কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ
ক্যাথেরীনা রোজারিও কেয়া
গত বছর আজকের এই দিনে ডঃ ইরতিশাদ আহমাদের অনুপ্রেরণায় মুক্তমনায় আমার অপরিণত লেখা ছাপার অক্ষরে দেখার স্পর্ধা করেছিলাম। আমার সেই বাঁধভাঙ্গা দুর্বার উন্নাসিক স্পর্ধাকে গত একটা বছর ধরে পরম যত্নে লালন করেছেন মডারেটর ফরিদ আহমেদ।
আমি বিহবল অনুভুতির দোলায় দুলেছি, আকন্ঠ বিস্ময়ে এবং উচ্ছ্বসিত অগাধ আনন্দে দেখেছি যে আমার কাঁচা হাতের লেখা মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ ছাপিয়েছেন আর সুহৃদ পাঠক তা পড়েছেন।
কখনো ভাবিনি এভাবে ঘটা করে ধন্যবাদ দেব। কিন্তু কেনো যেন মনে হলো আজকে এই অন্তরঙ্গ দিনে ডঃ ইরতিশাদ আহমাদ, ফরিদ আহমেদ, মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ এবং সব্বাইকে আমার উচ্চকিত নিরন্তর কৃতজ্ঞতা জানানো একান্ত প্রয়োজন।
সবাইকে শুচিস্মিত বিনম্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কেয়া,
আমার মন্তব্য আপনাকে অনুপ্রাণিত করে জেনে আমিও খুশি। আর আপনার লেখা ভাল লাগে বলে এবং বুঝি বলেই মন্তব্য করি। আমার সীমাবদ্ধতা হলো বিজ্ঞান বিষয়ক অনেক লেখা আমি পড়লেও মন্তব্য করার মতো জ্ঞান ও দক্ষতা রাখি না।
ক্যাথির এই ঘটা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বহর দেখে আমি রীতিমত বিব্রতকর অবস্থায় আছি গত কয়েকদিন ধরে। একবার ভেবেছিলাম যে মডারেটরের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে এই লেখাটিকে হাপিশ করে দেই মুক্তমনা থেকে। কিন্তু এর জের পরবর্তীতে আমাকে কীভাবে টানতে হবে সেটা চিন্তা করে আর সেই কর্মটি করিনি।
আমাকে বা মুক্তমনাকে ধন্যবাদ দেয়া কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কিছুই নেই। এখানে যে সব লেখা প্রকাশিত হয় সেটা কারো দয়া বা দাক্ষিণ্যে হয় না। মানসম্মত বলেই সেগুলো প্রকাশিত হয়। মুক্তমনার লেখককূলের কাছেই বরং মুক্তমনা ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। আপনার আছেন বলেইতো মুক্তমনা আজো টিকে আছে। শুধু টিকেই নেই, নিজেকে একটা মানসম্পন্ন অবস্থানেও নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
কাজেই কৃতজ্ঞতা টৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদকে আপাতত বাদ দিন। কোমরে কাপড় বেধে কম্প্যুটারের কীবোর্ড কোলের কাছে টেনে নিন। রাশি রাশি রশ্মিময় লেখাতে রঙচঙে হয়ে উঠুক মুক্তমনার রোশনাই।
কেয়াকে লেখক হবার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্তমনার তরফ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি তিনি আরো ‘অপরিণত লেখা’ (উনার নিজের কথাতেই) মুক্তমনায় লিখে ধন্য করবেন। 🙂
তবে কেয়ার প্রতি আমাদের সবারই একটি অনুযোগ আছে। উনি লেখেন বটে কিন্তু আলোচনায় অংশ নেন একদমই কম। যদিও বহুদিন পর এসে নিজের লেখায় মন্তব্য করলেও অন্যদের লেখায় মন্তব্য করতে তাকে খুব কমই দেখা যায়। মুক্তমনা এমনিতেই খুব ছোট কমিউনিটি। আর সদস্যরা যদি কেবল নিজের লেখা লিখে আর পড়েই দায়িত্ব শেষ করে দেন, তবে কিন্তু ব্লগ স্থবির হয়ে পড়বে। আমি আশা করব, কেয়া ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।
আর ফরিদভাই সম্বন্ধে মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। ব্যক্তিগত কাজ, ঝামেলা সব কিছুর পরেও তিনি যেভাবে লোকজনের সাথে যোগাযোগ রেখে লেখকদের লেখায় উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন, সেটা সত্যই বিস্ময়কর। এখন একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় – ফরিদ আহমেদ না থাকলে মুক্তমনা কখনোই এখানে এসে পৌঁছুতো না। এরকম চমৎকার প্ল্যাটফর্মও আমরা পেতাম না। ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। :yes:
@অভিজিৎ,
কেয়াকে ১ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা। আশা করি তার লেখা আরো নিয়মিত আসবে।
ফরিদ ভাই এর নামেও অনেকটা একই অভিযোগ দেওয়া যায়, উনি মাঝে মাঝে দুর্দান্ত কিছু লেখা দিলেও কমেন্টস এ নিয়মিত অংশ নেন না।
@আদিল মাহমুদ,
সেকি? আমারতো ধারনা ছিল আপনার এবং বিপ্লবের পরে সবচেয়ে বেশি মন্তব্য করি আমি। এত বেশি মন্তব্য একাই করছি বলে মাঝে মাঝে নিজেই লজ্জিত হয়ে ক্ষান্ত দেই।
@আদিল মাহমুদ,
অভিজিতের মতো আপনিও যখন অভিযোগ করলেন, তখন কি আর করা? অভিপ্রায় জানাচ্ছি লাগাতার মন্তব্য করার।
@অভিজিৎ,
চাপাবাজি আর কারে বলে। :no:
@অভিজিৎ,
অর্জনের অন্য পিঠে অঙ্গীকার থাকে- কথাটা স্মরণ করিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।
আমারো মনে হয় মুক্তমনা তে বছরখানেক হয়ে গেছে!!!
আমি যে আউলা সেই আউলাই আছি! প্রথম প্রথম যেরকম আউলা মন্তব্য করতাম,এখনো সেই আউলা মন্তব্য করা ছাড়া আর তেমন ভালো কিছু করতে পারি নাই! :no:
লাভের মধ্যে খালি আমার টাইপিংটা ইক্টু উন্নত হয়েছে,আর আর আর….. :-/
ও মনে পড়সে!! একখান মামুও পাইসি!! :rotfl:
@তানভী,
আপনার পরিবারের সদস্য বৃদ্ধিতে আমার শুভেছা নিন।
আপনি তো বেশ ভালো লেখেন, না বলে দিলে বুঝতামই না যে এগুলোই আপনার প্রথম লেখা। আপনার কি এত বিনয়ের দরকার আছে?মুক্তমনার ভারী ভারী ( মাথা আউলানো, আতেল পদের 😉 ) লেখাগুলার মাঝে আপনার দেওয়া সুপাঠ্য গল্প কবিতাগুলো আমাদেরকে নিঃস্বাস নিতে সাহায্য করে । আশা করি লিখে যাবেন এভাবেই……
@রাহাত খান,
এক্কেবারেই যে লিখতাম না, তা’ বললে মিথ্যাচার অথবা স্মৃতির প্রতারণা হবে। তবে হ্যাঁ, মুক্তমনায় এগুলোই আমার প্রথম লেখা। বিনয় নয়- নদী পেরিয়ে নাইয়াকে ভুলতে চাই না বলেই এই পোস্টটা করেছিলাম।
ঘটা করে ধন্যবাদ যখন দিলাই, তখন ঘটা করেই বলি, ‘ইয়ু আর ওয়েল্কাম’! কিন্তু কৃতজ্ঞতা-টৃতজ্ঞতা … বুঝলাম না! তোমার লেখার পাঠক-সংখ্যা দেখে মনে হয় তোমার পাঙ্খার সংখ্যাও মুক্তমনায় দিন দিন বেড়ে চলেছে। সাবাস!
আমি নিশ্চিত, নিয়মিত লিখছো বলে, মুক্তমনার অভিজিত আর ফরিদও তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। লিখতে থাকো।
আজকের গল্পটাও দারুন হয়েছে।
@ডঃইরতিশাদ,
আমার পাঙ্খা বেড়েছে, সাথে সাথে পাখনাও বেড়েছে। এখন শুধু উড়াল দিয়ে কোন গাছে যে বসবো তাই-ই ভাবছি। আর কোন ব্লগের ঠিকানা দেবেন নাকি?
ধন্যবাদ। আপনি নিয়মিত মুক্তমনায় লেখবেন আশা করি।
মুক্তমনার সাথে আমাদের বহুদিনের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার বহুদিনের আবেগ আরো অনেকের মধ্যে সঞ্চালিত হোক-প্রত্যাশা রইলো।
আমার ছেলে মেয়ের কাছ থেকে ‘মুক্ত মনা’র খোঁজ পাই। আর প্রথম অভিজৎ এর লেখায় মন্তব্য করে আমার মুক্ত মনায় প্রবেশ। তবে ফরিদের অনুপ্রেরণায় লেখা চালিয়ে যাওয়া। এক যুগ আগের লেখার অভ্যাসটাকে চর্চায় রাখার কৃতিত্ব ফরিদের। তখন ব্লগ ব্যবস্থা ছিল না। ই মেইল যোগাযোগে অপরিচিত ফরিদ পরিচিত থেকে আপন হয়ে উঠেছে। ফরিদকে ধন্যবাদ দিয়ে সম্পর্কটাকে formal করতে চাচ্ছি না।
@গীতা দি,
আমার প্রতিটি লেখায় আপনি মতামত জানান, বিষয়টি আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে।