তার সৌন্দর্য তার চঞ্চলতাতেই…
আব্দুল্লাহ-আল-মামুন

রাত জেগে আড্ডা মারার অভ্যাস আমার বহু পুরোনো।
সেদিন ও ঘুম থেকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে ক্লাস এর দিকে যাচ্ছি,
হঠাত থমকে দাড়ালাম!
আস্মভব সুন্দর ভংগিমায় দ্রুত পায়ে আসছে এক
আসহ্য সুন্দর নারী প্রতিমা।
সেই থেকে শুরু। এখন ও তাকে,তার চঞ্চলতাকে,
তার মধুর শাষণের মায়াবী ভালোবাসাকে,
আমি দেখেই চলেছি।
কিন্তু বিশ্বাস করুন ! আমি বহুবার খুজেছি আসলে আমি কেন ভালবাসি,কি ভালবাসি।
আমার ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যায় শিক্ষিত মণ, বহু যুক্তি তর্ক আর সমীকরণ দাড় করিয়েছে,
কিন্তু যখন সে এসে আমাকে মিষ্টি হেসে বলে,
দুপুরের খাবার খেয়েছ?…
মুহুর্তে খান খান হয়ে যায় সমস্ত যুক্তি,
মনে হয় আমার জন্যেই আল্লাহ তাকে স্রষ্টি করেছেন,
সে ছাড়া আমার যে কোনো আস্তিতই থাকে না!
জানেন, আমি তার এলো চুলগুলো খুব ভালবাসি,
কিন্তু তার চাইতেও বেশি ভালবাসি-
যখন দুষ্টু বাতাস এসে তার চুলগুলোর গায়ে আছড়ে পড়ে, কিম্বা
যখন, স্নান শেষে, আমার দিকে পিছন ফিরে গামছা দিয়ে চুল ঝাড়ে।
আমি তার নিস্পাপ ঠোটগুলাকে খুব খুব ভালবাসি, কিন্তু
তার চাইতে ও বেশি ভালবাসি,
যখন তার ঠোট চিরে ভুবন ভোলানো নিস্পাপ হাসি
আমার কানকে, সেই চির চেনা স্বস্তি দেয়,
আমাকে বাচতে বলে।
কাশফুলের মত কোমল তার হাতদূটি আমার কাছে আরও সুন্দর, আরও মায়াবী মনে হয়,
যখন ঐ নিস্পাপ হাতে সে আমার মুখে খাবার তুলে দেয়,
দু হাতে জড়িয়ে,তার আন্তর নিংড়ানো ভালোবাসার
শেষবিন্দুটি দিয়ে আমাকে ভালবাসে।
আমার যুক্তিবাদী মণ আজও খুজে পায় নি, আমি আসলে তার
কি ভালবাসি,কেন ভালবাসি।
তবে কদিন ধরে মনে হচ্ছে, আমি আসলে তার
চঞ্চলতা, তার আবেগী নিস্পাপ ভালোবাসার মধুর শাষণে মাখা প্রেমকে ভালবাসি।
তার সৌন্দর্য আসলে তার চঞ্চলতাতে,তার সৌন্দর্য তার নিস্পাপ ভালোবাসাতে,
আমি আসলে তার সৌন্দর্যকেই ই ভালবাসি।