আমরা সবাই জানি যে ভারত-পাকিস্তান সরকারীভাবে ৩রা ডিসেম্বর ৭১ এ যুদ্ধ শুরু করার পর মাত্র ১৪ দিনের মাথায়ই পাক বাহিনী আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ-ভারতের মিলিত মিত্র বাহিনী আকারে পাক বাহিনী থেকে বড় হলেও পাক বাহিনীর এত দ্রুত পরাজয় অনেক সমরবিদকেই বিস্মিত করেছিল। এটা পরিষ্কার যে পাক বাহিনী আসলে মনোবল সম্পুর্ন হারিয়ে ফেলেছিল, নয়ত তারা চাইলে লড়াই আরো বেশ দীর্ঘায়িত করতে পারত। পাক বাহিনীর এই ভগ্ন মনোবলের পেছনে সবচেয়ে বড় কারন ছিল মুক্তিবাহিনীর কমান্ডো কায়দার হামলায় তারা ছিল অত্যন্ত ক্লান, তাছাড়া বাংলাদেশের আপামর জণতা ছিল তাদের বিপক্ষে। তবে এছাড়াও বিশুদ্ধ সামরিক দিক দিয়ে আরেকটি বড় কারন ছিল যুদ্ধের প্রথম প্রহরেই ভারতীয় বিমান বাহিনী বাংলাদেশের আকাশে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে ফেলে। ফলে পাক বাহিনী শত্রু ভূখন্ডে হয়ে পড়ে অনেকটা বিচ্ছিন্ন। পশ্চীম পাকিস্তান থেকে তাদের আর কোনই সাহায্য আসার পথ থাকে না, এদিকে তাদের সেনাবাহিনীও বিমান বাহিনীর সাপোর্ট সম্পূর্ন হারিয়ে ফেলে। বিশাখাপট্টমের অদুরে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের ততকালীন একমাত্র সাবমেরিন গাজী ডুবিয়ে দেওয়ায় নৌপথেও পাক বাহিনী হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন। আজ ৭১ এর একটি স্মরনীয় বিমান যুদ্ধের কথা আপনাদের বলব।
ঘটনাস্থল যশোরের অদূরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বয়রা সেক্টর। সীমান্ত এলাকাগুলিতে ৩রা ডিসেম্বর যুদ্ধ শুরু হবার আগে থেকেই পাকিস্তানী ও ভারতীয় বাহিনী খন্ড খন্ড সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। প্রায়ই দুরপাল্লার আর্টিলারী কামানের সহায়তায় একে অপরের নীমানায় কিছুদুর ঢুকে পড়ত। বয়রা সীমান্তেও নভেম্বর মাস জুড়েই এমন কিছু দখল পালটা দখল চলে আসছিল। ২১শে নভেম্বর ভারতীয় ১৪ পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ন ও মুক্তিবাহীনীর একটি দল ১৪টি পিটি-৭৬ ট্যাঙ্কের সহায়তায় ঢুকে পড়ে পাক অধিকৃত বাংলার এলাকায়। ধারনা করা হয়েছিল যে এই ব্যাপক হামলা হবে পাক বাহিনীর জন্য একটু বড় বিস্ময়। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পাক বাহীনী আগে থেকেই এমন হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা আগে থেকেই আরো বেশী শক্তিসম্পন্ন তাদের ১০৭ পদাতিক ব্রিগেড আর (একটি ব্রিগেড ৩/৪ টি ব্যাটেলিয়নের সমান) বেশ কিছু সেসময়কার অত্যাধুনিক মার্কিন এম-২৪ ট্যাংকসহ ঐ এলাকায় প্রস্তুত রেখেছিল। শক্তির বিচারে পাক বাহিনীই এগিয়ে। মিত্র বাহিনীর পরাজয় সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু দুর্ধষ ভারতীয় পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ন ছিল অদম্য। তারা রুখে দাড়ায় এ অসম লড়াই এ। শক্তির অসমতা আচ করতে পেরে তারা আগে পদাতিক বাহিনীর আক্রমনে না গিয়ে রক্ষনাত্মক কিছু গোপন পজিশনে তাদের রিকয়েললেস রাইফেল (ট্যাক বিধ্বংসী কামান) ফিট করে। এরপর কিছু ট্যাংক এলোপাথাড়ি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানী ট্যাংক বাহিনীকে টোপ দিয়ে ফাদে ফেলার জন্য। সকালের ঘন কূয়ায়াশায় কাজ আরো সহজ হয়ে পড়ে। পরবর্তি ২ ঘন্টায় পাক বাহিনী অনেকটা অন্ধের মত হামলা চালাতে থাকে কোন ফলাফল ছাড়াই। এরপর ভারতীয় ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী তাদের সুরক্ষিত অবস্থান থেকে শুরু করে পালটা হামলা। দুপুরের মধ্যেই মাত্র ছয়টি ভাতীয় ট্যাংকের বিনিময়ে ১১টি পাক ট্যাঙ্ক বিধ্বস্ত হয়, ৩ টি হয় সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ভারতীয়দের হস্তগত। পাক পদাতিক বাহিনীও হয় চরমভাবে পর্যুদস্ত। যুদ্ধ গড়িয়ে যায় দ্বিতীয় দিনে। এসময় আর এটে উঠতে না পেরে পাক বাহিনীর কমান্ডার ঢাকায় জরূরী বিমান সাহায্যের আবেদন জানায়। শুরু হয় ৭১ এর প্রথম ও একটি স্মরনীয় বিমান যুদ্ধের।
ভারতীয় রাডারে পাক বিমানের উপস্থিতি ২২শে নভেম্বর সকাল ৮:১১ মিনিটে ধরা পড়লেও ভারতীয় বিমান ধাওয়া করার আগেই তারা নিরাপদে নিজেদের মুক্ত সীমানায় পালিয়ে যায়। পাক বাহিনীর দ্বিতীয় বিমান হামলা শুরু হয় বেলা ১০:২৮ মিনিটে। এবারও পাকিস্তানী বিমাঙ্গুলি সফল ব্বহাবেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই সাফল্যে উল্লসিত ৪টি পাক স্যাবর জেট আবারো দুপুর ৩ টার দিকে হামলা শুরু করে মিত্র বাহিনীর অবস্থানের উপর। তবে এইবার আর ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি।
ভারতীয় রাডারে ফ্লাইং অফিসার বাগচী আবারো বেলা ২:৪৮ মিনিটে উত্তর পশ্চীম গামী মাত্র ২০০০ ফুট উচ্চতায় ৪টি পাক স্যাবর জেট সনাক্ত করতে পারেন। এর মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই দমদম ঘাটি থেকে ৪টি ভারতীয় ন্যাট যুদ্ধবিমান তাদের মোকাবেলায় আকাশে ওড়ে। শক্তির বিচারে ভারতীয় ন্যাট বিমানের তূলনায় পাক স্যাবর জেট উন্নতর। ভারতীয় বিমান বহরের ৪ জন পাইলটই ছিলেন বয়সে অত্যন্ত তরুন। দলনেতা ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট এন্ড্রু মেসি। তার সাথে আছেন আরেক ফ্লাইট লেফট্যানেট মন্দাপাদু গনপতি, ফ্লাইং অফিসার সোয়ারেজ ও ডোনাল্ড ল্যাজারাস। পাক স্যাবরের নিকবর্তী হওয়ায় আগেই প্রচলিত ডগ ফাইটের কায়দায় শত্রূ বিমান বহরকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে মেসি তার ৪ টি বিমানকে ২ ভাগে বিভক্ত করে ফেলেন। প্রথম ভাগে থাকে দলপতি মেসি ও ফ্লাইং অফিসার সোয়ারেজের দুটি ন্যাট বিমান। পেছনে অবস্থান নেন গনপতি ও ল্যাজারাসের অপর দুইটি ন্যাট।
ভারতীয় বিমান বহরের এই বিভা্জন দেখে ২টি পাক স্যাবর জেটও বিভক্ত হয়ে মূল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কিছুটা দূরে রক্ষনাত্মক অবস্থানে চলে যায়, এবং ভুল করে তারা ঠিক গণপতি ও ল্যাজারাসের বহরের সামনে গিয়ে পড়ে। ভারতীয় পাইলটদের সামনে মোক্ষম সুযোগ। গনপতি ল্যাজারাসকে রেডিও ম্যাসেজ দিলেন “মার্ডার মার্ডার মার্ডার”। দুই পাইলটই সময় নষ্ট না করে তাদের কামানের শেল রিলিজ করে দিলেন। দুটি শেলই নিখুতভাবে দুইটি পাক স্যাবর জ়েটকে আঘাত হানল, বিমান দুটি মুহুর্তেই হয়ে উঠল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। উল্লসিত ল্যাজারাস চেচিয়ে উঠলেন “আই গট হিম, আই গট হিম”। এ অবস্থায় দুই পাক পাইলট পারভেজ মেহদী কোরেশী ও খলিল আহমেদের বিমানের মায়া ত্যাগ করে বেইল আউট করা ছাড়া আর কোন গতি থাকল না। তারা প্যারাসুট খুলে জীবন বাচাতে সক্ষম হলেও বনগায়ের অদুরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধৃত হয়। দুই পাক বিমানের ভগ্নাংশও পড়ে ভারতীয় সীমানার ভেতরে।
এ সময় একটি পাক স্যাবর দলপতি মেসির বিমানের পেছনে অত্যন্ত বিপদজঙ্ক অবস্থানে চলে আসে। বিপদ আচ করতে পেরে ল্যাজারাস দ্রুত ফর্মেশন ভেঙ্গে পালটা হুমকি হিসেবে সেই স্যাবরের পেছনে চলে যান। ফলে পাক বিমানকে পিছু হটে যেতে হয়, দলপতি মেসির বিমান হয় বিপদমুক্ত।
এদিকে দলপতি মেসি মুখোমুখি সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হলেন আরেক পাক স্যাবর জেটের সাথে যার পাইলট উইং কমান্ডার চৌধূরী। মেসীর বিমান সামনাসামনি দেখে চৌধুরী তার বিমানকে সুবিধাজনক আক্রমনাত্মক অবস্থানে নিতে শুরু করে উপরে তোলা। ফলে মেসির সামনেও একই পথ অবলম্বন করা ছাড়া আর উপায় রইল না। তিনিও শুরু করলেন খাড়াভাবে উপরে ওঠা। এ সময়ই পাক পাইলট চৌধুরী মেসির বিমান লক্ষ করে শেল ছোড়ে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মেসিও মাত্র ৭০০ গজ দূর থেকে পালটা শেল ছোড়েন এবং তার শেল চৌধুরীর স্যাবরের পোর্ট উইং এ আঘাত হানে। চৌধূরী আহত স্যাবর নিয়ে পাকিস্তানী সীমানার দিকে পালাতে থাকেন, পিছু নেন মেসি। এসময় দূর্ভ্যগ্যবশত মেসির বিমানের কামান অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি উপলব্ধি করেন যে তিনি পাক আকাশ সীমানায় অনেকটা ঢুকে পড়েছেন। ফলে তাকে ধাওয়া করা বাদ দিয়ে নিজেদের ঘাটির দিকে ফিরে যেতে হয়। পাক পাইলট চৌধূরী অবশ্য নৈপুন্য দেখিয়ে মারাত্নকভাবে আহত স্যাবর জেট নিয়ে সফলভাবে ঢাকার তেজগাও ঘাটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। সে একটি ভারতীয় ন্যাট বিমান ঘায়েলের দাবী করলেও পরে সেটা ভুল প্রমানিত হয়, কারন আক্রমনে অংশ নেওয়া ৪টি ভারতীয় ন্যাট বিমানই সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ঘাটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। বয়রার যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে বিস্ময়করভাবে মাত্র একটি ভারতীয় ব্যাটেলিয়ন ও মুক্তিবাহিনীর কাছে পুরো এক পাক ব্রিগেড পরাজিত হয়।
এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪ জন ভারতীয় পাইলটকেই দেওয়া হয় বীর চক্র। ঘাটির ফ্লাইট কন্ট্রোলার ফ্লাইং অফিসার বাগচী পান বায়ু সেনা মেডেল। ঘটনার পরদিনই ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান সি দেওয়ান দমদম ঘাটিতে গিয়ে এই ৪ বৈমানিক ও গ্রাঊন্ড কন্ট্রোলার বাগচীকে অভিনন্দিত করেন। এন্ড্রু মেসি পরে ২২৪ স্কোয়াড্রনের কমান্ডার হন। কিন্তু ৮৩ সালে একটি বিমান মহড়ার সময় এক বিমান দূর্ঘটনায় তার অকাল মৃত্যু হয়। গনপতির জীবনও দূ;খজনকভাবে তেমন দীর্ঘ হয়নি। ৭৬ সালে তিনি পারিবারিক জটিলতায় মানসিক অবসন্নতার কারনে আত্মহত্যা করেন। ডোনাল্ড ল্যাজারাস ১০২ স্কোয়াড্রনের কমান্ডার হন এবং ভারতের টপ সিক্রেট মিগ-২৫ চালনার দায়িত্ব পান। তবে তিনিও এয়ার কমোডর হয়ে বিমান বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফিরে যান তার জন্মস্থান গুজরাটের কুনরে, একটি খ্রীষ্টান মিশনারি সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে নিয়োজিত হন দরিদ্র ও এতিম শিশুদের সেবা প্রকল্পে। এই মহান যোদ্ধা এখনো এই মানব সেবামূলক প্রকল্পেই নিয়োজিত আছেন।
ঘটনাচক্রে এই স্মরনীয় বিমানযুদ্ধের ২৫ বছর পরে আবারো দুই প্রতিপক্ষ বৈমানিকের মোকাবেলা হয়। তবে এবার আর কোন তিক্ততার মাঝে নয়। যুদ্ধের পর দুদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ধরা পড়া পাক পাইলট পারভেজ কোরেশী ও খলিল আহমেদও ফিরে যায় পাকিস্তানে। পারভেজ কোরেশী ৯৬ সালে পাক বিমান বাহিনীর প্রধান হন। এ খবর ডন ল্যাজারাস পেয়ে পারভেজ কোরেশীকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লেখেন। এ চিঠিতে তিনি কোরেশীকে অভিনন্দন জানান ও স্মরন করিয়ে দেন যে তাদের দুজনের মোলাকাত হয়েছিল ২৫ বছর আগে মধ্য আকাশে। তিনি এ চিঠির কোন জবাব আশা করেননি। তাকে কিছুটা বিস্মিত করেই পারভেজ কোরেশীর একজন ষ্টাফ অফিসার এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি চিঠি দেন, সেখানে তাকে অভিনন্দনের জন্য জন্য বিমান বাহিনী প্রধান কোরেশীর তরফ থেকে ধণ্যবাদ জানানো হয়। ল্যাজারাস ধরে নিয়েছিলেন এখানেই এই চিঠি চালাচালি মনে হয় শেষ। কিন্তু তাকে আরো বিস্মিত করে এরপ্র স্বয়ং পাক বিমান বাহিনী প্রধান কোরেশী সরাসরি আরেকটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি ৭১ এর সেদিন বয়রার আকাশে ভারতীয় বৈমানিকদের কৃতিত্ত্ব শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন। ল্যাজারাস আজো সেই চিঠি সযত্নে রেখে দিয়েছেন।
২০০৬ সালে ল্যাজারাসের ৬০ তম জন্মদিনে তার সম্মানে একটি ভিডিও তৈরী হয়ঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=CEMw4sb7O1M
(লেখাটি অত্যন্ত তাড়াহুড়ায় আজকে অফিস ফাকি মেরে লেখা, কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি চোখে পড়লে ধরিয়ে দেবেন)
আমার জানামতে ৩রা ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীও চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে তেলের ডিপো ও বন্দরের জাহাজসহ বিভিন্ন স্থাপনার ওপর বিমান হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তান বিমান বাহিনী থেকে আসা বাঙালি পাইলট ও টেকনিসিয়ানদের নিয়ে গঠিত কিলো ফ্লাইট ইউনিট এ হামলায় অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ ছিলেন কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক।
এ হামলায় ভারতে দেয়া ছোট বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। ৩রা ডিসেম্বর এর আগে থেকেই খুব সম্ভবত কিলো ফ্লাইট কাজ করা শুরু করেছিল।
কেউ কি এ সম্পর্কে কিছু জানেন? বিস্তারিত একটা লেখা যদি কেউ লিখতে পারেন তবে খুবই ভাল হয়। আদিল মাহমুদ বা নুরুজ্জামান মানিকের প্রতি প্রত্যাশা বেশি রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
না, কিলো ফ্লাইট ইউনিট সম্পর্কে কিছু জানি না। তবে সুলতান মাহমুদের নাম অবশ্যই শুনেছি, একবার আমাদের বাসায় এসেছিলেন তিনি।
তবে কক্সবাজার চিটাগাং এর বন্দরে ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার “ভিক্ত্রান্ত” থেকে বিমান হামলা চালানো হয় জানি।
বাংলাদেশের নৌ কমান্ডো যারা ফ্রান্সে পাক সাবমেরিনের ট্রেনিং থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ফ্রগম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিল তাদের কথা জানি। সেই যে “আমার পুতুল আজকে যাবে শ্বশুর বাড়ী” গান কোড হিসেবে ব্যাবহার হয়, তারপর তারা একযোগে নারায়নগঞ্জ, চিটাগাং, খুলনায় পাক নৌবহরের ব্যাপ্ত ক্ষতি করে।
দেখি, কিলো ফ্লাইট সম্পর্কে খুজে, কিছু পেলে জানাবো।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা, অপারেশন জ্যাকপট ছিল ওটার কোড নেম।
@ফরিদ আহমেদ,
হ্যা, ওটা ছিল অপারেশন জ্যাকপট, ১৬ই আগষ্ট প্রথম প্রহরে একযোগে সবকট বন্দরে চালানো হয়। পাকিদের আত্মা শুকিয়ে দেয় এই হামলা।
উইকিতে কিলো ফ্লাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছি। এটা আসলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্মকালীন নাম বলা যায়, একে খোন্দকার ছিলেন প্রধান, সুলতান মাহমুদ দ্বিতীয়। সুলতান মাহমুদ ছিলেন হেলিকপ্টার পাইলট। মোট ১২টি অপারেশন এরা চালান।
আমার মনে প্রশ্ন জাগে, যে জাতির ভাষার জন্য রক্ত দিতে পারে, অকুতোভয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে সে জাতি আজ কেন এত পিছিয়ে? কেন আমরা পদে পদে অসততার পরিচয় দেই?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
