আমার কাছে যেটা পছন্দের অনেকের কাছেই সেটা অপছন্দনীয় নয়
উপরোক্ত বাক্যটি অভিজিৎ রায়ের। এই বাক্যটিকে বিশ্লেষণ করা উচিত। বাক্যটিকে নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত করে এর ভেতরের মর্ম উপলব্ধি করা উচিত। অপছন্দীয় শব্দটি তিনি কি অকারণে বা স্বকারণে দিয়েছেন? কিসের উপর ভিত্তি করে তিনি ভাবছেন যে, যেটা তার কাছে পছন্দের, সেটা অনেকের কাছেই অপছন্দনীয় নয়? তিনি কি এ ব্যাপারে জনমত যাচাই করেছেন? কিম্বা ‘অনেকে’ বলতে তিনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন?
বাক্যটি পড়লে স্বভাবতই প্রশ্ন জেগে ওঠে মনের মধ্যে। বাক্যটির সরল অর্থ হচ্ছে- অভিজিৎ এর কাছে যেটা পছন্দনীয় সেটা অনেকের কাছেই পছন্দনীয়। প্রশ্ন জাগতেই পারে- বাক্যটির মধ্যে কতটুকু সত্য লুকিয়ে আছে? তিনি হয়ত ভাবছেন কিম্বা বিশ্বাস করছেন- তার পছন্দীয় বিষয় অনেকের নিকটই গ্রহনীয়। কীভাবে এটার প্রমাণ দেবেন তিনি? তিনি তার পক্ষে যুক্তি দাড় করিয়ে এর প্রমাণ দিতে কি সক্ষম?
যে পোষ্টে তিনি এই মন্তব্য করেছেন সেই পোষ্টটি তানভীরুল ইসলামের ‘স্থবিরতার ইতিবৃত্ত’ প্রবন্ধে। সেই প্রবন্ধের একটি অংশ এখানে তুলে ধরছি।
তানভীরুল ইসলাম বলছেন-
একটা জিনিশ আমি সব সময়ই মানি। যেটা কদিন আগে দেখলাম অ্যান্থ্রপলজিস্ট মার্গারেট মীড খুব সুন্দর ভাবে বাক্যে প্রকাশ করেছেন, ‘Never doubt that a small group of thoughtful, committed citizens can change the world. Indeed, it is the only thing that ever has.’ অনেকে হয়তো ভাবতে বা প্রশ্ন করতে পারে ‘কেন একটা স্মল গ্রুপের চিন্তাকে পুরো বিশ্ব রিফ্লেক্ট করবে?’ এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দায়িত্ব আপনারই। আমি এটা মানি। এটা আমার মানসের ছাপচিত্রেরই অংশ। এবং এ বিষয়ে সমমনা মানুষদের আমি খুঁজে বেড়াই সব সময়। খুব বেশি তো লাগবে না। একটা ‘স্মল গ্রুপ’ হলেই চলবে।
মুক্তমনা এমন একটি ওয়েব সাইট যা সবাই পছন্দ করে না। এমনকি এটাতে ঢুকতেও ভয় পায়। মুক্তমনা গ্রুপ খুব বেশি বড় নয়। এটা একটা স্মল গ্রুপ। এই গ্রুপটাই পুরো বিশ্বকে রিফ্লেক্ট করে চলেছে। আমরা জানি, ভালো ভাবেই জানি- মুক্তমনাকে ব্যান করা হয়েছে মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশে। এটা তো গেলো বাইরে। আমাদের দেশের মধ্যেও চলছে নানা ষড়যন্ত্র।
যদি প্রশ্ন করা হয়, বাংলায় মুক্তমনার মত ওয়েব সাইট কী আরো রয়েছে? এর জবাব কী?
মুক্তমনার ব্যাপারে, ড. নৃপেন্দ্র সরকার প্রায়ই বলে থাকেন- মুক্তমনা মুক্তচিন্তার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ প্লাটফর্ম। কিন্তু এই অসাধারণ প্লাটফর্মকে ধ্বংস করার জন্য মৌলবাদী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। অনলাইনে পিটিশন করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযান চলছে।
সরাসরি মুক্তমনার নাম উল্লেখ না করলেও পিটিশনের বিষয়বস্তুতে প্রমাণ করে যে সেই পিটিশন কাদের বিরুদ্ধে?
আমরা যারা মুক্তমনাকে ভালোবাসি, মুক্তমনার দীর্ঘায়ু কামনা করি আমাদেরও তো দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। মুক্তমনার বিরুদ্ধে খর্গ হস্ত হলে মুক্তমনার সদস্যদের কী কী করণীয় রয়েছে?
শেখ মুজিবের নাম এলেই বাংলাদেশের নাম এসে যায়, তেমনি অভিজিৎ-এর নাম এলেই মুক্তমনার কথা এসে যায়। শেখ মুজিব ভাবতেন- উনার তেমন শত্রু নেই। কেউ তার ক্ষতি করবে না। অনেকেই তাকে ভালোবাসে, পছন্দ করে। কিন্তু শেষতক তার সেই ভালোবাসা, বিশ্বাস-এর চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ঠিক একইভাবে যদি অভিজিৎ চিন্তা করে থাকেন, তাহলে তিনি শেখ মুজিবের মতো ভুল করছেন কিনা তা ভেবে দেখা দরকার।
আসুন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণ ব্লগাড্ডায় মাতি এবং নতুন নুতন চিন্তা ভাবনা সংযুক্ত করি।
(মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন এই পোষ্টটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় কিম্বা এখানে আলোচনা করার কোনই প্রয়োজন নেই, তাহলে নির্দ্বিধায় পোষ্টটি সরিয়ে বা মুছে ফেলতে পারেন, এতে আমার কোনই আপত্তি থাকবে না।)
লেখাটিতে মন্তব্য করার অপশন সাময়িক সময়ে জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। পোস্টটিকেও অধিকাংশ পাঠকের দাবীর প্রতি মূল্য দিয়ে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সকল লেখক এবং পাঠকদের এই পোস্টের বদলে অন্য পোস্টের প্রতি দৃষ্টি দিতে করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
অামরা যারা মুত্তুমনায় না লিখলেও নিয়মিত মুত্তুমনা পড়ি তাদের জন্য পোষ্টটির কি প্রয়োজন থাকতে পারে? সেকুল্যার সাইট হিসেবে বাংলায় একমাত্র নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট হিসেবে এটির গুরতত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অপ্রয়োজনীয় ভিনণমত পোষণ করে যাওয়া নয়। যারা এই সাইটটিকে র্লানিং সাইট হিসেবে গ্রহণ করে অাসছে, তাদের জন্য অমতত এধরনের পোষ্টগুলো অপ্রয়োজনীয়। মুত্তুমনার উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন কিমতু অামরা ধরে নিচ্ছি এটা নতুন প্রজন্মকে তথাকথিত অন্ধ বিশ্বাস থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে বসতুনিষ্ঠ মূল্যবোধ জাগ্রত করবে ব্যত্তিুর বিবেকের মধ্যে। মুত্তুমনার কাছে অামাদের এই চাওয়াটা কি খুব বেশি?
আমিও আগে বুঝেছিলাম যে অভিজিতের কথার টাইপোর সূত্র ধরে এই আলোচনার সূত্রপাত। তবে আগ্রহী হয়েছিলাম ব্যান করা বিষয়ক তথ্যগুলির জন্য। সংগত কারনেই মনে হয়েছিল যে এই তথ্যগুলি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন।
যদিও বংগবন্ধুর সাথে অভিজিতের তূলনায় ব্যাপক মজা পেয়েছি 🙂 ।
আর সেই টাইপোর সাথে ব্যান করা বিষয়ের সংযোগ ধরতে পারিনি, ধরে নিয়েছিলাম আমারই ব্যার্থতা। সবাই সব জিনিস বুঝে ফেলবে তেমন তো কথা নেই।
এ নিয়ে দেখি বেহুদা উত্তাপের সৃষ্টি হচ্ছে। বেশীরভাগ পাঠক পছন্দ না করলে প্রথম পেজ থেকে সরিয়ে ফেললেই তো ল্যাঠা চুকে।
শুরু হয়ে গেল আবার ঝগড়া। উফফ :-X :-Y
হতে পারে পোস্টটির মধ্যেই রয়েছে খানিকটা going where ভাব; অথবা, অনেক শানে নজুল জানা নেই বলে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে পোস্টটির মর্ম উপলব্ধিতে ব্যার্থ হচ্ছি। তবে, পিটিশনের ব্যাপারটি যেটা বললেন সেটা ভীতিকর। জানা আছে কি কারা এইটা করছে? হয়রান ও তার সাগ্রেতরা মিলে নয়তো? আগেভাগে কিছু না জেনে এমন কথা বলা ঠিক না হয়তোবা। কিন্তু, কারা করছে? একটু জানাবেন। আরও জানাবেন স্পেসিফিকলি কি করছে। পোস্টটি ভালো লাগেনি, তবে মুছে দেওয়ার পক্ষপাতী নই।
@আল্লাচালাইনা, দুঃখিত going nowhere হবে।
মুক্তমনাতো সকল ধরনের মুক্তচিন্তার ধারক ও
এব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করে!
তাহলে এই লেখাটা কি দোষ করল?
স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে বলেই জানি!
অন্তত এই প্ল্যাটফর্মে!
ফরিদআহমেদ,
স্পষ্ট করে জানালে আপনার মত ইনটেকচুয়ালের মনোভাব বোঝা যেত!
@লাইজু নাহার,
আমি আপনার ক্ষোভ প্রকাশের মাত্রাটা দেখে একটু অবাকই হলাম। এটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে তা অবশ্য আমার জানা নেই। ফরিদ ভাই তো মুক্তমনার মডারেটর, উনি তো বটেই অন্য যে কোন সদস্যও প্রয়োজন হলে লেখার মান নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। তাকে ‘ইনটেকচুয়াল’ টাইপের কথাবার্তা বলে আক্রমণ করার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। সাম্প্রতিককালে এ ধরণের বিরক্তিকর কিছু লেখা এবং মন্তব্য যে মুক্তমনায় এসেছে তা তো কারো অজানা থাকার কথা নয়। একটা সামান্য টাইপো নিয়ে যদি কেউ এরকম তেলেশমাতি করতে পারে তাহলে তো তার লেখার মান নিয়ে প্রশ্ন করাই উচিত। মান নিয়ে সর্বক্ষণ প্রশ্ন না করলে মুক্তমনাও অন্যান্য বারোয়ারি সাইটের মতই আরেকটা সাইটে পরিণত হবে। এজন্য সবারই সচেতন থাকা উচিত। ‘মুক্তচিন্তার ধারক’ হওয়ার অর্থ যে পাগলামি ছাগলামি করা সেটা কিন্তু আমার জানা ছিল না। আমি আসলে ঠিক এর উল্টোটাই বুঝতাম এতদিন :-Y ।
@বন্যা আহমেদ,
কথাটা আমি কিন্তু ফরিদ আহমেদকে বলেছিলাম!
এখানে কেউ পাগলামি ছাগলামি করেছে!
জানা নেই তো!
কারও যদি কারও লেখা দেখে
লজ্জা, ক্ষোভ আর হতাশা হয়,তাহলে তো তা জানা দরকার!
অন্তত সংশোধনের জন্য হলেও!
আসলে ব্যক্তিগত আক্রমণ এখানে অনেক দেখেছি!
শুধু মডারেটরা তা করলে ওটা অত আলোচ্য হয়না!
আপনাকে এ ব্যাপারে মনে হয় একটু ভাবতে হবে।
ধন্যবাদ!
@লাইজু নাহার,
কিন্তু আপনি কি সত্যই মনে করেন, আমার একটা সাধারণ টাইপোকে কেন্দ্র করে এরকম একটা পোস্ট উনার লেখার দরকার ছিল? উনি যেখানে প্রশ্নটা করেছিলেন সেখানেই আমি উত্তর দিয়েছি। হয়তো উত্তর দিতে দেরি হয়েছে, খুব বেশি দেরি হয়নি। —
এই পোস্টের আসলেই কি কোন দরকার ছিল?
ব্যক্তিগত আক্রমন যেই করুক, সেটা সবার জন্যই খারাপ। মডারেটররা করলেও।
@লাইজু নাহার,
আমার প্রতি আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণটা অনুধাবন করেছি। কোন ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে সেটাও বুঝেছি। বুঝেছি বলেই এক ধরনের সহানুভূতি অনুভব করছি আপনার জন্যে। রোকেয়াকে নিয়ে আলোচনার স্মৃতি যে এখনও ঘোর দুঃস্বপ্নই হয়ে আছে আপনার কাছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি।
এটাই হয়। বিজয়ের উল্লাস পরম উচ্ছ্বাসময় এবং ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরাজয়ের স্মৃতি চরম দুঃস্বপ্নময় এবং চিরস্থায়ী।
প্রথম নজরেই বুঝেছিলাম অভিজিতের ‘অপছন্দনীয়’-এর ‘অ’ অসতর্কতাজনিত কারণে অনাকাঙ্খিতভাবে এসেছে। ওটা একটি গৌণ ভুল।
আমার দৃষ্টিতে মাহফুজ অন্য যে বিষয়টির প্রতি আলোক নিক্ষেপ করেছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমি মনে করি যারা সত্যিকারের মুক্তমনা, তার এই আলোক নিক্ষেপ, তাদেরকে এটির প্রতি নজর দিতে বিশেষভাবে প্রণোদনা দেবে। মৌলবাদ এবং অন্ধত্ব সহদর। সন্দেহের অবকাশ নেই যে, আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা এই সহদরদের দুর্দান্ত দাপটে অনেকটা ন্যুব্জ হয়ে পড়েছি। দিনে দিনে যে হারে আলখেল্লা-দাড়ি-টুপির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাতে মনে হয় মুক্তমনারা এখনই যদি জেগে না ওঠে তাহলে অচিরেই তাদেরকে মৌলবাদীদের হাতের পুতুল হয়ে পড়তে হবে। আমাদের চারিদিকে নজর দিলেই একথার সত্যতার প্রমাণ মিলবে। আমাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে ড. হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কিত ময়লানা সাইদীর দম্ভোক্তি; যার ফলোশ্রুতিতে এবং মুক্তমনাদের অনৈক্যের কারণে দেশের শ্রেষ্ঠতম ভাষাতত্ত্ববিদ, বহুমাত্রিক ও প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদকে অকালে প্রাণ দিতে হলো। নি:সন্দেহে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না যে, অন্ধ মৌলবাদীদের প্রবল আক্রমণের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মুক্তমনার মত একটি চমৎকার প্লাটফর্ম আমাদের সমুখ থেকে হারিয়ে যাক কিম্বা ড. হুমায়ুন আজাদের মত দু:খজনক পরিণতিলাভ করুক। কেননা মুক্তমনাকে যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে বাংলাভাষী মুক্তবুদ্ধিচর্চাকারীরা বড় কিছু হারাবে।
এখন কথা হচ্ছে, আমরা যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করছি এবং প্রত্যাশা করছি যে, দেশের প্রত্যেকটি মানুষ হোক গোঁড়ামিমুক্ত, মুক্তবুদ্ধির আলোয় আলোকিত, তারা কি মৌলবাদীদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে সজাগ আছি? আমরা কি ঐক্যবদ্ধ এবং প্রস্তুত আছি তাদেরকে প্রতিহত করার জন্যে? এখনই সময় নিজেদের অবস্থানকে যাচাই করে নেয়ার।
@মোস্তাফিজ,
সেটি আমার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কারন মাহফুজের
কথাটি যদি সত্য হ্য় তা হলে তা রীতিমত ভয়ের ও উদ্বেগজনক। মৌলবাদী চক্রকে ভয় না পাওয়ার কোন কারন দেখিনা।
একমত।
ড. হুমায়ুন আজাদের অকালে প্রাণ দেওয়ার ব্যাপারে মুক্তমনাদের অনৈক্যের কারণও ছিল বলে আপনি উল্লেখ করেছেন। এই ব্যাপারটা একটু বিষদ বলবেন কি?
আমরা মুক্তমনারা ঐক্যবদ্ধ এবং প্রস্তুত আছি কিনা সেটা যাচাই করারই বা উপায় কী?
একটি টাইপোকে সত্য ধরে এমনতর বিশ্লেষণ! বেশ ভাল!
অপ্রয়োজনীয় পোষ্ট। পোষ্টটি মুছে ফেলা হোক অথবা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক।
@স্বাধীন,
চাকুরিসূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে, প্রচুর পড়াশোনা করলে আর শিশুর মত সরল একটা মন থাকলেই শুধুমাত্র এমনতর বিশ্লেষণ সম্ভব। 🙂
দ্বিমত আছে আমার। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোস্ট এটি। থাকা উচিত প্রথম পাতায়, প্রয়োজনে স্টিকি করে হলেও। এতে করে আখেরে লাভ হবে মুক্তমনারই। সিরিয়াসলি বলছি, মজা করে নয়।
@ফরিদ আহমেদ,
এটি আমার একটি মন্তব্য থেকে নিয়ে আমাকেই কটাক্ষ করা হচ্ছে। একজন সাধারণ সদস্য কটাক্ষ করলে আমার কিছুই বলার ছিল না। একজন মডারেটর/এডমিনিস্ট্রেটর স্থানীয় লোক সাধারণ সদস্যদের নিয়ে মশকরা করা সুস্থতার লক্ষণ নয়। ইদানীং হামেশাই সাধারণ সদস্যরা এ জাতীয় অশোভন উক্তির শিকার হচ্ছেন। একের পর এক নাজেহাল হচ্ছেন। মুক্তমনার নির্বাহী কর্মকর্তারা অধিকতর সহনশীল, ধৈর্যশীল এবং সংযত হবেন এটাই আমি কামনা করি। এত সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি একমত। পোস্টটা মনে হয় অহেতুক ক্যাচাকেচির দিকে চলে যাচ্ছে। আবার নাম ভাঁড়িয়েও মন্তব্য করছেন কেউ কেউ। সাময়িক সময়ের জন্য মন্তব্য করার অপশন বন্ধ রাখলেই বোধ হয় ভাল হয়।
চরম হাস্যকর এবং লজ্জাজনক!!!
ইদানিং কিছু মুক্তমনা সদস্যের চিন্তাভাবনার মান দেখে লজ্জা, ক্ষোভ আর হতাশায় মুক্তমনা ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে আমার।
এই পোস্টেও থাম্বস আপ আর গোলাপ শুভেচ্ছা দেওয়ার লোকের অভাব হবে না হয়তো।
আমার নিজেরও ধারনা আছে বিএনপি জামাত সরকার সামনের বার ক্ষমতায় আসলে মুক্তমনাকে দেশে নিষিদ্ধ করার জোর চেষ্টা চালানো হবে।
তবে তাতে কি কোন লাভ হবে? উলটা মানুষে আরো বেশী আগ্রহী হবে। আর একই লেখা আজকাল আরো বহু ব্লগেই দেওয়া যায়।
ঠিক। মর্ম উপলব্ধি করতে করতে একেবারে মরমী হয়ে যান। কি আর করা।
সাধারণ একটা টাইপোকে মগডালে উঠায় দিয়ে কত ধরনের কেরামতি যে করা সম্ভব তা মাহফুজের পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। কিছু বলার নাই আর।
বুঝলাম না। আলাদা পোস্ট কেন দিলেন?
১. ওটা টাইপো হতে পারে।
২. টাইপো না হলেও আমি যেটা পছন্দ করছি সেটা দুনিয়ার তাবত মানুষ অপছন্দ করবে সেটা খুবই আনলাইকলি। সেটা কেউ পছন্দ না করতে পারে। ‘অপছন্দ নয়’ ভাবতেই পারে। কারণ পছন্দ/অপছন্দ ছাড়াও নিউট্রাল একটা স্টেট আছে।
আমি আমার পোস্টটাতেই ‘বিভাগ’ হিসাবে শুরুতেই ‘বিতর্ক’ দিয়ে রেখেছি। এ বিতর্কটা সেখানে হলেই ভালো হতো। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় জানি। ‘মেটাব্লগিং’ কোনোদিনই সুখকর বা কার্যকর কোনো আউটপুট দেয় না। আশাকরি আমার মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না। আমার নাম এসেছে বলেই বললাম। এমনকি আমার লেখার যে অংশটা কোট করা হয়েছে সেটাও ‘আউট অফ কন্টেক্সটে’ এখানে শুনতে বেশ আশঙ্কাজনকই লাগছে।
ধন্যবাদ।
এতো বড় লিখে ফেললেন, যার মানে কিছুই বুঝলাম না। আমার তো মনে হয়েছিলো অভিদার অপছন্দনীয় এর অ টা টাইপো! কি জানি।
যাই হোক, এই পোস্ট অপ্রয়োজনীয়।
@রায়হান আবীর,
এটা টাইপোই মনে হচ্চে।
কিন্তু নীচের তথ্যের ভিত্তি সঠিক হলে ভাববার আছে বৈকি? blockquote>অসাধারণ প্লাটফর্মকে ধ্বংস করার জন্য মৌলবাদী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। অনলাইনে পিটিশন করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযান চলছে।
নিষিদ্ধ হলে বাংলাদেশ থেকে কেউ মুক্তমনায় ঢুকতে পারবে না।
হাসিনা সরকার এই মাত্র কয়েক দিন আগে ফেসবুক নিষিদ্ধ করল। ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবী করার হাজার লোক আছে। কিন্তু মুক্তমনা নিষিদ্ধ হলে দশ জন লোকও পাওয়া যাবে না নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কাটা-ছ্যাড়া করতে যেয়ে আগের পোস্টিংটির বারটা বাজিয়েছি। ঠিক করার চেষ্টা নীচে করছি।
“কিন্তু নীচের তথ্যের ভিত্তি সঠিক হলে ভাববার আছে বৈকি?
নিষিদ্ধ হলে বাংলাদেশ থেকে কেউ মুক্তমনায় ঢুকতে পারবে না।
হাসিনা সরকার এই মাত্র কয়েক দিন আগে ফেসবুক নিষিদ্ধ করল। ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবী করার হাজার লোক আছে। কিন্তু মুক্তমনা নিষিদ্ধ হলে দশ জন লোকও পাওয়া যাবে না নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য। “
@মাহফুজ
অসাধারণ প্লাটফর্মকে ধ্বংস করার জন্য মৌলবাদী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। অনলাইনে পিটিশন করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযান চলছে।
নিষিদ্ধ হলে বাংলাদেশ থেকে কেউ মুক্তমনায় ঢুকতে পারবে না।
অশনি সংকেত! বড়ই খারাপ খবর।
মাহফুজ ভাই, এ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সুন্দর ছোট্ট একটা লেখা মুক্তমনায় দেয়া যেতো। অভিদার অপছন্দনীয় বিষয়ক কথা বা তানভীরুল ইসলামের লেখার সাথে এই প্রবন্ধের কোন যোগসাজস সম্পর্ক নেই, তাই পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ইচ্ছে করলে আপনি নিজেই লেখাটি মুছে দিতে পারেন।
@আকাশ মালিক,
মাহফুজের লেখা এখন মডারেটরের মাধ্যমেই পোস্টিং হয়। মডারেটররা কেন এই লেখাটি পোস্ট করলেন?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
না, মডারেটরের মাধ্যমে পোস্ট হয় না। উনি নিজেই লেখা পোস্ট করতে পারেন। মাহফুজের ব্যান তুলে নেয়া হয়েছিল, উনি লেখা পোস্টের সময় সাবধানী থাকবেন এই শর্তে। এখন তো দেখা যাচ্ছে তা ভুল ছিল। লেখা পোস্ট করার অধিকার ফিরে পেয়েই অর্থহীন পোস্ট দেয়া শুরু করেছেন, আর পাঠকদের বিরক্তি উৎপাদন করে চলেছেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধন্যবাদ। আমার জানা ছিল না ব্যান তুলে নেওয়া হয়েছে।
@আকাশ মালিক,
চমৎকার প্রস্তাব। প্রস্তাবককে অভিনন্দন। আপনার “যেতো” ক্রিয়াপদটিকে “যেতে পারে”-এ রূপান্তর করে আমিও মাহফুজকে অনুরোধ করতে চাই, তিনি যেন এ বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে মুক্তমনায় সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও একটি লেখা উপস্থাপন করেন।
অভিজিতের গৌণ ভুলটিকে অবলম্বন করে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে মাহফুজের এই প্রচেষ্টা নি:সন্দে ধন্যবাদার্হ্।
আমি একথা মনে করছি না যে, মাহফুজ একটি নিপূণ ও নিখুঁত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। বিষয় বিন্যাসে এখানে কিছুটা সমস্যা রয়ে গেছে, একথাও মানছি। তথাপিও প্রবন্ধটি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা বোধ করি শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। সচেতন পাঠক যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটি মনোযোগের সাথে পাঠ করেন, তাহলে, নিশ্চিত করে বলা যায়, তিনি বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে মাহফুজের অন্বিষ্ট বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হবেন অনায়াসে।
@মোস্তাফিজ,
মাহফুজ সাহেব, আপনি নিজের প্রবন্ধ নিজ নামেই ডিফেন্ড করতে পারেন। মোস্তাফিজ নামের আড়ালে নয়। আমি মডারেটর হিসেবে দেখতে পাচ্ছি আপনার (মাহাফুজ) আইপি এড্রেসের সাথে মোস্তাফিজ-এর আইপি মিলে যাচ্ছে (আপনি প্রমাণ চাইলে স্ক্রিনশট দিতে পারি)।
তারপরেও হয়তো কেউ বলতে পারেন মাহফুজ মোস্তাফিজ দু ব্যক্তি। একই কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। তাহলে আমার বিনীত প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কি মোস্তাফিজের বাসার কম্পিউটার থেকে মন্তব্য করছেন, নাকি মোস্তাফিজ আপনারটার?
আপনাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক না থাকলে ব্যবাপারটা আরো সন্দেহজনক। হঠাৎ করে মাহফুজকে ডিফেন্ড করতে মোস্তাফিজ সাহেবের আগমন ঘটল কেন? লক্ষ্য করুন উনি কিন্তু আর কারো পোস্টে মন্তব্য করছেন না। 🙂
এ ধরণের ছেলেমানুষীগুলো কি না করলেই নয়?