কাঠমান্ডুর মুক্তিনাথ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর স্বত্তাধিকারী কোমল আরিয়াল এর ফোন পেয়ে ঘুম ভাংলো। খুব চিৎকার করে কথা বলছে। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। দু তিন বারের চেষ্টায় অর্থ উদ্ধার করলাম যে আমাদের মুসা ইব্রাহীম প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে এভারেস্ট এর চূড়ায় উঠতে স্বক্ষম হয়েছে। আজ ভোরে (২৩ মে) সে এভারেস্ট এ ওঠে।
আমার বন্ধু মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট যাত্রা নিয়ে গত মাসে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম (মুসা ই কি প্রথম বাংলাদেশি?)গত ১৩ এপ্রিল। তখন বলেছিলাম যে এটি ৪৫ দিনের একটি প্রজেক্ট। প্রায় ৪১ দিনের মাথায় ও এই অসাধ্য সাধন করে।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সে নেমে আসবে। তখন আরো অনেক বিস্তারিত জানাতে পারব। তার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে পারব। কিছু ছবিও হয়ত আপলোড করতে পারব।
এ প্রসংগে বলে রাখি, আমার লেখাটা প্রকাশিত হবার পরে জানতে পেরেছি যে মুহিত ভাইও এভারেস্ট এর পথে রওয়ানা হয়েছেন। তার খবরটা এখনো পাইনি যদিও। আশা করি উনিও আমাদের সুসংবাদ শোনাবেন শিঘঘিরই।
ইতোমধ্যে আমি তো নাচা নাচি করছি আপনারা কি করছেন?
থ্রি চিয়ার্স ফর মুসা!
আপডেট:
[লিংক] :clap2:
এ ধরনের কুটিল মিছে সন্দেহের বীজ যারা ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন তাদের কি কোন লাজ লজ্জা আছে? এখন তাদের ব্যাখ্যা কি?
তাদের জবাবদিহি করানো জাতীয় স্বার্থেই দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
:yes: পুরোপুরি সহমত।
@সৈকত চৌধুরী,
এসব বদমায়েশী ছোটলোকির একটা সীমা থাকা দরকার।
এখন আর কোন সন্দেহ নেই। নেপালের হিমাল্যান গাইডে (Himalayan Guides Nepal) মূসার কথা হেডিং করে লেখা হয়েছে –
Md. Musa Ibrahim has been successful to scale Mt. Everest
http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php
আপটেড: : আমি এভারেস্ট জয় করেছি: মুসা ইব্রাহিম
বিস্তারিত পড়ুন [লিংক] :rose:
বকলম, কালকে তো দেখলাম প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের সবাই মুসাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। কোথায় যেন দেখলাম সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে মুসাকে। এরপরও কি সন্দেহের অবকাশ আছে?
@বন্যা আহমেদ,
না, সন্দেহের অবকাশ এখন আর নেই।
যেহেতু একটি মহল এরকম কথা তুলেছিল সেহেতু এত সতর্কতা।
জেলাসি বোধহয় সবক্ষেত্রে ভাল কিছু না।
মুসা ইব্রাহীমের সাথে কথপোকথন- আজকের আপডেট
সাফল্যের সাথে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পরেও একটি বিশেষমহলের ঈর্ষা বশতঃ তার এই সাফল্যের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ে দেয়া হয়েছে। জাতী হিসাবে কোন গৌরবের মুহুর্তেই বোধহয় আমরা এক থাকতে পারিনা। সেকারনে কাঠমান্ডুতে বসে আমরাও অপেক্ষা করছিলাম কখন চূড়ান্তভাবে ঘোষণা আসবে। সারাদিন অধীর আগ্রহ আর অসহ্য ধৈর্য নিয়ে আমরা অপেক্ষা করেছি কখন মুসার সাথে সরাসরি ফোনে কথা হবে। বার বার ঘড়ি দেখছি কখন ৬টা বাজবে। যাই হোক, গতকাল মুসা ছিল ৬৩০০ মিটার উচুতে অগ্রবর্তী বেইজ ক্যাম্পএ। আজ সারাদিনের পথ পাড়ি দিয়ে তারা নেমে আসে মূল বেইজ ক্যাম্প এ। মূল বেইজ ক্যাম্প এ টেলিফোন সুবিধা থাকায় মুসার সাথে কথা বলা সম্ভব হল। কাঠমান্ডুর মুক্তিনাথ হলিডেজের অফিস থেকে নেট ফোনে কথা বললাম আমরা কয়েকজন। প্রচন্ড উত্তেজনা নিয়ে আমাদের জাতীয় বীরের সাথে কথা বলার এই আবেগঘন মূহুর্ত আপানাদের সাথে শেয়ার করছি। আমি টেলিফোন আলাপ হুবুহু তুলে ধরছি—
আমিঃ হ্যালো মুসা? মুসা বলছ? খালেদ বলছি।
মুসাঃ হ্যা, খালেদ, কেমন আছ?
