এক
কোরআনকে বিজ্ঞানময় করার আপ্রাণ চেস্টা মোল্লারা অব্যাহত রেখেছে। ফলে নানারকম দাবির কথাও কানে আসে। সেদিন সেরকমই এক মজার দাবির কথা চোখে পড়লো। কোরআনেই নাকি সেই ১৪০০ বছর আগেই পরমাণুর কথা বলা আছে!! কি সেই দাবি? আল কোরআনের ৩৪ নং সুরার ৩ নং আয়াতে নাকি আল্লাহ পরিস্কারভাবে পরমাণুর কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন যে- কোন কিছুই আল্লাহর অজ্ঞাত নয়।
তাহলে প্রথমে সুরা সাবা’র ৩ নং আয়াতটি দেখা যাক। ইউসুফ আলি, পিকথাল ও শাকির তিনজনের অনুবাদেই দেখা যায় “atom” শব্দটি বিদ্যমান:
034.003
YUSUFALI: The Unbelievers say, “Never to us will come the Hour”: Say, “Nay! but most surely, by my Lord, it will come upon you;- by Him Who knows the unseen,- from Whom is not hidden the least little atom in the heavens or on earth: Nor is there anything less than that, or greater, but is in the Record Perspicuous:
PICKTHAL: Those who disbelieve say: The Hour will never come unto us. Say: Nay, by my Lord, but it is coming unto you surely. (He is) the Knower of the Unseen. Not an atom‘s weight, or less than that or greater, escapeth Him in the heavens or in the earth, but it is in a clear Record,
SHAKIR: And those who disbelieve say: The hour shall not come upon us. Say: Yea! by my Lord, the Knower of the unseen, it shall certainly come upon you; not the weight of an atom becomes absent from Him, in the heavens or in the earth, and neither less than that nor greater, but (all) is in a clear book.
অবাক হয়ে যাই। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে, কোরআনেই তো পরমাণুর কথা উল্লেখ আছে। একদম তাজ্জব ব্যাপার। আরবী কোন শব্দের অনুবাদ atom করা হয়েছে- তা জানার আগ্রবোধ করি। পুরা আয়াতটি হচ্ছে:
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُواْ لاَ تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّى لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَـلِمِ الْغَيْبِ لاَ يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِى السَّمَـوَتِ وَلاَ فِى الاٌّرْضِ وَلاَ أَصْغَرُ مِن ذَلِكَ وَلاَ أَكْبَرُ إِلاَّ فِى كِتَـبٍ مُّبِينٍ
এখানে مِثْقَالُ ذَرَّةٍ এর অনুবাদ ধরা হয়েছে পরমাণু পরিমাণে। এই শব্দটি নিয়ে ঘাটাঘাটির আগে ভাবলাম আরো কিছু কোরআনের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। হাতের কাছে ডঃ মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক অনুদিত কোরআন শরীফ ছিল- সেটাই হাতে নিলাম। সেখানে কোন পরমাণু অবশ্য পেলাম না। অনুবাদটি অনেকটা এরকম:
“কাফিররা বলেঃ আমাদের উপর কিয়ামত আসবে না। আপনি বলে দিন, কেন আসবে না? কসম আমার রবের! অবশ্যই তা তোমাদের উপর আসবে। তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। আসমানে ও যমীনে রেণু পরিমাণ বস্তুও তাঁর অগোচরে নয়, কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্রও নেই এবং বৃহৎও নেই, কিন্তু এ সবই সুস্পষ্ট কিতাবে আছে।”
এখানে তো مِثْقَالُ ذَرَّةٍ এর অর্থ করা হয়েছে রেণু পরিমাণ। কি মুশকিল? একেক জায়গায় একেক রকম অনুবাদ! ফলে নিরূপায় হয়ে ইবনে কাথিরের শরণাপন্ন হলাম:
Those who disbelieve say: “The Hour will not come to us.” Say: “Yes, by my Lord, the All-Knower of the Unseen, it will come to you; not even the weight of a speck of dust or less than that or greater escapes His knowledge in the heavens or in the earth but it is in a Clear Book.”
ইবনে কাথিরও তো দেখি এটম ব্যবহার করেননি- করেছেন “বালিকণার সমান ওজনের”। এবারে কি করা যায়? খুঁজতে গিয়ে দেখি এই مِثْقَالُ ذَرَّةٍ শব্দটি কোরআণের সুরা যিলযাল (৯৯ নং) এর ৭ ও ৮ নং আয়াতেও আছে:
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
৭. অতঃপর কেউ অনু পরিমান সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে ।
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
৮. এবং কেউ অনু পরিমান অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে ।
বাংলা অনুবাদে তো দেখি পরমাণুর বদলে এবার অণু! হায় হায়! তাহলে কি হুজুরেরা এবার দাবি জানাবে কোরআনে কেবল “পরমাণু” নয় “অণু”র কথাও আল্লাহ পাক সেই ১৪০০ বছর আগে জানিয়েছেন? কি মসিবতে পড়লাম! তাড়াতাড়ি করে আবার ইউসুফ আলি, পিকথাল ও শাকিরের অনুবাদ দেখি:
099.007
YUSUFALI: Then shall anyone who has done an atom‘s weight of good, see it!
PICKTHAL: And whoso doeth good an atom‘s weight will see it then,
SHAKIR: So. he who has done an atom‘s weight of good shall see it
099.008
YUSUFALI: And anyone who has done an atom‘s weight of evil, shall see it.
PICKTHAL: And whoso doeth ill an atom‘s weight will see it then.
SHAKIR: And he who has done an atom‘s weight of evil shall see it.
এবং দেখি- ইবনে কাথির কি অনুবাদ করেছেন:
7. So, whosoever does good equal to the weight of a speck of dust shall see it.
8. And whosoever does evil equal to the weight of a speck of dust shall see it.
ভালো মুশকিলেই পড়া গেল! অণু পরিমাণ, পরমাণু বা এটমের ওজনের সমান, রেণু পরিমাণ, ধুলিকণার সমান- কোনটা ঠিক? নাকি সবই? সবগুলো আয়াত ভালো করে পড়ার চেস্টা করলাম। পড়ে মনে হলো- সব অনুবাদই সঠিক। সবগুলোকে সঠিক অবশ্য কেবল তখনই বলা যাবে যখন مِثْقَالُ ذَرَّةٍ শব্দটিকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বা সামান্য পরিমাণে এরকম অর্থে ধরা হবে। অর্থাৎ আয়াতসমূহে উল্লেখিত ‘পরমাণু’ বা ‘অণু’ পরিমাণ মানে পদার্থের গঠন উপাদান “অণু” বা “পরমাণু” নয়- বা ‘ধুলি কণা সম’ মানে রাস্তাঘাটের ধুলাবালিও নয়- এটা মানে একদম ক্ষুদ্র পরিমাণ। এভাবে ধরলে কোন সমস্যাই থাকে না। তাই ভাবলাম- দেখি অভিধানে مِثْقَالُ ذَرَّةٍ শব্দটির কি অর্থ করা হয়েছে? হাতের কাছে ছিল ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান এর “আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান” বইটা, সেখানে দেখলাম مِثْقَالُ শব্দের অর্থ করা হয়েছে: পরিমাণ বা ওজন, বাটখারা, সামান্য পরিমাণ, বিন্দুমাত্র, রত্তি। আর, ذَرَّة এর অর্থ করা হয়েছে- বিন্দু (ডট), অতি ক্ষুদ্র, শস্যদানা, ক্ষুদ্র কণিকা, বালি কণা। এবং এই ذَرَّة শব্দের অর্থ কখনো কখনো পরমাণুও করা হয়েছে বটে!
তারপরেও বলববো- সুরা সাবা আর সুরা যিলযাল এ مِثْقَالُ ذَرَّة এর ব্যবহারই বলে দেয় ব্যবহৃত অণু-পরমাণু কোনমতেই পদার্থের মৌলিক কণিকারূপী অণু-পরমাণু নয়।
দুই
তদুপরি তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে- সুরা সাবা’র ৩ নং আয়াতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণুর কথাই বলা হয়েছে, তাহলেও কিছু কথা থেকে যায়:
১। আজকে আমরা জানি যে- পরমাণুও ক্ষুদ্রতম কণা নয়, একেও ভাঙ্গা যায়। আমি ভাবছি- একসময় مِثْقَالُ ذَرَّة কে “সামান্য পরিমাণে” বা “বিন্দুমাত্র” হিসাবে ধরা হতো, তারপরে ইবনে কাথির এর অর্থ করেছেন “ধুলি কণা সম”, তারপরে এসে করা হলো “অণু পরিমাণে” বা “পরমাণুর পরিমাণে”- এই ধারাবাহিকতায় তো অচিরেই কোরআনের কোন এক অনুবাদে দেখবো مِثْقَالُ ذَرَّة এর অর্থ করা হবে “ইলেকট্রন” বা “প্রোটন” বা ফোটন- পজিট্রন-এন্টি নিউট্রিনো .. ইত্যাদি।
২। খৃস্টের জন্মেরও কয়েকশো বছর আগে ভারতীয় ও গ্রীক দর্শনে এটম এর আবির্ভাব। গ্রীক দার্শনিক Leucippus, তার ছাত্র Democritus জানান – বস্তুজগৎ মাত্রই ক্ষুদ্রতম কণিকার সমন্বয়ে গঠিত এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকার নাম এটম বা পরমাণু বা অবিভাজ্য কণিকা। আমাদের ভারতীয় দর্শনেও জৈন, ন্যায় ও বৈশেষিকরাও অনুরূপ অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম কণিকার কথা বলেছিল (ন্যায় ও বৈশেষিকেরা যাকে পরমব্রহ্মা হিসাবে অভিহিত করেছিলেন)। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কেউ একথা বললে যতখানি অবাক হই- তারচেয়েও কি আজ থেকে ২৫০০ বছর আগে বললে বেশী অবাক হওয়া উচিৎ নয়?
৩। ডালটনের এটমিক থিউরির ৫ টি অনুসিদ্ধান্তের একটির সাথে সরাসরি মিলে গেলেও Leucippus, Democritus বা জৈন-ন্যায় ও বৈশেষিক দার্শনিকদের এটম আর ডালটনের এটমের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। ফলে- আজকের পরমাণু আর প্রাচীণ গ্রীক বা ভারতীয় দর্শনের পরমাণু মোটেও একই নয়। দেকার্ত প্রথম মোলিকিউল শব্দটি ব্যবহার করলেও এটাও আজকের অণু থেকে যোজন যোজন দুরতম বিষয়। আর, কোরআনের পরমাণু তো- আজকের পরমাণুর সাথে দূরের কথা- গ্রীক-ভারতীয় দর্শনের পরমাণুর সাথে তুলনীয় হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
তিন
ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খোঁজাটা আজ যেন বাতিকে পরিণত হয়েছে। আগেও একটা পোস্টে (ধর্মে বিজ্ঞানঃ নিম গাছে আমের সন্ধান) এবিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। দেখছি- এ আলোচনা শেষ হবার নয়- কেননা মোল্লারা নিত্য নতুন আবিষ্কার করছে। সামনে হয়তো এরকম পোস্ট আরো লিখতে হবে। তবে, এ মুহুর্তে অতীতে এরকম কাজ আরেক ব্যক্তি করেছিলেন- তার কথা স্মরণ করেই আজকের এই পোস্টে শেষ করবো।
প্রথিতযশা বাঙালি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা (অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের জনক হিসাবে বিবেচিত) একবার এক উকিলের সাথে কথা বলছিলেন, উকিল সাহেব মেঘনাদ সাহার গবেষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নক্ষত্রের উপাদান ও নানা বিষয়ে বুঝাতে বসলেন। এক পর্যায়ে সেই উকিল সাহেব বলেই ফেললেন, ” এ আর নতুন কি- এসবই তো বেদে আছে”। সাহা আপত্তি জানিয়ে বলেন, “অনুগ্রহ করে বলবেন কি- বেদের কোন জায়গাটিতে নক্ষত্রের আয়নীভবনের তথ্যটি আছে?” ভদ্রলোক অবলীলায় জবাব দেন, “আসলে আমার বেদ পড়া হয়নি, তবে আমার বিশ্বাস বেদে সমস্তই আছে”। এ ঘটনার পরে মেঘনাদ সাহা ২০ বছর ধরে বেদ, উপনিষদ, হিন্দু জ্যোতিষ আদ্যোপান্ত পড়ে ফেলেন। তারপরে লিখেন তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ “সবই ব্যাদে আছে”।
এতে তিনি লিখেন:
” ….. বিগত কুড়ি বৎসরে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ ইত্যাদি সমস্ত হিন্দুশাস্ত্রগ্রন্থ এবং হিন্দু জ্যোতিষ ও অপরাপর বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় প্রাচীণ গ্রন্থাদি তন্ন তন্ন করিয়া খুঁজিয়া আমি কোথাও আবিষ্কার করিতে সক্ষম হই নাই যে, এই সমস্ত প্রাচীণ গ্রন্থে বর্তমান বিজ্ঞানের মূলতত্ত্ব নিহিত আছে। …..”
” … বর্তমান লেখক বৈজ্ঞানিক নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে হিন্দুর বেদ ও অপরাপর ধর্মের মূলতত্ত্ব বুঝিতে চেস্টা করিয়াছেন। ইহাতে অবজ্ঞা বা অবহেলার কথা উঠিতে পারে না। তাঁহার বিশ্বাস যে, প্রাচীণ ধর্মগ্রন্থসমূহ যে সমস্ত জাগতিক তথ্য, ঐতিহাসিক জ্ঞান ও মানবচরিত্রের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত , তাহাদের উপর বর্তমান যুগের উপযোগী জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে না। ….”
মেঘনাদ সাহা প্রাচীণ ভারতীয় জ্যোতিষ (যাকে হিন্দু জ্যোতিষ আখ্যা দিয়ে ধর্মের শ্রেষ্টত্ব খুঁজে পায় একদল পুরোহিত শ্রেণীর লোকেরা) নিয়েও কথা বলেছেন:
” … এদেশে অনেকে মনে করেন, ভাস্করাচার্য একাদশ শতাব্দীতে অতি অস্পষ্টভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন, সুতরাং তিনি নিউটনের সমতুল্য। অর্থাৎ নিউটন আর নতুন কি করিয়াছে? কিন্তু এ সমস্ত ‘অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী’ শ্রেণীর তার্কিকগণ ভুলিয়া যান যে, ভাস্কারাচার্য কোথাও পৃথিবী ও অপরাপর গ্রহ সূর্যের চতুর্দিকে বৃত্তাভাস পথে ভ্রমণ করিতেছে একথা বলেন না। তিনি কোথাও প্রমাণ করেন নাই যে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও গতিবিদ্যার নিয়ম প্রয়োগ করিলে পৃথিবীর ও অপরাপর গ্রহের ভ্রমণ কক্ষ নিরূপন করা যায়। সুতরাং, ভাস্করাচার্য বা কোনো হিন্দু, গ্রিক বা আরবীয় পণ্ডিত কেপলার-গ্যালিলিও বা নিউটনের বহুপূর্বেই মাধ্যাকর্ষণতত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছেন, এরূপ উক্তি করা পাগলের প্রলাপ বই কিছুই নয়। ….”
চার
আজকের বিজ্ঞান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন আবিষ্কার বা কোন জ্ঞানের কাছাকাছি কিছূ বা অংশত কিছু সরাসরি বা ঘুরিয়ে পেচিয়ে যদি কোন ধর্মগ্রন্থে মিলেও যায়- তারপরেও তাকে আজকের বিজ্ঞানের সাথে মেলানো যাবে না, কারণ বিজ্ঞান হতে গেলে একটা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি লাগে। কেন ধর্মগ্রন্থের ঐ সব মিলকে বিজ্ঞান বলা যাবে না- তা আশা করি মেঘনাদ সাহা’র উপরের আলোচনা থেকেই পরিষ্কার হয়েছে!
আর, এত কিছুর পরেও যদি পরিষ্কার না হয়- আমার আর কিছুই করার নেই। চোখের ঠুলি যদি কেউ সরাতে না চায় – অন্যের কি সাধ্য?
চমৎকার। আপনার লেখা আমার খুব ভালোলাগে।ইসলামী তথাকথিত বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যার অসাধারন জবাব।
সামান্য একটা বিষয় নিয়ে এরকম গাঁজাখোরী প্রলাপ আমি আর আগে দেখি নি। কেও কোন সতকর্ম করলে সে তার অস্তিত্ব টের পাবে। কেও কোন অসততার আশ্রয় নিলে সেও তা টের পাবে। কোরানে বলা হয়েছে কোন কিছুই হিসাব থেকে বাদ যাবে না। এর মধ্যে বস্তুগত অনুর অস্তিত্ব খোজা গাঁজা খেয়ে প্রলাপ বকারই নামান্তর।
আমি আর কিছু বলতে চাই না।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
ভাল বলেছেন। কোন শব্দের অর্থ অনু কি পরমানু সেই বিতর্কে যাবার আগে তো দেখতে হবে যে ঐ আয়াতের সাথে পারমানবিক বিজ্ঞানের কি সম্পর্ক আছে।
ঈমানের সংজ্ঞা কি? এটা ইসলামে একটি অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারন আল্লাহ বলেন যার “তিল” পরিমান ঈমান আছে সেও বিশ্বাসীদের দলে। এখন এই তিল শব্দকে অনু পরমানুর জগতে নিয়ে যাওয়া কোন সুস্থ মাথার লোকের উচিত?
ধরুন আজ আমি মেডিকেলের উপর এমন একটা বই লিখলাম যা চিকিৎসাবিজ্ঞানকে এক ধাপে হাজার বছর এগিয়ে নিয়ে যাবে। মানে স্বাধারণ বা বর্তমান গতিতে যেখানে পৌছাতে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে হাজার বছর অপেক্ষা করতে হত, আমার বই এর দরুন চিকিৎসাবিজ্ঞান বা চিকিৎসা ব্যবস্থা সেখানে রাতারাতি পৌছে যাবে। এখন এখানে আমার লেখার ভাষা যদি এ যুগের মানুষদের, সর্বাপরি একজন উর্বর মস্তিষ্কেরও বোঝার উপযুক্ত না হয়, বিষদ সরল ব্যাখ্যার বদলে যদি গুটি কয়েক ধোয়াশে শব্দের ব্যবহার করি তবে কখনো কি তার প্রকৃত উদ্দেশ্যে সফল হবে? তেমনি আল্লাহ যদি মানুষের কল্যানের লক্ষে বিভিন্ন আয়াতে বিজ্ঞানের অবতারন করে থাকেন তবে বলতে হবে তিনি তার মূল লক্ষে পৌছাতে পুরোপুরি ব্যার্থ। কারন এটম বলুন আর গোলাকার পৃথিবীই বলুন, বিজ্ঞানীদের আবিষ্কাররের এক মুহুর্ত আগেও আল্লহর কোন বুদ্ধিদীপ্ত বান্দা ঐ বিজ্ঞানময় কিতাবের একটিও বৈজ্ঞানিক অর্থ কখনো বের করতে সক্ষম হয় নি। সবজান্তা আল্লাহ কি জানতেন না তার ধোয়াশে বিজ্ঞানের ধোয়ায় নাদান বান্দাদের শুধু চোখই জ্বালা পোড়া করবে, ঐ বন্ধ চোখে ঈশ্বর দর্শন সম্ভব হলেও প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান কখনোই মিলবে না…।
@সামির মানবাদী,
কেউ কেউ এটাকে একটু উল্টোভাবে ব্যাখ্যা করেন; তাদের মতে মানুষ যত বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পারবে কোরানের মানে তার কাছে ততই পরিষ্কার হবে। এই দর্শনও আসলে তেমন ব্যাবহারিক হল না। উল্টোটা হলেই আর কোন কথা থাকত না।
@আদিল মাহমুদ,
মানুষকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিতে আল্লাহ কুরআন অবতারন করেছিলেন। এখন মানুষ যদি নিজেই সঠিক পথের সন্ধান পাওয়ার পরে কুরানের অর্থ বুঝতে পারে সেক্ষেত্রে কুরআনের প্রয়োজন টা কি বুঝলাম না।
@সামির মানবাদী,
আমিও একই কারনে এই দর্শনের যথার্থতা ধরতে পারি না। সেজন্যই বলেছিলাম যে উল্টাটা দেখানো গেলে আর কোনই বাদানুবাদ হত না।
@সামির মানবাদী, কুরআনের প্রয়োজন কি আমিও বুঝলাম না।
My video on same:
httpv://www.youtube.com/watch?v=GBn166l3-m8
@বিপ্লবদা,
আপনার এই ভিডিওটা অনেক আগেই দেখেছি। তখন আপনাকে চিনতাম না। তবে এটা আমাদের বয়েসী তরুণদের মধ্যে প্রচার করেছিলাম। ধন্যবাদ এটা এখানে দেয়ার জন্যে। 🙂
এখানেও একটা ভাল ভিডিও আছে –
httpv://www.youtube.com/watch?v=uQg6x-K82IA
ভিডিওটিতে আরবী শব্দগুলোর অর্থও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আমি যে কথাগুলো Does the Qur’an Have any scientific Miracles? প্রবন্ধে বলেছিলাম সেটাই ভিডিওতে বিশ্লেষণ করেছেন ভদ্রলোক।
@অভিজিৎ,
চমৎকার শুদ্ধ আরবী উচ্চারণ। সংগ্রহে থাকলে এরকম আরো ছাড়েন। আরবী জানা মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্যে চিন্তা জাগানো ভিডিও।
ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
অসাধারণ লাগলো। আপনার সংগ্রহে এমন আরো কিছু থাকলে ছাড়তে থাকেন ….
ফুয়াদ ভাই,
আনাস ভাই এর পোষ্টটা কি পড়েছেন? ধার্মিক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হলেই যে সাধারন যুক্তিবোধকে তালাচাবি মেরে রেখে দিতে হবে এ ধারনা কিন্তু উনিও মন হয় বিশ্বাস করেন না।
http://en.wikipedia.org/wiki/Time_dilation
ফুয়াদ ভাই, প্রলাপ বকার আগে মাথায় মধ্যমনারায়ণ তেল মেখে এই পেজটা পড়ে নিন।
@আগন্তুক,
:-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y
I said before, my saying has no value. That’s What I wanted to say . Critisizing me is all right . thanks
:-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y
@ফুয়াদ,
====>>>>
১। আচ্ছা আপনার কথামতো কাজটিই যদি আমি করি- তাতে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ কিভাবে ছড়ায়- সেটা আমাকে বুঝান? ধরেন কেউ একজন যে ধর্মীয় স্কলার নয়- কিন্তু অমন উল্টাপাল্টা বিশ্বাস করে- কেবল সেই উল্টাপাল্টা বিশ্বাসকে খন্ডন করে আর্টিকেল লেখায় কি সমস্যা?
