এক
‘৯০ এর ছাত্র-গণআন্দোলনের শেষ প্রান্তে চরম দীনতার অনুসঙ্গে খানিকটা ঘটনাচক্রেই ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়ার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। এর আগে নির্ঘাত কোনো না কোনো কাগজে বা সাময়িকপত্রে তার চমৎকার সব ছড়া পড়ে থাকবো।…
সে সময় জেনারেল এরশাদ কবিকূলকে কিনতে শুরু করলে দেশের শীর্ষ কবিরা এর প্রতিবাদে গঠন করেন জাতীয় কবিতা পরিষদ। রাজকবিদের বিরুদ্ধ স্রোতের বাইরে পরিষদ আয়োজন করে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দুদিন টিএসসির সড়কে ‘জাতীয় কবিতা আন্দোলন’, পরে তা ‘জাতীয় কবিতা উৎসব’এ রূপ নেয়। দুই বাংলার প্রধান কবিরা ছাড়াও সারাদেশ থেকে খ্যাত-অখ্যাত সব ধরণের কবি ও ছড়াকাররা এই মঞ্চে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও ছড়া আবৃত্তির সুযোগ পান। এমনই মঞ্চে মোহাম্মদ রফিক পাঠ করেন সেই আগুন ঝরানো কবিতা :
সব শালা কবি হবে
পিপিলিকা গোঁ ধরেছে উড়বেই
বন থেকে দাঁতাল শুওর
রাজ আসনে বসবেই।…
আমি নিজেও তখন এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্ষুদে এক কর্মী। আমারও মাথায় তখন কবিতা ও লিটল ম্যাগের ভূত…ওই বয়সে যা হয় আর কি! …তো সব মিলিয়ে কবিদের আয়োজনটিকে ঘিরে আমারও উৎসাহের কমতি ছিলো না।
এক সন্ধ্যায় মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি শুনছি। নেত্রকোণার কবি ইয়াছিনুর রহমান (এখন দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি), আমাদের প্রিয় ইয়াছিন ভাই, আমার কাছে এসে বললেন, এই বিপ্লব, ১০০টা টাকা দে তো!
আমি আমতা আমতা করে বললাম, কি যে বলেন, না-বলেন, আমি এতো টাকা পাবো কোথায়?
শুনেছি, ইয়াছিন ভাইকে অনেকে আড়ালে ‘পাগলা ইয়াছিন’ বলে ডাকেন। এইবার তার পাগলামী মাথায় চড়ে। শুদ্ধ ভাষা বেমালুম ভুলে গিয়ে তিনি ময়মনসিংহের খাস বাংলায় ক্ষেপে গিয়ে বলেন, তোরা ঢাহার লুকজন এতো গরিব ক্যান? মনে লয়, বেকতিরে ধইরা ধইরা থাপড়াই!
আমি পকেট ঝেড়ে-ঝুড়ে তাকে ৪০-৪২ টাকা দিয়ে আশ্বস্ত করি। বিনয় করে জানতে চাই, এতো টাকা দিয়ে কী করবেন?
আর বলিস না, কবিতা পরিষদ নিয়ম করছে, মঞ্চে উঠতে হইলে ১০০ ট্যাহা চাঁন্দা দিতে হইবো। অহন সুকুমার দা’র তো ট্যাহা নাই। হের জন্য ট্যাহা পাই কই? চল আমরা হের লাইগ্যা ট্যাহা জোগাড় করি।…
আমি রাজি হই, দুজনে মঞ্চের আশে-পাশে, টিএসসির ঝুপড়ি চায়ের দোকন ঘিরে জমে ওঠা ছোট ছোট জটলার ভেতর বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত, সদ্য পরিচিত, এমনকি প্রায় পরিচিত মুখ খুঁজে বেড়াই। এদিকে দ্রুত সময় বয়ে যাচ্ছে। সময় নেই, একদম সময় নেই। ….
ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়াকে ইয়াসিন ভাই মঞ্চের সামনের দিকে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছেন। তার হাতে লেখা সদ্য একটি ছড়া। ইয়াসিন ভাই তাকে অভয় দিয়েছেন, দাদা, আপনি একটু বসুন। আমি এই এক দৌড়ে যাবো আর আসবো; আপনার ফিসটা জমা দিয়ে আসি। যখন-তখন মঞ্চে আপনার নাম ঘোষণা হবে। আপনি ততক্ষণে ছড়াটার আবৃত্তি একটু প্রাকটিস করে নিন–ইত্যাদি।
ভাগ্যিস সেদিন সময় মতো টাকার জোগাড় হয়েছিলো। ইয়াসিন ভাই সত্যি সত্যি ছুট লাগালেন টিএসসির দোতলার ঘরটিতে, সেখানে ছড়াকারের নামে ১০০ টাকা জমা দিয়ে মানি রিসিট নিয়ে আবার দৌড় মঞ্চের দিকে। তার পিছু পিছু ছুটছি আমিও। আমরা এক টুকরো কাগজে সুকুমার বড়ুয়ার নাম লিখে মানি রিসিটসহ চিরকুটটি ধরিয়ে দেই একজন ভলেন্টিয়ারের হাতে। ওই ভলেন্টিয়ার উপস্থাপকের লিস্টে ছড়াকারের নাম তুলে দেন।
এরপর আমরা ফিরে আসি মঞ্চের এক কোণে। ইয়াসিন ভাই একশলা স্টার সিগারেট ধরিয়ে আমাকেও একটা সিগারেট দেন। তার উত্তেজনাটুকু ততক্ষণে আমাকেও স্পর্শ করেছে। ফেব্রুয়ারির শীতেও হাইনেক সোয়েটারের ভেতর আমি ঘামতে শুরু করি। আর মঞ্চে যখন ঘোষণা হয়, ‘এবার ছড়া পড়বেন, আমাদের সবার প্রিয় ছড়াকার, সুকুমার বড়ুয়া’…তখন ইয়াসিন ভাই সিগারেট ফেলে শিশুর মতো খুশীতে হাততালি দিতে থাকেন। আমার কানের কাছে মুখ নামিয়ে এনে বলেন, অহন একডা বাঘের বাইচ্চা মঞ্চ মাত করবো, বুঝলি?
আমি বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম–ড্রামের শব্দ শুনি। …
দুই
‘৯০ এর আন্দোলনের পরে কবিতা, লিটল ম্যাগ, ছাত্র রাজনীতি — সব ছেড়ে আমি শুরু করি সখের সাংবাদিকতা। বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকায় রিপোর্টিং। পেশাদার হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। এক-একেকটি লেখার বিল দেড়শ থেকে দুশ টাকা। আর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করতে পারলে পকেটে আসবে দেড় থেকে দুহাজার টাকার কড়কড়ে নোট!
ছাত্র রাজনীতি ছাড়লেও মধুর কেন্টিন, টিএসসি, হাকিম চত্বরের মায়া তখনো ছাড়তে পারিনি। ফাঁক পেলেই চলে যাই সেই সব জায়গায়। হঠাৎ হঠাৎ দু-একজন পরিচিত জন পেয়ে যাই। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আমাদের মনে পড়ে যায়, বসুনিয়া, আরিফ, মুরাদ, ডাক্তার মিলন, দীপালি সাহা, রাজু …আরো কতো সব তাজা প্রাণ চোখের সামনে ঝরে পড়ার ইতিকথা।…
সে সময় কেউ একজন আমাকে খবর দিয়ে থাকবে, সুকুমার বড়ুয়ার বড়ই দুর্দিন। তিনি নাকি চরম আবাসিক সংকটে পড়েছেন। আমি সিদ্ধান্ত নেই, তার ওপর ‘সাপ্তাহিক খবরের কাগজে’ একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করার। কিন্তু ছড়াকারকে পাই কোথায়?
লেখক শিবির অফিসে গিয়ে সদ্য ঢাকায় আসা উঠতি ছড়াকার রবীন আহসানকে ধরি। রবীনের মুখে প্রায়ই সুকুমার বড়ুয়ার উচ্ছসিত প্রসংশা শুনতাম। সে সবিস্তারে বর্ণণা করতো, তার কোন ছড়া শুনে সুকুমার দা কী কী মন্তব্য করেছেন– এই সব। ওর কাছেই শুনেছি, রবীনের ছড়ার খাতা দেখে নাকি সুকুমার বড়ুয়া মন্তব্য করেছিলেন :
বরিশালের ছড়াকার
লেখনিতে কড়াধার!
রবীন আমাকে জানায়, সুকুমার দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে কাজ করেন। ছাত্র অবস্থায় ওই ইন্সটিটিউটের ক্যান্টিনে ভাত-তরকারির লোভে আমরা প্রায়ই ভীড় করতাম। তাই ইন্সটিটিউটের ছোট্ট চত্বরটি আমার চেনা ছিলো। …
সেখানে গিয়ে দারোয়ান মামুকে সুকুমার বড়ুয়ার নাম বলতেই তিনি তাকে ডেকে দেন। আমি একটি সচিত্র সাক্ষাৎকারের জন্য সময় প্রার্থণা করলে বিনয়ী ভদ্রলোকটি কাছের শিব বাড়ি মন্দির এলাকায় তার আবাসস্থলে আসার অনুরোধ জানান। সুকুমার বড়ুয়া তখন পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের স্টোর কিপার। …
পরদিন বিকেলে বাংলা একাডেমীর পাশে শিব বাড়ি মন্দির এলাকায় নানান অপরিসর গলি-ঘুঁপচির ভেতর ব্রিটিশ আমলে তৈরি লাল ইটের নীচু ছাদের কিছু সার সার ঘুপচি ঘর আবিস্কার করি। যেনো রেলওয়ে বস্তিরই একটু ভদ্র সংস্করণ।
এরই একটি ঘরে সুকুমার বড়ুয়া, তার স্ত্রী ও স্কুল পড়ুয়া ছোট দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাস করেন। ঘরের ভেতরে বিকেল বেলাতেও অন্ধকার তাড়াতে জ্বালতে হয় সেডবিহীন একটি ঘোলা বাল্ব। ঘরের অর্ধেকটা জুড়ে একটি প্রামাণ আকৃতির খাট। বাকী অর্ধেক মেঝেতে তেল চিটচিটে ছেঁড়া একটি শীতল পাটি বিছানো।…সর্বত্র দারিদ্রের করাল গ্রাস।
টিনের থালায় পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে বানানো ঝাল মুড়ি, ছোট এক গ্লাস আদা-চা দিয়ে সুকুমার দা আমাকে আপ্যায়ন করেন। আমি তার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার কথা, ঢাকার রাস্তায় রাস্তা স্বামী-স্ত্রীর পাঁপড় ভেজে বিক্রি করে জীবন চালানোর সংগ্রাম, তারপর পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি হিসেবে চাকরি লাভ, পাশাপাশি ছড়া লেখালেখি…ইত্যাদি সব টুকরো কথা দ্রুত নোট নিতে থাকি। …
সুকুমার দা বলেন, ব্রিটিশ আমালের এই গুদামঘরগুলো এরই মধ্যে পূর্ত অধিদপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। যে কোনো সময় এগুলো ধ্বসে পড়ে জগন্নাথ হল ট্রাজেডির মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তারা আমাদের কোনো বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়নি। আর আমার যে বেতন! এই বেতনে তো বউ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে দু-বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই মুশকিল। তাই অন্য কোথাও তো ঘর ভাড়া নেওয়ার কথা ভাবতেই পারি না! আমরা স্বামী-স্ত্রী, দুই বুড়োবুড়ি মিলে এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মরতে হলে এখানেই ঘর ধ্বসে মরবো। আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই!
আমি শেষ বিকেলে আলোয় ছোট্ট অটো ক্যামেরায় সুকুমার বড়ুয়ার কয়েকটি ছবি তুলি। এর মধ্যে একটি ছবি ছিলো, হাতপাখার মতো করে তার সব কয়েকটি ছড়ার বই এক হাতে ধরা। পরে এই ছবিটিই ‘সাপ্তাহিক খবরের কাগজে’ প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ব্যবহার করি। সাক্ষাৎকার নিয়ে ফিরে আসার সময় ভাঙা রেকর্ডের মতো আমার মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে ওই ঘুপচি পড়ো ঘরে বসে তার লেখা সেই বিখ্যাত ছড়া– ‘ঠিক আছে ঠিক আছে’ :
অসময়ে মেহমান
ঘরে ঢুকে বসে যান
বোঝালাম ঝামেলার
যতগুলো দিক আছে
তিনি হেসে বললেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।রেশনের পচা চাল
টলটলে বাসি ডাল
থালাটাও ভাঙা-চোরা
বাটিটাও লিক আছে
খেতে বসে জানালেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।মেঘ দেখে মেহমান
চাইলেন ছাতা খান
দেখালাম ছাতাটার
শুধু কটা শিক আছে
তবু তিনি বললেন
ঠিক আছে ঠিক আছে।
তিন
ওই প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর কয়েকটি পত্রিকার কপি সুকুমার বড়ুয়ার কর্মস্থলে গিয়ে তার হাতে গুঁজে দিয়ে আসি। আন্তরিকভাবে জানতে চাই, তার বাসা বরাদ্দ বিষয়ক আবেদনের ‘নথিটি উর্দ্ধ দিকে ধাবিত’ হয়েছে কি না? বাচ্চারা কেমন আছে? বউদির খবর কী? জবাবে সুকুমার দা অস্পষ্টভাবে মাথা নাড়েন। হতাশায় তার গলা ধরে আসে। সাপ্তাহিকের এক হাফ-সাংবাদিক হিসেবে আমার নিজেকে বড়ই অসহায় বলে মনে হয়।…
আরো কিছুদিন পড়ে ওই সাপ্তাহিকের অফিসে সন্ধ্যা বেলায় ঢুঁ মারতে গেলে সম্পাদক আমাকে একটি চিরকুট দেন। সেখানে একটি ফোন নম্বর ও ম্যাসেজ লেখা :
জরুরি ভিত্তিতে এই নম্বরে (অনুরোধে) ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়াকে ফোন করতে হবে। …
না জানি কি খবর, আমি নানান সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে সেই এনালগ ফোন নম্বরে টেলিফোন ঘোরাই। ওপাশে ফোনটি বার বার বেজে লাইন কেটে যায়। কেউ রিসিভার তোলে না! আন্দাজ করি, এটি হয়তো পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের ফোন নম্বর হবে। সিদ্ধান্ত নেই, পরদিন আবার দিনের বেলা ফোন করবো।…
পরদিন সকাল ১০-১১ টার দিকে একটি টেলিফোনের দোকান থেকে ওই নম্বরে ফোন করে সুকুমার দাকে ডেকে দিতে অনুরোধ করি। একটু পরে অপর প্রান্তে তার গলা শুনি। নিজের পরিচয় দিতেই সুকুমার দার উত্তেজিত গলা শুনি : ও সাংবাদিক বিপ্লব ভাই! আপনার নিউজে খবর হইছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেইকা কইছে, আমারে এক মাসের মধ্যে বাড়ি বরাদ্দ দিবো। আপনে দোয়া রাইখেন!
আমি ফোন রেখে আপন মনে মুচকি হাসি। ওই সাপ্তাহিকের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনেই কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে, এমনটি ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না। একবার ভাবি, এটি হয়তো নেহাতই একটি কাকতালীয় ঘটনা। আবার ভাবি, নাহ, আমার নিউজে কাজ হলেও হতে পারে। আমাদের সাপ্তাহিকীটির সার্কূলেশন তো খুবই ভালো। …
এর বেশ কিছুদিন পর কি একটা কাজে নীলক্ষেত ফুটপাথ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি, সুকুমার দা। আমি জানতে চাই, দাদা, আপনার বাসার খবর?
জবাবে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন। তখনই মুখে মুখে ছড়া বানিয়ে বলেন:
স্যার, স্যার, স্যার,
তিরিশ বছর চাকরি করে,
পেলাম কোয়ার্টার!
জানতে পারি, সুকুমার দা তখন নীলক্ষেত এলাকায় গড়ে ওঠা তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের কোয়ার্টারে বাসা বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি তখন ভালোই আছেন।
চার
এরপর আমার কর্ম ব্যস্ততা বাড়ে। একের পর এক সাপ্তাহিক, সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক, কাগজ বদল করতে করতে আমার চাকরি পাকা হয়। সাংবাদিক হিসেবে আমি সরকারি বেতন স্কেল পাই। পুরস্কারের পাশাপাশি আমার খানিকটা খ্যাতিও জোটে। আর আমি ক্রমশই নির্লজ্জর মতো ভুলে যেতে থাকি প্রথম যৌবনবেলার নায়কদের কথা।…
—
ছবি: পার্থ প্রতীম সাধু।
আপনি ভাগ্যবান, চমৎকার মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছেন।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। (Y) (Y)
@আম্মানসুরা,
সৌভাগ্য আরো আছে, নোটটি আপনাকে স্পর্শ করেছে। 🙂
আমরা তখন আন্ডারগ্রাডের ছাত্র। আমাদের এক রোমান্টিক কবি বন্ধুর শখ হলো জাতীয় কবিতা উৎসবে কবিতা পড়ার। যথারীতি একশ টাকা জমা দিয়ে ‘তোমাকেই দিয়ে দিলাম’ নামের একটি প্রবল প্রেমকাতরতায় পরিপূর্ণ কবিতা আকাশের দিকে চোখ ভাসিয়ে দিয়ে গভীর আবেগে আবৃত্তি করে ফেললো সে। আমরাও তার কবিত্বের এরকম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে দলবেধে তুমুল কোলাহল করে বিপুল করতালিতে তাকে অভিনন্দিত করলাম। পরবর্তীতে নজরুলের পরিবর্তে তাকেই আমরা জাতীয় কবি হিসেবে ডেকে ডেকে বেচারার জীবনটাকেই মোটামুটি দুর্বিষহ করে ফেলেছিলাম।
ছোট্ট একটা তথ্য যোগ করি এখানে। এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন আমাদেরই ক্যাথেরীনা। :rose:
@ফরিদ আহমেদ,
ব্রাজিল আর পর্তুগাল এর খেলা বড় বোরিং লাগছিল, তাই ঝগড়া করার জন্যে একজন মানুষ খুঁজছিলাম, আল্লাহর মর্জি পেয়েও গেলাম তাই-
@আকাশ মালিক,
লক্ষ্য করেছেন, আজকাল আল্লাহ আপনি যা চাচ্ছেন তা সহজেই পুরন করে দিচ্ছেন?
আপনি মুখে যাই বলেন না কেন, উনি আপনাকে বেশ পছন্দ করেন বলেই মনে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাহ যে আকাশ মালিককে খুব পছন্দ করেন এর কারণ কি জানেন?
কারণ, আমাদের আকাশ মালিক একজন রোমান্টিক হুজুর। আল্লাহ নিজেই যে একজন রোমান্টিক আল্লাহ।
@আদিল মাহমুদ,
এ সব আপনাদের দোয়ার বরকত।
বাই দ্যা ওয়ে, আপনার ধৈর্য্যশক্তি দেখে আমি সত্যিই অবাক হই। জানি আপনি একাই একশো, তবু বলে রাখি প্রয়োজনে আওয়াজ দিবেন পাশে পাবেন ইনশাল্লাহ।
@আকাশ মালিক,
কথাটা কি শুধু আদিল মাহমুদকে বললেন? আমি আওয়াজ দিলে আপনাকে পাশে পাবো তো? একবার আমি আপনার সাথে কোলাকুলি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই স্বাদ তো পূর্ণ হলো না। বাঙলাদেশে এলে আওয়াজ দিয়েন, দেখা করতে যাবো।
@আকাশ মালিক,
আজকে ব্রাজিল এবং পর্তুগালের খেলা আসলেই খুব পানসে হয়েছে। দুই দলেরই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়াতেই কেউই আর গা করে খেলে নি। অহেতুক শক্তিক্ষয় করারতো কোন মানে নেই। আসল শক্তি সঞ্চিত করে রাখছে নক-আউট পর্যায়ের জন্য।
ঝগড়া করার জন্য খুবই অপাত্র বেছে নিয়েছেন আপনি। কথাই ঠিকমত বলতে জানি না আমি, ঝগড়াতো অনেক দূরের ব্যাপার।
আগে একবার বলেছিলাম যে চন্দ্রবিন্দুর বিষয়ে আমি খুবই দুর্বল। এই অহেতুক যন্ত্রণাটা বাংলায় না থাকলে যে কি হতো কে জানে? কোথায় যে একে রাখবো আর কোথায় যে রাখবো না সেটা ঠাহর করাটা মাঝেমাঝেই খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। একটা নিয়ম অবশ্য জানি, কিন্তু প্রায়শই খেয়াল থাকে না সেটা। নিয়মটা হচ্ছে এরকম, মূল শব্দের নাসিক্য ধ্বনি (ঙ, ঞ, ণ, ন, ং) লুপ্ত হলে অর্থাৎ তৎসম শব্দ অর্ধ-তৎসম শব্দে পরিণত হলে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন : বন্ধন> বাঁধা, রন্ধন> রাঁধা, অঞ্চল > আঁচল, চন্দ্র> চাঁদ, অন্ধকার> আঁধার, পঙ্ক > পাঁক, বৃন্ত > বোঁটা, ক্রন্দন > কাঁদা। সে কারণেই আমার একজন চন্দ্রবিন্দু উপদেষ্টা আছেন। আমার সব লেখার চন্দ্রবিন্দুই ঠিক করে দেন তিনি। ইদানীং তিনি ব্যস্ত বলে আমাকে অতোটা সময় দিতে পারছেন না। যার কারণেই চন্দ্রবিন্দু নিয়ে চরম ধন্দে আছি আমি। দল বেঁধেতে চন্দ্রবিন্দু দেইনি এটা ঠিক কথা, আমারই ভুল। কিন্তু একে সমাসবদ্ধ করাটার কী অন্যায় হলো সেটা বুঝতে পারি নি একেবারেই।
আবৃত্তি এবং দুর্বিষহ বানান কেন ভুল সেটাও বুঝতে পারলাম না। আমি যদি ভুল হই তবে বাংলা ভাষার মোটামুটি সব অভিধানই যে ভুল করেছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
বানানের ক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দের অভিধান হচ্ছে বাংলা একাডেমীর বাংলা বানান অভিধানটি। এই অভিধানে আবৃতি কথাটার অর্থ লিখেছে আবরণ আর আবৃত্তির অর্থ লিখেছে উচ্চ কণ্ঠে পাঠ।
সংসদ বাংলা অভিধানে আবৃতি বলতে বুঝিয়েছে আবরণ, বেষ্টন, প্রাচীর আর বেড়াকে, অন্যদিকে আবৃত্তি বলতে লিখেছে বারংবার পাঠ বা অভ্যাসকরণ, ছন্দ ভাব প্রভৃতি যথাসম্ভব বজায় রাখিয়া উচ্চস্বরে পাঠকে।
আর দুর্বিষহ-র ক্ষেত্রে বলবো যে বাংলায় দুর্বিসহ বলেই কোন শব্দ নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
আবৃতি
দুর্বিসহ
দল বেঁধে
শব্দগুলো এ ভাবে বারবার প্রচুর পত্রিকা বই ম্যাগাজিনে ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা কি কোনদিনই আমাদের ভাষার সঠিক রূপ জানতে পারবো না? ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে দেশটা স্বাধীন হলো। স্বাধীনতার এত বৎসর পরেও, আমাদের ভাষাবিদগণ এ বিভ্রান্তি দূর করতে পারলেন না।
@ফরিদ আহমেদ,
বাংলা বানান রীতি নিয়ে আমার খুব প্রিয় কবি চয়ন খায়রুল হাবিবকে স্মরণ না করে পারছি না। প্রবাসী কবি চয়ন কবিতাসহ অন্যান্য রচনা লেখেন নিজস্ব বানান রীতিতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি বাংলা প্রমিত সংস্কার প্রস্তাবনাঃ জ্বালিয়ে(ছিল)/জ্বালায়ে(ছিল); ইকারগুলাকে আকারে নিয়ে আসলে লেখ্যর সাথে কথ্যরুপের প্রমিত ভারসাম্য তৈরি হবে!শব্দ বা নামের শেষে লম্বা ইকার বা চাদবিন্দু ‘সরায়ে’ নিলে সেগুলোতেও ন্যাকামির বদলে খোলামিলের গিতলতা যোগ হবে! মোদ্দায়, পোকায় কাটা কয়েকটা দাত ফেলে দিলেই দুখিনি বর্নমালার দাত ব্যাথা…সেরে যাবে…
পড়ুন: ভাষাচিন্তাঃ পোকায় কাটা কয়েকটা দাত ফেলে দিলেই দুখিনি বর্নমালার দাত ব্যাথা সেরে যাবেঃ :yes:
সুকুমার বড়ুয়াকে সামনা সামনি একবারই দেখেছিলাম চট্টগ্রামে একটি আবৃত্তি সংগঠনের অনুষ্ঠানে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখকষ্ট সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। বিপ্লব রহমানকে ধন্যবাদ এ লেখাটির জন্য।
@ বিপ্লব রহমান,
একেই কি বলে প্রকৃতির নিয়ম?
@মাহফুজ,
লেখাটি কী আসলে তাই বলছে? 😕
@বিপ্লব রহমান,
ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু মনে রাখা কঠিন।
আপনি কেন নির্লজ্জের মত ভুলে যেতে থাকেন প্রথম যৌবনবেলার নায়কদের কথা।…?
এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত? অথচ সুকুমারকে ঠিকই স্মরণ করে তার সুখ দুঃখের জীবনী তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেছেন।
@মাহফুজ,
হুমম…আসলে শৈশব, কৈশর, যৌবন বেলার নায়কদের কখনো ভুলে থাকা যায় না। তারা কথনো কখনো হয়তো বিস্মৃতির আড়ালে থাকেন মাত্র।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
বিস্মৃতির অন্তরালে থাকা এই সব নায়কদের আপনি আরও তুলে আনুন। কষ্ট মিশ্রিত সুখ পাচ্ছি।
আপনার প্রতিবেদনের কারণেই একজন কবি কোয়ার্টার পেয়েছিল।
আপনার লেখালেখি সার্থক। দীর্ঘজীবী হোক আপনার কলম।
@মাহফুজ,
আমি চেষ্টা করবো ভ্রাতা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
চেষ্টাটা একটু জলদি করেন। কারণ ওগুলো বোঝা আমার জন্য খুবই জরুরী। জলদি জলদি লিখে জলদি জলদি পোষ্ট করুন। কাজটি সমাধা হলে :cake: খাব।
পারলাম কি স্মাইলী ব্যবহার করতে?
ধন্যবাদ
@প্রদীপ দেব, 🙂
যেনো সেই উত্তাল দিনগুলোতে ফিরে এলাম।
@পরিমল মজুমদার,
আপনাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগলো। ভীষন খুশী হবো, যদি আপনিও এখানে লিখতে শুরু করেন। ‘৭৪ এর দুর্ভিক্ষের ওপর লেখা আপনার টুকরো স্মৃতিটি তো একেবারে অসাধারণ! :yes:
আমি সে ইতিহাসের সাক্ষী।
@পুতুল,
তারপর? আপনার অভিজ্ঞতাও জানতে ইচ্ছে করছে। :rose:
৯০ এ আমি ঢাকায় ছিলাম না। আমি তখন ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। তবে ঢাকার বন্ধুদের কাছে শুনেছি তারা কিভাবে কারফিউ অমান্য করেছে তার রোমাঞ্চকর সব কাহিনী।
আরো শুনতে চাই অপরাপর নায়কদের কথা।
@আতিক রাঢ়ী,
অবশ্যই। আপনার আগ্রহেক সাধুবাদ জানাই। :rose:
@আতিক রাঢ়ী,
৮৭ সালের ১০ই নভেম্বরের সময় একবার রাস্তায় বিডিআর এর রুদ্ররোষে পড়েছিলাম, ঠান্ডা মাথায় গুলি খাওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছিল। জীবনে মনে হয় মৃত্যুর কাছাকাছি ঐ একবারই যাওয়া।
@আদিল মাহমুদ,
৮৭ সালে আবার কি ঘটেছিল ? একটু খুলে বলুন। ৮৬ হলে না হয় এককথা,
ভোট কেদ্রে না যাবার জন্য জীবন বিপন্ন হলেও হতে পারত।
@আতিক রাঢ়ী,
এরশাদ আমল দেশের জন্য দূঃস্বপ্নময় কালো অধ্যায় হলেও আমার জীবন মন্দ কাটেনি, বেশ ভালই কেটেছিল। ঢাকা শহরে পরিবাগ এলাকায় (ষেখ মুজিব হলের উত্তর দিকে) ৪ টা ৫ তলা লাল ইটের ফ্ল্যাট নিয়ে ওয়াপদা কলোনী আছে। এখন সেগুলির চেহারা খুবই করুন লাগে, তবে আগে সেগুলি বেশ জৌলুসময়ই ছিল। আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে সেখানে।
এরশাদ আমলে প্রায়ই শাহবাগ থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর হত, পোড়ানো হত আর আমরা ৫ তলার ছাঁদ থেকে রীতিমত উতসবমুখর পরিবেশে ছেলেবুড়ো মহিলা সবাই মিলে সেগুলি উপভোগ করতাম। হরতাল হলে তো কথাই নেই। মহোতসব। যত বেশী গাড়ি পুড়ে আমাদের ততই উল্লাস। গাড়িতে আগুন দিলে অনেক সময় গাড়ি নিজে নিজে কিছুটা চলে, সেও এক দেখার জিনিস। সারাদিন খেলা, ফাঁকে ফাঁকে ছাদে উঠে ছাত্র-পুলিশ মারামারি দেখা, তার মজাই ছিল আলাদা। সন্ধ্যাবেলায় আবার বিবিসি ভোয়াতে সেগুলির বিবরন শোনা। চোখের সামনে কত গোলাগুলি দেখেছি, ককটেল হাতে ছাত্র, টোকাই। পুলিশের বেদম মার, গুলি বর্ষন। ৮৩র ১৪ই ফেব্রুরায়ীর কথাও কিছু কিছু মনে আছে। মানুষ যে কিভাবে অন্য মানুষকে পেটাতে পারে তা পুলিশের মার না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা দুই বন্ধু ছিলাম আবার আরেক ধাপ এগিয়ে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস মারলে তার একটা মেটাল খোল সে যায়গায় পড়ে থাকত। আমরা সে যায়গা আগে থেকে দেখে রাখতাম, পরে গোলমাল থামলে সন্ধ্যাবেলায় সেগুলি সুভ্যেনীর হিসেবে কুড়িয়ে আনতাম। তখন হরতাল দেওয়া হত টানা ৩ দিন/ ৫ দিন এইরকম মেয়াদের।
৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের একটা মাইল ফলক। সেদিন ধরে নেওয়া হয়েছিল যে এরশাদের পতন হবে। কারন দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফলে দুই নেত্রী ও ৩ বড় জোটকে ঐক্যবদ্ধ করা গেছে। সব দলই ১০ ই নভেমবরকে ডু অর ডাই এর মত ধরে লোক সমাগমের ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। এরশাদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। সারা দেশময় পাগলা কুকুরের মত পুলিশ বিডিআর গিজগিজ করছে। প্রতিদিনই কয়েকজন করে মানুষ মরছিল। যতদুর মনে আছে ৩ দিন টানা হরতাল ছিল। গোলমাল চলছিল ব্যাপক মাত্রায়। নুর হোসেন শহীদ হন ১০ তারিখে।
দিনটি মনে হয় ৯ই নভেম্বর হবে। কলোনীর ভেতর ক্রিকেট খেলছিলাম। বলটা হঠাত গিয়ে পড়ল কলোনীর বাইরে রাস্তার পাশের ড্রেনে। প্রায়ই তেমন পড়ত, আর আমরা লাঠি সোটা দিয়ে নানান কায়দায় তা উদ্ধ্বার করতাম। সে ড্রেনকে তখন ছোট খাটো নদী বললেও তেমন অত্যুক্তি হত না। সেই ড্রেনের পাশে বড় রাস্তার মুখ, আর সেখানে পাওয়ার হাউজে ঘাটি গেড়েছে বিডিআর। সেদিনই সরকার ঘোষনা দিয়েছে যে রাস্তায় যে কাউকে সন্দেহ হলেই গুলি করে মারা যাবে। আমরা বল উদ্ধারের পর সাহসী ৩ জন বড় রাস্তায় গলা বাড়িয়ে একটু দেখার চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে।
খেয়াল করিনি সেখানকার বিডিআর জওয়ানদের। হঠাত শুনি অশ্রাব্য গালি আর সামনে উদ্যত চাইনিজ রাইফেল হাতে দুই জওয়ান। তাদের সাজ পোষাক রীতিমত যুদ্ধে যাবার মত, পিঠে ব্যাগ, রোমশ হেলমেট, চোখ জ্বলছে শ্বাপদের মত। বলার চেষ্টা করলাম আমরা এই কলোনীতে থাকি। সাথে সাথেই জবাব, “একটা কথা বলবি তো গুয়ার ভিতরে গুল্লি কইরা দিমু”। তখনকার মানসিক অবস্থা কহতব্য নয়। এরপর পিঠে বন্দুকের গুতো দিয়ে আমাদের ঢোকানো হল পাওয়ার ষ্টেশনের ঘাটিতে। চারদিকে উদ্যত বেশ কটি বন্দুক। চোখে মুখে শিকার ধরার আনন্দ। এল একজন সুবেদার। ভাগ্য ভাল সেখানকার একজন দারোয়ান আমাদের চিনত, তার স্বাক্ষ্যতেই সে যাত্রা শুধু গালির উপরেই রেহাই পাই। হাতে অস্ত্রপাতি আর যা খুশী করার ক্ষমতা পেলে মনে হয় পাক আর্মি আর আমাদের বংগ আর্মিতে কোন তফাত থাকে না। হাতে অস্ত্র থাকলেই মনে হয় মানুষ মারতে হাত নিশপিশ করে।
১০ই নভেম্বর সফল হয়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ সেই সব কথা স্মরণে আনার জন্য। আমার মনে হয়, চূড়ান্ত অর্থে ১০ নভেম্বর কেনো, এরশাদ বিরোধী এক দফার আন্দোলন (জনতার দাবি এক/ খুনী এরশাদের পদত্যাগ) সরকার পতনের মধ্যদিয়ে শেষ হলেও নূর হোসেন কথিত ‘গণতন্ত্র মুক্তি’ পায়নি বিএনপি-আ’লীগ-জামাত-জাপা’র শ্রেণী চরিত্রর কারণে। …কারণ এতে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছিল মাত্র, কিন্তু শোষকের চরিত্রের বদল হয়নি। অর্থাৎ ‘৯০ এর আন্দোলনের পরেও এই দীর্ঘ সময়েও জনগণের সরকার গঠিত হয়নি।
স্বৈরাচার রূপ বদলেছে মাত্র…অ্যানালগ থেকে এখন ডিজিটাল! 😛
@বিপ্লব রহমান,
খুবই সত্য কথা। সবচেয়ে সত্য কথা, সেই এরশাদকে দলে টানার জন্য আজ দুই দলের চলে নগ্ন প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় এমনকি তার দাম্পত্য জীবন পুলিশ দিয়ে মাড়াতেও বাধে না। জেলের ভেতর তাকে প্রেসিডেন্ট হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কি বিচিত্র আমাদের নৈতিকতা, কি মহান আমাদের গনতন্ত্র। মাঝে মাঝে মনে হয় রাজু, দিপালী, নুর হোসেন, মিলন…এরা কিসের জন্য জীবন দিলেন?
@আদিল মাহমুদ,
এক সময় আমিও মিছিলে গলা তুলেছি:
আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত
এই রক্ত কোনোদিন
পরাভব মানে না…
এখন মনে হয়, সবই আপ্তবাক্য, কথামালার রাজনীতি মাত্র…সে সময় বৃথা ছিলো জীবন ঝুঁকি, নিয়ে যৌবন বিনিয়োগ! সান্তনা এইটুকু, কোনো অভিজ্ঞতাই নাকি বৃথা নয়। … 😕
@বিপ্লব রহমান,
আমার সবসময়ই মনে হয় যে এরশাদ আমলে টিএসসি, বাংলা একাডেমীর একুশে বই মেলা ও অনুষ্ঠান অনেক বেশী জমজমাট হত। আপনার কি মনে হয়?
@আদিল মাহমুদ,
এ ক ম ত।
তখন ছাত্র রাজনীতিতে একটি আদর্শ কাজ করতো। সময়টিও ছিলো উত্তাল। আর এখন ছাত্র রাজনীতিতে আর্দশ বলে তেমন কিছু নেই। ছাত্ররাও আগের চেয়ে অনেক কেরিয়ারিস্ট। এখন রিলেকের গোলাপেরই কদর অনেক বেশী। … :deadrose:
@বিপ্লব রহমান,
আসলেই তাই। সে সময় স্বৈরাচার হটানোর আদর্শে বড় ভাইদের অনেককেই নিজের ক্যারিয়ারের বারোটা বাজাতে দেখেছি। মনে হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদর্শের শেষ উদাহরন সেখানেই ইতিহাস হয়ে গেছে।
ছাত্র রাজনীতিতে তখনো কলংক ছিল। চাঁদাবাজী, স্বৈরাচার বিরোধীদের মধ্যেই খুনাখুনি লেগেই থাকত। তবে সব কিছুর উপর আদর্শের একটা ছাপ ছিল যার জন্য তখনকার ছাত্ররাজনীতি সাধারন মানুষেরও সহানুভূতি পেয়েছিল।
এরশাদ আমল নিয়ে কেউ তেমন আগ্রহ বোধ করেন না, আমার আজব লাগে। খালি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জিয়া-মুজিব। অথচ কি উত্তাল সব দিন গেছে।
@আদিল মাহমুদ, 🙁
@আদিল মাহমুদ,
কিছুই দেখলাম না এই জীবনে, দেখলাম শুধুই নষ্টামি। সবভাল কাজ আগের প্রজন্মরাই করে রেখে গেছে। এখন আমরা যদি তাদের অর্জনটুকু অন্তত ধরে রাখতে পারি…………………
আপনার অভিজ্ঞতা বিনীময়ের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
@আতিক রাঢ়ী,
আমার দেখাও ঐ একবারই। তবে ৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর এরশাদ পতনের রাতে মনে হয়েছিল যে ১৬ই ডিসেম্বর না দেখতে পারার দূঃখ অনেকটাই চলে গেছে।
এরশাদ আমলে যারা ঢাঃবিঃ এর সাথে বা ক্যাম্পাসের আশে পাশে ছিলেন তাদের সবারই মনে হয় বেশ উত্তাল সময় কেটেছে।
তবে তখনো ছিলাম নিরেট হাঁদা, মনে হয়েছিল স্বৈরাচারের পতন। এতদিন তো এই এক ব্যাটার জন্যই দেশের কিছু হচ্ছে না। এইবার আর ঠেকায় কে? আমাদের নিজের সরকারই তো ক্ষমতায়। এই ভ্রান্তিবিলাস কাটতে পাক্কা দুইটা বছর লেগেছি।
@আতিক রাঢ়ী,
[img]http://rumiahmed.files.wordpress.com/2007/11/h_0164a.jpg[/img]
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের গুলিতে মারা যান নূর হোসন নামক এই জীবন্ত পোস্টার। বিখ্যাত আলোকচিত্রী পাভেল রহমানের এই ছবিটি সে সময় দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হয়েছিল। কবি শামসুর রাহমান তাকে নিয়ে লেখেন অমর কবিতা– বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। …নূর হোসেনের আত্নত্যাগের পথ ধরে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-গণআন্দোলনের প্রবল জোয়ারে পতন ঘটে এরশাদ সরকারের। … সে এক ইতিহাস বটে।…
@বিপ্লব রহমান,
হায়রে স্বপ্ন ! – জীবনও যার কাছে তুচ্ছ।
গনতন্ত্র মানে এক এরশাদের স্থানে ৩০০ এরশাদের মিনি সংস্করন।
ভাগ্যভালই বলবো, নূর হোসেনকে এসব দেখতে হচ্ছে না।
নায়ক সেই জাতির লাগে যাদের …
এত নায়ক লাগে বলেই .. আমাদের এই
Unicoded bengali and both phonetics have been introduced without testing..I can’t write even a simple compound word..please revert back to old
unicoded avra.
Why did you change from unicoded avra? It was working well. If you have more time to develop this site, please spend time on couple of stuffs like
1. Link the comment/article to Facebook/ Twitter
2. Link youtube video to MM by auto-embedding/auto-sharing.
@বিপ্লব পাল,
অভ্র সরানো হয়নি, টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার কারনে কাজ করছেনা, অভি দা এর সাথে কথা হয়েছে, শীঘ্রই ঠিক করে দেয়া হবে।
আপনার মন্তব্যটি আমার কাছে বেশ রুঢ় মনে হয়েছে, আপনার অসন্তুষ্ট হবার কারণ আছে ঠিকই কিন্তু এতটা রুঢ় ভাবে না বললেও পারতেন। কোনো কিছু পাবার আশায় নয়, শুধুমাত্র আপনাদের ব্রাউজ করার সুবিধার জন্যই সাইটের কাজ করছি পরীক্ষার মধ্যেও, দেশের ব্যবহারকারীরা সাইটের গতির উন্নতি ইতোমধ্যে অনুভব করতে শুরু করেছে কিন্ত আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কাজ-কর্ম নেই তাই বসে বসে সাইটের ফিচার গুলো নিয়ে গুতাগুতি করি।
ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
সম্ভবতঃ প্লাগইন আপডেট করতে গিয়ে এটি হয়ে থাকবে। ঠিক করে দেয়া হয়ছে। সাইটের ডেভেলপাররা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে থাকেন। তাদের ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ব্যাপারটাকে এতো ক্রুদ্ধভাবে নেবার কিছু নেই। আশা করি এবার ঠিকমতো লিখতে পারছেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
ক্রুদ্ধ কেন হতে যাব। যা ঠিক ঠাক চলছে, সেই ফিচার নিয়ে সময় না খরচ করায় ভাল। বরং ফেসবুকের সাথে ইন্ত্রিগ্রেশন নিয়ে সময় দিলে ভাল হত।
বিগ্লবদা,
আপনার লেখা দেখলে ভয় পাই। শুরুটাতো ভালই লাগে, শেষে পর্যন্ত পড়লে নিশ্চই একটা ভয়ঙ্কর খারাপ কিছু শুনব। কিন্তু চোখে পড়লে না পড়েও থাকতে পারি না! সেভাবেই এখানেও শুরু, কিন্তু শেষে ভাবলাম; নাহ, বেঁচে গেছি। এবার সু সংবাদ।
সময়টা খুব চেনা। নাটক পাড়ায় কেটেছে পুরোটা সময়। ভালই লাগে মাঝে মাঝে মনে হলে। কিন্তু এরশাদ হারামজাদা আমাদের রাজনীতিতে রয়েই গেলো! সেটা ভেবে খারাপ লাগে। আর খারাপ লাগে নূর হোসেনের কথাটা মনে এলে।
আমাদের পটুয়া কামরুজ্জামান সম্ভবত এমনই একটা কবিটা পাঠের আসরে টিএসসির সড়কদ্বীপে অসুস্থ হন এবং সম্ভবতো সেদিনই ইহধাম ত্যাগ করেণ। কী কঠিন সময় ছিল! তিঁনিই (পটুয়া কামরুজ্জামান) বিশ্ববেহায়ার কার্টুনটা এঁকেছিলেন? সব কিছু খুব স্পষ্ট মনে নেই। আসা করি আপনার এই সিরিজে ফেলে আসা সময়ের অনেক খানি আবার দেখতে পাবো।
@পুতুল,
বিপ্লব ভাই এর লেখাটা পড়ার সময় আমার মানস পটেও আপনার মতই এরশাদ আমলের টিএসসির নানান স্মৃতি ভেসে উঠছিল। তখনও ক্যাম্পাস ছিল খুব অশান্ত, তবে কেমন যেন একটা আদর্শের ছাপ কম বেশী ছিল। ৮৬-৮৭ সালে স্কুলে পড়তাম, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কাছে হওয়াতে মাঝে মাঝে বিকেলে ঢু মারতাম।
পটুয়া কামরুল হাসানের মৃত্যু দিনটির কথাও মনে হয়েছিল সংগত কারনেই। দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার কবলে বলার পরেঈ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেদিন ঘটনাক্রমে মঞ্চে ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি দ্রুত তার গাড়িতে করে শিল্পীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
বড় দুই দল গুতোগুতি করার কারনে এই বিশ্ব বেহায়া এরশাদ সারা জীবনই ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেল। তার নির্মমতা বদমায়েশী খুব কমই স্মরন করা হয়। মুজিব জিয়া যত গালি খান এই লোকে মনে হয় তার আধাও খায় না।
@আদিল মাহমুদ,
পটুয়া কামরুল যখন ‘দেশ আজ বিম্ব বেহায়ার খপ্পরে’ শীর্ষক এই স্কেচটি আঁকেন, এর পরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান–কবিতা উৎসবের বিশাল দর্শক সারির শেষ প্রান্তে আমি ছিলাম। পরে বই মেলায় কারা যেনো স্কেচটি দিয়ে পোস্টার ছেপে বিলি করেছিল, তার একটি কবি সংগ্রহ করে বহু বছর আমি ঝুলিয়ে রেখেছিলাম শোবার ঘরে। ….
এরপর লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া:
আবার মিছিল, হরতাল, উত্তাল শ্লোগান, নূর হোসেন থেকে দীপালি সাহা এবং অজানা আরো অনেকে…এক ঝলকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন। এমনকি দুই নেত্রীর ভোটবাজীর তোষণদারীতে এরশাদ-জাপার উত্থানও ( কে বলে রে স্বৈরাচার/ এরশাদ মোদের অহংকার!)…আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :yes:
@পুতুল,
আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগলো। আমি চেষ্টা করবো, আপনার আশা পূরণ করতে। :rose:
লেখাটা আগেই মুক্তাঙ্গনে পড়েছিলাম। তারপরও, পড়ে ভালো লাগলো।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
আপনার নিবিড় পাঠের জন্য ধন্যবাদ। সুকুমার বড়ুয়ার ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে’ পুর্নাঙ্গ ছড়াটিসহ এই লেখায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। চলুক। :yes:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
যদিও মুক্তমনার পক্ষ থেকে এখনো কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি, তবুও মুক্তমনার পক্ষ থেকে লেখকদের কাছ থেকে মৌলিক লেখা (যা ইতোপূর্বে অন্য ব্লগে প্রকাশিত হয়নি) প্রত্যাশা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আমাদের নীতিমালা দ্রষ্টব্যঃ
২.১৬। অন্য ব্লগে ছাপানো পোস্ট মুক্তমনায় ছাপানো, অথবা মুক্তমনায় ছাপানো পোস্ট অন্যত্র ছাপানোকে আমরা নিরুৎসাহিত করি। সেক্ষেত্রে ব্লগ কর্তৃপক্ষ চাইলে পোস্টটি ব্লগ থেকে মুছে দিতে পারেন কিংবা প্রথম পাতা থেকে লেখকের নিজস্ব পাতায় সরিয়ে দিতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে (যেমন, কোন জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পোস্ট, মানবতার পক্ষে প্রচারণা পোস্ট কিংবা জরুরী আহ্বানমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে) বিশেষ বিবেচনায় ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিয়মটি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। প্রিন্টেড মিডিয়া কিংবা কোনো অনলাইন ফোরামে যেখানে পাঠকদের মন্তব্য করার বা আলোচনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই, সেগুলো এই নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। এ ব্যাপারে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের বিবেচনাই চূড়ান্ত।
এ লেখাটির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না, কিন্তু আপনাকে এই নীতিমালাটি স্মরণ রেখে ভবিষ্যতে পোস্ট দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন,
কথাগুলো বোধ হয় ব্লাডি সিভিলিয়ানকে নয়, বিপ্লব রহমানকে বলতে চেয়েছিলেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
এ কী কাণ্ড! পোস্ট দিলেন বিপ্লব রহমান আর ঝাড়ি খাইলাম আমি??!!!! :-Y :-Y :-Y
ওরে তোরা কে কোথায় আছিস, দেখ এসে এই মুক্তমনার ধ্বজাধারী নাস্তিকেরা কিভাবে নিরীহ সিভিলিয়ানদের অদৃশ্য কোমল জায়গায় আঘাত করে 😥 😥 😥
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
দুঃখিত, মন্তব্যটি আসলে বিপ্লব রহমানের উদ্দেশ্যে ছিলো।
@মুক্তমনা এডমিন,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
আপনি ডাক দেয়ার বহু আগেই হাজির হয়ে প্রতিবাদ করেছি। সাথে আছি সাথে থাকবো, জীবনে মরণে হাসরের মাঠ পর্যন্ত।
‘সকল সময়েই যে কোন দেশে, সেই সময়ের পাপীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্যে আল্লাহ একজন জালিম অত্যাচারী রাস্ট্রনায়ক তৈরী করে পাঠান’।
জালিম সরকারের দ্বারা আল্লাহ সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেন।
এ আমার কথা নয়, কোরানের বাণী।
যতদিন শয়তান আছেন পাপ হতে থাকবে, আর যতদিন আল্লাহ আছেন জালিম রাস্ট্রনায়ক আসতে থাকবে। উল্লেখ্য, শয়তান- রাস্ট্রনায়ক উভয়ই আল্লাহর সৃস্টি।
@আকাশ মালিক,
মানে মুক্তমনা এডমিন জালিম ‘ছারখার’, আর আম্রা সবতে পাপী?
আমি কি ঠিক বুঝলাম? 🙁
আর, আমি যদি জন্মসূত্রে মুসলমান না হই, সেক্ষেত্রে কি আমি হাশরের ময়দানে যেতে পারুম?
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
অদৃশ্য কোমল জায়গাটা কী?
@প্রদীপ দেব, :lotpot:
@প্রদীপ দেব,
অনুভূতি। ব্লাডি সিভিলিয়ানদের বেলায় সেটা আবার বিশেষ শারীরিক স্থানে উপস্থিত, কারণ ওখানেই আক্রমণ বেশি কি-না! 😥 😥 😥
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ইয়ে … বিশেষ শারীরিক স্থান আবার কী? জানতে মঞ্চায়! 😛
@বিপ্লব রহমান,
দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের সেই গানটি পড়েন নি?
“আমি যদি পিঠে তোর ওই লাথি একটা মারিই রাগে,
তোর তো আস্পর্দা বড়, পিঠে যে তোর ব্যথা লাগে!
…
আমার লাথি খেয়ে কাঁদা, ন্যাকামি নয়, শুয়োর, গাধা?
….
লাথি যদি না খাবি তো জন্মেছিলি কিসের জন্যে?
আমি যদি না মারি তো লাথি মেরে যাবে অন্যে।”
এইরকম কাণ্ডখান আর কি :-X :-X
আমি মোহাম্মদ রফিকের কবিতা এরকম শুনেছি – :lotpot:
সব শালা কবি হবে,
পিপিলিকা গোঁ ধরেছে উড়বেই,
বন থেকে দাঁতাল শুওর,
রাজ আসনে বসবেই।
বেশ লিখেছেন। আমিও গীতাদির মত আপনার সময়ের অন্যান্য নায়কদের কথাও শুনতে চাই।
@সৈকত চৌধুরী,
ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ। :rose:
ভাল লাগল!
সব সময়ের নায়কদের গল্প জানতে ইচ্ছে করে।
ধন্যবাদ!
@লাইজু নাহার,
অনেক ধন্যবাদ। চলুক। :yes:
বিপ্লব রহমান,
সুকুমার বড়ুয়ার মত একজন ছড়াকারকে নিয়ে লেখাটির জন্যে ধন্যবাদ।
আমার হাজব্যান্ড তখন পুষ্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চাকরি করার সুবাদে আমার সাথে সুকুমার বড়ুয়ার পরিচয় ছিল । তবে ঐ পর্যন্তই। আপনার মত কিছু করতে পারিনি। তবে তার কোয়ার্টার পাওয়ার সংবাদে খুশি হয়েছিলাম।
আপনার সময়ের অন্যান্য নায়কদের কথাও শুনতে চাই।
@গীতা দাস,
আপনার আগ্রহর জন্য অনেক ধন্যবাদ। বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছি, এই সব নায়ক-মহানায়কদের কথা ব্লগ ও কাগজে লেখার। নতুন-পুরনো সে সব লেখা লিখন-পুনর্লিখনের পর ‘মুক্তমনা’য় দেওয়ার ইচ্ছে আছে। … :rose: