গত ২১ জুন দৈনিক ‘প্রথম আলো’তে প্রকাশিত একটি খবর হল–
‘এনি ওয়ান বাট ইংল্যান্ড’—ইংল্যান্ড বাদে আর যে কেউ। এ কথার অর্থ যাই হোক, স্কটল্যান্ড পুলিশের দৃষ্টিতে তা সাম্প্রদায়িকতা। স্কটল্যান্ডের এইচএমভি চেইন স্টোরের মুখপাত্রের দাবি, ‘স্কটল্যান্ডের ফুটবলভক্তরা চাইছে ইংল্যান্ড বাদে আর যে কেউ এবারের বিশ্বকাপ জিতুক। তাই আমরা আমাদের টি-শার্টে ও জানালায় এই কথা লিখেছিলাম। এতে মোটেও সাম্প্রদায়িকতার কিছু দেখি না!’ কিন্তু পুলিশ এ দাবি মানবে কেন? সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ পেয়ে তারা দোকান থেকে পোস্টার ও টি-শার্ট সরিয়ে নিতে মিউজিক ভিডিওর দোকান এইচএমভিকে বাধ্য করেছে। স্কটল্যান্ড এবার মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি। এএফপি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডের ফুটবলভক্তদের এমন ভাবনাকে যদি সাম্প্রদায়িকতা আখ্যা দেয়া হয় তবে আমরা —- আমিসহ আমার আশেপাশের লোকজন যে সাম্প্রদায়িক তাতে সন্দেহ পোষণ করারও অবকাশ নেই। কারণ বিভিন্ন বিষয়েই তো আমরা এমন মনোভাব লালন করে থাকি।
আমার এক পরিচিতজন বই পড়েন বলে নিজেকে পাঠক বলে প্রচার করেন। বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় উপন্যাসিকদের এ বই সে বইয়ের নাম বলে আমার সাথে কথোপকথন চালাতে চান। আমি তখন নিজের অপারগতা প্রকাশ করি। কারণ তার মতে অত্যন্ত জনপ্রিয় বই দেখছি আমার পড়া হয়নি। তাছাড়া, সব পাঠকের যে একই ধরণের বইয়ে প্রতি আগ্রহ থাকার কথা নয় তা ও তাকে বুঝানোর অপচেষ্টা করে ফল পাওয়া যায়নি।
একদিন আমার হাতে পূরবী বসুর ‘নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান’ নামক বইটি। ঐ পাঠক আমাকে প্রশ্ন করলেন, উনি কি ভারতীয় লেখক?
আমি পালটা প্রশ্ন করলাম, কেন? কীভাবে বুঝলেন?
মানে এ লেখকের নাম শুনিনি , নারী এবং হিন্দু নাম।
হিন্দু নারী কোন লেখকের বাস ভারতেই হবে এ সরলীকরণকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করব?
আমি নিজে কি সাম্প্রদায়িক? এর উত্তর নিজের কাছে নিজেই খুঁজছি। ড্রাইভারের নামাজ পড়া নিয়ে কি আমার মধ্যে কোন রকম সাম্প্রদায়িক মনোভাবের উদয় হয়? আমি জানিনা। সচেতনভাবে না হলেও অবচেতনভাবে হয় কিনা তা পাঠক হয়ত ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। ঘটনাটি খুলেই বলি। অফিসের কাজে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসে আমাকে সভায় অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজে যেতে হয়। যেমন, জেলা প্রশাসক,সিভিল সার্জন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা, জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে কাজ শেষ করে প্রায়শঃই গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকি, দেখি ড্রাইভার নাই। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এভাবে ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করা নৈমিত্তিক ব্যাপার। কখনো ওই অফিসের সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে আছি। ড্রাইভারও নেই, গাড়িও নেই। মিনিট দশেক পরে এসে বলে, দিদি, নামাজটা একটু পড়েই নিলাম। তখন আমার যে বিরক্তি তা কি সাম্প্রদায়িকতা প্রসূত?
সরকারী কর্মকর্তাদের অনুরোধে অনেক সময়ই আমার অফিসের গাড়িতে যথারীতি অফিসের নিয়মানুযায়ী ওয়েভার ফরম পূরণ করিয়ে তাদের মফঃস্বল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। একদিন এক সরকারী কর্মকর্তা গাড়ী থামিয়ে আমার ড্রাইভারসহ আছরের নামাজ পড়ল। আবার যানজটের কারণে রাস্তায় দেরী হওয়ায় এশার নামাজের সময় হয়ে গেলে তাও পড়ল আমাকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে। পূণ্যার্থী ড্রাইভার নামাজ পড়া নিয়ে সরকারী কর্মকর্তার সাথে বেশ অতিৎসাহী হয়ে উঠে। সে সরকারী ঐ কর্মকর্তার সাথে এতই আত্মিক টান, ভ্রাতৃত্ব অনুভব করে যে আমার অস্তিত্ব রীতিমত ভুলেই যায়। একে তো এসব নামাজীদের নামাজ কাজা না করার জন্যে দেরি করতে গিয়ে আমার ফেরার সময় কাজা হয়ে গেছে। আবার দ্বিতীয়ত ঢাকায় সন্ধ্যার পর রাত যত বাড়ে যানজট তত দীর্ঘ হয়। উপরন্তু গাড়িতে একজন হিন্দু নারীর পক্ষে মুসুল্লিদের সামনে এভাবে বসে থাকা, তাদের চোখের ভাষাকে উপেক্ষা করা যে কি দূরহ তা একমাত্র ভূক্তভোগীই জানে।
এমবতস্থায় অফিস তাকেসহ (ড্রাইভার) গাড়িটি যে আমার জন্যে বরাদ্দ করেছে তা স্মরণ ঐ ড্রাইভারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া কি সাম্প্রদায়িকতার লক্ষণ?
আমি তো মানবিকবোধে আচ্ছন্ন একজন মানুষ হতে চাই, থাকতে চাই। আমি সংবেদনশীল মননের চর্চা করতে চাই, কিন্তু আমার পরিচিত পরিবেশ আমাকে এ থেকে বঞ্চিত করে। সংখ্যাগুরুর অনেক প্রতিনিধি আমাকে –আমার বোধকে বুঝে হোক না বুঝে হোক ঠকায়, তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে হয়তো হীনমন্যতায় ভোগী। আর এ হীনমন্যতা থেকেই সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন অফিসে নারী পুরুষের সমতার আনার জন্যে নীতি রয়েছে। জেন্ডার পলিসি থাকা তো যে কোন সংগঠনের জন্যে সুস্থতার লক্ষণ। যদিও এর বাস্তবায়নে শুভংকরের ফাঁকি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা নিরসনের কোন কাগুজে প্রচেষ্টাও নেই।
@মাহফুজঃ
সারলীকরণ কে হাস্যকর বলেছি। ভেবেছিলাম বুঝতে পারবেন। যেহেতু আমার বাক্য স্পষ্ট নয়, সেহেতু আরেকটু বলিঃ
ভাবখানা যা তাই। “বেয়াদব” শব্দটি উনার কল্পনা প্রসূত। বাকিদের নামাজ পড়ার কথা ভুলে গিয়েছিলেন এটা স্বীকার করে এর সাথে ‘বেয়াদব’ পূর্বশর্ত যোগ করে ঘটনার এই রূপ sarcastic ব্যখ্যা প্রদানের চেষ্টা কে কি বলা যায়? তাকে কি ‘বেয়াদব’ সম্বোধন করা হয়েছিল? ‘বেয়াদব’ এর উৎপত্তির গোঁড়াতেও কিন্তু সংখ্যালঘুর চিন্তনের একটা রূপরেখা পাই। আমার সামনে একটা আয়না নিয়ে ঘুরে বেড়ালে তাতে আমি আমাকেই দেখবো, নিজের ক্রুদ্ধ, ভীত চেহারা।
অধিকার আর ক্ষমতা। এই দুই বিষয়কে মার্ক্স যেভাবে আলাদা করেছিলেন, জার্মান রাষ্ট্রে ইহুদীর জন্য, আপনি কিভাবে করছেন তার বিস্তারিত জানালে খুশি হতাম।
আমি বহু হিন্দুকে দেখেছি, বয়স হলে গলায় কপালে তিলক, গলায় লকেট, কবচ, এমনকি কখনো কখনো, দীর্ঘশ্বাস নেয়ার বিরতি তে, “হরে কৃষ্ণ” বলে উঠতে, কই লোক দেখানো তো মনে হয় না। হা তাতে কারো কোন বিপত্তি ঘটে না। কাউকে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করতে হয় না।
এবার এ বিষয়টিতে আসা যাক। আপত্তি কোথায়? ধর্ম কর্মে? আমার তো মনে হয় না। হিন্দুর আপত্তি মুসলমানে, মুসলমানের আপত্তি হিন্দুতে। জন্মাষ্টমীর মিছিলের জন্য ঢাকায় যে অদ্ভূত বিচ্ছিরি যানজটের সৃষ্টি হয় তার সাথে মুহরমএর মিছিলের তফাৎ কই? আপনাদের কথায় মনে হচ্ছে আছে। ভেবে দেখুন।
@তনুশ্রী রয়,
আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি অনেক বিষয়েই। জন্মাষ্টমীর মিছিল – এগুলো নতুন উতপাত শুরু হয়েছে। আগে ছিল না। মহরমের মিছিল হয় – চল আমরাও করি – আমরা করলে দোষ কী। এভাবেই শুরু হচ্ছে।
সরকার বাহাদুরও (হউক না কেন জামাতী সরকার) পুলিশ পাহাড়া দিয়ে সমর্থন করছে। দেখানোর এটাই মোক্ষম সুযোগ। দেখ, হিন্দু কী রকম ভাল আছে। পশ্চিম বংগেও তাই করে।
@তনুশ্রী রয়,
‘বেয়াদব’ শব্দটার মধ্যে বেয়াদবী আছে। শব্দটা ভেবে চিন্তে করা হয়নি। ফলে ধরা খেয়ে গেছি। তবে বাক্যটি আবার পড়ুন। শুরু হয়েছে “ভাব খানা এই – ” দিয়ে। কাজেই এতটা কোমড় বেঁধে না এলেও চলত।
যেখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হল ওটা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রপার্টি। তাতক্ষনিক ভাবে নামাজ পড়ার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা কি আপনি সমর্থন করেন? পিঠ দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমাদেরকে সরিয়ে দিল। কাজটি ঠিক কি ঠিক নয় একবারও ভাবল না। আমরা কেউ কোন প্রতিবাদ করিনি। মিটিং শেষ হওয়ার পরেও কিছু কথা চলতে থাকে। সেটা হল না, এই যা। তাতে কিছু যায় আসেনি।
আপনি বাক্যটি আবার পড়ুন। আমি বলিনি যে তারা বেয়াদব বলেছে। পরিস্থিতিটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। আমাকে উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। এই থ্রেড নিয়ে আমিও আর কোন মন্তব্য করব না।
ভাল থাকবেন। আপনাকে নতুন দেখছি এই আসরে। স্বাগতম জানাচ্ছি।
@তনুশ্রী রয়,
একদম ঠিক বলেছেন।
@ গীতা দাস,
ধর্মের নামে সামাজিক বিড়ম্বনার বাস্তব চিত্রই তো এই। সবাই দিন দিন কেমন ধর্মাশ্রয়ী আচরণবাদী হয়ে উঠছে!
একে সোয়াবের নামে শুক্র-শনি দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি, তারপরেও সরকারি অফিসে নামাজ ও লাঞ্চের নামে ঘন্টার পর ঘ্টার কাজে ফাঁকি দেওয়া হয়। এমন কি এ-ও দেখেছি, নামাজের নামে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আধঘন্টা বেমালুম হাপিস করে দেওয়া হয়। শ্রমঘন্টার কি মারাত্নক অপচয়!
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই এর প্রতিবাদ করারও যেনো কেউ নেই। 🙁
আমার ধারণা, হযরত মোহাম্মদ এ যুগে জন্মালে হয়তো মাত্র একবেলা নামাজেও ওয়াক্ত করতেন! 🙂
পুনশ্চ: ভাবের জগতের ব্যবসায়ীরাও মস্তিকশুন্যদের কাছে বেহেশতের খোয়াব বিক্রিতে তৎপর। দেখুন:
[img]httpv://www.youtube.com/watch?v=fw1hkX0QCEA[/img]
@বিপ্লব রহমান,
যাই বলুন, বক্তাটি ভাল। শুনতে বেশ ভাল লাগে। আমার লেগেছে। একটা ছন্দ আছে, একটা গতি আছে। বিষয়বস্তুর মধ্যে আমার বিবেচনায় সত্যতা কিছু নেই, কিন্তু যারা শুনছে তাদের কাছে অমূল্য।
এখানে তো তবু আল্লাহ নামে কারো গুণগান হচ্ছে, যা মানুষ তাই বুদ হয়ে শুনছে। কীর্তনে তো কোন বক্তব্যই নাই – “হরে কৃষ্ণ, হরে রাম” । শ্রোতারা ভাবছে কী না কী শুনছে। একজন জন কাঁদছে, আর একজন ভাবছে -আরে আমি না কেঁদে পেছনে পরে গেলাম – সেও কাঁদছে। এই ভাবে কাঁদাকাঁদি চলতে থাকে।
আমি বসে থেকে ভাল লাগার একটা জিনিষ খুঁজে পেয়েছি। মাঝে মাঝে উচ্চাংগ সংগীতের রস থাকে। ফলে সুরের এই variation এর জন্য ভালই লাগে। তারপর সবাই একসাথে শুনছে সেটাও একটা ভাল লাগার কারণ হতে পারে। মানুষের মধ্যে ভেড়ার স্বভাব আছে – এক সাথে চলার।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
শেষ বাক্যে একমত। আমার কাছে ওয়াজও যা, কীর্তনও তা– অর্থাৎ অপার গুন-কীর্তন। ব্রেন ওয়াশ প্রক্রিয়াটিও লক্ষ্যনীয়।
আপনি বলছেন, সাঈদী বক্তা হিসেবে ভাল। অবশ্যই তা-ই; নইলে– শুধুমাত্র চাপাবাজীর জোরে ফুটপাতের একজন সামান্য তসবিহ বিক্রেতা থেকে শুরু করে জামাতের টিকিটে উনি পর্যন্ত এমপি হন! আবার নামের আগে ‘আল্লাহমা’ তকমার কি বাহার রে বাবা! :laugh:
@বিপ্লব রহমান,
ইনিই কি সেই ভুল প্রচারিত সাইদী? ক্লিপটি আবার দেখতে হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আবার জিগস্? 😀
@বিপ্লব রহমান,
কিছুই বুঝতে পারলাম না।
@বিপ্লব রহমান,
এই পাক-পবিত্র লোকটাকে এখানে তুলে এনে মুক্তমনার অপবিত্রতা নষ্টের দায়ে আপনাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত থেকে মুক্তি পেতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে একটা টপিক লিখে পোষ্ট দিতেই হবে।
@মাহফুজ,
পাক-পবিত্র লোক মুক্তমনা অপবিত্র করে কী করে? জানতে মঞ্চায়। খিকজ! 😛
@বিপ্লব রহমান,
বাক্যটা ভালোমত দেখুন: এই পাক-পবিত্র লোকটাকে এখানে তুলে এনে মুক্তমনার অপবিত্রতা নষ্টের দায়ে–
ব্যাখ্যা: মৌলবাদীদের কাছে মুক্তমনা একটা অপবিত্র ব্লগ বা জায়গা। আবার তাদের কাছেই দেহোসা (দেলোয়ার হোসেন সাঈদী) একজন পাক-পবিত্র ব্যক্তি। এই পাক-পবিত্র ব্যক্তি যদি আমাদের নাপাক মুক্তমনায় আসে তাহলে কী হবে? নাপাকী বা অপবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাবে। মানে ওর স্পর্শে পবিত্র হবে, মৌলবাদী হয়ে যাবে আমাদের মুক্তমনা। ঐ যে কথায় বলে না- সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।
এখন কি ব্যাপারটা বুঝা গেল? জ্ঞানীরা ইশারায় বুঝে।
@বিপ্লব রহমান,
আহা আপনি যে কী দেখালেন প্রাণ জুড়িয়ে গেল। 😛
@নৃপেন্দ্র সরকারঃ
নামাজ পড়লেই ওটা লোক দেখানো, এবং এই সারলীকরণ যে সারলীকরণ এটাও মানছেন না, এটা তো গোঁড়ামি বই আর কিছু না।
হাস্যকর এ কারণে যে মুক্তমনা হবার কথা ছিল, নামাজ পড়া লোক দেখানো, কিন্তু পূজার বাদ্য থামানো যাবে না(আপনি বলেছেন – “কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। বন্ধ করা যাবে বলে মনে হয় না” ), ওটাও যে লোক দেখানো তার যথেষ্ট প্রমাণ আপনার কাছেই হয়ত আছে। পুজা মন্ডপগুলিতে যে উদ্ভট ভাবে শ্রাব্য-অশ্রাব্য বিভিন্ন সংগীত বাজানো হয়, তার কোনটার না বিধান আছে ধর্মে, না আছে সমাজের আচারে, অথচ ওটাকে থামাও বললেই একেবারে সাম্পরদায়িকতার ধুয়া ছাড়া আর কিছুই ওঠে না।
আর আপনি সরাসরি বলছেন,
“বিয়ের বাজনাটা থাকতে দিন। এটা বেশী আপত্তিকর নয়। আপনার বিয়ের কথাই মনে করুন। ব্যান্ডপার্টি ছাড়া বিয়ে! ব্যান্ডপার্টি বাদ দিলে কোর্টে বা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করাই ভাল। ব্যান্ডপার্টির খরচও বাঁচল, বিয়ের পুরো খরচও বাঁচল।”
এটা তো পুরোপুরি বালখিল্যসুলভ কমেন্ট! আমার বিয়ের কথা আমার একেবারেই মনে পড়ছে না, আপনার কিভাবে মনে আছে?
@গীতা দাসঃ
পূরবী বসু-ভারতীয়-হিন্দু।
তনুশ্রী রয়- হিন্দু-প্রয়োজনে ভারতীয় – এবং তাকে ব্যান্ডপার্টি সহকারে, অথবা মন্দিরে-কোর্টে গিয়েই বিয়ে করতে হবে।
আশা করি এ ব্যাপারে কিছু বলবেন।
“মানুষ সামনে থাকলে এদের নামাজ পড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় বলে আমার মনে হয়।”
– এটা হলো অ-মুক্তমনাজাতীয় সারলীকরণ। হাস্যকর বটে।
@লেখকঃ সংখ্যালঘুর অনুভূতির সাথে আপনি এটাকে যোগ করেছেন, ধন্যবাদ। এই যে অসুবিধাটি কাজের ক্ষেত্রে সেটি আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে সমাজে আপনার পরিচয়, একই ব্যাপার ঘটার কথা রমজান মাসে দুপুরের খাবারের সময়, একই ব্যাপার হবার কথা যদি ফজরের নামজের কারণে আপনার ঘুম ভেঙে যায় প্রতিদিন, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আবার বিপরীত ক্রমে, যখন পূজার বাদ্যাদি, কীর্তনাদি মুসলমানের/নাগরিকের ঘুমের সমস্যা করে, হিন্দু বিয়ের ঢাক অন্যের সংসার ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনও এই চিন্তাই কাজ করে। তাহলে হয়তো সংখ্যায় বেশি-কম একই ব্যাপার।
নিজেকে সংখ্যালঘু/ সংখ্যাগুরু ভাবতে শুরু করে একজন যখন ক্ষমতার প্রশ্নে সে নিজেকে জড়ায়।
আশা করি বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন।
@তনুশ্রী রয়,
“মানুষ সামনে থাকলে এদের নামাজ পড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় বলে আমার মনে হয়।” এই কথাগুলো বলেছেন-নৃপেন্দ্র সরকার।
এই কথার পরিপ্রেরিক্ষতে আপনি বলছেন-
নৃপেন্দ্র সরকার তার অভিজ্ঞতা থেকেই তা ব্যক্ত করেছেন। মুসুল্লী ক্যাব ড্রাইভারের কারণে ফ্লাইট মিস করা কিম্বা মিটিং রুম থেকে বের করে দেয়া। তার কাছে নামাজী নিয়ে সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে তাদের ভণ্ডামী, পাগলামী।
আফরোজা আলম বললেন- নামাজী অসুবিধা নাই,অসুবিধা এমন পাগলামীর।
কেশব অধিকারী বলেন- “ভাবের জগতে নিজেকে মুক্তমনা ভাবাটা যত সহজ, ব্যবহারিক জীবনে মুক্তমনা হয়ে উঠা বোধহয় অত সহজ নয়।”
কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। শুধু ক্ষমতা নয় বরং অধিকার, প্রয়োজনে নিজেকে জড়ায়।
@তনুশ্রী রয়,
হাস্যকরটা কী ভাবে হল বুঝতে পারলাম না। সবকিছু বুঝার দরকার নেই। তবে আপনাকে হাসাতে পেরে ভাল লাগছে।
এখানে একটা ঠিক প্রসংগ টেনে এনেছেন ->
ঢাকের শব্দ অত্যন্ত কর্কষ এবং এর dB খুবই বেশী। এটা বন্ধ করতে পারলে ভাল। কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। বন্ধ করা যাবে বলে মনে হয় না।
বিয়ের বাজনাটা থাকতে দিন। এটা বেশী আপত্তিকর নয়। আপনার বিয়ের কথাই মনে করুন। ব্যান্ডপার্টি ছাড়া বিয়ে! ব্যান্ডপার্টি বাদ দিলে কোর্টে বা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করাই ভাল। ব্যান্ডপার্টির খরচও বাঁচল, বিয়ের পুরো খরচও বাঁচল।
যন্ত্রণার একটা নতুন উপসর্গ যোগ হয়েছে। কীর্তনে (অস্টপ্রহর – অস্টকালীন) আজকাল মাইক ব্যবহার হয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন এই উতপাতটা ছিল না। তখন আযানেও মাইক ব্যবহার হত না। কীর্তনে মাইক ব্যবহারটা আযানে মাইক ব্যবহারের অনুকরণে হয়েছে বলে আমার ধারণা। তবে আযানের মাইকটি সময় সময় গর্জে উঠে। কীর্তনের মাইক চলে বিরামহীন কমপক্ষে আটচল্লিশ ঘন্টা। মুসলমানরা নীরবে এটা সহ্য করে যাচ্ছে। না করে উপায় কী – নিজেরাও তো আযান, মিলাদ ইত্যাদিতে করছে।
এই Noise pollusion বন্ধ করার কথা ভাবা উচিত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত।আজানে বা কির্তনে সমস্যা নাই। সমস্যা শব্দ দুষনে।
যেমন, ওয়াজ মেহফিলের চিৎকারে কান পাতা দায়। কতোটা কার্যকরি হয় জানিনা,তবে অসুস্থ্য মানুষ আরো অসুস্থ্য হয়।এই চিৎকার অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। এটা যে কোনো সচেতন বিবেকবান মানুষ মাত্রই বলবে। ওয়াজ মেহফিল হোক,ঢাক বাজনাই হোক। এখানে শব্দ দুষন বড় কথা। নামাজের ব্যপারে আগেই বলেছি। নামাজ আমরাও পড়ি। তবে তাতে কারো ক্ষতি করে নয় অবশ্যই।
@আফরোজা আলম,
আপনার কথায় মনে পরে গেল।
গত বছর বোনের বাসা ময়মনসিং কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে
পাশের গ্রামে সারারাত ধরে ওয়াজের ঠেলায় ভাল করে ঘুমাতে পারিনি।
দেশে মনে হয় সবার সয়ে গেছে!
আমার কাছে চরমবিরক্তিকর লেগেছে।
ওয়াজই হোক বা কীর্তনই হোক!
তাকি মাইক বাজিয়ে সবাইকে শোনাতেই হবে!
দেশের নাগরিক সংগঠনগুলোর কি কিছু করণীয় নেই!
@নৃপেন্দ্র সরকার,
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সব কোণ থেকে দিকেই গর্জে উঠে। এই আজান নিয়ে ড. আহমদ শরীফ বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন বলে মৌলবাদীরা তাকে মুরতাদ ঘোষণা দিয়েছিল।
আজ আপনি গর্জে ওঠা শব্দ ব্যবহার করে যে মন্তব্য করলেন, তাতে আপনিও কিন্তু মুরতাদ হয়ে গেলেন। সাবধানে থাইকেন, যে কোনো মূহুর্তে মৌলবাদীরা আপনার উপর হামলা চালাতে পারে।
@মাহফুজ,
সাবধান করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মৌলবাদীদের আক্রোশ আমার চেয়ে তোমার উপরেই বেশী হতে পারে। কারণ আমার নাম-পরিচয়েই আমি মুরতাদ। ফলে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তুমি ছেড়ে কথা বললে তোমাকে ছাড়বে না। অতএব, তুমিও সাবধান।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি তো সাবধানেই চলি। তারপরও যদি মৌলবাদীদের হামলা আসে, তখন না হয় নাম পরিবর্তন করে নাম পরিচয়ে মুরতাদ হয়ে যাব। ফলে আপনার মত আমাকেও ছেড়ে দিতে পারে।
@ গীতা দাস,
মোটেও এটা সাম্প্রদায়িকতার লক্ষণ নয়। এটা আপনার অধীকার। লক্ষ্য করেছি কোন সমাগমে লোকজন দেখলে কিছু লোকের ধর্ম কর্মের পরিমান বেড়ে যায়। এনাদের যন্ত্রনায় অস্থির আছি। এনারা মনে হয় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন।
নৃপেন্দ্র সরকার এবং মাহফুজের কথা একদম ঠিক।
নৃপেন্দ্র বাবু,আফরোজা আলম ও মাহফুজ,
আপনাদের উপরোক্ত মন্তব্য থেকে আমার মনোকষ্ট একটু কমলো এই ভেবে যে,আমার অভিজ্ঞতা সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রসূত নয়,বিরক্তির অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আর আপনাদের অভিজ্ঞতা পড়ে মনে হল,ড্রাইভারের এহেন আচরণ আমাকে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করে নয়। আমি কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের না হলে ড্রাইভারকে তার এহেন আচরণের জন্যে অফিস থেকে পাল্টে নিতাম। এখন ড্রাইভার পাল্টানোর প্রস্তাবটি দিতে পারিছি না কৌশলগত কারণে। তাছাড়া,ঠক বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে। নামাজী ছাড়া ড্রাইভার থাকলে তো?
@গীতা দাস,
গতকাল আপনার এই মন্তব্যের প্রত্যুত্তর টাইপোচ্ছিলাম। প্রায় ১০/১২ লাইন টাইপ করেছি, হঠাৎ করে আমার কম্পিউটার বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট হলো। হারিয়ে গেলো আমার ভাবনার সেই মন্তব্যগুলো-
আজ এই সকালে আবার মন্তব্য করতে শুরু করলাম।
ইচ্ছা করলে বিরক্তি অনুভবটা কনভার্ট করে আনন্দে আনতে পরিণত করতে পারেন। একটা উদাহরণ দিচ্ছি- বিশ্বকাপের খেলা নিয়ে খেলার ভাইরাসে আক্রান্ত সব দেশ। আমাদের দেশে তো আরও বেশি। মুক্তমনাও বাদ পড়েনি। আনাস বিশ্বকাপ নিয়ে পোষ্টালো আর আস্তে আস্তে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লো সেদিকে।
আমি খেলার ভক্ত নই, কোনো দলের সাপোর্টারও নই। এ নিয়ে খুব বেশি মাথাও ঘামায় নি। রাত্রিতে যখন শান্তিতে নিদ্রা যায়, হঠাৎ করেই লোকজনের চিল্লানীতে ঘুম ভেগে যায়। স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু আমি বিরক্ত ভাবটারে আনন্দ ফুর্তিতে পরিণত করতে চেষ্টা করলাম। খেলার ব্লগে ঘোরাঘুরি করে আনন্দ পেলাম। এভাবে আমি আমার ভেতরের বিরক্তভাবটাকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমি সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভালই আছি।
আমার মনে হয় ড্রাইভারের প্রতি মানসিক যে বিরক্তিটা রয়েছে, সেটাকেও আনন্দে পরিণত করা যায়।
ভালো থাকবেন।
@মাহফুজ, এই মন্তব্যটা পছন্দ হয়েছে।
@গীতা দাস,
কেবল তাই নয়,আপনাকে আর একটা উদাহরণ দেই। রমজান মাস এলে আমার বুক কাঁপাকাঁপি শুরু হয়।যদি বলেন কেন? উত্তর- আমি আমার অসুস্থতাই হোক,যে কোনো কারণে হোক রোজা থাকিনা।
আমার (একান্ত আমার ছোট্ট সংসারে) বিশেষ কেউ রোজা থাকিনা। বাচ্চাদের পড়া নানা কারণে আমিই অনেক সময় নিষেধ করি। কিন্তু,আমার বাড়ির কাজের লোক জন,ড্রাইভার অন্যান্যদের ভয়ে এমন তটস্থ হয়ে থাকি, যেনো নিজ বাড়িতে নিজে চোর।
এইবার বাইরের চিত্র, যথারীতি (কক্সবাজারে নিজ কুটির থাকায়) কক্সবাজার যাবো ভাবলাম রমজান মাস নিরিবিলি ঢাকা থেকে দূরে থাকি। চৌদ্দ গ্রাম খেতে গিয়ে যা শুনলাম রীতিমত ভীতিকর।হোটেল মালিক জানালেন “ম্যাডাম যা খাবার ভালো করে খেয়ে নিন,চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত না খেতে পারবে না। কেন? জিজ্ঞেস করায় জানায় নিজেই দেখবেন”একটা কলাও পাবেন না” এই ঘটনা বছর পাঁচেক আগের।
আমি এখন রমজান মাস এলে আল্লাহ আল্লাহ করি। কার ভয়ে?মানুষের ভয়ে।বাইরে বাচ্চারা গেলে খাবার দিয়ে দেই সাথে। রোজার বিরুদ্ধে কথা না। কথা বল্লাম, মানুষজন যেভাবে নাজেহাল করে আমার নিজকেই নিজের অপরাধি মনে হয়।
তাহলে ড্রাইভারের নামাজ কেনো অনেকেই মানুষজন দেখলে নামাজ,রোজা ইত্যাদি নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করে দেন। এমন অনেক ঘটনা স্বল্প পরিসরে জানাতে পারছিনা। তবে,
@ গীতা দাস আপনি মোটেই নিজকে সংখ্যা লঘু ভাববেন না। আমার খুব আপত্তি। আপনারাও এই কোটি কোটি বাংলাদেশির একজন।এইটাই বড় পরিচয়। সংখ্যালঘু কেনো হবেন? মাথা উঁচিয়ে চলবেন।
এভাবে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে নামাজ পড়ার এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমার আছে। কক্সবাজার থেকে ফেরার সময় আমাদের গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার উধাও হয়ে গেল। তাও ২ ড্রাইভার। নীরব নির্জন জায়গা,
ভয়ে সে দিন আধামরা হয়ে গিয়েছিলাম। এমন অবস্থার কী প্রতিকার নাই? এমন প্রায়শঃ ঘটে।তাই আজ কাল ড্রাইভার রাখার আগে বেশি নামাজী কিনা জেনে নেই। নামাজী অসুবিধা নাই ,অসুবিধা এমন
্পাগলামীর।
@ গীতা দাস
আপনি না হয় ভাবছেন সংখ্যা লঘু তাই। আর আমরা যখন বাচ্চা,কাচ্চা নিয়ে দূরদূরান্তে যাই কি অবস্থা হয় ভাবুন একবার? তারা ইচ্ছা করলে পরেও কাজা নামাজ পড়তে পারে। এ নিছক সবাইকে কষ্ট দেয়াই উদ্দেশ্য।আমার তো তাই মনে হয়।
@আফরোজা আলম,
দেশে মুসুল্লী ড্রাইভাররা এটা করে থাকে। আমাকেও একবার গাড়ীতে বসিয়ে চলে গেল ক্যাব ড্রাইভারটি।
আমার তাড়া আছে বললে ড্রাইভার আমাকে ধ্মক দিয়ে বলল – আপনে কে্মুন মানুষ? আল্লাহর কাজে যাইতাছি তাঁর উপরে কথা বলেন?
টেক্সাস এ&ম এর এক প্রফেসর তাঁর টেনশনের কথা বলছিলেন – এক মুসুল্লী ক্যাব ড্রাইভারের পাল্লায় পড়ে ডালাসে তিনি প্রায় ফ্লাইট মিস করেছিলেন।
টেক্সাস এ&ম এ এক মিটিং শেষ। যাই যাই করেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই এ ওর সাথে কথা বলছি (১৯৯১)। তখন মিটিং রুম থেকে আমাদেরকে প্রায় ধাক্কা দিয়েই বের করে দিল। ভাব খানা এই – আমরা বেয়াদব, তাই ওদের নামাজ পড়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম।
মানুষ সামনে থাকলে এদের নামাজ পড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় বলে আমার মনে হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
একেই বলে লোক দেখানো ধর্ম কর্ম।
বিশেষ করে সরকারী অফিসগুলোতেই বেশি হয়।
শুধু সংখ্যালঘুরা নয়, সাধারণ পাবলিকও এর জন্য সাফার করে।
@ গীতা দাস,
পর্বটি পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথেই পড়ে ফেললাম।
এই উপলব্ধি চেতনা আমাদের খুবই প্রয়োজন।
এ পরিস্থিতি বড়ই পীড়াদায়ক।