বিজ্ঞান পত্রিকা ‘মহাবৃত্ত’: কেমন হলো অঙ্কন
বিজ্ঞানপত্রিকাঃ মহাবৃত্ত
আইনস্টাইন সংখ্যা
দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, এপ্রিল-জুন, ২০১০
সমাজের মধ্যে বেড়ে উঠছি, আমরা সামাজিক জীব। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু দেয়ার সাথে সাথে সমাজ আমাদের কাছে পাওয়ার দাবীও করে। আর সেখান থেকে সৃষ্টি হয় দায়বদ্ধতার। সমাজের সেই চাহিদা কিংবা দাবী আমি বা আমরা মেটাতে না পারলেও, দায়িত্ব হাতে নিয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘মহাবৃত্ত’। কতটুকু সফল হয়েছে বা সফল হবে সেটা পরের বিষয়, কিন্তু চেষ্টাতো করেছে।চেষ্টা করাটাইতো এখানে সবচেয়ে বড় সফলতা। তাদের সেই চেষ্টায় শামিল হয়ে হয়তো আমরাও চেষ্টা করতে পারি কিছুটা দায়মুক্তির। মহাবৃত্তের লেখাগুলো কতটুকু সঠিক অথবা যুক্তিসংগত হয়েছে সেটা যাচাই করার মত জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, কিভাবে ধরা দিয়েছে ‘মহাবৃত্ত’ সেটুকুই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
প্রথমেই বলে নিই, সবচাইতে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে পত্রিকার উপস্থাপনা। লেখার বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু মজার মজার ছবি, যেগুলি বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা পড়ার ক্লান্তি থেকে পাঠককে মুক্তি দিতে পারে সহজেই। এবার আসি শুরুর প্রসঙ্গে। পত্রিকাটি শুরু হয়েছে, খ্যাতিমান অধ্যাপক এ এম হারুন অর রশীদ এর সাক্ষাৎকার দিয়ে।কিন্তু সাক্ষাৎকারের শুরুটা কোনভাবেই প্রাণবন্ত বা স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি। মনে হয়েছে আগে থেকে কাগজে কলমে পদার্থবিজ্ঞানের কিছু কথা একঘেয়েভাবে লিখে রাখা হয়েছে; তারপর সেটাকে উপস্থাপন করার জন্য একটি একটি করে প্রশ্নের অবতারণা করা হয়েছে। কিছু কিছু বাক্য মনে হয়েছে সরাসরি কোন অনুবাদের সফট্ওয়ার দিয়ে অনুবাদ করে তুলে দেয়া হয়েছে। যেমন, প্লাংকের তত্ত্বের বেলায় বলা হয়েছে, ‘প্লাংকের কোয়ান্টাম তত্ত্বে বলা হয় যে, মানুষের পক্ষে কোনো বিকিরণ কম্পকের শক্তির পরিমাণ সীমিত নির্ভুলতা ছাড়া চিহ্নিত করা যায় না।’(পৃঃ ৯) নীলক্ষেতের সস্তা অনুবাদের বইয়ের সাথে আমি এর কোন পার্থক্য দেখি না। বিজ্ঞান জনপ্রিয় করতে হলে, প্রয়োজনে কম বিজ্ঞানকে বেশি কথায় বুঝিয়ে লেখাটা জরুরী।তবে সত্যেন বসু, পল ডিরাক, ওয়ার্নার হাইসেনবার্গ এবং প্রফেসর আবদুস সালামের সাথে তাঁর সাক্ষাতের ঘটনা সত্যিই চমৎকার।
গতানুগতিক, গুরুগম্ভীর বিজ্ঞানের লেখার ধারণা থেকে বের হয়ে এসে মফিদুল হক খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন ‘আইনস্টাইন ও মিলেভাঃ এক জটিল সমীকরণ।’ নিসন্দেহে লেখাটি পত্রিকায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে মিলেভা ও আইনস্টাইনের বিবাহ বিচ্ছেদের সাল একবার ১৯১২ (পৃঃ ২১) আবার ১৯১৮ (পৃঃ ২৩) বর্ণনা করা হয়েছে।
অভিজিৎ রায় ‘প্রিন্সিপাল অব রিলেটিভিটি’কে বলতে গেলে বাল্যশিক্ষার বইয়ের মত সহজ করে তুলে ধরেছেন। গল্পের ছলে উপস্থাপন করে গেছেন বিজ্ঞানের এই কঠিন তত্ত্ব, যদিও ‘রাম যদি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে, রহিমের তুলনায় রামের ঘড়ি কিন্তু আস্তে চলবে’(পৃঃ ৩১) বলেই থেমে গেছেন। কেন আস্তে চলবে তার আরেকটু বিশদ বিবরণ হলে ভালো হতো। অন্যদিকে, ‘হ্যাপিয়েস্ট থট অব মাই লাইফ’-এ ‘সমতুল্যতার নীতি’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি হঠাৎ করে রক্ষনশীলই হয়ে গেলেন। ‘আপেক্ষিকতা’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি পাঠকের যে আকাঙ্খাকে বাড়িয়ে দিলেন, ‘সমতুল্যতার নীতি’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে আকাঙ্খা পূরণ করলেন না।
আলী আসগরের ‘নতুন শতাব্দীর আলোকে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব’ শুধু পড়ে গেলেই হবে না, পড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের যথেষ্ট ব্যবহারও করতে হবে। তাঁর লেখায়ও আক্ষরিক অনুবাদের ছড়াছড়ি দেখতে পাই, সাধারণ পাঠকের জন্য যেগুলো বুঝতে পারা খুবই কঠিন। যেমন লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী কাল-প্রবাহের অভিন্নতা ও স্থানিক ব্যবধানে অবস্থিত জায়গায় সময়ের যুগপত্ততা বজায় থাকল না।পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সময় পরিমাপক ঘড়ির আপেক্ষিক গতি থাকলে সময়ের প্রবাহ সেই ঘড়িতে মন্থরিত হলো।’(পৃঃ ৪২) আবার লেখা হয়েছে, ‘স্থান-কাল কীভাবে গতিশীলতায় বণ্টিত সব বস্তুর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ায় অভিব্যক্তি লাভ করছে, তাই বিধৃত গাণিতিক সমীকরণে।’ এই সমস্ত বাক্যগুলোর আগে পরে আরো বেশ কিছু সহায়ক বাক্য ব্যবহার করা যেতো, তাহলে এ-বাক্যগুলো বুঝতে সুবিধা হতো।
গণিতের অমনোযোগী ছাত্র যেমন পরীক্ষার খাতায় ইচ্ছে মতন লিখে শেষ লাইনে গিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে, ‘অতএব বামপক্ষ = ডানপক্ষ (প্রমাণিত)’; শামসুদ্দিন আহমেদ মনে হলো সেরকমটাই করে শেষ লাইনে গিয়ে লিখেছেন, ‘আর এটাই হলো আপেক্ষিকতার সার্বিক তত্ত্বের ভিত্তিভূমি।’ লেখার ব্যাপারে আরো যত্নবান হলে এবং সবধরণের পাঠকের বোধগম্য হবে কি-না সে ব্যাপারে লেখকরা আরো মনোযোগী হতে পারলে ভালো।
নাসরিন সুলতানা মিতু, আহসান হাবীব, মুনির হাসান, খালেদা ইয়াসমিন ইতি, ফাতেমা বেগম জুম্মি, আবদুর রাজ্জাক, মাজেদুল হাসান, সীমান্ত দীপু- এদের লেখাগুলো পত্রিকায় বৈচিত্র এনে দিয়েছে দারুণভাবে। লেখকদের এ-সমস্ত লেখাই আসলে বিজ্ঞান পত্রিকার প্রাণ। তারেক অণু’তো আইনস্টাইনের বাড়িতে না গিয়েই সুন্দরভাবে লিখে ফেলেছেন ‘আইনস্টাইনের বাড়িতে’।
অজয় রায় খুব যত্ন এবং পরিশ্রম করে লিখেছেন ‘ভৌত বাস্তবতা’। আইনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথকে তিনি এক সূতোয় বেঁধে ফেলেছেন নিপুণ হাতে। খুব যথার্থভাবে লেখক মন্তব্য করেছেন, ‘আশ্চর্য হতে হয় কবি এত বিজ্ঞান জানলেন কি করে, আর বিজ্ঞানী এত কাব্যিক হলেন কি করে?’ লেখার পরিশিষ্টে দেয়া আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথের আলাপচারিতার বঙ্গানুবাদ আগ্রহী পাঠকের মনের খোরাক যোগাবে নিশ্চিতভাবে।
বিজ্ঞানের কঠিন লেখাও যে লেখনীশক্তির কল্যাণে হয়ে উঠতে পারে সহজবোধ্য এবং সুখপাঠ্য, তার প্রমাণ সৈয়দ তোশারফ আলীর লেখা ‘মানবতন্ময় বিজ্ঞানী আইনস্টাইন’। চমৎকার তারা বিন্যাস ও বর্ণনা।ঠিক একই মানের আরেকটি লেখা মোস্তফা আমিনুর রশীদের ‘পদার্থবিজ্ঞানের ষষ্ঠ বিপ্লব’।বিজ্ঞানপত্রিকায় এ-ধরনের নিবেদিত লেখকদের লেখা যত বেশি থাকবে, তত বেশি সফলভাবে ফুটে উঠবে পত্রিকার আদর্শ, উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে, রজনীশ রতন সিংহ, ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কল্লোল, নাসিম সাহনিক, নোমান মোত্তাকী, জাহাঙ্গীর আলমদের লেখাগুলো পাঠকদের বিজ্ঞানের হরেকরকমের দিকের সাথে একটু করে হলেও পরিচয় করিয়ে দেবার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে পত্রিকার অন্য লেখাগুলো সমসাময়িককালে লেখা না হলেও, এদের লেখাগুলো সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়েই।
সম্পাদক আসিফের দু’টি লেখাই পত্রিকার শেষের দিকে। একটা কিছুটা প্রথম দিকে এবং অন্যটা শেষের দিকে থাকলে, পাঠকদের একই লেখকের পরপর দু’টি লেখা পড়ার ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়া যেত। যদিও দু’টি লেখার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার।অপরদিকে, পত্রিকার লেখাগুলোর ক্রম দেখে বুঝা যায়, পত্রিকার প্রথম অংশে অনেক আগের কিছু মানসম্পন্ন লেখার সাথে পরবর্তীতে নতুন কিছু লেখা যোগ করে পত্রিকাটি ছাপানো হয়েছে। পুরোনো ও নতুন লেখা সমভাবে বণ্টিত করতে পারলে ভালো হতো। তাছাড়া, পত্রিকার এ-সংখ্যাটি আইনস্টাইনের নামে দেয়া হলে সম্পাদকের দু’টি লেখাই বিশেষভাবে আইনস্টাইন কেন্দ্রিক নয়। অবশ্য, প্রথম লেখাটিতে আইনস্টাইন চলে এসেছে, আসতে হয় বলে।
সর্বোপরি, মহাবৃত্তের সাইজ কিংবা সাজ-সজ্জা যথেষ্টই পরিপাটি এবং মানসম্পন্ন। তবে, সম্পাদকের পক্ষ থেকে লেখকদের বলে দেয়া উচিৎ, যত বেশি সম্ভব উদাহরণ দিয়ে এবং প্রতিদিনকার বাস্তব কোন ঘটনার সাথে মিল দেখিয়ে যদি বিজ্ঞানের জিনিসগুলো ব্যাখ্যা করা যায়, তাহলে পাঠকদের জন্য অনেক বেশি সুখকর হয়ে উঠবে বিজ্ঞানের পত্রিকা, পাঠক অনেক বেশি আগ্রহবোধ করবে। বিজ্ঞান পত্রিকা শুধু বিজ্ঞানের পাঠক সৃষ্টি করবে না, বিজ্ঞানের লেখকও সৃষ্টি করবে। ‘ডিসকাশন প্রজেক্ট’ এর এই প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই এবং কৃতজ্ঞতা জানাই সমস্ত লেখক, কলাকুশলীদের প্রতি যারা নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে এ-ধরণের একটি মহৎ উদ্যোগের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। দ্বিজেন শর্মা তাঁর শুভেছা সম্পাদকীয়তে যথার্থভাবেই আমাদের সংস্কৃতিতে বিজ্ঞানের দুর্বল অবস্থানের কথা বলেছেন। ‘মহাবৃত্ত’ সেই অবস্থান কিছুটা হলেও শক্ত করবে; যা-কিছু সত্য, যা-কিছু সুন্দর, সে-সব সত্য-সুন্দরকে কেন্দ্র করেই অঙ্কিত হবে ভবিষ্যতের ‘মহাবৃত্ত’; সেই প্রত্যাশাই থাকলো আমাদের সকলের।
মইনুল রাজু
জুন ১৯, ২০১০
রাজুকে ধন্যবাদ মহাবৃত্তের পর্যালোচনা/সমালোচনার জন্য। এই ধরনের আলোচনা একজন সত্যিকারের শুভাকাঙ্খীর পক্ষেই করা সম্ভব। আলোচিত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করলে মহাবৃত্তের প্রকাশনার মান আরো উন্নত হবে।
কথাটার সাথে আমি একমত। আমার ধারণা মহাবৃত্তের একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করা।
@মইনুল রাজু, আপনার রিভিউটা মানুষকে পত্রিকাটি পড়তে সহায়তা করবে। আপনাকে ধন্যবাদ
@আসিফ,
লগ-ইন করে মন্তব্য করলে সাথে সাথে প্রকাশিত হয়ে যায় নয়ত তা মডারেসনের অপেক্ষায় বসে থাকে।
পত্রিকাটি কেনার ব্যবস্থা করছি, পড়ে মন্তব্য জানাব।
আরেকটি কথা, এটা যেহেতু ব্লগ, তাই নানাজনে নানারকম মন্তব্য করবে।আপনি হয়ত বিষয়টার সাথে অভ্যস্থ না, তাই বলছি- নিরুৎসাহিত হবার কোনো কারণ নেই।
@সৈকত চৌধুরী,
আমিও সাক্ষাতে আসিফ ভাইকে একই কথা বলেছি। কথায় আছে না-Great men think alike. 😀
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি ব্যাপারটা হয়তো ধরতে পেরেছেন। তাই এই মন্তব্যটি করলেন। অনেক ধন্যবাদ। খুবই যথার্থভাবে বলেছেন, নানাজনে নানা মন্তব্য করবে, কিন্তু তাতে নিরুৎসাহিত হবার কারণ নেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর মহাবৃত্তের জন্য আগ্রহী। ভালো অনেক অনেক জিনিস, যেটা পাঠক পড়লেই পেয়ে যাবেন।কিন্তু আমি নেতিবাচক দিক বেশি তুলে আনতে চেষ্টা করেছি, যাতে সংশ্লিষ্টরা একটু অন্যভাবে ভেবে দেখবার সুযোগ পান। মহাবৃত্তের সাফল্য কামনা করছি।
@মইনুল রাজু,
আমি আপনার লেখাটি মাথায় রেখে এ মন্তব্যটি করি নি 🙂 । অনেক ধন্যবাদ।
রিভিউ ভাল হয়েছে। কিন্তু এই রিভিউ আগে পড়লে আমি পত্রিকা কিনতাম না, এটা নিশ্চিত। রিভিউয়ে আমার আর্টিকেলটা নিয়ে দুই লাইন লিখেছেন মহামান্য রাজু, এর মধ্যে একটাও ভাল কথা খুঁইজা পাইলাম না (খেলুম না কইলাম)। হাতী সাইজের ( আইনস্টাইনরে নিয়া ওয়ার্ড ডক- কম করে হইলেও বিশ পৃষ্ঠার একটা মহাকাব্য লিখা ফালাইলাম আসিফের জন্য [ আমি মনে হয়না এতো বড় লেখা এই জীবনে কখনো লিখছি, অন লাইনে লেখাটার সাইজ দেখুন, বিশ্বাস না হইলে] , তাও রাজু বলে কী ‘…ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি হঠাৎ করে রক্ষনশীলই হয়ে গেলেন’, যাই কই :-)। এর চেয়ে বড় কইরা আপেক্ষিকতা ক্যামনে ব্যাখ্যা করে, আমার জানা নাই। অবশ্য মইনুল রাজু বুদ্ধিজীবী মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উনার হয়তো এক্সপেক্টেশন আলাদা। আমি তো আর মাস্টর না, তাই এর বেশি রক্ষণশীলতা ত্যাগ করতে পারি না 🙁 । এই টাইপের ফাউল লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হইলে এই পত্রিকা কে কিনবে ? আসিফের কপালটাই খারাপ মনে হচ্ছে :-D, দ্যাখেন এর পরের সংখ্যাটা যদি ভালা হয় (পত্রিকা ভালা করতে হইলে আসিফের আমার মত হাব জাব লেখকের লেখা বাদ দেওন লাগবে সবার আগে) ।
আর ইয়ে, আমার লেখা নিয়া গীবৎ গাইলেও, সুন্দর রিভিউটার মুক্তমনায় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি রাজুকে!!!
@অভিজিৎ,
আমি তো আপনের গীবত একনজর দেইখা লজ্জা অপমানে আর এই লেখাই পড়ি নাই!
ছিঃ ছিঃ! মনে একটুও রহম নাই। মানুষে মানুষরে এইভাবে পঁচায়! রক্ষনশীল! তাও ভাগ্যিশ মোল্লা লিখা দেয় নাই। সে কাফের নাসারার দেশে আইসা ধরা রে সরা জ্ঞান করে।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক, আপনেই এই অভাগার দুঃখটা বুঝলেন। রাজুকে শরিয়া মোতাবেক শাস্তি দেয়া হোক।
@অভিজিৎ,
মুক্তমনা বিচার সভার আহবান জানাচ্ছি। ভার্চুয়াল দোররা হবে শাস্তি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি কি বলেন তো!!! অভি দিল ঢোলে বাড়ি আর আপনি শুরু করলেন নাচানাচি। অভি কি আপনাকে ঘুষ দেয় নাকি থ্রেট করে? রাজু যে এত্ত কষ্ট করে মহাবৃত্তের রিভিউ লিখলো, তাও আবার সবার মত ফাঁকিবাজি করে না, পড়ে টড়ে সিন্সিয়ার একটা রিভিউ দিল। কোথায় তাকে উৎসাহিত করা হবে, ধন্যবাদ দেওয়া হবে, না, দোররা মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে! এই অশুভ আ্যলায়েন্স নিপাত যাক…
@বন্যা আহমেদ,
😀
আপনি তো বেরসিকের মত জল ঢেলে দিলেন। আমি অভিজিতকে একটু খেলাচ্ছিলাম, এই আরকি। ভেবেছিলাম আরেকটু উপরে তুলে দিয়ে তারপর আছাড়টা দেব।
@বন্যা আহমেদ,
বন্যা’দি, আপনারা আছেন বলেই এখনো লিখতে সাহস পাই।
এই দুষ্টু চক্রের খপ্পরে পড়ে নাম না জানা কত লেখকই না মুক্তমনা ছেড়ে পালিয়েছেন।
@আদিল মাহমুদ,
এখন কিন্তু আমি নাসারার দেশে নাই। পুরোপুরি মুফতি-মওলানাদের দেশে।
আর আপনারা ভার্চুয়াল শাস্তি দেবার যে ফতোয়া দিলেন, সেটা এদেশে এখন নিষিদ্ধ।:-D
আমার লেখাটা কিছুটা নেগেটিভ সেন্স বহন করেছে, বুঝতে পারছি। কিন্তু সেটা আসলে আমি মনেপ্রাণে পত্রিকাটার ভালো চাই বলেই। ভবিষ্যতের মহাবৃত্ত যেন সুন্দর হয় সে আকাঙ্ক্ষা থেকেই।
ভালো থাকুন।
@অভিজিৎ,
অভি’দা আমি বলি আর না বলি, যে-কোন জিনিস সহজ করে তুলে ধরার জন্য আপনার স্টাইল ক্লাসিকের মর্যাদা পাবে। ফরিদ ভাই, ইরতিশাদ ভাই সহ অন্যরাও অসম্ভব রকমের সহজ করে লিখতে পারেন। আপনাদের থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি।তাই জোর করে হলেও খুঁত বের করে আনার অপচেষ্টা করেছি, যাতে পরের লেখায় এই অধমদের জন্য আরো সহজ করে লিখতে চেষ্টা করেন।
তবে সত্যি কথা বলতে কি, মহাবৃত্তে বিখ্যাতদের লেখা সুখপাঠ্য হয়নি(আপনাকে বিখ্যাতদের দলে রাখিনি)। আমি জানি না, মহাবৃত্তের আসল পাঠক বা টার্গেট পাঠক কারা, তবে যদি সাধারণ পাঠক মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে লেখা কম হলেও সহজ করে বেশি কথায় বলতে হবে। কারণ যারা মোটামুটি মানের শিক্ষিত তারাও আজকাল ইন্টারেনেটের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পাচ্ছে। তারা সেখান থেকেই অনেক তথ্য অনেক সুবিধাজনক উপায়ে পেতে পারে। তারা মহাবৃত্ত পড়বে কেন?
@মইনুল রাজু,
আপনার রিভিউ পড়ার আগে বলতাম- ইন্নাল্লাহা মা’আসসাবিরিন। ভাবার্থ- সবুরে মেওয়া ফলে।
রিভিউ পড়ে এখন প্রতি মুহুর্ত বলছি- আল-ইন্তেজারু আশাদ্দু মিনাল মাউত। ভাবার্থ- অপেক্ষা মৃত্যুর চেয়েও কষ্টকর।
পত্রিকা তো পাই নি, অভিজিৎ দা’র লেখাটা আরো দুইবার পড়লাম। পক্ষপাতিত্বের ব্যাপার নয়, পাঠকদেরকে যে যায়গায় নিয়ে এসে অভিজিৎ দা’ রাম-রহিমের ঘড়িতে সময়ের পার্থক্য বর্ণনা করেছেন, সেখানে রক্ষনশীল ভুমিকার কিছু খুঁজে পাইনি। হয়তো আমার পর্যবেক্ষণের ভুলও হতে পারে। আশা করি পত্রিকায় অভিজিৎ দা’র লেখাটার বানানগুলো ঠিক করে দেয়া হয়েছে। আপনার রিভিউ আর ব্লগে মহাবৃত্ত নিয়ে আরো আলোচনা সমালোচনা পাঠক, গ্রাহক ও ক্রেতাদের নিঃসন্দেহে উৎসাহিত করবে।
মইনুল রাজুর আলোচনা খুবই ভালো লাগলো। মহাবৃত্ত পড়ার আগে বলতে পারছি না তাঁর সাথে পুরোপুরি একমত কি না।
অপেক্ষায় আছি।পাইলে আপনার বয়ান মিলাইয়া দেখব।
অপেক্ষা বড়ই কঠিন জিনিস। 🙁
@হেলাল,
মিলিয়ে বলবেন কিন্তু, আমি নিজেও একটু অন্যদের মতামত দেখতে চাচ্ছি।
অপেক্ষা মাঝে মাঝে মধুরও হয় 😀 ।
@হেলাল, আসিফ বললেন, আমেরিকায় এবং সুইডেনের ঠিকানায় পত্রিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন, আপনার আর প্রদীপ দা’র কপিগুলো পাঠিয়ে দেবেন এই সপ্তাহেই।
@বন্যাদি,
মইনুল রাজুর আলোচনা পড়ে আমার আর তর সইছে না। কবে যে পড়তে পারবো মহাবৃত্তের বৃত্তান্ত।
অনেকদিন পরে মইনুল রাজুর আবির্ভাব চমৎকার একটি লেখার মাধ্যমে। মুক্ত-মনার পাঠক হলেও বিজ্ঞান নিয়ে আমার জ্ঞান কম বলে আগ্রহও কম। মুক্ত- মনার কল্যাণে মহাবৃত্ত পত্রিকাটির নাম জানি বলে গত শুক্রবার দিন পত্রিকাটি আজিজ মার্কেটের তক্ষশীলা নামক বইয়ের দোকানে উল্টে পাল্টে দেখলাম। কিনিনি। রাজুর পর্যালোচনা পরে মনে হচ্ছে কেনা উচিত ছিল।
রাজুর অন্তর্ধান প্রত্যাশিত নয়।
@গীতা দাস,
গীতা’দি, কেমন আছেন? আমি ঢাকায় আছি। অগাস্ট ১৩ -তে চলে যাব আবার। বৃহস্পতি-শুক্রবার ক্লাস নিই আর পাঁচদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াই। অযথাই ব্যস্ত, তাই লেখা হয় না। না লিখলেও মুক্তমনার লেখাগুলি পড়ি।
ভালো থাকবেন।
@মইনুল রাজু,
আমিতো এখনো শেষ দিতে পারলাম না। তবে প্রচ্ছদ ভাল হইছে। আশা আছে এই বছরের মধ্যে শেষ দিব। 😀 তারপর আপনার সাথে আলোচনা করব।
@আতিক রাঢ়ী,
শেষ দেয়া কঠিন আছে…বিশেষ করে, বুঝে পড়তে গেলে অনেক সময় লাগে।
এই বছরের মধ্যে শেষ দিতে পারলেও অনেক 😀
@মইনুল রাজু,
তার মাইনে কি, আপনেও কি শেষ না দিয়াই ? :-/
@আতিক রাঢ়ী,
😀 আমি ভাই টানা বসে পড়েছিলাম, লোকজন দেখে বলে পরীক্ষা না-কি।
@মইনুল রাজু,
সবাই পড়ুক আগে………তারপর আপনার রেজাল্ট………
দেখেন না, সবাই চুপ। আপনার মত দ্রুত আর কেউ শেষ দিতে পারে নাই। 🙂
লেখায় পত্রিকাটির প্রচ্ছদ, সূচি, দাম ও প্রাপ্তিস্থান যোগ করলে আরো ভালো হতো।
সর্বাত্নক সাফল্য কামনা। চলুক। :clap2:
@বিপ্লব রহমান,
প্রচ্ছদ করেছেন অশোক কর্মকার। প্রচ্ছদ খুবই চমৎকার এবং মানানসই।
সূচী স্ক্যান করে দিলে ভালো হয়, কিন্তু সেটা আবার কপিরাইটের আওতায় পড়ে যাবে কিনা বুঝতে পারছি না।
আমি ১৫০ টাকা দিয়ে, আজিজ মার্কেটের ‘তক্ষশিলা’ থেকে কিনেছি। সাথে দোকানে বসে থাকা ভদ্রমহিলার সৌম্য হাসি ফ্রি।
@মইনুল রাজু,
অনুমতি নিয়েই প্রচ্ছদ ও সূচি লেখায় সংযোজন করতে পারতেন। তাছাড়া এটি তো কোনো বানিজ্যিক ব্যবহার নয়।
জয় হোক! :rose:
@ মইনুল রাজু,
পত্রিকা পাবার আগেই চমৎকার রিভিউ পেলাম। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম। কবে যে পত্রিকাটি হাতে আসবে সেই অপেক্ষায় আছি।
@বিপ্লব রহমান।
ঢাকায় যারা চাকরী করে তারা কেন প্রেমে পড়ে? এখন বুঝতেছি। ঢাকার বাইরে থাকলে এই ফ্রি জুটে না।