শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার ২০০৯ পেলেন বাংলাদেশের কবি রহমান হেনরী। তিনি নব্বই দশকের একজন উজ্জ্বল কবি। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সংখ্যা ১০। তাছাড়া ২০০৮ সালে বেরিয়েছে শ্রেষ্ঠ কবিতা। ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস সন্ধ্যায় নিউইয়র্কস্থ শব্দগুচ্ছ অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশিষ্ট গবেষক, নিউস্কুল ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর, ড. নিকোলাস বার্নস এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “রহমান হেনরীর কবিতার সাথে আমি পরিচিত, তিনি উত্তরাধুনিক কবিতায় একজন গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ।” পুরস্কার ঘোষণার আগে শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ বলেন, “সুস্থ কবিতার ধারা তৈরীর লক্ষ্যে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।” এ বছরের পাঁচ নমিনির সংক্ষিত পরিচিতি তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবিদেরও পুরস্কৃত করার বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মূলত পুরস্কার ঘোষণা ও ৩৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ, সঙ্গীত ও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় আরো অংশ নেন নাজনীন সীমন, আব্দুল ফাত্তাহ, আনিসুর রহমান অপু ও আবু রায়হান। ২০১০ এর ফেব্র“য়ারীতে ঢাকায় বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রহমান হেনরীর হাতে পুরস্কারের ২০০ ডলার ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য শব্দগুচ্ছ কবিতা পত্রিকা কর্তৃক এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০০১ সালে। তখন থেকে প্রতি দু’বছর পরপর পত্রিকায় প্রকাশিত কবিদের ভেতর থেকে প্রথমে পাঁচজনকে নমিনি করে সেখান থেকে বিচারকদের ভোটে একজনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর নমিনি ছিলেন অনুরাধা মহাপাত্র (ভারত), আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ (অস্ট্রেলিয়া), জাহানারা পারভীন (বাংলাদেশ), রহমান হেনরী (বাংলাদেশ) ও শম্ভু রক্ষিত (ভারত)। ইতিপূর্বে যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা হলেন রুকসানা রূপা (২০০১), বায়তুল্লাহ্ কাদেরী (২০০৩), প্রবীর দাস (২০০৫) ও নাজনীন সীমন (২০০৭)। এ বছর নমিনি নির্বাচন ও পুরস্কার চূড়ান্ত করার বিভিন্ন পর্যায়ে যারা সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন, বিশেষ করে শব্দগুচ্ছের নিয়মিত গ্রাহক, সম্পাদক মণ্ডলী ও বিচারক পর্যায়ে আমন্ত্রিত কবি-লেখক, তাদের সবাইকে শব্দগুচ্ছ’র পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।