আগের পর্বগুলো এখানেঃ
প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব
দেশে যাওয়ার আগেই হানামি (চেরী ফুল দর্শন) চলে এলো। বসন্তের নাগাসাকি যে একটি অনবদ্য স্বর্গীয় পুস্পোদ্যান এ নিয়ে আমরা যারা সেখানে অতিথি তারা কেউ দ্বিমত করতে পারিনি। যেখানেই যাই, যেই বাড়িতে, যেই রাস্তায়, যেই উঠানে সর্বত্রই ফুলে ফুলে ছাওয়া। মানুষ কিভাবে যে এত পুস্প প্রেমিক হয় তা জাপানীজদের না দেখলে কেউ অনুমান করতে পারবে না। তাদের চাষযোগ্য ভূমি তেমন প্রতুল নয়, বাড়িগুলো আসলেই বেশ ছোট্ট। ঊঠানের বিলাসিতা দুই একজন ভাগ্যবান ছাড়া আর কারো নেই শহরের মধ্যে…তারপরও সিঁড়ির ধারে, বাড়িতে ঢোকার গেটের পাশে, রান্নাঘরের কার্নিশে এবং কোথায় নয়—কি যে মনোহর করে ফুলের গাছ লাগায় তারা, আমি মুগ্ধ হয়ে যাই! মুগ্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া আসলে আর কোন উপায় থাকে না আমাদের।
হানামি দেখতে যাওয়া মানে হলো সারাদিন সারারাত বাইরে থাকার প্রস্তুতি। বনভোজন ধরনের ব্যপার। যোগানদাতা কোকসাই কোরিও জুকু। মানে হলো সমস্ত বিদেশী ছাত্রছাত্রী আর তাদের আত্মীয় পরিজন আমন্ত্রিত। পট-লাক এই আয়োজনের সবথেকে মধুর বিষয়। পৃথিবীর নানান প্রান্তের রান্না, পানীয়ের সাক্ষাৎ মিলবে; যারা হাত দিয়ে খায়, তারা কয়-আঙুল ব্যবহার করে খায়-কিভাবে তার ব্যবহার হয় শেখানো হবে; কারা চামচে খায়, কারা আবার লাঠি দিয়ে খায়- যারা যারা লাঠি দিয়ে খায় তাদের কে একটি লাঠি আর কে দুইটি লাঠি দিয়ে খায় তার টেকনিক শেখা হবে। জাপানীজদের এই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ব্যব্পক আগ্রহ মাঝে মাঝে আমাকে ভীষণ আমোদিতো করতো। হাত দিয়ে ভাত খাওয়ার মতন বিষয় শিখতে তাদের কেউ কেউ সারাদিন সমান আগ্রহ নিয়ে প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছে…দেখতে বড়ই ফুর্তি লাগতো!
তাতে-ইয়ামা কোয়েন( তাতে নামক পর্বত এর বাগান) এ এসে আমরা সবাই নিজ ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে থাকি। সারা বাগানের হাজার খানেক গাছের সবগুলোই সাকুরা মানে চেরী গাছ। ঠিক এই সময়ে গাছে কোনো পাতা নেই, শাদা ফুলের ফাঁকে ফাঁকে একটুখানি নীল আকাশের চোরা চাউনি! সারা পাহাড় ঢেকে আছে ফুলে। শরৎকালের কাকভোরে যেমন শিউলীতলা শাদা হয়ে থাকে, ঠিক তেমন।তবে সেই সৌরভ নেই এখানে। এখানে এসে আমার ছোট্ট পাখির মতন উড়তে ইচ্ছে করে, ঘুড়ি ওড়ানোর বয়সে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে! হাতের কাছে যতগুলো ডাল পাওয়া যায়, আমি তাদের গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে শৈশবে পার করা শরৎকালের অসামান্য ভোরে চলে যাই!
আমি ইতিমধ্যে কিভাবে যেন বুঝে গেছি এই দলের সাথে যেখানেই যাই না কেন খুঁজে খুঁজে এরা আমার স্থান নির্ধারণ করে দেবে নিশ্চিত ভাবেই কোনো পাকিস্তানীর আশাপাশে, আর সেই পাকিস্তানীটি তাসনিম হবার খুবই সম্ভাবনা। যা কিছু এড়িয়ে চলতে চাই, আমি দেখেছি আমার পথের মাঝখানে, আমার আশেপাশে সবসময় তারই বিশেষ আনাগোনা। আর আমার চরিত্রের বিশেষ দুর্বল দিক হলো এড়িয়ে যেতে না পারা, ‘না’ বলতে না শেখা। এই দুইটি বিষয়ের জন্য আমার মাকে আমি দায়ী করি। সারাজীবন আত্মীয় পরিবেষ্টিত সংসারে আমাদের সবকিছুর সাথে মানিয়ে চলতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা নিজের একান্ত সংসারে বসে আজও তাই এই বিদ্যা নতুন করে আর শিখতে প্রবৃত্ত হইনি। সুতরাং, আমি ভাবলাম, আজ যদি এই মহিলাটি আমার পাশে এসে মাদুর বিছিয়ে বসে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ শুরু করে আমি কি করব। আমাকে দেখলে সে এইসব বিষয় নিয়ে নিজের অজান্তে( অথবা ইচ্ছে করেই) আমাকে আহত করে যায়; আর আমি বরাবরের মতই প্রবল ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে তিক্ততা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাই। আমি ভাবলাম, আজ আমি যা মনে আসে বলব-যদিও জানি এসব তর্ক করা মূ্খতা ছাড়া আর কিছু না। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মানুষের এতদিন ধরে পুষে আসা বিশ্বাসের ভীত সহজে নড়বার নয়। কিন্তু আমি কেন বলতে পারিনি যে আমি পৃথিবীর যাবতীয় সব পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি, এই ঘৃণা আমার ইচ্ছাকৃত নয়; এই ঘৃণা থেকে আমি আন্তরিক চেষ্টা করেও সরে দাঁড়াতে পারিনা। এই একটা প্রশ্নে এসে আমার মানবতাবোধ বাস্পের মতন হাওয়ার উড়ে যায়! এই ঘৃণার কারণ মনে হয় কোনো বাঙালীকে জিজ্ঞেস করা অবান্তর। যেদিন আমি তাসনিমকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম, আমার বর বলেছিল-‘আরেকটা পাকিস্তানী পৃথিবীতে আসতেছে-কেম্নে পারো?’ আমার মনে পড়ে যায় দিদিমার অন্ধ চোখ, আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাথায়- গলায় পাকিস্তানীদের বেয়োনেট চার্জের পরে কন্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাওয়া আমার দাদুর ঘরঘর করে কথা বলে যাবার চেষ্টার কথা, আমার কল্পনায় ভেসে আসে ধানক্ষেতের চারপাশে ফেলে রাখা আমার মামার চার টুকরো করা দেহ, আমি ভুলতে পারিনা আমার মামীর মুখটি, বিধবা হবার দিন যাকে স্বামীর মৃতদেহ ফেলে সীমান্ত পার হতে হয়েছে পায়ে হেঁটে- যার উদরে ৭ মাসের শিশু তখন আকুপাকু করে কেঁদেছে! আমার মনে পড়ে মাসের পর মাস মায়ের পেয়ারা বাগানের পাশ্ববর্তী ডোবার কচুরিপানার তলায় শরীর ডুবিয়ে বেঁচে থাকার, নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা। একাত্তর আমি দেখিনি, কিন্তু আমার সারা পরিবারের গায়ে কী ভীষণ ভাবে একাত্তর লেগে আছে! সুতরাং আমার বর যখন বলে,’কেম্নে পারো?’ আমি আধুনিক মানবতাবাদীর মতন জবাব দিতে পারিনা।
আমার অনুমান সত্য হয়, তাসনিম তার স্বামী আন্ওয়ার কে নিয়ে আসে। আমার বর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে-‘এইটা তো কয়দিন আগে আমাকে নামাজ পড়তে মসজিদে নিয়ে যাবার জন্য টানাটানি করছে! আমায় ডাকে -ব্রাদার! শালার পাকিস্তানী আমার ব্রাদার হয় কেম্নে!’ তাসনিম তার স্বামীকে আলাপ করিয়ে দিয়ে আমাদের দেশে যাবার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চায়। তারপর জানায় যে সে ও পাকিস্তান যাচছে। এখানে একা একা সন্তান জন্ম দেবার কথা সে ভাবতে পারে না। তাছাড়া আনোয়ার যে তাকে সাহায্য করবে, সেরকম মনোভাব বা অভিজ্ঞতা তার নেই।
সাকুরা ফুলে ছাওয়া তাতে-ইয়ামার নয়নাভিরামর দৃশ্য মনের মাঝে গেঁথে আমরা দেশে বেড়াতে আসি তার তিনদিন পর।
বংগবন্ধুর ৫ খুনীর ফাসী উপলক্ষ্যে একটি পাকিস্তানী কৌতূক উপভগ করুন। আমাদের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্যের প্রমান হাতেনাতে পাওয়া যাবে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=3avA-q4T5Ko
@Truthseeker,
আপনার দেয়া লিংক দুটোতে গিয়ে তবলা উপভোগ করলাম। অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ।
দুঃখিত। মনিকা আপা। রশিদ বানান ভূল করলাম।
মনিকা রশীদ এর লেখা এবং সমস্ত আলোচনা থেকে আমরা কিছু উপসংহার টানতে পারি।
১> সব পাকিস্থানীই পাকিস্থানী নয়। তাদের মধ্যেও কিছু কিছু মানুষ আছে। আমরা সেই কিছু কিছু মানুষকে ঘৃণা করিনা।
২> কিছু কিছু পাকিস্থানী বাংলাও জানেন। তারা দেখছি বাংলাই মন্তব্য করছেন। এটি একটি আশার কথা।
ফুয়াদ,
‘এই যে নাস্তিক সাইট গুলি দেখতেছেন, কিসের ক্ষমতায় তারা এত ক্ষমতাবান জানেন , শুধু মাত্র মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়েই তারা এত ক্ষমতাবান । এই আপনাদের মুর্খতার জন্য ই, বাংলাদেশে নাস্তিক গুস্টি রাইজ করার সুযোগ পাচ্ছে ।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তা আপনি হঠাত করে নাস্তিক আস্তিক প্রসংগ নিয়ে আসলেন। আপনার উপরের করা চরম বিদ্বেষ মুলক মন্তব্যটি পড়ে আমি বাকরুদ্ধ। আপনার মন্তব্যের জবাব দিতেও চরম অনীহা বোধ করছি। তাও শেষ পর্যন্ত না দিয়ে পারলাম না। আপনার মন্তব্য থেকেই পরিস্কার যে আপনারা আস্তিক মুসলমানরা কি পরিমান নিচু মন নিয়ে বেচে আছেন, কি পরিমান বিদ্বষে ভাবাপন্ন আপনারা। আপনার উপরের কথাই প্রমান করে কি পরিমান জিহাদী জোস আপনার মধ্যে বিদ্যমান। আপনার উপরের কথাই সাফ সাফ বুঝিয়ে দেয় আস্তিকতা আপনাকে কি শিখিয়েছে।
আপনার কথার উত্তর দিতেও আমার রুচিতে বাধছে। শুধু এটুকু ভেবে সস্তি পাচ্ছি যে, আস্তিকতা আপনার মত আমাকে, আমার মনুষত্বকে ধ্বংস করতে পারেনি।
তাওসিফ সাহেব ধীরে ধীরে তার টিপিক্যাল পাকিস্তানী মানসিকতা প্রকাশ করা শুরু করেছে। মুক্তমনায় ‘তাওসিফ বিহারী’র অতীত ইতিহাস জানার পরেও তার গোটা কয়েক মন্তব্য পড়ে আমি ভেবে নিয়েছিলাম যে উনার হয়তো অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছেন। কিন্তু না। দেখা যাচ্ছে উনি তার পাকিস্তানী মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি এখনো। রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র উনাকে যেভাবে শিখিয়েছে তার বাইরে চিন্তা করতে উনি অক্ষম বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে। এটা শুধুমাত্র তাওসিফ সাহেবের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে প্রায় সব পাকিস্তানীর জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।
যারা আমার এই কথাকে সাধারণীকরণ বলে ভেবে নিচ্ছেন তাদেরকে আমি মুন্তাসীর মামুনের The Vanquished Generals and The Liberation War of Bangladesh বইটি পড়ে নিতে বলবো। কেন পাকিস্তানী পলিসি মেকাররা ১৯৭১ এ তাদের দেশেরই আরেকট অংশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলো, তখন তাদের ভাবনা কী তা জানার জন্য পাকিস্তানী জেনারেল যারা ওই যুদ্ধে জড়িত ছিলেন তাদেরসহ উচ্ছপদস্থ বিভিন্ন সিভিল কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রসহ অনেক সাধারণ মানুষের সাথেও কথা বলেছেন। ওখানে তিনি দেখিয়েছেন যে পাকিস্তানীরা তাদের রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্রকে কীভাবে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। কোন ধরনের যুক্তিতর্ক দিয়ে সেগুলোকে বাছ-বিচার করা বা ভিন্নধরনের ভাবনা ভাবার মত মানসিকতা তাদের নেই। সবকিছুকেই ফেসভ্যালু হিসাবে নেয় তারা। পাকিস্তানের ফিউডালিস্টিক সমাজব্যবস্থাই মূলত এর জন্য বিপুল পরিমাণে দায়ী।
দেশের বাইরে না আসলে পাকিস্তানীদের এই মানসিকতা হয়তো কোনদিনই আমি জানতে পারতাম না। আমি এখন পর্যন্ত যতজন পাকিস্তানীর সাথে মিশেছি, দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে বাকী সবাইকেই দেখেছি যে, তারা যা জানে সেটাকেই তারা ধ্রুব সত্য বলে মনে করে থাকে। আপনি কী যুক্তি দিচ্ছেন তার থোড়াই কেয়ার করে তারা। গলার জোরে তারা তাদের মতামতকে জাহির করার চেষ্টা করবেই করবে। আমি কখনোই কাউকে দেখি নাই ভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিষয়গুলোকে যে দেখা যেতে পারে সেই বিষয়টি অনুধাবন করতে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের একেকজনের যে ধারনা, সেই ধারনা তারা বাংলাদেশীদের উপর জাহির করার চেষ্টা করে। এটাকে তারা খুব পবিত্র একটা দায়িত্ব বলে মনে করে। বাংলাদেশী কাউকে দেখলেই ব্রাদার ব্রাদার বলে উর্দুতে কথা শুরু করবে কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই। আমি লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশীদের উর্দুতে কথা বলিয়ে বিচিত্র এক ধরনের নোংরা উল্লাস এবং বিজয়ের আনন্দ অনুভব করে পাকিস্তানীরা। পাকিস্তানীদের আপনার সাথে উর্দুতে কথা বলানো বন্ধ করার একটা খুব সহজ উপায় আছে। আমি এটা ব্যবহার করে দারুণ ফল পেয়েছি। আমার সাথে উর্দুতে কেউ কথা বলা শুরু করলে আমিও তার সাথে বাংলায় কথা বলা শুরু করে দেই। তখন খুব একটা যুত করতে না পেরে বেচারা এমনিতেই থেমে যায়। বাংলা বুঝাটা ওদের কাছে খুবই অবমাননাকর। স্বীকার করতেই হবে, তাওসিফ সাহেব এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
পাকিস্তানীরা বাংলাদেশীদের সাথে আলাপের কোন না কোন পর্যায়েই একাত্তর নিয়ে আলোচনা উঠাবে এবং একাত্তর নিয়ে এমন একটা কথা বলবে যে, দুই একজন রাজাকারীয় মানসিকতার বাংলাদেশী ছাড়া যে কোন সংবেদনশীল বাংলাদেশীরই ব্রক্ষ্মতালু পর্যন্ত জ্বলে উঠবে। মুর্খ মানুষ হতেই পারে, তাতে আমি কোন দোষ দেখি না। কিন্তু মুর্খ যদি নিজেকে জ্ঞানী মনে করে এসে জ্ঞান দেবার চেষ্টা করে, তখন সেটা হজম করা খুবই কষ্টকর। আমার নিজের ঘাড় তেরামির কারণেই এর মধ্যেই অনেক পাকিস্তানীর সাথেই ঝগড়াঝাটি, মনমালিন্য হয়ে গেছে। এখন অবশ্য আমি নিজেই পাকিস্তানীদের এড়িয়ে চলি। কী দরকার বাবা সেধে সেধে তিক্ততার সৃষ্টি করা। এদেরকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে আমার ধারনা হয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানীদেরকে মিথ্যা একটা জাতিগত অহমিকা শেখানো হয়। তারাই শ্রেষ্ঠ, তাদের সবকিছুই সেরা এই ধরনের একটা বাতিক মনে হয় জাতিগতভাবেই তাদের আছে।
আদিল মাহমুদের দেয়া সেই পাকিস্তানী লিংক ছাড়াও আরেকটা পাকিস্তানী সাইটে ঢু মেরেছিলাম আমি। কেউ একজন বাংলাদেশের গণহত্যার উপর পোষ্ট দিয়েছে। ওই পোষ্টের মন্তব্যে বাংলাদেশ এবং বাঙালিদেরকে যে যে বিশেষণে ভূষিত করা হচ্ছে তা দেখার পরেও যদি কোন বাংলাদেশীর পাকিস্তানীদেরকে ভাই বলে মনে হয় তবে তার জন্য করুণা করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখি না আমি।
আরেকটা ওয়েবসাইটেতো একবার গিয়ে দেখি যে এই উপমহাদেশে কোন দেশের লোক সবচেয়ে সুন্দর তার উপর একটা পোষ্ট দেয়া হয়েছে। সেই পোষ্ট এর দাবী অনুযায়ী কারা সবচেয়ে সুন্দর সেটা বলে না দিলেও সবাই অনুমান করতে পারছেন। আমার ওই পোষ্ট দেখে মনে হয়েছিল যে, উপমহাদেশে সবচেয়ে কুৎসিত মনের লোক কারা সেই বিষয়ে একটা যাচাই হলেও খুব একটা মন্দ হতো না। সুন্দর চেহারার লোকেরা যে ওই তালিকারও শীর্ষে থাকতো সে ব্যাপারে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নেই।
যাইহোক, মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। একাত্তরের গণহত্যায় কতজন মারা গেছে সেই বিষয়ে তাওসিফ সাহেব রায় দিয়েছেন যে, হামুদুর রহমান কমিশন যে সংখ্যাটা দিয়েছে সেটাই সঠিক এবং আমরা যে ত্রিশ লাখ শহীদের কথা বলি সেটা ভূয়া, অতিরঞ্জন। এ বিষয়ে আদিল মাহমুদ অনেক কিছু বলে ফেলাতে আমার কাজ অনেকখানি কমে গেছে।
তাওসিফ সাহেবকে ধন্যবাদ দেবো একারণে যে, অন্তত ছাব্বিশ হাজার প্রাণহানির কথা উনি স্বীকার করেছেন। এটাকে গণহত্যা বলেছেন। অনেক পাকিস্তানীতো স্বীকারই করে না যে, কোন হত্যাকান্ড পূর্ব পাকিস্তানে হয়েছিল একাত্তরে। হলেও সেটার শিকার ছিল বিহারী আর পাকিস্তানীরার। দুই চাইরটা বাঙালি যা মরেছে সেগুলো গাদ্দার ছাড়া আর কিছু নয়। গাদ্দারদের মৃ্ত্যু হবে ইসলাম রক্ষকদের হাতে সেটাইতো স্বাভাবিক। ওই মৃত্যু তাদের পাওনা।
এটা সত্যি কথা যে, আমরা মৃত্যুর সংখ্যা ত্রিশ লাখ বলি, সেই সংখ্যাটি কিন্তু কোন ধ্রুব সংখ্যা নয়, বিতর্কিত সংখ্যা। একাত্তরের কত লোক মারা গেছে তার সঠিক হিসাব কারো কাছেই নেই। এটা আমাদের ব্যর্থতা, স্বীকার করতেই হবে। আমরা সঠিক সংখ্যা বের করতে পারিনি। ইয়াহিয়া খান রবার্ট পেইনকে ত্রিশ লাখ বাঙালি মেরে বাঙালিদের আন্দোলন দমন করার কথা বলেছিল। আমরাও হয়তো সে কারণেই ত্রিশ লাখকেই মৃতের সংখ্যা ধরে নিয়েছি।
তবে এটাও সত্যি যে, হামুদুর রহমান কমিশন মৃতের যে সংখ্যা দিয়েছে সেটিও দ্ব্যার্থহীনভাবেই পরিত্যাজ্য, চরমভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বিধায়।
তাহলে কতজন মারা গিয়েছিল একাত্তরে। কী করে জানবো আমরা? বিদেশী সংবাদপত্র, বিভিন্ন সংস্থা, বা গবেষকরা যে সংখ্যা দিয়েছেন, সেগুলোর নিম্নসীমা এবং উচ্চসীমা নিয়ে গড় করে হয়তো কাছাকাছি একটা সংখ্যা পৌঁছানো সম্ভবপর হতে পারে।
R J Rummel সেই কাজটাই করেছিলেন। তিনি তার Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900 গ্রন্থে বলেছেন,
The number of dead in Bangladesh in 1971 was almost certainly well into seven figures. It was one of the worst genocides of the World War II era, outstripping Rwanda (800,000 killed) and probably surpassing even Indonesia (1 million to 1.5 million killed in 1965-66).
