কানা মামুন সমাচার
দৈনিক ভোরের কাগজে কাজ করিবার সময় ২০০২ সালের দিকে যোগ দিলেন ফটো সাংবাদিক মামুন আবেদীন। তাহার সামান্য বায়ুচড়া দোষ আছে; এমনিতে লোক খারাপ নহে। ইতিপূর্বে তিনি দৈনিক আজকের কাগজে আমার সহকর্মি ছিলেন। সেই সুবাদে আমার কাছে নানান আব্দার ছিল তাহার।
ফটো-মামুনকে লইয়া সাংবাদিক মহলে নানা প্রচারণা আছে। তিনি আবার লক্ষ্মী ট্যারা। মনে করুন, আপনার দিকে তাকাইয়া কথা বলিল। আপনি ভাবিলেন, সে হয়তো পাশের জনের সহিত বাতচিত চালাইতেছে– এইরূপ আর কি! মুখে মুখে তাহার আসল নামটির আগে ‘কানা’ বিশেষণটি যোগ হইয়া নাম দাঁড়াইলো ‘কানা মামুন’।
তাহার সম্পর্কে আরও প্রচলিত রহিয়াছে যে, সে ছবি যাহাই তুলুক না কেনো, তাহার সবই নাকি আউট অব ফোকাস! যদিও বা দু – একটি ছবি ফোকাস হয়, ইহাতে আবার মানুষের মাথা কাটা পড়ে, ধরা পড়ে শুধু ধড়খানি!
শুনেছি চৌধুরি বাড়িতে নাকি বসেছে আসর…
একদিন কানা মামুন আমাকে কহিলো, বেগুনবাড়ি বস্তির মাঠে যাত্রার পালা বসিয়াছে। সারা রাত্রি সে ফটোগ্রাফি করিবে। আমি যদি অনুগ্রহ করিয়া পুলিশ কর্তাদের তাহার নাম বলিয়া দেই; কারণ তাহার দামি ক্যামেরার নিরাপত্তা রক্ষা করিবার বিষয় আছে — ইত্যাদি।
আমি চোখ মুদিয়া তাহার দিকে ডান হাত বাড়াইয়া দিলাম। আগে মালে আইসো চান্দু! অর্থাৎ, কিঞ্চিৎ অগ্রিম সার্ভিস চার্জ ছাড়ো তো বাপধন! …
কানা খানিকক্ষণ হেঁ হেঁ করিয়া কহিল, আরে রাখেন তো বিপ্লব দা। আপনি রমনা থানার ওসিকে একটু আমার নাম বলিয়া দিন না। পরে না হয়…।
এই ফাঁকে বলিয়া রাখি, অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতা করিবার চেষ্টায় তখন পুলিশ মহলে আমার সামান্য পরিচিতি ঘটিয়াছে।
কানাকে বলিলাম. সঙ্গে আমিও যাইব। গ্রাম্য যাত্রা দেখিবার পরে না হয়, একটা শহুরে যাত্রা দেখিবার অভিজ্ঞতা হইয়া যাক।
সে তো খুশীতে আটখানা। কারণ, আমার সঙ্গে থাকিলে তাহার চা – সিগারেট ইত্যাদি সবই ফ্রি!
ওসি-রমনাকে একটা ফোন ঠুকিয়া রাত ১২ টার কিছু আগে গন্তব্যে পৌঁছাইলাম।
বদের মেয়ে হেভি জোস!
যাত্রার পালার নাম শুনিলাম, বেদের মেয়ে জোছনা।
পালার স্থলে আসিতেই রমনা থানার সেকেন্ড অফিসার আমাকে সালাম দিয়া কহিল, ওসি স্যার ওয়ারলেস করিয়া আপনার কথা কহিয়াছেন। আমার সহিত আসুন। একেবারে মঞ্চের সামনে বসাইয়া দিবো। আর আমি আশেপাশেই রহিয়াছি। কোন দরকার পড়িলে শুধু ইশারা করিলেই চলিবে।
পালার স্থলের পেছনের দিক দিয়া মঞ্চের একপাশে একখানা ছোট বেঞ্চিতে বসিলাম। পালার সমগ্র প্যান্ডেল রিকশা ওয়ালা কি বাসের হেলাপার গোত্রীয় লোকজনে ভরিয়া উঠিয়াছে।
যাত্রার এক লোক দর্শকদের মাঝে ঘুরিয়া ঘুরিয়া মশা তাড়াইবার জন্য ধূপধুনো দিতেছে। হঠাৎ আরেকজন মাইক ফুকিলো:
ভাইসব, ভাইসব। যাত্রা, যাত্রা, যাত্রা। …ঝুমুর ঝুমুর নাচ আর কুমুর কুমুর নৃত্য। আজ আমাদের এখানে দেখানো হইতেছে– বেদের মেয়ে জোছ-নাআআআ…। দেখিবেন, এক ঝাঁক ডানাকাটা বলাকা! সত্ত্বর টিকিট লইয়া আসন গ্রহণ করুন!
চারদিক খোলা মঞ্চের এক কোনে বসিয়া বাদকদল চিকন সুরে হারমোনিয়াম আর সাঁনাইয়ে সুর তুলিলো:
বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়াছে,
আসি আসি বলে জোছনা ফাঁকি দিয়াছে।…
মনে বাবলা পাতার কষ লাইগাছে
এমনি কিছুক্ষণ বাদ্যবাজনা চলিলো। অধৈর্য দর্শককূল এক সময় অতিষ্ট হইয়া হৈ চৈ করিয়া উঠিলো। বড় বড় বাঁশের লাঠি হাতে ভলেন্টিয়ারদের তাহাদের সামলাইতে বেগ পাইতে হয়।
হঠাৎ ঘোষণা হইলো:
এখন আপনাদের বাউল সঙ্গীত শোনাইবেন, মিস চম্পআআআ…
নাদুস-নুদুস মিস চম্পা মঞ্চে আসিয়া সবাইকে সালাম-আদাব দিলেন।
বাউল শিল্পীর সাজ-সজ্জা দেখিয়া আমার হাত হইতে সিগারেট পড়িয়া যাইবার উপক্রম। আমি আক্ষরিক অর্থেই ‘হা’ হইয়া গেলাম!
তাহার টকটকে লাল রঙা ঝলমলে শাড়িটি টিনের তৈয়ারি বলিয়া ভ্রম হয়। উগ্র সাজ-সজ্জায় লালের ব্যবহার অত্যাধিক। আর শাড়ির আঁচল কিছুতেই যথাস্থনে থাকিতে চায় না। বার বার খসিয়া পড়ে। তিনি আবার সলজ্জ হাসি দিয়া চোখ টিপিয়া শাড়িটিকে সামলাইতে ব্যস্ত হন।
দর্শককূল তুমুল করতালি ও সিটি বাজাইয়া তাহাকে স্বাগত জানাইলো। তাহাদের আনন্দ আর ধরে না।
এদিকে কানা মামুন দেখি ঠিকই ক্যামেরা-ফ্লাশ লাইট গুছাইয়া ফটাফট ছবি তুলিতেছে।
মিস চম্পা নাচিয়া-কুঁদিয়া গান ধরিলেন:
আমার মাটির দেহে লাউ ধইরাছে,
ও লাউ দেখতে বড় সোহাগি,
লাউয়ের পিছে লাগছে বৈরাগী।…
বলা বাহুল্য, গানের ভিতরে ঘুরিয়া ফিরিয়া ‘মাটির দেহে লাউ ধইরাছে’ — বাক্যটি আসিবা মাত্র তাহার আঁচল খসিয়া পড়ে। লো-কাট ব্লাউজ ঝলসিয়া উঠে বার বার। সেই সাথে উল্লাসে – চিৎকারে ফাঁটিয়া পড়ে দর্শকমহল।
উৎসাহী কয়েকজনকে আবার দেখা গেলো, ভলেন্টিয়ারদের লাঠির বাড়ি খাইবার ঝুঁকি লইয়াই হাত বাড়াইয়া পঞ্চশ কি একশ টাকার নোট মিস চম্পার ব্লাউজের ফাঁকে গুজিয়া দিতে।
হায় চোলি!…
মিস চম্পা প্রস্থান করিবার পর বাদক দল বাজনা ধরিল:
কুক্কুরু, কুক্কুরু, কুক্কুরু,
চোলি কা পিছে ক্যায়া হে,
চোলি কা পিছে?…চুমরি কা নীচে কা হ্যায়?
চুমরি কা নীচে?
কিছুক্ষণ বাদ্য বাজনার পর মাইকে ঘোষণা হইল: এই বার মঞ্চ কাঁপাইবেন, মিস ঝুম্পাআআআ…
দৌড় দিয়া মঞ্চে উঠিলেন মিস ঝুম্পা। তিনিও মিস চম্পার অনুরূপ। তবে সাজসজ্জায় আরেক কাঠি সরেস।
তাহার পরনে লাল ঝলমলে চোলি – ঘাগড়া তো রহিয়াছেই। উপরন্তু ব্লাউজ আর ঘাগড়ার দূরত্ব বড়ই বেশি। ইহা ছাড়া ব্লাউজটিও অনেক ক্ষীণ। আবার মেদবহুল পেট আর বুকের খোলা অংশে অদ্ভুদ কি এক কায়দায় সোনালী চুমকি লাগানো হইয়াছে। উজ্জল বৈদ্যুতিক আলোয় নর্তন-কুর্দনের ফাঁকে ওইসব চুমকি ঝলসাইয়া উঠে।
নমাজ আমার হইলো না আদায়
বুঝিলাম, মূল যাত্রা শুরু হইতে দেরী আছে। ইহারা সবই বোনাস।
এদিকে মিস ঝুম্পা হাত-পা ঝাঁকাইয়া, কোমড় দুলাইয়া ‘হায় চোলি’ নাচটির অনুকরণে কোনো একটি নাচ করিবার কসরত করিতে লাগিলেন।
তিনি আবার মাঝে মাঝে হলিউডের সিনেমায় দেখা নাইট ক্লাবের দৃশ্যের ন্যায় মঞ্চের খুঁটি ধরিয়া ইঙ্গিতপূর্ণ কায়দায় শরীরে ঢেউ খেলান।
এই মহতি চুম্বক দৃশ্য হইতে অন্যদিকের দর্শকরা বঞ্চিত হইলে সেই দিক হইতে আবার হৈ হৈ রব উঠে।
চম্পা রানী তাহাদের মন জোগাইতে ছুটিয়া যান সেই দিকে। আবারো হাঁটুর উপরে ঘাগড়া তুলিয়া সেইদিকের খুঁটিটি উপড়ানোর অবিরাম বৃথা চেষ্টা চলে।…
এদিকে কানা মামুন ছবি তুলিবার ফাঁকে ফাঁকে আমার কানের কাছে আসিয়া চিৎকার দিয়া কহিলো, দাদা, কুড়িটা টাকা দিন তো। বাংলা খাইবো!
