এই ব্লগে কেউ কি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন ‘দীপক চোপড়া’ নামের এই ভদ্রলোক আসলে কি বলতে চান? প্রত্যেকবার এর কথাবার্তা, ইন্টারভিউ, আলোচনা শুনে আমার মাথাটা কেমন কেমন যেন করে, অবাক হয়ে ভাবি সমস্যাটা কার – আমার নাকি আমেরিকার এই সেলিব্রিটি ব্যক্তিত্বটির? এ আসলে বলতে কী চায় তাইই বুঝতে পারি না আমি। একবার ভাবি, এ নিশ্চয়ই আমারই ব্যর্থতা¸ তাবৎ মিডিয়া মাতানো এত বড় ব্যাক্তিত্বের কথা কি আর পাগলের প্রলাপ হতে পারে নাকি! পঞ্চাশটারও বেশি বই লিখেছেন তিনি। তার প্রতিটা ‘লেকচারের’ মূল্য নাকি একলাখ ডলারেরও বেশি। মাইকেল জ্যাকসন, ম্যাডোনা, অলিভিয়া নিউটন জন থেকে শুরু করে কেই বা তার পদধূলি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন? তারপরই আমার মোটা মস্তিষ্কের আরেকটা অংশ কেমন যেন গুঁতা মেরে বলে স্যারা প্যালিনও তো আমেরিকার বিশেষ এক ব্যক্তিত্ব, হাজার হাজার মানুষ উপচে পড়ে তার তিড়িং বিড়িং করা বক্তৃতা শোনার জন্য, জুলিয়া রবার্টসের মত সেলিব্রিটি গেরুয়া পরে পুরোহিতের সামনে বসে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। তাহলে এই চোপড়াই বা কেন পারবে না বিশাল কোন বড় ব্যাক্তিত্ব বনে যেতে?
এর আলোচনাগুলো খুবই মজার, আপনি কেমন যেন প্রথম প্রথম ঘরের এক কোনা থেকে আরেক কোণায় আছাড় খেয়ে খেয়ে পড়বেন, আর ভাববেন অ্যা, এ কি বললো, আমি কি ঠিক শুনলাম? তারপর একটু সময় গেলেই উঠে বসবেন এবং বলবেন এ তো দেখি আমাদের দেশের বাসে বাসে মলম বিক্রি করা ছেলেগুলোর শিক্ষিত পশ্চিমা গুরু! ওদের উচিত এর কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে যাওয়া! একবার দেখি স্পিনোজাকে কান ধরে টেনে নিয়ে এসে বলে গড বলে কিছু নেই, গড নাকি তার সৃষ্টিতেই বিলীন হয়ে গেছে। তার পরেই বলবে কনশাসনেস বা চেতনা নাকি নন-লোকাল। মানে? তাহলে চেতনা কি মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা? সেদিন দেখলাম ল্যারি কিং এর অনুষ্ঠানে এসে বললো, বিজ্ঞান নাকি মানুষের মস্তিষ্ক এবং চেতনাকে ব্যখ্যা করতে পারে না। সেখানে কোন জীববিজ্ঞানী উপস্থিত না থাকায় এই মিথ্যা দাবীটির উওরও কেউ দিতে পারলোনা। আর এই ল্যারি কিং এর মত লোকদের বুদ্ধিরও কি বলিহারি! স্টিফেন হকিং আর লেখক লিওনার্ড ম্লডিনোর লেখা ‘দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বইটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নিয়ে আসা হল কাদের? না এক জিসাস ঠ্যালা পাদ্রি আর আরেক আয়ুর্বেদীয় বৈদ্য দীপক চোপড়াকে! এধরার বুকে স্টিফেন হকিং এর মত বিজ্ঞানীর ইন্টারভিউ নিয়ে আলোচনা করার জন্য এদের চেয়ে যোগ্য ব্যক্তিত্ব আর কেই বা থাকতে পারে।
লিওনার্ড ম্লডিনোর সাথে চোপড়ার এই কথোপকথনের ভিডিওটা দেখুন;
httpv://www.youtube.com/watch?v=-y5D7q1O1Uk
গড়াগড়ি করে হাসব না কাঁদবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, তবে আমি যেভাবেই গড়াগড়ি দেই না কেন ম্লডিনো যে আন্তরিকভাবে বিনোদিত হয়েছেন চোপড়ার জ্ঞানের বহর দেখে সেটা নিয়ে কিন্তু সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। বেচারা ম্লডিনো চোপড়ার চোপাবাজী সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কোয়ান্টাম মেকানিকক্স এর উপর একটা কোর্সই অফার করে বসলেন। চোপড়ার মুখ থেকে ‘সুপারপজিশন অফ পসিবিলিটিস’ কথাটা শুনে ম্লডিনো যে উত্তর দিলেন এবং সেই সাথে যে মুচকি হাসিটা উপহার দিলেন তার অর্থটা অনেকটা এরকম দাঁড়ায়, প্রত্যকটা শব্দের অর্থ আলাদা আলাদা করে বুঝলেও একসাথে এদের পুরো অর্থ কি দাঁড়ায় তা আমি কেন আমার বাপ দাদা চোদ্দগুষ্ঠিরো বোঝার ক্ষমতা নেই!
ল্যারি কিং লাইভে চোপড়া ম্লডিনোকে দেখলাম গার্ডেলের থিওরি খাওয়ানোর চেষ্টা করলেন কিছুক্ষণ, সেখানেও তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসি দিয়ে ম্লডিনো বললেন, সব কিছুই ঠিক আছে, তবে একটা ছোট্ট সমস্যা! চোপড়া যার উপর ভিত্তি করে পদার্থবিদ্যা নিয়ে এত বড় বড় বিজ্ঞ সব কথা বললেন সেটা আসলে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে খাটেই না! পদার্থবিদ্যা কাজ করে তত্ত্ব এবং পর্যবেক্ষণের সমন্বয়ে। না বুঝে গার্ডেলের থিওরির সাথে এটাকে না মেলানোই ভাল। এটা ল্যারি কিং লাইভ না হয়ে ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ হলে হয়তো চোপড়াকে জিজ্ঞেস করা যেত, ‘কইঞ্চেননি, আফনে কি ইচ্ছা কইরা বিজ্ঞানরে বিকৃত করেন নাকি বিজ্ঞানের ব্যফারস্যাফারগুলা আফনের নন-লোকাল মাথায় ঠিকমত ধরে না?’
আরেক নোবেল বিজয়ী পদার্থবিদ মারি গেল-ম্যান (Murray Gell-Mann) চোপড়ার কোয়ান্টাম ধানাই-পানাইকে একেবারে ‘কোয়ান্টাম ফ্ল্যাপডুডুল’ বলে উল্লেখ করেছেন। পদার্থবিদ ভিক্টর স্টেঙ্গারও তার ‘কোয়ান্টাম গডস’ বইয়ে চোপড়াকে ‘কোয়ান্টাম কোয়েকারি’ করার দায়ে অভিযূক্ত করেছেন। এর পরেও তার ‘কোয়ান্টাম হাম্পটি ডাম্পটি’ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে না তাই আমার মোটা মাথায় ঢুকে না। রিচার্ড ডকিন্স কীভাবে চোপড়ার ভুজুং ভাজুং ফাঁস করে দিয়েছেন, তা দেখুন এই ভিডিওতে –
httpv://www.youtube.com/watch?v=Z-FaXD_igv4
চোপড়া বিজ্ঞানের কিছু ইতং বিতং, প্রাচীন ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা, আর তার সাথে রহস্যময় ম্যাজিক এবং মরমীবাদের সমন্বয়ে এক অদ্ভুত খিঁচুড়ি তৈরি করেন। কেউ বলে সে বেদান্তবাদী, আবার কেউ বলে সে নাকি নাস্তিক। আসলে সে যে কি তা বোধ করি তার নন-লোকাল চেতনাধারী ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানে না। কি সে মহিমা এই মডার্ণ সাই বাবার। মাইকেল শারমার দীপক চোপড়াকে নিয়ে তার এই লেখায় বলেছেন যে দীপক আসলে আধুনিক বিজ্ঞানের মোড়কে পুরে সেই পুরানো কাসুন্দিই পরিবেশন করে চলেছেন। দেখুন এই টেবিলটি –
প্রাচীন ধর্মীয় ঈশ্বর |
চোপড়ার কোয়ান্টাম ঈশ্বর |
omnipresent |
non-local |
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা এই লোকের, তার এই ভন্ডামী খাওয়ার লোকের কোন অভাব নেই। কই যে যাই, কই যে লুকাই, মঙ্গল গ্রহেও পালিয়েও মনে হয় কোন লাভ নেই, চোপড়ার নন-লোকাল চেতনা যে ওইখানের লোকাল বাসিন্দা হয়ে হুক্কা টানছে না – তাই বা কে জানে?
সম্প্রতি দীপক চোপড়া আর আর বিলও রাইলী মিলে রিচার্ড ডকিন্সের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে নেমেছিলেন, ডকিন্স অসৎ, আন সায়েন্টিফিক ইত্যাদি ইত্যাদি বলে নিজেদের বাহবা নিজেরাই কুড়াতে শুরু করলেন –
httpv://www.youtube.com/watch?v=l04Bjs_Rmvc
মাসতুত ভাইদের খুনসুঁটি এতোই আয়ত্বের বাইরে চলে গিয়েছিলো যে, পরে চোপড়া নিজেই লজ্জিত হোয়ে গিয়েছিলেন নিজের ব্যবহারে। এখানে তার পাবলিক এপোলজি –
httpv://www.youtube.com/watch?v=zJ4jYvbxTCk
Lunch Tableএ দীপক চোপড়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। জনৈক colleague বললেন কী ভাবে তিনি চোপড়ার Best seller গুলো পড়তেন। তারপর নিজেই বললেন – একবার চোপড়ার ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেল। পাওয়া গেল Prostitution এ।
বাবাকে যশোর এলাকাতে পাওয়া গেলে একটু পিটানি দিলেই হয়তো বেরিয়ে আসতো আসলে সে কি বলতে চায়।
[এই পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক একটি বিষয় বলে প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সময় স্বল্পতার জন্য এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।]
আমি মুক্তমনার একজন নতুন পাঠক। সংস্কারমুক্ত, যুক্তিবাদী বা মুক্তচিন্তার বই পড়তে এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে (করছি) আমার খুবই ভাললাগে। আমার এ বন্ধুর পরিবেশে মুক্তচিন্তার বই-ই (তার সাথে ‘মুক্তমনা’ হবে আমার প্রকৃত বন্ধু।
নিচের বইগুলোর নাম আমি মুক্তমনা থেকেই পেয়েছি। আগামীকাল সকালে আমার এক বন্ধু কোলকাতা যাচ্ছে। আমার ইচ্ছে, নিচের বইগুলোর যেসব বই কোলকাতা থেকে প্রকাশিত সেসব বই সেখান থেকে আনাবো; আর বাকী যেসব বই বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তা আমি নিজেই সংগ্রহ করবো। সুতরাং বইগুলো যাতে সহজেই কোলকাতা বা বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যায় তার জন্য এবইগুলোর প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা দরকার।
আজ রাতের মধ্যে পাওয়ার জন্য আপনার সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমার বিশ্বাস- এ বইগুলো আপনাদের কারো না কারো কাছে অবশ্যই আছে। এর সাথে আর একটি আবদার তালিকার বাইরেও যদি এ ধরনের কোন বই থেকে থাকে (অবশ্যই আছে) তার নাম সাথে প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা চাচ্ছি।
‘মুক্তমনা’ কি পারে না তাদের সাইটের সাইটবারে এ ধরনের বইয়ের একটি তালিকা প্রকাশকের নাম ও ঠিকানাসহ রাখতে? যাতে আমরা যারা নতুন তারা এখান থেকে সাহায্য নিয়ে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারি।
*প্রবীর ঘোষ- ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ (১ম থেকে ৫ম খণ্ড)
•*প্রবীর ঘোষ- ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না’
•*প্রবীর ঘোষ- ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা’ (১ম-২য় খণ্ড)
•*প্রবীর ঘোষের সম্পাদিত গ্রন্থ ‘যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’
•*প্রবীর ঘোষ ও ওয়াহিদ রেজার যৌথভাবে সম্পাদিত ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’।
•*ভবানীপ্রসাদ সাহুর- ‘ধর্মের উৎস সন্ধানে’
•*ভবানীপ্রসাদ সাহুর- ‘মৌলবাদের উৎস সন্ধানে’
•*ভবানীপ্রসাদ সাহুর- ‘অধার্মিকের ধর্মকথা’
•*ভবানীপ্রসাদ সাহুর-‘আস্তিক-নাস্তিক’
•*সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন ভারত নারী ও সমাজ’
•*সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য’
•*সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’
•*বার্ট্রান্ড রাসেলের- গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ ‘কেন আমি ধর্মবিশ্বাসী নই’
•*বার্ট্রান্ড রাসেলের- ‘ধর্ম ও বিজ্ঞান’
•*বার্ট্রান্ড রাসেলের- ‘বিবাহ ও নৈতিকতা’
•*জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের- ‘ধর্মের ভবিষ্যৎ’
•*জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের- ‘মহাকাব্য ও মৌলবাদ’
•*জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের- ‘সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভগবদ্গীতা’
*জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়ের- ‘গণতন্ত্র, ধর্ম ও রাজনীতি’
*শফিকুর রহমানের- ‘পার্থিব জগৎ’
*শফিকুর রহমানের- ‘হিউম্যানিজম’
•*শফিকুর রহমানের- ‘গোলাম আজমের ইসলাম নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ’
•*মনিরুল ইসলামের ‘বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার’ (ক্যাথার্সিস পাবলিশিং, ঢাকা, ২০০৮)।
*অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ- ‘নারী’
•*অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ- ‘আমার অবিশ্বাস’
•*শিবনারায়ণ রায়- ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (১ম ও ২য় খণ্ড)
•*শিবনারায়ণ রায়- ‘মূঢ়তা থেকে মানবতন্ত্রে’
•*শিবনারায়ণ রায়- ‘নজরুল থেকে তসলিমা : বিবেকী বিদ্রোহের পরম্পরা’
•*বেনজীন খানের ‘দ্বন্দ্বে ও দ্বৈরথে’,
•*সলমান রুশদিদের ‘সেফ হ্যাভেন ও একজন সম্মানিত বিবেক’
•*‘পশু কোরবানি ও একটি বিকল্প প্রস্তাব’ (সম্পাদিত), ‘প্রকাশিত গদ্য’।
•*রাহুল সাংকৃত্যায়ন- ‘তোমার ক্ষয়’
•*রাহুল সাংকৃত্যায়ন-‘দর্শন দিগ্দর্শন’ (১ম ও ২য় খণ্ড)
•*রাহুল সাংকৃত্যায়ন- ‘বৌদ্ধ দর্শন’
•*রাহুল সাংকৃত্যায়ন- ‘বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ’
•*দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়- ‘লোকায়ত দর্শন’
•*দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়- ‘প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে’
•*কাজী আব্দুল ওদুদের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’
•*আবুল হুসেনের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’
•*শামসুল হকের ‘নারীকোষ’
আমার এ লেখার জবাব কেহ দিচ্ছেন না। কিন্তু আমার যে ভাই জরুরি প্রয়োজন। অভিজিৎ দা, মডারেটর হিসেবে আপনারতো চোখে পড়েছে, অনুগ্রহ করে আপনিই না-হয় উত্তর দিন।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
ভাই এতগুলো বইয়ের প্রকাশকের নাম ধাম তো আমি কাছে নিয়ে বসে নেই। যে কটা জানি আর এ মুহূর্তে মনে পড়ছে, আপনাকে বলতে পারি। প্রবীর ঘোষের বইগুলো দে’জ প্রকাশণী থেকে বেরোয়। আরজ আলী মাতুব্বর – পাঠক সমাবেশ। শফিকুর রহমানের একটা বই জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, আর একটা বোধ হয় -সন্দেশ। রাহুল সংকৃত্যায়নের নতুন মানব সমাজ (তোমার ক্ষয়) টা বেরিয়েছে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি থেকে। হুমায়ুন আজাদের নারী সহ প্রায় সব বইই আগামী থেকে বেরিয়েছে। জয়ান্তনুজ বন্দোপাধ্যায়ের বই বেরিয়েছে এলাইড পাবলিশার্স থেকে। ভবানীপ্রাসাদ সাহুর বই বোধ হয় উৎস মানুষ। বাকিগুলো এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। অন্যরা হয়তো সাহায্য করতে পারবেন।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
সুকুমারী ভট্টাচার্যের ‘প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য’-আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
•*রাহুল সাংকৃত্যায়ন- ‘বৌদ্ধ দর্শন’– চিরায়ত প্রকাশনী
আপাতত” হাতের কাছে এদুটো বই পেলাম বলে বলতে পারলাম।
তবে বই সংগ্রহের জন্য বইয়ের মার্কেটে যান। সবগুলোই পাবেন। আজিজ মার্কেট বা নিউমার্কেট গেলেই পাবেন। কোন বই না পেলে যারা ভারতীয় বই বেচে তাদেরকে বললেই আনিয়ে দেবেন। আজিজ মার্কেটে দোকানদাররাও আপনাকে বইয়ের তালিকায় সহযোগিতা করতে পারবে। আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। কাজেই কলকাতা পর্যন্ত না দৌড়ালেও হবে।
দীপক চোপড়ার ব্যপার আর কিছুই নয়। ইসলাম , খৃষ্টান ইত্যাদি ধর্মের এত গুলো হোমরা চোমরা মানুষ তাদের কোরান আর বাইবেলের ভেতর থেকে বিজ্ঞান বের করছে, হিন্দুরা বসে থাকবে কেন ?
@ভবঘুরে,
চোপড়া অবশ্য নিজেকে হিন্দু বলে স্বীকার করে না। বরং কিছুদিন আগে হিন্দুদের সাথে তার বিরাট ঝগড়া হয়ে গেছে যোগ “হিন্দু বিজ্ঞান” কিনা এ বিষয়ে।
@রৌরব,
সে তো ঠিকই বলছে।ে সে তো এখন হিন্দুস্থান েবাস কর েনা। তাই সে এখন হিন্দু নয়, মার্কনিী।
@ভবঘুরে,
হিন্দুরা বসে থাকবে কেন কী যে বলেন দাদা? বিজ্ঞানের জন্মই তো হল হিন্দু ধর্মের ঘরে। শাধু সন্তের দেশে নামে একটা বই আছে পড়ে দেখুন কপালে চন্দন টিকা দিতে সময় লাগবেনা। আহারে, সনাতন ধর্ম! মহাভারত পড়ে দেখুন খালি বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান।
এখানে একটু দেখুন-
@আকাশ মালিক,
উদ্ধৃতিটা লিঙ্ক থেকে নেওয়া। ভিডিও ক্লিপটা কাজ করছে না। করলে অনেক বিজ্ঞান শিখা যেত।
দারূণ।
বিষ্ণু = নিউট্রন
ব্রহ্ম = প্রোটন
শিবজী = ইলেক্ট্রন
এ সব এতই অখাদ্য যে এর মধ্যে মজাটা পর্য্যন্ত নেই।
@আকাশ মালিক,
অন্যান্য ধর্মের চেয়ে অপবিজ্ঞানের প্রবেশ হিন্দু ধর্মে অনেকগুন। কোরানে বিজ্ঞানের ডাক নিয়ে বেশ কিছু শিশুসুলভ বিতর্ক হয়-কিছু বিজ্ঞানী পেট্রোডলার খেয়ে মুসলমান সমাজ কে খুশী করে দেয়-কিন্ত হিন্দু ধর্মের মধ্যে অপবিজ্ঞানের প্রবেশ মাইন্ড বগলিং। হিন্দু দর্শন এবং বিজ্ঞান নিয়ে শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানীদের কনফারেন্স হয় নিয়মিত। এগুলো দেখে আর কি বলব
@বিপ্লব পাল,
আপনার লিঙ্কটা মজাদার হয়েছে। ছবি হাজার কথা বলে। তাই ছবি গুলোই দেখলাম। চোখে পড়ল মহারথীদের (আমার কাছে “রাম ছাগল” ছাড়া আর কিছু নয়) নামের আগে ডঃ, প্রফেসর, ভাইস-চ্যাঞ্চেলর ইত্যাদি।
@বিপ্লব পাল,
ভাল জিনিস। মেজাজ খারাপ থাকলে এই ওয়েব সাইট পড়ে একচোট হেসে নেয়া যাবে
:laugh:
গোবরের গন্ধ পাচ্ছি।
@আকাশ মালিক,
:laugh:
@আকাশ মালিক,
:hahahee: আপনার লিংক কাজ করছে না কিন্তু। ভেবেছিলাম কিছু হিন্দু বিজ্ঞান শিক্ষা লাভ করব, কিন্তু তা আর হচ্ছে কই 🙁
@বিপ্লব পাল ,
আপনার সাথে এ বিষয়ে একমত যে, রজনীশের দর্শন দীপকের চেয়ে গুণগতভাবে সম্পুর্ণ ভিন্ন। তবে এদের ইউএসপি মোটামুটি একই ধাঁচের যেমন, হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের টার্গেট করা। জনপ্রিয় ছদ্মবিজ্ঞানের মোড়কে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মত অত্যন্ত জটিল বিষয়কে মানুষ কিভাবে কোয়ালিটাটিভ টেকনিকে দেখতে চায় – এটাই আমাকে বেশী অবাক করে।
লঘু চালের এই লেখাটি দারুণভাবে লক্ষ্যভেদী। দীপক চোপরাকে একেবারে দিগম্বর বানিয়ে ছেড়েছে।
মাইকেল শারমার দীপক চোপরার একটা লেখাকে খণ্ডন করতে গিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন Hope Spring Eternal নামে। অভির চাপাচাপিতে সেই লেখাটি বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম আমি ‘আশা জেগে রয় চিরন্তন’ নামে। মুক্তমনায় তা চারপর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে চার পর্বের লিংক দিয়ে দিলাম। আগ্রহী পাঠকেরা পড়ে দেখতে পারেন।
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্ব
দীপক চোপড়া কথা ভাবতে গেলে আমার বার বার আশির দশকের ‘ভগবান রজনীশ’ আর তার রোলস রয়েস কালেকশনের কথা মনে পড়ে । দীপক চোপড়াকে বিশ্লেষণ করতে হলে তার ‘কোমোডিটির’ জেনেসিস তথা ভগবান রজনীশে ফিরে যেতে হবে ।
@সংশপ্তক,
একমত না। রজনীশ দর্শনের অধ্যাপক ছিল বলে আর যাই হোল ওর লেকচার গুলো স্টুপিড না মোটেই-বরং অনেক ক্ষেত্রেই মিনিংফুল-এবং চিন্তাশীল ও বটে । লোভ রজনীশ কে শেষ করেছিল-কিছু আজগুবী বিজ্ঞান ওর লেকচারেও পাওয়া যায়, তবে অনেক অনেক কম। মূলত দর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল রজনীশ-
এই ভিডিও দেখুন -রজনীশ ব্যাখ্যা করছেন কেন ঈশ্বর নেই-এবং বিলিফ সিস্টেম কোথা থেকে এল-এটা আর যাই হোক দীপক চোপড়ার মতন স্টুপিড না। বরং দর্শনে যথেষ্ট বুৎপত্তি না থাকলে এই ধরনের লেকচার দেওয়া যায় না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=PBEIeRSLb8k
আরেকটা দীপক চোপড়া ইন্টারভিউ-দেখে আমার হাসতে হাসতে পেট ফেটে গেল। দারুন এন্টারটেইনমেন্ট।
ইন্টারভিউ লিংক-বাই দি ওয়ে লোক টার কমেডি ভ্যালু অসাধারন
httpv://www.youtube.com/watch?v=RHoDysf0mH0&feature=related
দীপক চোপড়ার বডি মাইন্ড সমস্যা-
এই ভিডিওটা দেখলে বোঝা যাবে লোকটা কি করে বাকীদের বোকা বানাচ্ছে।
ওর শুরুটা চমৎকার। বর্তমান মেডিক্যাল সায়েন্সের যে সমস্যাটা দিয়ে শুরু করেছে, সেটা ১০০% সত্যি এবং একজন ডাক্তার হিসাবে সে এটা ভালোই জানে। তার পরে সেই সমস্যাটার বৈজ্ঞানিক সমাধানে না গিয়ে পুরো একটা আনভেরিফায়েড হাইপোথেসিসি নিয়ে বসে গেল-যেটার ওপর কেও কোনদিন গবেষনা করে নি। সেটাকেই ইন্টারভিউতে বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট বলে চালিয়ে দিল-এই ঢপটা যাদের বিজ্ঞান নিয়ে সম্যক জ্ঞান নেই, তারা ধরতে পারবে না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=iMXptOGC5zM&feature=fvw
@রৌরব ,
এটা নিয়ে অধ্যাপক জন সার্লের’ The Chinese room argument’ এর কথা উল্লেখ্য। উনি দেখিয়েছেন যে ”Syntax by itself is not sufficient for semantic content “। খাবারের স্বাদ কিংবা গোলাপের ঘ্রাণকে কিভাবে বাইনারি সিনট্যাক্সে মডেল করা সম্ভব ?
@সংশপ্তক,
প্রথমেই আমি আবার পরিষ্কার করে বলতে চাই, consciousness এর ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেননি এখনও, কাজেই কোনটি সত্যি, তা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। এখানে পুরোটাই অনুমান।
অনুমানের জগতে যদি আসি, সার্লের আর্গুমেন্ট সাধারণভাবে অগৃহিত। ওর মধ্যে বহু সমস্যা আছে। দার্শনিক যুক্তি গুলি সাধারণত এধরণের হয় যেটা সরাসরি প্রমাণ-অপ্রমাণ করা কঠিন, কিন্তু সার্লের যুক্তি মোটাও সর্বজনগ্রাহ্য নয়।
গোলাপের ঘ্রাণের ব্যাপারেও একই কথা। কঠিন প্রমাণ এখনও কোন দিকেই নেই। এটাকে কম্পিউটেশনালী কিভাবে তৈরি করা সম্ভব, অবশ্যই আমার বা কারোরই এখনও জানা নেই। তার মানে এই নয়, এটি অসম্ভব বলে জানা গেছে।
@রৌরব,
বিবর্তনীয় কম্পিউটেশন(evolutionary computation) জেনেটিক আলগোরিদমের ধারনাকে সামনে রেখে এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে । সাধারন কম্পিউটেশনে যে বাইনারী আলগোরিদম (০,১) প্রয়োগ করা হয় , জেনেটিক আলগোরিদমে ক্রোমোজম সেই ভুমিকা পালন করে । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(AI) শতভাগ সিমুউলেইট করা যদি কখনও সম্ভবপর হয় , বিবর্তনীয় কম্পিউটেশনেই তা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেকগুলো বড় রকমের চ্যালেন্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশটা কগনিশন নিয়ে কাজ করে এবং লজিক নিয়ে নয় – সেই অংশটা সিমুউলেইট করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ ।
@সংশপ্তক,
সবই ০ আর ১। সে অ্যালগরিদম “সাধারণ” হোক আর বিবর্তনীয়ই হোক। সবই টুরিং মেশিন, এর বাইরে কেউ কিছু করতে পারেনি এখনও। কাজেই আপনার কথা যদি ঠিকও হয়, এবং ঠিক হতেই পারে, সেটাও হবে বাইনারী সিনট্যাক্সের মধ্যে থেকেই।
পুরোপুরি একমত।
কনশাসনেস নিয়ে নানা জনের নানা রকম মত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আমার বিশ্বাস । তবে , কনশাসনেসের ব্যাখ্যা জনিত মডেল নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে প্রায়ই উকি দেয় । কনশাসনেস কি কোন অবজেক্ট না কোন সাবজেকটিভ কোয়ালিটাটিভ phenomenon ? আচরণগত মডেল কিংবা কম্পিউটেশনাল মডেল ? কম্পিউটেশনাল মডেলকে বাতিল করা যায় শুধু এ কারনেই যে , কম্পিউটারের বাইনারী সিনটাক্সের (০,১) মত মানুষের মস্তিষ্ক কাজ করে না। কিংবা উল্টো করে বললে , মানুষের মস্তিষ্ক কম্পিউটার নয় যদিও মস্তিষ্কের কিছু কর্মকান্ডের সাথে কম্পিউটারের মিল রয়েছে।
অন্যদিকে , মানুষের কোন আচরণটা কনশাস এবং কোন আচরণটা কনশাস নয় – এটা আমরা কিভাবে নির্ধারণ করবো ? বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটা নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব নয়।
@সংশপ্তক,
মানুষের মস্তিষ্ক একটি কম্পিউটার, এটাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুমান, যদিও প্রমাণিত নয়। বাইনারি সিনট্যাক্সের কারণে একে বাতিল করা যায়না, কারণ বাইনারি সিনট্যাক্স দিয়ে অন্য যত ধরণের সিনট্যাক্স কল্পনা করা যায়, সবই মডেল করা সম্ভব।
মেডিক্যাল সায়েন্সের বিরুদ্ধে আমার বিরোধিতা দেখে যারা তাজ্জ্বব বোধ করছেন, তাদের শুধু এটাই বলতে চাইছি-ড্রাগ এপ্রুভাল প্রসেস যে বৈজ্ঞানিক তাতে সন্দেহ নেই-এবং তা নাল হাইপোথিসি মেনেই হয়।
সমস্যা হচ্ছে আমরা গত দশ বছরে আমেরিকা্তে দেখছি এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে ম্যানুপুলেট করা হয়েছে ( ফার্মা কোম্পানীর লোভের জন্যে) বারে বারে। যার জন্যে প্রতি মাসেই কোন কোন না কোন ড্রাগ মার্কেট থেকে তুলে নিতে হচ্ছে। এফ ডি এ অনেক এলার্ট দিয়েছে। ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে এখন ডজনে ডজনে ফৌজদারি বা ক্রিমিনাল মামলা ঝুলছে। এবং তারা প্রায় সব ক্ষেত্রেই দোষী প্রমানিত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে এইসব ড্রাগ বাজারে চালানোর জন্যে ডাক্তারদের তারা অনেক “দিয়েছে”। অনেক ডাক্তার ফার্মার টাকায় ৪-৫ বার বিদেশে ভ্রুমনে যাচ্ছেন। এই মানুষ মারার খেলায় ডাক্তার-ফার্মা সবাই একটি দুষ্ট চক্রের সৃষ্টি করেছে। এটা গর্ব না গোবরের ইন্ডাস্ট্রি যেখানে মানুষ মারার টাকায় ডাক্তারদের অনেকেই বিদেশে বিলাস ভ্রুমনে রত? এগুলো গল্প না-আমেরিকান গ্রীড অনুষ্ঠানে ্প্রতিদিন দেখছি।
এর কোনটা অসত্য?
আমি যতদূর জানি, চোপড়ার এই ‘নন -লোকাল ঘোড়ার ডিম’ এর উৎস আসলে রজার পেনরোজ এবং স্টুয়ার্ট হ্যামারহফ মনুষ্য-চেতনার মাইক্রো-টিউবলস কেন্দ্রিক মহাবিতর্কিত তত্ত্ব – যেখানে দাবী করা হয়েছে মাইক্রো-টিউবলসসমূহের মধ্যে কোয়ান্টায়িত মহাকর্ষ থাকার ফলে দরুন যে মনুষ্য-চেতনার উদ্ভব ঘটে সেটা ধবংস হয় না। ভাববাদীরা স্বভাবতই এতে ‘আত্মার নিত্যতা’ খুঁজে পেয়েছেন। পেনরোজ দাবী করেছেন, মানুষের মস্তিস্কের চলন ব্যখ্যা করার জন্য কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রয়োগ লাগবে। পেনরোজের অধিপদার্থবিদ্যার এ সব ব্যাখ্যা বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীই এগুলো গ্রহণ করেননি। যেমন, পদার্থবিজ্ঞানী লী স্মোলিন বলেন, “আমাদের মস্তিষ্কের আবাস তো আর পরমশূন্যের কাছাকাছি কোথাও নয়, এজন্য বিবর্তনের ফলশ্রুতিতে মস্তিষ্কের আচরণ কোয়ান্টায়িত হয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা খুব একটা যৌক্তিক হতে পারে না।” আরেক পদার্থবিদ ম্যাক্স টেগমার্ক Physical Review পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধে হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে, নিউরনের সক্রিয়ন ও উদ্দীপনের(firing and excitation) জন্য প্রয়োজনীয় সময় decoherence জন্য প্রয়োজনীয় সময় থেকে কমপক্ষে ১০,০০০,০০০,০০০ গুণ বেশী। পেনরোজ মস্তিস্ককে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটারের’ সাথে যে তুলনা করেছিলেন সে অনুমানে ভুল ছিল। তিনি উপসংহারে এসেছেন এই বলে – brain that relate to cognitive processes should be thought of as a classical rather than quantum system। ভিক্টর স্টেঙ্গরের ‘Quantum Gods: Creation, Chaos, and the Search for Cosmic Consciousness’ বইয়েও পেনরোজের কাজের সমালোচনা আছে। ভিক্টর স্টেঙ্গর কোয়ান্টাম গড বইয়ে গণনা করে দেখিয়েছেন যে, মস্তিষ্কের নিউরাল ট্রন্সমিটার মডিউলের ক্ষেত্রে ম্যাস (m), স্পীড(v) এবং ডিস্টেন্স (d) এর সম্মিলিত মান পেয়েছেন –
mdv = 1700h – যা কোয়ান্টম সূত্র প্রয়োগের জন্য অনেক বড়, সেখানে বরং ক্ল্যাসিকাল সূত্রই প্রযুক্ত হবার যোগ্য। এছাড়াও ইন্টারনেটে পেনরোজ-হ্যামারফের আরো ফলসিফিকেশন আছে।
পদার্থবিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও চোপড়া এবং তার নিউ এজ সাঙ্গপাঙ্গরা নন-লোকাল ইনফরমেশনকে কখনো ঈশ্বর, কখনো আত্মা প্রভৃতি বানিয়ে জনগনের মধ্যে ধোঁকাবাজি শুরু করেছেন। শুধু দীপক চোপড়া নন, অমিত গোস্বামী, জ়ে জ়েড নাইট সহ অনেকেই নিজেদের মনগড়া নানাপদের ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন এই সব কোয়ান্টাম কোয়েকারেরা। আর তাদের এই সব নিউ এজ মার্কা ধানাই পানাইগুলোকে আবার চলচিত্রেও রূপদেয়া হয়েছে – ‘হোয়াট দ্য ব্লীপ ডু উই নো?’ নামে। পাবলিকের মোটা মাথায় গার্বেজ ঢেলে ঢেলে মিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা করে নিচ্ছেন চোপড়া-চক্র।
@অভিজিৎ,
পুরোপুরি একমত।
শুধু যে পেনরোজ (অতএব চোপড়ার) এসব দাবী অপ্রমাণিত ও অসার তাই নয়, যদি স্পেকুলেট করতেই হয় তাহলে এই মুহূর্তের স্পেকুলেশন হচ্ছে যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার যদি তৈরি করাও যায় (যা সত্যিই কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করবে), তাও কিন্তু ওরকম কোন আধা-আধ্যাত্মিক অর্থে ভিন্ন হবে না, শুধু পরিমাণগত অর্থে অনেক শক্তিশালী হবে। information এবং consciousness সম্বন্ধে এক্কেবারে নতুন কিছু বলতে পারার সম্ভাবনা খুবই কম। (দ্রঃ যা বললাম সবই অনুমান, বৈজ্ঞানিক তথ্য নয়)
@রৌরব,
পেনরোস আর দীপক কে এক লেভেলে আনা ভুল। দীপক কোয়ান্টাম তত্বের গভীরের ব্যাপার না জেনে বুঝে তার জার্গন ছাড়ছে। কোয়ান্টাম তত্বের গভীরে যেতে হলে ফর্মালি পড়তে হবে যার জন্য মিনিমাম গ্রাজুয়েট লেভেল কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি সিরিজ নিতে হয়। অনেক ব্যবহারিক পদার্থবিজ্ঞানীদেরও এই মিনিমাম ট্রেইনিং নেই, চোপড়া তো কোন ছার। পেনরোসের চেতনার কোয়ান্টাম তত্ব ভুল হতে পারে,কিন্তু সেটা বৈজ্ঞানিক তত্ব, এর পেছনে কোয়ান্টুম তত্বের ফর্মাল ভাষা যা গাণিতিকভাবে ব্যক্ত। আমরা সাধারণ পাঠকেরা তার সহজ ভাষায় লেখা বই পড়ি। এটা পড়ে সমালোচনা করার মত যোগ্যতা আমদের হবার কথা নয়। এটা ভুল প্রমাণ তারাই করতে পারে যাদের ঐ লেভেলে পড়াশুনা করা আছে। এই অ্যাডভ্যন্সড লেভেলে দুই পক্ষের বিজ্ঞানীদের মতামতের গুণাগুণ গভীরতার সাথে বিচার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, দু পক্ষের বিজ্ঞানীদের কুওট করা ছাড়া। পেনরোস একজন হার্ড সাইন্টিস্ট। Oxford এর Rouse Ball Professor of Mathematical Physics. কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি তে তাঁর মৌলিক অবদান আছে যেমন Penrose Diagram। তিনি তাঁর ভুল ঠিকই বুঝবেন, কারণ তাঁর চেয়ে কোন্টাম তত্ব খুব কম লোকই বেশী জানেন। তাঁর “Emperor’s New Mind” নিয়ে যা সমালোচনা হয়েছিল তারি ভিত্তিতে তার সংশোধিত তত্ব “The Shadows of the Mind” এ প্রকাশ করেন। আমি জানিনা তার গবেষণার স্টেটাস কি এখন। যাই হোক দীপকের কোয়ান্টাম কুয়্যাকারী আর পেনরোসের তত্ব এর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। দুজন কে এক লেভেলে ফেলা ঠিক হবে না।
@অপার্থিব,
পেনরোজের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে চোপড়ার তুলনা করছি না। যেমন, উল্টোদিকে এটাও কিন্তু হতে পারে যে চোপড়া (বা যেকোন যোগ বিশেষজ্ঞ) চেতনা সম্বন্ধে ব্যবহারিক ভাবে কিছু জানে যার তুলনায় পেনরোজের চেতনা বিষয়ক ব্যবহারিক ধারণা বালখিল্য। আবার পেনরোজ এ.আই বা নিউরো-সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ নন। কিন্তু এর কোনটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এসবই appeal to authority।
পেনরোজের যদি একটা বৈজ্ঞানিক তত্ব থেকে থাকে, যে নিউরন কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করে, উনি পেপার লিখে জার্নাল অফ নিউরোলজিতে পাঠাচ্ছেন না কেন এক্সপেরিমেন্ট সহ? উনি বলছেন এ, অাই টুরিং কম্পিউটেবল নয়। চমৎকার, একটা নতুন অ-টুরিং মেশিন অ্যালগরিদম বের করে জার্নাল অব মেশিন লারনিং-এ পাঠাচ্ছেন না কেন? তা না করে উনি লিখছেন আধা-পপুলার পুস্তক। এগুলি কোন “গবেষণা” নয়।
@রৌরব,
appeal to authority এর সঠিক মানে দেখা যাচ্ছে জানেন না বা জানলেও সঠিক প্রয়োগ করেন নি।
appeal to authority = অমুক লোক বড় বৈজ্ঞানিক/অভিনেতা/কবি…(ইত্যাদি), তাই তাঁর বক্তব্য নির্ভুল।
আর আমি বলতে চাইছি কোন্ authority (পেনরোজ না কি টেগমার্ক/স্মলিন…) ঠিক আর কোন্ authority ভুল সেটা বিচার করার মত টেকনিক্যাল এক্সপার্টিজ আমাদের নেই। তাই আমাদের মত কেউ যদি বলে বিশেষজ্ঞ ‘খ’ বলছেন বিশেষজ্ঞ ‘ক’ ভুল তাই বিশেষজ্ঞ ‘ক’ ভুল, সেটাই বরং appeal to authority এর একটা ভেরিয়েশন হবে, যেখানে এক অথরিটিকে অন্য অথরিটিরে চেয়ে বেশি পছন্দ করা হচ্ছে। আর তাছাড়া ‘ক’ আর ‘খ’ দুজনেই বক্তব্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সেখানে আমরা (গ) যারা এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই তারা কি যুক্তিতে ‘ক’ ঠিক না ‘খ’ ঠিক বিচার করতে যাব?
আর আপনার শেষের দাবী ঠিক নয়। পেনরোজ শুধু পপুলার বই লিখেই তারঁ বৈজ্ঞানিক মতবাদ প্রচার করছেন না। অন্যান্য বিজ্ঞানীরা তাকে অনেক সিরিয়াস ভাবেই নেয় বলেই জার্নালে বিতর্ক হচ্ছে, আপনি তাকে জোকের তেলের বিক্রেতার সাথে তুলনা করলেও।
পেনরোজ/হ্যামেরফের মূল পেপার
Mathematics and Computer Simulation 40:453-480, 1996 এ বেরিয়েছিল। http://www.quantumconsciousness.org/penrose-hameroff/orchOR.html লিঙ্কে পেপার টা আছে।
এ ব্যাপারে অভিজৎ আর বিপ্লবের ডায়ালগ ও দেখতে পারেন মন্তব্যে। আমার কথার কিছু পরোক্ষ সমর্থন পাবেন তাতে।
@অপার্থিব,
পার্থক্যটা ধরতে পারলাম না। মনে হচ্ছে আপনি এক authority-র বদলে একগুচ্ছ authority-র কাছে appeal করছেন।
এরা কেউ consciousness বিষয়ক authority, এই তথ্যও আমার কাছে নতুন। যাদেরকে এবিষয়ক authority ধরা যায়, তাদের এ বিষয়ক মতামত দেখলে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র পাবেন।
হ্যামেরফের সাথে তাঁর পেপারটা তাঁর বিরাট থিসিসকে প্রমাণ করা শুরুও করতে পারেনি, তবে অন্তত পেপারটা লেখার জন্য তাঁর প্রশংসা করতেই হয়। উনি যদি এভাবে এগিয়ে তাঁর মতামত বৈজ্ঞানিক মহলে গ্রহণযোগ্য হওয়ার পরে পপুলার বই লিখতেন, সেটা শোভন হত। পেনরোজের তত্বের পরিস্থিতি কিন্তু স্ট্রিং থিয়োরি বা টুরিং হাইপোথিসিস-এর মত নয়, যেগুলি প্রমাণিত না হলেও শক্তিশালী সম্ভাব্য তত্ব, যা বহু বিজ্ঞানীর intuition ও গবেষণার উপর দাঁড়িয়ে আছে। বরং উল্টোটাই সত্যি।
যাই হোক, বরং লি স্মোলিনের একটা ভিডিও শেয়ার করি। এর সাথে পেনরোজের কোন সম্পর্ক নেই, ভাল লাগতে পারে বলে দিলাম
http://www.edge.org/video/dsl/EF01_smolin.html
@অভিজিৎ,
কোয়ান্টাম কনসাসনেস একেবারে ওরানো যাবে না। ডেকোহেরেন্স দৈর্ঘ্য সাধারনত খুব ছোট হয়-কিন্ত কোয়ান্টাম ফিল্ডের ক্ষেত্রে এর দৈর্ঘ্য অনেক বড় হতে পারে।
ওয়াকি তে কিন্ত দেখছি গত পাঁচ বছরে বিজ্ঞানীরা মনের ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম কোহেরেন্সের সমর্থনেই বেশী কাজ দেখিয়েছেন
রেফঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Quantum_mind
Between 2003 and 2009, professors Elio Conte, Andrei Yuri Khrennikov, Orlando Todarello, Antonio Federici, Joseph P. Zbilut, performed a number of experiments reaching evidence on possible existence of quantum interference effects on mental states during human perception and cognition of ambiguous figures. See further reading.[13, 14, 15, 16] These authors have also realised theoretical contributions on the analysis of quantum interference effects in mental states, and on time dynamics of cognitive entities.[13, 14, 15, 16]
Studies in the last few years have demonstrated the existence of functional quantum coherence in photosynthetic protein. Engel et al. (2007) was the definitive paper in this field, while Collini et al. (2010) showed that this type of coherence in protein could exist at room temperatures. These systems use times to decoherence that are within the timescales calculated for brain protein.[40][41]
***
ম্যাক্স টেডমার্কের যে পেপারটি দিলে রেফারেন্সে সেটি টেকে নি-কারন তার ক্যালকুলেশন ছিল কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়ে-কিন্ত এই ক্ষেত্রে তাকে ফিল্ড থিওরেটিকাল ক্যালকুলেশন করতে হত। তাতে অন্য রেজাল্ট আসে।
সুতরাং কোয়ান্টাম মাইন্ডের দিকেই বিজ্ঞানের ইঙ্গিত।
তবে দীপক চোপড়া এসব কিছু বোঝে না। সে ব্যাপারেও নিশ্চিত থাকা যায়।
@বিপ্লব,
খুব বেশি ডিটেলে যাবার স্কোপ এই ব্লগে নেই, কিন্তু তুমি টেগমার্কের পেপার নিয়ে যেগুলো কথা বলেছ, সেগুলোর প্রতুত্তর টেগমার্ক দিয়েছেন। টেগমার্কের পেপারের সমালোচনা করে হ্যামারফ লিখেছিলেন Quantum computation in brain microtubules: Decoherence and biological feasibility (ফিজিকাল রিভিউ)। টেগমার্ক তার উত্তরে ‘সমালোচনাটির স্মালোচনা’ করেছিলেন আরেকটি পেপারে , সেটা তুমি পাবে এখানে। ব্যাপারটার নিষ্পত্তি হয়নি এখনো, কিন্তু আমি যতদূর জানি – অধিকাংশ পদার্থবিদই হ্যামারফ পেনরজের ফলাফলকে সঠিক মনে করেন না, অন্তঃত আমি তাই জানি। এমনকি ভিক্টর স্টেঙ্গর যখন তার বইয়ে পেনরোজ এনং হ্যামারফের ভুল ধরেছিলেন, হ্যামারফের উত্তরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, মস্তিস্কে কোয়াণ্টাম ফেনোমেনার চেয়ে ক্ল্যাসিকাল ফেনোমেনাই কার্যকর হবার কথা –
… Nevertheless I agree with Stenger that synaptic chemical transmission between neurons is completely classical. The quantum computations we propose are isolated in microtubles within the neurons… (কোয়ান্টাম গডস, পৃঃ ১৮৯)
যা হোক, আমি নিজে পদার্থবিজ্ঞানের কাটিং এজ গবেষনার সাথে জড়িত নই, জার্নাল আর পপুলার লেভেলের বই গুলোর বাইরে খুব বেশি যে এব্যাপারে খোঁজখবর রাখব তারও বেশি উপায়ও নেই। যেটুকু জেনেছি তার ভিত্তিতেই অভিমত দিলাম।
তোমার শেষ লাইনটির সাথে শত ভাগ একমত – দীপক চোপড়া এসব কিছু বোঝে না। সে ব্যাপারেও নিশ্চিত থাকা যায়।
@অভিজিৎ,
আসল সত্যটা হল এটি বিজ্ঞানের গবেষনার অন্তর্ভুক্ত-এবং চেতনা বস্তুটা কি এটাকে ক্রাক করতে অনেক সময় লাগবে। আমার ধারনা এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার মতন কোন অবস্থানেই আমরা নেই।
আমি একজনকে চিনি ব্রেনের এলগোদিরম নিয়ে কাজ করে। সে আমাকে বলেছিল-মানুষের ব্রেনকে বুঝতে এখনো অনেক সময় লাগবে-আমরা আসলেই কিছু জানি না এখনো। সব কিছুই ম্যক্রো মডেলিং।
@অভিজিৎ,
পুরোপুরি একমত। দীপক চোপড়া আঁতেলমার্কা কতগুলো শব্দ জোড়াতালি লাগিয়ে ‘কনফিউজিং’ কতগুলো বাক্য দাঁড় করান; আর আবোল তাবোল অর্থহীন কিছু কথা বলেন। আর তা শুনেই আত্নবিশ্বাসহীন দূর্বলচিত্তের মানুষজন ‘কনভিন্সড’ হয়ে যান। চোপড়ার আর আমাদের রাজপথের একজন ঔষধবিক্রেতার মাঝে তেমন কোন প্রভেদ নাই; চোপড়া পরেন স্যুট-টাই আর আমাদের ফুটপাথের কবিরাজের পরিধানে থাকে টুপি-আলখাল্লা, এই যা।
বাংলাদেশেও চোপড়া-স্টাইলের একটা সংগঠন আছে, দেখুন।
http://www.quantummethod.org/
দেশের অনেক শিক্ষিত নামীদামী ব্যক্তি এদেরকে বুঝে না বুঝে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন।
I was actually watching Lerry King’s program with Dipok and the other two – one Caltech physicist and the other a priest. I felt very stranged, shocked that Dipok was trying to use quantum physics as a tool for his spiritual teaching. He does not have any knowledge about quantum physics, yet so bold in swimming around it.
I had no doubt that he is a so called famous modern day oriental spiritual teachers -healer who became famous in the west without knowing what his bla-bla-bla are about.
I salute the writter who has brought up this for us.[img]undefined[/img][img]undefined[/img]
@Mong Sano Marma,
বাংলায় মন্তব্য করেন। দেখেন-
১। বাংলা ঠিকমত দেখতে এবং লিখতে হলে
২। মুক্তমনা নীতিমালা
প্রয়োজনীয় আরো কিছু লিংক পাবেন বাম পাশের “পৃষ্ঠা” অংশে। ধন্যবাদ।
লোকটা কোয়ালিফায়েড ডাক্তার ছিল-হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলে পড়িয়েছে। সেখানে তার মনে উদয় হয় এই সব মেডিসিনের চেয়ে রুগীর মনের চিকিৎসা করেই নাকি অনেক রোগ সারিয়ে দেওয়া ্যায়। অনেক যোগীরাও তাই করার চেষ্টা করে-তবে তাদের হার্ভাড ব্যাক গ্রাউন্ড নেই-তাই তারা রবি শঙ্কর লেভেলে থেমে যায়। এই মালটা ওর আলটারনেটিভ চিকিৎসা পপুলার করার জন্যে তার ব্যাখ্যা ভুয়ো কোয়ান্টাম মেকানিক্স ইত্যাদি দিয়ে গুল ঝারতে থাকে। তারপর ইদানিং ধরা পরার পর বলে-ওর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং পদার্থবিদ্যার উদাহরন গুলি রূপক মাত্র!
লোকটা পপুলার কেন ( লেকচার প্রতি ইনি ১৩০,০০০ ডলার নেন)?
ও যেসব কথাগুলো বলে সব বৌদ্ধ ধর্ম আর উপনিষদের কিছু জনপ্রিয় লাইন। মুশকিল হচ্ছে গৌতম বুদ্ধ বলে যান নি নির্বান একটা মনের কোয়ান্টাম স্টেট। ইনি সব কিছুরই একটা মনগড়া কোয়ান্টাম ব্যাখ্যা জুরে দেন। যে কারনে মুসলিমরা বিশ্বাস করে কোরানে অনেক বিজ্ঞান আছে, অধিকাংশ লোক দীপক চোপড়াকে নতুন আধ্যাত্মিক অবতার বলে মনে করে। কোন সন্দেহ নেই তিনিই আমেরিকার সব থেকে বড় সেলিব্রিটি গুরু। কারন হলিউডের অনেকেই উনার চিকিৎসাধীন।
দীপকের শুরুটা ঠিকই ছিল যে মেডিক্যাল লাইনের বিরাট ঢপবাজি আছে এবং মনের চিকিৎসাতে অনেক রোগ সারে। সেই নিয়ে সে অনেক গবেষনাপত্রও ছাপিয়েছিল। কিন্ত এটাকে মার্কেট করতে এর মধ্যে আধ্যাত্মিক, কোয়ান্টাম ইত্যাদি এনে সে সব কিছু ছড়িয়েছে।
লোকটার আসল ইউ এস পি এই যে ও বৌদ্ধ ধর্মের কিছু জনপ্রিয় শিক্ষা, কোয়ান্টাম ঢপবাজি করে বাজারে খাওয়াচ্ছে।
@বিপ্লব পাল, আপনার সকল মন্তব্যের সাথেই একমত। তবে আপনার এই কথাটা
একটু এন্টিসায়েন্সমার্কা কথা হয়ে গেলো না? মেডিক্যাল লাইনকে আসলে সবাই ই কঠিন সন্দেহের চোখে দেখে উন্নত-অনুন্নত, গরীব-ধনী,মুসলমান-খৃষ্টান নির্বিশেষে। হেলথ সায়েন্স ই্ন্ডাস্ট্রি মহীরূহের শাখায় শাখায় লতায় পাতায় দেখতে পায় তারা অসংখ্য মোটা, ভুড়িওয়ালা কর্পোরেট অপশক্তির অশুভ ছায়া। বলাই বাহুল্য পৃথিবীর যে কোন দেশে যেকোন হাসপাতালের সদর দরজা হতে বের হয়ে আসা প্রত্যেকটি রোগীর সাথে যদি আপনি ৫ মিনিট কথপোকথন চালান, তবে সম্ভবত তাদের ২০% এরও অধিক আপনাকে জানাবে এই বর্তা যে- কতোটা খারাপ ডাক্তার, কতোটা খারাপ নার্স, কতোটা কর্পোরেট চক্রান্তকারী বায়োমেডিকাল সায়েন্টিস্টেরা, কতোটা অর্থলোভী ফার্মাসিউটিকাল ইন্ডাস্ট্রি; রেডিওলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট থেকে শুরু করে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এমনকি মামুলী প্যারামেডিকেরাও কি করে প্রত্যেকে শয়তানের সাক্ষাত এক একজন চর, একটি সংস্থা হিসেবে গটা হাসপাতালটাই কতোটা খরাপ, সর্বোপরি এই খারাপত্বের শেকড় কি করে এমনকি সরকারের গভীর পর্যন্তও প্রথিত। অথচ এটা হচ্ছে সেই হেলথ সায়েন্স যেটা আপনাকে দিয়েছে ২২ বছর থেকে ৭৭ বছরের গড় আয়ু; নির্মুল করেছে স্মলপক্স, পোলিও, হাম, যক্ষা, প্লেগ, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো শত সংক্রামক রোগ; দিয়েছে হাজার ধরণের অ্যানেস্থেটিক, অ্যানালজেসিক, ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট, এন্টিবায়োটিক,NSAID সহ আরো ৩০,০০০ ড্রাগ যার মধ্যে অবশ্যই আছে সিল্ডেনাফিল (ট্রেডমার্ক- ভায়াগ্রা); পেট, স্পেক্ট, এমআরআই, টমোগ্রাফি, থ্রিমাত্রিক আল্ট্রাসাউন্ড, বৈদ্যতিক কার্ডিওগ্রাফি মায়োগ্রাফি, এন্ডোস্কোপি, গামা ক্যামেরার মতো প্রকৌশলী বিপ্লব ঘটিয়ে ডায়াগ্নসিসের জটিল প্রণালীকে করেছে জলবত তরলং; রোধ করেছে ভূমিষ্ঠ হবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮০% থেকে ১% নামিয়ে আনার মতো পেডিয়ট্রিক বিপ্লব সাধিত করেছে মাত্র ৫০০ বছরে যেটার অনুপস্থিতিতে মারাতো আপনি যেতেনই সম্ভবত মাকেও নিজের সাথে টেনে নিতেন; এইতো গেলো জীবনের গল্প, এমনকি এখন যদি আপনি অনাকাঙ্খিতভাবে মারাও জান, এটা হচ্ছে সেই মেডিকেল লাইন যেটা কিনা বের করবে আপনার মৃত্যুর কারণ, আপনার পরিবারবর্গকে তা জানাবে, আপনার ইন্সুরেন্স কোম্পানীকে তা জানাবে সরকারকে তা জানাবে। অথচ কতোটা নির্বিকারভাবে আত্নবিশ্বাসের সাথে আপনি অসতর্ক সাধারণীকরণ করে সম্পুর্ণ মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রিকে ডাকলেন ঢপবাজ! আমি মেডিসিন পছন্দ করি এবং এই গ্লরিয়াস ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটা জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখি, এই কারণেই আপনার ঢপবাজ বিশেষণটার ব্যাবহারে অনুভুতিতে আঘাত পেলাম। আমি মনে করি আপনার যদি মেডিকেল লাইনকে ঢপবাজ বলার যৌক্তিক কোন কারণও থেকে থাকে, প্রথমে আপনার একটা ঘোষণা দিয়ে নেওয়া উচিত যে-এই ব্যাপারে আপনি কোন দ্বিমত পোষণ করছেন না যে, আপনার জীবনের প্রতিটা ফেম্টোসেকেন্ড মেডিসিন ও হেলথ সায়েন্সের কাছে ঋণী। আমি আপনার কাছে মেডিক্যাল লাইনের কিছু বিরাট ঢপবাজির উদাহারণ চাই।
এই কথাটির অড়ালেও কিন্তু রয়েছে একটি ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর এন্টিসায়েন্স আন্ডারটোন। এটি এমন একটি বক্তব্য, যেটি কিনা সকল প্রকার কোয়্যাকারির সুরা ফাতিহা। অবশ্যই হৃতপিন্ডের চিকিতসায় হৃতপিন্ডের রোগ সারে, কিডনীর চিকিতসায় কিডনীর রোগ সারে, মগজের চিকিতসায় মনস্তাত্বিক রোগ সারে। বলাই বাহুল্য আপনি কিন্তু এন্টিডিপ্রেসেন্ট, মায়োরিলাক্সেন্ট দিয়ে মগজের ও স্নায়বিক ব্যাবস্থার চিকিতসা করাকে এখানে মনের চিকিতসা বলছেন না। আপনার কাছে আমি জানতে চাইবো মনের চিকিতসা বলতে আপনি ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন, মনের চিকিতসায় ব্যাবহৃত কিছু থেরাপিউটিক প্রসিডিওরের উদাহারণ এবং মনের চিকিতসায় কি কি রোগ আরোগ্য হয় তার একটি তালিকা।
@আল্লাচালাইনা,
না। আমি নিজেও গত দশ বছর হল কোন চিকিৎসকের কাছে যায় নি বা ঔষুধ খায় না। মধ্যে একটু পাইলসের সমস্যা হচ্ছিল-শুধু ঘুমিয়ে এবং প্রচুর সব্জি খাওয়া শুরু করলাম-মাংস খাওয়া কমিয়ে দিলাম। সেরে গেল। অধিকাংশ রোগ সুস্থ টেনশনহীন এবং ঠিক ঠাক খাবার খেলেই সেরে যায়।
এফ ডি এর সদর দফতর আমার বাড়ির কাছে। ফার্মসির একজন অধ্যাপক আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু যিনি আমেরিকাতে ড্রাগ এপ্রুভালের একজন বড় হর্তাকর্তা। তিনি ভালো করেই জানেন কি ভাবে ড্রাগ এপ্রুভ হয়। এবং ড্রাগের ব্যাপারে উনিও হতাশ। এইসব নিয়ে লিখতে গেলে আমাকে লম্বা লিখতে হবে।
অবশ্যই এন্টি বায়োটিক মানুষের জীবনকে দীর্ঘায়িত করেছে। উন্নত ডায়াগোনিসিস নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই। আছে কেমিক্যাল ড্রাগ নিয়ে।
তাই?
পেটে এসিড বা ডাইরিয়া টাইপের কিছু হলে আমি টেনশনমুক্ত জীবন-ঘুম এবং আরো ঘুম-এবং ব্যায়াম করি। টেনশন কেটে গেলে পেটের অনেক রোগ কমে যায়। এটা আমাদের সবার অভিজ্ঞতা। পাইলসের ক্ষেত্রেও তাই।
এগুলিও অলটারনেটিভ মেডিসিনের বিবেচ্য। অলটারনেটিভ মেডিসিন বলতে আমি হোমিওপ্যাথি বলছি না। ওটা ঢপবাজি। আলটারনেটিভ মেডিসিনের জার্নাল আছে এবং তা বিজ্ঞানেরই জার্নাল। বিজ্ঞানের পদ্ধতিতেই দেখা হয় ড্রাগ ব্যাহহার না করে, কি করে সুস্থ করা যায়।
এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে একজন কে সুস্থ করতে হলে কি কি দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই ড্রা ব্যাবহার না করেই সেটা করা যায়। সেগুলোর ক্ষেত্রে ড্রাগ ব্যাবহার না করাই শ্রেয়। যখন উপায় নেই তখন ত করতেই হবে। আমার এক মামাতো ভাই ডাক্তার। সে নিজে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। প্রচুর এন্টি ডিপ্রেশনের ঔসুধ খেত। তারপর ওর সাথে আমি অনেক কথা বার্তা বলে বুঝি আসল সমস্যা হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য বিধেয় নিয়ে সমস্যা আছে। আস্তে আস্তে ও আমার সাথে অনেক বিষয় নিয়ে চ্যাট ফয়াটকরে বুঝলো আসলেই সমস্যা ছিল জীবন দর্শন ঘটিত-এবং তার সাথে ডিসিপ্লিন লাইফে না থাকায় সেটা বারছিল। এখন আর তার এন্টি ড্রিপেশন লাগে না-ও কিছু সমস্যা হলে আমাকে ফোন করে। সেও কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার।
@বিপ্লব,
মানসিক ভাবে উদ্দীপ্ত করে অনেক ছোট খাট রোগ সারান যায়- এটা বোধ হয় কেউ অস্বীকার করবেন না। চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্ল্যাসিবো ইফেক্টের কথা আমরা সবাই জানি। অনেক সময়ই ডাক্তারেরা দেখেন, রোগির শরীরে কোন রোগ নেই, সব উপসর্গই মানসিক টেনশনজনিত কারণে সৃষ্ট। তখন ডাক্তারেরা মানসিকভাবে রোগীকে উদ্দীপ্ত করেন। প্ল্যাসিবো চিকিৎসায় ফল লাভ করে রোগি ভাল হয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রেই। কিন্তু তারপরেও মনে এগুলো খুব লিমিটেড ক্ষেত্রে। তুমি যেগুলো উল্লেখ করেছ সেগুলো সবগুলোই ওই ধরণের রোগ – পেট খারাপ, মানসিক টেনশন, পাইলসের ঝামেলা ইত্যাদি। এগুলো রোগ খাদ্যাভাস পরিবর্তন, জীবনযাত্রা বদল, স্ট্রেস রিলিভের মাধ্যমে মানসিক টেনশন থেকে মুক্তির মাধ্যমে সুস্থ করা যায়। কিন্তু বড় সড় (সত্যিকার) রোগের ক্ষেত্রে যেমন – যেহার্টে স্ট্রোক করে হাস্পাতালে ভর্তি হয়েছে, তাৎক্ষণিক বাইপাস দরকার, তাকে যতই প্ল্যাসিবো চিকিৎসা আর কোয়ান্টাম হিলিং করা হোক না কেন, লাভ হবে না কিছুই। শরীরে ক্যান্সারের সেল প্রথামিক অবস্থায় ধরা পড়লে কেমোথেরাপি দিয়েই নির্মূল করা হয়, সেটাই বাঞ্ছনীয়। আর্থ্রাইটিসে হাড় ক্ষয় হয়ে যেতে থাকলে, তার প্রতিশেধক সেরা এলোপ্যাথিক সাজেস্ট করা হয়। মুশকিলটা হল, দীপকের মত কোয়ান্টাম চীটারেরারা ছোট খাট মানসিক টেনশনে রোগীদের প্ল্যাসিবোর মাধ্যমে টেনশন মুক্ত করেন – ভাল কথা – কিন্তু বড় সড় রোগের ক্ষেত্রেও ভুজুং ভাজুং চিকিৎসা চালিয়ে যান। দেশের মলম বেঁচা বৈদ্য আর হোমিওপ্যাথ ডাক্তারদের মতোই – সর্বরোগহর ওষুধের একটাই দাওয়াই বাৎলে দেন – বিশ্বাস। বিপদটা কিন্তু সেখানেই।
@অভিজিৎ,
আমি কি তা অস্বীকার করেছি-আমি লিখলাম ত
সমস্যা হচ্ছে ডিপ্রেশন, গাসট্রাইটিস ইত্যাদিরোগের জন্যে যে পরিমান ঔষুধ এবং টাকা ধ্বসান ডাক্তাররা তাই বা কতটা নৈতিক?
@বিপ্লব পাল,
এটা অবশ্য ঠিক বলেছ। তেমন দ্বিমত নেই। অনেক সময় সিমটম দেখেই ডাক্তারেরা হাবিজাবি ওষুধ প্রস্তাব করে দেন, দেশে শুধু নয়, আমেরিকাতেও। এ ব্যাপারে ত অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তবে একটা ব্যাপার বলবো – ডিপ্রেশন শুধু মানসিক টেনশন বা জীবন দর্শনগত কারনেই হয় না, অনেক সময় কেমিকাল ডিসব্যালেন্সের জন্যও হয় কিন্তু (এটা একটা ফিজিক্যাল সমস্যা, যার প্রভাব পরে মানসপটে)। এ সব ক্ষেত্রে এন্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগ গুলো সত্যই ভাল কাজ করে। তবে এগুলো ঔষধ দেয়ার আগে সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা নিঃসন্দেহে জরুরী।
@অভিজিৎ,
ডিসব্যালান্সটা আসে কোথা থেকে? সব হর্মোনের চালিকা হচ্ছে মাথার পিটুইটারী গ্রন্থি বলেই জানতাম ( আমার বায়োলজি বিদ্যা স্কুলেই শেষ)।
কেমিক্যাল ডিসব্যালান্সের পেছনে ডিসব্যালান্সড লাইফ স্টাইল এবং চিন্তার ভূমিকা আছে বলেই জানতাম।
এমনি এমনি কেমিক্যাল ডিসব্যালান্স হয়-এমন কিছু আছে?
আমি ঠিক জানি না। কোন ডাক্তারই ঠিক বলতে পারবে।
@বিপ্লব পাল,
হ্যা হয়, এবং সেটাই আজকের নিউরোসাইন্স বারবার বলার চেষ্টা করছে। দাঁড়াও, একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেই, আমার ঘুম খুব পাতলা, আমি কখনো রেম৩ রেম৪ স্লিপের স্টেজ এ যাই না। এটাকে অনেকেই বলবে যাও এক্সারসাইজ কর বা মনে ফূর্তি আনো, স্ট্রেস কমাও ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ছোটবেলা থেকে মাইগ্রেনের রূগী, এমন কোন পেইন কিলার নেই যে আমাকে খাওয়ানো হইনি, যা থেকে স্টমাকের বারোটা বেজে গেছে, গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু অবশেষে প্রায় কয়েক দশকের ব্যর্থ চিকিৎসার পর আমি এক নিউরোলজিষ্ট (যার মাইগ্রেনের উপর স্পেশালাইজেশন এবং গবেষণা আছে ) এর দেখা পাই, যিনি আমাকে খুব সাধারণ ঘুমের আ্যপ্নিয়া টেষ্ট করতে পাঠালেন এবং সেখান থেকেই দেখা গেল যে আমি ঠিকমত ঘুমাই না। এর কারণ হচ্ছে আমার মস্তিষ্কে গাবা পেন্টিন নামক একটা কেমিক্যাল এর অভাব, এর কারণে আমি গভীর ঘুমে যেতে পারি না এবং আমার শরীর সম্পূর্ণভাবে রিল্যাক্স করে না, তা থেকেই বেশীরভাগ সময় ( অন্য আরও দুই একটা কারণও আছে) ্মাইগ্রেন ট্রিগার করে। এখন এই কেমিক্যাল ডিফিসিয়েন্সি কিন্তু অন্য কোন অল্টারনেটিভ চিকিৎসায় সারবে না। এখন গাবা পেন্টিন এর সাপ্লেমেন্ট নেওয়ার ফলে আমার মাইগ্রেনের ব্যাথা প্রায় ৮০% কমে গেছে। ডিপ্রেসশানের ক্ষেত্রেও এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।
@বিপ্লব পাল, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ( মেয়েরা অনেক বেশী হমোনাল চেঞ্জের মধ্য দিয়ে যায় বিভিন্ন কারণেই) অনেক ক্ষেত্রেই (সব ক্ষেত্রে বলছি না ) ডিপ্রেশান একটি শারীরিক রোগ, একে শুধুমাত্র মানসিক চিকিৎসা, ব্যায়াম, বা ডায়েটারি পরিবর্তন দিয়ে সারানো যায় না। গ্যস্ট্রিকের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মানসিক বা প্ল্যাসিবো চিকিৎসা কাজে নাও লাগতে পারে। তবে আমার সমস্যাটা অন্য জায়গায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এমনি অন্ধ হয়ে যায় বা ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রির কাছে বিক্রি হয়ে যায় যে, ওষুধের সাথে সাথে যে অন্যান্য দিকগুলোর উপরও খেয়াল রাখা দরকার তার কথা ভুলেও বলেন না।এ ইসব অল্টারনেটিভ মেডিসিন রোগ সারাতে না পারে কিন্তু অনেক সময় চিকিৎসায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে পারে। আমার মাইগ্রেন এবং গ্যাস্ট্রিক এর চিকিৎসা করানোর সময় এ ব্যাপারটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আমার মতে এই দীপক চোপড়ার এই অল্টারনেটিভ চিকিৎসার ব্যবসা আর ওষুধ ইন্ডাষ্ট্রির কর্পোরেট ব্যবসা এই দুটোকে রোধ করতে হলে ডাক্তারদের এব্যাপারে অনেক বেশী সচেতন হতে হবেএ বং তাদেরকে বৈজ্ঞানিকভাবে এ দু’টোর সমন্বয় করতে শিখতে হবে। সমস্যাটা হচ্ছে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই ডাক্তাররা আবার ওষুঢ কোম্পানীর হাতে জিম্মি হয়ে বসে আছে।
@বন্যা আহমেদ,
তোমার প্রবন্ধে যে প্রশ্ন খুঁজছিলে, উত্তর পেয়ে গেছ। দীপক চোপরা কিন্ত একদা বিখ্যাত ডাক্তারই ছিল-সে এ আই এম সের গ্রাজুয়েট যা ভারতের সর্বোচ্চ মেডিক্যাল কলেজ-দেশের মোটে সেরা ১৫০ জন ছাত্র সেখানে ডাক্তারী পড়ার সুযোগ পায়। আমেরিকাতে এসে ডাক্তার অধ্যাপক হিসাবে সে সুনাম অর্জন করে। এবং তারপরেই তারা মাথায় ঢোকে
ঔশুধ কোম্পানীগুলো ঠকাচ্ছে-এবং ফয়দা লুটছে। ফলে সে নিজেই অলটারনেটিভ মেডিসিনে গবেষনা শুরু করে এবং আমেরিকাতে তার চিকিৎসা জনপ্রিয় হতে থাকে-কারন অনেক লোকই ড্রাগের ওপর বিরক্ত ছিল। এই অব্দি ঠিকই ছিল-তারপরেই সে আরো বেশী জনপ্রিয়তার জন্যে এর সাথে আধ্যাত্মিক ভরং জুরে দেয়-তাতে তার বই এবং রেটিং আরো বারতে থাকে।
কে যেন বলেছিল জনপ্রিয়তা হচ্ছে নেমে যাওয়ার সিঁড়ি-সেটাই ঘটেছে দীপক চোপড়ার ক্ষেত্রে।
@বিপ্লব পাল,
হুমায়ুন আযাদ।
@বিপ্লব পাল,
অনেক ডাক্তার চিন্তাভাবনা ছাড়াই ভিন্ন রোগের রুগীকে এন্টিডিপ্রেসন ওষুধ ধরিয়ে দিয়ে ডিপ্রেসনের রুগী বানিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করে। এদের সাজা হওয়া উচিত।
২০০০ সালে এক alternative ডাক্তার আমার স্ত্রীকে এন্টিডিপ্রেসন ওষুধ ধরিয়ে দিল। আমি ওষুধ খেতে দিইনি। সে দিব্যি আছে। ওষুধ original পাকেটে original stapple সহ আছে। কেস ফেস হলে আওয়াজ দেবেন। দশ বছর ধরে original packet টি রেখে দিয়েছি।
@বিপ্লব পাল,
What!!!!??? ডায়াগ্নস্টিক্স নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন নেই তবে আপনার প্রশ্ন কি থেরাপিউটিক্স নিয়ে? এবং সব থেরাপিউটিক্স নিয়েও তো আপনার প্রশ্ন নেই কোন দেখা যাচ্ছে,শুধু প্রশ্ন ড্রাগ থেরাপি নিয়ে। অথচ এইটা হচ্ছে ড্রাগ থেরাপি যেটা কিনা স্ব্যাথবিজ্ঞানে সবচেয়ে বড় বিপ্লবটি ঘটিয়েছে। এটি সস্তা, সবাই এটি ক্রয় করতে পারে, এর মাধ্যমে অল্প খরচে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক জীবন বাঁচানো সম্ভব। এটি স্বল্প সময়সাপেক্ষ এবং স্বল্প লোকবলসাপেক্ষ। এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সবচেয়ে কম। এবং এই থেরাপির বিপরীতে রিকভারি কালও সর্বনিন্ম। এটি টার্গেটেড। এটির আয়াট্রোজেনিসিটি সবচাইতে কম, অন্তত সার্জারি কিংবা রেডিথেরাপির চেয়ে। এবং এটি কাজ করে। যেখানে আমাদের মিশনই আগামী একশো বছরের মধ্যে সকল প্রকার চরম চরম ইনভেইসিভ, আয়াট্রোজেনিক, অপেক্ষাকৃত বেশী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত, শারীরিক ও মানসিক ট্রমাসৃষ্টিকারী প্রসিডিওর যেমন সার্জারীকে ইতিহাস বানিয়ে স্ব্যাস্থবিজ্ঞানকে এমন একটি স্থান নিয়ে যাওয়া যেখানে আমরা শুধু ড্রাগ ব্যাবহার করেই ট্রিট করতে পারবো ৯৯% রোগ, সেখানে এই আপনি এটা কি কথা বললেন? স্পষ্টতই বোঝাযাচ্ছে আপনার এই ডিসকোর্স যতোটা না এভিডেন্সভিত্তিক তারচেয়ে অনেক বেশী আবেগভিত্তিক। আপনি যদি আমাকে পৃথিবীর সেরা একশো জন গনিতবিদের ভাষ্য দেখান যে তারা বলছে ২+২=৫, আমি কিন্তু আপনার তালিকা দেখতে চাইবো না, আমি দেখে চাইবো গন্নিতটি। একইভাবে, বিজ্ঞান বিষয় আমি আপনার এফডিএ এর কর্মকর্তা বন্ধুর মতামত শুনে ক্ষান্ত থাকবো না; আমি দেখতে চাইবো এভিডেন্স, আমি দেখতে চাইবো লিটারেচার। আপনি আমাকে দেন দেখি এফডিএ এর কোন কটি কচক্রের কাহিনী, আমি লিটারেচার ঘেটে দেখি আসলেই সেই কাহিনী সত্য কিনা। কনস্পিরেসি থিওরির কোন চান্স নেই। আপনার সম্পুর্ণ মন্তব্যের জবাব দিতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে পোস্ট দিবো একটি আজ রাত কিংবা কালকের মধ্যে। খারাপটা লাগে কি জানেন? আমি নিশ্চিত আপনি এভিয়নিক্সের উপর চোখ বুজে আস্থা স্থাপন করে প্লেনে চড়েন। কিন্তু কেমিস্ট্রির উপর আপনি এতোটা সহজভাবে আস্থা স্থাপন করতে পারেন না। মুনাফালোভী কর্পোরেট অপশক্তির গালফোলানো ফ্যান্টাসী গল্পের চাহিদা কি আপনি বিজ্ঞানের অন্য কোন শাখা থেকে পুরণ করতে পারেন না? how about অ্যানিমল হাজবেন্ডরি কিংবা হর্টিকালচার? আপনি যান না কেনো ড্রাগব্যাঙ্ক ডটকমে এবং নিজের চোখে দেখেন একটি ড্রাগ কিভাবে কাজ করে, ফার্মাকোকেনেইটিক ডাটা থেকে শুরু করে টার্গেট নির্ধারণ থেকে ফেইস থ্রি ট্রায়াল পর্যন্ত যেই একশো থেকে একহাজার গবেষণাপ্রবন্ধ প্রকাশিত হবার পরই ড্রাগটি বাজারে এসেছে তার প্রত্যেকটি গবেষণাপ্রবন্ধে উন্মোচিত সেই ড্রাগের অসংখ্য না জানা তথ্য? দশবছর দরে আপনি হাসপাতালে জাননি কথাটা কি আমার ‘আনার জীবনের প্রতিটা ফেমটোসেকেন্ড মেডিসিনের কাছে ঋণী’ আমার এই বক্তব্যের জবাব হিসেবে বললেন? আপনার কাছাকাচি কোন একটি হাসপাতালের লাউঞ্জে গিয়ে বসুন না কেনো কিছুক্ষণ আর দেখুন আপনর মতো তাগড়া যুবক ছাড়াও যে পৃথিবীতে শিশু রয়েছে এবং বৃদ্ধ রয়েছে যাদের প্রতি দশদিনে একবার করে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়? অথব এমন মানুষজনদের যারা কিনা আপনার মতো সৌভাগ্যবান হয়ে একটি সম্পুর্ণ নিখুঁত জন্মিয়েছে? একটি রোগের প্রিভ্যালেন্স হিসাব করা হয় একশো হাজারে। নোংড়া নোংড়া এবং বিড়ল মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিসে ইন্সিডেন্স প্রতি একশো হাজারে মাত্র ৫ জন, অর্থাৎ বাংলাদেশে মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিস রোগীর সংখ্যা ৭৫,০০। এরকম মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিসের মতো আরও যদি মা-ত্র ১০০০টি রোগও থাকে (হ্যা সচেতনভাবেই আমি রোগের সংখ্যা ধরে নিচ্ছি মাত্র ১০০০) তবে বাংলাদেশে রয়েছে এমন রোগী রয়েছে সাড়ে সাত মিলিয়ন যাদের সকলকেই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। অথচ কি স্বার্থ্পরের মতোই না আপনি ঘোষণা দিচ্ছেন গত ১০ বছরে হাসপাতালে যাননি। আমি গত ১৪ বছরে ডক্তারের কাছে যাই্নি, তবে শিশুকালে বলে কি কি ছয়টি ভয়ানক ইনফেশাস ডিজিজের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন গ্রহন করেচছিলাম,ঐগুলি গ্রহন না করে থাকলে বল এতোদিনে থাকতাম জান্নাতুল ফেরদৌসে হুর পরী নিয়ে ব্যস্ত। এফডিএ এমন একটি সংস্থা যার উপর পৃথিবীর প্রতিটি দেশের স্ব্যাস্থ মন্ত্রনালয় ঔষধ ও অন্যান্য থেরাপিউটিক্স অনুমোদনের উপর নির্ভর করে। এমনকি ইউরোপের দেশগুলোও, এটা আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য ষাটের থালিডোমাইড ডিজাস্টারে ইউরোপ যতো বড় ধরা খেয়েছিলো, আমেরিকা যে তার শতাংশও খয়নি এটা শুধুমাত্র এফডিএ এর পুন্যে।
@আল্লাচালাইনা,
একটা ড্রাগ কি করে নানান ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে অনুমোদিত হয় সেটা জানি। তাই এটাও জানি প্রতি বছরই কিছু না কিছু ড্রাগ আবার তুলে নিতে হচ্ছে তার স্পার্শ পতিক্রিয়া অত্যাধিক বলে।
সূদূর ভবিষয়তে ড্রাগ থেরাপি থাকবে না বলেই আমার বিশ্বাস-আস্তে আস্তে সবই জেনেটিক থেরাপি হবে-কারন ডি এন একে নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই আস্তে আস্তে শরীরবৃত্তীয় সব কিছু নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। এ যাত্রা সবে শুরু হয়েছে-আরো ৫০০ বছর হয়ত লাগবে।
আমেরিকাতে কত ড্রাগ টাকা দিয়ে আপ্রুভ করা হয়েছে এবং তার জন্যে কত লাখ লাখ লোকের সর্বনাশ করা হয়েছে সেই ইতিহাস লম্বা এবং ধারাবাহিক।
@বিপ্লব পাল,
টাকা দিয়ে ড্রাগ অ্যাপ্রুভ হয় না, যেমন টাকা দিয়ে অ্যাপ্রুভ হয়না নিউটনের মধ্যাকর্ষণ সুত্র। একটি দ্রাগ অ্যাপ্রুভ হয় ওই ড্রাগকাজ করে কিনা এটা দিয়ে। এবং একটা ড্রাগ কাজ করে কিনা এটা নির্ধারিত হয় এভিডেন্স দিয়ে। একটি ড্রাগ ডিজাইন ও সিন্থেসিস ফেইজ সমাপ্ত করে ফেইজ ০ অ্যানিমল ট্রায়ালে যায়। তারপর ফেইজ ১ নিরাপত্তা ট্রায়ালে যায়। তারপর ফেইজ ২ কার্যকারীতা ট্রায়ালে যায়। তারপর ফেইজ ৩ অপেক্ষাকৃত কার্যকারীতা ট্রায়ালে যায়। যেখান দেখা হয় ইতিমধ্যেই যদি ঐ ড্রাগে কোন বিকল্প থেরাপী থেকে থাকে তবে আলোচ্য ড্রাগটি ঐ থেরাপীর চেয়ে ভালো কিনা। এরকম সবগুলো ট্রায়াল পাশ করলেই একটি ড্রাগ অনুমোদন পায়। এবং অনুমোদন পওয়ার পরও যদি ড্রাগটির অভবিতব্য কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তখন সেই দ্রাগ উইথড্র করা হয়। এখনে উল্লেখ্য একটি ড্রাগের সেইরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু আবিষ্কার করে বিজ্ঞানীরাই, কোন কোয়্যাক সেটা আবিষ্কার করে না। বিজ্ঞান একটি আত্নশোধনকারী জ্ঞানের শাখা। লাখ লাখ লোকের সর্বনাশের লম্বা ইতিহাসের খনিকটা যদি শুনতে পেতাম, সেই সম্পর্কে নিজের একটা মন্তব্য দিতে পারতাম। এমনকি ড্রাগ ব্যাবহার করে যদি পৃথিবীর সমস্ত মানুষও মরে যায়, তারপরও সেটি কিন্তু কোন প্রকারের কোইয়্যাকারিকে হালাল করে দেয় না, তারপরও ড্রাগ ডিজাইন ও সিন্থেসিস কিন্তু থাকে বিজ্ঞানই আর কোয়্যাকারি থাকে কোয়্যাকারিই। আর জিনথেরাপির যেই কথা বললেন সেটা অবশ্যই হবে একটি অভাবিত আবিষ্কার। তবে জেনেটিক রোগের সংখ্যা কিন্তু সর্বমোট রোগের সংখ্যার একটি ক্ষুদ্র খুদ্র ভগ্নাংশ। বেশীরভাগ রোগই ডিএনএ এর প্রতি একফোঁটা আগ্রহীও নয়।
@আল্লাচালাইনা,
দুটো জিনিস এর মধ্যে ভুল লিখেছ-কারন এই ব্যাপারগুলি নিয়ে বা তার ইতিহাস নিয়ে অনেক কম জান।
(১) সব ট্রায়াল পাশ না করা সত্ত্বেও ড্রাগ মার্কেটে এসেছে এমন উদাহরন এই দশকেই আমি অন্তত তিনটি জানি-যা পরে জানা গেছে।
(২) পার্শw প্রতিক্রিয়া বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করে এটাও ভুল। ওই তিনটি ক্ষেত্রেই পেশেন্টরাই প্রথম ভুক্ত ভোগী হয়ে এফ ডি এ তে
খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ট্রায়ালেই গলদ ছিল-” কি করে যেন সব অভারলুক হয়ে গেছে। এবং এসব ক্ষেত্রে আবিস্কারকরা বিজ্ঞানী না-আইনজীবি-যারা এই সব ফ্রড ধরে প্রচুর টাকা করছে। কারন তারাও জেনে গেছে ড্রাগের ফিল্ডে সব থেকে বেশী ফ্রড হয়।
আমি তোমাকে আগের পোষ্টে একটা লিংক দিলাম যেখানে এসবের সব ডিটেলস পাবে। সেটা না পরেই অবিবেচকের মতন আরেকটা পোস্ট করে দিলে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে তোমার শেখার ধৈর্য্য নেই এবং একটি কাল্পনিক আদর্শ জগতে কথা লিখে চলেছ।
@বিপ্লব পাল,
আসলে আগের পোস্টের লিঙ্কটা আসার আগেই আমি ওই মন্তব্যটা লেখা শুরু করেছিলাম এবং লিখা শেষ করেই সেটা পোস্ট করে দেই আপনার নতুন কোন পোস্ট এসেছে কিনা রিফ্রেস করে সেটা না দেখেই। আমি ধরণা করেছিলাম আপনি একটা পোস্ট যখন করেছেনই তখন পরেরটা আমি করার পর পর্যন্ত আপনি হয়তো অপেক্ষা করবেন আপনার পরেরটা পোস্ট করার জন্য। এই থেক এই সিদ্ধান্তে পৌছানো উচিত নাযে আমি আমার শখার ধৈর্য্য নেই। যাই হোক, আপনার পাঠান লিঙ্কটা পড়ছি। প্রথমটা পড়লাম। ভায়ক্স উইথড্র নিয়ে যেটা লিখলো। ভায়ক্স তার জাতভাই অন্যান্য সকল NSAID যেমন অ্যাস্পিরিন, ক্লোফেনাকের এর মতোই একটি সাইক্লোঅক্সিজেনেস ইনহিবিটর। সাইক্লোওক্সিজেনেস ইনহিবিট করে কি করে কক্সিব প্রজাতির NSAID রা প্রদাহ রোধ করে পুরোপুরি আমরা জানি না। এই জ্ঞানশূণ্যতা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রটা অনেক সংকুচিত করেছে। এই কারণেই অনেক NSAID ই বাজার থেকে উইথড্র হয়েছে। নাম মনে পড়ছে না তবে জানি ভায়ক্স ছাড়াও কমপক্ষে সাত আটটি কক্সিব প্রজাতির NSAID বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়। ধরে নিলাম আমি সকল কক্সিবই খারাপ। এবং হ্যা আসলেই খারাপ, কক্সিব কোন না কোন একটি ভাবে হৃদরোগীর হার্টএট্যাকের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু এইরকম আরশত শত NSAID কিন্তু সদর্পেই বাজার চষে বেড়াচ্ছে। প্রফেন যেমন আইবিউপফেন কিন্তু ঠিকই বাজার চষে বেড়াচ্ছে। হয়তোবা আপনার একশো গজের মধ্যেই আইবিউপ্রফেন রয়েছে, আইবিউপ্রফেন না থাকলে হয়তো অ্যাস্পিরিন, ক্লোফেনাক বা প্যারাসেটামল রয়েছে। যাই হোক একটি ড্রাগেরর ব্যার্থ হয়ছে বলে কি সমস্ত ফাররাসিউটিকাল ইন্ডাস্ট্রিরই বিরোধিতা কর উচিত? আরও হাজার হাজার ড্রাগতো ব্যর্থ হচ্ছে না। হুমায়ুন আজাদ কোট করবো- ‘কোন এককালে কচ্ছপ খরগোশকে দৌড়ে হারিয়েছিলো সেই গল্প হাজার হাজার বছর ধরে লোকুখে ফেরে, অথচ এর পর যে কতোবার কখরগোশ কচ্ছপকে হারিয়েছে তার কথা কেউ বলে না।’ আমার মনে হচ্ছে না আহত করার মতো কোন কিছু বলেছি, তারপরও আার কোন কথায় আহত হয়ে থাকলে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার অভিযোগ ছিলো আপনার অভিযোগগুলোর আন্ডারটোন সম্পর্কে। আন্ডারটোনটি আমার কাছে কিছুটা এন্টিসায়েন্স মনে হয়েছিলো, ভুল হতে পারে। এর কাছাকাছি আন্ডারটোনই কিন্তু ফুঁটে ওঠে অ্যানিমল রাইটস অ্যাকটিভিস্ট, ক্রয়েশনিস্ট, এন্টিভ্যাক্সিনেশনিস্ট, এন্টিকিমোথেরাপিস্টদের কন্ঠস্বরে। আমি মনে করি মুক্তমনা সদস্যরা যদি সাধারণভাবে দুটি বৈশিষ্ট ভাগাভাগি করে থাকি সেই দুটিকে হতে হবে নাস্তিকতা ও প্রোসায়েন্টিজম। এজন্যই এতো কথা বলা।
@আল্লাচালাইনা,
সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি।
বিপ্লবের কিছু মন্তব্য মনে হয় মাঝে মাঝেই বে-লাইনে 🙂 চলে যায় যার কারণে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে, কিসের ইনফ্লুয়েসে ( লোকাল নাকি নন-লোকাল তা বলা যাচ্ছে না এখনও, জেনেটিক নাকি কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, অল্টারনেটিভ মেডিসিন নাকি শুধু বেশী করে ফলমূল আর শব্জি খেলেই এটা সারবে সেটাও এখনো বিজ্ঞান ঠিকমত বলতে পারছে না) যে সে এটা করে তা সম্পর্কে আমি ঠিক শিওর নই অবশ্য :laugh: । তবে আহত করার ব্যাপারে একটুও চিন্তা করবেন না, শুধু আপনি নন মাঝে মাঝে বিপ্লবের কিছু মন্তব্য দেখে আমিও অবাক হয়ে ভাবি এটা কি বললো :-Y।
তবে বিপ্লবকে বহুদিন ধরে চেনার কারণে এটুকু সম্পর্কে কোন সন্দেহ ছিল না যে সে ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রির পিছনের বিজ্ঞানকে প্রশ্ন করছে না, বরং এর পিছনের লবিইং, রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট পুঁজির পলিসি অভিসন্ধিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছিল। ওর সাথে আমি এ ব্যাপারে পূর্ণ সহমত ( এই প্রথম মনে হয় কদিনের মধ্যে পরপর দু’বার বিপ্লবের সাথে একমত হতে হল, ব্যাপারটা ভয়ংকর অবশ্য) বলেও হয়তো ব্যাপারটা নিয়ে প্রশ্ন করিনি।
@বন্যা আহমেদ,
গ্লোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিস এর একটি নমুনা-তিন দিন আগের ঘটনাঃ
Pharmaceutical manufacturer Allergan, Inc. has agreed to pay $225 million to resolve civil allegations that it unlawfully promoted its drug Botox® Therapeutic for unapproved uses and that it paid illegal remuneration to health care providers to induce them to prescribe the company’s products. In addition, the company has agreed to pay a $375 million criminal fine and to plead guilty to a misdemeanor charge of introducing this misbranded drug into interstate commerce. Nolan & Auerbach, P.A. represented two of the key whistleblowers in this case, which was brought under the qui tam, or whistleblower, provisions of the False Claims Act. This settlement also resolves two other qui tam actions raising similar allegations
@বন্যা আহমেদ,
কই, করলো তো নীচের মন্তব্যে।
লাইফ সায়েন্স বিভিন্ন হাবিজাবি ছদ্মবিজ্ঞানের একটা আখড়া যেনো। কোয়্যারারির বিরুদ্ধে লেখা সাহসী পোস্টের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাতে এসে বিপ্লব পালের সাথে এঙ্গেইজড হয়ে পড়লাম। দীপক ছোবড়ার কথা শুনে আমার গা জ্বলে যায়।
@আল্লাচালাইনা,
আপনি আর্টিকেল কিভাবে শেয়ার করে জানতে চাচ্ছিলেন।
ইংরেজীতে ‘এফ’ লেখা একটা বাটন আছে নীল রঙের (দেখুন শেষ ভিডিওটার নীচেই, রেটিং করার বাটন দুটোর কাছেই)। সেটাতে চাপ দিয়ে লেখাটা ফেস বুকে শেয়ার করতে পারবেন, আর্টিকেলটা চলে যাবে আপনার ফেইসবুক ওয়ালে।
@আল্লাচালাইনা, ফেসবুকে অভির আ্যকাউন্টে আপনার ‘অলেখা’ মন্তব্য দেখে ডিপ্রেসড হয়ে ছোবড়াকে হাউস কল দিতে হবে কিনা ভাবছিলাম , তখনই অভি এসে বললো দেখো আল্লাচালাইনা তার পরের কমেন্টেই লোকালি ‘অলেখা’কে ‘লেখা’ হিসেবে মেনে নিয়ে স্বান্তনা দিয়েছে তোমাকে 🙂
এই ছোবড়াকে ( অপূর্ব হয়েছে নামটা) দেখলে আমার যে কি মেজাজ খারাপ হয় তা বোধ হয় আমার লেখা থেকেই বুঝেছেন। সেদিন ল্যারি কিং এ হকিংস আর ম্লাডিনোর সাথে একি টেবিলে একে দেখে আমার মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমাকে অপমান করছে!!!
@আল্লাচালাইনা, তাই তো দেখছি, তবে তাতেও অবাক হোয়ার কিছু নেই, আগেই তো বলেছি। বিপ্লবকে নিয়ে কিছু প্রেডিক্ট করবেন না, এখানে সাইন্স, আর্টস কিছুই কাজ করে না :-Y ।
@আল্লাচালাইনা,
সেরকম কিছু ত দেখছি না। বরং দেখছি মার্কেট থেকে নানান ড্রাগ তুলে ফিকোয়েন্সি আগের থেকে অনেক বেড়েছে। সুতরাং এই উপমা ঠিক না।
দেখ ভাই, তুমি ড্রাগ নিয়ে আমার থেকে অনেক বেশী জান-কিন্ত এম্পিরিসিজম বা অভিজ্ঞতাবাদের দর্শন যা বিজ্ঞানকে পরিচালিত করে তার অনেক বেসিকে গিয়ে আমি কিছু কিছু উপলদ্ধি করেছি। যেগুলো এম্পিরিক্যাল মডেলিং না করলে, কোন দিনই বুঝবে না বিজ্ঞানার সূত্র বলে বায়োলজিক্যাল বা সোশ্যাল সায়েন্সে যা চালানো হয় তার সীমাবদ্ধতা কোথায় বা কেন।
একটা এম্পিরিক্যাল সায়েন্সে সীমাবদ্ধতাকে সঠিক ভাবে জানাটাই বিজ্ঞান মনস্ক মনের পরিচয়। মেডিক্যাল সায়েন্স আর ন্যাচারাল সায়েন্স এক না। ন্যাচারাল সায়েন্সে ইনডাকশন এরর অনেক কম। তাই ড্রাগ বিজ্ঞানকে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রের মতন অমোঘ নিখুঁত বলে দাবী করা অবৈজ্ঞানিক মনের পরিচয়।
@বিপ্লব পাল, :laugh: বিপ্লব উপরে বন্যা আহমেদের মন্তব্যটি দেখার আগেই এই ধারণা আমার মাথায় এসেছিলো এবং মনে হয়না আপনি নিজেও এটা অস্বীকার করবেন যে- কিছু কিছু বিষয়ে আপনার সাথে একমত হওয়াটা খুবই খুবই কঠিন, প্রায় অসম্ভব। আপনার উত্থাপিত এমন একটি বিষয়ই হচ্ছে এ বক্তব্যটা-
lord অনেক বড়সড় একটা ক্লেইম কিন্তু এইটা, তাই তারচেয়েও বড় এভিডেন্স লাগবে আপনার এটা সমর্থন করতে। তো সেটা যাই হোক, আপনার কিছু কিছু কথা শুনে আমার মেনে নিতে কষ্ট হয় যে এই কথাগুলো আপনি মন থেকে বলছেন। মেডিসিনের বিরুদ্ধে প্রদাহী কথা বলে আপনি আমার ইনফ্লামেটরি রেসপন্স সক্রিয় করেছিলেন। এবং এখন সম্পুর্ণ বায়োলজিকাল সায়েন্সের বিরুদ্ধে প্রদাহী কথা বলে সেই ইনফ্ল্যামেশনকে পরিনত করলেন একটি সর্বশরীরময় যন্ত্রনাদায়ক সেপ্সিস হিসেবে, খোঁশপাঁচড়া একটি জঘন্য আর্থ্রাইটিক স্ক্লেরোটিক হিপবোন হিসেবে। এটা যেহেতু মুক্তমনা ফোরাম, আমি নিশ্চিত আমার মতো আরও ডজনখানেক প্রোসায়েন্স এখানে রয়েছে যারা কিনা আপনার এই বক্তব্যটির বিরোধীতা করবে বেশ খানিকটা তেতো ভাষাতেই। এবং আপনি নিজেও হয়তো লক্ষ করে থাকবেন সদালাপের এন্টিসায়েন্স প্রদাহী প্রস্টেটের দলও এই একই সুরে কথা বলে থাকে। এরকম আরও কিছু কথার উদাহারণ নীচে দিচ্ছি, আরও দিচ্ছি বন্ধনীতে আমার নিজের মন্তব্য-
আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনার বলা উপরোক্ত বাক্যগুলো আপনি নিজে পুনঃবিবেচনা করে সিদ্ধান্তে পৌছুন কেনো এই কথাগুলো ইনফ্লামেটোরি কথা হিসেবে বিবেচিত হবে না। আমার অনুভুতি হচ্ছে- আপনার উপরোক্ত মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে কথার বিরুদ্ধে প্যারাসিটামলের মতো কোন নন স্টেরইডাল এন্টি-ইনফ্লামেটোরি ড্রাগ বা এককথায় NSAID থাকাটা খুবই খুবই প্রয়োজনীয় ছিলো, যেই ড্রাগ খেয়ে ব্লগ দেখতে বসলে কারো ইনফ্লামেটোরি কথা শুনেও ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হবে না। এটা একটা কৌতুক কথা প্রসঙ্গে।
@আল্লাচালাইনা,
কোন বাক্যই আমি উইথড্র করছি না।
বিজ্ঞানের দর্শনে সূত্র কাকে বলে এবং কিভাবে রিডাকশনিজম থেকে সূত্রের জন্ম হয় সেটা জানা আছে কি?
ধরা যাক
একটি ড্রাগের দাবি যে সাবস্টান্স x , পরিমানে y হিসাবে দিলে z ফল পাওয়া যাবে।
এটিকে বৈজ্ঞানিক সত্য হতে ৫-৬ বছর ধরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হল।নাল হাইপোথিসিস টেস্টিং করা হল। দেখা গেল, শেষ মেস যেখানে ২% রিজেক্ট করার কথা সেখানে ৮% রিজেক্টশন আসছে।
আরো গোল হতে পারে। সে স্যাম্পল নেওয়া হল তাতে ২% রিজেক্ট হলে,
অন্য স্যাম্পলে ৫% রিজেক্টশন আসছে। কারন ইনডাকশন এরর থাকবেই।
নিউটনের সূত্রের ক্ষেত্রে তা হবে না। পৃথিবি বা মঙ্গল গ্রহে প্রায় ০% রিজেকশন সহ এই সূত্র চলবে। কারন ন্যাচারাল রিডাকশনিজম অনেক পিউর।
উভয়ই বিজ্ঞানের সূত্রের দাবিদার হলেও পার্থক্য আছে। একটি নিঁখুত
-অন্যটি সূত্র এবং না-সূত্রের সীমানায়।
পৃথিবীতে বিজ্ঞানে সব থেকে বেশী ফ্রড হয় মেডিকাল সায়েন্সে। এটা বেশ জ্ঞাত ব্যাপার। কারন এখানে টাকার চাপে ফ্রড হতে বাধ্য।
@আল্লাচালাইনা,
BTW, if you are in UCL, meet my friend Prof. Sougato Basu in UCL-he is a living authority on Quantum Collapse. সৌগত আমার ব্যাচমেট ছিল।
@বিপ্লব দা,
আমিও এই কথাটা এই মাত্র লিখতে চেয়েছিলাম। আপনি আগেই বলে দিলেন। :-Y
আমি বুঝতে পারছি না কেন এই সাধারন ব্যাপারে আল্লচালাইনা বাদানুবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। আপনার কোন কথা দেখেই আমার মনে হয় নি আপনি মেডিকেল সায়েন্স এর বিরুদ্ধে কোন কথা বলেছেন।
আল্লাচালাইনাকে আমি অনুরোধ করব আমাদের দেশে এই মাত্র কিছু দিন আগে প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে অনেক শিশু যে মারা গেছে তার কারন সম্পর্কে বলতে। এই মৃত্যুর কারন কি? এখানে মেডিকেলের সর্বক্ষমতাময়ী সুত্র কেন ফল করল? ড্রাগের কার্যকারিতা যদি পদার্থবিদ্যার সুত্রের মত হয় তাহলে ড্রাগের বিভিন্ন রিএকশন কেন থাকে? কেন সেই ড্রাগ বানানোর সময় সেটা বিবেচনা করা হয় না? আমি ডিশকভারিতে একজন ফার্মাসিস্টের সাক্ষাতকার দেখেছি, তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত এমন কোন ড্রাগের কথা জানিনা যেটার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং আমার ধারনা ভবিষ্যতেও সম্ভবত এমন কোন ড্রাগ হবে না যেটার কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকবে না।
আমার প্রশ্ন হল কেন?
বিপ্লবদা যে কথা বলেছেন তা হল মেডিকেল সাইন্সে ড্রাগের ক্ষেত্রে যে পরিমান খারাপ ব্যাবহার হয় তার কথা। এখানে আপনার কেন মনে হল তিনি অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা বলছেন? আমি যদি বলি এটমিক এনার্জির ব্যাবহারের জন্যেই আজকে সারাবিশ্বে যুদ্ধের দামামা বাজছে। এটমিক এনার্জির কারনেই হিরোশিমা, নাগাসাকির উপরে বোমা ফেলা হয়েছে, তাহলে কি আপনি বলবেন যে আমি পদার্থবিদ্যার বিরুদ্ধে কথা বলছি?
@বিপ্লব পাল,
একি শুনি!! বিশ্বাস!! আপনাদের আলোচনা শুনে একটি কথাই বুঝলাম আল্লাচালাইনা ছাড়া আর সকলেরি যুক্তি প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করার টেন্ডেন্সি আছে। লক্ষন ভাল নয়।
@আল্লাচালাইনা,
এই ব্যাপারে তোমার জ্ঞান বেশ সীমাবদ্ধ-এই ওয়েব সাইটে সব কিছু পাবে
@বিপ্লব পাল,
উপরের মন্তব্যে আর প্রতি মন্তব্য করার অপশান আসছে না, তাই এখানে করলাম।
ঠিকাছে এটা না হয় মানলাম, কিন্তু
খুব কনফিউসড হয়ে গেলাম তোমার কথায়। তুমি কি সব বায়োলজিকাল বা লাইফ সাইন্সকেই এখানে মেডিকেল সাইন্সের সাথে মিলিয়ে ফেলছো, নাকি এখানে মেডিকেল সাইন্সে বিজ্ঞানের সূত্র প্রয়োগের কথা বলছো? আমার কাছে ওষুধ তৈরির সময় তুমি যে স্যাম্পলিং এররের কথা বলছো সেটা কিন্তু তত্ত্বের একটা প্রয়োগ, কিন্তু এর ভিতরের আন্ডার লায়িং তত্ত্বটা এখানেও ১০০% সঠিক হতে হবে। এখানে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে, কত % রিজেক্টেড হলে কোন ওষুধকে বাজারে ছাড়া যাবে তার পিছনে কিন্তু অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিভিন্ন ধরণের কারণ কাজ করতে পারে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক সূত্রের ক্ষেত্রে তা হবে না। যেমন ধর, আ্যন্টিবায়োটিক বানানোর জন্য যখন বিবর্তন তত্ত্ব ব্যবহার করা হয় সেটাতে এরকম এরর থাকতে পারবে না, এমন না যে ৯৫% ক্ষেত্রে বিবর্তন সঠিক হলেই তা লাইফ সাইন্সে সঠিকক সূত্র হিসেবে গৃহীত হবে।
@বন্যা আহমেদ,
মেডিক্যাল সায়েন্স আর বায়োসায়েন্সকে মেলাচ্ছি না।
বায়োসায়েন্সের মাইক্রো মডেলগুলি ( যেমন প্রোটিন সিন্থেসিসিত্যাদি) ন্যাচারাল সায়েন্সের মতন । মিউটেশন মডেলগুলিও তাই।
কিন্ত মেডিক্যাল সায়েন্স একটা ম্যাক্রো এম্পিরিক্যাল মডেল।
একটা উদাহরন দিচ্ছি। যেমন একটা মেডিসিন
১০০ টা রুগীকে দেওয়া হল-একই রোগে।
ধরা যাক এই ১০০ ট রুগীর বয়স, জাতি সব আলাদা।
দেখা যাবে একই মেডিসিন একই রোগে ১০০ টা রেজাল্ট দিচ্ছে-
এবং সেই রেজাল্টের ডিসপার্সন এতই আলাদা হয়-সেখান থেকে বৈজ্ঞানিক সত্য বার করা কঠিন।
এই জন্যে অনেক ডাক্তারই একটা মেডিসিন ২-৩ দিন দিয়ে তার এফেক্ট দেখে পরের স্টেপ ঠিক করে। এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এটাত আরো বেশী করতে হয়।
অর্থাৎ ঔষুধ বিজ্ঞানের কোন ইন্ডাক্কটীভ সার্বজনীনতা নেই যা বিজ্ঞানের সত্যের বা সূত্রের আছে।
এই জন্যে মেডিক্যাল সায়েন্সের মধ্যে বাকি সব কিছু যেমন শরীরবিদ্যা বা বায়োকেমেস্ট্রি বিজ্ঞান হলেও
ক্লিনিক্যাল রিকভারি সাইডকে একই পাতে বসালে
ভীষন ভুলবোঝা বুঝি হবে। কারন ক্লিনিক্যাল রিভারির কোন সার্বজনীনতা নেই-সেই জন্যেই ড্রাগ সায়েন্সকে নিউটনিয়ান ফিজিক্সের মতন বহুল প্রমানিত বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে চালনা করা একধরনের অজ্ঞতা বা প্রতারনা।
@বিপ্লব পাল, ঠিক, মেডিক্যাল সায়েন্স কিছুটা ‘ট্রায়াল এন্ড এরর’ পদ্ধতিতে চলে বলেই জানি।
@বিপ্লব পাল,
এটা মেনে নিয়ে কি বলা যায় যে , মেডিক্যাল সায়েন্স একটা ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক যেখানে কন্ট্রোল পয়েন্ট গুলো নিয়ে কাজ করা হয় ?
একটু নিজের মত জানাই। আমার মনে হয় ড্রাগ সায়েন্সের সার্বজনীনতা পাওয়া যায় না – এটার কারণ ভ্যারিয়েবল অনেক বেশি বলে। ধরা যাক, মাইগ্রেনের একটা নতুন ওষুধ এল বাজারে। কিন্তু দেখা গেলো সেই ওষুধটি যাদের ডায়েবেটিস আছে কিংবা হাই কোলস্টরল আছে – তাদের উপর কাজ করছে না। আসলে ওষুধটির পেছনে তত্ত্বটি কিন্তু অবৈজ্ঞানিক নয়, বরং বলা যায় এত ভ্যারিয়েবল নিয়ে ডিল করার জন্য ওষুধটি তৈরি হয় নি, বা করা যায় নি। কিন্তু এলোপ্যাথি কারো উপর কাজ না করলে (অনেক ভ্যারিয়েবলের বিভিন্ন কারণে), পুরো এলোপ্যাথিকে বাতিল করে হোমিওপ্যাথি, পানি পড়া বা ঝারফুঁক বা এই টাইপের ‘অলটারনেটিভ’ চিকিৎসাকে বৈধতা দেয়া যায় না। অন্ততঃ এলোপ্যাথির পেছনের তত্ত্বটি কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত; ঝাড়ফুঁকের পেছনের তত্ত্বটি নয়, যদিও ঝাড়ফুঁকেও রোগী ভাল হয়ে গেছে, কিংবা জন্ডিসের মালা পরে জন্ডিস ভালো হয়ে গেছে – এরকম দৃষ্টান্ত খুঁজলে যে পাওয়া যাবেনা তা নয়। জন্ডিসের মালা পড়লে অনেকের জন্ডিস ভাল হয় – তবে সেটা মালার গুণে নয়, বরং বিশ্রাম নিলে সময়ের সাথে সাথে জন্ডিস এমনিতেই ভাল হয়ে যায়; হোমিওপ্যাথিও এভাবেই অনেকটা কাজ করে। কিন্তু সেগুলো কোনটাই কিন্তু বৈজ্ঞানিক নয়।
@অভিজিৎ,
প্রেডিক্টিবিলিটি ও সংশ্লিষ্ট ভ্যারিয়েবল সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকলে তাকে বিজ্ঞান বলে সংজ্ঞায়িত করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
@অভিজিৎ,
এলোপ্যাথিকে বাতিল করার প্রশ্ন উঠছে না। কিন্ত ঢালাও ভাবে এলোপ্যাথিক বৈজ্ঞানিক-অলটারনেটিভ মেডিসিন অবৈজ্ঞানিক-এসব বলার সীমারেখা এখানে দুর্বল। এসব কিছুই কখনো কাজ করে-কখনো করে না। এলোপাথির ব্যার্থতা অনেক কম-বাকীদের অনেক বেশী।
আমার মূল আপত্তি ছিল আল্লাচালনারা দাবি এলোপ্যাথি বিজ্ঞানের মতন সত্য এই দাবীতে। আর কিছু না।
@বিপ্লব পাল,
দুর্বল হলেও আমার মতে একথা ঠিক যে, এলোপ্যাথিক বৈজ্ঞানিক আর অলটারনেটিভ মেডিসিন অবৈজ্ঞানিক।
কারন অভিজিৎ যেমন বলেছেন,
@আল্লাচালাইনা,
মনে হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে একটু বেশী ব্যক্তিগতভাবেই নিয়ে ফেলেছেন বিপ্লবের মন্তব্যটা :-)। বিপ্লব বোধ হয় মেডিক্যাল সাইন্সের অবদানের কথা অস্বীকার করছে না ( তবে তার কথায় সেতা মনে হতে পারে হয়তো), এর কর্পোরেট পুঁজির হাতে জিম্মি হয়ে যাওয়ার কথাটা বলতে চেয়েছিল। এই প্রফেশানের সাথে যুক্ত হলেই হয়তো আরো নগ্নভাবে ব্যাপারটা দেখতে পাবেন। এটা অবশ্য সব বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে।
@বন্যা আহমেদ,
সেটাই। এই সহজ ব্যাপারটা নিয়ে এত ত্যানা পেচানো হচ্ছে কেন বুঝতেছি না। :-/
@বন্যা দি,
ভন্ড-স্কলারটিকে চিনিয়ে দেওয়ায জন্য ধন্যবাদ।
পারলে আরেক টাউট ‘জোকার নায়েক’কে নিয়ে লিখুন। :yes:
:laugh:
সে জোঁকের তেল বিক্রেতা! যতদূর শুনেছি, লোকটা নাকি যোগ ভালই জানে। কিন্তু এর সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্স মেশাতে গিয়েই সর্বনাশটা করেছে। “নন-লোকাল” শুনেই অবশ্য বোঝা যাচ্ছে অদ্বৈত বেদান্তী।
অবশ্য পেনরোজ যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্স, গোদেল অসম্ভব্যতা আর চেতনার খিচুড়ি বাজারে ছাড়তে পারেন, চোপড়াই বা কি দোষ করলেন 😉 ?
@রৌরব,
এটাই জানতে চাচ্ছিলাম, এর ভিত্তি কি, বেদ এ নন-লোকাল চেতনার কথা কিভাবে এর উল্লেখ আছে একটু বলুন তো। কথাটা শুনলেই মেজাজটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আর তার সাথে ম্লাডিনোর টিটকারি মারা মুচকি হাসিটা যোগ করলে তো আর কথাই নেই :-Y ।
@বন্যা আহমেদ,
প্রায় হুবুহু ও কথাটাই উপনিষদে আছে (অবশ্যই কোয়ান্টাম মেকানিক্স সংক্রান্ত অপবিজ্ঞানটা ছাড়া)। উপনিষদে “ঈশ্বর” মানে একটা সর্বব্যাপী চেতনা, যার অংশ আমাদের ব্যক্তিগত চেতনা বা আত্মা। এই মহাচেতনা যেহেতু সর্বব্যাপী, কাজেই “নন-লোকাল”। হাতের কাছে এই মুহূর্তে বই নেই, তাই উইকিপিডিয়া থেকে ঈশোপনিষদের একটা লাইনের অনুবাদ তুলে দিচ্ছি
“For the enlightened one all that exists is nothing but the Self”
এই নন-লোকাল নিয়ে ধানাই-পানাই করার কারণ আমার মনে হচ্ছে বৌদ্ধদের থেকে নিজেকে আলাদা করা। বুদ্ধের দর্শনের সাথে functionally অদ্বৈত বেদান্তের পার্থক্য তেমন না থাকলেও বুদ্ধ এই সর্বব্যাপী আত্মায় বিশ্বাস করেননা।
শ্রীমদ্ভাবগবৎ চোপড়ার সমস্যা হল গাছেরও খাবেন তলারও কুড়াবেন। উপনিষদের অপ্রমাণিত পরমেশ্বরে বিশ্বাস করবেন, কিন্তু সেটা বিতরণ করবেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আপাত-বিশ্বাসযোগ্য মোড়কে।
@রৌরব,
দুঃখিত নিজেকে জবাব দেয়ার জন্য, তবে একটা জিনিস যোগ করার প্রয়োজন বোধ করছি। সোজা কথায় “সর্বব্যাপী” না বলে “নন-লোকাল” বলার আরেকটা কারণ অবশ্যই জন বেল-এর বিখ্যাত কোয়ান্টাম মেকানিকাল নন-লোকালিটির তত্বের সাথে একটা সংশ্লিষ্টতা প্রতিষ্ঠা করা। হাস্যকর।
@রৌরব,
ঠিক, চোপড়া সাহেবকেও আমার এক ধরনের ধার্মিক মনে হচ্ছে যারা অপ্রমানিত ঈশ্বরের বানীকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করার অপ-প্রয়াস চালায়।
ঠিক বলেছেন বন্যা।
দীপক চোপড়া হেভেন কে বলেছেন ডার্ক এনারজি
আর হেল কে বলেছেন ডার্ক ম্যাটার। কি হাসস্পদ ।
ডার্ক এনারজি ও ডার্ক ম্যাটার নিয়ে গবেষনা চলছে এবং এদের সম্বন্ধে জানার চাইতে এখনও অজানাই বেশি। তবুও বিজ্ঞানীরা এই জিনিস দুটির অস্তিস্ত অস্বিকার করছেতে পারছে না।
যার ( হেভেন ও হেলের ) অস্তিত বলে কিছু নেই তার সংগে কি করে ডার্ক এনারজি ও ডার্ক ম্যাটার তুলনা করে ? যার যা মাথায় আসে তাই বলে। এঁরা আদতে ধোপে টিকবে না।
এই “পন্ডিত” আবার লিপ অব ফেইত কে কোয়ামটাম লিপ বলেছেন। বিজ্ঞানের সাথে নিজের থিওরিকে যুক্ত করে নাম করতে চাইছে।পাগোলে কি না কয় আর ছাগলে কি না খায়।
আপনার তাই মনে হল? ল্যারি কিং এ প্রথমে দেখে আমিও এরকমই ভেবেছিলাম, কিন্তু পরে বুঝলাম যে ম্লাডিনো বোধ হয় খুব কম কথা বলা লোক, কিন্তু কড়া সেন্স অফ হিউমারসম্পন্ন মানুষ। খুব কম কথায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়। এই ভিডিওতেও কিন্তু আমার তাই মনে হয়েছে, ভাবসাবটা অনেকটা এরকম, চোপড়া তোমার ভুজুং ভাজুং ছাড়ো, কোয়ান্টাম ফিজিক্স ১০১ কোর্সটা নিয়া তারপর আবার মুখটা খুইলো, খামাকা নিজেকে সবার সামনে গাধা বানায়া লাভটা কি?
ডকিন্সের সাথে একটা ভিডিও যোগ করে দিলাম। এখানেও দেখেন ডকিন্স কিভাবে চোখ পিট পিট করে এর কথা শুনে…
@বন্যা আহমেদ, ঠিকই বলেছেন। হিউমারটুকু মিস করেছি। হ্যা ১০১ কোর্স নিতে বলেছেন। চোপড়াও কম কিসে? বিজ্ঞের মত বললেন – জানার কোন শেষ নেই ইত্যাদি।
ডকিন্স চোপড়াকে চ্যাপ্টা করে দিয়েছেন। চোপড়াও ঘাগু লোক। একটুও ঘাবড়ে যান নি।
দীপক চোপড়ার চাপাবাজির দিন শেষ। আমি ভেবেছিলাম – he is long gone.
ধন্যবাদ, দ্বিতীয় লিঙ্কটি দেওয়ার জন্য। ওটা দরকার ছিল জিনিষটা পরিষ্কার হওয়ার জন্য।
আমি তো দেখি কোন খুঁজই (খোঁজই) রাখিনা। অনেক দিন টেলিভিশনের পর্দায় এই বিরিঞ্চিবাবাকে না দেখে ভেবেছিলাম ইনি হাওয়া হয়ে গেছেন।
সাধুবাবাদের মত সংক্ষিপ্ত কথা বলছেন মনে হচ্ছে। কিছুটা বললেন, বুদ্ধি থাকলে বাকীটা বুঝে নাও। আমাকে বিরক্ত করো না গোছের। মজার ব্যাপার, বিরিঞ্চিবাবা ম্লডিনোকে confidence not করে দিলেন। ভারতীয়রা জ্ঞানের কথা বলেন। এ আবার কোন জ্ঞানের কথারে বাবা? এই ভেবে ম্লডিনো সাহেব অগোছালো হয়ে গেলেন মনে হলো।