আমিঃ আমি কেমন আছি তার চেয়েও বড় বিষয় হল তুমি কেমন আছ?
মুসাঃ হ্যা আমি ভাল, একটু শুধু টায়ার্ড। সারাদিনের পথচলার ক্লান্তি।
আমিঃ তা তো বটেই। যাই হোক তুমি কাঠমান্ডুতে কবে আসছ?
মুসাঃ আমি দু দিন রেস্ট নিতে চাই। আশা করি ২৯/৩০ তারিখের মধ্যে কাঠমান্ডুতে পৌছতে পারব।
আমিঃ গ্রেট। আচ্ছা শোন, কোন কোন মহল ইতোমধ্যে তোমার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের কথা বলছে। তুমি তো জানই কারা। কাজেই সার্টিফিকেটটা ঠিকমত রেখ। আর আমরা কাঠমান্ডুতে একটি সংবর্ধনার পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশি প্রবাসী এবং এমবেসির পক্ষ থেকে।
মুসাঃ যারা সন্দেহ করছে তাদের করতে দাও। তাদের কাছে আমার প্রমান করার কিছুই নেই। আমার সাথে ছবি আছে। আমার সাথে প্রায় ২০-২২ জন মানুষ উঠেছে। কাজেই কে কি ভাবল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই। আর আগ বাড়িয়ে কিছু প্রমানেরও নাই। বরং অন্যরা প্রমান করুক যে আমি উঠিনি।
আমিঃ তা তো ঠিকই। শুধু খারাপ লাগছে এই ভেবে যে জাতীর এই গৌরবের মুহুর্তেও আমরা আমাদের জাতীয় স্বভাব ছাড়তে পারছিনা। সন্দেহের তীর ছুড়ছি।
মুসাঃ আচ্ছা এসব ছাড়। তোমরা সবাই ভাল?
আমিঃ হা হা হা। তুমি আমাদের খবর নিচ্ছ? আরে এখন গোটা জাতী তোমার খবর জানতে চায়। যাই হোক, তুমি অনেক ক্লান্ত। রেস্ট নাও। আজকে রাখছি। পরে কথা হবে। বাই।
মুসাঃ আচ্ছা, বাই।
সব খবরই এখনও পর্যন্ত ভাল। বুক থেকে একটি বড় বোঝা নেমে গেল। ধন্যবাদ সবাইকে।
পরবর্তী আপডেটের জন্য অপেক্ষা করুন।
@বকলম,
সজল খালেদের ওই বিদ্বেষপূর্ণ লেখাটা প্রকাশ হবার পর থেকেই মুসার কৃতিত্বের ব্যাপারে সবার মধ্যে সন্দেহের ডালপালা গজিয়ে গিয়েছিল। জাতিগতভাবে এত বড় একটা অর্জনের পরেও গত তিনদিন কেউই ঠিকমত আনন্দ করতে পারে নি। মুসার অসাধারণ কৃতিত্বের অংশ হয়ে বাংলাদেশিদের স্বতস্ফূর্ত আনন্দ-উল্লাস থেকে বঞ্চিত করার জন্য হীনমন্য পরশ্রীকাতর সজল খালেদ এবং তার সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য চাপ দেওয়া উচিত। এদের জন্য রইলো তীব্র ঘৃণা এবং ধিক্কার।
সেই সাথে বকলম ওরফে আরেক খালেদসহ মুসার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের জন্য রইলো টুপি খোলা অভিবাদন। মুসার অনুপস্থিতির সুযোগে সজল খালেদদের দখল করা মাঠে আপনারা মাত্র কয়েকজনই শক্তভাবে দাঁড়িয়ে দৃঢ় চিত্তে মুসার সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে গিয়েছেন।
ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত অভনন্দন জানাতে পারছি না। সচলায়তনের লেখাটাতে লেখকের যুক্তি বেশ শক্ত মনে হল।
যাই হোক, আশা করি ভালটাই ঘটেছে।
@সাইফুল ইসলাম,
সচলায়তনের লেখার যুক্তি কোনটাই অকাট্য নয়। আজ বিকালে আমার সাথে মুসার কথা হবে ফোনে। আরো বিস্তারিত জানাব। তবে এটা ঠিক ২৭ তারিখ বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে পরিপুর্ণ নিশ্চয়তার জন্য।
এর মধ্যে আপনি আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন। গতকাল ২৪ তারিখে আমার আপডেট দিয়ে আরেকটা লেখা আছে।
@বকলম,
আমি কিন্তু বলিনি যে উনি করেননি। কিন্তু আমরাতো আর নিশ্চিত ভাবে জানি না। যাই হোক, সব কথার শেষ কথা, আমাদের গর্ব মুসা ইব্রাহীম।
জয়তু মুসা।
বাংলার দামাল ছেলেকে বুকের সবটুকু ভালবাসা মন্ডিত শূভেচ্ছা। মুসার এই বিজয় বলে যে, নদ-নদীর এই বাংলার মানুষ চাইলে হিমালয় ও জয় করতে পারে এবং মুসা তা দেখাল। একদিন আমরা আমাদের মাটি থেকে সব ” বিষাদ ” ও সরিয়ে দেব, আশা করি আমি এবং আমরা মুসার এই জয়ে ঊদ্বুদ্ধ হব এখন থেকেই। জয় বাংলার। (এটা কোনো দলের স্লোগান নয়),,,,জয় বাংলা, জয় হোক বাঙ্গালীর।
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং ক্লাব (বিএমটিসি) এর প্রশিক্ষন ও অভিযান পরিকল্পনা সচিব সজল খালেদ মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট বিজয়ে সন্দেহ এবং সংশয় প্রকাশ করেছেন। এই ভদ্রলোকের দেখলাম মুসা ইব্রাহিম সম্পর্কে ধারনা খুবই খারাপ। মুসাকে ঠগ বাটপারের চেয়ে বেশি কিছু ভাবেব না তিনি। মুসার অন্নপুর্ণা বিজয়কেও মিথ্যাচার হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন সজল। লাং শীসা রী নিয়েও অভিন্ন ধারনা তারা। লাং শীসা রী জয় করেছেন বলে মুসা এবং তার দল প্রথম আলোতে ছবিসহ বড় খবর বের করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর দলের সদস্য মীর শামসুল আলম বাবু লেখালেখি করে জানিয়ে দেন যে তারা আসলে লাং শীসা রী জয় করেননি, অনেক নীচে থেকেই নেমে এসেছিলেন।
শুধু পাহাড়ে উঠা নিয়েই প্রতারণা নয়, লেখালেখি নিয়েও নাকি ঠগবাজি করেছেন মুসা। সজল খালেদের অনুমতি ছাড়াই তার এক লেখা নাকি মুসা প্রথম আলোতে নিজের নামে প্রকাশ করেছিলেন। সজল খালেদের অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ এই লিংক এ পাবেন।
মুসা যেহেতু আপনার বন্ধু, আশা করি এই সমস্ত অভিযোগ যে মিথ্যে এবং এভারেস্ট বিজয় নিয়ে সন্দেহের যে ডালপালা ছড়ানো হচ্ছে তা যে সঠিক নয় সেটা আপনি আমাদের জানাবেন।
এখন পর্যন্ত ভাল খবরটাকেই সত্যি বলে ভেবে বসে আছি আমি, তারপরেও কোন হোক্স নিয়ে মাতামাতি করে পরে বোকা বনতে রাজি নই আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি অপেক্ষা করছিলাম এ ধরনের কথাবার্তা কবে উঠবে। সজল খালেদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে গত কয়েক বছরে সজল ও মুসার সম্পর্ক নিয়ে। একসময়ের বন্ধু হলেও তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। আর বাংগালী হিসাবে হিংসা-দ্বেষ বোধহয় আমাদের একটু সহজাত। বিএমটিসি’র প্রধান পুরুষ নামকরা আলোকচিত্রী ও পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক। যিনি নিজেও সাউথ পোল এক্সপিডেশনে ছিলেন।
আমার ধারনা, একটা বাচ্চা ছেলে এভারেস্ট জয় করে ফিরবে, বড় বড় মহারথীদের ছাড়া, এটা একটু মানষিক সমস্যা করছিল কারো কারো। সে কারনেই মুসার অভিযান পরিকল্পনা শুনে তারা তড়িঘড়ি করে তাদেরই আরেক অভিযাত্রিকে পাঠিয়ে দিয়েছিল যাতে মুসা প্রথম বাংলাদেশি না হতে পারে। কিন্তু আবহাওয়ার কারনে সে ভদ্রলোক কিছুটা উঠে আবার নেমে যায়। ঠিক এ কারনেই মুসা কোন সাংবাদিক সম্মেলন করেনি।
তিব্বতের মাউন্টেনিয়ারিং অথরিটি অলরেডি মুসাকে তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে, হিমালয়ান গাইডের মি ঈশ্বরী খবর নিশ্চিত করেছেন। কাজেই এরকম বিজয়ের মুহুর্তে এধরনের অভিযোগ শুধু যে দুখ জনক তাই নয় বরং এটা বাংগালির চিরচেনা চারিত্রিক বৈশিষ্টের আরেকটি প্রমান। একটু আগে খবর পেলাম ৪ জন আমেরিকান পর্বতারোহী ৮ হাজার মিটার উচুতে মুসার সাথে স্বাক্ষাত করেছে ও যখন নেমে আসছিল তখন। মুসা আজ বেজ ক্যাম্প এ আসবে আর তিন দিনের মধ্যে আসবে কাঠমান্ডুতে। আমি তখন ওর সার্টিফিকেট স্ক্যান করে ব্লগগুলোতে ছাড়ব।
@বকলম,
:yes:
এটা খুবই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে অভিযোগ দূর করতে।
@বকলম,
আনন্দের সংবাদের সাথে সেই চিরচেনা জাতীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য…
@বকলম,
হুমম…এই তাহলে ঘটনা! এ রকম একটি ঝাগড়া-বিবাদের কথা আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে।
যাক, শেষ পর্যন্ত আমাদের সরকার বাহাদুরের ঘুম ভেঙেছে। প্রধানমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে ১৩২০ মিনিটে মুসাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। :rose:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে খবরটা পড়লাম, অসাধারণ ! মনটা ভালো হয়ে গেল । আরো বিস্তারিত খবর জানতে চাই ছবি সহ । অভিনন্দন মুসাকে । :rose2:
্কি অপূর্ব খবর। বাংলাদেশের জন্য এটা এক বিশাল জয়।
আমিও নাচা নাচি করছি! :rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl: ফাটাফাটি আবস্থা। :rotfl: :rotfl: :guru:
@বকলম
অনেকদিন ধরেই এই খবরটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে খবরটা দেওয়ার জন্য। আশা করি মুসার সাথে আপনার দেখা হওয়ার পর অনেক ছবি এবং বিবরণসহ আরও বড় একটা পোষ্ট পাবো।
বকলমকে সংবাদটির জন্য ধন্যবাদ। আমিও খুব নাচানাচি করছি 🙂 । মুসা ইব্রাহীমকে অভিনন্দন। বাংলাদেশের মুখ আর একটু উজ্জ্বল হল। ব্যক্তিগত ভাবে পাহাড়-প্রেমিক হিসেবে আমি এত খুশী হয়েছি যে আর কয়েকটা কথা না লিখে পারছি না।
এক ১৩ বছরের মার্কিন কিশোর এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেও বাঙ্গালীদের জন্য এই বছরটি এভারেস্ট বছর হিসেবেই খ্যাত হওয়া উচিত। সেই কবে ১৮৫২ সালে, আর এক বাঙ্গালী রাধানাথ শিকদার এভারেস্টের উচ্চতা প্রথম নির্ধারণ করেছিলেন, বুঝেছিলেন এর চূড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান। এভারেস্টের (সার্ভেয়র জেনেরাল) নামে না হয়ে হয়ত পাহাড়টির নাম হওয়া উচিত ছিল রাধানাথ, যদিও পুরাতন তিব্বতী নাম চমোলংমাই আসল নাম হবার যথেষ্ট দাবি রাখে। এই বছরের ১৮ই মে পশ্চিম বঙ্গের মফস্বল নদীয়ার এক পাহাড়ি ক্লাবের দুজন – বসন্ত সিংহ রায় (বয়েস প্রায় ৫০) ও দেবাশীষ বিশ্বাস এভারেস্ট চূড়োয় উঠেছেন। কাজেই সব মিলিয়ে তিনজন বাঙ্গালী (সবাই বেসামরিক) এই বছর এভারেস্ট জয় করলেন। রেকর্ড।
আমার জানামতে (ভুল হলে শোধরাবেন) মুসাকে নিয়ে সব মিলিয়ে পাঁচ জন বাঙ্গালী এই আসাধারণ কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে সত্যব্রত দাম ও শিপ্রা মজুমদার এভারেস্ট শৃঙ্গে পা রাখেন, তারা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কোন না কোন ভাবে যুক্ত। শিপ্রা মজুমদার হচ্ছেন এখন পর্যন্ত প্রথম ও একমাত্র বাঙ্গালী নারী যিনি এভারেস্ট জয় করেছেন। এই বছরটা হচ্ছে বেসামরিকদের বছর।
রবীন্দ্রনাথকে না উদ্ধৃত করে পারছি না (বিশেষতঃ যখন অন-লাইন রচনাবলী আঙ্গুলের ডগায়)। আশা করি ভবিষ্যতে অনেক বাঙ্গালীরাই মুসার মত এমন লক্ষ্মীছাড়া হতে পারবেন।
বঙ্গমাতা
পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে
চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ স’য়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া ক’রে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।
আসাধারন একটা কাজ হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল গৌরবের বিষয়। বিজয়ীকে
ধন্যবাদ।
থ্রি চিয়ার্স ফর মুসা!
নেপালের বাংলাদেশ হাই কমিশন এখনো ঘুমাচ্ছে! তারা কিছুই জানে না, আজব!! :deadrose:
যাক, সকালে উঠেই কি দারুণ একটা খবর পেলাম!
থ্রি চিয়ার্স ফর মূসা!
দারুন খবর, অনেক হতাশার মাঝেও পুরো পৃথিবীর মাথায় দেশের লাল সবুজ পতাকা দেখলে মনে কি অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে সে শুধু আমরাই জানি।
এই দলের কারো বয়স কি ১৩? স্থানীয় একটি চ্যানেলে নাকি বলেছিল যে কারো বয়স ১৩।
অসাধারন!!!!
একরাশ অভিনন্দন মুসাকে, আকাশের খুব কাছাকাছি লাল সবুজের পতাকা উড়ানোর জন্যে।
বাঙালির হাজারো না পাওয়ার ভিড়ে এটা একটা সত্যিকারের পাওয়া।
থ্রি চিয়ার্স ফর মুসা! :rotfl: :rotfl: :rotfl:
আমিও নাচা নাচি করছি!
এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল গৌরব বয়ে নিয়ে আসল। অভিনন্দন মুসা কে। :rose2: