[৪৬] শ্বশুর-পুত্রবধূর(পালিত) মত যদি ইসলাম বাবা-মেয়ের(আপন) বিয়েকেও স্বীকৃতি দিত তবে জাকির নাইকের মত ডিজিটাল নবীদের সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি হত ‘‘আমরা জানি, গাছের ফল খওয়ার প্রথম অধিকার, গাছের মালিকের। তাছাড়া পবিত্র কুরানে কোখাও বলা নেই যে নারীকে শুধুমাত্র তার বাবার সাথেই বিয়ে বসতে হবে। ইসলাম পুরুষের উপর নারীর অর্থনৈতিক দায়িত্ব অর্পন করেছে বিধায় তাদের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে আল্লাহপাক এই বিশেষ অপশনটি রেখেছেন। কারন নিজের বাবার চেয়ে কখনই কোন পুরুষ কোন নারীর ভাল চাইতে পারে না, তাই নিজের বাবার সাথে অধিক সুখে থাকাটা নারীদের জন্য যুক্তিসঙ্গত। আর আজকের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছ থেকে আমারা জানতে পেরেছি, যে মানুষের এমন কিছু দুরারোগ্য রোগ আছে যা বংশগতির মাধ্যমে বিস্তার পায় যা শুধুমাত্র এই প্রথা মেনে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব । আশাকরি, বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে………।’’
[৪৭] চাইনিজ- বাঙ্গালির(নিম্নবিত্ত ব্যতিত) প্রিয় খাবার।
[৪৮] প্রশ্নহীন আনুগত্যের চেয়ে যুক্তিমুলক বৈরিতা ঢের প্রেরনাময়ী।
[৪৯] ‘সরকার’ হল এমনই এক রাষ্ট্রীয় সমস্যা যা নির্মূলে ‘রাষ্ট্রের’ গঠন সম্ভব নয়।
[৫০] প্রত্যেক মানুষই নিজেকে ব্যতিক্রম বলে দাবী করতে ভালবাসে। অথচ এই একটি দাবীই তাদেরকে ব্যতিক্রমহীন প্রমানে যথেষ্ট।
[৫১] বাঙ্গালির অর্ধেক জীবন কাটে সঙ্গম ও সন্তান প্রতিপালনে। তবু আজও আমরা একটি পরিশুদ্ধ প্রজন্ম প্রসবে পুরোপুরি ব্যার্থ।
[৫২] সব কালেই কিছু উর্বর মস্তিষ্ক কিছু ভ্রান্তির পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।
[৫৩] ছোট ছোট ঘটনা থেকে একটি বড় ধারনার জন্ম হয়।
[৫৪] পরিচয়পর্বকালীন সময়ে ‘করা’ শব্দটি শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের মাধ্যম অথবা সেই মাধ্যমে জড়িত হওয়ার প্রস্তুতিপর্বকে বুঝায়। ‘’ছেলে বিদেশে থাকে’’ -এখানে ”থাকা”টাও তাই একটি কর্ম।
[৫৫] ‘‘আমি ও আমার’ শব্দদ্বয় হল পৃথিবীর সকল স্বার্থপরতার উৎস।
[৫৬] আমাদের খুদ্র জীবনটা যে কতটা দীর্ঘ তা জানতে জীবনে অন্তত এক মাস জেল খাটা প্রয়োজন।
[৫৭] কাজের বদলে যদি কথার মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতি ঘটত তবে আমরা(বাঙ্গালিরা) পৃথিবী থেকে অন্তত একশ বছর এগিয়ে থাকতাম।
[৫৮] সমাজে যে যতটা প্রতিষ্ঠিত, সাধারন মানুষের নিকট তার বানী ততটাই মুল্যবান।
[৫৯] মানুষ সফলতার পেছনের ব্যর্থতাকে মনে রাখে, প্রয়োজনে উদাহরন স্বরুপ ব্যবহার করে। কিন্ত ব্যর্থতার পেছনের সফলতাগুলো অতি স্মরণশীলদের ও স্মরণে থাকে না।
[৬০] এই অনিশ্চয়তার সমাজে পুষ্ট হতে ধূর্ততা লাগে, আর সমাজকে পুষ্ট করতে লাগে যোগ্যতা।
সালমান রুশদির লেখা চেটানিক ভারসেস পড়লে যান্তে পারবেন।
ইসলাম হল খৃষ্টান ধর্ম যাযক হতে চুরি করা ধর্ম। যা হেরা পর্বতের গুহায় দুই জন খৃয্টান যাযক কে হত্যা করে এই কোরাণ চুরি করেছে মোহাম্মদ। অনুরূপ ডিজিটাল নবী জাকের নায়েকও বহু তথ্য অন্য ধর্ম হতে চুরি করে ইসলামের নামে প্রচার করে।
@অরূপা, আপনার উল্লেখিত হেরা পর্বত সংক্রান্ত ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা ও রেফেরেন্স চাই।
@অরূপা,
“যা হেরা পর্বতের গুহায় দুই জন খৃয্টান যাযক কে হত্যা করে এই কোরাণ চুরি করেছে মোহাম্মদ।”
এ বিষয়ের উপর বিস্তারিত বর্ননা সম্বলিত কোন বই বা রেফারেন্স হিসেবে কোন লিংকের যোগান দিতে পারবেন কি?
এই রায়হান সেই হযরত হয়রান!এর চেয়ে যদি বলতেন রিচার্ড ডকিন্স বাংলা শিখে সদালাপের বিবর্তনবিরোধি লেখাগুলো লিখছে তাও এতটা অবাক হতাম না। :rotfl: :hahahee: :lotpot: :laugh: :laugh:
প্রথমটা পড়ে হাসতে :laugh: হাসতে :laugh: পড়ে :hahahee: গেছি :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বিপ্লব পাল,
আমি নিজেই এখন নিজের উপর সন্দেহ পোষন করছি যে বয়ষ বাড়ার সাথে সাথে আমিও উল্টা পথে হাটা ধরি কিনা কে জানে? মত ও পথের ভিত্তি সবসময়ই বিঞ্জান ভিত্তিক হওয়া উচিত বলে আমার বিশ্বাস, কিন্তু ভীমরতি বলে একটা কথা আছেনা, যেটা বেশী বয়ষ হলে সাধারনত দেখা দেয়।
@তানভি, খুলনা থেকে কি খবর নেওয়ার জন্য চেস্টা চালাচ্ছেন? আমি কিন্ত খুলনার ছেলে এবং কিছু দিনের জন্য খুলনায় এসেছি। তাই কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে নির্দিধায় জানাতে পারেন।
@ঈশ্বরহীন,
ভাইয়া আমার লাস্ট পোস্টটা পড়লেই সব ক্লিয়ার বুঝবেন। তবে আশার কথা হল,আমি খবর কিছু পেয়েছি। যাকে খবর নিতে বলেছি সে নিজে গিয়ে দেখে খবর নিয়ে এসেছে।
খবর একদিকে যেমন ভালো, অন্যদিকে খারাপও বটে। আমি আমার পোস্টের নিচে ডিটেইল লিখে দিচ্ছি পড়ে দেখবেন। আর সাথে কিছু করতে পারলে করার চেষ্টাও করবেন।
আকাশ মালিক,
আমি নিশ্চিত নই ওনার মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করা বিষয়ে আপনার অভিযোগ সম্পর্কে। ওনাকে তো ধর্ম বাদে রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাংগ করে অমন লেখা কিন্তু আরো অনেকেই আজকাল লেখে। আমার ব্লগে গেলেই দেখা যায়। বেশীরভাগই শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ দরদী হিসেবে, তবে আসল চেহারা দেখাতে সময় লাগে না।
ঐ ভদ্রলোককে রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করেছি, উদ্দেশ্য ছিল জাকির নায়েকের মুরতাদ হত্যা বিষয়ক মতবাদ যে অত্যন্ত বিতর্কিত সেটা দেখানো। খুশী হতাম যদি জাকির নায়েক এবং তার নিজ ভক্তের এ বিষয়ে বিতর্ক দেখতে পেলে। ধর্ম বিষয়ক বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা যে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয় সেটা আলোচনাও ছিল আরেক উদ্দেশ্য।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যে লেখা নিয়ে জাকির নায়েক এবং তার ভক্তের বাহাস দেখতে চাচ্ছেন সেই লেখাটি ভক্ত লিখেছিলেন খুব সম্ভবত তার ঐতিহাসিক রূপান্তরের আগে। এই লেখাটি যে তিনি নিজেই লিখেছেন সেটা না বলে দিলে খুব সম্ভবত ভক্ত নিজেই এর বিপক্ষে একটা জ্বালাময়ী লেখা লিখে ফেলতেন এখন।
এখন যারা সদালাপে বা আমারব্লগে রায়হান সাহেবের লেখা পড়েন, তারা কি কেউ কল্পনাও করতে পারবেন যে, এই রায়হান সাহেবই মাত্র চার বছর আগে ‘খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে’-র মত একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এই প্রবন্ধটি তিন পর্বে মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়েছিল। আপনাদেরকে চরম বিস্ময়াবিষ্ট করার মহান উদ্দেশ্যে আমি লিংকগুলো এখানে দিয়ে দিলাম। 🙂
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে – প্রথম পর্ব
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে – দ্বিতীয় পর্ব
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে – তৃতীয় পর্ব
@ফরিদ আহমেদ,
🙂
লেখাগুলি ছুটিতে পড়েছি, আগেও পড়েছিলাম তবে লেখকের নাম মনে ছিল না। বলতে নেই, লেখাগুলি অসাধারন, আমার মানসিক পরিপক্কতা আনতে অনেক সহায়তা করেছে।
@আদিল মাহমুদ,
স্যরি বলেও শেষ রক্ষা হলোনা, কি আর করা।
বিশ্বাসের পরিবর্তনের কারণে উনার কথা উল্লেখ করি নাই। ব্যাক্তিগত আক্রমন করতে চাইলে তখনই করতে পারতাম, যখন উনি মুক্তমনার অনেক লেখকদের নাম ধরে ধরে অকারণে ব্যাক্তিগত আক্রমন করে একটি ওয়েব সাইটে প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ লিখেছিলেন।
আপনি যদি উনাকে একজন ইসলামী স্কলার বা চিন্তাবিদ মনে করেণ, তার রেফারেন্স উল্লেখ করা যদি অর্থবহ ফলপ্রসু হবে মনে করেণ, আমি কামনা করি আপনার সে আশা সফল হউক। আর যদি আমার মন্তব্যে অন্তরে দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে আবারো স্য—-রি। উনাকে নিয়ে এটাই আমার শেষ মন্তব্য।
@ফরিদ আহমেদ,
এই রায়হান সেই রায়হান!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি ঠিক দেখছি তো??
@ফরিদ আহমেদ,
মানুষ কি করে মাত্র কয়েক বছরে ১৮০ ডিগ্রী টার্ন নিয়ে অন্য পথে হাটে, বিশ্বাসই হয়না। নাকি সব এক্সট্রিমিজমই ফাইনালি এসে একই বিন্দুতে মিলিত হয়।
@ব্রাইট স্মাইল,
এটা কি খুবই অবিশ্বাস্য কিছু? বিস্ময়কর হলেও একেবারে অবিশ্বাস্য নয়। আস্তিক টু নাস্তিক কিংবা নাস্তিক টু আস্তিক খুবই সাধারন ঘটনা।
আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয় নাস্তিক অবস্থায় যাদের অতি বিরাট পন্ডিত, মহান লেখক বলে মনে হয় শুধুমাত্র বিশ্বাসের পরিবর্তনের ফলে একই লেখকদের যা তা বলে গালিগালাজ করা, ব্যাক্তিগত আক্রমন করা। তার নজির এখনো আছে।
@ব্রাইট স্মাইল,
রায়হানের নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়ার ঘটনাতে আমি আশ্চর্য্য হয় নি। সে নাস্তিক হয়েছিল, প্রচলিত ধর্মের সাথে নিজের অভিজ্ঞতার বিবাদে। এবং হারুন ইয়াইয়া ইত্যাদি সাইটে গিয়ে অপবিজ্ঞানের খপ্পরে পড়ে, আবার আস্তিক হয়। এখানে যেটা সবারই দরকার, সেটা হচ্ছে বিজ্ঞান সম্মন্ধে জ্ঞান। সেটার প্রাথমিক জ্ঞানও তার নাই। সেই জন্যে বিবর্তন তার কাছে গোঁজামিল মনে হয়। যা খুবই হাস্যকর কারন বিবর্তনের থেকে প্রমাণিত বিজ্ঞান খুব কমই আছে।
বিজ্ঞানের দর্শন এবং পদ্ধতি যারা বোঝেন, তাদের ওপর পারিবারিক সংস্কৃতির চাপ না থাকলে তারা নাস্তিক হবেন ই। সেই জন্যে মুসলমান বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৯২% আস্তিক আর এমনিতে আমেরিকাতে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মোটে ১০% আস্তিক। অর্থাৎ পারিবারিক ধর্মান্ধতা বিজ্ঞানীদের ওপর ও চাপে। অন্তত ঈশ্বর বিশ্বাসের ক্ষেত্রে। আমার ওপর ধর্মের কোন চাপ ছিল না-যখন রামকৃষ্ণ মিশনে গেছি তখন চোখ খুলেই গেছে-আর তাছারা নাস্তিক্য হিন্দু ধর্মের জন্যে, নাস্তিকতার সাথে হিন্দু ধর্মের বিরোধও নেই সেই অর্থে। সেই জন্যে পরবর্তী কালে আর আস্তিক হওয়া হয় নি।
@ফরিদ আহমেদ,
মামারেএএ!! কি দিলেন!! প্রথমে প্রথমে চোখ খুলে বাইর হই আসতে চাচ্ছিলো!! তারপর আবার হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরার দশা!!! আজিব!!
উনারে মনে হয় জামাত শিবিরে পাইসিলো! নাইলে এইভাবে কারো মগজ ধোলাই হইতে দেখি নাই!!!! পুরা উল্টাইয়া এখন “যত কিছুই হোক,তাল গাছটা আমার” থিওরিরে সাপোর্ট দিয়া যাইতেসেন!!!!!!(তাও যুক্তির কোন ছিরিছাঁদ নাই!! আগে কি জটিল সব যুক্তি দিসিলেন!! হায়! এখন?)
কেউ মনে হয় ফ্রয়েডিয় কায়দায় মগজ ধোলাই দিসে!! (এইটা কি জিনিস আমি নিজেও জানিনা)
‘’একি কথা শুনি আজি মন্থরার মুখে
কুকুর ছানা ঘেউ ছাড়িয়া আল্লাহ বলে ডাকে”
httpv://www.youtube.com/watch?v=qn0ErGDa2d8
আমি জানি অনেকটা ছেলেমানুষি কাজ, কেউ যদি আগ্রহী হোন তাহলে
http://www.facebook.com/notes.php?id=108225342746#/pages/Light-of-Islam/108225342746
এখানে একটি আলোচনা শুরু হয়েছে কুরানের চ্যালেন্জ নামে। অংশগ্রহন করতে পারেন। যে কোন টপিক নিয়ে আলোচনায় তারা নাকি প্রস্তুত।
Shamim,
ধণ্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
আমরা যখন সাধারনবাহবে কোন আইন ভ্যালিড কিনা এমন আলোচনা যখন করি তখন বর্তমান যুগের কথা মাথায় রেখেই করি। হতেই পারে কোন বিধিবিধান হাজার বছর আগে ভ্যালিড ছিল, আজ আর নেই। কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে কোন আইনী গ্রন্থে অমন বিধান আছে কিনা তবে তার উত্তর হয় বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে। উত্তর একই সাথে হা এবং না দুইই হতে পারে না। কাজেই, টেকনিক্যালী রায়হান সাহেব কিংবা জাকির নায়েক দুজনের একজন অন্তত এই মুরতাদের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমার মত এখানে গৌন কারন এসব কমন্সেন্স প্রশ্ন নিয়ে হাদীস কোরান বিশেষজ্ঞ নিয়ে দৌড়াদৌড়ই নিতান্তই সময় নষ্ট বলে মনে হয়।
জাকির নায়েক কিন্তু বলেননি যে মুরতাদ হত্যার বিধান প্রাচীনকালে ছিল, এখন আর নেই। তিনি ষ্পষ্ট করেই তার রায় দিয়েছেন। রায়হান সাহেবও তার রায় ষ্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রাচীনকালের দোহাই পাড়েননি, কিংবা আলেম মোল্লাদের কমিটি খুলে সমাধানের উপায় বাতলাননি।
আরেকটি গৌণ বিষয় যা মূল আলোচনার না, ইজমা বা ফ্লেক্সিবিলিটি এসব ব্যাপারও অত্যন্ত গোলমেলে। তাই যদি হবে তাহলে আর দেড় হাজার বছরের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের সব বানী সব যুগের সব দেশের মানূষের জন্য অবশ্য পালনীয় এমন দাবী কেন ওঠে? চূড়ান্তভাবে তো আইন ঠিক করেছে সেই মানুষেই। অনেকে অবশ্য বলেন যে কোরানের কিছু আইন আছে যেগুলো অত্যন্ত সুপষ্ট, সেগুলিতে কোন আপোষ রফা নেই। কেবল কিছুমাত্র বিষয় আছে যেগুলি এসব ইজমা জাতীয় পদ্ধুতির মাধ্যমে সমাধান করা যায়। প্রশ্ন হল, কোনগুলি ইজমায় সমাধান করা যাবে কি যাবে না সেগুলি কি কোন বিশেষ মার্ক বহন করে? নাহলে বুঝব কি করে? আচ্ছা, ধরলাম মোল্লারা কোরানের ভিত্তীতে ইজমায় বসবেন। তবে প্রশ্ন ওঠে কারা ইজমায় বসতে পারেন, বা চুড়ান্ত রায় দিতে পারেন সেই বিবেচণা করবে কারা? এই দেখুন না এই মুরতাদ ইস্যুতেই কি রকম ষ্পষ্ট বিপরীত রায়। এমন উদাহরন আরো অনেক আছে। নারীর পর্দা বলা যায় আরেকটা। ইজমা কিয়াস এসব পদ্ধুতি মোটেই প্রাক্টিক্যাল কিছু বলে মনে হয় না। আর সুন্নাহ? আজকাল অনেকে সরাসরি রায় দিচ্ছেন সব হাদীস বাতিল বলে। তাহলে আর সুন্নাহ থাকে কই?
কেউ মিথ্যা কথা বললে তাকে মিথ্যুক বলতেই হয়, অসম্মান যদি হয়েই থাকে তবে সেটা মিথ্যুক বলার কারনে হয়না, হয় মিথ্যা বলার কারনে। তাকে তার ভুল (ইচ্ছাকৃত ভুল মানেই মিথ্যা) ধরাতে মিথ্যুক বলা ছাড়া গতি কি?
@আদিল মাহমুদ,
আসলে মুরতাদ ইস্যুটা একটা নন-ইস্যু হয়ে যাওয়ায় (রাষ্ট্র ও ধর্ম আলাদা হবার কারনে) এটি নিয়ে কেউ কাজ করতে উদ্যত হয়নি। রাষ্ট্র যেহেতু সেক্যুলার হয়ে গেছে তাই রাষ্ট্র এটি নিয়ে মাথা ঘামায়নি বা ধার্মিকদের ঘাটাতে চায়নি (ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি)। ধর্মীয় ব্যাপারে প্রতিভাবান জ্ঞানী ব্যাক্তিদের আগ্রহ কমে যাওয়ায় এবং অন্য ক্ষেত্রে মাইগ্রেট করায় ধর্মীয় বিষয়গুলি অল্পশিক্ষিত সুযোগ সন্ধানী লোকেদের ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এবং যেহেতু কোন সেন্ট্রাল বডি এগুলোকে আর নিয়ন্ত্রন করেনা তাই যে যার মত করে ব্যাখা করে প্রচার করে।
যখন ইসলামী রাষ্ট্র ছিল তখন এই নিয়ে কোন বিতর্ক ছিলনা। রাষ্ট্রই নির্ধারন করত যে কারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। কিন্তু সেক্যুলার ব্যাবস্থায় বিশেষতঃ সুন্নি সম্প্রদায়ের জন্য ( যেহেতু সুন্নিরা বংশগত খেলাফতে বিশ্বাস করেনা) ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরন এক সমস্যা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এই জন্য অনেক ধার্মিক এখোনো ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে।
তবে রাষ্ট্র একটু উদ্যোগী হলে এর সমাধান করা যায়। যদিও সেক্যুলার রাষ্ট্র কোন ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেনা কিন্তু বৃহত্তর কল্যানের স্বার্থেই রাষ্ট্রকে শুন্যস্থান পূরন করা উচিত। বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ সেক্যুলার হবার পরও (যেমন তুরস্ক) বিশেষ সরকারী/স্বায়ত্ব শাষিত সংস্থা থাকে যারা ধর্মিয় বিষয়গুলি দেখভাল করে থাকে। বাংলা একাডেমী যেমন বাংলাদেশে বাংলাভাষার অভিভাবক বলে বিবেচিত হয় তেমনি একটি ‘ইসলামী একাডেমী’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন যাদের কাজ হবে এই ধরনের প্রশ্নে অথরিটিভ ভূমিকা নেয়া। এই একাডেমী প্রয়জনবোধে বিশ্বের নামকরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বা পণ্ডিতদের সাহায্য নিতে পারেন। প্রতিটি দেশের একাডেমীগুলি একে অন্যকে সহায়তা করলে এটি খুব কার্যকরী হতে পারে।
বর্তমানে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ নামে দুর্বল একটা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কোন অথরিটিনেই, প্রতিবছর কিছু বই পত্র প্রকাশ করাই এদের কাজ।
রাষ্ট্র যদি এভাবে কার্যকর ভূমিকা নেয় তবে অভিভাভকত্বের সমস্যা ঘুচবে এবং যুগে যুগে যে জঞ্জাল জমা হয়েছে তার অবসান ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে ব্যাপারটি প্রথমদিকে এত সহজ হবেনা। অনেক ধর্ম ব্যাবসায়ী ও ‘পীর-মুরিদ’ এতে বাধা হয়ে দাড়াবেন। রাষ্ট্রের উচিত এই ব্যাপারে সাহসী একটা ভূমিকা গ্রহন করা।
@shamim,
প্রথমেই স্বীকার করতে হবে যে মুরতাদ হত্যার যেই বিধান জাকির নায়েক কনফিডেন্টলি দিয়েছেন সেটা ভুল। য়ার যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে ওনার উচিত দুনিয়াময় সব মুরতাদ কতল করার আন্দোদন চালাতে, যা উনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তা পালন করবেন না কেন? আমাদের আহমেদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ এনারা মরে বেচেছেন বলতে হবে। এজন্যই এ জাতীয় লোকদের জীবনের উপর হামলাকে ধর্মওয়ালারা কোন অপরাধ হিসেবে মানেন না।
তবে অন্তত রায়হান সাহেবের মতে জাকির নায়েক এক্ষেত্রে ভুল, আমার ধারনা যেকারো মাথায় সামান্য সূস্থ বোধবুদ্বি থেকে থাকলে এ দলেই মত দেবেন।
তবে আপনার মত মনে হয় কিছুটা মাঝামাঝি; এককালে এই বিধান ছিল, তবে এখন আর দরকার নেই তেমন কিছু মনে হয় বলতে চান, যদিও প্রথমে জাকির নায়েককেই পুরোদমে সমর্থন করেছিলেন, বলেছিলেন যে এই বিধান আছে। যাই হোক।
প্রাচীন মূল্যবোধ, সমাজ ব্যাবস্থা ভিত্তিতে ধর্মগ্রন্থগুলির বেসিসে আধুনিক দিনের বিধিবিধান বানাতে গেলে এমনই হবে। হয় সমাজ তালেবানী গোছের কিছু একটা হবে আর নয়ত আলেমে আলেমে ইজমা কিয়াস এগুলো নিয়ে রক্তারক্তি হবে। আমার ধারনা খুব ভুল না হলে হাদীস মানা যায় কিনা বা পুরো বাতিল/সংশোধন করা নিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যাপক গোলযোগের ভাল আশংকা আছে।
ধর্মীয় বিধিবিধান রাষ্ট্র ঠিক করতে গেলে আরো বড় গোলযোগ হবে। এভাবেই রিলিজিয়াস সুপ্রীমেসি তৈরী হয়। পাশ্চাত্য দেশগুলি এগুলো করে না দেখেই সেখানে সব ধর্মের লোকে সমান অধিকার নিয়ে বাস করতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
অপ্রাসঙ্গিকঃ আদিল ভাই, আপনি কি আমার দেয়া কাজের কথা ভুলে গেছেন? কদিন খবর নেই নাই বলে কি হাল ছেড়ে দিলেন?
আমি খুলনায় খবর নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনার টূকু আপনি করে দেন।
@আদিল মাহমুদ,
এই প্রবন্ধের উপর মন্তব্যে আপনি বেশ কয়েকবার একজন মানুষের নাম উল্ল্যেখ করেছেন। তার কথা বা লেখাকে আপনি এত গুরুত্ত দেবেন বা অর্থবহ মনে করবেন আশা করিনি। সে এতেই গর্ববোধ করবে যে মুক্তমনায় তার নাম উচ্চারিত হয়েছে। তার অহমিকা, স্পর্ধা, বেয়াদবী নিয়ে একবার আপনাকে কিছু লিখেছিলাম। বর্তমানে সে বিভিন্ন ছদ্ম নামে বিভিন্ন বাংলা ব্লগে মন্তব্য প্রকাশ করে চলেছে। এক মন্তব্যে সে বলেছে- মুক্তিযুদ্ধে তিনলাখ মানুষ মারা গিয়েছিল, শেখ মুজিব এটাকে ত্রীশলক্ষ বানিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। রাজাকারের প্রেতাত্মা এই চরম মিথ্যেবাদীকে আপনার কোন লেখা বা মন্তব্যে টেনে না আনার অনুরুধ রইলো। তার নিজের ব্লগে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যানাধুনা করে ছাড়ছে, তবুও বেহায়ার হায়া হয়না। স্যরি, জীবনে প্রথবারের মত একটু স্ট্রং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করলাম, এ জন্যে যে সে আমাদের তিরিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ ধর্ষীতা মা-বোনদের নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। কথাগুলো এখানে বলার ইচ্ছে ছিলনা, কিন্তু কি কারণে যেন ইয়াহু ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছিনা তাই আপনাকে ই-মেইল করতে পারলাম না।
@shamim,
এটা ঠিক। আমার মতে একটা শক্তিশালী সেক্যুলার রাষ্ট্র গ্রহনযোগ্য একটা সিস্টেমের মাধ্যমে রাস্ট্রের জন্য কল্যানকর সব কিছুরই দেখ্-ভাল্ করতে সক্ষম। যে কোন ধর্মীয় একাডেমী থাকতে পারে উপদেশমুলক ভূমিকার জন্য, কিন্তু মুল অথরিটির দায়িত্বে থাকবে সেক্যুলার রাষ্ট্র।
ফুয়াদ,
আপনার দেওয়া লিঙ্কগুলি পড়লাম।
জাকির নায়েক আপনার অতি সম্মানের লোক তাতে আমার কোনই আপত্তি নেই। কত লোকের কাছে লাদেন এখনো সম্মানীয় জেহাদী নেতা, মুসলিম জাতির পরিত্রাতা। এসবে কার কিই বা এসে যায়? নায়েক সাহেব সে তূলনায় তো ফেরেশতা।
আমার কাছে নি:সন্দেহে তিনি খুব একটা সম্মানের লোক না তা আপনি জানেন ভাল করেই। তবে আমি আপনার দেওয়া সেই বাংগালী ভদ্রলোকের মত সুপারফিসিয়াল ধর্মীয় বিষয়ের ভিত্তিতে আমার সিদ্ধান্তে যাই না। মুরতাদের মৃত্যুদন্ড আসলেই ইসলামে আছে কিনা, কারবালার যুদ্ধকে পলিটিকাল নাকি ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখা যায়, কিংবা মুয়াবিয়াকে সম্মান করে কথা বলায় নায়েক কাফের হয়ে গেলেন কিনা (এমন উদাহরন আছে) এসব প্রশ্ন আমার কাছে অবান্তর। এগুলি যে যেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চায় সেটাই সঠিক। আপনার প্রিয় দুই বিশেষজ্ঞের কথাই ধরেন না। রায়হান সাহেব রীতিমত প্রমান করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে মুরতাদের মৃত্যুদন্ড ইসলামসিদ্ধ নয়, ওদিকে আপনার আরেক অতি প্রিয় নায়েকের মতে মৃত্যুদন্ড ঠিক ই আছে। কার কথা ধরবেন? দুজনেই তো আপনার প্রিয়। কাজেই এসব ধর্মীয় বিষয়ে ধরাবাধা কোন সিদ্ধান্তে পৌছার উপায় নেই। ওসব নিয়ে গবেষনাও আমার কাছে নিতান্তই অর্থহীন মনে হয়। জগতে আরো কত কি আছে গবেষনা করার।
আমি নায়েককে পছন্দ করি না কারন উনি জেনে শুনে প্রায়ই মিথ্যা কথা বলেন এটা বোঝার পর। তার যুক্তিবোধ কত দূর্বল বা প্রাচীন ধ্যান ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত তাতেও আমার অসুবিধে নেই, তাতে প্রমান হয় না যে তিনি মিথ্যুক। তবে কেউ জেনে শুনে তথ্যগত ভুল বা মিথ্যা কথা বললে তা অত্যন্ত অন্যায়। এসব মিথ্যা নিয়ে ধর্মের মত তর্ক জুড়ে দেওয়া যায় না যে হাদীস মানি না শুধূ কোরান মানি, বা অমুকের হাদীস মানি না, অমুক আলেমে এই বলেছেন, আমি তমুক আলেম মানি না আমার আলেমই আসল। ধর্মের নামে ডাহা মিথ্যা কথা চালানো আপনার কাছে হয়ত তেমন বড় অন্যায় নয় (জায়েজও হতে পারে, যদিও পরিষ্কার বলেননি কখনো)তবে আমার কাছে সেই ধার্মিকের ধর্মচর্চার কোন মূল্য নেই। তিনি মানুষ এবং ধার্মিক দুই হিসেবেই বেশ নীচু শ্রেনীর লোক বলতে বাধ্য হব। তর্ক করতে পারেন মানুষ ভুল করতেই পারে, উনি হয়ত জেনেশুনে মিথ্যা বলেননি। ঠিক, সম্ভাবনার বিচারে তা হতেই পারে। তবে সেক্ষেত্রে বলতে হয় যে ভুল ধরা পড়ার পর সে ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা সভ্য জগতের রীতি। জাকির নায়েক বা তার গুনমুগ্ধ ভক্তবৃন্দ আজ পর্যন্ত তেমন কোন ভুল স্বীকার করে বানী দিয়েছেন বলে তো মনে পড়ে না। দয়া করে বলবেন না যে তিনি হয়ত ভুলের কথা জানতেই পারেননি। সে সম্ভাবনা শূন্য, কারন শুধু বাংলা মুক্তম্নাই নয়, তার তথ্যগত ভুল নিয়ে আরো বহু যায়গায় লেখালেখি হয়েছে। আর যদি এরপরেও কোনভাবে অনিচ্ছাকৃত ভুল করেই থাকেন তবে বলতে হয় যে যিনি অমন তথ্যগত ভুল হরহামেশা করে থাকেন তার কথা শোনা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু না। বিশেষ করে আমি মনে করি যারা নিজেদের ধার্মিক বলে দাবী করেন তাদের সতর্ক হতে হয় আরো অনেক বেশী। ৯৯ টি সত্য বলার সুফল একটি মিথ্যাতেই বাতিল হয়ে যেতে পারে। না জানলে জানি না বলাটা সততা, সত্য মিথ্যা বাকপটুতা মিশিয়ে গুনমুগ্ধ শ্রোতা মন্ডলীকে হাইকোর্ট দেখানোর মাঝে কোন মহত্ব নেই।
হযরত আলীর ঘটনাটাও পড়লাম। চমতকৃত হবার মতই ঘটনা। তবে এই ঘটনাকে একটি ব্যাতিক্রম হিসেবেই ধরা যায়। যুদ্ধকালে শত্রু মুখে থুথু ছিটিয়ে দেবে এটাই স্বাভাবিক, তার জন্য তাকে না মেরে ছেড়ে দিলে সেই পাল্টা আপনাকে মেরে ফেলবে এটাই বাস্তবে হবার সম্ভাবনা অনেক প্রবল। কোন মোসলমান সৈনিক নিশ্চয়ই এই উদাহরন মাথায় রেখে যুদ্ধ করতে নামবেন না।
আর দূঃখজনকভাবে আলী কি কারনে সেই কাফেরকে ছেড়ে দিলেন সেটা আমার কাছে তেমন একটা আবেদন সৃষ্টি করেনি। তার সেই মহত্বের মাঝে ব্যাক্তি স্বার্থের মিশেল আছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে, আশা করি কিছু মনে করবেন না।
“ব্যক্তি স্বার্থ এসে আমাকে জিহাদের পূণ্য থেকে বঞ্চিত করুক , তা আমি চাইনি”
উনি কিন্তু সেই কাফেরকে কোন মানবতার দায়ে রেহাই দেননি। দিয়েছেন তিনি নিজে জিহাদের পূণ্য বঞ্চিত হতে পারে এই আশংকা থেকে। উনি যদি সেই কাফেরের অসহায় স্ত্রী, এতিম ছেলেময়ের কথা ভেবে রেহাই দেওয়াকে কারন হিসেবে দেখাতেন তবে আমার চোখে আলী শুধু এই জন্যই মহামানব হতেন। ধরেন, দান অনেকেই করেন। কেউ গরীব মানুষের দূঃখে কাতর হয়ে দান করেন, কেউ বা হয়ত আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান বা সোয়াবের আশায় দান করেন। কার দান আপনার কাছে বড় বলে মনে হয়? যিনি গরীবের দূঃখে কাতর হয়ে দান করেন তিনি, নাকি যিনি সোয়াবের আশায় দান করেন তিনি?
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে ছেড়ে দেওয়ার অমন কাহিনী আরো অনেক আছে। এমনকি ৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের অমন দুয়েকটি সত্য ঘটনা আমারই জানা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
দেখেন, ডাঃ জাকির কে কেউ একজন কাফির বলেছে । আমি ঐ লিংক দিতেছি । এখন যদি মানুষ ভেবে বসে আমিও তা ই মনে করি, তাই আমি সব ক্লিয়ার করে দেবার জন্য ঐ সব লিখেছি । যে আমি ঐ কথা সমর্থন করি না । আমি বুঝতে পেররেছি ঐ লিংক দেওয়া ই আমার ভুল হয়েছিল ।
ইসলামে ব্যক্তি পুজা নেই । ডাঃ জাকির কি বললেন, না বললেন, তাতে কিছু আসে যায় না। বা অন্য কেউ কি বললেন না বললেন তাতে কিছু আসে যায় না । আমার মত সবার মত থেকে ভিন্ন হতে পারে , এবং হয় ও । আমি ডাঃ জাকির বা অন্য কেউর কথা মানতে বাধ্য নই । হ্যা আমি তাদের সবাই কে সম্মান করি । আর প্রত্যকটি মানুষ কোন না কোন বিষয়ে ভুল করে । কোন মানুষ ভুল ত্রুটির উর্ধে নন ।
হযরত আলি রঃ ঘটনা মূল শিক্ষার কিছুই ধরতে পারেন নাই । তবে সেকুলার দৃষ্টিকোন থেকে ভালই ব্যক্ষা করেছেন । তবু তা আসল শিক্ষা থেকে বহুত বহুত দূরে । ধন্যবাদ
@ফুয়াদ,
জাকির নায়েক বিষয়ে আপনার বক্তব্য আগেই জানতাম, নুতন কিছু বলবেন তেমন দূরাশা করিনি। মানুষ মাত্রেই ভুল করে জাতীয় কিছু বলবেন আগেই জানতাম, তাই সে “ভুল” সম্পর্কেও অগ্রীম বলেছি, মনে হয় পড়ে দেখেননি। দেখা যাচ্ছে আপনি যেমন আমাকে লিঙ্ক দিয়ে ভুল করেছেন বলে মনে করছেন আমিও তেমনি ঐ লিংক দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভুল করেছি। অতএব কাটাকাটি; বিষে বিষক্ষয়।
হযরত আলীর আসল শিক্ষা কি হতে পারে সে আপনি বুঝে ফেলেছেন এটাই তো বেশী। তবে আমি সেই আসল শিক্ষা ধরতে পারিনি বলে খুব বিরাট কিছু মিস করছি বলে আমার মনে হয় না। যতটুকূ ধরতে পেরেছি সেইটুকুই হজম করতে পারি না।
@Shamim
না, এটা সম্পূর্ন ভুল ব্যাখ্যা এবং অনুবাদ হল। এর মানে হল একটি গণিতিক স্টেটমেন্টের অস্তিত্ব আছে যা সত্য কিন্তু তা তত্ত্বে প্রকাশ করা সম্ভব না।
আবার লিখছি “সত্য কিন্ত তত্ত্বে প্রকাশ করা সম্ভব না”।
প্রথমত এই সব ঈশ্বর ভূত প্রেত গণিতিক ডোমেনে নিয়ে আসাটাই ্নির্বুদ্ধিতার প্রথম লক্ষন ।
আর দ্বিতীয়ত, সেটা যদি মেনেও নিই আপনার মত, তাহলে গোডেলের এই সূত্রানুযায়ী কোরান গীতা বাইবেলে ঈশ্বরের বক্তব্য হতে পারে না। কারন তা হবে অব্যক্ত। তাহলে এটাই মানতে হয় ঈশ্বর আছেন এটা যদি গণিতিক সত্য হয়, তাহলে গোডেলের সূত্র মেনে, এই সব ধর্মগ্রন্থ গুলো সব মানুষের লেখা ধাপ্পাবাজি -কারন ঈশ্বর কি তা তত্ত্বে প্রকাশ করা অসম্ভব।
চিন্তা নেই। ঈশ্বর এমন ভাবে ধরা পরেছেন মানুষের হাতে-তার পালানোর পথ সব রুদ্ধ।
@বিপ্লব পাল, আমি আক্ষরিক অনুবাদ করিনি। আমি গোডেলের তত্ত্বের গানিতিক ব্যাখার চেয়ে তার ফিলোসোফিকাল ইমপ্লিকেশনের দিকেই জোর দিয়েছি।
আমি কোরান / বাইবেল বা গীতার ইশ্বরের কথা বলিনি (ঈশ্বর মানেই কোরান বাইবেল বা গীতার সম্পদ নয়)। আমি শুধু সেই ইশ্বরের কথা বলেছি যাকে প্রমান বা অপ্রমান সম্ভব নয়। আমি সংশয়বাদী , নাস্তিক নই।
@shamim,
মানে ভূত প্রেতদের জন্যেও গণিতের ব্যাখ্যা সম্ভব? গণিতের ভাষাতে কোন কিছু না বললে, কোন গণিতিক লেমাকে ধর্মের আসরে নামানো সবটাই ধাপ্পাবাজি।
খুব ভুল জানেন। বিজ্ঞানের বর্তমান দর্শন স্যার কার্ল পপারের ফলসিফিকেশনের ওপর প্রতিষ্ঠিত-যার প্রধান এক্সিওম, পরম বৈজ্ঞানিক সত্য বলতে কিছু নেই-যার মানে সব বৈজ্ঞানিক সত্যেরই ফলসিফিকেশন সম্ভব।
বিজ্ঞানের দর্শনে এটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
@বিপ্লব পাল,
আপনি সম্ভবত ফিলোসফি অফ সাইন্স আর সাইন্সকে গুলিয়ে ফেলেছেন। ফিলোসফি অব অমুক কিন্তু আসলে ফিলোসফিই। মানে অমুকের ফিলোসফি। ফিলোসফি অফ সাইন্স বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গঠনে সহায়তা করে বটে কিন্তু সে নিজে বিজ্ঞান নয়। ফিলোসফি অফ সাইন্স নিজে কোন বৈজ্ঞানিক সত্য আবিস্কার করেনা বরংচ আবিস্কৃত সত্যে ফিলোসফিক্যাল লজিক প্রয়োগ করে এর গ্রহন যোগ্যতা ও নৈতিকতা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের জন্য ফিলোসফি অফব সাইন্স সাহায্যকারী কিন্তু অপরিহার্য নয়।
ওইকিপিডিয়া বলছেঃ Although most practitioners are philosophers, several prominent scientists have contributed to the field and still do. Other prominent scientists have felt that the practical effect on their work is limited: “Philosophy of science is about as useful to scientists as ornithology is to birds,” according to physicist Richard Feynman.
Sir Karl Raimund Popper একজন ফিলোসোফার, তিনি কোন বিজ্ঞানি নন। যেমন ওইকিপিডিয়া বলছেঃ Sir Karl Raimund Popper CH, FRS, FBA (28 July 1902 – 17 September 1994) was an Austrian and British[1] philosopher and a professor at the London School of Economics।
Karl Popper ফিলোসফি অফ সাইন্সের প্রবক্তাও নন। ওনি একজন কন্ট্রিবিউটার মাত্র। আসুন দেখি ফলসিফিকেশন তত্ব কি বলেঃ Logically, no number of positive outcomes at the level of experimental testing can confirm a scientific theory, but a single counterexample is logically decisive: it shows the theory, from which the implication is derived, to be false। বাংলায় সহজ অর্থেঃ যে কোন সংখ্যক ধনাত্বক ফলাফল কোন বৈজ্ঞানিক তত্বকে প্রমান করতে পারেনা, কিন্তু একটিমাত্র বিরুদ্ধ প্রমান ঐ তত্বকে অপ্রমান করতে যথেষ্ট। যেমন কোন তত্ত্ব যদি বলেঃ পৃথীবির সব হাস সাদা। একলক্ষ / এক কোটি সাদা হাস দেখানোর পরও বলা যাবেনা উক্ত বিবৃতিটি সত্য কিন্তু একটি মাত্র কালো হাস দেখানো সম্ভব হলে উক্ত বিবৃতিটিকে মিথ্যা প্রমানের জন্য যথেষ্ঠ। এই তত্ত্বমতে ‘সব হাস সাদা’ একটি ফলসিবল তত্ত্ব (যাকে মিথ্যা প্রমান করা যায়) কিন্তু ‘মানুষ মরনশীল’ এটি আনফলসিবল (উইকিপিডিয়াতে বলা হয়েছে) কারন একে মিথ্যা প্রমান করা যায় না।
অনেক ঘাটাঘাটি করেউ আমি পাইনি পপার বলেছেন ‘চরম সত্য বলতে কিছু নেই’।
বর্তমান বিজ্ঞানের দর্শন পপারের ফলসিফিকেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। ‘এত বড় সত্য’ থাকার পরও এই সত্যটি আমি কোথাউ পাইনি। বরংচ যা পেয়েছি পপারের তত্ত্বের সমালোচনাঃ
Many contemporary philosophers of science and analytic philosophers are strongly critical of Popper’s philosophy of science. Popper’s mistrust of inductive reasoning has led to claims that he misrepresents scientific practice।
যেমন আরোঃ In their book Fashionable Nonsense (published in the UK as Intellectual Impostures) the physicists Alan Sokal and Jean Bricmont criticized falsifiability on the grounds that it does not accurately describe the way science really works।
এই রকম ভুরি ভুরি সমালোচনা দেয়া যাবে যেখানে বিজ্ঞানি ও ফিলোসফাররা পপারের ফলসিফিকেশন তত্ত্বকে সমালোচনা করেছে। (আরো দেখুন http://en.wikipedia.org/wiki/Falsifiability এর Criticisms অংশে)। আমার কোন তত্ত্ব পছন্দ হতেই পারে তাই বলে আমি বলবনা এটিই বর্তমান বৈজ্ঞানিক দর্শনের ভিত্তি।
বিপ্লব পালের কথার সুত্র ধরেই যদি বলি সব সত্যেরই ফলসিফিকেশন সম্ভব তবে পপারের তত্ত্বের ফলসিফিকেশনও সম্ভব, সুতরাং পপারের তত্ব সত্য নয়। (পপার কিন্তু বলেনননি সব সত্যের ফলসিফিকেশন সম্ভব, এটা বিপ্লব পালের নিজস্ব কথা। কারনঃ Popper however stressed that unfalsifiable statements are still important in science, and are often implied by falsifiable theories)।
‘চরম সত্য নেই’ এটি একটি প্যারাডক্স যা নিজেই নিজেকে অস্বীকার করে। এই ধরনের প্যারাডক্স দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয় (গোডেলের অপুর্নতার তত্ত্ব সেটিই নির্দেশ করে)।
আসলে আমরা আলোচ্য লেখার সমালোচনা থেকে অন্য দিকে চলে যাচ্ছি। আমি বিপ্লব পালকে অনুরোধ করব যেন তিনি এ বিষয়ে আলাদা একটা পোষ্ট করেন সেখানে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।
@shamim,
আপনি পপার, ফলসিফিকেশন, পরম সত্য, এম্পিরিক্যাল সত্য, রিয়ালিস্ট সত্য এই সব কিছু গুলিয়ে দিয়েছেন। ওই ভাবে ওয়াকি পড়ে, এসব হয় না-এটা অনেক চর্চার ব্যাপার। এই নিয়ে মুক্তমোনা ফোরামে ৪ বছর আগে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আপনি অ র্কুটে থাকলে এই ব্যাপারে কমিনিউস্টদের সাথেও আমার আরো যেসব বিতর্ক হয়েছে, তার থ্রেড আছে।
শুধু একথাই বলছে চাইছি বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের দর্শনের সাথে আলাদা করা যায় না। আর পপারের সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও, তার দর্শনই বিজ্ঞানের দর্শন হিসাবে সব জার্নালে সুপ্রতিষ্ঠিত-অন্যদের না। কুনের অবজেকশন পরিতক্ত্য। সুতরাং দীর্ঘ এই ইতিহাস না জেনে, কে কি বলেছে, সেটা ওয়াকি থেকে তুলে এইসব আলোচনা হয় না।
@shamim
ভাই আপনার ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল। আপনি কিভাবে ভাবলেন যে আমি একজন নাস্তিক হয়ে হিন্দু ধর্মের সপক্ষের কোন লোককে জাকিরের বিপক্ষে দাড়ানোর জন্য অনুরোধ করব। সে জিতলেও আমাদের অর্জনটা কোথায়?
প্রবীর ঘোষ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন এখানে, এখানে, আর এখানে
@ঈশ্বরহীন, আমি আমার ভুল স্বীকার করছি
@shamim, এখন প্রবীর ঘোষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনিছেন তো? তাহলেই হবে।
@ঈশ্বরহীন, (উপরে কমেন্টের অপশন না পেয়ে এখানে করলাম)
(আপনার নতুন ভিডিও যেখানে জাকির নায়েক, ইসলাম ত্যাগীদের মৃত্যু দন্দের কথা বলছেন।)
আমি বুঝতে পারছি আপনি জাকির নায়েককে ছাড়বেন না। দেখুন জাকির নায়েক কিন্তু ইসলামে যে বিধান আছে তার বাইরে কিছু বলেনি। ইসলামে মুরতাদদের (ইসলাম ত্যাগকারী) ব্যাপারে এই বিধান সত্য সত্যই আছে/ছিল। এখানে জাকির নায়েক মিথ্যুক নন। বরংচ তিনি যদি এটি অস্বীকার করে বলতেন যে ইসলামে এটি নেই তাহলেই তাকে মিথ্যুক বলা যেত।
এই বিধানটি করা হয় যখন ইসলাম তার শৈশবে চতুর্দিকথেকে যখন শত্রু আক্রান্ত তখন মুনাফিকরা (কপটচারী, বন্ধুবেশী শত্রু) ইসলামের ক্ষতি করার জন্য ইসলামে প্রবেশ করত এবং স্যাবোটাজ করে আবার পূর্বধর্মে ফিরে যেত। এই ধরনের গুপ্তঘাতিদের ঠেকানোর জন্য এটি করা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্র ও ইসলাম একাকার ছিল । এখন সময়ের প্রেক্ষিতে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে আমার জানা মতে আধুনিক রাষ্ট্র এখন আর এই বিধান কার্যকর করেনা ।
প্রতিটি সিস্টেম টিকে থাকতে চায় এবং এর জন্য প্রয়োজনে এক্সট্রিম ব্যাবস্থা বেছে নেয় (এখোনো রাষ্ট্রদ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্দ)। আমি মনে করি ধর্ম অভ্রান্ত নয় এবং ইসলাম এখন ধর্ম (Religion) থেকে বিশ্বাসে (faith) বা সংস্কৃতিতে (Culture) পরিনত হয়েছে তাই এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী। (একই ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তির বিষয়টিও বিবেচনার দাবী রাখে)।
জাকির নায়েক একজন ধর্ম ব্যাবসায়ী, ধর্ম স্বংস্কারক নন। তার কাছথেকে ইসলামের সমালোচনা বাতুলতা। বরংচ ইসলামের সমালোচনা করে আপনিকি চান লোকে তাকে মুরতাদ ঘোষনা করুক? (আপনি চাইলেউ চাইতে পারেন)
@shamim,
এটা নিশ্চয়ই আপনি স্বীকার করবেন যে জাকির নায়েক ধর্মকে পুজি করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং এটাও ঠিক যে উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রাখেন বিশেষ করে এই ইনটারনেটের যুগে। উনার এই অসৎ উদ্দেশ্য যাতে সফল না হয় সেটার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টাই স্বাভাবিক।
@shamim,
এই যুক্তি মানলে হিটলার বা স্টালিন ও কোন দোষ করেন নি। তারা ত ব্যাক্তিগত কারনে কোটি কোটি লোককে হত্যা করে নি। আদর্শের কারনেই করছে। এই যুক্তি মানা মানে সমস্ত গণহত্যাকারী রা কোন দোষ করে নি। দেশ ভাগের সময় রায়োটারও কোন দোষ করে নি।
@shamim,
যা লেখা আছে ধর্মগ্রন্থে তা অস্বীকার করতে যাবে কেন? আর বিতর্কটা স্বীকার অস্বীকার করা নিয়ে না। বিতর্কটা হচ্ছে বর্তমানে এই প্রথাকে সমর্থন করা নিয়ে। এই মুরতাদ ঘোষনা করা শুধু অমানবিকই না, জাতি সংঘের ঘোষিত মানবাধিকার সনদের ও এটা বিরোধি। এটা সমর্থন করা আর নাজিদের বা ডাকাতদের সমর্থন করা একই ব্যাপার। এবং জাকিরের এই সমর্থন করা নিয়েও মনে হয় না আমরা চিন্তিত। আমরা চিন্তিত এই কারনে যে এই মধ্য যুগীয় বর্বর আইনকে যে সমর্থন করে, তার কোটি কোটি মুসলিম ভক্ত-মানে যারা মনে করে না, এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। সুতরাং আমরা চিন্তা করছি মুসলিমদের জন মানসিকতা নিয়ে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতা নিয়ে চিন্তিত না।
আজকের ভারতের কোন হিন্দু গুরু কিন্ত জাতিভেদ প্রথাকে সমর্থন করতে পারে না-সবাই এর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে, যতই তা ধর্ম গ্রন্থে থাকুক না কেন। সতীদাহ প্রথা নিয়েই একই কথা বলা যায়। এগুলো এখনো টিকে নেই তা নয়-কিন্ত কোন গুরু এসবের পক্ষে সাফাই গাইলে তার বাড়িতে লোকজন লাঠি নিয়ে তাড়া করবে। কিন্ত সেটা জাকির নায়েকের জন্যে হচ্ছে না। উলটে অধিকাংশ মুসলিম জনসাধারন তার প্রশংসা করছে। আসল সমস্যা সেখানেই।
@shamim,
“ইসলামে মুরতাদদের (ইসলাম ত্যাগকারী) ব্যাপারে এই বিধান সত্য সত্যই আছে/ছিল।”
আপনি কি নিশ্চিত এটার ব্যাপারে?
রায়হান সাহেবের লেখার সাথে পরিচয় আছে? উনি বাংলা নেট জগতে বিখ্যাত ইসলা ডিফেন্ডার। ওনার মতে ইসলামে এমন কোন বিধান তো নেইই, উলটা কিছু লোকে ষড়যন্ত্র করে এমন বদনাম ইসলামের ঘাড়ে চাপাতে চায়। এখানে দেখুন। উনি কোরানের রেফারেন্সসহ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যদিও জাকির নায়েক নার খুবই প্রিয় ব্যাক্তিত্ত্ব; প্রিয় বিশেষজ্ঞের সাথে সব কথা মিলতেই হবে এমন কথা নেই, তবে কৌতূহল জাগে এ সম্পর্কে ওনার ভাষ্য জানতে।
সে যাক, ধর্ম সম্পর্কে এই হল মুশকিল। এক এক পন্ডিতের এক এক মত। কারো কারো ব্যাখ্যা আবার সময়ের সাথে বদল হয়ে যায়।
@shamim,
মুরতাদের ইসলামী মতে যে মৃত্যুদন্ড বিধান নেই এ বিষয়ে রায়হান সাহেবের একটি পূর্ণ লেখাও আছে।
কে সত্য তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারেন। রায়হান সাহেব, নাকি ওনার প্রিয় জাকির নায়েক এবং আপনি।
@আদিল মাহমুদ,
আমি ডাঃ জাকির নায়েক কে শ্রদ্ধা করি । যাইহোক, এক বাংজ্ঞালি পন্ডিত উনারে কাফির ফতোয়া দিয়েছে এইখানে http://www.peaceinislam.com//tusharzia/3263/
(কেউ দয়া করে মনে করিয়েন না যে, আমি ডাঃ জাকির কে সম্মান করি না । আমি উনাকে সম্মান করি , ঐ লেখকের লিখা সমর্থন করি না )
আর এই লিখাটি আপনার ভাল লাগতে পারে তাই দিলাম হযরত আলী রঃ ঘটনা
http://www.peaceinislam.com/bagerhat/3333/
ডাঃ জাকির সম্পর্কে এবং ইসলাম সম্পর্কে এই কটুদ্ধৃতি আরটিক্যলের লেখক যে লিখা দিয়েছেন তা আপত্তি জনক । তবে, আমি বুঝতে পেরেছি এ সব বিষয়ের জবাব দিতে নেই , কারো কথায় কেউ সহজে ছোট হয়ে যায় না, এ ধরনের কথা, সমালোচনা আর সুক্ষ, স্থুল আক্রমন (গালিগালাজ) থাকবেই ।
@আদিল মাহমুদ, আমি ইসলামে বলেতে ইসলামী শরীয়তের কথা বুঝিয়েছি। আপনার হয়তো জানা আছে যে, ইসলামী শরিয়তের চারটি উৎসঃ ১)কোরান ২) সুন্নাহ ৩) ইজমা ৪) ক্বিয়াস।
কোরান ও সুন্নাহর অনেক বিধান ইজমার (আইনজ্ঞতের মতৈক্যের ভিত্তেতে) মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। যেমনঃ ইসলামের প্রাথমিক যুগে গান-বাজনা জায়েজ ছিল (নবীজি যুদ্ধ জয়ের পর মদিনায় ফিরলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তাকে নেচে গেয়ে অভ্যর্থনা জানাত)। পরবর্তিকালে ইসলামি শাষকগন প্রমোদ-আমুদে মত্ত হয়ে পড়লে তৎকালীন ইমামগন একে ইজমার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করেন। মুরতাদ বলতে একসময় ইসলামি রাষ্ট্রের বিরোধিতা কারী বুঝাত। বর্তমান কালের রাষ্ট্রের মতই ইসলামী শরিয়তের মতে তার শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্দ।
বর্তমানে রাষ্ট্র ও ধর্ম আলাদা হবার কারনে মুরতাদের সঙ্গার বিস্তারিত ব্যাখা ও পরিবর্তনের অবকাশ আছে। ইসলামি শরিয়ত আসলে আমাদের প্রচলিত ধারনার চেয়ে অনেক বেশী ফ্লেক্সিবল। আমি রায়হান সাহেবের সাথে অনেকাংশে (‘ইশ্বরকে প্রমান বা অপ্রমান করা সম্ভব নয়’-এর সাথে পুরাপুরি) এক মত যে কোরান এক্ষেত্রে বাধা নয়। সমস্যা কোরানকে নিয়ে নয়, শরিয়তকে নিয়ে নয়। সমস্যা আধুনিক কালের ইমামদের নিয়ে। যাদের মধ্যে ফ্লেক্সিবিলিটি নেই। ইচ্ছা করলে ইমামরা ইজমার মাধ্যমে উক্ত বিধানটি যুগোপযোগি করে নিতে পারেন।
আমি আবার বলছি, জাকির নায়েক একজন ধর্ম ব্যাবসায়ী, ধর্ম স্বংস্কারক নন, তবে আমি তাকে এর জন্য অসম্মান করতে নারাজ (অসম্মান কোন সমস্যার সমাধান নয়)। তার যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা আছে তাই তাকে এই সংশোধনির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। তবে তিনি রাজি না হলেও (এর পরও আমি তাকে অসম্মান করতে নারাজ) আমাদের আরো অন্য পথে চেষ্টা করতে হবে।
@shamim, দেখুন জাকির নায়েক কিন্তু ইসলামে যে বিধান আছে তার বাইরে কিছু বলেনি। ভাই আমিওতো সেটাই বলছি। জাকির নায়েকদের মতো লোকদের কাজ হলো ধর্মের সকল বিষয় গুলিকে অন্ধভাবে সমর্থন করা, এবং তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন কুযুক্তির অবতারন করা, তার যেমনি মানবিক রূপ থাকুক না কেন। আর এই বিষয়টাই সকলকে সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য ”পিতা-কন্যার বিবাহে”র মতো সমাজের অস্বীকৃত একটি বিষয়কে উদাহরন হিসাবে ব্যবহার করেছি, যেটা নিয়ে কারোরই দ্বিমত থাকার কথা না। কিন্ত আজকে যে বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে করোরই বিন্দু মাত্র দ্বিমত নেই, ধর্মে তার স্বীকৃতি থাকলে আমরা অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যেতাম।
আল্লাহ যে আছেন তা কিন্ত জাকির নায়েক যুক্তি দিয়েই নাস্তিকদের প্রমান করে দিয়েছেন। এখন নাস্তিকরা যাবা কোথায়?
@Shamim
উলটো পালটা যুক্তি-যে দিয়েছে সে গোডেলের তত্ত্বের সাথে বিজ্ঞানের দর্শনের যোগসূত্র বোঝেই নি। বিজ্ঞানের দর্শন এবং ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে খুব অজ্ঞ হলে, এই ধরনের যুক্তি দেওয়া যায়। আমরা এখানের গোডেলের দ্বিতীয় সূত্রটা নিয়ে আসিঃ
For any formal effectively generated theory T including basic arithmetical truths and also certain truths about formal provability, T includes a statement of its own consistency if and only if T is inconsistent.
বিজ্ঞানের দর্শনের প্রথম কথাই হল ফলসিফায়েবিলিটি। অর্থাৎ চরম সত্য বলে কিছু হতে পারে না-প্রতিটা তত্ত্বেই কিছু না কিছু ভুল আছে। থাকতেই হবে। সেই অর্থে প্রতিটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বই অসম্পূর্ন-যা গোডেলের দ্বিতীয় লেমাকেই স্বীকার করে।
এবার ঈশ্বরের প্রশ্নে আসি। ঈশ্বর একটি হাইপোথেসিস। গোডেলের প্রথম থিওরেম মানলে ঈশ্বর সম্মন্ধীয় স্টেটমেটটির এনালাইটাক্যাল রূপ কেমন হবেঃ
Any effectively generated theory capable of expressing elementary arithmetic cannot be both consistent and complete. In particular, for any consistent, effectively generated formal theory that proves certain basic arithmetic truths, there is an arithmetical statement that is true,[1] but not provable in the theory (Kleene 1967, p. 250).
অর্থাৎ ঈশ্বর হাইপোথিসিটিকে পাটিগণিত বা গণিতের ডোমেনে ফেলা সম্ভব হলে, তবেই আমরা তাকে গোডেলের থিওরেমের আওতাতে নিয়ে আসতে পারি। বাইবেল, কোরান বা কোথাও কেও ঈশ্বরকে গণিতের ভাষায় প্রকাশ করেছে বলে জানা নেই। কারন তেমন হলে মুসলিমদের মধ্যে ১২০০ সেক্ট বা খ্রীষ্ঠানদের এত সেক্ট থাকার কথা না। এদের ভাষাটা গণিতের না-সবতাই জোচ্চুরি।
তারপরেও ধরেনিলাম, মানুষের লেজ গজাইল বা কোরান, বাইবেল মোতাবেক ঈশ্বরের একটা গনিতিক তত্ত্ব আছে। কিন্ত সেই সংজ্ঞার জোরে, সেটা টেস্টেবল পরীক্ষার আওতাধীন হবে। এবং যতদিন না তা পরীক্ষা না হচ্ছে, সেটা রূপকথাই থাকবে। সেটাকে আনটেস্টেড হাইপোথেসিসি-এর বেশী কিছু স্টাটাস দেওয়া সম্ভব না।
ঈশ্বর মানুষের সহজাত প্রেরণা এর সপক্ষে আমাকে কিছু জার্নাল পেপার দেখান যে ঈশ্বরের ব্যাপারটা মানুষে জেনেটিক্যালি ওয়ারড। এসব ভুলভাল তথ্য কোথা থেকে পান? এসব ত জোকার লায়েকরা মানুষকে বোঝায়।
ঈশ্বর একটা নৃতাত্বিক প্রয়োজন যা মানব সমাজের বিবর্তনের কারনে এসেছিল-এবং সেটা হচ্ছে সামাজিক আইন ও যুথবদ্ধ জীবন। সেটার প্রয়োজন শেষ এই উন্নত বিজ্ঞানের যুগে। তাই নিৎসের মতন আমিও বলি “God is dead”.
@Shamim,
শামিম ভাই, আপনার মত অনেকেই বলে, তুমি যার সমালোচনা করছ, তার তুলনায় তুমি কি করেছ? আমার কথা হল কেউ যদি দুর্ণিতি করে আর আমি যদি তার সমকক্ষ না হই, তবে কি আমার সমালচনা থেমে থাকবে? এ পৃথিবীতে স্রস্টাতে যারা বিশ্বাস করে না তারাই মনে হয় বেশী সমস্যায় জাকির নায়েকের চেয়ে। উনাকে আপনার মিথ্যাবাদী মনে না হলেও যারা আরবী জানে তারা অন্তত বুঝে তিনি কোথায় মিথ্যা বলছেন, যেমন তিনি দাহাহা এর রুট বা মুল শব্দ দুহিয়া বললেন, অথচ দুহিয়া নিজেই নাম বাচক শব্দ আর আরবীতে মুল শব্দ দা-হা-আলিফ এত বিস্তারিত বলার দরকার নাই, শুধু এটাই যথেস্ট তাকে কখন কোন যুক্তিবাদী এর সাথে বিতর্ক করতে দেখবেন না, তিনি বড়জোর রবিশংকরকে খুজে বের করে অপদস্থ করবেন।
@আনাস,
আমি আরবিতে আমার কোন দখল নেই তাই আমি একজাক্ট কোন কমেন্ট করতে পারব না। এক্ষেত্রে হয়তো আপনিই সঠিক। আপনি যদি এই ভূলটা উনাকে ধরিয়ে দেন এটার জবাবে উনি কি ব্যাখ্যা দেন তার উপরই নির্ভর করবে যে উনি যেনে শুনে ভূল করছেন না , ভুল করে ভুল করছেন না এর আরো ব্যাখা আছে।
আমি তাকে সাধু পুরুষ বলছিনা, আপনি আমার আগের কমেন্ট গুলো দেখলে দেখবেন আমি তাকে বলেছি যে সে সুযোগ সন্ধানি। কোন কিছুর ব্যাখায় যদি দ্ব্যার্থকতার সুযোগ থাকে, সুযোগ সন্ধানিরা তার (অপ)ব্যাবহার করে। যেমন আইনজিবী, লবিষ্ট আইনের ব্যাখার দ্ব্যার্থকতা কাজে লাগায়। এমতাবস্থায় আমাদের দায়িত্ব দ্ব্যার্থতাকে দূর করা। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ঐ দ্ব্যার্থতাকে দূর করতে অক্ষম যারা তারা ব্যাক্তিকে টার্গেট করি। আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক বলেছেনঃ
এক্ষেত্রে দোষ হলে প্রথমে ইসলামের হতো। দায়ী হলে ইসলাম হতো। কিন্তু লেখক এখানে জাকির নায়েককে আগে ভাগেই দোষী সাব্যস্ত (অপদস্ত করার জন্য) করে বসে আছেন এখানেই আমার আপত্তি।
@shamim, জাকির নায়েক যেভাবে নিজের খেয়াল খুশী মত কোন বিষয়কে যৌক্তিক করবার উদ্দেশ্যমুলক প্রচেষ্টায় এবং প্রচারনায় লিপ্ত আছেন, তাতে ওনার কার্য্যকলাপের দায়িত্ব উনি ছাড়া কি আর কারো উপর বর্তায়?
@shamim,
ভাই কিছু মনে করবেন না। আপনি মনে হয় শুধু প্রবীর ঘোষ নয় জাকির নায়েক বিষয়েও খানিকটা অজ্ঞ। ইসলামে মুরতাদ হ্ত্যার মতো অত্যান্ত মানবতা বিরোধী একটি প্রথার জন্য তিনি কিন্তু একবারও ইসলামকে দোষারোপ করেননি, দায়ী করেননি বরং দেখুন সেটাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কিরকম কুযুক্তির অবতারন করেছেন। আসলে ধর্মের নামে আমরা সব কিছু মানতে বাধ্য তার যেমনি মানবিক রূপ থাকুক না কেন। ইসলামে পিতা-কন্যা বিবাহের স্বীকৃতি থাকলে জাকির নায়েকরা যে তার বিরোধিতা করত এই ভিডিওটি দেখার পর কি আপনি তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবেন? httpv://www.youtube.com/watch?v=ZMAZR8YIhxI
@বিপ্লব পাল,
গোডেল একজন গনিতবিদ। তিনি গনিতের ভাষাতেই তার তত্ত্ব দিয়েছেন এটা সত্য এবং আমি তা জ্ঞাত আছি। কিন্তু গনিতের ভাষা সবার বোধগম্য নাও হতে পারে এছাড়া গোডেলের তত্ত্বের একটা ফিলোসোফিক্যাল ইমপ্লিকেশন্স আছে যেমন বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্বেরই থাকে। ওইকিপিয়ার পাতাতেই ফিলোসোফির liar paradox এর সাথে গোডেলের তত্ত্বের তুলনা করা হয়েছে। এছাড়া ফিলোসোফিতে গোডেলিয়ান মেকানিক্স নামে একটি আলোচনা আছে যেখানে গোডেলিয়ান তত্ত্বের মাধ্যমে মানুষের ইন্টিলিজেন্সের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
http://www.miskatonic.org/godel.html এই সাইটটিতে গোডেলের তত্ত্বর সহজ ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এবং আমি সাধারন পাঠকের জন্য (যারা গনিতের সাথে সম্যক পরিচিত নন) এখান থেকে কিছু উদৃতি ব্যাবহার করেছি।
Hofstadter যেমন বলছেনঃ The other metaphorical analogue to Gödel’s Theorem which I find provocative suggests that ultimately, we cannot understand our own mind/brains … Just as we cannot see our faces with our own eyes, is it not inconceivable to expect that we cannot mirror our complete mental structures in the symbols which carry them out?
Rucker, Infinity and the Mind প্রবন্ধে গোডেলকে ব্যাবহার করে দেখিয়েছেন UTM (Universal Truth Machine) কেন সম্ভব নয়।
আমি না হয় নাদান হতে পারি, দুনিয়ার এত এত লেখক যে নাদান তা আমি বিশ্বাস করিনা। ডারউইন তার তত্ত্ব জীববিজ্ঞানের মাধ্যমে দিয়েছেন কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানীরা সোসাল ডারউনিজম নামে সম্প্রসারন করেছেন। তাই কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব তা যদি সত্য হয় তা জ্ঞানের বিভিন্ন শাখাতেই প্রযোজ্য হতে পারে। আমার গোডেলের তত্ত্ব উল্লেখ করার কারন এই যে, আমি দেখাতে চেয়েছি মানুষের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে অন্তনিহিত সীমাবদ্ধতাই মানুষকে চুড়ান্ত সত্য নির্ধারনে বাধাগ্রস্থ করে। আমরা সিস্টেমের ভিতরে থেকে সমগ্র সিস্টেম সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর চেষ্টা করছি।
Rucker যেমন আরো বলছেনঃ Although this theorem can be stated and proved in a rigorously mathematical way, what it seems to say is that rational thought can never penetrate to the final ultimate truth.
আমি ইশ্বরে বিশ্বাস করিনা (ব্যাক্তিগত মতামত), আর ইশ্বর নেই (চুড়ান্ত সত্য) এক হতে পারেনা। এছাড়া ইশ্বর কি, তা সজ্ঞার উপর নির্ভর করে, সংজ্ঞার ভিন্নতা অনুসারে একেক জনের কাছে ইশ্বর ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে (যেমন অনেকের কাছে ইশ্বর বা তার স্থলাভিষিক্ত হলঃ Mother Nature) ।
তবে ধর্ম হচ্ছে একধরনের বিধান। যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। ধর্ম কি ইশ্বর থেকে এসেছে ? নাকি যুগে যুগে মানুষ এর তৈরী করে নিয়েছে? এ নিয়ে নৃতাত্ত্বিক আলোচনা হতে পারে। আমরা ইশ্বরের আলোচনায় ধর্মকে অবিচ্ছেদ্য মনে করি। সেটা আমাদের অভ্যাসগত কিন্তু সত্যিকার অর্থে এরা অবিচ্ছেদ্য নয়। এমনকি সমাজে অনেককেই বলতে শুনবেন আমি স্রষ্টা মানি কিন্তু বিধান মানিনা।
মোদ্দা কথা, আমি মনে করি ইশ্বর হলো একটা এবস্ট্রাক্ট ধারনা যাকে প্রমান বা অপ্রমান করা যায় না। তবে ধর্মের ব্যাপার আলাদা এবং প্রমান সাপেক্ষ।
আরে ভাই, গনিতে ডোমেনে যেগুলি ফেলা যায় গোডেলের তত্ত্ব মতে সেগুলুই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। আর ইশ্বরেধারনা যা গনিতে ফেলা সম্ভব না তার তো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবার প্রশ্নই উঠেনা।
@shamim,
আপনি আমার পোষ্ট না বুঝে, না পড়েই উত্তর দিয়ে চলেছেন-যা সম্পূর্ন মিনিংলেস বিতর্ক। আমি উদাহরন দিচ্ছি-
আপনি লিখলেনঃ
আমার যে পোষ্টের ভিত্তিতে আপনি এটা লিখলেন, সেখানে আমি কিন্ত লিখেইছি
অর্থাৎ হয় আমি কি লিখেছি আপনি বোঝেন নি, অথবা গোডেলের থিওরেমও আপনি বোঝেন নি।
এর থেকে আমি একটাই সিদ্ধান্তে আসছি। সেটা হচ্ছে আপনি কিছু না বুঝেই — প্রতিপক্ষ কি লিখেছে, সেটা না বুঝেই লিখে চলেছেন-।
আর পরম সত্যের অনস্তিত্ব মানে ঈশ্বর আরোই থাকে না। কারন কোন মুসলমানকে গিয়ে আপনি বলবেন আল্লা মোটেও পরম সত্য না? কারন গোডেল বলেছেন?
পরম সত্যের অনস্তিত্ব কি ভাবে আল্লা বা ধর্মকে নাকচ করে সেই নিয়ে আমি আগেই লিখেছি।
@বিপ্লব পাল,
আপনি গোডেলের থিউরি উল্লেখ করেছেন এভাবেঃ
বাংলা করলে এমন দাড়ায়ঃ সত্য আছে, কিন্তু তা যুক্তি দিয়ে প্রমান করা সম্ভব নয়। আমিউ বলছি চরম সত্য থাকলেউ তা প্রমান বা অপ্রমান করা সম্ভব নয়।
আপনি বলছেন মতে চরম সত্য নেই (বিজ্ঞানও নাকি বলছে চরম সত্য নেই) কিন্তু গোডেল শুধু বলছে থাকলেউ তা প্রমান/অপ্রমান সম্ভব নয়।
গোডেল যদি বলতযে “চরম সত্য নেই” তা নিজেই একটা প্যারাডক্স হয়ে দাঁড়ায় (liar paradox) তাহলে গোডেলের তত্ত্ব মতেই গোডেলের তত্ত্ব সত্য নয়। গোডেল তাই বলেছে এটি প্রমান করা যাবেনা।
তাই আমি বলছি ইশ্বর যদি চরম সত্যি হয়েও থাকে তাকে যুক্তি দিয়ে প্রমান বা অপ্রমান করা যাবে না (লজিকের সিমাবদ্ধতার কারনে)।
@বিপ্লব পাল,
আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেখানেউ আপনি বলেছেন বিজ্ঞান নাকি চরম সত্যকে স্বীকার করেনা। কিন্তু কবে ‘চরম সত্য’ বিজ্ঞানের বিষয় বস্তু হল তা আমার জানা নেই। আমি যতদুর জানি ‘চরম সত্য’ বিজ্ঞানের কোন অধিত বিষয় নয়। কারন ‘চরম সত্য’ নামক বিষয়টিতে কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না বা কোন সমীকরনের বিজ হিসাবে একে পাওয়া যায় না। ‘চরম সত্য’ দর্শন বা ফিলোসোফির বিষয়। বিজ্ঞান এ ব্যাপারে নিরব। বিজ্ঞান ও ফিলোসোফি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেউ এরা কিন্তু অভিন্ন নয়।
হ্যা কোন কোন বিজ্ঞানী হয়তো এ নিয়ে কোন সময় উদৃতি দিয়েছন। কিন্তু একজন বিজ্ঞানী যা বলেন তাই কিন্তু বিজ্ঞান নয়। একজন বিজ্ঞানী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরন করে যা করেন তাই বিজ্ঞান। যেমন হাইজেন বার্গ যখন ‘অনিশ্চয়তার নীতি’ বিবৃত করলেন আইনষ্টাইন তা মেনে নিতে পারেনননি এমন কি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কোয়ান্টাম মেকানিককে মেনে নেননি। তিনি বলেছিলেন ‘স্রষ্ঠা জগত নিয়ে পাশা খেলেন না’। তিনি এক পার্ফেক্ট এক বিশ্ব চিন্তা করতেন যা সুন্দর এক গানিতিক সুত্র দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তার স্বপ্ন অপূর্নই থেকে গেছে। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক দিন দিন প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
সব দেশের ইন্টালিজেন্স এজেন্সি এই নোংরা কাজ করে। আমেরিকার টাকা আছে,তাই বেশী করে করে। ভারত,বাংলাদেশ পাকিস্তান সবাই তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে এই সব নোংরা কাজ করে। এটা ব্ল্যাক অর্থনীতি। যার মূলে আছে রাষ্ট্র। আর দুর্ভাগ্য এই সেই রাষ্ট্র নিয়ে আমরা নাচানাচি করি। সাম্রাজ্যবাদ আসে রাষ্ট্রের উৎপত্তির সাথে সাথেই। ধনতন্ত্র এবং বাজারের অবস্থান কিন্ত রাষ্ট্রের অস্তিত্বের বিপরীতেই।
আবার সেই ‘র্যাশানাল মার্কেট’ এর কথা আপনাকে স্বরণ করাতে হয়। বাজারে
পর্ণ সবাই দেখতে চাইবে-কিন্ত রাষ্ট্র সেখানে বাধা দেয় কেন? আফিং অনেকেই খেতে চাইবে। বা চাই। রাষ্ট্র সেখানে বাধা দিচ্ছে কেন? হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ ঘটিয়ে যে রাজনীতি চলে, ভারতে তার বিরুদ্ধেই ব্যান আনার প্রস্তাব চলছে। নাজিজম জার্মানীতে এখনো জনপ্রিয়-সেটা ব্যান করে রাখা হয়েছে কেন?
মুক্ত বাজার বলে যেমন কিছু হয় না-তেমনই কিছু মুর্খমুসলমানদের ব্রেইন ওয়াশ করে জাকির নায়েক তাদের ক্ষতি করছেন। তার বক্তব্য পর্ণের থেকে বেশী ক্ষতিকর। তাই পর্ন যদি বন্ধ করতে পারে রাষ্ট্র-এই ধরনের মিথ্যাচারও বন্ধ করতে বাধ্য।
@বিপ্লব পাল, আপনার কি মনে হয়? প্রবীর ঘোষকি জাকির নায়েককে পাবলিক ডিবেটে হারাতে সক্ষম হবেন? আপনি তো দু’জন সম্পর্কেই ভাল করে অবগত।
@ঈশ্বরহীন,
জাকির নায়েক কে এই মুক্তমনা ফোরামের যেকোন নাস্তিকই বিতর্কে হারাতে সক্ষম হবে যদি তা অনলাইন ডিবেট হয়। কারন ওর দেওয়া অধিকাংশ তথ্যই ভুল থাকে যা সামনাসামনি ডিবেটে ভেরিফাই করা সম্ভব না। জাকির নায়েক সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছে।
@বিপ্লব পাল, তার মানে কি হারাতে পারবে না?
মডারেটরদের কথা খুব আক্রমনাত্বক যা প্রত্যাশা করি নি। কমেন্ট গুলো মনে নাই।
মনেরাখার চেষ্টাও করি নি।
@ashraf,
মডারেটরদের কথা কি কারণে ‘খুব আক্রমণাত্মক’ মনে হলো আপনার কাছে?
আপনার নিজের অভিযোগটা কি খুব নিরীহ ধরনের ছিল বলে আপনি মনে করেন?
আপনি অভিযোগ করেছিলেন যে, আপনি যাই মন্তব্য করেন তাই নাকি মডারেটররা প্রকাশ করে না। মডারেটরদের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা আপনার কোন মন্তব্য পায়নি, আপনার কোন মন্তব্য মুছেও দেয়নি তারা। যে মন্তব্যগুলো আপনি ভাবছেন যে, মডারেটররা প্রকাশ করেনি, সেগুলোকে আবার পাঠাতে আপনাকে অনুরোধও করা হয়েছিল। এতে ‘খুব আক্রমণাত্মক’ এর কি পেলেন তাইতো বুঝতে পারছি না আমরা?
মন্তব্য করুন নিয়মিত। দেখবেন শুধুমাত্র অর্থহীন, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক এবং ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্য ছাড়া আর সবই ছাড়া পেয়ে যাবে মডারেটরদের হাত গলে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=yU59L-1Z8uE
@ঈশ্বরহীন, আমি প্রবীর ঘোষের সাথে বরংচ একমত। একারনেই আমি বলেছি জাকির নায়েককে নিয়ে মাতামাতি করার দরকার কি? এতে তার পাবলিসিটি বরংচ বাড়ে। জাকির নায়েক কিন্তু প্রবীর ঘোষের সাথে বিতর্ক করতে পারলে খুশিই হবেন এতে তার আরও পাবলিসিটি বাড়বে। এক ধর্ম দিয়ে আরেক ধর্মের প্রতিযোগিতা করে কি লাভ হবে? আপনিতো তো ‘ইশ্বরহীন’ তাতে আপনার ফায়দা কি? ধরুন যদি এবারো যদি জাকির নায়েক জিতে যায়, তাহলেকি আপনি তার কথা সব মেনে নিবেন?
যদি তা মেনে না নেন। তবে বিতর্ক অনর্থক। আর যদি জাকির নায়েককে শুধু অপদস্ত করতে চান তবে বলব এ আপনার ব্যাক্তিগত আক্রোশ। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি নিজে কোনদিন জাকির নায়েককে ফেস করতে পারেন।
পারলে তাকে ইগ্নোর করুন।
@shamim,
অন্য কেউ যুক্তিগুলো খন্ডন করতে না পারে তবে জাকিরের কথা গুলো মেনে নিতে বাধ্য হব, আর পারলে বক্তা হিসাবে জাকির নাইয়েক যে প্রবীর ঘোষের থেকে যোগ্য তা নির্দিধায় মেনে নিব।
না রে ভাই, আমি বড়জোর একসপ্তাহ খেটে খুটে্, এদিক ওদিক থেকে তথ্য যোগাড় করে জাকিরের কয়েকটা পয়েন্ট লিখিত রূপে খন্ডন করতে পারি।তাই বলে জাকিরের সাথে বিতর্কে অংশগ্রহন? ওরে বাবা্……
@shamim, মানুষকে কাল্পনিক ঈশ্বর থেকে মুক্ত করতেই তো আমাদের যুক্তিবাদীদের এতো প্রচেষ্ঠা। সেক্ষেত্রে জাকির নাইয়েক অবশ্যই একটা বড় fact.
তাকে পাশ কাটিয়ে আমরা কখনোই আমাদের লক্ষে এগোতে পারব না। আর প্রবীর ঘোষ এসব নিয়ে আজীবন মাতা মাতি করে এসেছেন বলেই তো তার নাম আমাদের কাছে পরিচিত। আচ্ছা এ ব্যাপারে আমাদের নিিষ্ক্রয়তা কি আমাদের অক্ষমতাই প্রকাশ করছে না? নইলে মাত্র এক ঘন্টার ডিবেট যেখানে জাকিরের চ্যাপ্টার ক্লোজে যথেষ্ঠ, সেখানে সবার এতো অনীহা কেন? আর প্রবীর ঘোষ যখন জাকিরকে ফেস করতে রাজী আছেন, তখন আমরা সবাই মিলে বিষয়টিকে কি একটু বাস্তব রূপ দিতে পারি না?
@ঈশ্বরহীন,
ইশ্বর কাল্পনিক বলেই এথেকে মানুষকে মুক্ত করা সম্ভব নয়, অন্তত যুক্তি দিয়ে নয়। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি তাড়ানাতেই মানুষ ইশ্বর সৃষ্টি করে। জার্মান গনিতবিদ কুর্ট গোডেল তার ইনকমপ্লিনেটনেস থিউরোমে দেখিয়েছেন যে সিস্টিমে কিছু স্পষ্ট বিবৃতি থাকে যাকে (সিস্টেমের ভিতর থেকে) সত্য বা মিথ্যা কোনটাই প্রমান করা যায়না (within the system, there exist certain clear-cut statements that can neither be proved or disproved)। কেন্টর, গোডেল ইত্যাদি মহা মনিষিগন রেনসা যুগের ‘নিশ্চয়তার ধারনা’ ভেংগে দিয়েছেন। বিজ্ঞানিরা এখন আর নিশ্চয়তার কথা বলেনা প্রবাবলিটির কথা বলে । এখন নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয় ইশ্বর আছেন কি নেই। ( এই ডকুটি দেখতে পারেন ভালো লাগবেঃ http://docu.injpn.net/Documentary/Science/Dangerous-Knowledge.html)
Jones and Wilson, An Incomplete Education প্রবন্ধে যেমন বলেনঃ it has been taken to imply that you’ll never entirely understand yourself, since your mind, like any other closed system, can only be sure of what it knows about itself by relying on what it knows about itself.
মানব মস্তিস্ক যেমন কোনদিন মানব মস্তিস্ক কিভাবে কাজ করে তা পুরোপুরি বুঝতে সম্ভব হবেনা (কারন মানব মস্তিস্ক বুঝতে হলে তার চেয়ে উন্নত কোন মস্তিস্কের প্রয়োজন) তেমনি মানব সৃষ্ট ইশ্বরকে অনুমোদন/অনুমোদন করতে অতিমানব প্রানির দরকার হবে (মানুষের পক্ষে সত্য বা মিথ্যা প্রমান সম্ভব হবেনা)।
সহমত। এগিয়ে যান। সাথে আছি।
@shamim,
এখানে দুটো বা একাধিক ধর্মের প্রতিযোগিতা পেলেন কোথায় বুঝলাম না। ঈশ্বরহীনতা, যুক্তিবাদীতা বা নাস্তিকতা কোন ধর্মের নাম নয়।
আমাকে প্রশ্ন করলে এভাবে উত্তর দিতাম। প্রথম ফায়দা আমি স্বাধীন মুক্তমনা। আমি কারো প্রভুত্ব স্বীকার করিনা। আমার উপর কোন অদৃশ্য শক্তির নজরদারী খবরদারী হুকুমদারী নেই। কোন অদৃশ্য শক্তির মন যোগাতে আমাকে পশু হত্যা মানুষ হত্যা করতে হয়না। আরো প্রচুর ফায়দা আছে। সেগুলো থাক, এবার বলুন ঈশ্বরহীন হলে ক্ষতিটা কী?
@আকাশ মালিক, আমি প্রবির ঘোষকে চিনিনা তাই আমি ধরে নিয়েছি যে উনি হিন্দু ধর্মের সপক্ষের লোক হবেন। তাই একাধিক ধর্মের ব্যাপারটা আমি বলেছি।
যে ইশ্বর প্রভুত্ব করে সেক্ষেত্রে আমারো কিছুটা আপত্তি আছে। তবে ইশ্বর আর ধর্ম কিন্তু অবিচ্ছেদ্য নয়। অনেকেই ইশ্বর মানেন কিন্তু বিধান মানেননা। আসলে বিধানের মধ্যেই অনেকসময় হুকুমদারীর ব্যাপার আছে। তবে হুকুমদারী সব সময় খারাপ নয়। রাষ্ট্র কিন্তু বলপ্রয়োগের জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র-দ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্দ।
আমি ধর্মকে স্বংস্কৃতি হিসাবে মনে করি। যেসব বিষয় মানলে মানবতার কল্যান হয় তা মানতে আমার আপত্তি নেই কিংবা সামাজিকতা বজায় রাখার জন্যও ধর্ম মানতে আমার সমস্যা নেই। তবে আমি ধর্মকে অভ্রান্ত মনে করিনা। ধর্ম আমার ঐতিহ্য ও সোসালাইজেশনের একটা উপায়। যুগের প্রয়োজনে ধর্মে পরিবর্তনে পক্ষপাতি আমি। ইশ্বর মাত্রই কোন বিশেষ ধর্মকে মনোনিত করে, এমনটা আমি বিশ্বাস করিনা। আমি প্রচলিত অর্থে ধার্মিক নই, আবার নাস্তিকও নই।
@ঈশ্বরহীন,
আমার আগেই ধারণা ছিলো যে প্রবীর ঘোষ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তেমন খোঁজ খবর রাখেন না, তার বইগুলো পড়লেও বিষয়টি আঁচ করা যায়। আর তিনি যে জাকির নায়েকের নামও শুনেন নি ওটা এক বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছিলাম এবং অবাক হয়েছিলাম। সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে পিসটিভি বা জাকির নায়েকের তেমন কোনো প্রভাব নেই।
@সৈকত চৌধুরী,
কোন বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছিলেন? কারন এই ভিডিওটি কয়েক বছর আগের আর আমার কাছেই তিনি প্রথম জাকির নাইকের নাম শুনেন। আসলে আমি প্রবীর ঘোষের মুখ থেকে জাকির সম্পর্কে একটি রেডিমেট মন্তব্য আশা করেছিলাম। কিন্ত যখন দেখলাম তিনি জাকির সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ তখন আমিও খুব অবাক হই।
@ঈশ্বরহীন,
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার সাথে এতোটা মিললো কিভাবে। আসলে যেকোন বাংলাদেশি যুক্তিবাদি জাকির নায়েক সম্পর্কে প্রবীর ঘোষের বক্তব্য জানতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনি প্রবীর ঘোষকে জাকির নায়েকের নাম বলার পর তিনি তা মনে রেখেছেন বলে কি আপনার মনে হয়? 🙂
প্রবীর ঘোষের সাথে আমার ব্যক্তিগত এই ভিডিওটি অনেক আগেই মুক্তমনায় শেয়ার করা উচিত ছিল। তবে ভিডিওটি পোষ্ট করতে অনেক দেরী হলেও, আলোচনার নায়ক এখনো বহাল তবিয়তে থাকার কারনে ভিডিওটির গুরুত্ব একদম হ্রাস পায়নি। স্বপ্ন পুরুষের প্রথম দর্শনে পুরো ভিডিওটিতেই যে আমি ভীষন নার্ভাস ছিলাম তা স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র সংকোচ করব না। তাছাড়া জাকির নাইকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য(বেশ কিছু আলোচিত লেকচার) পাঠাবার পরও প্রবীর ঘোষের জাকির সম্পর্কে অজ্ঞতা আর অনাগ্রহ দেখে খানিকটা মেজাজও খারাপ হচ্ছিল, যে কারনে সহজ বিষয়গুলি তার সামনে সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। উপস্থাপনাটি ক্ষমা পূর্বক দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ রইল।
যাই কমেন্ট করি মডারেটরদের বিবেচনায় সঠিক হয়না। তাই প্রকাশ করেনা।
@ashraf,
কি কমেন্ট করেছিলেন যে, মডারেটররা প্রকাশ করেনি? অভিযোগ করার আগে আবার সেই কমেন্ট বা কমেন্টগুলো পাঠানতো দেখি। আপনার কোন মন্তব্য মুছে দেয়া হয়েছে বলেতো মনে পড়ছে না।
৪৬ নাম্বারটাই সবচে’ ভালো লেগেছিলো, এবং বুঝেছি বলেই মনে হচ্ছিলো – কিন্তু, এখন সৈকত চৌধুরীর মন্তব্য পড়ে তো রীতিমতো কনফিউজড হয়ে গেলাম! শ্বশুর+পালিত পুত্রবধূ তো মুহাম্মদের রেফারেন্সে বলা হলো বোধহয়, এ ছাড়া আর কী আছে? কী যন্ত্রণা 🙁
আমিও তো কনফিউজড হয়ে গেলুম!!!!!!
@রায়হান,
“গেলুম“? ফাজলামো হচ্চে, না? 😉
একমত
এটি অসাধারন দিয়েছেন। জাকির নায়েকের মতন লোকেরা যে কি পর্যায়ের ছাগল, সেটা ওদের যুক্তি না শুনলে সত্যিই কল্পনা করাও মুশকিল।
@বিপ্লব দা,
যা ভেবেছি বোধ হয় তাই। সম্ভবত ৪৬ এর পুরোটা বোঝেন নাই…… 😀
মাতব্বরিকে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
@বিপ্লব পাল, (উপরে মন্তব্য করার কোন অপশন না পেয়ে এখানে মন্তব্য করলাম)
কে ব্রেইন ওয়াশড আর কে না তা বিচার অত্যন্ত দুরুহ এর কোন নিরেপেক্ষ বিচারক নেই। তেমনি অনেক পরশ্রীকাতর ব্যাক্তিদের আচরনও একই রকম হয়। আদর্শের কেনা-বেচার বাজারে আমরা প্রতেকেই ক্রেতা ও বিক্রেতা। ‘মুক্ত মনা’ হচ্ছে এমন একটা বাজার। আমি এখানে আমার আদর্শ যুক্তি দিয়ে বেচতে চাইছি আবার যার যুক্তি ভাললাগছে তারটি কিনছি। সেই হিসাবে আমরা সবাই কম বেশী ব্রেইন ওয়াশড। একমাত্র কুয়ার ব্যাঙই( যার সাথে জগতের কারো কোন সংস্পর্শ নেই) ব্রেইন ওয়াশড না (একই ভাবে সভ্যও না)।
‘প্রাইভেট সেনাবাহিনী’ এটি পোষাকি নাম যেমন ‘সিকিউরিটি ফার্ম’ একটি পোষাকি নাম। আসলে এর নিচে এরা কি তা আপনিও জানেন আমিও জানি। সি.আই.এ এখন তাদের কাজ আউট সোর্সিং করার জন্য ব্ল্যাকওয়াটার (অধুনা XE)কে ব্যাবহার করে। আর সি.আই.এ-কে নতুন করে পরিচয় করে দেবার দরকার নেই, গুপ্ত হত্যা, টর্চার, কিডন্যাপ ইত্যাদি সি.আই.এ র নিত্য নৈমত্তিক কাজ। ইনভেগিষ্টিভ জার্নালিষ্ট সাইমুর হার্শ তো ফাসই করে দিয়েছেন যে পাকিস্থানের করাচি এখন ব্ল্যাকওয়াটারের নতুন অভয়ারন্য হয়ে উঠেছে। ব্ল্যাকওয়াটারের নতুন এসাইনমেন্ট হচ্ছে AQখানকে পাকরাও বা হত্যা করা। এছাড়া করাচি ও পাকিস্থানের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত ঘাতক ও স্নাইপার অপারেশন পরিচালনা করে হাই ভ্যালু টার্গেটকে হত্যা করা, বেলুচিস্থানে একটা গন্ডগোল সৃষ্টিকরা ইত্যাদি। সি.আই.এ এখন এগুলু নিজে করতে চাইছেনা তাই ব্ল্যাকওয়াটারকে আউটসোর্স করছে। ব্ল্যাকওয়াটার তো কেবল একটা মাত্র উদাহরন, এছাড়া ম্যাক্সিকো, কলম্বিয়াতে এই সব ‘প্রাইভেট সেনাবাহিনী’ নামক কন্ট্রাক্ট কিলারদের বিরাট বাজার। আপনি সম্ভবত আন্ডারওয়ার্ল্ডের খবর রাখেননা কিংবা খুব তত্ত্বিয় ভাবে জগতটাকে দেখেন।
৪৬ টা কি সবাই বুঝবে?
এ পর্বটাই সেরা। চালিয়ে যান।
@সৈকত চৌধুরী,
কেউ না বুঝলে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিয়ে দিব, লেখক হয়ে এই দায়িত্বটুকু তো আর এড়াতে পারি না… তাছাড়া নিজের লেখায় একেক জনের একেক ব্যাখ্যা পড়তে ভালই লাগে, কেন জানি নিজেকে ঈশ্বর-আল্লাহ মনে হয়…।
প্রথমটা অতিরিক্ত ফাটাফাটি হইছে।
@রায়হান আবীর,
একমত। আসলেই মনে হল যেন জাকির নায়েক বা সমমনা কারো ব্যাখ্যা পড়ছি 🙂 । “অপশনটি রাখা হয়েছে” পড়তেই আরেকজন অতি চেনা লেখকের কথাও মনে পড়ে।
৫০, ৫১, ৫৭ হল খুবই সত্য কথন।
@আদিল মাহমুদ,
কার কথা জানতে পারি?
@ঈশ্বরহীন,
পাগল হলেন নাকি নাম বলি? তারপর আমার নামে সাইটে সাইটে চিকা পড়ুক আরকি; অভিজিত রায় = আদিল মাহমুদ = আমেরিকা/ইসরাইলের পেইড এজেন্ট।
খেপেছেন নাকি!
তবে গোপনে বলতে পারি 🙂
@আদিল মাহমুদ, (উপরে মন্তব্য করার কোন অপশন না পেয়ে এখানে মন্তব্য করলাম)
আমি আইন পেশার সাথে ধর্মের তুলনা করছিনা বরংচ আইন পেশার সাথে ধর্মকে ব্যাবহার করে কিছু লোক জীবিকা অর্জন করে সেই কথাই বলেছি। কিছু পেশা আছে সমাজ স্বীকৃত আবার কিছু পেশা সমাজ স্বীকৃত নয়। সমাজের স্বীকৃতি একটি পেশাকে পরিপূর্ন করলেউ, যে সমস্ত শর্ত পেশার শর্ত (বিশেষ জ্ঞান, ডিপেন্ডিবিলেটি …) পূরন করে তাই পেশা হিসাবে আবির্ভুত হয়। একসময় বেশ্যাবৃত্তি পেশা হিসাবে স্বীকৃত ছিলনা কিন্তু ধীরে ধীরে এটার পেশার স্বীকৃতি পেয়েছে। সমাজ যতদিন তাকে স্বীকৃতি দেয় নি তত দিন এটি ছিল ‘সমাজ অস্বীকৃত পেশা’ এখন ‘সমাজ স্বীর্কৃত পেশা’। যেমন ‘চৌর্য বৃত্তি’ এখনো সমাজ অস্বকৃত পেশা। কিছু কিছু পেশার ক্ষেত্রে এই ধরনের সাদা কালো পার্থক্য করা যায় না। যেমন ‘পীর তন্ত্র’- এর সামাজিক স্বীকৃতি নেই কিন্তু সমাজ একে অস্বীকারও করেনা। ধর্ম ব্যাবসা এমনি গ্রে-টাইপের ব্যাবসা। সরাসরি এরা ব্যাবসায়ী না যেহেতু ‘ধর্ম ব্যাবসায়ী’-হিসাবে কোন লাইসেন্স নেই। কিন্তু জাকির নায়েক বা একজন পীর-এর উপজিব্য কি? ধর্ম। ধর্মীয়
জ্ঞানের ব্যাখা বিশ্লেষন করেই এরা খায় (কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে হয়ত তাদের পেশাঃ মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, সমাজকর্মী, বুদ্ধিজিবী ইত্যাদি)। যেমন আইনজিবীরা আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে খায়। আসলে একটু তত্ত্বীয় দৃষ্টিকোনের বাইরে ব্যাবহারিক দৃষ্টিতে চিন্তা করুন দেখবেন এগুলো উপেন সিক্রট।
আইনজিবীদের তার মক্কেলকে বাচাতে মিথ্যা বলার নৈতিক/আইনি অধিকার আছে। এই মিথ্যা সাধারন মিথ্যা নয়, টেকনিক্যাল লাই বা প্রফেশনাল লাই। একটু প্র্যাকটিকাল হয়ে চিন্তা করুন। আইন যুক্তি দিয়ে চলে তাই সাধারন নৈতিকতার চেয়ে টেকনিকাল নৈতিকতাই এখানে বড়। মক্কেলের হয়ে মিথ্যা বলার কারনে(জালিয়াতি নয়) কয়জন আইনজীবির শাস্তি হয়েছে?
আমি আগেই বলেছি সাধারন মিথ্যা আর টেকনিক্যাল ক্লেইমের মধ্যে পার্থক্য আছে। ধার্মিকরা বলে ইশ্বর আছেন, তাকে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করা সম্ভব নয়। ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতি কতগুলি স্বতঃসিদ্ধের উপর প্রতিষ্ঠিত (বিন্দুর কেবল অবস্থান আছে, দৈর্ঘ-প্রস্থ নাই, রেখার কেবল দৈর্ঘ আছে প্রস্থ নেই ইত্যাদি) তদ্রুপ প্রতিটা তত্ত্বই কিছু স্বতঃসিদ্ধের (axiom/postulate) উপর ভিত্তি করে যা প্রমানিত নয়। এর জন্য এগুলো মিথ্যা নয়, ধরে নেয়া হয় উক্ত স্বতসিদ্ধ সাপেক্ষে তত্ত্বটি সত্য। তাই যদি আপনি ধর্ম ও তার গ্রন্থকে সত্য বলে ধরে নেন (ধার্মিকরা যা করেন) তবে ধর্ম গ্রন্থের সাপেক্ষে ভ্যালিড দাবিগুলিও সত্য। জাকির নায়েকতো তাই করেন। তাই তিনি টেকনিক্যালি মিথ্যুক নন। (আমি তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনিনা তাই তিনি ব্যাক্তি হিসাবে মিথ্যুক কিনা জানিনা)
@shamim,
আপনি বেশ কিছউ জিনিস একত্রে বলতে গিয়ে একটু পেচিয়েছেন।
প্রথমতঃ উকিলরা মিথ্যা বলে পার পেতে পারে কারন তাদের পেশটাই ওটা, তবে মিথ্যাকে সত্যের আরকে সাজাতে হয়। ওটাই তাদের আর্ট। কোন দেশের আইন ব্যাবস্থাই বলে না যে পেশার খাতিরে উকিলরা মিথ্যা বলতে পারে। উকিলরা মিথ্যা বলে ধরা খেলেও তার শাস্তি হওয়া খুবই দুরুহ একটি প্রাক্টিক্যাল কারনে। সেটা হল উকিল মামলা সংক্রান্ত সকল দায় সহজের মক্কেলের উপর চাপিয়ে দিতে পারে। তার বক্তব্য থাকে খুবই সোজা; মক্কেল যা যা বলেছে আমি তাই বলেছি। যাই হোক, সারমর্ম হল উকিলের মিথ্যা বলা খুবই কমন, আর আইনী জটিলতা আর পেশাগত স্বাধীনতার কারনে সে মিথ্যার সাজা হওয়া খুব কঠিন। তবে সেজন্য উকিলকে কিন্তু সামাজিকভাবে বেশ হেনস্থাও পোহাতে হয়। ডাক্তার বলতেই যেমন সাধারনভাবে (আমাদের দেশের বাদে মনে হয়) একটি মহত পেশা চোখের সামনে ভাসে উকিল বললে ভাসে অর্থলোলুপ, কুটিল, বাগপটু কোন চরিত্র; দূঃখিত কোন উকিল এই লেখা পড়লে। তবে যা বলছি সত্য কথাই বলছি। উকিল যে মক্কেলকে মিথ্যার জোরে মামলা জেতালো সেও মনে মনে গাল দেয় বেটা মিথ্যুক দা গ্রেট বলে। বাইরে বাইরে যদিও মিষ্টি নিয়ে বাড়ি যায়।
কিন্তু আপনি মূল পয়েনট মনে হয় ধরতে পারেননি। যারা বাহ্যিকভাবে নিজেকে ধার্মিক বলে জাহির করেন; যেমন টুপি দাড়ি রাখেন, নামাজের সময় হলে রাস্তার পাশে মাটিতে সেজ়দায় বসে যান বা শীতের ভোরে গংগায় স্নান করেন তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছে এটা কিছুতেই সহজভাবে মানা যায় না। সাধারন মানুষ মিথ্যা বললে যতনা দৃষ্টিকটূ লাগে এই শ্রেনীর লোকের মিথ্যাচার আরো অনেক বেশী অসহ্য লাগে। আমার কাছে ধর্ম মানে ঈশ্বরে বিশ্বাস বড় কথা না, বড় কথা হল সতভাবে জীবন যাপন। জেনে শুনে মিথ্যা কথা যা কোন স্বার্থে, এমনকি ধর্ম প্রচারের স্বার্থেও চালিয়ে দেওয়াটা ধর্মের অতি বেসিক কন্সেপ্টের সরাসরি উলটা। উকিলে মিথ্যা বলে যা অনেক্টা সমাজ স্বীকৃত বা পতিতাবৃত্তি ভ্যালীদ পেশা এ কারনে ধর্মজীবিরাও মিথ্যা বলতেই পারে এটা খুব বড় করে দেখতে নেই এহেন যুক্তি খুব ভাল শোনায় না।
তবে আমি জাকির নায়েকের উপর যত না বিরক্ত তার থেকে বেশী বিরক্ত হই তার অন্ধ ভক্তদের দেখলে। এনারা চোখে আংগুল দিয়ে দেখালেও নায়েকের কোন দোষ ত্রুটি একটিবারের জন্য হলেও মানতে নারাজ। বড়জোর মিন মিন করে বলেন, ওনার কিছু ভুল ত্রুটি হতেই পারে, উনিও তো মানুষ। যদিও ভুল ত্রুটি আর জেনে শুনে মিথ্যাচার সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। এসব ধার্মিকের ধর্মচর্চার কোন মূল্য আমার কাছে নেই, ইহদুনিয়ার কারো কাছেই থাকার কথা না, পরকালের কথা জানি না। তবে ঈশ্বর যদি বলেন যে ধর্মের স্বার্থে মিথ্যাচার তিনি জায়েজ করেছেন তাহলে বলতে হবে যে সে ঈশ্বরে গুরুতর সমস্যা আছে।
বিপ্লব যে বলেছে ব্রেইন ওয়াশড ভক্ত তা এমনি এমনি বলেনি। যথেষ্ট কারন আছে। চোখের সামনে মিথ্যা দেখলেও যারা ঢুলুঢুলু আবেশে দেবদূতের বাণী শোনার ভান করেন তাদের ব্রেইন ওয়াশ ছাড়া আর কি বলা যায়? ঈশ্বর আছে কি নেই এমন ধরনের গায়েবী আলোচনা কোনদিন যুক্তির নিরিক্ষে সম্ভব নয়। মানি যে এসব আলোচনায় কার যুক্তি গ্রহনযোগ্য তা শ্রোতার বায়াসনেসের উপর নির্ভর করে। আরো কাছে মোক্ষম যুক্তি মনে হবে যে কোন বৈজ্ঞানিক ঈশ্বর নেই প্রমান করতে পারেনি, আবার কারো কাছে মনে হবে এটা কোন যুক্তিই না।
কিন্তু কোন বৈজ্ঞানিক বা ইতিহাসগত তথ্যের ব্যাপারে আলোচনায় এ জাতীয় কোন অপশন নেই। কাজেই এক্ষেত্রে বলতেই হবে যে নায়েক বেশ কিছু মিথ্যাচার জেনে শুনেই করেন, এবং এটাও বিশ্বাস্য না যে হল ভর্তি তার কয়েকশ গুনমুগ্ধ শ্রোতার কেউ সেটা টের পান না। তার শ্রোতারা মাঠ ঘাটের অশিক্ষিত লোকজন না, সবাই সমাজের বেশ প্রতিষ্ঠিত বলেই মনে হয়। সত্য হল টের পান, কিন্তু জেনেশুনে গোপন করে যান। নাহলে যদি আবার কম ষ্ট্যাটাসের বেহেশত কপালে জোটে! একই ঘটনা এসব ফোরামেও ঘটে।
জাকির নায়েককে নিয়ে মাতা মাতির কারন দেখিনা। সে একজন সেলসম্যান। সেলসম্যান তার মার্কের/প্রোডাক্টের সুনাম করবেই এটাই স্বাভাবিক ও প্রতিষ্ঠিত। পুজিবাদের খারাপ দিক থাকার পরও কি পূজিবাদিরা তা টিকিয়ে রাখতে চায়না?
বরংচ জাকির নায়েক যদি তার মার্ককে লাভজনক ভাবে মার্কেটিং না করতে পারে তবে একজন খারাপ সেলসম্যান হিসাবে তার সমালোচনা করা চলে (খারাপ লোক হিসাবে নয়)। জাকির নায়ক সেলসম্যান হবার কারনেই একজন খারাপ লোক হলে দুনিয়ার তাবত সেলসম্যানই খারাপ।
মার্কেটিং -এ একটি প্রবাদ আছে “Everybody lives by selling something”. আমি আপনিও কিছু কিছুনা কিছু বেচি। কেউ বেচি শ্রম, কেউ বুদ্ধি, কেউ আদর্শ। সেই হিসাবে আমরা কম বেশী সবাই সেলসম্যান।আপনি যদি জাকির নায়েকের মার্কের/প্রোডাক্টের বিকল্প কোন কিছু থাকে তা নিয়ে নেমে পড়ুন (যেমন নাস্তিক্যবাদ)। তারপর দেখান আপনার প্রোডাক্ট কেন অন্যান্য প্রোডাক্টের চেয়ে ভাল কিন্তু এখানে আপনি আসলে একজন সেলসম্যানের সমালোচনা করছেন।
@shamim,
মার্কেট মানে যা খুশি বেচা যাবে? মার্কেটে রেগুলেশন থাকে না? আমেরিকাতে ১৯৭৮ সালে ৮০,০০০ রেগুলেশন ছিল-এখন আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এর পরে ক্রেতা সুরক্ষা আইন, কনসিউমার কোর্ট সবই আছে। ধনতন্ত্রের সংজ্ঞাতেই আছে ধনের যৌত্বিক বৃদ্ধি। সুপারী বিজনেস ( কনট্রাক্ট কিলিং) আপনি মার্কেট করতে পারেন না।
ঠিক তেমনি ডারুইনবাদ মিথ্যে-এসব ডাঁহা মিথ্যে মার্কেট করা যায় না। ইসলামের যদি প্রোডাক্ট স্টাটাস থাকত, জোকার লায়েককে মিথ্যে কথা বলার জন্যে কনসিউমার কোর্ট ফাইন করত-তার প্রোডাক্টও ব্যান করা হত।
ইসলামের সুনাম আর মার্কেটিং আরো অনেকেই করে। কিন্ত তাদেরকে জোকার নালায়েক কেও বলে বলে জানা নেই। তাকে এই জন্যেই বলা হয়, কারন সে একটা আস্ত মিথ্যেবাদি।
@বিপ্লব পাল, সহমত :yes: :yes: :yes:
@বিপ্লব পাল,
চোখে যা দেখা যায় আর হাতদিয়ে যা ধরা যায় তাই কেবল প্রডাক্ট নয়। যে সবের ফাইন্সাইয়াল ভ্যালু আছে এবং বাজারে যার চাহিদা আছে তা সবই প্রডাক্ট। এই দৃষ্টিতে কবিতা, কাব্য, ফিলোসফি, ধর্ম- শুনতে একটু খারাপ লাগলেউ অর্থনীতির ভাষায় সবই প্রডাক্ট।
এদের ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে এবং এদের ভাঙ্গিয়ে ব্যাবসা করা যায়। জাকির নায়েক একজন ধর্ম ব্যাবসায়ী। শুধু ব্যাবসায়ী না প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। এবং এর জন্যই তিনি অনেক পরশ্রীকাতর ব্যাক্তির টার্গেটও বটে।
এখন পর্যন্ত ধর্ম ব্যাবসাকে কেউ রেগুলেট করতে পারেনাই। কমিউনিষ্ট দেশগুলিতে যে প্রচেষ্টা হয়েছিল তাতে কমিউনিজমের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে পুজিবাদিরা সেই দিকে যাবে বলে মনে হয় না বরংচ ধর্ম ব্যাবসায়ীরা পুজিবাদি টেকনিক রপ্তকরে নিজেরাই পুজিবাদি হয়ে গেছে। আর সবকিছুকেই রেগুলেট করা যাবে এমন নয়। বাজারে যার চাহিদা আছে তাকে রেগুলেট করা সহজ নয়। ধর্মের বিকল্প কোন প্রোডাক্টই কেবল ধর্ম ব্যাবসাকে নষ্ট করতে পারে। তবে এতে মানবতার কোন কল্যান হবে কি না তা বলা যায় না।
মজার কথা। অথচ ডারওইন বাদকে মিথ্যা প্রচার করে হাজার হাজার বই, পত্রিকা এমনকি অসংখ্য টিভি চ্যানেল ব্যাবসা করে চলেছে। ক্রিয়েশনিষ্ট মিউজিয়াম একবার ঘুরে আসবেন। দেখবেন কি রকম ব্যাবসা তারা করছে।
এটি আপনার ব্যাক্তিগত রাগের কথা। কিংবা পরশ্রিকাতরতা। একজন আইন ব্যাবসায়ী বা আইনজীবি জেনে শুনেই মিথ্যাবলেন ও মক্কেলের সাফাই গান। কিংবা একজন মার্কেটিং অফিসার কিন্তু জেনেশুনেই প্রোডাক্টের খারাপ দিক চেপে যায় আর ভালদিকগুলির গুনগান করেন। একজন রাজনীতিবিদ তার আদর্শ ও পার্টি মেনিফেস্টুর সাফাই গান। এগুলো প্রফেশনাল এথিকসের দিক দিয়ে সমর্থনযোগ্য। জাকির নায়েক একজন প্রফেশনাল ধর্মব্যাবসায়ী। তাই তিনি ধর্মের গুন গান করেন। ধর্মের পক্ষে তিনি সাফাই গান। তাই জাকির নায়ককে প্রফেশনাল ভাবে মিথ্যাবাদি বলা চলেনা (তা সম্ভব হলে তাকে এতদিনে জেলে পুরা সম্ভব হতো) । তবে তাকে যদি ব্যাক্তিগত ভাবে মিথ্যাবাদি বলেন, তা প্রমান করতে হবে। যেমন তিনি একজন ঠগ, কারনঃ তিনি অমুক দিন অমুককে এটা করবেন বলেছিলেন এবং তিনি করেননি।
তবে তিনি একজন পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান ও সুযোগ সন্ধানী, ট্যালেন্টেড ও দক্ষ বিতার্কিক একথা নিসন্দেহে বলা চলে।
তার ব্যাবসা বন্ধকরতে চান? তার চেয়ে ভাল কিছু মার্কেটিং করুন।
(
ব্ল্যাক-ওয়াটার কে আপনার কি মনে হয়?)
@shamim,
আইনজীবিদের মিথ্যে কথা বলার একটা পরিসীমা আছে। সেটা হচ্ছে এভিডেন্স। এখানে জাকিরের সেসব লাগে না। মুখে যা খুশী তথ্য আসে নিজের প্রয়োজনের জন্যে বলে যায়। কারন বিচারক হচ্ছে এখানে ব্রেইন ওয়াশড মুসলিমরা। যেসব মুসলিমরা ব্রেইনওয়াশড না-তারা জাকিরের বিরুদ্ধে ফতেয়া দিয়ে দিয়েছে।
না। মার্কেটিং বা রাজনীতির সাথে পার্থক্য আছে। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে মিথ্যে বললে কাষ্টমার যাচাই করে, ফেরত দিতে পারে। জোকার লায়েক বলেই দিয়েছেন, সেটি হবে না-মুরতাদদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুই। অর্থাৎ গ্যাঙে ঢুকলে, বেড়তে হলে মৃত্যুই একমাত্র শাস্তি কারন তারা বিশ্বাসঘাতক।
এত যে প্রোডাক্ট প্রোডাক্ট আর ক্যাপিটালিজম করছেন, কোন দ্রব্য কিনে সেটা ফেরত দিতে গেলে আপনাকে মেরে ফেলার ফতেয়া দেওয়া হয়??? ইসলামে মুরতাদ দের দেওয়া হয়!!! তাই ধনতন্ত্রের সাথে এর প্যারালাল টানা হাস্যকর। তবে ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে বাজার-অর্থনীতির একটা সম্পর্ক আছে। এই নিয়ে আগে গোটা দুয়েক লিখেওছি।
আর ব্ল্যাকওয়াটার, প্রাইভেট সেনা বাহিনী, যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করে। কনট্রাক্ট কিলার আর সেনাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি নিশ্চয় আপনার বাংলাদেশের সেনাবাহিনীদের কিলার বা ঘাতক বলবেন না। সেটা যদি না বলে থাকেন, তাহলে ব্ল্যাক ওয়াটার হচ্ছে প্রাইভেট সেনা বাহিনী।
@shamim,
তা আপনি ঠিকই বলেছেন, কারন মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা ইত্যাদির বাজারে বেশ রমরমা চাহিদা আছে, তাদেরকে রেগুলেট করা সহজ নয় বলেইতো সারা দুনিয়ায় চোরাচালানী, টেরোরিজম ইত্যাদির এতো ছড়াছড়ি।
@shamim,
“একজন আইন ব্যাবসায়ী বা আইনজীবি জেনে শুনেই মিথ্যাবলেন ও মক্কেলের সাফাই গান।”
আইন পেশার সাথে ধর্মের তূলনা কি ঠিক? আইনজীবিরা মিথ্যা বলে সবাই জানি, কিন্তু তার মানে এই না যে মিথ্যা বলার তার নৈতিক বা আইনী অধিকার আছে। এ ব্যাপারে তাকে শপথ নিয়ে হয়। তাকে মিথ্যা বলার রাইট কোনদিন দেওয়া হয়নি।
ধর্ম কি কোন বানিজ্যিক পণ্য যেটা মিথ্যা বা চটকদার কথা বলে মার্কেট করতে হবে?
কোন প্রকৃত ধার্মিক কি কখনো মিথ্যা কথা বলতে পারে? মিথ্যা কথা বলে ধর্ম প্রচার ইসলাম সিদ্ধ এটা কোন মুসলমান এমনকি মুখেও কোনদিন স্বীকার করবেন?
@shamim, ‘পরশ্রীকাতর’ শব্দের মাধ্যমে এখানে ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বুঝলাম না।
@বিপ্লব পাল,
what ‘s your logic behind to say HIM lier ? can you tell me please ? i’m waiting for your reply………………….bipul
jahara Allah bishas korena tara ki parena Ajibon pran niye beche thakte ? taraki parena Allahr toiri duniyar moto aro ekti onno duniya banate ?
@Sikdar sagor,
আল্যাকে অস্বীকার করার মানে এই নয় যে আমিই আল্যা।
দয়া করে এখানে বাংলায় লেখবেন। নামটাও বাংলায় হলে সুন্দর দেখায় তাই না?
ইউটিউবের লিঙ্ক ছাড়া মুক্তমনায় ভিডিও শেয়ারের উপায় কি?
@ঈশ্বরহীন,
লিংক থাকলে সরাসরি লিংক দিতে পারেন। ইউটিউবের মত এমবেড করা যাবে না এই যা সমস্যা। আর যদি আপনার নিজস্ব কম্প্যুটারে রাখা ফাইল হয়, তবে আমি সাজেস্ট করবো ইউটিউবে আগে আপলোড করে ফেলুন। তারপর মুক্তমনায় এমবেড করে দিন।