করে নত শিরঃ শুণ্য পানে
কখনো কর জোড়ে মূর্তির সন্মুখে
সকাল বিকাল কিংবা দিনে পাঁচ বার
আছে যত যার আবদার
পূর্ণ হয়েছে কি কভু কার?
এশিয়া ইউরোপ আফ্রিকা বা আমেরিকায়
কোন নির্জন পার্কে বনে প্রান্তরে কিংবা লোকালয়ে
যেখানে উচ্ছ্বাসিত প্রাণ চাঞ্চল্যে ছিল একদা ভরপুর
বৃদ্ধ যুবা আদুরে তুলতুলে ন্যাংটা শিশুর।
আচমকা ভূমিকম্পের গুড়ু গুড়ু অস্থির কম্পনে
দোলায়িত ইট সুরকি ধ্বসে ধ্বসে পড়ে
জীবন্ত সলিল সমাধি দেয় বুভুক্ষু মানুষগুলুকে
অতি কষ্টে বেঁচে যাওয়া পঙ্গু স্বজন হারা
শক্তিহীন মানুষের কাতর আর্তনাদে স্তব্দ ধরনী।
তারাও করত প্রার্থণা কর জোড়ে বা দু”হাত তুলে
মন্দির মসজিদ বা কোন গীর্জায়।
বন্যা সাইক্লোনের দূরন্ত তান্ডবে
জীর্ন শীর্ণ বাড়িগুলু হয় অদৃশ্য নিমিষে
রঙিন স্বপ্ন সব দ্রবিভুত হয়ে প্লাবিত করে সভ্যতা
সব হারানোর চাপা আর্তনাদে প্রকম্পিত দারিদ্রতা।
এক মুঠু রিলিফের অনিশ্চিত ভরসায়
অনাহারি মানুষগুলু রুগ্ন দু”হাত শূণ্যে ভাসায়
কাড়াকাড়ি হাতাহাতিতে হুড়মুরিয়ে পদ দলিত
সহায় সম্বলহীন শোকাহত জনতা
তারাও করত প্রার্থণা।
এতকাল সযত্নে আগলে রাখা প্রার্থনার পবিত্র বইসব
জল কাদা মাটি লেপ্টে
মিশে যায় সাধারণ বইয়ের সাথে
মাটি থেকে খানিক উপরে তুলতেই
চুইয়ে ঝরে পড়ে নোংরা জল
নাকে এসে ঝাপটা মারে পঁচা বইয়ের দূর্গন্ধ।।
:yes: চলুক
চলুক। :yes:
এ রকম করে মনের ভাব প্রকাশের জন্যই মনে হয় একবার কবি হওয়ার দরকার।
কী সুন্দর অভিব্যক্তি!!
চালিয়ে যান। :yes:
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ তোমাকে। তোমার অবদান আমি কখনো ভুল বোনা।
@সৈকত চৌধুরী,
একবার না পারিলে দেখ শতবার- 😀
@রাজেশ তালুকদার,
আমার মগজে মনে হয় ভিন্ন বানা্নের ছবি সঞ্চিত আছে। খালি মনে হয় “প্রার্থনা” হবে। অনেকদিন দেখি না তাই ধোয়াশে হয়ে গেছে বানানটা। “ধোয়াশে” বানানটাও মনে হয় ভুল করলাম।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ধন্যবাদ নৃপেন্দ্র দা। আমার “প্রার্থণা” বানান টাই মনে হয় ভুল।নিজের ভাষা টাকেও কখনো কখনো খুব জটিল মনে হয় বিশেষ করে লেখার সময়।
অনভ্যস্ত হাতের লেখাতো ঠিক হতে সময় লাগবে কিছুটা তত দিন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
ভাল লাগল কবিতা পড়ে। কয়েকদিন আগে নিরজার গল্পে সৃষ্টি কর্তাকে ডাকার শব্দ প্রতিধ্বনী হয়ে ফিরে আসার চিত্র আপনার কবিতায় যেন বড় ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে।
@আনাস,
উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক আভিন্দন। হাইতির ভূমিকম্পে দূর্গত মানুষের করুণ দশা এবং পাকিস্তানের বন্যা কবলিত অসহায় মানুষকে সামান্য রিলিফের জন্য হিলিকাপ্টারের পা-দানিতে ঝুলে থাকার চিত্র দেখে মন টা খুব বিষন্ন ছিল।
মূলত তাদের দূরবস্থায়ই কবিতাটির উৎপত্তির মূল উৎস।