আমাদের মূল সংকট হলো আমাদের ভয়াবহ দারিদ্র। আমাদের এ দারিদ্র যতটুকু বিত্তের ততোধিক চিত্তের। আজ থেকে বহু বছর আগে কবি নজরুল অত্যন্ত আক্ষেপ করে বলেছিলেন- আমরা বাঙালিরা কেবল ধনে নয়, মনেও কাঙ্গাল। নজরুলের এ উক্তির শতাব্দী বৎসর পরও তা এখনো সমভাবে সত্য, কী ধনে কী মনে আমাদের এ কাঙ্গালিত্ব ঘুচেনি। চিত্ত ও বিত্তের এ কাঙ্গালিত্বের কারণে আমরা একটি পশ্চাৎপদ জাতি। আমাদের বিত্তের এ পশ্চাৎপদতার কারণ আর্থ-সামাজিক, আমাদের চিত্তের পশ্চাৎপদতার কারণ সামাজিক-সাংস্কৃতিক। আমাদের আর্থ-সামাজিক পশ্চাৎপদতার কারণ আমাদের বিদ্যমান উৎপাদন ব্যবস্থার পশ্চাৎপদতা, পরিণামে আমাদের বিত্তহীনতা। স্বাধীনতার সূদীর্ঘ সময় পরও কী শিল্পে, কী কৃষিতে আমরা উৎপাদন ব্যবস্থার কাঙিক্ষত বিকাশ ঘটাতে পারিনি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর স্বাধীনতার আকাঙক্ষাকে ধারণ করে দেশে বিদ্যমান শিল্প-কারখানার মালিকানা রাষ্ট্রীয় খাতে অধিগ্রহণ, আমদানী রপ্তানী ব্যবসার জাতীয়করণ, ভূমিমালিকানার শিলিং নির্ধারণ পূর্বক অধনবাদী বিকাশের পথ গ্রহণ করা হয়েছিল একটি শোষণহীন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে। কিন্ত ঊনিশ শ’ পঁচাত্তুর সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উন্নয়নের গতিধারা পাল্টিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতির শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আসা হয়। অতঃপর পঁচাত্তুর পরবর্তী সময়ে মুক্তবাজার অর্থনীতির ডামাডোলের মধ্যে জাতীয়করণকৃত শিল্পকারখানা আবার ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর, ব্যাংক থেকে ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের অঢেল ঋণ প্রদান, ভুমি মালিকানার শিলিং নির্ধারণ ইত্যাকার পদক্ষেপের মাধ্যমে পুঁজিবাদী বিকাশের পথ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নির্মম সত্য হলো, এতদসত্ত্বেও আমাদের দেশে কাঙিক্ষত শিল্প বিকাশ ঘটেনি। কৃষিতেও এখনো সামন্তবাদী ও আধা-সামন্তবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা বিদ্যমান। উৎপাদনই যেখানে অপর্যাপ্ত, সেখানে উৎপাদিত সম্পদের অসম বন্ঠন ব্যবস্থাতো রয়েছেই। ফলতঃ দারিদ্র আমাদের জনগোষ্ঠীর স্থায়ী ললাট লিপি হয়ে আছে ।

আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংকট হল আমাদের মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনার অস্বচ্ছতা-পশ্চাৎপদতা। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পরেও আমরা এখনো আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট-আমরা বাঙালি না বাঙলাদেশী-সমাধান করতে পারিনি। আমরা এখনো জাতিগতভাবে নির্ধারণ করতে পারিনি কী হবে আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি-নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদ, নাকি ধর্ম-সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদ। আমরা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি আমাদের লোকজ সংস্কৃতি তথা আমাদের ঐতিহ্যের সাথে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির (আধুনিক বিশ্ব সংস্কৃতি) দ্বন্ধ সমন্বয়ের মাত্রাবোধ। ফলতঃ জাতি হিসাবে আমাদের সামনে সুনির্দিষ্ট কোন দর্শনের আলোকবর্তিকা দেদীপ্যমান নয়। তাই ্ঐতিহ্যগতভাবে যতটুকু সুস্থ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা ছিলাম তাও আজ রোগাক্রান্ত। নির্মম ফলশ্র“তিতে ঘুষ-দুর্নীতি-সন্ত্রাস, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি আজ আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে গেছে। তার সাথে নতুন করে যোগ হচ্ছে ধর্মীয় মৌলবাদের চুড়ান্ত বিকৃতি–জঙ্গীবাদ । বলাবাহুল্য আমাদের সাংস্কৃতিক রুগ্ণতার এ উপসর্গগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করেছে আমাদের রাজনীতিকে । একটি সমাজের আর্থ-সামাজিক কাঠামো যেমন নির্ভর করে তার অবকাঠামো তথা তার উৎপাদন ব্যবস্থার উপর- যার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে সমাজের উপরি কাঠামো তথা সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ- আবার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশও অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য ভূমিকা পালন করে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক কাঠামোকে ঠিকিয়ে রাখতে কিংবা তাকে পরিবর্তন করতে। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, নোতুন চিন্তা, নোতুন মূল্যবোধই একটি সমাজের মানুষকে নতুন আকাঙক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে, পবিবর্তনের শক্তি সৃষ্টি করে, বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আনে। আজ আমাদের সমাজের অবস্থা হল, আমরা আর্থ-সামাজিকভাবে পশ্চাৎপদ বলে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবেও পশ্চাৎপদ। আবার আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা আমাদের আর্থ-সামাজিক পশ্চাৎপদতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে, নোতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পথে হিমাচলসম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে আমাদের জাতি পশ্চাৎপদতার এক দুষ্ট চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ দুষ্টচক্র থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের আর্থ-সামাজিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংকটের সমাধান করতে হবে যুগপৎভাবে । আর্থ-সামাজিক সংকট সমাধানের প্রধান উপায় কিন্তু রাজনৈতিক, পক্ষান্তরে সামাজিক-সা্স্কংৃতিক সংকট সমাধনের উপায় হলো সাংস্কৃতিক। তাই আজ যে কথাটি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, তাহলো কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল আমাদের এ সংকট থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবেনা। এ জন্য আমাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক অবস্থার পরিবর্তন অপরিহার্য। আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অব্স্থার পরিবর্তনের জন্য চাই একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
নিদারুন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বিদ্যমান এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমরা রাজনৈতিক পরিবর্তন তথা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলের জন্য যত উদগ্রীব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রশ্নে ততোধিক নির্বিকার ও নিষ্পৃহ। তাতে নির্মম ফলাফল দাঁড়াতে পারে-হয়ত রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে, কিন্তু আমাদের কাঙিক্ষত আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন আসবেনা। কারণ রাজনীতিতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ বলে যে মোটা দাগের বিভাজন রেখা টেনেছি , সে বিভাজনে
আমরা যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি মনে করি তারাও কী উপরোল্লিখিত সামাজিক সাংস্কৃতিক রোগের উপসর্গগুলো থেকে মুক্ত? একাত্তুরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল বা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল তারাও কী বিদ্যমান রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিতে আক্রান্ত নয় ? তারাও কী নিছক রাজনৈতিক ফায়দার আশায় আমজনগণের এ পশ্চাৎপদ মূল্যবোধে লালন কিংবা তাতে জল সিঞ্চন করছেনা? একটু নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখলে এ প্রশ্নের জবাব অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। কারণ আমাদের যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা, তাতে আমরা অনেকেই শুধু আক্রান্ত নই, বরং তাদের আমরা লালন করছি হীন রাজনৈতিক স্বার্থে–ভোটের রাজনীতির কারণে। হীন রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়াও আমাদের অনেকের এ অবস্থানের আরেকটি কারণ হলো, অজ্ঞতাপ্রসূত চিন্তার অস্বচ্ছতা ও আড়ষ্টতা। সামগ্রিকভাবে শিকড়-নাড়া একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া এ রোগ থেকে কী আমজনগণের, কী রাজনৈতিক নেতৃত্বের, কারো মুক্তি ঘটবেনা। কী ভাবে সে অপরিহার্য সাংস্কৃতিক বিপ্লব সম্ভব এবং তার রণনীতি ও রণকৌশল কী হতে পারে? রণনীতি হতে পারেÑচিন্তার মুক্তি। রণকৌশল হতে পারে– আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ সৃষ্টি, সকল প্রকার কুসংস্কার–নিয়তিবাদ–অদৃষ্টবাদ-ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা প্রভৃতি থেকে মুক্ত করে যুক্তিবাদের বিকাশ।

আমাদের দ্বিধাহীনভাবে উপলব্ধি করতে হবে, কেবল মাত্র একজন যুক্তিবাদী মানুষের পক্ষেই সম্ভব দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, মানবতাবাদ ও অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাকার মূল্যবোধ গুলো আত্মস্ত করা। যুক্তিবাদী মানুষ সৃষ্টি করতে হলে বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। প্রশ্ন হলো মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করার কার্যক্রমটা কী হতে পারে এবং তা করবে কারা? প্রথমতঃ প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুণগতমান পরিবর্তন অপরিহার্য, যা সম্ভব সরকারীভাবে। কিন্ত কোন প্রগতিশীল ও গণমুখী সরকার ব্যতীত এটা আমরা প্রত্যাশা করতে পারিনা। বেসরকারী ভাবে আমাদের সচেতন ও প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন বেসরকারী ক্লাব, সংগঠন, সমিতি, পাঠচক্র গড়ে তুলে আমজনগণকে বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারেন-বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক চিন্তা চেতনা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে। এ প্রচার-প্রচারণা চালানো যায় সঙ্গীতের মাধ্যমে-গ্রামে গ্রামে জনপ্রিয় লোক সঙ্গীত-কবিগান, পথনাটক-প্রহসন এর মাধ্যমে, আলোচনা-সেমিনার, মতবিনিময় , গ্রামের উঠতি তরুণ-তরুণীদের নিয়ে বিষয় ভিত্তিক পাঠচক্র আয়োজন করে। সে সকল পাঠচক্রে মানুষদের-বিশেষভাবে গ্রামের মানুষদের সচেতন করা যেতে পারে কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে -সাধু-সন্ত, ভিক্ষু-মোহন্ত, তান্ত্রিক-হুজুরদের তাবিজ-মাদুলী পানি পড়া-ঝাড়-ফুঁক ইত্যাদি অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার অসারতা তুলে ধরে। তাদের তথাকথিত অলৌকিক ক্ষমতার বুজরুকি ফাঁস করে দিয়ে। আলোচনা–মতবিনিময়-পাঠচক্রের মাধ্যমে আমাদের আর্থ-সামাজিক পশ্চাৎপদতার মূল কারণ জনগণের সামনে তুলে ধরা, যাতে তারা বুঝতে পারে অদৃষ্ট বা নিয়তি নয়, বিদ্যমান শোষণমূলক সমাজব্যবস্থা ও শাসকগোষ্ঠীর নিরন্তর শোষণ ও ব্যর্থতাই আমাদের দারিদ্রের মূল কারণ। এ পশ্চাৎপদতা থেকে কোন অলৌকিক ক্ষমতাবলে মুক্তি পাওয়া যাবেনা, মুক্তি পেতে হলে আমাদের বর্তমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। আমজনগণের চিন্তা-চেতনায় এ বোধ র্সৃষ্টি করার যে উদ্যোগ তাই হবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন। পশ্চাৎপদতার শিকড় ধরে টান মারার এ আন্দোলন বর্তমান ব্যবস্থার বেনিফিসিয়ারী রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির – মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিপক্ষের যা হউক না কেন-পক্ষ থেকে আশা করা যায়না। সচেতন নাগরিক সমাজ, বিশেষভাবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের পক্ষ থেকে এ আন্দোলন শুরু করা যায়। একাত্তুরের মুক্তিযোদ্ধাদের মত এখন আমাদের বড় দরকার একদল সাংস্কৃতিক যোদ্ধার। আশার কথা হলো এ জাতীয় কিছু আন্দোলন ইতোমধ্যেই আমাদের সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে, সীমিত পরিসরে হলেও। যেমন আজ সুশীল সমাজ সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের নামে যে আন্দোলন শুরু করেছে তাও একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, কারণ যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন কিংবা নির্বাচনের প্রশ্নটি, যেমন আম জনগণের তেমনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের মূল্যবোধ তথা চেতনাগত বিষয়। বিভিন্ন এনজিও( সুপ্র, সাপে ইত্যাদি) বিভিন্ন সেমিনার-মতবিনিময়ের মাধ্যমে সূশাসনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশলান, বাংলাদেশ (টিআইবি) ও একটি ফ্রন্টে, বিশেষভাবে অর্থনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। এগুলো অবশ্যই সাংস্কৃতিক আন্দোলন, তবে অত্যন্ত সীমিত পর্যায়ে। তাকে যেমন তৃণমূলে নিতে হবে, তেমনি তার পরিধিও আরো অনেক বি¯তৃত করতে হবে। সামগ্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন বলতে আমাদের আরো বহু ফ্রন্টে যুগপৎ লড়াই শুরু করতে হবে। “সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন” নামক সম্প্রতি দেশের কতিপয় প্রতীতযশা বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা এসকল আন্দোলনকে এক কেন্দ্রে সমন্বিত করে এ কাক্সিক্ষত সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি মঞ্চ হিসাবে কাজ করতে পারে। আশু করণীয় হিসাবে এ সংগঠন রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারে। কারণ এ সমস্ত মধ্যযুগীয় মূল্যবোধ আজ আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এমনকি স্বাধীনতার জন্যও হুমকী সৃষ্টি করছে এবং দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের উপর এ অপসংস্কৃতির প্রভাব ক্রমবর্ধমান। তাই একথা আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, জাতীয় পশ্চাৎপদতার এ অচলায়তন থেকে মুক্তি পেতে যুগপৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই।

মোহাম্মদ জানে আলম।