(কবিতা আমি বুঝি কম। তারপরও হঠাৎ হঠাৎ কেমন যেনো একটা ভাব এসে যায় 😛 , তাই লিখে ফেলি এই ছাইভস্ম !! তবে সুবিধা হচ্ছে, আধুনিক কবিতা বলে একটা জিনিস থাকায় এই ” ছাইভস্ম”টুকু কবিতা বলে একালে চালানো যায় 🙂 তাই সবার কাছে অনুরোধ কবিতাটির সাহিত্য মূল্য যাচাইয়ের বৃথা চেষ্ঠা না করার )
(১)
ভুল ও দুঃখের কবিতা!
হে জীর্ণ ভুলগুলো আমার, কি আপ্রাণ চেষ্ঠা আমার;
তোমাদের ভুলে যাবার !
হে শীর্ণ দুঃখেরা , কি আপ্রাণ চেষ্ঠা আমার;
তোমাদের দূরে রাখার !
আমার ভুলেরা এসে বলে আমার থেকে শিখো,
আমার দুঃখেরা এসে বলে আমাকেও ভালোবেসো।।
কিন্তু, আমি শুদ্ধ হতে যেয়ে, আবার ভুল করে ফেলি;
আমি সুখ পেতে যেয়ে, আবার দুঃখ পেয়ে ফেলি।।
আমার ভুল থেকে হয়না শেখা, হয়না ভালোবাসা দুঃখকে;
সব বুঝেও কেনো যে বন্ধ রাখি, এ অন্তর চক্ষুকে !!
(২)
আমার সিলেট!! (হুমায়ুন আজাদের প্রবচনের আলোকে)
মানুষ মরলে লাশ হয়, আর সংস্কৃতি মরলে প্রথা হয় ;
ইসলাম সিলেটের সংস্কৃতিকে কবর দিয়ে, গড়েছে মাজার
ধর্ম হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি, মননে প্রথা ধরিয়েছে পচন!!
সিলেটের মুসলমানদের মুক্তি ঘটে নি, কারণ তারা
অতীত ও মহাপুরুষ সম্পর্কে কোন সত্য নিষ্ঠ আলোচনা করতে দেয় না;
তারা বিশ্বাস করে জায়নামায়ে চেপে নদী পার হওয়া যায়,
আযান দিয়ে ভাঙ্গা যায় প্রাসাদ!!
(৩)
তোর সাহস নেই রে বোকা!
দরজার বাইরে কান্নার শব্দ শুনে,
দরজা খুলে উঁকি দিয়ে দেখি কাঁদছে,
আমার স্বপ্নেরা !!
ওরা বলে তুমি যাবেনা !?
আমি পেছন ফিরে দেখি,
আমায় যেতে দেবেনা তাই সকরুণ চোখে তাকিয়ে,
আমার ভয়গুলো !!
আমি দরজা বন্ধ করে দেই, শুনি
দরজার ওপাশ থেকে স্বপ্নগুলো বলে উঠে,
জীবণ একটাই !
আমি দরজা খুলে বেরিয়ে এসে দেখি,
আমার বৃষ্টিতে ভেজার স্বপ্নটা নেই,
শুধু পড়ে আছে কিছু জল;
আমার কাঁদায় খেলবার স্বপ্নটা নেই,
ফ্লোরে মাখা মাখি হয়ে আছে কিছু কাঁদা;
সেই কাঁদায় অঙ্গুল চালিয়ে
আমারই কোন স্বপ্ন লিখেছে;
”তোর সাহস নেই রে বোকা!!”
ভাল লাগল!
@লাইজু নাহার,থ্যাঙ্কস!
কোনো কবি যখন ব্যাখ্যা করেন কবিতার সৃষ্টিপ্রক্রিয়া, তখন কবিতা বলতে তিনি কোনো বিমূর্ত শাশ্বত বিশ্বজনীন ব্যাপার বোঝেন না, বোঝেন নিজের কবিতা। তিনি বলেন নিজের কবিতাসৃষ্টির প্রক্রিয়ার কথা, যেভাবে তিনি নিজে কবিতা সৃষ্টি করেন বা করতে চান, তা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি ওই ব্যাখ্যায়, তবে সব সময় বুঝে ওঠেন না। – এই কথাগুলো বলেছেন ড. হুমায়ুন আজাদ।
২নং টি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।
ভাষা ও ব্যক্তিগত মানবিকবোধের উৎকৃষ্ট সমন্বয়ই কবিতা; আর যুগে যুগে ভাষা ও মানবিক বোধের বিভিন্ন প্রান্তের ওপর পড়ে জোর, এবং কবিতা হয়ে ওঠে ভিন্ন। – এটাও আজাদ স্যারের কথা।
@মাহফুজ,ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে!
আপনার কবিতার থিমগুলো সুন্দর কিন্তু আমার কাছে মনে হয় প্রকাশভঙ্গিতে একটু দুর্বলতা আছে। যেটা আপনার আমার মত সব নতুন কবিতা লিখিয়েদের ক্ষেত্রেই হয়। এটা কোন সমস্যাই নয়। লিখতে লিখতে এই প্রকাশভঙ্গির জড়তা কেটে যায়।
ভালো লেগেছে কবিতাগুলো। আরও লিখুন। :yes:
@সাইফুল ইসলাম, ধন্যবাদ!
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
@আফরোজা আলম,ধন্যবাদ!
আপনার কবিতা পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। আপনি কবিতা লেখেন তা তো জানতাম না!!
বেশ ভালো হয়েছে। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ৩, তারপর ২ আর তার পর ১ – ঠিক উল্টো স্রোতে 🙂
আর সংশপ্তকের সাথে একমত।
@সৈকত চৌধুরী, 🙂
আপনি কবিতা শুধু লিখতেই পারেন না বেশ সুন্দর কবিতাই লিখতে পারেন। আমার ভাল লেগেছে, আরও লিখুন।
@আব্দুল হক, ধন্যবাদ!
জনাব জাহিদ রাসেল,
সাহিত্য সৃষ্টি তে বানান এবং ছন্দ খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। যদিও এব্যপারে আমার নিজেরই প্রচন্ড দুর্বলতা আছে। এদিকটাতে নজর রাখতে বলবো। আর সাহিত্যমূল্যের ব্যাপারে সংশপ্তক যা বলেছেন মনেহয় যথার্থ। তবে আমি নিজে কবিতা পড়ি মাঝে মাঝে, খুব অবাক হই যে, কিকরে কবিগন শব্দ-বাক্যগুলোকে এমন ছন্দে ছন্দে গ্রন্থিত করেন! কবিতা লেখার সাধ্য আমার নেই, যদিও কখনো কখনো ব্যর্থচেষ্টা করেছি। আপনার শুরুর মন্তব্যের সূত্রধরে ছোটবেলায় শেখা বুলিটা দিয়ে শেষ করি:
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই-
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন!
@কেশব অধিকারী,বানান নিয়ে আমার দূর্বলতা আমার নিজেকেই লজ্জা দেয়। এখন থেকে আরো সচেতন হবো।
আপনার কাজ কবিতা লেখা এবং আপনি তা লিখে যাবেন। সাহিত্যমূল্য কে দিল কি দিল না – এরকম ভাবা অনুচিত । সৃজনশীলতার স্বার্থে একজন শিল্পীর স্বাধীনতা এতটা গুরুত্বপুর্ণ যে , সেখানে অন্যের মতামতের স্থান খুবই সংকুচিত । শুরুর disclaimer টা না দিলেও চলতো ।
@সংশপ্তক, মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ!