নারীরাই চেয়েছিল এক সময় পতিব্রত হতে । বহু যৌন সম্পর্ক নারীদের কাছে নিপীড়নের মত
মনে হয়েছিল । অনেকটা বাধ্য হয়ে তার হাত থেকে পরিত্রানের জন্য চেয়েছিল একপতি শয্যা ।
মিলেট [১৯৬৯-১১৬] এঙ্গেলস এর সিধান্তে পেয়েছেন “ এসোরডিটি “ ।
কেননা। নারীরা কাম অপছন্দ করে ।
ইংরেজি সাধারন আইনে স্ত্রীকে রক্ষনাবেক্ষনে থাকতে হলে পালন করতে হয় কতগুলো সাধারন
শর্ত [ কোভেরচার] ।
যে গুলোর কাজ হচ্ছে নারীকে অস্তিত্ত্বহীন করা ।
এ শর্তের উৎস বাইবেলের একটি অনুশাসন ঃ
‘ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে , এবং তাহারা একাঙ্গ
হইবে “ [ আদি পুস্তক ,২ঃ২৪] ।
শুনতে সুখকর শোনালেও আইনে এর তাৎপর্য হচ্ছে “ ব্যাবহারিক মৃত্যু “
একই কারনে হিন্দু বিধানে বারবার বলা হয়েছে “ ন স্ত্রী স্বাতন্ত্রমর্হতি” [ মনু সংহিতা ঃ ৯ঃ৩] ।
ইসলামি শাস্ত্রে নারী ও কাম সম্পর্কে ধারনার পরিচয় দিয়েছেন “ ফাতিমা মেরনিসসি “ ।
তাঁর বোরখা পেরিয়ে (১৯৭৫) গ্রন্থে । তিনি দেখিয়েছেন ইসলামে কামকে দেখা হয় এক
আদিম শক্তি রুপে , যা শুভ নয় অশুভ নয় । তার শুভাশুভ নির্ভর করে ব্যাবহারের ওপরে ।
ইসলামে মনে করা হয় যে নারী পুরুষের মধ্যে নারীর ই কাম প্রচন্ড , তাইতো দারুন
সামাজিক উত্তেজনার ব্যাপার ।
নারীর এই কামকে বশে না রাখা হয় , তবে তা সৃষ্টি করবে ফিতনা বা সামাজিক
বিশৃ্ংখলা , যা সমাজকে নষ্ট করে দেবে ।
ইসলামে বিবাহ বিচ্ছেদ স্বামীর জন্য অতি সহজ , আর স্ত্রীর জন্য ফাঁসির মতোই ব্যাপার ।
স্ত্রীরা সর্বক্ষন বাস করে “তালাক “ এর মত খড়গের নীচে ।
মুসলমানের চারিটি স্ত্রী রাখার অধিকার ,তাতে যদি কিছু ক্ষুধা মেটে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেটে না ।
অত্যান্ত সহজ আর সুবিধাজনক কাজ ইসলামে “তালাক “এর মাধ্যমে ভয় ভীতিতে দমিয়ে
রাখা যায় স্ত্রীকে । আরবে বিশেষঃত এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে বিভিন্য ভাবে
ভোগ করে স্ত্রীদেরকে ।
স্ত্রীদের তালাক দেবার সহজাত অধিকার নাই বললেই চলে । কেননা , বিবাহের কাবিনে
যে অধিকার আছে । স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলে দেন মোহর টুকু পায়না ।
বাংলাদেশে বহু বিবাহ ও তালাক রীতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে “ মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ (১৯৬১) গৃহীত হবার পর । তবু ও নারী আজো শরীয়ার শিকার ।
সভ্যতার সূচনায় একপত্নী একপতি বিয়ে রীতি হয়ে ওঠে । অর্থাৎ সু-নিশ্চিত পিতৃ্ত্বে সন্তান উৎপাদন । বাপই সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী।
বিবাহে দাম্পত্য জীবনের পুরুষের বিশ্বাসভঙ্গের অধিকার থাকে খুব
বেশী । নারীর অধিকার কম ।
গ্রীকদের মধ্যে এ অবস্থার কঠোর রুপ দেখা যায় বেশী । সেখানে পুরানো দেবীদের প্রতিষ্ঠা ।
তা থেকে বোঝা যায় নারিদের অবস্থান । নারীদের অবস্থার পতন ঘটে বীর যুগে ।
দেখা যায় পুরুষরা বিয়ের বাইরেও যৌণ সম্পর্ক রাখছে । নারীরা বাধ্য হচ্ছে সতীত্ব প্রথা বা পতিব্রতা হতে ।
এ সমস্ত নানা কারনে দেখা যায় একপতি পত্নী বিবাহ নির্মম ভাবে সত্য কেবল
নারীর জন্য। পুরুষের জন্য না ।
ডেমথেনেস বলেছেন “ চেতনার সুখের জন্য আমাদের আছে গণিকা , ইন্দ্রিয় সুখের জন্য
রক্ষিতা , এবং পুত্র লাভের জন্য স্ত্রী” [ দ্র দ্য বোভোয়ার ১৯৪৯,১১৯]
বিয়েতে নারীর কাম কিছুটা মেটে , তবে নিজের চাইতে সন্তুষ্ট করে পুরুষ্টি কে ।
একটা পন্য রুপে কিনে নেয় পুরুষ নারীটির দেহ । ব্যাবহার করে নিজের সুবিধা মত ।
ঘর গেরস্থালীর কাজ ,দেহ দান , সন্তান ধারন ,প্রসব , প্রতিপালন ইত্যাদি ।
একটা গাছকে শেকড়শুদ্ধ তুলে এনে বসানো হয় অন্য পরিবারে ।
নারীকে ছিঁড়ে ফেলতে হয় অতীতের সম্পর্ক । মুসলমান সমাজে তো বিবাহের কথার
সাথে “তালাক” এর কথা ও মনে আসে। পশ্চিমের নারীরা এতটা অসহায় না ।
বিবাহ বিচ্ছেদ তাদের জন্যে বিপর্যয় নয় । তারা বহু আগেই সুর্যদয়ের মতো নিজের জীবন
নিজের মতো গঠনের সুবিধা ভোগ করতে পারছে ।
বিয়ের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক থাকে খুব ই কম ।
নারী বিয়েতে বসে তার মৌলিক চাহিদার বেশির ভাগ জুড়ে থাকে সামাজিক আর ধর্মীয়
কারন । দেখা যায় পুরুষ বিয়ে না করলেও সমাজে তাকে নিগৃহিত হতে হয়না । যত টুকু হয় নারী । নারী মানেই মেরুদন্ডহীন প্রানী । পুরুষের উপর নির্ভরশীল ।
হিন্দু ধর্মে দেখা গেছে কুমারী মেয়ে বিবাহ না হলে গাছের সাথে বিয়ে দেয়া হয় ।
মঁতেন বলেছেন “ আমরা একাধারে চাই স্বাস্থাবতী , তীব্র গোলগাল , এবং সতী ,
অর্থাত গরম ঠান্ডা দুই । [ দ্র দ বোভোয়ার ১৯৪৯-৪৫৯] ।
“কোন পুরুষ স্ত্রীকে শয্যায় আহবান করলে সে যদি
অস্বীকার করে এবং প্রভাতকাল পর্যন্ত রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রি যাপন করে তাহলে
ফেরেশ্তাতা ঐ স্ত্রীকে অবিশম্পাদ দিতে থাকে ( বুখারি শরীফ হাদিস নং -৪৮১৪) ।
এই হচ্ছে নারীর পুরুষ দ্বারা রচিত ধর্মীয় গ্রন্থের চরম পরিনতি ।
যেখানে ফেরেশ্তারাও(?) নারীকে অভিশম্পাদ দেয় । নারীর ইচ্ছে অনিচ্ছা , শারিরীক সমস্যা ,
মানসিক কষ্টো থাকতে নেই । যৌন সঙ্গমে যদি অনিচ্ছা প্রকাশ করে কোনো কারনে
তখনো তাকে এ ভাবেই শাসিত হতে হয় ।
এক অত্যাচারি স্বামী স্ত্রীর সাথে শয়ন করতেন না । তার কন্যা সন্তান্দের কেও সন্দেহ
করতেন বিধায় স্ত্রীটির শয়ন কক্ষ ছিল না । কন্যা সন্তানের সাথে শয়ন করতেন ।
রাত দুপুরে স্বামীটি কন্যাদের সামনেই স্ত্রীকে তার কর্তব্য স্বরণ করে দিতেন ।
এবং স্ত্রীটি নিরুপায় হয়ে তার কর্ম সম্পাদন করতে যেতেন ।
ইংরাজি সাধারন আইনে স্ত্রীকে ফেলা হয় , নির্বোধ , ও
বদ্ধ পাগোল এর দলে । যার কোনো বিবেচনা শক্তি নাই । স্বামীকে দেয়া হয় স্ত্রীর শরীরের
সম্পুর্ন মালিকানা । স্বামী ঐ সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারবেন যথেচ্ছ ভাবে ।
পশ্চিমে গৃহিনীরা আবিস্কার করে – গৃহ , কাম
সন্তান ,স্বামী আসবাবপত্র তাদের আটকে ফেলেছে । ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে তাদের
ব্যাক্তিত্ব্য স্বকীয়তা ।
বিয়ে ও সংসার জীবনের অনিবার্য একটা তীর্থ । বিশেষঃত বাংলাদেশে । গরীব মেয়েদের
অত্যাচারের লীলাক্ষেত্র । সুখকর বন্দি শিবির উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নারীদের জন্য ।
একটা মেয়ের যতটুকু নিজস্ব প্রতিভা ও নিজের গন্ডির বাইরের গন্ডিতে
প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ থাকে , কিন্তু “ বিবাহ “ নামক বন্দী শিবিরে তা বেশিরভাগ ই হয়ে যায় অচিরেই বিলুপ্ত । বিশেষতঃ মুসলিম মেয়েদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই দেখা যায়
ছেলেদের ক্ষেত্রে পিতা মাতা যে সুযোগ সুবিধা অবারিত করে দেন । মেয়েদের করা হয়
ততোখানি রুদ্ধ ।
ছেলেবেলা থেকেই তাদের চেষ্টা চালানো হয় কি করে ভালো গৃহিনী হওয়া যায় ।
লেখা পড়ার মূল উদ্দেশ্য এবং নিজকে , গৃহকে কি করে সু-সজ্জিত করা যায় ।
এখনকার শিক্ষিত বধু গৃহকে অলংকৃ্ত করে । স্বা্মীরা গর্বিত হন শিক্ষিত গৃহ বধু
পেলে ।
এমন ই একজন কে জানা যায় , যার জীবনে বহু কিছু হবার সুযোগ ছিল ।
কিন্তু পিতৃ গৃহে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় চত্তর পার হতে পেরেছে । বাদ বাকী প্রতিভা স্বামী গৃহে
যাবার পর নিষিদ্ধ হয়েছে ।
স্বামীর যোগ্যাতা স্ত্রীর চাইতে কম হলেও স্ত্রীকে থাকতে হয় তার অধীনে । দরিদ্র দেশ
গুলোতে স্ত্রীদের অবস্থা আরো শোচনীয় । আর ভয়াবহ ।
স্ত্রী ধর্ষিত হয় স্বামী দ্বারা । কেবল দেহে নয় , প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হয় তার আত্মাকে ,
তার নিজস্ব জগতকে । স্ত্রীকে পরোক্ষ ভাবে অভিনয় করতে হয় শয্যায় স্বামীটির সাথে ।
কেননা, স্বামী যদি আবার অন্য কারো প্রতি আসক্ত হন ।
ভয় সর্বদা তাড়িত করে স্ত্রীকে । এ ভাবে চলতে থাকে “বিবাহ “ নামক সুন্দর
ও মধুর জীবন ।
প্রগতিশীল স্ত্রী ভূমিকাটি প্রশংসিত হয় পারিচারিকার ভুমিকায় । দাসীর সাথে স্ত্রীর পার্থক্য
দাসী বেতন ভুক আর স্ত্রী মর্যাদা বিলাসে রক্ষিত হয় ।
তথ্য সূ্ত্র ঃ
১- নারী- হুমায়ুন আজাদ ।
২- রাহুল সংকৃ্ত্যায়ন ।
৩- বারট্রান্ড রাসেল ।
৪- বিভিন্য ধর্মের গ্রন্থ থেকে উধৃতি ।
———————
অল্প কয়েকজন বেয়াদব পুরুষদের কারনে সবার বদনাম করবেননা। আমি অস্বীকার করছিনা যে নারিদের উপর অত্যাচার হয়, আমি নিজেও তা ঘৃনা করি। কিন্তু বিভিন্ন নারীরা যে পুরুষদের উপর অত্যাচার করছে, তার উদাহরন ও কিন্তু কম নয়।
বিপ্লব পালের সাথে সহমত । সামাজিক নিয়মগুলি অনেক সময়ের সেই সময়ের নিরিখে ঠিক থাকে কিন্তু সমাজ এবং সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে তাকে পরিবর্তন করা আবশ্যক ।
যেমন বহুবিবাহ । আগেকার দিনে বেশির ভাগ বিপজ্জনক কাজ পুরুষেরা করত যেমন শিকার এবং যুদ্ধবিগ্রহ । ফলে তাদের মৃত্যুর হারও বেশি হত । অনেক সময় দেশে এত পুরুষ কমে যেত যে এক পুরুষ এক নারীকে বিবাহ করলে সব নারীর বিবাহ সম্ভব ছিল না । তাই বহুবিবাহ রীতি তৈরি হয়েছিল । কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বহুবিবাহ প্রথাকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ।
লেখার শেষ প্যারাটিতে যেনো আমাদের দেশের নারীদেরই কথা বলা হয়েছে।
কবি রুদ্র মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ যেমনটি বলেন:
এই অন্যভাব এর দুই-একটা উদাহরন দিলে বা আরো কিছুটা খুলে বললে ভাল হতো।
@আতিক রাঢ়ী,
দুই-একটা উদাহরন দিলে আর উদাহরনের সপক্ষে যুক্তি দেখাতে গেলেতো একটা পোস্টই ছাপাতে হয়! সে ধরনের দক্ষতা থাকলেতো 🙁 ! মুক্তমনার জ্ঞানী লেখকবৃন্দের কেঁউ যদি এই বিষয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা পোষন করেন তাহলে আমার মতো সাধারন পাঠক উপকৃত হই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ছাপানারে ভাই একটা পোষ্ট। না ছাপালে দক্ষতা আসবে কোথা থেকে ? 🙂
@আতিক রাঢ়ী,
থুক্কু, ছাপাননারে ভাই। 😀
@ বন্যা আহমেদ
আপনার মন্তব্যে বলেছেন আমি কেনো মুখ খুলছিনা । সমস্যার সমাধান আমাদের
সবাই মিলেই করতে হবে। সমাধানের কিছু কথা আপনি এবং অভিজিৎ বলেছেন ।
যেমন অর্থনৈ্তিক স্বাধীনতা । বিবাহ বিচ্ছেদ কখনোই সমাধান নই । অন্তত আমাদের দেশে ।
তাতে করে সন্তান্দের অপর যা প্রভাব পড়ে এমন বহু পরিবার দেখেছি।
আপনাকে আবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@একা,
মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের একটা যোগসুত্র আছে। সমস্যার সমাধানে আপনি যদি নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা মানেন তাহলে এর অবশ্যম্ভাবী ফল কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদে গিয়ে ঠেকে। মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের প্রভাব সন্তানদের উপর যেমন পড়ে, বিষাক্ত ও দুর্বিষহ দাম্পত্য জীবনের প্রভাবও সন্তানদের উপর কম পড়েনা এবং আমার জানামতে এরকম পরিবারের সংখ্যাও কম না।
আসলে আমার মনে হয়, ‘পরিবার’ এই কনসেপ্টটা যদি সমাজে অন্যভাবে ডিফাইনড্ হয় তাহলে ‘দাম্পত্য জীবন’ অথবা ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ ইত্যাদি টার্মসগুলো আমাদের কাছে অন্যভাবে উপস্থাপিত হবে এবং এগুলো হয়তো সন্তানদের উপর তেমন একটা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা নাও রাখতে পারে।
শেষের একটা লাইনে বিতর্ক হতে পারে-তাই ক্লিয়ার করা দরকারঃ
সামাজিক বিবর্তনের সূত্র ধরে যত আমরা ধর্মকে বোঝার চেষ্টা করব-ততই ধার্মিকদের সুবিধা হবে বিজ্ঞানের চেতনার পথে জীবনকে পরিচালিত করতে। কারন তবেই তারা বুঝতে পারবেন কেন ধর্ম গ্রন্থে মেয়েদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এবং সেই অবিচারের মূলে যে ঈশ্বর না, রিপ্রোডাক্টিভ সিলেকশন কাজ করেছে-সেটা বুঝলেই, তারা আস্তে আস্তে ঈশ্বরের অবৈধ হাতের থেকে বিবর্তনের খেলাতেই বেশী আস্বস্ত হবেন।
সবাই ধর্মের নামে বেহত্তর গালাগাল দিচ্ছে-তাই আমি এবার ধর্মগ্রন্থ গুলিতে মেয়েদের কেন দাবিয়ে পুরুষ তন্ত্রের দাসী করে রাখা হয়েছে তাই নিয়ে কিছু বলি।
আমাদের একটি সাধারন ধারনা মহম্মদ কোরানে নারীদের বাজে ভাবে ট্রাক চাপা দিয়ে, নারী জাতির প্রতি ভয়ংকর অন্যায় করেছেন। সেটা এই যুগে মহম্মদ কোরান লিখলে নিশ্চয় বলা যেত-কিন্ত সেই যুগের জন্যে মহম্মদ বা মনু ঠিক না ভুল কাজ করেছেন সেটা সামাজিক বিবর্তনের দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। বৈজ্ঞানিক চেতনার আলোকে ধর্মকে দেখা মানেই, সামাজিক বিবর্তনের চোখেই ধর্মকে দেখা উচিত।
তাহলে আসল কথাতে আসি। সেই যুগে শিশু মৃত্যুর হার ছিল অত্যাধিক বেশি। ফার্টালিটি 2.1 এর কম হলে সেই সমাজের নেগেটিভ গ্রোথ হয়। আদিম চিকিৎসা ব্যাবস্থা দিয়ে ওই ফার্টিলিটি ধরে রাখতে গেলে একজন নারীকে গড়ে ৬-৭ টি সন্তানের জন্ম দিতে হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আজকাল যেসব মেয়েরা লিব্যারাল, তারা দ্বিতীয় সন্তানত দূরের কথা প্রথম সন্তানই অনেকেই নিতে চাইছে না। ইস্যুটা বেলেল্লাপনা করার না-ইস্যুটা হচ্ছে সন্তানের জন্যে মেয়েদের স্বার্থত্যাগ স্বাধীনতা ত্যাগ-কতটা চেপে করানো হয়-আর কতটা স্বাভাবিক? এবার একজন মেয়েকে যদি ৬-৭ সন্তানের জন্যে রাজী করাতে হয়, তার ওপর কি পরিমান সামাজিক চাপ সৃষ্টি করাতে হবে? ঠিক সেটাই
মনু বা মহম্মদ করেছেন। এটা না করলে, সেই সমাজ রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসে তখনকার দিনে পিছিয়ে পড়ত। আজকের লিব্যারাল ইউরোপের সমাজ যতই উন্নত হৌক, তারাও রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসে পিছিয়ে যাচ্ছে-কারন ইটালি, গ্রীস, জার্মানী ইত্যাদিদেশে
ফার্টালিটি 1.1-1.3 -এর জন্যে তরুন লেবার শর্টেজ হচ্ছে এবং তৃতীয় বিশ্ব থেকে লোক এনে সেই ঘাটতি পূরন করতে হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের মুসলিম বা হিন্দু সংস্কৃতিতে মেয়েদের ওপর সন্তান ধারনের সেই চাপ আছে-ফলে আজকে মুসলিমরা ইউরোপের সব দেশেই সব থেকে বেশী “রিপ্রোডাক্টিভ ফিট” জাতি।
লিব্যারাল সংস্কৃতি সমাজে রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসের গুরুত্ব অস্বীকার করে জীবন যাপন করলে, ধর্মের অত্যাচার আরো বাড়বে-কমবে না। কারন সেই ছেলেগুলিই বড় হবে, যাদের ফ্যামিলিতে মেয়েদের ওপর সন্তান ধারনের জন্যে প্রচুর চাপ দেওয়া হয় ( ধর্মের মাধ্যমে) এবং মেমেটিক্সের সূত্র ধরে, সেই চাপ দেওয়া সংস্কৃতিটিই বিবর্তনে জিতবে। কারন সংস্কৃতির অধিকাংশটাই আমরা শিশুকালে পারিবারিক সুত্রে পেয়ে থাকি। সেটাই নানান পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত।
ফলে ধর্মের ব্যাপারগুলি আমরা যত নৃতাত্বিক এবং সামাজিক বিবর্তন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করব, ততই ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সংঘাত কমবে। লিব্যারাল সংস্কৃতিও একধরনের বিশ্বাস নির্ভর কালচার-সেটাকে বিজ্ঞান সম্মত বলে চালানো ভুল। ক্ষতিকারক ও হতে পারে। সামাজিক বিবর্তনের সূত্র ধরে যত আমরা ধর্মকে বোঝার চেষ্টা করব-ততই ধার্মিকদের সুবিধা হবে বিজ্ঞানের চেতনার পথে জীবনকে পরিচালিত করতে।
@বিপ্লব পাল, রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসের জন্য শুধুই মেয়েদেরকেই আত্মাহুতী দিতে হবে এ কেমন নিয়ম? যেন সমাজে রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস ঠিক রাখার দায়-দায়ীত্ব মেয়েদের উপরই বর্তায়। ধর্ম যাঁরা প্রচার করে গেছেন, মানুষের তাঁরা কত কল্যান সাধন করে গেছেন জানিনা, তবে এর পিছনে যে নিজেদের স্বার্থ নিহিত ছিল তা ধ্রুব সত্য।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মেয়েরাই শুধু সন্তান ধারন করতে পারবে-এটাই বা কি নিয়ম? এই অবিচারের বিরুদ্ধে লিখলেও ত হয়!
বিবর্তনের মায়াজালে যা বাস্তব তাই নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।
@বিপ্লব পাল, তো দেখা যাচ্ছে মেয়েরা যতদিন এককভাবে সন্তান ধারন করে যাবে, ততদিন মেয়েদেরকে এই আত্মাহুতী দিয়ে যেতেই হবে, এর থেকে কোন পরিত্রান নাই…তা আমরা যত বড় বড় বুলিই আওড়াইনা কেন। ঈশ্বরের এই অবিচারের বিরুদ্ধে শুধু লিখেই সমস্যার সমাধান হবেনা, এই অবিচার বিঞ্জান দিয়েই সমাধান হবে।
পরিবার-বিবাহ-এগুলো সামাজিক বিবর্তনের ফল। পশু পাখি-সবাই লিভ টুগেদার করে-তাহলে মানব বিবর্তনের কোন ধাপে লিভ টুগেদারটাকে আরো জটিল এবং ঐশ্বরিক করে বিবাহ নামে প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী হল সেটা বুঝতে হবে। বিবর্তন কিন্ত একটি এমরফিক স্বতস্ফূর্ত পদ্ধতি-সুতরাং বিবাহ প্রতিষ্ঠানটি সমাজের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বাড়িয়েছে বলেই, এটি লিভটুগেদারের ওপর এক সময় প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্ত বর্তমানে ইউরোপে বিবাহ বিলুপ্তপ্রায়। লিভ টুগেদারই ফিরে এল। কে অত্যাচারিত বা শোষিত তাই দিয়ে বিবর্তন নির্নিত হয় না। বিবর্তনের মূল কথা হচ্ছে কোন সংস্কৃ্তিতে শক্তিশালী নতুন প্রজন্ম উ্ঠে আসে।
এখানেই প্রশ্ন উঠবে, তাহলে বিবাহ, সিঙ্গল মম বা লিভ টুগেদার-কিসের থেকে বেশী “ফিট” সন্তানের জন্ম হবে ( সংখ্যা এবং সারভাইভাল প্রবাবিলিটি)। এটি বিতর্কিত প্রশ্ন। ইউরোপে জন সংখ্যা কমছে-লিভ টুগেদারের ভূ্মিকা এর পেছনে আছে। বিবাহিতদের মধ্যে সন্তান উৎপাদনের হার একটু বেশী হবেই।
তবে হ্যা। বিবাহের সাথে রোম্যান্টিসিজম এবং ভালোবাসাকে গোলানো উচিত না। সন্তান পালনের জন্যে কর্তব্য হিসাবে দেখলেই বিবাহের বিশেষ ভার লাঘব হয়। ভালোবাসাটা বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের জন্যেই তুলে রাখা উচিত! অথবা ভালোবাসা বা রোম্যান্টিসিজমের মতন ধোঁয়াশা শব্দগুলো তুলে দিলেও হয!
বিবাহ প্রথার উচ্ছেদ এর সাথে পরিবার এর উচ্ছেদ হওয়াটা সম্পর্কিত কিনা ? যাদি হয় সে ক্ষেত্রে পরিবারের বিকল্প কি হবে ? আমার মনে পরিবারটা বেশী প্রয়োজন শিশুদের জন্য। পাশ্চাত্যে পরিবার ভাঙ্গার সাথে সাথে হতাশাও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত পরিবার ভাঙ্গার পিছনে মূল ইন্ধনের কাজ করছে ভোগবাদ। ভোগবাদ এক সর্বগ্রাসী প্রবনতা। ত্যাগের যা কিছু অনুশীলন এখন অবশিষ্ট আছে তা এখনও পরিবার কেন্দ্রীক। যৌবনে টান ধরলে সাবাই আবার পরিবারে ফিরে যেতে চায়। আমার মনে হয় ধ্বংস করার আগেই আমাদেরকে পরিবারের বিকল্প নিয়ে ভাবা উচিৎ।
পরিবারে, সমাজে ও রষ্ট্রে নারীর অবমাননাকর পরিস্থিতী থেকে মুক্তির জন্য, বিজ্ঞান মনস্ক ও ধর্মীয় অনুশাসন মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সবার আগে প্রয়োজন। সেইসাথে অর্থনৈ্তিক ভাবে নারীকে সাবলম্বী হতে হবে। বিয়ে কি সমানঅধিকারের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুশষন মুক্ত একটি সামাজিক চুক্তি হতে পারে না ? শিশুরা রাষ্ট্রের চাইতে পরিবারেই বেশী নিরাপদ বলে আমার ধারনা।
আগে খেয়াল কোরিনি।ইংরাজিতে লেখার জন্য দু:খিত
@chandrasekhar,
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি খেয়াল করার জন্য। এখন থেকে অবশ্যই (বাংলা হরফে) বাংলায় মন্তব্য করবেন।
puro bisoy ta porlam.
amar mone holo Shibram Chakraborty-r ei bisoye ekti mantabya janano darkar. shabdo PAN korar kshetre taar juri nei.
uni ‘Brahman na Shudra’ prabandhe bolechhen, amra narike bisesh marjyada diye kandher Upore basai. tar fale nari kintu padachyutai hoi. aar majer theke amader bipod ta holo ei, je bahan kore chalai hoye jai amader kaaj, chala aar hoi ne….
Arthata bujhun. nari ke bisesh bhabe bahan (Bibaha) korar modhye diye hindu samaj taake padachyuto korchhe. kibhabe? se to aar swadhin thakchhe na. ulte taake nijer paye danrate deowa hochhe na. se asole ‘pada-chyuto’ holo..
aar purusera taake Ghare bosiyechhi bhebe swabhabik chola cholte parchhen na..
MArx kintu ek jaigai bolechhilen, “Marriage is nothig but legal prostitution”.
bastabe ki tai danrachhe na? love marriage er katha baad dile, sab arranged marriage ei ki meyeti basar raate raped hochchhe na? ka din aar se sei purus tike jenechhe? du jan dujenar pachhando-apachhando kato tuku jaane? kintu jehetu bibahito, tai swamir adhikar strir sharirer upor… se sei adhikaar er chinho prathom raatei rakhar katha bhabe… sei nari kintu tar sharirer upor adhikaar harai..
tai noi ki?
(লেখাটি বড় ভাইয়ের। পিতার ডায়েরীর মধ্যে পেয়েছিলাম। এই গল্পে দরিদ্র সমাজের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ের একটি ঘটনা ও এর পরিণতি)
মন্টু ও রুবি
লেখক: বেলাল হোসেন। বয়স ১১। ২৭ আষাঢ় ১৩৭৭ বাং। ১৯৭০ ইং।
একদেশে গরিব লোক ছিল। গরিব লোকের নাম আকরাম উদ্দীন। তার একটি ছেলে ছিল। তার মা ছেলেকে খুব ভালবাসত। গরম কালে তার মা অসুখে পড়লেন। তার পরদিন তার মা মরে গেলেন। তার আব্বা আরেকটা বিয়ে করলেন। তার সংসারে অশান্তি ঘটে উঠল। তার মা তার ছেলেকে দেখতে পারত না। একদিন তার মা ছেলেক পানি আনতে বলেছিল। পানি এনে কলসি ভর্তি করল। ছেলেটি তার মার কাছে ভাত চাইল। তার মা রেগে উঠল। কি? এখন ভাত, একটু পরেই ভাত রাঁধব তারপরে খাবি। তারপর ছেলেটি বলল, মা আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে। মা বলল, না এখন ভাত নাই। তোর আব্বা আগে খাবে তারপর ভাত পাবি। ছেলেটি তার পুকুর পাড়ে গিয়ে বসে থাকত। তারপর তার বন্ধু ইসহাক এসে বলল, কিরে, তুই বসে কি করছিস? মন্টু বলল, আজ আমি কিছু খাই নাই। ইসহাক বলল, কিজন্য খাস নি? মন্টু বলল, আমি মায়ের কাছ থেকে ভাত চাইলাম কিন্তু মা রেগে বলল, এখন না তোর আব্বা খাবে তাপর ভাত পাবি। একথা বলে মন্টু কাঁদতে লাগল। ইসহাক বলল, কাঁদিস না, দয়াময় কার কপালে কি লিখে রেখেছেন তা কেউ বলতে পারে না। তাই বলে চলে গেল। মন্টুও চলে গেল। গিয়ে দেখল, তার আব্বা ভাত খাচ্ছে। তখন মন্টু একমুট চাল নিয়ে পানি খেল। তার মা এসে গালের উপর চড় কষে দিল। তার আব্বা এসে বলল, কি হয়েছে? মন্টুর মা বলল, কি আর হবে, তোমার ছেলে তো বড় দুষ্ট, ঘর থেকে চাল এনে খাবে, ঘরে কি ভাত নাই? তার আব্বা রেগে উঠল, আবার চড় কষে দিল। মন্টু কাঁদতে লাগল।
তারপর যেতে যেতে মনে মনে ধারণা করল যেদিকে দুচোখ যায় সেই দিকে যাব। তারপর ষ্টেশনে গেল, গাড়ি আসল। গাড়িতে উঠল, তারপর গাড়ি ছেড়ে দিল। মন্টুর পাশেই একটি মেয়ে বসে ছিল। মন্টু জিজ্ঞেস করল, আপনার নাম কি? মেয়েটি বলল, আমার নাম রুবি। আবার জিজ্ঞেস করল, আপনার বাড়ি কোথায়? মেয়েটি বলল, আমার বাড়ি সাতগাঁও। মন্টু বলল, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? মেয়েটি বলল, আমার যেদিকে চোখ যায় সেই দিকে যাব। মন্টু বলল, সে কি কথা। রুবি বলল, আমার অনেক কথা আছে। মন্টু বলল, কেন বলুন তো। রুব বলল, আমার মা ছিলেন। আমাকে খুব ভালবাসতেন। একদিন আমার মা মারা গেলেন। আমার আব্বা বিয়ে করলেন। সেই দিন থেকে অশান্তি ঘটল। আমাকে একদিন কাচের গ্লাস মাজতে বললেন। আমি মাজলাম। একটা গ্লাস হাত হতে পড়ে ভেঙ্গে গেল, তাই আমার মা বাড়ি হতে তাড়ায় দিলেন। আমি চলে গেলাম। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, যেদিকে চোখ যায় সেদিকে যাব। তাই আমি সাতগাও ছেড়ে এখানে এলাম। মন্টু বলল, আমারও তাই হয়েছে। সেকি সেকি- ঐ লাইন দিয়ে আরেকটা গাড়ি আসছে, এই চেন টান চেন টান। দুটো গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়ে গেল। দুটো ছেলে-মেয়ে আহত হয়ে গেল। লোকেরা ছেলে-মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তারপর সুস্থ হয়ে উঠল। এক ডাক্তারের ছেলে ছেলেপেলে ছিল না। ঐ দুটো ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গেল। ডাক্তারের গিন্নি ভারি খুশি। মন্টু আর রুবিকে মানুষ করতে লাগল। মন্টু বড় হয়ে বিলাতে গেল। বিলাতে গিয়ে ব্যারিস্টারী পাশ করল।
(কেউ কি দয়া করে জানাবেন, নিচের কবিতাটি কার লেখা)
যদি জানেন তাহলে [email protected] একটা মেইল করে জানান)
চাতক
ছিলাম রাখাল আমি অতি পুরাকালে,
এখন হইনু পাখি ছিল এই ভালে।
ব্রাহ্মনের গরু আমি চরাতাম মাঠে,
গুরুগুলি ছেড়ে দিয়ে বসিতাম কাঠে।
তখন চৈত্র মাস, তৃষায় প্রাণ ফাটে,
গরুগুলি গিয়েছিল ইছা নদীর ঘাটে।
কিন্তু হায় সে নদীতে নাহি ছিল জল,
পিপাসায় মরে গেল গরুদের দল।
খালি হাতে একা আমি ফিরিলাম বাড়ি,
দ্বীজ বলে গরুগুলি কোথা দিলি ছাড়ি।
ভয়ে ভয়ে কহিলাম, গরু গেছে মরে,
না পাইয়া জল হায় পিপাসার তরে।
তখন ক্রোধের বশে দ্বীজ মহাশয়
দিল মোরে অভিশাপ হায় হায়।
পৃথিবীর জল তুই না পাইবি আর,
পাখি হয়ে উড়ে যা ওরে দুরাচার।
বিপ্রের অভিশাপ মুহুর্তে সফল
পাখি হয়ে উড়িলাম ছাড়িয়া ভূতল।
সেই হতে পিপাসায় মেঘেরে ডাকি,
সে কিন্তু মোরে ভাই নাহি দেয় ফাঁকি।
কয়েকটি গরু মেরে অভিশাপ নিয়ে
মেঘেরে ডাকিয়া আনি ধরায় নামিয়ে।
আরো আছে, এখানেই শেষ নয়। বিবাহিত পুরুষ অন্যএ প্রেম করতে পারবে, বিবাহিত নারী নয়। যদিবা প্রেম হলো তো নারীটি বদ। আর যদি প্রেমিক প্রবর ধোকা দিলেন তো সমাজে ঐ নারীর বসবাস কেমন হয় বলা বাহুল্য। হয়তো তার সংসারই শেষ হয়ে যায়। অপরপক্ষে একই কাজ পুরুষকে বীরোচিত সাফল্য দান করে। কারন পূরুষটি কত ভালো, সংসার তো করছে ইত্যাদি। যা হোক বাংলা লেখায় আমার দক্ষতা কম তাই অনেককিছুই ঠিকভাবে বোঝাতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
তুবা
@ প্রিয় এডমিন,
আমাকে কেন মুক্তমনা ব্লগ সদস্য করা হচ্ছে না কেন বুঝতে পারছি না। লগ ইন করার ব্যবস্থা করে দিন। তানাহলে এখানেই কিন্তু লেখালেখি শুরু করে দিবো। তখন ব্লগাররা ভাববেন এ আবার কি মন্তব্য করছে। লোকটির মাথা খারাপ নাকি!
@মাহফুজ,
আপনি একটু ধৈর্য ধরে লিখে যান তবে লেখাগুলো যেন প্রাসঙ্গিক ও মুক্তমনার মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। মুক্তমনা সবসময় একটা minimum standard বজায় রাখার চেষ্টা করে। আপনি আপনার মানসম্মত লেখা যদি পাঠান তবে অবশ্যই তা এখানে প্রকাশিত হবে।
@ @মুক্তমনা এডমিন
আমি খুব দুঃখিত। আগামীতে এমন আর যেন না হয় সে দিকে আমি অবশ্যই বেশী নজর দেব ।
ধন্যবাদ ।
আমার কাছে মনে হয়, নারীরাই নারীদের সব চাইতে বড় শত্র“। যখন কিছু জাতি গোষ্ঠীর নারীরা অধিকার আর মর্যাদার জন্যে লড়ছে , ঠিক তখনই তথাকথিত উন্নত দেশেরম এমনকি অনুন্নত দেশেরও এক শ্রেনীর নারীরা স্রেফ গ্লামার ও অল্প আয়াশে বিপুল টাকা উপার্জনের জন্য নিজেদেরকে সেক্স সিম্বল হিসাবে উপস্থাপন করে মিডিয়াতে, যাতে পুরুষ জাতিরা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নারীদেরকে সেক্স ডল বা ঐ জাতীয় কিছু ছাড়া ভাবতে পারে না। আমার মনে হয় নারীদের নিজেদের স্বার্থেই ওরকম উৎকটভাবে মিডিয়াতে উপস্থাপিত হওয়া বন্দ করা দরকার। এর মানে অবশ্যই এই না যে তাকে চার দেয়াল বা বোরখার মধ্যে ঢুকে পড়তে হবে।
@ভবঘুরে,
একদম ঠিক কথা। সাথে সাথে এটাও ঠিক যে টোপ দিয়ে সস্তাভাবে মিডিয়াতে নারীদেরকে উপস্থাপন করে টু-পাইস কামিয়ে নিবার জন্য পুরুষরাও কম দায়ী না।
@একা, আপনার লেখাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি ভবিষ্যতেও আপনি এ ধরণের চিন্তার খোরাক জোগানো লেখা লিখবেন মুক্তমনায়। এ ধরণের লেখায় বানান ভুল দেখতে খারাপ লাগে, লেখার সময় বানানের দিকে আরেকটু নজর দিতে অনুরোধ করছি মুক্তমনার পক্ষ থেকে।
একা,
দুর্দান্ত একটি লেখা। প্রতিটা বাক্যই কঠিন ও বাস্তব সত্য। খালি মনে হচ্ছে এর কোন সমাধান আমাদের এই পৃথিবীতে কি সম্ভব?
@ বন্যা আহমেদ , আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে একটু দেরী হবে ,কেননা আমি যে বই গুলো থেকে
উদ্ধৃতি দিয়েছি , ওগুলো আপাততঃ হাতের কাছে নেই, অনেক বই জোগাড় করে লিখেছিলাম ,
আমার একটা ভুল হয়েছে যেটা হচ্ছে তাৎখনিক যদি নাম আর বইয়ের পাতা উল্লেখ করে রাখতাম ,
তাহলে এই মুহুর্তে বলে দিতাম যে কারনে আমি কেবল তথ্য সুত্র দিয়েছি।
@একা
একা, এটা কি এঙ্গেলস এর কোন লেখা থেকে কোট করা হয়েছে? কোন লেখা তা কি একটু বলবেন? পরিবার, ব্যাক্তিগত মালিকানা এবং রাষ্ট্রে যতদুর মনে পড়ে (অনেক আগে পড়েছি) এঙ্গেলস ব্যাক্তিগত মালিকানা কিভাবে নারীকে বন্দী করেছে তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
ইংরেজি আইন মানে কি ব্রিটিশ আইনের কথা বলেছেন? ঠিক কোন আইনের কথা বলছেন তা একটু পরিষ্কার করে বললে ভালো হত।
@পৃথিবী
এঙ্গেলস কি আসলে কৃত্রিমভাবে পরিবার ভেংগে ফেলার কথা বলেছেন? আমার যতদুর মনে আছে, এঙ্গেলস কিন্তু আলোচনা করেছেন, সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় ব্যাক্তিগত মালিকানা বিলুপ্ত হতে শুরু করলে বর্তমানের পরিবার প্রথা ভেঙ্গে পড়তে শুরু করবে। বেশী দূর যেতে হবে না, আপনি যদি আজকের পাশ্চাত্যের আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজে পরিবারগুলোকে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন ট্রেডিশানাল পরিবার প্রথা ইতোমধ্যেই ভাঙ্গতে শুরু করেছে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে আর কিছু হোক বা না হোক নারী অধিকার প্রশ্নে কিন্তু বিশাল পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল।
সেটা অবশ্য দেখেছি, কিন্তু এর পেছনে পুঁজিবাদের থেকে যৌন বিপ্লব বা সেক্সুয়াল রেভোল্যুশনের অবদান কি বেশি না? নাকি যৌন বিপ্লব পুঁজিবাদেরই অংশ?
যাই হোক, আমার প্রায়ই মনে হয় পশ্চিমে পরিবারের অধোগমন কি আদৌ কোন উপকারিতা নিয়ে আসছে? পশ্চিমা বিশ্বে খুব কম মানুষই বলে তাদের প্রথম বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে পারে(সাম্প্রতিককালের সায়েনটিফিক এমেরিকানের নিউজলেটারে দেখলাম)। যৌন শিক্ষার মাধ্যমে কি বিবাহবিচ্ছেদের হার কমানো সম্ভব? সহবাসের সংস্কৃতি নিয়ে আমার আপত্তি নেই কিন্তু এখানে যেহেতু নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না, তাই সন্তান জন্ম দিলে বিষয়টা খুবই জটিল হয়ে পড়ে।
@পৃথিবী,
আসলে বাংলাদশে থাকার সময়গুলোতে আমারও অনেকটা তোমার মতই ধারণা ছিল। কিন্তু আমেরিকায় আসার পর এদের (মানে পশ্চিমাদের) জীবনযাত্রা খুব কাছ থেকে দেখে আমার চিন্তাভাবনা অনেকটাই পাল্টেছে। না, আসলে ভোগবাদের কারণে কিন্তু পশ্চিমে বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে না (যদিও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা মানেই হল ভোগবাদ, অপসংস্কৃতি, বেলাল্লাপনা ইত্যাদি), বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে কারণ এখানে মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার নিতে পেরেছে আর স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আসলে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ব্বী হলে মনের জোর বাড়ে। বাংলাদেশে যে মেয়েটা স্বামীর লাত্থিগুতা খেয়ে কিংবা মার-ধোর সহ্য করে সংসার টিকিয়ে রাখে, সে ধরণের মনোভাব আমেরিকায় দেখালে এখানে ডিভোর্স ঘটতে বাধ্য। জোর করে সংসার টিকিয়ে রাখাটাই ‘ভাল’ বলে চিহ্নিত করার ব্যাপারটা কতটুকু ঠিক আমি জানি না। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে তাই তুলে ধরা হয়। আমাদের বাংলা সিনেমাগুলোতে শাবানা কাঁদতে কাঁদতে কত লম্পট, মাতাল স্বামীর পায়ের নীচে পড়ে থেকে ‘সতী সাধ্বী’ স্ত্রী হবার গুণগান গেয়েছে – তার ইয়ত্ত্বা নেই। এই পশ্চাৎপদ ধারণা আসলে নারীদের স্বাবলম্বী হতে বাধা দেয়। তারা মনে করে মার ধোর খেয়ে হলেও মাতার স্বামীর ঘরে পড়ে থাকতে হবে। এটাই উত্তম, এটাই নিয়তি। আসলে এর চেয়ে আমার কাছে ঢের বেশি পছন্দের যখন একটা মেয়ে অত্যাচার পায়ে দলে সংসারের নরক কুঞ্জ থেকে বের হয়ে আসতে পারে। একটা বিষয় মনে রেখো- এমনকি পশ্চিমেও কেউ ইচ্ছে করেই কিংবা বেলেল্লাপনা করার জন্য সংসার ভাংগতে চায় না। সম্পর্ক তৈরি করা, এক সাথে থাকার ব্যাপারগুলো প্রতিটি মানুষের জীবনেই খুব বড় ধরণের ইনভেস্টমেন্ট। সম্পর্ক ভাঙ্গে তখনই যখন কেউ হয় একদমই নিরুপায়… এটা বোধ হয় যে কোন জায়গার জন্যই কম বেশি সত্য। বাংলাদেশে মেয়েরা তারপরেও সংসার ভাংগতে পারে না, কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল।
আর সন্তানের জটিলতার দোহাই দিলে তো ভিন্ন জাতের কিংবা ভিন্ন ধর্মের ছেলে মেয়েদের মধ্যকার বিয়েরও বিরোধিতা করতে হয়। কারণ সেগুলোও সন্তানের ক্ষেত্রে ‘জটিলতা’ তৈরি করে। এক সময় পশ্চিমেও সাদা-কালো বিয়ের বিরোধিতা করা হত সন্তানের জটিলতার দোহাই দিয়ে। জটিলতা বাড়ে ধর্ম ত্যাগ করলেও, কারণ সবার সাথে মিলে মিশে নামাজ রোজা করলেই বরং জটিলতা কম। জটিলতা বাড়ে মুক্তমনায় লেখালিখি করলেও, তাই না 🙂 ? যারা এই বাধাগুলো ঠেলে সামনে এগিয়েছেন, তারা কিন্তু এই জটিলতা ডিঙ্গিয়েই। না হলে সমাজ আগাবে কিভাবে?
@অভিজিৎ
মানুষের পারিবারিক জ়ীবনের গুরুত্ব অসীম। একটি সূস্থ পারিবার ছাড়া মানুষ বাচতে পারে না। আবার পরিবার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কেউ অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে যাবে এটাও কোন যুক্তির কথা নয়।
পশ্চীমা বিশ্বেই শুধু নয়, আমাদের দেশেও আজকাল ডিভোর্সের হার অনেক বেশী বলেই মনে হয়। আজকাল কারো ডিভোর্স হচ্ছে এমন খবরে কেউ তেমন চমকায় না। ২০ বছর আগেও এমন খবর ছিল অনেকটা সামাজিক বিপ্লবের মত। আমাদের দেশেও কারন একই, মেয়েরা আজকাল অনেক বেশী স্বাবলম্বী।
আজকাল প্রায়ই এখানে সেখানে পড়ি যে দেশে নাকি লিভ টূগেদার কালচারও জনপ্রিয় হচ্ছে।
তবে আমি এখনো মনে করি না যে এতে আশংকিত হবার খুব বেশী কিছু আছে। পুরুষেররা যখন দেখবে যে মেয়েদের আর আগের মত অত্যাচার অনাচার পেটের তাগিদে ত মুখ বুজে সইতে হচ্ছে না, তাহলে তারাও সোজা হবে। সূস্থ পরিবার কিছু সময় পরে আবার শক্ত হবে। কিছু সময় হয়ত ডিভোর্সের হার বেড়ে যাবে, তবে তার দরকারও আছে।
@অভিজিৎদা, আসলে আমি আপনার সাথে একমত। বর্তমানে আমেরিকানরা যদি অসুখী হত(দেশে আমাদেরকে আমেরিকানদের যে কাহিনী শোনানো হয়, তাতে তো মনে হয় জাপান থেকে আমেরিকাতেই আত্মহত্যার হার বেশি হওয়া উচিত!) তাহলে তারা অবশ্যই রেমেডি খুজত। সমাজে ডিঅরগানাইজেশন বাড়তে থাকলে তো সমাজ যেভাবেই হোক একটা সমাধান চাইবে। তবে যখন সন্তানের প্রশ্ন আসে তখনই দ্বিধায় পড়ে যাই।
আসলে জটিলতা বলতে আমি প্রাকৃতিক জটিলতাই বুঝিয়েছি, ধর্মীয়-রেসিয়াল জটিলতা তো মানবসৃষ্ট। আমি যতদূর জানি, শিশুর সুস্থ মানসিক বিবর্তনের জন্য তার জীবনে প্যারেনটাল ফিগারের প্রয়োজন, পরিবার(মা আর ছেলে মিলেও একটা পরিবার গঠণ করতে পারে তবে আমি একটা গতানুগতিক একক পরিবারই বুঝাচ্ছি) এই প্রয়োজনটা ভালভাবেই মেটাতে পারে। তবে আমার যেটা জানা দরকার সেটা হল, সিঙ্গেল বাবা/মায়ের যত্নে যে সন্তান বড় হয় আর বাবা-মা দু’জনেরই যত্নে যে সন্তান বড় হয় তাদের মধ্যে কি কোন মনস্তাত্বিক পার্থক্য থাকে? যদি নাই থাকে তাহলে তো পরিবার ভাঙ্গা-গড়া দিয়ে কিছু যায় আসে না, ডিভো্র্সের কারণে সন্তান যে শক পায় সেটা প্রায় পুরোটাই সংস্কৃতি নির্ভর আর আমার মনে হয় পশ্চিমা বিশ্বের ছেলে-মেয়েদের কাছে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
ধন্যবাদ, অভিজিত এবং আদিলকে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আমি সকালে উঠে পৃথিবী আর আতিকের উত্তরগুলো দেখে বুঝতে পারছিলাম না, কম কথায় কিভাবে এর উত্তর দেব। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি অনেক কিছু বলতে পারি, কিন্তু ব্যাক্তিগত ব্যপার নিয়ে পাবলিক ফোরামে আলোচনা করাটা আমার নিতান্তই অপছন্দ দেখে আপাতত আর সেদিকে যাচ্ছি না। পাশ্চাত্যের ‘ভোগবাদ’ নিয়ে আমাদের দেশে যেরকম স্টেরিওটাইপিং আছে সেগুলোর অনেক কিছুই আসলে শুধু ভুলই নয়, হাস্যকরও বটে। আমরা আসলে ভুলে যাই পাশ্চাত্যের বেশীরভাগ মানুষই আসলে বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফেট নয়, এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আসলে মধ্যবিত্ত ( যদিও আমাদের দেশের মধ্যবিত্তের সাথে তুলনা হয় না) এবং তারাও আসলে তাদের স্ট্যন্ডার্ড অনুযায়ী সাধারণ জীবন যাপন করে। একজন মা বা বাবা শুধু ‘ভোগবাদ’ এর কারণেই একদিন সকালে উঠে, ‘হ্যা আমি আজকে ডিভোর্স করবো’ বলে চলে যায় না। ডিভোর্সকে আসলে মৃত্যর পর অন্যতম বড় ‘ট্রমা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডিভোর্সের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যারা গেছেন, বিশেষ করে বাচ্চাসহ যে দম্পতিরা এর মধ্যে দিয়ে গেছেন তারা সবাই বোঝেন এর অর্থ কি। জীবন ওলোটপালোট করে দেওয়া খুব অল্প কয়েকটা ব্যাপারের মধ্যে এটা একটা।
এ তো গেল মানসিক ব্যাপারটা। এবার আসি অর্থনৈতিক দিকটাতে। যারা এই ভোগবাদের কথা বলেন তারা কি ভেবে দেখেছেন পাশ্চাত্যের ভোগের ব্যাপারটা তো আরও প্রায় ২-৩ শতাব্দী আগে থেকেই চলে আসছে ( সেই উপনিবেশ স্থাপনের সময় থেকেই) , হঠাৎ করে বিংশ শতাব্দীতে এসে ডিভোর্সের সংখ্যা এত বাড়তে শুরু করলো? ভিক্টোরিয়ান যুগে তো সম্পদের অভাব ছিল না পাশ্চাত্যের, তাহলে তখন এসব দেখা যায়নি কেন? এর সাথে যে আসলে যে, মেয়েদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারটা জড়িত তা কি একবারও মাথায় এসেছে? মেয়েরা এতদিন যেভাবেই হোক সংসার টিকিয়ে রেখেছে, কারণ একা একটা মেয়ের সামাজিক কোন স্বীকৃতি ছিল না। আজও আমাদের দেশে একা একটা মেয়েকে বাসা ভাড়া দিতে আপত্তি জানায় বাড়িওয়ালারা। আমাদের দেশে এখনও একজন ডিভোর্সড মা, সে যত বড় চাকরিই করুক না কেন, তার বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলে বলা হয় বাপকে নিয়ে না আসলে ভর্তি করা যাবে না। বাংলাদেশে হাজার হাজার দম্পতি শুধুমাত্র বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে নরকের মত সংসারে থেকে যায়। আমা্র খুব কাছের একজন মানুষ , নিজে প্রতিষ্ঠিত একজন অধ্যাপক হয়েও, স্বামীর ঘর ত্যাগ করতে পারেননি এই ভেবে যে ডিভোর্স হলে তার মেয়ের হয়তো বিয়ে হবে না। ভাবুন তো, এই মহিলাগুলোই ( এমনকি পুরুষেরাও) কি এভাবে বিষাক্ত দাম্পত্য জীবনে থেকে যেত যদি সামাজিক বাঁধাগুলো না থাকতো?
এবার আসি বাচ্চাদের উপরে ডিভোর্সের প্রভাবের প্রসঙ্গে। কয়েকভাবে এটার উত্তর দেওয়া যেতে পারে। প্রথমতঃ সাইকোলজিকালি এটা মোটামুটিভাবে আজকে প্রমাণিত যে, বাবা মায়ের মধ্যে সবসময় অসুখী এবং সংঘাতময় সম্পর্ক দেখে বড় হওয়ার থেকে সুখী একজন অভিভাবকের কাছে বড় হওয়াটা বাচ্চাদের উপর অনেক ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। অবশ্যই বাবা মা দুজন মিলে বাচ্চার লালন পালন করতে পারলে সেটা সবচেয়ে ভালো সমাধান, কিন্তু যেখানে সমস্যা দেখা দেয়, আর কিছুই কাজ করে না, সেখানে বাবা মার বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত স্বাধীনতা সামাজিকভাবে থাকা উচিত। এর ফলাফল বাচ্চাদের জন্য ভালো বই খারাপ হয় না।
আবার অন্যভাবে জিজ্ঞেস করি প্রশ্নটা, আমরা যে এত বাবা মা বাচ্চাসহ একটা ট্রেডিশানাল পরিবারের মূল্যবোধের কথা ভেবে অস্থির হয়ে যাচ্ছি, একবিংশ শতাব্দীতে বসে পরিবার বলতে কি শুধু এই বোঝায়? তাহলে নীচের পরিবারগুলোর কথা ভাবুন, আজকের উন্নত বিশ্বে কিন্তু এদের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়ঃ
– সমকামী দম্পতিদের পরিবার,
– বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে সন্তান হওয়ানো পরিবার
– মেয়েদের কোনদিন বিয়ে না করে আর্টিফিসিয়াল উপায়ে বাচ্চা হওয়ানো পরিবার
– সিঙ্গেল প্যারেন্টের পরিবার
– বাচ্চা দত্তক নেওয়া পরিবার… ইত্যাদি
আমার মেয়ের স্কুলে অর্ধেকের বেশী ছেলেমেয়ে এই ধরণের পরিবার থেকে আসে। এদের সবাই কি অসুখী, নাকি মানসিক সমস্যায় ভোগে? তাহলে তো পাশ্চাত্যের সমাজব্যাবস্থা এতদিনে ভেঙ্গে পড়ার কথা ছিল। নাকি এদেরকে আমরা পরিবার বলে স্বীকৃতি দিব না? আরেকটা বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি ফেরাতে বলবো, আমাদের দেশেই নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া শহুরে পরিবারগুলো দেখেছেন? এদের মধ্যে কিন্তু বিয়ে ভাঙ্গে অনেক বেশী, তাহলে এই এক বাবা-মা-সন্তানের পরিবার কি শুধু মধ্যবিত্তদের জন্যই এত প্রয়োজন? আজকাল কিন্তু আমাদের দেশেও মধ্যবিত্তের মধ্যেও ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আমাদের জেনারেশনেই বহু ডিভোর্স দেখা যাচ্ছে, যা আগে দেখা যেত না।
আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আজকে এখানেই থামতে হচ্ছে। খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছি, এর চেয়ে বেশী কিছু লিখতে হলে অন্যান্য অনেক মন্তব্যের মতই এটাও আর পোষ্ট করা হবে না।
এই লেখাটির লেখক একাকে এখনও এ বিষয়ে কিছু বলতে শুনলাম না। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য শুনলে ভালো লাগতো
@বন্যা আহমেদ, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ব্যাখ্যার জন্য।
@অভিজিৎ,
আভিজিতের কথ গুলো খুবই সত্য। বাংলাদেশের পত্র পত্রিকায় পাশ্চাত্যের মেয়েদের এবং পরিবার জীবন সম্পর্কে নিতান্তই ভূল এবং একপেশে চিত্র পরিবেশন করা হয়। যেহেতু এখানকার নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়াবার পূর্ণ অধিকার ও ক্কমতা আছে, তাই একটা বিবাহ যা অকেজো হয়ে যাচ্ছে সেটা থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়।
বাংলাদেশী একজন মহিলা চিকিৎসক আমাকে একবার বলেছিলেন, বাঙ্গালী মেয়েরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হতে পারলে, বাংলাদেশের ৯০% বিবাহই বিচ্ছেদে শেষ হবে। ঊনি ছিলেন মেয়েদের আসুখের ডাক্তার। তাই ঊনার কথা গূলো ফেলে দেবার নয়।
@আবুল কাশেম,
খুবই সত্য কথা।
শুনেছি যে মধ্যপ্রাচ্যীয় দেশগুলিতে উচ্চ দেন মোহরের টাকার জন্য অনেক পুরুষ্র বিয়ে করতে অনেক দেরী হয় টাকা জমানোর জন্য। তাদের ব্যাবস্থা যতটুকু জানি তাতে মনে হয় এঈ দেন মোহরের টাকা বিয়ের সময়ই অগ্রীম পরিশোধ করতে হয়। আমাদের মত তালাক হলেই উশুল পরিশোধ করতে হয় তেমন নয়।
এখন প্রশ্ন, এই নগদ অর্থ বিয়ের সময় পায় কে? মেয়ে নিজে, নাকি তার পরিবার মানে বাবা/ভাই এরা?
লেখিকাকে পরিশেষে বানানের প্রতি একটু যত্নবান হতে পরামর্শ দেব। আমি নিজেই যদিও বানানে ভয়াবহ। অভিজিত/বন্যা গং ইতোমধ্যে প্রমান করে দিয়েছে যে আমাকে ক্লাস ফাইভ থেকে বাংলা ব্যাকরন ক্লাস কেঁচে গন্ডুষ করতে হবে।
দুয়েকটি উদাহরন দিচ্ছিঃ
বিশেষঃত এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে বিভিন্য
নারিদের অবস্থান
যত টুকু
এ ছাড়াও বেশ কিছু যায়গায় মনে হয় বাংলা ফন্ট ঘটিত সমস্যা হয়েছে।
@ আকাশ মালিক আপনার বক্তব্য আমার লেখাকে আরো সমৃদ্ধি করল বিশেষ করে –
”
এই বক্তব্য আমাকে লেখায় আরো উৎসাহিত করল। আপনাকে ধন্যাবাদ ।
@ আবুল কাশেম , আপনার মন্তব্য আমার লেখাকে মনে হয় আরো উজ্জিবিত করে দিল ।
একটু আলোচনা করা যাক ।
দৃশ্যতঃ মনে হয় আধুনীক যুগের “group sex’ এর চলন কি তাহলে এই মহামানবের দ্বারাই
সুত্রপাত হয়? নিজের মনের চরিত্রহীনতাকে আঈন দ্বারা সিদ্ধ করার জন্যে “বিবাহ ” নামক পতিতা বৃত্তির এমন চমৎকার উধারন বোধ করি বিরল ।
হুমায়ুন আজাদের “নারী” গ্রন্থে এঙ্গেলসের পরিবার চিন্তার কথা পড়েছিলাম। আমার কাছে সেটা খুব বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। রাষ্ট্রকে অনেক দিকে চোখ রাখতে, অনেক ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে শিশুদের সামাজিকীকরণের দায়িত্ব(যার সিংহভাগ পরিবার পালন করে) নেওয়া অসম্ভব বলেই মনে করি। পরিবার প্রথা এতদিন ধরে নারীকে দমনের নিমিত্তে ব্যবহৃত হলেও আমি মনে করি একে উচ্ছেদ করা কোন সমাধান না। সিস্টেমের ভেতরে থেকেই সিস্টেমের পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
একার এই লেখাটি বেশ চিন্তার কারণ। সব ধর্মেই বিবাহটা দেখা হয়েছে পুরষের দিক থেকে। ইসলামেও এর ব্যতিক্রম নেই। গভীর ভাবে ইসলাম জানলে বোঝা যায় যে ইসলামী দেনমোহর টা আসলে নারীর যৌনাঙ্গ কেনার মূল্য। এ ব্যাপারে আমি দীর্ঘ লিখেছি ‘ইসলামে কাম ও কাম কেলী’ এবং ‘Women in Islam’ বই দুটিতে। এই বই দুটি মুক্তমনায় আছে। তবে দু’একটি উদাহরণ এখানে দিলাম।
হেদায়া (হানাফী আইন বই, পৃ:৪৪)
Full dower is the payment for the delivery of woman’s person, Booza, meaning Genitalia arvum Mulieris.
The wife entitled to her whole dower upon the consummation of the marriage or the death of the husband.—If a person specify a dower of ten or more Dirms, and should afterwards consummate his marriage, or be removed by death, his wife, in either case, has a claim to the whole of the dower specified, because, by consummation, the delivery of the return for the dower, namely the Booza, or woman’s person,* is established, and therein is confirmed the right to the consideration, namely, the dower; and, on the other hand, by the decease of the husband the marriage is rendered complete by its completion, and consequently is so with respect to all its effects.
(* Literally, Genitale arvum Mulieris)
সাহি বুখারি, ভলুম ৭, বুক ৬৩, হাদিস ২৬২
Narrated Ibn ‘Umar:
The Prophet said to those who were involved in a case of Lian, “Your accounts are with Allah. One of you two is a liar. You (husband) have right on her (wife).” The husband said, “My money, O Allah’s Apostle!” The Prophet said, “You are not entitled to take back any money. If you have told the truth, the Mahr that you paid, was for having sexual relations with her lawfully; and if you are a liar, then you are less entitled to get it back.”
কাজেই আমরা দেখি যে ইসলামি বিবাহ প্রথা সত্যিই একটা আল্লাহ্ অনুমোদিত বেশ্যাবৃত্তি ব্যতীত আর কিছুই নয়। শুধু তফাৎটা এই যে একজন বাজারের গনিকা তার যৌনাঙ্গের পূর্ণ মালিক; সে তার ঔ অঙ্গটি নিজের ইচ্ছামত যাকে খুশী ভাড়া দিতে অথবা বিক্রি করতে পারে। কিন্তু ইসলামী বিবাহে স্ত্রীর নিজের দেহের উপর তার সেই স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সবচাইতে অন্যায় যেটা তা হচ্ছে একজন স্ত্রী তার স্বামীর যৌনাঙ্গের মালিক নয়। একজন স্বামী তার স্ত্রীর দেহের পূর্ণ মালিক, আপাদ-মস্তক পর্যন্ত। কিন্তু স্ত্রী তার স্বামীর দেহের এক কণারও মালিক নয়। হেদায়া পড়ে দেখুন: ওখানে পরিষ্কার ভাবে তাই ই লেখা আছে।
আমার মনে হয় এ একা যা লিখেছে তা হাড়ে হাড়ে সত্যি।
বিজয়ের প্রতি- আপনি তো বিয়ে না করার পণ হয়তো করেছেন। কিন্তু যারা বিয়ে করেছেন তাদের প্রতি কি উপদেশ আপনার? আমি তো ভাই সেই কবেই বিয়ে করে অভিনয়ের মত ঘর সংসার করছি। আমাকে আপনি কিছু পরামর্শ দিতে পারেন কি? আপনিই বা আর কত দিন বিয়ে না করে থাকবেন?
আশিকুর রাহমান । বিজয় ।এবং ভবঘুরে আপনাদের ধন্যাবাদ কিন্তু @ বিজয় একী ! 🙁 তাই বলে
বিয়েই করবেন না তাকি হয় ? আপনাদের মত উচ্চ-মানষিকতার মানুষ ই তো বিয়ে করে নারীকে প্রকৃ্ত
মর্যাদা দিতে পারবেন। এ খবরটা শুনে আশাহত হলাম। আপনার বিবাহের নেমতন্নের অপেক্ষায় থাকলাম।
@ ভবগুরে আপনার কথায় ,
দুর্দান্ত বলেছেন । এর কোনো বিকল্প নেই। যদি নাকি নারী মর্যাদা না পায় সে ক্ষেত্রে ।
@ আশিকুর রহমান আমি আরো লেখা দেবার চেষ্টা করে যাবো । 🙂
বিজ্ঞান যখন সেই পর্যায়ে পৌছাবে যে ল্যাবরেটরিতে শিশু জন্মানো যাবে. তাদের লালন পালন করার জন্য থাকবে শিশু পরিচর্যা হোম রাষ্ট্রিয় পরিচালনায়, আমার মনে হয় তার আগ পর্যন্ত নারীরা পুরুষদের সমান মর্যাদা ,অধিকার ও স্বাধীনতা পাবে না। বিবাহিত নারী মূলতঃ সন্তান ধারন ও লালন পালন এর পর্যায় থেকেই পুরুষদের সম পর্যায়ের মর্যাদা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।
নারীদের ঊচিত বিয়ে না করা কেননা প্রাচীন কালে বিয়ের সুত্রপাত এক নারীকে নিয়ে সবার টানাটানি বন্ধ করার জন্য । নারীরা বিয়ে না করলেই তো ল্যাটা চুকে যায় । আমি পুরুষ হয়েও এব্যপারে নারীদের উৎসাহ দিতে নিজে পর্যন্ত বিয়ে করিনি।
@বিজয়,
নারীর বাজারমূল্য ও কোয়ালিটি বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণের অপর নাম মোহরানা। মোহরানার বিবর্তিত রূপের নাম কাবিন, শেষ পরিণতিতে নারীকে ওজন করা হয় যৌতুকের পাল্লায়।
ভালই করেছেন, পৃথিবী আরো এক পা সামনে আগালো। একদিন পৃথিবীতে বিবাহিত দম্পতি সংখ্যার চেয়ে লিভিং টুগেদারদের (বাংলা কি হবে?) সংখ্যা বাড়বে, আর বিবির্তন পরিবর্তনের পথ ধরে বিবাহপ্রথা বিলীন হয়ে যাবে। জীবজগতে বিবাহ প্রথা নেই, মানুষের মাঝেও ছিলনা। মানুষ পরে তা সৃষ্টি করেছে, আর যা সৃষ্ট হয় তার মৃত্যু অনিবার্য।
তথ্যবহুল একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্যে একাকে ধন্যবাদ। :yes:
@আকাশ মালিক,
আচ্ছা, বাংলায় এই প্রথা কে ‘সঙ্গী বাস’ বলা যায় না? সহবাস শব্দটি তো আগে ভাগেই ‘বিবাহের’ সাথে জড়িত। সহবাস মানে তো যৌন সঙ্গম—কিন্তু ‘সহবাস’ -এর পরিস্কার বাংলা তো তা নয়।
তাই বোঝা যাচ্ছে বাঙ্গালী সমাজে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করা একেবারেই নিষিদ্ধ। ভাবটা এই রকম যে পুরুষ অথবা নারী কারোই যৌনাঙ্গ নেই এবং তাদের যৌন তৃষ্ণাও নেই। শুধুমাত্র বিবাহের রাত্রে পুরুষ এবং নারী তাদের স্ব-স্ব যৌনাঙ্গ আবিষ্কার করে এবং ঐ রাত্রেই তারা শিখে কি করে ঐ যন্ত্র ব্যাবহার করতে হয়। এর চাইতে বড় ধাপ্পাবাজী আর কি হতে পারে?
@আবুল কাশেম,
তাই বোঝা যাচ্ছে বাঙ্গালী সমাজে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করা একেবারেই নিষিদ্ধ। ভাবটা এই রকম যে পুরুষ অথবা নারী কারোই যৌনাঙ্গ নেই এবং তাদের যৌন তৃষ্ণাও নেই। শুধুমাত্র বিবাহের রাত্রে পুরুষ এবং নারী তাদের স্ব-স্ব যৌনাঙ্গ আবিষ্কার করে এবং ঐ রাত্রেই তারা শিখে কি করে ঐ যন্ত্র ব্যাবহার করতে হয়। এর চাইতে বড় ধাপ্পাবাজী আর কি হতে পারে?
:yes:
বিজয় ভাই ফাও খাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি?
কারন নারী রা বিয়ে না করলেই তো আর কোনো বাধা রইলো না। যখন তখন যে কোনো যায়গায় সহজে ভোগ করা যাবে, , , ,
নাকি বলেন।
অসহ্য সত্য। :-Y :-Y :-Y
আপনার কাছ থেকে আরও লেখা পাবার আশায় রইলাম।