বিবর্তনতত্ত্ব অনুযায়ী , পৃথিবীতে আজকের যে জীবজগত আমরা প্রত্যক্ষ করি তা একদিনে সৃষ্টি হয়নি বরং কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরন স্বরূপ, আজকের আধুনিক মানুষ কয়েক লক্ষ বছর আগে আজকের মানুষের মত ছিল না , ছিল একটু ভিন্ন রকম, লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের পর আজকের মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। বিষয়টা শিক্ষিত মানুষ মাত্রেই কিছু না কিছু জানে, তবে সবাই তা বিশ্বাস করে না। যেমন যারা অতি ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ তারা বিজ্ঞান পড়ার সময় এটা জানে, এমন কি বাস্তব প্রমানও চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু বিশ্বাস করে না। তাদের বিশ্বাস, কোন এক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বা ঈশ্বর কোন এক সময় আসমান জমিন সৃষ্টি করার পর আদম ও হাওয়া নামক দুজন আদিম মানুষ তৈরী করে তাদেরকে এনে দুনিয়াতে (জমিন) ছেড়ে দেন, তারা অত:পর বংশ বিস্তারের মাধ্যমে আজকের মানব জাতির গোড়া পত্তন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ডিগ্রীধারী, শিক্ষক, ইঞ্জিনীয়ার, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, উকিল, ব্যরিষ্টার, নেতা, পাতিনেতা, চামচা অনেকেই এ আদম-হাওয়া তত্ত্ব বিশ্বাস করে। শিক্ষাগত যোগ্যতা বা জ্ঞানবিদ্যা এ বিশ্বাসে সামান্যতম চিড় ধরাতে পারে না বা পারেনি। সে যাই হোক , আদম হাওয়া তত্ত্ব অনেক সময় সখের প্রত্নতাত্ত্বিক এরিক ফন ডানিকেন নামক এক সুইস ভদ্রলোকের ভিন গ্রহের মানব তত্ত্বের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। তার মতে বাইবেলে বর্নিত ইডেন উদ্যান মূলত আমাদের সৌরজগতের বাইরের কোন গ্রহ যেখানে মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত কোন জীব বসবাস করে, তারা তাদের মহাশূন্য অভিযানের সময় ঘুরতে ঘুরতে আমাদের সৌরজগতে এসে পড়ে, তারপর তারা আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহে বিশাল জীবজগতের সন্ধান পায়, তখন তাদের মাথায় আসে এখানে একটা বুদ্ধিমান জীবগোষ্ঠির পত্তনের। যার ফলশ্রুতিতে, আদম ও হাওয়ার সৃষ্টি ও তাদেরকে পৃথিবীতে প্রেরন। ডানিকেন তার তত্ত্বের প্রমান স্বরূপ বলেন- যে কারনে প্রতিটি আদি ধর্মীয় গ্রন্থে দেখা যায়, মানুষের সাথে দেবতাদের সরাসরি সংযোগ, মেলামেলা, এমন কি বিয়ে শাদি, বাচ্চা কাচ্চা জন্ম ইত্যাদির মত ঘটনা আখছার। যেমন- মহাভারতের পঞ্চ পান্ডবের কেউই তাদের পিতা পান্ডুর সন্তান ছিল না, ছিল দেবতাদের- যুধিষ্টির ধর্মদেবতার, অর্জুন ইন্দ্র দেবতার, ভীম পবন দেবতার, নকুল ও সহদেব অশ্মিনীকুমার দেবতাদ্বয়ের সন্তান। এমন কি কুমারী কুন্তির আর এক সন্তান কর্নের জনক ছিলেন সূর্য দেবতা। তার মতে এটা হলো-ভিন গ্রহবাসীরা তাদের মত গুন সম্পন্ন একটা সভ্যতার পত্তন ঘটানোর জন্য মানুষের সাথে বর্ন সংকর প্রজাতির মানুষ সৃষ্টি করেছে যাদের উত্তরাধিকারী হলাম এখন আমরা। অভিনব তত্ত্ব হিসাবে বিষয়টি গত শতাব্দির ষাট ও সত্তর দশকে বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। বর্তমানে এ ধরনের মতবাদের পক্ষে তেমন কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না অথবা বলা যায় এ তত্ত্বের অপমৃত্যু ঘটেছে। তার কারন, বিবর্তনতত্ত্বের বিপুল অগ্রগতি। এক সময় মাটির তলে প্রাপ্ত ফসিল ছিল বিবর্তনতত্ত্ব প্রমানের একমাত্র উপায়, কিন্তু বিগত কয়েক দশকে জেনেটিক্স বা বংশগতি বিদ্যার ব্যপক উন্নতির কারনে, বিবর্তনতত্ত্ব প্রমান করতে আর ফসিলের দরকার তেমন একটা নেই। গবেষণাগারে দুনিয়ার জীবকুলের জেনেটিক কোড বিশ্লেষণের মাধ্যমেই দ্ব্যর্থহীন ভাবেই প্রমান করা যাচ্ছে যে- দুনিয়ার সকল জীবের উত্থান ঘটেছে কোন এক সরল এককোষী জীব থেকে। তার অর্থ বিবর্তনতত্ত্ব মোতাবেক, পৃথিবীতেই সকল জীবের উদ্ভব ঘটেছে আর যা তারা বংশগতি বিদ্যা দ্বারা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করে দিতে পেরেছেন। অর্থাৎ- বিবর্তনতত্ত্ব ভিনগ্রহের জীবের সংকরায়ন তত্ত্ব বা আদম-হাওয়া তত্ত্ব উভয়কেই ভুল প্রমান করে দিয়েছে সন্দেহাতীত ভাবেই। এখন প্রশ্ন হলো- বংশগতি বিদ্যার অগ্রগতির ফলে যদি ডানিকেনের তত্ত্বের অপমৃত্যু ঘটে, সেই একই কারনে আব্রাহামিক ধর্মসমূহে বর্নিত আদম-হাওয়া তত্ত্বের অপমৃত্যু কেন ঘটবে না ? কেন এর পরেও এক বিপুল সংখ্যক মানুষ আদম-হাওয়া তত্ত্বকে প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করবে? এর কারনটা কি ?
এর কারন খুজতে গেলে দেখা যায়- সমস্যাটা মূলত প্রচারের ব্যর্থতা। বংশগতিবিদ্যা অনুযায়ী আদম-হাওয়া তত্ত্বের যে অপমৃত্যু ঘটেছে এটা বিজ্ঞান জগতের কিছু পন্ডিত ব্যাক্তি ও উৎসাহী কিছু ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ এর খবর রাখে না, পক্ষান্তরে আদম-হাওয়া তত্ত্বের খবর অহরহ মানুষ শুনছে- টেলিভিশনে, পত্র-পত্রিকায়, মসজিদে, মাদ্রাসায়, ওয়াজ মাহফিলে, স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র, সব সময়, বার বার। একটা কথা যদি বার বার মানুষ শোনে মানুষ তো সেটাই বিশ্বাস করে। এটাই তো মানুষের প্রবৃত্তি। আর এ শোনাটা তো মানুষ শুনে আসছে বংশ পরম্পরায়, শত শত বছর ধরে। শুনে আসছে জন্মের পর থেকেই । শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর একটা কারন হলো- ছদ্ম বিজ্ঞানী জাতীয় কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব। এরা যখন দেখল- বংশগতি বিদ্যার দ্বারা বিবর্তনতত্ত্ব নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয়েই যাচ্ছে তখন তারা, বিশেষ করে মুসলমান ছদ্ম বিজ্ঞানীরা, কোরানের আয়াত ঘাটা শুরু করল, কোন আয়াতকে বিবর্তনতত্ত্ব এর সাথে মেলানো যায়। বলা বাহুল্য, তারা পেয়েও গেল অনেকগুলো আয়াত। যেমন-
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন, এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষন করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। সূরা: ত্বা-হা, ২০: ৫৩
তিনি ভূমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন ও তাতে পাহাড় পর্বত, নদ নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দুপ্রকার দু দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত দ্বারা আবৃত করেন। এতে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিন্তা করে। সূরা: রাদ, ১৩:০৩
আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে, আর কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম। সূরা: আন নুর, ২৪: ৪৫
তিনিই জমীন হতে তোমাদেরকে পয়দা করেছেন, তন্মধ্যে তোমাদেরকে বসতি দান করেছেন—। সূরা: হুদ, ১১: ৬১
আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি।——। সূরা: হজ্জ্ব, ২২: ০৫
তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। —–। সূরা: আল আন-আম, ০৬:০২
যিনি তার প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদা মাটির থেকে মানব সৃষ্টি করেছেন। সূরা: সেজদাহ্, ৩২: ০৭
আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এটেল মাটি থেকে। সূরা: আস্ সাফ্ফাত, ৩৭:১১
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। সূরা: আর রাহমান, ৫৫: ১৪
আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি। সূরা: মুমিনুন, ২৩: ১২
আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি , মজবুত করেছি তাদের গঠন। আমি যখন ইচ্ছা করব তখন তাদের পরিবর্তে অনুরূপ লোক আনব। সূরা: আদ-দাহর, ৭৬:২৮
আপনার প্রতিপালক অমুখাপেক্ষী করুনাময়। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে উচ্ছেদ করে দিবেন এবং তোমাদের পর যাকে ইচ্ছা তাকে অভিষিক্ত করে দিবেন। যেমন তোমাদেরকে অন্য সম্প্রদায়ের এক বংশধর হতে সৃষ্টি করেছেন। সূরা: আল-আন আম, ০৬: ১৩৩
উপরের আয়াতগুলি পড়ে কার বাপের সাধ্য যে আবিষ্কার করবে আয়াতগুলো বিবর্তনতত্ত্ব এর কথা বলছে। এটা তো সেই বাইবেলীয় সৃষ্টি তত্ত্বের কথা বলছে সহজ সরল ভাবে।
উপরের আয়াতগুলি বার বার বলছে- আল্লাহ মাটি থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সোজাসুজি। বিষয়টা এরকম- আল্লাহ মাটি দিয়ে মানুষের একটি মুর্তি তৈরী করেছেন, তার পর তার দেহে জীবন দান করে তাকে জীবন্ত মানুষ বানিয়েছেন। এখন এর অর্থ কি বিবর্তনতত্ত্ব সমর্থন করা নাকি ? ইসলামি ছদ্ম বৈজ্ঞানিকরা এ ধরনের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারের আগে কারও সাধ্য ছিল বোঝা যে উক্ত আয়াতগুলো বিবর্তনবাদ সমর্থন করছে? আর ছদ্ম বিজ্ঞানীরা বলছে বলেই কি তা বিবর্তনের সমর্থনকারী হয়ে গেল নাকি ? আদম হাওয়া নিয়ে কোরানে যা আছে আমি আপাতত সেটুকুর ওপরই আলোকপাত করতে চাই। আদম হাওয়া নিয়ে কত কিচ্ছা প্রচলিত আছে আমি তাকে এড়িয়ে গেলাম কারন অনেকেই বলবেন ওগুলো তো আল্লাহর কথা না তাই ওগুলো নিয়ে কথা বলার কোন মানে হয় না।
পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব আজ থেকে কম পক্ষে একশ’ কোটি বছর বা তারও বেশী আগে। বিবর্তনতত্ত্ব অনুযায়ী, প্রথম যে জীব সৃষ্টি হয় পৃথিবীতে তা ছিল অতি সরল এক কোষী জীবকনা আর তা সৃষ্টি হয়েছিল মূলত: আবদ্ধ পানিতে, মাটিতে নয়। কিভাবে সে জীবকনার উদ্ভব পৃথিবীতে ঘটল সেটা এক বিরাট আলোচনা আর গবেষণার বিষয়, সেটা আলোচ্য নিবন্ধের মূল বক্তব্য না বিধায় তা এড়িয়ে গেলাম। সে জীবকনার আবির্ভাবের পর পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর কেটে গেছে, এককোষী থেকে বহুকোষী জীব সৃষ্টি হতেও কেটে গেছে বহু কোটি বছর, তার পর তারা উদ্ভিদ ও প্রানী জগতে ভাগ হয়ে গেছে। এর পর কত ধরনের জীব জন্তু দুনিয়াতে আসল আর গেল, কত ধরনের জীব জন্তু সমূলে উচ্ছেদ হয়ে গেল দুনিয়া থেকে তা তো অনেকেই জানে। তারপরও উদাহরন স্বরূপ- ডাইনোসর এর কথা ধরা যায় যারা প্রায় ৬ কোটি বছর আগে দুনিয়া থেকে চিরতরে অবলুপ্ত হয়ে যায় কোন এক অজানা কারনে। ওরা বিলুপ্ত হয়ে গেছিল বলেই উষ্ণ রক্তবাহী স্তন্যপায়ী প্রানীর বিকাশ সম্ভব হয় পৃথিবীতে। ডাইনোসররা বিলুপ্ত না হলে হয়ত স্তন্যপায়ী প্রানীদের বিকাশই ঘটত না আর তাহলে আজকে মানুষের মত দুপেয়ে জন্তুগুলো দুনিয়াতে না দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা হতো অধিক। ডাইনোসরদের দাপটে স্তন্যপায়ী প্রানীদের টিকে থাকাই হতো দায়। সেক্ষেত্রে আমাদের মত কতিপয় মুক্তমনা সদস্যদের জন্য সেটা হতো দারুন দু:সংবাদ। পৃথিবীর রঙ্গ মঞ্চে মানুষের আবির্ভাব বলতে গেলে এই সেদিনের ব্যপার। আধুনিক মানুষের (হোমো স্যাপিয়েন্স) আবির্ভাব এ পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে তাতে মনে হয় মাত্র ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার বছরের মত। পৃথিবীর উদ্ভব কাল থেকে যদি হিসাব করা হয় ( এর বয়স ৪৫০ কোটি বছর ধরে), আর গোটা সময়কালকে যদি ২৪ ঘন্টা ধরা হয়, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হলো ২৩ টা ৫৯ মিনিটের পর মানে একেবারে শেষ মিনিটে। এখন কোরানে বার বার বলছে আল্লাহ মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করে তাকে জান্নাতে তার স্ত্রী হাওয়া সহ বাস করতে দিয়েছেন। সেখানে তারা বেশ কিছুকাল নানারকম ফল ও অন্যান্য খাবার মহানন্দে খেয়ে পরে ইবলিশের প্ররোচনায় পড়ে বিপথগামী হয়, আল্লাহর আদেশ অমান্য করে। শাস্তি স্বরূপ উভয়কেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আর তারা যে পরিপূর্ন মানুষ ছিল অন্য কোন জীব জানোয়ার ছিল না তা কিন্তু বার বার বলা হয়েছে কোরানে। একথা বলার অর্থ একারনে যে ধুর্ত ইসলামী ছদ্ম বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ আবার আদম হাওয়াকে পরিপূর্ন মানুষ হিসাবে স্বীকার করতে চায় না ইদানিং। কারন তাহলে তাতে বিবর্তনবাদের সাথে আদম হাওয়াকে জুড়ে দিতে ভারী সুবিধা। এখানে কোরানেরেএ আয়াতগুলোতে কোথাও কি সামান্য ইংগিত পাওয়া যায় যে মানুষ আসলে বিবর্তনের ধারায় পৃথিবীতে জীবকনা সৃষ্টি হওয়ার প্রায় ১০০ কোটি বছর পরে পৃথিবীতে এসেছে বহু চড়াই উতরাই পার হয়ে? কতিপয় ছ্দ্ম বিজ্ঞানী ছাড়া আর কারও পক্ষে কি তা বোঝা সম্ভব ?
উপরোক্ত আয়াত গুলো কি সত্যিই বিবর্তনতত্ত্ব সমর্থন করে ?
এবার দেখুন নিচের আয়াত–
আমি আদমকে হুকুম করলাম তুমি আর তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও যেখান থেকে চাও পরিতৃপ্তি সহকারে খেতে থাক কিন্তু এ গাছটির নিকটে এস না । অন্যথায় তোমরা যলিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে। সূরা: বাক্বারা, ০২:৩৫
আল্লাহ বেহেস্তে আদম ও হাওয়াকে সৃষ্টি করে তার পর সকল ফেরেস্তাদেরকে বললেন আদমকে সেজদা করতে। ইবলিস ছাড়া সবাই সেজদা করল। তারপর ইবলিসকে অভিশাপ দিয়ে আদম ও হাওয়াকে বেহেস্তে বাস করার অনুমতি দিল। পুরো ঘটনাটি বাইবেলের আদি পুস্তক থেকে ধার করা। আদি পুস্তকে ঘটনাটির পুরো বর্ননা আছে, কোরানে পুরো বর্ননা নেই। যাহোক , উক্ত আয়াত থেকে পরিস্কার যে, আদম কে বিশেষভাবে আল্লাহ তৈরী করে, তারপর তাকে জান্নাতে বাস করতে অনুমতি দিয়েছিলেন, আদমকে কোন বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করা হয়নি।
অতপর শয়তান তাদেরকে পদস্খলিত করেছিল । পরে তারা যে সুখ স্বাচ্ছন্দে ছিল তা থেকে তাদেরকে বের করে দিল এবং আমি বললাম তোমরা নেমে যাও। তোমরা পরস্পর একে অন্যের শত্রু হবে এবং তোমাদেরকে কিছুকাল সেখানে অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে। সূরা: বাক্বারা, ০২: ৩৬
উপরের আয়াত থেকে দেখা যায়, ইবলিস শয়তানের প্ররোচনায় আদম ও হাওয়া গন্ধম ফল খেলে আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। তার মানে তারা জলজ্যন্ত পরিপূর্ন মানুষ হিসেবেই পৃথিবীতে আগমন করে, তারা কোন পূর্ব পুরুষ থেকে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় মানুষে রূপান্তরিত হয়নি।
আদমের কিচ্ছাটি আবার কোরানের প্রচন্ড একটি স্ববিরোধী চরিত্র প্রকাশ করে। যেমন কোরানে আল্লাহ বলছে-
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেস্তাদিগকে বললেন, আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেস্তারা বলল. তুমি কি পৃথিবীতে এমন একজনকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধাবে আর রক্তপাত ঘটাবে ? সূরা: বাক্কারা, ০২:৩০
তার মানে আদমকে যে পৃথিবীতে পাঠাবেন বসবাসের জন্য তা আল্লাহর আগেরই সিদ্ধান্ত। তাহলে খামোখা এসব ভনিতা করে আদম হাওয়াকে বলার দরকার কি যে জান্নাতে থাক , সব রকম ফল খাও , খালি একটা গাছের ধারে কাছে যেও না ? আল্লাহ আদম আর হাওয়াকে বানিয়ে সরাসরি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেই তো লেঠা চুকে যেত। তাহলে তো বলতে হয় ইবলিস যে আল্লাহর হুকুম অমান্য করে আদমকে সেজদা করেনি এটাও আল্লাহর পরিকল্পনা। কারন ইবলিস আদমকে সেজদা না করাতে সে আল্লাহর বিরাগ ভাজন হয় (যা মূলত একটা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু না ) ও একই সাথে আদমের শত্রুতে পরিনত হয়। তাই ইবলিসের এখানে কোনই দোষ নেই, সব ঝামেলার মূল স্বয়ং আল্লাহ। আল্লাহই চেয়েছে ইবলিস তার কথা অমান্য করুক, তার ফলে সে আদমের শত্রুতে পরিনত হবে, পরে ইবলিস ছলা কলা করে আদম ও হাওয়াকে দিয়ে সেই নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়াবে যাতে আল্লাহ রুষ্ট হয়ে তাদেরকে ধাক্কা মেরে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে। এখানে আল্লাহর রুষ্ট হওয়াটাও মূলত একটা অভিনয় ছাড়া আর কিছু না। আসলে সমস্যাটা হয়েছে মোহাম্মদের জন্যেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়। তিনি বাইবেল থেকে কাহিনীটা ধার করেছেন ঠিকই কিন্তু হুবহু অনুসরন করতে চাননি। যেহেতু তিনি নিজেকে শেষ নবী দাবী করছেন তাই ইচ্ছে করেই বাইবেলের কাহিনীকে নিজের মত করে তৈরী করে বাইবেলের সাথে কোরানের একটা পার্থক্য সৃষ্টি করতে চেয়েছেন আর তা করতে গিয়ে গোজামিলটা দিয়েছেন। যেমন বাইবেলের কাহিনীতে ইডেন উদ্যনে আদম হাওয়াকে রাখা হয়েছিল যা মূলত পৃথিবীর মধ্যেই অবস্থিত একটি জায়গা। কোরানে সে জায়গাটা হলো জান্নাত যা আকাশে অবস্থিত। বাইবেলে কিন্তু ঈশ্বর বলেনি যে তিনি পৃথিবীতে মানুষকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠাতে চান, বরং পৃথিবীতেই ইডেন নামক এক স্বর্গীয় জায়গা তৈরী করে ঈশ্বর আদম হাওয়াকে সেখানে মহাসূখে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তবে তাদেরকে নিষিদ্ধ ফল খেতে বারন করেছিলেন। বাইবেলে ঈশ্বর কাউকে বলেননি আদমকে সেজদা করতে, ফলে আদমের কোন শত্রুও সৃষ্টি হয়নি। তবে খল প্রকৃতির সাপ আদম-হাওয়াকে প্রলুব্ধ করাতে তারা নিষিদ্ধ ফল খায়, যার ফলে তারা ঈশ্বরের কথার অমান্য করে বা পাপ কাজ করে, যার সাজা স্বরূপ তিনি আদম হাওয়াকে প্রলুব্ধ করাতে তারা নিষিদ্ধ ফল খায়, যার ফলে তারা ঈশ্বরের কথার অমান্য করে বা পাপ কাজ করে, যার সাজা স্বরূপ তিনি আদম হাওয়াকে ইডেন উদ্যন থেকে বহিস্কার করেন। এখানে আদম হাওয়া সুষ্পষ্টভাবেই ঈশ্বরের আদেশ লংঘন করেছে ঈশ্বরের কোন ষড়যন্ত্র ছাড়াই। তাই সঙ্গত কারনে আদম হাওয়ার জন্য শাস্তি প্রাপ্য হয়ে গেছে আর তারা তা পেয়েছেও। বাইবেলের এ কাহিনীটায় কিন্তু কোন ফাক নেই , মানে ঈশ্বরের কোন ভনিতার প্রমান পাওয়া যায় না , কাহিনীর গাথুনি বেশ শক্ত। পক্ষান্তরে , কোরানে আল্লাহ ভনিতা বা ষড়যন্ত্র করে ইবলিশকে আদম-হাওয়ার শত্রু বানায়, পরে শত্রুর প্ররোচনায় তাদেরকে জান্নাত থেকে বহিস্কার হতে হয়।অনেককটা বিনা দোষে আদম হাওয়াকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার হতে হয়। কোরানে সাপ এর স্থানে ইবলিশকে বসানো হয়েছে। যেহেতু কোরানের কাহিনীতে আল্লাহর ভনিতা বা ষড়যন্ত্রের লক্ষন সুষ্পষ্ট, তাই কোরানের কাহিনীর গাথুনী খুবই দুর্বল। যে কেউ একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে পড়লেই তা ধরতে পারবে। কাহিনীর এ দুর্বলতার কারন হলো মোহাম্মদের শিক্ষার অভাব। একটু বিদ্যা বুদ্ধি থাকলে এত দুর্বল কাহিনী তিনি আল্লাহর বানী নামক কোরানে লিপিবদ্ধ করতেন না ।
বাইবেলের কাহিনীতে আরও আছে, ঈশ্বর পৃথিবীতে প্রথমে নানা জাতের জীব জন্তু উদ্ভিদ প্রানী এসব সৃষ্টি করার পরেই অবশেষে আদমকে তৈরী করেন। তার মানে তিনি সর্বশেষেই আদমকে তৈরী করেন যা বরং সামান্য হলেও বিবর্তনতত্ত্বকে সমর্থন করে। কারন বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে সর্বশেষে প্রবেশ করে মানুষ নামক দ্বিপদী জন্তুটি। বাইবেলও খুব পরিষ্কার ভাবে তাই বলছে। বাইবেলে এ বিষয়ক বর্ননা অত্যন্ত ধারাবাহিক ও পরিষ্কার ভাবে বর্ননা করা আছে যা কোরানের কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। কোরানে আছে বিক্ষিপ্ত আকারে, ধারাবাহিক ভাবে কোন বর্ননা নেই। দুনিয়াতে মানুষ আগে এসেছে নাকি জীবজন্তু আগে এসেছে কোরান পড়ে তা কিন্তু বোঝার উপায় নেই। কিন্তু বিবর্তনবাদ এর ক্ষেত্রে সেটাই সবচাইতে বেশী জরুরী জানাটা। কোরানে তার ছিটে ফোটাও নেই, অথচ দাবী করা হচ্ছে , কোরান বিবর্তনবাদ সমর্থন করে।
দেখা যাক বাইবেলের আদি পুস্তক কি বলে. ওখানে গিয়ে আদি পুস্তকের ২০ থেকে ২৮ বাক্য পর্যন্ত একটু পড়ুন
http://www.asram.org/downloads/scriptorium/jbold/Genesis.pdf
বাইবেলের মাহাত্ম গাওয়ার কোন উদ্দেশ্যই আমার এখানে নেই । আমি খালি দেখাতে চেয়েছি যে কোরান দাবী করে কোরানের আবির্ভাবের পর বাইবেলের প্রয়োজন শেষ, অন্তত পৃথিবীর জীব জগত সৃষ্টির ব্যপারে সেই কোরানের চেয়ে বাইবেলের বর্ননা অনেক বেশী পরিষ্কার আর যৌক্তিক। কিন্তু মুসলিম ভাই বোনেরা অধিকাংশই তা জানেন না কারন তারা এসব পড়ে দেখার দরকার মনে করেন না । বাইবেল তো দুরের কথা তারা তাদের কোরানকেও মাতৃভাষায় কখনো পড়ে দেখার দরকার মনে করেন না। এতই অনীহা তাদের সত্য জানার আর জ্ঞান সাধনায়।
এছাড়া আর একটা বিরাট দুর্বলতা আছে উপরোক্ত সূরাটিতে। তা হলো মানুষ যে দুনিয়াতে দাঙ্গা হাঙ্গামা আর খুন খারাবি করে বেড়াবে তা ফেরেস্তারা আদম হাওয়া সৃষ্টির আগেই অগ্রিম জানল কিভাবে ? ওটা তো সবজান্তা আল্লাহ ছাড়া আর কারও জানার কথা নয়। তা ছাড়া কোরান হাদিসে যতটুকু আমরা দেখি আল্লাহর হুকুম মান্য করা ও আল্লাহর গুনগান করা ছাড়া ফেরেস্তাদের কোন কাজ নেই বা অন্য কিছু তারা জানেও না। আল্লাহ তাদেরকে সে ক্ষমতা দেন নি। তাহলে তারা ভবিষ্যত জানল কেমনে ? তারপর সেই একান্ত বাধ্যগত দাসরূপ ফেরেস্তারা তাদের প্রভুর সাথে তর্ক করে কিভাবে ? তারা কিভাবে তাদের প্রভুর মুখের ওপর পাল্টা কথা বলে জিজ্ঞেস করতে পারে – তুমি কি পৃথিবীতে এমন একজনকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধাবে আর রক্তপাত ঘটাবে ? এ তো অনেকটা প্রতিবাদের ভাষা। যদিও খুব মারাত্মক প্রতিবাদ না তবে প্রভুর সাথে বেয়াদবি করার জন্য এটুকু যথেষ্ট । এটা আল্লাহ তো অনেক দুরের ব্যপার , আমাদের দেশে কোন অফিসের বসের সাথে তার অধস্তনরাও তো এ ভাবে তর্ক করতে পারে না । কোরানের বানী আল্লাহর বানী হলে এত তুচ্ছ ভুল ত্রুটি কেমনে থাকে ? বানীগুলো আসলে মোহাম্মদের নিজের বানী হওয়াতেই সমস্যাগুলো ঘটেছে তা খুবই পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। আমাদের মুসলমান ভাই বোনরা কবে একটু মুক্ত মনে কোরান হাদিসগুলো পড়বে ?
এবার দেখা যাক, আমাদের মহানবী মোহাম্মদ আদম সম্পর্কে কি বলে গেছেন।
আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেছেন, আল্লাহ আদমকে ৬০ কিউবিট লম্বা করে তৈরী করেছেন। যখন তিনি আদমকে সৃষ্টি করলেন তখন তিনি তাকে একদল ফেরেস্তার কাছে গিয়ে সম্ভাষণ জানানো ও তাদের প্রতি-উত্তর শোনার জন্য বললেন কারন সেটাই হবে তার সম্ভাষন জানানো ও প্রতি-উত্তর দেয়ার রীতি। আদম ফেরেস্তাদের বলল, আসসালাম আলাইকুম। ফেরেস্তারা তাকে প্রতি উত্তর দিল, আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতু ইলাহি। সহি বুখারী, বই – ৫৫, হাদিস নং-৫৪৩
মহানবী বলে কথা ! যিনি আল্লাহর ইঙ্গিত ছাড়া একটা কথা বলা তো দুরের কথা একটা পদক্ষেপও দিতেন না কারন প্রতিটি মুহুর্তই আল্লাহ তাকে পরিচালনা করতেন। তাই প্রকারান্তরে মোহাম্মদের কথা মানেই হলো- আল্লাহর কথা। প্রকৃত মুসলমানদের কিন্তু সেটাই বিশ্বাস, দৃঢ় বিশ্বাস। তো আল্লাহর নবী বলছেন- আল্লাহ আদমকে ৬০ কিউবিট লম্বা করে সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তখনকার কালে কিউবিটের নানা রকম মাপ চালু ছিল, তার মধ্যে সব চাইতে ছোট যে মাপটা চালু ছিল আমরা সেটা গ্রহন যদি করি তাহলে তার পরিমান হলো ১৮ ইঞ্চি। তাহলে ৬০ কিউবিট= ১০৮০ ইঞ্চি=৯০ ফুট। পৃথিবীর সবচাইতে বড় প্রানী নীল তিমিও অত বড় হয় না। তার মানে আদম ছিল এক অতি বিশাল আকারের দৈত্য মানব। এ হাদিস থেকে কয়েকটি উপসংহারে আসা যায়-
এক. আল্লাহ আদমকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ন ভাবে তৈরী করেছিলেন ও পরে এক সময়ে পরিপূর্ন মানুষ হিসেবে তাকে পৃথিবীতে প্রেরন করেছিলেন। কোনমতেই আল্লাহ কোটি কোটি বছর ধরে আদমকে বিবর্তনের ধারায় গড়ে তোলেন নি।
দুই. আদম ছিল পর্বতসম অতিকায় এক দৈত্যাকার মানুষ।
তিন. আদম ও হাওয়া থেকে গোটা মানব জাতির উদ্ভব।
উপরোক্ত অনুকল্পের কোনটাই বিজ্ঞানের ধারায় বা বিবর্তনের ধারায় সত্য নয় । পৃথিবীতে হঠাৎ করে মানুষ উল্কার মত উদয় হয়নি যা ১০০% সত্য বলে ইতোমধ্যে প্রমানিত। আর দুনিয়া জুড়ে কোটি কোটি বছর আগের ফসিল পাওয়া গেছে, বিশাল বিশাল ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেছে যা অবশ্যই কম পক্ষে ৬ কোটি বছরের পুরনো । বহু মানুষ, মানুষের মত প্রানীর ফসিল পাওয়া গেছে যাদের বয়স লক্ষ লক্ষ বছর। কিন্তু মানবাকৃতির কোন ফসিল পাওয়া যায়নি যার দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট বা তার কাছা কাছি। আমি ঠিক শুনিনি ইসলামী ছদ্ম বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই অতিকায় ডাইনোসরদেরকে আদম বা তার বংশধর বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছে কি না। যদি শুরু করে দেয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। পরিশেষে, বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে বংশগতি বিদ্যার মাধ্যমে প্রমান করে ফেলেছে যে , মানবজাতির উদ্ভব নির্দিষ্ট কোন এক জোড়া মানুষ থেকে ঘটেনি। ঘটেছে একটা গোষ্ঠি থেকে। সুতরং বিবর্তনের ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র আদম-হাওয়া থেকে মানব জাতির সৃষ্টি এটা একটা উদ্ভট কল্পনা। তবে এসব আজগুবি আর অবাস্তব বক্তব্য থাকার কারনে ইদানিং হাদিস বাদ দিয়ে কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারীর আবির্ভাব ঘটেছে রঙ্গমঞ্চে। তবে তাতেও কোন লাভ নেই , কোরানের বানী বিশ্লেষণ করলেও হাদিসের মতই বহু ত্রুটি বিচ্যুতি বের হয়ে আসে , যা পুর্বেই করা হয়েছে।
সুতরাং আমার প্রশ্ন , সত্যিই কি কোরানে বিবর্তনতত্ত্ব এর সূত্রকে সমর্থন করে এমন কোন বানী আছে ? পূর্বোক্ত আলোচনায় দেখা যায়, নেই। তাহলে এসব ইসলামের ছদ্ম বিজ্ঞানীরা কি ইসলামের উপকার করছে নাকি কোরানের বিষযে বানোয়াট বক্তব্য ও ব্যখ্যা দিয়ে কোরান ও ইসলামের ক্ষতি করছে ?
“আমি কোন আয়াত (নিদর্শন) রহিত করলে[১] অথবা ভুলিয়ে দিলে তা থেকে উত্তম কিংবা তার সমতুল্য কোন আয়াত(নিদর্শন) আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান?” সুরা বাকারা,আয়াত ১০৬
আয়াত শব্দের এক অর্থ নিদর্শন।
আর আল কুরআনের নিদর্শন তাকেই বলা হয় যা স্রষ্টা ব্যতীত কোন সৃষ্টির পক্ষে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়।
আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)কে আল্লাহপাক কতদিনে সৃষ্টি করেছিলেন
@মৌসুমী, এখানে বিবর্তনতত্ত্ব বিগ ব্যাং এর মত প্রতিস্তিত সত্য। এটির ওপর অনেক সমস্যা ছিল ঠিক আজ থেকে কয়েক দশক আগে। তাছাড়া এখনো ঈশ্বরের কোন সুস্পস্ট কোন যৌক্তিক বৈজ্ঞানিক প্রমান কিন্ত কেউ হাজির করতে পারেনি। বরং, লজিক্যাল ফ্যালাসিই বারংবার ব্যবহার করে আসছে বিশ্বাসীরা।
এর অর্থ আপনি যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, ধরে নেই, যে, কোর’আনে লেখা আছে, X=A, কেন? কারন, কোরানে লেখা আছে, কেন বিশ্বাস করব কোরান যে ঠিক? মোহাম্মদ বলেছেন, আচ্ছা, মোহাম্মদ যে ঠিক বলছেন তার কি ভিত্তি? আল্লাহই তো কোরানে বলেছেন! আচ্ছা, আল্লাহ যে বলছেন, তারই বা ভিত্তি কি? মোহাম্মদই তো কোরানে বলেছেন যে এটা আল্লার বানী! এটা হল লজিকাল ফ্যালাসি! প্লিজ, ডারুইনিজম এর মত একটি শক্তিশালি যৌক্তিক প্রমান হাজির ক্রুন!
ডারউইনের তত্ত্ব কি বিগ ব্যাং এর মত প্রতিস্তিত সত্য??? ডারউইন এর তত্ত্বের মধে অনেক ফাক আছে। এটা অনেকেই মানে না। তাই বলা যায় না ডারউইন সাহেব যা বলেছেন তাই সত্যি আর কুরআন যা বলছে তা ভুল। আপনি বললেন আল্লাহ কেন আদম কে সরাসরি পৃথিবীতে না পাঠিয়ে এত কাহিনি করলেন?? আপনাকে একটা প্রশ্ন করি আপনি কোন পরিক্ষা দিতে গেলেন আর আপনার শিক্ষক বলল তুমি ফেল করেছ। আপনি মেনে নিবেন?? আপনি মেনে নিবেন না। আপনি প্রশ্ন করবেন যে স্যার আপনি পরিক্ষা না নিয়ে কিভাবে বললেন যে আমি ফেল করেছি?? ঠিক তেমনি আল্লাহ আদম আলাইহিওআসলাম কে চিন্তা শক্তি দিয়েছেন। আর তাই আল্লাহ আদম আঃ কে পরিক্ষা করতে চেয়েছিলেন তাই তাকে ওই গাছের নিকট যেতে মানা করেছিলেন। এটা একটা পরিক্ষা ছিল শুধু। যেই পরিক্ষাই তিনি পাস করতে পারেনি।আর আপনি ফেল করলে যেমন ১ বছর একই ক্লাস এ থাকেন ঠিক তেমনি আল্লাহ ও আদম আঃ কে শাস্তি স্বরুপ পৃথিবী তে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ গায়েবের মালিক। আল্লাহ জানেন যে ভবিষ্যৎ এ কি হবে। আল্লাহ জানেন আপনি সঠিক পথ টি বেছে নিবেন নাকি ভুল। কিন্তু আল্লাহ চান আপনি আপনার চিন্তা ভাবনা কে ব্যবহার করে সেটি নির্ধারণ করুন।যাতে কেয়ামতের দিন আপনি বলতে না পারেন যে আপনাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। আল্লাহ আদম আঃ কে আমাদের কে চিন্তা ভাবনা করে সঠিক পথ টি বেছে নেয়ার সুযোগ করে দিছেন এর মানে এই না যে আল্লাহ সব জেনে বুঝে নাটক করছেন। আল্লাহ আপনাদের কে হেদায়েত দান করুক।
আমি প্রথমেই জানতে চাই, আমরা এখন প্রায়ই দেখি কোন কিছুর বয়স নির্ধারণ। আমি একটু হলেও জানতে চাই এটা কি ভাবে করা হয়, এবং এর উপর কত % আস্থা রাখা যায়?
সবার লেখাই ভালো লেগেছে…………।
ভবঘুরে এবং অন্যান্যদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন ছিল । আমি নিজে এই প্রশ্নের উত্তর বের করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হই নি। যে জন্য আপনাদেরকে জিজ্ঞাস করছি । আমি http://www.qurantoday.com নামের একটা site এ গিয়েছি যেখানে বাংলায় অনুবাদিত কুরআন পড়া যায় । সেখানে একটা বিজ্ঞপ্তি দেখলাম বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ যখন নিজেকে প্রথম পুরুষে বুঝাচ্ছেন তখন কোন কোন স্থানে আমি আবার কোন কোন স্থানে আমরা ব্যাবহার করেছে ।কিন্তু, যে স্থানে আমরা ব্যাবহার করেছে সেই খানে আবার এইটা মনে করা যাবে না যে, আল্লাহ এক না বরং অনেকগুলো আল্লাহ আছে। এইটা নাকি একাধিক আল্লাহ এর কথা বুঝায় না। অর্থাৎ আমরা বহু বচন দেখলেও মানে বুঝতে হবে আমি। এর এতে নাকি ব্যাকরণগত কোন ভুলও নাই। কারন , আল্লাহ নাকি আমি এর জায়গায় আমরা use করেছে তার royal বা majestic plural হিসেবে (!!!) । আমি এই কথার আগা মাথা বুঝি নাই। আমারে বাচান। PLZ. :-Y :-Y :-Y 😕 😕 😕
জ্বী ভাই আরবিতে বহুবচন সম্মানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন মুসলিমরা একজন ব্যক্তিকে সালাম দেয়ার সময়ও আস্সালামু আলাইকুম বলে, এখানে কুম সব্দটা বহুবচন।
একটা প্রশ্ন করব ভাবছিলাম, পরে ভুলে গেলাম।
এখানে “আমি” কে? ঠিক বুঝতে পারলাম না।
@রৌরব,
এই যে তিনি আর আমি একই বাক্যে ব্যবহৃত হলো যা ব্যকরনগত ভাবে একটা বাজেরকম ভুল। কিন্তু কঠিন বিশ্বাসীরা বলেন ওটাই নাকি আরবী ব্যকরনের শুদ্ধ রীতি। :laugh:
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ। আসলেই অদ্ভুত।
@রৌরব, আয়াত টা কত————-???
