অতি সম্প্রতি জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিষয়বস্তু হলো বর্তমানে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা। নির্বাচনে ভরাডুবির পর অনেকদিন মুখ লুকিয়ে ছিলেন। এবার একটা অজুহাত পেলেন – মেঠো বক্তৃতা তো দিতেই হবে। তাই লিখিত বক্তব্যে তিনি তাঁর দল জামায়াতি ইসলামীর পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে বর্তমান সরকার যে শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন তা চালু হলে বাংলাদেশে ধর্মশিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অনৈতিকতায় ভরে উঠবে দেশ। তাঁদের অভিযোগ-গুলোর কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। জামায়াতি ইসলামীর মত ধর্মাশ্রিত একটা দলের কাছ থেকে যুক্তি আশা করার কোন মানে হয় না।
তাঁদের অভিযোগ-গুলো কী কী? অভিযোগ অনেক। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো – এই শিক্ষানীতি যাঁরা তৈরি করেছেন তাঁরা জামায়াতীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নন। স্বাভাবিক। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরি হলেন বর্তমান শিক্ষানীতি কমিশনের চেয়ারম্যান। মতিউর রহমান নিজামীরা তো ভুলতে পারেন না যে তাঁরা এবং তাঁদের অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রশিবির কবীর চৌধুরিকে মুরতাদ ঘোষণা করেছেন। আরো এক ভয়ংকর ‘মুরতাদ’ মুহম্মদ জাফর ইকবাল-ও আছেন এই কমিটিতে। নিজামীরা কবীর চৌধুরিকে শিক্ষাবিদ বলেই স্বীকার করেন না। “চল্লিশ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেই শিক্ষাবিদ হওয়া যায় না” – নিজামীর এই বচন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। ঠিকই তো। নিজামীদের আদর্শতো “অধ্যাপক” গোলাম আজম। তিনি কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক – তা অবশ্য আমরা জানি না। সেটা জানার খুব একটা দরকারও নেই। নিজামী কথায় কথায় বলেও ফেলেছেন যে – শিক্ষানীতি যারা তৈরি করেছেন – তারা খুব একটা ধর্মচর্চা করেন না বলেই এই শিক্ষানীতি ধর্মের বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে।
শিক্ষানীতি প্রবর্তনের বর্তমান কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মচর্চা করেন কি করেন না – তা আমরা জানি না। তবে এটুকু জানি তাঁদের মধ্যে একজনও নাস্তিক নেই। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উপাসনা ধর্ম থেকে যতটা দূরে রাখলে বাংলাদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটতো – তাঁরা সেটা করেন নি। সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই তাঁরা তা করেন নি। মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থা একেবারে তুলে দেয়াটাই যে বিজ্ঞান-সম্মত হতো তা সবাই বোঝেন। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাতেও তেমন কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। বরং সেখানেও বিজ্ঞান ও কারিগরী শিক্ষা দেয়া হবে বলা হচ্ছে। কীভাবে হবে তার একটা রূপরেখা দেয়া হয়েছে শিক্ষানীতিতে। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ ব্যাপারে খুব একটা সন্দেহমুক্ত নই।
নিজামী সাহেব দাবী করছেন যে এই শিক্ষানীতি চালু হলে বাংলাদেশে ধর্মশিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অনৈতিকতায় ভরে উঠবে দেশ। হাস্যকর যুক্তি। নিজামী সাহেব নিজেও জানেন যে ধর্মশিক্ষার সাথে নৈতিকতা অর্জনের সংযোগ খুব সামান্য। সাধারণ বুদ্ধির একজন মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিকে কাজে লাগিয়েই দেখা যাক নিজামী সাহেবের দাবী কতটুকু গ্রহণযোগ্য। প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি এখনো চালু হয়নি। বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক। এই বাধ্যতামূলক ধর্মশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমাদের কেমন নৈতিকতা অর্জিত হয়েছে? দুর্নীতিতে আমাদের অবস্থান কোথায়? মজার বিষয় হলো – যে সব দেশে দুনীর্তি নেই বললেই চলে – সেসব দেশের কোথাও ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়।
নিজামী সাহেব অবশ্য নিজের অজান্তেই একটি সত্য কথা বলে ফেলেছেন। তা হলো – মাধ্যমিক স্তরে বাধ্য না হলে কেউ ধর্ম বিষয়টা আবশ্যিক বিষয় হিসেবে নেবে না। যে শিক্ষার্থী বিজ্ঞান পড়াশোনা করছে, পদার্থের ধর্ম পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজের বুদ্ধি ও যুক্তিকে শানিত করছে – সে কেন ধর্মশিক্ষার নামে দুটো বছর ধরে কতকগুলো অর্থহীন বাক্য মুখস্ত করবে? বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কখন থেকে? এরশাদ সাহেব ক্ষমতা দখল করে ধর্মকে আশ্রয় করেছেন টিকে থাকার জন্য – এবং টিকে গেছেনও। এরশাদ সাহেবের আমলেই রবিবারের বদলে শুক্রবার ছুটির দিন হয়েছে, বাংলাদেশের সকল নাগরিকের নামের আগে জনাব/বেগম লেখার আদেশ দেয়া হয়েছে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। এরশাদের পা ধরেই উত্থান ঘটেছে মওলানা মান্নান গোষ্ঠীর। এবং এই সময়েই মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবার পর বাংলাদেশের যে কী পরিমাণ নৈতিক অধঃপতন হয়েছে তা সবাই জানেন। আর খোদ এরশাদ সাহেবের নৈতিকতা যে কেমন তা আলাদা করে বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। ক’দিন আগে জনাব এরশাদও প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বিষয়ে বলেছেন – আল্লাহ্র নাম নিতে মানা করা হচ্ছে – এ কেমন শিক্ষানীতি? বি-এন-পিও এই শিক্ষানীতির সমালোচনা করছে। যার যেমন চরিত্র।
ইসলামী ছাত্রশিবিরও বসে নেই। তারা একটি পুস্তিকা রচনা করেছে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে। আরবি ও ইংরেজিতে ছাপানো হয়েছে সেটা। বিদেশী দূতাবাসগুলোতে তা দিয়ে আসা হয়েছে। শিবিরের বিশেষজ্ঞ (!) কমিটি এই পুস্তিকা রচনা করেছেন। শিবির স্বাভাবিক ভাবেই নারীশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার বিস্তারের বিরোধীতা করেছে। আর তাদের আরব দেশীয় দূতাবাসে নালিশ করতে গেছে প্রস্তাবিত শিক্ষা-নীতির বিরুদ্ধে। আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থায় আরবদেশের কী ভূমিকা আছে আমি ঠিক জানি না। তবে এটা জানি যে সৌদি আরব সহ আরো বেশ কিছু দেশ এখন তাদের দেশের ছেলেমেয়েদের পশ্চিমী শিক্ষায় শিক্ষিত করছে। নিজামীদের ভাষায় কাফেরদের শিক্ষা নিচ্ছে এই সব আরব দেশের ছেলেরা কাফেরদের দেশে এসে। আমার নিজের ডিপার্টমেন্টেই আছে বেশ কয়েকজন এরাবিয়ান ছাত্র – যারা বিজ্ঞান শিখছে। এবং তাদের নিজের দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থায় মাধ্যমিক পর্যায়ের পর থেকে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়।
প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না – এটা কেউ বলছে না। সরকার নিজের উদ্যোগে এই নীতির খসড়া প্রকাশ করেছে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েব-সাইটে (www.moedu.gov.bd) রাখা আছে এই খসড়া। ৯০ পৃষ্ঠার এই খসড়ার পুরোটা কারো পড়তে কষ্ট হলে প্রফেসর জাফর ইকবালের “শিক্ষানীতির সহজ পাঠ” (২৬/১০/০৯ প্রথম আলো) পড়ে নিলেই প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। জামায়াত শিবির বি-এন-পি বা এরশাদের পার্টি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করবে। কিন্তু আমাদের কি বসে থাকলে চলবে? এটা তো কোন রাজনৈতিক দলিল নয়। এটা আমাদের জাতীয় দিকনির্দেশনার বিষয়। যুক্তিবাদীদের উচিত যুক্তি ও বাস্তবতার নিরিখে মতামত দেয়া। একটা ভালো কাজ শুরু হয়েছে। চলুন আমরাও হাত লাগাই।
_______________________
আমি মনে করি ধর্মবিশ্বাসীরা অনেকটা মানসিক রোগী।এদেরকে শান্ত রাখতে হবে, তাদের উন্নয়নও ঘটাতে হবে তা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কঠিন ব্যাপার। এটি আবার গনতন্ত্রের ত্রুটিও বটে।শিক্ষানীতি পুরোপুরি সেক্যুলার করা হলে এক-হুজুগে আবার জামাত যাবে ক্ষমতায়।তখন তারা দেখিয়ে দিবে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা কারে কয়।তাই সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু কৌশলী পদক্ষেপ যা বর্তমান সরকারকে কিছুটা সময় নিয়ে বাস্তবায়িত করতে হবে।
আমার মনে হয় ধর্মশিক্ষাকে আবশ্যিক না করে ঐচ্ছিক করা উচিত। আর প্রতিটি ক্লাসেই সমাজিক বিজ্ঞানে ধর্মের উৎপত্তির ইতিহাস বিস্তারিতভাবে থাকা উচিত এবং জীববিজ্ঞানে বিবর্তনবিদ্যা যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আর মাদ্রাসার কি করা যেতে পারে তা এই মুহূর্তে মাথায় ঢুকছে না। 🙂
গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
জাফর ইকবালের লেখাটাও ভাল লাগল। আমার মনে হয়, সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন দেশে এখনও বাস্তবসম্মত না। মানে নীতি নিলেও বাস্তবায়ন করা যাবে না। এখনও অল্পতে মানুষকে উস্কে দেয়া যায়। সেদিক দিয়ে সকল ধর্মের প্রতি সহনশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যে ধর্মশিক্ষা বলতে সকল ধর্মের শিক্ষা বোঝানোর বিষয়টা খুব ভাল হয়েছে।
ভালো লাগলো….
লাউ কদু একই রইল,
আর জামাত চিল্লায়
“লাউ কেন কদু হইল”(!!)
জ়াফর ইকবাল সাহেবের লেখা পড়ে আমারো ধারনা ছিল যে এই শিক্ষানীতিতে বুঝি আকাশ পাতাল কোন পরিবর্তন হতে চলেছে। যেহারে কিছু লোক চেচিয়ে যাচ্ছেন ধর্ম গেল নৈতিকতা গেল দেশ গেল বলে তাতে নিশ্চিত হয়েছিলাম।
কিন্তু প্রস্তাবিত নীতি পড়ে আমি বুঝতে পারলাম না এনারা কেন এত চেচাচ্ছেন। এমন কিছু বদল মনে হয় না হবে বলে।
ভাল লেখা।
সহমত। একই কথা আমিও আমার ব্লগে বলেছিলাম শিক্ষানীতি নিয়ে।
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য, বিশেষত লিঙ্কগুলো দেওয়ার জন্য। ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে আগে পড়া হয়ে ওঠেনি, জাফর ইকবালের “শিক্ষানীতির সহজ পাঠ” (২৬/১০/০৯ প্রথম আলো) পড়লাম। অবাক লাগে ভাবতে যে, এরকম একটা ‘ধর্মে ভরা’ শিক্ষানীতি নিয়েও দেশে এত হৈ চৈ হয়, সেক্যুলার শিক্ষাব্যাবস্থা বোধ হয় এখন কল্পনারও বাইরে।
@বন্যাদি,
সহমত।ধর্মশিক্ষা একই রকম আছে।শুধু বলা হয়েছে সবগুলো ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শেখানো হবে।ওই যত মত তত পথ -আর কি!যারা গণ্ডগোল পাকাচ্ছে তারা শিক্ষানীতিটাই পড়ে নি।
আর এটাকে ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যাটাই বা কেন দেয়া হল বুঝলাম না।এটা কোনভাবেই সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা নয়।তবে যুগোপযোগী বটে!
@বন্যা, অভিজিৎ, আগন্তুক, এবং মুক্তমনা ফোরাম –
আমরা কি সবাই মিলে শিক্ষানীতি সম্পর্কে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখতে পারি? মুক্তমনার পক্ষ থেকে?
@প্রদীপ দেব,
হ্যা এটা একটা ভাল উদ্যোগ হতে পারে। ঠিক কি কি প্রস্তাবের কথা আপনি এই মুহূর্তে ভাবছেন?
@অভিজিৎ,
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল সমস্যা হলো গ্রাম আর শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মানের পার্থক্য ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি অন্ত্যন্ত কম – এটা পজিটিভ। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষাকে পুঁজি করে যে বাণিজ্য শুরু করেছে তাতে শিক্ষা ক্রমশ দরিদ্রের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে আর মধ্যবিত্তের ‘দায়’ হয়ে উঠছে। শিক্ষানীতিতে এ সমস্যা সমাধানের কার্যকরী কোন প্রস্তাব নেই। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা যেহেতু পুরোপুরি সরকারি টাকায় চলছে – সেহেতু সারাদেশকে আমেরিকান স্কুল ডিস্ট্রিক্ট-এর মত করে বিভিন্ন স্কুল জোনে ভাগ করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মানের সমন্বয় করা যেতো। ভর্তি সমস্যারও সমাধান হতো কিছুটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশান জট একটা সমস্যা। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক সেমিস্টার শুরুর নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। শিক্ষানীতিতে এ ব্যাপারে জোরালো সুপারিশ নেই। আমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক যদি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা যায় – তাহলে জানুয়ারি থেকে ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হতে বাধা নেই। এ ব্যাপারে ভর্তির সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে – যা পজিটিভ।
উচ্চ-মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে গণিত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা পজিটিভ এক অর্থে। আবার প্রি-মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্য এটা নেগেটিভ। বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে উচ্চতর গণিত খুব বেশি লাগে না। আমার মতে বিষয় নির্বাচনের জন্য যত বেশি অপশান থাকবে ততই ভালো। আর বিভিন্ন সাবজেক্টের জন্য বিভিন্ন ওয়েটিং ফ্যাক্টর থাকা দরকার। উদাহরণঃ জটিলতার বিবেচনায় উচ্চতর গণিত আর সামাজিক বিজ্ঞান এক নয়। সেক্ষেত্রে গণিতে ৭৫% আর সামাজিক বিজ্ঞানে ৭৫% মানের দিক থেকে এক হওয়া উচিত নয়।
মাদ্রাসা শিক্ষার যে উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে তাতে শিক্ষা-বাজেটের বেশির ভাগ মাদ্রাসায় চলে যাবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ আরো কার্যকর করা দরকার।
* আমি এক সপ্তাহের মধ্যে একটা বিস্তারিত লেখা তৈরির আশা করছি। এর মধ্যে আরো আলোচনা চলতে পারে। পরে সবার মতামত বিবেচনা করে মুক্তমনার পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তাবগুলো শিক্ষামন্ত্রনালয়ে জানাতে পারি।
অনেকদিন পরে প্রদীপের লেখা মিললো। মুক্তমনায় নি্যমিত অংশগ্রহণ কামনা করছি।
গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