৭১’এর পর থেকে আজ অবধি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে অসংখ্য কবিতাই প্রকাশিত হয়েছে।এগুলোর মাঝে অনেক কবিতাই রয়েছে যেগুলো হয়েছে বিতর্কিত, আলোড়িত, কোন কোনটি আবার হয়েছে নিষিদ্ধ। কবিতাগুলো একদিকে যেমন তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসকের শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, আবার তেমনি বাংলাদেশের অন্তঃসারশূন্য রাজনীতির প্রকৃত অবস্থাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।কবিতাগুলোতে কখনো আবার এদেশের চিরায়ত সমাজকাঠামোর প্রচলিত বদ্ধমূল ধ্যানধারণা, নীতির প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে নতুন এক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখানো হয়েছে।ধর্মীয় কিছু ধারণার অসারতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে কোন কোন কবিতাতে।পরিণামে কবিরা একদিকে যেমন জনমানুষের কাছে নন্দিত, তেমনি প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা হয়েছেন নিন্দিত, বিতর্কিত।শাসকগোষ্ঠির হাতে হয়েছেন নিগৃহীত,হুলিয়া জারি করা হয়েছে কবিদের নামে। সময় এসেছে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে বসা এই কালজয়ী কবিতাগুলোকে একই মলাটের ভেতরে স্থান দেবার।‘সিলেট বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিল’ এর উদ্যোগে এসব কবিতা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।মুক্তমনা লেখক পাঠক নির্বিশেষে সমগ্র বাংলা ব্লগ জগতের মননশীল ব্যক্তিদের আমরা এই উদ্যোগে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য আহব্বান জানাচ্ছি।যাদের কাছে এ ধরণের কবিতাগুলো সংগ্রহে রয়েছে তারা আমাদের কবিতাগুলো পাঠাতে পারেন, প্রকাশিতব্য বইয়ে যাদের কাছ থেকে কবিতাগুলো সংগ্রহ করা হবে, তাদের নাম উল্লেখ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ দু’একটি কবিতার নাম উল্লেখ করা হল-
১।ভাত দে-কবি রফিক আজাদ
২।সব শালারাই কবি হতে চায়-কবি মোহাম্মদ রফিক
আগ্রহী সবাইকে নিচের মেইল এড্রেসে কবিতাগুলো কম্পোজ করে কিংবা স্ক্যান করে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হল-
যোগাযোগের ঠিকানাঃ [email protected]
ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ কেউ ইচ্ছে করলে নিজের স্বরচিত কবিতাগুলোও পাঠাতে পারেন।
:good:
:yahoo:
কবি এবং কবিতার ছোট্ট লিস্ট ইতিমধ্যে দাঁড় করানো হয়েছে। রফিক আজাদের ভাত দে হারামজাদা, মোহাম্মদ রফিকের সব শালারাই কবি হতে চায়, ফরহাদ মজহারের ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল ট্রাক, বিবি খাদিজা (পুরো নামটা মনে নেই), ওয়াহিদ রেজার ঘরে এখন পরপুরুষ, এছাড়া কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রহমান, দাউদ হায়দারসহ আরো কয়েক জনের নাম লিস্টে আছে। সিদ্ধার্থ যে বিষয়টি উল্লেখ করেছে, তা আবারো আমি পুনরুল্লেখ করছি। কবিতা সংগ্রহের মূল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে, যে কবিতাগুলো (হতে পারে স্যাটায়ারধর্মী)
এমন ধরনের কবিতার সংকলন আমরা চাই। এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে হুমায়ুন আজাদের অনবদ্য সেই লাইন : আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম কিংবা রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র জাতির পতাকা আজ খামচে ধরছে পুরনো সেই শকুন।
বেশিরভাগ কবিতাই আমাদের সংগ্রহে নেই। তাই কারো সংগ্রহে উক্ত কবিতাগুলো থাকলে স্কেন করে অথবা কম্পোজ করে আমাদের কাছে পাঠানোর বিনীত অনুরোধ রইলো। ঠিকানাঃ [email protected]
আমি নিজে কবিতা খুব বেশি পড়ি না। যেটাকে প্রকাশ করা যায় সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ” আর এ গদ্য নয়…” এই ভাষায়। তবে এখন আমিও কবিতা সংগ্রহ শুরু করব
@অভীক,
যে কবিতা পড়ে না, কবিতা ভালোবাসে না, সে তো হাত দিয়ে মানুষের চোখও তুলে নিতে পারে। ঐ হাত দিয়ে কবিতা সংগ্রহ করবেন?
এই প্রশ্নের জবাব আপনার পক্ষ হয়ে আমিই দিচ্ছি- আমার হাতে রয়েছে চোখ, এই হাতই কবিতা চিনতে পারে। এই হাত দিয়ে প্রকৃত কবিতা সংগ্রহ হবে।
যদি ঠিক জবাব না দিয়ে থাকি, তাহলে আপনার জবাবটা দিন।
শামসুর রাহমান এর “আযান+বেশ্যার ডাক” সম্পর্কিত কবিতাটাও যোগ করা যায়। (কবিতার নাম মনে নেই।
দাউদ হায়দারের জন্মই আমার আজন্ম পাপ কবিতাটি নেওয়া যায়। নির্মেলেন্দু গুণেরও আছে একটা বাংলার মাটি বাংলার জল কাব্যে।
এটা আমার তাৎক্ষণিক দেওয়া নাম। পরে ই মেইলে আরও জানাব।
@গীতা দাস,
দাউদ হায়দারের জন্মই আমার আজন্ম পাপ কি বিতর্কিত? হবে হয়তো। তবে বিতর্কিত যে-কবিতাটি লেখার কারণে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেটির নাম ছিলো, সম্ভবত, কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যা।
আমার এক পরিচিত, কলেজে পড়ান। আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন বন্ধু বলে। ভীষণ লজ্জা পাই মনে মনে। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা নিয়ে তিনি থিথিস লিখেছেন। পরে সেটা বই আকারে ছাপিয়েছেন তারই এক বন্ধু। কেনার আগেই আমাকে এক কপি দিলেন স্বেচ্ছায়, বিনা পয়সায়। এক সময় আজিজ সুপার মার্কেটে আড্ডার আসরে যোগ দিতেন। মুক্তমনার বিষয়ে বললাম। এখন একটুও সময় পান না। সংসার, অধ্যাপনা এগুলো করতে করতেই ২৪ টা ঘন্টা পার করে দেন। কবিতার দুটো বইও বেরিছে। ভাবছি অনুমতি নিয়েই- পাঠাবো কয়েকটি।