@ ফারুক,
উপরে জবাব দিতে না পেরে এখানে আসলাম। আমি বলেছিলাম-
জবাবে আপনি বলেছিলেন-
এবার শোনেন-
নূহ ৯৫০ বছর বেচেছিলেন এমন গাঁজাখুরী কথা ‘কমন সেন্স’ না থাকলেই বলা সম্ভব, বিবর্তন সম্পর্কিত জ্ঞান তো অনেক অনেক দূরের কথা। এসব কথা কোরানে থাকা সত্ত্বেও কোরানকে যারা ঐশী বলে মনে করে তাদের সম্পর্কে কি বলা যায় আমি ভেবে পাচ্ছি না।
কেউ যদি যাচাই বাচাই করার আগেই কোনো গ্রন্থকে আল্যার বাণী বলে মনে করে তবেই ঐ বিশ্বাস ঠিকিয়ে রাখতে হলে সময়ের সাথে অর্থের পরিবর্তন আবশ্যক। আল্যা যদি কোরানের মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন তবে কিছু দিন পর পর এর অর্থের পরিবর্তন ঘটাতে হবে কেন? কেন আল্যা এমন কথা ব্যবহার করবেন যা মানুষ ঠিকমত বুঝতে না পারে?
দুঃখের বিষয় এই যে আমি কোথাও ‘খালাক্বা(خَلَقَ)’ অর্থ ”বিকশিত হওয়া” পাই নি। আর খালাক্বা এর অর্থ বিকশিত হওয়া করে তার পরেই আরো কিছু আয়াতের অর্থ নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের মত করে উপস্থাপন পূর্বক কোরানকে বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে চাচ্ছেন।
তাহলে কেন আগে কেউ আপনার মত করে ব্যাখ্যা করতে পারে নি? তারা কি আরবি কম জানেন বা কম জানতেন? অন্তত মুহাম্মদ নিজে বা তার সাহাবিরা কোরান কে ভাল ভাবে বুঝার কথা। তাহলে বিবর্তন সম্পর্কিত ধারণা যেগুলো কোরানে আছে বলে আপনার দাবি সেগুলো কেন আগে আমরা পেলাম না?
আমি মজা পাচ্ছি এই ভেবে যে একসময় ধর্ম বিজ্ঞানের উপর ছড়ি ঘুরাত, আর এখন বিজ্ঞান থোড়াই কেয়ার করে ধর্মকে। বরং ধর্মবাদিরা তাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টায় রীতিমত গলদঘর্ম।
কোরানে কি বলা হয়েছে বুঝতে হলে আমাদেরকে মুহাম্মদের যুগে ফিরে যেতে হবে, জানতে হবে সে যুগে মানুষ কি ভাবত, কেমন করে ভাবত।
বিবর্তন একটি বিজ্ঞান। এর সাথে ধর্মের বা ধর্ম গ্রন্থের কোনো সম্পর্ক নেই। কোন ধর্মগ্রন্থ এ সম্পর্কে কি বলেছে তা নিয়ে সে বিচলিত নয়।
[ও হ্যা, নূহের ৯৫০ বছর বাচার একটা জটিল ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেই তো হত। দেখেন কোনো একটা আয়াতকে ধরে জবাই করে কোনো ভাবে কিছু করা যায় কিনা। একটা ছোট্ট বুদ্ধি- ৯৫০ এর ডানে আছে ‘০’ এটা কিন্তু বিশেষ বরকত ময় বলে মাঝে মাঝে বাদ দেয়াই যায় তাই না, এছাড়া আল্যা বলেছেন……………(আপনি পূর্ণ করেন)]
আপনার আরেকটি মন্তব্য-
‘যে অনুবাদ আমার ভাল লাগে’ এটা নয় বরং যে অনুবাদ সঠিক তাই গ্রহণ করেন। অবশ্য ঈমান থাকলে সঠিক অনুবাদ অদৌ গ্রহণ করা যায় কি না তা এক মারাত্মক প্রশ্ন। ধন্যবাদ।
@সপ্তর্ষী,
আমি লক্ষ্য করেছি বিয়ের ঘটকালী করার প্রতি একটা আমার একটা টান আছে। সে বহুকাল আগের কথা। সত্তর দশকে একটি আর আশির দশকে আর একটি মুসলিম বিবাহ আমার হাত দিয়ে সংঘটিত হয়। হিন্দু বিবাহ ঘটাই মাত্র একটি আশির দশকের মাঝামাঝি। তারপর আর ঘটকালী করার সুযোগ আসেনি।
গতকাল একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। আমি মহা খুশী। ছেলের বাবা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু। ওয়াশিংটন ডিসিরও উত্তরে কোন এক স্টেটে থাকে। নামাজী ছেলে। নামাজী মেয়ে চাই। সন্ধানও পাওয়া গেছে। তবে আমাকে মেয়ের বাবার সাথে কথা বলতে হবে। রাজী হলাম। টেলিফোন করলাম। বাংলায় কথা শুরু হল। আমার নামটা দুবার বললাম – “নৃপেন্দ্র নাথ সরকার।” তারপর ঘনিষ্ট হওয়ার জন্য কিছু লোককে সামনে নিয়ে এলাম যাদেরকে তিনিও চিনেন। কিন্তু বিবাহের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি না।
ভদ্রলোক কোরান অনুবাদ করেছেন। আমি বললাম আমি Pikhthall এর কোরান পড়েছি। তিনি বললেন – ওগুলো Outdated অনুবাদ। তাঁর কোরান Pentagon মহাসাদরে গ্রহন করেছে। তিনি বিভিন্ন স্থানে “কোরান ও বিজ্ঞান” বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। বললেন – আপনি আমাকে আপনাদের মসজিদে লেকচার দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে পারেন।
আমাদের মসজিদ? আমি ভাবলাম এই লোকের মাথা গেছে। দুবার নামটা বলার পড়েও মনে রাখেন নি? নাম থেকেও বুঝতে পারলেন না তিনি যে একজন অমুসলিমের সাথে কথা বলছেন? অথবা বাংলাদেশে অমুসলিম থাকতে পারে সে ধারণা তাঁর চলেই গেছে। আমি সবিনয়ে বললাম – আমি ত মসজিদে যাই না। আমি অনেককে চিনি যারা যায়। তাদেরকে বলব আপনার সাথে যোগাযোগ করতে।
অনেক কথা হল। পনের খানা বই লিখেছেন। তিনি তার গল্প বলে গেলেন।
এক সময় সুযোগ নিয়ে বললাম – আমি যে জন্য ফোন করেছি, সেটা বলি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
গল্পের বাকিটা বলুন। প্লিজ 🙂 ।
@রৌরব
গল্পের শেষ তো একটাই , সেই ভদ্রলোক এখন আধুনিক কোরান রচনায় ব্যস্ত। কথা বলার আর টাইম ছিল না আর তার।
@রৌরব,
এই নিবন্ধ ও মন্তব্যের ধারা অনুযায়ী গল্পের বাকি কিছু নেই।
তবে প্রশ্ন যেহেতু উঠেছে তার উত্তর দিতেই হয়।
বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা স্বাভাবিক ভাবে চলে। বিয়েটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাঁর মুখেই বলি – সবই মালিকের ইচ্ছা।
পূনশ্চঃ এর পর ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার না করে কয়েকবার ‘মালিক’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। মনে হয় বিলম্বে খেয়াল করেছেন, মধ্যমই উত্তম।
লেখক কে ধন্যবাদ যুক্তি দিয়ে ‘অযৌক্তিক দাবী’ কে সুন্দর ভাবে নাকচ করার জন্য।
ভাই, বিজ্ঞান যাই আবিষ্কার করুক বা কেন, কোরানিক দার্শনিক রা কোরানের কোনো না কোনো আয়াতের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যে তার নিদর্শন খুঁজে বের করবেই।
ধর্মগ্রন্থগুলি নিয়ে বেশ কিছু তর্ক বিতর্ক গত কবছর দেখার পর আমার কাছে এখন ধর্মগ্রন্থগুলি নিয়ে মাতামাতি দেখলে বেশ কবছর আগের দেখা God Must Be Crazy-1 ছবিটার কথা মনে হয়। যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেন।
ছবিটা হাসির। কাহিনী হল আফ্রিকার কোন এক আধুনিক সভ্যতা বিবর্জিত জংগলের গ্রামের আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলট একটা প্লেন থেকে কোকের বোতল ফেলে দেয়। তারপর সেই কোকের বোতলকে দেবতাদের ফেলে যাওয়া পবিত্র বস্তু মনে করে তেলেসমাতি কান্ড। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া খুনাখুনীও আছে।
@আদিল মাহমুদ,
তারা আবার সেই বোতলটাকে পৃথিবীর বাইরে ফেলে দিয়ে আসতে যায়। মারাত্বক একটা মুভি। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিল আমার। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
ছবিটা হাসির। তখন তাতপর্য বুঝি না চিন্তা করিনি। এখন মনে হয় যে এটা কি আসলেই ধর্ম নিয়ে অনর্থক মাতামাতিকে ব্যাংগ করে বানানো হয়েছিল নাকি?
মানব জাতিও কি একদিন সেই বোতল বাইরে ফেলে দেবে? ভবিষ্যতই বলতে পারে।
ছবি হিসেবে আমার কাছে অবশ্য পার্ট-২ টা বেশী ভাল লেগেছিল।
@আদিল মাহমুদ,
অবশ্যই ওটা ধর্মকে ব্যঙ্গ করে তৈরী করা হয়েছিল যদিও চলচ্চিত্রটি আমি দেখিনি। কিন্তু কাহিনীর ধরন শুনে তা বোঝা যায়। মানবজাতি অবশ্যই একটি ধর্ম নামক আপদটিকে ঝেড়ে ফেলে দেবে আর যা ক্রমশ: প্রকাশ্য মুসলমান ছাড়া অন্য সব ধমীয় গোষ্ঠিতে । অমুসলিম মানষগুলো ধর্মীয় ব্যপারে যতটা উদার, মুসলমানরা তার এক শতাংশও নয়। যেখানে অমুসলিম জাতিগোষ্ঠি ধর্মকে আবর্জনা মনে করে দুরে ফেলে দিচ্ছে বা নিদেন পক্ষে একটা উদার মনোভাব প্রকাশ করছে , সেখানে মুসলমানরা আরো বেশী ধর্মকে আকড়ে ধরছে। সম্পূর্ন উল্টো যাত্রা।
@ভবঘুরে,
কথা সত্য। মুশকিল হল আজকের পৃথিবীতে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের ফলে যেমন মানুষের গোড়ামী দূর হচ্ছে তেমনি আবার কট্টরপন্থীরাও বসে নেই। তারাও আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিভাবে ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে তাদের অবস্থান ধরে রাখা যায়।
এই প্রবনতা থেকে কেউই মুক্ত নয়।
অবস্থা দেখেন, ফ্লোরিডার এক চার্চ কোরান ৯১১ কে কোরান পোড়ানো দিবস ঘোষনা করেছে।
এগুলি কি ভাল কিছুর ইংগিত?
@আদিল মাহমুদ,
ওরা তো তবু কোরান পুড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে, কারো ঘর তো পোড়াতে বা বোমা মেরে নিরীহ মানুষ তো মারতে যায় নি এখনো কোরান অনুসারীদের মত।
@আদিল মাহমুদ,
পুরো মুভিটার ৭ টা পর্ব ছিল না? এর মধ্যে আসলেই পার্ট -২ টা দারুণ।
@অভিজিৎ,
কন কি???
আমার ধারনা ছিল ২ টাই।
দেখছি অন্তত ৫টার হদিস পাওয়া যাচ্ছে, বাকিগুলা দেখা লাগে তো।
@আদিল মাহমুদ,
৭ টার কথা স্মৃতি থেকে বলেছি। ভুলও হতে পারে। আপনার কথার পরে মনে গচ্ছে ৭ টা না, ৫ টা পর্বই ছিল। দেখেন ওয়েবে সার্চ দিয়া।
@অভিজিৎ,
God Must Be Crazy-1 ১
২
৩
৪
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ লিংক দেয়ার জন্য।
@আদিল মাহমুদ,
হুমম…ছবিটা আসলেই তাতপর্যপূর্ন। ইনারাও যেমন কাল্পনিক এক আল্লাহর পিছনে লেগেছে, মোল্লাদের কল্পনা প্রসুত এক আল্লাহর পিছনে লেগেছে ত লেগেছেই, ইনারাও পারছেন না পৃথিবী থেকে তথা নিজেদের মস্তিষ্ক থেকে ইহা ছাড়িয়া দিতে।
কাগজের কোরানে বিজ্ঞান খুজে আলেমদের দেয়া তথ্য থেকে, আর না পেয়ে সেইটা নিয়ে বিশাল বিশাল পস্তুলিকা তৈরি করে।
ধন্যবাদ।
@Russell,
ভাই , কিছু মনে করিয়েন না । আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার সম্পর্কে সবিশেষ কৌতুহলী হয়ে পড়েছি আমি। আপনাকে আগের কোন মন্তব্যের সময় অনুরোধ করেছিলাম আপনার চিন্তা ধারা একটা নিবন্ধ আকারে প্রকাশ করতে যাতে আমরা জানতে পারি আপনার দর্শন। এখনও আবার সেই অনুরোধ করছি।
@ভবঘুরে,
আমি “ফ” শ্রেনীর প্রানীর গন্ধ পাইতেছি। শক্তিশালী লেখনী এবং সাথে বিনোদন আর কাদেরই বা হতে পারে।
@Russell,
ভবঘুরের কথাই বলছি।
আপনার ধর্ম দর্শ্ন একটু গুছিয়ে লিখে ফেলুন না? বেশ ব্যাতিক্রমধর্মী কথাবার্তা বলেন। কিন্তু কিছুই পরিষ্কার হয় না।
আমার কাছে ধর্ম খুবই সোজা। ধর্ম মানে সত সরল পথে থাকা। এরপর ঈশ্বর বিশ্বাস যার যার নিজের ব্যাপার। এমনকি কোরান মতে আল্লাহও ঈশ্বরে অবিশ্বাসীর জন্য কোন জাগতিক শাস্তির ব্যাবস্থা করেননি। কাজেই আস্তিক নাস্তিক এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু জীবন মরন বিবেচনা করে সময় বা শ্রম অপচয়ের কোন মানে দেখি না।
“অনন্ত বিজয় দাশ” অনেকবার চেষ্টা করেও মন্তব্য করতে না পেরে তাঁর মন্তব্য আমার কাছে পাঠিয়েছেন যা নিচে দেয়া হল-
লেখাটা ভালো, পাঠকের অভিমত, মন্তব্য পড়ে আরো ভালো লাগলো।
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে বলি। লেখক এখানে ‘বিবর্তনবাদ তত্ত্ব’ শব্দটি প্রচুর ব্যবহার করেছেন। শুধু তিনি নন, প্রচুর বাংলাদেশী লেখক এমন কি বিদেশী লেখকরাও জৈববিবর্তন প্রক্রিয়াটি বোঝাতে গিয়ে বিবর্তন ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার করেন। জীবের বিবর্তন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যায় বাদ-মতবাদ বা ইজম শব্দ ব্যবহারে আমার ভিন্নমত রয়েছে।
প্রথমত, জৈববিবর্তন তত্ত্ব জীববিজ্ঞানের একটি তত্ত্ব। অর্থাৎ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি তত্ত্ব। আমরা কিন্তু কখনো নিউটনবাদ, আইনস্টাইনবাদ, নীল্স বোরবাদ, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করি না। অর্থাৎ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিজ্ঞানের স্বীকৃত তত্ত্বের এক্ষেত্রে বাদ-মতবাদ-ইজম শব্দটি ব্যবহার তেমন একটি হয় না। একদমই হয় না, এমন দাবি করছি না, তবে অবশ্যই পরিমাণে অনেক অনেক কম।
দ্বিতীয়ত, ইজম (মতবাদ) শব্দটি ব্যবহারের ফলে জৈববিবর্তনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তির থেকে এর দার্শনিক ভিত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যদিও জৈববিবর্তনের দার্শনিক ভিত্তি বেশ মজবুত, কিন্তু জৈববিবর্তন প্রক্রিয়া যতটুকু না দর্শনের বিষয়, তার থেকে বহু গুণে এটি জীববিজ্ঞানের অন্তর্গত। ডারউইন নিজেও জৈববিবর্তন প্রক্রিয়াকে দর্শনের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেন নি, জীববিজ্ঞানের তত্ত্ব রূপে তুলে ধরেছেন। সবাই জানেন ডারউইনের অরিজিন অব স্পিসিজ বইয়ে জীবের বিবর্তনের যে প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন, তা পরবর্তীতে প্রচুর সংশোধিত হয়েছে। আজকের যুগে জৈববিবর্তন তত্ত্ব বলতে প্রধানত জৈববিবর্তনের আধুনিক সংশ্লেষণী তত্ত্বকে বোঝায়, যার মূল ভিত্তি বংশগতি সঞ্চরণের সাথে সম্পর্কিত ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের ব্যাখ্যা। এছাড়া জৈববিবর্তন তত্ত্বের মধ্যে স্টিফেন জে গোল্ড এবং নীল্স এলরেড্জের punctuated equilibrium- তত্ত্বও গুরুত্বপূর্ণ।
তৃতীয়ত, বাদ-মতবাদ বা ইজম শব্দগুলো সাধারণত দর্শন বা সমাজবিজ্ঞানে একজন ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, বক্তব্য, অভিমত, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। যেমন সার্ত্রের অস্তিত্ববাদ, মার্ক্সবাদ, কান্টবাদ, এরিস্টটলের মতবাদ ইত্যাদি। এসব বিষয়ের দার্শনিক গুরুত্ব রয়েছে কিংবা থাকতে পারে। কিন্তু এগুলোর কোনোটাই প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অংশ নয়। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাইকৃত-পরীক্ষিত নয়।
আমি মুক্তমনার একনিষ্ঠ নতুন পাঠক। এ সাইটের পোস্টসমূহ পড়ে মনে জমে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছি।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
আপনাকে স্বাগতম। আপনি তো আসবেনই , সাথে বন্ধু বান্ধবদেরকেও নিয়ে আসবেন আশা করি। আমরা চাই আলোকিত মানুষ, অন্ধ কানা মানুষ দিয়ে সমাজ সংসার জাতি সভ্যতা আর চলবে না ।
লেখাটা ভালো লেগেছি। কোর বিবর্তন নিয়ে লেখার পাশাপাশি এমন লেখার খুবই প্রয়োজনীয়তা আছে। আমি আদম হাওয়া নিয়ে আমার আগের লেখাটায় লিখতে যেয়ে খেয়াল করলাম এই বিষয় নিয়ে, অর্থাৎ এইটা যে ভ্রান্ত ধারণা সেইটা আঙ্গুল তাক করে কোন লেখা নেই। বিবর্তন বিজ্ঞানীরা আদম হাওয়ার ঘটনাকে হাস্যকর মিথ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু একদম পয়েন্ট বাই পয়েন্ট লেখা লিখেন নি।
যারা বিবর্তন বুঝে তাদের জন্য এমন লেখার দরকার নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য দরকার আছে।
আরেকটা টেকনিক্যাল জিনিস উল্লেখ করি।
ফসিল রেকর্ড অনুযায়ী প্রাণের উৎপত্তি সাড়ে তিনশ কোটি বছর আছে। Stromatolite যার অস্তিত্ব ছিলো আজ থেকে সাড়ে তিনশ কোটি বছর আছে। এখানে আর এখানে দেখুন
যদি বিবর্তনবাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে তাহলে আমি ঈমাম হোসাইন (আঃ) এর একটি ভাষন সামান্য কিছু তুলে ধরতে চাইঃ
…এবং তুমি আমাকে মাটি হতে সৃষ্টি করিয়াছ। তারপর আমাকে নিরাপত্তার সহিত (পিতাগণের) ঔরশসমুহে পৃথক পৃথক ভাবে স্থান দিয়াছি অসীমকাল এবং বছরের নিরাপত্তার অনিশ্চয়তার জন্য। যুগ যুগের এক একটি প্রাচীনের মধ্যে আমি একজন ভ্রমনকারী, পিতার এক একটি ঔরশ হতে এক একটি মাতৃগর্ভের দিকে অনাদিকাল হইতে বাস করিয়া আসিয়াছি। অতীতের বিগত জমানাগুলিতে আমার সহিত অনুগ্রহ করিয়াছ…
আমাকে সৃষ্টি করা আরম্ভ করিয়াছ বেগবান বীর্য হইতে এবং অবস্থান দিয়াছ তিনটি অন্ধকারের মাঝেঃ মাংশ,রক্ত এবং চর্ম (অর্থাৎ দেহের ভিতর)। … এবং আমাকে বহু স্নেহশীলা মাতৃগণের নিরাপত্তা দান করিয়াছ
খালাকা শব্দের অর্থ হইল রুপান্তর সৃষ্টি আর বাদা শব্দের অর্থ হইল আদি বা মৌলিক সৃষ্টি। কোরানে পাওয়া যায় মানুষকে রুপান্তর সৃষ্টি (সুরা আর-রহমানঃ১-৪) করা হয়ে থাকে, আবার এই মানুষ “বানর” হয়ে যায় (৭-১৬৬; ২-৬৫)তথা নিন্মশ্রেনীতে রুপান্তরিত হয়। এই প্রকৃতির ভিতরেই মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই ভ্রমন চলতেই থাকে। ইহাই আত্নার এক জাহান্নাম। জান্নাতও এই পৃথিবীতেই জান্নাত ও জাহান্নাম, আর আদম হাওয়াও রুপান্তরের দ্বারা সৃষ্টি।
দ্বিতীয় কথা হল আদম সৃষ্টির প্রথম মানুষ নয়, তিনি মূলত প্রথম পুরুষ, যিনি জেনেছে ইহকাল পরকাল সর্ব কাল চিরবর্তমানে স্থিত, যার একাল আছে তার পরকাল আছে।
ধন্যবাদ
@Russell,
এ ভাবে জোর করে অর্থ বের করে কোন লাভ আছে ? বার বার কোরানে আল্লাহ বলছে- আমি মাটি থেকে আদম কে সৃষ্টি করছি/ তৈরী করেছি, বিস্তৃত বর্ননা নেই , এখন আপনি এসে খালাকা শব্দের অর্থ রূপান্তর শুরু করে দিলেন, কারন সেটা করলে আপনার সুবিধা হয়। কিন্ত তাতেও তো কিছু হয় না । আদম তো মাটির দ্বারা তৈরী হয় নি। আদম এসেছে পৃথিবীতে শত কোটি বছরের বিবর্তনের পর। তাকে হুট করে বলে দিলেন মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়েছে এটা তো একটা অর্থহীন কথা। একটা অনুষ্ঠানে দেখেছি, চালিয়াত জোকার নায়েক বলছে- যেহেতু মাটিতে যত উপাদান আছে তার সব উপাদানই মানুষের শরীরে আছে, তাই কোরানে যা বলেছে তা ঠিক আছে। কিন্তু কোরানের বক্তব্য কি তাই নাকি ? অবশ্যই মানুষের শরীরে যে উপাদান আছে তা মাটিতে আছে তার মানে এ না যে মানুষ কে মাটি দ্বারা তৈরী করে তারপর তাকে জীবন দান করা হয়েছে।কোরানে যদি এরকম বক্তব্য থাকত–
——-আর তারা কি দেখে না , আমি কল্পনাতীত কাল আগে দুনিয়াতে জীব জগত সৃষ্টি করেছিলাম, তার পর তা থেকে ক্রমাগত রূপান্তরের মাধ্যমে আমি আদম কে দুনিয়ার বুকে সৃষ্টি করেছি। ———–
তাহলে আর আমাদের আর কোন সন্দেহ থাকত না যে কোরান বিবর্তনবাদের কথা বলছে। কোরান এত ধানাই পানাই আর অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে পারে , বলতে পারে কে কয়টা বিয়ে করবে, কিভাবে তালাক দেবে, মোহাম্মদ তার পূত্রবধু জয়নাব কে বিয়ে করতে পারবে কি না – এসব ফালতু কথা বলতে পারে আল্লাহ আর এত গুরুত্বপূর্ন একটা কথা এক লাইনে বলতে পারল না – বার বার আদমকে মাটির দ্বারা তৈরী করেছি বলার পরিবর্তে ????
কোটি কোটি বছর ধরে দুনিয়াতে জীব জগতে যে বিবর্তন ঘটে চলেছে তার কোন ইঙ্গিত আছে আপনার Book of SINGS মানে কোরানে ?
আর এখন আপনি এসে খালাক অর্থ রূপান্তর বের করে নিজের মনগড়া ব্যখ্যা শুরু করে দিয়েছেন। আর তাও খালি মানুষ নিয়ে , গোটা জীব জগত নিয়ে নয়। কোরান কোন বিজ্ঞান গ্রন্থ নয় আমরা ভালই জানি , কিন্তু যখন আপনারা তার মধ্যে বিজ্ঞান খুজে পাবেন তখন আপনাদেরই দায়িত্ব বিজ্ঞানের তত্ত্ব ব্যখ্যা পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ করছে তা উপস্থাপন করা । হেয়ালী পূর্ন অর্থহীন ধানাই পানাই মার্কা কথা বার্তা জগাখিচুড়ী মার্কা ব্যখ্যা দিয়ে কোরানের মধ্যে বিজ্ঞান আবিস্কারের চেষ্টা না করাই ভাল।
@ভবঘুরে,
আপনার আর ঐ সকল জাকের নায়েকের ভিতর তফাত নাই, আগে ভেবেছিলাম যে হয়ত ঘিলু না থাকলেও গবর আছে, আজকে দেখলাম না সেটাও নাই, যদি থাকত তাহলে সার হত, উদ্ভিত জগতের কাজে আসত।
যা জানেননা সেই বিষয় তর্কে না জড়ানোই ভালো, যদিও আমি আর এক বেকুপ, আপনাদের সামনে এইসব কথা বলছি।এইসব শোনা, বোঝার জন্য যেইটুকু যোগ্যতা দরকার সেই যোগ্যতা আপনাদের নাই। আপনারাও ঐ দাড়ি টুপি পড়িহিত বেশভুষার আড়ালে লুকিয়ে থাকা…।আপনারাও জানতে চাননা, জানাতেও চাননা, শুধু মনে করেন যা জেনে গেছি, যা বুঝে গেছি এর বাইরে আর কিছুই নাই জানার বোঝার।
আগেই বলেছিলাম যে যদি আপনে মস্তিষ্ক শুন্য …যদিও আমার ভুল যে আমি তারপরেও আপনাদের মাঝে লিখছি। আমার লজ্জা থাকা একান্ত …
যাইহোক শেষবার লিখে যাইঃ
আদমকে দেখুনত কোথায় বলেছি আমি মাটি থেকে সৃষ্টি লিখেছি? আপনে না পড়েই ঐ মোল্লাদের মত …আসলেই মাদ্রাসায় পড়ে ঐ চরিত্র ছাড়তে পারেননি। ঐ গুন লেজে একটু হলেও লেগে আছে। আর যদি কিছু ভাল ক্রএ মিলেও যায় তাহলে আপনার সমস্যাটা কোথায় থাকে? এইধরনের আচরন, রম্য হাস্যকর গল্প গুচ্ছ আর লিখতে পারবেন না? খালাকা শব্দের অর্থ হইল রুপান্তরিত সৃষ্টি, আর বাদা শব্দের অর্থ আদি সৃষ্টি। বিশ্বাস করলে করবেন, না করলে না। যা সত্য তাই বলে দিলাম। সত্য জানতে চাইছিলেন তাই জানাইলাম।
পানি বস্তুতে জীব সৃষ্টি, মাটিতে পূর্নতা।
\অদি মাথায় সামান্য তম ঘিলু থাকে, আর যদি সত্যই সত্য জানিবার সামান্য তম ইচ্ছা থাকে তাহলে ইহা মনোযোগ দিয়া পড়েন, একবার নয় হাজার বার পড়েন, যদি নিরাঞ্জনের ইচ্ছা থাকে তাহলে হয়ত সুপথ পাইতে পারেন, নয়ত সারাজীবন ঐ আপনারা দাড়িটুপি আলেমদের পিছনে লেগে থাকবেন, আর তারা আপনাদের পিছে,
আল্লাহ বলছেন তিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন চার দিনে এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে। ছয় দিন বলতে পার্থিব দিনকে যারা বুঝেছে তাদের থেকে সাবধান, তারা মারুফত তো বুঝেইনা, সাথে বস্তু বিজ্ঞানও বুঝেনা। সৃষ্টি হয় নূরে, দিনে সৃষ্টি হয়না। পাঁচ বস্তুতে সকল কিছুর সৃষ্টি কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে হিসাবে ছয়। এই এক হল পানি বস্তুর আলমে, যে নুর-তার দুই অবস্থা-প্রকাশ ও গোপন। পানি বস্তু থেকেই অনু, পরমানু, জীবনের জীবানু সৃষ্ট হয়ে সৃষ্টি দৃশ্যমান হচ্ছে। পানি বস্তু থেকে সৃষ্টি আরম্ভ হয় বলেই পানি বস্তুর মোকামের নাম কাবাকাওসাইন-তথা আরম্ভ হবার স্থান।
আর মোহাম্মদ (সাঃ) কে? তাঁহাকে জানিবার জন্য আরও কয়শ কোটিবার জন্ম নিতে হইব, এই ধরনির ধুলা মাথায় লাগাতে হইব তার হিসাব আপনে বা এইখানে যত বিদ্যান আছে তাদের দ্বারা জানা সম্ভব নয়। অই সব বিদ্যার লড়াই করে যান। সারাজীবন এমনি কইরে যাবেন, সত্য জানবেন কচু।
কখনও কি ভেবেছেন যখন বন্যা বা বর্ষায় পানি জমে যায় তখন কই থেকে না কই থেকে যেন নর্দমা / নলা এমনকি রাস্তায়ও মাছ চলে আসে, কিন্তু দেখা যায় সেখানে কখনও মাছ আসার কোন রাস্তাই ছিল না? সেই বীজ কিভাবে আসল? আবার একটা কলা এক জায়গায় ফেলে রাখেন দেখবেন দুই তিন দিন পর ঐ খান থেকে ছোট, ছোট পোকা সৃষ্টি হইল, কই থেকে সেই জীব আসল জানেন?
ধুর আর না বলি। থাক।
ভাল থাকেন। রম্য গল্প হাস্যকর গল্প বের করেন। আমরাও পড়ি।
@Russell,
হি হি হি……
মুক্তমনা এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মুক্তমনায় ‘বিবর্তন পাতা’, ‘ধর্ম পাতা’র পাশাপাশি ‘এনাদের’ জন্য একটি ‘রূপকথা পাতা’ খোলার জোর দাবী জানাচ্ছি যেখানে এনাদের সকল ধরনের রূপকথা আর তা ব্যাখ্যা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দ থাকবে! এতে আমাদেরও কিছু লাভ হবে। যখনই একটু বিনোদনের প্রয়োজন হবে, আমরা এই পাতায় ঢুকে একচোট হেসে নিতে পারব!
@নিটোল,
আপনার প্রস্তাব টা খারাপ না। প্রতিটা ধর্মের কাহিনীগুলো তো আসলেই রূপকথা। আমরাও চাই সবাই ওগুলোকে রূপকথা হিসাবেই পড়ুক আর আনন্দ পাক।
@Russell,
অতি সত্য কথা।
রাগ না করে , আরো লিখুন। মানি আর না মানি , জানতে চাই আপনার বক্তব্য।
@Russell,
রাসেলের এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানালাম।
এই ধরনের ব্যক্তি আক্রমণাত্মক এবং অন্য সদস্যের প্রতি প্রচণ্ড অবমাননাকর মন্তব্যকে মুক্তমনা কঠোরভাবেই নিরুৎসাহিত করে থাকে বলেই জানি।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার কথার মর্মার্থ বুঝতে পারি। মুক্তমনা পাঠক লেখকদের মান সম্মান এর প্রতি আপনার আন্তরিকতা ধন্যবাদের দাবী রাখে। তবে কথা হলো-
পাগলে কি না কয়, ছাগলে কি না খায়- এতে আমরা অতটা মাইন্ড করি না। জগতে সবাই তো আর মানসিকভাবে সুস্থ না. কিছু পাগল আছে যারা মানুষের মধ্যে সুস্থতার ভান করে ঘুরে বেড়ায়, তারা জানে না তারা অসুস্থ। কি আর করা। এদের হেদায়েতর ভার আল্লাহর ওপরই ছেড়ে দিলাম।
@ভবঘুরে,
আপনিওতো দেখি রাসেলের পর্যায়েই নেমে গেলেন।
আপনার যুক্তির ফলা অনেক সুতীক্ষ্ণ এবং ধারালো। ছুরির উল্টোপাশ দিয়ে খামোখাই প্রতিপক্ষকে স্থূল আঘাত না করলেও চলে।
বাবা আদম আর মা হাওয়ার পরে এবারে তাদের দুই গুণধর পুত্র হাবিল মিয়া আর কাবিল মিয়াকে নিয়ে লিখে ফেলুন। সুন্দরী বোনের দখলীসত্ত্বের জন্য কাবিল কেমনে হাবিলকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিল, সেই রক্তাক্ত খুনোখুনি আর অজাচারের কাহিনি জানাটা সব মুমিন মুসলমানের জন্যই ফরজ কাজ।
@Russell,
বিষয়টা মনে হয় আপনার বেলায় বেশী প্রযোজ্য।
আপনার যোগ্যতার পরিচয় আমরা এখনও পাই নি। দয়া করে কখন পরিচয় দিবেন জানালে বড়ই বাধিত হবো। এ পর্যন্ত যতটুকু পরিচয় পেয়েছি তাতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে।
হুমম…।
অসংখ্য প্রশ্নের খিচুড়ি।
আমার একটি প্রস্তাব ছিল। প্রস্তাবটি আমার শেষ লেখায়ও দিয়েছিলাম, আবারো দিচ্ছি।
যারা ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করি এরকম চার/পাঁচ (আরো বেশি হলেও ক্ষতি নেই) জন মিলে ধর্ম সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নগুলো একত্র করে একটি আর্কাইভ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে থাকা লেখাগুলোকে এবং ই-বইগুলোকে একত্র করুন। আমি মনে করি সেরকম আর্কাইভ থাকলে অনেক মানুষেরই মুক্তমনা হয়ে উঠাতে সহজ হবে।
কিন্তু তাই বলে ধর্মের অসঙ্গতিগুলো নিয়ে নুতন নুতন লেখাও বন্ধ থাকবে না। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। নুতন লেখা আসবে, সেগুলো আর্কাইভকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
ভবঘুরে ভাই কিংবা যে কেউ বন্যা’পুর
বিবর্তন নিয়ে প্রশ্নগুলো
এ রকম একটি ব্লগ লিখুন যেখানে সবাই মিলে ধর্ম সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জমা দিব। তারপর একে একে সেগুলোর জবাব তৈরী করা হবে।
হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ে গেল। সেটা হলো- বেহেস্তে আদম হাওয়ার কি কোন বিয়ে হয়েছিল? নাকি তারা লিভ টুগেদার করত? এ বিষয়টা আমি খুব ভালভাবে অনুসন্ধান করিনি। কেউ কি দয়া করে এ ব্যপারে অথেনটিক তথ্য দিতে পারেন ? আর যদি বিয়ে হয়ে থাকে , কে বিয়ে পড়িয়েছিল, বিয়ের সময় তারা কোন সূরা পড়েছিল কিনা, কারন তখন তো কোরান উদ্ভুত হয়নি। হানিমুন করেছিল কিনা। বেহেস্তে থাকার সময় তারা যৌনক্রিড়া করত কি না, করে থাকলে তখন বাচ্চা কাচ্চা কেন হয় নি। বেহেস্তে কি সব পুরুষ ও নারী প্রজনন অক্ষম থাকে নাকি ? পরিশেষে, বেহেস্তবাসী যে অসংখ্য নব যৌবনা হুর পাবে যৌন ফুর্তি করার জন্য, এর ফলে হুররা কি গর্ভবতী হবে ? না হলে কেন হবে না ? ওরা কি তাহলে স্রেফ সেক্ম ডল যা পশ্চিমা দেশেৱ মার্কেটে কিনতে পাওয়া যায় ? প্লিজ পারলে কেউ এগুলোর একটু উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
@ভবঘুরে,
এই সেরেছে!!! আদি পিতা-মাতাই কি না লিভ টুগেদার করতেন। বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। হায়! হায়!! কই যাই? পুরো মানবজাতিই দেখছি অবৈধ রক্তস্রোত বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের ধমনীতে।
এমনিতেই অজাচারের প্রতি ঈশ্বরের আগ্রহ-ভালবাসা দেখে আমি ক্ষিপ্ত। আদম-হাওয়ার সন্তানেরা অজাচারে লিপ্ত হয়ে এত বড় একটা মানব সম্প্রদায় যে তৈরি করে ফেললো সেটাতো ঈশ্বরের কারণেই, তাই না? এক জোড়া আদম হাওয়া যিনি বানাতে পারেন, দুই জোড়া বানাতে তাঁর কী সমস্যা ছিল কে জানে। তাহলেতো আর এরকম অযথাই আজেবাজে অজাচারের মত অনাচার করতে হতো না আদম মিয়া আর হাওয়া বিবির পুত্র-কন্যাদের।
এখন আবার শুনছি আদম-হাওয়ার নাকি শুভ বিবাহটাও হয় না। বিয়ে শাদি ছাড়াই ঈশ্বরের বাগানে তারা কৃষ্ণলীলা চালিয়ে গেলো, আর ঈশ্বর কিছু না করে বসে বসে তামাক খেলেন, এটা কেমনে হয়?
আদম মিয়া আর হাওয়া বিবিরে ঘাড় ধরে স্বর্গ থেকে মর্তে নামিয়ে দেবার পিছনে তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডও একটা কারণ হতে পারে, কে জানে।
@ফরিদ আহমেদ, :laugh:
@ফরিদ আহমেদ,
এত তাড়াতাড়ি আয়েশার সাথে এক রজনী ভুলে গেলেন?
আদম হাওয়ার বিয়ে হয়েছিল, কাবিন-কেবালাও ছিল, এ সবই বর্ণিত আছে সু-স্পষ্ট ভাষায় দাউদ ও মিশকাত শরিফে।
একজন প্রশ্ন করেছেন- মুহাম্মদ আগে, না পৃথিবী আগে?
সকল সৃষ্টির আগের সৃষ্টি মুহাম্ম্দ (একর্ডিং টু ইসলাম)। আর হ্যাঁ, আদম সৃষ্টির আগেই আল্লাহ ঈসা নবী তৈরীর প্লান হাতে নিয়েছিলেন, সুতরাং ফেরেস্তাদের সাথে এ নিয়ে বৈঠক, ইবিলিসের ধোঁকা এ সমস্ত আল্লাহর (আসলে ধর্মগ্রন্থ লেখকদের) লেখা নাটক।
@ফরিদ আহমেদ,
লিভ টুগেদার করত বলেই তো মনে হয় কারন কোরানে তো এ বিষয়ে কিছু বলে না , তাহলে আমরা যেমন ইচ্ছা খুশী ব্যখ্যা করতে পারি। অবশ্য ফারুক সাহেব আপত্তি করতে পারেন এই বলে যে – কোরানে তো কোথাও বলেনি যে তারা লিভ টুগেদার করত। কিন্তু তাকে যদি পাল্টা প্রশ্ন করে বলা হয়- বিয়ের কথা বার্তা যখন কোথাও নেই , আবার তারা এক সাথেই বাস করত কারন আল্লাহ তো নারীটিকে ( হাওয়া বলা যাবে না কারন তা কোরানে লেখা নেই) আদমের সঙ্গীনি হিসাবেই তৈরী করেছিলেন তার মানে তারা একসাথে বাস করত, বিষয়টি ঠিক কি না ? আমার মনে হয়, তাতেও তিনি আপত্তি করে বলবেন তা আমি জানি না , আল্লাহ ভাল জানেন। যতক্ষন তারা যুক্তি খুজে পান চেষ্টা করে যান, যখন আর যুক্তিতে কুলায় না , তখন তা আল্লাহ জানেন। যুক্তি হিসাবে এটাও কিন্তু খারাপ না। কি বলেন ?
@ভবঘুরে, কোরানে যখন এব্যাপারে কিছু লেখা নেই , তখন কিসের উপরে ভিত্তি করে আপত্তি করব? সবচেয়ে বড় কথা এগুলোর উত্তর জানা , আমার ধর্ম পালনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। আপনি নিশ্চিন্তে যা ইচ্ছা কল্পনা করতে পারেন। আমার কোনই আপত্তি নেই।
@ফারুক,
আমি জানতাম যে এক পর্যায়ে এসে আপনি উপরোক্ত মন্তব্যই করবেন। কিন্তু আমাদের সমস্যাটা কোথায় জানেন ? সমস্যাটা হলো- কোরান হলো আসমানী কিতাব , মোহাম্মদ হলো আল্লাহ প্রেরিত রসুল- সেটা সত্য কিনা সেটা খুজে বের করা। আর ধর্ম পালন বলতে যদি আপনি বুঝান যে – সত্য কথা বলা, অন্যের জিনিস আত্মস্যাত না করা, অন্যকে সম্মান করা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, সবাইকে সম জ্ঞান করা, কাউকে না ঠকানো, কাউকে অত্যাচার, নির্যাতন, শোষন না করা – তাহলে এসবের জন্য তো মানুষের সাধারন বুদ্ধি বিবেকই তো যথেষ্ট আর তা মানুষ ইসলাম আসারও হাজার হাজার বছর আগে জানত। এর জন্য তো কোন আসমানী কিতাবের দরকার নেই। আপনি দেখেন, মানব সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিক অধিকার ইত্যাদি বিষয় গুলো অর্জিত হয়েছে কোন আসমানী কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী নয়, বরং এগুলো অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রামের মাধ্যমে। হিন্দু সনাতন ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম, ইসলাম এরা কেউই দাসপ্রথার বিলোপ সাধন করেনি, বিলোপের কথা ঘুনাক্ষরেও বলেনি, সবার সমান অধিকার বা স্বাধিনতার কথাও বলেনি। মানুষ সংগ্রাম করেই এগুলো অর্জন করেছে। ধর্ম এদের সাহায্য তো করেই নি বরং উল্টে ধর্মের নামে ঐসব অত্যাচার নির্যাতন ব্যপকভাবে বহাল করা হয়েছিল সমাজে।মোহাম্মদ তার মহত্ব দেখানোর জন্য দুই একটা দাস দাসী মুক্ত করার কথা বলেছেন বলে হাদিসে দেখা যায়, কিন্তু তার আসমানী কিতাবে দাস প্রথা বিলোপের ঘোষণা দেয়ার হিম্মত দেখায় নি। আর দেখেন কেমন সে আল্লাহ যিনি তার বান্দাদের দাস হিসাবে অনুমোদন দিয়ে গেছেন , যেহেতু কোরানে এ প্রথা বিলোপের ঘোষণা দেয়নি তার অর্থ এটা জায়েজ করে দিয়ে যাওয়া। আর সেকালে এ প্রথাটাই ছিল সব চাইতে জঘন্য আর আল্লাহ আশ্চর্যজনকভাবে বিষয়টির ব্যপারে নিরব। কথাটা একারনে বলা কারন আপনি এখনি যুক্তি দেবেন যে – কোরান তো দাসপ্রথা বহাল রাখার কথাও বলেনি।
@ভবঘুরে,
কী সমস্যা, এখন তো উনারা বলে বেড়াবেন- ইহুদি-নাসারারা লিভ টুগেদারের আইডিয়া কোরান থেকে চুরি করেছে। 🙂
@সৈকত চৌধুরী, :hahahee:
ধার্মিকদের বিবর্তন বিরোধিতা পরিস্কার ভাবে আবারো প্রমান করে দিয়েছে অধিকাংশ ধার্মিক অর্ধ শিক্ষিত-এবং এই ধরনের অর্ধ শিক্ষিতের হার মুসলিম শিক্ষিত বা প্রতিষ্ঠিতদের মধ্যে বেশী।
আসলে গভীর ভাবে বিজ্ঞানকে বোঝা বা বিজ্ঞানভিত্তিক মনন তৈরী বিজ্ঞানের বই পড়ে হয় না-তার জন্যে পরীক্ষামূলক গবেষনাতে এবং বিজ্ঞানের দর্শনের গভীর বুৎপত্তি লাগে।
বিজ্ঞান পরিস্কার ভাবেই বলছে শ্বাস্বত সত্য বলে কিছু নেই-সুতরাং কোরানিক বিজ্ঞানীরা যখন বলে কোরানের অ ব্যাপারটা বিজ্ঞানে আছে-তারা কি এটা মানে ওই অ ব্যাপারটা তার মানে মিথ্যাও হতে পারে?
অর্থাৎ কোরানকে বিজ্ঞান সম্মত মানা মানে এটাও তাদের মানতে হবে
কোরানে প্রচুর ত্রুটি আছে-কারন বিজ্ঞানের আসল দর্শনই হল
সেই ত্রুটিকে স্বীকার করে ত্রুটি কমিয়ে আনা। সেটাত কোন কোরানিক বা অন্য ধর্ম বিজ্ঞানী বলে না। কারন সেটা বললে স্বীকার করতে হয় আল্লা বা ঈশ্বর একটি ত্রুটিপূর্ন বই লিখেছেন।
অর্থাৎ ব্যাপারটা দাঁড়াল এই যারা কোরানে বা অন্য ধর্ম গ্রন্থে বিজ্ঞান খুঁজে পাচ্ছে-তারা বিজ্ঞান কিছুই বোঝে না। একদম বেসিকটাও না। তাদের ডিগ্রি থাকতেই পারে-সেত পেট চালানোর জন্যে-কিন্ত বিজ্ঞান তারা যে কিছুই শেখে নি-এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকাই উচিত না।
ইসলাম সম্পর্কে যারা জানেন , তাদের কাছে অামার প্রশ্ন : মুহাম্মাদের জন্মের কত বছর অাগে অাল্লাহ্ পৃথিবী সৃষ্টি করেন ? প্রসঙ্গত: হিব্রু নীতি অনুসারে ঈয়াভে বা ঈশ্বর অাজ থেকে ৫৫৭০ বছর অাগে পৃথিবী সৃষ্টি করেন (??) এবং অাজ ১৮ই অাভ্, ৫৫৭০ হিব্রু সাল চলছে । ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক, একটি গল্প শুনুন –
এক সুন্দর বিকালে আস্তিক ও নাস্তিক দুই বন্ধু , আস্তিকের বাসার বৈঠকখানায় চা নাস্তা খেতে খেতে তর্কে মেতে উঠল।
নাস্তিক: তুমি একই সাথে দুটোরই পক্ষ নিতে পার না। হয় তোমাকে বাইবেলের পক্ষ নিতে হবে অথবা বিবর্তনবাদের। বাইবেল বলছে পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য জীব ও গাছপালার বয়স অনধিক ১০ হাজার বছর এবং সূর্য তথা মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম। কিন্তু বিজ্ঞান এবং বিবর্তনবাদিরা বলছে , ওরা ৩৬০ কোটি বছরের পুরানো জীবাশ্ম (fossil) খুজে পেয়েছে।মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম অসম্ভব।পরষ্পরবিরোধী দাবী।
আস্তিক: অবশ্যই তুমি দুপক্ষ নিতে পার।এর জন্য তোমাকে কিছু তথ্য জানা লাগবে।
নাস্তিক চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো : ঠিক আছে। বলো শুনি। সাবধান, উল্টাপাল্টা বুঝ দিয়ে কিন্তু পার পাবে না।
আস্তিক কোন কথা না বলে, সোফা থেকে উঠে বুকশেল্ফ থেকে রাজা জেম্স ভার্সান বাইবেল (সবচেয়ে বেশি পঠিত) ও ইংলিশ-হিব্রু-ইংলিশ ডিকশনারি এনে নাস্তিককে দিয়ে বললো: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদী উভয়েই বাইবেলের প্রথম দুটি আয়াতের মানে বুঝতে ভুল করেছে। সমস্ত রহস্য মাত্র একটা শব্দের মধ্যে নিহিত।
নাস্তিক: একটা শব্দ ! কোনটা?
আস্তিক: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদীর মধ্যেকার বিতর্ক শুধু শেষই করবে না , ওদেরকে এক করে দেবে। ঠিক আছে , বাইবেল খুলে প্রথম আয়াত দুটি পড়ে শোনাও।
নাস্তিক: Genesis
1:1 In the beginning God created the heaven and the earth. (ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী সৃষ্টি করলো)
1:2 And the earth was without form, and void; and darkness was upon the face of the deep. And the Spirit of God moved upon the face of the waters.(এবং পৃথিবী ছিল নিরাকার ও শূন্যময়; অতল গহ্ববরের উপর অন্ধকার বিরাজ করত। ঐশ্বরিক এক বায়ু জলরাশির উপর বইত।)
আস্তিক: জানোই তো বাইবেল হিব্রু ভাষায় নাযিল হয়েছিল। এখন ডিকশনারি খুলে দেখতো , “ছিল”র (was) সমার্থক আর কি কি শব্দ আছে? হওয়া বা হয়ে গেল (it came to pass or became) আছে না? ২য় আ্য়াতের সঠিক মানে হবে পৃথিবী হয়ে গেল (became) বিশৃঙ্খল (chaotic) ও খালি (empty)।
নাস্তিক রেগে গিয়ে বললো: তুমি বাইবেল নুতন করে লিখবে নাকি?
আস্তিক: আমি তোমাকে আদি হিব্রু থেকে ২য় আয়াতের মানে দেখাচ্ছি , ইংরাজি অনুবাদ ভুলে যাও। আদি হিব্রুতে নিরাকার ও শূন্যময়ের আরো মানে হয় – বিশৃঙ্খল ও খালি। আরো দেখ , হিব্রু শব্দ “হায়া , তহু আর বোহু” র সঠিক কোন ইংরাজি প্রতিশব্দ নেই।এই সবকিছু এক করলে দেখবা , ১ম ও ২য় আয়াতের মাঝে শত শত কোটি বছরের ব্যবধান। বাইবেলে মাঝের এই সময়ের কোন বর্ননা নেই।
১ম আয়াত – ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি করেন। সেটা বিগ ব্যন্গের মতো শুরু হতেই পারে , ঈশ্বর যখন বলেন নি কেমনে তিনি সৃষ্টি করেছেন। ২য় আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী বিশৃঙ্খল ও খালি হওয়ার আগ পর্যন্ত (ঈশ্বরবাদীদের দাবী অনুযায়ি ১০ হাজার বছর পূর্ব পর্যন্ত) মহাবিশ্ব বিজ্ঞানিদের ধারনার সাথে মিল রেখে বিকশিত হয়েছে এবং এ পৃথিবীতে ডারউইনের থিওরী অনুযায়ি জীবণের বিকাশ ঘটেছে।
নাস্তিক: সে না হয় হলো, তা ১০ হাজার বছর পূর্বে পৃথিবী খালি হলো কি করে? যার ফলে ঈশ্বর কে আবার সবকিছু নুতন করে সৃষ্টি করতে হোলো, বাইবেলে যেমন বলা হয়েছে?
আ্স্তিক: সঠিক বলতে পারব না । এর কারন বিজ্ঞানিরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি কিছু ধারনার কথা বলতে পারি। হয়ত প্রকান্ড কোন উল্কাপাত হয়েছিল বা দীর্ঘদিন ধরে বিশাল অগ্নুৎপাত হয়েছিল , যার ফলে সমগ্র পৃথিবী আগুনে পুড়ে যায় ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠে না পৌছার ফলে তৃণ , গাছপালা সব মরে যায়। ফলশ্রুতিতে সকল জীব মারা যায় খাদ্যের অভাবে। সূর্যের তাঁপের অভাবে শুরু হয় বরফ যুগ। সমস্ত পৃথিবী বরফে ঢেকে নিরাকার ও খালি হয়ে যায়। সমুদ্রের গভীরে কিছু মাছ জাতীয় প্রাণী বেচে থাকতে পারে। কিছু কিছু প্রমানের কথা শুনতে পাই , সত্যি মিথ্যা জানি না। ম্যমথের গনকবর পাওয়া গেছে , তারা নাকি হটাৎ বরফে জমে ঘাস খেতে খেতে মারা গেছে , মুখে নাকি ঘাস ছিল। এটা নাকি ঘটেছিল আনুমানিক ১০ হাজার বছর আগে। একই সময়কার টক্সিক ভলকানিক ডাস্ট নাকি পাওয়া যায় , যা পুরো পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছিল।
নাস্তিক: হুম ! এ পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে , কিন্তু বাইবেলে পরে যা বলা হয়েছে , তা তো বিশ্বাসযোগ্য না।
আস্তিক: সন্ধ্যা হয়ে গেছে । মাগরেবের নামাজ পড়বো। আজ বাড়ি যাও। আরেকদিন বাকিগুলো নিয়ে আলাপ করব।
@সংশপ্তক,
@সংশপ্তক,একটি গল্প বলি–
এক সুন্দর বিকালে আস্তিক ও নাস্তিক দুই বন্ধু , আস্তিকের বাসার বৈঠকখানায় চা নাস্তা খেতে খেতে তর্কে মেতে উঠল।
নাস্তিক: তুমি একই সাথে দুটোরই পক্ষ নিতে পার না। হয় তোমাকে বাইবেলের পক্ষ নিতে হবে অথবা বিবর্তনবাদের। বাইবেল বলছে পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য জীব ও গাছপালার বয়স অনধিক ১০ হাজার বছর এবং সূর্য তথা মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম। কিন্তু বিজ্ঞান এবং বিবর্তনবাদিরা বলছে , ওরা ৩৬০ কোটি বছরের পুরানো জীবাশ্ম (fossil) খুজে পেয়েছে।মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম অসম্ভব।পরষ্পরবিরোধী দাবী।
আস্তিক: অবশ্যই তুমি দুপক্ষ নিতে পার।এর জন্য তোমাকে কিছু তথ্য জানা লাগবে।
নাস্তিক চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো : ঠিক আছে। বলো শুনি। সাবধান, উল্টাপাল্টা বুঝ দিয়ে কিন্তু পার পাবে না।
আস্তিক কোন কথা না বলে, সোফা থেকে উঠে বুকশেল্ফ থেকে রাজা জেম্স ভার্সান বাইবেল (সবচেয়ে বেশি পঠিত) ও ইংলিশ-হিব্রু-ইংলিশ ডিকশনারি এনে নাস্তিককে দিয়ে বললো: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদী উভয়েই বাইবেলের প্রথম দুটি আয়াতের মানে বুঝতে ভুল করেছে। সমস্ত রহস্য মাত্র একটা শব্দের মধ্যে নিহিত।
নাস্তিক: একটা শব্দ ! কোনটা?
আস্তিক: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদীর মধ্যেকার বিতর্ক শুধু শেষই করবে না , ওদেরকে এক করে দেবে। ঠিক আছে , বাইবেল খুলে প্রথম আয়াত দুটি পড়ে শোনাও।
নাস্তিক: Genesis
1:1 In the beginning God created the heaven and the earth. (ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী সৃষ্টি করলো)
1:2 And the earth was without form, and void; and darkness was upon the face of the deep. And the Spirit of God moved upon the face of the waters.(এবং পৃথিবী ছিল নিরাকার ও শূন্যময়; অতল গহ্ববরের উপর অন্ধকার বিরাজ করত। ঐশ্বরিক এক বায়ু জলরাশির উপর বইত।)
আস্তিক: জানোই তো বাইবেল হিব্রু ভাষায় নাযিল হয়েছিল। এখন ডিকশনারি খুলে দেখতো , “ছিল”র (was) সমার্থক আর কি কি শব্দ আছে? হওয়া বা হয়ে গেল (it came to pass or became) আছে না? ২য় আ্য়াতের সঠিক মানে হবে পৃথিবী হয়ে গেল (became) বিশৃঙ্খল (chaotic) ও খালি (empty)।
নাস্তিক রেগে গিয়ে বললো: তুমি বাইবেল নুতন করে লিখবে নাকি?
আস্তিক: আমি তোমাকে আদি হিব্রু থেকে ২য় আয়াতের মানে দেখাচ্ছি , ইংরাজি অনুবাদ ভুলে যাও। আদি হিব্রুতে নিরাকার ও শূন্যময়ের আরো মানে হয় – বিশৃঙ্খল ও খালি। আরো দেখ , হিব্রু শব্দ “হায়া , তহু আর বোহু” র সঠিক কোন ইংরাজি প্রতিশব্দ নেই।এই সবকিছু এক করলে দেখবা , ১ম ও ২য় আয়াতের মাঝে শত শত কোটি বছরের ব্যবধান। বাইবেলে মাঝের এই সময়ের কোন বর্ননা নেই।
১ম আয়াত – ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি করেন। সেটা বিগ ব্যন্গের মতো শুরু হতেই পারে , ঈশ্বর যখন বলেন নি কেমনে তিনি সৃষ্টি করেছেন। ২য় আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী বিশৃঙ্খল ও খালি হওয়ার আগ পর্যন্ত (ঈশ্বরবাদীদের দাবী অনুযায়ি ১০ হাজার বছর পূর্ব পর্যন্ত) মহাবিশ্ব বিজ্ঞানিদের ধারনার সাথে মিল রেখে বিকশিত হয়েছে এবং এ পৃথিবীতে ডারউইনের থিওরী অনুযায়ি জীবণের বিকাশ ঘটেছে।
নাস্তিক: সে না হয় হলো, তা ১০ হাজার বছর পূর্বে পৃথিবী খালি হলো কি করে? যার ফলে ঈশ্বর কে আবার সবকিছু নুতন করে সৃষ্টি করতে হোলো, বাইবেলে যেমন বলা হয়েছে?
আ্স্তিক: সঠিক বলতে পারব না । এর কারন বিজ্ঞানিরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি কিছু ধারনার কথা বলতে পারি। হয়ত প্রকান্ড কোন উল্কাপাত হয়েছিল বা দীর্ঘদিন ধরে বিশাল অগ্নুৎপাত হয়েছিল , যার ফলে সমগ্র পৃথিবী আগুনে পুড়ে যায় ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠে না পৌছার ফলে তৃণ , গাছপালা সব মরে যায়। ফলশ্রুতিতে সকল জীব মারা যায় খাদ্যের অভাবে। সূর্যের তাঁপের অভাবে শুরু হয় বরফ যুগ। সমস্ত পৃথিবী বরফে ঢেকে নিরাকার ও খালি হয়ে যায়। সমুদ্রের গভীরে কিছু মাছ জাতীয় প্রাণী বেচে থাকতে পারে। কিছু কিছু প্রমানের কথা শুনতে পাই , সত্যি মিথ্যা জানি না। ম্যমথের গনকবর পাওয়া গেছে , তারা নাকি হটাৎ বরফে জমে ঘাস খেতে খেতে মারা গেছে , মুখে নাকি ঘাস ছিল। এটা নাকি ঘটেছিল আনুমানিক ১০ হাজার বছর আগে। একই সময়কার টক্সিক ভলকানিক ডাস্ট নাকি পাওয়া যায় , যা পুরো পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছিল।
নাস্তিক: হুম ! এ পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে , কিন্তু বাইবেলে পরে যা বলা হয়েছে , তা তো বিশ্বাসযোগ্য না।
আস্তিক: সন্ধ্যা হয়ে গেছে । মাগরেবের নামাজ পড়বো। আজ বাড়ি যাও। আরেকদিন বাকিগুলো নিয়ে আলাপ করব।
আদম কোথায় সৃষ্টি হয়েছিলেন – বেহেশ্তে নাকি পৃথিবীতে?
বিবর্তনবাদ সত্য নাকি মিথ্যা এটা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। কোরানে বিবর্তন নিয়ে সরাসরি কোন আয়াত ও নেই। কোরানেই বলা আছে সৃষ্টি বা সৃষ্টি প্রক্রিয়ার কোন সাক্ষী ও নেই। তা সত্বেও মুসলমান ভাইয়েরা বিবর্তনবাদের বিরোধিতা করে কোরান বিরোধীদের হাতে কোরানের বিরুদ্ধে প্রচারনার সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছেন। অন্যথায় কোরান বিবর্তনবাদ তথা বিজ্ঞান বিরোধী , এ প্রচারনা ধোঁপে টিকত না।
অনেক মুসলমানের মনেই এমন প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক , যেহেতু আদম ও হাওয়ার সৃষ্টি ও জীবনের প্রথমাংশ বেহেশ্তেই ঘটেছে , তাই বিবর্তনের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির দাবী কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক। আসলেই কি তাই?
২০:১২০ “অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?”
‘Oh Adam! Shall I lead you to the Tree of Eternal Life, and to a kingdom of that will never decay?'” (20:120)
আমরা জানি বেহেশ্তে রোগ শোক নেই , বয়োবৃদ্ধ বা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না বা মৃত্যুও হয় না। তাহলে শয়তান যে আদমকে অমর ও অবিনশ্বর (বয়োবৃদ্ধ বা ক্ষয়প্রাপ্ত না হওয়া) হওয়ার লোভ দেখালো , তাতে তো আদমের ভোলার কথা নয়। এর একটিই অর্থ হয় যে আদম জানতেন , তিনি মৃত্যুবরন করবেন এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হবেন , যেটা কেবল এই পৃথিবীতে জন্ম নিলেই সম্ভব। তারা যদি বেহেশ্তেই থাকবেন , তাহলে তো তাদের কোন ফল খাওয়ার দরকার নেই কারন তারা তখনি অমর ও অবিনশ্বর ছিলেন। বেহেশ্তের চেয়ে ভালো কোন রাজত্ব কি হতে পারে? তাহলে শয়তান কোন রাজত্বের কথা বল্লো? সুতরাং পরোক্ষভাবে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে , আদম ও হাওয়ার সৃষ্টি ও জীবনের প্রথমাংশ এই পৃথিবীতেই ঘটেছে , তাহলেই কেবল আরো ভালো রাজত্বের (বেহেশ্তের) লোভ দেখানো সম্ভব।
২০:১১৯ “এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌদ্রেও কষ্ট পাবে না।”
and thou shalt not thirst here or suffer from the heat of the sun.’ (20:119)
এর অর্থ দাড়ায় , আদম ও হাওয়া যেখানে বাস করতেন সেখানে রোদ ছিল , সূর্য ছিল। সূর্য একটাই এবং এই সৌরজগতে আমাদের এই পৃথিবী ছাড়া আর কোন বসবাসযোগ্য গ্রহ বা স্থান যেহেতু নেই , আমরা আবারো এই উপসংহারে আসতে পারি যে , আদম ও হাওয়ার সৃষ্টি ও জীবনের প্রথমাংশ এই পৃথিবীতেই ঘটেছে।
মুসলমানেরা বিশ্বাস করে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদমের পাজড়াকাঠি থেকে। তাহলে তো বিবর্তনবাদের সাথে একে মেলানো সম্ভব না। কোরানের কোথাও কি একথা বলা আছে?
পরের পর্বে…
@ফারুক,
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
তবে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম , নিবন্ধটি ভালমতো না পড়েই মন্তব্য করেছেন। বিবর্তনবাদ ছাড়াও নিবন্ধের মধ্যে অন্য গুরুতর অভিযোগ আছে যা অন্যান্য পাঠকের দৃষ্টি কেড়েছে কিন্তু আপনার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়নি বলে নিজেকে হতভাগ্য মনে হচ্ছে এবং একই সাথে আপনার সম্পর্কে যে ধারনা সৃষ্টি হয়েছে তা হলো- আপনি নিজে যা বলেন বা লেখেন তার চাইতে গুরুত্বপূর্ন লেখা এ দুনিয়াতে আর কেউ লেখে না বা লেখেনি। যাহোক, কোরানের বানী সুষ্পষ্ট ভাবে বলছে- আদম হাওয়াকে বেহেস্তে সৃষ্টি করা হয়েছে আর তাই আল্লাহ ফেরেস্তাদেরকে বলছেন আদমকে সেজদা দিতে। এ ঘটনাটা নিশ্চয়ই বেহেস্তের ঘটনা কারন আল্লাহ বা ফেরেস্তারা সব তো বেহেস্তেই থাকে । আর মাটি দিয়ে আদমকে তৈরী করেছেন বলে বার বার ঘোষণা করছে এর অর্থ এটা নয় যে কোটি কোটি বছর বিবর্তনের মাধ্যমে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন। এমন কি কোরান পড়ে এটাও বোঝার কোন কায়দা নেই যে আদমকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল নাকি দুনিয়ার তাবদ জীবকুলকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল।সব কিছু অস্পষ্ট।এধরনের অস্পষ্টতা বাইবেলের আদিপুস্তকে নেই। বাইবেলের লিংক দেয়া আছে কষ্ট করে একটু খুলে দেখেন তাহলে সেটা বুঝবেন। তাই আমি মন্তব্য করেছিলাম – বাইবেলের কাহিনীকে নিজের মত সাজাতে গিয়ে মোহাম্মদ কতিপয় ভুল করে ফেলেছেন আর গোটা কাহিনীটার ভিত্তি খুব দুর্বল হয়ে গেছে। আপনি ভাল করে কোরান পড়লে নিজেরই সেটা বোঝার কথা। পক্ষান্তরে বাইবেলের কাহিনীর ভিত্তি খুব শক্ত,সেখানে অসংলগ্ন কথা বার্তা কম অন্তত এ আদম হাওয়া কিচ্ছার ব্যপারে। তার পরেও একটা উদাহরন দেই- আল্লাহ বলছেন-
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেস্তাদিগকে বললেন, আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেস্তারা বলল. তুমি কি পৃথিবীতে এমন একজনকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধাবে আর রক্তপাত ঘটাবে ? সূরা: বাক্কারা, ০২:৩০
তার মানে আল্লাহ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদমকে তিনি পৃথিবীতেই পাঠাবেন, তাহলে পরবর্তীতে আদমের বেহেস্তে বসবাস, নিষিদ্ধ ফল খাওয়া, ইবলিশকে শত্রু বানানো ইত্যাদি কি ফালতু কথা বলে মনে হয় না ?
এ ব্যপারে দেখি আপনার কোনই মন্তব্য নেই। কেন ?
আপনি কতিপয় ভাসা ভাসা অস্পষ্ট আয়াত উদ্ধৃত করে কোরানে বিবর্তনবাদের কিচ্ছা ফেদে বসে আছেন।
আপনার কায়দা অনুসরন করলে- বাংলাদেশে যে কোন মদ খেয়ে মাতাল লোকের আবোল তাবোল কথার মধ্যেও বিবর্তনবাদ কেন ,আপেক্ষিক তত্ত্ব, বিগ ব্যাঙ সব কিছুর খোজ পাওয়া যেতে পারে।
যেমন, এক মাতাল অন্য এক মাতালকে বলছে- আবে শালা, সব কিছু ঘুরছে কেন ? আমি কি ঘুরছি , নাকি সব কিছু ঘুরছে?
অন্য মাতাল উত্তর দেয়- আবে শালা, তুই ও ঘুরছিস , অন্য সবাইও ঘুরছে। সব কিছু ঘুরেই মরছে, হা হা হা —-
উপরোক্ত কথোপথন থেকে ব্যখ্যা করে বের করা যায়- আইনষ্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব, নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র, প্রসরমান মহাবিশ্ব এমন কি বিগ ব্যাঙ পর্যন্ত। কি ফারুক ভাই বের করব নাকি আপনার কায়দা অনুযায়ী ?
আপনি লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাস এদের কবিতা গানের মধ্যে দুনিয়ার সব বিজ্ঞানের সূত্র বা জ্ঞান আবিষ্কার করতে পারেন। এমনকি পারেন ভবিষ্যতে মানুষ কি পারবে তার ভবিষ্যদ্বানী করতে।
@ভবঘুরে, বিবর্তনবাদ আপনার পোস্টের শিরোনাম , সেই ভেবেই বিবর্তন নিয়ে উত্তর দেয়া। বাকিটা তো আপনার ভাষায় কেচ্ছা। কেচ্ছার আর কি উত্তর দেব?
বুঝলাম আসলেই আপনার মাথা ঘুরছে। আল্লাহ আর ফেরেস্তারা বেহেস্তে থাকেন, এই তথ্য কোথায় পেলেন? আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়,কিন্তুআপনি সবকিছুতেই মদের আসর খুজে পেলে , কিছু বলে লাভ আছে কি?
কিছু বিজ্ঞানের সূত্র বা জ্ঞান আবিষ্কার করে দেখান না, আমরা দেখি। কয়েকটি ভবিষ্যদ্বানী করুন , আমরা দেখি খাটে কিনা।
@ফারুক,
আমরা তো এতদিন জেনে এসেছি আল্লাহ থাকেন সাত আসমানের ওপর তার
আরশে আর কোটি কোটি ফেরেস্তা সাত আসমান জুড়ে সব জায়গাতে থাকে। যদি এটা ভুল জানা হয়,দয়া করে আমাদেরকে সংশোধন করে আসল তথ্য জ্ঞাত করালে বাধিত হব। অবশ্য আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আল্লাহ আমাদেরই চারপাশে কোথাও ঘাপটি মেরে বসে আছে আর ফেরেস্তারা সব আকাশে ওড়া উড়ি করে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু একটা প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। আপনিও ঠিক মোহাম্মদের কায়দা ধরেছেন। সেটা কেমন জানেন ? একবার কয়জন ইহুদি এসে মোহাম্মদকে তাদের সামনে কয়েকজন ফেরেস্তাকে হাজির করতে বলল আর বলল যদি তা তিনি পারেন তাহলে তারা মোহাম্মদকে নবী হিসাবে স্বীকার করে নেবে।
আল্লাহর নবী , যিনি নুরের তৈরী, যার সৃষ্টি না হলে আল্লাহ নাকি গোটা বিশ্বই সৃষ্টি করতেন না, দারুন একটা উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন- ফেরেস্তাদেরকে হাজির করলেও তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে না, আর বিশ্বাস না করলে আল্লাহ প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে গোটা দুনিয়াতে কেয়ামত ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেবেন। তাই আমি তোমাদেরকে কোন ফেরেস্তা দেখাবো না , কারন দুনিয়া ধ্বংশ হয়ে যাক তা আমি চাই না। আসলেই মোহাম্মদ দারুন বুদ্ধিমান ছিলেন এটা কিন্ত আমরা এক বাক্যে স্বীকার করি। তবে তার কায়দা সেই অসভ্য আরবদের কাছে ১৪০০ বছর আগে কাজ দিলেও এখন এই বিংশ শতাব্দীতে খুব বেশী কাজ দেবে বলে মনে হয় না। বরং সেক্ষেত্রে এধরনের মানুষকে সোজা পাবনার হেমায়েতপুর পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যেতে পারে।
@ভবঘুরে, আপনি একটি একটি করে প্রশ্ন করুন। দেখি কত্টুকু উত্তর দিতে পারি।
@ফারুক,
ঠিক আছে আমি কিছু প্রশ্ন করি , উত্তর দেন দেখি-
১। আদমকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল?
২। হাওয়াকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল?
৩। আদম হাওয়ার মধ্যে কাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল ?
৪। আদম হাওয়াকে কোথায় সৃষ্টি করা হয়েছিল, পৃথিবীতে নাকি বেহেস্তে?
৫। আদমকে পৃথিবীতে বসবাসের জন্য আগেই আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে শয়তান দিয়ে এত ভনিতা করার কি দরকার ছিল ?
৬। ফেরেস্তারা জানল কেমনে যে মানুষ দুনিয়াতে দাঙ্গা ফ্যাসাদ আর রক্তপাত করবে ?
৭। আদম হাওয়ার কি বিয়ে হয়েছিল যখন তারা বেহেস্তে বাস করত ?
৮। ফেরেস্তারা কোথায় থাকে?
৯। আল্লাহ কোথায় থাকে ?
১০। আদম হাওয়াকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল নাকি দুনিয়ার জীবজন্তুকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল ?
১১। দুনিয়ার যাবতীয় জীব জন্তুকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় কেমন সময় লেগেছিল ?
১২। পৃথিবীকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
১৩। পৃথিবীকে আগে নাকি সূর্যকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল ?
১৪। আকাশমন্ডলী বিষয়টা কি ?
১৫। বেহেস্ত কি এ মহাবিশ্বর মধ্যেই অবস্থিত নাকি মহাবিশ্বের বাইরে অবস্থিত?
১৬। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে তো ডানা ব্যবহার করে ওড়া সম্ভব নয়। তাহলে বেহেস্ত থেকে ডানায় ভর করে ফেরেস্তারা দুনিয়ায় আসত বা আসে কেমনে ?
আপাতত এ প্রশ্ন গুলোই করলাম। কোরানের আয়াত উল্লেখ করে এর উত্তর দেবেন প্লিজ। তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে সারা ইসলামী দুনিয়াতে স্বীকৃত পন্ডিতদের রেফারেন্স দিবেন প্লিজ। যার তার বা স্বঘোষিত পন্ডিতদের অনুবাদ রেফারেন্স হিসাবে গ্রহনযোগ্য নয়।
@ভবঘুরে,
@ভবঘুরে,আপনি নিশ্চয় আমার ধারনা জানতে চান না বা আমার বানানো গল্প শুনতে চান না। কারন আমার ধারনা বা বানানো গল্পের যেমন কোন মূল্য নেই , তেমনি আপনার বা প্রতিষ্ঠিত ইমাম ওলামাদের ধারনা বা বানানো গল্পের ও কোন মূল্য নেই। সত্যের মাপকাঠি থাকা দরকার। আমার জন্য সত্যের মাপকাঠি হলো কোরান। আপনার জন্য সেটা কি , আমি জানি না। সেকারনে আমার উত্তর আপনার কাছে উদ্ভট বা মাতালের প্রলাপ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবুও প্রশ্ন যখন করেছেন , কোরানের আলোকে উত্তরগুলো নিম্নরুপ-
১) আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে in different stages. এখন আপনি যদি detail process (কিভাবে) জানতে চান , তবে সেটার বর্ননা কোরানে পাবেন না।
২) কোরানে হাওয়া নামে কেউ নেই।
৩)কোরানের কোথাও কিন্তু বলা নেই , কাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে? আদমকে নাকি হাওয়াকে?
4:1 O mankind, be aware of your Lord who has created you from one soul (نفس) and He created from it its mate and sent forth from it many men and women;
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (ভুল অনুবাদ। আত্মা হবে। نفس মনে আত্মা) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গী(নী)কে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী।
নাফ্স স্ত্রীলিঙ্গ। তাই সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা কাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে , আদমকে নাকি হাওয়াকে। কোরানে বলা হয়েছে সঙ্গী(নী)কে প্রথম নাফ্স থেকে সৃষ্টিকরা হয়েছে কিন্তু কি প্রক্রিয়ায় (পাজড়াকাঠি থেকে কিনা) তৈরি করা হয়েছে , তা কিন্তু বলা হয়নি।
৪)আদম হাওয়াকে কোথায় সৃষ্টি করা হয়েছিল , তার বর্ননা কোরানে নেই।
৫) এই কেন’র উত্তর কোরানে নেই। আল্লাহ ভনিতা করেছিলেন নাকি করেন নি , তা আল্লাহ-ই ভাল জানেন।
৬)এর উত্তর ও কোরানে নেই। আমরা শুধু guess করতে পারি। আনাসকে দেয়া উত্তরটা দেখতে পারেন।
৭) কোরানে এব্যাপারে কোন তথ্য নেই।
৮) ফেরেস্তারা পৃথিবী ও মহাশুন্য , সকল জায়গায় তাদের বিচরন।
৯) আল্লাহ সর্বব্যাপী।
১০-১৩) কোরানে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর নেই।
১৪)আকাশমন্ডলী বলতে আমি বুঝি galaxies. কারো কারো মতে our universe is the innermost of the 7 universes.
১৫) বেহেস্ত এখনো তৈরি হয় নি।
১৬) ফেরেস্তারা ঠিক কি প্রক্রিয়ায় চলাফেরা করে তার বর্ননা কোরানে নেই।
@ফারুক,
\
তাহলে দেখলেন কোন প্রশ্নের ই ঠিক উত্তর দিতে পারলেন না বলা বাহুল্য কোন উত্তরই আপনি দিতে পারেন নি। আপনার কোরান মূলত কিছুই বলে নি , ভাসা ভাসা অস্পষ্ট কিছু কথা আছে যা আপনারা ইচ্ছা মত ব্যখ্যা করে তার থেকে যাবতীয় বিজ্ঞান আবিষ্কার করছেন। আবার আপনারা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন। অথচ আবার আপনারাই দাবী করেন – কোরান হলো সুষ্পষ্ট গ্রন্থ, সবকিছু আছে পরিষ্কার , A complete code of life. এবার তো দেখলেন A complete code of life- এর অবস্থা কি ? যা পড়ে নানা জনে নানা ব্যখ্যা করে। আমার অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তরে আপনি বলেছেন কোরানে ওসব বিষয়ে কিছুই বলেনি । তাহলে শেষ প্রশ্ন – কোরান বলেছে টা কি ?
আপনি কতকগুলো মনগড়া আর ভুল তথ্য দিলেন আবারও –
কোরানে কোথাও বলেনি in different stages এ আদমকে তৈরী করেছে , এটা আপনাদের ইদানিংকার আবিষ্কার বিবর্তনবাদের সত্যতার কারনে। আপনাদের বক্তব্য সত্যি হলে- আদম নয়, কোরান পৃথিবীতে একেবারে শুরুতে কিভাবে জীব জগতের উদ্ভব হলো সে বিষয়ে কিছু বলত। আর তাহলেই সেটাই হতো বিবর্তনবাদের পক্ষে একটা ইঙ্গিত।
হাওয়া নামে কেউ না থাকলেও নারীর কথা তো বলা আছে। তো নারীকে কিভাবে সৃষ্টি করল ?
এখানে তার বলতে কাকে বুঝাচ্ছে? নিশ্চয়ই আদম, তাই না ?এখানেই তো বলা আছে আদমের থেকে তার সঙ্গীনিকে সৃষ্টি করেছে। তার মানে আগে আদমকে সৃষ্টি করেছে, তার পর তার সঙ্গীনি- এটাই তো বোঝায়। আপনি এখন এটা স্বীকার করলে তা বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে যাবে বলেই এ চালটা চেলেছেন। আপনাদের জন্য সত্যি করুনা হয়। বিশ্বাসের দাসত্ব মানুষ অনেকসয় না বুঝে করে , কিন্তু জেনে বুঝে যারা সেটা করে তারা সমাজের জন্য সত্যিই খুব ক্ষতিকর।
আর অন্য সব প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন তার উত্তর কোরানে নেই। তার অর্থ কোরান এ বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি। তথ্য না দিলেও আপনারা কিন্তু নানা ব্যখ্যা করে তা কোরানের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন অহরহ আর চ্যলেঞ্জ জানাচ্ছেন- কোরানে আছে সব প্রশ্নের উত্তর। এখন আপনি স্বীকার করলেন কতিপয় মৌলিক বিষয়ের উত্তরই কিন্তু কোরানে নেই। এর মানে ভেবে বসবেন না যে আমি কোরানের মধ্যে নিউটনের সূত্র, আইনষ্টাইনের সূত্র ইত্যাদির উল্লেখ থাকার দাবী করছি । আমি দাবী করছি – অন্তত যেসব ঘটনা বা মানুষের কথা বলেছে তাদের সম্পর্কে সুষ্পষ্ট তথ্য দেয়া কোরানের দরকার ছিল। তাহলে আজকে আমরা কোরান নিয়ে এত সন্দেহ করতাম না । যেমন – আদম , তার নারী, ইত্যাদি এদের কোথায় সৃষ্টি করল, কিভাবে সৃষ্টি করল , কতদিনে সৃষ্টি করল এসব আরকি। এসব কিছুই কোরানে উল্লেখ না থাকাতে আপনি ইচ্ছা মত ব্যখ্যা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনার ব্যখ্যা সঠিক আর আমাদের ব্যখ্যা বেঠিক সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত কিভাবে যেখানে কোরানে এ বিষয়ে কিছুই বলেনি ?
আপনি বোঝেন কি সেটা আমি জানতে চাইনি । কোরান কি বলে সেটা জানতে চাইছি। আর আকাশমন্ডলী বলতে কোরান মোটেও galaxies বুঝায় না । তা যদি বুঝাতো – আল্লাহ আকাশের টুকরো কাফিরদের মাথার ওপর ফেলে তাদের শাস্তি দেয়ার কথা ভাবতেন না । অথবা সিড়ি বেয়ে আকাশে ওঠার কথা কোরানে বলত না। আকাশমন্ডলী বলতে কোরানে বোঝায়- দালানের ছাদের মত একটা বিশাল জিনিস , যার সাতটা ছাদ আছে একের পর এক। কোরান ভাল করে পড়ুন বুঝতে পারবেন।
এটাই সবচাইতে আজব কথা বলেছেন। তাহলে মিরাজের সময় মোহাম্মদ যে বেহেস্ত দোজখ সব জায়গায় ঘুরে আসলেন , আল্লাহর আরশে গিয়ে তার সাথে খোশ গল্প করে নামাজ পড়া, রোজা রাখা ইত্যাদির কথা জেনে আসলেন এসব কি তাহলে মোহাম্মদের বানানো গল্প নাকি ?
আপনাকে কোরান আরও ভাল করে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি, আর সাথে পারলে বিজ্ঞানের ভৌতবিধি সম্পর্কে আর একটু জানার জন্য অনুরোধ করছি। তা না হলে আপনার সাথে আলোচনা চালানো অনেকটা নিজের ধৈর্য পরীক্ষার কসরত হয়ে যায় , প্লিজ মাইন্ড করিয়েন না কথাগুলো শুনে।
@ভবঘুরে,আমিতো আপনাকে আগেই বলেছি , বিতর্কের একটা ভিত্তি দরকার। যে কোন আলোচনায় বিষয় কেন্দ্রিক একটা definition থাকার প্রয়োজন হয়। না হলে যার যা ইচ্ছা তাই infinitely বলে যেতে পারেন।
আমি কোরানের উপরে ভিত্তি করে উত্তর দিচ্ছি , আর আপনি রুপকথা গল্পকথার উপরে ভিত্তি করে সেগুলোকে নাকচ করছেন। আমি ও আপনার সাথে এই মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের কোন মানে দেখছিনা।
ভাল থাকুন, আর জানার ইচ্ছা থাকলে কোরান পড়ুন।
@ফারুক,
দেখুন ভাই আমি কোরান মোতাবেক আদম আর তার নারী সম্পর্কে জানতে চাই, কিন্তু আপনি বলছেন জানেন না , কোরানে তা কিছু বলে নি। তাহলে এখন আদম হাওয়া সম্পর্কে জানার উপায় টা একটু বাতলে দেবেন ? বিবর্তনের সাথে আদম আর তার নারী সঙ্গী অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। কারন আদম আর তার নারী সঙ্গী , বিবর্তন বাদের সংগে মেলে না , আর আপনিও কোরান থেকে তাদের সম্পর্কে বেশী কিছু জানাতে পারছেন না । তাহলে সীমাবদ্ধতা আপনার নাকি আমার ? আদম কিন্তু কোরানের কোন সাদা মাটা চরিত্র না, আদম আমাদের আদি পিতা , আর তার সম্পর্কে আল্লাহর বানীতে একটা পূর্নাঙ্গ তথ্য থাকতেই হবে , কিন্তু নেই , তার মানে কি আল্লাহ আদম সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না ?
@ভবঘুরে, দেখুন ভাই কোরান এনসাইক্লোপেডিয়া নয়। কোরান হলো মুত্তাকিনদের গাইড বই। সে কারনে সকল প্রশ্নের উত্তর কোরানে আশা করা বোকামী।
@ফারুক,
আপনার ঝুক্তি হল, অনেক গুলো লোক কোনো গ্রন্থকে ঐশী বললেই তা ঐশী হয়ে যায়। আর আপনার একে ঐশী বলে মনে হয় বলেই তা ঐশী। কোরানের অলৌকিকতা যদি এভাবে প্রমাণ করতে চান তবে আর বিতর্ক কেন? নিচের আয়াতটা দেখুন
# আমি নূহ্ কে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে তাদের নিকট অবস্থান করেছিলো পঞ্চাশ কম হাজার বছর।(২৯ : ১৪)
অর্থাৎ নূহ ৯৫০ বৎসরের বেশি সময় বেচেছিলেন।
বাহ!! এই হল কোরানীয় বিবর্তনের নমুনা।
@সৈকত চৌধুরী,কোরানে কি এমন কোন দাবী করা হইয়াছে যে, বিবর্তনের নমুনা হলো “নূহ ৯৫০ বৎসরের বেশি সময় বেচেছিলেন” ? নূহ ৯৫০ বছর বাচেনি , এমন কোন প্রমান কি আপনার হাতে আছে?
বাহ!! কি অসাধারন যুক্তি!!
@ফারুক,
কিন্তু নুহ যে ৯৫০ বছর বেচেছিল তার ভিত্তি টা কি ?
@ভবঘুরে, কেন সৈকত চৌধুরীর মন্তব্য পড়েন নি? উনিতো ভিত্তির কথা বলেছেন।
@ফারুক,
তবে কি আমাদের কোরান এর সব বানী এবং উদ্ধৃতি চোখ কান বন্ধ করে মেনে নিতে হবে? বিশ্বাস করতে হবে কোনো প্রশ্ন না করেই? আল্লাহ যদি কোরান দিয়ে ই থাকেন তবে এত ঘোলাটে কেন ব্যাপার গুলো? উনি না সর্ব শক্তিমান?
বিজ্ঞান বা বিবর্তন এর স্বাভাবিক বুদ্ধির ব্যাপার টা দিয়ে বিবেচনা করলে ও জিনিস টা মানা কঠিন। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার কথা তো বাদ ই দিলাম।
@অজ্ঞেয়বাদী,
না , কোরান সেকথা বলে না।
17:36 You shall not accept any information, unless you verify it for yourself. I have given you the hearing, the eyesight, and the brain, and you are responsible for using them.
@ফারুক,
কিন্তু প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুজতে কোথায় যাব? কেন এত কনফিউশন? আল্লাহ সর্বশক্তিমান হলে উনি আমাদের জন্য এত প্রশ্ন এবং দ্বিধা কেন রেখেছেন? তাই তো বলি রে ভাই, এত সব চিন্তা না করে মানব ধর্ম টা পালন করলেই হয়…
@ভবঘুরে,
ফারুক ভাইকে উত্তর দেবার ধৈর্য্য দেখে বেশ লাগল। উনি নিজেও জানেন যে শাবির আহমেদ এবং আসাদের বাইরে তার অনুবাদের জোড় নেই। তারপরেও তিনি আপনাকে প্রশ্ন করেন যে আল্লাহ ও তার ফেরেশ্তা কই এর তথ্য আপনি কিভাবে পেলেন! আমার মনে হয় আল্লাহ আর ফেরেশতারা মানুষ আসার আগে পৃথিবীতেই বাস করত। তারপর ফেরেশতারা যেমন ভবিষ্যত বানী করেছিলেন। মানুষের দাঙ্গা হাঙ্গামায় বিরক্ত আল্লাহ তার দলবল নিয়ে সাত আসমানের উপরে চলে গেসেন। মাঝখান দিয়া শয়তান যাইতে পারে নাই। তারে ভাগানোর জন্যে মিসাইল বানায় রাইখা গেসেনতো। হাজারহোক ঐখানে আর অশান্তি চাননা।
@আনাস, কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী মানুষের জান কবচ করতে ও প্রতিটি মানুষের কর্মযজ্ঞের বিবরন লিখতে অসংখ্য ফেরেস্তার এই পৃথিবীতে থাকা লাগে। সুতরাং ভবঘুরের “এ ঘটনাটা নিশ্চয়ই বেহেস্তের ঘটনা কারন আল্লাহ বা ফেরেস্তারা সব তো বেহেস্তেই থাকে ” এই দাবী ভুল।
দেখুন , কোরানের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের যতটুকু তথ্য দিয়েছেন , সেটুকুর ব্যাপারেই কেবল নিশ্চয়তা দেয়া যায়। বাকিটা আমরা শুধু অনুমান বা educated guess করতে পারি , যা সত্য মিথ্যা উভয়-ই হতে পারে।
ব্লগে একটি লেখা পড়লাম বাশার সাহেবের। ওনার বক্তব্যে যুক্তি আছে।
পড়ে দেখতে পারেন।
@ফারুক,
আপনার সাথে কোন যুক্তিটুক্তি আর যাব না। আমার আগের পোস্টে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি যে আপনি কত জায়গায় ভুল করেছেন এবং ভুল করে চলেছেন। কুরানের অর্থ পেতে আপনি শুধুমাত্র সিলেক্টেড কিছু অনুবাদকের সাহায্য নেন। তারপর নিজের মত করে বলে যান। আর অন্য কারো তথ্য, এবং আরো যে জ্ঞান আছে। সেসবকে আপনি অবজ্ঞা করেন। কুরান যেন অলৌকিক ভাবেই অনুবাদ হয়ে গেছে। আবার যখন লাগে, তখন ঠিকই ইসলামী ইতিহাস ইত্যাদি টেনে আনেন। যেমনটি উপরে আপনি করেছেন। আপনার এরকম উন্নাসিক ভাব না থাকলে এ কথা যখন বলেছেন যে ফেরেশ্তারা পৃথিবীতে আসে, তখনি বুঝতে পারতেন যে কুরানে ঘাপলা আছে। কারন ফেরেশ্তাদের আল্লাহ তায়ালা পাঙ্খা লাগায় দিসেন উড়ার জন্যে। আজকে আমরা জানি পাখা কিভাবে কাজ করে এবং কোথায় কাজ করে। ফেরেশ্তারা মহাকাশে পাখা দিয়া উড়ে এটা যদি বিশ্বাস করতে হয়। তাহলে সান্টা ক্লজের রেইন ডিয়ারও যে উড়ে তা বিশ্বাস করতে অসুবিধা নাই। যাক গিয়া। আপনারে বলি, কিছু পড়াশুনা করে মানুষকে উত্তর দেন। বার বার নাবালকদের মতন ভুল দেখায় দিতে ভাল লাগেনা। বড় হইসেন না?
@আনাস,
যাক বাচালেন। এতদিন আপনি যুক্তি দিচ্ছিলেন নাকি দাবী করছিলেন , সেটাই ধরতে পারছিলাম না।
কোন অনুবাদকের সাহায্য নিলাম , সেটা বড় কথা নয়। অনুবাদ সঠিক কিনা , এটা দেখা দরকার।
ফেরেশ্তারা পৃথিবীতে আসার সাথে কোরানের ঘাপলার সম্পর্ক এখনো মাথায় ঢুকল না। আপনারা জ্ঞানী মানুষ কেমনে কি যুক্তি দেখান , কিছুই তো বুঝি না।
@ফারুক,
আপনার দেয়া অনুবাদগুল যে অনুবাদকের ম্যানিপুলেশন এবং ভুল অনুবাদ। তার প্রমাণ আমার আগের পোস্টে দিয়েছি। এখন আমি যুক্তি দিয়েছি না দাবী করেছি সেটা বুঝানোর জন্যে একটা গল্প বলি। আমার এক ছাত্র ২=১ প্রমান করল। তাকে বললাম কিভাবে তুমি এটা করলা? তখন সে বলল। ২ক=১ক উভয় পাশ থেকে ক কাটা। ২=১। আমি বললাম। না হয়নি। তোমার এটা ভুল। কারন = চিহ্ন এর মানে হচ্ছে উভয় পাশে মান সমান হবে। ক এর মান বের করে বসিয়ে দেখলেই এটা তুমি বুঝতে পারবে। তখন ও আমাকে জিজ্ঞাসা করল ২=১ যে নয়। এর পক্ষে আপনার যুক্তি কি? আপনি কি যুক্তি দেখালেন নাকি দাবী করলেন?
@আনাস,
আপনার গল্পটি , আপনার এই দাবী প্রমানে যতার্থ।
@ফারুক,
আপনি কি করে বুঝলেন যে যে অনুবাদকের সাহায্য আপনি নিচ্ছেন সেটা সঠিক? আপনি কি এই ব্যাপারটা নিজেই বুঝতে পারলেন নাকি অন্য কেউ আপনাকে রিকমেন্ড করেছে?
আপনি যদি নিজেই বুঝতে পারেন তা হলে কোন কথা নাই, আর যদি অন্য কেঊ রিকমেন্ড করে থাকে তা হলে দুইখান কথা আছে। আপনি কি করে বুঝলেন যে অন্য কেউ আপনাকে সঠিক অনুবাদটি রিকমেন্ড করছে? 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
আল্লাহ আমি সহ সকলকেই জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করি নিজের জ্ঞান বুদ্ধির উপরে নির্ভর করতে। যে অনুবাদ আমার ভাল লাগে , সেটাই গ্রহন করি। আমি আরবি কিছুটা শিখেছি , তাই নিজের স্বীদ্ধান্ত নিতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
ফেরেশতা নগরের তৈরী। they travel as light, not dependent on air or wing.
@ফারুক,
আপনি যে মানসিকভাবে সুস্থ তার একটা সার্টিফিকেট কি দেখাতে পারবেন? না না আপনাকে কোন ভাবেই অসম্মানের জন্য বলছি না, শুধুমাত্র যার সাথে কথা বলছি সে কি মানসিক ভাবে প্রকৃতস্থ নাকি তা জেনে নিতাম আরকি। অন্য কিছু নয় 😀
@সাইফুল ইসলাম, কিছু মনে করবেন না , আপনার মন্তব্য পড়ে এক গল্প মনে পড়ল। মোনায়েম খান হেমায়েতপুর মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে এক পাগল তাকে জিজ্ঞাসা করল-
“তোমার নাম কি?”
“আমার নাম মোনায়েম খান। আমি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।”
পাগল- “হুম, এখানে আসলে সকলেই এই একি পরিচয় দেয়।”
চোর যেমন ভাবে , বাকি সকলেই চোর। তেমনি মানসিক রোগী ও ভাবে দুনিয়াশুদ্ধ সকলেই মানসিক রোগী।
@ফারুক,
আপনার উপরোক্ত কথাগুলো একটা উদ্ভট যুক্তি। যদিও আদম হাওয়ার বিষয়টা একটা পৌরানিক কিচ্ছা ছাড়া আর কিছুই নয়, এ নিয়ে তর্কবিতর্কও তাই অর্থহীন , তার পরেও যুক্তির খাতিরে কথা বলা। সেটা হলো- আদম সৃষ্টি হ্ওয়ার আগেই তো আল্লাহ ফেরেস্তাদের সামনে প্রকাশ করেছিল যে সে পৃথিবীতে তার প্রতিনিধি পাঠাতে চায়। আর সে কথা তো ইবলিশ জানত। পৃথিবীর মাটি নিয়ে এসে যখন আদমকে তৈরী করা হলো তখন তো আর বুঝতে বাকি থাকে না যে আদমকেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন। এখন পৃথিবীতে পাঠানোর আগে আল্লাহ আদমকে বেহেস্তে থাকার অনুমতি দিল, যেখানে অপার সুখ বিরাজ করে, অমর হয়ে থাকা যায়। আদম মোটেও জানত না যে সে মারা যাবে বা রোগ শোকে কাতর হবে। আর আদম এও জানত না যে আল্লাহ পায়তারা করছে তাকে বেহেস্ত থেকে ধাক্কা মেরে দুনিয়াতে ফেলে দিতে। কিন্তু ইবলিশ জানত। আর তাই ইবলিশ আদমকে সেই নিষিদ্ধ ফল খেতে প্ররোচিত করেছিল যাতে করে আল্লাহর ইচ্ছা পূরন তাড়াতাড়ি হয়। ঘটনা বিশ্লেষনে বোঝা যায়, আল্লাহই ইবলিশকে বলেছিল সে যেন মকে নিষিদ্ধ ফল খেতে প্ররোচিত করে যাতে সেই অজুহাতে আদমকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়া যায়।আদম যদি জানত যে আল্লাহ পায়তারা করছে তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দেয়ার, সে কি কোন দিন আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করে নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করত? তাছাড়া আল্লাহ যখন উক্ত ফল খেতে নিষেধ করে তখন তো সাবধান করেনি যে তা খেলে তাকে বেহেস্ত থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। শুধুমাত্র বলেছিল ঐ গাছের ফল খেও না। আদম যদি আল্লাহর মনের দুরভিসন্ধি টের পেত যে সে তাকে বেহেস্ত থেকে তাড়াবার ফন্দি করছে তাহলে সে ঠিকই বুঝে ফেলত যে নিষিদ্ধ ফল খেলে তাকে সেই অজুহাতে বেহেস্ত থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আর ইবলিশও আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক বার বার আদমের কাছে বলত- দেখ আদম, আল্লাহ তোমাকে পৃথিবীর জন্য তৈরী করেছে, পৃথিবী তো খুব কষ্টের জায়গা, তাই তুমি যদি ঐ ফল ভক্ষন কর তাহলে তোমাকে আর দুনিয়াতে যেতে হবে না কষ্টকর জীবন যাপন করতে হবে না। তার মানে পৃথিবী যদি নশ্বর জায়গা হয় বা রোগ শোকের জায়গা হয় তাও আদম সেটা জেনেছিল ইবলিশের কাছ থেকে। নিজে নিজে নয়। কারন সে তো তখনও দুনিয়াতে বাস করেনি। হয়ত আদম ইবলিশের কথা বিশ্বাস করত না তাই সে অন্য ফেরেস্তার কাছে জিজ্ঞেস করেছিল যে ইবলিশ ঠিক কথা বলছে কিনা। আর বলাবাহুল্য সে ফেরেস্তারাও সাক্ষ্য দিত যে ইবলিশ যা বলেছে তা সত্য কারন তারা স্বকর্নে শুনেছে আল্লাহ তাদেরকে বলেছে যে সে আদমকে পৃথিবীর জন্য তৈরী করেছে। এর পর আদম কি ইবলিশের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ ফল না খেয়ে পারে ? আদম কেন যে কোন বোকা লোকও তা বুঝতে পারত পরিস্কার আর ইবলিশের পাল্লায় পরে গন্ধম ফল খেতো। আমি দেখছি সেটা খালি আপনিই বুঝতে পারছেন না। অথবা বুঝতে চাইছেন না। তাই আপনার বক্তব্য সঠিক নয়। আপনি মনগড়া যত সব আজগুবি বক্তব্য দিচ্ছেন ক্রমাগত। তার সোজা অর্থ হলো, আদম পৃথিবীতে তৈরী হয়নি , তাকে বেহেস্তেই পরিপূর্ন মানুষ হিসাবে তৈরী করা হয়েছিল তবে পৃথিবী থেকে মাটি নিয়ে। শুকনো খটখটে মাটি দিয়ে তো আর মুর্তি তৈরী করা যায় না তাই তার সাথে কিছু পানিও ব্যবহার করতে হয়েছে। ,মোহাম্মদ বার বার কোরানে সে কথাই বলেছে । এটাকে কোন ভাবেই রূপক অর্থে গ্রহন করার সুযোগ নেই। সে পৃথিবীর কষ্টকর জীবন সম্পর্কে জানত না, যা জানতে পেরেছিল তা পেরেছিল ইবলিশ ও ফেরেস্তাদের কাছ থেকে। তাই আদম হাওয়া তত্ত্ব সম্পূর্নভাবেই বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। আপনি অষ্পষ্ট কথামালার কোরানের বানীর শত রকম ব্যখ্যা দিলেও তা টিকবে না কারন খোদ কোরানের বর্ননাই বলছে আদম কোন বিবর্তনীয় ফসল নয় কারন তাকে পৃথিবীতে নয় বেহেস্তেই সৃষ্টি করা হয়েছিল আর বেহেস্তে নিশ্চয়ই পৃথিবীর মত বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া চলে না ।
প্রায়ই বিবর্তনবাদ নিয়ে পোস্ট দেখা যায় , যেখানে জেনে হোক আর না জেনেই হোক মুসলমান ভাইয়েরা বিবর্তনবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। আসুন তো দেখা যাক কোরান কি বলে!!
ইসলামের ইতিহাস বলে হাজার বছর আগেই মুসলমান বিজ্ঞানীরা , যেমন ইবনে খালদুন , ইবনে কাথির , ইবনে সীনা , ইবনে আরাবী ও ইখওয়ান স্কুলের চিন্তাধারার অনুসারী বিজ্ঞানীরা ডারউইনের মতোই বিবর্তনবাদের স্বপক্ষে প্রমানসহ একি মত পোষন করতেন। কয়েকশ বছর আগে পর্যন্ত প্রতিটি স্কুল ও মসজিদে বিবর্তনবাদ পড়ানো হতো। কিছু কিছু পশ্চিমারা , এমনকি ডারউইনের সমসাময়িক স্যার উইলিয়াম ড্রেপার ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্বের নামকরন করেছিলেন – মহামেডান থিওরী অফ এভোলুশন। ড্রেপার স্বীকার করেছিলেন যে , মহামেডান থিওরী অফ এভোলুশন ডারউইনের থিওরী অফ এভোলুশনের থেকে উন্নততর , কারন মুসলিম বর্ননা অনুযায়ী বিবর্তন শুরু হয়েছে খনিজ পদার্থ থেকে। মুসলিম বিজ্ঞানিরা তাদের দিগনির্দেশনা কোরান থেকেই নিয়েছিলেন। দেখিতো মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে কোরান কি বলে –
৭:১১”আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি।….”
‘We initiated your creation (khalaqa), and then we shaped you…’ (7:11)
(খালাকা মানে সৃষ্টি করা যেমন হয় , তেমনি বিকশিত হওয়া (evolve) ও হয়।)
দেখুন এই আয়াতে একটি time gap আছে। সৃষ্টি শুরুর পরে ধাপে ধাপে আকার-অবয়ব দেয়া হয়েছে। এমন না যে রেডিমেড মানুষ তৈরী হলো। এই আয়াত নিয়ে যদি একটু গভিরভাবে চিন্তা করি , তাহলে দেখি , মানুষের যখন আকার-অবয়ব দেয়া হচ্ছিল তখন তারা জীবিত ছিল। এটা এই ইঙ্গিত করে যে প্রথম জীবন (first life) কাদামাটি (খনিজ পদার্থ) থেকে শুরু হওয়ার পরে এইযে আকার-অবয়ব দেয়া , এটাই বিবর্তন।
মানুষকে যে একেবারে রেডিমেড তৈরি করা হয়নি , একটা time gap যে ছিল তা কোরানের নিম্নের আয়াতে আরো পরিস্কার।
১৫:২৮,২৯ “আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব। অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।”
‘And lo! Thy Sustainer said unto the angels: “Behold, I am about to khalaq mortal human out of sounding clay, out of dark slim transmuted; (time lapse) and when I have fully formed and breathed into him of My Spirit, fall prostrate before him!”‘ (15:28-29)
মানুষের সৃষ্টি ও সময় নিয়ে আরো একটি আয়াত –
৭৬:১-২”মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।”
“Has there not been an endless time span when humans were not even a thing thought of? Verily, it is We who have khalaqed man out of a drop of sperm intermingled (with the female ovum)…We made him a being endowed with hearing and sight (ie; wisdom and reason).” (76:1-2)
মুসলমান বিবর্তনবাদীদের মতে “উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না” দিয়ে সেই সময়টাকেই বোঝানো হয়েছে , যখন মানুষ অন্য রূপে ছিল।
মানুষ সৃষ্টি যে ধাপে ধাপে করা হয়েছে তার বর্ননা –
৭১:১৪অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন রকমে সৃষ্টি করেছেন।
He has khalaqed you in successive stages.’ (71-14)
৭১:১৭ আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন।
‘And God has caused you to grow out of the earth in (gradual) growth.’ (71-17)
১৮:৩৭তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে?
…will you blaspheme against Him who has khalaqed you out of dust and then out of a drop of sperm and in the end has fashioned you into a human?’ (18:37)
৭৬:২৮আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং মজবুত করেছি তাদের গঠন।
‘It is We who have khalaqed them (time lapse) and strengthened their make…’ (76:28).
৬৪:৩ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি।
‘He…designed you and (time lapse) perfected your design…’ (64:3)
আদম ও হাওয়া কোথায় সৃষ্টি হয়েছিল , বেহেশ্তে নাকি পৃথিবীতে? একারনে বহু মুসলমান মনে হয় বিবর্তনবাদের বিরোধী। পরের পর্বে কোরান থেকে এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
@ফারুক, কোরানের সাথে বিবর্তনবাদ মেলানোর চেষ্টা অর্থহীন। কোন এক অলৌকিক ক্ষমতাবলে কোরানে যদি বিবর্তন সম্পর্কিত আয়াত আবির্ভূত হয়ও, কোরান কিন্তু কখনওই স্বীকার করবে না বানরসুলভ একধরণের প্রাণী থেকে আমরা বিবর্তিত হয়েছি। আপনি সব প্রাণীর বিবর্তন মানবেন কিন্তু মানববিবর্তন মানবেন না, ওসব হবে না।
আপনি বরং আদম-হাওয়ার অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করুন। যুগ যুগ ধরে এতগুলো ধর্ম এক জোড়া প্রথম মানব-মানবীর কিচ্ছা শুনালো কিন্তু এখনও এই দম্পতির স্মৃতিবিজড়িত কোন কিছু পাওয়া গেল না, রহস্যজনক বটে।
@পৃথিবী,
কোরানের সাথে বিবর্তনবাদ মেলানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নেই।
কিন্তু ঐতিহাস দৃষ্টিকোন থেকে ডারুইনেরও প্রায় হাজার বছর আগে একজন অতি প্রতিভাবান মুসলমান বিজ্ঞানী আল জাহিজ ন্যাচারাল সিলেকশনের কাছাকাছি তত্ত্বই দিয়ে গেছিলেন। তিনি ছিলেন মুতাজিলা, খলিফা মামুনের ছত্রছায়ায় জ্ঞান বিজ্ঞানে তার বহু অবদান আছে। সম্ভবত মুতাজিলাদের লোপাট করার ফলে জ্ঞান চর্চার যে অপূরনীয় ক্ষতি হয় তার স্বীকার হয়েছে তার অধিকাংশ কর্ম।
সেই আমলেও তিনি সামাজিক মনস্তত্ব নিয়েও কাজ করেছেন।
@পৃথিবী, আমি কোরানের সাথে বিবর্তনবাদ মেলানোর চেষ্টা করছিনা। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো , কোরানের সাথে বিবর্তনবাদের সংঘাত নেই।
‘বানরসুলভ একধরণের প্রাণী থেকে আমরা বিবর্তিত হইনি’ , একথাও কিন্তু কোরানে বলা নেই। এর অর্থ এই নয় যে কোরান স্বীকার করে নিচ্ছে , বানরসুলভ একধরণের প্রাণী থেকে আমরা বিবর্তিত হয়েছি।
প্রাগৈতিহাসিক সকল মানুষের ফসিল পাওয়া গেলে খুজে দেখা যেত। সেটাতো আর সম্ভব নয় , সেকারনে এই দম্পতির স্মৃতিবিজড়িত কোন কিছু না পাওয়াটাও রহস্যজনক নয়।
@ফারুক,
ভাল কথা বলেছেন।
কোরানের সাথে সংঘর্ষ নেই মানেই কোরানে বিবর্তনবাদ খোঁজা নয়।
@ফারুক,
বানর থেকে মানুষ হয়নি কোরানে লেখা নেই সত্য, তবে মানুষ থেকে বানর হয়েছে, এই কথা কোরানে লেখা আছে। নীচের আয়াতটি দেখুন-
তারপর যখন তারা এগিয়ে যেতে লাগল সে কর্মে যা থেকে তাদের বারণ করা হয়েছিল, তখন আমি নির্দেশ দিলাম যে, তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। (সুরা আল-আরাফ ৭, আয়াত নং ১৬৬)
হজরত মৌলানা মহসিন খান কর্তৃক আয়াতটির তরজমা হল-
So when they exceeded the limits of what they were prohibited, We said to them: “Be you monkeys, despised and rejected.”
আপনার কাছে এবার আমার জিজ্ঞাসা- সেদিন আল্লাহর নির্দেশে যে সকল নর-নারী বানর হয়েছিল, তাদের বর্তমান প্রজন্ম কোথায় আছে এবং সেই বানর গ্রুপের নাম কী?
@আকাশ মালিক,
জানি না। জানতে পারলে আপনাকে জানাব।
@আকাশ মালিক,
কিছু প্রতিবেশী ভাইদের মতে এই প্রজাতির নামই “মুক্তমনা”।
মুক্তমনা বান্দর নামে তো কারা যেন গালিগালাজ করে।
এই জন্যই মনে হয় করে, এবার পরিষ্কার হল।
@আকাশ মালিক,
‘বানর’ শব্দটাকে এখানে রূপক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। 😀
@ফারুক,
সুরা নিসা, শুরু হয়েছে এই ভাবেঃ
হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ভয় করো যিনি তোমাদেরকে একই আত্না থেকে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তার থেকে তার সঙ্গি্নী
সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দুজন থেকে বহু নরনারী ছড়িয়ে দিয়েছেন।
%
@আতিক রাঢ়ী, মুসলমানেরা বিশ্বাস করে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদমের পাজড়াকাঠি থেকে। কোরানে তো আমরা এমন কোন তথ্য পাই না। আমাদের অনেক বিশ্বাসের মতৈ , এটাও ইহুদী খৃষ্টানদের থেকে ধার করা। বাইবেলে এমন তথ্য আছে , কিন্তু কোরানের কোথাও এমন তথ্য নেই। আমি বলছিনা বাইবেলে আছে বলে এটা মিথ্যা। কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী , বাইবেলে অনেক কথাই ঢুকে গেছে , যা মানুষের বানানো কথা। এই কথাটা যে বানানো না , তা কি নিশ্চিতভাবে বলা যায়? না। কোরানে যদি বলা থাকত হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদমের পাজড়াকাঠি থেকে , তাহলে তখন নিশ্চিতভাবে এটা মেনে নিতে আমি সহ সকল মুসলমানের কোন আপত্তি থাকত না।
কোরানের কোথাও কিন্তু বলা নেই , কাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে? আদমকে নাকি হাওয়াকে?
নাফ্স স্ত্রীলিঙ্গ। তাই সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা কাকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে , আদমকে নাকি হাওয়াকে। কোরানে বলা হয়েছে সঙ্গী(নী)কে প্রথম নাফ্স থেকে সৃষ্টিকরা হয়েছে কিন্তু কি প্রক্রিয়ায় (পাজড়াকাঠি থেকে কিনা) তৈরি করা হয়েছে , তা কিন্তু বলা হয়নি।
আদম ও ইভ (হাওয়া) নাম দুটি হিব্রু বাইবেলে আছে। হিব্রু ভাষায় আদমের অর্থ – কালো লোকটি বা মানবজাতি(‘the dark-colored one’ or ‘humankind’ ) এবং ইভ অর্থ – লোকজনের মা (mother of the people)। জানেন কি ইভ বা হাওয়া নামটি কোরানের কোথাও নেই।
বিবর্তনবাদীরা সেই কাজটিই করছে। পৃ্থিবী ঘুরে ঘুরে সৃষ্টির নমূনা সংগ্রহ করছে। তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিৎ , বিরোধীতা নয়।
২:১৭০ “আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।”
ডাইনোসরেরা কেন বিলুপ্ত হয়েছিল এটা কি অজানা বা বিতর্কিত কিছু? আমার জানা মতে তো পৃথিবীতে এক বিরাট উল্কা পিন্ড পড়ার পর ধুলা উঠে বহু বছর সূর্যালোকের অভাবে গাছ গাছালি সব মরে যাবার কারনে তারা অনাহারে লোপাট হয়ে যায়।
ইসলামের নামে কে কে বিবর্তনবাদের সাথে কোরানের মিল খুজে বার করছেন? আমি তো এখনো কাউকে শুনিনি,উল্টাটাই মহাসমারোহে চলছে দেখি।
ফেরেশতাদের শুধু স্বাধীন বিদ্যা বুদ্ধিই নয়, একেবারে ভবিষ্যত দেখে ফেলার ক্ষমতা আমাকেও মুগ্ধ করে। অথচ প্রচলিত ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী তারা অনেকটা রোবট শ্রেনীর। কোন রকম স্বাধীন বিচার বুদ্ধি নেই, তাই মানুষ ও জ্বীনের মত তাদের বিচার আচারও হবে না।
@আদিল মাহমুদ,
তাহলে বলছেন রোবটিক্স-এর উৎসও কোরান 😉 😛 ?
@রৌরব,
কুদরতের কি আর শেষ আছে রে দাদা?
দেখেন কি অলৌকিক কারবার। ঠাট্টা ইয়ার্কি করতে গিয়ে কি রকম বিজ্ঞান আবিষ্কার হয়ে গেল।
এতেও যদি অবিশ্বাসীদের হুশ না ফেরে…।
@আদিল মাহমুদ,
নীচে দেখতে পারেন।
http://www.truevolution.net/
@আদিল মাহমুদ,
এখানেও দেখতে পারেন
@ভবঘুরে, 🙂
বাহ!
ভাল তো। এসব লোকে তো তাও বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে লাগছে না, তারা মিল বার করুক আর যাই করুক পাবলিকের কাছে ধর্ম গেল বলে আতংক ছড়িয়ে জ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করছে না।
দেড় থেকে দুই লাখ বছর হবে মনে হয়।
@বন্যা আহমেদ, হোমো স্যাপিয়েন্স স্পিসিসটি ফসিল রেকর্ডে প্রথম দেখা যার ২০০,০০০ বছর পূর্বে। ২০০,০০০ বছর হোমো সযাপিয়েন্সের মতো একটি চরম ডাইভার্স, ফিট এবং সাকসেসফুল প্রজাতির আরও কয়েকটি সাস্পিসিসের জন্ম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এরকম অন্তত একটি সাবস্পিসিস হোমো স্যপিয়েন্স ইডাল্টু’র অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে ফসিল রেকর্ড। আর আমাদের সাবস্পিসিস হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স, যাদের বলা হয় মডার্ন হোমো স্যাপিয়েন্স, এদের প্রথম দেখা যায় মাত্র ৫০,০০০ বছর আগে। এদের সাথেই আমাদের অ্যানাটোমি ও মোর্ফোলজি ১০০% সাদৃশ্যপূর্ণ, এর আগের ১৫০,০০০ বছর ধরে চলে আসা আর্কাইক হোমো স্যাপিয়েন্সের লাইনের সাথে যেটার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিদেশে থাকলে আপনি নিজেই এটা দেখতে পারেন আপনার কাছের কোন ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে গিয়ে। বিশেষ করে চোঁয়ালে এই পার্থক্যটা বেশ প্রনন্সড, এছাড়াও আই সকেটও কিছুটা পার্থক্যপূর্ণ। যদিও হোমো স্যাপিয়েন্সের উদ্ভব ২০০,০০০ বছর আগে। বর্তমান সময়কার মানুষদের সাথে ১০০% সাদৃশ্যপূর্ণ অ্যানাটমির অধিকারী আধুনিক মানুষের উদ্ভব কিন্তু মাত্র ৫০,০০০ বছর আগে।
@আল্লাচালাইনা,
‘
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যা বললেন ঠিক এ তথ্যটাই আমার জানা ছিল আর তাই নিবন্ধে লিখেছিলাম। নিবন্ধের মূল বিষয় ওটা না হওয়ায় বন্যা আহমেদের সাথে বিতর্কে জড়াতে চাইনি।
@আল্লাচালাইনা,
লেখাটার মূল বিষয়বস্তু যেহেতু টেকনিকাল নয়, তাই আমার মনে হয়েছিল এখানে লেখক আধুনিক মানুষ হিসেবে হোমো স্যাপিয়েন্সের কথাই বলেছেন। ভবঘুরে তার লেখায়
এর কথা বলেছেন সাবস্পেসিজের কথা উল্লেখ করেন নি। অনেকেই অন্যান্য হোমোদের সাথে তুলনা করে হোমো স্যাপিয়েন্সদেরই আধুনিক মানুষ বলে থাকেন। এনিওয়ে, খুব বড় কোন ব্যাপার নয়, ভবঘুরে ঠিকই বলেছেন লেখাটার মূল বিষয়বস্তু যেহেতু এটা নয়, এরকম টেকনিক্যালিটি নিয়ে বিতর্ক না করলেও চলবে।
লেখাটি ভাল লাগল, কিছু জিনিস শিখলামও। ধন্যবাদ।
লিংক কিভাবে পেষ্ট করতে হয় না জানা থাকায় সমস্যা হয়ে গেল। এ জন্রে আমি দু:খিত। আমি আসলে বাংলা বাইবেলের পুরাতন নিয়মের আদি পুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের লিংক দিতে চেয়েছিলাম যা নিম্নরূপ
http://www.asram.org/downloads/scriptorium/jbold/Genesis.pdf