একজন কবি পারে
চুম্বন রহিত ওষ্ঠকে রাঙিয়ে দিতে
পোস্টকার্ডে বকুলের ঘ্রাণ
নরম শিথিল হাতে
কোমরের ধার ছুঁয়ে
নিতম্বে ঘুমিয়ে থাকা রক্তে
জাগাতে চকিত শিহরণ।
একজন কবি পারে
নদী ও নারী-পদ্মার
দীঘল দেহকে
গুপ্ত অভিসারে
জাগিয়ে তুলতে।
একজন কবি পারে
হ্যাংলা কলমের নীচে
টুকরো টুকরো করে
নিশিমাখা গলিত বাসনা
হাওয়ায় ছিড়িয়ে দিতে।
একজন কবি পারে
সময়ের সাথে
বেহালার ছড় টেনে
ব্যানারের রক্তাক্ত লেখায়
বারবার ফিরে যেতে
প্রকৃত স্বাধীনতায়।
সত্যি ভাল লাগলো। কবি পারে পথ দেখাতে, কবি পারে সুন্দরের পথে মানুষকে টেনে নিতে।
কবিতাটা ইষত পরিবর্তন করা হল।
শিহরনেরই কবিতা। ভাল লাগল।
মানে কি?
@দীপেন ভট্টাচার্য,
স্বাধনীতায় কবির অবদান বোঝানো হয়েছে। উদাহরণ, কবি শামসুর রাহমান।
অসাধারন। সত্যি অসাধারন !!!!!!!
কবিকে লাল গোলাপ___ :rose2:
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে আরো এক দফা অভিনন্দন। 🙂
পুরো লেখাটাই উদ্ধৃত করার মত। একজন কবি পারে, ঠিক, কিন্তু তার পারার পরিসর নিয়ে আমি প্রায়ই সন্দিহান হয়ে পড়ি, তার কার্যকারিতার সম্ভাবনা নিয়েও। এই নিয়েও একটা কবিতা লিখেছিলাম, উত্তরটা নিজেই দিয়েছিলাম, যদিও খুব যুতের কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না।
@ফারাবী,
ভেবে দেখুন পারে,একজন কবি। অনেক কিছু করতে।
আপনাকে ধন্যবাদ!
ভাল কবিতা!
কোথায় যেন পড়েছিলাম,কবিরা বিবেকের রক্তবীজ।
@লাইজু নাহার,
আপনাকে ধন্যবাদ! বিবেকের রক্তবীজ় ঠিক ই কিন্তু জানে ক’জন।