২। এমন কোরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি আজ অহরহই হচ্ছে- এখানে কেবল তেমন একটা প্রচেস্টার জবাব দেয়ার চেস্টা করেছি। আপনি যদি কখনো এমন দাবি না করে থাকেন- তবে বুঝে থাকুন- এটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি। সামুতে অনেক আস্তিক ব্লগারই যেমন এই পোস্ট এ এসে সহমত জানিয়েছে।
৩। প্রতিষ্ঠিত স্কলারদের যে রেফারেন্স চাইলেন- সেটাও এই পোস্টে আছে। যেটা নাই সেটা মোহাম্মাদ আসাদের রেফারেন্স। এই ভদ্রলোকও তার অনুবাদে এটম শব্দটি ব্যবহার করেছে। আমার ধারণা- তিনিই সম্ভবত প্রথম, আমি দু একটি পুরান অনুবাদ- তাফসীর দেখেছি- যেখানে কোথাও এটমের নামগন্ধ নেই। (আসাদ ও রাশাদ খলীফা এমন দুজন লোক যারা কোরআনের অনেক ট্রাডিশনাল অর্থকে পাল্টিয়ে নতুন অর্থ ও ব্যাখ্যা হাজির করেছে- যেগুলো পরবর্তীতে অন্যরা ফলোও করেছে)। এবার আমাকে বলেন- মিছকাল শব্দের অর্থ এটম করার কি প্রয়োজন ছিল?
৪। দেখেন, এই পোস্টে এটম এর দাবি নিয়ে যেহেতু কিছু বলার নেই- তাই বলছেন- এই দাবিতো আমি করিনি! কিন্তু ঠিকই মিরাজের মত একটা কল্পকথাকে আপনি আইনস্টাইনের থিউরির সাথে মিলিয়ে ফেললেন এবং এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন- আপনিও ঐ শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত যারা ইসলামকে বিজ্ঞানময় করার আপ্রাণ চেস্টায় লিপ্ত। এখন মিরাজ ও রিলেটিভিটির দাবি নিয়ে যদি পোস্ট দেই- সেখানে হয়তো আরেকজন এসে বলবে- কোন স্কলার এ দাবি করেছে যে এটা নিয়ে আর্টকেল লিখে বসে আছেন?
সামহোয়ারের একটা অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করছি:
আমার পোস্ট পড়ে ব্লগার নাজনীন১ এর মন্তব্যঃ
=======>>>>>>>>>
আমি বললামঃ
পরে দেখি নাজনীন১ এসে জানাচ্ছে:
আমি নাজনীন১ এর পরবর্তী প্রশ্নগুলো নিয়ে জবাব তৈরি করছি- এর আগে “ধর্মে বিজ্ঞানঃ নিম গাছে আমের সন্ধান” শীর্ষক পোস্টও যেহেতু এসব প্রশ্নের জবাবে যথেস্ট মনে হয়নি- সেহেতু এবার এই পোস্টের মত করেই বিস্তারিত আলোচনা করেই ঐ সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেস্টা করবো। চাইলে- আপনার মিরাজ নিয়েও আরেকটা পোস্ট লেখতে পারি।
এবার আপনি আমাকে আগাম বলে দেন- এসব গালগল্পের জবাব দেয়াটা এবং জবাবের আর্টিকেল মুক্তমনার মত প্রতিষ্ঠিত জর্নালে প্রকাশিত হলে- আপনার কোন আপত্তি আছে কি না, তখনো কি আপনি মুসলিম স্কলারের রেফারেন্স চাইবেন , আপনার কি মনে হবে যে- এসব ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর জায়গা থেকে লিখিত?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমি একটা জায়গায় একটু বুঝি নাই, মিসকাল এর অর্থ কেউ এটম করেছে জানতাম না, আমার জানা মতে এখানে “জার-রা” শব্দের অর্থ “ক্ষুদ্র” মিসকলা জার-রা শব্দটি অনেকটা ফ্রেজ এর মত, জার-রা কে আরো ক্ষুদ্র বুঝাতে মিসকাল ব্যবহার করা হয়েছে।
@anas,
আপনিই সঠিক। আমি ভুল করেছি। পোস্টে সংশোধন করে দিচ্ছি।
ভুল শুধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টে একটু ভুল ছিল- এডিট করা হলো।
আমি কেবল মিসকাল শব্দটির উপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম- ফলে যাররা শব্দটি বাদ পড়ে গিয়েছিল। আধুনিক অনুবাদে এই যাররা শব্দের অর্থ কখনো কখনো পরমাণুও ধরা হয়, বা উল্টোভাবে বললে বলা যায়- আধুনিক আরবী রসায়ন শাস্ত্রে পরমাণু বা এটমের আরবী প্রতিশব্দ করা হয়েছে যাররা। যা সম্পূর্ণই দৃষ্টির অগোচরে থেকে গিয়েছিল। পূর্বের পোস্টে এই ভুলটি স্বীকার করছি এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করে দিয়েছি।
@anas,
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে।
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
مِثْقَالُ শব্দের অর্থ পরিমাণ, আর ذَرَّة শব্দের অর্থ অতি ক্ষুদ্র। এখানে বাংলায় অণু বলতে পদার্থ বিজ্ঞানে বর্ণীত বস্তুর ক্ষুদ্র অবস্থা Atom বুঝানো হয় নাই। Atom যদি বুঝানো হতো তাহলে তাফসীরে Nucleus, Electrons, Protons, Neutrons এর কথাও উল্লেখ থাকতো। সংশ্লিস্ট আয়াতটির ব্যাখ্যায় উর্দু তাফসিরকারকগন বলেছেন জাররা ছে জাররা নেক কাম ইয়া নেক আমল, ইয়া সোয়াব, অথবা ছুটে ছে ছোটে খারাব কাম, ইয়া গোনাহ ইয়া বদী
মৌলানা আশরাফ আলী থানভী (রঃ) থেকে মৌ্লানা মউদুদী পর্যন্ত কাউকে ذَرَّة (জাররাহ) শব্দের অর্থ, পদার্থ বিজ্ঞানের বস্তুর মৌলিক কণিকারূপী অণু-পরমাণু লিখতে দেখি নাই। আশরাফ আলী থানভী (রঃ) কিন্তু পরিষ্কার ভাষায় তার একটি বইয়ে বলে দিয়েছেন- কোরানে বিজ্ঞান খোঁজা ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি নির্দ্ধিধায় বলেছেন, ধর্মের ভিত্তি হলো বিশ্বাস, যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস প্রমাণ করা বোকামী।
@আকাশ মালিক,
আমি কোথাও এ কথা বলিনি যে এখানে এটম এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে এ আয়াত, তা আমার কাছে পরিস্কার, আমার কাছে শুধু আরেকটি শব্দ উল্লেখ না করায় বুঝতে কিছুটা সমস্যা মনে হয়েছে, লেখক কে সেটা জানিয়েছি, তিনিও অনূরুপ মনে করায় পরিবর্তন করেছেন।
সমস্যাটি দূর করার জন্য লিখক কে ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
এদিকে হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ তার ‘কোরআনের অভিধান’ এ ذَرَّة ( জাররাহ) এর অর্থ করেছেন -পিঁপড়ার গর্ত, ধূলিকণা যা আঁধারেও ঝলমল করে, অণু-পরমাণু। কোনটা নিব? 🙂
@anas,
ওটা আপনার মন্তব্যের উপরে লিখা নয়। আসলে জানতে চেয়েছিলাম একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে আপনি কি কখনো এমনটি (Atom) কোনো তাফসীরে দেখেছেন বা আলেম উলামাদের কাছ থেকে শুনেছেন।
@আকাশ মালিক,
তেমনটি কখন শুনিনি, বরং এটা শুনেছি যে সরিষা দানা পরিমান সৎ বা অসৎ কাজ। তখন মনে হয় সরিষা দানাই ক্ষুদ্রতার উদাহরণ ছিল। আরবী থেকে শব্দটির অনুবাদ হয়ত এভাবেই ছিল।
@আকাশ মালিক,
মনে হয় আপনারও জীবনের একটা অংশ কেটেছে মাদ্রাসায় বা তেমন কোন পরিবেশে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে একটা লেখা লিখে ফেলেন না, অনেকদিন তো কিছু লেখেন না।
@anas
একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের কাছ থেকে এমন কথাটা শুনে ভালই লাগলো।
প্রায় চল্লিশ বছর আগের কথা, এখনও পুরোপুরি মনে আছে। সে রাত চন্দ্রগ্রহন ছিল। ছাফেলা দুওমে বৃত্তি পরীক্ষার সময়ে সারা রাত জেগে মাদ্রাসায় শেখ সাদীর গুলিস্তান, বুস্তান পড়ছি। মাদ্রাসার মুহতামীম দাওরায়ে হাদীস টাইটেল পাশ নামী ওস্তাদ। সেদিন চন্দ্রগ্রহন নিয়ে হুজুরের কথা বিশ্বাস করেছিলাম। তালগোল পাকিয়ে গেল যেদিন আমার সমবয়সী হাইস্কুলে পড়ুয়া এক বন্ধুর টেবিলে বিজ্ঞানের একটি বইয়ে এর ব্যাখ্যা দেখলাম। হুজুরকে পুনরায় জিজ্ঞেস করে ধমক খেয়েছি। কোরান হাদীস থেকে তারা কোনদিন ভুমিকম্প, রংধনুর ব্যাখ্যাটা পর্যন্ত করতে পারেন নি। জীবনে কতো হুজুরকে এসব প্রশ্ন করেছি সঠিক উত্তর কোনদিন পাইনি। একসময়ে গ্রীকদের কাছ থেকে জীবন জগত দর্শনে উদ্ভুদ্ধ মুসলিম বিশ্বে মুক্তচিন্তার অধিকারী কিছু মানুষ জেগে উঠেছিলেন। জ্ঞান, বিজ্ঞান দর্শনের যে আলো তারা জ্বালিয়ে ছিলেন, আব্বাসীয় শাসকগোষ্টি, ক্ষমতালোভী শরিয়তী ধর্মান্ধরা তাদের স্বার্থরক্ষার্থে, মুক্তচিন্তার অধিকারী মুসলমানদেরকে খুন হত্যার মাধ্যমে সে আলো চিরতরে নিভিয়ে দেন। আজ যারা সারা দুনিয়াকে মুসলিম বিশ্ব বানাতে চান, কোরানকে বিজ্ঞান বানাতে চান কিংবা কোরানে বিজ্ঞান খোঁজেন, তারা না বুঝেন কোরান, না বিজ্ঞান, না ধর্মনীতি না রাষ্ট্রনীতি। বহু ধর্মের মানুষের একটি রাস্ট্র থাকতে পারে, রাস্ট্রের কোন ধর্ম নেই থাকতে পারেনা।
@আকাশ মালিক,
জ্ঞানের আলো নিয়ে এগুতে গিয়ে শুধু বিজ্ঞানীরাই স্বার্থান্ধ শ্রেণীর বাধার সম্মুক্ষীন হয়েছেন এমনটা নয়, আপনি জানেন নিশ্চই, ইমাম আবু হানিফা থেকে নিয়ে অনেক শরিয়তী ভিন্ন মতালম্বী ইমামদেরকে শাসকদের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে, অন্যায় কারী বা নির্দিষ্ট মতধারার অধীকারি মানুষেরা যুগ যুগ ধরেই বিপক্ষ শক্তিকে দমন করেছে। ধর্ম তাদের হাতিয়ার ছিল মাত্র।
পাইছি, পাইছি। আল্লার ব্যাখ্যা পাইছি। একেবারে নাকের ডগায় অথচ চোখেই পড়লোনা আগে, আশ্চর্য—–
“আল্লাহ সীমা লংঘনকারীদের পছন্দ করে না”
এখানে সীমা লংঘন বলতে আল্লা কার্বন নিঃসরণের সীমা বুঝাইতেছেন।
ভাইজানেরা এবং আপুমনিরা,
আইজকা থেইকা কোপেনহেগেনে জলবায়ু সম্মেলন শুরু হইছে। জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ে সক্কলের ঘুম হারাম। সমগ্র মানব জাতির জীবন বিধান আল কোরআনে ১৪০০ বছর আগেই নিশ্চয়ই আল্লা পাক এই ব্যাপারে বইলা দিছেন। (এত বড় বিষয় নিয়ে আল্লা না বইলা থাকতে পারেন না)
নাস্তিকের কাছে দাবী জানাই, এ ব্যাপারে আল্লা পাক কী বইলাছেন এবং কী সমাধান দিয়াছেন তা যদি একটু ঘাইটা বাইর কইরা দিতেন। জোকার ভাই এর কোন যুগান্তকারী ব্যাখ্যা ও এই ব্যাপারে নিশ্চয়ই থাকবে। কোন কোন আয়াতকে জলবায়ু পরিবর্তনের লগে মিলানো যায় হেইটাও বাইর করলে ভালো হয়।
তবে রবীন্দ্রনাথের একটি আয়াত থেইকা বুঝতাছি যে উনি এ ব্যাপারে জানতেনঃ
“মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে”
আদিল, এত বছর বাইরে থেকে একটা লাভ হয়েছে, এখন বুঝতে পারি যে, কোন ধর্মেই ফ্যানাটিকের অভাব নাই, সংখ্যাটা এখন বরং বাড়তির দিকে। বাইবেল বেল্ট বলে পরিচিত আমেরিকার এই সাউথের ক্রিশ্চানদের দেখে আমি মাঝে মাঝে আঁতকে উঠি। এদের অনেকেই এখনও ছয় হাজার বছরের পৃথিবিতে বিশ্বাস করে এবং তা গর্ব নিয়ে প্রচারও করে। আর ইন্ডিয়া থেকে কাজ করতে আসা বেশীরভাগ হিন্দুদের দেখে তো আমি রীতিমত বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। এই কয়দিন আগেই, একদল আর্কিটেক্টের ( যাদের বেশীরভাগই ভারত থেকে আসা প্রথম জেনারেশন ইমিগ্রান্ট এবং হিন্দু, দুনিয়ার এহন খবর নাই যে রাখেন না) সাথে বসে লাঞ্চের সময় আড্ডা মারছিলাম, তারা এমন সব ধর্মীয় আর সাংস্কৃতিক কুসংস্কার ( হাত দেখা থেকে শুরু করে কিছুই বাদ নেই) সমর্থন করতে শুরু করলো যে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে শুরু করলো। শেষ পর্যন্ত আমি বলতে বাধ্য হলাম যে, এতগুলো উচ্চশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন আর্কিটেক্ট একসাথে এক টেবিলে দেখতে পাবো তা কোনদিন ভাবি নাইঃ)। অনেকদিন ধরে একসাথে কাজ করি বলে এরা আমাকে ক্ষ্যমা-ঘেন্না করে মাফ করে দেয়, তবে অনেক সময়ই ফাজলামি করে বলে…ওর কথা শুনো না, ও তো পার নাস্তিক …..।.
@বন্যা আহমেদ,
বাঁচা গেছে-তবুও বুঝছ-সব দেশগুলোই কেমন গাড্ডায় গেছে। তবে সুবিধার দিক হল-ভারতীয়্দের গালাগাল দিলে ওরা খুব একটা গায়ে মাখে না। টলারেন্স বলতে পার-এটা কিন্ত বড় দিক। এদের নিয়ে আমার একটা লেখা আছেঃ
http://biplabbangla.blogspot.com/2009/04/blog-post_24.html
@বন্যা আহমেদ,
কেউ তাদের ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান আবিষ্কার করলে বা যেকোন উদ্ভট সংস্কার পালন করতেই পারে, তাতে যদি তাদের মনে শান্তি আসে তাতে ক্ষতি কি? মুশকিল বাধে তখনই যখন কেউ সেসব বিশ্বাসের কারনে নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ দাবী করতে থাকে, আরো আশংকার কারন হয় যখন এই দাবির ভিত্তিতে অন্যদের উপর নিজের ধর্মের কালাকানুন আচার মূল্যবোধ চাপিয়ে দিতে চায়।
ধর্ম পালন করলে সে যে ধর্মই হোক না কেন কিছুটা কুসংস্কার (এটা আসলে আপেক্ষিক, কারো কাছে গভীর বিশ্বাস, কারো কাছে স্রেফ কুসংস্কার) আসবেই। সেটা ব্যক্তি পর্যায়ে রাখলে সমস্যা হওয়ার কথা না। ভারতীয়দের দেখেছি ব্যাপারটা অনেকটা তেমন। দক্ষিনের কিছু গোড়া খ্রীষ্টানের কথা শুনেছি, তবে এখনো কারো সাথে সৌভাগ্যবশত দেখা হয়নি। একবার বাড়িতে মর্মন ধর্মপ্রাচরক এসেছি; ডাহা মিথ্য কথা বলে দিয়েছি সারা রাত কাজ করে এসেছি এখন ঘূমাবো, যদিও জীবনে আমি কখনো রাতে কাজ করিনি।
আমেরিকায় ইউরোপে হিন্দুরা কি কোনদিন রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা বা বৈদিক কালাকালুন কায়েম করার দাবী জানাবে? মনে তো হয় না।
আচ্ছা, আপনি এ বিষয়টাকে কি ভাবে ব্যাখা করবেন? একজন হিন্দু পরিবারে জন্মে, ধর্মে বিশ্বাস না করেও ” ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে দিলাম কাঁটা” বলে ভাই ফোঁটার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, হোলি খেলছেন, বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ছাতুর নাড়ু খাচ্ছেন, স্বরস্বতি পুজো না পেরুলে কুল বড়ই ছুচ্ছেন না অথবা একজন খৃষ্টান পরিবারে জন্মে , ধর্মে বিশ্বাস না করেও বড়দিনে কাটাকলি আর পিলিস পিঠে বানাচ্ছেন, সাধু আন্তনীর পালা শুনে আপ্লুত হচ্ছেন, ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছেন। একজন মুসলমান মুসলিম পরিবারে জন্মে ধর্মে বিশ্বাস না করেও রোজা না রেখেও রোজার দিনে পরিবারের সবার সাথে ইফতারে বসে প্রানের মেলায় মিলছেন, সব বরাতে নামাজ পড়ছেন না কিন্তু অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন পাশের বাসা থেকে ট্রে তে সাজিয়ে ক্রূশি কাটায় বোনা চাদর দিয়ে ঢেকে রঙ বেরং এর হালুয়া আসবে আর কোনটা গাজরের, কোনটা নেশেস্তার, কোনটা বুটের ডালের সেই গবেষোণায় মাতবেন। ধর্মে বিশ্বাস না করেও চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পড়ছেন, বিছানা বালিশে যাতে লেগে না যায় তাই অস্বস্তি নিয়ে এক কাতে ঘুমচ্ছেন। এর ব্যাখা কি?
আমার শ্রদ্ধেয় একজন সেদিন বললেন” আচ্ছা কেয়া , ধর্মে বিশ্বাস করি না কিন্তু অতুল প্রসাদের গান শুনলে বা ভক্তি সঙ্গীত শুনলে মন কেন শান্ত হয়? কেনো শান্তি পাই?
@কেয়া,
ধর্ম, সংস্কার এ জাতীয় ব্যাপারগুলি নিয়ে যারা তত্ত্ব্বীয় পড়াশুনা করেছেন তারা নিঃসন্দেহে আপনার প্রশ্নের জবাব গুছিয়ে বলতে পারবেন। আমি নিশ্চিত অভিজিত বা বিপ্লব যাদুমন্ত্রের মত কিছু প্রতিষ্ঠিত গবেষনাপত্র এক লহমায় বের করে ফেলতে পারবে।
তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল; এটা হল একটা আবেশের মতন ব্যাপার যার উপর আশেপাশের সামাজিক পরিবেশের প্রভাব থাকে।। কিছুটা হয়ত মাস হিষ্টিরিয়ার মত, হিষ্টিরিয়া বলাটা যদিও ঠিক হচ্ছে না, তবে উপযুক্ত শব্দ খুজে পাচ্ছি না। যারা ধর্মের কোন রিচূয়াল পালন করেন না, কিন্তু মনেপ্রানে ধর্মকে পুরো ত্যাগ করেননি তাদের জন্য তো অমন আচরন মোটেও অস্বাভাবিক কিছু না। আর যারা ধর্ম মানেন না বলেও অমন আচরন করেন সেগুলো আমার মনে হয় অনেকটা পরিবেশের প্রভাব, সামাজিক জটিলতা এড়ানো এধরনের কারন। আর উতসব পালন করতে কার না ভাল লাগে? আমাদের দেশে ঈদের কয়দিন (কোরবানী ঈদ মনে হয় এ হিসেব থেকে বাইরে) ঘোর নাস্তিকদেরও কি মনে একটা আনন্দের ভাব আসে না? আমেরিকা/কানাডায় আমিও দিন গুনি কবে বড়দিন থ্যাংকস গিভিংসের ছুটি আসবে।
কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুকে বলছিলাম যে ধর্মের রিচুয়াল সাইডের প্রতি আমার আর তেমন কোন ভক্তি নেই। প্রথাগত ধর্মের দুয়েকটা বড় অসংগতি তাকে বললাম। সে বেচারার অবস্থা দেখে মায়াই হল, কারন তার ধর্মজ্ঞান এখনো পুরোপুরি একতরফা। বিপরীতে কিছু যে থাকতে পারে তার মাথায় এটাও নেই। সে আমাকে শুধু বলল যে নামাজ পড়ে সে অত্যন্ত মানসিক শান্তি পায় এবং তার ধারনা এর মাঝে কিছুটা অলৌকিকত্ব আছে। আমি শুধু বললাম যে ওটা এমন কোন যুক্তি হল না, একই শান্তি কেউ গংগা নদীতে ডুব দিয়েও পেতে পারে। বেচারা আর কথা বাড়াল না। তাকে যদি কেউ নামাজ পড়লে শান্তি পাওয়া যায় এমন কথা জীবনেও না বলত তাহলে হয়ত তার মনে এই শান্তি ভাব আসত না।
আর ভক্তিমূলক গানগুলির সুর এমনই যে মনে প্রশান্তি আসতেই পারে, তার মাঝে ধর্মের কোন ভূমিকা নেই। আমার এক ধার্মিক হিন্দু বন্ধুর গাড়িতে হিন্দী/গুজাটি কি সব ভক্তিগান বাজে সবসময়। আমি তার এক বর্ণও বুঝি না, কিন্তু শুনতে তো বেশ লাগে, মনে হয় বেশ একটা শান্তি শান্তি ভাব আসছে। এটা মনে হয় পুরোপুরি সুরের কৃতিত্ত্ব। গানের স্বার্থকতাই মনে হয় সুরে। হিন্দী গান আমাদের দেশে কয়জনে বোঝে, কিন্তু শুনতে কারো আপত্তি নেই। আমিও কিছু না বুঝেও পুরনো দিনের অনেক হিন্দী গানই শুনি। রবীন্দ্রসংগীত শুনলেও মনে বেশ প্রশান্তি আসে, একবার ভাবেন তো একই রবীন্দ্রসংগীতের সূর বদল করে জ়েমস হাসান এনাদের কায়দায় ব্যান্ড সূর দেওয়া হল। তাহলে একই রবীন্দ্রসংগীতকে মনে হয় অত্যাচার বলে মনে হবে।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার চমৎকার আলোচনার অনেক ধন্যবাদ। আমার এরকম অভিজ্ঞতা ঘটেছিল বুয়েটে পড়ার সময়ে।
একদিন আহসানউল্লাহ হলে এক বন্ধুর রুমে গিয়ে একজনের সাথে পরিচয় হয়ে যায়। সে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট থেকে এসেছে- হলের মন্দিরে “সায়েন্স এণ্ড স্পিরিটুয়ালিজম” সম্পর্কে লেকচার দিতে। ছেলেটা ব্যাচ বা বয়স হিসাবে আমার চেয়ে ছোটই হবে, আমি আগ্রহবোধ করে জানতে চাইলাম- বিষয়টা কি? তার হয়তো কিছুটা সময় ছিল- আমাকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে বুঝালো। বেদ-বেদান্ত, হিন্দু দর্শন, জ্যোতিষ এবং আইনস্টাইন-স্টিফেন হকিন্স, থিউরি অব রিলেটিভিটি- বিগ ব্যাং- গ্রহ- নক্ষত্র- মানুষের জীবন- মরণ … সব একাকার হয়ে গেলো।
আমি অবাক হয়ে শুনলাম। অবাক এই কারণে যে- এই জিনিসটা যে হিন্দুরাও করে তা ঐ সময়ে জানা ছিল না। এমন বিজ্ঞানীকরণ কেবল মুসলমানদের কাজ বলে মনে করেছিলাম। পরে অবশ্য এমন উদাহরণ আরো অনেক পেয়েছি। আমার কালেকশনেও এমন কিছু বইও আছে। এসব দেখি আর, বিমর্ষ হই ….
ধর্মগ্রন্থে বিহহান আবিষ্কারের দাবী এখন পর্যন্ত গুরুত্ত্ব না দেবার বড় কারন হিসেবে আমার কাছে এটাই মনে হয় যে; যে জিনিস আগে আবিষ্কার হয়েই গেছে সেটা নুতন করে আবিষ্কারের কোন মানে নেই। এহেন দাবী দিয়ে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস হয়ত শক্ত করা যায় তবে বিজ্ঞান বা বস্তুজগতের কি বিন্দুমাত্র কিছু এসে যাবে? উল্টাটাই বরং হবে, যারা ধর্মে বিশ্বাসী না তারা তাদের অবিশ্বাসের পক্ষে ব হাল যুক্তি পেয়ে যাবেন এবং জোরেশোরে তা প্রচার করবেন।
কোরানেই যে শুধু বিজ্ঞানের দাবী করা হচ্ছে তা নয়। আমি যতদুর জানতে পেরেছি কোরানে বিজ্ঞানের দাবী তেমন পুরনো নয়। বাইবেল, বেদে বিজ্ঞানের দাবী অনএক বেশী পুরনো। বাইবেল সম্পর্কে নিশ্চিত নই, তবে বেদ গীতাঊ বিজ্ঞানের দাবী কোরানের দাবীর চাইতেও অনেক বেশী বলেই মনে হয়। সেগুলি নিয়ে কি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মাতামাতি করে? মনে হয় না। যারা লেখার তারা লিখে যান, ভক্তিমানরা হয়ত কিনে বাড়িতে রাখেন, মাঝে মাঝে বিশ্বাস চাঙ্গা করতে পড়ে আত্মতৃপ্তি পান। তবে এর বেশী খুব একটা মাতামাতি মনে হয় করেন না।
মুসলিমদের মাঝে বিজ্ঞানীর সংখ্যা অনেক কম হলেও তারা প্রায় সবাই কোরানে ঘোর বিশ্বাসী, অনেক বিজ্ঞানীকে জানি যারা নিয়মিত কোরান পড়েন ও পালন করার চেষ্টা করেন। তারাও তো আজ পর্যন্ত কোরান থেকে বিজ্ঞানের কোন নুতন আবিষ্কার করতে পেরেছেন বলে জানা যায় না। নুতন আবিষ্কারের জন্য তাদের ল্যাবরেটরি, কম্পুটার, উচ্চতর গণিত/বিজ্ঞানের আধুনিকম তত্ত্ব নিয়েই ঘাটাঘাটি করতে হয়, কোরান নিয়ে নয়।
আজকে দূরবস্থা হলেও এককালে মুসলিম বিজ্ঞানীরাই ছিলেন অনেক অগ্রগামি, তাদের মধ্যযুগে অনেক মৌলিক আবিষ্কার রয়েছে। কিন্তু তারাও কোরান থেকে তাদের সেসব আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যায় না।
কাজেই এহেন দাবির পেছনে সময় নষ্ট করার মানে কি?
শব্দ কথামালার খেলা খেলে অনেক কিছু থেকেই বিজ্ঞান বানানো যায়। উদাহরন হতে পারে, কিছুদিন আগে কোন এক রবীন্দ্রভক্ত রবীন্দ্রনাথ কত বড় বিজ্ঞানী ছিলেন তা প্রমান করে কোন দৈনিক পত্রিকায় বিরাট আর্টিকেল লিখেছিলেন, মুক্তমণায় তার এক্তা ব্যাবচ্ছেদ কে কে যেন লিখেন।
“আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী”
সিদ্ধান্তঃ রবীন্দ্রনাথ ভিনগ্রহের মানুষের অস্তিত্ত্বের সন্ধান জানতে পেরেছিলেন।
“”আমি এপারে পাতিয়া কান, শুনেছি শুনেছি তোমারই গান”
সিদ্ধান্তঃ তার সাথে ভিনগ্রহবাসীদের টেলিকমিউনিকেশন হয়েছিল।
এভাবে বিজ্ঞান যে আরো কত কিছুতে আবিষ্কার করা যায় তার সীমা আছে?
একটা কথা খেয়াল করে দেখবেন, যখনই science নতুন কিছু আবিস্কার করে তখনই ফুয়াদ মার্কা লোকজন লাফ দিয়ে রিং এ নেমে বুকে থাবা মেরে বলতে থাকে “আমাদের কোরাণে এই কথা আগেই বলেছিল”।science এটা আবিস্কারের আগে তারা এ ব্যাপারে বিন্দু মাত্র আভাষ দিতে পারে না।
ফুয়াদ ভাইজানরা একটা উপকার করেন, কোরাণে আর কি কি ব্যাপার আছে, যা এখনও science আবিস্কার করতে পারে নি, তার একটা লিস্ট তৈরি করে দিলে ভবিষ্যতে আমাদের এ ব্যাপারে অনেক সুবিধা হতো।
@ফরহাদ,
খামশ…………। আপনার কতবড় সাহস ফুয়াদ ভাইকে challenge করেন। আল্লাহ কিন্তু আপনাকে তার পেয়ারের বান্দকে নিয়া তামাশা করার জন্য …………. :guli: …………………।
@সাইফুল ইসলাম, ভয় পাইছি!!
@ফরহাদ,
হো হো হো হো হো হা হা হা হা হা হা হা হা হা …………………………………………………। 😎
ফুয়াদ ভাই চলে আসছেন এ লেখায়, আর চিন্তা নাই। এ লেখার আয়ু কয়েক দিন চোখ বন্ধ করেই বেড়ে গেল।
ফুয়াদ ভাই, আপনে জানপ্রাণ দিয়া তর্ক করবেন তা তে কোন আপত্তি নাই, করেন। খালি যদি বানানগুলা ‘এট্টুনি’ ঠিক কইরা লিখতেন তাইলে চোখের যন্ত্রণাটা ‘এট্টু’ হইলেও কমতো। আপনার যুক্তিগুলা থেকে নিক্ষিপ্ত মানসিক যন্ত্রণা যাও বা সহ্য হয়, বানান ভুলের কারণে চোখে যে ব্যাথা পাই তা কিন্তু কিছুতেই সহ্য হয় না। বাংলা ভাষায় যদি লিখবেনই ঠিক করছেন, দয়া করে একটা বাংলা ডিকশেনরীও কিনে ফেলেন। আর বাসায় থাকলে তা লেখার আগে সামনে নিয়ে বসেন। ‘ব্যক্ষা’ বলে কোন শব্দ বাংলায় বোধ হয় এখনও তৈরি হয় নাই………… মুক্তমনার মত ফোরামে এত বানান ভুলের সমাহার দেখতে ভালো লাগে না। মুক্তমনার মডারেশন টিম এ ব্যাপারে আরেকটু নজর দিবেন বলে আশা করি।
@রাহাত খান,
বাংলা বানান ভুল যতটা না, না জানার কারণে হয়, তার চেয়ে বেশি হয় আমাদের বিষয়টাকে গুরুত্ব না দেবার প্রবণতা এবং যত্নহীনতা থেকে। স্বীকার করছি বাংলা বানান অনেক কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে অনেক শব্দের সর্বজন স্বীকৃত কোন বানানও নেই, বা একাধিক বানানও প্রচলিত রয়েছে। অসংখ্য বর্ণ এবং এর ক্রমগুলো ভালভাবে না জানাতে অভিধান ব্যবহার করাটাও খুব একটা আরামের কাজ না। বানান শুদ্ধকরণের অনলাইনেও সেরকম কোন সুযোগ নেই। তারপরেও আমি বলবো সামান্য একটু যত্নশীল হলেই বানান ভুলকে একটা সহনশীল মাত্রায় নিয়ে আসা সম্ভবপর।
অজ্ঞাত কারণে সেই চেষ্টাটাই মনে হয় কেউ করতে চাই না। আসলে বাংলা বানান ভুল করাটা যে একটা লজ্জ্বাকর কাজ হতে পারে সে সম্পর্কেই আমাদের ধারনা নেই। ইংরেজী বানান ভুল হলে আমরা কিন্তু ঠিকই লজ্জ্বিত হই, সংশোধনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। বাংলার ক্ষেত্রে সেটা করি না।
একবার এক ভদ্রলোক একটা লেখা পাঠিয়েছিলেন মুক্তমনায়। অল্প স্বল্প ভুল থাকলে আমি যতদূর পারা যায় সেগুলো সংশোধন করে দিতাম। কিন্তু প্রায় প্রতিটা শব্দই ভুল হবার কারণে সেই লেখাটি আমি ফেরত পাঠিয়ে ছিলাম বানানগুলোকে সংশোধন করে পাঠানোর জন্য। সেই ভদ্রলোক আর সেটা পাঠাননি আমাকে।
মুক্তমনা ব্লগ ফর্মে চলে আসার কারণে এখন যারা এখানে লিখছেন তাদের ঘাড়েই দায়িত্বটা চলে এসেছে। মডারেটরদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় সবার বানান সংশোধন করে দেবার।
যাই হোক, এক সময় বাংলা বানান নিয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য বানান নিয়ে বকবকানি নামের এই লেখাটি লিখেছিলাম। মুক্তমনার সদস্যরা পড়ে দেখতে পারেন।
@ফরিদ আহমেদ, যাক বাঁচা গেল, আলগা মাতব্বরীটা করার পর থেকেই ভয়ে ভয়ে ছিলাম, মডারেটররা না জানি ক্ষেপে যায়। আপনার উত্তরটা পেয়ে ভালো লাগলো। আপনার এই লেখাটা এখনকার ব্লগের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকবার নতুন করে পোষ্ট করলে খুবই ভালো হত। অনেকের হয়তো লেখার আগে ডিকশেনরীটা পাশে নিয়ে বসার কথা মনে পড়ে যেত 😀
একটা সময় কোরানের আয়াত রিফিউট করে বিস্তর মজা পেতাম। এখন আর পাই না। বয়স বাড়ার ফল মনে হয়। 🙂 । এখন বিজ্ঞান নিয়ে লিখতেই সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করি। আর তা ছাড়া ধর্মের বানীর এত ধরনের ইন্টারপ্রিটেশন আর মিসইন্টারপ্রিটেশন সম্ভব যে কহতব্য নয়। পঙ্কিল জলাশয়কে রূপক, সমতল পৃথিবীকে গোলাকার বানানোর খেলা তো চোখের সামনে এখনো দেখা যায়। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু নাস্তিকের ধর্মকথার লেখা পড়লে বুঝি সবাই হাল ছাড়ে না।
অনেক আগে এগুলো নিয়ে একটা দুই পর্বের প্রবন্ধ লিখেছিলাম। নাস্তিকের ধর্মকথা এবং অন্যান্যদের কাজে আসলেও আসতে পারে –
Does the Qur’an Have any scientific Miracles? ( [Part-1] [Part-2] )
‘অনু’ দেখে এতোটা আশ্চর্য হবার কিছু নেই। মুহম্মদের জন্মের বহু আগে ইপিকিউরাস তার বহু লেখায় পদার্থের ক্ষুদ্র অংশ বোঝাতে ‘অনু’ ব্যবহার করেছিলেন। ইপিকিউরাসের যেমন De Rerum Natura’ কবিতায় এর উল্লেখ আছে, এবং এর অর্থ কোরানের চেয়ে অনেক স্পষ্ট। এমনকি এপিকিউরাসেরও আগে লিউসিপ্পাস অনু শব্দের ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রাচীন তামিল সাহিত্যেও আমরা ‘অনু’ শব্দের ব্যবহার দেখি (যেমন কনাদের রচনায়)। এগুলো সবই কোরানের বহু আগের সাহিত্য, এবং সেগুলোতে ‘অনু’র ব্যবহার আছে। আমি সেজন্যই Does the Qur’an Have any scientific Miracles? (Part2) তে লিখেছিলাম –
if someone’s prediction on something implying that that would be an evidence of divine inspiration and an aura of supernaturalism then we must bestow that credit to Epicurus (341-270 BC), who predicted, in his poetic summary ‘De Rerum Natura’, in far less ambiguous terms than anything purportedly present in the Qur’an, the existence of atoms and the molecules (the binding of two atoms to produce a different chemical) [6]. Following the principles of the Islamic scholars should we then consider Epicurus a Prophet or his book a divine scripture? Even before Epicurus, around 440 BC, Leucippus of Miletus originated the concept of atom. Later, he and his pupil, Democritus (460-371 BC) of Abdera, refined and extended this idea. There were five major points to their atomic theory at that time. Epicurus, to be precise, developed the work of Leucippus and Democritus and had made their ideas widely known. From ancient history we also learn that significant contributions were made by Indian philosophers. Long before Muhammad was born, Kanada, the founder of the Vaisesika system of philosophy expounded that all matters in this universe consists of atoms. The Tamil word for atom is “anu” (in Bangla we also use the same) which is an ancient word, mentioned in Tamil literatures in 600 AD or even earlier ! So there is absolutely no valid reason to claim that the Qur’an, written in later period, solely and miraculously predicted certain assertions on atom now established by modern science.
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ =Whoever does an atom’s weight of good will see
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ= It does an atom of evil seen
গুগল ট্রাসন লেটর দিয়ে অনুবাদ করলাম , যা এটম ই এসেছে । আপনি এক কাজ করুন, শাকির, পিকথাল , ইউসুফ আলির বিরুদ্ধে কেইস করুন ? যে তারা উলটা পালটা অনুবাদ করেছেন । আসল অনুবাদ জানেন আপনি ? আর গুগুলরে ও ছাইরেন না । হেরা কেল লাগি এই রকম অনুবাদ করে ?
ইবনে খাতির আরবি থেকে ইংলিশে আল কুরান অনুবাদ করেছেন তা আজকে প্রথম জানলাম । আমি জানতাম উনি তফসির করেছেন । আর তফসির সাধারন মানুষকে বুঝানোর জন্য করা হয় । তারা যে ভাবে বুঝবে । তার পর তফসির কারকের জ্ঞানের উপর নির্ভর করে । তারা দেখেন আজকে এই শব্দ দিয়ে, কুরানের এই বাক্য ভাল ্ব্যক্ষা করা যায় , কালকে দেখেন না , ঐ শব্দ দিয়ে ভাল ব্যক্ষা করা যায় ।
@ফুয়াদ,
:yes: :yes: :yes:
আমি আছি আপনার সাথে।
লেখকের আরেক টি বিষয় কি মাথায় এসেছে ? ধরুন এক গ্রাম্য মুসলিম আপনাকে এসে বলল চীন নামে কোন দেশ নাই , তা কোরানে বলা হয়েছে । অমনি পরের দিন আপনি বড় একটি আর্টিক্যল লিখে ফেললেন {তাও মুক্তমনার মত প্রতিষ্ঠিত জার্নালে}, মুসলিমদের মিথ্যাচার , চীন নামে আসলে একটা দেশ আছে । তাহলে এ শুধু আপনার ইসলাম বিদ্ধেষ ই প্রকাশ করবে, ভিন্ন কিছু নয় ।
আপনার ফ্রেন্ড বা যে কেঊ হয়ত নিজের মতামত বলেছিল । তা আপনি তাকে বললেই পারতেন । তাছাড়া,
@ফুয়াদ,
আল্লাহকে একটা সিমিলার প্রশ্ন করা যায়, “পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অতি নগন্য একটা অংশ যখন আরবীতে কথা বলে, তখন আপনি কেন কোরানের মত একটা বিশ্বজনীন গ্রন্থ আরবীতে লিখে পাঠালেন?”। আসলেই, আস্তিক-নাস্তিক নি্র্বিশেষে প্রায় কেউই সঠিক অনুবাদ জানে না। আপনি কিভাবে বুঝলেন ইউসুফ আলী, পিকথালের মত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতরা কোরানকে বৈজ্ঞানিক রুপ দিতে গিয়ে অসততার শরণাপন্ন হচ্ছে না?
১) মানুষের মত নগন্য প্রানী তার সীমিত ক্ষমতার কারণে সাহিত্যের মাধ্যমে মনোভাব পরিপূ্র্ণভাবে ব্যক্ত করতে অক্ষম বিধায় তার রচনা “ব্যাখ্যা” করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আল্লাহর মত অসীম ক্ষমতাবান ব্যক্তির লেখাকে “ব্যাখ্যা” করার প্রয়োজন কি? তিনি কি এমনভাবে বইটা লিখতে পারতেন না যাতে জ্ঞানী-মূর্খ নির্বিশেষে সবাই বইটা পড়ে বঝতে পারে? তার চেয়েও বড় কথা, তিনি বই লিখতে গেলেন কেন? বইয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তিনি যদি মানষের জিনের ভেতর ইসলাম ঢুকিয়ে দিতেন পৃথিবীতে লাখ লাখ নবী পাঠানোর প্রয়োজন পড়ত না, জিহাদের হাত থেকেও অনেক প্রাণ রক্ষা পেত।
২) কোরানে পরমানুর কথা লেখা থাকলে মানষকে জন ডালটনের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হল কেন? ওই সময়ের মানুষ কেন কোরান পড়ে ব্যাপারটা বুঝতে পারল না?
৩) কোরানের “এটমিক তত্ত্ব” ভুল, স্কুলের ছাত্রও জানে পরমানুকে আরও ছোট ছোট অংশে ভাগ করা যায়। পারলে কোরানের মধ্যে ফোটন, ইলেকট্রন আবিস্কার করেন।
৪) মানষের জ্ঞান যত বাড়ে, সে তত অতীতের ভুল ধারণাগুলো ত্যাগ করে নতুন ধারণা গ্রহণ করে। ভবিষ্যতে যদি স্ট্রিং তত্ত্ব সঠিক প্রমানিত হয়, তখন কোরানের সাথে একে মেলাবেন কেমনে? কোরানের বানীও কি মানুষের পরিবর্তনশীল ধারণার সাথে পরিবর্তিত হবে?
অবশেষে একটা কথাই বলব- কোরানের এসব “মিরাকল” একদমই মূল্যহীন, কারণ মানষকে বিজ্ঞান শেখার জন্য শেষমেষ বিজ্ঞানীদেরই শরণাপন্ন হতে হয়। যে মিরাকলের কোন ইউটিলিটি নাই, সেই মিরাকল আর ভ্রমের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না।
কোরানে বিজ্ঞান খোজার রোগটা মরিস বুকাইল, জাকির নায়েক, আহমেদ দীদাতের মত লোকজনই ছড়িয়ে দিয়েছে, এরা আর যাই হোক, “গ্রাম্য মুসলিম” না(বুকাইল নিজে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এরও কোন প্রমান নেই। টাকা খেয়ে বই লেখা যায় কিন্তু মতবাদ গ্রহন করা যায় না)।
@পৃথিবী,
অসাধারণ বলেছ পুথিবী।
@পৃথিবী,
:yes: :yes: :yes:
@পৃথিবী,
আপনি ও একই ভুল করলেন , আমি দাবি করি নাই যে আল কোরানে আধুনিক এটম আছে, আমি বলতেছি, কে দাবি করেছে এবং সে কি প্রতিষ্টিত হুজুর ।
আমি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি
আপনি কি মনে করেন মুসলিম মানেই স্কলার ? যদি কোন মুসলিম প্রতিষ্ঠিত হুজুর আপনার উল্লেখিত দাবি করে থাকেন তাহলে তার রেফারেন্স কি ?
আমি রেফারেন্স চাইতেছি কে দাবি করেছে এবং সে প্রতিষ্টিত কি না । কেউ আপনাকে একটা কিছু বলতেই পারে । সে অনুযায়ী আপনি বললেই পারেন । আমার চীনের উদাহারনটা বুঝতে চেষ্টা করুন ।
আপনি কি বুঝতে পারতেছেন এই বিষয় গুলির কোন মূল্য হইল না । কারন, আমি বলিই নাই আধুনিক এটম কোরানে আছে । কারন, আমি আরবি ভাষাঈ জানি না (সামান্য জানি, যা দিয়ে বই অনুবাদ করা যাবে না) । মনে করুন, আমার একটি ব্যক্তি গত ধারনা, (একজন কে লিখে ছিলাম কমেন্টে) ,
[[সময়ের আপেক্ষিকতা জানতে চেয়েছেন । তাহলে, শুনুন , সহজে T=t/rut 1-(v/c)2
সহজ ভাষায় রাসূল সঃ মিরাজে ২৩ অথবা ২৭ বছর ঘুরে এসে দেখেন, উনার ওযুর পানি গরিয়ে পরতেছে যাওয়ার সময় যেমন পরতেছিল । বোরাকের কত দূর যায়, যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় । কত দূর পর্যন্ত চোখ যায় ? যত দূর থেকে আলো আসে তত দূর ই চোখ দেখতে পারে, তার মানে আলোর গতি ই বোরাকের গতি । v=c । rut(c/c)2 =rut (1)2 = 1
so, 1-1=0 , so t=0 ।
তাই তিনি ২৩ বা ২৭ বছর ঘুরে এসেও তিনি দেখলেন সময় আগের যায়গায় ই আছে ।
কোরানের একটী কাহিনী (সামান্য মনে আছে, ভালভাবে মনে নেই), এক ব্যক্তি কোথায় গিয়ে ছিল, তার পর হঠাত জেগে ঊঠল , আল্লাহ তাকে বললেন , তার গাধার দিকে তাকাতে ,সে তাকালো, গাধার হাড় গোড় পরে আছে , কিন্তু তার বয়সের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয় নি, ইভেন তার খাবার ও আগের মতঈ ছিল । শুধু পৃথিবী ১০০ বছর এগিয়ে গিয়ে ছিল । (যতটুকু মনে আছে নিজের ভাষায় ){ দয়া করে কেঊ এই কাহিনীর আয়াত নম্বর সহ পুরাপরি সঠিক ভাবে জানিয়ে দিয়েন ।]]
এটা শুধুই আমার ব্যক্তি গত ধারনা , এখানে আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন । কিন্তু আমি প্রতিষ্টিত ব্যক্তি নই, তাই আমার ধারনার মূল্য নেই । তাই আরেক জনকে এই প্রশ্ন করতে পারেন না, আমার ব্যক্তি গত ধারনা নিয়ে ।
আপনি জ্ঞানী আমি মেনে নিতেছি । তাই আপনাকে অনেক গুলি লাল গোলাপ ফুল দিয়েছিলাম , আবারো দিতেছি :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: । জীবনে তো অনেক গুলি বই পড়েছেন , একটু দয়াকরে , মুহাম্মদ আসাদের মেসেইজ অব আল কোরান বইটি পড়েন , আর ইমাম গাজ্জালির ইয়াহিয়া উলুম উদ দীন, কিয়ামে সাদাত বই দুইটি পড়তে পারেন ।
যাইহোক, আপনার প্রশ্নে আসি
১) মানুষের মত নগন্য প্রানী তার সীমিত ক্ষমতার কারণে সাহিত্যের মাধ্যমে মনোভাব পরিপূ্র্ণভাবে ব্যক্ত করতে অক্ষম বিধায় তার রচনা “ব্যাখ্যা” করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আল্লাহর মত অসীম ক্ষমতাবান ব্যক্তির লেখাকে “ব্যাখ্যা” করার প্রয়োজন কি? তিনি কি এমনভাবে বইটা লিখতে পারতেন না যাতে জ্ঞানী-মূর্খ নির্বিশেষে সবাই বইটা পড়ে বঝতে পারে? তার চেয়েও বড় কথা, তিনি বই লিখতে গেলেন কেন? বইয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তিনি যদি মানষের জিনের ভেতর ইসলাম ঢুকিয়ে দিতেন পৃথিবীতে লাখ লাখ নবী পাঠানোর প্রয়োজন পড়ত না, জিহাদের হাত থেকেও অনেক প্রাণ রক্ষা পেত।
আমি কোন কোন সময় ব্যক্ষা ছাড়াই পড়ি, কই আমার তো সমস্যা হয় না। পড়তে গিয়ে আমার যে আয়াতের মানে যে রখম মনে হয়েছে, তা যদি লিখে রাখি তা আমার তফসির হবে । তারমানে তফসির সব কিছু না । কিন্তু, আলি সিনা, ডাঃ কেম্পেল, ইবনে ওরাক, আর অন্যন্য এধরনের ব্যক্তিরা, ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিরা আক্রমন করে, তাই তফসির গুলি এই বিষয় গুলি সহজ করে দিতেছে । আবার, অনেকের মাথা ওয়াশ হয়ে গেছে নাস্তিকতা অথবা অন্য ফিলসফি দিয়ে, তাদের ও বুঝতে সহজ হয়। আবার আমরা বাংলাদেশিদের অনেক বিষয় তফসির পড়ে বুঝতে অনেক সহজ হয় । এখন, একজন মানুষ তো আর সব বিষয় নিয়ে গবেষনা করতে পারবে না, তাই নয় কি ? তাই তফসির দরকার পরে । তাই, আমি কোন কোন সময় তফসির সহ পড়ি ।
আল্লাহ পাক পরিক্ষার জন্য এই কিতাব দিয়েছেন , আপনি আল্লাহর আদেশ মানেন কি না, এ জন্য । সব সহজ করে দিলে পরিক্ষার কি দরকার । তাছাড়া, আপনি আল্লাহ পাক যদি প্রশ্ন করেন যে কেন আল্লাহ পাক এমন করলেন না, ডি এন এ তে ডুকাইয়া দিলেন না ইত্যাদি । আল্লাহ পাকের জন্য যুক্তির প্রয়োজন নেই, তিনি যা করেন তাই যুক্তি তাই আইন , যদি তা না হয় তাহলে আপনি গড শব্দের অর্থই বুঝেন না। অতএব, তিনি যা করেছেন, তার জবাব দিতে তিনি কারো কাছে বাধ্য নন । এখন, আমরা মানুষ রা যে জন্য তিনি তা করেছেন ভাবি, তা হচ্ছে তিনি পরিক্ষার জন্য করেছেন। একটু চিন্তা করে দেখতে পারেন ।
উনারা যতটুকু বুঝেছেন, ততটুকু লিখেছেন , তারা যে মুর্খ নন, তা আপনিও জানেন ।
( আমি আপনার সাথে কিছু লিখতে পারতেছি না, আমার একটা বিষয়ে ভয় হইতেছে ) তাই, ভাল থাকবেন ।
@ফুয়াদ,
মোক্ষম যুক্তি। আল্লাহর জন্য আসলেই কোন যুক্তির প্রয়োজন নাই। তিনি যা করবেন তাই যুক্তি। আল্লাহর পেয়ারের বান্দাদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। :yes: :rose2:
@ফুয়াদ,
ইয়াহিয়া উলুম উদ দীন নয় উচ্চারণটি Ihya’ ulum al-din(Revival of Religious Sciences)। বইটি ছোটবেলায় পড়েছিলাম। তখনি খটকা লেগেছে আর পড়তে ইচ্ছে হয় নি।
@সৈকত চৌধুরী
এখানে কিয়ামে সাদাত (১ম খন্ড) বইটি পাবেন । কষ্ট করে পড়ে দেখতে পারেন, ১ম খন্ড বেশী বড় না । ফন্ট একেবারে খারাপ ।
http://www.banglakitab.com/ShoubhaggerPoroshmoni/KimiaeSaadat-TreasuresForFortune-Vol1-Page-0-95-ImamGazzali.pdf
@ফুয়াদ,
কুরান নিয়ে আলচনায় আপনি এত পেচাপেচীতে যান কেন তা বুঝি না, যখন ছোট ছিলাম, তখন হজুরের কাছ থেকে কুরান সংকলনের ইতিহাস শুনে বলেছিলাম এত কষ্টে সংকলন করছে! তখন কি হুজুর আমাদের মত কোন মাদ্রাসা ছিল না? হুজুর বললেন মানে? আমি বলেছিলাম যেমন ধরেন আজকে যদি সারা পৃথিবীর সব কুরান জালিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের এ রহমানিয়া মাদ্রাসার ১০ জন হাফেজ বড় জোড় ১ দিনে সেটি আবার লিখে দিতে পারবে, হুজুর বলেছিলেন বেয়াদ্দপ আর কিছু বলার সাহস হয়নি। এর পর একদিন শুনলাম ইহুদি নাসারা রা যা গবেষণা করে তার সব কুরানে আছে, আমার প্রশ্ন জাগত তাহলে মুসলমানরা পারে না কেন! পরে বুঝলাম কেন পারেনা, সহজ পন্থায় সো্যাব কামাই করে জান্নাত লাভের আশায়, গবেষণায় গেলে তো ঈমান হারা হয়ে যাবার সম্ভবনা আছে।
কুরানে এটম আছে, ভাল কথা সেইটা আমি (মুসলিম) আবিস্কার করছি? সুরা ফিল এ বিমানের কথা আবাবিল দিয়া বলা আছে, কয়টা ভাল বিমান আমার আছে? আরেকজনের আবিস্কার কুরানে আছে সেটা বলে কি কোন লাভ আছে? তারপরও যদি থাকত।
যাই হোক, এ আয়াতগুলতে এটম মেটম কোন ব্যাপার নাই, মুল কথা হল যে আল্লাহর কাছে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কোন বিষয় গোপণ থাকেনা এবং ছোট থেকেও ছোট এবং বড় থেকেও বড় (কোন বিষয়)
দেখুন আজকের দুনিয়ায় আমাদের এত দু্র্ণাম কেন জানেন? আমরা নিজেদের বিশাল অজ্ঞতার মাঝে রেখে আমাদের চিন্তাকেই ঠিক ভাবছি।
আজকের যুগে আমাদের একজন জাকির নায়েক না থেকে বড় একজন ফসিল বিজ্ঞানী থাকলেই বেশী ভাল হত। আমরা যদি সব আবিস্কার করতাম, তাও হয়ত বলতে পারতাম সব কুরানে আছে!
@ফুয়াদ,
আপেক্ষিক তত্বের ‘আ’ ও না জেনে এমন মন্তব্য করা শুধুমাত্র আপনার মত উর্বর মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষেই সম্ভব। কালদীর্ঘায়নের ‘ক’ ও যে আপনি বোঝেন না,তা এই মন্তব্যে প্রমাণ করলেন। নাকি কোন বিশেষ দ্রব্যের গুণে এসব ভাবেন? আপনার পেয়ারা নবী যদি দেখতেন যে পৃথিবীতে যুগ যুগ পেরিয়ে গেছে – তবেই তা কালদীর্ঘায়ণ তত্বের অনুকূল হত। মূর্খতা ভালো। কিন্তু তা নিয়ে আস্ফালন করাটা অশালীন পাগলামো। সমীকরণটিতে গতিবেগের জায়গায় আলোর বেগ বসিয়ে যা করলেন,তাতে বুঝলাম মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিতও আপনার জানা নেই,এসেছেন তক্কো করতে! আমি ভেবে পাচ্ছি না এরকম একটা স্থূল উক্তি কেন কেউ রিফিউট করেন নি!!এই ব্লগটাকে কি পাগলের আখড়া বানানোর জন্য সবাই সহনশীলতার চূড়ান্ত বিরক্তিকর রূপ দেখাচ্ছেন?
@ফুয়াদ,
আমার সাইকেল কতদুর যায়? যতদূর পর্যন্ত দু’চোখ যায়। কত দূর পর্যন্ত দু’চোখ যায়? যত দূর থেকে আলো আসে তত দূর ই চোখ দেখতে পারে, তার মানে আলোর গতি ই আমার সাইকেলের গতি…… 😕
চলে আমার বাই সাইকেল হাওয়ায় উইরা উইরা রেএএএএএএএ হাওয়ায় উইরা উইরা………… :rotfl:
@পৃথিবী,
আল্লাহকে একটা সিমিলার প্রশ্ন করা যায়, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অতি নগন্য একটা অংশ যখন আরবীতে কথা বলে, তখন আপনি কেন কোরানের মত একটা বিশ্বজনীন গ্রন্থ আরবীতে লিখে পাঠালেন? :yes: :yes: :yes:
@ ফুয়াদ ছাব,
রেফারেন্স ছাইলে খইন জানু, ফরে দিমুনে।
@আকাশ মালিক,
আমাকে কোরান বিষয়ক যেসব মৌলিক প্রশ্ন যেগুলি ভাবায় কারন কাছ থেকে যুক্তিগ্রাহ্য কোন ব্যাখ্যা পাইনি এটা তার একটা। সার্বজনীন, সব যুগের সব দেশের মানুষের অবশ্য পালনীয় গ্রন্থ কেন আরবীতে নাজিল হল? বলা যেতে পারে যে যে কোন একটা ভাষায় তো নাজিল হতেই হত।
তা মানা গেল, একটা না একটা ভাষায় নাজিল হতে হল, নাহয় আরবীতেই হল। কিন্তু তাতে তো সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। কোরানের বহু আয়াতের মানে, তফসীর নিয়ে খোদ আরবী ভাষী পন্ডিতদের মাঝেই দেখা যায় তীব্র মতভেদ হয়। আমরা নন-আরবী ওয়ালাদের কি হবে? উদাহরন হিসেবে অতি আলোচিত সমালোচিত হিজাবের প্রসংগ উল্লেখ করা যায়। কারো মতে আবশ্যকীয়, কারো মতে আবশ্যকীয় নয়। এ ধরনের ব্যাখ্যাগত দ্বন্ড থাকলে অবশ্য পালনীয় আইন, মূল্যবোধের উতস হিসেবে কিভাবে ব্যাবহার করা যাবে?
আরো গোলমাল লাগে যখন দেখি খোদ কোরানেরই একটা আয়াতে আছে যে আল্লাহ সব জাতির জন্য তাদের নিজ নিজ ভাষায় নবী রসূল পাঠান। এটা বেশ যুক্তিসংগত। কাজেই সে হিসেবে কোরান শুধুমাত্র আরবী ভাষাভাষীদের জন্য নাজিল হয়েছে বলে ধরাটাই যুক্তিসংগত। বাংলা ভাষায় নবী রসূল কে বা কারা তা অবশ্য প্রশ্ন থেকে যায়।
এই দ্বন্দ থেকে আমার কাছে কোরান যে সব জাতির জন্য অবশ্য পালনীয় এমন ফর্মান যুক্তিযুক্ত মনে হয় না। অবশ্য পালটা দাবী হয় যে কোরান আসার পর আগেরগুলি সব বাতিল হয়ে গেছে। তখন আবার সেই মৌলিক সমস্যায় পড়তে হয়; আরবী ভাষার নিখুত অর্থ তফসীর আমি কি করে বুঝব?
আকাশ মালিক ছাব,
আফনে যে কিতা খইননা , রেফারেন্স লাগতনায়, আল কোরান আরবিতেই আইছে । :-/ :-/ :-/ :-/ :-/
@পৃথিবী,
সও সাল জিও মেরে ভাই! :yes:
তোমার লেখা পড়ে আমার স্কুলের সময়কার কথা মনে পড়ছে। অবশ্য আমি তোমার মত পণ্ডিত ছিলাম না। মাঠেই বেশি কাটত।
নাস্তিক ভাই,
সেদিন আমার ব্লগে হঠাত আপনার নামে একটা চিকা দেখলাম।
“সামু ব্লগে নতুন ড়েসিডেনটঃ নাস্তিকের ধর্মকথা”
http://storyfromquran.amarblog.com/posts/93125/
লেখক শেষে দাবী করছেন যে আপনি সেখানে নাকি অমি পিয়ালের কাছে কি দাবড়ানী খেয়ে ঠান্ডা মেরে গেছিলেন। একটু ব্যাখ্যা করবেন যদি আপত্তি না থাকে? ধরে নিচ্ছি ধর্ম সংক্রান্ত কোন বিতর্ক, তাই কৌতূহলী হলাম।
@আদিল মাহমুদ,
পোস্টটা দেখলাম।
কোরআন থেকে গল্প ঐ পোস্টে কি দাবি করছে- সেটা সম্পর্কে কিছু বলার নেই। অমি রহমান পিয়ালের কাছ থেকে দাবড়ানী খাওয়ার কথা যেটা বলেছে- সেটা সম্ভবত আমার ব্লগে “হয্রত মুম্মদ” নিককে কেন্দ্র করে যে টালমাটাল অবস্থা ঘটেছিল সে সময়কার ঘটনা (তখন থেকে আমার ব্লগে আসা-যাওয়া বন্ধ করেছি)।
ঐ ঘটনায় হয্রত মুম্মদ নিকরে সমর্থন না করলেও- মুকুল, রাশেদ,… সহ যারা ব্লগে মোটামুটি প্রগতিশীল হিসাবে পরিচিত- জামাত বিরোধী অবস্থানে একসাথে অনেকবার লড়েওছি- তাদের অবস্থানটাকেও সঠিক মনে করিনি। সেটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। এই পোস্ট দেখতে পারেন- http://nastikerdharmakatha.amarblog.com/posts/13340
ঐসময়ে মডারেট মুসলিম বলে পরিচিতদের ফ্যানাটিকদের মত আচরণ করতে দেখে তাদের বিরোধিতা করেছিলাম- আর এটা বেশীরভাগেরই পছন্দ হয় নি। নানাজনের সাথে নানাভাবে লেগে যায়। এখন যারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে- কমেন্ট করেছে- পোস্ট দিয়েছে, তাদের একটিভিটিকে যদি দাবড়ানী বলা হয়- তবে তো সেটা অনেকেই করেছে- একা পিয়াল তো করেনি। সামু ব্লগেও ঐ সময় নরাধম, বিবর্তনবাদী আমাকে কেন্দ্র করে পোস্ট দিয়েছিল।
হ্যা- অমি রহমান পিয়াল একটা রম্য গল্প বেঁধেছিল – সেখানে নাস্তিকদের নিয়ে হাসি তামাশা থাকলেও- “ধরমকথা”ও এনেছিল। ফলে এটাকেও অনেকে আমাকে সেই দাবড়ানী দেয়ার পোস্ট মনে করতে পারেন। ঐ পোস্টকে প্রথমে ইগনোর করবো ভাবলেও- পরে একটা জবাব দেই। অমি পিয়ালের পোস্টে ইরোটিক ব্যাপার ছিল- পাল্টা আমার জবাবেও ইরোটিকা রেখেছিলাম- ফলে সেই জবাবটা আর নতুন পোস্ট আকারে না দিয়ে পিয়ালের পোস্টেই জবাব আকারে দিয়েছিলাম। গল্পের বদলে গল্প- এই আদলে।
পিয়ালের পোস্টের ঠিকানা: http://omipial.amarblog.com//posts/13916
ঐ পোস্টের ২৪.১.১ নং কমেন্ট হচ্ছে আমার জবাব পোস্ট।
এখন এই হলো ঘটনা।
আমারব্লগে যাওয়া আসা বন্ধ করার কারণ- ঐসব মডারেট মুসলিমদের বিরোধিতা নয়- এটা সামুতে প্রথম থেকে ভালোই হজম করেছি- এটার অভ্যাস ভালোই আছে। আমুতে ঐ ঘটনার পর যাওয়াটা বন্ধ করি- তাদের মডুদের কারণে। আমুব্লগের কয়েকজন মডুর সাথে ভালো খাতিরও ছিল- দু একজন নাস্তিক মডুর সাথে আমু তৈরি করার আগে কিছু কথাও হয়েছিল, আমু ব্লগে খুব উৎসাহ নিয়েই গিয়েছিলাম।
যাহোক- ঐ ঘটনার পরে, আশ্চর্যজনক ভাবে মডুদের ঐ নাস্তিক গ্রুপটা চুপ হয়েছিল যেটা আমার ভালো লাগেনি। এর মধ্যে তারা রীতিমত একটা ব্ল্যান্ডার করে। রাশেদ আমুব্লগের মডুদের কাছাকাছি মানুষ ও কিছু টেকি কাজ করতো (এডমিন হিসাবে)। হয্রত মুম্মদের ঐ ঘটনায় রাশেদ মুকুলের কাছে হয্রত মুম্মদের অরিজিনাল আইপি জানিয়ে দেয়। এবং নো মডারেশনের ঘোষণাকে থোড়াই কেয়ার করে নিজ উদ্যোগে হয্রত মুম্মদকে মুছে দেয়। এটাকে আমি চরম অনৈতিক কাজ মনে করেছি। একজন মডুর (নাস্তিক ও তার সাথে মেইল যোগাযোগ ছিল) কাছে এ নিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছিলাম। সেও স্বীকার করেছিল- রাশেদের কাজটি সঠিক হয়নি এবং রাশেদকে এর জন্য এডমিন প্যানেল থেকে বাদ দেয়ার কথাও বলেছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে নানা মারফত জানতে পারি- রাশেদকে এডমিন প্যানেল থেকে সরানো হয়নি (অবশ্য আর কৈফিয়ত চাই নি বা যাচাইও করা হয়নি)- বরং আরো কিছু দায়িত্ব পেয়েছে। ফলে- আমুব্লগের এডমিন ও মডুদেরকে আমার চরম অনৈতিক মনে হওয়ায়- ঐ খানে বসবাসটা সঠিক মনে করিনি।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
অনেক ধণ্যবাদ আপনাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। আমার ব্লগে আমি মাঝে মাঝে ঢুকি, দুয়েকটা ভাল পোষ্ট মাঝে মাঝে থাকে, তবে অধিকাংশই ছেলেমানুষী খুনসুটি গালিগালাজ ছাড়া আর কিছু না।
আমি মূল ঐ পোষ্টের মূল বক্তব্যে তেমন পাত্তা দেই নি, তবে পিয়ালের নামে শুনে একটু আকৃষ্ট হয়েছিলাম, এই ভদ্রলোক মাঝে মাঝে ভাল ভাল লেখা দেন দেখে।
দারুন্……
চমৎকার……
অসাধারন……. :yes: