পাকিস্তান এছলামী ছাত্রসংঘ পৃথিবীতে হিন্দুস্তানের কোনো মানচিত্র স্বীকার করে না। এছলামী ছাত্র সংঘ ও আলবদর বাহিনীর কাফেলা দিল্লীতে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সংঘের একটি কর্মীও বিশ্রাম গ্রহণ করিবে না। : আলী আহসান মুদাম্মাদ মুজাহিদ, দৈনিক আজাদ, ৮ নভেম্বর ১৯৭১।…
এক
১৯৯১ সালে গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকী তার বীর উত্তম খেতাব বর্জন করেন। এক-এগারোর পরে ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করলে ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের এই নেতা নির্বাচন কমিশনকে প্রথম প্রস্তাব দেন, নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের যেনো অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এরপর পরই জামাত নেতা, ঘাতক মুজাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে নাকি কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই!
মুজাহিদের এই উদ্ধত্ত্বপূর্ণ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় পুরো দেশ। পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেই, সে সময় গণমাধ্যম জুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিলো–যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, যা এতো দীর্ঘ সময় ধরে, জোড়ালোভাবে কখনো আলোচিত হয়নি।
এরপর ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারীরা ‘সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরামের’ ব্যানারে সংগঠিত হন। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর গঠিত এই সংগঠনটি দাবি তোলেন, সে সময়ের ‘সেনা সমর্থিত অস্বাভাবিক সরকারের’ কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখিন করার এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের যেনো অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ৫০ জন যুদ্ধাপরাধীর খসড়া তালিকাও প্রকাশ করে।
পরে ছোট্ট এই সংগঠনটি সারাদেশে অসংখ্য মতবিনিময় সভাতেও তোলে একই দাবি। আর তারা সারাদেশ থেকেই শিক্ষিত সমাজের মধ্যে পেতে থাকেন ব্যাপক সাড়া।
এর কারণ সম্ভবত এই যে, সে সময় দুর্নীতি বিরোধী ধর-পাকড়ে জে. মইন-ফখরুদ্দীনের সরকারের কাছে মানুষ আশা করেছিলো, দল-নিরপেক্ষ (?) বন্দুকবাজ সরকারটিই হয়তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সক্ষম, যা নানা হিসেব-নিকেশে শেষ পর্যন্ত দল সমর্থিত সরকার না-ও করতে পারে।
এরপর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ছাড়বেন–এমন নির্বাচনী প্রচারণায় বারংবার অঙ্গীকার দিয়ে ভোটে জয় লাভ করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এই অঙ্গিকারটিকে জোরালোভাবে সমর্থন দিয়েছে নতুন ভোটাররা, তারাই গত নির্বাচনের ফলাফলে রেখেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বিএনপি-জামাতকে হারাতে হয়েছে অসংখ্য নিশ্চিত আসন, ভোটবাজীর লড়াইয়ে তাদের পরাজয় নিশ্চিত হয়।
দুই
গত বছর তিনেকের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বর্তমান সরকার কতখানি এগুলেন, আসুন এবার তারই একটি সরল অংক কষি।
* গত বছর ৪ এপ্রিল আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ওই মাসেই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে। পরদিন তিনি এ সম্পর্কিত জাতিসংঘের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
* গত ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বছরের প্রথোমার্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হবে। তিনি আরো জানান, যুদ্ধাপরাধ বিচারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই প্রস্তুতি সর্ম্পকে মন্ত্রী কোনো তথ্য দেননি।
* যুদ্ধাপরাধ বিচারে সবার আগে যুদ্ধপরাধ তদন্ত প্রয়োজন– এ বিষয়ে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল-নির্মূল কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল একমত। এ জন্য সরকার কি কোনো তদন্ত কমিশন গঠন করেছে?
গত বছরের এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ‘২০ এপ্রিলের মধ্যে কমিশন গঠন হবে’ — এ কথা জানিয়ে জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিগগিরই তদন্ত শুরু করবো। কমিশনের সদস্য সংখ্যা পাঁচের বেশি হবে না।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০ এপ্রিল কমিশনের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং এ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।
পরে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্ধারিত সময় শেষে গত বছর ২১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিশন ও যুদ্ধপরাধ বিচার বিষয়ক কমিটি গঠনের কাজ পিছিয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী ইরান থেকে দেশে ফিরে আসার পর এই কাজে হাত দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার কমিশন ও কমিটি গঠন করতে পারছে না। আইনমন্ত্রী ফিরে আসার পর প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হবে।
২৪ এপ্রিল আইনমন্ত্রী দেশে ফেরেন। কিন্তু তারপরেও তদন্ত কমিশন আর গঠন হয়নি।
* যুদ্ধপরাধের বিচার নিয়ে গত বছর ১ জুন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তদন্ত কমিশন গঠন সম্পর্কে তিনি অবশ্য কিছু বলেননি। পরদিন তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনের পর কমিশন এবং এর আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হবে।
* অর্থাৎ যথেষ্ট পূর্ব-প্রস্তুতি ছাড়াই আইনমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীবর্গ গণমাধ্যমে দাবি করছেন, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য তৈরি।
বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে গত ১৪ ডিসেম্বরই আইনমন্ত্রী আবারো বলেন, প্রতীক্ষিত যুদ্ধপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে।
একই দিনই দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা যুদ্ধপরাধ বিচারে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি জানান।
ওই দিনই সাংস্কৃতিককর্মীদের দাবি প্রসঙ্গে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার বলেন, এই দাবি আমি সমর্থন করি। কিন্তু জানি না চলতি মাসে কমিশন গঠন হবে কি না।
* সেই তদন্ত কমিশন আর গঠিত হয়নি।
তিন
পাঠক, সরল অংকের দ্বিতীয় পর্বে যাই।
যুদ্ধাপরাধের বিচারে সরকার বরাবরই বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কথা বলছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাব্যুনালের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণেও সরকার উদার।
* গত বছর নভেম্বরে সরকার ১৪, আব্দুল গনি রোডে যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল বসায়। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি এই স্থান নিয়ে প্রথম আপত্তি তোলে। কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ওই কার্যালয়টি একটি আন্তর্জাতিকমানের ট্রাইব্যুনালের জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী এবং মামলার বাদী পক্ষ ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান সেখানে লংঘিত হতে পারে।
* ২১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনাল স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের জন্য স্থানটি যথেষ্ট সুপরিসর নয়। এটি স্থানান্তর করা হতে পারে।
* গত দুমাসেও সরকার যুদ্ধাপরাধ বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের স্থানই নির্ধারণ করেনি।
চার
গত ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের এক বছরপূর্তি হয়েছে। একেকটি মন্ত্রনালয় তাদের এক বছরের সাফল্য গাঁথা পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ওইদিন টেলিভিশনে জাতি উদ্দেশে দেওয়া লিখিত ভাষণে তার সরকারের সাফল্যের নানা দিক বিস্তারিত ব্যাখা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উচ্চারণ করেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে The International Crimes Tribunals (Amendment) Act, 2009 পাস হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রাথমিক স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। স্বল্পসময়ের মধ্যে বিচারের কার্যক্রম শুরু করা হবে ইনশাল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ জানুয়ারি সংসদে বলেছেন, বিএনপি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তো বটেই, এমন কি রাজাকারদের নাম ঢুকিয়েছিলো। আসলে দরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরির পাশাপাশি রাজকারদের তালিকবা তৈরি। বরং রাজাকারদের তালিকা তৈরি করাই বেশী জরুরি। …
পরিদন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ যুদ্ধারাধীদের বিচারে ‘সরকার প্রতিশ্রুতিব্ধ’ বলে আবারো ঘোষণা করেন।
সব শেষ এ বছর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য তদন্ত কমিশনার নিয়োগ, ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ নানা প্রক্রিয়া চলতি মার্চে শেষ হবে।
[লিংক]
পাঁচ
এইসব ঘটনাপরম্পরায় ১৬ কোটি জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-এর প্রশ্নে সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের আশায় এখনো বুক বেঁধে আছেন। তারা প্রতি ক্ষণ গনণা করছেন; আর ছোট্ট একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়ার ক্রাইম ট্রায়াল ওয়াচ-ও আছে এই নিবিড় পর্যবেক্ষণে।
জয় বাংলা ।।
—
ছবি: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ‘৭১ এর ঘাতক-দালাল নির্মূল জাতীয় কমিটির গোস্টার, অন্তর্জাল।
বিপ্লব রহমান
ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজে সহায়তার উদ্দেশ্য একটি কোয়ালিশন কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের মত মানুষদের সেখানে পেলে কাজ আরো সহজ হয়ে উঠবে। সম্প্রতি মুক্তমনাও এই কোয়ালিশনে যোগদান করেছে। আসুন সকলে মিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সচেষ্ট হই। এই কোয়ালিশন সম্পুর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (WCSF)
@স্বাধীন,
জয় হো ক ! :yes:
তুখোড় পোস্ট বিপ্লব দা ! যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ভকিঝকি করে বা বিচার চায় না, এরাও যুদ্ধাপরাধের সমান অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হোক।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2010/03/war_criminal_list_photo1_ranadipam_basu.jpg[/img]
(ছবিতে ক্লিক করে বড় করে দেখুন)
@রণদীপম বসু,
ওরে খাইছেরে ! যুদ্ধাপরাধীরা কি মুক্তমনার গোটা স্ক্রীনটাই গিলে ফেলবে নাকি !
ছবিটা এরকম ছড়িয়ে গেলো কেন !
হেল্প ! মুক্তমনা এডমিন ! ছবিটাকে সাইজ মতো এনে দিন !
@ রনো দা,
শাবাশ! :rotfl:
তালিকাটি আরো দীর্ঘ ও পূর্ণাঙ্গ হওয়া বাঞ্চনিয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকেই এই তালিকাটি তৈরি ও বিচার করতে হবে –এটি এখন গণদাবি, সময়ের দাবি।
—
আচ্ছা, মন্তব্যে ছবি (মাপমতো 😉 ) যোগ করে কী করে? অনুগ্রহ করে কেউ কী একটু সহজ ভাষায় বলবেন? :-X
@রণদীপম বসু,
ছবির আকার ঠিক করে দেয়া হয়েছে। কেউ যদি বড় ছবি দেখতে চান, তাহলে ছবিতে ক্লিক করে তা দেখতে পারবেন।
@বিপ্লব রহমান,
মন্তব্য করার টেক্সটবক্সের নীচে (স্মাইলীগুলোর নীচে) এই লেখাটা দেখতে পাবেন –
কমেন্টে ছবি পেস্ট করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
সেখান থেকে কমেন্টে ছবি পেস্ট করতে পারবেন। ‘এন্টার ইমেজ ইউআরএল’-এর জায়গায় ছবির লিঙ্ক দিলেই হবে।
@মুক্তমনা এডমিন,
:yes:
@রণদীপম বসু,
:yes:
@রণদীপম বসু, :yes: :yes: :yes:
@রণদীপম বসু,
রণ’দা কে ধন্যবাদ ছবিটা দেওয়ার জন্য। আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুঁরছে, সাহস করে বলেই ফেলি 🙁 । এই যে সাকা, গো-আ, মুজা দের এ রকম সুন্দর ছবি দিয়া কেউ পোষ্টার বানাইয়া লটাকাইয়া রাখছে হেদের তো কোনদিন প্রতিবাদ করতে শুনি না, কেন আমাগো ছবি লাগাইছেন বিনা অনুমতিতে। আমি হইলে তো এক দম কোর্টে মামলা করে দিতাম। 😎 সে দিন পত্রিকায় দেখলাম সালামান খান নাকি কোন ভক্তের ছবি বিনা অনুমিতেতে ব্যবহার করায় সেই ভক্ত কোর্টে মামলা করে দিছে। ভাবছিলাম হেরাও যদি কোর্টে যাইতো প্রতিকার চাইবার জন্য তাহলে তো কষ্ট করে আমাদের আর মামলা করণ লাগে না। এক কামে দুই কাম হইয়া যায়। :-/
এ রকম সিরিরিয়াস পোষ্টে হালকা মন্তব্যের জন্য লজ্জিত 🙁 ।
@বিপ্লব রহমান, @গীতা দাস, @আকাশ মালিক, @অভিজিৎ
@বিপ্লব রহমান -অাপনাকে ধন্যবাদ এ তথ্যবহুল লেখাটির জন্য। এর বহুল প্রচার চাচ্ছি।
সবাইকে ধন্যবাদ “রাজাকার তুই বাংলা ছাড়” এর মানে বোঝার জন্য। ৩৯ বছর পর
চাইতে হচেছ, এটাই তো লজ্জার।
– রাজাকারেরা এ দেশে পুরস্কৃত হয়েছে
– জাতীয় পতাকা বাহি গাড়িতে রাস্ট্রের নিরাপত্তায় , বাংলার মাটিতে ঘুড়ে বেড়িয়েছে
– অাওয়ামী লীগ স্বাথের্র্ জন্য ওদের বুকে জড়িয়ে ধরেছে
– জাহানারা ঈমাম ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে , অসমাপ্ত যুদ্ধে হেরে গেছে
– মুছে গেছে বহু ইতিহাস
তবুও রয়ে গেছে রাজাকার…………..অামার মত ৭৭ এ জন্মানো একজন অার কতদিন চাইবে বিচার?? অার কতদিন হায়নাদের সাথে অাপস করে বাচতে হবে। কতদিন ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়।
@Mufakharul Islam, একমত। পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার অনেক ধন্যবাদ। :yes:
ও হ্যাঁ আরেকটা বিষয়টা আপনার কাছে জানার ছিল। কাদের সিদ্দিকী কী সত্যি সত্যিই বীর উত্তম খেতাব বর্জন করেছিলেন? তিনি কী আর এই উপাধি ব্যবহার করেন না এখন? নাকি শুধুমাত্র স্ট্যান্টবাজি করেছিলেন সেই সময়?
গত বছর জামাতীদের টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি চ্যানলের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জামাতী নেতা মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ আরো জামাতী নেতাদের সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন কথাটা কী সত্যি?
@ফরিদ আহমেদ,
তাঁর কেক কাটার ছবিও আছে। আমি অবশ্য এ মুহুর্তে ছবি দিতে পারছি না।
@পৃথিবী, 😕
@ফরিদ আহমেদ,
কাদের সিদ্দিকী সেই সময় সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ওই খেতাব বর্জন করেছিলেন এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি এখনো কোথাও, কখনো খেতাবটি ব্যবহার করেন না। তবে গণমাধ্যমে অনেক সময়ই এখন দেখা যায়, তার নামের পাশে ওই খেতাবটি জুড়ে দিতে। ….
আপনার বাদবাকী তথ্যের বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে পারছি না। আবারও অনেক ধন্যবাদ। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
এখানে সেই ঐতিহাসিক কেক কাটার ছবিটা –
[img]http://www.dailynayadiganta.com/newsimg%5Cpicture_165656.jpg[/img]
ছবিটা নয়াদিগন্তে খুঁজে পেলেও খবরটা পাওয়া গেলো না। তবে অন্য একটি ব্লগে এনিয়ে লেখা আছে, দেখুন এখানে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদের সিদ্দিকীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও স্বাধীনতা উত্তর কাদের সিদ্দিকীকে এক দুর্বিনীত, উন্মাদ, দুঃশ্চরিত্র এবং সুবিধাবাদী ব্যক্তিত্ব ছাড়া আমার কাছে কিছুই মনে হয়নি। এতে কারো মনে দুঃখ লাগলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
ছি!!!!!!!!!!!!!
@রায়হান আবীর, ঐ। :brokenheart:
@অভিদা,
দুর্ধর্ষ কাদেরিয়া বাহিনীর চিকিৎসক হিসেবে আমার দাদুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যদিও মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র তিনি তোলেননি। মুক্তিযুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর অবদান অনন্য সাধারণ। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। ৬০ এর দুর্বার ছাত্রনেতা আর আজকের তোফায়েল আহমেদ কি একই মানুষ? মেজর ডালিমের মত হায়েনাও মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মধ্বজী ,স্বৈরতন্ত্রী জিয়াও মুক্তিযোদ্ধা। তবে কি নির্মল সেনের কথাই সঠিক যে, মুক্তিযুদ্ধের সাথে আবেগ যতটা জড়িত ছিল, আদর্শ ততটা নয়? নইলে প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধারা কেন জঘন্য সব নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়বেন? রাজনীতি থেকে ভালো মানুষদের নির্বাসন ও কখনো স্বেচ্ছানির্বাসনই কি তবে দেশের এ অবস্থার জন্য দায়ী?
@আগন্তুক, খুব ভালো বলেছেন। রাজনীতিতে নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই। এমন কি চরিত্র বদল/দল বদল/ চরিত্রহীনতাতেও… :deadrose:
@অভিজিৎ দা, হুমম…এই তাহলে ঘটনা! ছিঃ… :brokenheart:
স্বাধীনতার মাসের জন্য দুর্দান্ত উপযোগী একটি লেখা। যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী শুধুমাত্র মার্চ মাসের দাবী নয়। বিপ্লব রহমানকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই বিষয়টিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন জাহানারা ইমাম। ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বার্ট্রান্ড রাসেলে একটি বেসরকারী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন। সেই ট্রাইব্যুনালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং উত্তর ভিয়েতনামে গুপ্তহত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জনসনের সরকারকে দায়ী করা হয়। এরই আদলে জাহানার ইমাম ১৯৯২ সালের ২৬শে মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে তোলেন গণ আদালত। সেখানে প্রতীকী বিচারকার্য সমাধা হয় গোলাম আযমসহ কুখ্যাত বেশ কিছু রাজাকারের। এই গণআদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশব্যাপী এক বিশাল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বিপ্লব রহমানের এই লেখায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই আন্দোলন এবং জাহানারা ইমামের অবদানকে খুঁজে পেলাম না আমি।
মহিয়সী এই মহিলা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন তখন তিনি মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। মৃত্যুকে সঙ্গী করে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন তিনি। বিএনপি-জামাত এবং ফ্রিডম পার্টিওয়ালাদের জঘন্য গালিগালাজ খেয়েছেন। বিএনপি সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেও থেকেছেন। তারপরেও তাকে ঠেকানো যায়নি। নির্মূল কমিটির জেলা বা থানা পর্যায়ের আয়োজিত যে কোন জনসভাতেই অংশ নিতেন তিনি। ফলে আন্দোলন হয়ে উঠেছিল দুরন্ত-দুর্বার। গণ আদালত গঠন করার অপরাধে তাকেসহ চব্বিশজনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ফেলে দেয় বিএনপি সরকার। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ মাথায় নিয়েই মারা যান তিনি।
মৃত্যকে শয্যাপার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও তিনি তার কর্তব্য কর্মে অবিচল ছিলেন। মৃত্যুর আগে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে শেষ চিঠি লিখে যান তিনি। সেই চিঠিতেও তিনি আশংকা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন এই বলে যে, এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুরস্ত পথ পাড়ি দিতে হবে। তার মৃত্যুর এতদিন পরেও দেখা যাচ্ছে যে তার কথাই সত্যি ছিল। জাহানারা ইমামের লেখা শেষ চিঠিটা এখানে তুলে দিলাম।
সহযোদ্ধা দেশবাসীগণ,
আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাইনি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন। আমি না থাকলেও আপনারা, আমার সন্তান সন্ততিরা – আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবে।
এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুরস্ত পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র ও যুবশক্তি, নারীসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মত বিশ্বস্ত আর কেউ নেই। জনগণই সকল শক্তির উৎস। তাই একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ’৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পণ করলাম। জয় আমাদের হবেই।
(যুদ্ধাপরাধীর বিচার: জাহানারা ইমামের চিঠি – আসিফ নজরুল, অন্যপ্রকাশ)
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার চমৎকার ও দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগলো। চলুক। :yes:
বিপ্লব রহমানের ব্যাখ্যার পর আর দ্বিমত করতে পারছি না। আমিও আপনার সাথে একমত।
@গীতা দাস,
শাবাশ! :rose:
বেশি কিছু বলার নাই,
সোজা কথায় বিচার চাই।
বাতাসে আজো লাশের গন্ধ ভাসে, মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্যের তান্ডব শুনি।
প্রয়োজনে আবার রাস্তায় নামতে হবে। সরকারগুলো খালি আমাদের ধোকাই দিয়ে যাচ্ছে, আর আমরাও জেনে শুনে বার বার ধোকা খাচ্ছি, খেতে বাধ্য হচ্ছি। এসব আর ভালো লাগে না।
লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগল, (আসলে কষ্টই পেলাম)।
@তানভী,
:yes:
@বিপ্লব রহমান,
সম্মিলিত উদ্যোগটাই আসল সেটা সবাই জানি, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে? একজন জাহানারা ইমাম কে আমরা হারিয়েছি। তার পর আর কেউ আসেনি। আমি রাস্তায় নামতে রাজি, কিন্তু সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা বা ব্যক্তিত্ব আমার নেই। আমি শুধুই একজন নেপথ্য কর্মী হবার যোগ্যতা রাখি। :-X
মরতেও রাজি। কিন্তু পথটা দেখাবে কে?
