ভালোবাসা জমাচ্ছি
আব্ধুল্লাহ-আল-মামুন
ভালোবাসা শব্দটার সাথে প্রথম যেদিন পরিচয় ঘটল,
সেদিন থেকে আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি।
ভালোবাসা জমাচ্ছি ই আর স্বপ্ন দেখছি।
আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি সেই অনাগত মানুষটির জন্য,
যার নিস্কলংক স্পর্শে, অঝোর ধারায় বূষ্টি নামবে,
চৈত্রের রোদে দগ্ধ হওয়া ভালোবাসার কাঙ্গাল,
আমার হ্র্দয় বেদীতে।
যার চুলের আড়ালে মুখ লুকিয়ে নিশ্চিন্তে কেটে যাবে রাত।
যার ভালোবাসা জড়ানো লাজুক দূর্ষ্টি কখনও ফিকে হবে না।
যার নুপুর পরা নিস্পাপ পা দুখানা দেখতে দেখতে,
ডানা মেলব স্বপ্নসুখের দেশে।
তার পরিপাটি করে বাঁধা চুলগুলোর মত,
আমার অগোছালো জীবনটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে গুছিয়ে দিবে,
আমাকে মিষ্টি শাষণে জীবন শেখাবে।
আমি সেই মায়াবী পরীর জন্য ভালোবাসা জমাচ্ছি।
চাঁদ যেমন সারাটা দিন ধরে রাতের জন্য ভালবাসা জমায়,
আর দিন শেষে সে শুভ্র ভালোবাসার নিস্পাপ অঞ্জলী,
উজাড় করে ঢেলে দেয় রাতের বুকে।
আমিও তেমনি ভালোবাসা জমায়, আমার সেই মানুষটির জন্যে।
যে আমাকে ভালোবেসে, তার ওড়না দিয়ে,
আমার ঘাম মুছিয়ে দিবে, আমাকে বাঁচতে শেখাবে।
মাটিকে ভালোবেসে মেঘপুঞ্জ তার জমানো পানি,
ঝম ঝম করে আছড়ে ফ্যালে মাটির বুকে।
আমি সেই মেঘমালার সাথে পাল্লা দিয়ে ভালোবাসা জমাচ্ছি।
মাটি জমে জমে পাহাড় হয়, মাটি চাঁদকে দেয়ার জন্যে
তার ভালোবাসা জমিয়ে জমিয়ে পাহাড় বানায়।
কিন্তু চাঁদ, সে তো বহু দূরে !
মাটি তার সবগুলো পাহাড় পর পর সাজিয়েও চাঁদের নাগাল পায় না!
আকাশ তারা জমায় দিনের জন্যে। তারা জমাতে জমাতে
আকাশের বুক ভরে যায় তবু সে দিনের দেখা পায় না,
পাবে কি করে বল! আকাশ যে দিন রাতের লুকোচুরিতে
দিকভ্রান্ত, সে যে অসম্ভবের জন্যে ভালোবাসা জমিয়েছে।
তাই তো মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই,অবুঝ মণটা
চিৎকার করে জানতে চাই, এত কষ্টে জমানো,
আজন্ম লালিত ভালোবাসা, এই ছোট্র জীবনে,
তাকে দিয়ে যেতে পারব তো !!
মেষ বালিকা
শ্যা ম ল সো ম
বাঁশিতে পহেল গাঁও আমার গাঁয়ের এক দেহাতি গানের সুর
বাজিয়ে পাহা ড়ি পথে পাকদ ন্ডি বেয়ে ঘুরতে ঘুরতে নেমে
আসছি আপন মনে, ডাক শুনে দূরে তাকিয়ে দেখি পাহা ড়ি
ছো ট নদীর ওপারে হাত নে ড়ে হাসতে হাসতে হাাতছানি
দিয়ে ডাকছে সাজনা; ওকে ওর ঐ কালো চোলি, লাল রঙের
ঘাগ ড়া, সোনালী ফিতে ল ম্বা চুলের বিনুনী, মাথায় নীল ওড়না,
পাকা গমের মতো ওর গায়ের রঙ, হাসলে গালে টোল পড়ে, এই-
-মেয়ের সাথে সাগাই হয়ে গেছে সামনের মাসে বাগিচার আপেল
বি ক্রি হয়ে গেলে, আমার আলো করে আসবে আমার সাজনা।
আমি ঝর্ণার পাশ দিয়ে, নদী টা পে ড়িয়ে,ছু টতে ছু টতে এসে
সাজনাকে কোলে তুলে নিয়ে শূণ্যে ভাসিয়ে লুফে আন ন্দে
মাতওয়ারা হয়েওকে নিয়ে ঘুরতে থাকলাম, সাজনা আমাকে
আঁকড়ে বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে আবেগে থর থর করে কাঁপছে।
লাল ঘাগ ড়া বিছিয়ে হাঁ টুর ওপর থুতনি রেখে, ব ড় ব ড় চোখে
পলক মেলে আমার দিকে চেয়ে আছে মেয়ে, আমিও অবাক
বি স্ময়ে ভাবছি মেহেরবানের কী অপরূপ সৃ ষ্ঠি ! আমি সাজনাকে
স্প র্শ করলাম, অবেশে চোখ বুজে আছে মেয়ে, চু ম্বন করলাম ওর চোখে,
ঘা ড়ে, কানের লতিতে, গালে রক্তি ম ঠোঁটে, সাজনা সা ড়া দিলো চু ম্বনে –
চু ম্বনে অস্থির হয়ে উ ঠল মেয়ে
পর স্পরের পোষাকে রেখেছি হাত, কাঁচুলির ফাঁস খুললাম, মেয়ে খুলে নিলো
আমার জোব্বা।
সবুজ নরম ঘাসে অ ল্প দূরে সাজনার মেষ গুলো চ ড়ছিল
বোধায় ল জ্জায় আর দূরে পালাল। এক পাশে প ড়ে রইলো-
লাল ঘাগ ড়া কালো কাঁচুলি ও ওড়না আর আমার জো ব্বা;
গাছের ছায়ায় আমরা দুজন, আদরে আলিঙ্গণে-উ ষ্ণতায়-
শিহরণে-শীতকারে-দংশন করে সেই মেয়ে, বুনো ঘো ড়ার সোয়ারী আমি।
মেহেরবানের কী মেহের বানী গত মাসে অজানা এক জনের গুলিতে-
নিহত আমার সাজনা; কবরে ফুল রেখে বলি, ” তুমি ভালো থেকো সাজনা।” pl read
যদি ভালো লাগলো তা ও বলতে পারিনা কারন আছে
দা..রু..ন.. :yes:
সুন্দর কবিতা। কিন্তু ভালোবাসা কি জমানো যায়?
(@অ্যাডমিন :নিজের প্রোফাইলের কমেন্ট ট্যাবে দেখলাম লেখা ৬৯. ভিতরে ঢুকে দেখি zH9luB kgeclbrxxtvr, [url=http://lgovybwkuqde.com/]lgovybwkuqde[/url], [link=http://kvfjqzgrafkj.com/]kvfjqzgrafkj[/link], http://qnebuxknpgar.com/ এই টাইপের অনেক কমেন্ট, এগুলোর ভিড়ে যেসব কমেন্ট পড়া দরকার সেগুলো পাওয়া ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে)