ঈশ্বরের ভাষা। আকাশ মালিক।
“The mind of a bigot is like the pupil of the eye; the more light you pour upon it, the more it will contract.”- Oliver Wendell Holmes
কোরান অথবা নবি মুহাম্মদের পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এখন কিছু লিখতে গেলে যে, চর্বিত চর্বণ হবে তার কারণ, মুক্তমনায় এ নিয়ে প্রচুর তথ্য রেফারেন্স সহ বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লেখা আছে, নতুন করে হয়তো এমন কিছু বলার নেই, যা ইতিমধ্যে এখানে বলা হয় নাই। এক বন্ধুর পরামর্শে মনঃস্থির করেছিলাম ধর্ম বাদ দিয়ে এবার অন্য কিছু শেখার, জানার, লেখার চেষ্টা করবো। কিন্তু ইদানিং দুটো প্রবন্ধ নিয়ে মুক্তমনায় যে ঝড়ো-হাওয়া বয়ে গেল, তার ধাক্কা আমার গায়েও এসে লেগেছে। সে যেন কানেকানে বলে গেল, শেষ কিছু কথা এখনও বলার বাকি রয়ে গেছে। এই লেখা লিখতে বসে আমি নিজের কাছেই নিজে প্রার্থনা করেছি, আর যেন কোনোদিন ধর্ম নিয়ে আমাকে লিখতে হয়না। নতুন প্রজন্মের লেখকগণ তাদের শক্তিশালী হাতের লেখনী দিয়ে ধর্মের মুখোশ উম্মোচন করবেন, আমরা তা পড়বো। পাঠকদের কাছ থেকেও আমি এই দোয়া কামনা করি।
আল্লাহর বাণী বলে মুহাম্মদ কোরানে যা কিছু বলেছেন, তার সর্বপ্রথম বাক্যটি ছিল কোরানের ৯৬ নম্বর সুরা আলাক এর প্রথম বাক্য- ‘পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন’। আর সর্বশেষ বাক্য ছিল ৫ নম্বর সুরা মায়েদা এর ৩ নম্বর বাক্য- ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম’। এই প্রথম ও শেষ সুরা, প্রথম বাক্য ও শেষ বাক্য নিয়েও তাফসিরকারকদের মধ্যে প্রচুর মতভেদ মতানৈক্য আছে। প্রথম সুরা ‘আলাক’ কী ভাবে কোরানের ৯৬ নম্বর সুরা হলো, আর ৫ নম্বর সুরা মায়েদার ৩ নম্বর আয়াতের পরে কোরানে এত সুরা এত বাক্য আসলো কোত্থেকে সে প্রশ্ন তো আছেই। আরাফাতের ময়দানে শেষ বাক্যগুলো উচ্চারণের পর মুহাম্মদ যে সময়টুকু বেঁচে ছিলেন, সেই সময়ে কোরান সংকলন করা তার পক্ষে মোটেই সম্ভব ছিলনা। তিনি তা কল্পনাও করেন নি।
সুরা আলাকের প্রথম বাক্যের পর বলা হয়েছে- ‘সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে, এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে’। এ পর্যন্ত বাক্যগুলো পড়ে স্পষ্টই বুঝা যায়, এখানে বক্তা জিব্রাইল। সম্পূর্ণ সুরায় আল্লাহ সব সময়ই থার্ড পার্সন, (তিনি, যিনি, তোমার পালনকর্তা)। আর ‘আমরা’ বলতে জিব্রাইল না আল্লাহ, না উভয় তা’ও বুঝা মুশকিল।
বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, উপরোল্লিখিত আটটি আয়াত নিয়ে মুহাম্মদ মক্কার কা’বা ঘরে ঢুকলেন। কোরায়েশ নেতা আবু জেহেল, মুহাম্মদকে বললেন যে, কা’বা ঘর ভন্ডামীর জায়গা নয়। এর পর আবু জেহেলকে উদ্দেশ্য করে মুহাম্মদ আবৃতি করলেন এই সুরার পরবর্তি বাক্যগুলো- ‘আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে, এক বান্দাকে যখন সে প্রার্থনা করে? আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে। অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়। আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন? কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমরা তাকে মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াব, মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ। অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক। আমরাও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে। কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও নৈকট্য অর্জন করুন’।
কা’বা ঘরে ৩৬০ দেবতার উপস্থিতিতে মুহাম্মদ কী ভাবে, কার প্রার্থনা করেন? কেউ কেউ বলেন মুহাম্মদ সেখানে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। কিসের নামাজ, কোরান নেই, আলহামদু নেই, সুরা নেই, কী দিয়ে, কী ভাবে তিনি নামাজ পড়লেন? আবু জেহেল মুহাম্মদকে নিষেধ করার পর, কা’বা ঘরের ভিতরে মুহাম্মদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছিল, যে ঘটনায় মুহাম্মদ জড়িত ছিলেন, তাকে আবার আল্লাহ কেন জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে, এক বান্দাকে যখন সে প্রার্থনা করে? আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে, অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়। আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়? আল্লাহ বা জিব্রাইল কেন মানুষের মত ধমক দেন, চ্যালেঞ্জ করেন,কেন আল্লাহ মানুষের মত চুল ছিড়াছিড়ি করতে চান? বদর যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ফিরে এসে সেই যুদ্ধের ফিডব্যাক করা হলো, বলা হলো- ‘আমার ইচ্ছা ছিল তোমরা জয়ী হবে’। আবু জেহেলের নেতৃত্বে কোরায়েশগণ, আবু সুফিয়ানের বণিকদলকে উদ্ধার করতে যদি বদরের মাঠে না আসতেন, সুরা আনফাল কি লেখা হতো? আর যদি এ যুদ্ধের ঘটনা আগে থেকেই লাওহে মাহফুজে লেখা থাকে, তাহলে কোরায়েশদের দোষটা কোথায়? সমস্ত কোরান জুড়ে কেন, কোনো ঘটনা ঘটার পরে, ঘটনার ফলাফল জেনে, সেই অনুযায়ী বাক্য বসানো হলো?
আমাদের হাতের কাছে কোরান নামক বইখানি যে, মানুষের হাতের লেখা তা বিশ্বাস না করার কোন উপায় নেই। আমরা জানি, জিব্রাইল স্বর্গ থেকে আল্লাহর হাতের লেখা কোরানের পৃষ্ঠা ছিড়েছিড়ে এনে মুহাম্মদের হাতে তুলে দিতেন না। মুহাম্মদের চোখের সামনে যখন কোনো ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ ঘটনা সাজাতেন। পূর্বে লিখিত লাওহে মাহফুজে রাখা কোরান থেকে কোনো বাণী আল্লাহ জিব্রাইলকে মুখস্ত করায়ে পৃথিবীতে পাঠাতেন না। মুহাম্মদ তাতক্ষণিকভাবে তার নিজের বানানো গল্প মানুষকে শুনাতেন আর মানুষ যে যেভাবে শুনতেন, বুঝতেন ঘটনা সেই ভাবে লিখে রাখতেন, পাতলা পাথরে, বৃক্ষের ছালায়, খেজুর পাতায় কিংবা পশুর চামড়ায়। সুতরাং বুঝা গেল মানুষের হাত ছাড়া কোরান লেখা হয় নাই। কী আশ্চর্য, একশো পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে বলা হয়, এই কোরানে কোনো ভুল থাকতে পারেনা। মানূষ তো ফেরেস্তা নয়, শয়তান নয়, আল্লাহও নয় যে তাদের ভুল হবেনা। যে সকল মানুষের জন্মই হয়নি, যে সকল ঘটনা তখনও ঘটেনি, তা কী ভাবে সেই মানুষের জন্মের পূর্বে, সেই ঘটনা ঘটার পূর্বে লিখে রাখা হলো? যেমন আয়েশার উপর অসতীর অপবাদ, জয়নাবের ঘরে মধু কেলেংকারী, হাফসার ঘরে মুহাম্মদ ও ম্যারিয়ার নারী কেলেংকারী ঘটনা, বদরের যুদ্ধ, হোনায়েনের যুদ্ধ, তাবুকের যুদ্ধ ইত্যাদি যদি হাজার বছর আগেই আল্লাহ কোরানে লিখে রাখেন, তাহলে বলতে হবে জগতের সকল অমঙ্গল, অশুভ কাজ আল্লাহর ইচ্ছায়ই হয়েছে, এখানে মানুষের কোনো দায়ভার নেই। কারণ ঐ সমস্ত অশুভ, অঘটন না ঘটলে আল্লাহর কোরান লেখা মিথ্যে হয়ে যেত। তাহলে যাদের দ্বারা জগতে অশুভ ঘটনা ঘটলো তাদের দোষটা কোথায়? আল্লাহ সরাসরি কোরানে সমসাময়িক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত জনতাকে প্রশ্ন করেছেন, ধমক দিয়েছেন, ‘বর্তমান কাল’ এর বাক্য ব্যবহার করে। আয়েশার উপর লোকে যখন অসতীর অপবাদ দিল, আল্লাহ বললেন, ‘হে মুমিনগণ তোমরা কেন বললে না, এ ঢাহা মিথ্যা’? কিংবা, আবু লাহাব যখন বললেন, ‘মুহাম্মদ তুমি উচ্ছন্নে যাও’ আর মুহাম্মদ বললেন ‘তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাব— আবু লাহাব তুমি ধ্বংস হও’; এরকম ‘বর্তমান কাল’ ব্যবহার করে বাক্য আগে থেকে লাওহে মাহফুজে লিখে রাখা সম্ভব নয়। কোরান বলছে, আল্লাহ যখন বলেন ‘হও’ তখনই তা ঘটে যায় বা হয়ে যায়। আল্লাহ বললেন ‘আবু লাহাব তুমি ধ্বংস হও’ তখন তাতক্ষণিকভাবে আবু লাহাবের মৃত্যু হলোনা কেন? আবু লাহাব যদি মুহাম্মদকে বলতেন না, ‘মুহাম্মদ তুমি উচ্ছন্নে যাও’ তাহলে কি সুরা লাহাব লেখা হতো? এ সকল প্রশ্নের একটাই উত্তর, আর তা হলো, কোরানে যা বলা হয়েছে সবই মুহাম্মদের মুখের কথা। আর সেই কারণে পৃথিবীর অন্যান্য সব বই নিয়ে যেমন আলোচনা সমালোচনা করা যায়, কোরানের সত্যতা, এর ভাষাগত শুদ্ধতা, ব্যাকরণগত মান, ও জাগতিক ব্যাপারে কোরানের বক্তব্য নিয়ে গঠনমূলক যৌক্তিক আলোচনা সমালোচনা করাও অবশ্যই অন্যায় কিছু হতে পারেনা।
জীবনের শেষ ২২ বৎসর ৫ মাস ১৪ দিনে মুহাম্মদ যে কথাগুলো বিভিন্ন সময়ে, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিক, রাজনৈ্তিক পরিবেশের মুখোমূখী হয়ে, আল্লাহর বাণী বলে মানুষকে বিশ্বাস করতে বলেছিলেন, সেগুলো মুহাম্মদের জীবদ্দশায় সংগ্রহ করা আদৌ সম্ভব ছিলনা। প্রথম শাসনকর্তা আবু বকর থেকে ওমর, উসমান, আলী হয়ে মুয়াবিয়ার শাসনকাল পর্যন্ত সময়ে, ধাপে ধাপে কোরান সংকলন কমিটি করে, যথেষ্ঠ সময় ও অর্থ ব্যয় করে, সীমাহীন মতানৈক্য, ঝগড়া-বিবাদ, তর্কবিতর্কের মাধ্যমে, যথাসম্ভব ব্যাকরণগত ভুলসমুহ সংশোধন করে, প্রচুর দাড়ি, কমা, অক্ষর, শব্দ ও বাক্য বিলুপ্ত ও সংযোজন করে, কোরানকে বর্তমান রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতো কিছুর পরেও ব্যাকরণগত ভুল, বস্তুজগতের স্বাভাবিক নিয়মের পরিপন্থী, পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক কিছুই কোরানে রয়ে গেছে। এ নিয়ে মুক্তমনায় বেশ কিছু লেখা বাংলা ও ইংরেজিতে দেয়া আছে।
আমি এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে কোরানের কিছু ব্যাকরণগত ভুলসমুহ তুলে ধরবো।
ব্যাকরণগত ১ম ভুল-
(আরবি আয়াতের বোল্ড করা শব্দ লক্ষণীয়)
কোরানের ৫ নং সুরা মায়েদার ৬৯ নং আয়াত-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
‘নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, সাবেয়ী, খৃষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না’। (সুরা ৫ মায়েদাহ, আয়াত ৬৯)
এবার নীচের বাক্যটি দেখুন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالصَّابِئِينَ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا إِنَّ اللَّهَ يَفْصِلُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
‘নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, সাবেয়ী, খৃষ্টান, অগ্নিপুজক এবং যারা মুশরেক, কেয়ামতের দিন আল্লাহ অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। সবকিছুই আল্লাহর দৃষ্টির সামনে’। (সুরা ২২ হাজ্জ্, আয়াত ১৭)
হুবহু আরেকটি আয়াত হলো ২নং সুরা বাকারার ৬২ নং আয়াত। সেখানেও وَالصَّابِئِين শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, এবং উভয় জায়গায় শুদ্ধভাবেই বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাকরণের ক্রীয়াপদ, ক্রীয়াপদের ধাতুরূপ (To conjugate a verb) আর (nominative বা indicative) কর্তৃকারক, কর্মকারক (accusative বা subjunctive) শব্দের শুদ্ধ ব্যবহার পদ্ধতি না জানার কারণে মুহাম্মদ, ৫ নং সুরা মায়েদার ৬৯ নং বাক্যে وَالصَّابِؤُونَ ‘সাবীয়ূন’ বলে যে ভুল করেছেন, ঠিক তার উল্টা দ্বিতীয় ভুলটি করেছেন এখানে-
لَّـكِنِ الرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ مِنْهُمْ وَالْمُؤْمِنُونَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَالْمُقِيمِينَ الصَّلاَةَ وَالْمُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالْمُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أُوْلَـئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ أَجْرًا عَظِيمًا ‘
কিন্তু যারা তাদের মধ্যে জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে। আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত দানকারী এবং যারা আল্লাহ ও কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুতঃ এমন লোকদেরকে আমি দান করবো মহাপুণ্য’। (সুরা ৪ নিসা, আয়াত ১৬২)
ব্যাকরণ অনুযায়ী এখানে ‘ওয়ালমুকিমীনা’ শব্দটি ‘ওয়ালমুকিমুনা’ হবে, হওয়া উচিৎ। সুরা মায়েদায় ‘ওয়াও’ বর্ণ ব্যবহার করে ‘সাবীয়ূন’ বলে যে ভুল করেছিলেন, এখানে ‘ওয়াও’ ব্যবহার না করে ‘ওয়ালমুকিমীনা’ বলে একই ভুল করলেন।
৩য় ভুল-
قَالُوا إِنْ هَذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَن يُخْرِجَاكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ الْمُثْلَى ‘
তারা বললঃ এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায় এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা রহিত করতে চায়’। (সুরা ২০ তোয়া-হা, আয়াত ৬৩)
এখানে ঠিক আগের (nominal Sentence) বাক্যগুলোর মত ‘হাজানি’ শব্দের আগে ‘ইন্না’ ব্যবহার করার কারণে (nominal sign ) ‘ইয়া’ বসায়ে শুদ্ধ শব্দটি হবে ‘হাজাইন’। বাক্যটি ‘কালু ইন্না হাজানি লাসা-হিরান’ না হয়ে শুদ্ধ বাক্যটি হবে ‘কালু ইন্না হাজাইনি লাসা-হিরান’।
জালালাইন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন-
They said, to each other, ‘These two men (hādhān, হাজান this [form] concords with the forms used by those [grammarians] who use the alif [ending] for all three cases of the dual person; Abū ‘Amr has [the variant reading] hādhayn হাজাইন ) are indeed sorcerers who intend to expel you from your land by their sorcery, and do away with your excellent traditions (muthlā, the feminine form of amthal, meaning ‘the noblest’) in other words, [they will do away with the loyalty of] the noblemen among you, because these [latter] will prefer the two of them [Moses and Aaron] on account of their triumph.
৪র্থ ভুল-
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ قِبَل َ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِوَالْمَلآئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِوَالسَّآئِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاة َ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُواْ وَالصَّابِرِينَ فِيالْبَأْسَاء والضَّرَّاء وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَـئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার’। (সুরা ২ বাকারা, আয়াত ১৭৭)
এখানে মোট পাঁচটি ব্যাকরণগত ভুল আছে। চারটিতে ক্রীয়াপদে ভুল Tense (কাল) ব্যবহার করা হয়েছে। বাক্যটি শুরু হয়েছে ‘তুয়াল্লু’ (মুখ করো) Present Tense (বর্তমান কাল দিয়ে), অথচ পরবর্তি চারটি ক্রীয়াপদে Past Tense (অতীত কাল) ব্যবহার করা হয়েছে। উপরের আরবী বাক্য যেভাবে বলা হয়েছে, যদি হুবহু তার ইংরেজি অনুবাদ করা হয় তাহলে বাক্যটি দাঁড়ায় এ রকম-
"It is not righteousness that ye turn your faces to the East and the West; but righteousness is he who believed in Allah and the Last day and the angels and the Book and the Prophets; and gave his wealth, … and performed prayer and paid the alms."
অনুবাদকগণ ভুল টের পেয়েই Tense পরিবর্তন করে believed, gave , performed এবং paid না লিখে Present Tense দিয়ে অনুবাদ করেছেন। শুদ্ধ আরবী ব্যাকরণে-
মান আ-মানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খেরি –
এখানে সঠিক বাক্য হবে- মান তু’-মিনু বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খেরি—
ওয়া আ-তাল মা-লা আ’লা- হুব্বিহি
এখানে সঠিক বাক্য হবে- ওয়া তু’-তুল মা’-লা আ’লা-হুব্বিহি—
ওয়া আকা-মাস সালা-ত
এখানে সঠিক বাক্য হবে- ওয়া তু’-কিমুস সালাত—
ওয়া আ-তাজ জাকাত
এখানে সঠিক বাক্য হবে- ওয়া তা’-তুজ জাকাত—
উপরোক্ত বাক্যের শেষের দিকে ওয়াসসা’-বিরি-না শব্দটি হবে ওয়াসসা’-বিরু-না, যেমন প্রথম শব্দ, ওয়াল মু-ফু-না দিয়ে শেষের লাইন শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ‘ওয়াল মু-ফু-না বিআহদিহিম ইজা আ-হাদু ওয়াস সা-বিরিন’ না হয়ে, শুদ্ধ বাক্যটি হবে- ‘ওয়াল মু-ফু-না বিআহদিহিম ইজা আ-হাদু ওয়াস সা-বিরুন’।
এবার সুরা বাকারার ২৮৫ নং বাক্যটি দেখুন- আ’-মানা ররাসু-লু বিমা- উনজিলা ইলাইহি– –
The Messenger has believed in what was revealed to—
লক্ষ্য করুন, ইংরেজি অনুবাদে Past Tense দিয়ে অনুবাদ করা হয়েছে। অথচ এই সুরার ১৭৭ নং আয়াত মান আ-মানা বিল্লাহি – আয়াতের ইংরেজি অনুবাদে Present Tense ব্যবহার করা হয়েছে।
৫ম ভুল-
إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِندَ اللّهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِن تُرَابٍ ثِمَّ قَالَ لَهُ كُن فَيَكُونُ
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন। (সুরা ৩ ইমরান, আয়াত ৫৯)
"The likeness of Jesus, in God's sight, is as Adam's likeness; He created him of dust, then said He unto him, 'Be,' and he was." একমাত্র Pickthall তার অনুবাদে লিখেছেন, ‘He created him of dust, then He said to him 'Be,' and he is’.
আরবী বাক্যটি যেভাবে কোরানে লেখা হয়েছে, সেই অনুসারে Pickthall এর অনুবাদটাই সঠিক। ‘ইয়াকুন’ present tense ইংরেজিতে “is”, আর ‘কা-না’ past tense ইংরেজিতে "was"
এবার নীচের আয়াতটি দেখুন-
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়। (সুরা ৩৬ ইয়াসীন, আয়াত ৮৩)
Verily, His Command, when He intends a thing, is only that He says to it, ”Be!” and it is! এখানে He says to it, ”Be!” and it is! ইংরেজি অনুবাদ ঠিকই আছে। কিন্তু উভয় জায়গায় (সুরা ইমরান, আয়াত ৫৯ এবং সুরা ইয়াসীন, আয়াত ৮৩) ফায়াকুন শব্দের কোন পরিবর্তন নাই। একই শব্দের ইংরেজি অনুবাদে এক জায়গায় “Is” আর এক জায়গায় “Was” লিখা হয়েছে।
৬ষ্ঠ ভুল-
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ
These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord——
এই দুই বাদী বিবাদী, তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে। (সুরা ২২ হাজ্ব, আয়াত ১৯)
আরবীতে বচন তিন প্রকার, যথা- একবচন, দ্বৈত বা যুগ্ম-বচন ও বহুবচন, singular, dual, আর plural
এখানে দুই বাদী বিবাদী বলতে দুই ব্যক্তি নয় বরং দুই দল বাদী বিবাদী বুঝানো হয়েছে, একদল বিশ্বাসী আর একদল কাফির। সেই অনুসারে ইখতাসামু- শব্দটি ইখতাসামা- হবে।
৭ম ভুল-
وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। (সুরা ৬৩ মুনাফিকুন, আয়াত ১০)
এখানে ওয়া আকুম মিনাস সা-লিহি-ন এর ‘আকুম’ ক্রীয়াপদটি subjunctive তাই নিয়মানুসারে শব্দের শেষ ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বর বর্ণ থাকতে হয়। যেমন বাক্যের ফা-আসাদ্দাকা (আ) । ওয়া আকুম এর ‘আকুম’ ক্রীয়াপদ এর শেষ ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বর বর্ণ (আ) যুক্ত করে এভাবে বলা উচিৎ ছিল- ফা-আসাদ্দাকা ওয়া আ-আকুনা (আ) মিনাস সা-লিহিন। উল্লেখ্য এখানে 'আকুম' শব্দটি আসলে 'আকুন' থেকে এসেছে।
৮ম ভুল-
وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا "
By the heaven and that which built it."
কসম আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। (সুরা ৯১ আশ-শামস, আয়াত ৫)
এখানে مَا (মা) এবং مَن (মান) শব্দ দুটো নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন বোধ করি। مَا (মা) এর অর্থ হলো, ‘কী’, ‘ওটা’, ‘ইহা’ ‘যা’, বা ‘যাহা’ (What, That, Which) আর مَن (মান) এর অর্থ হলো, ‘যিনি’, ‘যে’ (Who, Him) এবার ১০১ নং সুরা আল-কারিয়াহ এবং ৯১ নং সুরা আশ-শামস ভালভাবে লক্ষ্য করুন। উল্লেখিত শব্দদ্বয় উভয় সুরাতে বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। مَا (মা) এর অর্থ ‘যে’ ‘যিনি’ (Who) নয়, তা বুঝেই ইংরেজী অনুবাদকগণ বেশ তালগোল পাকিয়েছেন। ৯১ নং সুরা আশ-শামস এর ৫, ৬, এবং ৭ নং বাক্যে। এই তিনটি বাক্যের ইংরেজী অনুবাদ দেখুন-
আয়াত ৫-
Yusuf Ali
By the Firmament and its (wonderful) structure;
Shakir
And the heaven and Him Who made it,
আয়াত ৬-
Yusuf Ali
By the Earth and its (wide) expanse:
Shakir
And the earth and Him Who extended it,
আয়াত ৭-
Yusuf Ali
By the Soul, and the proportion and order given to it;
Shakir
And the soul and Him Who made it perfect
যে সকল অনুবাদকগণ এই তিনটি বাক্যে مَا (মা) এর অর্থ ‘যিনি’ (Who) করেছেন তারা সকলেই অন্য সব যায়গায় مَا (মা) এর অর্থ ‘কী’, ‘যা’, ‘ইহা’, ‘তাহা’, ‘It’, ‘Which’, ‘That’ করেছেন। মুহাম্মদের ভুলটাকে ঢাকতে গিয়ে বাধ্য হয়ে দুই জালাল (জালালাইন) জোড়াতালি মার্কা একটি ব্যাখ্যা এখানে দিয়েছেন-
and [by] the soul, that is to say, [by] all souls, and the One Who proportioned it, in its created form (mā مَا (মা) in all three instances relates to the verbal action, or functions as man مَن(মান), ‘the one who’)
এবার নীচের বাক্যটি দেখুন-
وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
এবং (কসম) তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন। (৯২ নং সুরা আল-লাইল, আয়াত ৩) আল্লাহ নিজের নামে কসম খাচ্ছেন!
এবার ইংরেজী অনুবাদটা লক্ষ্য করুন-
Pickthall
And Him Who hath created male and female,
Yusuf Ali
By (the mystery of) the creation of male and female
জালালাইন এসে মুহাম্মদকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেন এভাবে-
Tafsir al-Jalalayn and [by] the One Who (‘mā’ either functions as ‘man’ مَن(মান), ‘the One Who’, or it is related to a verbal action) created the male and the female, Adam and Eve, or every male and female — the hermaphrodite, although problematic for us, is [in fact] either male or female according to God, and therefore a person [actually] commits perjury if he speaks with one [thinking that] because he has sworn not to speak with a male or a female; [he may do so with a hermaphrodite].
তদ্রূপ আরেকটি বাক্য যেমন-
إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَصَادِقٌ
তোমাদের প্রদত্ত ওয়াদা অবশ্যই সত্য। (সুরা ৫১ আজ-জারিয়াহ, আয়াত ৫)
ইংরাজি অনুবাদে (mā مَا (মা) এর অর্থ দেখুন।
Yusuf Ali
Verily that which ye are promised is true;
Shakir
What you are threatened with is most surely true,
(এবার এর সাথে তুলনা করুন সুরা ৯১ আশ-শামস এর ৫নং আয়াত) এই ‘মা’ এর ভুল ব্যবহার জেনেই জালালাইন সব সময় ব্র্যাকেটে ব্যখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন-
Tafsir al-Jalalayn-
assuredly what you are promised (mā, ‘what’, relates to the verbal action), in other words, the promise given to them of resurrection and other matters, is true, is indeed a true promise,
প্রাসঙ্গীক বিধায় এখানে و ‘ওয়াও’ বর্ণ নিয়ে কিছু কথা বলে নেয়া ভাল। তার আগে পাঠকবৃন্দকে অনুরোধ করবো, কোরানে ব্যবহৃত و ‘ওয়াও’, مَن(মান), مَا (মা) এগুলোর অর্থ জানার জন্যে, ব্যবহার দেখার জন্যে ৯১ নং সুরা আশ-শামস, ৯২ নং সুরা আল-লাইল এবং ১০১ নং সুরা আল-কারিয়াহ দেখে নেয়ার জন্যে। অনেকে বলে থাকেন, কোরানের কোন নির্দিষ্ট বাক্য আলাদা করে তর্জমা করা যায় না, কারণ প্রত্যেকটা বাক্য নাকি একটা আরেকটার সম্পূরক, আর এর প্রমাণ হিসেবে তারা বাক্যের প্রথমে و ‘ওয়াও’ দেখান। و ‘ওয়াও’ এর অর্থ হলো, ‘এবং’, ‘আর’, ‘শপথ’, ‘কসম’। উপররোক্ত তিনটি সুরায় এর প্রচুর ব্যবহার, আর আল্লাহ (না মুহাম্মদ) শুধুমাত্র এই সুরাগুলোতেই কতবার যে কতপ্রকার বস্তুর কসম খেয়েছেন তা দেখতে পাবেন। ইহজগতের মেঘ, নৌকা, আকাশ, বাতাস ইত্যাদি তুচ্ছ বস্তু ও নিজের নামে কসম খাওয়ার হয়তো মুহাম্মদের প্রয়োজন থাকতে পারে, আল্লহর নিশ্চয়ই ছিল না। আল্লাহ কি নিজেকে মিথ্যাবাদী নয় প্রমাণ করার জন্যে এতবার কসম খেলেন?
৯২ নং সুরা আল-লাইল, ৯৩ নং সুরা ‘আদ-দোহা’ শুরু হয়েছে و ‘ওয়াও’ দিয়ে। ‘কসম রাত্রির-’। ‘কসম মধ্যদিনের’, সুতরাং و ‘ওয়াও’ এর অর্থ শুধু ‘আর’ এবং ‘অতঃপর’ নয়, و ‘ওয়াও’ এর অর্থ শপথ, কসমও। উল্লেখ্য ৯৩ নং সুরা ‘আদ-দোহা’ এর সব বাক্যে স্পষ্টই বক্তা জিব্রাইল অথবা মুহাম্মদ, আর আল্লাহ সব সময়ই থার্ড পার্সন।
৯ম ভুল-
ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ اِئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম। (সুরা ৪১ হা-মীম, আয়াত ১১)
এবার প্রথমেই জালালাইনের বক্তব্য দেখে নিই- Then He turned to the heaven when it was smoke, [consisting of] rising vapours, and He said to it and to the earth, “Come both of you, to what I desire from you, willingly, or unwillingly!” (taw‘an aw karhan, their [syntactical] locus is that of a circumstantial qualifier, in other words, ‘[Come] being obedient or coerced’). They said, “We come, together with all those inhabiting us, willingly!” (tā’i‘īna mainly indicates masculine rational beings; it may also be that they are referred to in this way because they are being addressed thus).
শাকির ও ইউসুফ আলীর অনুবাদ-
Yusuf Ali
Moreover He comprehended in His design the sky, and it had been (as) smoke: He said to it and to the earth: "Come ye together, willingly or unwillingly." They said: "We do come (together), in willing obedience."
Shakir
Then He directed Himself to the heaven and it is a vapor, so He said to it and to the earth: Come both, willingly or unwillingly. They both said: We come willingly.
মাটির ভাঙ্গা কলসি জোড়া লাগাতে জালালাইন কিছু অতিরিক্ত মসলা এখানে যোগ করলেন- They said, “We come, together with all those inhabiting us, willingly!”
আরবীতে আকাশ এবং পৃথিবী উভয়ই স্ত্রীলিঙ্গ, এবং একত্রে দ্বৈত বা যুগ্মবচন, (বহুবচন নয়)। এমতাবস্থায় قَالَتَا (কা-লাতা They said) ঠিকই আছে, কিন্তু বাক্যের শেষ শব্দ طَائِعِين (তা-ইয়িন) বিশেষণ adjective পুংলিঙ্গ এবং বহুবচন। সুতরাং বাক্যের বিশেষ্য পদ, বচন, ও লিঙ্গের সাথে বিশেষণের মিল করে, ব্যাকরণ অনুযায়ী আয়াতের শেষ শব্দটি ‘তা-ইতায়ীন’ হওয়া উচিৎ।
১০ম ভুল-
وَقَطَّعْنَاهُمُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أَسْبَاطًا أُمَمًا وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى
আর আমি পৃথক পৃথক করে দিয়েছি তাদের বার জন পিতামহের সন্তানদেরকে বিরাট বিরাট দলে, এবং নির্দেশ দিয়েছি মুসাকে—-
এখানে ‘আসবা-তান’ শব্দটি আরবী ব্যাকরণানুযায়ী ভুল। আরবীতে দশ সংখ্যার উপরে নামবাচক শব্দ একবচনে লেখা হয়। শুদ্ধ শব্দ হবে ‘ আশারাতা সিবতান’। কোরানের অন্যান্য আয়াতে এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে, যেমন- ৭-১৪২, ২-৬০, ৫-১২, ৯-৩৬, ১২-৪।
আমরা প্রবন্ধ দীর্ঘায়িত করবোনা। এ ছিল কোরানে শতাধিক ব্যাকরণগত ভুলের কিছু উদাহরণ মাত্র। কোরানে বিদেশি শব্দের অনুপ্রবেশ এর ব্যাপারে শুধু বলবো, Al Suyuti কোরানে ১০৭ টি এবং Arthur Jeffery ২৭৫টি বিদেশি শব্দ খুঁজে পেয়েছেন। উৎসাহী পাঠক নীচের ইন্টারনেট লিংকসমুহ থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
এখন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করা যাক।
এ ভুল কার?
এ প্রশ্নের শুধুমাত্র দুটো উত্তরই হতে পারে।
(১) কোরান ভুল ভাবেই লেখা ছিল লাওহে মাহফুজে।
(২) মানুষ কোরান লেখার সময় ভুল ভাবে লিখেছিল।
প্রথম উত্তর কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। আর দ্বিতীয় উত্তর যুক্তিসঙ্গত হলেও প্রমাণ করে যে, বর্তমানে আমাদের হাতের কাছে কোরান ত্রুটিমুক্ত বিশুদ্ধ নয়।
ততকালীন আরবের বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদগণ কি কোরানের এ ভুল সম্মন্ধে অবগত ছিলেন না?
অবশ্যই ছিলেন। প্রথম অবস্থায় কেউ তা কানেই তুলেন নি। সে যুগে হীরা পাহাড়ের ঝোপে ঝাড়ে, মাঝে মধ্যে মুহাম্মদের মত ঘর ত্যাগী এমন সন্যাসীর আবির্ভাব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থার শিকার, সমাজ বঞ্ছিত, হাতাশাগ্রস্থ যারা অন্ধভাবে মুহাম্মদের কথা আল্লাহর বাণী বলে বিশ্বাস করেছিলেন, তারা কোরানের ভাষার দিকে তাকিয়ে নয়, মুহাম্মদের নবুওত পূর্ব জীবনের দিকে তাকিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। আর যারা ভুল ধরার ক্ষমতা রাখতেন বা চেষ্টা করেছেন, মুহাম্মদ তাদেরকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দিয়েছিলেন।
খলিফা উসমানের আমলে কোরান সংকলন কমিটি ভুল সংশোধন করলেন না কেন?
অনেক ভুল সংশোধন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত উসমান যখন টের পেলেন, লোম খুটতে খুটতে কম্বল খালি হয়ে যাবে, নিষেধ করে দিলেন, আর যেন পরিবর্তন করা না হয়। তবুও এর পরে পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছে, যখন জের, জবর, পেশ, নোখতা, তাশদিদ ইত্যাদি যোগ করা হয়।
পনেরো শো বৎসর যাবত এত ভুল মানুষের চোখে পড়েনা কেন, মানুষ এ ভুল মেনে নেয় কেন?
কারণ কোরানকে যারা বিনা প্রশ্নে আল্লাহর বাণী বলে মেনে নিয়েছেন, তারা আল্লাহর ভুলকে ভুল বলা পাপ মনে করেন। তাই আল্লাহ যদি বলেন-‘বালকটি বল খেলিতেছে’, আর ‘তাহারা বল খেলিতেছিল’ বাক্যদ্বয় সমান অর্থ বুঝায়, অথবা আল্লাহ যদি বলেন- "I am going to eat" এবং " I am going to will eat কিংবা "I did go to ate" .তাহলে মেনে নিতে হবে বাক্যসমুহ ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ। আল্লাহর সৃষ্ট ভাষা আল্লাহ যেভাবে মন চায় ব্যবহার করবেন, তাতে ভুল ধরা পাপ।
সহায়ক তথ্যাবলী-
http://www.answering-islam.org/Books/Jeffery/Vocabulary/index.htm
বিজ্ঞানময় কিতাব অভজিৎ রায়
Who Authored the Qur’an? Abul Kasem
বোকার স্বর্গ আকাশ মালিক
আল্লাহ, মুহম্মদ সাঃ এবং আল-কোরআন বিষয়ক কিছু আলোচনার জবাবে.. নাস্তিকের ধর্মকথা
সুরাঃ ডিজেবল(আয়াতঃ ২০) Support Dashboard এ অবতীর্ণ
০১)কসম ফেসবুকের।
০২)অতঃপর বার্তা বহনকারী ইনবক্সের।
০৩)অতঃপর চলমান কমেন্ট বক্সের,
০৪)অতঃপর সংকেত বন্টনকারী ম্যানশন ট্যাগের,
০৫)তোমাদের প্রদত্ত রিপোর্ট অবশ্যই সত্য নয়।
০৬)ইনসাফ অবশ্যম্ভাবী।
০৭)নোটিফকেশনের কসম,
০৮)তোমরা তো বিরোধপূর্ণ রিপোর্ট করছো।
০৯)যে ভ্রষ্ট, সেই এ ভেরিফিকেশান থেকে মুখ ফিরায়,
১০)অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
১১)যারা উদাসীন, ভ্রান্ত।
১২)তারা জিজ্ঞাসা করে, তাদের আইডি কবে ফেরত পাবে?
১৩)যেদিন তোমাদের আইডি ডিজেবল হবে,
১৪)তোমরা তোমাদের ইনবক্সে ই-মেইল পাবে। এতে ভেরিফিকেশান চাওয়া হয়।
১৫)আইডি ভীরুরা জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে থাকবে।
১৬)এমতাবস্থায় যে, তারা গ্রহণ করবে যা তাদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তাদেরকে দেবেন। নিশ্চয় তারা ইহা ই-মেইলে সংযুক্ত করবে।
১৭)এ ন্যাশনাল আইডি কার্ড অবতীর্ণ হয়েছে প্রভাবশালী, প্রজ্ঞাময় নির্বাচন কমিশন এর পক্ষ থেকে অথবা কোন নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে।
১৮)আমি আপনার প্রতি এ ন্যাশনাল আইডি কার্ড যথার্থরূপে ই-মেইল করেছি। অতএব, আপনি নিষ্ঠার সাথে ভেরিফাই করুন।
১৯)যারা জুকারবার্গ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা টুইটারে এবাদত করি, যেন তারা পথভ্রষ্ট।নিশ্চয় জুকারবার্গ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন।
২০)তিনি ফেসবুক সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি ষ্টেটাসে লাইক কমেন্ট দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং শেয়ার ও ট্যাগ দ্বারা প্রস্ফুটিত করেন এবং তিনি ফটো ও কার্ড ভেরিফাই করে প্রত্যেককেই তার নির্দিষ্ট আইডি ফেরত দেন। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
চমৎকার লিখেছেন।
আল্লা দেখি শুদ্ধ করে কথাই বলতে পারে না। তাহলে এই সুশৃঙ্খল মহাবিশ্ব সে সৃষ্টি করলো কিভাবে ? :-s
@হৃদয়াকাশ, লোকে বলেনা – কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হও
একই রকম বাক্য লিখতে গিয়ে দুই স্থানে শুদ্ধ লিখে অন্য স্থানে ভুল (আপনার দৃষ্টিতে)করার কারণ অবশ্যই অজ্ঞতা নয় এটা আশা করি মানবেন । এটা আসলে ভুল নয় তরকিবের (আরবীতে বাক্য গঠনরীতি কে তরকিব বলে) ভিন্নতার কারণে এই ভিন্নতার সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্থান কাল পাত্র ভেদে তরকিবে ভিন্নতা আসে । আমি জানিনা আপনি অরবি বাক্য গঠনরীতি কতটুকু জানেন ভাল জানা থাকলে হয়ত এই ভিন্নতা কে ভুল বলতেন না। তাছাড়া الصَّابِؤُونَ কেন ভুল আর الصَّابِئِين কেন শুদ্ধ তাও বলেন নি। দাবি করেছেন প্রমাণ আনেন নি। আপনার আরো স্পষ্ট করে বলা উচিত ছিল অমুক নিয়মের ভিত্তিতে এটা শুদ্ধ এটা ভুল কিন্তু আপনি তা করেন নি কেন কী উদ্দেশ্যে আপনিই ভাল বলতে পারবেন
সূরা মায়েদায় الصَّابِئِين না হয়ে কেন الصَّابِؤُونَ হল এর কারণ শুনুন । الصَّابِؤُونَ এর পূর্বে যে واو টা রয়েছে তা عاطفة আতেফা (পূর্বের বাক্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারী) না বরং مستأنفة মুস্তানেফা (পূর্বের বাক্যের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী) যদি عاطفة হত তাহলে الصَّابِئِين ঠিক আছে যেহেতু عاطفة না مستأنفة তাই الصَّابِؤُونَ হয়েছে। অর্থাৎ وَالصَّابِؤُونَ থেকে নতুন একটা বাক্য শুরু হচ্ছে যাকে জুমলায়ে মুস্তানিফা বলে । الصَّابِؤُونَ হল সে বাক্যের উদ্দেশ্য এবং এর বিধেয় ঊহ্য আছে। বাক্য টা হবে এমন
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُووَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
والصابؤن كذالك
‘নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, সাবেয়ী, খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না’এবং সাবেয়ীরাও এমন অর্থাৎ তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না’
এই ধরনের ব্যবহার আরবীতে প্রচলিত।আরবী ব্যাকরনবিদ সিবওয়াই (سبوايه) এর আবৃত্তি করা একটি কবিতার পঙতি
والا فاعلموا وانتم بغاة ما بقينا على شقاق
এখানেও وانتم জুমলায়ে মুস্তানিফা এবং এর বিধেয় ঊহ্য আছে। বাক্যটি হবে এমন فاعلموا انا بغاة وانتم كذالك
এখন প্রশ্ন হল অপর দুই আয়াতের মত না করে এই আয়াতে নতুন বাক্য বা জুমলায়ে মুস্তানিফা আনা হল কেন ? সাধারণত জুমলায়ে মুস্তানিফা আনা হয় বাক্য থেকে সৃষ্ট কোন প্রশ্ন বা সন্দেহ দূর করার জন্য । সাবয়ীরা অন্যদের তুলনায় বেশি ভ্রষ্ট ছিল কেননা ইহুদী,খ্রীষ্টানরা এক সময় সত্য ধর্মের অনুসারী ছিল কিন্তু সাবেয়ীরা কোন ধর্মেরই অনুসরণ করতনা বরং তারা তারকারজির পূজা করত । তাই তাদের মনে এমন কোন সন্দেহ আসতে পারে যে এ ঘোষণা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না কারণ অন্যরা আল্লাহ প্রদত্ত কোন একটা ধর্মের অনুসরণ করে কিন্তু আমরা তা করিনা। যেন তাদের মনে এমন কোন সন্দেহ সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য নতুন একটা বাক্য এনে তাদেরকে বিশেষভাবে আশ্বস্থ করা হয়েছে । আর এক আয়াতে যেহেতু সন্দেহের নিরসন হয়ে গেছে তাই অন্য গুলোতে আর প্রয়োজন থাকেনা ।
৬ষ্ঠ ভুল-
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ
These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord——
এই দুই বাদী বিবাদী, তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে। (সুরা ২২ হাজ্ব, আয়াত ১৯)
আরবীতে বচন তিন প্রকার, যথা- একবচন, দ্বৈত বা যুগ্ম-বচন ও বহুবচন, singular, dual, আর plural
এখানে দুই বাদী বিবাদী বলতে দুই ব্যক্তি নয় বরং দুই দল বাদী বিবাদী বুঝানো হয়েছে, একদল বিশ্বাসী আর একদল কাফির। সেই অনুসারে ইখতাসামু- শব্দটি ইখতাসামা- হবে।
আপনি নিজেই বলতেছেন দুই বাদী বিবাদী বলতে দুই ব্যক্তি নয় বরং দুই দল বাদী বিবাদী বুঝানো হয়েছে, আর একেক টি দলে অবশ্যই দুয়ের অধিক লোক রয়েছে । যদি তাই হয় তাহলে اخْتَصَمُوا ইখতাসামু বলা ভুল হবে কেন ? ভুল তো হবে اختصما ইখতাসামা বলা । তাই নয় কি?
আপনি যত গুলো ভুল এখানে তুলে ধরেছেন সব গুলোর উত্তর টাইপ করা আমার জন্য কষ্টকর । আপনি দয়া করে এই লিঙ্ক থেকে কিতাব টা ডাউনলোড করে দেখে নিবেন।আশা করি সন্তোষজনক উত্তর পেয়ে যাবেন ।
যারা ফারুকের সঙ্গে তর্কে তাদের সবাইকে,
ধর্মের বিশ্বাসীরা যদি নির্ভুল যুক্তি ও তর্ক বুঝত বা করত তাহলে তারা কি আর বিশ্বাসী থাকত। বিশ্বাসকে কারও যুক্তির পরীক্ষায় পাস ফেইল বিচারের মানদণ্ড বলা যায়। বিশ্বাসীদের কাছে সঠিক যুক্তি দেয়াটা উলুবনে মুক্তো ছড়ান আর কি।
@যাযাবর,
ভাই বুঝতে পারতাছি, যে বিশাল একটা ভূল করে ফেলেছি আমি ফরিদ ভাই এর মত। এইবারে মাফ চাচ্ছি।
@মিঠুন,
ভুল মোটেই হয় নি। উলুবনে মুক্তো ছড়ান হলেও যুক্তি ছড়িয়ে দেয়াটা খুবই জরুরী। বিশ্বাসের বেশ কয়েক স্তর আছে। অন্ধ বা বদ্ধ মনের বিশ্বাসী যারা তাদের জন্য সুযুক্তি উলুবনে মুক্তো ছড়ানই বটে। কিন্তু আরেক দল আছে যারা বেড়ার উপর বসে আছে, যার এপারে বিশ্বাসের ক্ষেত আর ওপারে যুক্তির ক্ষেত। তারা কিছুটা বিশ্বাসের ক্ষেতের দিকে ঝুকে থাকলেও যুক্তির হাওয়াটা একটু জোরাল হলেই সে হাওয়ার ধাক্কায় তারা যুক্তির ক্ষেতে পড়ে যাবে। এদেরকে টার্গেট করেই বদ্ধ মনের বিশ্বাসীদের প্রতিও যুক্তি ছড়াতে হবে এই আশায় যে, বেড়ায় বসে থাকা ঐ আধা বিশ্বাসীরাও ঐ যুক্তিগুলো পড়ে যুক্তির ক্ষেতে হেলে পড়ে যাবে। আশা এই যে তাদের সংখ্যাই বেশী।
@ফারুক
কীভাবে এটা সম্ভব একটু ব্যাখ্যা করবেন কী?
আমার জন্মের আগে কীভাবে আমার জীবনের প্রতিমুহূর্তের ভিডিও করাযায়। আর কোন অলৌকিক ইশ্বর এর কাছে যদি আমার জীবনের প্রতি মুহূর্তের ভিডিও থেকেই থাকে তাহলে তার বাইরে অভিনয় করার ক্ষমতা কি আমার থাকবে? যদি না থাকে তার মানে আমার কোন স্বাধীন ইচ্ছানেই।
আর যদি ভিডিওর বাইরে কোন ক্রিয়াকালাপ আমি করতে পারি তাহলে তো ভিডিও এডিট করতে হবে। যদি তাই হয় তাহলে কোন কিছু নিদৃষ্ট করে রাখা সম্বভ না কারন আমার ইচ্ছামত আমি যখন যা খুশী তাই করতে পারি। মুছতে মুছতে তো ফিতের বারটা বেজে যাবে। রিরাইটেবল হলেও একটা লিমিটেশন থাকে নাকি?
আপনার মন্তব্যে দেখে আমার মাথা প্যাচ খেয়ে গেছে :-X । প্লিজ একটু সাহায্য করুন।
@নিদ্রালু,
আমি সঠিক জানি না , কিভাবে সম্ভব। একটি সম্ভাবনার কথা বলেছি। যতদুর জানি সময়ও আপেক্ষিক।
আপনি আমার কাছে এই যে মন্তব্যটি লিখলেন , তা তো নিজের ইচ্ছায় লিখেছেন , নাকি কেউ আপনাকে বাধ্য করেছে? এখন এই মন্তব্যটা লেখার পরে সেটা কি ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব বা আপনি কি আপনার স্বীদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন? এটা কি বলা সম্ভব , দুঃখিত , আমি মন্তব্যটা লিখব না। হাতের ঢিল আর মুখের কথা একবার হাত ছাড়া বা বেরিয়ে গেলে আর ফেরৎ নেয়া যায় না। তেমনি ঘটনা ঘটানোর আগ পর্যন্ত আপনি যত ইচ্ছা স্বীদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন , কিন্তু ঘটানোর পরে আর পরিবর্তনের স্বাধীনতা বা ক্ষমতা আপনার নেই। আপনি জীবনে যা ঘটিয়েছেন তাই ভিডিওটেপে আছে। ভিডিওটেপের সবি আপনার স্বাধীন ইচ্ছাতেই ঘটেছে । একবার ঘটানোর পরে আবার তা পরিবর্তনের বা অভিনয়ের দাবী অযৌক্তিক এবং এর সাথে আপনার স্বাধীন ইচ্ছাকে গুলিয়ে ফেলছেন।
@ফারুক,
ভাই, সময়ের আপেক্ষিকতা মানে আপনি যদি বুঝে থাকেন না ঘটা ঘটনাও ভিডিও করে কেউ দেখাতে পারবে, তা হলে আইনস্টাইন সাহেব বোধ হয় কবর থেকে উঠে এসে নিজের চুল ছিঁড়তে শুরু করতেন।
কোন কিছু দাবী করলে সেটার প্রমাণ দাবীদারকেই দিতে হবে। একে দর্শনের পরিভাষায় বলে ‘বার্ডেন অব প্রুফ’। কোন কিছু দাবী করার পরে যদি বলেন, ‘আমি সঠিক জানি না , কিভাবে সম্ভব। একটি সম্ভাবনার কথা বলেছি’ তাতে দাবীর যথার্থতা প্রমাণিত হয় না, বরং উল্টোটাই ঘটে। আমিও হয়তো দাবী করতে পারি যে, আপনার মাথাটা আসলে নীচের দিকে আর পা দুটো উপরের দিকে, আপেক্ষিকতার কারণে আমরা উলটো দেখছি। আপনি কি মেনে নেবেন? না মনলে কিন্তু আমি বলব, ‘আমি সঠিক জানি না , কিভাবে সম্ভব। একটি সম্ভাবনার কথা বলেছি’। কেমন শোনাবে ব্যাপারটা?
ভাল থাকবেন।
@অভিজিৎ,
:rotfl:
@অভিজিৎ,আপনি মনে হয় দাবী ও সম্ভাবনাকে এক করে ফেলেছেন। ভবিষ্যত জানা সম্ভব কিনা? এব্যাপারে আপনার কি মত?
না মানার তো কোন কারন দেখিনা।
প্রথমত কিসের সাথে তুলনা করে উপরে আর নিচে বলছেন , সেটাই যখন জানি না।
২য়ত আপেক্ষিক দৃষ্টিতে উপর নিচ বলে কিছু নেই।
আপনিও ভালো থাকুন।
@ফারুক,
ঠিক বলেছেন। সেজন্যই বোধ হয় লোকজন বলে কারো কারো বুদ্ধি হাটুতে। আসলে তারা আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী নীচের দিকে মাথার কথাই মিন করে। এতোদিনে বুঝলাম। 🙂
@অভিজিৎ,হাটুতে বুদ্ধি আলারা মাথার কথাই মিন করে , এটা জানা ছিল না। ধন্যবাদ নিজের পরিচয় দেয়ার জন্য , যদিও আমি আপনার পরিচয় জানতে চাই নি!! 🙂
@ফারুক,
ভাই মাথা ঠিক আছে তো আপনার? আপনি বললেন যে ঘটনা ঘটার আগেই তা অলৌকিক ঈশ্বর লিখে রাখতে পারেন। তাহলে সেই ঘটনা ঘটকের স্বাধীন ইচ্ছায় ঘটে কিভাবে ? আর আমি যদি কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত শেষ মুহুর্তে এসে বদলে ফেলি তাহলে (আপনি যেহেতু বলছেন আমার স্বাধীন ইচ্ছা আছে তাই যা খুশী আমি করতে পারি) তা বহু আগে থেকে কিভাবে লিখে রাখা সম্ভব? ধরলাম সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পক্ষে সবই সম্ভব(কিভাবে সম্ভব তা আপনি ব্যাখ্যা করেন নি)। কিন্তু তাহলে আমার স্বাধীন ইচ্ছার তো আর অস্তিত্ব থাকল না কেননা আমি শেষ মুহুর্তে এসেও যদি মত বদলে ফেলি, তারপরও ঈশ্বর তা বহু আগে থেকেই জেনে বসে আছেন। স্ববিরোধী হয়ে গেলনা ভাই?
আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। সমস্যাটা হল আপনারা ঈশ্বরের সংগার যে ধারনা পোষন করেন সেই ধারনায়। আপনারা মনে করেন ঈশ্বর এতই শক্তিশালী যে, চারকোনা বৃত্ত বানাতেও তার কোন বেগ পেতে হয়না। আপনারা আপনাদের কল্পিত ঈশ্বরকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে শক্তিমান বানাচ্ছেন। আর তা বানাতে গিয়ে অহরহ অসংখ্য স্ববিরোধীতার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। তাই এটুকু বুঝতে পারছেন না যে সর্বশক্তিমানেরও যদি বড় কোন শক্তিমান থেকে থাকে তবে তারও এক সাথে সর্বশক্তিমত্তা এবং সবজান্তা এ দুটি গুন একসাথে থাকতে পারেনা।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,
এছাড়া আরো সমস্যা আছে। যেমন, ইসলাম ধর্ম মতে প্রার্থনার মাধ্যমে কোনো কাজের পরিণতি বা ফলাফল বদলানো যায়। সব যদি আগেই নির্ধারিত করা থাকে তবে প্রার্থনার আর মানে কী? এছাড়া আরেকটি প্রশ্ন – যারা মৃত্যুর পর দোজখে যাবে তাদেরকে কোন দুঃখে সৃষ্টি করা হল?
@সৈকত চৌধুরী,
কথাটার মাঝেই কিন্তু এর গোমর ফাস হয়ে যায়। যদি এই কথাটি বলাই থাকে ইসলাম ধর্মে, তবে আল্লাহ যে মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন সেই দাবী আর ধোপে টেক না। কেননা প্রার্থনা করে আমি কোন ফলাফল বদলাব? আগে থেকে লেখা না থাকলে বদলাবার প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে? একেই বলে নিজের জালে নিজেই ফাসা।
বুঝলেন না ভাই আল্লাহ আগে থেকেই জানেন যে আপনার আমার মত বহুদ বদমাইশ এইসব নাফরমানি কইরা বেড়াবে কারন আল্লাহ চাচ্ছেনই তাই, যাতে তার দোজখ টা খালি না পইড়া থাকে।
আল্লাহর ইচ্ছাতেই সব হয়। কোন দোষ না কইরাও মনে হয় তার ইচ্ছাতেই দোজখবাসী হইতে হবে।
আল্লাহ বটে একখান!!!
@মিঠুন,
প্রার্থনায় সব সময় কাজ হয় না। তবে এক্কেবারেই কাজ হবে না কি করে বলেন?
আল্লাহ হয়ত বাংলা নাটকে দেখা অফিসের বড় সাহেবের মত তেলানো পছন্দ করেন?
@আদিল মাহমুদ,
শুধু আল্লাহই না ভাইয়া, সব ধর্মের গডফাদারদেরই একই অবস্থা। এরা এতই নি:স্ব আর একাকি ছিল যে কারো কাছ থেকে তেলের আশায় এরা অস্থির হয়ে উঠেছিল। আর তারই ফলশ্রুতিতে সব কিছুর সৃষ্টি। চিন্তা করুন কি মহান উদ্দেশ্য কাজ করছিল সৃষ্টির পেছনে।
সব ধর্মের গডফাদাররা তোষামদী পছন্দ করলেও আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক বড় সাহেব আছেন যারা তোষামদী পছন্দ করেন না। আমার অফিসের বসই তো কথায় কথায় সালাম একদমই সহ্য করতে পারেন না। ভাবি ধর্মের গডফাদারদের ওনাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছুই আছে।
@মিঠুন,
ঘটকের স্বাধীন ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ না করে একজন দর্শক হিসাবে লিখে রাখার মধ্যে অলৌকিক কিছু আছে কি? ঈশ্বর ভবিষ্যত দেখতে পান বলেই লিখে রাখতে পারেন কি ঘটবে। আমার আগের মন্তব্যগুলো একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন , তাহলে বুঝবেন কোন স্ববিরোধীতা নেই।
@ফারুক,
ভাই, একই ঢোল বাজাচ্ছেন কেন তখন থেকে? সোজাসুজি উত্তর দেন- ঈশ্বর যদি আগে থেকেই জেনে বসে থাকেন যে ওটা ঘটবেই, তবে আমার পক্ষে কিভাবে সম্ভব শেষ মুহুর্তে এসে আমার স্বাধীন ইচ্ছায় মত পরবির্তন করে অন্য কিছু করা? আপনি স্ববিরোধীতা নেই বলে মনে মনে মন কলা খেতে পারেন, নিজের ফাটা ঢোল যত খুশী বাজাতে পারেন..আমার কিছু বলার নেই। তাল গাছ টা আপনারই…
@মিঠুন,আপনি না বুঝলে তো একি ঢোল বাজানো মনে হবেই। আপনি যেটাকে মনে করছেন ঘটবে , সেটা ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে , এবং ঈশ্বর সেটা অবলোকন করেছেন। কারন ঈশ্বর ভবিষ্যত জানেন।
সৈকত চৌধুরীকে লেখা আমার জবাবগুলো পড়ুন , তারপরেও যদি মনে হয় আমি একি ঢোল বাজাচ্ছি , দুঃখিত। আপনাকে বোঝানোর ক্ষমতা আমার নেই।
@ফারুক,
ভাই যেটা ঘটবে সেটা যদি ইতিমধ্যে ঘটে গিয়ে থাকে তবে প্রশ্ন জাগে ঘটাচ্ছে কে? নিশ্চয়ই ঈশ্বর। তা তিনি যদি ঘটার আগেই কি ঘটবে তা ঠিক করে রাখেন তাহলে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার মূল্য কোথায়?
আপনার সাথে আর তর্ক করার ধৈর্য্য নাই আমার। এক কথা বার বার বলতে ভাল লাগেনা।আসলে আপনি আমাকে বুঝাবেন কি আমার নিজেরই আপনাকে বোঝার ক্ষমতা নাই :-Y :-X । আমার মনে হয় এখানে কারোরই সেই ক্ষমতা নাই। আপনার আর কস্ট করে বুঝাতে হবে না। তালগাছটা আপনাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ।
@ফারুক,
না ভাই কোন অলৌকিক কিছু নাই। দর্শক কাদের বলা হয় ভাই জানেন তো? যারা ঘটনা দর্শন করেন। এখন ঘটনা দর্শন তখনই করা যায় যখন ঘটনাটি ঘটে। ঘটার পর দর্শন করে লিখে রাখাই যেতে পারে ..এর মধ্যে অলৌকিক কিছু নাই। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগেই যদি কেউ তা লিখে ফেলে তবে অলৌকিকতার সাহায্য ছাড়া তা কিভাবে সম্ভব একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
আচ্ছা বুঝলাম, এর মধ্যে অলৌকিক কিছুই নাই। তাহলে তো এটা যে কারোরই পারার কথা। এখন আপনি বলুন তো, আমি আগামিকাল বিকাল ৫ টার সময় কোথায় থাকব?
@মিঠুন, দর্শন করার মাঝে অলৌকিক কিছু নেই। ভবিষ্যত দর্শন করার মাঝে অলৌকিকতা লুকিয়ে আছে।
আমি ঈশ্বর না , আমি ভবিষ্যত দেখতে পাই না।
@ফারুক,
আচ্ছা বলেন তো, আপনি জানেন যে আজ বিকাল ৫ টার সময় আপনি আপনার মামার বাড়ি বেড়াতে যাবেন। আপনি যদি আগেই ঠিক করে না রাখেন তবে তা আপনি কিভাবে জানবেন?
@ফারুক,
বিষয়টা হল- আমি এ কাজটা নাও করতে পারতাম, সে স্বাধীনতা আমার ছিল। কিন্তু আপনার কথা মত কেউ যদি আগেই তা ভিডিও করে রাখে বা শতভাগ নিশ্চিতরুপে জেনে ফেলে যে আমি তা করতে যাচ্ছি তবে তো আর আমার স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছু থাকল না। আর আল্লাহ নামক কেউ যদি এরকম করে তবে প্রশ্নটা হল তিনি যেহেতু জানতেন কোন মানুষ পৃথিবীতে কী করবে তবে কেন ধর্মের দৃষ্টিতে মন্দ কাজ করা মানুষগুলোকে তৈরী করলেন যারা ঐ কাজগুলো করবে তা সুনিশ্চিত?
@সৈকত চৌধুরী,আপনার স্বাধীন ইচ্ছায় যা ঘটিয়েছেন সেটারি ভিডিও ওটি। এই সহজ জিনিষটাকে খামাকা জটিল করে ফেলছেন।
একটা গল্প বলি- একজন সিনেমার একটি দৃশ্য প্রতিদিন একবার করে দেখে। দৃশ্যটি হলো , প্রেমিক যখন প্রেমিকাকে চুমু দিতে যায় তখন একটি ট্রেন এসে ঘটনাটাকে আড়াল করে ফেলে। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো , প্রতিদিন এটা দেখার কি হলো? উত্তরে বলে , আশায় থাকি , যদি ট্রেনটা আজ লেট করে , তাহলে চুমুর দৃশ্য দেখতে পাব।
বোঝার চেষ্টা করুন স্বাধীন ইচ্ছায় যা ঘটিয়েছেন তারি ভিডিও ওটি। এটার আর পরিবর্তন আপনি করতে পারবেন না।
@ফারুক,
বিষয়টা বাস্তবে সম্ভব কি না সে বিতর্কে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু এ রকম হলে ধর্মের সাথে বেশ কিছু সমস্যা বাধে। যেমন-
১। প্রার্থনার বিষয় আগে বললাম। আল্লা যদি জানেন ওটা ঘটবেই, এর কোনো ব্যতিক্রম নেই তবে তিনি কোনো দোয়া কেমনে কবুল বা প্রত্যাখ্যান করবেন? ওটা তো তিনি আগেই নির্ধারণ করে বসে রয়েছেন।
২। যেহেতু যা ঘটার তার ব্যতিক্রম ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই তাহলে দোজখীদের কেন সৃষ্টি করলেন? ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এর ব্যতিক্রম না করা তার মন্দত্বের প্রতীক।
৩। এরকম হলে স্বয়ং আল্লা ও সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। কারণ তাকে ঐ একই পথে যেতে হবে, মাঝখানে পথ পরিবর্তন করার বা ভিডিওটি মেরামত করার কোনো অবকাশ থাকল না। আল্লাকে অন্য পথ ধরতে বলছি না, বরং তার যে আর অন্য পথ ধরার সুযোগ থাকল না সে কথা বোঝাতে চাচ্ছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী, আসলেই কোন সমস্যা নেই। আপনি যেটা ভাবছেন ঘটবে , সেটা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে এবং আল্লাহ জানেন কি ঘটেছে। এবং এর ভিতরে প্রার্থনা করা (যদি করে থাকেন), কবুল হওয়া বা প্রত্যাখ্যান হওয়া সবি ঘটে গিয়েছে , এবং সে অনুযায়ীই ঘটনা ঘটেছে। আপনার অতীতের ঘটনা স্মরন করুন , চিন্তা করুন ওগুলো কিভাবে ঘটেছিল। তাহলে আর না বোঝার কোন কারন নেই।
আপনার ৩টি প্রশ্নেরি উত্তর নিহিত আছে ভবিষ্যত জানার ভিতরে।
আমরা ভবিষ্যত জানি না বলেই বুঝতে বা মেনে নিতে সমস্যা হচ্ছে।
@ফারুক,
এই কথাটাই যদি সত্যি ধরি তাহলে আমি যা যা করব তা আগেই করা হয়ে গেছে এবং আমার স্বাধীন ইচ্ছা মতই ঘটেছে এবং ঈশ্বর তা দেখেছেন।
তাইলে এখন আমি কী করছি? আগে যা যা করছি তার পুনরাবৃত্তি করছি নাকি? এটা কী ধনণের রশিকতা?
আপনি নিজে কী কনভিন্সড আপনি যা বলছেন?
@নিদ্রালু,আমি কনভিন্সড , আমি যা বলেছি। একটু ঠান্ডা মাথায় আপনি আমার মন্তব্যগুলো পর্যালোচনা করুন, ইনশাল্লাহ আপনিও কনভিন্সড হবেন।
যিনি ভবিষ্যত জানেন , তার জন্য তো এটা সোজা। ধরেন আপনার জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহুর্তের একটি ভিডিও করা হলো। আপনার জন্মের আগেই সেই ভিডিওটেপটা যদি কাউকে দেয়া হয় , তবে সেই ভিডিও দেখে তার পক্ষে আপনি কবে কখন কি করবেন , সেটা বলা কি এত কঠিন? আরো একটি জিনিষ খেয়াল করুন , ভিডিও দেখে আপনি কি করবেন তা বল্লেও কোনভাবেই কিন্তু আপনার স্বাধীন কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপের তার কোন সুযোগ নেই।
অসাধারণ । অনেক আগেই পড়েছি। ভাল লাগাটা জানিয়ে গেলাম।
আকাশ মালিকের লেখা “যে সত্য বলা হয়নি” বইটি আমি পুরোটা প্রিন্ট করে বই আকারে বাধিয়ে নিয়েছি। কতোবার যে পড়েছি নিজেই জানিনা।
প্রবির ঘোষ, ভবানিপ্রসাদ সাহু, আরজ আলি, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ সেই কবে পরেছি। আকাশ মালিকের লেখা বইখানি পেয়ে মনে হয়েছে, কোরআন আর মোহাম্মদ সম্পর্কে আরো কত কিছু জানার বাকী রয়ে গেছে।
এই লেখাটির জন্য আকাশ ভাইকে ধন্যবাদ।
এমন একটি লেখার বিষয় যেনো বাকি রয়ে গিয়েছিলো।
আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
প্রবন্ধটি নিয়ে আগেই মন্তব্য করব ভেবেছিলাম। ভিজুয়াল লে আউট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আর মন্তব্য করার সুযোগ পাইনি।
প্রবন্ধটি আসলেই চমৎকার। যারা ধর্ম নিয়ে সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লেখেন, তাদের কাছে এই প্রবন্ধটি আদর্শ হতে পারে। এই ধরণের প্রবন্ধ দেখলে বোঝা যায় যে অযাচিত বিশেষণ ব্যবহার ছাড়াই উৎকৃষ্ট মানের প্রবন্ধ লেখা সম্ভব। আসলে লেখায় শক্তিশালী যুক্তি থাকলে আর বিশেষণের দরকার পরে না।
আকাশ মালিকের কাছ থেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো প্রবন্ধ আশা করছি।
যারা ধর্ম নিয়ে লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,
youtube এ মাঝে মাঝে কিছু ভিডিও দেখা যায় ফলের ভিতরে, গাছে, মাটিতে, মেঘে এমনকি মঙ্গল গ্রহেও আল্লাহ্ ও মুহাম্মদের নাম ছাপ মারা। এসব দেখে বিশ্বাসীরা আরো বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। এসব ব্যাপারে কিছু লিখুন।
এটা হওয়া উচিত:
আর, রবী ঠাকুর নয়, রবি ঠাকুর। আরো কিছু আছে ভুল, আর সংশোধনে গেলাম না। ভালো থাকবেন।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
মা কালীর কসম, খুশীতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। এবার বুঝি একঢিলে দুই পাখি শিকার করা যাবে, তা’ও আরেকজনের কাঁধে বন্দুক রেখে। জানি আমার দোয়া আল্লায় শুনেনা, মা কালী শুনবে কোত্থেক? কোন্ কুলক্ষণে দুইটা বই দেখতে গেলাম। আমার কাছে রবীন্দ্রনাথের ‘গল্প গুচ্ছ’ আর গীত বিতান আছে। ও মা, চেয়ে দেখি উভয়টাতেই রবী লেখা। মানতে হবে ফরিদ ভাই আর আদিল ভাইয়ের উপর আল্লাহর ছায়া আছে।
আচ্ছা ‘রবি’ এর সাথে ‘ইন্দ্রনাথ’ যোগ করার মাঝে কোন কেরামতি আছে নাকি? কিন্তু তারা দুজনে তো উভয় ক্ষেত্রেই রবী লিখেছেন। 😕 :-/
সে যাক, আমি পাপীকে আপনি একটু করুণা করুন প্লিজ। নীচের ঠিকানায় আমার প্রবন্ধে কোন বানান ভুল থাকলে ভুলগুলো দেখিয়ে দিন, আমি এডিট করে নিই। আমার তাতে মোটেই লজ্জা নেই ভাই। আমার সোজা কথা-
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
[email protected]
@আকাশ মালিক,
রবি ঠাকুর বানানের ক্ষেত্রে ব্লাডি সিভিলিয়ানই সঠিক। আমি এবং আদিল দুজনেই ভুল করেছি। আদিল করেছে না জেনে আর আমি করেছি আদিলকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতে গিয়ে (আদিলের ঘাড়েই দোষটা দিলাম চাপিয়ে 🙂 )। আদিলের অবশ্য খুব একটা দোষ দেই না আমি এক্ষেত্রে। কারণ, রবী ঠাকুর বানানটা বহুল প্রচলিত। জাতীয় গণমাধ্যমগুলো হরহামেশাই রবী ঠাকুর লিখে চলেছে। রবি ঠাকুর লিখে গুগল সার্চ দিলে যে পরিমাণ লিংক আসবে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে লিং আসবে রবী ঠাকুর নামে দিলে।
রবির সাথে ইন্দ্র এবং সেই সাথে নাথ যোগ করলে রবীন্দ্রনাথ হয়। আর এখান থেকেই বেশিরভাগ লোক ইন্দ্রনাথ-কে বাদ দিয়ে রবীকে তুলে নেয়। তবে, বেশিরভাগ লোকে ভুল করলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন ভুল করেন নি তার সংক্ষিপ্ত নামের ক্ষেত্রে। তিনি রবি ঠাকুরই লিখেছেন। তার শেষ বয়সের উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’-তেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ
@ফরিদ আহমেদ,
ব্লাডি সিভিলিয়নের কারেকশন আগেই দেখছিলাম, তবে আমিও মালিক ভাই এর মতই বেশী বিভ্রান্ত হয়েছি। একই কারন, বেশ কটি বইতেই রবী ঠাকুর দেখেছি। কারন মনে হয় একই, সবাই আমার মতন সন্ধি সমাস মনে হয় শুধু উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি পড়েই পার হয়েছেন।
কঠিন উপায়ে জানা গেলে আরো ভাল, ইহজীবনে মনে হয় না আর এই ভুল হবে।
কসম কম্পিউটার কি, আপনি যদি ধর্ম নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেন, তবে মুক্তমনা অন্তত আধথানা পাঠক হারাবে। আমি যে আপনার কি-পরিমাণ ভক্ত, তা যদি জানতেন। নাস্তিকের ধর্মকথারও ছিলাম, তবে উনি তো আর লেখেন না। ভরসা এখন আপনি।
শুনুন, এসব লেখালেখি আমাদের জাতীয় গণমাধ্যমগুলো ছাপাবে না। মূলধারার প্রকাশকেরা প্রকাশ করতে ভয় পাবে। তাই, অন্তর্জাল আমাদের এনে দিয়েছে দারুণ সুবিধে। আপনি জানেন এই ধরনের লেখাগুলো আমরা যারা বেয়াদব, অবিশ্বাসী তাদের জন্যে কত বড় সম্পদ? এগুলোই আমরা এগিয়ে দেই বাকোয়াজি বেয়াকুব বিশ্বাসীদের দিকে, এগুলোই উঠতি মুরতাদদের ইমানি জোর বাড়ায় সহস্রগুণ, যুক্তি-তথ্য-উপাত্ত সহযোগে এগুলোই অন্ধত্ব দূরীকরণে নিদারুণ ভূমিকা রাখে।
আর আপনি কি না বলছেন, লেখা ছাড়বেন!! আরে, অন্য বিষয় নিয়ে লিখুন না। কে মানা করেছে? কিন্তু, আপনার বিশেষজ্ঞদক্ষতা যেদিকে, সেখানকার লেখা ছাড়বেন কেনু, কেনু, কেনু???
সবশেষে রায়হানের ল্যাম্পপোস্টের কাছে আপনার স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং দীর্ঘ লেখক জীবনের জন্যে হাজারো দুয়া মাঙ্গিলাম।
অভিনন্দনে আবু জেহেলের পিঠ চাপড়িয়ে দিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে।
ভাই আকাশ মালিক
দুর্দান্ত একটা প্রবন্ধ লেখার জন্য ধন্যবাদ। অনেক গভীরে ঢুকেছেন যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্ভব নয় আরও অনেকের পক্ষেই । অনেক কিছু জানতে পারলাম।
কিন্তু ধর্ম নিয়ে লেখা বন্দ করে দেয়ার মনোবাসনা ব্যক্ত করার কারন বুঝলাম না।
আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি যেটুকু বুঝেছি মুসলমানদেরকে তাদের মৌলবাদিতা আর ধর্মান্ধতা থেকে উদ্ধার করতে গেলে একটাই মাত্র রাস্তা খোলা আছে। আর তা হলো কোরান যে আসমানী কিতাব না এবং মোহাম্মদ যে নবী ছিলেন না এটা যৌক্তিক ভাবে প্রমান করে দেয়া। এ দুটি বিষয় প্রমান না করে আপনি দর্শন সাহিত্য বিজ্ঞান রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে যতই জ্ঞান গর্ভ বক্তৃতা দেন কোন কাজ হবে না। আমি বিষয়টা এভাবে দেখি বলেই এ বিষয়ের ওপরেই লেখা লেখি করি। বিষয়টার ফলাফলও কিন্তু হাতে হাতে। মানুষের প্রচুর প্রতিক্রিয়া তো পাওয়া যায়ই সেই সাথে যারা মৌলবাদী চরিত্রের মানুষ তাদের চিন্তার ধরনটাও বোঝা যায় ও তাদের যুক্তি গুলোও ধরা যায় যা সাহায্য করে পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে ধারনা করতে। তাই আমার অনুরোধ., অন্য ধরনের লেখা লিখুন সমস্যা নাই, কিন্তু ধর্ম নিয়ে মাঝে মাঝে লিখবেন আর তাতেই সত্যিকার কাজ হবে বলে আশা করি। গোটা মুলসলমান জাতি অন্ধকারের গহীন অতলে তলিয়ে যাবে যার একজন নগন্য সদস্য আমিও এটা খালি চেয়ে চেয়ে দেখি কেমনে? একই সাথে আমি অন্য লেখকদেরও অনুরোধ করব ধর্ম নিয়ে লেখার জন্য কারন বর্তমান প্রেক্ষিতে সেটাই বেশী জরুরী বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
@ভবঘুরে,
এই ভাবনাটাই তো লেখালেখির জগতে টেনে নিয়ে এলো। আপনার দরদটা বুঝতে কারো অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। আপনার ভাষা, আপনার হৃদয়ের কথা আমি অনুভব করতে পারি। কিন্তু বয়স যত বেড়েছে, ধর্ম নিয়ে যত ঘাটাঘাটি করেছি, যত জেনেছি লিখেছি, সব শেষে একটা জিনিষ যেন আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে আসছে যে, আসলেই কিছু মানুষকে কোনদিনই কনভিন্সড করা যাবেনা। এরও বোধ হয় একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। তাতে অবশ্য নিরাশ হইনা। তবে আসলেই শুধু একদিকে পড়ে থাকতে কিছুটা Boring লাগছে, অন্যান্য দিকটাও বড্ড মিস করছি। যতদিন আয়ূ আছে, আপনাদের সাথে আছি থাকবো। আমরা চাই ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত, বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ। এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলার দায়ীত্ব আপনার, আমার আমাদের সকলের।
আকাশ মালিক রক্স!!
কুরআনে এত ভুল পাইতেছেন তই আপনাদের কাছে আহবান আপনারা এইটা কে শুদ্ব করে এতবা একটা বড় ছুরা বা ছুরা বাকারা হইলেও শুদ্ব করে লিখে ছাপা খানায় নিয়ে আর একটা ছাফাইয়ে দেন দেখি আপনাদের শুদ্ব কুরআন কি ভাবে চলে কতটুকু মানুষে গ্রহন করে এর দ্বারা বুঝা যাবে। আল্লাহ যে চেলেঞ্চ করেছে ছুরা হজ্বে ৯ নম্বর আয়াতে إنا نحن نزلنا الذكر وإنا له لحافظون ( আমি এই কুরআন কে অবর্তিণ করেছি এবং অবশ্যই এই কুরআন কে আমি হেফাজত করব।) এই ব্যাকটা কতটুকু সত্য আপনাদের শুদ্ব কুরআন বাজারে ছাড়ার পড়ে বুঝা যাবে আপনাদের শুদ্ব কুরআন বাজারে নিতেছে কিনা । এবং এইটা নেওয়ার পরে গ্রহক সমাজ আপনাদের শুদ্ব কুরআন শব্দগুলোকে আগের স্থানে ফিরায়ে দিতেছে কিনা দেখতে হবে যদি না দেয় তা হলে বুঝতে হবে কুরআন সত্য নয়। আমার কাছে দুইটা বাইবেল আছে আমি একবার দুইটাই নিয়ে বসেছি দুনোটার প্রথম পিৃষ্টার সাথে মিলায়ে দেখেছি একটার সাথে আর একটা মিলতেছে না।
[email protected]
[email protected]
@জাহেদ,
কোরানে ভুল ভাল নিয়ে আমার এই মুহূর্তে মাথাব্যথা না থাকলেও আপনার ছন্নছাড়া বানানগুলো আমার জন্য খুবই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুদ্ব, ছুরা, ছাফাইয়ে দেন, চেলেঞ্চ, পিৃষ্টা…
দন্তন আর মূর্ধন সংক্রান্ত ভুলগুলো না হয় নাই দেখালাম।
ভাইজান কি ছোটবেলায় আরবী হরফে বাংলা পড়েছিলেন নাকি?
আপনি আরবী ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে যত ইচ্ছে গবেষণা করুন, আমার তাতে আপত্তি নেই, কিন্তু মুক্তমনায় লিখতে হলে বাংলা ভাষাটা শুদ্ধভাবে জানতে এবং লিখতে হবে।
@অভিজিৎ,
:lotpot :hahahee:
@অভিজিৎ,
:rotfl: :lotpot: :hahahee: :guli:
বস্, আপনার জবাব নাই।
@জাহেদ,
বুঝলাম না, শুদ্ধ করলে তো আর তা আপনার আল্যার কিতাব রইল না। তয় মাইনষে কেন ওইটা কিনব বা গ্রহণ করব। এইসব আজগুবি কথা না বললে কি হয় না? একটু এডিট করে তাতে মজাদার কিছু মাল-মশলা(চটি জাতীয়) ঢুকিয়ে দিলে বাজারে বেদম চলবে, তখন কি বলবেন- এবারে পাওয়া গেছে আসল আসমানী কিতাব।
আল্যায় প্রথম থেকেই ভয়ে ভয়ে ছিল যে তার মহান উদ্ভট কিতাবখানি মানুষ সন্দেহ করে কি না। তাই হেফাজতের ও সন্দেহের আয়াত নিয়া আইছেন, বুঝলেন? হেফাজত করেছেন বা সন্দেহ নাই বললেই আবালের মতন বিশ্বাস করতে হয় না যে তাতে সত্যিই কোনো সন্দেহ নাই। বরং এ ধরণের দাবি দুর্বলতার লক্ষণ কারণ এতে অন্তত এটা প্রমাণিত হয় যে কোরানে সন্দেহ করা যেতে পারে বা সে সুযোগ রয়েছে।
@জাহেদ,
ভাইজানের বাড়ি কি নোয়াখালী নি?
এরিইয়ো ভাইসা, আন্নে তো মূল লিখার একখান কথারও কোন ট্যূ দ্যা পয়েন্ট জবাব দিলেন না। হুদা মিসাই কি কি কইয়া গেলেন। কেবল জোর গলায় দাবী করলেই তো হইতো না, সেই দাবী ফ্রমান করি দেন না?
এনারা কেন শুদ্ধ কুরান লিখার মতন নাফরমানী কাম কইরতে যাইব? হেইডা হইব ভয়াবহ গুনাহর কাম, তার দরকারও তো নাই। কারন আন্নের দাবীমত কুরানে তো কোন অসংগতি নাই। এখন খালি এই লেখার ভুলগুলি ধরাই দিলেই তো এতেনোগো মামলা ডিসমিস। আঁই নিজে আরবী কিসুই জানি না, হারা জীবন খালি দুনিয়ার খোঁজেই বেড়াইসি, আরবী জানলেই তো এই আকাশ মালিকেরে সাপি ধইরতাম। কারন, কোরানের চেলেঞ্চ এর পরেও হে যখন উলটা পালটা বকে তার মানি নিশ্চয়ই সব মিসা কথা। আরবী জাইনলে আর ধইরতে কতক্ষন?
আর ভাইজান, একখান কথা, মনে কিছহু নিয়েন না। দয়া করি কোরান বিকৃত কইরেন না। আন্নে নিজেই তো দেখি কুরানের অর্থ লিখতে ভুল বাংলায় লিখি দিসেন।
ইয়ে, মালিক ভাই,
প্রথম প্যারার সেই বেনামী বন্ধু মনে হয় এই অধম 🙂 ? আমার কথা এত সিরিয়াসলি নেবেন বুঝিনি। যদিও আমি সিরিয়াসলিই বলেছিলাম। ধর্ম বিষয়ক লেখা বাদ দিতে কিন্তু কোনদিন বলিনি, বলবও না। শুধু অনুরোধ করেছিলাম সাথে সাথে অন্য বিষয় নিয়েও লিখতে। যার হাতের লেখনী অত চমতকার তার লেখার বিষয়ের কোন অভাব হয় না। শুধু ধর্ম নিয়েই তিনি কেন পড়ে থাকবেন?
আশা করি ধর্ম বিষয়ে এইই আপনার শেষ লেখা এমন শোক সংবাদ আমাদের দেবেন না। ধর্ম নিয়ে লেখার লোক অনেক আছে, আরো আসবে। তবে মালিক ভাই আর নেই, আর আসবেনও না। প্রত্যকেরই স্বাতন্ত্র থাকে।
আপনার এক্কেবারে শেষে বলা
কথাটি মনে হয় অনেকটা ফুয়াদ ভাই এর কথা। যতদুর মনে হয় উনি অমন কিছুই ভবঘুরের কোরানে ব্যাকরনের ভুল লেখায় বলেছিলেন। আমি নিশ্চিত হবার জন্য জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তবে উনি নিশ্চিত করেননি। আমার বোঝার ভুল হলেও হতে পারে। বাংলা ভাষায় নাকি একটা নিয়ম আছে যে রবী ঠাকুর কোন বানান ভুল লিখলে সেটাই শুদ্ধ বানান বলে ধরা হবে (আবারো এই নিয়মের ব্যাপারে নিশ্চিত নই)। কোরানের ব্যাপারটাও তেমনই হতে পারে।
বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আপনার পান্ডিত্য দেখে মুগ্ধ। অনেক কিছু জানবার ছিলো জেনে গেলাম।আরো অনেকবার পড়তে হবে।শুধু আপনাকে :rose2: আর
:yes:
আর একটা কথা, জনাব আবুল কাশেমের
এই লেখাটা কী বাংলায় রুপান্তরিত অবস্থায় দেখতে পাবোনা?
@একা,
কাশেম ভাই যদি অনুমতি দেন, আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি।
কাশেম ভাই যদি অনুমতি দেন, আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি।
UN:F [1.4.6_730]
Sorry, I could not use Avro.
Brother Akash Malik, I am so overwhelmed with your generousity, that you consider my puny essay worth translating in Bangla.
Please go ahead, I have no objection.
I am sorry, I cannot write much because I could not use AVRO. Please blame the Muktomona admi!
I have sent you an e-mail. Please read it.
কাশেম ভাই,
অভ্র ব্যবহার করতে পারছেন না বলছেন। একটু খোলাসা করে বলবেন কি? আমাদের লে আউটের সাথে আপনার পিসিতে অভ্র কাজ করা কিংবা না করার কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু। রণদীপম, ব্লাডি সিভিলিয়ান, বিপ্লব, আদিল মাহমুদ, আফরোজা সবাই কিন্তু অভ্র ব্যবহার করেই লিখছেন। আপনি কোথায় সমস্যা একটু দেখবেন?
নীচে বাংলা কি বোর্ড লে আউটে অভ্র বা ফোনেনিক বোতামগুলো কাজ না করলেও আপনি কিন্তু সহজেই অভ্র সফটওয়্যারটি খুলে রেখে বাংলায় টাইপ করতে পারেন, ঠিক যেভাবে আপনি অভ্র ব্যবহার করে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করেন। ঠিক সেভাবেই।
দেখে আমাকে এখানে জানান। অথবা ইমেইলেও জানাতে পারেন।
Actually, I am now using office PC. I could not install Avro in this PC., for somehow the PC Admin does not allow any other sottware to be installed.
However, in ths past, before, the new interface was installed in MM, I could use Avro just by clicking on the Avro button.
Now, I click Avro butten, but it does not translate to Bangla, it types English. I tried all the butons, but the result is the same.
To tell the truth, I could not even have the Bangla keyboard, when I clicked either Phonetic, Unibijoy, Bijoy and Probhat.
I have not tried my home PC. Perhaps, it will work, because I have installed Avro in my home PC, and it works fine. Unfortunately, I am so busy that I may try my home PC only during the weekends.
Honest, I still prefer the old interface,. I could use Avro from any computer, office or home.
.
@আদিল মাহমুদ,
রবী ঠাকুর না জেনে বা না বুঝে কোন ভুল বানান লেখেননি। প্রচলিত বানান থেকে ভিন্নভাবে যেগুলো লিখেছেন সেগুলোর পিছনে কোন না কোন যুক্তি আছে। বাংলা বানান নিয়ে, শব্দতত্ত্ব নিয়ে যে পরিমাণ লেখালেখি করেছেন সেটাই তার প্রমাণ। বাংলা বানানকে সংস্কৃত ব্যাকরণের যে অযৌক্তিক লৌহকঠিন শিকলে বাঁধা হয়েছিল তা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। ঈশ্বর কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মত তার ভুল ব্যাকরণের পিছনের যুক্তিগুলোকে তুলে ধরে কোন গ্রন্থ রচণা করেননি। কাজেই তার ভুলগুলোকে শুধু তিনি লিখেছেন বলেই ছাড় দেওয়া যাবে না কিছুতেই। ব্যাকরণই জানে না ব্যাটা, ওদিকে বিশ্বজগতের বিধাতা হবার বাসনা বড় বেশি।
একটা উদাহরণ দিচ্ছি। এখন যে আমরা ‘বাংলা’ শব্দটা লিখি এটার সূত্রপাতও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এর আগ পর্যন্ত বাঙ্গালা বলা হতো। বাঙ্গালাকে বাংলা লেখার পিছনে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন এভাবে,
@আদিল মাহমুদ,
বহু উর্ধে তুলে ফেলেছেন, হুমায়ুন আযাদের ভাষায়- আমার বোধ হয় অধঃপতন সমাগত।
ধন্যবাদ আপনার সু পরামর্শের জন্যে।
আপনি লিখেন না কেন? জানি প্রবাসে সময়ের দারুণ অভাব, তবু ধীরে ধীরে একটু একটু করে লিখুন। আপনার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা পড়তে ভাল লাগে।