খুবই অপ্রিয় সত্য, এতই অপ্রিয় যে কেউ এ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা তো দুরের কথা স্বীকারও করতে চান না।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমজন তা রক্ত সব কালে,সব সময়ে,সব সমাজেই দেয়,দেয় একটি ভালো,সুন্দর,সুখী-সমৃদ্ধিশীল জীবনের জন্য,যে জীবনে থাকবে প্রেম-ভালোবাসা,পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি,মায়া-মমতাপূর্ন একটি দায়িত্বশীল সমাজের ও রাষ্ট্রের।যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে প্রত্যেকটি নাগরিকের জীবন নিরাপদে রাখার ব্যবস্হা করা,অর্থনৈতিকগতভাবে সাবলম্বী করে তোলা,সাংস্কৃতিকমনা করে তোলা,সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন নতু্ন প্রযুক্তির সাথে মানুষের জীবন কে মিলিয়ে দেওয়া এবং আরো আরো———-আর এ রকম স্বপ্ন থেকেই বাঙালী জাতি ৭১ এ এতো এতো রক্ত দিয়ে নশ্বর স্বাধীনতা এনেছিল,কিন্তু দূর্ভাগা জাতি আমরা,রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে পাকি-শকুনের প্রেত্তারা আবারো তাদের ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে গত ৩৫ বছর শুধু ধর্মের আফিম আর জল্পাই বাহারী পোশাক ও অস্রের চোখ রাঙগানী খেতে খেতে আমাদের আর কোনো কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না।সমাজের ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,কোষে কোষে পোড়াঁ গুলি এখন পুরো সমাজের তথা সব মানুষের শরীরে ও মাথায় ক্যান্সার ভাইরাস রোগের মতো আক্রান্ত হয়েছে,যার কারনে সকল মানবিকতার ও মানবিকবোধের মৃত্যু ঘটেছে।কবে রোগের চিকি্ৎসা হবে এবং এর থেকে আমাদের মুক্তি হবে তা একমাত্র ভবিতব্য জানে।
১৯৭১ সালের বায়ু যুদ্ধের কিছু ভিডীও দিলাম।
প্রথমটা তেজগাওঁ ঘাটিতে বোম্বিং-পাকিস্থানের এই এয়ার বেসকে ব্লাস্টার বোমদিয়ে রানওয়ে অকেজো করে দেওয়া হয়-যুদ্ধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
httpv://www.youtube.com/watch?v=TR9bmQ-DfrY
ডিসেম্বর ১৩ঃ জ়য়দেবপুরের অর্ডনান্স ফ্যাক্টরি ধ্বংশ করল মিগ বিমান
httpv://www.youtube.com/watch?v=Pl3ODOcE9Mk&feature=related
লাঙ্গোয়ালের যুদ্ধ ( রাজস্থানে )-যা পাকিস্থানি বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়-দুদিনে ৫৬ পাকিস্থানি টি প্যাটন ট্যাঙ্ক ধ্বংশ হয়। পাকিস্থানের ধারনা ছিল প্যাটন ট্যাঙ্ক অজেয়। ৬ ই ডিসেম্বরের এই পরাজয়-তাদেরকে মানসিক ভাবে সম্পূর্ন বিদ্ধস্ত করেছিল। তাছাড়া এটাও প্রমান হয়, পাকিস্থানের বিমান এবং স্থল বাহিনীর মধ্যে সামঞ্জস্য নেই।
httpv://www.youtube.com/watch?v=9fy3XLnWsok
ভারতের থেকেও ভাল কোয়ালিটির ( ভারতীয় মিগের স্পিড বেশী ছিল-কিন্ত ম্যানুভারিং ভাল ছিল না) বিমান থাকা সত্ত্বেও পাকিস্থানের পরাজয়ের কারন ভারতীয় বৈমানিকরা অনেক বেশী ট্রেনিং নিয়েছিল যুদ্ধ আসন্ন জেনে। ১৯৭১ সালের গোটা বছরটাতেই যুদ্ধ অবসম্ভাবী জেনে, প্রতিটি ভারতীয় পাইলট বাংলাদেশের মাটির এরিয়াল ফটোগ্রাফ আর ম্যাপ মুখস্থ করে রেখেছিল-যা পরে কাজে আসে। এই অসাধারন প্রস্তুতির কারনে পাকিস্থানের পাইলটরা বিশেষ কিছু করে উঠতে পারে নি। তাছাড়া সেই সময় বাংলাদেশে মোটে বোধ হয় ডজন দুয়েক ফাইটার প্লেনের বেশী পাকিস্থান রাখে নি। কারন তারা জানত পরাজয় হবেই-এবং হলে এই সব এয়ার ক্রাফটগুলো হারাবে। তাই রিস্ক নিতে চায় নি। ফলে হারার আগেই হেরে বসে থাকায় পাকিস্থানি পাইলটদের মনোবল ধ্বংশ হয়।
@বিপ্লব পাল,
ধণ্যবাদ। ভিডিওগুলি আশাতীতভাবে পরিষ্কার, বিশেষ করে প্রথম দুটো। আমিও এই লেখার প্রথমেই বলেছি পাকিস্তানের অত দ্রুত হারার কারন যুদ্ধের প্রথম ২ দিনেই বাংলার আকাশ পুরো ভারতের হাতে চলে আসা। পুরো তেজগাও এয়ারপোর্ট ভারতীয় মিগ বোমা ফেলে ব্যাবহার অনুপযোগী করে দেয়, গ্রাউন্ডে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের বেশীরভাগ প্লেন নষ্ট হয়। যেগুলি বাকি ছিল তার বেশীরভাগ পরাজয় আসন্ন হওয়ার পর তারা নিজেরাই নষ্ট করে ফেলে।
পাক স্যাবর জেট কিন্তু ভারতের ন্যাট থেকে উন্নত ছিল বলে ৭১ এর আগে সবার ধারনা ছিল। এই তিন পাইলটের মত কুশলী পাইলটরা সে হিসেব উলটে দেয়।
৬৫ এর যুদ্ধে এক বাংগালী পাইলট স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ আলম ১ মিনিটের মধ্যে ৩ টি ভারতীয় বিমান ধ্বংস করে বিরল একটি বিশ্ব রেকর্ড করেন বলে দাবী করা হয়। এই ভদ্রলোক অতিমাত্রায় পাকিস্তান প্রেমিক ছিলেন এবং ৭১ এর পর পাকিস্তানে সেটল করেন। এখন উনি ঘোরতর ধার্মিক, যুদ্ধ বিষয়ক আসুরিক ব্যাপার স্যাপার চিন্তাই করতে চান না।
লাংগোয়ালের যুদ্ধ ও মেজর কুলদীপ সিং এর কথা পড়েছি। পাকিস্তানী মার্কিন এম-২৪ চাফী ট্যাং ভারতের সোভিয়েত নির্মিত পিটি-৭৬ থেকে উন্নত ছিল।
আমি আপাতত আকাশ থেকে সাগরে নামছি।
খুব ভালো লাগলো পড়ে। লেখাটার লিঙ্ক কি শেয়ার করতে পারি ফেসবুক এ? আমার বন্ধুদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী কিন্তু তারা মুক্তমনার সদস্য নয়।
@সুব্রত,
অবশ্যই পারেন। যত বেশী লোকে জানে ততই তো ভাল। কে লিখেছে বা কোথায় ছাপা হয়েছে তা বড় কথা নয়।
@আদিল মাহমুদ, অনেক ধন্যবাদ 🙂
I like the true story so so so much, as it is about our freedom fight.
@Engg. Partha Paul,
এ জাতীয় আরো দুয়েকটা লেখার ইচ্ছে আছে। মুক্তমণায় নিয়মিত চোখ রাখবেন। নুরুজ্জামান মানিক ভাইও এ জাতীয় লেখা লিখে থাকেন।
পড়ে মনটা ভরে গেলো। উপযুক্ত সময়ে একটা চমৎকার লেখা উপহার দিলেন আদিল ভাই। :rose2: :rose2:
@সৈকত চৌধুরী,
আমারও মনটা ভরে গেল সৈকত ভাই।
উপযুক্ত সময়ে চমৎকার কমেন্টের জন্য আপনাকেও ধণ্যবাদ।
আদিল মাহমুদ,
ফাটাফাটি হয়েছে! :rotfl:
শুনেছিলাম ঘটনা গুলো কিন্তু এতো বিস্তারিত জানা ছিলো না। ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। সংগ্রহে থাকলে ছেড়ে দিন আরো। এগুলো এপ্রজন্মের জানা উচিৎ।
@কেশব অধিকারী,
ধণ্যবাদ।
আছে মনে হয় আরো দুয়েকটা। আসলেই এগুলি শুধু নুতন না পুরনো প্রজন্মেরও জানা উচিত, তাই জানাবার চেষ্টা করি।
খুব ভালো লাগলো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যে কোন অংশই অমূল্য। ধন্যবাদ আদিল মাহমুদ।
চমৎকার !!!
খুবই ভাল লেগেছে। আমি আপনার সকল লেখাই কম বেশি পড়ি।
আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে।
ধন্যবাদ
@ashraf,
জেনে খুব ভাল লাগল।
তবে আমি তো ভাই আলসেমীর ঠেলায় লিখিই না বলতে গেলে। তবে এভাবে ফুলিয়ে দিলে অফিসে কাজে ফাকি মারা নিয়মিতই করতে হবে মনের হচ্ছে।
:yes:
@নুরুজ্জামান মানিক, :guru:
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিমানের ডগ-ফাইটের ওপর বিস্তারিত লেখা এই প্রথম পড়লাম। আপনাকে ধন্যবাদ :yes: । ডিসেম্বরের তিন তারিখে শেষ রাত থেকে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় সিদ্ধেস্বরীতে বাসার দোতালার ছাদ থেকে তেজগাঁও বিমান বন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরামহীন বোমাবর্ষন :guli: দেখেছি। পাশাপাশি বাড়ির প্রায় প্রতি ছাদেই এভাবে আমাদের মত লোকজন দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখেছে। প্রতি ঝাঁক বিমান আগমনের সাথে সাথে সবাই হাততালি :clap2: দিয়ে স্বাগতম জানিয়েছি, আর বিমান থেকে নির্গত, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে ধেয়ে যাওয়া অগ্নিকুন্ড (গোলা) দেখে আনন্দে, উত্তেজনায়, আবেগে আত্মহারা :rotfl: হয়ে চিৎকার করেছি। ভারতীয় বৈমানিকদের সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়েছি ও অকুন্ঠচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। ভোর বা সকাল থেকে পাকিস্তানি বিমান বা বিধ্বংশী কামানের আর কোন গর্জন শোনা বা দেখা যায় নাই।
পর দিন অন্ধকারে, রাতে অনেক সময় নিয়ে একটি ছোট বেসামরিক বিমানের আওয়াজ কাছে আসতে লাগলো, আমাদের বুঝতে বাকি রইলো না এই বিমানে করেই পাকিস্তানিরা নিরীহ লোক হত্যা করে ভারতের ওপর দোষ চাপাবে। তার চেয়েও ভয়ের ব্যাপার ছিল, অগ্রসরমান বিমানটির টার্গেট আমরাওতো হতে পারি। কিছুক্ষণ পর প্রচন্ড আওয়াজ পেলাম, ধিরে ধিরে বিমানের আওয়াজ ক্ষীন হয়ে মিলিয়ে গেল। পরদিন জানতে পারলাম, বর্তমান সোনারগাঁও হোটেলের কাছে বস্তিতে বোমাটি ফেলা হয়েছিল। আপনার লেখাটি পড়ে ঘটণা গুলো একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
আমার ধারণা ছিল কোন বাহিনীতে পরাজিত, ধৃত, :-X আত্মমর্পিত কোন সৈনিকের নেতৃস্তানীয় কোন পদে উন্নতি হয় না। সেখানে পারভেজ কোরেশী সেনাবাহিনীর প্রধান কিভাবে হন?
কমান্ডার ডন ল্যাজারাস এর ভিডিওটি দেখে খুব ভাল লাগলো, অভিজিৎকে ধন্যবাদ। আমাদের সব মুক্তিযোদ্ধার সাথে যেসব ভারতীয় বীর প্রাণ দিয়েছেন ও লড়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা 🙂 ও কৃতজ্ঞতা :rose: আবারো প্রকাশ করছি।
:guru:
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিমানের ডগ-ফাইটের ওপর বিস্তারিত লেখা এই প্রথম পড়লাম। আপনাকে ধন্যবাদ। ডিসেম্বরের তিন তারিখে শেষ রাত থেকে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় সিদ্ধেস্বরীতে বাসার দোতালার ছাদ থেকে তেজগাঁও বিমান বন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরামহীন বোমাবর্ষন দেখেছি। পাশাপাশি বাড়ির প্রায় প্রতি ছাদেই এভাবে আমাদের মত লোকজন দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখেছে। প্রতি ঝাঁক বিমান আগমনের সাথে সাথে সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগতম জানিয়েছি, আর বিমান থেকে নির্গত, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে ধেয়ে যাওয়া অগ্নিকুন্ড (গোলা) দেখে আনন্দে, উত্তেজনায়, আবেগে আত্মহারা হয়ে চিৎকার করেছি। ভারতীয় বৈমানিকদের সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়েছি ও অকুন্ঠচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। ভোর বা সকাল থেকে পাকিস্তানি বিমান বা বিধ্বংশী কামানের আর কোন গর্জন শোনা বা দেখা যায় নাই।
পর দিন অন্ধকারে, রাতে অনেক সময় নিয়ে একটি ছোট বেসামরিক বিমানের আওয়াজ কাছে আসতে লাগলো, আমাদের বুঝতে বাকি রইলো না এই বিমানে করেই পাকিস্তানিরা নিরীহ লোক হত্যা করে ভারতের ওপর দোষ চাপাবে। তার চেয়েও ভয়ের ব্যাপার ছিল, অগ্রসরমান বিমানটির টার্গেট আমরাওতো হতে পারি। কিছুক্ষণ পর প্রচন্ড আওয়াজ পেলাম, ধিরে ধিরে বিমানের আওয়াজ ক্ষীন হয়ে মিলিয়ে গেল। পরদিন জানতে পারলাম, বর্তমান সোনারগাঁও হোটেলের কাছে বস্তিতে বোমাটি ফেলা হয়েছিল। আপনার লেখাটি পড়ে ঘটণা গুলো একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
আমার ধারণা ছিল কোন বাহিনীতে পরাজিত, ধৃত, আত্মমর্পিত কোন সৈনিকের নেতৃস্তানীয় কোন পদে উন্নতি হয় না। সেখানে পারভেজ কোরেশী সেনাবাহিনীর প্রধান কিভাবে হন?
কমান্ডার ডন ল্যাজারাস এর ভিডিওটি দেখে খুব ভাল লাগলো, অভিজিৎকে ধন্যবাদ। আমাদের সব মুক্তিযোদ্ধার সাথে যেসব ভারতীয় বীর প্রাণ দিয়েছেন ও লড়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা আবারো প্রকাশ করছি।
@Ashraf,
আপনাকেও অসংখ্য ধণ্যবাদ।
আমিও আমার মা/বাবা বড় বোনদের কাছে শুনেছি ডিসেম্বরের ৩/৪ তারিখ রাতে ঢাকার আকাশে ডগ ফাইটের কথা। তখন রাতে বিমান হামলার ভয়ে পাক বাহিনীর কড়া হুকুম ছিল বাসার সব বাতি নিভিয়ে রাখার। জানালার কাচও সম্ভবত কালো কাপড়ে ঢাকার নিয়ম ছিল। এর ফাকে ফাকেই সবাই উকি মেরে দেখত।
কার কাছে যেন শুনেছিলাম যে রাজারবাজারের কাছে কোথায় নাকি একটা বিমান পড়েছিল।
অন্য কোন দেশের মানুষ হলে কি করত জানি না, তবে আমরা বাংলাদেশীরা এতই উদারমনা যে এসব ডন ল্যাজারাসরা এত কাছে থাকতেও আমরা তাদের ডেকে সম্মান করা তো দুরের কথা, এমনকি তাদের নাম জানারও কোন আগ্রহ দেখাই না। ভারতীয় ল্যাজারাসদের না খুজে মানুষ ল্যাজারাসদের খবরও আমরা নিতে পারি না?
পারভেজ কোরেশী সম্পর্কে খুব ভাল প্রশ্ন তুলেছেন। আমিও তেমনি জানি। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে ৭৫-৮১ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অসংখ্য ক্যু এর কারন হিসেবে একজন এমন কথাই বলেছিলেন। পৃথিবীর কোন সেনাবাহিনীতেই নাকি বন্দী হওয়া বা আত্মসমর্পন করা সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয় না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৭১ এর পর পাকিস্তানে আটক সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তার মতে এটা ছিল বংগবন্ধুর বড় ভুল, আর এই ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে অনেকগুলি ক্যুতে অসংখ্য প্রানের বিনিময়ে।
তবে আমি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেরও কিছু কাহিনী পড়েছি যেগুলিতে আটক থাকা সৈনিক আবার বাহিনীতে যোগ দিয়েছে।
জ্বী আচ্ছা।
জণতা, বিমাঙ্গুলি, ব্বহাবেই, বিভা্জন, তরুন, জন্য জন্য, এরপ্র, ফাকি, একবার টেক্সাসে মুক্তমণারই, স্বাদ সবার আথেই শেয়ার করি।
মাদ্রাসায় হুজুররা প্রায়ই বলতেন- মুরুব্বীদের হুকুম পালন করা ফরজ। জীবনে ফরজ আদায়ের নিয়তে কোন ফরজ পালন করি নাই, এই প্রথম করলাম। আশা করি কবুল হবে। লেখাটির জন্যে :rose: :rose: :rose: :rose: :rose:
@আকাশ মালিক,
অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির কথা বলেছি, ইচ্ছাকৃত ত্রুটিগুলির ব্যাপারে তো কোন গ্যারান্টি দেই নাই। কি বলেন?
আল্লাহর রহমতে আপনি মুক্তমনার সম্পাদক কিসিমের কিছু হন নাই, হলে আমার মতন শখের ইতিহাসবিদের খবরই ছিল।
এ লেখা স্বার্থক বলা চলে, আপনাকে এই প্রথম কোন ফরজ পালন করানো গেল।
অশেষ ধণ্যবাদ।
এত পরিশ্রমের পরেও যে আদিল ভাই লিখছেন-এটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
আমি জানিনা বাংলাদেশের কজন তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আসল ইতিহাস জানেন। এরশাদের সময় বিটিভি প্রায় দেখতাম-বর্ডার এরিয়া বলে রাশসাহী রিলে সেন্টার থেকে আসত-১৬ই ডিসেম্বর বিটিভি দেখলে মনে হত-বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে একটা ধাঁধা-এরশাদের কি ভূমিকা ছিল জানি না-দেখে মনে হত তিনি কবিতা লিখে ১৬ ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা এনেছেন। সেই জমানায়, মুজিব ছিল মায়াবী ফান্টম-বিটিভিতে ১৬ ই ডিসেম্বর বা ১৫ই আগষ্ট তাকে দেখি নি কোনদিন ও। ভারতীয় বাংলা কাগজে বিজয় দিবস উপলক্ষে তার ছবি থাকত-আর বিটিভিতে এরশাদের কবিতা। কি হয়েছিল সেই নিয়ে কোন বক্তব্য নেই-কিছু একটা ম্যাজিক করে স্বাধীনতা এসেছিল!
এই ডগ ফাইট বাংলার আকাশে প্রথম ডগ ফাইট। এতটা আকাশ জুরে হয়েছিল-সেই দিন এই ঘটনা দেখেছে, এমন অনেক লোককে আমি চিনি। একজন পাকিস্থানি পাইলট বোধ হয় কলাইকুন্ডা বেসের কাছে লাফ দিয়ে ছিলেন।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশের ইতিহাস ৭৫ সালের পর থেকে নির্লজ্জভাবে বিকৃত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও মুজিবকে হেয় করতে গিয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই করে ফেলা হয়েছে মনগড়া। তাতে একটা প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস চাপা থেকে গেছে। আমরা বড় হয়েছি শুনতে শুনতে যে মুজিব ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি করে দিচ্ছিল, এমনকি এক মামার কাছে এও শুনেছি যে ইন্দিরা গান্ধী নাকি হেলিকপ্টার ভর্তি করে টাকা নিয়ে আসছিল। এ জাতীয় একতরফা প্রচারনার ফলে আমাদের প্রজন্মের বেশীরভাগ ছেলে তীব্রভাবে আওয়ামী বিরোধী ও বিএনপি ভক্তে পরিণত হয়েছে। আমি নিজেও স্কুল কলেজে থাকতে অন্ধভাবে জিয়া/খালেদা ভক্ত ছিলাম। কষ্ট করে বইপত্র পড়ে কে ইতিহাস শেখে যেখানে নিজের আপনজনেরা আছেন ইতিহাস বলতে?
আমি আমাদের টিভিতে মুজিবকে প্রথম দেখি ৯০এর গণঅভ্যূথানে এরশাদ পতনের পর কয়েকদিন। ৭৫ এর পর ৯০ এর এই কয়েকটা দিন বাদ গেলে ৯৬ পর্যন্ত মুজিবের নামে ছিল সরকারী মিডিয়ায় সরকারীভাবেই নিষিদ্ধ। যে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হল সেই জয়বাংলা কারো মুখ দিয়ে ভুলক্রমে বেরিয়ে গেলে তার চাকরী চলে গেছে এমন নজির আছে। এমনকি পাকিস্তানী বাহিনী না বলে লেখা হত হানাদার বাহিনী। হানাদাররা কে বা কারা তারা উহ্য রাখা হত।
এরশাদ ২৫ শে মার্চ পাক মিলিটারী ক্র্যাক ডাউনের সময় রংপুরে তার বাড়িতে ছুটিতে ছিল। সেসময় সে ছিল পশ্চীম পাকিস্তানে পোষ্টেড। অন্য বেশীরভাগ বাংগালী সেনা অফিসারের মত দেশের ডাকে সাড়া না দিয়ে সে পরদিন রংপুর ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করে ও পশ্চীম পাকিস্তানে তার কর্মক্ষেত্রে চলে যায়। শোনা যায় যে সে এসময় সেখানে সন্দেহভাজন বাংগালী অফিসারদের ট্রাইবুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তবে এই পাপিষ্ঠের একটা বড় গুন হল সে একই সাথে সবাইকে খুশী রাখতে পারে। ব্যাক্তিত্ত্বহীন হবার মনে হয় এটাই সুবিধে। তাই সে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা সবাইকেই কাছে টানতে পেরেছে। সে নিজে ইতিহাস বিকৃতিতে সরাসরি অংশ না নিলেও জিয়ার আমলের বিকৃতিগুলো সংশোধনের কোন চেষ্টাই করেনি। তবে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় অবদান যথাসম্ভব এড়াতে দুই সরকারই সচেষ্ট ছিল, এক শ্রেনীর মুক্তিযোদ্ধাও এতে যোগ দেয়। এর ফলে এধরনের গল্পগুলি আমাদের দেশে বলার মানুষ নেই।
এই অবিস্মরনীয় ডগ ফাইটের কথা আমি প্রথম পড়ি ৯১ সালে, মানকেরেকার নামক একজন ভারতীয় সাংবাদিকের লেখা পাকিস্তান কাট টু সাইজ বইতে। এখন তো ইন্টারনেটের কল্যানে আরো সহজেই পাওয়া যায়। সে বইতে পাক সাবমেরিন গাজী ডোবানোর কাহিনীও আছে।
ডগ ফাইট আরো হয়েছিল। ঢাকার আকাশেও হয়েছে, আমার পরিবার কিছু কিছু স্বচক্ষে দেখেছে। এমনকি আমাদের বাসায় একটা পাকিস্তানী এন্টি-এয়ারক্র্যাফটের সের দুয়েক ওজনের গোলার টুকরা সেসময় জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে। সে টুকরোটা এই সেদিনও বাড়িতে ছিল।
ঢাকার অদুরে সাভারে ভারতীয় একজন পাইলট বেইল আউট করার পর মুক্তিযোদ্বারা তাকে পিক করে। এরপর তার সন্ধানে পাকবাহিনী ঐ এলাকায় বহু অভিযান চালায়, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কিছুতেই তাকে দেননি। এই কাহিনী আমি শুনি মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা জালালের কাছে, যার যুদ্ধের সময় ছিল মাত্র ১৩ বছর।
@আদিল মাহমুদ,
প্রথমেই বলে নিই, দারুণ। কোথায় পান এসব মাল-মশলা?
শুধু যে ইতিহাস বিকৃতি ঘটেছে তাই না, বরং এখনও এসব নিয়ে অনেক ঘোরপ্যাঁচ চলছে। সম্প্রতি মাত্র কয়েকদিন আগে গোলাম আযম এবং নিজামী বলেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নাকি ইসলাম পরিপন্থী। এখনও তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে। আবার তারাই বলে তারা নাকি যুদ্ধাপরাধ করেনি। চোরের মন এখনই পুলিশ পুলিশ করছে। এখনও চার্জ গঠন হয়নি এমনকি বিচারের প্রাথমিক কিছুই শুরু হয়নি। শুধু কথা বার্তা চলছে যে সরকার একটা উদ্যোগ নেবে এ ব্যাপারে। অথচ আগে থেকেই এ চক্রটি বিষয়টিকে ইসলাম বিরোধী বলা শুরু করেছে। যে রকম ভাবে তারা ৭১ সালে ইসলাম এর নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, বিভিন্ন বাহিনী তৈরি করেছিল আল বদর বা আল শামস নামে এবং পাক বাহিনীর লেজুড় হিসাবে সমস্ত রকম অপকর্ম করেছিল এবং অপকর্মের সাপোর্ট করেছিল। তাদের মানসিকতা বদলানোতো দূরের কথা বরং বিভিন্ন ছত্রছায়ায় তা আরো ফুলে ফেঁপে উঠছে। এখন দেখতে চাই অন্যান্য ইসলাম প্রেমীরা এ ব্যাপারে কি বলেন। এ নিয়ে শাহরিয়ার কবির সম্প্রতি লিখেছেন বিডিনিউজ এ-
http://opinion.bdnews24.com/bangla/2009/12/08/যুদ্ধাপরাধীদের-বিচার-এবং/
@বকলম,
ধন্যবাদ। মাল মশলা আসলে ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেটের আনাচে কানাচে।
যেমনল ভারত রক্ষক একটা ভাল সাইট আছে।
তবে এই ঘটনা আমি অনেকদিন আগে একটা ভারতীয় বইতে পড়েছিলাম, এখন ইন্টারনেত থাকায় আরো সুবিধে হয়েছে।
নিজামীর ঐ উক্তি দেখেছি। নুতন কিছুই নয়, এমন তো হবেই। যখনই জালিমের বিরুদ্ধে মানুষ জেগেছে তখই ইসলাম বিপন্ন হয়েছে; ৬৯, ৭১, নির্বাচনের আগে।
তবে এসব লোকের দোষ দেব কি? বেশ কিছু মানুষ আমাদের আশে পাশেই আছে যারা এসব শুনতে পছন্দ করে, নয়ত এরা আজকের দিনে এসব উদ্ভট তত্ত্ব কেমন করে দেয়? বাংলাদেশে বহু সমস্যা আছে, তাই বলে ইসলাম বিপন্ন হয়েছে বা কারো ইসলাম ধর্ম পালনে সমস্যা হয়েছে এমন উদ্ভট অভিযোগ কার মাথায় আসতে পারে?
সবচেয়ে খারাপ লাগে ইসলামপ্রেমিক বলে যারা নিজেদের দাবী করেন তাদের এসব বিষয়ে অদ্ভূত নীরবতা দেখলে। তারা এগুলি দেখেও দেখেন না। চার্জ করলে বড়জোর বলে দেন নিজামীরা ইসলাম না বা ইসলামে অমন কিছু বলেনি। কিন্তু নিজেরা সরব হন না। কারনটা যে কারনে জাকির নায়েকের মিথ্যাচার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও এনারা দেখেন না সেই একই কারন। আমি বুঝি না ধর্ম পালন করতে গেলে এমন অন্ধ হতে হয় কেন। সাধে কি আর মুক্তমণায় ভিড়েছি। ধর্মবাদী লোকজনের ভন্ডামী ও কুপমন্ডুকতা অসহ্য লাগে।
এনাদের মধ্যে এক গ্রুপ আবার আরো অদ্ভূত অদ্ভুত সব যুক্তি দেন কেন বিচার হতে পারে না তা জানিয়ে। দেশে নাকি বিভক্তি সৃষ্টি হবে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সুবিধে পাবে হেন তেন। দেশে বিভক্তি হলে আর জেল হাজত্তে কয়েদীদেরই বা পোষা কেন? ছেড়ে দিলেই তো হয়। কোন দলের সুবিধে হল নাকি অসুবিধে হল তার সাথে অপরাধের বিচারের কি সম্পর্ক? এনারা আসলে একটু বেশী স্মার্ট তো, তাই আসল কারন বলতে চান না।
সেটা বোঝা যাচ্ছে লেখাটার গঠন এবং বর্ণনা পড়ে। আদিল মাহমুদের স্বভাবজাত হিউমার আর রস অনুপস্থিত। কেমন যেন পাঠ্যপুস্তক স্টাইলে লেখা 🙂
তারপরেও লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। :yes:
আপনি তো ব্লগের মুক্তিযুদ্ধ বিষেষজ্ঞ হয়ে যাচ্ছেন, নুরুজ্জামান মানিকের মত…
(আরেকটা ব্যাপার http এর পরে একটা v যোগ করলে কিন্তু ইউটিউবের ভিডিও আমাদের ব্লগেই দেখা যায়। আমি ঠিক করে দিয়েছি। আপনি এডিট এ গিয়ে কোড দেখে নিন)
@অভিজিৎ,
আর রস।
কম্পিউটারের মনিটরের ছয় ইঞ্চি দূরে মাথা নিয়ে লিখতে হয়েছিল যাতে কি করছি কেউ যেন দেখতে না পারে।
একবার টেক্সাসে মুক্তমণারই বাংলা কিছু লেখা প্রিন্ট করার পর এক ঘাড় লাল উজবুক বলে বেড়াতে শুরু করল আমি নাকি আরবীতে রহস্যময় কি কি প্রিন্ট করি। গাধাটা বাংলা হরফ ধরে নিয়েছিল আরবী। আরেকটু হলেই মোহাম্মদ আত্তা গ্রুপে ফেলে দিচ্ছিল। সেই থেকে খুব সাবধানে থাকি।
আজকে দিন শুরু হল বরফের সাথে যুদ্ধ করে, তাই ভাবলাম যুদ্ধের স্বাদ সবার আথেই শেয়ার করি। কাজে মন যাচ্ছিল না।
আচ্ছা, অভিজ্ঞ ব্লগার রা “এখানে” ক্লিক করুন বলে কি ভাবে হাইপারলিংক যোগ করে?
@আদিল মাহমুদ,
এটার উত্তর এখনো কেউ হিলো না ? তার মানে মুক্তমনায় কোন ‘অভিজ্ঞ ব্লগার’ নেই। সব এমেচার 😀
যাকগে, লিঙ্ক কিভাবে দেয় তা দেখার জন্য এটা দেখুন
আমি সহজ উপায় বলে দি। ধরেন আপনি এখানে দেখুন এই শব্দদুটি তে লিঙ্ক করতে চান।
১) প্রথমে শব্দ দুটি লিখুন
এবার শব্দ দূটোকে মাউস ড্র্যাগ করে সিলেক্ট করুন তারপর উপরে লিঙ্ক বাটনে ক্লিক করুন। দেখবেন একটা ছোট উইনডো ওপেন হয়েছে সেখানে যে সাইটের সাথে লিঙ্ক করতে চান, সেই URL দিয়ে দিন। ধরুন আমি গুগলের সাথে লিঙ্ক করতে চাই, তাহলে আমাকে ইউ আর এল দিতে হবে – http://www.google.com/
ব্যাস, কাজ শেষ। এরকম ভাবে দেখা যাবে –
এখানে দেখুন।
@অভিজিৎ,
ধণ্যবাদ।
মুক্তমনায় অভিজ্ঞ ব্লগারের সংকট বিষয়ে নুতন কোন লেখায় এ বিদ্যা প্রয়োগ করার আশা রাখি।