
প্রতি সাতবছরে আমাদের দেহের প্রতিটা কোষ রিপ্লেসড হয়। কোন কোন কোষ রিপ্লেসড হয় কয়েকঘন্টায় আবার কোনটা কয়েক বছরে। এই নতুন কোষগুলা যে অনু-পরমাণু দিয়ে বানানো সেগুলো আমাদের দেহে বাইরে থেকে আসে খাদ্য কিংবা পানীয় হিসাবে। এই খাদ্য কিংবা পানীয় আবার গঠিত হয়েছে প্রকৃতির অন্যান্য বস্তু কিংবা জীবের রিসাইকেল্ড অনু পরমানু দি্যে। নতুন করে মহাবিশ্বে অনু পরমাণু সৃস্টি হয় না। যা আছে এগুলোই পুনঃ পুনঃ ব্যবহৃত হতে থাকে।
লেখক হয়তো এখানে সৃষ্টিকর্তার দয়াময়তা খণ্ডনের ব্যাপারটাকেই গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের লেখা লিখলে সেটা করা যায় না, সেক্ষেত্রে এই ধরণের টপিক নিয়ে আলাদা করে পোষ্ট দেওয়াই তো ভালো। কি বলেন?
@ফাহিম রেজা, বুলস আই। তবে শুধু দয়াময়তা না সাথে অপ্রয়োজনীয়তা এবং খামাখা জটিল করার ব্যাপারটাও আছে। শধু শুধু প্রাণ দিয়ে সেটা আবার প্রয়োজন ছাড়াই কেড়ে নেয়া কেন। অন্য আর দশটা স্বাভাবিক প্রাণীর মত হলে দোষ কি ছিলো? এই ব্যাখা না থাকার ব্যাপারটার উপরই জোর দিতে চেয়েছি।
very Good analysis. I have read it very carefully and become pleased.
@awal, ধন্যবাদ। :rose2:
হোরাস,
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। অনেকেই খুব ঢালাওভাবে বলেন, ঈশ্বরের পৃথিবীতে কোন নাকি নিষ্ঠুরতার স্থান নেই, সব কিছুতেই শান্তির আকঁড়। তার সৃষ্টি নিখুঁত, সুন্দর। অনেক ফ্রিথিঙ্কারও আবার সেই ট্র্যাপে পড়ে মনে করেন, প্রকৃতিতে গান্ধীবাদের মত কিছু বোধ হয় কাজ করে – যেখানে প্রজাতিগুলো বোধ হয় একে অন্যের জন্য সহানুভূতির পশরা সাজিয়ে বসে আছে। আসলে তা নয়। প্রকৃতি অনেক নিষ্ঠুর। আমাদের মুক্তমনা সদস্য পৃথিবী একবার ইমেইল করে আমাকে Ichneumon প্রজাতির একধরণের ভিমরুলের কথা জানিয়েছিলো। এরা তাদের শিকারকে হত্যা না করে দৈহিকভাবে অবস করে দিয়ে সেই শিকারের দেহের ভেতরে ডিম পাড়ে। এই ডিম ফুটে যে শূককীট(larva) বের হয়, তা শিকারের দেহের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খেয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। স্ত্রী ভিমরুলগুলো তার শিকারের প্রত্যেকটি স্নায়ুগ্রন্থি সতর্কতার সাথে নষ্ট করে দেয় যাতে তাদের শিকার পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটাই কি আপনার লেখার উদাহরণের প্যারাসিটোয়েড বোলতা?
যা হোক, প্রকৃতিতে নিষ্টুরতা আছে। টিকে থাকার সংগ্রামেই নিষ্ঠুরতার ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক নিয়ামক হিসেবে রয়ে গেছে। ব্যাপারটাকে আসলে বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোন থেকেই দেখতে হবে। সেলফিশ জিন বইয়ে ডকিন্স দেখিয়েছেন যে, জিনগত স্তরে স্বার্থপরতা কিংবা প্রতিযোগিতা কাজ করে। কিন্তু এই জিনের এই স্বার্থপরতা থেকেই আবার পরার্থতার মতো অভিব্যক্তির উদ্ভব ঘটতে পারে; প্রতিযগিতামূলক জীবন সংগ্রাম থেকেই জীবজগতে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরণের পারষ্পরিক সহযোগিতা, মিথোজীবীতা কিংবা সহ-বিবর্তন। আসলে সেগুলোও টিকে থাকার সংগ্রামেই হয়ে থাকে। ম্যাট রিডলী ‘তার অরিজিন অব ভার্চু’ বইয়ে সেজন্যই বলেছেন –
we cooperate only to compete better। ডারউইন অনেক আগেই ধারণা করেছিলেন যে, তার বিবর্তন তত্ত্ব সত্যি হলে, প্রকৃতিতে এমন কোন জীব পাওয়া যাবে না যে শুধু নিঃস্বার্থভাবে অন্য প্রজাতির সেবা করার জন্য বেঁচে থাকে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়মেই সে বিলুপ্ত হয়ে যেতে বাধ্য। ডারউইন তার ‘অরিজিন অব স্পিশিজ’ বইতে তার পাঠকদেরকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এ ধরণের একটা প্রজাতি খুঁজে বের করার জন্য, এবং স্বাভাবিক কারণেই আজ পর্যন্ত কেউ সে চ্যালেঞ্জের উত্তর দিতে পারেনি। এই সহজ ব্যাপারটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।
তবে, লেখাটির একটি বিষয়ে আমার একটি মন্তব্য আছে। লেখাটা পড়ে অনেকের মনে হতে পারে যে, সৃষ্টিকর্তার দয়াময়তা খণ্ডন করতেই যেন এই উদাহরণগুলো হাজির করা হয়েছে। উপরে শৈবাল সহ অনেকে সেদিক থেকে দেখেছেন। সৃষ্টিকর্তার দয়াময়তা খণ্ডনের ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সাথে এই নিষ্ঠুরতাগুলোর (অর্থাৎ প্রতিটি ঘটনার) বিবর্তনীয় ব্যাখ্যাগুলো হাজির করলে অনেক ভাল লাগত।
আরেকটা ব্যাপার – আমাদের বিবর্তনের আর্কাইভ টা কি আপনি দেখেছেন? বিবর্তনের উপর নানা ধরনের ভুল ভ্রান্তিগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা সেখানে। সেখানে আপনার কন্ট্রিবিউশন কি পাওয়া সম্ভব? আপনি বধ হয় অন্য সামু বা অন্য কোন ব্লগে এপেণ্ডিক্স এবং অন্যান্য নিষ্ক্রিয় অংগ নিয়েও কিছু লিখেছিলেন। এ ধরনের লেখা মুক্তমনাতেও পেলে খুশি হব। আপনার এই লেখাগুলো থেকে অনেক তথ্য সেখানে পরিবেশন করা সম্ভব। একটু ভেবে দেখবেন কি?
@অভিজিৎ, বোলতা এবং ভিমরুল সম্ভবতঃ একদম এক না হলেও এরা দুটোই ওয়াস্প ফ্যামিলির। আর প্যারাসিটোয়েড ওয়াস্প ফ্যামিলির সবাই মোটামুটি এই একই পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে থাকে।
অনেকটা তাই। শুধু দয়াময়তা না… এ ছাড়াও রিডান্ডেন্সি এবং অপ্রয়োজনীয়তারও ব্যাপারটাও আছে। যা দরকার নাই খামাকা সেটা কেন করা !! আমার এই লেখার টার্গেট অডিয়েন্স হচ্ছে বিশ্বাসীরা। তাই বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার দিকে যাইনি। কারণ আমরা যারা অলরেডি বিবর্তন তত্ব মেনে নিয়েছি তাদের কাছে এই ইনফর্মেশন গুলো নতুন হলেও আমাদের মনে নতুন করে কোন ভাবনা জাগাবে না।
মুক্তমনার আর্কাইভটা দেখেছি। তবে সব লেখা পড়া হয়নি। আমার লেখা মুক্তমনার আর্কাইভে যোগ হলে তো সেটা আমার জন্যে অনেক বড় ব্যাপার। এ লেখাটা প্রথম পাতা থেকে সরে গেলে আমি ঐ লেখাটা পোস্ট করব। ধন্যবাদ।
:rose2:
@হোরাস,
চমৎকার চিন্তাশীল লেখার জন্য ধন্যবাদ। :rose:
যদিও এ বিষয়ে অভিজিৎ দা বেশ খানিকটা বলেছেন। তবু প্রাসঙ্গিকভাবে আরেকটি পৃথক লেখা আশা করছি। :yes:
আপনার লেখা বরাবরই ভাল লাগে।
@আসরাফ, জেনে খুবই খুশী হলাম। ধন্যবাদ। :rose2:
দারুণ লাগল পড়ে।
যারা The Gods Must Be Crazy 1 মুভিটি দেখেন নাই তাদের জন্য লিংক গুলো দিলাম- part 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11
@সৈকত চৌধুরী, ধন্যবাদ সময় নস্ট করে পড়বার জন্য। লিঙ্ক গুলির জন্যও ধন্যবাদ। অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। আরেকবার দেখতে নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে না।
@ হোরাস, মজার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আমাদের শরীরের ব্যাড ডিজাইন প্রসঙ্গেও একই কথা প্রযোজ্য হতে পারে, শুধুমাত্র বিবর্তনের মাধ্যমের এর ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। আর ওদিকে ৯৯% জীবই যে বিলুপ্ত হয়ে যায় এটার ব্যাখ্যাও বোধ হয় বিবর্তন ছাড়া আর কিছু দিয়েই দেওয়া সম্ভব নয়। একটা সিরিজই না হয় লিখে ফেলুন এগুলো নিয়ে 🙂 ।
@বন্যা আহমেদ,
– এ বিষয়টা জানতে খুবই আগ্রহী, কেউ একজন লিখে ফেলেন।
@বন্যা আহমেদ, ধন্যবাদ উৎসাহ প্রদানের জন্য। চেস্টা করব। :rose2:
আগ্রহ নিয়ে পড়লাম লেখাটা।
কিছু মানুষ হয়তো বলতে পারে আল্লাহর এ ধরণের সৃষ্টি পরিকল্পনার অভিপ্রায় জানা ও বোঝা আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের আওতার বাইরে। 😕
@লীনা রহমান, আপনার কথাটা সত্যি। ইমানদার ব্যক্তি মাত্রেই এই লাইনে বক্তব্য দেবে। তবে কথা হলো আর দশটা প্রাণীকে স্বাভাবিক উপায়ে জন্ম এবং বেড়ে ওঠার সুযোগ দিলেও এদের জন্য এত জটিল এবং ঘোর প্যাঁচের কি দরকার ছিলো। কেন শুধু শুধু শিশু হাঙরেরা একজন আরেকজনকে মেরে ফেলবে এবং খেয়েও ফেলবে। কি দরকার ছিলো এরকম করবার?
মানুষের মাঝেও কেন এরকম ঘটনা দেখা যায় সেটার উত্তর কি হবে (ইমানদারদের)?
পৃথিবীর ইতিহাসে সব পুরোনো সভ্যতা কিংবা মানব সমাজে কোন না কোন ধরনের শিশুহত্যার প্রচলন সবসময়ই ছিলো এবং এ ঘটনা গুলোকে অনৈতিক মনে করা হতো না। কিন্তু সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে বেশিরভাগ আধুনিক সমাজে এখন এধরণের ঘটনাকে অনৈতিক এবং অপরাধ হিসাবে গন্য করা হয়। কিন্তু তারপরও আমরা মাঝে মাঝেই এধরণের ঘটনা শুনি যেমন ধরেন ডাস্টবিনে বাচ্চা ফেলে রেখে যাওয়া, প্রেমের কারণে মায়ের শিশু হত্যা। পশু পাখি হয়ত না বুঝে করে কিন্তু মানুষ কেন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে এবং তার ফলাফল বিবেচনা করে তারপর করে?
ইমানদারদের জন্য ভেবে দেখবার বিষয়, তাই নয়কি?
“সৃস্টিকর্তা কেন এই প্রাণিগুলার ক্ষেত্রেই এমন কস্টদায়ক এবং জটিল পরিকল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন তার কোন ব্যাখ্যা করা যায় না তবে জীব বিজ্ঞানীরা দাবী করে থাকেন এই ঘটনাগুলোর তাৎপর্য্য নাকি বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।”
সৃস্টিকর্তাকে দেখি কয়েকদিন পর সিংহ কেন অন্য প্রানিদের খাবে তা জন্য জবাবদিহি করতে হবে | চালায় যান
@shaibal, আপনার জন্যই পোস্টটা। পোস্টের মূল বক্তব্য রেখে সম্পূর্ন ভিন্ন একটা বিষয়ে মন্তব্য আপনাদেরই মানায়।
কোরানের কোন আয়াত নাই, কিংবা হাদীস? আমাকে একটু দিক নির্দেশনা দ্যননারে ভাই। জানার খুব শখ।
@হোরাস,
সৃস্টিকর্তা কেন এই প্রাণিগুলার ক্ষেত্রেই এমন কস্টদায়ক এবং জটিল পরিকল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন তার কোন ব্যাখ্যা করা যায় না
তবে জীব বিজ্ঞানীরা দাবী করে থাকেন এই ঘটনাগুলোর তাৎপর্য্য নাকি বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
@নৃপেন্দ্র সরকার, আপনি যে কথাটা বলেছেন সেটা আমিও মানি। আসলে আমার লেখার টার্গেট অডিয়েন্স হচ্ছে বিশ্বাসীরা। তাই বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার দিকে যাইনি। কারণ আমরা যারা অলরেডি বিবর্তন তত্ব মেনে নিয়েছি তাদের কাছে এই ইনফর্মেশন গুলো নতুন হলেও আমাদের মনে নতুন করে কোন ভাবনা জাগাবে না।
আর তাই চিন্তার ভারটা তাদের হাতে ছেড়ে দিতেই উপসংহারটা ওভাবে লিখেছি। ধন্যবাদ।
@shaibal,
খামাখাই চিন্তা করে নিজের মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট করছেন কেন? এই মুক্তমনা এবং হোরাসের মত লোকেরা যতই জাবদিহি চেয়ে যাক না কেন সৃষ্টিকর্তা যে কোন কিছুরই জবাব দিবেন না তা নিয়ে তো সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। আপনিও তার মত মূক এবং বধির হয়ে যান দেখবেন আর কোন সমস্যাই থাকবে না।
@ফাহিম রেজা, হা হা …. খুব ভালো একটা পরামর্শ দি্যেছেন। :rose2:
@shaibal,
এখানে দেখুন আল্লাহর কুদরত-
httpv://www.youtube.com/watch?v=DbvDQjhO9nY&NR=1
@আকাশ মালিক, বিশ্বাসীদের মতে সৃষ্টিকর্তা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।
অবিশ্বাসীদের মতে প্রকৃতি সৃষ্টি করেছে সবকিছু।
বিশ্বাসীদের মতে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার ডিজাইনড এবং অরিয়েন্টেড।
অবিশ্বাসীদের মতে বিবর্তনবাদ।প্রকৃতির কি ইন্টেলিজেন্স আছে ? যদি থেকে থাকে তাহলে বিশ্বাসীদের সৃষ্টিকর্তার মতো অবিশ্বাসীদের প্রকৃতিও কি দায় নেবে না??
@তাসকীন,
নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিচ্ছেন যে? ধর্মগ্রন্থগুলোর বহুবিশেষণমণ্ডিত ঈশ্বর আর অবিশ্বাসীদের পর্যবেক্ষণলব্ধ প্রাকৃতিক শক্তি এক পাল্লায় ফেলা ঈশ্বরবিশ্বাসীদের প্রিসেট মাইন্ড কন্ডিশনের ফলাফল। যার বুদ্ধিমত্তা বা বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে প্রাণসৃষ্টি বা এতে বৈচিত্র্যসৃষ্টির কোন কারণ নেই বলেই আপনি বুঝছেন, তাকে দায়ী করার প্রশ্ন আসে কেন?
@তাসকীন,
দায়ভার নেয়ার ব্যপারটি বুঝতে হলে আপনাকে বিবর্তন বুঝতে হবে। বিশ্বাসীরা যেমন ঈশ্বরকে এবং তার সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে নিঁখুত, সুন্দর, মনোহর ইত্যাদি মনে করেন, বিজ্ঞানীরা কিন্তু বিবর্তনকে সেরকম কিছু মনে করেন না। বিবর্তন ঈশ্বরের সৃষ্টির মতো কোন ‘নিখুঁত’ প্রক্রিয়া নয়। বিবর্তন প্রাণহীন, অবচেতন এবং অন্ধ। কোন ‘নিঁখুত সৃষ্টি’র উদ্দেশ্য নিয়ে বিবর্তন কাজ করেনা। সেজন্যই আমাদের আমাদের অক্ষিপটের ঠিক সামনে এই স্নায়ুগুলো জালের মত ছড়ানো থাকে বলে অন্ধবিন্দুর (blind spot) সৃষ্টি হয়। আমাদের প্রত্যেকের চোখেই এক মিলিমিটারের মত জায়গা জুড়ে এই অন্ধবিন্দুটি রয়েছে, আমরা আপাততভাবে বুঝতে না পারলেও ওই স্পটটিতে আসলে আমাদের দৃষ্টি সাদা হয়ে যায়। আমদের দেহে আছে পরিপাকতন্ত্রের অ্যাপেন্ডিক্স কিংবা পুরুষের স্তনবৃন্তের মতো বিলুপ্তপ্রায় নিষ্কৃয় অঙ্গ, যেগুলো দেহের কোন কাজে লাগে না। আছে ‘জাঙ্ক ডিএনএ’, আছে ফ্যালোপিয়ান টিউবের ‘একটোপিক প্রেগন্যান্সি’। আছে বহু নিষ্ঠুরতা – যেগুলো হোরাস উল্লেখ করেছেন তার লেখায়। বিবর্তনের সাহায্যেই কেবলমাত্র এগুলোকে ব্যাখ্যা করা যায়। কোন পরম করুণাময় এবং পার্ফেক্ট সৃষ্টিকর্তার কাজ দিয়ে এগুলো ব্যাখ্যা করা যায় না, কারণ তার কাজ নিঁখুত কিংবা করুণাময় বলে কেউ দাবী করলে এই অপসৃষ্টি এবং নিষ্ঠুরতাগুলোর দায়িত্বও তার ঘাড়েই বর্তাবে।
@অভিজিৎ, :yes: :yes: :yes:
@আকাশ মালিক, চমৎকার ভিডিওটার জন্য ধন্যবাদ। লিঙ্কটা আগে পেলে মূল পোস্টেই যোগ করে দেয়া যেত। ভিডিও’টা দেখলেই বিশ্বাসীরা খুব সহজেই বুঝতে পারবে ডিজাইনারের মাথায় আসলেই সমস্যা আছে।