ছায়াপথে উদ্বেগ
হাসানআল আব্দুল্লাহ
এই সেই কবিতার বিশুদ্ধ শরীর
যার ভাবাপ্লুত চোখ দু’টি
কাল রাতে আমাকে উদ্বেল করে তুলেছিলো
বড়ো বড়ো গাছে ঢাকা ঝিঁঝির গুঞ্জনে পুরোপুরি
স্বপ্নাবিষ্ট বাড়ির স্বপ্নিল কামরায় বসে
আমি ওর শরীরের প্রতিটি প্রত্যঙ্গ
উপভোগ করেছিলাম নির্ঘুম।
পায়ের নখ থেকে মাথার উড়ন্ত চুল
কাল রাতে ওর সমস্তটা ছিলো
শুধু আমার দখলে
যেনো আমি বাইশের এক টগবগে নির্ভুল সাহস
আর সে-ও ছিলো আঠারোর ফুটন্ত কুমারী
দ্রবিভূত হয়ে যাই
আমি তাই
পুরোপুরি তার আদ্যন্ত মুকুরে।
না, এ কোনো স্বপ্ন নয়
আপনারা বিশ্বাস করুন
পুরোটা নির্ঘুম
আমি ও আমার নতুন কবিতা
সারারাত লুটোপুটি করে
ঝর্ণার সাফল্যে ভিজে
বাতাসের তাৎপর্যে পরিপূর্ণ হয়ে
চষে বেড়িয়েছি পৃথিবীর সৌভাগ্যময় সবুজ;
আর বিজয়ীর বেশে আজ তাকে নিয়ে এখানে এসেছি।
আপনারা তো জানেন ওর নাম উত্তরাধুনিক।
০৭.২৬.২০১০
উডহেভেন, নিউইয়র্ক
“আমি ও আমার নতুন কবিতা
সারারাত লুটোপুটি করে
ঝর্ণার সাফল্যে ভিজে
বাতাসের তাৎপর্যে পরিপূর্ণ হয়ে
চষে বেড়িয়েছি পৃথিবীর সৌভাগ্যময় সবুজ”
খুবই ভালো লাগলো
এই কবিতাটি নিয়ে ফেসবুকেও কিছু মন্তব্য এসেছে:
এখানে ক্লিক করে জেনে নিন
কবিতাটির শিরোনাম ‘কবিতাপাঠ’ না হয়ে ‘ছায়াপথে উদ্বেগ’ হলে বোধ করি ভালোই হয়। কি বলেন?
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
নামটা ভালো। কিন্তু এই নামের সাথে কি এই কবিতাটা যায়? :-/
@সাইফুল ইসলাম,
ভালবাসা কি যুগপৎ উদ্বেগ ও সম্ভাবনার ব্যাপার নয়! অন্যদিকে একের ছায়াপথে অন্যের বিচরণই তো দৈনন্দির শান্তির উৎস। অনেকটা গ্যালাক্টিক্যাল ক্যানিবালিজমের মতো।
অবশ্য নামটি ‘ছায়াপথে সম্ভাবনা’ হলেও মন্দ হতো না। আরো কিছু দিন এ নিয়ে ভাববো।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
এ লাইন কটির কারণে “ছায়াপথে উদ্বেগ” টা মন্দ শোনাচ্ছে না।
কবিতাটি পছন্দ হয়েছে। শেষ লাইনটি না দিলেও কি চলত?
@রৌরব,
আপনাকে ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন, শেষ লাইনটি না দিলেও চলতো। অবশ্য এভাবেও বলা যায়, কবিতাটি না লিখলে-ও চলতো। অনেক কিছু না করেও তো চলে যায়, চলে যাচ্ছে। আমি সে আলোচনায় না গিয়ে বলি যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো অনেকটাই ঠিক। তবে আমার মনে হয়েছে, এই কবিতার একটি উপসংহার দরকার, সেটি তার শেষ লাইন। বিষয়টি নিয়ে আরো একটু চিন্তা করে দেখবো।
আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমি ‘হয়তো’, ‘মনে হয়েছে’ ইত্যাদি ব্যবহার করছি। অন্যত্র এই ‘মুক্তমনা’ একজন ‘মনে হয়’, ‘বোধ হয়’ নিয়ে ঠাট্টাও করেছেন। কিন্তু চলমান এই বিশ্বে শুধু কবিতাই নয়, এমনকি বিজ্ঞানের অনেক ব্যাপারেই কি আমরা অতোটা নিশ্চিত! আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হাসানআল আব্দুল্লাহ, পড়লাম আপনার কবিতা।
হাসান ভাই অসাধারন লাগল। এরকম কবিতা প্রতিদিন চাই।
আবার মন খারাপও লাগছে কারন আপনি তো কখনই এখানে নিয়মিত হন না।
ভয়ই লাগছে বলতে আপনি ব্যাস্ত মানুষ, তারপরেও বলছি 🙂 । হাসান ভাই, কবিতার মাত্রা, ছন্দ এগুলো নিয়ে কি একটা লেখা দেয়া যায়? তাহলে আমার মত নতুন লিখিয়েদের অনেক উপকার হত।
আবারও বলছি এমন কবিতা প্রতিদিন চাই। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। হ্যাঁ, এমন একটি প্রবন্ধ ‘মুক্তমনা’য় দেবো বলে অনেক আগে থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ। বাংলা একাডেমী প্রকাশিত আমার ‘কবিতার ছন্দ’ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের উপর কাজ করছি। এই সংস্করণটি অবশ্য প্রকাশ করবে মাওলা ব্রাদার্স। কাজ শেষ হলে ওখান থেকে কিছু অংশ ‘মুক্তমনা’য় উপস্থাপন করার আশা রাখছি। ভালো থাকবেন।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
আপনার কবিতার ভালোলাগা ভাষায় বর্নণা করতে পারছিনা। এতো ভালো লাগলো। তাই মুক্তমনায়
এমন একটা কবিতার জন্য আপনাকে :rose2:
@আফরোজা আলম,
আপনার দেয়া উপহারটি আমি যত্ন করে রেখে দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।