তিনি আরো বলেন,
The human death toll over only 267 days was incredible. Just to give for five out of the eighteen districts some incomplete statistics published in Bangladesh newspapers or by an Inquiry Committee, the Pakistani army killed 100,000 Bengalis in Dacca, 150,000 in Khulna, 75,000 in Jessore, 95,000 in Comilla, and 100,000 in Chittagong. For eighteen districts the total is 1,247,000 killed. This was an incomplete toll, and to this day no one really knows the final toll. Some estimates of the democide [Rummel’s “death by government”] are much lower — one is of 300,000 dead — but most range from 1 million to 3 million. … The Pakistani army and allied paramilitary groups killed about one out of every sixty-one people in Pakistan overall; one out of every twenty-five Bengalis, Hindus, and others in East Pakistan. If the rate of killing for all of Pakistan is annualized over the years the Yahya martial law regime was in power (March 1969 to December 1971), then this one regime was more lethal than that of the Soviet Union, China under the communists, or Japan under the military (even through World War II). (Rummel, Death By Government, p. 331.)
এবার দেখা যাকা জাতিসংঘ কি বলে।
১৯৮১ সালে UN’s declaration of Universal Human Rights এ লেখা হয়েছে; “Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12 000 (twelve thousand) people were killed every single day……….This is the highest daily average in the history of genocide’s.”
আসুন এবার দেখি একাত্তর সালের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকা গণহত্যার সংখ্যা কীভাবে রিপোর্ট করেছে তার একটা লিস্ট দেখি।
Who reported When reported Number in millions
The Baltimore Sun 5/14/71 0.5
The Momento, Caracas 6/13/71 0.5 – 1.0
Washington Daily News 6/30/71 0.2
World Bank Report June, 71 0.2
Die Zeit, Bonn 7/9/71 0.5
New York Times 7/14/71 0.20 – 0.25
Wall Street Journal 7/23/71 0.2 – 1.0
The Christian Sci. Mon. 7/31/71 0.25 – 1.00
Newsweek 8/2/71 0.25
Time 9/2/71 0.2 – 1.0
Newsweek 3/27/72 1.5
National Geographic Sept. 1972 3.0
মজার জিনিষ কী খেয়াল করেছেন আপনারা? নাশনাল জিওগ্রাফিকের মত পত্রিকাও তিন মিলিওনই বলেছে তাদের ৭২ সালের মার্চ মাসের সংখ্যাতেই।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে CBS খুলনার গণহত্যা নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। পিটার গ্রান্ট সরকারী এবং সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় যে, প্রায় এক লক্ষ লোক মারা গিয়েছে শুধু খুলনাতেই।
httpv://www.youtube.com/watch?v=1Z6SgETOjug&feature=player_embedded
ত্রিশ লাখের ফিগারটাকে ফেইক বলতে গিয়ে তাওসিফ লিখেছেন,
এবার দেখুন এই ত্রিশ লাখকে খন্ডাতে গিয়ে হামুদুর রহমান কমিশন কী বলেছে,
According to the Bangladesh authorities, the Pakistan Army was responsible for killing three million Bengalis and raping 200,000 East Pakistani women. It does not need any elaborate argument to see that these figures are obviously highly exaggerated. So much damage could not have been caused by the entire strength of the Pakistan Army then stationed in East Pakistan even if it had nothing else to do. In fact, however, the army was constantly engaged in fighting the Mukti Bahini, the Indian infiltrators, and later the Indian army. It has also the task of running the civil administration, maintaining communications and feeding 70 million people of East Pakistan. It is, therefore, clear that the figures mentioned by the Dacca authorities are altogether fantastic and fanciful
তাওসিফ সাহেবের এই যুক্তির সাথে হামুদুর রহমান কমিশনের যুক্তি অবিশ্বাস্যরকমভাবে মিলে যায়, তাই না? মুন্তাসীর মামুন যে বলেছিলেন পাকিস্তানীরা তাদের সরকারের কথাকে ফেইসভাল্যু হিসাবে নেয় সেটা দেখুন কীভাবে মিলে যাচ্ছে হুবহু।
তাওসিফ সাহবের যুক্তি কিংবা হামুদুর রহমান কমিশনের যুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানী সৈন্যরা মুক্তিবাহিনীর হাত থেকে পিঠ বাঁচাতেই বাস্ত ছিল, মানুষ খুন করার সময় তাদের কোথায় ছিল? আমরাও স্বীকার করি, পিঠ বাঁচাতেই বাস্ত ছিল তারা মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড মারের কারণে। মুক্তিবাহিনীর সাথে বীরত্ব দেখাতে না পেরেই বিলাই নিয়াজীর (এই লোককে তারা টাইগার নিয়াজী বলতো) বাহিনী নিরীহ লোকজনকে অকাতরে মেরে মনের ঝাল মিটিয়েছে। পাকিস্তানী বাহিনী শুধু বেয়নেট দিয়ে মানুষ মেরেছে এই তথ্য তাওসিফ সাহেব কোথায় পেলেন? নাকি গুলি বারুদও শেষ হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর সেরা ট্রেইন্ড বাহিনীর?
চুকনগরে মাত্র এক প্লাটুন সৈন্য আধুনিক মারণাস্ত্র ব্যবহার করে কয়েকঘন্টায় আট থেকে দশ হাজার লোককে মেরে ফেলেছিল। বেয়নেট ব্যবহার করতে হয়নি। নয় মাসে কত মেরেছিল এবার ভেবে দেখুন তাহলে। নয় মাসে নব্বই হাজার জানোয়ার বাহিনীর হাতে ত্রিশ লাখ লোক মারা যাওয়া যে অসম্ভব কিছু নয় সেটা অংক কষে হিসাব দেখিয়ে দিয়েছেন আবুল কাসেম তার The Mathematics of a Genocide: Is 3 million martyrs a myth? প্রবন্ধে।
সুজান ব্রাউনমিলার তার বই Against Our Will: Men, Women and Rape এ বলেছেন যে একাত্তর সালে পাকিস্তানী বাহিনী আর তার দোসররা মিলে দুই থেকে চার লাখ মেয়ে এবং মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। কালো, কুতসিত, ফর্সা, সুন্দরী, বুড়ি, ছুড়ি কাউকে রেহাই দেয়নি তারা। যৌনদাসী হিসাবেও তাদেরকে ব্যবহার করেছে। তিনি লিখেছেন:
Rape in Bangladesh had hardly been restricted to beauty. Girls of eight and grandmothers of seventy-five had been sexually assaulted … Pakistani soldiers had not only violated Bengali women on the spot; they abducted tens of hundreds and held them by force in their military barracks for nightly use.
NBC এর একটা ভিডিও দেখতে পারেন এ বিষয়ে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=xwwPbkyZVJo&feature=player_embedded#
তাওসিফ সাহেব, আপনাদের অসহায় অবলা বাহিনীর পিঠ বাঁচানোর সময়েও এত লিঙ্গোত্থান হতো কীভাবে? কোন দোকানের সালসা খেতো তারা? একটু বলবেন কী।
অস্বীকার করবেন না যেন যে এগুলোও আমাদের বানানো কথা। আপনাদের হামুদুর রাহমান কমিশনেও ধর্ষণের কথা স্বীকার করা আছে। আপনাদের বিলাই নিয়াজীও নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন একথা। তার ভাষ্যেই,
You cannot expect a man to live, fight and die in East Pakistan and go to Jhelum for sex, would you?
যে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে তর্কে নেমেছেন সেই রিপোর্ট কোথা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে, আদিলের সেই প্রশ্নের উত্তর আপনি দেননি। কারণ দেবার মত অবস্থা আপনার নেই। আপনি খুব ভাল করেই জানেন যে, খুনীদের দেয়া তথ্যকেই সত্য ধরে নিয়ে খুন হবার সংখ্যা প্রকাশ করেছে আপনাদের হামুদুর রহমান কমিশন। (হামুদুর রাহমানকে বাঙালি বলে প্রচার করে খুব একটা লাভ হবে না। ওই রকম কুলাঙ্গার বাঙালিদের আমরা বাঙালি হিসাবে বিবেচনায় আনি না।) আর এটাকে সত্য ধরে নেবার যে যুক্তি দেখিয়েছে তা দেখে হাসবো না কাঁদবো সেটাই বুঝে পাচ্ছি না। আমিই এখানে তুলে দিচ্ছি তাদের যুক্তি।
Different figures were mentioned by different persons in authority but the latest statement supplied to us by the GHQ shows approximately 26,000 persons killed during the action by the Pakistan Army. This figure is based on situation reports submitted from time to time by the Eastern Command to the General Headquarters. It is possible that even these figures may contain an element of exaggeration as the lower formations may have magnified their own achievements in quelling the rebellion. However, in the absence of any other reliable data, the Commission is of the view that the latest figure supplied by the GHQ should be accepted. An important consideration which has influenced us in accepting this figure as reasonably correct is the fact that the reports were sent from East Pakistan to GHQ at a time when the Army Officers in East Pakistan could have had no notion whatsoever of any accountability in this behalf.
এই সমস্ত নিরেট গর্ধভদের সাথে কীভাবে আমরা এক দেশ হিসাবে ছিলাম, সেটা ভাবতেই আমার অবাক লাগে। এগুলোকে সাতচল্লিশেই ঘাড়ে বসার সুযোগ দেয়া উচিত হয়নি আমাদের। তখনই গদাম করে লাথি মেরে ফেলে দেয়া উচিত ছিল। পাকিস্তানের পশ্চাতদেশে কষে লাথি আমরা চালালাম ঠিকই, তবে অনেক দেরিতে। এই যা আফসোস।
@ফরিদ আহমেদ,
গনহত্যাকে আমি অস্বীকার করছিনা কিন্তু সঠিক সংখ্যা নিয়ে প্রচুর গবেষনার প্রয়োজন।৩০ লক্ষ , ৩০ লক্ষ বলে চেচামেচি করে কোন লাভ নেই। আপ্নি নিজেই উপরে যে figure টা দিলেন তা পরস্প্র বিরোধী।
@tausif,
সেটা তো আমরা মেনেই নিয়েছি। স্বীকার করেই নিয়েছি আগে যে ৩০ লক্ষ সংখ্যার আসলেই কোন গাণিতিক ভিত্তি নেই।
তবে ৩ মিলিয়ন না হলেও অন্তত মিলিয়নের ঘরে যাবে তা যেকেউই বুঝতে পারবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্রগুলি গবেষনা করলে। R J Rummel বিভিন্ন দেশের গনহত্যা নিয়ে ব্যাপক গবেষনা করেছেন। তার মতে ১৫ লক্ষ খুবই রিজোনবেল নাম্বার।
আপনি আমার আগের কথার জবাব দেননি। ৩০ লক্ষ না হয়ে ৩ লক্ষ হলে ঘটনার গুরুত্ত্ব খুব কমে যেত? আচ্ছা ধরুন না আপনার ২৬ হাজারই সই।
আপনারা পাকিস্তানীরা নিজেদের সরকারকে কোনদিন জিজ্ঞাসা করেছেন, কেন এই ২৬ হাজার নিরীহ বাংগালীকে হত্যা করলে?
আচ্ছা, বাংগালী না হয় সব আধা হিন্দু, তাদের নিধনে সমস্যা নেই তাই হয়ত জিজ্ঞাসা করেনন।
কিন্তু নিজের দেশকে যে দুইভাগ হতে হল কিছু উর্দি পরা লোকের বিকৃত মানসিকতার কারনে তার বিরুদ্ধেও কোনদিন টুশব্দট করেছেন? জানতে চেয়েছেন কে বা কারা দায়ী?
এসব কোনদিন করেননি। কারন আপনারা আপনাদের সরকার যা শিখিয়েছে যেভাবে মগজ ধোলাই করেছে সেটাই ধ্রুদ সত্য বলে ধরে এসেছেন। ধরেই নিয়েছেন সব ভারতের ষড়যন্ত্র, হিন্দু বাংগাল মুলুক নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
এখন তো অন্তত জানলেন যে ২৬০০০ সংখ্যাটি মারাত্মকভাবে ভুল। ৩০ লাখ না হোক, অন্তত এই সংখ্যাটি যে অনেক অনেক বেশী তাতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে পরিষ্কার (সব সূত্রে সংখ্যা মেলে না, তবে তার মানে এই না সংখ্যাটি ২৬ হাজারই সঠিক)। আপনি কি এখন আপনার আশে পাশের পাকিস্তানী ভাইদের বলতে পারবেন যে আমাদের সরকার ২৬ হাজার মাত্র মরেছে বলে আমাদের বিরাট মিথ্যা বলে আসছে, আসলে সংখ্যাটি অনেক অনেক বেশী? যদি বলতে পারেন তবে বুঝব আপনি প্রকৃত মানুষ, আপনি পাকিস্তানী নাকি বিহারী না কি তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
@tausif,
খালি সংখ্যা লইয়া পইরা থাইকেন । সংখ্যাটি যে তিন মিলিয়ন না , সেটা আপনারে কে নিশ্চিত করল । দেখেন , পারেন যদি একটি কাজ করেন আপনার সরকারকে ক্ষমা চাইতে রাজি করান, আর নিজেদের দোষ মেনে নিন । সব ঘটনা, আপনার দেশের মানুষরে গিয়ে বোঝান । আর আমার উপরের লিখার জবাব দিলেন না কেন ?
সুযোগে পাইয়া বলেন, চেচামিচি কইরা লাভ নাই । ভাল, এইখানেও উচিত কথার ভাত নাই । উচিত কথা বললে আপনার কাছে চেচামিছি মনে হয় ।
@ফরিদ আহমেদ,
:rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: সুন্দর হয়েছে । কিন্তু আমাদের কথা গুলি আন্তর্জাতিক ভাবে এস্টাব্লিশ করতে হবে , যে করেই হোক । যেমন আমাদের দুতাবাস গুলি ১৬ ডিসেম্ভর আসলে তা বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বা মেসেইজ আকারে দিতে পারে । এত করে বহু মানুষ জানবে । মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে ইংলিশ ছবি বানানো যাইতে পারে । তাতে আমাদের কথা গুলি বহুদূর পোছে যাবে । আপনাকে ধন্যবাদ । :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2:
@ফরিদ আহমেদ,
“পাকিস্তানীরা তাদের রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্রকে কীভাবে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। কোন ধরনের যুক্তিতর্ক দিয়ে সেগুলোকে বাছ-বিচার করা বা ভিন্নধরনের ভাবনা ভাবার মত মানসিকতা তাদের নেই। সবকিছুকেই ফেসভ্যালু হিসাবে নেয় তারা। পাকিস্তানের ফিউডালিস্টিক সমাজব্যবস্থাই মূলত এর জন্য বিপুল পরিমাণে দায়ী।”
-এটা আমি বেশ ভালভাবেই টের পেয়েছি। শুধু ৭১ নয়, পাকিস্তানীরা যেকোন ব্যাপারেই নিজেদের কো দায় ছেলেমানুষের মতই অস্বীকার করতে খুবই দক্ষ। ৭১ এর দায় ভারতের, বাংগালীরা হয় গাদ্দার না হয় ব্রেইন ওয়াশড, শিয়া সুন্নী বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দায় বিদেশীদের, তাদের সাম্প্রতিক তালেবানী গোলযোগের দায় আমেরিকা/ইসরাইলের (নিজের দেশের সেনাবাহিনী সেই দানব গড়েছে তাতে কোন দায় নেই) এহেন সব মতবাদ শোনা যায়।
একটা অন্ধ গাধাও বুঝবে পাকিস্তানী সৃষ্টির পর থেকে তাদের যাবতীয় আভ্যন্তরীন গোলযোগের পেছনে মূলত দায়ী তাদের সেনাবাহিনী। অথচ ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা থেকে অবাক হয়ে দেখেছি যে বেশীরভাগ পাকিস্তানী এখনো সেনাবাহিনীকে পীরের মতই ভক্ত করে। তাদের চোখে সেনাবাহিনী হল সেভিয়ায়, গনতন্ত্র ফন্ত্রে তারা তেমন বিশ্বাস করে না কারন সব নেতাই চোর।
এখানে আমি সবসময়ই টিপিকাল পাকিস্তানী আর ভারতীয় মানসিকতার একটা মোটা দাগের পার্থক্য দেখি। ভারতীয়দের ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে কোন কথা বলেন তারা কোনদিন তেড়েফুড়ে গায়ের দিকে তেড়ে আসবে না। বলা শুরু করবে না সব তোমাদের বানানো কথা, বাড়িয়ে বলছ, আসলে তেমন কিছু হচ্ছে না, পাকিস্তানীরা তোমাদের মগজ ধোলাই করেছে। তারা অধিকাংশ সময়েই দেখেছি বোঝানোর পরে স্বীকার করে, যারা বোঝে না তারা অন্তত বলে যে কিছু পড়াশুনা না করে কিছু বলতে পারছি না। তবে অন্ধভাবে কেউই নিজের সরকারকে ইমমিউনিটি দেয় না।
জাতিসংঘের তথ্যটা জানা ছিল না। আর গনহত্যা ঘটিত গীনেজ বুক অফ রেকর্ডের একটা তথ্য দিয়েছিলেন, তার কি কোন অনলাইন রেফারেন্স আছে?
পাকিস্তানীরা কি সহজভাবে পোকামাকড়ের মতন বাঙ্গালী মারত আর উদাহরন মাস্ক্যারেনহাস নিজের চোখে দেখেছেন। তার জেনোসাইড বই তে আছে কিভাবে তার চোখের সামনে পকিস্তানী মেজর কোন রকম বাছ বিচার ছাড়া দৌড়ে পালানো এক যুবককে আটকায়, এরপ্র নিজেই স্বীকার করে যে সাধারনত সে এদ্র মেরে ফেলে, শুধু মাসকারেনহাসকে দেখাবার জন্যই মারল না। কেন মারবে? “কারন সে হিন্দু হতে পারে, অথচা বাগী, বা আওয়ামী লীগের সদস্য”।
তার সামনেই ট্রাকের পর ট্রাক মানুষকে বধ্যভূমিতে নিয়ে যেতে দেখেছেন, শুনেছেন ভোতা অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার করুন আর্তনাদ। তার সামনেই এক লোকের লুংগি খুলে মোসলমানিত্ব পরীক্ষা করতে দেখেছেন, মোসলমান জেনেও তাকে দেওয়ালের সামনে দাড়া করানো হয় গুলি করতে কারন এক জওয়ানের মনে হয়েছিল যে এর বয়সটা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবার উপযূক্ত। মাসকারেনহান্স অনেক কষ্টে ঐ বেচারার জীবন বাচান।
কখনো অনেকে অত ভাগ্যবান ছিল না, ডাবের পানি খেতে খেতে মানুষ মারার দৃশ্য তিনি দেখেছেন।
মাসকারেনহাস পাক সেনাদের অফিসার্স মেসে গিয়ে তাদের নিজস্ব আলাপচারিতা শুনেছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে তখন পাক অফিসাররা নিজেদের মধ্যে বাংগালী মারা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নামত। হাসি ঠাট্টার মত জিজ্ঞাসা করা হত, তুমি আজ কটা পেয়েছো? যে সেদিন কোন বাংগাল হত্যা করতে পারত না সে বেচারাকে বড়ই বিব্রতবোধ করতে হত। সবার ঠাট্টা বিদ্রুপ সইতে হত।
কুমিল্লায় বালুচ রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আজমত ছিল তেমন একজন, মেজর বশীরের মতে সে ছিল একমাত্র অফিসার যে একটিও “পশু” হত্যা করতে পারেনি। মেজর বশীর অবশেষে বিরক্ত হয় একদিন আজমতকে “পশু” হত্যা শিক্ষা দেয়। ক্যান্টনমেন্টে ভাইয়ের খোজে আসা এক বৃদ্ধ লোককে “দৌড় গিয়া” বলে। দৌড় গিয়া মানে হল তাদের অফিসিয়াল ভাষা, অনেকটা আমাদের ক্রশফায়ারের মত। পালাবার চেষ্টাকালে বাধ্য হয়ে গুলিতে হত্যা।
চাদপুরের আরেকটি অভিযানে পাক সেনারা একটি পাড়ায় বেশ কটি দোকানপাট লুট করছিল। মাসকারেনহাস পাক মেজর রাথোর আর তার বন্ধু ১২ ফ্রন্টিয়ায়ের মেজর ইফতিখারের কথাবার্তা রেকর্ড করেছেন।
রাথোরঃ “আমি ভেবেছিলাম কেউ হয়ত লুট করছে”
ইফতিখারঃ “লুট? না। আমরা খুন আর আগুন এ ব্যাস্ত”। এর পর সারিবদ্ধ দোকান দেখায়।
রাথোরঃ “কজন পেলে তুমি?”
ইফতিখার লজ্জিত হাসি দিল।
রাথোরঃ “আরে ছাই বলই না কজন পেলে”
ইফতিখারঃ “মাত্র বারোজন। আমরা আল্লাহর মেহেরবানীতে খুব ভাগ্যবা বলতে হবে, ওদেরও আমরা হারাতাম। পেছন দিক দিয়ে আমি আমার ফৌজ পাঠিয়েছিলাম বলে রক্ষা”।
শুনলে মনে হতে পারে বানানো গল্প। তবে এর সবই সত্য। এভাবেই পোকামাকড়ের চেয়েও সহজভাবে বাংগালী মারা হত।
জেনোসাইড বইতে মাস্কারেনহাসে নিজের চোখে দেখা এমন কিছু ঘটনা আছে। বইটির বাংলা আমার কাছে আছে, মুক্তমনায় পোষ্ট করা গেলে আমি পিডিএফ বানাতে পারি। কপিরাইটের সমস্যা মনে হয় নেই, ৭২ সালের প্রিন্ট।
@আদিল মাহমুদ,
ভয়াবহ কথপকথন। আমি পড়ামাত্র শিউড়্ উঠেছি।
@মিঠুন,
এসবই মাস্কারেনহাসের বইতে আছে, বইটি বেশী বড় না। কপিরাইট সমস্যা না থাকলে পিডিএফ করে দিতে পারি।
@আদিল ভাই,
কপিরাইট সমস্যা না থাকলে আপনি পিডিএফ করে মুক্তমনাতে পোস্ট করুন।
@তাউসিফ,
আপনাদের কাজের কর্মের একটি উদাহারন দেখুন ঃ
১৯৭০ সালে কাকুলে এক নৈশভোজে একজন বাঙালি ক্যাডেটের সাথে একই টেবিলে মেজর সাব্বির শরিফ [ভালো ও শ্রদ্ধাভাজন অফিসার, পরে ১৯৭১ সালে ফ্রণ্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টে সুলেমানকি সেক্টরে যুদ্ধরত অবস্থায় মারা যান।] ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ভয়াল জলোচ্ছাস নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে একশ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তিনি তারপর যোগ করেন, ওখানে এতোবেশি বাঙালি আছে যে‘I’m sure they will not be missed’ (আমি নিশ্চিত তাদের অভাব (বা শূন্যতা) বোঝা যাবেনা।) যে মানুষটি অনেক তরুণ ক্যাডেটের আদর্শ এবং সবাই যাকে অনুকরণের জন্য উদগ্রীব সেই অফিসারের মুখে এমন কথা শুনে তরুণ বাঙালি ক্যাডেট স্তম্ভিত হয়ে যান।
পাকিস্তানের করাচিতে বসে যদি হিসাব করেন, যে কতজন বাংলাদেশী মারা গিয়েছিল, তাহলে অন্ধকারেই থাকবেন । বাংলাদেশে আসুন দেখে যান, বংগবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষায় ,
জনাব তাউসিফ,
এই যে নাস্তিক সাইট গুলি দেখতেছেন, কিসের ক্ষমতায় তারা এত ক্ষমতাবান জানেন , শুধু মাত্র মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়েই তারা এত ক্ষমতাবান । এই আপনাদের মুর্খতার জন্য ই, বাংলাদেশে নাস্তিক গুস্টি রাইজ করার সুযোগ পাচ্ছে ।
যদি বাংলাদেশে ইসলাম হেরে যায় , তাহলে কি আমার উচিত হবে না শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ পাকের নিকট প্রতিটি পাকিস্তানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা । কারন , আপনারা যারা দোষ করেছেন, তারা তো করেছেন ই, যারা করেনি তারাও দোষী কারন তারা কেন তাদের থামায় নি ।যদি বলেন ভুল বুঝতে পেরেছেন, তাহলে কেন আপনারা আমাদের কাছে ক্ষমা চান না ? কেন বিচার করেন না ? এখন ও তো দোষীরা জিবিত আছে ? যে সব দোষী মৃত তাদের কে কোর্ট থেকে এট লিস্ট দোষী সাভ্যস্ত করতে পারেন ।
না -আপনারা কিছুই করেন না, বরং নিজেদের সাফাই গান ।
আমি একজন মুসলমান এবং মুসলমানদের পক্ষ থেকে বলতেছি, বুঝতে পেরেছেন । আমি এখানে ইসলামের পক্ষে কথা বলি কি না , তা এখান কার নাস্তিক দের জিজ্ঞাসা করলেই পেয়ে যাবেন ।
জবাবের অপেক্ষায় রইলাম ।
@ফুয়াদ,
আমার প্রতি ভুতের মুখে রাম নাম বলে উক্তি করেছিলেন কিছু বলি নাই। কিন্তু এখন যা বললেন-
অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য। ধার্মিক থাকুন অসুবিধে নেই, মানুষের ব্যক্তি সাতন্ত্রে, জাতিসত্বায় হাত না দেয়া ভাল।
@ফুয়াদ,
আপনিতো তাও নাস্তিকদের ক্ষমতার উতস জানেন, কিন্তু এই যে আমরা বাংলাদেশের এতো ইস্লামিক সাইট দেখছি, তাদের ক্ষমতার পিছনে কারা কাজ করছে, সোর্সটা কি? বাংলাদেশে ইস্লামিক গুস্টিকে রাইজ করার সুযোগই বা কে এবং কি উদ্দেশ্যে দিচ্ছে? বড় জানতে ইচ্ছা করে।
@ফুয়াদ,
আপনি এখানে অত্যন্ত ভাল ভাল কথা বলছিলেন, যা আপনার থেকে সচরাচর দেখা যায় না, বেশ কিছু ভাল যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছিলেন।
খামোখা এটা নাস্তিকদের সাইট, নাস্তিকরা টিকে আছে ৭১ ভর করে এগুলো বলার তো কোন দরকার ছিল না। আপনি নাস্তিকদের ঘৃণা করেন ভাল কথা, তাই বলে জাতীয় ইস্যুতে যেখানে জাতির মান সম্মান জড়িত সেখানে এভাবে নিজেদের মধ্যে বিভেদ ডাকবেন তা আমি আপনার থেকেও আশা করিনি।
খোদ তাওসিফ সাহেব নিজেও কিন্তু ৭১ এর ধর্মীয় রং নিয়ে কোন কথা বলেননি, যেমন বেশীরভাগ পাকিস্তানীই বলে। আমাদের দেশের জন্ম তো এক অর্থে নাস্তিকদের হাত ধরেই হয়েছিল জানেন তো? সরাসরি সাহায্য করেছিল কাফের ভারত, তাদের গডফাদার নাস্তিক রাশিয়া। কাজেই বাংলাদেশের জন্ম হল নাস্তিক ও কাফেরদের হাত ধরে।
নাস্তিকরা ৭১ এর কথা বললে তাদের দোষ হয়ে যায়? কি এমন ক্ষমতা মুক্তমণার হয়েছে ৭১ এর ইস্যুকে পুজি করে? আর শুধু ৭১ বিষয়ক গবেষনামূলক তথ্য মুক্তমনা ছাড়া অন্য বেশ কিছু সাইটে আরো ভাল আছে। উলটা প্রশ্ন করেন ধর্মবাদী সাইট বলে যারা পরিচিত, দেশের সব জাদরেল ধর্মীয় নেতা, মোট কথা বাহ্যিক ভাবে ধর্মের ধারক বাহক যারা তারা কেন ৭১ বিষয়ে এমন উদাসীন? কেন তাদের থেকে প্রায়ই সব ভুলে যেতে হবে, ভাই ভাই এ ভাব করতে হবে এমন বানী শোনা যায়?
তাওসীফ সাহেব তো একটা কথা খুবই সত্য বলেছেন। আমরা রাজাকার গুলার বিচার করতে পারিনি। এর দায় আমাদের। ৭১ এর অপরাধীদের ধর্মীয় পরিচয় ধরে টানাটানি করলে কোনদিনও সম্ভব হবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কথা বুঝলাম, কিন্তু আপনি কি চান পাকিস্থানি গুলোর অন্যায়; অবিচারের কথা তুলে ধরব না । তারা আমাদের কি পরিমান ক্ষতি করেছে , তা কি তুলে ধরব না । তারা আমাদের অর্থনিতির যা ক্ষতি করেছে , তা না হয় মাফ করে দিলেম , কিন্তু যে মার বুক খালি করে দিলো তার কি হবে । বিচার কি হবে না । দেখেন, আমাদের তেমন কিছু নাই । একটাই আশা যে আখিরাতে আল্লাহ পাকের কাছে আমরা হয়ত বিশেষ কিছু পাব । কিন্তু ,তারা শুধু আমাদের ঐ আশা কে নিরাশায় পরিনত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে । আমাদের দেশ যদি মুসলিম না থাকে তাহলে সব কিছুই বৃথা হয়ে যাবে । সব আশা শেষ । পাকিস্থানিদের অন্যায় কত দূর পর্যন্ত বৃস্তৃত হয়েছে , তা তাদের জানা দরকার, শুধু জানলেই হবে না, তাদের এই গুলান স্বীকার করে মাফ চাইতে হবে এবং বিচার করতে হবে । এইটাই আমার কথা । তবে এই আশা আছে যে অন্তত হাসরের ময়দানে সব ফয়সালা হবে ইনশি-আল্লাহ । এক পাকিস্থানি বংশদ্ভুদ (হয়ত তার দাদা পাকিস্তানি) বাংলাদেশে তবলিক জামাতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কথা বর্ননা করল, যা ভাল লাগল এবং সে শ্রেষ্টত্ব দিল বাংলাদেশীদের, পাকিস্তানিদের অনেক উপরে ।
কার হাত ধরে হয়েছে , তা আমার জানার দরকার নাই । তবুও আমি ভারতীয় দের সহায়তার কথা স্বরন করব এবং আমাদের ও যদি এই সুযোগ হয় তাহলে তার প্রতিদান দিবার চেষ্টা করব । কারো কাছে ঋনী থাকতে আমি রাজি নই, কিন্তু তাদের কাছে ঋণ অনেক ভারী, সহজে প্রতিদান দেওয়া যাবে না । তারপরও অন্য কথাও আছে, ভারত কিন্তু পাকিস্তান আর রাশিয়া আমেরিকারে বাশ দিবার জন্য সাহায্য করেছে । পাকিস্তান আর ইন্ডিয়া, রাশিয়া আর আমেরিকার শত্রতা থাকার বেনিফিট আমরা পেয়েছি, প্রকৃত পক্ষে আমাদের হাত ধরেই আমাদের স্বাধিনতা এসেছে । কিন্তু, ভারতীয় বা রাশিয়ার সার্থ থাকলেও আমার তা দরকার নাই । তারা আমাদের সাহায্য করেছে এটাই জানি । অতএব, পারলে তাদের জন্য কিছু একটি করা আমাদের উচিত ।
@ফুয়াদ,
আমাদের প্রতি আপনার ক্ষোভ এবং ঘৃণার মাত্রা দেখে চমকে উঠলাম। আমার ধারনা ছিল যে মতের অমিল থাকার পরেও, আমরা আপনার সাথে যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সৌহার্দময় আচরণ করেছি।
@ফরিদ আহমেদ,
অবশ্যই । কিন্তু আমি ঐ পাকিস্থানি ব্যক্তিরে তাদের কর্মকান্ডের ভয়াবহতা বুঝানোর জন্য লিখেছি । যাইহোক, আমার মনে হয় গুস্টি শব্দটি আপনাকে কষ্ট দিয়েছে । এ জন্য আমি দুঃখিত ।
@ফুয়াদ,
ভাইয়ের দেখা পাইয়া জোস উথলাইয়া উঠলোনি ? আইজকা দুইভাইয়ে এক থাকলে নাস্তিকের বাচ্চাগুলি এত বাড়তে পারতো না। দুই ভাইয়ে মিল্লা এমুন কেসকি দিতেন, হায়! আফসোস- ৭১, হায়! আফসোস-আপনের পাকি ভাইগো বলদামি।
ফুয়াদ ভাই, আপনের পাকি ভাইরা যে, এখন দুই দলে ভাগ হইয়া নীজেরা নীজেরা, কে হাছা মুসল্মান; এইডা লইয়া মারামারি করতাছে। এরুম একটা সিন এহানে করতে খুব মন চাইতাছে না? ইসলামের সেবা, কাওরে ধইরা, হোগায় কাফেরের সীল মাইরা দিলেই হালাল কইরা খাওন যাইতো, কি মজা না !?
@আতিক রাঢ়ী,
নিজের আসল পরিচয় বলার জন্য , আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
@আতিক রাঢ়ী,
তাওসিফরা আর কোনদিন তাদের পূর্বপুরুষকে সংগে নিয়েও আমার দেশ ও জাতীর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। দেশের বাহিরে, বলতে পারি নির্দিষ্টভাবে ইংল্যান্ডে পাকিস্তানীরা ( স্কুল, মসজিদ, ইয়ুথ সেন্টার, কম্যুনিটি সেন্টার জাতিয় ইস্যুতে) যতবারই আমাদের মুখোমুখী হয়েছে নিশ্চিত পরাজয় বরণ করেছে। একদিন আমার ইউথ ক্লাবের মেনেইজমেন্ট কমিটির বার্ষিক সভায় একদল পাকিস্তানী লোক এসে দাবী তোললো- বাংলাদেশী ইয়ুথ ক্লাবকে মাল্টি কালচারেল ক্লাব করা হউক এবং ক্লাবের নাম রাখা হউক, অল মুসলিম ওরগেনাইজেশন অথবা আওয়াজ।
চিন্তা করুন পায়ের রক্ত কত বেগে মাথায় উঠেছিল। আমি সেদিন নিজের আবেগ কন্ট্রল করতে পারিনি। কসম আল্লাহর, কসম মা কালীর, আমি সেদিন বলেছিলাম- Mr, Tarek Khan, Please do not remind me 52 and 71. উত্তেজনায় আমি তখন কাঁপছিলাম। এরিক আমাকে হাতে ধরে বসিয়ে দেন। আমি ছিলাম ক্লাবের কো-ওর্ডিনেটর, ক্লাবের সভাপতি এরিক ছিলেন ইউনিভার্সিটিতে আমার প্রাইভেট টিউটর। এরিকের সাথে এর আগে প্রায়ই ৫২ ও ৭১ নিয়ে আলোচনা হতো, তিনি বিষয়টা জানতেন। বাংলাদেশী কম্যুনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠায় পাকিরা কাউন্সিলে কম্পলেইন করেছে, পত্রিকায় প্রতিবাদ করেছে, কৌর্ট পর্যন্ত গিয়েছে, কোথাও জয়ী হতে পারেনি। এরকম প্রচুর ঘটনার সাক্ষী আমি নিজে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তাওসিফদের কাছে নয় আমি বারবার হেরেছি ফুয়াদদের কাছে। আমার নিজের হাতে গড়া বাংলা স্কুলে ফুয়াদেরা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধা দিয়েছে। কিশোর মেলা, বৈশাখী মেলা, বিজয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা দিয়েছ। মনের দুঃখে একদিন ঐ পথ ছেড়ে ব্যবসায় চলে গেলাম। দুঃখ প্রকাশের ভাবনায়, যা থোড়া কিছু অর্জিত দূর্বল বিদ্যা সম্বল করে হাতে তুলে নিলাম কলম। মুক্তমনা হলো আমার সকল দুঃখের সাথী।
ধর্ম আমাদের সকল অনিষ্টের মূল। ধর্মের উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের জন্ম, আমরা পাকিস্তানীদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছি, ধর্মকে তাড়াতে পারিনি। ধর্মের কারণেই ইতর যুদ্ধাপরাধীরা আজও বেঁচে আছে, ধর্মের কারণেই আমরা হারিয়েছি হুমায়ুন আজাদকে। ধর্মই তসলিমা, দাউদ হায়দারকে জন্মভূমিতে ফিরতে দেয় না। ধর্মের কারণেই ফুয়াদেরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যঙ্গ করে বলে- বাংলাদেশে নাস্তিকতা বেড়েছে মুক্তিযুদ্ধের করণে, সপ্ন দেখে পাকিস্তান ফিরে পেতে।
আমাদের স্লোগান হউক- এবারের সংগ্রাম (ধর্ম থেকে) মুক্তির সংগ্রাম।
@আকাশ মালিক,
আপনার মত আমার জীবনেও ধর্ম ছোবল দিয়েছিল, আমার জীবনের সাজানো স্বপ্নকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল। পথ হারা আমি আমার জীবনের সবথেকে বড় দু:সময়ে কাছে পেয়েছিলাম মুক্তমনা কে। আকড়ে ধরে থেকে আবার বাচার প্রয়াস পেয়েছি। আপনার মতই মুক্তমনা আমারও সকল দুখের সাথী। আজ মুক্তমনাকে আকড়ে ধরে আমি প্রতিনিয়ত ধর্মকে অভিশাপ দেই, শপথ করি আমার ভবিষ্যত বংশধরদের ধর্মবিশ্বাস থেকে মুক্ত করে গড়ে তোলার, প্রতিজ্ঞা করি বিশ্বকে ধর্মের কালো হাত থেকে মুক্ত করার।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
ভন্ডামিরো একটা সীমা আছে। এরা কিছুক্ষন আগে বললো নাস্তিকরা মুক্তিযুদ্ধ বেচে খায়, এখন আবার ফুলের বৃষ্টি ঘটাচ্ছে।অনেকের চামড়াই গন্ডারের মত। ৭১ এও গন্ডার ছিলো। আমাদের মেয়েদের সাথে ওরা যা করেছিলো তা দেখার পরেও অনেকে সহ্য করতে পেরেছিলো, আবার অনেকে পারেনি। আমার চামড়া খুবই পাতলা, আমি সহ্য করতে পারিনা। শিষ্টাচারের ব্যাপার না থাকলে মনখুলে কিছু কথা বলতে পারতাম। বলতে পারলে মনটা হালকা হতো।
@আতিক রাঢ়ী ,
বাহ ! একজন আমার দেশের পক্ষে কথা বলবে , আর আমি তারে ফুল দিতে পারবো না । আগে তো উচিত কথা বলছিলাম , তাই আপনার গায়ে লেগে গেছিল । সত্য কথার ভাত নাই । সত্য কথাও বলা যাবে না ,বললে বলা হবে
শুনুন মুক্তি যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে , তাদের ৯৯% ই আস্তিক ।
আমার মনে হয় আপনারা তাউসিফের ওপর একটু অবিচারই করছেন। তিনি যে মুক্তমনার ব্লগে অংশগ্রহণ করছেন সেটাই একটা বড় কথা। এটা আমাদেরই অক্ষমতা যে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সঠিক খতিয়ানটা আমরা করতে পারি নি এবং এটা আমাদেরই অক্ষমতা যে – বিচার না হোক – বাইরের জগতকে এই ভয়াবহ, মর্মন্তুদ, নির্বিচার ও ব্যাপক হত্যাকাণ্ড আমরা এখনো জানাতে পারি নি ।
এমন কি জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ কনসার্ট পশ্চিম বিশ্ব জানে বাংলাদেশের বন্যার জন্য (যুদ্ধের জন্য নয়)। আর উইকিপিডিয়ার ভাষায়ঃ Organized for the relief of refugees from East Pakistan (now independent Bangladesh) after the 1970 Bhola cyclone and during the 1971 Bangladesh atrocities and Bangladesh Liberation War, the event was the first benefit concert of this magnitude in world history.
ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাউসিফের পটভূমি সম্পর্কে আগ্রহী। পাকিস্তানে থেকে এত ভাল বাংলা উনি কেমন করে লেখেন?
ভাল থাকবেন।
@দীপেন ভট্টাচার্য,
উনি আলোচনায় অংশ নিন আমরা চাই, পাকিসানী কি বাংগালী বিহারী সেটা কোন কথা নয়।
কথা হচ্ছে ওনার যুক্তিবোধ নিয়ে, ও তথ্যসূত্র উনি ব্যাবহার করছেন তার গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে। যেকোন বিতর্কেই তা হতে পারে, ফোরামে অংশ নিলে তো এটা গ্রহন করতেই হবে। ৩০ লাখ যে গাণিতিকভাবে প্রমান কারো পক্ষে সম্ভব নয় তা আমি নিজেই স্বীকার করেছি। ওনার ও কি উচিত না সামান্যতম সততা ও যুক্তিবোধ ব্যাবহার করে হামদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত ২৬০০০ সংখ্যাটি অস্বীকার করা?
আমি মনে করি না যে আমাদের কত জন মারা গেছিল তা ভাংগিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় তোলা। যারা জানার তারা ঠিক ই জানে।
@আদিল মাহমুদ,
সমস্যা কিন্তু আমাদের, আমরা আমাদের তথ্য গুলি এস্টব্লিশ করতে পারি নি । আমার কথা কি বুঝতে পেরেছেন ।
২য় ওর্ল্ড ওয়ারের এক জেনারেল নাকি বলেছিলেন “যত বেশী পার ছবি তোলে রাখ নয়ত এমন এক ব্লাস্টার জন্মাবে যে বলবে ঐ ঘটনাই ঘটে নাই ” ।
বংগবন্দুর তো কোন আত্মিয় মারা যায় নাই , তাই তিনি ও এক হাসি মুখে ভুট্ট এর সাথে কথা বলেন । হয়ত পলিটিকালি তাই দরকার ছিল ।
এভাবে গা-ছাড়া ভাব নিলে আর কয়দিন পরে , বাংগালি অত্যাচারের কাহিনী হয়ে যাবে বিহারি অত্যাচারের কাহিনী । পুরো ফ্লেট ফ্রম চেইঞ্জ হয়ে যাবে । তখন সব দোষ আমরা বাংলাদেশীদের দিবে । হিটলারের মন্ত্রি যোসেফ কিন্তু যা আবিষ্কার করেছেন তার প্রয়োগ দুর্বলের প্রতিই সাধারনত হয়ে থাকে । যেমন মুসলিমদের প্রতি ই হয়ে থাকে ।
তবে, আমি একটি কথা বলে রাখি , আমি স্বাধিন বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছি আমি দেখি নাই পাকিস্তান বা ইন্ডিয়া কি? দেখার দরকার ও নাই । বাংলাদেশ কখন ই পাকিস্তান এর নয়, কখন ই ভারতের নয়, কখন ছিল ও না(থাকলেও আমার জানার দরকার নেই) । পশ্চিম বাংলা টল্লা আমি গুল্লি মারি । শুধু বাংলাদেশ ই আমার দেশ, আমি কাউরে কেয়ার করি না ।
মিঠুন,
মানুষের সাধারন যুক্তিবোধ বলে তো কিছু একটা থাকে।
উনি নিজেদের বানানো হামদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট যা পাকিস্তানী খুনী জল্লাদগুলার সাক্ষ্যে মাত্র ২৬০০০ বাংগালী নিহত হয়েছে রায় দিয়েছে সেই রিপোর্ট সাক্ষী মেনে তর্ক করতে এসেছেন। আর কে কি বলল তাতে উনি থোড়াই কেয়ার করেন। বাংগালী রিপোর্ট নাহয় বাদ, আর নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সূত্রগুলি সম্ভবত সব ইং-ইহুদী চক্রান্তের ফসল।
চমতকৃত হবার মতই যুক্তি। উনি মনে হয় খুন জখমের মামলাতেও নিরপেক্ষ বা বাদী পক্ষের ভাষ্য না শুনে আসামী পক্ষের সাক্ষ্যের উপর রায় নির্ধারন করেন। জানি না পাকিস্তানের আইন আদালত এভাবে চলে কিনা। তবে একই রোগ বেশ বড় সংখ্যাক পাকিস্তানীদের মধ্যেই দেখা যায়। আগের দেওয়া ফোরামে তাদের যুক্তি তর্ক দেখলেই বুঝবেন। কারোই না আছে যুক্তিবোধ না আছে কোন রেফারেন্স।
পাকিস্তানীদের দৃষ্টিতে বাঙালি, বাঙালি মুসলিম, সামরিক বাহিনী, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের কারণ, ঘটনা এবং উপলদ্ধি- একটি বিশ্লেষণ(শেষ পর্ব)
“আমি ও আধার” নামক ব্লগারের পাঁচ পর্বের একটি লিখা । সবাই পড়তে পারেন ।
ঁtausif
‘আপনার উপর এর পরিসংখানগুলো কিন্তু একেবারে অবাস্তব এবং ভুয়া।’
দয়া করে আপনার দাবীর সপক্ষে প্রমান দিন।
@মিঠুন, ভুট্টো কতর্ক গঠিত একজন বাংগালি বিচারপতি হামুদর রহমান নেতর্ত্ব commission report অনুযায়ি সর্বমোট লোক মারা জান ২৬ হাজার। ভুট্টো সে সম্য় আর্মি কে malign করার জন্য মরিয়া ছিলেন এবং সব ধরনের help বাংগালি বিচারপতি হামুদর রহমান কে দেন। ৩০ লক্ষ লোক মারা গেলে তো বংবন্ধুর উচিত ছিল বিভিন্ন সংঘটন যেমন জাতিসংঘ, international criminal court, indian court …….ইত্যদিতে এ বিযয় কে উত্থাপন করা এবং বিভিন্ন পাকিস্তানি war criminal কে chase করা international court এ আনা, তিনি তো এগুলো আর করেন নাই, কারন বেশীরভাক allegation ছিল ভুয়া, বংবন্ধুকে ১৯৭৪ সালে লাহোরে হাতে pipe নিয়ে হাসিমুখেই দেখা যায়, আমি আপনার ঘরের একজন কে যদি ( god forbid ) মারি আপনি তো আর হাসিমুখে হাতে পাইপ নিয়ে আমার ঘরে আসবেন না।thsi is common sense. আপনারা তো ১৯৭১ থেকে ২০১০ পযর্ন্ত একজন কেও war criminal পরিমান করতে পারনে নাই, jewish রা তো ২য় বিশবযুদ্ধের পর পর এই হাজার হাজার war criminal দেরকে কাঠগারায় আনে এবং তাদেরকে যুদ্ধ অপারধি প্রমান করেন, এবং এখনো করছে, ৩০ লক্ষ আপনাদের লোক কে মারা হ্য় এবং একজন কেও আপ্নারা যুদ্ধ অপারধি প্রমান করতে পারেন নাই তাই এই figure টা highly exaggerated.
@তাউসিফ,
জনাব, আমি আপনার পাকি ভাইদের মত জ্বলজ্যান্ত মিথ্যাচার বা গায়ের জোরে কোন রেফারেন্স ছাড়া যা ইচ্ছে দাবী করা পছন্দ করি না তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে ৩০ লাখ লোক মারা গেছেন কিনা এটা গাণিতিক দিক দিয়ে প্রশ্ন সাপেক্ষ হতেই পারে। কেউই গুনে গুনে বের করেন্নি যে শহীদ নং ১- জনাব করিম, শহীদ নং ২ জনাব রহিম, এভাবে শহীদ নং ৩০ লাখ জনাব দবির। অতএব হিসাব মিলে গেল। আপনাদের মত মানসিকতার হলে স্রেফ বলে দিতাম আপনি যা ইচ্ছে ভাবুন গিয়ে, আসলে ৬০ লাখ মারা গেছিল।
এর কারন খুবই সোজা, প্রথমতঃ, আমাদের অঞ্চলীর দেশগুলিতে প্রকৃত জনসংখ্যা কত তা আজকেও এই প্রযুক্তির চরম উতকর্ষের যুগেও সঠিকভাবে গোনা সম্ভব নয়। সেখানে ৯ মাস ধরে মানুষ মারা গেছে তার নিখুত হিসেব কিভাবে পাওয়া সম্ভব? ইউরোপের সাথে তূলনা নিতান্তই হাস্যকর, কারন সেখানে প্রতিটা মানুষের সিটিজেনশিপ নাম্বার জাতীয় নম্বর প্রথা বহু আগে থেকেই আছে।
দ্বিতীয়তঃ আপনার পাক আর্মির ভাইয়েরা নিশ্চয়ই জাবদা খাতায় হিসেব লিখে রাখেনি যে আমি অমুক দিনে এতজন মানুষ মেরেছি। আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি আমাদের দেশে এখনো মাঝে মাঝেই ৭১ সালের গণকবর পাওয়া যায়।
আপনার মতে ৩০ লাখ না হয়ে ৩ লাখ হলে তেমন কোন বড় ব্যাপার হত না? আপনারা সামান্যতম অনুতপ্ত আসলেই হলে ৩০ লাখ নাকি ৩০ হাজার না নিয়ে তর্ক করতেন না।
আর নিজেদের বানানো কমিশনের রিপোর্ট বাদ দিয়ে একটু খোলা মনে আন্তর্জাতিক তথ্য সূত্রগুলি ঘাটুন যদি পারেন।
চোরে কখনো চুরি করে বলে যে আমি চুরি করেছি? হামদুর রহমান কমিশন বাংলাদেশে এসেছিল তদন্ত করতে? তারা কোন আক্কেলে ২৬ হাজার মাত্র খুব হয়েছিল রায় দেয়? গনহত্যা হল বাংলাদেশে, হত্যা করা হল বাংগালীদের, আর আপনার সাধের কমিশন সেই হত্যার পরিমান পাকিস্তানে বসে করে ফেলল। কিসের ভিত্তিতে? অত্যন্ত সুদৃঢ় ভিত্তি যার ওপর কোন কথা হতে পারে না। যারা হত্যাযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের সাক্ষের ভিত্তিতে। যারা অত্যাচারের স্বীকার সেই ভিক্টিম গ্রুপের একজনের সাক্ষ্যও নেওয়া হল না, কোন সরেজমিন তদন্ত হল না। এর চেয়ে হাস্যকর রেফারেন্স আর কিছু হতে পারে? নিজের সাধারন যুক্তিবোধকে একটু জিজ্ঞাসা করুন। আজ জার্মানরা যদি দাবী করে যে আসলে ৬ লাখ নয়, ৬ হাজার ইহুদী মারা গেছিল তবে কেমন শোনাবে?
আর হামদুর রহমান কমিশনের কথাই যখন তুলতেন, ভুট্টো সাহেব সেনাবাহিনীকে হেয় করার লক্ষ্য নিয়ে এটা করেছিলেন বুঝলাম, তবে সেই রিপোর্ট কেন পাকিস্তানে ৩০ বছর আলোর মুখ দেখেনি? এই রিপোর্টে সেনা নিয়াজী, জামশেদ সব অনেকের বিরুদ্ধে মারাত্মক চরিত্র স্খখল, এমনকি দেদারসে মদ নারীর কড়া অভিযোগ ছিল। কয়জনের শাস্তি হয়েছে? খোদ ইয়াহিয়া নিজেই ছিল চরম মদ্যপ, চুড়ান্ত নারীবাজ। এমনকি এমন ঘটনাও আছে যে সে আর তার ছেলে একবার একই মহিলার দুয়ারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। এনারাই ছিলেন ইসলাম রক্ষার দফাদার। যাক সে কথা।
আপনারা খোলামনে কোনদিন ইতিহাস পড়বেন তেমন আশা খুব ক্ষীন, তাও যদি মর্জি হয় তো অল্প কিছু সূত্র দিলাম। আন্তর্জাতিক অসংখ্যা সূত্র আছে।
The international media and reference books in English have also published figures which vary greatly from 200,000 to 3,000,000 for Bangladesh as a whole.[2] A further eight to ten million people fled the country to seek safety in India.[4]
http://en.wikipedia.org/wiki/1971_Bangladesh_atrocities
In October 1997 R. J. Rummel published a book, which is available on the web, titled Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900. In Chapter 8, Statistics Of Pakistan’s Democide – Estimates, Calculations, And Sources, he states:
“ In East Pakistan (now Bangladesh) [General Agha Mohammed Yahya Khan and his top generals] also planned to murder its Bengali intellectual, cultural, and political elite. They also planned to indiscriminately murder hundreds of thousands of its Hindus and drive the rest into India. And they planned to destroy its economic base to insure that it would be subordinate to West Pakistan for at least a generation to come. This despicable and cutthroat plan was outright genocide.[32] ”
Rummel goes on to collate what he considers the most credible estimates published by others into what he calls democide. He writes that “Consolidating both ranges, I give a final estimate of Pakistan’s democide to be 300,000 to 3,000,000, or a prudent 1,500,000.”
http://www.gendercide.org/case_bangladesh.html
http://www.kean.edu/~bgsg/Conference09/Papers_and_Presentations/Anis%20Ahmed_Paper_OperationSearchlight.pdf
এ ছাড়া অসংখ্য পত্রিকার রিপোর্ট আছে। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল যে শুধু ২৫ শে মার্চ রাতেই ১৫ হাজার মারা যায়।
@আদিল মাহমুদ, আমি তো genocide এর কথা অস্বীকার করছিনা কিন্তু ৩০ লক্ষের figure টা fake. প্রতিদিন ১১,১১১ জনকে মারার জন্য কি পাকিস্তানিরা atom bomb, gas chamber, carpet bombing , weapon of mass destruction , biological, chemical weapon কি ব্যবহার করেছিল ? পাকিস্তানি আরমিরা বাংগালি civlian দের উপর এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে নাই, শুধু বোয়ানেট দিয়ে এ্তগুলো লোক মারা যায় না। পাকিস্তানি আরমি ছিল তিন দিক দিয়ে তার থেকে ২০ গুন বড় শক্তি ভারত দ্বারা পরিবেশঠিত। তাছাড়া ভারত মুক্তি বাহিনিকে যথার্থ armed করে দিয়েছিল এবং মুক্তি বাহিনি ও পাক আর্মিকে hard time দিচ্ছিল , প্রধানত নদ নদির দেশ বাংলাদেশ ছিল পাক আর্মিদের জন্য একটা অনুকুল পরিবেশ এবং তাদেরকে প্রতিনিয়ত মুক্তিবাহিনির হাতে ভারতের সাহায্য heavey resistance পেতে হত, এমত অবস্থায় তাদের নিজের survival এর জন্যই ব্যস্ত থাক্তে হত। এমত অবস্থায় এতগুলো civilian কে মারা অস্মভব ব্যপার। vietnam যুদ্ধে american রা ব্যপক হারে heavy এবং অত্যাধুনিক weapon ব্যবহার করে ও এবং ভিএত্নাম যুদ্ধ ছিল ৭১ এর যু্দধ থেকে বেশী ভ্য়াল এবং বেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হ্য়, সেখানে মোট লোকজন মারা যায় ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ vietnamese এবং প্রায় ৫৬ হাজার american রা, ৭১ এর যু্দ্ধে পাকিস্তানি মাত্র ১০০ জন সৈনিক মারা যায় কারন তারা যুদ্ধ করেছিলেন defencive হ্য়ই তাদে্র জানা ছিল যুদ্ধে পরাজিত হওয়া নিশ্চিত।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, এই তাউসিফ এর নির্লজ্জতা দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।
সামান্যতম অনুশোচনা বোধ তার মধ্যে নেই। উল্টো আরও সাফাই গাইছে।
এদেরকে আবার ভাই বলে ডাকতে হবে!!!
আর এই তাউসিফের এত বড় নির্লজ্জ সাফাই শুনেও এক আদিল ভাই আর তানভি ছাড়া কেউ তার জবাব দিচ্ছে না- আরও অবাক হবার পালা!!!
@মিঠুন,
তাউসিফ একজন পাকিস্তানী নাগরিক, তিনি বলেন- আমি তো genocide এর কথা অস্বীকার করছিনা
আমাদের বাংলাদেশি কথিপয় কুলাঙ্গাররা বলে- বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধই হয় নাই। তারা তিরিশ লক্ষ শহীদও স্বীকার করেনা। যারা এসব কথা বলে যারা এসব তথ্য বাংলাদেশের পত্রিকায় ছাপায়, আমরা তাদেরকে সম্মানিত করেছি, তাদের হাতে পতাকা দিয়েছি, মন্ত্রী বানিয়েছি। তাই তো একজন পাকিস্তানীর কাছ থেকে আমাদেরকে শুনতে হয়- আপনারা তো ১৯৭১ থেকে ২০১০ পযর্ন্ত একজন কেও war criminal পরিমান (প্রমান) করতে পারেন নাই, jewish রা তো ২য় বিশবযুদ্ধের পর পর এই হাজার হাজার war criminal দেরকে কাঠগারায় আনে এবং তাদেরকে যুদ্ধ অপারধি প্রমান করেন, এবং এখনো করছে, ৩০ লক্ষ আপনাদের লোক কে মারা হ্য় এবং একজন কেও আপনারা যুদ্ধ অপারধি প্রমান করতে পারেন নাই
এটা আমাদের লজ্জা, আমাদের ব্যর্থতা।
তাউসিফ বলছেন-৭১ এর যু্দ্ধে পাকিস্তানি মাত্র ১০০ জন সৈনিক মারা যায় কারন তারা যুদ্ধ করেছিলেন defencive (Defensive) হ্য়ই (হয়েই) তাদের জানা ছিল যুদ্ধে পরাজিত হওয়া নিশ্চিত।
এর পর মুক্তিযুদ্ধ সম্মন্ধে তার সাথে তর্ক চলেনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নি, তাকে ঐ ভাবে বলা হয়েছে।
@মিঠুন,
মাঝে মাঝে বড় আক্ষেপ হয়, আমি যদি হুমায়ুন আযাদ এর মত লিখতে পারতাম তাহলে, ধর্ম আমার পরিবার, সংসার, দেশ ও জাতিকে কিভাবে বিষাক্ত করে তোলেছে, কিভাবে বিষাদের ছায়ায় মুড়িয়ে দিয়েছে তা নিয়ে আমিও লিখতে পারতাম – আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়াছিলাম। হুমায়ুন আযাদ এর এই বইটি না পড়ে থাকলে, কিংবা আগে পড়ে থাকলেও আবার পড়ে দেখুন, অনুভব করুন তার মনের বেদনা, অন্তরের যন্ত্রণা। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর সফলতা ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যারা অধ্যাপক অজয় রায়ের সাম্প্রতিক প্রবন্ধের অপরপিট খোঁজেছেন বা দেখতে চেয়েছেন তারাও এখানে ভাবনার অনেক কিছু পাবেন।
কিন্তু বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকগুলো ও একই রকম
– একি রকম কি ভাবে হচ্ছে বুঝলাম না। বাংলাদেশে ওই আইডিয়াগুলোকে গৌরবাণ্বিত করা হয় না।
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই … কথাটার মধ্যেই বর্ণবাদের বৈশিষ্ট লুকায়িত আছে।
@ব্রাইট স্মাইল, new york এ কালারা তো সবাইকে brother, bro বলেই সম্বোধন করে, কেউ এটাকে আপত্তিকারক বলে তো মনে করে না।
@তাউসিফ,
নামের জায়গায় শুধু নাম লিখুন। ‘তাউসিফ করাচী থেকে’ লেখার প্রয়োজন নেই।
@তাউসিফ,
ভাই ব্রাদার ডাকায় তো কোন সমস্যা নেই। তেমন কথা কি কেউ বলেছে নাকি? সমস্যা হল, অন্যায়কারী যাদের কোন অনুতাপ নেই তাদের নিয়ে।
কালোরা একে অপরকে ব্রাদার ডাকেও একই কারনে। তারা দীর্ঘ দিন বর্ণবাদের স্বীকার হয়ে নিজেদের মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে, মূল সমাজকে বিশ্বাস করতে পারে না, এটাও এক ধ্রনের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। সংখ্যালঘুরা যখনই মূল সমাজ দ্বারা অত্যাচারিত বা বঞ্চিত মনে করে তখনই এ ধরনের ব্রাদারহুডের দ্বারস্হ হয়। সাদাদের মধ্যে এ কারনে ব্রাদার ব্রাদার ডাকার চল নেই।
আর আমরা তো আগেই বলেছি যে সব পাকিস্তানীই খারাপ এমন ধারনা আমরা করি না। কিছু পাকিস্তানী অবশ্যই আছে ভাল। ৭১ সালেও ছিল। তাদের সাথে তো আমাদের কোন বিরোধ নেই।
@তাউসিফ,
কালোরা একে অন্যকে brother বলেই সম্বোধন করে বলেই যে সেটা সমর্থনযোগ্য তা কিন্তু নয় এবং তদের কেউ যে এটাকে আপত্তিকারক বলে মনে করে না তারও কোন পরিসংখ্যান নাই। এইসব ভাই, ব্রাদার ডাকার পিছনে যে মানসিকতা কাজ করে সেটা হলো অন্য বর্ণের লোককে তারা ভাই মনে করেনা অর্থাত আপন ভাবতে পারেনা বা আপন ভাবতে কষ্ট হয়। তাতে করে তারা নিজেরাই যে শুধু বর্ণবাদকে উস্কে দিচ্ছে তাই নয়, নিজেদের পশ্চাদপদতাও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা এক ধরনের ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে হচ্ছে, ভাই বলে ডেকে দল ভারী করে সুপেরিওর হওয়ার এটা একটা উপায় মনে করছে। আসলে তারা সুপেরিওর হওয়ার সহজ উপায় খুঁজে, সুপেরিওর হওয়ার জন্য জ্ঞানে-বিজ্ঞানে-বুদ্বিতে যে অন্যের সমকক্ষ হতে হবে এটা বুঝতে তাদের এখনো বাকী। কোন জাতির এ ধরনের মানসিকতা মানবজাতীর উন্নতির পথে যে অন্তরায় তা বলাই বাহুল্য এবং আমেরিকার কালো সম্প্রদায়ই তার উদাহরন।
@ব্রাইট স্মাইল,
তুমি যেটা বলেছ শেটা ঠইক (ঠEEক)। কিভাবে ঠEEক লেখ?? ওনেক বিতরকও করেছ, এখন ভাল কিছু দেখ।
আমি দেখলাম।
http://www.youtube.com/watch?v=W-pIH0rRzPM
http://www.youtube.com/watch?v=4UTaPkYqjlI&feature=fvw
ভাল না??
দিগন্ত,
আলতাফ হুসেন এর পারটি mqm পাকিস্তানের ৩য় বড় দল, তিনি এবং আরো ক্য়কজন নেতা দেশ বিভাগকে একটা বড় ভুল মনে করেন, প্রক্রত পক্ষে দেশ বিভাগের স্রশঠা তো বাংগালিরাই ছিলেন যেমন মুস্লিম লিগের জন্মস্থান তো ঢাকা , সিলেটের জনগন নিজেদেরকে আসাম থেকে বিচছিন করে পাকিস্তানের সাথে যোগ দেন ইত্যাদি, ১৯৪৭ এ বত্রমান রাশট্র পাকিস্তানের তিন টি অংরাজ্য পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান ও NWFP পাকিস্তান স্রশঠির ঘোর বিরোধী ছিল
শামীম,
এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই মেলা কথা বলা হয়ে গেছে।
তবে আপনি সরাসরি আমাকে কিছু বলেছেন দেখে আরেকটু বলার দরকার বোধ করছি।
প্রথমতঃ, আমি আপনাকে তাচ্ছিল্য করে কিছু বলিনি। আপনার গত লেখার পুরোটা দেখেই মনে হল আপনি মনে হয় নিজেকে মনে হয় বেশীই ভিক্টিমাইজ করে ফেলছেন। যুক্তি দেওয়া বা খন্ডন করার মাঝে তাচ্ছিল্যের কিছু নেই। যাক সে আপনার ব্যাপার। আপনি তো একা নন, পাকিস্তানীদের ভাই বানাতে লাখে লাখে বাংগালী চায়। তাতেও আমি তেমন দোষ দেখি না, আমি নিজেই বলেছি যে শর্ত সাপেক্ষে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি নিজেও পাকিস্তানীদের ভাই ডেকেছি।
এই ভাই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের সাথে বিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু পাকিস্তানীদের বা মধ্যপ্রাচ্যীয়দের ভাই বানাতে আগ্রহী কেন? কেন একটা সাদা আমেরিকান বা ইউরোপিয়ানকে একই রকম দরদের সাথে ভাই ডাকতে পারি না? কারন, আমরা দেশের বা ব্যাক্তির পরিচয়ের থেকে বড় করে দেখি ধর্মীয় পরিচয়। এটাই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। এর জন্যই অনেকে বুক ফুলিয়ে বলেন আমি আগে মোসলমান, তারপর বাংগালী। একই ভাবে জন্মসূত্রে আমেরিকানও এই ধর্মীয় পরিচয়ের কারনেই নিজের দেশের নীরিহ মানুষ মেরে ফেলতে পারেন।
ফরিদ ভাই আগেই পরিষ্কার করেছেন যে আমরা সব পাকিস্তানী ঘৃণা করি অমন কথা আসলে আবেগ প্রসূত। এটাকেও আপনার রূপক হিসেবেই ধরা যেতে পারে। আপনার ভাই ভাই যেমন রুপক এটাও তেমনি রুপক বা মেটাফোর। আমিও আগেই বলেছি কোন পাকিস্তানী ৭১ এর ব্যাপারে তাদের সরকারকে সমর্থন না করলে আমার তার প্রতি কোন বিদ্বেষ নেই। সব বাংগালীই তেমনই বলবে। আশা করি আশ্বস্ত হয়েছেন। এখানে কেউ প্রস্তাব দেননি যে আসুন সবাই মিলে পাকিস্তানী কতল অভিযানে নামি না পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হোক।
পোল্যান্ড-জার্মানী তো দুরের কথা। এখনকার বিশ্বে এমনকি ইহুদীরাও মনে হয় না জার্মানদের প্রতি কোন জাতিগত বিদ্বেষ করে বলে। এর কারন এই না যে তারা সব ভুল গেছে বা বাংগালী জাতি থেকে তারা অতি মহত, বাংগালীই কেবল নীচুমনা। এর মূল কারন আপনিই দিয়েছেন, জার্মানরা যুদ্ধের পর এতই এপোলোজেটিক হয়েছে যে তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করার কোন কারন ইহুদীদের নেই। জার্মানরা ভুলেও প্রকাশ্যে দাবী করবে না যে হিটলার যে করেছে ঠিকই ছিল। হিটলারের নাম নেওয়া এমনকি পশ্চীমা বাক স্বাধীনতার স্বর্গ রাজ্যগুলিতেই আইনত নিষিদ্ধ। জার্মানরা ক্ষতিগ্রস্ত ইহুদীদের আর্থিক ক্ষতিপূরন দিয়েছে। পাকিস্তানীদের ব্যাপারে কি তা বলা যায়? কাজেই তূলনা করা যায় না। আজ জার্মানরা পাকিস্তানীদের মত ভাব দেখালে দেখা যেত কত সম্প্রীতি বজায় থাকে। আপনাকে বুঝতে হবে যে আমাদের এই জাতিগত বিদ্বেষের দায় পাকিস্তানীদের, আমাদের নয়।
শেষ কথা, ঝগড়া ঝাটি (৭১ এর ক্ষেত্রে খুব আপত্তিকর হলেও) বা যুদ্ধ যাই বলেন তা হয়, তবে সেটার জন্য যারা দায়ী তাদের দায় পরিষ্কারভাবে স্বীকার না করা পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থা কোনদিন ফিরে আসতে পারে না।
@আদিল মাহমুদ,
‘শেষ কথা, ঝগড়া ঝাটি (৭১ এর ক্ষেত্রে খুব আপত্তিকর হলেও) বা যুদ্ধ যাই বলেন তা হয়, তবে সেটার জন্য যারা দায়ী তাদের দায় পরিষ্কারভাবে স্বীকার না করা পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থা কোনদিন ফিরে আসতে পারে না।’
সম্পুর্ন একমত।
একটা জিনিস আমি কিছুতেই বুঝিনা, পাকিস্তানী দের সেধে সেধে ভাই ডাকতে যাবার কি মানে থাকতে পারে? কই পাকিস্তানীরা তো বাংলাদেশীদের ভাই বলে ডাকতে আসে না। তারা তো বাঙ্গালীদের কালা বাঙ্গালী, ভারতের দালাল বলেই জানে। তো আমার কি ভাই এর অভাব পড়েছে নাকি যে যেচে তাদের ভাই ডাকতে হবে?? তাই এই যেচে ভাই ডাকা আর যখনই এর যখনই এর সমালোচনা করা হয় তখনই কারো কারো মুক্তমনা সেজে এর প্রতিবাদ করার একটাই কারন থাকতে পারে, আর তা হল তারা আগে মুসলমান পরে বাঙ্গালী, তাদের কাছে ব্যাক্তি পরিচয়ের থেকে ধর্মীয় পরিচয়টাই বড়।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,
ভাই, আপনি তো দেখছি আমার মনের কথাটাই বলে দিলেন। :yes: :rose2: :rose2: :rose2:
@সৈকত চৌধুরী,
আপনাকেও :yes: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2:
@মিঠুন,
সেটাই তো আমি শামীম সাহেবকে বোঝাবার চেষ্টা করেছি, এটা একটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। বিদেশে যেহেতু পশ্চীমা পরিবেশে কালচারাল শক খুব বেশী হয় তাই এ রোগ আরো প্রকটভাবে দেখা যায়। উনি এটাকে বিবর্তনের সাথে কেন জানি গুলিয়ে ফেলেছেন।
আত্মসমান বিকিয়ে দিয়ে ভাই ব্রাদার ডাকাডাকি করার কোন মানে তো নেই। নিজের ভাই ও গালে চড় মেরে সরি না বলা পর্যন্ত কি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে? অন্যায়ভাবে গালে চড় মারবে, আর আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরব কখনো হয় নাকি?
যারা অতি উদার, বিশ্বভ্রাতৃত্বে বিশ্বাস করেন তাদের তো দেখি না পশ্চীমা কাফের নাসারাদের ভাই বলে মনে করতে। যদিও অনেকে আইনী বেয়াইনী নানান কায়দায় তাদের দেশেই থাকেন, সারা জীবন সেসব দেশেরই খান। জাতিগত বিদ্বেষে যাওয়া উচিত না শুনতে খুবই মহত লাগে। ইসরাইলী নীতির জন্য কি সব ইহুদী খারাপ? কয়জন মোসলমান সজ্ঞানে ইহুদীদের ভাই বলে ডাকতে পারবেন?
@আদিল মাহমুদ,
হে ভাই, আপনি কি অন্তর্যামী নাকি ইস্তেখারা নামাজ পড়ে ওহী প্রাপ্ত হন? গত রাতে ঠিক হুবহু কথাগুলো আমি পরে পৌস্ট করবো বলে ওয়ার্ডে লিখে রেখেছিলাম। এত সময় যে কোথায় পান আল্লায়ই জানে।
ফিলিস্তিনীরা বলতে পারবে ভাল।
তবে শামীম সাহেব তার কথার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা একবার মানা যায় যে, দুনিয়ার সকল মানুষ ভাই ভাই, এ ভাই জাতি, বংশ বা রক্তসম্পর্কের সহোদর ভাই নয়। তবে আমার একখান কথা আছে। পাকিস্তানীরা কিন্তু বিশ্ব-ভ্রাতৃত্বের অর্থে বাংগালীদেরকে ভাই বলেনা। এটা তাদের ফরমায়েশী স্বার্থের ডাক। গুরু বলে দিয়েছেন- আল্ মুসলিমু আখুল মুসলিম। মুসলমান মুসলমানের ভাই। (সহীহ বুখারী হাদীস) বাংলাদেশের কোন হিন্দুকে পাকিস্তানীরা ভাই বলে সম্মোধন করবে না। সুতরাং কেরামতিটা এখানেই।
পাকিস্তানীদেরকে এই ফরমায়েশী ভাই ডাকার জন্যে কেউ যদি আমাকে উপদেশ দেয় বা নিজেই আমাকে ভাই ডাকে, আমি তাকে অভিশম্পাত করি, আজীবন লান্নত দেই।
@আকাশ মালিক,
হায় হায় , যুক্তিবাদী নাস্তিকের একি দশা । এটা কি দেখলাম । ভূতের মুখে রাম নাম । 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
নাকি আকাশ মালিক সাহেব ও নিজের আসহায় অথবা যখন কিছু করার থাকে না তখন আল্লাহ পাক এর সহায়তা চান । 🙂
@মিঠুন,
আমার মনে হয় কোন পাকিস্তানী বাংগালিদের প্রতি এ ধরনের ধারনা পোষন করে, এটা বিভ্রান্তিকর। পাকিস্তানের opposition নেতা nawaz sharif এই তো কিছুদিন আগে army কে ধিক্কার করলেন ৭১ এর ঘটনার জন্য ( বাঙ্গালীদেরকে নয় )। , পাকিস্তানী ৩য় বড় রাজনৈতিক দল mqm এর নেতা Altaf hussain শেখ মুজিবকে সবর্দা মহান দেশ প্রেমী বলেই আখ্যা দেন এবং করাচিতে বসাবসরত প্রায় ২০ লক্ষ বাঙ্গালীদের অধিকারের কথা বলে থাকেন, পাকিস্তানী কোন নেতা বা সাধারন লোক বাঙ্গালীদের প্রতি এরকম মনোভব পোযন করে না। উনার উদ্ধর্তি http://www.mqm.org তে পাওয়া যেতে পারে। নিচে উনার একটা current উদ্ধর্তি দিচছি ” Commenting on the role of so-called mullahs, Mr Hussain said that 70 mullahs have issued a joint statement declaring that to attend or participate in the Namaz-e-Janazah (funeral prayers) of the army personnel killed in Waziristan to be un-Islamic because they attacked the Muslims. He asked where these mullahs were when the Pakistan Army was massacring innocent Bengalis in former East Pakistan and when they launched operations in Sindh and Balochistan against innocent citizens.
@তাউসিফ,
আপনি কয়েকজন এর উদাহরন দিয়ে উপসংহার টেনে দিলেন যে, কোন পাকিস্তানীই বাংলাদশীদের কালা বাঙ্গালী মনে করেন না, অথচ এই ব্লগেই কোন একজন তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন যে কোন এক পাকিস্তানী বাঙ্গালীদের কালা বাঙ্গালী বলে গালী দিয়েছে।
তাই আপনার কথা আমি মানতে পারলামনা এবং চরম হাস্যকর লাগল আমার কাছে।
একটা কথা বলি বা পরামর্শ দেই (যা কিছু ভাবতে পারেন)- এই যে, কোন পাকিস্তানী বাঙ্গালীদের গালি দেয় না বা সব পাকিস্তানীই কি অপরাধী ?- এই টাইপের কথা বলে পাকিস্তানীদের কে আপন করে নেয়া কে সাপোর্ট করা থেকে বিরত থাকুন, এগুলো করার থেকে বরং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করুন। তাতে অনেক বেশী মুক্তমনের পরিচয় রাখতে পারবেন।
ধন্যবাদ
@তাউসিফ, আলতাফ হুসেনকে আপনি পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে দাঁড় করাচ্ছেন দেখে অবাক হলাম। নিচের ভিডিওটা নিয়ে আপনার মত কি? আলতাফ হুসেন তো পার্টিশানেরও একইরকম সমালোচনা করছেন ভারতে গিয়ে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=gMSVYTgFIPA
@মণিকা রশিদ, আমি আগে পাকিস্তান বিষয়ে দুটো লেখা লিখেছিলাম। পড়ে দেখলে ভাল লাগবে। প্রথমটিতে ভারত ও পাকিস্তানের সিলেবাস ও পাঠ্যবই নিয়ে সমালোচনা আছে। দ্বিতীয়টিতে পারভেজ হুদভয়ের চোখে পাকিস্তানের সমাজ ও রাজনীতি।
@দিগন্ত, আপনাদে্র পাঠ্য পুস্তকেও কিন্তু তিতুমিরকে মহান নেতা বা নায়ক আখ্যা দিয়ে থাকে, যিনি ছিলেন কট্ট্র ওয়াহাবি পন্থি বতর্মান তা্লিবানের মত
@তাউসিফ, লেখাটা শুধু ভারত-পাকিস্তান নিয়ে।
@দিগন্ত, আমে জানি আপ্নার লেখাটা শুধু ভারত-পাকিস্তান নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকগুলো ও একই রকম , আপনাকে উপরে একটি উদাহারন দিলাম।
@দিগন্ত,
ধন্যবাদ, দিগন্ত! আপনার এই লেখা দুটি আমি আগেই পড়েছি। মুক্তমনার নিয়মিত পাঠক আমি সেই ২০০৪ থেকে। ভালো থাকবেন।
এই বিষয়ে আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল লন্ডনে। গ্রে’স ইন এ যখন বার করছিলাম, একটি বিতর্ক সন্ধ্যায় বিষয় ছিল, “ধর্ম অ রাজনীতি। অবাক ভাবে দেখলাম যে এক পাকিস্তানী ছাত্র, সাবলীল ভাবে বসনিয়া তে ethnic cleansing নিয়ে বললো। অতঃপর আমি ফ্লোর নিয়ে তাকে ৭১ এ তার নিজের দেশের ইতিহাস জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিয়েছিল “আরে ওটা তো ভাই ভাই এর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আর কোন rape হয়ে থাকলেও তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ঃ একটু ইমোসনাল হয়ে উত্তর দিয়েছিলাম।
পরদিন সন্ধ্যায় ছেলেটি এসে আমায় বলেছিল যে, তাদের দেশের ইতিহাস বইতে ৭১ এর কোন পুর্ন বিবরণ নাই। মনের দুঃখ চেপে আমার যা অল্প বয় ছিল তা ওকে পড়তে দিলে, এক সপ্তাহ পর এসে বলেছিল। “I personally say sorry to you and your nation, but knowing the politicians of my Country, they never would do so.”
@অনীক,
অবাক হবার কিছু নেই।
বেশীরবাহগ পাকিস্তানী ৭১ ইস্যুকে এভাবেই চিন্তা করে।
১। দুই পক্ষেরই কিছু না কিছু দোষ আছে, তালি এক হাতে বাজে না। বিশেষ করে মুজিব ছিল ভারতের দালাল, সে ভারতের ইন্ধনে তোমাদের নাচিয়েছে। উগ্রবাদী কেউ কেউ আবার আরো যোগ করে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু হিন্দু প্রফেসর তোমাদের ব্রেইন ওয়াশ করেছে।
২। পাকিস্তানী সৈন্যরা হয়ত কিছু মানুষ মেরেছে, তবে যা দাবী করা হয় তার থেকে অনেক অনেক কম।
৩। বাংগালীদের হাতেও হাজার হাজার নিরীহ পাকিস্তানী মারা গেছে।
৪। মুসলমান সেনাবাহিনী অমন কথিত গণধর্ষন কোনভাবেই করতে পারে না।
সিদ্ধান্ত হল; ভাইয়ে ভাইয়ে মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি, যা হতেই পারে। এই সুযোগে হিন্দু ভারত দিয়েছে দেশ ভাগ করে। এসো, আমাদের বাপ দাদাদের ভুল বোঝাবুঝি আমরা ভুলে যাই, এখন পিছে তাকানোর সময় নয়, সামনে এগিয়ে যাবার সময়।
এদের অনেকের , বিশেষ করে পাঞ্জাবীদের জাতিগত অহংকার অবিশ্বাস্য।
কয়েক বছর আগে এক পাকিস্তানী ফোরামে ওয়াহিদ নামের এক পাকিস্তানীর সাথে আমার তর্ক হত। ৭১ এর সমস্যার শুরু নির্বাচনে জেতা মুজিবকে ক্ষমতা দিতে অস্বীকার করা এ কথা বলায় সে একমত হল না। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম নির্বাচনে জেতা দলকে কোন যুক্তিতে ক্ষমতা দেওয়া যায় না।
তার সোজা উত্তর ছিল; কালা বাংগালীরা আমাদের শাসন করবে এটা আমরা মেনে নিতে পারিনি। এখানে কিছু স্যাম্পল দেখতে পারেন।
তওসীফ সাহেব বা যারা “ভাই ব্রাদার” খোজেন আশা করি বুঝবেন ভ্রাতৃত্ব কি জিনিস। আগেও আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমেরিকায় প্রথম খোলা বিনে পয়সায় ইন্টারনেট পেয়ে রাতদিন পড়ে থাকতাম, ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করতাম। ওখানেও এক পাকিস্তানী এসে আমি বাংলাদেশী শুনেই প্রথম কথা বলল, ও কালা সুটকা বাংগালী। আমি ৬ ফুট লম্বা, ফর্সা।
@আদিল মাহমুদ, ফোরামটির পোস্টিং এর জন্য ধন্যবাদ। এখানে আমি ফোরামের এক বিজ্ঞের বক্তব্য তুলে দিলাম। এ নিয়ে তৌসিফের বক্তব্য জানতে পারলে ভাল লাগবে।
This is true that Mujeeb was not an angel neither was Zulfikar Ali Bhutto. But the underlying reasons and fact for 1971 crises were due to, If I could summarize here:
1) Mujeeb’s bad intentions from the beginings (concpiracy with Indians). Even the 6 points were originaly written by Hindu professors in Dhaka.
(এটাই ১ নম্বরে!! ঢাকার হিন্দু প্রফেসর যদি ভারতীয় কন্সপিরেসির অংশ হয় তাহলে তৌসিফের বক্তব্য-মত পাকিস্তানে হিন্দুদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্তব্য প্রাসঙ্গিক কতটা?)
2) Bhutto’s selfish attitude.
(ব্যাখ্যা নেই)
3) Refusal of West Pakistanis to share power with East Pakistanis.
(কারণ ব্যাখ্যা নেই)
4) Racial prejudice of West Pakistanis. (I believe this was the most dominent underlying fact). An example: In 1858 during the war with East India company, British deployed a bengali regiment of some 300 soldiers in Lahore. As a result of this, there were wide spread roits in the city protesting to remove these “Kala” bengalis from Punjab. As a result, Sir Henry Lawrance ordered the bengalis to be sent away and replaced by Punjabi troops. This shows the arrogancy of West Pakistanis toward other ethnic groups of Sub-Continent.
(প্রেজুডিস একটা ভদ্র শব্দ, হেট্রেড শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল।)
5) Bengalis were insisting on unreasonable and impossible demands like language and capital change.
(কেন Unreasonable আর Impossible জানা গেল না। তাও বলে রাখা ভাল এগুলো মুজিবের ছয় দফা দাবীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।)
6) An Indian participation through Hindu bengalis in Dhaka to mislead bengalis and to spread the false stories about West Pakistanis.
(আবার ঢাকার হিন্দু বাঙালীদের দোষারোপ।)
@দিগন্ত,
ওয়াহিদ নামের ঐ পাজির সাথে আমার ঐ ফোরামে কয়েকটি যায়গায় ডিবেট হয়েছে, অবশ্য ডিবেট কোনভাবেই বলা যায় না। আমি রাশি রাশি সূত্র দিয়েছি, আর সে শুধুমাত্র কোন নামহীন পত্রিকার কপি পেষ্ট দিয়েছিল মুজিব আগরতলা ষড়যন্ত্রে ভারতের সাথে জড়িত বলে। যদিও কোন পত্রিকা, কবেকার কিছুই বলতে পারেনি।
৩নং এর ব্যাখ্যা সে দিয়েছিল। খুবই সরল, Panjabis didn’t want to be rules by the kala banglais. প্রায় হুবহু এমন কিছুই সে বলেছিল। আমি প্রথম নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি যে এই শতকে দাঁড়িয়ে অন্তত ইন্টারনেট লিটারেট কোন মানুষে এহেন কথা বলতে পারে।
সভ্য সমাজের কিছু অসুবিধে হল সবসময় সত্য কথা বলা যায় না। কথায় কথায় হিন্দুর ষড়যন্ত্র, বাংগালীরা কালো এসব হল যুক্তি।
নাহলে ওর সম্পর্কে আমার ধারনা অনেক আগেই বলে বিদায় নিতাম। একদিন পাক আর্মির শৌর্য বীর্য নিয়ে কথা শুরু করার পর আমি ১৬ ই ডিসেম্বরের পরাজয়ের ছবি পোষ্ট করেছিলাম, Sandee নামের আরেকজন বলেছিল Your Pak Army Was Caught Hands Up Pants Down. তার কিছুদিন পর সেই সাইটে আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানি না এটা কারন কিনা।
তবে ঐ ফোরামে বোম্বের সেই Sandeeর সাথে আমার ভাল বন্ধুত্ত্ব হয়ে যায়। সে আমেরিকায় আমার সাথে দেখাও করেছিল।
আপনারা তওসিফ সাহেবকে যতই ”আমার সোনার বাংলা” শেখান না কেন তার মুখ দিয়ে ”পাক সার জমিন সাদ বাদ” বের হবেই। সে পুরান পাপী।
আগে যখন ছোট ছিলাম তখন আমারও মনে হত পাকিস্তান ভালো খেলে, তাহলে পাকিস্তান সাপোর্ট করতে দোষ কি(অদ্ভুত যুক্তি!! পাকিস্তান সে সময় মোটেও ভালো খেলতো না। আমি আমার বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত ছিলাম)। কিন্তু যখন জানতে শিখলাম, বিস্তারিত জানলাম,খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম, তখন থেকেই ”পাকিস্তান” শব্দটা শুনলে আমার গা ঘিনঘিন করে,রক্ত গরম হয়ে যায়, শিরায় শিরায় রক্ত গরম হয়ে আসে। :-X :guli:
@ ফরিদ মামা, চুকনগরের লেখাটা কি মামা উইকি থেকে নিয়েছেন? 😀
@তানভী,
জ্বী ভাগিনা। কপিরাইটের আওতায় ধরা খাইলাম নাকি? কমেন্টেও কী রেফারেন্স দেওন লাগবো? নাকি আপনে লিখছেন ওইটা? 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
না মামা। উইকির কপিরাইট ঝামেলা নাই বলেই জানি।
তবে খুশির(!!) সংবাদ হচ্ছে যে ঐ চুকনগর গণহত্যার একটা প্রধান অংশ (অনেকটুকু বলা যায়) আমার লেখা!!!!! 😀
তাই সাড়ে ৩২ দাঁত বের কইরা একখান হাসি দিলাম আরি!! 😀
@তানভী,
এই না হলে কি আর আমার ভাগিনা!! সাব্বাশ!!!
@তানভী,
এই অধম ও মাত্র কবছর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঘোরতর সমর্থক ছিল। যে সে সমর্থক নয়, যাকে বলে কঠিন সমর্থক। খুব ছোটবেলা থেকে ইমরান খান, জাভেদ মিয়াদাদ এদের দেবজ্ঞানে পূজো করতাম, এদের ১৪ গোষ্ঠির ঠিকুজি পর্যন্ত এখনো মুখস্থ আছে। মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে হত, তবে মনকে বুঝ দিতাম যে এই ক্রিকেটারগুলোর দোষ কি? এরা তো আর খুন করেনি। খেলা আর রাজনীতি কি মেশানো ঠিক?
আদর্শবাদের ব্যাপারটা ওভাবে চিন্তা করিনি।
চুকনগর গণহত্যা তো খুবই সুপরিচিত একটা গনহত্যা। এই হত্যাকান্ড নিয়ে কয়েকটি লেখা পড়েছি। এ নিয়ে প্রথম আলোর ২০-০৫-০৬ সংখ্যায় একটি মর্মষপর্ষী লেখা বেরিয়েছিল। আমি তখন পড়েছিলাম, এখানে সেটা দেখতে পারেন যদি পড়ে না থাকেন।
@আদিল মাহমুদ,
না না। উইটা না। আসলে মামার লেখা পড়ে আমারটার সাথে মিল পাইসিলামতো তাই বাজায়ে দেখলাম!!!! 😀
দেখসেন উইকির লেখা কত কামে আহে!!!
তাই সবাইরে আবার বলি বাংলা উইকি/ইংলিশ উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখুন। আর কিছু না পারেন, গুরুত্বপুর্ন বিষয়ের উপর রচিত ইংরেজি/বাংলা গুলোকে উলটো ভাষায় রেফারেন্সগুলো সহ অনুবাদ করে দিন। অনেক লেখা দরকার। প্রায় কিছুই নেই। অপারেশন সার্চলাইটের উপর ইংরেজিতে বিশাল একটা লেখা আছে,কিন্তু বাংলাতে শুধু একটা ছক ছাড়া কিচ্ছু নাই।
তাই এটাকে অন্তত কেউ অনুবাদ করে দিন।
@আদিল মাহমুদ,
আর চুকনগর গণহত্যা নিয়ে একটা মৌখিক বর্ননামূলক বইও লেখা হয়েছে (চুকনগর গণহত্যা, মুনতাসির মামুন সম্পাদিত, বাংলাদেশ চর্চা প্রকাশিত)
প্রথম আলোর যে লেখা, ওটা ঐ বইতেও আছে।
@তানভী,
খাইসে, কারে কি বলি।
মামার তো দেখি এলেম ভালই আছে।
মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক ভাল ভাল বই আছে। মুশকিল হল আমাদের প্রকাশনা শিল্প এত দুর্বল যে সব বই, বিশেষ করে পুরনোগুলি এক সংগে পাওয়াটা খুব কঠিন। অধিকাংশ বই এর দোকানেই নুতন ছাড়া অন্য বই পাওয়া কঠিন। এজন্য অল্প সময়ের জন্য গেলে বা কেউ আসছে জেনে কিছু বই আনতে বললে সময়মত বই পাওয়া যায় না।
@তানভী,
তৌসিফ সাহেবকে কেউই এখানে আমার সোনার বাংলা শিখাচ্ছে না। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি যে উনি পাকিস্তানী নাগরিক। পাকিস্তানী নাগরিক হিসাবে উনার মুখ দিয়ে পাক সার জমিন সাদ বাদ বের হবে সেটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আমাদের মনে হয় না কারো কোন আপত্তি আছে।
তৌসিফ সাহেব যে বিষয়টা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন, আমার ধারনা তার ব্যাখ্যা তিনিসহ আমরা সকলেই বুঝে গিয়েছি। আমরা স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করেছি যে, আমরা সব পাকিস্তানীকে ঘৃণা করি না। মূলতঃ যারা গণহত্যার সাথে যুক্ত ছিল এবং যারা গণহত্যাকে সরবে বা নীরবে সমর্থন করেছে সেই সব পাকিস্তানীদেরকে ঘৃণা করি। তৌসিফ সাহেবেরও এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই (উনার সর্বশেষ মন্তব্যটা দেখতে পারেন।)। কাজেই এই বিষয়ে আর কথা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
তৌসিফ সাহেবরা আমাদের জন্য কোন সমস্যা নয়। আমাদের কিছু নিজেদের লোকজন, যারা এত বড় একটা গণহত্যাকে ভাইয়ে ভাইয়ে সামান্য ঝগড়া বলে মনে করে, তারাই বরং বিরাট সমস্যা। এদের গাওয়ার কথা আমার সোনার বাংলা। হয়তো মুখে গায়ও তা, কিন্তু অন্তরে বাজে পাক সার জমীন সাদ বাদ এর সুর।
@ফরিদ আহমেদ, Thanks for your understanding, Sir.
@tausif,
আপনার নামটা এখানে বাংলায় লিখলে খুশি হতাম।
@ফরিদ আহমেদ,
উ উ আচ্ছা। উনি উইখান থেইকা এইরাম কারবার করতাসেন তাতো আগে টের পাই নাই!! আমার কি দুষ!!
@তানভী,
মামা ভাগনাকে একসাথে দেখার পরও এখানে আসা বোধহয় আমার ভুল হয়েছে। গীতা দি থেকে আরম্ভ করে শামীম- তউসিফ; কি যে আরম্ভ হলো কিছুই বুঝতে পারতেছি না।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি বলেছিঃ
আপনি বলেছেনঃ
কথা দুটিকি কাছাকাছি নয় ? তো “যারা গণহত্যার সাথে যুক্ত ছিল এবং যারা গণহত্যাকে সরবে বা নীরবে সমর্থন করেছে সেই সব পাকিস্তানীদেরকে ঘৃণা করি” -এদের ছাড়া বাকী নির্দোষ পাকিস্থানিদের ভাই বলতে সমস্যা কোথায়? যে সব পাকিস্থানীরা ঐসময়ে আমাদের গনহত্যা সমর্থন করার পরও আজকে অনুতপ্ত তাদের ভাই বলতে সমস্যা কেন? যে সব পাকিস্থানী আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ছিল তাদের ভাই বলতে সমস্যা কোথায়?
শুধুমাত্র পাকিস্থানী হবার কারনে কেউ আমাদের জাত শত্রুতে পরিনত হয় না। যে সব পাকিস্থানী ৭১ এর পরে জন্ম এবং ৭১ নিয়ে যাদের কমপ্লেক্স নেই তাদের ভাই বলতে সমস্যা কোথায়?
যে কেউ যদি আমার কাছে ভাইয়ের দাবী নিয়ে আসে এবং যদি ভাই হবার শর্তপূরন করে তা যে কোন জাতিয়তার হোকনা কেন তাকে ভাই হিসাবে আমার গ্রহন করতে সমস্যা কেন হবে?
আসলে পাকিস্থানী কথা শুনলে অনেকেরই অকারনে গাত্রদাহ করেন। অনেকেই নিজেদের ‘মুক্ত-মনা’ দাবী করেন, মুক্ত-মনা মানে স্বাভাবিক ষ্টেরিওটাইপ মুক্ত লোক। কিন্তু পাকিস্থানী মনে করলেই অনেকের মস্তিস্কে যে ষ্টেরিওটাইপ কাজ করে তা হোলো ‘যেহতু কিছু পাকিস্থানী ঘাতক বা তার সমর্থক ছিল সুতরাং সকল পাকিস্থানী চিরকালের জন্য ঘাতক বা তার সমর্থক’। আর কেউ পাকিস্থানিকে ভাই বললেই মনে করে ‘ঐসব ঘাতকদের দোসর’। পাকিস্থান জাতিতে কি নর্দোষ কোন লোক নেই? একজন নির্দোষ পাকিস্থানীকে ভাই মনে করলে দোষের কি?
ইংল্যান্ড-পাকিস্থানের খেলাতে আমি যদি পাকিস্থানকে সমর্থন করাতে যদি গিলটি ফিল করতে হয়, তবে যে ইংল্যান্ডকে (শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরে) সমর্থন করে সে গিলটি ফিল করবে না কেন? (ইংরেজদের ২০০ বছরের শাষন মনে করে)। আমি দৃড় বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি ৯৯ (মনিকা আপুর কথা ধরে ১ ভাগ বাদ দিয়ে) ভাগ পাকিস্থান ক্রিকেট দলের (স্বাভাবিক) সমর্থক তাদের সাইড সুইচ করে যখন পাকিস্থান বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলে। এরাই ‘মুক্ত-মনা’ সমর্থক। কাউকে পারপিচুয়াল শত্রু ভাবা অসুস্থতার লক্ষন।
এত বড় গনহত্যাকে আমি কখন ‘সামান্য’ ঝগড়া বলেছি। সমালোচনা করতে চান ভাল কথা কিন্তু হঠাৎ করে এমন শব্দ আবিস্কার করে অন্যের নামি চালিয়ে দিবেননা। ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া হলেই সামান্য কিছু হয় এটাও সত্য নয় (আরেকটা ষ্টেরিওটাইপ)। বরংচ ভাইয়ে-ভাইয়ে স্বার্থের দ্বন্দ অনেক সময় হত্যা পর্যন্ত গড়ায়। ভাই যখন ভাইকে হত্যা করে সে ভাই-ই থাকে বেয়াই হয়ে যায় না। ভাই-ভাইয়ের শত্রু হতে পারে। সহোদর হলেই ভাইদের মধ্যে চিরকাল মিত্রতা থাকবে এই গ্যারান্টি কে দিতে পারে।
ভাই-ভাই ব্যাবহার করা হয়েছে একটা মেটাফোর হিসাবে (সহোদর অর্থে নয়)। বাঙ্গালী বাঙ্গালী ভাই ভাই। এটি একটা মেটাফোর। আপনি যদি প্রশ্ন করেন আমার মা একজন বাঙ্গালী আমি একজন বাঙ্গালী সুতরাং আমি আমার মা কি ভাই-ভাই? এর জবাবে আমাক হতবুদ্ধি না হয়ে উপায় থাকবেনা। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হবার পরও আপনি কি এই শ্লোগান শুনেন নাই ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই’। জাতিতে জাতিতে সমস্যা হতেই পারে (বাঙ্গালী-পাকিস্থানী, পোলিশ-জার্মান) কিন্তু কেউ এতে জাতশত্রু হয়ে যায় না। আমি মেটাফোরিকালি মনে করি বিশ্বের সব নাগরিক পরেষ্পরের ভাই-ভাই (ব্রাদার হুড অব হিউম্যানিটি)। ‘ঝগড়া’ শব্দটিও আমি মেটাফোরিকালি ব্যাবহার করেছি।
আপনার যদি ‘ভাই-ভাই’ আর ‘ঝগড়া’ শব্দ দুটি পছন্দ না হয় তাহলে এভাবে বলিঃ মানুষে মানুষে যুদ্ধ হলেই মনুষত্বের অবসান হয় না। কিংবা জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ হলেই মনুষত্বের অবসান হয়না। আশা করি এবার খুশি হবেন।
মানুষকে ছোট করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন আপনি!! আমি কি বলেছি বা কি বলতে চেয়েছি তা জানতে চাইতে পারতেন যেমন মনিকা রশিদ বা আকাশ মালিক আমাকে প্রশ্ন করেছেন। তার উত্তরে কি বলি তার জন্য আপনি অপেক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু সম্ভবতঃ আপনার কাজ হচ্ছে একটা ষ্টেরিওটাইপ তৈরী করা এবং তার ভিত্তিতে একটা মন্ত্যব্য ছুড়ে দেয়া। তার পরও আমি আমার কৃত অপরাধের জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি।
@shamim,
ভাই দয়া করে আপনার বানান ঠিক করেন। আমি কোন বানান নিয়ে কখনো কাউ কে কিছু বলিনি।কিন্তু আপনাকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার টা আমার চোখে লাগছে।
PAKISTAN বানানটা পাকিস্তান হবে, ঐটারে ”পাকি”স্থান বলাটা আমি গুনাহ এর কাজ মনে করি।
আর আপনার উদ্ভট সব যুক্তি দেয়া বন্ধ করেন।
ইংল্যান্ড পাকিস্তান খেলার সময় আমি ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করতে অনেক কম গিল্টি ফিল করব, কারন পাকিস্তানি হারামীরা আমাদের দেশে ২৫ বছরে (স্পেশাললি যুদ্ধের ৯ মাস) যত মানুষ মেরেছে ইংরেজরা মনে হয় ২০০ বছরে তার ধারে কাছে যেতে পারেনি, ইংরেজরা আমাদের ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে টানাটানি করেনি, ইংরেজরা ধর্মের নামে আমাদের লুঙ্গি ধরেও টানাটানি করেনি(ইংরেজদের মাইনর কিছু দেখাতে যাবেন না। কারন পাকিস্তানিদের মাইনর দোষগুলো লিখতে গেলে পৃষ্ঠা ভরে যাবে)
আরে ভাই আপনার বিশ্বাস অবে কিনা জানিনা, হিসাব করলে বের হয় যে পাকিস্তানিরা যুদ্ধের ন’মাস প্রতিদিন ১১০০০ মানুষ মেরেছে ৪০০০ মা বোনের ইজ্জত লুটেছে!! আর তাদের কারনে শরনার্থী শিবিরে কতজন যে মরল তার কি হিসাব আছে?
তাইলে কোন যুক্তিতে আমি ঐ হারামী গুলারে সাপোর্ট দিতে যাব? ধর্ম? এর চেয়ে ভালো কিছু কি আপনার ভান্ডারে আছে? ধর্মযে কাউকে যুক্ত করার পেছনে কোন কারন হতে পারে না তার সবচেয়ে বড় উদাহরন তো ঐ পাকিস্তান ভাঙা। তাইলে কেন আমি পাকিস্তান সাপোর্ট করব?যেখানে তাদের সবটাই আমাদের বিরোধী?
আর একটা কথা। সব কথা নিজের ঘাড়ে টেনে নেবেন না।
এইটাই সবচেয়ে বর দোষ।
তানভী ,
আপনার উপর এর পরিসংখানগুলো কিন্তু একেবারে অবাস্তব এবং ভুয়া।
@তাউসিফ,
আপনিতো দেখি আমাদের বিরোধী দলের মতন শুরু করলেন!!!
আসেন বাল্য শিক্ষা পড়ি!!
সোজা গুণ ভাগের হিসাব করতে শেখেন। ৯ মাসে যদি ৩০লক্ষ হয় তবে এক মাসে কত?? (যদিও যে হারে মানুষ মেরেছে তাতে একটা একটা করে লাশ গণলে আরো অনেক বেশি হবার কথা। মৃত শরণার্থীদের হিসাব নাহয় বাদই দিলাম)!! একমাসে দাঁড়ায়, ৩০০০০০০/৯=৩৩৩৩৩৩.৩৩৩ ( তিন লাখ তেত্রিশ হাজার তিনশ তেত্রিশ দশমিক তিন তিন তিন)।
এবার মাসে ত্রিশ দিন হলে(এ্যাভারেজ) প্রতি দিন কত??
৩৩৩৩৩৩.৩৩৩/৩০=১১১১১.১১১১ (!!) এটা প্রতি দিনের হিসাব!! ( এগার হাজার একশ এগার দশমিক এক এক এক এক!!!)
আমি তো দেখছি আরো একশ এগার জন কমায়ে বলেছি!!
নাকি আপনি বলবেন আমাদের যুদ্ধে বেশি হলে দুইশো বাঙালি মরেছে(!!)
@tausif
আমেরিকায় বাংলাদেশি ILLEGAL রাও আমেরিকান হাসপাতালগুলোতে আমেরিকান/বাংগালী ডাক্তারদের কাছে ফ্রি চিকিত্সা নিচ্ছে এরকম ভূড়ি ভূড়ি উদাহরন আছে। আমেরিকায় যখন কেউ অসুস্ত হয় তখন প্রায়োরিটি পায় তার সূস্হ হওয়া, কে কি স্ট্যাটাস্-এ আছে সেটা বিবেচ্য বিষয় হয়না বা হলেও সেটা টপ প্রায়োরিটিতে থাকেনা। সুতরাং অবৈধ বাংগালিদের পাকিস্তানী ডাক্তারের কাছে চিকিত্সার জন্য যাওয়া ছাড়া অন্য কোন অলটারনেট নেই এটা ঠিক নয়। অবশ্য কারো যদি পাকিস্তান প্রীতি থাকে তা হলে ভীন্ন কথা।
@ব্রাইট স্মাইল, আমি new york এ গত ৮ বৎসর যাবৎ আছি এখানে কোন illegal দের emergency ছাড়া কোন রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই।এমন কি অনেক আমরিকানের কাছে ও যদি insurance , বা medicad ইত্যদি না থাকে তাদেরকেও emergency ব্যতিত কোন প্রকার চিকিৎসার সুবিধা পায় না। এটা Dhaka medical বা mitford hospital না যেখান যে কোন প্রকার লোক যে কোন দেশের নাগ্রিক চিকিৎসার সুবিধা পাবে।
ঠিক।
যেদিন থেকে আমার দেশ চিনেছি, তার জন্মের গল্প শুনেছি, যেদিন থেকে তৈরি হতে শুরু করেছে চেতনাবোধ – সেদিন থেকে ওই পাকিস্তান নামটি শুনলেই আমার শরীর ঘিনঘিন করে ।
ছোটবেলায় (এখন মাঝে মধ্যে) এদেশীয় কিছু মানুষ এর মুখে পাকিস্তান স্তুতি শুনতে পাই – তারা একই সাথে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর কথা বলত এবং এখন গোপনে হলেও বলে (পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের বর্তমান হালহাকিকত দেখে তাদের সেই আফসোস আর প্রকাশ্য হতে দেখছি না ইদানিং)। ছোটবেলায় প্রতিবাদ করতে করতে পারতাম না – শুধু কিছু বলতে ইচ্ছে করত কিন্তু মুখ দিয়ে কিছু বেরুতো না। কিন্তু কোন শালা সামনে এসে এসব বলার সাহস পায় না
এখানে তৌসিফ সাবেহকে দেখলাম – সবাইকে ঘৃনা না করার আহবান করতে । খুব ভালো কথা সেটা আমরা করিও না , আমাদের সেই বিবেচনাবোধ আছে । ফরিদ আহমেদ আমার মনের কথাগুলোই বলে উনাকে জবাব দিয়েছেন (টাইপিং কষ্ট থেকে বেঁচে গেলাম)
আর একটা কথা- বেশিরভাগ পাকিস্তানি বাংলাদেশ গনহত্যা প্রশ্নে তাদের কাপুরুষ-বর্বর সেনাবাহীনির হয়েই কথা বলবে , আর উদাহরন বেশিরভাগ অংশকে নিয়েই হয় । ব্যতিক্রম কখনো উদাহরন নয় – তবে ব্যতিক্রমটাও আমরা অবশ্যয়ই বিবেচনা করি
পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
পড়লাম…
ভালো লাগলো দিদি।
হুম, আসলে তাই……
@জুয়েইরিযাহ মউ,
পড়েছো, মউ! ভালো লাগলো জেনে! আসলেই কি অবান্তর! আমার অনেক পরিচিতজনদের দেখেছি ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেও থালা ভর্তি মিষ্টি বিলোতে!( এরকম এক অভিজ্ঞতার পরে ক্রিকেট থেকেই আগ্রহ চলে গেছে!) মনে হয় আমি ঠিক বলিনি, মনে হয় আমরা একটি বিস্মৃত জাতি!
@মণিকা রশিদ,
আপনার কমেন্টঃ
মনে হয় আমি ঠিক বলিনি, মনে হয় আমরা একটি বিস্মৃত জাতি!
আমার কমেন্টঃ
তার কারন সরকার একটা ধরমকে প্রওমট (promote) করে। সরকার সেকুলার নয়। সেকুলার শিখখা ব্যবশ্তা নেই। যথাযত মানুস গড়ার শিখখা (proper man making education) নেই। তাই মানুশের আত্মশ্রধধার অভাব আছে। সেকুলার সমাজ নেই। প্রিথিবিটাকে ধরমের প্রিজম দিয়ে দেখে। এই হছছে কারণ।
পাকিস্তান থেকে একটি ডাক্তার ছাত্র এশেছিল আমেরিকাতে কয়েক মাশের জন্য। ভবিশ্যত পরিকলপনা আমেরিকাতে স্থায়িভাবে থাকা। কিন্তু তার ইছছা আমেরিকা-টা যদি সাউদি আরবের মতন হত তাহলে খুব ভাল হত।
আমি বাংলাদেশের এক জনার জন্মদিনে গিয়েছিলাম। পনর মিনিটে দশবার “আলহামদুল্ইললা” “আল্লাহ রহমত” ইত্তাদি বলতে শুনেছি। এরা মানশিকভাবে ব্রেইন brainwashed. আমি গত বারও বছরে আমেরিকাতে কনও program-এ অমুস্লিমদের এতবার “God” এর রেফারেন্স দিতে দেখিনি।
পাকিস্তানের ডন (www.dawn.com) পত্রিকার সাংবাদইক নাদিম পারাচা একবার লিখে়ছিল কিভাবে জেনারেল জিয়াউল হক খুদা হাফেজ এর বদলে আল্লাহ হাফেজ শুরু করেছিল। ইস্লামিকরন সম্পরকে। আমি বাংলাদেশইদের একটা নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিলাম। আল্লাহ হাফেজ প্রায় সবাইকে বলতে শুনলাম, দুজন বাদে। নাদিম পারাচা লিখে়ছিল খুদা হাফেজ-এ ফিরে যেতে।
আমি খারাপ ভাল বলছি না। আমি শুদু বলছি “the way it is”.
নাদিমএর Article-এর লিঙ্কটা খুজে পেয়েছি।
http://www.dawn.com/wps/wcm/connect/dawn-content-library/dawn/the-newspaper/columnists/16-nadeem-f-paracha-allah-hafiz-to-khuda-hafiz-hs-07
এবার আমি চলি,
Bye bye বলি।
@Truthseeker,
ঠিক বলেছেন, লোকের ইসলাম এতো ঠুনকো যে আল্লাহর বদলে খোদা বললেই ইসলাম যায় যায় অবস্হা।
@মণিকা রশিদ,
আসলে দিদি “বাঙালীকে জিজ্ঞেস করা অবান্তর” কথাটি সত্য। কারন, যারা ওই পরিস্থিতিতে মিষ্টি বিলাতে পারে মন-প্রাণ থেকে তারা কি আদৌ বাঙালী কিংবা ৭১’এ তাদের অবস্থান কি ছিল সেটাও একটা প্রশ্ন বৈকি।
সমগ্র বাঙালী জাতির জন্য নয়, এ মুহূর্তে বিস্মৃতি ঐ ওদের জন্য খুবই প্রয়োজন হয়তো, তাই এ ঘটনাগুলো ঘটে।
ভালো থেকো, আরও লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম 🙂
@মণিকা রশিদ, আমি আপনার অনুভুতি বুঝতে পারলাম পাকিস্তানীদের ব্যপারে এবং আমার সোহানভুতি আপনার আত্নীয়দের জন্য যারা ৭১ এ মারা যান। কাউকে ঘৃণা করা আপ্নার ব্যক্তিগত ব্যপার কিন্তু তাই বলে এক সমস্ত দেশের নাগিরক কে ঘৃণা করার ব্যপার টা যুক্তিস্নগত মনে হয় না। এখানে করাচিতও প্রচুর লোকজন আছে যাদের কার ও ৩,৪,৫ বা স্মস্ত পরিবার কে হত্যা করা হয় তাদের কে তো দেখিনি স্মস্ত বাংগালি জাতিকে ঘৃণা করতে। আমি আগেই এক উদাহারন দিয়েছিলাম একজন অবাংগলি ডাক্তার আবুল কাসেম যিনি new york এ brooklyn hospital এ কাগ করেন এবং বাংগালি অধুষিত এলাকা jackson height এ সুপরিচিত।তার পরিবার এর ২১ জন কে হত্যা করে মুক্তী বাহীনির লোকেরা, আমি তো তাকে কোন দিন কোন বাংগলি কে ঘৃণা করতে দেখিনি বরং্চ আমি আপনাকে ১০০ জন বাংগলির ফোন number দিতে পারি new york and florida এলাকা থেকে যাদের Dr. Kashem বিনা মুল্যে চিকিতসার ব্যবসথা করেন এবং এখনো করছেন। দেখুন এই ভিডিওগুলোতে বেয়োনেট দিয়ে কিভাবে পাকিস্তানীদের হত্যা করা হয়।
@tausif,
ব্যাপারটা অংকের সোজা হিসেবের মত নয় যে আমরা মেরেছি, ওরাও মেরেছে এভাবে চিন্তা করা যায়।
আপনার কাছে আগে প্রশ্ন (যদি নিরপেক্ষভাবে ৭১ এর ঘটনা বিশ্লেষন করতে পারেন); এই পুরো ৭১ এর ঘটনার জন্য আপনার কাদে দায়ী মনে হয়? দয়া করে পুরো ঘটনা বর্ণনা করবেন না। শুধু পাকিস্তানী নাকি বাংগালী এই দুটো শব্দের একটি বেছে নেবেন। বাংগালীর দায় ৩০ ভাগ আর পাকিস্তানীর দায় ৭০ ভাগ এমন হিসেব দেবেন না।
বাংগালী কি বলেছে তা বায়াসড হতে পারে, মানি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বহু সূত্র আছে যেগুলি বলে ৭১ এর ঘটনা; রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে কিভাবে হয়েছিল। বিশেষ করে কারা কিভাবে গণহত্যা শুরু করেছিল তার বহু সুপ্রতিষ্ঠিত সুত্র আছে। এতে কোন ভুল নেই।
যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন বহু নিরীহ লোককেও জীবন দিতে হয়। এটা সব যুদ্ধেই হয়। বাংগালীরা কিছু নিরীহ পাকিস্তানী কি মারে নি? অবশ্যই অমন কিছু ঘটনা অন্তত ঘটেছে বলে আমি কোন সাক্ষ্য প্রমান ছাড়াই বিশ্বাস করতে রাজী আছি। যুদ্ধ মানুষের স্বাভাবিক মানবতাবোধ যুক্তিবোধকে কিছু মাত্রায় হলেও ভোতা করে দেয়। এটাই বাস্তবতা। আপনি দলবল নিয়ে কোন দেশে চড়াও হয়ে তাদের কোনরকম বাছবিচার না করে গনহারে মারা শুরু করবেন আর তারা আপনাকে সিন্নি রেধে খাওয়াবে তা কি হয়?
এখন যারা আক্রমনের শিকার হয়ে মারা গেছে আর আক্রমনকারী দলের বা জাতির যারা মারা গেছে এ দুপক্ষের আবেগ অনুভূতি কি কোনদিন এক হতে পারে? বিশেষ করে আই আক্রমনকারী দল যদি কোনদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অন্যায় স্বীকার না করে?
জার্মান বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কি করেছিল তা সবাই জানি। কিন্তু কয়জনে জানি যে রাশিয়ান বাহিনী জার্মানীতে ঢুকে কি তান্ডব করেছিল? জার্মানরা কি সেসব কিছু বিচ্ছিন্ন নজিরের ছবি ভিডিও যোগাড় করে দাবী করে যে সমীকরনটা সমান সমান? দায় দুপক্ষেরই আছে? তারা বাস্তব সত্য জানে, জানে যে রাশিয়ানদের পাপের দায় আসলে তাদের নিজের নেতা হিটলার বাহিনীর ঘাড়েই পড়ে। আপনার সেই মহানুভব ডাক্তার সাহেব খুব সম্ভবত সূস্থ যুক্তিবোধের লোক, তাই তিনি সত্যটা মানেন।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতিগত বিদ্বেষে বিশ্বাস করি না, জানি যে পাকিস্তানীদের মাঝেও ভাল লোক অনেক আছেন, বেশ কিছু আছেন যারা আমাদের নৈতিকভাবে আমাদের পক্ষে ছিলেন। একজন পাঞ্জাবী কবি আমাদের পক্ষে কবিতা লিখে জেলে গেছিলেন। এদের আম কি করে ঘৃণা করি? যেকোন পাকিস্তানী যদি স্বীকার করে যে তাদের বাপ দাদা ৭১ এ অন্যায় করেছিলন এবং সেজন্য তারা আন্তরিকভাবেই অনুতপ্ত তবে তার সাথে বন্ধুত্ত্ব করতে আমার কোন বাধা নেই। আর কেউ যদি বীর দর্পে বলেন যে তারা যা করেছিল সেটাই সঠিক তবে তার সাথে আআর কোন আপোষ নেই। ২০০০ সালে যেমন পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত এরফান রাজাকে অম কথা বলার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল তেমন ব্যাবস্থাই হবে কাম্য।
@tausif,
সব সমাজে সব দেশে ভাল খারাপ মানুস আছে, ছিল, থাকবে। একাত্তরের যুধধে ৩০ লাখ মানুশ হত্যা্ করা হয়েছিল। মারাত্মক গনহত্যা। তার জন্য কারা দায়ী?? তার আবেগ তো থাকবেই। তাই মণিকা লিখেছেন। মণিকা ঠিকই লিখেছে। আর বেশি বেশি করে লেখা উচিত। 1971 GENOCIDE MUSEUM/MEMORIAL করা উচিত, অনেকগুলো। অনেকগুলো। সারাদেশে। আমাদের আত্মিয়দের রাজাকারেরা খুন করেছিল। আমি তখন জন্মাইনি। তাই দাদুকে দেখতে পারিনি।
কত জন উরদুভাশি শাধারন মানুশ মারা গেছে? কেন??
আমেরিকাতে বসবাসরত বাংআলিরা বিনা মুল্যে চিকিতসার জন্য যান কেন??
আমি ভাল বাংলা লিখতে পারি না। ওনেক শময় লাগে। খুব ব্যস্ত research-er কাজে।
@tausif,
ছোট্ট একটু পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করি।
পঁচিশে মার্চ যেদিন নিরীহ বাঙালিদের উপর অপারেশন সার্চ লাইট করে আপনার প্রিয় দেশের প্রিয় সেনাবাহিনী, কতজন বাঙালি মারা গিয়েছিল বলে আপনার ধারনা? আমাদের কথাতো আপনারা বিশ্বাস করেন না। তাই না? আপনাদের ধারনা ভারতীয়রা আমাদের যা শিখিয়েছে আমরা তাই বিশ্বাস করি। (আমাকে অনেক পাকিস্তানী এভাবেই বলেছে। মুসলমান ভাই নাকি মুসলমান ভাইদের হত্যা করতে পারে না।) ঠিক আছে অন্যদের রেফারেন্স থেকেই বলছি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এর ২৮ শে মার্চ সংখ্যা অনুযায়ী ওই রাতে লোক মারা গিয়েছিল দশ হাজার, সিডনি হেরাল্ড বলেছে লোক মারা গিয়েছিল দশ হাজার থেকে এক লাখ। নিউ ইয়র্ক টাইমস এপ্রিলে গিয়েই অপারেশন সার্চ লাইটে মৃতের সংখ্যা পয়ত্রিশ হাজার বলছে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার একটা বাজার চুকনগর। খুলনা শহর থেকে প্রায় ৩২ কি,মি পশ্চিমে ভদ্রা নদীর তীরে এর অবস্থান। ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছাকাছি এর অবস্থান। ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি হবার কারণে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হবার পর বিভিন্ন স্থান থেকে ভদ্রা নদী পাড়ি দিয়ে প্রায় ৩০- ৪০হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রমের জন্য এখানে এসে জড়ো হয়।
১০ মে বেলা ১১টার সময় মিলিটারির দুটি দল একটি ট্রাক ও একটি জিপ গাড়িতে এসে চুকনগর বাজারের উত্তর প্রান্তে “কাউতলা” নামক একটি স্থানে এসে থামে। পাতখোলা বাজার থেকে তারা গুলি চালনা শুরু করে এবং পরবর্তীতে চুকনগর বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। বিকেল তিনটা পর্যন্ত গোলাগুলি চলতে থাকে।
চুকনগরে মৃত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা না গেলেও প্রতক্ষদর্শীদের মতে মৃতের সংখ্যা ৮ থেকে ১০ হাজার। পাকিস্তানী বাহিনী বেশিরভাগই লাশগলোকে নদীতে নিক্ষেপ করে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন অবশিষ্ট দেহগুলোর নদীর পানিতে ফেলে দিতে বাধ্য হন।
নয় মাসে কত বাঙালি মারা গিয়েছিল বলে মনে হয় তৌসিফ সাহেব? আমরা বলি তিরিশ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। আপনারা হয়তো এটা বিশ্বাস করেন না। তাই না? আপনাদের প্রিয় হামুদুর রহমান কমিশন অনুযায়ীও মারা গিয়েছিল ছাব্বিশ হাজার মানুষ। তো বলবেন কী, কী কারণে এই ছাব্বিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল?
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ বিংশ শতাব্দীর সেরা পাঁচটি গণহত্যার একটি হচ্ছে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা।
আর জ়ে রামেল লিখেছেন,
The human death toll over only 267 days was incredible. Just to give for five out of the eighteen districts some incomplete statistics published in Bangladesh newspapers or by an Inquiry Committee, the Pakistani army killed 100,000 Bengalis in Dacca, 150,000 in Khulna, 75,000 in Jessore, 95,000 in Comilla, and 100,000 in Chittagong. For eighteen districts the total is 1,247,000 killed. This was an incomplete toll, and to this day no one really knows the final toll. Some estimates of the democide [Rummel’s “death by government”] are much lower — one is of 300,000 dead — but most range from 1 million to 3 million. … The Pakistani army and allied paramilitary groups killed about one out of every sixty-one people in Pakistan overall; one out of every twenty-five Bengalis, Hindus, and others in East Pakistan. If the rate of killing for all of Pakistan is annualized over the years the Yahya martial law regime was in power (March 1969 to December 1971), then this one regime was more lethal than that of the Soviet Union, China under the communists, or Japan under the military (even through World War II). (Rummel, Death By Government, p. 331.)
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। এই যে এত এত মানুষকে আপনাদের দেশের সেনাবাহিনী হত্যা করলো, দুই লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করলো, এর জন্য কী ক্ষমা প্রার্থণা করাটা উচিত ছিল না আপনাদের? জার্মানরা ক্ষমা চাইতে পারে বাকী বিশ্বের কাছে, জাপানীরা ক্ষমা চাইতে পারে চীনাদের কাছে, আর আপনাদের বাঙালিদের কাছে ক্ষমা চাইতে এত সমস্যা? পুরো চোখ বন্ধ করে ইতিহাসের কুখ্যাত গণহত্যাকে অস্বীকার করতে চান আপনারা? নাকি বাঙালিদের প্রাণের কোন দাম নেই আপনাদের কাছে? বিহারীদের বাঙালিরা হত্যা করেছে বলে আপনি এতো ক্ষুব্ধ, কিন্তু একবারোতো বলেন না যে, নয় মাসে বিহারীরা কীভাবে পাকিস্তান আর্মির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে বাঙালিদেরকে তাদের দেশেই কুকুর বিড়ালের মত হত্যা করেছে।
বাঙালিরা আপনাদের ঘৃণা করে দেখে আপনার এত গাত্রদাহ। একই ঘটনা যদি বাংলাদেশ আর্মি ঘটাতো আপনাদের মানুষজনের উপর আপনারা কী বাঙালিদের আদর করে চুমু খেতেন? ঘৃণা করতেন না?
আমরা যখন বলি যে, আমরা পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি, তখন আক্ষরিকভাবে এটাকে বুঝাই না আমরা। এটা আমাদের আবেগগত প্রকাশ বলতে পারেন। প্রকৃত সত্য হচ্ছে যারা এই গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং যারা জেনে অথবা না জেনে সেই গণহত্যাকে অস্বীকার করে তাদেরকেই বুঝাই। পাকিস্তানেও অনেক সুস্থবোধসম্পন্ন মানুষ আছে, আমরা জানি। তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র ঘৃণা আমাদের নেই, এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। আমার নিজেরও দুই একজন খুব ভাল পাকিস্তানী বন্ধু আছে যারা একাত্তরের ঘটনার জন্য ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছে আমার কাছে। তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে কোন সমস্যা হয়নি আমার। এরকমই এক বন্ধুর দুই ফুটফুটে কন্যার খুব প্রিয় একজন আংকল আমি। আমার বাসায় এলে আমার ঘাড়ে পিঠে উঠাটা তাদের সবচেয়ে প্রিয় খেলা।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে সব পাকিস্তানীই আমার এই বন্ধুদের মত নয়। অনেকেই অযৌক্তিকভাবে অস্বীকার করার চেষ্টা করে একাত্তরের গণহত্যাকে। একাত্তরে বাঙালিদের আশা আকাঙ্খার প্রতি বিন্দুমাত্রও ধারনা তাদের নেই। পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য ভারতকেই দায়ী করে তারা। বাংলাদেশি দেখলেই এই সমস্ত আবোল তাবোল গা জ্বলানো কথা বলার চেষ্টা করে। এই ধরনের মূর্খ, নিষ্ঠুর এবং দাম্ভিক পাকিস্তানীদের প্রতি একরাশ ঘৃণা রয়েছে আমার এবং আমাদের। আর এর জন্য বিন্দুমাত্রও লজ্জিত নই আমরা।
তৌসিফ সাহেব, আমাদের বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের সেনাবাহিনী চাকমাদের উপর প্রচুর অত্যাচার করেছে। জিজ্ঞেস করে দেখুন, প্রায় প্রতিটা শিক্ষিত বাঙালিই এর বিপক্ষে। একজন চাকমা আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি যে ঘৃণা পোষণ করে বুকের মধ্যে, আমিও নিজেও ওই সমস্ত ঘটনা ঘটানোর জন্য সেই একই পরিমাণ ঘৃণা পোষণ করি তাদের প্রতি। আমি কখনো ডিফেণ্ড করার চেষ্টা করি না আমাদের সেনাবাহিনীকে বা সরকারকে। সেনাবাহিনী বা সরকারের অপকর্মের দায়ভার আমি নিতে যাবো কেন? কখনো কোন চাকমাকে চ্যালেঞ্জ জানাই না যে কেন তারা আমাদের ঘৃণা করে বলে। বাঙালি হবার লজ্জায় লজ্জিত থাকি যে কোন চাকমার সামনে পড়লে। অথচ দেখুন এত বড় গণহত্যা ঘটানোর পরেও আপনারা কোথায় আপনাদের অপকর্মের জন্য লজ্জিত হবেন, তা না কেন বাঙালিরা আপনাদের ঘৃণা করে সেই দুঃখেই মরে যাচ্ছেন।
@tausif,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আমার মনে হয় আমার হয়ে ইতিমধ্যে আদিল মাহমুদ এবং ফরিদ আহমেদ আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছেন। আমি আর কিছু যোগ করছি না।
ভালো থাকবেন।
@tausif,
এটা অবশ্যই একটা অতিরন্জিত বক্তব্য, যার কোনো ভিত্তি নাই। কোনো বাংগালিকে বিনা মুল্যে চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানী ডাক্তারের কাছে যেতে হ্য়না, আমেরিকান হাসপাতালগুলোর ইমারজেন্সিতে সল্প বা নো ইনকাম্ লোকদের চিকিৎসা দেয়া হয়। আর যদি বিনা মুল্যে চিকিৎসার জন্য আউটসাইড্ ডাক্তারদের কাছে যেতেই হ্য় এবং বাংগালী ডাক্তার প্রেফার করলে, আমেরিকায় প্রচুর বাংগালী ডাক্তার আছেন, বাংগালিরা সাধারনত তাঁদের কাছেই যান এবং ওঁনারাও বিনা মুল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন এরকম প্রচুর উদাহরন আছে। কোনো বাংগালিকে যদি পাকিস্তানী ডাক্তারের কাছে যেতেই হয়, তবে সেটা কোন স্পেসিফিক্ কারনেই হয় এবং সেটা হয় একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
ব্রাইট স্মাইল , রশিদ মণিকা ফরিদ আহমেদ – আপনারা আমাকে একটু বুঝতে বোধ হয় ভুল করলেন , পাকিস্তানী army অবশ্যই গন হত্যার জন্য দায়ি এবং ঘৃণার পাত্র আমি তাদেরকে defend করছি না, কিন্ত রশিদ মণিকা এর পাকিস্তানী সাধারন জনগন কে পাইকারি হারে ঘৃণা করাটা অবাস্তব। আমরিকনারা কি british দের এভাবে পাইকারি হারে ঘৃণা করে ? বা Jewish রা কি সর্বস্তর্রের জার্মান দের ঘৃণা করে।
Dr. Kashem এর কাছে যারা বিনা মুল্য চিকিৎসা করেন তারা ছিলেন আমেরিকায় বাংলাদেশি ILLEGAL.
@মণিকা রশিদ,
প্রায় অবিশ্বাস্য কথা (অভিজ্ঞতা বশতঃ)। ক্রিকেটের সমর্থন যদিও নিশ্চায়ক নয় তার পরও বলব, একে বারে যুক্তি দিয়ে বললে বলা চলে ১০০ ভাগ মানুষের কাছ থেকে আনুগত্য প্রত্যাশা করা সম্ভব নয় এবং কোন রাষ্ট্র পেরেছে বলে মনে হয়না। রাষ্ট্রদ্রোহিতা সম্ভাবনা থাকেই বলে প্রতিটি রাষ্ট্র রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তির বিধান রাখে। তাই আমি বলব এতে হতাশ হয়ে পরা উচিত নয়। সঠিক লোকের সংখাগরিষ্ঠতাই রাষ্ট্রিয় সাফল্যের চাবিকাঠি।
পাকিস্থানিদের সাধারন ভাবে ভাই বলতে আমার দ্বিধানেই ( ঘাতকদের ছাড়া)। আমাদের বোঝাপড়াতে সমস্যা হতে পারে (স্বার্থের সম্পর্ক থাকলে যা অনিবার্য) কিন্তু এর জন্য ভাতৃত্বের অবসান হয় না (ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া থাকলেই ভাতৃত্বের অবসান হয় না)।
@shamim,
আমার পৃথিবীকে কাউকেই ভাই বলতে বাধা নেই, তবে জেনে শুনে যে পাকিস্তানী ৭১ সালে তাদের সরকারনে সমর্থন করেছিল তাকে ভাই ডাকা যেকোন বাংগলাদেশীর জন্য নাগরিকত্ব বাতিলের সমপর্যায়ের, যদিও তেমন কোন আইন নেই। এ ধরনের ভাই ব্রাদার যারা বানায় তাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস থাকে।
@shamim,
এর অর্থটা বুঝি নাই। কার সাথে কিসের কোন সুত্রে ভ্রাতৃত্ব? আর ঝগড়া! এর শানে নুজুল ধরতে পারি নাই। ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, ৩০লাখ মানুষ হত্যা, ২ লাখ নারী ধর্ষন, অগণিত শিশু হত্যা, শতসহস্র বাড়ি-ঘর পোড়ানো, এ সবের নাম ঝগড়া?
@shamim,
আপনার কাছে খুবই অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমার কাছে এটি বাস্তব অভিজ্ঞতা। তবে এ-ও আমি স্বীকার করছি যে আপনার কাছে অবিশ্বাস্য লাগা খুবই স্বাভাবিক, কারণ বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন দেশের (যার পাকিস্তানের সাথে একাত্তুরের মত এমন ইতিহাস রয়েছে) নাগরিকদের কারো কাছ থেকে এমন আচরণ সত্যি প্রত্যাশিত নয়!
@shamim,
“পাকিস্থানিদের সাধারন ভাবে ভাই বলতে আমার দ্বিধানেই ( ঘাতকদের ছাড়া)। আমাদের বোঝাপড়াতে সমস্যা হতে পারে (স্বার্থের সম্পর্ক থাকলে যা অনিবার্য) কিন্তু এর জন্য ভাতৃত্বের অবসান হয় না (ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া থাকলেই ভাতৃত্বের অবসান হয় না)।”
আপনার এই কথাগুলো বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। ভাইএ ভাইয়ে ঝগড়া বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইছেন? একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয়!
@shamim,
আপনি কোন দেশের নাগরিক জানলে মন্তব্য করতে সুবিধা হত। আপনার এ বক্তব্য পড়ে মাথাটা পুরো এলোমেলো হয়ে গেলো।
নামটি যদি বাংলায় লিখতেন।
@মণিকা রশিদ, আকাশ মালিক, আদিল মাহমুদ,
আমি বলেছিঃ
ভাই-ভাই ব্যাবহার করা হয়েছে একটা মেটাফোর হিসাবে (সহোদর অর্থে নয়)। বাঙ্গালী বাঙ্গালী ভাই ভাই। এটি একটা মেটাফোর। আপনি যদি প্রশ্ন করেন আমার মা একজন বাঙ্গালী আমি একজন বাঙ্গালী সুতরাং আমি আমার মা কি ভাই-ভাই? এর জবাবে আমাক হতবুদ্ধি না হয়ে উপায় থাকবেনা।
ভাই-ভাই মেটাফোরটি বিজাতিয় ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হবার পরও আপনি কি এই দাঙ্গাবিরোধী শ্লোগান শুনেন নাই ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই’। বৃটিশ বিরোধী আন্দলনরত সবপক্ষই পরস্পরকে ভাই হিসাবে মনে করত। জাতিতে জাতিতে সমস্যা হতেই পারে (বাঙ্গালী-পাকিস্থানী, পোলিশ-জার্মান) কিন্তু এতে কেউ কারো জাতশত্রু হয়ে যায় না। যেমন এতবড় হত্যাযজ্ঞের পরও জার্মান ও পোলিশদের সম্পর্কের স্বাভাবিকরন হয়েছে। এটিই ‘জাতশত্রু’ তত্ত্বের ব্যার্থতা প্রমানে যথেষ্ঠ । অনেকে বলতে পারেন জার্মানী যুদ্ধের কারনে ক্ষমা চেয়েছে। হ্যা, জার্মান রাষ্ট্র অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং দোষী জার্মানদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড়া করিয়েছে। যেসব জার্মান লোক নির্দোষ কিংবা যারা জার্মান হবার পরও যারা হিটলারের বিরোধিতা করেছে তাদেরতো ব্যাক্তিগত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দরকার পরেনি । রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্থান রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমার দাবী এবং যুদ্ধপরাধীদের বিচার দাবী করতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পাকিস্থান আক্রমন করতে পারেনা কিংবা পাকিস্থানীদের শত্রু গন্য করতে পারেনা। একই যুক্তিতে একজন সাধারন বাংলাদেশী একজন সাধারন নির্দোষ পাকিস্থানীকে আক্রমন, হত্যা বা শত্রু গন্য করতে পারেনা।
শুধুমাত্র আবেগের বশঃবর্তি হয়ে যারা বুদ্ধিশুন্য হয়ে পরে তারা নিজেরাই বড় সমস্যা। আমি মেটাফোরিকালি মনে করি বিশ্বের সব নাগরিক পরেষ্পরের ভাই-ভাই (ব্রাদার হুড অব হিউম্যানিটি)। ‘ঝগড়া’ শব্দটিও আমি মেটাফোরিকালি ব্যাবহার করেছি।
তারপরও যদি ‘ভাই-ভাই’ আর ‘ঝগড়া’ শব্দ দুটি পছন্দ না হয় তাহলে এভাবে বলিঃ মানুষে মানুষে যুদ্ধ হলেই মনুষত্বের অবসান হয় না। কিংবা জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ হলেই মনুষত্বের অবসান হয়না। আশা করি এবার খুশি হবেন।
সবশেষে, অন্যদের মত আমাকে তাচ্ছিল্য করা আগে একবার আপনারা আমাকে প্রশ্ন করে আমাকে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়েছেন এজন্য আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ।
@আদিল মাহমুদ,
আধুনিক মানুষ মাত্রই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগে (কারন তারা বিবর্তনে বিশ্বাস করে এবং সাধারন ভাবে তাদের মাল্টিপল আইডেন্টিটি থাকে)। আমি একজন সংশয়বাদী হিসাবে এই ব্যাপারটি আমার ক্ষেত্রে আরো প্রকট। তাই আপনার তাচ্ছিল্যকে আমি কমপ্লিমেন্ট হিসাবেই নিলাম।
@সৈকত চৌধুরী
আমি বর্তমানে প্রবাসে থাকলেউ, আপনি সম্ভবত যে দেশের আমিও সেই দেশেরই লোক তবে আপনার সাথে বোধহয় দৃষ্টিভঙ্গির একটু পার্থক্য আছে (এটা অন্যায় হলে মাফ করে দিবেন)।
আপনার অনুরোধের/জোরাজোরির প্রেক্ষিতে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলায় নাম দিলাম এতে আমি যদি কিছুটা হলেউ আপনাদের জাতে উঠতে পারি তবে নিজেকে ধন্য মনে করব।
পড়ে ভালো লাগল। অপেক্ষায় ছিলাম এ পর্বের।
চেরি ফুলের সাথে শিউলি ফুলের দারুন সম্পর্ক আছে, তাই না? গানটি মনে পড়েছে – ওগো বিদেশিনি, তোমার চেরি ফুল দাও, আমার শিউলি নাও, দুজনে প্রেমে হই ঋণী ।
ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
সত্যি তো! গানটার কথা লেখার সময় মনে পড়েনি…শুধু শিউলী নয়, বকুল ফুলের সাথেও চেরীর খুব মিল…।শুধু পার্থক্য এই যে…আমাদের ফুলেদের মত তাদের সৌরভ নেই। একমাত্র ল্যাভেন্ডার ছাড়া বাকী কোনো জাপানীজ ফুলে এইরকম নষ্টালজিক সুগন্ধ আমি দেখিনি! ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
মণিকা,
নিজেকে ছোট এবং অনেকের মতে হীন করেই বলছি — পাকিস্তানীরা আমাদের ব্রাদার হয় ধর্মীয় পরিচয়ে ও রাজনৈতিক কারণে।
@গীতা দাস & মণিকা,
আপনি টিক বলেছেন। এটা ধরমের জন্নও। ব্রাদার শব্দটা height of hypocrisy. অধিকাংশ খেত্রে মুশলমানরাই মুশলমানদের হত্তা করছে।Brothers are killing brothers!
http://www.youtube.com/watch?v=lc60ro81dIw
http://www.youtube.com/watch?v=ciOGS6r97oE
http://www.youtube.com/watch?v=lYDdgG9U36o
http://www.islam-watch.org/iw-new/index.php
প্লিজ ভিডিও আলচনাগুলও দেখ।
আমার বাংলা লিখে অভভাশ নেই। আমি চেশটা করেছি।
@Truthseeker,
আপনার নামটাকে কি বাংলায় লেখা যাবে? 🙂
আর বাংলায় লেখা এইতো শিখে ফেলছেন। আমিও শিখছি। মনে হয় একটা বাংলা অভিধান পাশে থাকলে সুবিধে হয়। বেশি সমস্যা হলে আপাতত অভ্র মাউস দিয়ে লেখতে পারবেন।
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ। আপনার পরামরশ গুলও খুব ভালো।
@সৈকত চৌধুরী, অভ্র ছাড়া অন্য অনেক টুলেই ডিকশনারী আছে, যেমন গুগল বা মাইক্রোসফটের টুল|
@Truthseeker,
ধন্যবাদ! ভিডিওগুলো দেখলাম।
@গীতা দি,
রাজনৈতিক বিষয়ের সমাধানের জন্য প্রয়োজন হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের। এবার ধর্মের পালা……… হ্যা, এখন ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধই আমার মুক্তিযুদ্ধ।
@গীতা দাস,
গীতা দি,
পাকিস্তানীরা কোনোকালেই আমাদের ব্রাদার ছিল না।যদি আমাদের কেউ সেরকম মনে করে থাকেন, তাও আমাদের লজ্জা!