গেছিলাম বাজারে মাছ ও তরকারি কিনতে। কেনা কাটার পর হঠাৎ দেখলাম এক হুজুর টাইপের লোক মানে যার ছাগুলে দাড়ি আছে ও মাথায় টুপি আছে কিছু বেল নিয়ে বসে আছে। দেখলাম বেলগুলি সব গাছ পাকা। বেল আমার খুব প্রিয় ফল কারন তা খেলে পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ইদানিং স্বাস্থ্য নিয়ে বেশী চিন্তা ভাবনা করি তো তাই ভাবলাম গাছ পাকা বেল যখন তখন গোটা দুই বেল কিনলে খারাপ হয় না। দুইটা বেল বাছাই করে দাম জিজ্ঞেস করাতে সে চাইল পঞ্চাশ টাকা। আমি বল্লাম পচিশ টাকা। কারন বেলদুটি খুব বড় ছিল না , মাঝারি সাইজের। পরে সে চাইল চল্লিশ টাকা। আমি বল্লাম বেল দুটো এত বড় না যে তার দাম চল্লিশ টাকা হবে। তবে যাইহোক এর পর আমি ত্রিশ টাকা দাম উল্লেখ করে বল্লাম দিলে দেন , না হলে চলে যাই। তো কি মনে করে লোকটি বেল দুটো ত্রিশ টাকাতেই দিতে রাজি হয়ে গেল। আমি তো বহুত খূশী । আমার কাছে ভাঙতি ছিল না। এক শ’ টাকার একটা নোট বের করে দিলাম লোকটির হাতে । সে আমাকে ষাট টাকা ফেরত দিল। আমি আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করলাম- ষাট টাকা ফেরত কেন? সে বলল, সে চল্লিশ টাকাই দাম বলেছে । আমি প্রতিবাদ করে বললাম , না , আপনি ত্রিশ টাকাতেই রাজি হয়ে গেছেন। কিন্তু সে আবারও বলল , না আমি চল্লিশ টাকাই দাম বলেছি। আমি আবার প্রতিবাদ করলাম যে কথাটা ঠিক না। তখন সে শুরু করল কসম কাটা। আল্লাহর কসম, খোদার কসম ইত্যাদি বলে সে জোর দিয়ে বলল – সে চল্লিশ টাকাই দাম বলেছে বেলের। আমি তো থ খেয়ে গেলাম। নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছি না । এমন একটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একজন মুসলমান এমন ভাবে কিরা কসম কাটতে পারে। ভাবছিলাম বেল আমি নেব না , কিন্তু লোকটার কসমের ঠেলায় পড়ে সিদ্ধান্ত পাল্টালাম ও ষাট টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসলাম। আসার পথে ভাবতে লাগলাম যারা আল্লাহকে এত ভয় পায়, দোজখকে এত ভয় পায়, এ ধরনের মুসলমানরা এত সহজে এরকম আল্লাহর , খোদার কসম দেয় কিভাবে? আবার নিজেই তার উত্তর খোজার চেষ্টা করতে লাগলাম। তা হলো- লোকটা নিশ্চয়ই এর পর আল্লাহর কাছে কেদে কেটে বলবে- হে আল্লাহ তুমি তো জান আমি গোনাহ করেছি মিথ্যা কথা বলে, স্রেফ পেটের দায়ে মিথ্যা কথা বলেছি। তুমি তো পরম করুনাময় । নিতান্ত দায় ঠেকে মিথ্যা কথা বলেছি। আমাকে মাফ করে দাও হে আল্লাহ। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল , নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবে। মুসলমানরা ঠিক এরকমভাবেই তাদের প্রত্যেকটা খারাপ কাজের জন্য একটা অজুহাত বের করে ফেলে সাথে সাথে, আর আল্লাহর কাছে মাফ চায়, আর ভাবে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবে , কারন কোরানেই বার বার বলা হয়েছে- তওবা করলেই আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন। কিন্তু আমার দশ টাকা যে গচ্ছা গেল , তার কি হবে? আল্লাহ কি সেটা অন্য কোন ভাবে পুষিয়ে দেবেন ?
আমার দশ টাকা গচ্ছা গেল
About the Author: ভবঘুরে
মুক্তমনা ব্লগ সদস্য।
বেল বিক্রেতা আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাইতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবে না।
কারন বিক্রেতা শুধু আল্লাহর বিধান লংঘন করেনি বরং তার বান্দার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই তাকে প্রথমে ক্রেতার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে (তাকে টাকা ফেরত দিয়ে )। তারপর আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ তাকে মাফ করলেও করতে পারে।
এত মুক্তমনা মানুষ থাকা সত্তেও তসলিমাকে দেশছাড়া হয়ে থাকতে হয় কেন ?
@মিয়া সাহেব,
ভোট বড় বালাই মিয়া সা’ব। অন্ধ আর খারাপ সংস্কারের মানুষের (ভোটারের) সংখ্যাই তো সবথেকে বড় ফ্যাক্টার।ধর্ম গ্রন্থের উপর মানুষের অপার ভক্তি যতদিন থাকবে তসলিমাদের ততোদিন এই দুর্ভোগটা ভুগতেই হবে।তবু তসলিমারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কালে তাদের কথাটা ব’লেই চলে; ধর্মের ধ্বজা বাহীরা যতই তাদের গালমন্দ করেননা কেন।এত মুক্তমনা মানুষ থাকা সত্ত্বেও পরিসংখ্যান বলছে আমরা খুবই সংখ্যালঘু।তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ঈশ্বর বাদীরাই পৃথিবীতে রাজত্ব করে চলেছে, অন্ততঃ এখনও।
আমার অফিসের কলিগ, প্রচন্ড নামাজী, আমি তাকে দেখেছি জোহর নামাজের ওজু করার সময় আরেক মহিলা সহকর্মীর স্তন টিপতে। একই ভদ্রলোক আরেক ঘটনায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছিল এক অবৈধ গর্ভপাত করানোর জন্য।উনি প্রায়ই আমার সঙ্গে ইসলাম নিয়ে তর্কে লিপ্ত হন।
@ফরহাদ, এইসব করার জন্য ধার্মিক হওয়া বা ধার্মিক সাজা খুবই বুদ্বিমানের কাজ।
ধর্মটা মানুষের সামাজিক ভ্যালু এডিশনের কাজ করে। কারন মানুষ বিশ্বাস করে খোদার নামে কেও মিথ্যা বলতে পারে না!
এই জন্যে ব্যাবসায়ীরা সব থেকে ধর্মভিরুতা দেখিয়ে থাকে-
এটা নিয়ে অনেক সামাজিক গবেষনা আছে-অতীতে একটা লেখা লিখেছিলাম, এখানে আছে।
@বিপ্লব পাল, বিপ্লব পাল,
আপনার লেখাটা পড়লাম। আমি অতো গুছিয়ে বলতে পারিনা। আপনি এতো প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা করেছেন যে আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি আরো লিখুন।
তবে একটা কথা ” খাদ্যের প্রাচুর্য্য পুঁজিবাদি রাষ্ট্র চালনায় সংকট আনে, সেটাই চেতনাহীন মানুষের ধর্ম-মুখিনতার অন্যতম কারণ ” এই দিকটায় আপনি যেরূপ নতুনভাবে আলোক-সম্পাত করেছেন , সেটা আমার জানার বাইরে ছিলো। জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যে পাঁচ ধরণের ব্যক্তি চরিত্রের আপনি উল্লেখ করেছেন তার বাইরেও মুক্ত-মনার ভূমিকার বিষয়টি বাদ পড়ে যায়নি কি? আমার তো মনে হয় পৃথিবীটা সুন্দর করার দায় আর দায়িত্বটা আমাদেরই বেশি, অত্যন্ত বেশি।
আপনাদের লেখাগুলো পড়লাম। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কেউ লক্ষ্য করলেন না কেন ? ধর্মের প্রয়োজন তো রাষ্ট্র চালনায়। দারিদ্রের নিপীড়ন, উচ্চ শ্রেণীর শোষণ এইসবের মধ্যে কিভাবে মানুষ নিজেকে জীবন যুদ্ধে জয়ী করবে , তার কলা কৌশল গুলোকে ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে প্রশমিত করা। তাই এই শ্রেণি চেতনাহীন মানুষ গুলি মানবিকতার স্পর্শ পায়না। প্রতিবাদের পরিবর্তে পলায়নপর মনোবৃত্তি থেকেই অহরহ অপরের কাছে নিজেকে সৎ ও মানুষ প্রমাণ করার জন্য ধর্মের আশ্রয় নেয়। এটাকেই সবথেকে সহজ পথ হিসাবে চেনে। আর যাই বলুন অনুন্নত আর উন্নয়নশীল দেশ গুলি তো বটেই এমনকি উন্নত দেশ গুলিতেও ধর্ম একটা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েই থাকে।সেকারণেই মিথ্যা-সত্যের চুলচেরা বিচারে যেতেই মন চায়না।যেনতেন প্রকারে বাঁচাটাই অগ্রাধিকার পায়।আমার মতের সঙ্গে একমত বা ভিন্নমত হ’লে অবশ্যই জানাবেন।
ভবঘুরে,
আমাদের সবারই মনে হয় অল্পবিস্তর এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা আছে। একদিন ফার্মফেট থেকে বাসে উঠেছি। উঠেই শাহবাগের ভাড়া ২ টাকা কন্ট্রাকটরকে দিয়ে দিয়েছি (তখন ২ টাকাই ভাড়া ছিল) । কারণ এত কম সময়ে পৌঁছে যাব যে পরে এক ব্যাগ খুলে আরেক ব্যাগ থেকে টাকা বের করতে সময়ে কুলায় না। তখন যানজটও এতটা ছিল না। কন্ট্রাকটর পেছন থেকে ঘুরে এসেই আবার ভাড়া চাইল। বললাম ভাড়া তো দিয়েছি, প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই বলল যে ভাড়া এখনো উঠানোই শুরু করেনি। যদিও মাত্র ২ টাকার ব্যাপার তবুওতো আমি দিয়েই দিয়েছি। কাজেই উত্তর দিলাম– আমি কিন্তু উঠেই আপনাকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। আর অমনি কন্ট্রাকটর আল্লাহ খোদার কসম কেটে দোজখ বেহেস্ত সব যখন এক করে ফেলতেছিল আমি আমার ব্যাগের ভেতরের ব্যাগ খুলে আবারও টাকা দিতে যেতেই অন্য এক যাত্রী কন্ট্রাকটরের প্রতি তেড়ে আসল। ব্যাটা তোর আল্লাহর নাম ভুলিয়ে দিব। আমিও দেখেছি যে উনি তোকে টাকা দিয়েছেন। এরপরও আমি ভাড়া সেধেছি, তবে নিতে আর সাহস পায়নি। অর্থাৎ ২ টাকা গচ্ছা যায়নি। কথায় কথায় আল্লাহ খোদার কসম কাটা কিন্তু অভ্যাস। ধর্মপ্রাণ বা ধর্মভীরুতার জন্যে নয় ।
ধন্যবাদ প্রাত্যহিক জীবনে ধর্মের প্রাসঙ্গিকতাকে চমৎকারভাবে উপস্থাপনের জন্যে।
@গীতা দাস,
গীতা , আপনি ভাগ্যবান থুক্কু ভাগ্যবতী, তাই আপনার দুই টাকা গচ্ছা যায় নি, কিন্তু সবাই আপনার মত ভাগ্যবান বা বতী না , সেটাই সমস্যা। তবে যেহেতু আপনার নাম দেখে বোঝা যায় আপনি অমুসলিম তার মানে ইসলাম নিয়ে কোন কথা বললেই কিন্তু নানা কথা উঠতে পারে, যেমন মুসলমানরা আপনার ধর্ম নিয়ে টানা হেচড়া করা শুরু করে দেবে। ওটাই ওদের কৌশল। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন কোরান আল্লাহর কিতাব কিনা , মোহাম্মদ আল্লাহর নবী কিনা – এসব প্রশ্নের উত্তর তারা নানা ভাবে এড়িয়ে যাবে। এই তো- আজকেই আমার এক কলিগকে জিজ্ঞেস করলাম এ বিষয়ে। সে বলল- যারা অমুসলিম তার অভাগী। আমি জিজ্ঞেস করলাম- তুমি কি কোরান বা হাদিস সম্পূর্ন পড়েছো? সে বলল সামান্যই কোরান পড়েছে। আমি বললাম , আমি এ পর্যন্ত ৫/৬ বার কোরান পড়েছি আর পড়ে জেনেছি, যে কোরান ভাল মতো পড়বে তার পক্ষে ইসলামে পড়ে থাকা সম্ভব নয় , আর তোমরা না পড়েই আমাকে বলছ যে মুসলমান না সে অভাগী। আসলে অভাগী তো তোমরা! সে বলল, আমরা বিশ্বাস করি কোরান আসমানি কিতাব আর মোহাম্মদ হলো আল্লাহর রসুল , ব্যস আর কিছু জানতে চাই না। আমি আর কথা বাড়ালাম না । তবে বুঝলাম কেন মুসলমানরা দুনিয়াতে এত হীনবল , হত দরিদ্র আর মূর্খ।
@ভবঘুরে,
বিজ্ঞান প্রজুক্তিতে শক্তিশালি শবগুলও দেশের মধে একটা দেশও ইসলামি দেশ নয়। আমেরিকাতে গড় আয় শবচেয়ে বেশি ইহুদিদের আর ভারতিয়দের।
Middle east-এর ইশলামি দেশের এত টাকা থাকা সত্তেও
বিজ্ঞান প্রজুক্তিতে কোন output নেই। চিন্তা ভাবনাগুলও এত প্রাচিন।
শুধু মালাউন বলাই শিখেছে 🙂
আমার বাংলা লেখা ভাল নয়।
Anyway, bye for now.
@ ভবঘুরে ,
পাবেন পাবেন টাকা এতো দুঃখের কী আছে ? এর বিনিময়ে অনেক আরবি টাকা পাবেন ,একমাত্র
মুসলমান হলেই। আচ্ছা আপনি কি মুসললাম? 😀
@একা,
মোহাম্মদকে যখন নবী মানি না , আর কোরান কেও যখন আসমানী কিতাব মনে করি না , তখন মুসলমান কিভাবে হই? তার মানে আমার কপালে কোন টাকা নাই। দশ টাকা সত্যি সত্যি গচ্ছাই গেছে। তবে নিজেকে মানুষ মনে করি কারন যুক্তি বিচার সাপেক্ষে চলাচল করি তো ! আর মুসলমান হলেও যে আরব দেশ থেকে টাকা পেতাম এটা মনে হয় ঠিক না। কারন অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে যখন কোন দুর্যোগ হয়েছে আরব দেশের চাইতে অনারব ইহুদি নাছারা দেশ থেকেই বেশী সাহায্য এসেছে। আসলে অসভ্য আরবরা তাদের তেল বিক্রির টাকা ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, বোম্বেতে দুনিয়ার হুর পরীদের পিছনেই ব্যয় করতে বেশী পছন্দ করে। বাংলাদেশীরা মুসলমান হলেও ভাই বলে তাদেরকে ওরা মনে করে না বরং শুনেছি যে সব হতভাগ্য বাংলাদেশীরা ওখানে লেবার বা ক্লিনিং এর কাজ করে তাদেরকে তারা মিসকিন বলেই সম্বোধন করে। ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সেখানে কোনই কাজ দেয় না। হতভাগ্য মুসলমান! তো আপনার কি খবর, আপনার কি পরিচয়?
আসলেই ‘গচ্চা’ গেলো..
আমার অফিসের ড্রাইভারটা ভয়ংকর ধর্মভীরু। আমি গত তিন বছর তাকে কোনদিন নামাজ কাজা করতে দেখিনি। এমনই নামাজি যে কখনও কখনও এমনও হয়েছে যে খুব জরুরী কাজে কোথাও যাচ্ছি , নামাজের আজান দিয়েছে, যত জরুরী প্রয়োজন থাক , থোড়াই কেয়ার , গাড়ী থামিয়ে নামাজ পড়তে লেগে যাবে। আমি কাফিরের অপবাদ হবে ভয়ে কিছু বলিনি কোনদিন। কিন্তু সে ও দেখি অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে, অন্যের গীবত করে। তাকে যখন কোরানের আয়াত বের করে দেখালাম- কোরানের পাতায় পাতায় অমুসলিমদেরকে ঘৃনা করতে বলা হয়েছে, তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন না করতে বলা হয়েছে, এমনকি খুন পর্যন্ত করতে বলা হয়েছে। ঠিক সেকারনেই বহু মুসলমান বিনা দ্বিধায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় অংশ গ্রহন করে আর আত্মঘাতী হয়ে ভাবে সে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হলো। সে অবলীলায় বলল- নিশ্চয়ই এর কোন কারন আছে যা আল¬াহ জানে। আমি তাকে হাদিস শরিফ থেকে দেখালাম নবী মোহাম্মদ আতর্কিতে নিরীহ জনপদ আক্রমন করে সেখানকার মানুষদের খুন করেছে, তাদের নারীদের গনিমতের মাল হিসাবে গ্রহন করে ধর্ষন করেছে। সে অবলীলায় বলল- নিশ্চয়ই তাতে আল¬াহর কোন নির্দেশ ছিল। আমি কোরান থেকে দেখালাম- আল¬াহ বলছে তিনি কারও কারও হৃদয়ে সীল মেরে দিয়েছেন, তো সবাই যদি তার বান্দা হয়, তাহলে কারও কারও হৃদয়ে সীল মেরে দেবেন কেন ? সে বলল- আল¬াহ কাউকে কাউকে সৃষ্টি করেছেন দোজখে শাস্তি দেয়ার জন্য। এর পরে , পাঠক আপনারাই বলেন, ধর্মভীরু মুসলমানরা কতটা অন্ধ? তারা কোনকিছুই শুনতে চায় না,কোনকিছুই তাদেরকে বুঝানো যায় না। মনে হয় আল¬াহ তাদের হৃদয়কেই সীল মেরে দিয়েছে চিরতরে। মজার ব্যাপার হলো-ড্রাইভারটি আবার দৈনিক বি বি সি এর খবর শোনে । তো আজ যখন সন্ধ্যাবেলা বি বি সি এর খবর শুনছে- প্রথমেই মস্কোর পাতাল রেল স্টেশনে মুসলিম আত্মঘাতী হামলার খবর শুনতে পেল আর সাথে সাথেই দেখলাম রেডিও বন্দ করে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, পুরো খবরটা পর্যন্ত শুনল না। হে পরোয়ার দেগার আল্লাহ , তুমি এদের হেফাজত কর!
@ভবঘুরে,
আমি তো আপনার মতই আল্লাহর বানীর পরিষ্কার বাস্তব প্রতিফলনই দেখি; “মনে হয় আল¬াহ তাদের হৃদয়কেই সীল মেরে দিয়েছে চিরতরে।”
কাদের সেটা নিয়ে হয়তবা মতান্তর হবে, তবে সীল যে অনেকেরই করে দিয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ইসলাম ধর্মের বহু সমালোচনা করা সম্ভব, কিন্তু আমার জানা মতে ব্যবসায় সৎ পন্থা অবলম্বন প্রসঙ্গে ইসলাম বেশ কঠোর। ব্যক্তিগত ভাবে অনেক ধার্মিক মানুষ নিজের কু- কর্মকান্ডের পেছনে যুক্তি খুজে বেড়াতে পারেন, হয়তো মন কেও বুঝাতেও পারেন, কিন্তু তথাকথিত ধার্মিক লোকের সকল কর্মকান্ডের জন্য ধর্মকে দোষারোপ করা কতোটুকু সমীচিন ? তাহলে কোন এক নাস্তিক এর কুকর্মের ভাগীদার কি সকল নাস্তিক হবেন ?
@FZ,
প্রতিটা ধর্মেই অনেক ভালো ভালো কথা বলা আছে কিন্তু এর নিট সামাজিক ফলাফল হচ্ছে সিমাহীন পারস্পরিক ঘৃ্না। নীজেকে আপনি যখন অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করবেন তখন তাকে হেদায়াতের একটা কর্তব্যও একই সাথে অনুভব করবেন। এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে ফ্যাসিজমের বীজ। ধর্মগ্রন্থের পাতায় পাতায় ছড়ানো আছে এই বীজ। এখানে ধার্মীক ব্যাক্তির আচরন দিয়ে ধর্মকে বিচার করা হচ্ছে না, বরং তাদের অসঙ্গতিপূর্ন আচরনের উৎস যে ধর্ম সেটাই বলা হচ্ছে।
@FZ,
এ জাতীয় লেখায় কিন্তু প্রকাশ হচ্ছে না যা ধর্মে শিখিয়েছে বলে মানুষ নানান ধরনের অন্যায় কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সাধারনত সংবেদনশীল ধার্মিক লোকেরা এ জাতীয় লেখা দেখলেও প্রথমেই এমন ধারনা করে নেন।
যারা অন্যায় পাপাচার করবে তারা করবেই, ধর্ম থাকুক আর না থাকুক। ধর্মকে শুধু তখন তাদের পাপ কাজ হালাল করার একটা বর্ম হিসেবে ব্যাবহার করে। এই অংশটুকুই অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ ঠেকে।
ধর্মের নামে এহেন কার্যকলাপ বন্ধ করা দরকার না? ধার্মিকদেরও তো এতে একমত হওয়া উচিত।
তবে এ জাতীয় অসংখ্য ঘটনায় প্রমান হয় যে ধর্ম কর্ম বা মুখে মুখে ২৪ ঘন্টা আল্লাহ ভগবানের নাম জপার সাথে নৈতিক সততার সম্পর্ক অতি সামান্য। মানুষ পরলৌকিক শাস্তির ভয়ে যত না ভাল হয় তার থেকে বেশী ভাল হতে পারে জাগতিক শাস্তির ভয়ে।
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু যে ধর্ম মানুষকে ঘৃনা করতে শেখায়, হত্যা করতে আদেশ দেয়, অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করতে নিষেধ করে, অসংখ্য বিয়ে করতে আদেশ দেয়, বাল্য বিবাহ করতে নিষেধ করে না, যত ইচ্ছা আদম সন্তান পয়দা করতে উৎসাহিত করে শুধৃমাত্র সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য, মেয়েদের যথেচ্ছ অপমান করে. তাদেরকে কুকুর বিড়াল এর সাথে তুলনা করে, তাকে আপনি কেমনে সহ্য করবেন? একটা খারাপ ও জঘন্য ধর্ম দীর্ঘকাল ধরে টিকে আছে আর তা বহু মানুষ অনুসরন করে বলেই তা সত্য বা ভাল হয়ে যায় না। দাসপ্রথা হাজার হাজার বছর ধরে টিকে ছিল, তাই বলে কি তা ন্যয় সঙ্গত ছিল?
@ভবঘুরে,
অভিযোগগুলি অস্বীকার করা যায় না।
তবে অনেকেই এগুলি আবার কোরানের আয়াত ধরে ভুল প্রমান করে দেবেন। উহাদরন, জেহাদী বোমা হামলা। যারা এসব বোমাবাজি করে তাদের মতে কোরান মতেই জেহাদী ভাবধারায় উজ্জীবিত হয়ে তারা এসব করছে।
আবার অন্যদিনে অনেকে কোরানের আয়াত ধরেই প্রমান করে দেবেন যে এইগুলি কোরান সিদ্ধ নয়।
কার কথা শুনবেন? দুই পক্ষই কোরান ব্যাবহার করতে সমর্থ।
আসলে আমার কাছে মনে হয় সবার আগে ঈশ্বর প্রদত্ত নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটালে এ জাতীয় অর্থহীন বিতর্ক লাগে না।
যারা খাটাতে পারবেন তারা হয়ত ধর্মের নামের প্রাচীন কালের রীতিনীতি ও মূল্যবোধ থেকে মুক্ত হতে পারবেন, আর যারা মনে করবেন যে হাজার বছর প্রাচীন কোন গ্রন্থে কি লেখা আছে, কোন আলেমে কি ফতোয়া দিয়েছে তাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন তারাই যুগের কাছে হবেন মানবতাবিরোধী।
@
হে আদিল মাহমুদ!
আপনি যে ঈশ্বরকে কল্পনা করেন তাহার স্বরূপটা কি একবার ব্যাখ্যা করিবেন?
তিনি কি আল্লাহ বা তাহার কাছাকাছি কেহ? আপনার ঈশ্বর কনসেপ্টটা জানিতে বড়ই ইচ্ছা লাগিতেছে।
সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহ, লাল সালুতে মজিদের সে চরিত্র অঙ্কন করেছেন, তাই মুসলমানদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট। এটা মূলত দাসের ধর্ম। ব্যাক্তিত্ত্বহীনদের ধর্ম। এখানে সেখানো হয়না যে, তুমি এমন কিছু করবেনা যাতে তোমাকে ক্ষমা চাই্তে হয়। এখানে সেখানো হয় তোমরা পাপী, দূর্বল সুতরাং আত্মসমর্পন করো। একমাত্র স্রষ্টার করুনা ছাড়া তোমাদের কোন নিস্তার নেই। ফলে এখানে বড় মানূষ পয়দা হয়না। আর যারা বড় হয়ও তারা আর প্রকৃত মুসলমান থাকেনা।
@আতিক রাঢ়ী, শুধু মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে গালি দিয়ে কি লাভ, আমার কাছে তো মনে হয় সব ধর্মই ঘুরে ফিরে এক।
আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করার লোভ সামলাতে পারছি না, আপনার লেখায় তো আগে এত বানান ভুল দেখিনি, খুব তাড়াতাড়ি করে লিখলেন নাকি?
@রাহাত খান,
বানান ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের এখানে বিদ্যূতের লোডসেডিং এর নিদৃষ্ট কিছু সময় আছে। ফলে খুবই তাড়াতাড়ি লিখেছি। সামনের দিকে আরো সাবধান হবার চেষ্টা করবো। আপনাকে ধন্যবাদ।
আর হ্যা, আপনার কথা ঠিক, সব ধর্মই ধুরে ফিরে এক। তবে পরিমানগত পার্থক্য আছে।
আমার ধারনা, যে ধর্ম যত পুরাতন তাতে অসঙ্গতির পরিমান তত বেশী। অন্য প্রভাবশালী ধর্মগুলো মেনে নিয়েছে যে তাদের কাজ মানুষের ব্যাক্তিজীবন পর্যন্ত। চার্চগুলো বুঝতে পেরেছে
তার নাক গলানোর পরিধি। কিন্তু ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ন জীবন বিধান। তার নীজস্ব অর্থনীতি, আইন, বিচার ব্যাবস্থা রয়েছে। ফলে সে সব ব্যাপারে নাক গলানোটা তার পবিত্র দায়িত্ত্ব মনে করে। আবার আমি যেহেতু মুসলিম পরিবেষ্টিত অবস্থায় থাকি ফলে এই ধর্মটিই আমার টুটি চেপে ধরতে আসে। ফলে অক্টোপাসের যে বাহুটা আমাকে ধরতে আসে সেটাকেইতো আমি আগে প্রতিহত করবো। এটা অনেকটা সয়ংক্রিয় ভাবেই ঘটে।
আপনার লেখাটি পড়ে একটি সত্য ঘটনা বলার লোভ সামলাতে পারছিনা।
তখন আমরা ৮ম শ্রেণীতে পড়ি। আমার ২ বন্ধু আরিফ ও সামি ট্যাক্সিতে উঠেছে অথচ তাদের কাছে টাকা নেই। তাদের প্ল্যান গন্তব্যে পৌছে ট্যাক্সি থেকে নেমে দৌড় দেয়া। তো ওঠার আগে চালক ১৫০ টাকা ভাড়া চাইলে আরিফ বেশ তর্কাতর্কি করে ভাড়া ১০০ টাকায় নামাল। পৌছানোর পর প্ল্যান অনুযায়ী দৌড়। পরে সামি আরিফকে জিজ্ঞেস করল “আচ্ছা তুই ভাড়া নিয়ে এত কথা বললি কেন? দৌড় ই যখন দিব তখন ১৫০ টাকা ভাড়া হলেই কি, ১০০ টাকা হলেই কি?” আরিফের উত্তর “কেয়ামতের দিন ৫০ টাকা কম হিসাব দিতে হবে”!!!!
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বাহ! দারুন উদাহরন।
তা, নিজের কাহিনী কি অন্যের নামে চালায় দিলা নাকি???
আমি এক বড় ভাইকে চিনতাম উনি অনেক আগে ছেলেবেলায় রিক্সাওয়ালাদের সাথে এই কাজ করতেন। গন্তব্যের কাছাকাছি আসলে রিক্সার পেছনের ফাঁক গলে গায়েব। রিক্সাওয়ালা বেচারা টেরও পেত না।
এ জাতীয় কাহিনীর আসলে শেষ নেই। আমাদের আর এক দূর সম্পর্কের বন্ধু ছিল কঠিন নামাজি। ঐ গ্রুপ নীল ছবি দেখত মাঝে মাঝে রাতে। সেই নামাজি সাহেব শুনেছি এশার নামাজ ফরজ সুন্নত নফল সব শেষ করে সেই সেশনে যোগ দিত। নামাজ কাজা করায় সে পক্ষপাতি ছিল না।
চাচাজি ভাতিজাকে এত্তবড় অপবাদ দিলেন?
নামাজি লোকের নীল ছবি দেখার রকম-ধরনগুলো আসলেই অনবদ্য।
Apnar 10 taka ferot paben na karon apnar iman nei. Allah tai apna k ferot dibe na. Iman thakle 700 na 70000 taka ferot peten. :laugh: :laugh: :laugh: :rotfl: :rotfl:
আপনি মরার পরে সাত শো টাকা পাবেন।
@আকাশ মালিক,
কোনভাবে মরার আগে বের করার আইন খুজে পেতে বের করে দেওয়া যায় না??
তবে ইসলামী দর্শন বলে যে শেষ বিচারের দিনে চুলচেরা বিচার হবে। এ সমস্তই সেই হিসাব কিতাবে হিসেব হবে।
@আকাশ মালিক,
তব েপরপার েবাংলাদশেী টাকা চলব েকনিা, সটোই বড় প্রশ্ন। 😀