তাহার ইশারায় দেখিলাম, পুলিশের উপস্থিতিতেই মঞ্চের এক কোনে বিশাল এক প্লাস্টিকের ড্রামে করিয়া বাংলা মদ্য বিক্রি হইতেছে। সেখান হইতে ছোট প্লাস্টিকের বোতলে মদ্য ভরিয়া বিক্রি করা হইতেছে, প্রতি বোতল মাত্র কুড়ি টাকা।
এতোক্ষণে বুঝিলাম, বিভৎস ঘাম, সিগারেট, গাঁজার গন্ধ ছাড়াও কটু গন্ধটি কিসের।
চোখ ধাঁধানো আলো, মিস ঝুম্পার কসরত, তুমুল বাদ্য, হট্টোগোল আর নেশার কটু গন্ধে একেবারে নরক গুলজার!
আমি মামুনকে বুঝাইলাম, এই সব চোলাই মদ্যে বেশীরভাগ সময়ই ঝাঁজ বাড়াইবার জন্য গাড়ির ব্যাটারির অ্যাসিড মেশানো হয়। ইহা স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি অনেক সময় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। সে ব্যাটা কি বুঝিলো কে জানে?
হঠাৎ মঞ্চের একদিকে দর্শকদের মধ্যে মারামারি লাগিয়া গেল। ভলেন্টিয়াররা বাঁশ দিয়া পিটিইয়া পরিস্থিতি সামলাইতে পারিলেন না। চারিদিকে শুরু হইলো হুড়োহুড়ি। পুলিশ বারংবার বাঁশি ফুঁকিতে লাগিল। বুঝিলাম, এই বার তাহারা লাঠি পেটা শুরু করিবে।
কানাকে বলিলাম, ক্যামেরা ছিনতাই হইবার আগেই চম্পট দেওয়া ভাল।
পুলিশের সেই সেকেন্ড অফিসার আসিয়া আমাদের নিরাপত্তাসহ বড় রাস্তায় তুলিয়া দিলেন। আর সেই বেলা যাত্রা দেখা হইল না।…
—
ছবি: যাত্রার মেকআপ, সাহাদাত পারভেজ।
বিপ্লব ভাইয়া আপনাকে খুজে পেলাম অনেক কষ্টে। আপনার লেখা পড়তে আমার সব সময়ই ভাল লাগে। আজকের লেখাও ভাল লেগেছে।
@অনুলেখা,
আপ্নের অনেক ধইন্যা। 😀
মঞ্চে যাত্রা দেখার সুযোগ না হলেও ছোট বেলায় চৈত্র সংক্রান্তি কিংবা বৈশাখী মেলায় আমার বড় ভাই আমাদেরকে পুতুল নাচ দেখাতে নিয়ে যেতেন। আমরা ৫-৮/১০ বছর বয়সী ছোট ছোট শিশুরা তা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে দেখতাম। পুতুলগুলোর ডায়ালগ গুলো সাজানো হত শিশুসুলভ কাহিনী দিয়ে।
আমার মেয়ে এনটিভির কল্যানে পুতুল নাচের কথা জানতে পারে। তারপর এক মেলায় পুতুল নাচের প্যান্ডেল দেখে তার বাবার কাছে আব্দার করে- সে সরাসরি পুতুল নাচ দেখবে। দেশীয় ঐতিহ্যের অংশ ভেবে তার বাবাও আগ্রহের সাথে টিকিট করে। এরপর ভেতরে ঢুকে দর্শক শ্রেণীটা দেখে (বিপ্লব রহমান বর্ণনা করেছেন) কিছুটা হতাশ হলেও আগ্রহ আর জড়তা নিয়ে অপেক্ষা করি। পুতুল নাচ শুরু হলে হয়ত ভালো কিছু দেখবো। কিন্তু আমাদেরকে হতাশ করে কর্তৃপক্ষ। বিপ্লব রহমানের বর্ণনারুপ অভিজ্ঞতা আমাদেরও। একের পর এক কিশোরী মেয়েদের দিয়ে পরিবেশিত অশ্লীল পোশাকে অশ্লীল ভাষার গান ও নাচ। এরপর পুতুল নাচেও তথৈবচ! পুতুলগুলের মুখের ডায়ালগ এতটা খারাপ আর কাহিনীবিন্যাস এতই অরুচিকর যে, আমাদের অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
আমার মেয়ের শৈশব আর পুতুল নাচ দেখার স্মৃতি এত রুচীহীন হোক তা চাইনা বলে, আমরা শেষ পর্যন্ত না দেখে উঠে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। বিপ্লব রহমান বর্তমানকালের যাত্রার নামে ফাত্রামীর যে সত্যিকার রুপটি তুলে ধরেছেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাই। জয়তু বিপ্লব রহমান!
@মাহমুদা নাসরিণ কাজল,
অ্যাঁ! শেষে পুতুল নাচেও ফাত্রামী!! :brokenheart:
কিছু মন্তব্য বেশ হতাশা জনক। লেখক এখানে যাত্রাপালার বর্তমান অবস্থার করুন চিত্র অত্যন্ত সফল ভাবে তুলে ধরেছেন। তার সূক্ষ্ম ব্যাঙ্গ প্রকাশের সহায় হিসাবে লিখেছেন সাধু ভাষায়। এই অবস্থার প্রতি কোন সমর্থন তার নেই। অথচ কেউ কেউ আসল যাত্রাকি সে ব্যাপারে জ্ঞানদেয়া শুরু করেছেন লেখক কে। কি আজব!!!
@আতিক রাঢ়ী,
মহাশয়, এই বেলা আইসেন, সেই সব অর্বাচিনদের উদ্দেশ্যে খাস দিলে দোয়া-খায়ের করি: দে পানা, ইয়া ইলাহি, দে পানা… 😀
বিপ্লব রহমান আমার প্রিয় লেখক। তাকে প্রস্তাব করেছিলাম চোখে আঙুল দাদা হতে গেল বছর। রাজী হন নাই। এখন এই সব গল্প লিখে মাথা খারাপ করে দিচ্ছেন। আমি তার প্রতি ঈর্ষা বোধ করছি। কিভাবে অতি তুচ্ছ বিষয় গভীরতর আখ্যান হয়ে ওঠে–বিপ্লব রহমান এটা জানেন।
সালাম বস।
@কুলদা রায়,
মান্যবর, এইসব বলিয়া কেন লজ্জা দিতেছেন? হে ধরণী… 😉
এই জাতিয় ভয়ানক তথ্য উপস্থাপন করিয়া বাঙালের প্রানের পানীয় বাংলা খাইতে বাধা প্রদান করিবার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি।
:yes: :yes:
@সন্ন্যাসী পাঠক,
প্রতিবাদ বহাল থাকিল। 😀
@সন্ন্যাসী পাঠক, :yes:
এটা আসলে বাজারে বিদেশী মদ প্রচলনের অপচেষ্টা। বিশেষ করে সস্তা ভারতীয় মদ।
দেশীর শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
@আদিল মাহমুদ, হ ! 😀
@বিপ্লব রহমান,
এত বাংলা গাইল্লান, নিজে তো ঠিকই… 😛
থানার আমি নিজে বাংলার বোতল দেখছি।
@আদিল মাহমুদ,
দেশীয় মদ্য, কিনে হও হদ্দ।
@রৌরব,
শুধু হদ্দ তো হবে না; হতে হবে একেবারে বেহদ্দ (বেহেড)।
বেহেড মাতালের বেহেড শব্দটা নিয়ে চিন্তায় পড়লাম। হেড মানে কি ইংরেজী মাথা??? মানে মাতাল হলে বুদ্ধি শুদ্ধি হারায় এজন্য বেহেড?
ভারী আশ্চর্য ব্যাপার, বাংলা ইংরেজীর এমন মধুর মিলন! আমার বহুদিন ধারনা ছিল যে বাউন্ডুলে শব্দটা ইংরেজী।
@আদিল মাহমুদ,
বেহদ্দটা কেমন তালে মিলছে না। ছড়াটা নান্দনিক দিক থেকে মার খাচ্ছে :D। “চরম” বা “চুড়ান্ত” অর্থে হদ্দ ব্যবহার করছি, দেশীয় মদ্যের বিক্রয় বাড়ানোই যেহেতু উদ্দেশ্য :-P।
মনে তো হয়।
কস্কি মমীন 😀
@আদিল মাহমুদ, :heart:
আসুন আমরা দেশ বিরোধি এই চক্রন্তের বিরুদ্ধে জাগ্রত জনতাকে সাথে লইয়া প্রতিবাদ জানাই।
আজকের স্লোগান….
বাংলার বিরুদ্ধে বিপ্লব রহমানের অপপ্রচার, রুখে দাড়াও জাগ্রত জনতা! 😉
😀 😀 😀
@ রৌরব, @আদিল মাহমুদ, @সন্ন্যাসী পাঠক,
একটি গুরুতর বিভ্রান্তির অবসান:
ভাই/ বোন সব! এতো দ্বারা ব্লগীয় বারান্দায় টিনের থালা পিটাইয়া ঘোষণা দেওয়া যাইতেছে যে, বিপ্লব রহমান পানপ্রিয় হইলেও মটেই ‘বাংলা’ প্রেমী নহেন; তাহাকে চাকমা প্রেমী (দো চোয়ানি) বলিতে পারেন! 😀
—
যাহারা বাংলার মদ্যর গুনগান গাহিতেছেন, তাহাদের উদ্দেশ্যে কবিয়াল রমেশ শীলের কয়েকটি চরণ:
@বিপ্লব রহমান,
আপনার ক্ষুরধার লেখনীর কাছ থেকে বাংলা সম্বন্ধীয় একটি পূর্নাংগ লেখা আশা করছি। এর অতীত,ভবিষ্যত,বর্তমান…জাতীয় জীবনে গুরুত্ব…সর্বোপরি কেন চাকমা টেকনোলজির কাছে আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আজ পরাজিত হচ্ছে এই সব আরকি।
অতি অবশ্যই আপনার ব্যাক্তি অভিজ্ঞতার সত্য বর্ননা থাকতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
মহাশয়, বাংলা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ লেখা?
কিন্তু আপনি কোন বাংলার কথা কহিতেছেন? বাংলা ভাষা? বাংলা সাহিত্য? নাকি এপার বাংলা-ওপার বাংলা? নাকি কথিত বাংলা-কুটির শিল্প? 😀
বিনীতভাবে জানাই, ওইসব গুরুতর বিষয়ে আমার তেমন কিছুই জানা নাই। এই অধম বাংলা টাইপিং ছাড়া তাবৎ বাংলা সম্পর্কিত জ্ঞানে (খুব খেয়াল করিয়া), নিছকই অজ্ঞ। 😉
অতএব, অধমের অপারগতাটিকে নিজগুনে ক্ষমা করিবার সবিশেষ অনুরোধ রহিল।
আরজে গুজার–
স্বাক্ষর
(অস্পষ্ট)
@বিপ্লব রহমান,
:lotpot:
@রৌরব, 😉
@বিপ্লব রহমান,
ক্ষমা করা যাইতেছে না। ভড়ং ছাড়ুন। আসলে চেহারা দেখান।
এখন শাস্তি স্বরুপ সেই লেখা সচিত্র হইতে হইবে এই ফর্মান দেওয়া গেল।
@আদিল মাহমুদ,
মহামান্য আদালত (১),
আপনি বোধকরি আটার কলের কাছে আখের রস চাহিতেছেন। :-Y
নিবেদন ইতি–
@বিপ্লব রহমান,
টিনের থালা পিটাইয়া ঘোষনা দিয়াই সব শেষ হইবে না। বাংলার এমন অপমান আপনি করিয়াছে তাহার উপযুক্ত শাস্তি ইতোমধ্যে আদিল মাহমুদ ঘোষনা করিয়াছেন। :rotfl: উক্ত শাস্তি আজিকার এই ব্লগীয় মহলে বহাল থাকিল। :lotpot: অচিরেই একখানা রঙ্গিন বাংলা নামা অর্থাৎ এর অতীত,ভবিষ্যত,বর্তমান…জাতীয় জীবনে গুরুত্ব…সর্বোপরি কেন চাকমা টেকনোলজির কাছে আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আজ পরাজিত হচ্ছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করিবেন। আদালত আজকের মত মুলতবি ঘোষনা করা হল। 😀
স্বাক্ষর
(অস্পষ্ট)
@সন্ন্যাসী পাঠক,
মহামান্য আদালত (২),
ঐ (উপরিক্ত প্রতিমন্তব্য দ্র.)। 😀
আমি যাত্রা দেখেছি টিভিতে। অনেকগুলাই।
লেখাটা মজারু হয়েছে।
@তানভীরুল ইসলাম, 😀
অনেক ভালো লাগল। অনেক দিন পর। বিষয়টা নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেক।
@অনিন্দ্য রহমান, 🙂
জনাব আপনি যে একটা বেহুস যাত্রা নাকি যত্রা পলা দেখিয়াছেন তা আমি নিশ্চত। ভাল যাত্রা দেখুন মত বা ধারনা পাল্টে যাবে। দয়া করিয়া মদখোরদের কাছে আর যাবেন না। যাত্রা আমাদের ঐতিহ্য।
@রিমন,
এ ক ম ত। :rose:
বিপ্লব,
আমার “তখন ও এখন” চূড়ান্ত করার পর যাত্রা সম্পর্কে আমার লেখা থেকে
কাজেই আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা মিলে না। সময়ে সংস্কৃতির বিবর্তন ঘটছে, ঘটবেই, তবে তা বিকৃতির দিকে যাচ্ছে বলেই আফসোস।
@গীতা দাস, :yes:
বিপ্লব দা যাহা দেখিয়াছেন তাহা মোটেও যাত্রা নহে। উহা যাত্রার নাম করিয়া গ্রামের মানুষের আনাস্বাদনীয় স্বাদ পাবার বৃথা ও স্থূল চেষ্টা। উহাকে যাত্রা বলিয়া অভিহিত করিয়া যাহারা যাত্রা দেখিয়াছেন তাহাদের ফাত্রা বলিয়া অপমান করার তেব্র পত্তিবাদ জানাচ্ছি। :-X
@সৈকত চৌধুরী,
আমিও উহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। 😀
:lotpot: :hahahee: :guru:
একি লিখলেন! অর্ধেকের মত লাইন উদ্ধৃতি হওয়ার যোগ্য। দুর্দান্ত। :yes:
দ্র. পুলিশে বাংলা মদ সহ ধরলে আপনাকে ফোন করতে পারি তো? 😉
@রৌরব,
মমিন! 😀
@বিপ্লব রহমান,
মোশিঁয়ে ,একি সুন্দর বর্ননা ! কল্পনা না সত্যি সত্যি দেখা তা জানি না। জানার দরকারও নেই।
যেন ছবি দেখছি। বর্ননা যেন ছবি হয়েছে বা ছবি যেন বর্ননা হয়েছে।
হাস্য স্বাস্থের পক্ষে ভাল।
অতি সুন্দর।
@সেন্টু টিকাদার, 🙂
@বিপ্লব রহমান,
লেখাটি পড়িয়া খুব আনন্দ পাইলাম। যাত্রা দেখিয়া ফাত্রা হওয়ার সৌভাগ্য হয় নাই, তবে কল্পনা করিতে পারি নৃপেন্দ্র সরকার বর্নিত রূপবান, আলোমতি, রাখাল রাজা, ভাওয়াল রাজা, মাইকেল মধুসুধন ইত্যাদি কতখানি উপভোগ্য হইতে পারে।
সেই সঙ্গে আকাশ মালিকের দেয়া দুইটা গান “তারা এ দেশের সবুজ ধানের শীষে / চিরদিন আছে মিশে, চিরদিন আছে মিশে“, “আমার বাড়ির দক্ষিণ ধারে গো / ও দাইমা কিসের বাদ্য বাজেগো, আমার দাইমা দাইমা গো”
অনেকদিন পরে মনে করিয়া যারপরনাই আনন্দিত হইলাম।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাল্যকাল গ্রামে কাটিয়াছে। সেই আশির দশকের কথা। তখন গ্রাম গঞ্জে যাত্রা পালার রমরমা অবস্থা। আমার বন্ধুবান্ধবরা দেখিতাম অনেকেই যাত্রাপালার একটা রাতও মিস করিত না। ওদেরকে দারুন ঈর্ষা হইত আমার কারন আমার কপালে তাহা জুটিত না, আমার অভিভাবক বড়ই কড়া ছিলেন তাহারা আমাকে যাত্রা দেখিতে দিতেন না। নিজেকে বড়ই হীন মনে হইত। বড় ফাত্রা মনে হইত। কেউ কেউ পুরা ৭/৮ দিনের টিকিট এক সাথে কাটিত , যাকে সিজন টিকিট বলিত। তখনই আমি সিজন টিকিট কি তাহা বুঝিতে পারি সর্বপ্রথম। যাহোক পড়াশুনার ক্ষতি হইবে বা চরিত্র নষ্ট হইবে বলিয়া আমার অভিভাবক আমাকে যাত্রা পালা তেমন দেখিতে দিতেন না। মনের কষ্ট মনেই চাপিয়া থাকিতাম। পরবর্তী জীবনে আসিয়া দেখিলাম যাহারা বেশী বেশী যাত্রা পালা দেখিয়া আনন্দ উপভোগ করিত, তারা প্রায় সবাই ফাত্রা হইয়া গিয়াছে মানে জীবনে কেউ তেমন উন্নতি করিতে পারে নাই , কিঞ্চিত ব্যতিক্রম শুধু আমার ক্ষেত্রে। তাই এখন ভাবি তখন যাত্রা দেখার বেশী সুযোগ পাইলে আজ মনে হয় আমিও ফাত্রা হইয়া যাইতাম।
@ভবঘুরে,
মহাশয়, আসুন, শোকরানা প্রকাশ এই বেলা মুক্তমনায় একটি ব্লগিয় মিলাদের আয়োজন করি। …ইয়া মালিক সালা মালাই কা… :lotpot:
বগুড়ায় সত্তরের দশকে একবার যাত্রা দেখছিলাম।
দুলাভাই সব খালাতোবোনদের দেখিয়েছিলেন।
ভালই লেগেছিল মাটির কাছাকাছি সংস্কৃতি!
তখন বোধ হয় দেশের এক বিরাট অংশই যাত্রা দেখতেন!
অনুমান করি হিন্দিছবির প্রভাব,বাণিজ্যিকতা মেধা আর মননের
অভাবে জনপ্রিয় সাধারন মানুষের বিনোদনের এই মাধ্যমটি
এই অবস্থানে এসেছে!
সুন্দর উপস্থাপনায় আসলেই অনেক আনন্দ পেলাম!
@লাইজু নাহার,
ফাত্রা নর-নারীর অভাব নাই দেখিতেছি। 😀
আসলেই কানা মামুনের ছবি দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। ওনার মনে হয় কিঞ্চিত বাংলা সেবনে আগ্রহ ছিল যা আমাদের গুডি বয় বিপ্লব ভয় দেখিয়ে নস্যাত করে দেন। এর নিন্দা জানাই।
যাত্রা এককালে ভালই চলত। টিভিতেও আগে দেখানো হত, ভালই লাগত। অনেকেই গাঁইয়া বলে না দেখলেও বাবা সহ আমরা দেখতাম। যাত্রা শিল্প মনে হয় এখন পুরোই মৃত, কিছু কারন এখানেই মনে হয় বলা আছে।
আগেকার দিনে বিশেষ করে শীতকালে সার্কাসের দলও আসত।
@ অভিজিৎ দা, @আদিল মাহমুদ,
মন্তব্য করিবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। :rose:
কানা-মামুনের ফটোর নমুনা চাহিতেছেন কেনো বুঝিলাম না। ফটো-সাহাদাতে মন ভরিতেছে না বুঝি? 😉
@বিপ্লব রহমান,
কানা মামুন নামটা শুনিলেও তো মনটা উচাটন হইয়া উঠে, তাই উনার তোলা ছবির প্রতি আগ্রহ আর কি।
অফ টপিক, গুজবে প্রকাশ যে পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টারদের নাকি থানা পুলিশ উলটা ঘুষ খাওয়াইয়া থাকে? ইহা সত্য কিনা? হইলে আপনার ইনকাম কেমন ছিল যদি বলিতেন…
@আদিল মাহমুদ,
ইয়ে…মহাশয়, শোনা কথায় কান না দিবার অনুরোধ জানাই। 😛
@বিপ্লব রহমান,
ভ্রাতঃ, ব্যাপক অভিজ্ঞতায় দেখিয়াছি যে অন্তত আমাদের দেশে পুলিশ সংক্রান্ত গুজবের বেশীরভাগই সত্য হইয়া থাকে।
আমি এক খানা ঘটনা অন্তত জানি যেখানে একজন ওসি সাহেব আপন শ্বশুর মহাশয়ের কাছ হইতেও তোলা তুলিয়াছিল বলিয়া গুজবে প্রকাশ 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
মহাশয়, শাস্ত্রে আছে, (ইয়ে…কোন শাস্ত্রে জিজ্ঞাসিলে কবি নিরব থাকিবে… সে যাহাই হোক, শাস্ত্রে আছে) সব সত্য কথা সর্বত্র বলিতে নাই। 😛
@আদিল মাহমুদ,
পাছে আমাকেও ফাত্রা মনে করিতে পারে মনে করিয়া স্বীকার করিতেছি না আমি যাত্রা দেখার পোকা ছিলাম। রূপবান, আলোমতি, রাখাল রাজা, ভাওয়াল রাজা, মাইকেল মধুসুধন এসব উপভোগ করতাম। তখন কোন মিস চম্পা, ঝুম্পাদের কোন বোনাস ছিল না। এমনকি রূপবান, আলোমতি্র আড়ালে থাক ১৫/১৬ বছরের ছেলেপিলে। ফলে পুলিশের লাঠি বা ভলান্টিয়ারদের বাঁশ দেওয়ার দরকার হত না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মহাশয়, আপনি বোধহয় শিল্প দেখিয়াছেন; আসল যাত্রার আশ্বাদ পান নাই। আপনার জন্য সমবেদনা রহিল। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
সমবেদনার জন্য ধন্যবাদ। :rose2:
সেই তখনকার আমলে অশ্লীলতার ছোঁয়াচ ছিল না। বর্ষাকালে নৌকা বাইচ, শীতকালে সার্কাস আর যাত্রা পালা আপামর বাংলার বিনোদনের প্রধান মাধ্যম।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মহাশয় মিস চম্পা / ঝুম্পা ছাড়া বিনোদন জমিত কী প্রকারে ভাবিয়া আকূল হইতেছি। :-X
@বিপ্লব রহমান,
কী কন আফনে! মিস চম্পা/ঝুম্পা ছাড়াই কাঁদিয়া/কুদিয়া চোখের জলে আর নাকের জলে আচল ভিজিয়া একাকার হইয়া যাইত।
আব্দুল করিমের গানের কথা আপনার মনে নাই!
“আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম”
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মহাশয়, বিনীতভাবে জানিতে চাহিতেছি, আঙ্গুল ফল কী সত্যই টক? 😉
@বিপ্লব রহমান, :laugh:
@রৌরব, 😛
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বাবার কাছে শুনেছি যে ওনাদের ছেলেবেলায় যাত্রার নায়িকারা ছিলেন সব পুরুষ 🙂 ।
হুমায়ুন আহমেদ তো ঘাঁটু পুত্র নিয়ে কি সিরিয়াল বানিয়ে ফেলছেন।
যাত্রায় বিনা নোটিসে বিবেকের আবির্ভাব সবচেয়ে দারুন লাগত।
@আদিল মাহমুদ,
হুমম … বোধকরি সেইকালে যাত্রায় ঐ রূপ বোনাস-টোনাসের বালাই ছিল না; বিনোদন বলিতে টিনের তরবারি যুদ্ধ মাত্র।… :deadrose:
@আদিল মাহমুদ,
রাজার আদেশে জল্লাদ বড় রাণীকে জংগলে নিয়ে যাচ্ছে শিরোচ্ছেদ করার জন্য। জল্লাদ কেঁদেকেটে আকুল। দর্শকও কাঁদছে। একসময় জল্লাদ ফিট হয়ে পড়ে গেল। মাথায় জল ঢেলে বাতাশ করে ঠিক করা হল। যাত্রা শুরু হল আবার। কী আবেগ! বাংগালী বড়ই আবেগের জাত!
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মাঝে মাঝে টিনের তলোয়ার বের করতে গিয়ে আটকে যেত, একাধিকবার দেখেছি 🙂 । পরচূলা বা বেশভূষা হঠাত পড়ে গেল।
@আদিল মাহমুদ,
একবার দেখি এক অভিনেতা স্টেজেই পোষাক চেঞ্জ করল। তারপর বিবেকের গান শেষ করে তড়িঘড়ি করে আবার পোষাক চেঞ্জ করে আগের অভিনেতা হয়ে গেল। মজার মজার কান্ড আছে যতসব।
এক রাজার তাতক্ষনিক সংলাপ
– একি একি দেখি অমংগলের পূর্বাভাস। রাণীর মুখে জেগেছে গোঁফ। যাও রাণী। যাও অন্তপুরে। রেখ এস অমংগলের হাতছানি।
আগের দৃশ্যে রানী সেনাপতির অভিনয় করেছে। গোঁফ খুলতে ভুলে গেছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার, :laugh:
একেই বলে আসল অভিনয়।
নাটক সিনামা তো এগুলার কাছে নস্যি।
বাবা একবার বলেছিলেন তাদের অঞ্চলে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় ভীম বদের কাহিনী 🙂 । চিন্তা করেন একবার; মহাভারতের ডায়ালগ নোয়াখাইল্লা ভাশায় কেমন শোনাতে পারে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হা হা প গে কে ধ… :hahahee:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমিও যাত্রা দেখার পোকা ছিলাম। জীবনে প্রথম যাত্রা যখন দেখি তখন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম, বয়স ছিল সম্ভবত ১২ কি ১৩। বন্দনার গানটার প্রথম লাইন এখনও মনে আছে- তারা এ দেশের সবুজ ধানের শীষে / চিরদিন আছে মিশে, চিরদিন আছে মিশে।
রাজপুত্তুর রাজরাণীর বেশে তারা যখন মঞ্চে উঠলো আমার মনে হয়েছিল, নিশ্চয়ই এরা চাঁদের বাসিন্দা, এরা মাটির পৃথিবীর মানুষ হতে পারেনা। বেশ কিছু মেয়ে যে আসলেই ছেলে ছিল তা বিশ্বাস করতে আমার বহুদিন লেগেছিল। রূপবান এর চরিত্রের বারো বছরের মেয়েটি মঞ্চের যে খুঁটি বা পালায় ধরে কেঁদে কেঁদে গাইছিল- আমার বাড়ির দক্ষিণ ধারে গো / ও দাইমা কিসের বাদ্য বাজেগো, আমার দাইমা দাইমা গো। সেই বাঁশটি নিলামে বিক্রী করা হয়, মূল্য হয়েছিল তখনকার সময়ে পাঁচ হাজার টাকা। আজও দেশে গেলে আমি গ্রাম বাংলার সেই হারানো সংস্কৃতি খোঁজে বেড়াই। ধন্যবাদ বিপ্লব দা, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার এমন লেখাটি আমাকে যেন কিছুক্ষণের জন্যেও না হয় সেই স্মৃতির দেশে নিয়ে গেল।
@আকাশ মালিক,
সত্যি তাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার, @আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানিবেন। 🙂
পুনশ্চ:
@আকাশ মালিক,
মহাশয়, দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইতে চান? শুনিয়া দেখুন:
[img]httpv://www.youtube.com/watch?v=g7WGG5eIKvU[/img]
@বিপ্লব রহমান,
আপনি পারেন দাদা, আরো দিন, খুব বেশি করে দিন, তৃষ্ণার্ত নয়নটা জুড়াই। জীবনে বড় আশা ছিল আমার দেশের ৫৫ হাজার বর্গ মাইলের প্রতিটি ইঞ্চি যায়গা ঘুরে দেখবো, তা যে আর এ জীবনে হবেনা এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত। যাত্রা তো একটি শিক্ষণীয় বিনোদন মাধ্যম। সেখানে দেশপ্রেম ছিল, ছিল কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সর্বোপরি একটি দেশ ও জাতির ইতিহাস, তা অশ্লীল হতে যাবে কেন?
পুনশচঃ
আপনার দেয়া ভিডিও তে গানের শিল্পী (হলুদিয়া শাড়ির) কে নিয়ে বেশ কয়েকটি গানের অনুষ্ঠান করেছি। তার কোন একটি অনুষ্ঠানে আমার মেয়েরাও গান গেয়েছিল। স্যরি ভিডিও লিঙ্ক দেয়া যাবেনা।
@আকাশ মালিক,
অ্যাঁ!! 😛
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মশলা ব্যতিত যাত্রা দেখিবার বেদনায় আমি আপনাকে সমবেদনা জানাইতেছি জনাব। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ। তখনকার দিনের কথা মনে পড়লে খুব কষ্ট হয়।
চম্পা/ঝুম্পা তো ছিলই না। উপরন্ত আমাদেরকে ঠকানো হইত। যাহারা রানী বা রাজকন্যা হইত তাহারা নাকি ব্যাটা ছাওয়াল।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হাহাহাহাহাহ। আবারও দুঃখ প্রকাশ করিতেছি। :laugh:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
অ্যাঁ!! 😛
যাত্রা দেখা না হইলেও যাত্রার সকল মজাই উসুল করিয়া লইয়াছেন বলিয়া এই অধমের প্রতীতি হইয়াছে। 🙂
আরেকটি সরস এবং মজার লেখার জন্য অভিনন্দন। :yes: তবে, কানা মামুনের তোলা ছবির দু চারিটা দিতে পারিলে আরো জম্পেশ হইতো।