সেই বীর ভারতীয় বৈমানিকেরা।

সেই বীর ভারতীয় বৈমানিকেরা।

বিধ্বস্ত হচ্ছে পাক স্যাবর জেট।

বিধ্বস্ত হচ্ছে পাক স্যাবর জেট।

ল্যাজারাসের বিমানের ক্যামেরা থেকে তোলা পাক বিমানের গোলা হানার মুহুর্ত।

ল্যাজারাসের বিমানের ক্যামেরা থেকে তোলা পাক বিমানের গোলা হানার মুহুর্ত।

ধৃত আরেক পাক পাইলট পারভেজ কোরেশী

ধৃত আরেক পাক পাইলট পারভেজ কোরেশী

ধৃত পাক পাইলট খলিল

ধৃত পাক পাইলট খলিল

তিন ভারতীয় বীর বৈমানিক; বা থেকে মেসি, গণপতি, ও ল্যাজারাস।

তিন ভারতীয় বীর বৈমানিক; বা থেকে মেসি, গণপতি, ও ল্যাজারাস।

আমরা সবাই জানি যে ভারত-পাকিস্তান সরকারীভাবে ৩রা ডিসেম্বর ৭১ এ যুদ্ধ শুরু করার পর মাত্র ১৪ দিনের মাথায়ই পাক বাহিনী আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ-ভারতের মিলিত মিত্র বাহিনী আকারে পাক বাহিনী থেকে বড় হলেও পাক বাহিনীর এত দ্রুত পরাজয় অনেক সমরবিদকেই বিস্মিত করেছিল। এটা পরিষ্কার যে পাক বাহিনী আসলে মনোবল সম্পুর্ন হারিয়ে ফেলেছিল, নয়ত তারা চাইলে লড়াই আরো বেশ দীর্ঘায়িত করতে পারত। পাক বাহিনীর এই ভগ্ন মনোবলের পেছনে সবচেয়ে বড় কারন ছিল মুক্তিবাহিনীর কমান্ডো কায়দার হামলায় তারা ছিল অত্যন্ত ক্লান, তাছাড়া বাংলাদেশের আপামর জণতা ছিল তাদের বিপক্ষে। তবে এছাড়াও বিশুদ্ধ সামরিক দিক দিয়ে আরেকটি বড় কারন ছিল যুদ্ধের প্রথম প্রহরেই ভারতীয় বিমান বাহিনী বাংলাদেশের আকাশে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে ফেলে। ফলে পাক বাহিনী শত্রু ভূখন্ডে হয়ে পড়ে অনেকটা বিচ্ছিন্ন। পশ্চীম পাকিস্তান থেকে তাদের আর কোনই সাহায্য আসার পথ থাকে না, এদিকে তাদের সেনাবাহিনীও বিমান বাহিনীর সাপোর্ট সম্পূর্ন হারিয়ে ফেলে। বিশাখাপট্টমের অদুরে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের ততকালীন একমাত্র সাবমেরিন গাজী ডুবিয়ে দেওয়ায় নৌপথেও পাক বাহিনী হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন। আজ ৭১ এর একটি স্মরনীয় বিমান যুদ্ধের কথা আপনাদের বলব।

ঘটনাস্থল যশোরের অদূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বয়রা সেক্টর। সীমান্ত এলাকাগুলিতে ৩রা ডিসেম্বর যুদ্ধ শুরু হবার আগে থেকেই পাকিস্তানী ও ভারতীয় বাহিনী খন্ড খন্ড সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। প্রায়ই দুরপাল্লার আর্টিলারী কামানের সহায়তায় একে অপরের নীমানায় কিছুদুর ঢুকে পড়ত। বয়রা সীমান্তেও নভেম্বর মাস জুড়েই এমন কিছু দখল পালটা দখল চলে আসছিল। ২১শে নভেম্বর ভারতীয় ১৪ পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ন ও মুক্তিবাহীনীর একটি দল ১৪টি পিটি-৭৬ ট্যাঙ্কের সহায়তায় ঢুকে পড়ে পাক অধিকৃত বাংলার এলাকায়। ধারনা করা হয়েছিল যে এই ব্যাপক হামলা হবে পাক বাহিনীর জন্য একটু বড় বিস্ময়। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পাক বাহীনী আগে থেকেই এমন হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা আগে থেকেই আরো বেশী শক্তিসম্পন্ন তাদের ১০৭ পদাতিক ব্রিগেড আর (একটি ব্রিগেড ৩/৪ টি ব্যাটেলিয়নের সমান) বেশ কিছু সেসময়কার অত্যাধুনিক মার্কিন এম-২৪ ট্যাংকসহ ঐ এলাকায় প্রস্তুত রেখেছিল। শক্তির বিচারে পাক বাহিনীই এগিয়ে। মিত্র বাহিনীর পরাজয় সময়ের ব্যাপার।

কিন্তু দুর্ধষ ভারতীয় পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ন ছিল অদম্য। তারা রুখে দাড়ায় এ অসম লড়াই এ। শক্তির অসমতা আচ করতে পেরে তারা আগে পদাতিক বাহিনীর আক্রমনে না গিয়ে রক্ষনাত্মক কিছু গোপন পজিশনে তাদের রিকয়েললেস রাইফেল (ট্যাক বিধ্বংসী কামান) ফিট করে। এরপর কিছু ট্যাংক এলোপাথাড়ি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানী ট্যাংক বাহিনীকে টোপ দিয়ে ফাদে ফেলার জন্য। সকালের ঘন কূয়ায়াশায় কাজ আরো সহজ হয়ে পড়ে। পরবর্তি ২ ঘন্টায় পাক বাহিনী অনেকটা অন্ধের মত হামলা চালাতে থাকে কোন ফলাফল ছাড়াই। এরপর ভারতীয় ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী তাদের সুরক্ষিত অবস্থান থেকে শুরু করে পালটা হামলা। দুপুরের মধ্যেই মাত্র ছয়টি ভাতীয় ট্যাংকের বিনিময়ে ১১টি পাক ট্যাঙ্ক বিধ্বস্ত হয়, ৩ টি হয় সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ভারতীয়দের হস্তগত। পাক পদাতিক বাহিনীও হয় চরমভাবে পর্যুদস্ত। যুদ্ধ গড়িয়ে যায় দ্বিতীয় দিনে। এসময় আর এটে উঠতে না পেরে পাক বাহিনীর কমান্ডার ঢাকায় জরূরী বিমান সাহায্যের আবেদন জানায়। শুরু হয় ৭১ এর প্রথম ও একটি স্মরনীয় বিমান যুদ্ধের।
ভারতীয় রাডারে পাক বিমানের উপস্থিতি ২২শে নভেম্বর সকাল ৮:১১ মিনিটে ধরা পড়লেও ভারতীয় বিমান ধাওয়া করার আগেই তারা নিরাপদে নিজেদের মুক্ত সীমানায় পালিয়ে যায়। পাক বাহিনীর দ্বিতীয় বিমান হামলা শুরু হয় বেলা ১০:২৮ মিনিটে। এবারও পাকিস্তানী বিমাঙ্গুলি সফল ব্বহাবেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই সাফল্যে উল্লসিত ৪টি পাক স্যাবর জেট আবারো দুপুর ৩ টার দিকে হামলা শুরু করে মিত্র বাহিনীর অবস্থানের উপর। তবে এইবার আর ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি।

ভারতীয় রাডারে ফ্লাইং অফিসার বাগচী আবারো বেলা ২:৪৮ মিনিটে উত্তর পশ্চীম গামী মাত্র ২০০০ ফুট উচ্চতায় ৪টি পাক স্যাবর জেট সনাক্ত করতে পারেন। এর মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই দমদম ঘাটি থেকে ৪টি ভারতীয় ন্যাট যুদ্ধবিমান তাদের মোকাবেলায় আকাশে ওড়ে। শক্তির বিচারে ভারতীয় ন্যাট বিমানের তূলনায় পাক স্যাবর জেট উন্নতর। ভারতীয় বিমান বহরের ৪ জন পাইলটই ছিলেন বয়সে অত্যন্ত তরুন। দলনেতা ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট এন্ড্রু মেসি। তার সাথে আছেন আরেক ফ্লাইট লেফট্যানেট মন্দাপাদু গনপতি, ফ্লাইং অফিসার সোয়ারেজ ও ডোনাল্ড ল্যাজারাস। পাক স্যাবরের নিকবর্তী হওয়ায় আগেই প্রচলিত ডগ ফাইটের কায়দায় শত্রূ বিমান বহরকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে মেসি তার ৪ টি বিমানকে ২ ভাগে বিভক্ত করে ফেলেন। প্রথম ভাগে থাকে দলপতি মেসি ও ফ্লাইং অফিসার সোয়ারেজের দুটি ন্যাট বিমান। পেছনে অবস্থান নেন গনপতি ও ল্যাজারাসের অপর দুইটি ন্যাট।

ভারতীয় বিমান বহরের এই বিভা্জন দেখে ২টি পাক স্যাবর জেটও বিভক্ত হয়ে মূল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কিছুটা দূরে রক্ষনাত্মক অবস্থানে চলে যায়, এবং ভুল করে তারা ঠিক গণপতি ও ল্যাজারাসের বহরের সামনে গিয়ে পড়ে। ভারতীয় পাইলটদের সামনে মোক্ষম সুযোগ। গনপতি ল্যাজারাসকে রেডিও ম্যাসেজ দিলেন “মার্ডার মার্ডার মার্ডার”। দুই পাইলটই সময় নষ্ট না করে তাদের কামানের শেল রিলিজ করে দিলেন। দুটি শেলই নিখুতভাবে দুইটি পাক স্যাবর জ়েটকে আঘাত হানল, বিমান দুটি মুহুর্তেই হয়ে উঠল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। উল্লসিত ল্যাজারাস চেচিয়ে উঠলেন “আই গট হিম, আই গট হিম”। এ অবস্থায় দুই পাক পাইলট পারভেজ মেহদী কোরেশী ও খলিল আহমেদের বিমানের মায়া ত্যাগ করে বেইল আউট করা ছাড়া আর কোন গতি থাকল না। তারা প্যারাসুট খুলে জীবন বাচাতে সক্ষম হলেও বনগায়ের অদুরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধৃত হয়। দুই পাক বিমানের ভগ্নাংশও পড়ে ভারতীয় সীমানার ভেতরে।

এ সময় একটি পাক স্যাবর দলপতি মেসির বিমানের পেছনে অত্যন্ত বিপদজঙ্ক অবস্থানে চলে আসে। বিপদ আচ করতে পেরে ল্যাজারাস দ্রুত ফর্মেশন ভেঙ্গে পালটা হুমকি হিসেবে সেই স্যাবরের পেছনে চলে যান। ফলে পাক বিমানকে পিছু হটে যেতে হয়, দলপতি মেসির বিমান হয় বিপদমুক্ত।

এদিকে দলপতি মেসি মুখোমুখি সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হলেন আরেক পাক স্যাবর জেটের সাথে যার পাইলট উইং কমান্ডার চৌধূরী। মেসীর বিমান সামনাসামনি দেখে চৌধুরী তার বিমানকে সুবিধাজনক আক্রমনাত্মক অবস্থানে নিতে শুরু করে উপরে তোলা। ফলে মেসির সামনেও একই পথ অবলম্বন করা ছাড়া আর উপায় রইল না। তিনিও শুরু করলেন খাড়াভাবে উপরে ওঠা। এ সময়ই পাক পাইলট চৌধুরী মেসির বিমান লক্ষ করে শেল ছোড়ে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মেসিও মাত্র ৭০০ গজ দূর থেকে পালটা শেল ছোড়েন এবং তার শেল চৌধুরীর স্যাবরের পোর্ট উইং এ আঘাত হানে। চৌধূরী আহত স্যাবর নিয়ে পাকিস্তানী সীমানার দিকে পালাতে থাকেন, পিছু নেন মেসি। এসময় দূর্ভ্যগ্যবশত মেসির বিমানের কামান অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি উপলব্ধি করেন যে তিনি পাক আকাশ সীমানায় অনেকটা ঢুকে পড়েছেন। ফলে তাকে ধাওয়া করা বাদ দিয়ে নিজেদের ঘাটির দিকে ফিরে যেতে হয়। পাক পাইলট চৌধূরী অবশ্য নৈপুন্য দেখিয়ে মারাত্নকভাবে আহত স্যাবর জেট নিয়ে সফলভাবে ঢাকার তেজগাও ঘাটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। সে একটি ভারতীয় ন্যাট বিমান ঘায়েলের দাবী করলেও পরে সেটা ভুল প্রমানিত হয়, কারন আক্রমনে অংশ নেওয়া ৪টি ভারতীয় ন্যাট বিমানই সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ঘাটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। বয়রার যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে বিস্ময়করভাবে মাত্র একটি ভারতীয় ব্যাটেলিয়ন ও মুক্তিবাহিনীর কাছে পুরো এক পাক ব্রিগেড পরাজিত হয়।

এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪ জন ভারতীয় পাইলটকেই দেওয়া হয় বীর চক্র। ঘাটির ফ্লাইট কন্ট্রোলার ফ্লাইং অফিসার বাগচী পান বায়ু সেনা মেডেল। ঘটনার পরদিনই ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান সি দেওয়ান দমদম ঘাটিতে গিয়ে এই ৪ বৈমানিক ও গ্রাঊন্ড কন্ট্রোলার বাগচীকে অভিনন্দিত করেন। এন্ড্রু মেসি পরে ২২৪ স্কোয়াড্রনের কমান্ডার হন। কিন্তু ৮৩ সালে একটি বিমান মহড়ার সময় এক বিমান দূর্ঘটনায় তার অকাল মৃত্যু হয়। গনপতির জীবনও দূ;খজনকভাবে তেমন দীর্ঘ হয়নি। ৭৬ সালে তিনি পারিবারিক জটিলতায় মানসিক অবসন্নতার কারনে আত্মহত্যা করেন। ডোনাল্ড ল্যাজারাস ১০২ স্কোয়াড্রনের কমান্ডার হন এবং ভারতের টপ সিক্রেট মিগ-২৫ চালনার দায়িত্ব পান। তবে তিনিও এয়ার কমোডর হয়ে বিমান বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফিরে যান তার জন্মস্থান গুজরাটের কুনরে, একটি খ্রীষ্টান মিশনারি সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে নিয়োজিত হন দরিদ্র ও এতিম শিশুদের সেবা প্রকল্পে। এই মহান যোদ্ধা এখনো এই মানব সেবামূলক প্রকল্পেই নিয়োজিত আছেন।

ঘটনাচক্রে এই স্মরনীয় বিমানযুদ্ধের ২৫ বছর পরে আবারো দুই প্রতিপক্ষ বৈমানিকের মোকাবেলা হয়। তবে এবার আর কোন তিক্ততার মাঝে নয়। যুদ্ধের পর দুদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধরা পড়া পাক পাইলট পারভেজ কোরেশী ও খলিল আহমেদও ফিরে যায় পাকিস্তানে। পারভেজ কোরেশী ৯৬ সালে পাক বিমান বাহিনীর প্রধান হন। এ খবর ডন ল্যাজারাস পেয়ে পারভেজ কোরেশীকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লেখেন। এ চিঠিতে তিনি কোরেশীকে অভিনন্দন জানান ও স্মরন করিয়ে দেন যে তাদের দুজনের মোলাকাত হয়েছিল ২৫ বছর আগে মধ্য আকাশে। তিনি এ চিঠির কোন জবাব আশা করেননি। তাকে কিছুটা বিস্মিত করেই পারভেজ কোরেশীর একজন ষ্টাফ অফিসার এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি চিঠি দেন, সেখানে তাকে অভিনন্দনের জন্য জন্য বিমান বাহিনী প্রধান কোরেশীর তরফ থেকে ধণ্যবাদ জানানো হয়। ল্যাজারাস ধরে নিয়েছিলেন এখানেই এই চিঠি চালাচালি মনে হয় শেষ। কিন্তু তাকে আরো বিস্মিত করে এরপ্র স্বয়ং পাক বিমান বাহিনী প্রধান কোরেশী সরাসরি আরেকটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি ৭১ এর সেদিন বয়রার আকাশে ভারতীয় বৈমানিকদের কৃতিত্ত্ব শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন। ল্যাজারাস আজো সেই চিঠি সযত্নে রেখে দিয়েছেন।
২০০৬ সালে ল্যাজারাসের ৬০ তম জন্মদিনে তার সম্মানে একটি ভিডিও তৈরী হয়ঃ

httpv://www.youtube.com/watch?v=CEMw4sb7O1M

(লেখাটি অত্যন্ত তাড়াহুড়ায় আজকে অফিস ফাকি মেরে লেখা, কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি চোখে পড়লে ধরিয়ে দেবেন)