কয়েক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল আমেরিকা ইরানের পারমানবিক বিষয় নিয়ে এত যে মাতামাতি করছে তার পিছনে একটা গভীর উদ্দেশ্য কাজ করছে। কারন ইরান এমন কোন শক্তি নয় বা তার এমন কোন হিম্মত নেই যে আমেরিকাকে চ্যলেঞ্জ করবে। সাথে সাথে এটাও মনে হচ্ছিল সে উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে সৌদি আরবে বিপুল পরিমান অস্ত্র বিক্রি করা। মনে হতে না হতেই দেখলাম আমার অনুমান শতভাগ সত্যি। আমেরিকা সৌদি আরবের কাছে ৬০০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করার চুক্তি করেছে। অত্যাধুনিক মডেলের এফ-১৫ জঙ্গী বিমান, এপাচি ও ব্লাক হক হেলিকপ্টার, ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র সহ নানান কিছিমের বিপুল সংখ্যক অস্ত্র বিক্রি করার ব্যবস্থা হয়েছে। তার মানে ইরান নিয়ে এত মাতামাতির কারন আমেরিকার অস্ত্র বিক্রির রাস্তা পরিস্কার করা আর একই সাথে তাদের গুদামে পড়ে থাকা তাদের কাছে সেকেলে অস্ত্র ভান্ডার খালি করে গুদাম পরিস্কার করা। আর পরোক্ষ ভাবে আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাংকে সৌদিদের অলস পড়ে থাকা বিপুল অর্থকে স্রেফ গায়েব করে সৌদিদের পকেট ফাকা করে দেয়া। ইতোপূর্বে দেখা যেত যখনই আমেরিকা আরব দেশসমূহে অস্ত্র বিক্রি করত, ইসরাইল তা নিয়ে মাতম শুরু করত। এবারে একদম চুপ। ইসরাইল চুপ আর তার শক্তিশালী মার্কিন লবিও চুপ। কারন কি ? কারন হলো – ইসরাইলও ইরানের হম্বি তম্বিতে একটু হলেও ভয় পেয়েছে, আর তাই আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এ ফর্মুলায় ইসরাইল এ বিপুল অস্ত্র বিক্রির ব্যপারে একেবারে নিস্ক্রিয়। এক্ষেত্রে ইসরাইলের শত্রু হলো ইরান, ইরানের শত্রু হলো সৌদি আরব, আর তাই এখন সৌদি আরব ইসরাইলের বন্ধুর ভুমিকায় অবতীর্ন। তবে অন্য একটা কারনও আছে ইসরাইলের এ নিশ্চুপ ভুমিকার। তা হলো- আমেরিকা ইসরাইলকে সর্বাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের স্টীলথ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জঙ্গী বিমান দিতে সম্মত হয়েছে। পক্ষান্তরে আমেরিকা সৌদিকে দিচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৫। তাছাড়া ইসরাইলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আ্যন্টি ব্যলাস্টিক মিসাইল ব্যটারী তো আছেই । তাই ইসরাইলের চিন্তার তেমন কোনই কারন নেই। মনে পড়ে ১৯৮১ সালের দিকে ইরাক যখন তার পারমানবিক প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন হঠাত এক রাতে ইসরাইলের জঙ্গী বিমান বহর ঝটিকা আক্রমন চালিয়ে পুরো প্রকল্প মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এবার সে কেন ইরানের ব্যপারেও একই পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। বিষয়টি আমাকে বেশ আশ্চর্য করছিল। এখন বোঝা গেল কেন ইসরাইল সে কান্ডটি করেনি। অথচ ইসরাইলের এখনও সে কান্ডটি করার ক্ষমতা বিদ্যমান।
সুতরাং এর সাথে নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরো পয়েন্টের কাছে মুসলমানদের ইসলামী সেন্টারের নামে মসজিদ স্থাপনের পরিকল্পনার একটা যোগ সূত্র বিদ্যমান। যাতে নাকি সৌদি প্রিন্সের এক বিরাট আর্থিক অবদান থাকবে। আমেরিকা চাচ্ছে তার পুরনো অস্ত্র বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করতে ও একই সাথে তাদের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও সচল করতে, সৌদিরা আর আগের মত অত বোকা নেই, তারা ভালই জানে যে আমেরিকা ইরানকে দিয়ে খেলিয়ে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চায় ও তাদের কোষাগার নি:শেষ করতে চায়, তাই তারাও যতটা সম্ভব আমেরিকাতে ইসলাম রপ্তানী করতে চায় এ সম্ভাবনায় যে দুর ভবিষ্যতে হলেও যদি আমেরিকাকে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ করা যায়। কারন এখন সৌদিরা বুঝে গেছে তেল হয়ত আর বেশীদিন থাকবে না, যখন তা ফুরিয়ে যাবে তখন আর কোন কিছু্ই করা যাবে না, কোন কৌশল খাটানো যাবে না , তাই তা থাকতে থাকতেই যতটা ব্যবহার করা যায় ততই মঙ্গল। ফ্লোরিডার প্যষ্টরের কোরান পোড়ানোর যে পরিকল্পনা আমার কাছে মনে হচ্ছে তা আমেরিকা সরকারী মহল থেকেই উস্কে দেয়া হয়েছে যাতে আমেরিকানদের মনে ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশী ঘৃণার সৃষ্টি করা যায়, যাতে করে গ্রাউন্ড জিরো পয়েন্টের কাছে ইসলামী প্রকল্পের বিরুদ্ধে আরও বেশী মার্কিনী সোচ্চার হয় , যার পরিনতিতে সরকার সেখানে জনমতের অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্দ করার ঘোষণা দিতে পারে। তার মানে আমেরিকা সৌদিদের কাছে অস্ত্রও বিক্রি করতে চায়, অথচ গ্রাউন্ড জিরোতে কোন মসজিদ নির্মান করতে দিতে চায় না। অথচ আমেরিকার সরকার সৌদি রাজ পরিবারকে বুঝ দিতে চায় যে সরকারের পক্ষ থেকে কোন দ্বিমত ছিল না মসজিদের ব্যপারে কিন্তু জনমত বিরুদ্ধে যাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আমেরিকা সাপও মারতে চায় কিন্তু লাঠি ভাঙতে চায় না। তবে এ ব্যপারে আমার কাছে মনে হয় যে- মসজিদ নির্মানের ব্যপারে প্রেসিডেন্ট ওবামার সায় থাকলে থাকতেও পারে কিন্তু সে ভিতরের কুটচাল সম্পর্কে অতবেশী অবহিত ছিল না আর অবহিত থাকলেও তার করার কিছু নেই। তাই সে ধরি মাছ না ছুই পানি জাতীয় একটা বক্তব্য প্রদান করেছে অতি সুকৌশলে আর যার আসলে তেমন কোন সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। আর কে না জানে ওবামা এ ধরনের আকর্ষণীয় অথচ সুনির্দিষ্ট অর্থহীন বক্তব্য প্রদানে দারুন পারদর্শী? মূলত তার এ বিরল বাকপটুতার কারনেই আজকে সে আধা কালো হওয়া সত্ত্বেও এত দুর আসতে পেরেছে। আমেরিকাকে তো আসলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট চালায় না , চালায় ওদেশের কর্পোরেট কোম্পানীগুলো, সি আই এ আর ইসরাইলী লবী। এখানে একটা ব্যপার কিন্তু খুব ভাল ভাবে বুঝতে হবে , যখনই ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিশ্চিত হয়ে গেছিল তখন তার সম্ভাব্য ইসলামের প্রতি দুর্বলতাকে প্রতিরোধ করতেই হিলারী ক্লিন্টনকে তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়। আর কে না জানে হিলারী ক্লিন্টনের ইসরাইলি প্রেম অত্যাধিক। অন্য কথায় হিলারী ক্লিন্টন নামেই ডেমোক্রাটিক আসলে তার নীতি আদর্শ রিপাবলিকানদের মতই কট্টর। অনেকেই জানেন, বুশ জুনিয়র যখন ইরাক আক্রমনের জন্য কংগ্রেসে ভোটাভুটি করছিল তখন হিলারী ক্লিন্টন অত্যন্ত প্রভাবশালী ডেমোক্রাটিক লীডার ও সরকার বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও বুশের পক্ষে মানে সরকারের পক্ষে ভোট দেয়। যার ফলে বুশের পক্ষে সহজ হয়ে যায় ইরাক আক্রমন করা। ওবামার হাতকে আরও ছেটে ফেলার জন্যে হোয়াইট হাউজ স্টাফ প্রধান করা হয় এক কট্টর ইহুদি রাম ইম্মানুয়েলকে।
কমুনিষ্টদের বিরুদ্ধে তথা প্রাক্তন সোভিয়েত রাশিয়ার আমলে আসলে আমেরিকার অস্ত্র বিক্রির জন্য ভাল উপলক্ষ্য ও অজুহাত ছিল। রাশিয়ার পতনের পর বেশ বেকায়দা অবস্থায় ছিল আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ীরা কিন্তু বুশ সিনিয়র অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করায় মানে ইরাক আক্রমন করে তা সামাল দেয়। এর পর ক্লিন্টনের আমলে তারা আবার বিপদে পড়ে। অস্ত্র ব্যবসায়ে ভাটা পড়ে কারন ক্লিন্টন বহির্বিশ্ব নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে বেশী মাথা ঘামায়, জোর দেয় আভ্যন্তরীন অর্থনীতি চাঙ্গা করা ও বেকারত্ব দুর করার প্রচেষ্টায়। তাতে সে বেশ সফলও হয়, তার আমলে আমেরিকায় বেকারত্বের মাত্রা ছিল সব চাইতে কম। তার আমলে আমেরিকার সাধারন মানুষ ভাল ভাবে থাকলেও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য ছিল খারাপ। একই সাথে বিশ্ব মোড়লীপনাতেও একটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল তখন আমেরিকার। অত:পর বুশ জুনিয়র আসার পর অস্ত্র ব্যবসায়ীরা নড়ে চড়ে বসে ও বিশ্ব মোড়লিপনাতে গতি আসে। আর তার আমলে অজুহাতটাও পাওয়া যায় ভাল আর সেটা হলো টুইন টাওয়ার ধ্বংস। ব্যাস, এবার দৃশ্যপটে কম্যুনিজম এর পরিবর্তে আসে ইসলাম তথা ইসলামী সন্ত্রাস। শুরু হয় একের পর এক আক্রমন, আফগানিস্তান, ইরাক ইত্যাদি। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা নড়ে চড়ে বসে। কিন্তু আসলে বুশের এসব কর্মকান্ডে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা তেমন বাড়ে না। কারন মার্কিনীরা নিজেরাই যদি বাইরের দেশ আক্রমন করে তাহলে তার বন্ধু রাষ্ট্র গুলোর তো আর অস্ত্র কেনার দরকার পড়ে না। অচিরাত আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে আর তা ফলে তারা আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারের সন্ধানে হন্যে হয়ে লেগে পড়ে। উপলক্ষ্যও পেয়ে যায় ইরান ও উত্তর কোরিয়া। ইরানের জুজু দেখিয়ে আরব দেশ গুলোতে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে আর উত্তর কোরিয়ার জুজু দেখিয়ে দক্ষিন কোরিয়া ও জাপানে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে। আরব দেশের আছে পেট্রো ডলার , দক্ষিন কোরিয়া ও জাপানের আছে বানিজ্য উদ্বৃত্তের বিপুল অর্থ। চায়না কার্ড খেলে তাইওয়ানের কাছেও ভাল রকম অস্ত্র বিক্রি করা যাবে। দেশ ছোট্ট হলে কি হবে, তাইওয়ানের আছে বিপুল বানিজ্য উদ্বৃত্ত অর্থ। এসব কারনেই ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক ইস্যূ বর্তমানে সবচাইতে বড় ইস্যূ যা আমেরিকার দরকার তার অস্ত্র বিক্রির স্বার্থে। আর এ ব্যবসার মধ্যে সৌদি আরব সুযোগ বুঝে তার ইসলাম রপ্তানী করতে চায় আমেরিকা ও ইউরোপে তার পেট্রোডলারের জোরে। মাঝখান দিয়ে লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফিও এ খেলায় অংশ নিতে চায়। তাই তো সেদিন সে ইতালী গেছিল বেড়াতে। এক কোম্পানীকে অর্ডার দিয়েছিল ৫০০ সুন্দরী মেয়ে জোগাড় করতে যাদেরকে জনপ্রতি ১০০ ইউরো করে ভাতা দেয়া হবে। শর্ত ছিল মেয়েদের উচ্চতা কম পক্ষে ৫ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে, শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে। ইতালীতে চলছে উচ্চ হারের বেকারত্ব, তাই টাকার বিনিময়ে মেয়ে জোগাড় করতে মোটেও বেগ পেতে হয় নি। অনুষ্ঠানে আসা সব মেয়েকেই ভাল খানা পিনা দেয়া হয়, ভাতা দেয়া হয় আর উপহার হিসাবে একটা সুদৃশ্য মলাট আবৃত কোরান উপহার দেয়া হয়। আমি তখন ইউরোপে ছিলাম , দেখলাম খবরটা বেশ বড় করেই পত্রিকাতে ছেপেছে। আমার বেশ মজাই লাগল খবরটা পড়তে। অন্যদিকে হলান্ডের কট্টরপন্থি নেতা গার্থ বিল্ডারসকে দেখলাম আমেরিকায় সফর করছে আর বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে, জোরে সোরে আমেরিকানদের কাছে আর্জি জানাচ্ছে তারা যেন জিরো পয়েন্টের কাছে কোন মসজিদ স্থাপন করতে না দেয়। বলা বাহুল্য , গার্থ বিল্ডারস হলো হলান্ডের উঠতি নেতা যে মুসলমান ইমিগ্রান্টের কট্টর বিরোধী কারন তার ধারনা মুসলমানরা গোপনে গোপনে ইউরোপে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সেখানে কোরান হাদিস ভিত্তিক শরিয়া আইন চালু করতে চায়। গেল সাধারন নির্বাচনে সে বেশ ভাল ফলাফল করেছে হলান্ডে এখন তাকে বাদ দিয়ে সরকার গঠন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। মজার ব্যপার হলো- ইউরোপে দেখলাম প্রতিটি মুসলিম নারী হিজাব পরে ঘোরাঘুরি করে তা যেন অনেকটা ইউরোপীয় মুক্ত সমাজের প্রতি চপেটাঘাতের মত। আমি কিছু সাধারন লোকের সাথে এ বিষয়ে কথা বললাম- দেখলাম তারা এখনও বিষয়টাকে ব্যাক্তি স্বাধীনতার পর্যায়ে রাখতে পছন্দ করে আর ইসলাম যে তাদের জন্য একটা হুমকি অনেকেই ব্যপারটাকে আমলে নিল না। মোট কথা, অস্ত্র ব্যবসা, পেট্রো ডলার, ইসলাম সমন্বয়ে একটা বেশ জটিল লড়াই শুরু হয়েছে দুনিয়া ব্যপী। এখন অপেক্ষা কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাড়ায়।
‘
বিস্ময়কর ব্যপার।এই ব্যাপারটা ভাবিত করে বেশ। উন্নত বিশ্বই বা কি চায়, আর যারা ধর্মের নামে কট্ট্ররবাদী তারাই বা কি চায় বোঝা মুশকিল। হঠাৎ করে বিশ্বব্যাপি যেন ধর্মের ডামাডোলে মুখরিত।
সব চাইতে অবাক হই আবার বিরক্ত হই যখন কেউ হজ্জ্ব করার জন্য জবরদস্তি করে। আসলে এসব কি ব্যাবসাসুলভ আচরণ নাকি ধার্মিক আচরন জানিনা। অনেক পরিবারেও দেখেছি একপুরুষ আগে এমন রোজা,নামাজ করতেন না। আমি নাস্তিক নই। তবু সব ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ভালো লাগেনা। ধর্ম ব্যাপারটাকে ব্যাক্তিগত মোড়কে আবদ্ধ রাখার পক্ষপাতি।
@আফরোজা আলম,
উন্নত বিশ্বের মানুষরা তাদের ব্যাক্তি জীবন নিয়ে এত বেশী আত্মকেন্দ্রিক যে অন্য সব বিষয় নিয়ে ভাবার ন্যূনতম আগ্রহ তাদের নেই। আর এই ফাক তালেই ইসলাম সেখানে ঢুকে পড়ে ঝামেলা পাকানোর তালে আছে। তবে বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দার কারনে মানুষকে একটু নিজ জীবনের বাইরের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হচ্ছে আর তা ঘামাতে গিয়েই ইসলামের এসব ষড়যন্ত্র টের পাচ্ছে। সে কারনেই পশ্চিমা দেশ সমুহে ক্রমশ ইসলামের ব্যপারে নেতিবাচক ধারনা গড়ে উঠছে। যেমন- হলান্ডে গত সাধারন নির্বাচনে গার্থ বিল্ডার্স নামক এক চরম ইসলাম বিদ্বেষী নেতার দল পার্লামেন্টের বহু সংখ্যক আসনে জিতেছে। তার মানে তার আহ্বান সাধারন মানুষ গ্রহন না করলে তো তার দল এরকম ফলাফল করত না। ইউরোপের প্রতিটি দেশেই বর্তমানে এ ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতির প্রভাব বাড়ছে ক্রমশ। অর্থনৈতিক মন্দা না হলে এটা হতো কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে অবশ্য কারন তাহলে সাধারন মানুষ বিষয়টি নিয়ে এখনও হয়ত মাথা ঘামাত না।
@আফরোজা আলম,
আমার মনে হয় যে ধর্ম আসলে সবথেকে বড় অসৎ ব্যাবসা।
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম। একটু সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব। যদিও আমি এই বিষয়ে বুঝি সামান্যই।
@আফরোজা আলম,
আপনি যে কষ্ট করে পড়বেন এতেই আমি ধন্য।
বেশ কিছুদিন ইউরোপ সফরে ছিলাম তাই লিখতে পারিনি। তা ছাড়া আমি যে সব বিষয়ে লিখি তা লিখতে গেলে অনেক খাটুনি করে লিখতে হয় তাই খুব তাড়া তাড়ি কিছু লেখা যায় না। যাই হোক, আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
ভবঘুরে;
আপনার বিশ্লেষনটা ভাল লাগল। সুন্দর যোগাযোগ
ইসলাম বিক্রি করছে তেল
আমেরিকা ও কাফেররা বিক্রি করছে অস্ত্র
ইসলাম সেই অস্ত্র কিনছে তেলের টাকায়
কাফেররা কিনছে ইসলাম অস্ত্র বিক্রির টাকায়
কী সুন্দর একটা চক্র তৌরী হয়েছে।
আচ্ছা আপনি কি ভবিষ্যত দেখেন?
তা’হলে বলুন ত গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ কি শেষ মেস হবে?
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আসলে আপনাদের মত জ্ঞানী গুনী মানুষের তারিফ আমাদেরকে লিখতে অনুপ্রেরনা দেয়।
আমি বলতে পারি – গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ হবে না। দিন যত যাবে মার্কিনীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। এখন ৬৮% লোক মসজিদের বিরুদ্ধে, এর পর তা ক্রমশ: বাড়তে থাকবে।
আমার কাছে এটাকে একটা ইহুদি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। ইহুদীরা আসলে পশ্চিমাদের সাথে ইসলামের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধাতে চাইছে যে কোন প্রকারে। ব্লুমবার্গ তলে তলে কট্টর ইহুদি যে কিনা মসজিদের অনুমতি দিয়েছে। দালান তৈরীর যে ঠিকাদার সেও একজন ইহুদি। যে কোন ভাবেই তারা অন্য লোককে দিয়ে সৌদি আরব ও রউফকে বুঝিয়েছে গ্রাউন্ড জিরোতে ইসলামী সেন্টার করলে তা আমেরিকার সাথে ইসলামের মেল বন্ধন উন্নত হবে। মার্কিনীরা ইসলাম আরও ভাল জানতে পারবে। ইসলামের ভাব মূর্তি উজ্জ্বল হবে। ব্লুমবার্গ ভালই জানত সাধারন মার্কিনীরা বিষয়টিকে মোটেও সহজ ভাবে গ্রহন করবে না। তাই সে অনুমতি দিয়ে একটা বিরাট জুয়া খেলেছে। তা ছাড়া আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী অনুমতি সে দিতেও বাধ্য। আর এখানেই মুসলমানরা আবার মোটা বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। টাকা থাকলেই যে সব কিছু করা যায় না এটা তাদের মাথায় আসে নি। আসবেও বা কিভাবে তারা তো গনতান্ত্রিক পরিবেশের ভাব সাব বোঝে না। বুদ্ধিতে এখানে ব্লুমবার্গ বা ইহুদিরা ধুরন্ধর রউফকে টেক্কা দিয়েছে। ইহুদীদের এ জুয়া খেলায় আপাতত তারা জয়ী মনে হচ্ছে , ফাইনালেও তারাই জয়ী হবে কারন দিন যত গড়াবে ততই মার্কিনীরা আরও বেশী সোচ্চার হবে মসজিদের বিরুদ্ধে কারন জায়গাটা যে ভীষণ স্পর্শকাতর। তখন আমেরিকার সংবিধান যাই বলুক, আমেরিকার সরকার রউফকে মসজিদ বানাতে দেবে না। সোজা হিসাব। আর এটাই গনতান্ত্রিক রীতি। একটা জিনিস ভালমতো বুঝতে হবে-মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়।
ফলাফল- খোদ আমেরিকা তো বটেই গোটা পশ্চিমা বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমশ: দানা বেধে ওঠা বিদ্বেষকে আরও উস্কে দেয়া যাতে মুসলমানদেরকে কোন ঠাসা করে ফেলা যায়। অন্য ধর্মের লোকরা মুসলমানদেরকে উদার দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পারে কিন্তু ইহুদীরা কখনই নয় কারন কোরানে ইহুদি দেরকে বানর বলে গাল দেয়া হয়েছে যা তারা কখনই ভোলে না, তাই তাদের আপ্রান চেষ্টা মুসলমানদেরকে বানর প্রমান করা।
@ভবঘুরে,
আপনার ভাবনাটা বেশ চিত্তাকর্ষক যদিও অনেকে কন্সপিরাসী থিওরী বলবে। তবে সব কিছুই সম্ভব—সবই আল্লা পাকের ইচ্ছা।
দেখা যাক ইমাম রোউফের কতদুর দৌড়।
কোন ঘটনার স্বতঃস্ফুর্ততা অথবা ‘ষড়যণ্ত্র’ এ ছাড়া আর কী কোন বিশ্লেষণ আছে ?
কমিউনিজমের ‘ভুত’ এর পতনের পর ইসলামী মৌলবাদের ‘ভুত’ দরকার পড়ে, নইলে যে ভুতে বিশ্বাস উঠে যাবে।
আর ভুতে বিশ্বাস থাকলে ভগবানে বিশ্বাস থাকে কী করে?
দিব্য চোখে জগতকে না দেখে খোলা চোখে জগত দেখতে সচেষ্ট থাকলে অনেক কিছু খোলাসা হতে পারে।
“তাই তারাও যতটা সম্ভব আমেরিকাতে ইসলাম রপ্তানী করতে চায় এ সম্ভাবনায় যে দুর ভবিষ্যতে হলেও যদি আমেরিকাকে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ করা যায়।”
সউদি আরব ইসলাম রপ্তানি করার মত ঘেলু মাথায় রাখেনা | গ্রাউন্ড জিরো পয়েন্টের কাছে মুসলমানদের ইসলামী সেন্টারের নামে মসজিদ স্থাপনের পরিকল্পনার সাথে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ হবার স্বপ্ন?? দিল্লি বহুত দুর |
@shaibal,
দিল্লি অবশ্যই অনেক দূর। কিন্তু শুরুটা তো তারা করে ফেলেছে। আশঙ্কার কথা এখানেই। এই একটা কাজ করলেই তারা বিরাট কিছু করে ফেলবে- তা কিন্তু না। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে আগমন ধ্বনি তো জানিয়ে দিচ্ছে।
@shaibal,
কি যে বলেন । সউদি আরবই তো বর্তমানে ইসলাম রপ্তানীর নেতা। এর জন্য তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। এটা তারা করছে যাতে আর কিছু না হোক তাদের হজ্জ বানিজ্যটা ঠিক রাখা যায়। কারন তেল ফুরালে তো তাদের বাচতে হবে। আরবদের মাথায় ঘিলু না থাক তাদের দোসরদের মাথায় তো ঘিলু আছে যেমন আব্দুর রউফ, জোকার নায়েক, হারুন ইয়াহিয়া ইত্যাদি।
@ভবঘুরে, ইরাকে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী সউদি আরব | রিয়াদের নীতি সন্ত্রাসীদের সমর্থন করার | সৌদিআরব তাদের দেশের উত্তরাঙ্চলের আকাশসীমা ব্যাবহারের জন্য ইসরাইলকে অনুমতি দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের টিউমার ইসরাইল ইরানের চারটি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা করার পরিকল্পনা করেছে। অন্যদিকে সৌদি আরব এই করিডোর দিলেও নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক। তবে তাদের অটোমেটিক বিমানবিধ্বংসী সিস্টেম ইসরাইলের বিমানের কোন ক্ষতি করবেনা বলে কথা দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সৌদি আরব কেন এই ধরনের মুনাফেকি সিদ্ধান্ত নিল? মুসলমানদের তীর্থস্থানে বসেও তাদের এত ভয় কিসের? তাদের কি এক আল্লাহ ও তাঁর রাসুলে পূর্ন বিশ্বাস ও ঈমান নেই? সৌদিআরবের শাসকদের এই সিদ্ধান্ত, আরব ইসরাইল সংঘাতে তাদের ভুমিকা, আমেরিকা সৌদি আরবের ভাই বেরাদর সম্পর্ক প্রমান করে , সউদি আরব বর্তমানে ইসলাম রপ্তানীর জায়গায় নেই | বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ জুজু মাত্র | হজ্জ কার কি অসুবিধা করেছে | এ ত বহু পুরান জিনিস |
@shaibal,
হজ্জ কারো অসুবিধা করেনি। ওটা সৌদিদের আয়ের একটা উপায়। দুনিয়া ব্যপী মানুষদেরকে হজ্জ ব্রতে উজ্জীবিত করলেই সে না তারা হজ্জে যাবে আর তাহলে তাদের তেল ফুরোলেও কোন অসুবিধা নেই। ইসলামকে উজ্জীবিত করতে পারলেই না সবাই হজ্জে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠবে। কারন ওখানে একবার যেতে পারলে যাবতীয় গোনাহ মাফ, অত:পর অক্কা পাওয়ার পর সোজা বেহেস্তে গিয়ে হুর দের সাথে ফুর্তির ব্যবস্থা সাথে মদের নহর তো আছেই। আর সেকারনেই সৌদিদের অর্থ বিনিয়োগ ইসলাম রপ্তানীতে।
অবশ্যই নেই। আরব হিসাবে ওরা খুব ভাল করেই ইসলামের ভেল্কিবাজী ও জারি জুরি সব জানে আর জানে বলেই আল্লাহ রসুলের ওপর বিশ্বাস না করে কাফের ও মুরতাদ মার্কিনী ও ইহুদিদের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে। অতি সহজ সমীকরন। এসব জারি জুরি খালি জানে না অনারব মুসলমানরা। আফসোস!!!
@ভবঘুরে,
মানুষজন ফার্মভিলের বোনাস গিফটের লোভই সামলাতে পারে না, গণহারে রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে, আর বেহেশ্ত তো মানে যাকে বলে বেহেশ্ত! স্বর্গ সহজতর করে মানুষ ধর্মের নামে অনাচার না করলেই ত হল, তাই না? আয়ের একটা উপায় ঠিক আছে, ভালো দিকটাও দেখবেন আশা করি |
@ভবঘুরে,
একমত আপনার সাথে। খুব সুবিধা হত বাংলাদেশে কাবা ঘরটা থাকলে।৫৬০০০ বর্গ মাইলের এই দেশটিতে ১৬ কোটি মানুষের বাস। ভাবতেই শিউরে উঠি। কাবা ঘরটি এখানে থাকলে অন্য কিছুর দরকার ছিল না। যেভাবে মুসলিম রা যান বাজি করে, নিজের শেষ সম্বল টুকু নিয়ে হজ করে, তা দেখে পুলকিত হই।আল্লাহ আসলে তেলা মাথায় তেল ঢালতে পছন্দ করেন। হজ যে দেশে সেই দেশেই দিল তেল।বাংলাদেশে দিলে কি হত?তেল না দিলেও অন্তত হজের ঘর কাবা!
@ভবঘুরে,
দুইটা উদাহরণ খুবই প্রযোজ্য। না বলে থাকতে পারছি না।
উদাহরণ এক
আমেরিকার প্রথম পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে বাংলাদেশের এক প্রফেসর আসেন এক বছরের সৌদি ফেলোশীপ নিয়ে। রিসার্চের ‘র’ পর্যন্ত করেন নি। আমেরিকার বিভিন্ন শহর ঘুরে বেড়িয়েছেন লেকচার দিতে। যার সাথে তার কাজ করার কথা ছিল তিনি বুঝতেই পারেন নি এই বাংলাদেশী প্রফেসরটি কেন এসেছিলেন। আমাদের শহরের কালচারটাই পরিবর্তন করে দিয়ে গেছেন। তিনি চলে গেছেন। কিন্তু এখনও অন্যদেরকে ডিনারে ডাকলে আমার বাসাতেও সন্ধ্যার নামাজ পড়া হয়।
উদাহরণ দুই
১৯৭৮ সালে ব্যাংককে এক বাংলাদেশীর সাথে পরিচয় হয়। একদিন তার বাসায় লাঞ্চও করি। থাই মুসলিমদেরকে সৌদি টাকা বিলি করা ছিল তার কাজ। তাদের মাধ্যমে দরিদ্র থাইদেরকে ধর্মান্তরিত করার প্রজেক্ট নিয়ে তিনি কাজ করতেন। একটা ছবি তার সাথে আছে। পেলে পোস্ট করব।
১৯৭৮ সালের কথা। বছর খানেক আগে থাইল্যান্ড মুসলিম সমস্যা নিয়ে উত্তপ্ত হল।
চমতকার এনালাইসিস, যদিও বেশ কিছু ব্যাক্তিগত এজাম্পশন আছে। তাও বলতে হয় যে খুবই বাস্তব ভিত্তিক এনালাইসিস। আমেরিকান অস্ত্র ব্যাবসায়ীরা যে শুধু বাইরেই বিক্রি করে তাই নয়। নিজের দেশেও ভালই ব্যাবসা করে।
এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে বাঁচার উপায় কি সেটাই সাধারন মানুষকে বার করতে হবে। কে শুরু করেছে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল এর শেষ বার করতে হবে। আমেরিকার ইসরাঈল নীতির কারনে বোমাবাজি, তার ফলশ্রুতিতে অন্য দেশে যুদ্ধাভিযান ও দেশ দখল, এর প্রতিশোধ হিসেবে আরো বোমাবাজি, তার পালটা হিসেবে আরো দেশ দখল…এর শেষ কোথায়?
মানব সভ্যতার এই প্রান্তে এসেও সামরিক বাজেটের পেছনে লক্ষ কোটি ডলার ব্যায় অত্যন্ত লজ্জাজনক।
@আদিল মাহমুদ,
পুজিবাদী অর্থনীতির এটাই পরিনতি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি পুজিবাদী অর্থনীতি তার চুড়ান্ত বিকাশের পর্যায়ে পৌছে গেছে। এর পর আর বিকাশের কোন যায়গা নেই। তাই তাড়াতাড়ি নতুন ধরনের কোন অর্থনৈতিক দর্শন মানুষকে উদ্ভাবন করতে হবে। না হলে মানব জাতির কপালে খারাবি আছে।
@ভবঘুরে,
পেট্রো ডলার , অস্ত্র ব্যবসা, ইসলাম কোনটাই আজকের ঘটনা। গত ষাট বছরের উপরে হলেও এটা চলছে। পানি অনেক আগেই গড়িয়েছে।
এখানে দ্বিমত আছে, যদিও আপনার পুজিবাদী অর্থনীতির সংজ্ঞা আমি জানি না। কিন্তু কোন কিছু চুড়ান্ত বিকাশে পৌছলেই কি অন্য দর্শন লাগবে? তার মানে বিজ্ঞান যদি তার চুড়ান্তে পৌছায় আমাদের কি অন্য কোন বিজ্ঞান খুঁজা লাগবে? আমি এই বক্তব্যটি বুঝতে পারিনি। বর্তমানে যে অর্থনীতি রয়েছে সেটাই ক্লাসিকাল অর্থনীতি। মার্ক্স এর সমাজতন্ত্র যে বাস্তববাদী নয় সেটা লেনিন এবং স্টালিন এর রাশিয়ার অর্থনীতি দ্বারাই প্রমানিত। চীন নিজেও এখন আধুনিক অর্থনীতি মেনেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তাই এই অর্থনীতির বাহিরে নুতন কি অর্থনৈতিক দর্শন হতে পারে বলে আপনার ধারণা। এটা নিয়ে বিস্তারিত লিখলে জানতে পারতাম।
আপনার এবারের লেখাটা ভাল লাগলো। বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে স্বাধীন হতে পেরেছেন। আপনার মানসিকতায় একটা গুনগত পরিবর্তনের আভাস পাচ্ছি।
আসলে ৫০/৬০ বছর আগেও প্রতিটা মুসলমান দেশই ছিল ইউরোপের কলোনী। তাই মুসলিম আতংকের ইস্যু ইউরোপ ও আমেরিকার ক্ষেত্রে সমান আবেদন রাখে না।
আসলে কোন ধর্মই এখন আর পৃ্থিবীর জন্য হুমকি না। পাশ্চাত্য সভ্যতার জন্য হুমকি হতে পারে কেবল এর থেকে আরো আধুনিক কোন সভ্যতা। প্রাচীন কোন সভ্যতা দ্বারা এর প্রতিস্থাপন কোন ভাবেই সম্ভব না। এই ইস্যুগুলিকে জিইয়ে রাখা হয় বানিজ্যিক কারনে। আসলে মুসলমানদের এই সাম্প্রতিক, বিশেষত ৭০ এর দশক থেকে চোখে পড়ার মত লম্ফ-ঝম্পর পিছনে তেলের ভূমিকাই মূখ্য।খৃষ্টীয় সভ্যতার গর্ভে যেমন পাশ্চাত্য সভ্যতা বেড়ে উঠেছিল, তেমন কিছু ইসলামের ক্ষেত্রে ঘটেনি। বরং আধুনিকায়ন বলতে তারা গনতন্ত্রের দিকে হামাগুড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে কেবল। এই বৌদ্ধিক বিকাশ নিয়ে কিভাবে তারা পাশ্চাত্যকে চ্যালেজ্ঞ করে সেটাই ভেবে পাইনা।
@আতিক রাঢ়ী,
পর্যবেক্ষণটা সঠিক হল না। ইসলামী আতংক ইউরোপে এখন অনুভূত হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। এ জন্যই হিজাব মিনার ইত্যাদির প্রতি সন্দেহ ও নিষেধাজ্ঞার দাবী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভবঘুরের মূল উক্তিটি (ইসলাম যে তাদের জন্য একটা হুমকি অনেকেই ব্যপারটাকে আমলে নিল না) এটা আগে সত্য হলেও এখন নয়। এখনো কিছু নাইভ ইউরোপিয়ান আছে যারা ইসলাম বলতে হিজাব পরা, মসজিদ নির্মানকেই বোঝাচ্ছে যখন তারা বলছে এটা তাদের জন্য হুমকি নয়। কিন্তু যেটা অনেকে এখন বুঝতে পারছে সেটা হল। ইসলাম ধর্মই ইসলামী মৌলবাদী সৃষ্টির কারণ। ইসলাম ধর্ম ইসলামী মডারেট সৃষ্টির কারণ নয়। ঘুরিয়ে বললে ইসলাম ধর্মে মৌলবাদের বীজ বা ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস বা বীজ কিছু মুসলিমদের মৌলবাদী বানায়। কিন্তু যারা স্বভাবতই মডারেট তারা এই ভাইরাসে ইম্মিউন। ইসলামকে বেশী ছাড় দিলে সেই ছাড়ের সুযোগ শুধু মডারেটরাই নেবে তা তো নয়, মৌলবাদীরাীই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। এটাই এই ভয়টাই এখন ইউরোপে বেশি অনুভূত হচ্ছে যেটা আগে অতটা ছিল না। তার কারণ, বিশ্বায়নের জন্য জেহাদী কর্মকান্ড এখন সহজেই রপ্তানী করা যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। ইন্টার্নেট, কেব্ল টিভির বদৌলতে জিহাদী ট্রেনিং এখন এক দেশের ব্যাপার নয়, এটা এখন মাল্টিন্যাশনাল এফেয়ার ও অনেক বেশি সহজ। বাংলাদেশি জিহাদীরা এখন বিভিন্ন দেশে জেহাডি ট্রেনিং এর জন্য যাচ্ছে। সর্বোপরী এখন মারাত্মক অস্ত্রের বিস্তার, প্রশিক্ষণ ও অনেক সহজ ও সহজলভ্য হয়ে গেছে। তাই মৌলবাদীদের হুমকি হিসেবে দেখাটা এখন বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত। সেটা ইউরোপে হোক বা যে কোন দেশেই হোক। আর যেহেতু মৌলবাদীরা ধর্মেরই প্রডাক্ট তাই সেই ধর্মকেই মানুষ স্বভাবতই ভয় পয়াবে।
@যাযাবর,
আপনার বক্তব্য সঠিক। আমার পরিচিত জনেরা তেমন আমল দেয়নি সত্য , কিন্তু তাহলে গার্থ বিল্ডার হলান্ডে নির্বাচনে পার্লামেন্টে অত বেশী সীট পেল কি করে ? গার্থ বিল্ডার প্রচন্ড রকম ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ।
@যাযাবর,
আমার জানা মতে প্রধান ধর্ম গুলির মধ্যে একমাত্র বৌ্দ্ধ ধর্ম ছাড়া বাকি সবগুলো ধর্মের মধ্যেই মৌ্লবাদের বীজ আছে। বীজের ধর্ম হচ্ছে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে অংকুরিত হওয়া। ইসলাম ও কোন ব্যাতিক্রম না। অনেক হিন্দু এখনো আছেন যারা অন্যের ব্যাবহৃত পাত্রে খানা-পিনা করেন না। পরিস্কার হলেও না। অনেক খৃষ্টান আছেন যারা মুসলমানদেরকে কিটানুর বেশী কিছু ভাবতে পারেন না।
আমার মনে হয় মুসলমানদের প্রতি প্রধান অভিযোগ আসলে সহিংসতা প্রকাশের মাত্রার জন্য। বিশেষত আত্মঘাতী হামলার জন্য। যাদিও আত্মঘাতি হামলার আধুনিক ধরনটির প্রবর্তন করে তামিল টাইগাররা। পরে মুসলিম জংগিদের হামলার সাধারন ধরনে পরিনত হয় এটি। মুসলিম জংগিদের কাছে এর জনপ্রিয়তার কারণ আসলে এর কার্যকরিতার জন্য। তারা মনে করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র জনতাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে মারার জন্য অভিযোগই যথেষ্ট, প্রমাণের পর্ব তুলে রাখা কেবল পশ্চিমাদের জন্য। প্রতিবাদের একটা পথ পেয়েছে তারা। এগুলি কোনটাই একতরফা না।
কমিউনিজমের পতনের পরে হঠাৎ করেই কেন জানি অনেকের কাছে মনে হচ্ছে, মুসল্মান্দেরকে পৃ্থিবী থেকে নিশ্চিন্হ করে ফেললেই পৃ্থিবীটা আবার আগের মত সুজলা-সুফলা হয়ে উঠবে কিন্তু সেই স্বপ্নময় আগেটাযে ঠিক কবে ছিল তা কেঊ বলতে পারে না।
প্রকৃ্ত ইসলাম, প্রকৃ্ত হিন্দু, প্রকৃ্ত খৃষ্ট ধর্ম এসবের ব্যাপারে আপনি কখনই সীদ্ধান্তে আসতে দেখবেন না কাউকে। এগুলি আসলে বহু বহু উপাদান ধারন করে আছে। আছে বহু বছরের লেন-দেনের পারস্পরিক সম্পর্ক।
ইসলাম = জংগীবাদ, কেমন জানি একটা আরোপকরা উপসংহার মনে হয়।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পরেও এর প্রবক্তাদের পথ হাতরাতে দেখা গেছে।
মুসলিম বিশ্বের জন্য কেন্দ্রীয় বিতর্ক হচ্ছে তারা কি অতীতের (নবীর সময়ের) হুবহু অনুকরন করবে নাকি অনেক কিছুরই আধুনিক ব্যাখ্যার প্রয়জনীয়তা আছে। আসলে এই সতঃস্ফুর্ত বিতর্কের মধ্যে দিয়েই মুসলমানদেরকে পথ খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু সন্ত্রাসীর লেবেল পুরো ১০০ কোটি মানুষের গায়ে এটে দিয়ে কোন মঙ্গল বয়ে আনা যাবে না।
আমাদের দেশে যারা বাংলাভাই দের ফাঁসি দিল তারা কি নীজেদেরকে মুসলমান দাবি করে না ? বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রান দিল তারাকি সবাই নাস্তিক ছিল ? মানে বলতে চাইছি কেউকি মুসলমান হলে তার বাকি পরিচয় গুলো উবে যায় ? ধর্ম কি মানুষের একমাত্র পরিচয় ?
নবির ভিন্ন গোত্র আক্রমনের ঘটনা গুলিকে যেমন অর্থনৈ্তিক যোগসূত্র থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা ঠিক হবে না, তেমনি আজকের মুসলিম জংগীবাদকে আরবের তেল ও আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসা থেকে পৃথক করে দেখলে ভুল দেখা হবে।
@আতিক রাঢ়ী,
মৌলবাদ না বলে অন্যধর্মের প্রতি অসহনশীলতা/সহিংসতা বলেঈ তা নিয়ে আলোচনা করি, কারণ সেটাই তো মাথা ব্যাথার মূল কারণ। অন্যধর্মের প্রতি অসহনশীলতা/সহিংসতার প্রসঙ্গে নীচের পয়েন্টগুলো প্রণিধানযোগ্যঃ
১। একমাত্র মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কুরাণে্র আয়াতেই খ্রীষ্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক (হিন্দু ) ও নাস্তিক (বৌদ্ধ) দের নাম উল্লেখ করে তাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে বলে হয়েছে যতক্ষণ না তারা ইসলামের প্রতি আত্মসমর্পণ করে।
২। কুরাণই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যার পুরোটাই আল্লাহর নিজস্ব বাণী বলে দাবী করা হয় আর এই বানী মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমানের পবিত্র দায়িত্ব, না মানলে সে প্রকৃত মুসলমান নয়।
৩। অন্য কোন ধর্মের ধর্মগ্রন্থে কোন শ্লোক বা আয়াতে অন্য কোন ধর্মের নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে সহিংস বাণী প্রচার করা হয় নি।
৪। অন্য কোন ধর্মগ্রন্থের পুরোটা সেই ধর্মের ইশ্বরের নিজস্ব বাণী হিসেবে দাবী করা হয় না আর তা পুরোটা মেনে চলার উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয় নি, ইসলামের মত।
তাহলে অন্য ধর্মের ধর্মগ্রন্থে ধর্মীয় অসনহনশীলতার বীজ কোথায় পেলেন? বাইবেল, তাওরাত, বা গীতার কোন আয়াত বা শ্লোকে মুসল্মান, ইহুদী, খ্রীষ্টানের বিরুদ্ধে সহিংস বাণী দেখেছেন। থাকলে দেখান। সেই সহিংস বাণীটা স্পষ্ট করে নাম উল্লেখ করে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে হতে হবে। কুরাণের ক্ষেত্রে যেটা সত্য।
মুসলিম আত্মঘাতীরা অন্য ধর্মের (বা নিজ ধর্মের মৌলবাদ বিরোধী মানুষদের) নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে। তামিল টাইগাররা নিরীহ মানুষদের টার্গেট করত না।
আর ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলাই শুধু ইস্যু নয়। ইসলামের সমালোচনা করলেই প্রাণনাশ, ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে হত্যা, মেয়েদের পাথর মেরে শাস্তি দেয়া, হিজাব পরতে বাধ্য করা ইত্যাদি। এক কথায় ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা আর মানবাধিকার বিরোধী কাজ করা। আর যারা এরকম করে তারা যে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত তা তো নয়। এরা ইসলামের পন্ডিত বা মাউলানা সাহেব। কোন পুরোহিত বা পাদ্রীকে দেখেছেন তাদের মেয়েদের বা ধর্মের সমালোচনাকারীদের বা অনুশাসন মানেনা এরকম মানুষের প্রতি এই ধরনের সহিংস আচরণ করতে?
কে বলে এই বিতর্ক হচ্ছে বা কেন্দ্রীয়? আপনার নিজের কথা? ইসলাম মানেই কুরাণ ও সুন্নার উপর নিঃশর্ত বিশ্বাস। সুন্নাহ মানে কি? নবীকে অনুকরণ করবে কিনা এই বিতর্ক করলে নবীর অনুকরণের বিপক্ষে যে বলবে তার তো মাথাই কাটা যাবে। এই বিতর্ক কোন মুসলিম দেশে হচ্ছে?। নামটা বলুন।
এটাও আপনার নিজস্ব মনগড়া কথা। অন্যের উপর চাপাবেন না। মুসলমানদের নিশ্চিন্হ করার কথা কোন কড়া ইসলামের সমালোচকেরাও বলে না। ইসলামের সমালোচকেরা শুধু কুরাণ ও সুন্নাহর হিংসাত্মক বাণীসমূহের আর এই বাণীর বাস্তবায়ক ইসলামী চরমপন্থীদের ( তা সে আত্মঘাতী হামলাকারীই হোক বা কোন জিহাদী প্রচারক ইমাম মাওলানাই হোক) সমালোচনা করে।
আবারও বলতে হচ্ছে এটা আপনার নিজের কথা। অন্যের উপর চাপাচ্ছেন । কারা পুরো ১০০ কোটি মানুষের গায়ে সন্ত্রাসীর লেবেল এটে দেয়?। নাম বলুন। এটা দায়িত্বহীন বক্তব্য । এর দ্বারা আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোন ইসলামের সমালোচকেরা (তা যতই কট্টর হোক না কেন) ও এটা বলে না। আপনি এক কল্পিত প্রতিপক্ষকে দাঁড় করিয়ে তার কল্পিত কথা খন্ডন করছেন। এটা এক বৌদ্ধিক অসাধুতা। প্রত্যেক ইসলামী সমালোচনাকারী এই কথাই বলে যে তাদের সমালোচনা বা ঘৃণা মুসলিমদের প্রতি নয়, ইসলামের সহিংস আয়াত বা অনুশাসনগুলির প্রতি আর যেই চরমপন্থীরা তার বাস্তবায়ন করছে তাদের প্রতি।
নবীর ভিন্ন গোত্র আক্রমনের ঘটনা শুধু অর্থনৈতিক কারণেই ছিলনা। ইসলামী আধিপত্যবাদ বিস্তার এক বড় কারণ ছিল। আর অর্থনৈতিক কারণে হলেই কি সন্ত্রাসী আক্রমণ যেমন নিরীহ কাফেলার উপর অতর্কিত আক্রমণ, ইহুদীদের জোর পূর্বক তাড়ান বা কচুকাটা করা, তাদের সম্পদ লুন্ঠন আর তাদের নারীদের গণিমত হিসেবে ছিনিয়ে নেয়া, কাবার সব মূর্তি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া, ইসলাম গ্রহনের “আমন্ত্রণ” জানিয়ে চিঠি পাঠান আর গ্রহণ না করলে আক্রমণ আর জিযিয়া কর আরোপ, এগুলি সব গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে বা সন্ত্রাসী কান্ড বলে ঘৃণীত হবে না? এগুলি সবই ইসলামী জঙ্গীবাদ। এটাই নবীর উদাহরণ তাঁর অনুসারীদের জন্য। আমেরিকার নীতি বা তেল নিয়ে ইস্যু না থাকলেও এই ইসলামের নবীর উদাহরণ ও প্রেরণা বা শিক্ষা বিলুপ্ত হয়ে যাবে না। বরং আমি বলব যে আজকের জঙ্গীবাদকে ইসলামের এই শিকড় (কুরাণ ও সুন্নাহ) থেকে পৃথক করে দেখলে ভুল দেখা হবে। আমেরিকার নীতি বা তেল এতে একটা বাড়তি ইন্ধন যুগিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই ইন্ধন তো অন্য কোন ধর্মের জঙ্গীবাদে ইন্ধন যোগাচ্ছে না। আর আবার মনে করিয়ে দেই ইসলামী জঙ্গীরা নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে (৯/১১ এর ঘটনা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ)। ইসলামী জঙ্গীবাদ একটা না হলে আরেকটা ইন্ধন খুঁজবে। না পেলে কুরাণ ও সুন্নাহই যথেষ্ঠ। কুরাণ ও সুন্নাহ বিশ্বে ইসলামী উম্মা প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছে। কফেরদের নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই তারা পশ্চিমা দেশে শান্তির মুখোশ পরে ঢুকে পড়ছে, কুরান ও সুন্নাহর সর্বকালের নির্দেশকে মাথায় রেখেই।
@যাযাবর,
বললে অনেক কথা বলতে হয়। আপনার সব পয়েন্টেরই জবাব দেয়া যায়। সময়ের অভাবে পারছিনা। তবে এব্যাপারে শীঘ্রই পোষ্টাইবার ইচ্ছা আছে।
বলবো, উদ্ধৃতি সহই বলবো।
হতাশ করলেন। ব্রুনোকে কারা মেরেছিলো ? স্বতীদাহতে কোন মোল্লা অংশ নিয়েছিল? ইউরোপে ডাইনীদের কারা পুড়িয়ে ছিলো ?
আবারো হতাশ হলাম। গীতায় কিভাবে মুসলমান্দের বা খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে সহিংস বানী থাকবে ? কোনটার রচনাকাল কবে ? কিসব এলেবেলে কথা বলছেন?
শুধু অর্থনৈ্তিক কারনের কথা আমি কোথায় বলেছি ?
আমি বলেছিঃ
কিন্তু আপনার উদাহরন গুলোই একটু খেয়াল করে দেখুন, সব গুলোর সাথেই অর্থনৈ্তিক স্বার্থ কোন না কোন ভাবে জড়িত।
@আতিক রাঢ়ী,
খৃষ্টান বা হিন্দুরা ঐ স্তর শত বছর আগেই পার হয়ে এসেছে যে কারনে ওগুলো এখন আর কোন উদাহরন হতে পারে না। এখন কোন খৃষ্টান কোন বিজ্ঞানী বা ডাইনি পুড়িয়ে মারে না। সতী দাহ এখন কোন ধর্মীয় প্রথা নয় যা পালন আবশ্যকীয়। তারপরও মাঝে মাঝে ভারতে এ ধরনের ঘটনা শোনা যায় যা খুবই বিরল ঘটনা তাই তা ধর্মীয় সমালোচনায় ধর্তব্য নয়।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি বর্তমান জগতের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। স্পষ্ট করে না বলাটা আমার ভুল। অতীতে চার্চ অত্যাচার করেছে অবশ্যই। কিন্তু সেই অত্যাচার বাইবেলের কোন আয়াত দ্বারা সরাসরিভাবে অণুপ্রাণিত বা নির্দেশিত নয়। যার জন্য তা সর্বকালের জন্য চলতে পারে না। এটা মধ্যযুগীয় চার্চের নিজস্ব স্বৈরাচারিতা, বর্বরতা। তারা তখন দেশের প্রকৃত ক্ষমতাধর শক্তি ছিল। এখন তারা নপুংসক এক শক্তি। একই যুক্তি দেয়া যায় স্বতীদাহের ব্যাপারে। হিন্দু ধর্মের মূল গ্রন্থ গীতাতে তা নেই। স্বতীদাহ হিন্দুদের কোন ধর্মগ্রন্থের ঐশীবাণী নয়। হিন্দুদের কোন ধর্মগ্রন্থই সরাসরি ইশ্বরের বাণী বলে দাবী করা হয় না বলেই জানি। আর তা মেনে চলতেও হিন্দুরা বাধ্য নয়। তাই স্বতীদাহ বিলুপ্ত করা সম্ভব হয়েছে।
ভুলে গেলেন কেন যে আপনিই বলছিলেন যে একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মের গ্রন্থ ছাড়া আর সব ধর্মগ্রন্থেই মৌলবাদের বীজ আছে। যেহেতু মৌলবাদ এর সবচেয়ে ঘৃণ্য দিক হল অন্য ধর্মের প্রতি সহিংসতা সেহেতু আমি এটা যে হিন্দু ধর্মের গ্রন্থে সেই দিকটা যে নেই সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
@যাযাবর,
বিপ্লব পাল, নৃপেন্দ্র সরকারকে নীচের প্যারাটি পাঠিয়েছিলেন গীতায় কিভাবে সহিংসতাকে ছড়ানো হয়েছে তা দেখানোর জন্য।
অধর্মের উপাসকরাই বিধর্মী হিন্দু ধর্মে।
Bhagavad Gita 2.38
sukha-duhkhe same kritva
labhalabhau jayajayau
tato yuddhaya yujyasva
naivam papam avapsyasi
“Do thou fight for the sake of fighting, without considering happiness or distress, loss or gain, victory or defeat—and by so doing you shall never incur sin.”
বাইবেল থেকেও দেখান যাবে, একটু কষ্ট করতে হবে। কিন্তু কার বিষ্ঠায় বেশী গন্ধ এটা নিয়ে কাজ করতে কেমন জানি বেকুব বেকুব লাগে।
চার্চ যেহেতু মসজিদের চাইতে বয়সে প্রায় ৫০০ বছরের বড় তাই মসজিদের আগেই সে তার প্রজনন ক্ষমতা হারিয়েছে। মসজিদের নপুংসক হতে আরো কিছু সময় লাগবে। তবে মতের আদান প্রদানের সুবিধা যত সম্প্রসারিত হবে এই সময় তত কমবে।
@আতিক রাঢ়ী,
আমার মনে হয় এটা অনেকটা জোর করে খুত ধরার একটা প্রচেষ্টা।
বাংলা করলেই বোঝা যায় এর দ্বারা যা বুঝাতে চাওয়া হচ্ছে আসলে তা নয়। সরল বঙ্গানুবাদ হলো – যুদ্ধের জন্য যুদ্ধ কর। তার মানে যুদ্ধ যদি অনিবার্য হয় বা ঘাড়ে এসে পড়ে তাহলে যুদ্ধ করতে বলা হচ্ছে। এটাকে আত্মরক্ষার যুদ্ধ বলাও যেতে পারে। আত্মরক্ষার যুদ্ধ তো সর্বকালেই সর্ব আইনেই বিধি সম্মত। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে আমি আর গেলাম না কারন এখানে শুধুমাত্র বাক্যটি থেকেই প্রকৃত অর্থ বের করা সম্ভব। সেখানে কোরানের বানী হলো-
তারা যেমন কাফের , তারা চায় তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। তাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহন করো না যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিযরত করে চলে না আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয় তবে যেখানে পাও পাকড়াও কর,ও হত্যা কর। আল কুরান. ৪:৮৯
এ আয়াতে কি কোথাও আত্মরক্ষার সামান্য ইঙ্গিত আছে ? এখানে তো আল্লাহ আগ বাড়িয়ে আক্রমন করতে ও হত্যা করতে বলছে, তাই না ? তাও কি কারনে ? শুধুমাত্র যদি তারা ইসলামের দাওয়াত গ্রহন না করে সেই অপরাধে।
এখন কোরানের এ ধরনের আগ্রাসী ও প্রচন্ড আক্রমনাত্মক বানী আর গীতার বানী এক হলো ?
এর পরেও যারা কোরান ও গীতার বানী সমার্থক করতে চায় তাহলে বুঝতে হবে যারা সেটা করতে চাচ্ছে তাদের মনে অসদুদ্দেশ্য বিদ্যমান। আমি গীতা ভাল মতো পড়ে দেখেছি তাই আমি বিষয়টি অবগত । আর বাইবেলের নুতন নিয়ম তথা গসপেলে তো কোনই হিংসাত্মক বানী নেই শুধুমাত্র লুকের বইয়ের একটি বানী ছাড়া আর তাতে বলা আছে – যীশু বলছে- আমি তোমাদের মধ্যে একের সাথে অন্যের বিবাদ বাধাতে এসেছি। এটুকুই, এর বেশী কিছু না। এর সাথে কোরানের বানীর কোন তুলনা চলে ? এ যেন অনেকটা ছিচকে চুরির সাথে ডাকাতি বা খুনের তুলনা।
@ভবঘুরে,
নিচের অংশটি অভিজিৎ দার “জীবিন মানে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা-২য় পর্বের” ধর্মীয় সহিংসতা অংশ থেকে তুলে দেয়া।
কোরানেরটা আর দিলাম না, সে জন্য আপনার লেখাই যথেষ্ট।
মহাভারতের একটা অংশ হচ্ছে গীতা। কোরানেও সুন্দর সুন্দর সুরা বা কবিতা আছে। আসলে এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের তুলনা করে কোনটা ভাল এটা দেখানোর উদ্দেশ্য আসলে সেটাকে আমি ভাল বলছি তার প্রচারের কাজ করা।
সেটা আমাদের কারোই উদ্দেশ্য হতে পারে না। একজন মানবতাবাদি হিসাবে দুঃখ পাই যখন দেখি এমন একটা ধারনা ফেনিয়ে তোলা হচ্ছে যে মুসলমান মানে, যাকে এখনই চিকিৎসা করতে হবে। এটা যদি সত্যিও হয় তবে সেটা সব ধর্মাবলম্বিদের জন্যই এক। এটা কোন বিশেষ ধর্ম না। এটুকুই কেবল বলতে চাই। বিশেষের ব্রাকেটে যারা এটাকে আটকাতে চায় তারা নিজের অজান্তে একটা অমানমিক বিশ্ব রচনা করে চলেছে মুসলমান্দের জন্য। মুসলমানদেরকে সরল দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে, হয় তারা সন্ত্রাসী অথবা হবু সন্ত্রাসী। এভাবে চিন্তা করাটা একটা প্রবনতায় পরিনত হয়েছে, বিশেষত পশ্চিমের কাছে। আমি বলছিনাযেএই ধরনাকে উস্কে দেয়ার মত কাজ মুসলমানরা করেনি। কিন্তু সেইসাথে বুঝতে হবে, অশিক্ষা,দারিদ্র, বেকারত্ত্ব, অমানবিক স্বৈরশাসক দের অধীন থাকা জনগণকে নিয়ে ইচ্ছামত খেলাটা অনেক সহজ। পশ্চিমের দৃষ্টিতে এগুলি অনুন্নত আবার লাভজনক।
ইরানে শাহের পতনের পরের দিন থেকেই মূলত আমেরিকা মুসলিম সন্ত্রাসীদের দেখা পায়। তারা কেবল শাহ কেই হারায় নি, হারিয়ে ছিল ততকালীন প্রধান তেল সরবরাহকারিকে। এই পুরো প্রেক্ষাপট থেকেই আজকের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটিকে দেখতে হবে। বিন লাদেনের উত্থানের পিছনে
আমেরিকা আর ইসলামের ভূমিকা দুইটাই বিবেচনায় আনতে হবে। তা না হলে বিশ্লেষন অসম্পূর্ন থেকে যাবে।
@আতিক রাঢ়ী,
অন্য ধর্মাবলম্বীদের ইতিহাস আছে সন্ত্রাসের। শতকরা হিসেবে দেখুন কয়টা সন্ত্রাসী তারা ইদানীং করছে। আপনি প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন মুসলমানেরা “মত কাজ” করছে। বুঝতে হবে বর্তমানে বিশ্বে আজ মুসলমানরাই বেশী সন্ত্রাসী করে বেড়াচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী বললে অনেকেই তা ভাল চোখে দেখে না।
শিক্ষা, দারিদ্রের কথা বলছেন। এই যুক্তি অনেক সময়ই খাটে না। আবু নিদাল অশিক্ষিত বা দরিদ্র নয়। আন্ডারোয়্যার বম্বার মিলিয়নিয়ারের ছেলে। সাদ্দাম ২৫ হাজার ডলার দিতেন প্রতিটি প্যালেস্টাইনী সুইচাইডারকে। এখন সাদ্দাম নেই। সুইসাইড বম্বারও নাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কৌতুহল হচ্ছে জানার, কথাটি কি ঠিক? মনে হয় ঠিক। আমি জানিনা সাদ্দামের পরে আর সুইসাইডাল বম্বিং হয়েছিল কিনা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ইরাক হামলার পিছনে কারন হিসাবে দেখান হয়েছিল যে, ইরাকের এমন সব ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে যা বাকি বিশ্বে্র জন্য হুমকি। তার পরের ইতিহাস আমাদের জানা। কত জন নারী-শিশু ও সাধারন জনগনের জীবন গেছে তা সবাই জানে। কিন্তু সেই আস্ত্র কোথায় তা কেঊ জানে না। ইদানিং হঠাৎ করেই মুসলমানদের সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ার কারন অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়।
আসলে প্রকারান্তরে বলার কিছু নাই। টুইন টাওয়ার, লকারবি বিমান মুসলমান সন্ত্রাসীরা উড়িয়েছে। হোটেল তাজ মুসলমান সন্ত্রাসীরা অক্রমন করেছে। এগুলিতো দিনের অলোর মত পরিস্কার ঘটনা। কিন্তু প্রেক্ষাপট থেকে আরবের তেল, ফিলিস্তিনের উদ্বাস্তু, কাস্মীর সব উবে গিয়ে কেবল কোরান থেকে গেলে বুঝতে হবে কোথাও মগজ ধোলাই এর ঘটনা ঘটছে।
ভারতে সন্ত্রাসী জন্মাতো যখন আরবের মরুর চেয়ে ভারতের কৃ্ষীভূমি বেশি লাভজনক ছিল। এখন সন্ত্রাসী আরবেই বেশি জন্মাবে। তেল ফুরালে এদের জন্মহার আবার কমে আসবে।
দেখুন এতক্ষন যা বলতে চাচ্ছি, সেটা আপনি সুন্দরভবে পরিস্কার করেছেন এখানে। টাকা, কোরানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
@আতিক রাঢ়ী,
এখানে যে সমস্যাটি হচ্ছে তা হলো- বাইবেলের দুটি খন্ড। পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম। পুরাতন নিয়ম হলো যা মূলত ইহুদীরা অনুসরন করে, যীশু খৃষ্টের পর শুরু হয় নতুন নিয়ম যা মূলত খৃষ্টানরা অনুসরন করে। আপনার বক্তব্য ঠিক- পুরাতন নিয়মে অনেক হিংসাত্মক কথা বার্তা লেখা আছে। সে কারনে ইহুদী ধর্মও ইসলাম ধর্মের মতই একটা আগ্রাসী ধর্ম। বনের একটি যায়গাতে যেমন দুই বাঘ এক সাথে রাজত্ব করতে পারে না, ঠিক সেকারনেই স্বভাবগতভাবে ইহুদী ও ইসলাম ধর্ম একই রকম হওয়াতে ইহুদী ও মুসলমানদের সম্পর্ক সব সময়ই সাপে নেউলের মত, তারা এক সাথে বাস করতে পারে না। ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় , মোহাম্মদ খৃষ্টান নয় বরং ইহুদীদেরকে বেশীভাবে টার্গেট করেছিল। অনেক খৃষ্টানই সে সময় ইসলাম গ্রহন করলেও ইহুদীরা মোহাম্মদের আহ্বানে মোটেই তেমন সাড়া দেয়নি। তার কারন কোরানের বিষয় বস্তু অনেকাংশে প্রায় হুবহু পুরাতন নিয়মের মত। মনে হয় – মোহাম্মদ তার কোরান প্রচারের সময় বাইবেলের পুরাতন নিয়ম থেকেই মূল ভাবধারাটা গ্রহন করেছিল আর সেকারনেই কোরানে বহু হিংসাত্মক আয়াত বিদ্যমান যার সাদৃশ্য পুরাতন নিয়মে পাওয়া যাবে। তার মানে ইহুদীরা কোরানে নতুন কিছু দেখতে পায়নি আর তাই মোহাম্মদকে তারা ঠগ বা প্রতারক মনে করত আর উপহাস করত , ঠিক সে কারনেই মোহাম্মদের সবচাইতে বেশী ক্ষোভ ছিল ইহুদীদের প্রতি। তার প্রমান হলো- মোহাম্মদ যখনই ক্ষমতা হাতে পেয়েছে সে সাথে সাথেই ইহুদী নিধনে মত্ত হয়েছে নির্বিচারে, কোন রকম দয়া মায়া ছাড়াই। ঠিক একই রকম ভাবে মোহাম্মদ খৃষ্টান বা এমনকি পৌত্তলিকদেরও এভাবে খতম করেনি। শুধু সেটা করেই মোহাম্মদ ক্ষান্ত হয় নি। তাকে আল্লার বানীর নাম করে কোরানে ইহুদীদেরকে গালি দিয়ে আয়াত নাজিল ও করতে হয়েছিল।
সার কথা হলো- আপনি পুরাতন নিয়মে হিংসাত্মক বানী দেখতে পাবেন যা কিন্তু খৃষ্টানরা অনুসরন করে না, তারা অনুসরন করে বাইবেলের নতুন নিয়ম যাকে অন্য কথায় গসপেলও বলা হয়। তাই খৃষ্টানদের কিতাবেও হিংসাত্মক বানী আছে এ কথাটি কিন্তু টেকে না।
@আতিক রাঢ়ী, আসলে খ্রিস্টান রা দাবী করে যে পুরাতন নিয়ম রহিত হয়ে গেছে আর যিশুর crucifixion এর মাধ্যমে নতুন নিয়ম দ্বারা।তবু পুরাতন নিয়ম কে খ্রিস্টান, বিশেষ করে ক্যাথলিক চার্চ ব্যবহার করে থাকে ১০ টি আজ্ঞার জন্য। ওটা ব্যবহার না করলে যে বিয়ের আগেই সেক্স কে বৈধ করতে হবে। দেখেন না যীশু নতুন নিয়মে কিভাবে ব্যভিচারী কে ক্ষমা করেছিলেন, আর চার্চ মধ্যযুগে ব্যভিচারী মেয়েদের বাচ্চা সহ পুড়িয়ে মারত?একটু ঈশ্বর(?) বিরোধী না হলে যে নিজের শক্তি মাঝে মাঝে টিকিয়ে রাখতে পারেনা ক্যাথলিক পুরোহিত রা।
তবে আমার মনে হয় এখনও খিস্টানরা পুরাতন নিয়ম কে নিজেদের ধর্মগ্রন্থ হিসাবে ( যদিও রহিত) রেখেছে কারন টা হল ওটা না থাকলে আদিপাপ থাকে না। আর আদি পাপ না থাকলে crucifixion এর দরকার হয়না সেটার প্রায়শ্চিত্ত করতে, আর Crucifixion না থাকলে গোটা ধর্মটি অচল হয়ে যায়, trinity ধারনাও কাজে লাগে না, কাজেই বাধ্য হয়েই চার্চ গুলি এখনো পুরাতন নিওমকে রহিত হলে ধর্ম গ্রন্থ হিসাবে চালাতে বাধ্য হচ্ছে।কারন খ্রিস্টান ধর্ম থেকে Crucifixion বাদ দিয়ে প্রচলিত মুলধারার খ্রিস্টান ধর্ম কল্পনা করা যায় কি? তাই মনে হয় এই কাণ্ড কারখানা।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি এর আগে বেশ পরিস্কার করেই বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম যে বাইবেল ইশ্বরের নিজের লেখা ও নাজিল করা বই নহে। অধিকাংশ ইহুদী খ্রীষ্টানেরা এতে একমত। বাইবেল মূলত মানুষের লেখা ইশ্বর কেন্দ্রিক অতীতের ঘটনার বর্ণনা । বাইবেলের লেখক একজন নয়। বহুজন মিলে লিখেছেন এটা। বাইবেলের পুরোটাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে, এটা ইশ্বরের বাণী, তা কোথাও বলা নেই। আর যে সব আয়াতের উল্লেখ বা উদ্ধৃতি আপনি দিয়েছেন তা অতীতে বিশেষ প্রসঙ্গে বা পরিস্থিতে ইশ্বর কি বলেছিলেন সেটাই বল হয়েছে। এটা অনেকটা ইতিহাসের মত। সর্বকালের জন্য সর্বমানুষের জন্য গাইডলাইন নয়। ইহুদীরা বাইবেলকে (তাওরাত বা Old Testament) তাদের গাইড হিসেবে দেখে না, টালমুড (Talmud) কে দেখে। খ্রীষ্টানের শুধু যীশুর বানী যা নতুন টেস্টামেন্টের ম্যাথিউ,মার্ক, লুক বা জন সুরা সমূহে বর্ণিত তাই বিশ্বাস করে। কাজেই এগুলি ছাড়া বাইবেলের আর যা কিছু লেখা আছে তা শুধু ইহুদী বা খ্রীষ্টান ধর্মের ইতিহাস হিসেবেই বিবেচণা করা যায়। বিরাট পার্থক্য কুরাণের সাথে। কুরাণের পুরোটাই আল্লাহর নিজের বাণী বলে দাবী করা হয়, আর এর পুরোটাই মুসলমানদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করা কর্তব্য। আপনি অভিজিতের বাইবেলের যেসব আয়াত উদ্ধৃত করেছেন তার সবই এর বাইরে পড়ে একটা ছাড়া। ম্যাথিউ ১০:৩৪
“আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে এসেছি এই কথা মনে কোর না। আমি শান্তি দিতে আসি নাই, এসেছি তলোয়ারের আইন প্রতিষ্ঠা করতে। আমি এসেছি মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড় করাতে; ছেলেকে বাবার বিরুদ্ধে, মেয়েকে মায়ের বিরুদ্ধে, বৌকে শাশুড়ীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে এসেছি’
প্রথমে এর খ্রীষ্টান ব্যাখ্যা জানা দরকার। অধিকাংশ বাইবেল ব্যাখ্যাকারীদের মত এই যে এখানে তরবারীকে রূপক অর্থে বোঝান হয়েছে । তাঁর বানী অনুসরণ করার পরিণতিতে অনুসরণকারীদের তাদের প্রিয়জনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে (বা কাটা যেতে পারে) সেই হুঁশিয়ারী যীশু করেছিলেন। কারণ বেশিরভাব ইহুদী সম্প্রদায় তখন যীশুর বাণীর প্রতি সন্দিহান ও শত্রুভাবাপন্ন ছিল। এই তরবারী সম্পর্ক ছিন্ন করার বা কেটে ফেলার রূপক হাতিয়ার হিসেবে বোঝান হয়েছে। যীশু নিজে কখনো তরবারী নিয়ে চলাফেরা, আক্রমণ বা আক্রমনের আদেশ দেননি মোহাম্মদের মত।
আরেকটা তথ্য দেই আপনাকে। কুরাণে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন যে তাওরাত (অর্থাৎ ওল্ড টেস্টামেন্ট) তিনি নিজেই পাঠিয়েছেন। কিন্তু ইহুদীরা তাওরাতকে মানলনা বলে অভিযোগও করলেন আল্লাহ! তাহলে তাওরাতের সেই সহিংশ আয়াতগুলিও আল্লাহরই প্রেরিত? কি বলবেন আপনি? ইহুদী ধর্মের সহিংসতাটা ইসলামী আল্লাহর কৃতিত্ব? 🙂
@যাযাবর,
সম্পূর্ন একমত।
এই একটা ব্যপার আমার মাথায় ঢোকে না যে কোরানকে ডিফেন্ড করতে যেয়ে অনেকেই খুব সুকৌশলে অন্য ধর্মের কিতাবগুলোকে আল্লাহর বানী হিসাবে চালানোর চেষ্টা করে। সেই পুরাতন নিয়ম , নতুন নিয়ম , বা হিন্দুদের উপনিষদ, পুরান, রামায়ন, মহাভারত এসব যে তাদের ঈশ্বরের বানী নয় বরং তা একপ্রকার ইতিহাসের সংকলন এ বিষয়টি তারা বেমালুম ভুলে যায়। যেহেতু তা ঈশ্বরের বানী নয় সেহেতু ইহুদী খৃষ্টান হিন্দুরা তা চিরকাল মেনে চলবে গাইড লাইন হিসাবে তা আবশ্যকিয় নয় আর তাই তারা তা মেনে চলেও না। তাহলে এসব গ্রন্থকে খামোখা কেন উদারহরন হিসাবে তুলে আনা হয় কোরানকে ডিফেন্ড করার জন্য তা ঠিক বোধগম্য নয় তবে বিশেষ মতলবে যে তা করা হয় তা বেশ বোধগম্য। হিন্দুরা মনে করে গীতা হলো ঈশ্বরের বানী, সেই গীতাতেও কিন্তু বিনা উস্কানীতে কাউকে হত্যা করতে বা কারো সাথে যুদ্ধ করতে বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে ক্ষত্রিয় তথা সৈনিকের ধর্ম হলো যুদ্ধ করা, সুতরাং যুদ্ধ সমাগত হলে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ক্ষত্রিয়ের পালিয়ে না গিয়ে যুদ্ধ করাই কর্তব্য। গীতা ভাল করে না পড়ে কিছু কিছু ব্যাক্তি দেখা যায় গীতা সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করে বসে বিজ্ঞ পন্ডিতের মত যে তারা সেটা বললেই সত্য হয়ে যাবে। বাইবেলের নুতন নিয়ম সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। গোটা নুতন নিয়মে মাত্র ঐ একটা আয়াত আছে (ম্যথিউ ১০ : ১৪) যেখানে বিবাদের কথা বলা হয়েছে । যুক্তির খাতিরে উক্ত আয়াতকে ধরে নিলেও আয়াতটি তো আল্লাহ বা ঈশ্বরের বানী নয় ,এটা হলো যীশুর বানী। সুতরাং তা সর্বাংশে পালন করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
অথচ এর বিপরীতে কোরানে ডজন ডজন হিংসাত্মক আয়াত আছে যার মূল বিষয় হত্যা আর হত্যা। মাত্র দু একটি ক্ষেত্রে এ হত্যার নির্দেশ আছে আত্মরক্ষার্থে বাকী সব হত্যার নির্দেশ হলো আক্রমনকারী হিসাবে যা স্বয়ং আল্লাহর বানী ও যা দুনিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি মুমিন মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় , না পালন করলে সে মুমিন মুসলমানই নয়। তো এ ধরনের হত্যা ও নৃশসংসতার সাথে জোর করে অন্যান্য ধর্মের সাদৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা যারা করে প্রকারান্তরে তারা তাদের নিজেদের মতলববাজীতা প্রকাশ করে ফেলে।
@ভবঘুরে,
মতলবতো একটা অবশ্যই আছে। সেটা হচ্ছে, কোরান যে আল্লাহর বানি না সেটা প্রতিষ্ঠা করা। কারন আপনারাতো দেখছি এটাকে আল্লার বানি না বানিয়ে ছাড়বেন না। বাইবেলের বানির রূপক অর্থ বের করার সময় বিশ্লেষণের যে নানামুখি প্রবনতা আপনাদের মধ্যে দেখা যায়, গিতার বেলায় এর রচনা কাল, সমাজ বাস্তবতা, আচার ও প্রথা- ধর্ম থেকে উৎসারিত না সংস্কৃতি থেকে , কি গভীর পান্ডত্য নিয়ে তুলে ধরেন, পড়তেও ভাল লাগে। কিন্তু কোরানের বেলায় সেটা আল্লার বানি, সেখানে কোন সমাজ বাস্তবতা নাই, রচনা কাল নাই। ফলে বিশ্লেষনের চাইতে রায়টাই জরুরী গুরুত্ত্ব নিয়ে উপস্থিত এখানে।
বাইবেল বা বেদ যে ইশ্বরের বানি না, তা যেন কোন সংগ্রাম ছাড়াই প্রতিষ্ঠিৎ। জনাব আবুল কাশেম যতই বলুক কারা, কিভাবে কোরান লিখেছে তাতে যেন কিছু আসে যায় না। আকাশ মাকিলরা যতই সংগ্রাম করুক তাতে করে কোনই পরিবর্তন হচ্ছে না বা হবে না। কারন কোরান হলো আল্লার বানি।
তাই এখানে পরিবর্তন সম্ভব না। আহমেদ শরিফ, হুমায়ুন আজাদ, তাসলিমা নাসরিনদের সংগ্রাম আপনাদের চোখে পড়েনা। মুসলমান্দের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য কেউ লড়ছে না। এখানে পৃ্থিবী স্তব্ধ ও আদিম, এখানে ওহাবি মতবাদের বিপরীতে সুফীরা লড়াই করেনি। মুসলম বিশ্বে কোথাও কখনও অসাম্প্রদায়িক বা সংস্কারবাদী দল ভোটে জেতেনি,
একমাত্র আওয়ামিলীগ ছাড়া। ইরানে, তুরস্কে, মিশরে সংস্কারবাদিরা কোন অবস্থান তৈ্রি করতে পারেনি। কারন এরা এমনই, মানুষের মত দেখতে, কিন্তু পরিবর্তনের অযোগ্য এক বিবর্তনীয় বিকার। এদের দ্রুত চিকিৎসা দরকার।
কোরান এদের চেতনাকে অবস করে ফেলেছে। আবার বলছে, এদের কেউ কোরান পড়েনা। মোটকথা যেমন করে হোক কেবল অসীম ঘৃ্নাটাকে কোথাও না কোথাও উগড়ে দেয়া দরকার। বমি অনেকটা সংক্রামক। কখনো কখনো বমির কোরাস শুরু হলে দূর্গন্ধে যখন আর টিকতে পারিনা তখন দু-চার কথা লিখি। মনে হয় সেগুলি মানুষের পক্ষেই লিখি। কারন চার-পাশ দেখে মুসলমানদেরকে আমার কেন জানি এখনো মানুষই মনে হয়।
@যাযাবর
কোরান দাবি করেছে, আর আপনি সেটা তুলে দিলেন একটা প্রমান হিসাবে।
কোরানতো শুধু তাওরাত না যবুরও আল্লাহ পাঠিয়েছে বলে দাবি করে। আপনি কি সত্যিই কোরান কে আল্লার বানি বলে বিশ্বাস করেন নাকি ?
মোহাম্মদতো তাওরাত থেকে চুরি করেছে। দোষতো ইহুদী জিহভার হবার কথা। কোরান যদি তার দাবির মত সত্যি হয়, কেবল তখনই ইহুদী ধর্মের সহিংসতাটা ইসলামী আল্লাহর কৃতিত্ব হতে পারে। আবারও হতাশ করলেন।
@আতিক রাঢ়ী,
হতাশ টা কার হবার কথা? শুধু হতাশ কেন , রীতিমত বিস্মিত হচ্ছি আপনার কথা (বা যুক্তিজ্ঞান) শুনে। আমি যে ইসলামবাদীদের (আর কুরাণের) তাদের নিজের যুক্তিতেই তাদের খন্ডন করছিলাম সেটা বুঝতেই পারলেন না? এটা কি এতই গূঢ় কোন ব্যাপার না কি? মনে হচ্ছে একটা ঘোরের মধ্যে আছেন। জেগে উঠুন। মোহাম্মদতো তাওরাত থেকে চুরি করেছে সেটাত আমি তো বলিনি, কারণ সেটা কোন ইসলামিস্ট বা কুরাণ বলে না। আমি কুরাণে যা বলেছে তাকে ভিত্তি করেই তার ইম্পলিকেশন কি দাঁড়ায় সেটাই বুঝিয়েছি। এখানে আমার বিশ্বাস বা অনুমান বা মতের কোন স্থান নেই।
এখানেও আপনি কুরান/ইসল্মিস্টদের (কু)যুক্তি বা বিশ্বাস দিয়েই তাকে/তাদের খন্ডনের কৌশলটা বুঝতেই পারলেন না। এটা এমন কোন সূক্ষ্ণ বা জটিল কোন যুক্তিকৌশল নয় যে আপনার বোধশক্তির বাইরে হবে। যেহেতু আপনি বাইবেল, কুরাণ, গীতা সব গুলোকেই এক ধরে বলছেন সব শিয়ালের এক রা। তাই পার্থক্য টা বোঝাতেই এসব বলা হয়েছে। আবারো বলছি বাইবেল, গীতা যে ইশ্বরের সরাসরি পাঠান বাণী নয় সেটা খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মের বইগুলি বা ধর্মাবলম্বীদের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, কাজেই সেটা যুক্তি তর্ক ছাড়াই ধরে নেয়া যায়। কুরাণের বেলায়, কুরাণ নিজে (অর্থাৎ এর রচয়িতা আল্লাহ) দাবী করছে যে এটা তারই কথা, আর সব মুসলিমদেরও একই রায়। কাজেই সেটা সেটা যে যুক্তিহীন দাবী তা যুক্তি তর্ক দিয়ে প্রমাণ করার যথার্থতা আছে। অবশ্য এখন মনে হচ্ছে এসব কথাও আপনার বোধগম্য হবে না। কাজেই যখন আপনি সবই বিষ্ঠা, কার গন্ধ কত সেটা অনুসন্ধান করার কি আছে বলেন, তখন এটা অঙ্গুলিনির্দেশ করে বুঝিয়ে দিতেই হয় যে তারা সব এক বিষ্ঠা নয়, তাদের মধ্যে বিরাট এক পার্থক্য রয়েছে যেটা মৌলবাদের প্রসঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক।
@আতিক রাঢ়ী,
যদি সত্যিই আবেগ আর অন্ধবিশ্বাস থেকে দূরে সরে এসে যুক্তি দিয়ে বিচার করে দেখেন তবে অবশ্যই অনুভব করবেন যে কোরআন, বেদ, বাইবেল(মূল) বা অন্যকোন ধর্মগ্রন্থই আসলে আল্লাহ কিংবা ঈশ্বরের নিজ বাণী না।
প্রতিটা ধর্মগ্রন্থেই দেখবেন যে তাতে তার ধর্মীয় আর ভৌগলিক সীমানা ততটুকুই টানা আছে যতটুকু নাজেল হওয়া ব্যক্তিটি বা তার সমাজ ব্যবস্থা জানেন।
ঈশ্বর বা আল্লাহ এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন তাই তার নিজের তৈরী দুনিয়া সম্পর্কে তার অবশ্যই ধারণা থাকা দরকার।
একটু নজর দিলেই বুঝবেন কোরআন কিংবা বাইবেল এ ঈশ্বর কিংবা আল্লাহ কেউই জানেন না যে আমেরিকা নামে কোন মহাদেশ আছে।আবার বেদের গণ্ডি ভাওতীয় মহাদেশ,আরব,পারস্য এবং চারপাশেই সীমাবদ্ধ।
@আতিক রাঢ়ী,
**ভারতীয় উপমহাদেশ
@যাযাবর,
মন্তব্য অপশন বন্ধ পাচ্ছি, তাই এখানে লিখছি।
দুঃখিত, আপনি কোন ইসলামবাদির সাথে কথা বলছিলেন না। কোন ইসলামবাদি মনে করেনা সব ধর্মগ্রন্থ মানুষের রচিত। বহুবার বলেছি, আবার বলছি, গন্ধ বেশি বা কম হয় সময়ের ব্যাবধানের কারনে। ধর্ম যখন মরে যায় তখন তাতে পঁচন দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে গন্ধ ছড়ায়। তার পর ধীরে ধীরে তা কমে আসে। বৌদ্ধদেরকে ব্রাক্ষ্মনরা নাস্তিক বলতো কারন তারা বেদকে ইশ্বরের বানি বলে মানতনা। বাইবেলকে প্রবলভাবে ইশ্বরের বানি বলে বিশ্বাস করার লোক বহু ছিল। এখনও আছে এবং তা ধীরে ধীরে কমছে।
কিন্তু ইসলাম হচ্ছে চীর যুবা, সে কখনো বৃদ্ধ হবেনা, কারন সে নিজেই বলেছে সে বৃ্দ্ধ হবেনা। ভালই বলেছেন। যুক্তিজ্ঞানের পাঠ বোধ হয় আবার প্রথম থেকে নিতে হবে।
আপনারা ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা থেকে দেখার চেষ্টা করুন, নাহলে অংশকে সমগ্র মনে করার ভ্রান্তি থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। আজকে যাকে যেভাবে দেখছেন সেটাই তার সবটা না। তার অতীত আছে তার ভবিষ্যত আছে।
বাইবেলে সহিংস বানি না থাকার পরেও খৃষ্টানরা সহিংস আচরন করেছে বা এখনো করে। এমনকি যখন কোন ধর্মের উৎপত্তি হয়নি সহিংসতা তখনও ছিল। কিন্তু মুসলমানরা এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম, কারন তা না হলে আমরা এর পিছনে ভাল ভাবে লাগতে পারছিনা। ডি-রোজারিওর শিষ্যদের মত মুরগির ঠ্যাং খাওয়া প্রগতিশিলতার আধুনিক নমুনা হচ্ছে, মুহাম্মদকে কড়া দুই খান গাল দেয়া আর কোরান থেকে কিছু ছাল উঠা উক্তি তুলে এনে লাগাতার তুলা-ধুনা করা। তারপর নিজেরা নিজেদের পিঠ চাপড়ে বাড়ি ফেরা।
আমরা আলোচনা করে দেখার চেষ্টা করছিলাম, ইসলামি জংগিবাদের জন্য কোরান ও অন্যকিছুর মধ্যে কোনটা মুখ্য আর কোনটা গৌ্ন কারন। এখানে কেউ কোরান ডিফেন্ড করছেনা, আপনাদের অহেতুক বিচলিত হবার কোন কারন নাই।
আমি এখানে কয়েকটা সাধারন প্রবনতা নিয়ে আলোচনা করবোঃ
মানে হিন্দু ও খৃষ্টানরা স্পষ্টভাবেই মনে করে গীতা ও বাইবেল ইশ্বরের বানি না।
মুসলমানরা না কেবল সব মুসলমানই মনে করে কুরান আল্লার বানি।
আমার কথা হচ্ছে, আপনার বক্তব্যের পক্ষে প্রমান কি ? কে জরিপ করেছে ?
যে বা যারা করেছে তার যোগ্যতা কি ? কারা সার্টিফাই করেছে ?
আপনার মতে হিন্দু কে ? খৃষ্টান কে ? মুসলমান কে ? এদের সংজ্ঞা কি ?
আপনার কথা অনুযায়ী ধর্মগ্রন্থ কে ইশ্বরের বানি মনে না করার পরেও হিন্দু বা খৃষ্টান থাকা যায়। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে সেটা নির্ধারিত হয় ? ধর্ম যদি বিশ্বাসের ব্যাপার হয়ে থাকে তবে এখানে বিকল্প বিশ্বাস টা কি ? একজন হিন্দুর কাছে রাম বা কৃষ্ণ বা জন্মান্তরবাদ আর একজন খৃষ্টানের কাছে যিসু, মরিয়ম কি ? তাদের এই বিশ্বাসের ভিত্তি কি ?
উত্তরগুলো পেলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যেত।
@আতিক রাঢ়ী,
***আবার বেদের গণ্ডি শুধুমাত্র ভারতীয় মহাদেশ,আরব,পারস্য এবং চারপাশের কিছুস্থানের ভেতরেই সীমাবদ্ধ।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
ভাই জান আপনার সমস্যাটা কি ?
আমি কখন কোথায় এগুলিকে ইশ্বরের বানি বললাম ? এই নসিহত আমাকে কেন ? মনে হচ্ছে আপনি একজন স্ট্রাইকার। গোল দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে আছেন। একটু সবুর করুন, আগে সবাইকে চিনুন-জানুন, পোষ্ট নির্বাচন করুন। নাহলেতো নিজের পোষ্টেই গোল দিয়ে ফেলবেন। 🙂
@আতিক রাঢ়ী,
ভাই ঐখানে কেন যেন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।তাই এখানেই তার উত্তর দিচ্ছি।
আপনি লিখেছেনঃ
“আকাশ মাকিলরা যতই সংগ্রাম করুক তাতে করে কোনই পরিবর্তন হচ্ছে না বা হবে না। কারন কোরান হলো আল্লার বানি।”
এই কারণেই আমার ঐ মন্তব্য।
যাইহোক, আপনারা বিবৃত অংশের Background রঙ কীভাবে দেন??
@আতিক রাঢ়ী,
আমি তো পই পই করে বল যাচ্ছি যে অতীতের ব্রাক্ষ্মনরা বা খ্রীষ্টানরা যাই বলুক বা ভাবুক না কেন সেটা যদি বাইবেল বা গীতার সরাসরি বাণী বা নির্দেশ না হয় তাহলে তাহলে এটা তাদের ব্যক্তিগত মত বা ধারণার সংযোজন, এবং অর্থ প্রতিপত্তির বলে তা তারা গায়ে চপিয়ে দিতেই পারে। কিন্তু এর পেছনে স্পষ্ট ঐশ্বরিক নির্দেশ না থাকাতে তা চিরকালের জন্য টিকে থাকতে পারে না। কারণ যারা তাদের বিরোধিতা করবে তাদের কে তো তারা বাইবেল বা গীতাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মীয়ভাব জাস্টিফাই করে বলতে পারবে না যে তারা তাদের ঐশী নির্দেশ পালন করছে মাত্র আমাদের বাধা দেয়ার অধিকার তোমাদের নেই। বাধা দিলে ধর্মযুদ্ধ করব ইত্যাদি। কিন্তু ইসলামের ব্যাপারে কুরাণেই বলে আছে যে কাফেরদের সাথে কেয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ কর যতক্ষন না তারা ইসলাম গ্রহণ করে। কাজেই তিনটা ধর্মের ধরণটা এক নয়, যতই তা বলে বোঝাতে চেষ্টা করুন না কেন। দেখি কতবার এই কথা বলতে হয় আবারও। কাউন্টার সেট করলাম।
এটাত আমার কথা নয়। কুরাণ সর্বকালের সেটা যদি কুরাণেই বলা হয় আর কুরাণে বিশ্বাস যদি ইসলামের আবশ্যক শর্ত হয় তাহলে এটা কি আমার ভাল বলা হল? কুরাণকে কিভাবে বৃদ্ধ করবেন, কুরাণকে সংস্কার না করে অথবা গায়ের জোরে জিহাদীদেরকে কুরাণ অনুসরণে বাধা দিয়ে বা করলে সাজা দিয়ে, যা ইসলামী আইনের অধীনে অসম্ভব, কারণ তারা ইসলামকে বাস্তবায়ন করছে। একটু দম নিয়ে নিজের অবস্থানটা আবার পর্যালোচনা করুন।
বাইবেলে সহিংস বানি না থাকা সত্বেও যে সহিংসতাটা ঘটে সেটারই কারণ অন্যত্র খুঁজতে হবে, যেমন আপনার গত ধরা “অর্থনৈতিক কারণ” একটা। সেটাকে ধর্মীয় সহিংসতা বলা উচিত হবে না। যেমন স্ট্যালিনের অত্যাচারকে সেক্যুলার অত্যাচার বলা যাবে না। নানা ধরণের সহিংসতা তো ঘটেই নানা কারণে। ইসলামে শুধু ধর্মীয় কারণেই সহিংসতা ঘটা, অন্য কারোন না ঘটলেও। এটা মানতে এত কষ্ট হচ্ছে কেন আপনার?
সব মুসলমানই মনে করে কুরান আল্লার বাণী সেটার প্রমাণ লাগে, জরীপ লাগে? অনেক হাস্যকর উক্তিই শুনতে হচ্ছে। মুসলমানের সংজ্ঞা আমাকে দিতে হবে কেন? আপনি জানে না?। কুরাণ যে আল্লাহর বানী সেটা বিশ্বাস না করেও মুসলমান হওয়া যায় এই বিশ্বাসটাই বা আপনার কোথা থেকে এলো?
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
বাংলা ছবি দেখেছেন নিশ্চই, নাইকা নায়কের বুকে দুমাদুম কোমল কিল ছুড়তে ছুড়তে বলে আমি তোমাকে ঘৃ্না করি, ঘৃ্না করি………আসলে কিন্তু ঘটনা এর উলটো। মন্তব্য করার জন্য ফিল্ম পুরোটাই দেখা ভাল।
আপনারা বিবৃত অংশের Background রঙ কীভাবে দেন??
খুব সোজা, প্রথমে যে অংশটুকু রং করতে চান, সেটা নির্বাচন করুন,
পরে উদ্ধৃতি তে ক্লিক করুন। 🙂
@যাযাবর,
আমার প্রশ্ন ছিল,
আপনার মতে হিন্দু কে ? খৃষ্টান কে ? মুসলমান কে ? এদের সংজ্ঞা কি ?
আপনার কথা অনুযায়ী ধর্মগ্রন্থ কে ইশ্বরের বানি মনে না করার পরেও হিন্দু বা খৃষ্টান থাকা যায়। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে সেটা নির্ধারিত হয় ? ধর্ম যদি বিশ্বাসের ব্যাপার হয়ে থাকে তবে এখানে বিকল্প বিশ্বাস টা কি ? একজন হিন্দুর কাছে রাম বা কৃষ্ণ বা জন্মান্তরবাদ আর একজন খৃষ্টানের কাছে যিসু, মরিয়ম কি ? তাদের এই বিশ্বাসের ভিত্তি কি ?
আপনার উত্তরঃ
অতি চমৎকার বলেছেন, কিন্তু বাকি অংশের উত্তর কই ? হিন্দু বা খৃষ্টান হবার জন্য যে বিশ্বাস দরকার তার ভিত্তি কি ? ভারতে শিক্ষার হার কত ? কত জন মনে করে ধর্ম গ্রন্থগুলো মানুষের লেখা ? নাকি এটাও হাস্যকর ? মূলত অলোচনার আরো ভেতরে যাবার ইচ্ছা থেকেই প্রশ্ন গুলি করেছিলাম। কিন্তু আপনার ইচ্ছা মনে হচ্ছে সেরকম না। তা না হলে এটা বোঝা এমন কঠিন না যে কৃষ্ণ বা শিব বা জিসুর অস্তিত্ত্বের প্রমান ধর্ম গ্রন্থ ছাড়া আর কোথায় আছে, সেটাই আমি জানতে চেয়েছিলাম।
@আতিক রাঢ়ী,
অতি চমৎকার বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো মুসলমানরাই কিন্তু কোরানের প্রেক্ষাপট বেশী একটা বিচার করে না। প্রেক্ষাপট বিচার করে ইসলামী পন্ডিতরা যদি বলত যে অমুক অমুক আয়াত নির্দিষ্ট উপলক্ষ্যে নাজিল হয়েছিল যার উপযোগীতা এখনকার দিনে নেই- তাহলে কিন্তু সমস্যা ছিল না। কিন্তু তারা এতই গোড়া যে কোরানের আয়াত মোহাম্মদ যে প্রেক্ষাপটেই নাজিল করে থাক না কেন , তা সে সময়ের জন্য তো বটেই , তা দুনিয়া শেষ দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে , সমস্যাটা সেখানে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@আতিক রাঢ়ী,
হিন্দু ধর্মের কোথাও সতীদাহের কথা বলা হয় নি।গোড়া ব্রাহ্মণ আর রাজারা বানিয়েছিল এই নিয়ম।আর তাতে শিক্ষাহীন, ক্ষমতাহীন মানুষেরা অসহায় ভাবে মেনে নিয়েছিল।আর সে ভুল হিন্দুরা শত বছর আগেই মুছে ফেলেছে। কিন্তু কোরানে নারীকে ছোট করে যেসব বাণী আছে তা কি আপনারা বদলাতে চেয়েছেন???বরং দেখে না দেখার ভাণ করে পড়ে আছেন।
হ্যাঁ এটা ঠিক যে বৌদ্ধ ধর্ম ব্যতীত সাধারণত বাকি ধর্মীয় মানুষের মাঝে মোউলবাদ লুকিয়ে আছে।তবে কোন ধর্মেই তার ধর্ম গ্রন্থে সেই মোউলবাদের লাইসেন্স দেওয়া হয় নি যা মুসলমানেরা পেয়েছে কোরানে।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
‘হিন্দু ধর্মের কোথাও সতীদাহের কথা বলা হয় নি’ – এটা আসলে এত ঢালাওভাবে বলা ঠিক নয়। ঋগবেদ সহ অনেক জায়গাতেই সতীদাহের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ইন্ধন আছে। আমি কিছু উল্লেখ করালাম –
” Let these women, whose husbands are worthy and are living, enter the house with ghee (applied) as corrylium ( to their eyes). Let these wives first step into the pyre, tearless without any affliction and well adorned.” — [ Rig Veda X.18.7 ] [ Kane 199-200 ]
“A sati who dies on the funeral pyre of her husband enjoys an eternal bliss in heaven” [ Daksa Smrti IV.18-19 ] [ Sm.Samu p.30 ] [ 1200, p.65 ]
“A woman must, on the death of her husband, allow herself to be burnt alive on the same funeral pyre” [Vasishta’s Padma-Purana, DuB.345 ].
“If a woman’s husband dies, let her lead a life of chastity, or else mount his pyre” [ Vis.Sm. xxv.14 ] [ Clay.13 ]
” It is the highest duty of the woman to immolate herself after her husband “, [ Br.P. 80.75 ] [ Sheth, p.103 ] ইত্যাদি।
সেজন্যই শুধুমাত্র ১৮১৫ সাল থেকে ১৮২৮ সালের মধ্যে সতীদাহের স্বীকার হয়েছে ৮১৩৫ জন নারী। কথিত আছে, ১৭২৪ সালে মারয়ারের রাজা অজিত সিংহের চিতায় উঠেছিল ৬৪ জন সতী, পানিতে ডুবে বুন্দির রাজা বুধ সিং মারা গেকে তার চিতায় উঠে ৮৪ জন; ১৬২০ সালে এক রাজপুত রাজা মারা গেলে তার চিতায় উঠেছিল নাকি ৭০০ জন সতী। এগুলো কেবল হিন্দুধর্মের আনুষ্ঠানিকতার জন্য ঘটেনি, ধর্মগ্রন্থের ইন্ধনও সাথে ছিলো পুরোমাত্রায়।
ঠিক একইভাবে বাইবেলেও ডাইনী পোড়ানোর ভার্স আছে। একটা উদাহরণ –
Kill The Witches!
“Thou shalt not suffer a witch to live. Whoever lieth with a beast shall surely be put to death. He that sacrificeth unto any god, save to the LORD only, he shall be utterly destroyed.” (Exodus 22:18-20)
বাইবেল বর্ণিত এধরনের বানীতে উৎসাহিত হয়ে ইউরোপ এবং অবশিষ্ট বিশ্বে একটা সময় হাজার হাজার নিরাপরাধ মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই কেবল কোরানেই হত্যা খুব ধর্ষণ করতে প্ররোচিত করা হয়েছে, এবং অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো এসব থেকে একেবারে মুক্ত – এ ধরনের জেনারালাইজেশন করার আগে বোধ হয় আমাদের আরেকবার ভাবা উচিৎ।
তবে এটা ঠিক যে অন্য ধর্মগ্রন্থের অনুসারীরা এই ভার্সগুলোকে এখন আক্ষরিকভাবে মেনে চলেন না, তারা এখন সতীদাহ কিংবা ডাইনী পোড়ানোর ওই অপকীর্তিগুলোকে কেবল ঐতিহাসিক বাস্তবতা হিসেবেই গণ্য করেন। কিন্তু ইসলামের ক্ষেত্রে অনেকেই ভায়লেন্ট ভার্সগুলো খুব আক্ষরিকভাবেই মেনে চলতে চান। এখনো মুসলিম বিশ্বের বড় একটা অংশ ব্যাভিচারের জন্য পাথর মারার ফতোয়া দেন, এখনো কাফির নাসারাদের বিরুদ্ধে কোরানের আয়াত তুলে তুলে যুদ্ধ করেন ইত্যাদি। তাদের মন মানসিকতা পড়ে আছে ঐ মধ্যযুগেই। সমস্যা বজায় আছে অনেকটা এজন্যই।
আরেকটা ব্যাপার বোধ হয় আপনি বুঝেননি। আতীক সাহেব খুব কড়া ধরনেরই নাস্তিক (আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি উনার কিছু লেখা পড়ে নেন)। তিনি ইসলামে বিশ্বাস করেন না। মতাদর্শগত ভাবে হয়তো ভবঘুরে বা যাযাবর এঁদের সাথে হয়তো তার পার্থক্য আছে, কিন্তু ‘আপনাদের কোরান কি আপনারা বদলাতে চেয়েছেন’ বা ‘দেখেও না দেখার ভাণ করে পড়ে আছেন’ বোধ হয় তার জন্য খাটে না। আমার মনে হয় – আপনি যা যা দেখানোর চেষ্টা করেছেন – তিনি ভালই দেখছেন, সেইসাথে হয়তো যাচাই কিংবা বিশ্লেষণ করে দেখছেন অন্য ধর্মের অপকীর্তিগুলোও। সেটাতে দোষের কিছু নেই।
@অভিজিৎ,
সত্য কথা। কিন্তু আপনি সম্ভবত এটাও জানেন যে হিন্দুদের যে চারটি যুগের কথা বলা আছে যেমন সত্য , ত্রেতা , দ্বাপর ও কলি, এর মধ্যে কলি যুগে বেদের কোন উপযোগীতা নেই। মানে কলি যুগে বেদ অনুসরন করার কোন দরকার নেই বা তা নিষ্প্রয়োজন। সুতরাং বেদে কি থাকল, না থাকল তা অপ্রাসঙ্গিক যেহেতু হিন্দু সনাতন ধর্ম মতে এখন কলিকাল চলছে। এর সোজা অর্থ বেদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোন লাভ নেই। খৃষ্টানদের কাছে বাইবেলের পুরাতন নিয়মের অবস্থান যে রকম , হিন্দুদের কাছে বেদের অবস্থান ঠিক সেরকম। আমি অনেক হিন্দুদের সাথে আলাপ করে দেখেছি তারা এ বিষয় সম্পর্কে খুবই কম জানে কারন তারাও মুসলমানদের মত তাদের কিতাব পড়ে না। তবে পার্থক্য হলো হিন্দুরা অধিকাংশ গোড়ামি দেখায় না যা মুসলমানরা দেখায়। তবে দোষ দু প্রজাতিরই যা হলো তারা কেউ তাদের কিতাব পড়ে না।অন্তত বুঝে বা নিজের ভাষায় পড়ে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
বেদের উদ্ধৃতি দিয়ে লাভ আছে কি নেই সেটা প্রশ্ন ছিলো না। প্রশ্ন ছিলো সতীদাহ ব্যাপারটা কি কেবলই কালচারাল, নাকি এর পেছনে ধর্মগ্রন্থেরও ইন্ধন ছিল। আমি দেখিয়েছি ঋগবেদ সহ হিন্দু ধর্মের অনেক পুরাণেই সতীদাহের পক্ষে শ্লোক ছিল। এটা এড়িয়ে যাওয়া অসততা। সেসময়ের ব্রাহ্মণ পান্ডারা হাওয়া থেকে মেয়েদের পোড়ানোর ইন্ধন পায়নি। ধর্মগ্রন্থগুলোর শ্লোককে অস্বীকার করে কেবল ‘গোড়া ব্রাহ্মণ আর রাজারা বানিয়েছিল’ বলাটা অনেকটা এখনকার সময়ে কোরানের ভায়োলেন্ট ভার্সকে অস্বীকার করে গোলাম আজম বা লাদেনকে দোষ দেয়ার মতোই শোনায়।
তবে এটা ঠিক হিন্দুরা কিংবা খ্রীষ্টানরা ধর্মগ্রন্থের এই সব হাবিজাবি ব্যাপারগুলো ত্যাগ করছে অনেকদিন হল, মুসলিম বিশ্বে এখনো তা ঘটেনি। এই বিষয়ে বোধহয় আমরা একমত হতে পারি।
@অভিজিৎ,
অসততার প্রশ্ন আসে কেন? যা হিন্দুরা অনুসরন করে না , অযথা তা উল্লেখ করার কোন দরকারও তো দেখি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কেউ কি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক আবার খুলে পড়ে দেখে নাকি? তারপরও আপনি আলোচনার জন্য উল্লেখ করতে পারেন কিন্তু সাথে সাথে এ বিষয়টি যে উপযোগীতাহীন সেটাও ব্যখ্যা সহ উল্লেখ থাকতে হবে নইলে অন্যদের কাছে এটাই একটা তর্কের পয়েন্ট হয়ে ধরা দেবে। আমি অন্তত বিষয়টিকে এভাবেই দেখি।
@ভবঘুরে,
না, প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক খুলে হয়তো পড়ার দরকার নেই। কিন্তু কেউ সোজা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বই খুলে যদি দাবি করে, প্রাথমিক স্কুলের গণিত বইগুলোতে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের অংক বলে বলে কিছু ছিল না, তবে সেটা হবে অসততা নইলে অজ্ঞতাই।
@ভবঘুরে,
আর আপনি পুরানের যে উদ্ধৃতি দিলেন তাও সত্য কিন্তু পুরান তো ঈশ্বরের বানী না। মূল বিষয় হচ্ছে- ঈশ্বর বা আল্লাহর বানী কিনা। পুরানের যে সব নিয়ম কানুন তা কিন্তু সেই প্রাচীন কালের রাজা বা পুরোহিতদের নিজেদের কথা। উদাহরন স্বরূপ মনুস্মৃতির কথা বলা যায়। মনুস্মৃতির মত এত খারাপ আর অমানবিক নীতি আমি অন্য কোন ধর্মীয় কিতাবে দেখিনি। কিন্তু মনু স্মৃতি তো কোন ঈশ্বরের বানী নয় যদিও মনুকে নাকি হিন্দুরা ঈশ্বরের আংশিক অবতার বা ঐধরনের কিছু মনে করে। কিন্তু মনে করলেই তো হলো না। মনুস্মৃতি মূলত প্রাচীন কালের পুরোহিত ও রাজাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার কতকগুলো বানানো নির্যাতনমূলক বিধিবিধান। হিন্দুরা বর্তমানে সেটা বুঝতে পারে আর তারা পরিত্যাগ করেছে অনেক আগেই। সুতরাং এসব শাস্ত্রের উদাহরন টেনে কোন লাভ নেই। হিন্দু সনাতন ধর্মের বর্তমান মূল শাস্ত্র হলো গীতা। এ গীতাতে কিন্তু এ ধরনের কোন কথাই নেই। গীতাতে মূলত দার্শনিক কথা বার্তা বলা হয়েছে।
@ভবঘুরে, না ভাই আমাদের মূল ধর্মগ্রন্থ কিন্তু বেদ-ই অন্যকিছু নয়।কিন্তু অনেক পুরোনো বলে এর আসল রূপ এখনও টিকে আছে কিনা সন্দিহান।আর এর ভাষাই বা কজন বুঝে।
অভিজিৎদা যেখান থেকে উদ্ধৃত করলেন তাও সঠিকসূত্র কিনা কে জানে।সংস্কৃত কিংবা ইংরেজি বেদ আজকাল ইন্টারনেটেই পাওয়া যাচ্ছে।এখানে কিন্তু প্রশ্ন থকেই যাচ্ছে এগুলো অথেন্টিক কিনা।এর মূল অর্থাৎ প্রাচীন বৈদিকভাষার রূপ নিয়ে মাথা ঘামানোর লোক কিন্তু খুঁজেই পাওয়া যায় না।তাই এর প্রাচীন পর্যায় কিংবা অনুবাদ পর্যায়ে বিকৃত করার সম্ভাবনা থেকেই যায়।তাই হিন্দুরা মূল বেদকে কিন্তু অনেকটা পরিহারই করেছে বলা যায়।
মানুষের প্রয়োজনে আমরা বেদ থেকে গীতা কিংবা ধর্মের যা খারাপ পাই তা বর্জন করে ভালোকে আশ্রয় করেই হিন্দু ধর্মটা এগুচ্ছে।
আর এখানেই ইসলামের সাথে পার্থক্য।হিন্দু ধর্মে জীবনের প্রয়োজনে ধর্ম আর মুসলমানদের কাছে ধর্মের প্রয়োজনে মানুষ।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
বেদ হলো একগুচ্ছ মন্ত্র তন্ত্রের সংকলন। জানিনা আপনি বেদ পড়েছেন কিনা যদি পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন তাতে যে সব মন্ত্র আছে তার মূল লক্ষ্য – ইন্দ্র, বরুন, মিত্র ইত্যাদি দেবতাদের কাছে ধন, মান, যশ, নারী ইত্যাদি চাওয়া হচ্ছে, রাজ্য জয়, শত্রু নিধন ইত্যাদি কামনা করা হচ্ছে। যাগ জজ্ঞের আয়োজন করে কিভাবে দেবতাদের আহ্বান করা হয়, কিভাবে দেবতারা সেখানে আসে, কিভাবে দেবতারা মুনি ঋষি বা রাজাদের সাহায্য করছে ইত্যাদি। পড়তে গেলেই বেশ ধৈর্য থাকতে হবে নইলে প্রচন্ড বিরক্ত বোধ করতে পারেন। পড়া সময়ই আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে- এ ধরনের নিতান্তই জাগতিক ব্যপার স্যপার কেমনে ঈশ্বরের বানী হয়। পড়ার আগে বেদ সম্পর্কে যে ধরনের উচ্চ ধারনা থাকবে , পড়ার পর সেরকম ধারনা নাও থাকতে পারে। যাহোক বেদ বিশ্বাসীদের ব্যাখ্যা হলো- ঈশ্বর জগত সৃষ্টির পর জগতকে জীববৈচিত্র ও কর্মকান্ডে ভরপুর করে তোলার জন্যই সেসব জাগতিক বিষয়াদি মানুষকে বলেছিল যাতে তারা জগত কে ভরপুর করে তুলতে পারে। পরে বেদের এক পর্যায়ে বলা আছে – এত সব কিছুর মধ্য থেকে ঈশ্বরকে চিনে নেয়া ও তার স্মরন নেয়া কর্তব্য। মজার ব্যপার এ বেদেই কিন্তু এক জায়গাতে বলা আছে নিরীশ্বর বাদের কথা মানে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অস্তিত্বে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। যাহোক, বেদ হলো যাগ যজ্ঞ করার জন্য যে সব মন্ত্র দরকার তার সংকলন যা হিন্দু সনাতন ধর্ম মতে সত্য, ত্রেতা ও দ্বাপর যুগে দরকার। বর্তমানে কলিকাল চলছে আর এ কালে মানুষের জন্য কোন যাগ যজ্ঞের দরকার নেই বিশেষ করে কলির প্রারম্ভে মহাবিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের পর যা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে কৃষ্ণ তার গীতায় বলে দিয়েছেন। হিন্দুরা যে এখনই ডজন ডজন দেব-দেবীর পুজো অর্চনা করে তা কিন্তু শ্রী কৃষ্ণ নিষেধ করে দিয়েছেন তার গীতায় পরিবর্তে তিনি মানুষকে শুধুমাত্র তার মানে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা বা উপাসনা করতে বলেছেন অনেকটা আল্লাহ যেমন মুসলমানদেরকে শুধুমাত্র তার উপাসনা করতে বলেছেন তেমন। সমস্যা হলো – হিন্দুরা অধিকাংশই এসব সম্পর্কে অজ্ঞ আর জানারও কোন চেষ্টা তাদের নেই। আর জানে না বলেই এখনও হিন্দুরা বারো মাসে তের পার্বন নিয়ে ব্যস্ত আছে যা দেখে অ-হিন্দুরা উপহাস করে বলে- হিন্দুদের তো ঈশ্বর বা আল্লাহ শত শত হাজার হাজার। আপনি দয়া করে একটু গীতা পড়ুন তাহলেই সব বুঝতে পারবেন আর তখন বুঝতে পারবেন যে – বর্তমান কলিকালে বেদের কোন দরকার নেই , ওটা বাতিল। তাই ওটার সংকলন সঠিক হোক বা বেঠিক হোক , বা কেউ বেদের অনুবাদ করতে গিয়ে টেম্পারিং করেছে কিনা তাতে কিছুই যায় আসে না। তবে ইতিহাস জানার জন্য, হিন্দু সনাতন ধর্মের উতপত্তি জানার জন্য বেদ অধ্যয়নের একটা মূল্য তো আছেই।
@দেবাশিস্ মুখার্জি, ভবঘুরে,
নিচে লিঙ্কটাতে Hindu Darshan এর একটা Summary আছে। পুরওটা পরার পর জদি কোনো প্রস্ন থাকে তাহলে আমি উত্তরের ব্যবস্তা করতে পারি। আপনি এই লিঙ্ক থেকে pdf file download করতে পারেন। লিঙ্কটা কাজ করছে কিনা জানালে খুসি হব।
https://docs.google.com/fileview?id=0Bxmb43ISDdJdNzczZGZkMWUtYWZmMi00ODZkLThhYzMtYjFhYTM0YzU0NGJh&hl=en
@ভবঘুরে,
তার মানে কি বেদের কার্যকারিতা হিন্দু সমাজের কাছে এখন আর নেই? কলিকাল তো মনে হয় এই শতকে না, আরো আগেই শুরু হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
না একেবারেই নেই। এমনকি হিন্দুরা যে বারো মাসে তের পার্বনের পুজা অর্চনা করে সেটাও তারা ভ্রান্তভাবে করে যা তাদের করার কোন দরকার নেই। কলিকাল শুরু হয়েছে দ্বাপর যুগের শেষ হওয়ার পর আজ থেকে প্রায় পাচ হাজার বছর আগে। বর্তমানে হিন্দুদের একমাত্র ধর্মীয় আচরন হলো গীতা অনুসরন করা, গীতা বর্নিত বিধি অনুসারে শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করা , ব্যস আর কিছু না। কিন্তু অধিকাংশ হিন্দু এটা জানে না , আর কিছু হিন্দু আছে যারা জেনেও না জানার ভান করে নানা রকম পুজা পার্বন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতি কারন তাতে যে এক শ্রেনীর লাভ।
@ভবঘুরে, মনে হয় লাভের কিছু অংশ পূজারী ব্রাহ্মণদের।যত বেশি পুজো ততো বেশি দক্ষিণা,চাল-ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি।
@ভবঘুরে,
বড়ই মজার ব্যাপার দেখি। ধর্ম বিষয়ে সবার কমন ক্রাইটেরিয়া দেখি কেউই নিজ ধর্ম সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না 🙂 । কলিযুগ ৫০০০ বছর আগে শুরু হয়েছে কিন্তু তার বিষ বাষ্প দূর হয়েছে এই মাত্র সেদিন, এখনো কিছু আছে বলতে হয়।
@অভিজিৎ,
দাদা অনেক ধন্যবাদ।বলা আছে এবং ব্যাপারটা ঠিক না বলেই তারা ধর্মীয় রীতি থেকে মুছে ফেলেছে।কিন্তু মুসলমানেরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেও বুঝতে চায় না।ভুলটাকেই সত্য বলে প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় প্রতনিয়ত চালিয়ে যায়।
আর হিন্দুরা তো এটাও মেনে নিয়েছে যে বেদের কোন লিখিত রূপ ছিল না।এর আরেক নাম শ্রুতি; কারণ শুনে শুনে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হয়েছে।তাই এর কোন এক পর্যায়ে কিংবা লিপিবদ্ধের কোন এক পর্যায়ে শাসকগোষ্ঠীর নিজেদের সুবিধামত বাণী প্রবেশ করানোর সুযোগ থেকেই যাই।
অন্যদিকে মুসলমানেরা একে মুহাম্মদের না বরং আল্লাহর বানী হিসেবেই মেনে নিয়েছে এবং সর্বদা দাবী জানায় কখনই এর কোন বিকৃতি ঘটেনি।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
কোন গ্রন্থে যদি বিকৃতি স্বীকার করেই নেওয়া হয় তাহলে আর সেই গ্রন্থকে পরম পবিত্র গন্য করার মানে কি হতে পারে?
@আদিল মাহমুদ, এখনতো আর সেই হারিয়ে যাওয়া অংশ পুনরুদ্ধার করাটা প্রায় অসম্ভব তাই।তাই যা আছে তাকেই গ্রহণ করা হচ্ছে।তবে আমাদের সাধারণ জ্ঞানে যেটাকে ঠিক বলে মনে করা যাচ্ছে না সেটাকে পরিবর্তন করে এগুতে হচ্ছে এবং হবে।সঠিক না বলেই আমরা সতীদাহ প্রথাকে বর্জণ করেছি।
আসলে মানুষের প্রয়োজনেই ধর্মটা হওয়া,ধর্মের প্রয়োজনে মানুষ না।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
খুবইস ত্য যে ধর্ম হবে মানুষের জন্য মানুষ ধর্মের জন্য নয়।
আপনাদের উদারতার প্রসংশা এক্ষেত্রে করতে হয় যে ভুল্টা অন্তত স্বীকার করেছেন।
তবে মানুষেই যদি ধর্মগ্রন্থ রচনা বা এডিশন শুরু করে তবে আর ধর্মগ্রন্থের দ্বারস্থ হবারই বা খুব প্রয়োযন পড়ে কি?
@আদিল মাহমুদ, ধর্মগ্রন্থগুলোর আগমনকালীন সময়েই ঐগ্রন্থ দরকার ছিলো।বর্তমানে এর উপযোগিতা কমে গেছে।সবাই যখন এগুলোকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করছে তখন কিছু মানুষ ঐসবগ্রন্থ নিয়েই ২০০০ বছর কিংবা ১৪০০ বছর কিংবা তারও আগে পরে থাকতে চাইছে।এরমধ্যে ১৪০০ বছর আগে পরে থাকাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়াতেই সমস্যটা তাদের ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
কাজিম উদ্দিন আহমদের কাছে শুনেছি – চিতার নীচ দিয়ে একটি চিকন ছিদ্রপথ থাকত। নীচে একটা আধারে যেয়ে সেই ছিদ্রপথ শেষ হত। সতীদেরকে তাদের সোনার সমস্ত অলংকার পরিধান করে চিতায় উঠতে হত। প্রচন্ড তাপে সোনা গলে ওই আধারে জমা হত। ভগবান ব্রাহ্মণগন গলিত সোনা গুলো নিভৃতে আহরণ করতেন। এই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়েই হয়ত ভগবান ব্রাহ্মণগন সতী দাহ প্রথার সৃষ্টি করেছিলেন। (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি যাদের তাদের ত ভগবানই বলা উচিত)।
@যাযাবর, :yes:
এটা আপনার ৫ নং পয়েন্ট হওয়া দরকার ছিল। দেখুন প্রকৃত ইসলাম পালনকারি আফগানিস্থানের তালেবানরা কি করছে। Wikipedia থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি,
@আতিক রাঢ়ী,
বিশ্লেষণ নির্ভর করে ঘটনার ওপর। তবে একজন মানুষ কি বিশ্লেষণ করল তার গ্রহন যোগ্যতা আবার নির্ভর করে পাঠকের ব্যক্তিগত দৃষ্টি ভঙ্গীর ওপর।
(দুখিত, লগ ইন করতে মিস করেছিলাম)
সৌদিকে আমেরিকার এই বিপুল পরিমান অস্ত্র বিক্রির সুদুর প্রভাব অনাগত দিনে দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলির উপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করবে তা নিয়ে কিছু আলচনা হলে খুব ভাল হয়।
হায়রে আমেরিকা এক দিকে কোন দেশকে শাশায় পারমানবিক অস্ত্র বানাছে বলে আর অন্য দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে।
ঠিক জোইন (Jain community) কাছে যেমন মুরগির মাংস ভক্ষনকারী ও গরুর মাংস ভক্ষনকারীদের কোন পার্থক্য নাই তেমন আমার কাছেও পারমানবিক অস্ত্র ও অপারমানবিক অস্ত্রর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নাই কারন দুটই বিশ্ব শান্তি বিগ্নিত করতে পারে। তাই নয় কি ?
@সেন্টু টিকাদার,
বিশাল পার্থক্য আছে যা হলো মাত্রা গত। প্রথাগত একটা বিরাট বোমা বড়জোর কয়েকটা দালান একসাথে ধ্বংস করতে পারে, আর একটা পারমানবিক বোমা ঢাকার মত একটা বড় নগর নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে।
@ভবঘুরে,
তাতো যানি ভাই ভবঘুরে।
আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম যে কোন ধরনের হাই ফাই অস্ত্রঅই কোন অঞ্ছহলের শান্তির ভার সাম্য নস্ট করে এবং অনেক সময় যুদ্ধং দেহি মনভাবের জন্ম দেয়। তাই পারমানবিক ও অপারমানবিক দু ধরনের অস্ত্রই বিপদজনক ।
সৌদি আরব প্রয়জনে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র পাকিস্তান কেও দিতে পারে এবং যদি তাই হয় তবে সেটা হবে দঃ এশিয়াতে আর এক বিপদ।
ভাই, পানি গড়ায় ঠিক আছে মাইনা নিলাম, কিন্তু শেষে কুন জাইগাই গিয়া দাঁড়ায় এইটায় আজ অব্ধি জানতে পারলাম না।সমুদ্র এ কি যাইব শেষে?রাজনীতি আর ধমম নামক গোলক ধাধায় আর কতদিন?
বাংলা টাইপে খুব kosto
@sarat srabon,
যত দিন না আমরা ধর্মকে রাজনীতি থেকে পৃথক করার মত সভ্য ও বুদ্ধিমান না হব।