@তানভী,
:-/
@আশিকুর রহমান,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমার নীচের প্রতি-মন্তব্যটি পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই। :rose:
@তানভী,
পাঠ ও প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগলো। ঘন্টা বাঁধতে হবে কিন্তু সরকারকেই। জাহানারা ইমাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম বা নির্মূল কমিটিসহ অন্য ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন, জনমত তৈরি করতে পারেন বা সরকারকে চাপ দিতে পারেন, কিন্তু তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। অতএব মূল দায়িত্ব সরকারেরই। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
মূল দায়িত্ব সরকারেরই।
এক রাতে ৭০% ব্যবসায়ী এবং অশিক্ষিত সরকারকে তার দায়িত্ব বুঝানো যাবেনা, যেমন যাবেনা হুট করে কাংখিত সরকার গঠন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারকে আমাদের ক্রমাগত চাপে রাখতে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। একই সাথে দেশের মানুষকেও জানাতে হবে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে।
বুড়োগুলো এম্নিতেই মরে যাবে, কিন্তু আমাদের কর্তব্য হবে পুরনো সংস্কৃতির ভয়াবহতা আজকের প্রজন্মকে বুঝানো।
@আশিকুর রহমান,
এ ক ম ত । । :yes:
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার চেতনার দাবি, বাংলাদেশ নামক অস্তিত্বের প্রমান।
খুন হওয়া সেই শিশুর চিৎকার
ধর্ষিতা সেই মানুষটার কষ্ট
হতবাক ওই যুদ্ধশিশুর যন্ত্রনা
বুকে গ্রেনেড নিয়ে ট্যাঙ্ক এর নিচে লাফ দেয়া সেই নাম না জানা সেই বীরের আশার স্বাধীন বাংলার প্রমান এই বিচার।
সাধুবাদ জানাচ্ছি বিপ্লব রহমানকে আপনার অক্লান্ত পরিশ্রমের সংগ্রহ সবার জানার সুযোগ করে দেবার জন্য।
ধন্যবাদ
@আশিকুর রহমান,
:yes: :yes: :yes:
আমাদের শ্লোগান বরং এমন হতে পারে
”রাজাকার ইস্যুতে-
মানবতা মুছে ফ্যালো
টয়লেট টিস্যুতে।”
বিপ্লব ভাই কে ধন্যবাদ এমন একটা লেখা দেয়া দেয়ার জন্য যখন এ বিষয়টা প্রায় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
@পথিক, আরে এটি বেক্কল ছড়াকার ওরফে আখতার আহমেদের ছড়ড়া না? শাবাশ। :yes:
হুমম … ব্যাপারটা আগে সেভাবে ভাবিনি। কিন্তু বিপ্লবের মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝতে পারছি ওই রাজাকার বাংলা ছাড় – এই জাতীয় ধ্বণির মধ্যে চটকদার শ্লোগানের ছাপ যতটা আছে, সমস্যার মূলে ঢোকার প্রবণতা তেমনি ভাবে নেই। রাজাকারদের বিরুদ্ধে চটকদার শ্লোগান তো দেয়াই যায়, কিন্তু তার চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় – যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, দরকার একটি সম্মিলিত উদ্যোগের। এই ব্যাপারটাই জরুরী।
@অভিজিৎ দা,
চরম সহমত। আমি ঠিক এ কথাটিই বলতে চেয়েছি। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
:yes: :yes:
কথা ও স্লোগান বা পক্ষ-বিপক্ষ গত ৩৫ রে ৩৫ হাজার টনের থেকেও বেশী হয়েছে।এবার শুধু এক কথা ও সময়ের একমাত্র দাবী যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসিকাষ্টে দন্ডিত করা এবং ধর্মের নামে রাজনীতি বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ করা।আর এর জন্য আমরা যে যেখানে আছি শুধু সংঘবদ্ধ হয়ে সেখান থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর সর্বক্ষন চাপ ও বলয় সৃষ্টি করে সরকারকে বিচারের কাজ করতে বাধ্য করা।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
:yes: :yes:
বিপ্লব রহমান,
রাজাকার তুই বাংলা ছাড় মানে আক্ষরিক অর্থে চিহ্নিত কিছু রাজাকারের শুধু দেশ ছাড়া বুঝালেও ব্যঞ্জনাধর্মী অর্থে কিন্তু অনেক কিছু।
@গীতা দাস,
উহু…আমার তা মনে হয় না।
সেই ছাত্র অবস্থা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় একজন কর্মী হিসেবে জানি, এ সব ছোট ছোট আপাত নিরীহ ছন্দময় অসার কথা কিভাবে প্রধান ইস্যুটিকেই আড়াল করে ফেলে।
ছন্দের খাতিরেই একসময় দেশের প্রধান দল আওয়ামী লীগ এমন বর্ণবাদী শ্লোগানও দিয়েছে:
সাধারণ মানুষের ভেতর এক দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবটিও একবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ।
:guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
স হ ম ত ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন, অ্যাঁ!! 😛
@বিপ্লব রহমান,
আসলে রাজাকার,আল-বদর , আল-শামসরা বাংলা তো ছাড়েই নি বরং বাংলা কে সর্বান্তকরনে আষ্টেপিষ্টে আমাদের মেলিটারি শাসক, সামন্ত-বুর্জোয়া ও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের আশ্রয়-প্রশয়ে এখন এক দানব শক্তিতে পরিনত হয়েছে।আজ সময় হয়েছে একে চিরতরে স্বমূলে উপড়ে ফেলার।ধর্মের সাথে রাজনীতি কে নিষিদ্ধ করা এখন আমাদের জরুরী প্রধান কাজ। ধর্ম থাকবে ধর্মের জায়গায় আর রাজনীতি থাকবে মানুষের অধিকারের জায়গায়।রাজাকাররা বাংলা ছাড়ার তো প্রশ্ন ই উঠে না বরং এই বাংলার মাটিতেই ১৬ কোটি বাংগালির আজ একান্ত প্রানের দাবী এই মার্চ মাসেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষনা দেয়া।এটাই ছিল আসলে আমার প্রানের কথা।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ভ্রাতা,
আপনার পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
কিন্তু প্রাণের ওই দাবিটি মনে হয় না, খুব সহসাই পূরণ হবে। আ’লীগ সরকারের তো ১৮ মাসে বছর; আর কথামালার রাজনীতি তো আছেই। 🙁
বিপ্লব রহমান,
ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণটি চমৎকার। এক নজরে এতো তথ্য জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।
আপনাদের এমন নিবিড় পর্যবেক্ষণই সরকারের উপর এক ধরনের চাপ হিসেবে কাজ করবে।
লেখাটির বহুল প্রচারের জন্যে অন্যান্য ই- পত্রিকা ছাড়াও দৈনিক পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করুন।
মোফাখারুল ইসলাম , আপনার দেওয়া উদ্ধৃতিটি অতুলনীয়—
@গীতা দাস,
আপনার মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে-
এই আপ্তবাক্যটি অরাজনৈতিক ও অযৌক্তিক বলে আমার এতে আপত্তি আছে। আমরা এদেশেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলছি। :yes:
যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার ব্যপারটার মধ্যে কিন্তু অ নেক কিন্তু অাছে।
১. সরকারের সদিচ্ছা [হাড় মাংস খোজা বাদ দিয়া– বিচার??!!]
২. কেচ খুড়তে যদি ডাইনোসর বের হয়!!!!!!!!!!!!!
৩. ৩৯ বছরে কিন্থু অ নেক জল বয়ে গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দীকী অার এমপি কাদের সিদ্দীকী – অাকাশ পাতাল ফাড়াক।
৪. সরষের ভুত কিন্তু সরকারী দলে অাছে।
নিশুতী রাতে ডেকে উঠে মৃত সজনের হাড় ….. রাজাকার তুই বাংলা ছাড়
@Mufakharul Islam,
শেষ বাক্যে চরম দ্বিমত। রাজাকার-আল বদর-আল শামসসহ যুদ্ধাপরাধীদের বাংলা ছাড়র দাবি নয়, তাদের এদেশেই বিচারের কথা বলা হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@Mufakharul Islam,
না না, আর ছাড়া ছাড়ি নাই। নতুন রাজাকাররা রাজাকারী ছেড়ে মানুষ হয়ে এদেশেই থাক, নাহলে পুরাতন রাজাকার সহ-
:guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
@আকাশ মালিক,
হুমম…বিচারের পর যুদ্ধাপরাধীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার গুরুদায়িত্ব আপনাকেই দেওয়ার জন্য আদালতে একটি আগাম আপিল করতে হবে দেখছি! :lotpot: