পিতৃপরিচয়
আমি কান পাতলে শুনতে পাই-
ঠক-ঠক-ঠক!
অন্ধকার যত গাঢ়-ঘন হয়
শব্দ আরো তীক্ষ্ণ-তীব্র হয়-
ঠক-ঠক-ঠক!
কারা যেন কবর খোঁড়ে আমার আঙিনায়।
আমি কান পাতলে শুনতে পাই-
ঠক-ঠক-ঠক!
অন্ধকার যত গাঢ়-ঘন হয়
শব্দ আরো তীক্ষ্ণ-তীব্র হয়-
ঠক-ঠক-ঠক!
কারা যেন শ্মশান ঘাটে চেরাই করে কাঠ।
আমি হিন্দু না, মুসলিমও না
আমার পিতৃপরিচয় জানে না এই সমাজ
আমি ভগমানের সাথে কথা বলেছি
আল্লাহকে স্মরণ করেছি গোপনে
তাঁরাও সন্দিহান আমার পরিচয় নিয়ে।
ডি.এন.এ. টেস্ট করেও জানতে পারিনি…!
বিঙ্গান পড়তে পারে না মগজের খাতা।
রাত যত বাড়ে শব্দ আরো তীব্র হয়-
ঠক-ঠক-ঠক!
আমি জিঙ্গেস করি ভেতরের ক্যান্সারকে
আমার বিশ্বাস নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই তার।
আমাকে কুরে কুরে নিবৃত্ত করাই তার একমাত্র কাজ।
গোপনের বলে দেয়, আর মাত্র কয়েকটা রাত…!
শব্দ বেড়েই চলেছে…!
মসজিদ কিম্বা মন্দিরে কেউ কোনদিন দেখেনি আমাকে
সুতরাং কারো হাতে কোন দলিল নেয়।
আমি কি অবিশ্বাসী? অবিশ্বাসীদের মৃতদেহ কি ভেসে যায় শূন্যে?
এখন পিতৃপরিচয় অতীব দরকার
এতদিন পরে পিতার খুব প্রয়োজন আমার।
শব্দ বেড়েই চলে-
ঠক-ঠক-ঠক!
আমি ঘুমাতে পারি না চিন্তায়
আর মাত্র কয়েকটা রাত-
কেউ কি পিতা হবে আমার?
A short-review of SHASHWATIKI’s 5th issue (Drama issue) has been published in the renowned international bilingual literary journal “SHABDAGUCHHA”…..A matter of great pride for us!
To read the review please visit….
http://www.shabdaguchha.com/shortReview47_48.html
http://shashwatiki.mywibes.com/
@ মোজাফফর হোসেন,
এই ঠক ঠক শব্দ কি কখনও থামবে না? বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
‘শাশ্বতিকী’ এর পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করেছি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এক ঝলক দেখেছিও। আজ রাতে পুরোটা পড়বো, বিশেষ করে ফ্রয়েড এর উপর যে লেখাটি রয়েছে, সেটি তো পড়বই।
খুবই জোরালো কবিতা সন্দেহ নেই। কবিতা হয়তো এমনই হয়। কিন্তু
আমি কবিতা ঠিকমত বুঝিনা বলেই খটকা লাগে। যেমনঃ
‘ভগমান’ বা আল্লাহ যারা বিশ্বাস করেন তাঁরা কীভাবে বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ বা ‘ভগমান’ কোন কিছু জানেন না। আবার যিনি ডি-এন-এ টেস্ট করেন, তাঁর মগজ কীভাবে বিজ্ঞান পড়তে পারেন না। [ডি-এন-এ টেস্ট ঠিক মত করলে পিতৃপরিচয় জানা যায় – তবে সম্ভাব্য পিতার ডি-এন-এ লাগে।]
কবিতায় বিজ্ঞান ব্যবহার করতে হলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি ঠিক রেখেই করা উচিত বলে আমার মনে হয়।