ভূমিকা:
এই পোস্ট আসলে সামুব্লগে সাহোশি৬ এর পরামর্শে ও অনুরোধে লেখা। তবে আমি মনে করি, কোরআনের মত একটি বিশাল সাইজের গ্রন্থের যাবতীয় কন্ট্রাডিকশন আমার একার পক্ষে একটি পোস্টে নিয়ে আসাটা প্রায় অসম্ভব। তাই আমি কাজটি শুরু করে দিচ্ছি, আশা করবো- সকলে মিলে এই কাজটিকে এগিয়ে নিবেন।
কন্ট্রাডিকশন সমূহ:
এই সংকলনটিকে ফলপ্রসু ও কার্যকর করার জন্য কোরআনের কন্ট্রাডিকশন সমূহকে বেশ কিছু ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। প্রতি ক্যাটাগরিতেই আমি কিছু উদাহরণ উল্লেখ করছি, আশা করবো- আপনারা একে আরো অধিক সমৃদ্ধ করবেন। প্রত্যেকেই কোরআনের আয়াত দেয়ার সাথে সাথে (অবশ্যই বাংলায় দিবেন) সুরা ও আয়াতের নম্বর উল্লেখ করবেন এবং সেটা কোন ক্যাটাগরি/ সাব ক্যাটাগরিতে পড়ে- সেটাও উল্লেখ করবেন। আমার উল্লেখিত ক্যাটাগরির বাইরেও নতুন ক্যাটাগরি/সাব ক্যাটাগরি পেলে- সেটাও উল্লেখ করবেন। অংশগ্রহণের জন্য সকলকে অগ্রিম ধন্যবাদ। এবারে একে একে ক্যাটাগরি ওয়াইজ কন্ট্রাডিকশনগুলো তুলে ধরছি:
কন্ট্রাডিকশন ১: কোন এক আয়াতের সাথে আরেক আয়াতের বৈপরীত্য।
১। সুরা ৪১:৯, ১০, ১১, ১২
“বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থির কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।”
==>> এই আয়াতসমূহ অনুযায়ী দেখা যায়- দুদিনে আকাশ সৃষ্টির আগে পৃথিবী ও পৃথিবীর যাবতীয় কিছু সৃষ্টি হয়েছে চারদিনে।
সুরা ৭৯: ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩
“তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন, পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে। ”
==>> এখানে আবার দেখা যায়- পৃথবীকে আকাশ সৃষ্টির পরে পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে ও পর্বতাদি সৃষ্টি করা হয়েছে।
২। …
কন্ট্রাডিকশন ২: কোন এক আয়াতের নির্দেশনা, উপদেশ .. প্রভৃতির প্রতিফলন কোরআনের অন্যত্র না মেলা
১। সুরা ১০৯:৬
“লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন”- “যার যার ধর্ম তার তার কাছে”
এর সাথে-
২:১৯১
“আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে| বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ| আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে| অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে| তাহলে তাদেরকে হত্যা কর| এই হল কাফেরদের শাস্তি।” এবং এমন অসংখ্যা আয়াত।
২। …
কন্ট্রাডিকশন ৩: ভাষা/ব্যকরণগত ভুল
১। সুরা ৫:৬৯-
“নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না”।
এটা বুঝতে হলে- সুরা ৫:৬৯, সুরা ২:৬৭ এবং ২২:১৭ এর প্রথম লাইন পাশাপাশি দেখা দরকার:
৫:৬৯
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ
২:৬৭
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ
২২:১৭
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالصَّابِئِينَ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسَ
৫:৬৯ এর الصَّابِؤُونَ আসলে Nominative case এবং ২:৬৭ ও ২২:১৭ এর الصَّابِئِيহচ্ছে Accusative case (উদাহরণ: Whom, him, her, me, them, us are the accusative forms of who, he, she, I, they, and we respectively)। যারা ইহুদী, ছাবেয়ী, খৃস্টান- এখানে যারা বা who (إِنَّ) হচ্ছে Nominative case, এর পরে বসবে Accusative case, অর্থাৎ সাবেঈন বসবে (যা সুরা ২:৬৭ ও ২২:৬৭ এ বসেছে), Nominative case অর্থাৎ সাবেঊন (যা ৫:৬৯ এ বসেছে) বসালে সেটা হবে ব্যকরণগত ভুল।
২। ….
কন্ট্রাডিকশন ৪: বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্বারা ভুল প্রমাণিত
(এটার ভুরি ভুরি নজির আছে)
১। ৫১:৪৯
“আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।”
==>> ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, এ্যামিবা সব কিছু কি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হয়েছে?
২। সুরা আল-কাহফঃ
আয়াত ৮৬: পরে যখন তিনি সূর্য অস্ত যাবার স্থানে পৌঁছলেন, তিনি এটিকে দেখতে পেলেন কালো জলাশয়ে অস্তগমন করছে, আর তার কাছে পেলেন এক অধিবাসী। আমরা বললাম- “হে যুলক্কারনাইন, তোমরা শাস্তি দিতে পার অথবা এদের সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পার”।
আয়াত ৯০: পরে যখন তিনি সূর্য উদয় হওয়ার জায়গায় পৌঁছলেন তখন তিনি এটিকে দেখতে পেলেন উদয় হচ্ছে এক অধিবাসীর উপরে যাদের জন্য আমরা এর থেকে কোন আবরণ বানাই নি
==>>> সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের স্থান নাকি যথাক্রমে সর্ব পশ্চিম ও সর্ব পূর্বে!!
৩। সুরা ইয়াসীনঃ
৩৮: আর সূর্য তার গন্তব্য পথে (resting place ) বিচরণ করে। এটিই মহাশক্তিশালী সর্বাজ্ঞতার বিধান।
৩৯: আর চন্দ্রের বেলা- আমরা এর জন্য বিধান করেছি বিভিন্ন অবস্থান, শেষ পর্যন্ত তা পুরনো শুকনো খেজুরবৃন্তের ন্যায় হয়ে যাবে।
৪০: সূর্যের নিজের সাধ্য নেই চন্দ্রকে ধরার, রাতেরও নেই দিনকে অতিক্রম করার। আর সবকটিই কক্ষপথে ভাসছে।
৪। সুরা আম্বিয়াঃ
আয়াত ৩১: আর পৃথিবীতে আমরা পাহাড় পর্বত স্থাপন করেছি, পাছে তাদের সঙ্গে এটি আন্দোলিত হয়; আর ওতে আমরা বানিয়েছি চওড়া পথঘাট যেন তারা সৎপথ প্রাপ্ত হয়।
আয়াত ৩২: আর আমরা আকাশকে করেছি এক সুরক্ষিত ছাদ। কিন্তু তারা এর নিদর্শনাবলী থেকে বিমুখ থাকে।
৫। সুরা আল হিজরঃ
আয়াত ১৯: আর পৃথিবী- আমরা তাকে প্রসারিত করেছি, আর তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা, আর তাতে উৎপন্ন করেছি হরেক রকমের জিনিস সুপরিমিতভাবে।
৬। সুরা আন নাবাঃ
আয়াত ৬: আমরা কি পৃথিবীটাকে পাতানো বিছানো রূপে বানাইনি?
আয়াত ৭: আর পাহাড় পর্বতকে খুঁটি রূপে?
৭। সুরা আল বাক্বারাহঃ
আয়াত ২২: যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে ফরাশ (couch) বানিয়েছেন, আর আকাশকে চাঁদোয়া (canopy)…..
৮। সুরা লুকমানঃ
আয়াত ১০: তিনি মহাকাশমণ্ডলীকে সৃষ্টি করেছেন কোন খুঁটি ছাড়াই,- তোমরা তো দেখতেই পাচ্ছ; আর তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা পাছে এটি তোমাদের নিয়ে ঢলে পড়ে….
==>> সূর্য কিন্তু রাতের সময় বিশ্রাম নিতে যায়!! সূর্য ও চাঁদ উভয়েই কক্ষপথে গতিশীল, কিন্তু পৃথিবী এতটুকু যাতে নড়চড় করতে না পারে- তার জন্য পেরেক রূপী পাহাড়-পর্বত।
৯। সুরা ২৩:১৩,১৪
“তারপর আমরা তাকে বানাই শুক্রকীট এক নিরাপদ অবস্থান স্থলে। তারপর শুক্রকীটকে বানাই একটি রক্তপিণ্ড, তারপর রক্তপিণ্ডকে বানাই একতাল মাংসের তাল, তারপরে মাংসের তালে আমরা সৃষ্টি করি হাড়গোড়, তারপর হাড়গোড়কে ঢেকে দেই মাংসপেশী দিয়ে, তারপরে আমরা তাকে সৃষ্টি করি অন্য এক সৃষ্টিতে। সেইজন্য আল্লাহরই অপার মহিমা, কত শ্রেষ্ঠ এই স্রষ্টা।”
==>> সম্পূর্ণ পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী- এখানে ডিম্বাণুর কোন অস্তিত্ব নেই। শুক্রকীটই রক্তপিন্ড, একতাল মাংস, হাড়গোড় … ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। ভ্রুণ থেকে নয়!! মাংসের তাল থেকে তৈরী হয় হাড়গোড়, তারপর সেটাকে ঢেকে দেয়া হয় মাংসপেশী দিয়ে!!!
কন্ট্রাডিকশন ৫: মুহম্মদ সা: একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে তাৎক্ষণিক আয়াত
১। সুরা তাহরীমঃ
আয়াত ১: হে নবী, কেন তুমি নিষিদ্ধ করেছ, যা আল্লাহ তোমার জন্য বৈধ করেছেন? তুমি চাইছ তোমার স্ত্রীদের খুশী করতে? আর আল্লাহ পরিত্রাণকারী ও অফুরন্ত ফলদাতা।
আয়াত ২: আল্লাহ তোমাদের জন্য বিধান দিয়ে রেখেছেন তোমাদের শপথগুলো থেকে মুক্তির উপায়; আর আল্লাহ তোমাদের রক্ষাকারী বন্ধু, আর তিনিই সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।
আয়াত ৩: আর স্মরণ করো! নবী তাঁর স্ত্রীদের কোন একজনের কাছে গোপনে একটি সংবাদ দিয়েছিলেন, – কিন্তু তিনি যখন তা বলে দিলেন, এবং আল্লাহ তার কাছে এটি জানিয়ে দিয়েছিলেন; তখন তিনি তাকে কতকটা জানিয়েছিলেন এবং চেপে গিয়েছিলেন অন্য কতকটা। তিনি যখন তাকে তা জানিয়েছিলেন তখন তিনি বললনে, – “কে আপনাকে এ কথা বললেন?” তিনি বলেছিলেন, “আমাকে সংবাদ দিয়েছেন সেই সর্বজ্ঞাতা ও চির- ওয়াকিফহাল”।
আয়াত ৪: যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহর দিকে ফেরো, কেননা তোমাদের হৃদয় ইতোপূর্বেই ঝোঁকে গিয়েছে। কিন্তু যদি তোমরা উভয়ে তার বিরুদ্ধে পৃষ্ঠপোষকতা করো, তাহলে আল্লাহ,- তিনিই তাঁর রক্ষাকারী বন্ধু, আর জিব্রীল ও পুণ্যবান মুমিনগণ উপরন্তু ফেরেস্তারাও তাঁর পৃষ্ঠপোষক।
আয়াত ৫: হতে পারে তাঁর প্রভু, যদি তিনি তোমাদের তালাক দিয়ে দেন, তবে তিনি তাঁকে বদলে দিবেন তোমাদের চাইতেও উৎকৃষ্ট স্ত্রীদের- আত্মসমর্পিতা, বিশ্বাসিনী, বিনয়াবনতা, অনুতাপকারিনী, উপাসনাকারিনী, রোযাপালনকারিনী, স্বামিঘরকারিনী ও কুমারী।
==>> মুহম্মদ সা: এর বিবিদের অন্তর্কলহ মেটাতে (অনেকের মতে উপপত্নীর সাথে নবীজীর সম্পর্কে কোন কোন নবীপত্নী বাঁধা দেয়ায়) আল্লাহ মারফত নবীজীর হুংকার!!
২। সুরা ৩৩:২৮
“হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় নেই।”
৩। সুরা ৩৩:৫১
“হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
===>> খাওলা বিনতে হাকিম নামে এক মহিলা নবীজীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করে বিয়ের প্রস্তাব করেছিল- তখন আয়েশা আপত্তি তুলে ঐ মহিলাকে ‘বেহায়া’ বললে- এই আয়াত নাযিল হয়। অবশ্য বুদ্ধিমান নবীপত্নী আয়েশার শেষ পর্যন্ত মন্তব্য: “বাহ! আপানার আল্লাহ আপনার জন্য তো ফটাফট কি সুন্দর আয়াত বানিয়ে দিচ্ছেন!!”
৪। ….
কন্ট্রাডিকশন ৬: মুহম্মদ সা: একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানকল্পে অহেতুক সময়ক্ষেপন করে আয়াত
১। সুরা ২৪:৩, ৪
“ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান।”
==>> নবীপত্নী আয়েশা’কে কেলেংকারি থেকে মুক্ত করা হয় এই আয়াতের মাধ্যমে। আর সমস্ত আয়াত ফটাফট নাযিল হলেও- এই আয়াত নাযিল হতে প্রায় এক মাসের অধিক সময় লাগে। এই এক মাস- নবীজী যথেস্ট কনফিউজড ছিলেন (আয়েশা যখন জিজ্ঞেস করে যে তিনি তাকে সন্দেহ করছেন কি না- তখনো নবীজী সরাসরি কিছু জবাব দেননি)। শেষে ঘনিষ্ঠ সাহাবিদের পরামর্শ চাইলে একমাত্র আলী রা: জানান- এই অসতী মহিলাকে তালাক দিয়ে দেন, কিন্তু বাকি সবাই পরামর্শ দেন- নবীপত্নীকে তালাক দেয়াটা ভালো কাজ হবে না। এর পরদিনই এই আয়াত নাযিল হয়।
২। …
কন্ট্রাডিকশন ৭: আজকের নীতি-নৈতিকতার বিচারে বর্বর ও চরম অনৈতিক আয়াত (এটারও ভুরি ভুরি নজির আছে)
[su]ক) ঘৃণা, হত্যা, জোর-জবরদস্তি[/su]
১। সুরা ২:১৯১, ১৯২, ১৯৩
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে| বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ| আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে| অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে| তাহলে তাদেরকে হত্যা কর| এই হল কাফেরদের শাস্তি।
আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়ালু|
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়| অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।
২। সুরা ২:২১৬
“তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়| পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর| আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর| বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।”
৩। সুরা ৩:৫৬
“অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।”
[su]খ) নারীর অবমূল্যায়ন[/su]
১। সুরা ২:২২৩
“তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র| তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর| আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্খা কর এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাক| আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে| আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।”
২। সুরা ২:২২৮
“আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত| আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ্ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়| আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে| আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী| আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে| আর আল্লাহ্ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।”
৩। সুরা ২:২৩০
“তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়| অত:পর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই| যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে| আর এই হলো আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়|”
৪। সুরা ৪:৩৪
“পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে| সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ্ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে| আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর| যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না| নিশ্চয় আল্লাহ্ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।”
কন্ট্রাডিকশন ৮: একই কথার অহেতুক পুনরাবৃত্তি
[su]ক) একই সুরায়[/su]
১।সুরা ১০৯:৩
“এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি”
সুরা ১০৯:৫
“তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি”।
২। ….
[su]খ) ভিন্ন ভিন্ন সুরায়:[/su]
১। সুরা ২:১, ২৯:১, ৩০:১
“আলিফ-লাম-মীম”
২। ….
কন্ট্রাডিকশন ৯ : অর্থহীন অক্ষরসমষ্টি
১। সুরা ২:১
“আলিফ-লাম-মীম”
২। সুরা ২৭:১
“ত্বা-সীন”
৩। ……
কন্ট্রাডিকশন ১০ : কোরআনের ঐ সব আদেশ, নিষেধ, উপদেশ- যা মুহম্মদ সা: নিজেই মানেন নি
১। সুরা ৪:৩
“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।”
২। ….
বিঃদ্রঃ
১। এই পোস্ট নিয়মিত আপডেট করা হবে।
২। বেশীরভাগ পয়েন্টই আসলে দুর্বলতা বা ভুল বা … (কেবল ১ আর ২ নং পয়েন্ট ছাড়া)। আমি “কন্ট্রাডিকশন” শব্দটির মধ্যে সমস্ত দুর্বলতা, ভুল, নেগেটিভ সব কিছুকেই ইনক্লুডেড ধরেছি কারণ- এগুলোই আসলে কোরআনের ঐশীত্বের দাবীর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে।
ফুয়াদ
আপনার জাকির নায়েক নিয়ে কিছু বলতে পারতেন। একটা প্যাচালের জায়গা আপনার খালি রয়ে গেল।
কোরানে inheritance আইনে ভুল দেখান হলে এক মোল্লা লিখলঃ
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=54&cpage=2#comment-11602
আমার উত্তরটা এখানে পোস্ট করলাম
In response to Saj’s equation on inheritance shares:
Let us solve the equation. I shall use the variable as letter Y, instead of X, to remove the confusion that might arise with the multiplication symbol X.
(2/3)Y + (1/3)Y + (1/8)Y = 5000
This can be reduced to (27/24)Y = 5000
We get Y = (24X5000)/27 = 4444.40
This is less than the total value of the inheritance, which, accordingly, was $5000.
The individual shares will now be as follows:
2X4444.4/3 = 2963
1X4444.4/3 = 1481
1X4444.4/8 = 551.6
This means, even though the distribution does up add up approximately 5000, individual shares are not precise to conform to the Qur’an.
Just think, if the total inheritance is merely $1.
In this case 2/3 of $1 = $0.67
1/3 of $1 = $0.33
Add them, it is already $1.00
So, how do we get 1/8, that is $0.125?
Obviously, by juggling, we can always fit an equation.
For example, we could even have an inheritance equation in this manner
(1-1/3)Y + (2/3)Y + (2-1/2)Y = 5000.
The solution gives us Y = 1111.3 which is the manipulated value of the fund to conform to the mathematical law, because the original asset of $5000 cannot be precisely distributed according to the stipulated desire.
This means we are forced to reduce each person’s share.
But this is just a manipulation, it does not satisfy the fundamental of fractional addition: that is: (1-1/3)X5000+(2/3)X5000+(2-1/2)X 5000.
If you add, you get 22499.5 and not 5000. So, how does the balance that is 22499.5 – 5000 = 17499.5 come from?
I have cited this extreme example, when the fractions add up to more than unity. If, as per Saj, Allah’s law is correct, then we should be able to distribute $5000 as per the above example. But we cannot, because there is a shortfall in the fund.
O.K. here is how this mulla corrects Allah’s Qur’an to conform to human laws on arithmetic.
Please recall that in the example cited by the mulla, we found Y = 4444.40
Also note how the distribution is not precise to conform the Qur’an
Qur’an says
2/3 = 0.6666
1/3 = 0.3333
1/8 = 0.1250
Add = 1.125
Human corrects the Qur’an
(2963/5000) = 0.5926
(1481/5000) = 0.2962
(555.6/5000) = 0.1112
Add = 1.0000
Precisely, we may note that the Qur’anic arithmetic gives an excess of 1/8 = 0.125. So human mulla has applied a correction factor to all the fractional numbers set by Allah. This correction factor, in this case, is approximately 7/8. Here is how:
(2/3)X(7/8) = 0.5834
(1/3)X(7/8) = 0.2920
(1/8)X(7/8) = 0.1094
Add them; it is approximately 1.00 (precisely 0.9844).
The reason, why there is a very small difference is that the correction factor will be slightly different for each case, depending on their original fraction. But a common value of 7/8 yields a very satisfactory result for the purpose of demonstration.
To a gullible reader, bereft of precise knowledge of mathematics, this Islamic deception might seem to be very smart.
But I can say that this mulla has dug his own grave, he has conclusively proven that Allah is wrong in the Qur’an and human has to correct Him.
It needs a precise eye to discover this Islamic deception.
Readers, please double-check my calculations, and, if found incorrect, then inform me and I shall apologise for misleading you.
If the readers find my arithmetic correct, then they must acknowledge that the Qur’an is absolutely wrong in the precise fractional distribution of inheritance.
AK
@আবুল কাশেম,
সম্পত্তি বন্টন নিয়ে আরজ আলী মাতুব্বর ‘ফরায়েজ নীতি’র ঘাপলা নিয়ে একটি চমতকার (খন্ড’ত’ হচ্ছেনা) উদাহরণ দিয়েছেন। আল্লাহ এবং মুহম্মদকে তিনি এক ব্যক্তি বলতে চেয়েছেন সাবধানে। পৃষ্ঠাটি scan করেছি। কিন্তু post করতে পারলাম না। তাই দু একটি বাক্য তুলে ধরছি –
” উদাহরণস্বরুপ দেখানো যায় যে, যদি কোন মৃত ব্যক্তির মা, বাবা, দুই মেয়ে ও এক স্ত্রী থাকে, তবে মা ১/৬, বাবা ১/৬, দু মেয়ে ২/৩, এবং স্ত্রী ১/৮ অংশ পাইবে।” …
“এ ক্ষেত্রে মোট সম্পত্তি ‘১’-এর স্থলে ওয়ারিশগণের অংশের সম্পত্তি হয় ১ ১/৮। অর্থাৎ (এবারে খন্ড’ত’ এমনি এসে গেল) ষোল আনার স্থলে আঠার আনা। সমস্যাটি গুরুতর বটে।
মুসলিম জগতে উক্ত সমস্যাটি বহুদিন যাবত অমীমাংসিত ছিল। অতঃপর সমাধান করিলেন হজরত আলী (রা)(৪০)। তিনি যে নিয়মের দ্বারা উহার সমাধান করিয়াছিলেন, তাহার নাম ‘আউল’।” …
“পবিত্র কোরানে বর্ণিত আলোচ্য ফরায়েজ বিধানের সমস্যাটি সমাধান করিলেন হজরত আলী (রা) তাঁহার গাণিতিক জ্ঞানের দ্বারা এবং মুসলিম জগতে আজও উহাই প্রচলিত। এ ক্ষেত্রে স্বভাবতই মনে উদয় হয় যে, তবে কি আল্লাহ গণিতজ্ঞ নহেন? হইলে, পবিত্র কোরানের উক্ত বিধানটি ত্রুটিপূর্ণ কেন?” ……
পবিত্র কোরানে বর্নিত ফরায়েজ বিধানের মধ্যে ক্ষেত্রবিশেষে কতগুলি (হজরত আলীর প্রবর্তিত) ‘আউল’ নীতির পর্যায়ে পড়ে এবং উহাতে কোরান মানিয়া বন্টন চলে না, আবার ‘আউল’ মানিলে হইতে হয় দোজখী। উপায় কি?” …
“… কিন্তু অধুনা রাষ্ট্রীয় বিচারপতিগণ পুত্র থাকিলেও পৌত্রকে অংশ দিতে শুরু করিয়াছেন। যে বিচারপতিগণ উহা করিতেছেন, তাঁহারা পরকালে যাইবেন কোথায়?”
উতসঃ আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র ১। পৃষ্ঠা ১৩১-১৩২
(নোট – প্রিভিউতে ফন্ট ছোট দেখাচ্ছে। ঠিক করতে পারছি না। দুঃখিত।)
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দেখা যাচ্ছে আরোজ আলি কোরানের ভুল ঠিক ধরতে পেরেছেন।
হযরত ওমর কোরান কে সংসোধন করে প্রমান কোরলেন আল্লাহ অংক জানেন না।
এখন আধুনিক মোল্লারা সাধারন পাঠক কে ধোঁকা দেওয়ার জন্য eqaution ব্যবহার করছে। কিন্ত তাদের এই প্রতারনা শুধুই প্রমান করে যে কোরান সম্পু্র্ন ভুল। কোরানে contradiction -এর ছড়াছড়ি।
আবুল কাশেন
@আবুল কাশেম,
দেখাই লেন ।
Saj নামে এখানে কেউ নাই আপনার কথার উত্তর দেওয়ার জন্য । :laugh: :laugh: :laugh:
নৈতিকতা নিরলম্ব কিছু নয়। এর অবশ্যই মাপকাঠি আছে। তবে সবকিছু মাপার জন্য আলাদা আলাদা মাপকাঠি আছে। নৈতিকতা মাপার মাপকাঠি হচ্ছে সমাজ বিকাশের ধারা বাহিকতা। সমাজ কিভাবে অতীতে বিকশিত হয়েছে বা আগামীতে কিভাবে হবে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবনাচরনই নৈতিকতা। আর তা না হলে হয় তা পশ্চাৎপদতা না হয় উচ্ছৃঙ্খলতা। এর কোনটাই উন্নত রুচি সংস্কৃতির ধারক হতে পারে না। আর নাস্তিক বা আস্তিক মানেই যে উন্নত রুচির হবে তা নয়। এটা নির্ভর করে কোন ব্যক্তি সমাজের প্রচলিত আন্যায়ের সঙ্গে নিজেকে কি পরিমানে দ্বদ্বে লিপ্ত করতে পেরেছে। যার সংগ্রাম যত তীব্র তার নৈতিকতার ভিত তত শক্ত।
নৈতিকতা নিরলম্ব কিছু নয়। এর অবশ্যই মাপকাঠি আছে। তবে সবকিছু মাপার জন্য আলাদা আলাদা মাপকাঠি আছে। নৈতিকতা মাপার মাপকাঠি হচ্ছে সমাজ বিকাশের ধারা বাহিকতা। সমাজ কিভাবে অতীতে বিকশিত হয়েছে বা আগামীতে কিভাবে হবে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবনাচরনই নৈতিকতা। আর তা না হলে হয় তা পশ্চাৎপদতা না হয় উচ্ছৃঙ্খলতা। এর কোনটাই উন্নত রুচি সংস্কৃতির ধারক হতে পারে না। আর নাস্তিক বা আস্তিক মানেই যে উন্নত রুচির হবে তা নয়। এটা নির্ভর করে কোন ব্যক্তি সমাজের প্রচলিত আন্যায়ের সঙ্গে নিজেকে কি পরিমানে দ্বদ্বে লিপ্ত করতে পেরেছে। যার সংগ্রাম যত তীব্র তার নৈতিকতার ভিত তত শক্ত। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
কোরানের মত একটা তৃতীয় শ্রেনীর গ্রন্থ নিয়ে এত রাজ্যের আলোচনাকে পুরোপুরি অর্থহীন মনে হয়। কোন আনন্দ পাই না, চরম বিরক্তিকর লাগে। ছোট্ট একটা জীবনে কত আকর্ষনীয় জিনিষ রয়েছে চারপাশে ছড়ানো ছিটানো। সেগুলোতে মনযোগ দেয়াতে বেশি আনন্দ আমার।
@ফরিদ আহমেদ,
সহমত।
Atheist Bangladesh (facebook group) এ একসময় কুরান নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক করেছি। ১৪০০ বছর পূর্বের এ গ্রন্থটি এত অস্পষ্ট, ধোয়াচ্ছন্ন যে তর্ক কখনোই শেষ হয়না। এখন আর এসব তর্কে জড়াতে ভাল লাগেনা, যখন দেখি সহজ জিনিষকে মুসলিমরা অযথা পেচাচ্ছে তখন খুব রাগ লাগে।
তবে এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কারন মুক্তমনে আলোচনাই শুধু পারে অন্ধকারকে দূর করতে।
এ উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এই একটা মধ্যযুগীয় হজপজের পেছনে মুসলমানরা যা সময় নষ্ট করে, তার ১০% ও যদি বিজ্ঞান ঠিক ঠাক শেখার পেছনে দিত-তাহলে ইসলামের ইতিহাসটাই বদলে যেত।
খুবঃ দুঃখের হলেও সত্য ৮০০-১৩০০ সালের যেসব বিখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদকে গোটা বিশ্ব চেনে, তারা পন্ডিত ছিলেন গ্রীক আর ভারতীয় দর্শনে। কোরানের বুৎপত্তি নিয়ে সেকালে ইসলামিক পন্ডিত হওয়া যেত না-কারন মুসলমানরা তখন জ্ঞানের দুনিয়া শাসন করছে-এবং গ্রীক দর্শনের চর্চা তাদের কাছে ইসলামিক দর্শনের থেকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন ছিল।
মুক্তমোনা যখনই খুলি তখনই দেখি ইসলাম নিয়ে কোন না কোন বিতর্ক চলছে। এটা অবশ্যই দরকার। কিন্ত লেবু বেশী কচলালে তিঁত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
মানুষের ধার্মিক্ হওয়ার মূল কারন বিজ্ঞান এবং দর্শন ঠিক ঠাক না বোঝা। আমার ধারনা সেখানে ফোকাস করতে পারলে, সাধারন মানুষ আস্তে আস্তে সব ধর্মের অসারতা এমনিতেই বুঝতে পারবে। আপনি কোরানে স্ববিরোধ দেখালে ওরা পোষ্ট মডার্ন কোন ব্যাখ্যা হাজির করে দেখাবে এখানে বিরোধ নেই। এই ডিকনস্ট্রাকশন বা ব্যাখ্যার খেলা চলতেই থাকবে।
আসুন এর থেকে আমরা বিজ্ঞান এবং দর্শন চর্চায় বেশী মনোনিবেশ করি।
@বিপ্লব পাল, মানুষের ধার্মিক্ হওয়ার মূল কারন বিজ্ঞান এবং দর্শন ঠিক ঠাক না বোঝা। ১০০% হক কথা।
একজন নাস্তিক হয় বিজ্ঞান বা দর্শন ঠিকঠাক বোঝে না, না হয় ধর্ম ঠিক ঠাক বোঝে না। ফিজিক্স এ পি এইচ ডি করে বলছি। কুরঅান ও মুখস্ত। শুধু একটা কথা বলি, বিজ্ঞান বিভিন্ন সূত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই সূত্রগুলো কীসের উপর প্রতিষ্ঠিত? থিওরি অব রিলেটিভিটির প্রথম অধ্যায়টা পড়ে দেখেন। গণিতের ভয়াবহ সত্য যা অামরা এতদিন বিশ্বাস করে অাসছি(এমনকি অাজও ক্লাসিকাল ফিজিক্স এ বিশ্বাস করে থাকি) তা মিথ্যা। অাপনার মতানুযায়ী তাহলে অাইনস্টাইনের ধার্মিক হওয়ার কারণ বিজ্ঞান না বোঝা?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
কোরানের কন্ট্রাডিকশনগুলো নিয়ে আগে মুক্তমনায় বিভিন্ন লেখক লিখেছিলেন। যেমন সৈয়দ কামরান মির্জার এ প্রবন্ধটি পড়া যেতে পারে –
Quranic Erroneous Science and Contradictions!
প্রবন্ধটিতে লেখক কোরানের সব চাইতে প্রচলিত কন্ট্রাডিকশনগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন।
এছাড়া স্কেপ্টিক’স এনোটেটেড কুরান সাইটেও কন্ট্রাডিকশনগুলোর তালিকা দেয়া আছে —
Contradictions in the Quran
দেখতে পারেন।
কোরানের কন্ট্রাডিকশনগুলোর সবচেয়ে বড় আর্কাইভ করেছেন আবুল কাশেম ই। তার মোট দশ পর্বে করা সঙ্কলনটি রাখা আছে এখানে —
A Guide to the Qur’anic Contradictions (Part-1, Part-2, Part-3, Part-4, Part-5, Part -6, Part-7, Part-8, Part-9, Part-10)
আমি আমার বিজ্ঞানময় কিতাব প্রবন্ধটিতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কন্ট্রাডিকশনের উল্লেখ করেছিলাম। সেই প্রবন্ধটিও পড়া যেতে পারে।
তবে আস্তিকেরা দাবী করেন এগুলো কন্ট্রাডিকশন নয়। ওগুলোর ব্যখ্যা বিভিন্ন ইন্টারপ্রিটেশনের মাধ্যমে নাকি দেয়া সম্ভব। যেমন, আমি যখন প্রথম মুক্তমনা সাইটকে ব্লগে রূপান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম – তখন দেখলাম কোত্থেকে এক নালা-খ্যাপা ভদ্রলোক হাজির নাম মুফাসিল ইসলাম (Mufassil Islam) – সবাইকে আগ বাড়িয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। কিন্তু কি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছেন, কাকে চ্যালেঞ্জ করছেন- কিছুই পরিস্কার না। শুধু তাই নয়, বাংগালীদের মধ্যে মৌলিকত্ব এতই কম – যে নিজের সাইটের নামও ঠিক করেছিলেন মুক্তমনার আদলে – যুক্তিমনা। আমি জানিনা বাংলাভাষায় ‘যুক্তিমনা’ বলে কোন শব্দ আছে কিনা, কিন্তু মুক্তমনার আদলে যে তিনি ‘যুক্তিমনা’ বলতে পেরেছেন, তাতেই তিনি খুশি। তিনি মুক্তমনায় এসে কমেন্ট করেছিলেন এক সময়। আমরাও কিছু নির্দোষ বিনোদন উপভোগ করেছিলেম। দেখুন সেই বিনোদনের চিহ্ন এখানে।
যাহোক ‘যুক্তিমনা’র আর খোঁজ না পাওয়া গেলেও, মুক্তমনায় প্রকাশিত প্রবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মুফাসিল ইসলাম সাহেব ভিডিও দিয়ে ইউটিউবে আবুল কাশেমের পয়েন্টগুলোর একটা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন তখন। তবে তিনি আবুল কাশেম কে নিয়ে যত না বলেছেন তার চেয়ে বেশি বলেছিলেন আমাদের সাইট নিয়ে। তার মতে বাংলাদেশের লোকজন নাকি খুব ধর্মসহিষ্ণু, আমরা নাকি ধর্মকে আক্রমণ করে বিভক্তি ছড়াচ্ছি – ইতাদি ইত্যাদি। আমি বলেছিলাম, মুফাসিল ইসলাম যদি সত্যই মনে করেন আমাদের একটু টোকাতেই ইসলামের বারোটা বেজে যাবে, তা হলে সত্যই চিন্তার কথা। :). যাহোক মুফাসিল সাহেব দাবী করেছিলেন – তিনি “তর্কাতীত” ভাবে “প্রমাণ” করেছেন যে কোরাণে কোন কন্ট্রাডিকশন নাই (যদিও অন্যপক্ষ বলেন- তার পয়েন্টগুলো সবগুলোই জাকির নায়েক থেকে ধার করা, এবং প্রবলভাবেই ভ্রান্তিময়)।
আবুল কাশেম সাহেব তাকে মুক্তমনায় এসে তার সাথে বিতর্ক করার আহবান জানিয়েছিলেন এখানে। কিন্তু সেই ভদ্রলোকের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
(আপনার কন্ট্রাডিকশনের পোস্ট দেখে প্রাসঙ্গিক তথ্য হিসেবে এগুলো দিলাম, কোন কিছু প্রমাণ বা অপ্রমাণ করতে নয়)।
@ আদিল, আনাস… আপনাদের মত সদস্যরাই আসলে মুক্তমনার গৌরব। আস্তিক হয়েও যেভাবে আপনারা চোখ কান খোলা রেখে ফুয়াদ সাহেবদের যুক্তির দুর্বলতা গুলো নিয়ে আলোচনা করছেন – এটা নিঃদন্দেহে দুর্লভ একটি গুণ। ভাল লাগলো আপনাদের মন্তব্য পড়ে।
@অভিজিৎ দা,
আপনি যেসব প্রবন্ধের লিংক দিলেন এগুলোর অনুবাদ ও তার সাথে সাথে একটা পর্যালোচনা হওয়ার প্রয়োজন। নেটে সার্চ দিলে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।
কাজটি আস্তিক-নাস্তিক সকলেরই বিশেষ উপকারে আসবে বলে মনে করি।
দু’-এক ফোঁটা শিশির দেয়ার চেষ্টা করি 😀
ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে মোল্লারা গলাবাজি করলেও কোরানে রীতিমতো আপত্তিকর ও অমানবিক জঙ্গিবাণী নেহাত অপ্রতুল নয়। এ-ব্যাপারে তাদের বক্তব্য বালখিল্য ও হাস্যোদ্রেককারী: কোরানে শান্তির বাণীর সংখ্যা অনেক বেশি :lotpot:
কিছু কন্ট্রাডিকশন পেলাম নেট ঘেঁটে: মক্কায় শান্তির নবী মদিনায় গিয়ে কেমন ভয়াবহ জঙ্গি! যেন আলাদা দুই ব্যক্তি। মক্কায় নাজেল হওয়া আয়াতগুলোর সাথে মদিনাবাসের সময় নাজেল হওয়া আয়াতগুলোর বৈসাদৃশ্য দেখে বিস্মিত না হওয়াটাই অসম্ভব।
বাংলায় দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। এবং বলে রাখি, সমায়াভাবে সবগুলো পড়া ও চেক করে নেয়া হয়নি 🙁
১.
73:10 And bear with patience what they utter, and part from them with a fair leave-taking. [3, Mecca ]
2:191 And slay them wherever ye find them, and drive them out of the places whence they drove you out, for persecution is worse than slaughter. And fight not with them at the Inviolable Place of Worship until they first attack you there, but if they attack you (there) then slay them. Such is the reward of disbelievers. [87, Medina ]
২.
50:45 We are Best Aware of what they say, and thou (O Muhammad) art in no wise a compeller over them. But warn by the Qur’an him who feareth My threat. [34, Mecca ]
9:123 Make ready for them all thou canst of (armed) force and of horses tethered, that thereby ye may dismay the enemy of Allah and your enemy, and others beside them whom ye know not. Allah knoweth them. Whatsoever ye spend in the way of Allah it will be repaid to you in full, and ye will not be wronged. [113, Medina ]
৩.
10:109 And (O Muhammad) follow that which is inspired in thee, and forbear until Allah give judgment. And He is the Best of Judges. [51, Mecca ]
9:5 Then, when the sacred months have passed, slay the idolaters wherever ye find them, and take them (captive), and besiege them, and prepare for them each ambush. But if they repent and establish worship and pay the poor-due, then leave their way free. Lo! Allah is Forgiving, Merciful. [113, Medina ]
৪.
16:125 Call unto the way of thy Lord with wisdom and fair exhortation, and reason with them in the better way. Lo! thy Lord is Best Aware of him who strayeth from His way, and He is Best Aware of those who go aright. [70, Mecca ]
9:29 Fight against such of those who have been given the Scripture as believe not in Allah nor the Last Day, and forbid not that which Allah hath forbidden by His messenger, and follow not the Religion of Truth, until they pay the tribute readily, being brought low. [113, Medina ]
৫.
109:6 Unto you your religion, and unto me my religion. [18, Mecca ]
3:85 And whoso seeketh as religion other than the Surrender (to Allah) it will not be accepted from him, and he will be a loser in the Hereafter. [89, Medina ]
৬.
10:94 And if thou (Muhammad) art in doubt concerning that which We reveal unto thee, then question those who read the Scripture (that was) before thee. Verily the Truth from thy Lord hath come unto thee. So be not thou of the waverers. [51, Mecca ]
9:30 And the Jews say: Ezra is the son of Allah, and the Christians say: The Messiah is the son of Allah. That is their saying with their mouths. They imitate the saying of those who disbelieved of old. Allah (Himself) fighteth against them. How perverse are they! [113, Medina ]
৭.
10:99: And if thy Lord willed, all who are in the earth would have believed together. Wouldst thou (Muhammad) compel men until they are believers? [51, Mecca ]
5:33 The only reward of those who make war upon Allah and His messenger and strive after corruption in the land will be that they will be killed or crucified, or have their hands and feet on alternate sides cut off, or will be expelled out of the land. Such will be their degradation in the world, and in the Hereafter theirs will be an awful doom; [112, Medina ]
৮.
7:199 Keep to forgiveness (O Muhammad), and enjoin kindness, and turn away from the ignorant. [39, Mecca ]
9:28 O ye who believe! The idolaters only are unclean. So let them not come near the Inviolable Place of Worship after this their year. If ye fear poverty (from the loss of their merchandise) Allah shall preserve you of His bounty if He will. Lo! Allah is Knower, Wise. [113, Medina ]
৯.
15:85 We created not the heavens and the earth and all that is between them save with truth, and lo! the Hour is surely coming. So forgive, (O Muhammad), with a gracious forgiveness. [54, Mecca ]
9:73 O Prophet! Strive against the disbelievers and the hypocrites! Be harsh with them. Their ultimate abode is hell, a hapless journey’s end. [113, Medina ]
১০.
6:108 Revile not those unto whom they pray beside Allah lest they wrongfully revile Allah through ignorance. Thus unto every nation have We made their deed seem fair. Then unto their Lord is their return, and He will tell them what they used to do. [55, Mecca ]
22:19 These twain (the believers and the disbelievers) are two opponents who contend concerning their Lord. But as for those who disbelieve, garments of fire will be cut out for them; boiling fluid will be poured down on their heads [103, Medina ]
22:20 Whereby that which is in their bellies, and their skins too, will be melted; [103, Medina ]
22:21 And for them are hooked rods of iron. [103, Medina ]
22:22 Whenever, in their anguish, they would go forth from thence they are driven back therein and (it is said unto them): Taste the doom of burning. [103, Medina ]
১১.
29:46 And argue not with the People of the Scripture unless it be in (a way) that is better, save with such of them as do wrong; and say: We believe in that which hath been revealed unto us and revealed unto you; our Allah and your Allah is One, and unto Him we surrender. [85, Mecca ]
2:137 And if they believe in the like of that which ye believe, then are they rightly guided. But if they turn away, then are they in schism, and Allah will suffice thee (for defence) against them. He is the Hearer, the Knower. [103, Medina ]
১২.
17:53 Tell My bondmen to speak that which is kindlier. Lo! the devil soweth discord among them. Lo! the devil is for man an open foe. [50, Mecca ]
66:9 O Prophet! Strive against the disbelievers and the hypocrites, and be stern with them. Hell will be their home, a hapless journey’s end. [107, Medina ]
১৩.
43:89 Then bear with them (O Muhammad) and say: Peace. But they will come to know. [63, Mecca ]
47:4 Now when ye meet in battle those who disbelieve, then it is smiting of the necks until, when ye have routed them, then making fast of bonds; and afterward either grace or ransom till the war lay down its burdens. That (is the ordinance). And if Allah willed He could have punished them (without you) but (thus it is ordained) that He may try some of you by means of others. And those who are slain in the way of Allah, He rendereth not their actions vain. [95, Medina ]
১৪.
50:45 We are Best Aware of what they say, and thou (O Muhammad) art in no wise a compeller over them. But warn by the Qur’an him who feareth My threat. [34, Mecca ]
8:65 O Prophet! Exhort the believers to fight. If there be of you twenty steadfast they shall overcome two hundred, and if there be of you a hundred (steadfast) they shall overcome a thousand of those who disbelieve, because they (the disbelievers) are a folk without intelligence. [88, Medina ]
১৫.
41:34 The good deed and the evil deed are not alike. Repel the evil deed with one which is better, then lo! he, between whom and thee there was enmity (will become) as though he was a bosom friend. [62, Mecca ]
3:28 Let not the believers take disbelievers for their friends in preference to believers. Whoso doeth that hath no connection with Allah unless (it be) that ye but guard yourselves against them, taking (as it were) security. Allah biddeth you beware (only) of Himself. Unto Allah is the journeying. [89, Medina ]
১৬.
46:10 Bethink you: If it is from Allah and ye disbelieve therein, and a witness of the Children of Israel hath already testified to the like thereof and hath believed, and ye are too proud (what plight is yours)? Lo! Allah guideth not wrong-doing folk. [66, Mecca ]
8:12 When thy Lord inspired the angels, (saying): I am with you. So make those who believe stand firm. I will throw fear into the hearts of those who disbelieve. Then smite the necks and smite of them each finger. [88, Medina ]
১৭.
45:14 Tell those who believe to forgive those who hope not for the days of Allah; in order that He may requite folk what they used to earn. [65, Mecca ]
8:60 Make ready for them all thou canst of (armed) force and of horses tethered, that thereby ye may dismay the enemy of Allah and your enemy, and others beside them whom ye know not. Allah knoweth them. Whatsoever ye spend in the way of Allah it will be repaid to you in full, and ye will not be wronged. [88, Medina ]
http://www.answering-christianity.com/quran/quranerr.htm
এই লিংকে 1 (textual errors) + 12 (Incoherence) + 80 + 1 + 11 + 1 + 1 + 1 + 26 + 24 + 1 = 159 কন্ট্রিডিকসন আছে । দেখে নিন সবাই ।
http://www.answering-christianity.com/faithfreedom_rebuttals.htm এই লিংকে ফেইথফ্রিডমদের সকল কষ্টের কাজ আছে আল কোরানের কন্ট্রীডিকসনের ব্যপারে । দেখে নিন .
http://www.answering-christianity.com/yahya_ahmed/point-to-point_response.htm মহাগুরু আলি সিনা এর কাজ আর কন্ট্রিডিকসন ।
তবে দুঃখের বিষয় , ঐ লিংক গুলিতে জবাব ও দেওয়া হয়েছে । :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh:
ভাল থাকবেন ।
@ফুয়াদ,
কেউ মনে হয় দাবী করছে না যা এইসব চিহ্নিত কন্ট্রাডিকশনগুলির কোন জবাব ভু-বিশ্বে কেউ দিতে পারেনি বা কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
আমার জানামতে কোরানসহ যত ধর্মগ্রন্থের যত কন্ট্রাডিকশন ধরা হয়েছে তার সবগুলির অসংখ্য জনের জবাবও পাওয়া যায়। এ কথা মনে হয় কেউ এমনকি এই লেখার মূল লেখকও অস্বীকার করবেন না।
এর মাঝে এত দীর্ঘ হাসি দেবার কি পেলেন?
এভাবে কি চিন্তা করেছেন যে বাইবেল গীতা যেগুলি ভূয়া বা বাতিল ধর্ম বলে বাতিল করেন; আপনি সেগুলির যে ভুলগুলি জানেন বা বের করতে পারবেন সেগুলিরও অনেক ব্যাখা পাওয়া যাবে? ওনারাও আপনার ভুল ধরা নিয়ে অবিকল আপনার মতই বা আরো জোরে অট্টহাসি দিতে পারে। নিশ্চয়ই দেবে আর নাহলে তাদের ধর্মেরও গাদা গাদা ভুল ধরার পরেও কেন তারা সেসব ধর্ম ছাড়তে পারছে না? নিশ্চয়ই আপনার কাছে যা ভুল তাদের কাছে তা ভুল নয়।
তার চেয়ে ওয়েব সাইট রেফার না করে নিজে ব্যাখা লিখুন। আপনি প্রায়ই এ কাজটা করেন; নিজ কোন কথা না বলে অমুক সাইট, এর ওর বই এর লিঙ্ক দিয়ে দায় সেরে ফেলেন আর বিজয়ীয় হাসি দেন। এভাবে কোন বিতর্ক হয় না। রেফারেন্স আসে রেফারেন্স হিসেবে, কিন্তু মূল কথা বলতে হয় নিজেরই।
এই লেখক কিন্তু ফেইথ ফ্রীডম বা কোন সাইটে কি আছে বলে দেননি, ওনার মত লিখেছেন।
@আদিল মাহমুদ,
দারুন বলেছেন।
@ফুয়াদ,
আমার কাছে যে বিষয়টি অপরিস্কার মনে হয়েছে সেটি হল মানুষের ভাষা, আমি বিবর্তন নিয়ে বেশী একটা পড়িনি, যতটুকু জানি মানুষ যোগাযোগের জন্য ভাষা অনেক পরে আবিস্কার করেছে, বিবর্তনের অনেক ধাপ অতিক্রম করে ভাষা আজকের এ পর্যায়ে এসে পৌছেছে, আজকে আমরা ভাষার তিনটি রুপ দেখতে পাই, কথ্য, লিখিত, ইশারা।
কুরানে সুরা বাকারার ৩০ থেকে ৩৮ সুরা মায়েদার ২৭ থেকে ৩০ পর্যন্ত কিছু আয়াতে আদম ও তার সন্তানদের কথা বলা হয়েছে। যেহেতু কাউকে বলতে শুনেছি যে মিছিং লিঙ্ক এ বিস্বাস করেন না, তাদের কথা অনুযায়ী আদম আল্লাহর প্রথম সৃস্ট মানব, কুরানেও আমরা দেখতে পাই আদমকে সব কিছুর নাম শেখানো হয়েছে, এবং আদমকে জান্নাত থেকে বের করে দেবার পর আদম ক্ষমা প্রার্থনার ভাষা শিখেছেন, আর সবচেয়ে বড় কথা প্রথম সৃস্ট মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে যত অজ্ঞানই হোক, ভাষার মাদ্ধমে যোগাজোগ করতে পারত একে অপরের সাথে তা হাবিল কাবিল এর ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারি। তাছারা আল্লাহ আদমের সাথে, আদম তার বিবির সাথে, এবং শয়তানের সাথে কথা বলার বর্ণনা পাওয়া যায়। যাও একটা মিসিং লিঙ্ক হবার সুযোগ ছিল নুহ এর সময়, তাও আল্লাহর বান্দারাই বেচে গিয়েছিল। তাহলে মুল যে পয়েন্টটা দাড়াল যে প্রথম মানব আদম কথা বলতে পারত, জান্নাতের কথা বলা যদি রুহানীও ধরা হয় তবুও হাবিল কাবিল যে মৌখিকভাবে কথা বলতে পারত এটা কুরান থেকে আমরা জানি, আর সে ভাষা আর যাই হোক, আফ্রিকার গুহাবাসী দের মত কাকু মাকু ভাষা থেকে উন্নত ছিল এমনি বর্ণনা পাওয়া যায়।
এখন ফুয়াদ ভাই, আপনার কাছে আকুল আবেদন, কুরানে যেমন বাইবেল থেকে চোথা মারা আছে, অনেক বড় বড় মুস্লিম স্কলার তাদের ভাষায় কাফের মুশরিকদের আবিস্কার কুরানে আছে বলে যে টাইপের চোথা মারেন, সে পথে না হেটে গবেষনা করে আবিস্কার করেন যে পৃথিবীতে প্রথম মানব-ই কথা বলতে পারত, কিভাবে করা যায় কিছু ধারনা দেই, এমন একটা মানব ফসিল আবিস্কার করতে হবে যেটা বিবর্তনবাদীদের পাওয়া ফসিল থেকে পুরাতন, সেটিকে নিয়ে গবেষনা করে দেখা যেতে পারে সেটির এ খমতা ছিল কিনা, অথবা তাদের পাওয়া পুরাতন ফসিলটার ই এ ধরনের উন্নত ভাষা ছিল কিনা। আরো কিছু হাবিজাবি টাইপের ধারনা আছে কল্পবিজ্ঞানের মত মনে হতে পারে, যেমন আমাদের কথাগুল বায়ুমন্ডলের কোন এক স্তরে জমা পরে, সেগুলকে ধরার একটা যন্ত্র আবিস্কার করেন অথবা মুসলমান বিজ্ঞানী যারা কুরানে বিজ্ঞান আবিস্কার করছেন, তাদেরকে প্রস্তাব দেন, মানব জাতির বড়ই উপকার হইবে।
এখন দেখেন কুরনের প্রবর্তক মানব জন্ম রহস্য সম্মন্ধে কি বলেছেন, যার বর্ণনা থেকে এ হাদিস, তিনি ইস্লামী ইতিহাসে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং শরিয়া এর দিক থেকে, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ, বাংলাটা পেলাম না বলে দুঃখিত
Volume:4 Book :54 (Beginning of Creation)Number :430
Top
Narrated Abdullah bin Mus’ud:
Allah’s Apostle, the true and truly inspired said, “(The matter of the Creation of) a human being is put together in the womb of the mother in “forty” days, and then he becomes a clot of thick blood for a “similar period”, and then a piece of flesh for a “similar period”. Then Allah sends an angel who is ordered to write four things. He is ordered to write down his (i.e. the new creature’s) deeds, his livelihood, his (date of) death, and whether he will be blessed or wretched (in religion). Then the soul is breathed into him. So, a man amongst you may do (good deeds till there is only a cubit between him and Paradise and then what has been written for him decides his behavior and he starts doing (evil) deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire. And similarly a man amongst you may do (evil) deeds till there is only a cubit between him and the (Hell) Fire, and then what has been written for him decides his behavior, and he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise.”
এখানে দেখেন ১২০ দিন পর মানব সন্তানের দেহে মানব রুহ দেওয়া হয়! তার আগ পর্যন্ত এটা একটা জড় পদার্থ থাকে! এছাড়াও হাদিসের বর্ণনা অনুসারে কোন কিছু মিলে কিনে দেখেন, ১২০ দিন পর্যন্ত মাংস পিন্ড।
http://www.slideshare.net/KarthikD/how-a-baby-grows-in-the-mothers-womb
দেখুন, ৮ সপ্তাহের মাংস পিন্ড যাতে এখন রুহ দেওয়া হয় নাই!
কুরান মুসলমানদের কাছে যতই পবিত্র হোক, জুলেখা আর ইউসুফের পাজামা ছিড়াছিড়ির কাহিনী দিয়ে ইবাদত করা কতটা পবিত্র তা আমার বধগম্য না। এরকম একটি গ্রন্থ থেকে নৈতিকতার শিক্ষা নিয়ে কেউ যদি তার বৈধ দ্বিতীয় স্ত্রীর ব্যাপারে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি না পান, তাহলে রাসুলকে শিখিয়ে দেয়া হুংকার তালাক তো দিতেই পারেন, হাজার হোক আল্লাহ যা হালাল করেছেন তা তো আমি হারাম করতে পারিনা।
ফুয়াদ ভাই, একজন আস্তিক হবার কারনে আমার-ই ইস্লামের পক্ষে কথা বলা উচিত (যেহেতু আমার আস্তিকতা ইসলাম থেকে আগত), আমি পারিনি একারনে যে আমি দেখেছি যে কোন বিস্বাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য মানুষকে পিতা, মাতা, ভাই বোন, সবশেষে পুরো মানব জাতীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে কচুকাটা করতে নিয়ে আসে, শান্তির ধর্ম ইসলাম ও এর বাইরে যেতে পারেনি। এক আস্তিকের সাথে কথা বলেছিলাম, শেষ পর্যন্ত আমাকে বলল, ঠিক আছে, ইসলাম ভুল, তাতে কি, এটা একটা মতবাদ, প্রত্যেকে চায় তার মতবাদ প্রতিষ্ঠা পাক, আমি আমার মতবাদ প্রতিষ্ঠা করব, বাকীরা গোল্লায় যাক তাতে কিছু আসে যায় না!
http://en.wikipedia.org/wiki/Biblical_narratives_and_the_Qur%27an#Adam_and_Eve_.28.D8.A2.D8.AF.D9.85_Adam_and_.D8.AD.D9.88.D8.A7.D8.A1_Hawwaa.29
আপ্নারেও একটা লিংক দিলাম 😀
@আনাস,
“একজন আস্তিক হবার কারনে আমার-ই ইস্লামের পক্ষে কথা বলা উচিত (যেহেতু আমার আস্তিকতা ইসলাম থেকে আগত), আমি পারিনি একারনে যে আমি দেখেছি যে কোন বিস্বাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য মানুষকে পিতা, মাতা, ভাই বোন, সবশেষে পুরো মানব জাতীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে কচুকাটা করতে নিয়ে আসে”
আমার মনের কথাটা বলেছেন, এজন্যই নিজে আস্তিক হয়েও নাস্তিকদের সাইটেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য পাই।
আস্তিকতা এবং ধর্মবিশ্বাস দুটি খুবই ভিন্ন জিনিস। আমি নাস্তিক হলেও স্রষ্টায় বিশ্বাস করাকে মোটেও খারাপ মনে করিনা কিন্তু ধর্মকে আমি ঘৃণা করি। ধার্মিকদের প্রতি আমি সহানুভূতি অনুভব করি, তাদের দোষ দিতে পারিনা কারণ তারা পরিস্থিতির শিকার। তবে যখন দেখি শিক্ষিত মানুষেরা সহজ জিনিষ বুঝতে পারছেনা তখন মাঝে মাঝে খুব রাগ লাগে।
@রামগড়ুড়ের ছানা, ভাই
খুব ভাল বলেছেন
@আদিল মাহমুদ, একদম ব্যক্তিগত কৌতুহল থেকে খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনি কেমন করে আস্তিক। আপনার লেখা ও মন্তব্য পড়ে আমি আশ্চর্য হই আপনি আস্তিক। একটু খুলে বললে ভাল লাগতো। অযাচিত কৌতূহলের জন্য ক্ষমা চাইছি।
@সুষুপ্ত পাঠক,
কিছুটা আশ্চর্যকর শোনালেও ব্যাপারটা তেমন কঠিন কিছু নয়।
আস্তিকতা এবং প্রচলিত কোন ধর্মে পূর্ন বিশ্বাস এক নয়। সরল ভাবে একজন প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী আস্তিক কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী, এবং বাদবাকি ধর্মগুলিতে অবিশ্বাসী। প্রচলিত সব ধর্মেই কিছু না কিছু সমস্যা আমার কাছে লাগে, তার মানে পূর্ন বিশ্বাস বলতে যা দাবী করা হয় অন্তত তেমন কিছু দাবী করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, সেটা বড় ধরনের ভন্ডামি বলেই আমার মনে হয়।
এর মানে এইই না যে প্রচলিত সব ধর্মে সমস্যা আছে, পূর্নভাবে মানা যায় না মানেই ঈশ্বর বিশ্বাস ভুল হয়ে গেল। ঈশ্বর বিশ্বাসের মূল সম্ভবত সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে জড়িত আছে। বিজ্ঞান মনে হয় না কখনোই সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ন ব্যাখ্যা দিতে পারবে। সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে অজ্ঞানতাই সম্ভবত আমার আস্তিকতার কারন।
@আদিল মাহমুদ,
একশভাগ একমত আপনার সঙ্গে।
বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত যা দিয়েছে তার বিপরীতে ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব থিউরি ছেলেমানুষীপূর্ণ। তার চেয়ে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অনেক গ্রহণযোগ্য নয় কি?
আমি এক জায়গায় পড়েছিলাম, মানব শিশুর জন্ম ও বেড়ে উঠা দেখে মনে হয় আদিম মানুষ আজকের মানুষের মত হলে তাকে রক্ষা করাই সম্ভব হতো না । এটা ডারউইনের জন্মের হাজার বছর আগের এক দার্শনিকের মন্তব্য। আমি খুব দুঃখিত আপনাকে তার সম্বন্ধে কোন তথ্য দিতে পারছি না। আমার সংগ্রহে নেই। কিন্তু বিষয়টা চিন্তার বই কি, আজকের মানব শিশুর নাজুক অসহায় অবস্থা আদিম মানুষের শিশুর একই অবস্থা হলে তাকে বাঁচানোই সম্ভব হতো না। পরিস্কার বির্বতন তত্ত্বর কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তার বিপরীতে আদম-হাওয়ার গল্প আমার কাছে ঠাকুর মার ঝুলির কল্প-কাহিনীর চেয়ে বেশী কিছু মনে হয় না।
কষ্ট করে আমার মন্তব্যের জবাব দেয়ায় আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। (F)
@সুষুপ্ত পাঠক,
সৃষ্টিতত্ত্ব বলতে আমি আসলে কোন ধর্মগ্রন্থে বর্নিত কেচ্ছাকাহিনী বুঝাইনি। সেসব নিতান্তই বিশ্বাসের ব্যাপার, তর্ক করা অর্থহীন। আমি সৃষ্টিতত্ত্ব বলতে সাধারন ভাবে জীবনের উতপত্তির কথা বুঝিয়েছি।
সৃষ্টিতত্ত্ব বা প্রানের উতপত্তি সম্পর্কে বিজ্ঞান বেশ কিছুটা এগুলেও আমার জানামতে এখনো খুব কাছাকাছি যায়নি। একদিন হয়ত যাবে? আমি জানি না, হয়ত……তবে সাথে সাথে এটাও ঠিক যে মানুষের অনেক জিজ্ঞাসারই জবাব পূর্ণভাবে কোনদিন জানা যাবে না যদি আমরা ধরে নেই যে মহাবিশ্বের একটি শেষ আসবে। মানুষের সীমাবদ্ধতা সব সময়ই কিছু না কিছু মাত্রায় থাকবে।
স্বীকার করা ভাল যে সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে বিজ্ঞান কতটা এগুলো সেসব নিয়ে আমার একেবারেই পড়াশুনা নেই। মূল কারন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয় না। আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে তর্ক বেহুদা সময় নষ্ট মনে হয়। আল্লাহ গড এ জাতীয় কোন সত্ত্বা থেকে থাকলে তার ব্যাপ্তি এতই বড় যে তাকে তোয়াজ তোষামদে তার কিছু যাবে আসবে না। পরকালের বিচারের প্রশ্ন আসলে একই কারত্নে কে তার অস্তিত্ব আছে বিশ্বাস করে আর কে তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না এই বিচার করে চরম সাজা বা পুরষ্কার নির্ধারন করার মত অবিবেচক প্রসূত কাজ নিশ্চয়ই এত বড় সত্ত্বার পক্ষে সম্ভব নয়। সে সত্ত্বা এত বড় হয়ে থাকলে সে প্রত্যককে তার কর্ম অনুযায়ীই সাজা/পুরষ্কার দেবে। কাজেই তার অস্তিত্ব নিয়ে বেহুদা তর্ক করে কিংবা কোন তরিকা অনুযায়ী তাকে সহি মতে হাঁকডাকের সাথে ডাকলে উনি সাড়া দিতে পারেন দুইই অর্থহীন মনে হয়।
এর চাইতে জগতের মংগল করার জন্য চিন্তা ভাবনার আরো কোটি বিষয় আছে। মহান সত্ত্বা আসলেই থেকে থাকলে তার তাতেই বেশী খুশী হবার কথা, অফিসের একজন এফিশিয়েন্ট বড় সাহেব নিশ্চয়ই মিষ্টি কথা বলা চাটুকার মোসাহেবদের চেয়ে কম কথা বলা ভাল কর্মী বেশী পছন্দ করে। আর না থাকলে তো কথাই থাকে না।
@আদিল মাহমুদ, এবার আপনার ধর্ম বিশ্বাসটা আমার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। আমারও এই ব্যাপারটা ভালো লাগে। কিন্তু সে অর্থে আমি একদমই ঈশ্বর ধারনার সঙ্গে যেতে পারি না। কিন্তু আপনার বা আপনার মত যারা এইরকম আস্তিক আছেন আমার দারুণ লাগে। যাক এসব কথা। আর একটা বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমার আলাপ করতে ইচ্ছা করতাছে। জানি না বিরক্ত হবেন কিনা। এই যে আমরা (আমি নিজেও) নানা ব্লগে ধর্মের সমালোচনা, তার মধ্যে ভুল-ভ্রান্তি, অমানবিকতা দেখিয়ে লেখালেখি করি এটা আপনি কিভাবে দেখেন। আমি নিজেরটা বলি আগে, আমি এসব করি এ জন্য না যে, আমার লেখা পড়ে কেউ নাস্তিক হয়ে যাবে। আর আমিও নাস্তিকতা প্রচার করি না। কারণ নাস্তিকতা কোন ধর্ম না। ওসব ধর্মবাদীদের কাজ। আমি বিশ্বাসও করি না সবাই নাস্তিক হবে। কিন্তু ধর্মের গোমরগুলো, ছলচাতুরিগুলো দেখিয়ে দিলে, ধর্ম অবতারদের চরিত্র মেলে ধরলে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে যে সাধারণ একটা আবেগ আছে সেটা ভোঁতা হয়ে আসবে। যার ফলশ্রুতিতে নাফিসের মত কোন তরুণ বারুদ ভর্তি প্রিকাপ ভ্যান নিয়ে কোন ইহুদী-নাসারাদের ভবণ উড়িয়ে দেবার কথা মনেও আনবে না। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক আস্তিককে দেখেছি আমার নাস্তিকতা প্রচারণায় নাস্তিক সে হতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু আগের সেই কে মুসলমান- কে বিধর্মী এই বিচারে এখন আর তারা যায় না। আল্লার আইন বা তার শাসন নিয়েও উচ্চকিত নয়…।
আপনার মতামত জানলে ভাল লাগবে।
@সুষুপ্ত পাঠক,
ধর্ম বিষয়ে লেখালেখি করার আমার কারনও হুবহু আপনারই মত। নাস্তিকতা নিয়ে লেখালেখি করার কোন মানে কেন দেখি না আগেই বলেছি। মানুষ ভাল নাকি খারাপ তা আস্তিকতা নাস্তিকতা দিয়ে কিছু এসে যায় না।
ধর্ম নিয়ে লেখালেখির অবশ্যই প্রয়োযন আছে। বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধার লোক তো কাউকে না কাউকে হতেই হবে। যে কোন ধর্মকেই ব্যাক্তিগত গন্ডির বাইরে টেনে এনে সমষ্টিগত জীবন নিয়ন্ত্রনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে গোলমাল বাধবেই। তখন সে নিয়ন্ত্রন যারা মানতে চাইবে না তাদের বাধ্য হয়ে হলেও ধর্ম সমালোচনা করতেই হবে, মহাপুরুষদের কেউ নিজের মত শ্রেষ্ঠ বা অবতার এসব বিশেষনে ভূষিত করে ভক্তি শ্রদ্ধা করে গেলে কোন অসুবিধে নেই, কিন্তু সেই মহাপুরুষের সব উদাহরন আদর্শ মানব জীবনের জন্য সর্বকালের পাথেয় এমন প্রচারনা চালিয়ে গেলে সেই মহাপুরুষের সীমাবদ্ধতাও বাধ্য হয়ে আলোচনা করতেই হবে, উপায় নেই।
@আদিল মাহমুদ, অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে অন্য কোন বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ ও ইচ্ছা রইল। আপনার নতুন কোন লেখার প্রত্যাশায় (F) । আপনার পুরোনো লেখাগুলো পড়ছি।
@আনাস,
সত্যের সন্ধানী, এই সুন্দর প্রভাতে
আলোকিত হউক আপনার যাত্রাপথ জ্ঞানের আলোয়।
ক্ষতি কি যদি প্রশ্নের আঘাতে
ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় বিশ্বাসের হিমালয়।
@আনাস,
জানি না বিষয়টি কি । আপনি আমার উপর রাগ করবেন না ।
যাইহোক,
১২০ দিন পর মানব সন্তানের দেহে মানব রুহ দেওয়া হয়! তার আগ পর্যন্ত এটা একটা জড় পদার্থ থাকে! এছাড়াও হাদিসের বর্ণনা অনুসারে কোন কিছু মিলে কিনে দেখেন, ১২০ দিন পর্যন্ত মাংস পিন্ড
আমি এতকিছু বলতে যাইবো না, কারো সাথে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার ইচ্ছা নাই , আপনার প্রতিযোগি মনভাব আমার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে । তাই আপনাকে আগেই বলে নেই, বাস্তব জ্ঞানের মানদন্ডে আপনি আমার থেকে অনেক অনেক জ্ঞানি কারন আপনি ইটিই এর স্টুডেন্ট তাও নর্থ-সাঊথ ইউনিভার্সিটির, আমার জ্ঞান ক্লাস ১২ , তার পর ডিপ্লমাতে ঘুরাঘুরি । অতএব, আমার মত ব্যক্তির সাথে প্রতিযোগিতায় যাওয়া আপনার জন্য বোকামি , আমি আপনার অনেক নিচুতে । যাইহোক,
আপনি আমাকে বলে রুহ বলতে আপনি কি বোঝেন ? আর দুই নম্বর মানুষ কি সব বিষয় জেনে ফেলেছে ।
আমার ধারনা আপনি এই বিষয়টি দেখেছেন
http://www.islamicvoice.com/january.97/scie.htm#MAN
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ ভাই, আমি আপনার সাথে প্রতিযোগীতায় মোটেও যেতে চাই নাই, আর এর কোন কারনও নেই, আমি যে বিষয়টি আপনার নজরে আনতে চেয়েছি যে আপনি আরেকটি ব্লগ ওয়েবে আস্তিক দের উত্তর গুল দেখেছেন, বেশীরভাগ ব্যক্তিগত আক্রমন, কেঊ ই তথ্য ও যুক্তি দিয়ে কথা বলেনি, এর দুটো কারন আমার কাছে মনে হয়েছে, এরা ইস্লামের রাজনৈতিক দিকের সাথে অপরিচিত, এবং বিস্বাসের প্রতি অন্ধ।
আমি স্বীকার করি যে আমার লিখার ধরনটা কিছুটা আক্রমনাত্মক ছিল, এটা এ জন্য না যে আপনার প্রতি আমার কোন ক্ষোভ আছে, যতটুকু মনে হয়েছে একটা হতাশা থেকে, জীবনের মুল্যবান তিনটা বছর ৩০ পারা কুরান মুখস্তে অনেকের ব্যয় হয়, তারপর দাওরা হাদীস ও ফিকাহ পড়ার নামে কারো কারো ছাত্র জীবন চলে যায়, চিল্লার নামে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ এমন একটা আহবানের প্রতি সাড়া দিতে পিঠে বোঝা নিয়ে বের হয়, যে আহবানের ভিত্তি মজবুত করতে এসবের কোন গবেষনাধর্মী কাজ তো দূরে থাক, যুক্তিভিত্তিক আলোচনায় ও অক্ষম।
আপনি ইস্লামের রাজনৈতিক দিকের সাথে পরিচিত হলে জানবেন যে এ আয়াত গুল তারা কত ভয়াবহ ভাবে ব্যাখ্যা করে, আয়াতের নানা রকম ইন্টারপ্রিটেশন করে ফরজ না এমন একটা বিষয়কে ফরজ বানিয়ে মানুষের উপর চাপিয়ে দিবে এবং নিজের মত প্রাধান্য দিতে গিয়ে আরেকজনের মত কে কিভাবে ছুড়ে ফেলে। একজনকে ব্যংকিং ব্যাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম যে এটি কি ইস্লামে স্বীকৃ্ত? মুস্লিম্রা আবিস্কার করেছে? সে আমাকে বলল যে না, তবে ইস্লামে যুগের প্রয়োজনে ভাল কিছুকে গ্রহন করার অনুমতি আছে, জিজ্ঞেস করলাম ভাল মন্দের মানদন্ড কে নির্ধারন করবে, সে বল্ল ইজমা, তাহলে তো সেই একি কথা দাড়াল, মানুষ তার প্রয়োজনে নতুন ব্যবস্থা তৈরী করছে।
আমার জ্ঞানের স্তর অনেক নিচুতে, তাই এত প্রশ্ন জাগে, বিজ্ঞান নিয়ে আলচনায় আমি কোন মন্তব্য করিনা, কারন আমার জ্ঞান নাই, তাই প্রশ্ন করার ক্ষমতাও নাই।
আরেকটা প্রশ্ন না করে পারছিনা, ঠাকু মার ঝুলিতে তো গল্পের অভাব নাই, আল্লাহর ঝুলিতে কি গল্পের এতই অভাব ছিল যে বাইবেল থেকে গল্প ধার করতে হল, আসুন আমরা গবেষনা করি যে কুরানে এমন কোন ইতিহাস আছে কিনা যা ভারতের কোন পৌরণিক কাহিনী থেকে নেয়া হয়েছে, তাহলে অন্তত বুঝা যাবে যে এটি আরব ভুখন্ড অতিক্রম করতে পেড়েছে।
@আনাস,
ধর্ম অক্ষরে অক্ষরে মানতে গেলে আত্মপ্রতারনা ছাড়া কোন গতি নেই।
১০০% ধর্মের ভিত্তিতে সমাজ চালাবার স্বপ্ন যারা দেখেন এবং মনে প্রানে বিশ্বাস করেন তাদের আমি একটা কথা সবসময় জিজ্ঞাসা করি যার কোন যুক্তিসংগত উত্তর কখনোই পাওয়া যায় না।
প্রশ্নটাঃ কোরান সব যুগে সব দেশের মানুষদের পক্ষে কি ১০০% মেনে চলা সম্ভব?
উত্তর অত অবধারিতভাবেই হ্যা সম্ভব। কিভাবে? এখানেই মজা। কারন যারা উত্তর দেন তাদের শতকরা ৯০% পুরো কোরান নিজ ভাষাতেই পড়েননি। আরবীতে কোরান খতম করেছেন, কিছু সূরার বাংলা পড়েছেন।
এরপর যদি কিছু আয়াত কোট করে বলি যে এগুলি কিভাবে এই যুগে খাটে তখনই ঘটে বিপত্তি। আপনার ধর্ম বিশ্বাস কি? কাদের দালালী করেন হেনতেন।
আর যারা অপেক্ষাকৃত নরম মেজাজের তারা কোন জ্ঞানী ব্যক্তির বই রেফার করে দায় সেরে ফেলেন।
“তবে ইস্লামে যুগের প্রয়োজনে ভাল কিছুকে গ্রহন করার অনুমতি আছে, জিজ্ঞেস করলাম ভাল মন্দের মানদন্ড কে নির্ধারন করবে, সে বল্ল ইজমা, তাহলে তো সেই একি কথা দাড়াল, মানুষ তার প্রয়োজনে নতুন ব্যবস্থা তৈরী করছে।”
– এই সোজা কথাটা নিজেরাও তারা ভাল করেই জানেন, বোঝেন ও পালন করেন কিন্তু সরাসরি স্বীকার করবেন না। এখানেই মেজাজ খারাপ লাগে।
@আনাস,
মন্তব্য তো অনেক হলো, এবার একটি পূর্ণাংগ লেখা আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি।
অফ টপিক কিছু কথা-
আমার কী-বৌর্ড থেকে মুসলিম বানান লিখি এরকম-
মুসলিম musolim মুসলিমরা musolimora মুসলিমদের musolimoder
ভাল থাকুন।
@আকাশ মালিক,
আমার লিখাতো ভাল না, কখনো তেমন একটা লিখিনি, যা কথা লিখি সেগু্ল মুলত বন্ধুবান্ধবদের সাথে অথবা পূর্বেকার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সাথে আলোচনায় আমার চিন্তার প্রতিফলন ও প্রশ্ন মাত্র। অন্য কেউ যদি কোন বিষয় উল্লেখ করে দেয়, তাহলে মাঝে মাঝে কিছু চেস্টা করেছি। মুক্তমনায় লিখার মতন যোগ্যতাও আমার নাই।
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, “আপনি” করে সম্বোধন না করলেই ভাল লাগবে, বয়সে আমি সাইফুল ভাই এর থেকেও ছোট। (সবার প্রতি এ অনুরোধ রইল)
আপনারও ভাল কামনা করছি।
@প্রিয় আনাস,
আপনার মন্তব্য খুবই ভালো লাগলো। আচ্ছা নর্থ সাউথ, ইটিইতে পড়েন আপনি। আমি কী আপনাকে চিনি?