ওবামা যখন পৃথিবীর সর্বাধিক শক্তিশালী মসনদটিতে আসীন হইয়াছিলেন, আমাদিগের ন্যায় বাদামী হইতে কালো চামড়ার জনসমুদয় আহ্লাদিত হৃদয়ে মহামানবকে গ্রহণ করিয়াছিলাম। সাদা রঙের আধিপত্য শেষ হইবার মহেন্দ্রক্ষন উপস্থিত -উপরি পাওনা, তিনি বিশ্বে শান্তি স্থাপন করিবার আপ্রান চেষ্ঠা চালাইবেন এবং আমেরিকা অর্থনৈতিক মন্দা হইতে উদ্ধার পাইয়া হাডসন নদীর সীলগুলির ন্যায় ডাও জোন্সে ওঠা-নামা করিবে এমন দিব্যভ্রমে দিন গুজরান হইতেছিল।
সহসা প্রত্যুষে খবর পাইলাম ওবামা নোবেল শান্তি প্রাইজে ভূষিত হইয়াছেন! ভিরমি খাই নাই। যে শান্তি প্রাইজ মহত্মা গান্ধীর ও অধরা এবং হেনরি কিসিঞ্জিরারের ন্যায় যুদ্ধাপরাধিদের শোভামাল্য-তাহা কে পাইবেন বা কে পাইবেন না, ইহা লইয়া ইহকালে মাথাব্যাথা করিব- মেগাপ্যাস্কেল মিডিয়া উর্দ্ধচাপেও এমন বৃহৎ আহাম্মকি অসম্ভব। আমি কূপিত হইতেছিলাম এই সনের পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজেতা চার্লস কাওএর দুর্ভাগ্যে। বেচারী ১৯৭৮ সালে অপটিক্যাল ফাইবার আবিস্কার করিয়াছিল-ইহার পর টানা ৩১ টি শরৎকাল অতিবাহিত করিয়া নোবেল কমিটি বুঝিলেন, অপটিক্যাল ফাইবার মানব সভ্যতার কল্যান সাধন করিতেছে! ব্যাবসায়ীরা অবশ্য বুঝিতে দেরী করেন নাই-১৯৯০ সন হইতেই টন টন ফাইবার ভুতলে গ্রথিত হইতেছিল-শুধু নোবেল কমিটির দক্ষুদোয় হইতে ৩১ বৎসর লাগিল! ইহাই প্রথা হইলে কূপিত হইতাম না-কিন্ত ছয় মাস ধরিয়া গোটা ছয়েক ভাষন প্রদান করিয়া যদি কেও নোবেল শান্তি প্রাইজ পাইতে থাকেন, তাহা অপেক্ষা আমাদের পাড়ার ক্লাবের শারদীয়া পুরস্কারের বিশ্বাসযোগ্যতা বেশী হইবে, ইহা লইয়া সন্দেহ নাই!
ওবামা শান্তির জন্যে চেষ্টা চালাইতেছেন-ইহা অস্বীকার করিতেছি না! প্রশ্ন হইতেছে আমিও লেখনীর মাধ্যমে শান্তি প্রচেষ্টা চালাইতেছি-তাহা হইলে আমি নোবেল প্রাইজ হইতে বঞ্চিত হইব কেন? সাফল্য নাই বলিয়া? ওবামা কি সাফল্য পাইয়াছেন? ইরান বা ইস্রায়েলের যুদ্ধংদেহী রূপ কমিয়াছে? হামাস রকেট হানা বন্ধ করিয়াছে? ইস্রায়েল নতুন সেটলমেন্ট স্থগিত করিয়াছে? জাতি সংগে বোমা মারিয়া তালিবানরা শান্তির পথে হাঁটিতেছে? ইরাক হইতে কবে আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে পালাইবে?
জনাব যুদ্ধ-মন্ত্রী রবার্টগেটের মন্ত্রনাই উনি আফগানিস্থানে আমেরিকান সেনা উপস্থিতি বাড়াইতেছেন। পাছে চীন কূপিত হয়, তাই উনি দলাই লামার সাথে দেখা করিতে পর্যন্ত অস্বীকার করিলেন! বস্তুত ওবামা শান্তির প্রচেষ্টার নামে যাহা করিতেছেন, তাহা হইল বাক্য সাজাইয়া ডায়ালোগবাজি। ইহাতে তালিবান, ইরান, হামাস, ইস্রায়েল-কাহারও কিছু বদলাইতেছে না-বদলাইবেও না। মিডিয়া ম্যাজিকের দৌলতে, ডুগডুগি বাজাইয়া ওবামা নামক মহামানবটি শান্তিজল ছিটাইতেছেন-কিন্ত শান্তি শান্তি ও শান্তি বলিয়া মন্ত্র উচ্চারনেই যদি শান্তি আসিত, আপামর হিন্দু পুরোহিতকূল নোবেল হইতে বঞ্চিত হইবেন কেন?
আলফ্রেড নোবেল জানিতেন শান্তিপুরষ্কারে রাজনীতি হইবে। তৎকালে নরওয়ে এবং ডেনমার্ক একটিই রাষ্ট্র ছিল এবং ডেনমার্ক বিদেশনীতি দেখিত। নোবেল শান্তি প্রাইজ, বিদেশনীতির কালো গহ্ববরে গড়াইতে পারে-ইহা তিনি বিলক্ষন জানিতেন। তাই উইলে লিখিয়াছিলেন নরওয়ের পার্লামেন্ট শান্তি পুরস্কারের সিদ্ধান্ত লইবে। ইহাতেও তিনি নোবেল শান্তি তরীটি বাঁচাইতে পারেন নাই-গান্ধী চারবার মনোনীত হইয়াছিলেন। কিন্ত একবারও নোবেল শান্তি প্রাইজ পান নাই-কারন বৃটিশদের ভয়ে নরওয়ের পার্লামেন্ট চাপিয়াছিল। গান্ধীকে শান্তি নোবেল প্রাইজ হইতে বঞ্চিত করিয়া -প্রাইজটি এমনিতেই খোরাকে পরিনত হইয়াছিল। ইহার পর কিসিঞ্জার বা আরাফতের ন্যায় যুদ্ধব্যাবসায়ী ( আরাফত লইয়া আমার কোন ভ্রুম নাই। বাঙ্গালীদের অনেকেই তাহাকে বিপ্লবী যোদ্ধা বলিয়া সন্মান করে। আমি অক্ষম। কারন যে ব্যাক্তি বিপ্লব ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে অস্ত্র স্মাগলিং করিয়া বিদেশে দুই বিলিয়ান ডলারের সম্পত্তি কামাইতে পারে-তাহার জন্যে যুদ্ধাপরাধীই সঠিক ্বিশেষন। ) যেদিন হইতে শান্তি প্রাইজ পাইতেছে, সেদিন হইতে নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পূর্ণ রূপে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাইয়াছে। ডঃ ইউনুস অর্থনীতিতে নোবেল পাইলেই খুশী হইতাম-কারন এই খোরাক প্রাইজ তাহার যথাযোগ্য সন্মান নহে।
আপাতত মনে হইতেছে ওবামা খোরাকি উপহারটি না গ্রহন করিলেই ভাল করিবেন। ওবামা ওবামাই থাকুন। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ন্যায় খোরাকি না গ্রহন করিলেই তাহার মর্যাদা বাড়িবে।
ফরিদ/অভিজিত,সামান্য রসিকতাকে এতো সিরিয়াসলি নিচ্ছেন কেন?কথাটি জাস্ট মজা করে বলা,এতে Victory,gratification ইত্যাদির কোনো স্থান নেই।নাস্তিক হলে-ই কি প্রাক্তন কমিউনিষ্টদের মতো রসকষহীন হয়ে থাকতে হবে?আর পুরনো বিষয় নিয়ে নূতন করে টানাটানি করার কোনো কারণ দেখছি না।ধন্যবাদ আগেই জানিয়েছি।সম্মিলিত শুভ কামনার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
@আল মুর্শেদ,
আপনি যে কথাটা মজা করে বলেছেন সেটা বুঝতে পারিনি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সাথে কিছু কটু কথা বলার জন্যও ক্ষমা চাইছি।
মোটেই না। কিছুদিন থাকুন সাথে, দেখবেন রসকষ কারে কয়। :laugh:
আপনাকে একটা ফাও উপদেশ দেই এখন। আমি সাধারণত মজা, রসিকতা বা সারকাজম করতে গেলে বাক্যের শেষে ইমো ব্যবহার করি। এতে করে ভুল বোঝার অবকাশ অনেকখানিই কমে যায়। অভ্যাস করে দেখতে পারেন। আখেরে কাজে দেবে। 😉
জিনিসটা নিশ্চয় খারাপ-কিন্ত অপরাধের পর্যায়ে ফেলা যাবে কি? পরনারী গমণ করে কেও যদি নিজের সন্তান প্রতিপালন না করে-সেটা অপরাধ। কিন্ত যদি ফ্যামিলি ঠিক রেখে পরনারী গমন করে তবে তা নিম্ন নৈতিকতার কাজ হবে ঠিকই কিন্ত অপরাধ হবে কি? তাছাড়া কেও যদি দৈহিক প্রেম না করে শুধু মানসিক প্রেম করে তাহলে তার সাজা কি হবে?
@বিপ্লব পাল,
আসলে আপনি কিসের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করবেন তা মুখ্য বিষয় । কারন তার স্ত্রি বা পুত্র বা কন্য এই ঘটনা জানতে পারলে মানষিক অশান্তিতে ভোগবে । তারা ও সুস্থ মানুষ হিসাবে বেড়ে ঊঠতে পারবে না । আবারো তারা অন্যয় এর পিছে ছুটবে । তার মানে পুরো সমাজকেই ধংশের পিছে নিয়ে যাবে ।
আধুনিক বিজ্ঞানের চোখে এই ঘটনা অপরাদ কি না , জানি না , তবে কোরানের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাদ ।
@ফুয়াদ, সন্তান পালনই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বিজ্ঞান ত এটাই বলে। সুতরাং সেই কাজে বাধা হয়-এমন সব কিছুই বর্জন করা উচিত-বা ঠিক করে বললে, এমন কিছু করা উচিত না যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ক্ষতি করে। বিজ্ঞান থেকে ত এটাই শিখেছি। কিন্ত এটাও যে শেষ কথা হতে হবে তাও না। ব্যাতিক্রম থাকবেই। তবে পরনারী গমনের ক্ষেত্রে হিন্দু বা মুসলিম সবাই ওই ৭০-৬০% এই আছে। যেহেতু তা এক বায়োলজিক্যাল ড্রাইভ। তাই এটাকে অপরাধের চোখে দেখা উচিত না-যদিও রিপু তাড়িত নিম্ন ব্যক্তিবর্গের কাজ হিসাবেই দেখা উচিত।
@বিপ্লব পাল,
আসলে আমরা মসুলমান রা বলি , ইসলাম যা খারাপ চোখে দেখে তা নিজেদের দূষ্টিতে ভাল লাগলেও, তা খারাপ । হয়ত আমরা বুঝতে পারতেছি না । এ জন্য ই, ইসলামের দূষ্টিতে খারাপ ।
৭০-৬০% বিষয়টি আমার কাছে সংদ্ধেহ জনক । তবে, আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবেই ।
ফুয়াদ এবং আল মুর্শেদ,
আপনাদের একাউন্টে লগ ইন ইনফরমেশন পাঠানো হয়েছে। দেখুন সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা। লগ ইন করে মন্তব্য করলে আপনাদের মন্তব্য এখন থেকে সরাসরি ব্লগে প্রকাশিত হয়ে যাবে। আশা করি এখন থেকে ‘মন্তব্য আটকে দেয়া হয়েছে’ কিংবা ‘মন্তব্য প্রকাশে দেরী হয়েছে’ – এ ধরণের অভিযোগ মডারেটরদের শুনতে হবে না।
আপনারা অনেকদিন ধরেই মুক্তমনায় মন্তব্য করছেন। আমরা আশা করব আপনারা ব্লগের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন, এবং মুক্তমনাকে আরো গতিশীল করে তুলবেন। আপনাদের ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা এডমিন,ধন্যবাদ।ই-মেইল পেয়েছি এবং সব কিছু ঠিক-ই আছে।ভবিষ্যতে লেখার আগ্রহ রইলো।তবে অভিযোগগুলো করার উপকারিতা বুঝতে পারছি।
@আল মুর্শেদ,
যদি ভেবে থাকেন যে অভিযোগ করার কারণে আপনাকে মুক্তমনার ইউজার আইডি দেয়া হয়েছে তাহলে বলতে হবে খুবই ভুল বুঝেছেন আপনি। কারণ, আপনার আগের অভিযোগগুলো যে সমস্ত মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ছিল তা মুক্তমনা এডমিন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই অভিযোগ করার কারণে আপনি মুক্তমনায় মডারেশনবিহীন মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছেন এই আত্মতৃপ্তি থাকার কোন কারণ দেখছি না আমি।
এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আপনি শুধু মুক্তমনাতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। সদালাপে গিয়েও করেছেন। মুক্তমনা যখন হ্যাকড হয়েছিল, তখন কেউ-ই মুক্তমনায় ঢুকতে পারেনি। অথচ আপনি অভিযোগ করেছিলেন যে আপনাকে ব্যান করেছে মুক্তমনা। আপনার সেই অভিযোগনামা এখনো সদালাপে রয়ে গেছে। আপনি সত্যটা জানার পরেও সদালাপের পাঠকদেরকে তা জানাবার প্রয়োজনটুকু বোধ করেননি। এমনকি আপনাকে আদিল মাহমুদ সাহেব এই বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেবার পরেও সেই সৌজন্যতাটুকু আপনি দেখাননি।
আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই মুক্তমনার দায়িত্বশীল সদস্যরা যাতে মডারেশনের অপেক্ষাটুকুকে এড়িয়ে গিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে পারে তার জন্য চেষ্টা করে আসছি। আপনি বা ফুয়াদ সাহেব সেই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এর সাথে যুক্ত হয়েছেন।
আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, আপনারা দুজনেই যথেষ্ট দায়িত্বশীল এবং সচেতন মানুষ। মুক্তমনাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনাদের পর্যাপ্ত মেধা, আগ্রহ এবং আন্তরিকতাও রয়েছে।
আপনাদের সাগ্রহ অংশগ্রহণে মুক্তমনা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক সেই কামনা রইলো।
আর, ও হ্যাঁ, মুক্তমনার সদস্য হবার জন্য আপনার এবং ফুয়াদ সাহেবের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দনও রইলো আমার তরফ থেকে। :rose:
সেটাই। আল মুর্শেদ সাহেব যেন আমাদের উদারতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল না করেন। আর ফরিদ ভাইয়ের কথা যদি সত্য হয়, তাহলে আমি আশা করব মুর্শেদ সাহেব অন্য সাইটে গিয়ে (ধরে নিচ্ছি ভুল করেই) যা যা বলেছিলেন, সেটি তিনি পরিস্কার করে আসবেন।
আল মুর্শেদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করছি।
@মুক্তমনা এডমিন,
সবার আগে ধন্যবাদ । হা পেয়েছি । সহজে কমেন্ট করা যায় । আশাকরি আরগুমেন্ট গুলি আরোও জোরালো এবং সুন্দর করে করতে পারবো ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
অনেক ধন্যবাদ। সাইটে আগের মতই সক্রিয় ভাবে লিখুন। আরো ভাল লাগলো এই দেখে আপনি এক্সেস পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, উলটে অভিযোগের সাফাই গাননি 🙂 ।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ । আসলে আমি তো লেখা ছাপা হয় না এই মর্মে নিজে কিছু লিখিনি । আমি শুধু বলেছিলাম দেরীতে ছাপা হলে লেখার অর্থ ই পালটে যায় ।
তবে লগ ইন করতে পেরে, আলোচনা সহজে করতে পারতেছি । আর লেখার বানান আর অর্থর দিকে সহজে লক্ষ্য রাখতে পারতেছি । ধন্যবাদ ।
এটা ত আমার ঠিকাদারতন্ত্র লেখাটাতেই ছিল। তবে পড়াশোনা করলেই হয় না-ধনতান্ত্রিক কাঠামো ( প্রতদ্বন্দিতা মূলক) লাগে। ইস্ট ইউরোপের ছেলে মেয়েরা ভারতীয়দের থেকে পড়াশোনায় অনেক উন্নত-কিন্ত ধণতান্ত্রিক কাঠামো নেই বলে উপার্জন বা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে।
আর ফুয়াদ ভাই যা বল্লেন তা হাস্যকর। এখানে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলমানদের নাইট ক্লাবে প্রচুর সংখায় দেখি। তারাই বাড়ি গিয়ে নামাজ পড়ে। এই সব নাটক-ফালতু জিনিস।্ধনতন্ত্রের চাপে সব ধুয়ে মুছে যাবে।
@বিপ্লব পাল,
এটা ভাল কথা বলেছেন। আমার আসলে ঈষ্ট ইউরোপীয়দের সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই। তবে আমার মনে হয় এদের কিছু দুর্বলতা আছে। এদের স্ফট স্কীল মনে হয় খুবই খারাপ। কেমন যেন মেশিন মেশিন লাগে। মেধায় ভাল হলেও কমিউনিকশন স্কীল ভাল নাহলে আমেরিকায় উপরে ওঠা সীমিত হতে বাধ্য। স্বশ্তির কথা এখানে তাদের কেউ বাংলায় ফোরাম পড়তে আসবে না।
@বিপ্লব পাল,
নাইট ক্লাবে যারা যায় , তারা নামাজে যায় না । আপনিও দেখেছেন আমিও তো দেখেছি । ভোগবাদ আমাদের সমস্যা করতেছে তা সত্য । কিন্তু আমাদের ঈমান ও কম না । ভোগবাদ , ক্রিস্টান আর হিন্দুদের ধর্ম কে প্রায় বিনাস করে দিতেছে । আর গান বাজনা তো সবার ভালো লাগে , তাই পুজা বা আনন্দ করতে তারা যায় । ক্রিস্টান , যেমন ওয়ার্ল্ড ইয়োথ ডে তে তো গান বাজনাই হয় । কিন্তু মুসলিমদের ব্যপারটি পুরা ভিন্ন । এখনো, মসুলমানরা তাদের সন্তানদের আগে আল- কোরান পড়ানো শিখায় ।
আসলে আপনি আমরা মসুলমানদের যত সহজ ভাবে নিতাছেন, বিষয় তত সহজ নয় ।
একদম ঠিক কথা , আমদের বাংলাদেশ ঈ এর প্রমান । ভাল ছাত্র আছে কিন্তু এপ্লাই করার জায়গা নাই । তাই কাঠামো দরকার, বেশীই দরকার । তবে ধনতান্ত্রিক হতে হবে কি না , তা জানি না ।
@ফুয়াদ,
আমি কোন পক্ষ নিয়ে বলছি না শুধু কিছু তথ্য দিচ্ছি। মন্ট্রিল শহরে গত কয়েক বছরে শোনা যাচ্ছে হিজাব ধারী বেশ কিছু সংখ্যক মধ্যপ্রাচ্যীয় মহিলা নারী ব্যাবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। জানি না তাদের ধর্মবিশ্বাস কি ছিল বা বর্তমানে কি।
বাংলাদেশে একটি পত্রিকায় দেখেছিলাম যে এক জরীপে পাওয়া গেছে যে ৬০% বিবাহিত পুরুষ পরনারী গমন করেন।
সামান্য কিছু উদাহরন দিলাম। এদের অনেকেই নিঃসেন্দেহে নামাজ রোযা সবই পালন করেন। তাই নাইট ক্লাবে গেলেই নামাজ রোযা করবে না এমন বদ্ধমূল ধারনা ঠিক নয়।
@আদিল মাহমুদ,
এরা আরো বেশী করে ধার্মিক আচরন দেখায়। সেটাই কিন্ত সামাজিক উটিলিটীর তত্ত্ব বলে। বোরখার তলায় দেহ ব্যাবসা করাই ্ত সব থেকে বেশী সুবিধা। দেশী পর্ন সব থেকে বেশী আসে পাকিস্থান থেকে। কারন যেহেতু মেয়দের ওখানে মুখ দেখাততে হয় না পাবলিকদের, দেহ দেখানো খুব সহজ হয়ে যায়। যেহেতু তাদের কেও কোনদিনই চিনবে না সমাজে।
@আদিল মাহমুদ,
“বাংলাদেশে একটি পত্রিকায় দেখেছিলাম যে এক জরীপে পাওয়া গেছে যে ৬০% বিবাহিত পুরুষ পরনারী গমন করেন”
প্রত্রিকার এই বক্তব্য অতিরজ্ঞিত । কিছু দল বহুদিন জাবৎ , আমাদের সমাজকে ঐ ধরনের করার চেষ্টা চালাচ্ছে । তার-ই একটি সুক্ষ চক্রান্ত ।মানে লাইসেন্স দেওয়ার মত । আমি আসলে শোনা কথা সহজে বিশ্বাস করি না ।
আপনি যে মহিলাদের কথা বলতেছেন , তারা হিজাব না পড়লে ও তাই করত । হিজাব মন থেকে না পড়লে এরকম হতেই পারে । তারপর ও , আল্লাহ পাক তাদের ফেলে দিবেন না ।
তবে, আমি যতদূর উপল্বদি করতে পেরেছি । বুরকা ওলী ব্যক্তি দের বেশীর ভাগ মানুষ খারাপ চোখে দেখতে চায়, কারন তারা বুরকাওয়ালী ব্যক্তিদের থেকে বেশী আশা করে । আমার আশে পাশে নারী নির্যাতনের বেশীর ভাগ ঘটনাই দেখি যারা ঘটায় , তারা পুরুষরা নিজেরাই মহিলাদের পিছে ঘুরা ঘুরি করে । তাই বোধহয়, বিবাহের পর বঊকে সংদ্ধেহ করে , অধিক হারে পুশ করে । (এটি বাংলাদেশের কালচার কখন ইসলামি কালচার না)
ভাবখান এমন, নিজে দোষ করলে দোষ নাই, অন্যে করলেই দোষ ।
আমাদের সমাজ বিষাক্ত যাতে না হয়, তার চেষ্টাই আমরা করতেছি । বোঝানোর চেষ্টা করতেছি । কিন্তু কাজ কতদূর হইতেছে, জানি না । বিশাল টিভি-সিনেমা আর ইন্টারনেটের তুলনায় আমাদের চেষ্টা নেহাত শিশুর মত । এভাবে , অপেন ঘুষ আর মিথ্যাবাদীতা থাকলে কিছুই হবে না । মিথ্যা বাকি খারাপ কাজের সৃষ্টি করবে ।
আবার, আরেক দল আছে, যখন ধর্ম , তখন সে, নিজেকে প্রমান করতে চাইবো শ্রেষ্ট ধার্মিক । আবার, যখন আধুনিকতা তখন, নিজেদের শ্রেষ্ট আধুনিক প্রমান করতে চাইবে ।
বিল্পব দা, যে সব উদাহারন টানলেন , তা বিশাল মুসলিম সমাজে পাওয়া কষ্ট কর নয় । কারন এত বিশাল জন সংখ্যা কন্ট্রল করা সম্ভব নয় । অনেক কিছুই এখানে ঘটতে পারে । তবে , আমর মনে হয় অধিকাংশ ভালই আছে ।
আমি একটি ঘটনা বলতে পারি আয়ার ল্যন্ডের , আমার কিছু আত্তিয় এক ব্যক্তি নুতুন আয়ারল্যন্ড আসায়, তাকে সার্ট পরা শিখাইলেন , এটিঈ ছিল তার জীবনের প্রথম সার্ট পরা । এখন, ধর্ম-কর্ম বাদ দিয়া নাকি , এক নেপালী মেয়ে কে নিয়ে এক সাথে থাকে । তবে, আমার পর্যবেক্ষন বলে এধরনের মানুষ অসুস্থ, অসুখী ।
আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন । আমিন ।
@ফুয়াদ, আসলে আপনি চোখ খুলে দেখেন নি। নিজে যা-সবাইকে তাই ভাবেন। ক্যালিফোর্নিয়াতে পাকিস্থানিদের সাথে আমার পরিচয় ছিল। অনেক বাংলাদেশীদের সাথে ত ছিলই। ওরা দেশী পার্টিতে খুব আসত। সবাই বেসিক্যালি বলিউডি সংস্কৃতির খুব ভক্ত। প্রচুর মদ খায়। আবার রোজাও রাখত্। এমন একজন আমার কলিগ ও ছিল। রেড ওয়াইনের সাথে কাবাব খেতে খেতে রোজা ভাঙত। খারাপ কি? কাবাব এমনি এমনি খাওয়া যায় না কি!
@বিপ্লব পাল,
শুধু নাইট ক্লাবে যাওয়া পাপ কিনা আমি জানি না। তবে বিবাহিত পুরুষদের পরনারী গমন যেকোন বিচারেই ভয়াবহ অপরাধ হওয়া উচিত। এর কাছে মদ খাওয়া কিছুই না। আমার চেনা বহু ধার্মিক পরিবারেই এমন ঘটনা চািকি আরো ভয়াবাহ ঘটনা আছে।
রিপুর তাড়নার সাথে নামাজ রোজার সম্পর্ক অত্যন্ত ক্ষীন।
পাকিস্তানী বহু লোক চিনি যারা ভয়াবহ নামাজি, আবার যাবতীয় দুই নম্বরী বুদ্ধির ডিপো। এসব বলে আসলে লাভ নেই।
ফুয়াদ,
সবচেয়ে ভাল হয় ধর্ম আর বিজ্ঞানকে কোনমতেই তূলনা করা শুরু না করলে। বিজ্ঞানের সাথে কেন ধর্মকে টেনে আনতে হবে? বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব ভুল নাকি সঠিক সে তো বিবেচণা করে রায় দিবে বিজ্ঞানীরা, ধর্মগুরুরা নয়।
আর বিজ্ঞানীরা সাধারনভাবে তাদফের আবিষ্কারে ধর্মের কি আসল গেল তা নিয়ে মাথা ঘামান না, তাই তাদের পেছনে লেগে লাভ নেই। এক ডকিন্স দেখিয়ে তো কিছু হবে না।
জীবনের প্রতিপদে ধর্ম টেনে আনার মারাত্মক ব্যাধী থেকে বের না হতে পারলে এর সহন সমাধান নাই। আর জাতি হিসেবে আমাদের আর যাই থাক এই গুনটি বেশ ভাল মাত্রায় আছে।
ইবনে সিনার ব্যাপারে যতটুকু জানি আজ তাকে আমরা গর্ব ভরে বিখ্যাত মোসলমান বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দেই, এককালে নাকি এই বেচারাকেও ধর্মবাদী গুরুদের তীব্র রোষানলে পড়তে হয়েছিল। বিবর্তনবাদীদের নিয়েও সহসাই এমনি উপলব্ধি একদিন হবে যখন বহু দেরী হয়ে গেছে।
আপনার বিদেশে মোসলমান ছেলেপিলের অপেক্ষাকৃত খারাপ অবস্থানের ব্যাখ্যা পড়লাম। আরেকটি জিনিস কিন্তু আপনি বা বিপ্লব কেউই বলেননি যে শুধু টাকা পয়সা বা চাকরি বাকরি নয়, তার থেকেও অনেক বড় জিনিসে ভারতীয়/চীনারা অনেক অনেক এগিয়ে গেছে এবং অপ্রতিরোধ্য গতিতে যাচ্ছে। তাহল পড়াশুনা। মাঝে মাঝে টক শোতে শোনা যায় আমেরিকান বাবা মা তাদের ছেলেময়েদের ভিডিও গেম না খেলে ইন্ডিয়ান ছেলেমেয়েদের মত অংকে ভাল করতে পরামর্শ দিচ্ছে।
এখানে আদিল ভাই আবার একটা বড় ভুল্ করলেন। কথা হচ্ছিল দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়ে। প্র্রথম প্রজন্ম ধর্মকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচে। আমি কিছুদিন আগে আমেরিকাতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভাপতির সাথে কথা বলছিলাম। তার তথ্য অ্নুসারে দ্বিতীয় প্রজন্মের মাত্র ১-২% ছেলে মেয়েরা মন্দিরে যায়। ওরা এখন ভাবছে পপ-রক-যোগা ইত্যাদি দিয়ে কিভাবে এই বাকী ৯৮% কে তাদের ‘্রুট’ এ টানা যায়! দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলমানদের জন্যেও এটা সত্য।
@বিপ্লব পাল,
দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়দের মধ্যে নিঃসন্দেহে ধর্মের প্রভাব অনেক কম। যারাও যায় বেশীরভাগই মনে হয় দিওয়ালী বা গার্বা জাতীয় উতসবের আকর্ষনেই যায়।
তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশী বা সামগ্রীকভাবে মুসলমান ছেলেময়েদের মধ্যে ওই হার অনেক অনেক বেশী। হিন্দুদের সাথে এদের হার মনে হয় না কোনভাবেই তূলনীয় হবে। এরা পাশাচত্যের সব ভাল দিকও গ্রহন করে আবার নিজ ধর্মের মূল জিনিসগুলিও পালন করে। ধর্মের ক্ষতিকর ব্যাপারগুলির ব্যাপারে অনেকটা সচেতন থাকে।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা র মনেহয় , মসুলমান সমাজ সম্পর্কে ধারনা কম । ইংল্যন্ডে তো বাংলাদেশীদের ২য় পার হইয়া ৩য় ৪র্থ তে পড়েছে । নুতুন সমাজকে আমাদের বাংলাদেশের মসু্লমান থেকে ভাল মনে হয় । তারা অধিক হারে মূল বিষয় ধরে রাখে । তবে বাংলাদেশের মত পীর ফকির বিশ্বাস করে না বলে মনে হয় । তারপর তারা সৈদিদের সমালোচনা করে, যা আমরা কখন ঈ করি না । এই পার্থক্য , আমি হরফ করে বলব তারা প্রথম প্রজন্মের থেকে অনেক, অনেক ভাল মসুলমান । যেমন, কয়দিন আগে আমার ভিনদেশী এক অত্মিয়(আমার চেয়ে ৩ বছরের ছোট) তার ক্লাসে বিতর্কে অংশগ্রহন করল । তার শিক্ষক তাকে ক্রিয়শনিস্টদের পক্ষে দিল, আর আরেক দল বিবর্তনাদী । সে আমঙ্কে বলতেছে , তার পক্ষে যে বাকি সব যারা ছিল, যদিও তারা ক্রুয়শনিশট এর পক্ষে কথা বলতেছে কিন্তু বস্তুত তারা ইভোলোশনিস্ট শুধু সে নিজে ব্যতীত । সে ক্লাসে অন্যতম ভাল স্টুডেন্ট , ইভুলোশনের বিভিন্ন বিষয় ভাল করেই জানে , এ ব্যপারে মাঝে মধ্যে আমার সাথে আলাপ ও করে । কিন্তু কিছুই বিশ্বাস করে না, আর বলে আমার ঈমান এর চেয়ে অনেক শক্ত । এটাই তার যুক্তি । বিভিন্ন ঘটনার ব্যক্ষা ইভুলোশনের সহায়তায় দেয় কিন্তু বিশ্বাস করে না , একথাও বলে ইভুলোশন এখন সবাই বিশ্বাস করে । তখন, আমি তাকে বললাম আসলে ইভুলোশনে পুরাপুরি ইসলামের বিরুদ্ধে না । সে এ বিষয়ে প্রমান চাইছে । তারপর আর কথা হয়নি ।
আমার বাংলাদেশ থেকে আমার এক ফ্রেন্ড এখন নিঊ ইয়োরক গেছে, সে দেশে থাকতে ঘরে নামাজ পড়ত না , জুম্মার নামাজ ও, মাঝে মাঝে পড়ত না । তারে নিঊ ইয়োরকের ছোট ছোট বাংজ্ঞালী বাচ্চা ছেলে নামাজ পড়ে , তারেও নামাজ পড়তে ডাকে বিধায় লজ্জায় পড়েছে । এখন সে নিজেও নামাজ পড়ে ।
আসলে মসুলমান সমাজকে শিক্ষিত করা দরকার , মসুলমানরা শিক্ষিত হইলে পৃথিবীকে দ্রত অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত । তাই, আমি বাংলাদেশকে ১০০% শিক্ষিত করার পক্ষপাতি । প্রয়োজনে ইভুলোশন কিংবা আই ডি সব বিষয় পড়ানো হোক । বেশীর ভাগ ছাত্র বিজ্ঞানে পড়লেই ভাল । তারপর তারাই ঠিক করতে নিবে তারা কি চায়, না চায় । আল্লাহ সুবাহানাতালা, আমাদের জ্ঞান দান করুন ।
@ফুয়াদ,
না, এদের সাথে আমার সম্যক পরিচয় আছে। আমার ইউটিউব ভিডিও গুলোতে সব অশ্রাব্য খিস্তি এরাই দিয়ে থাকে ( ইমানের জোর আরকি, যুক্তির জোর ত নেই-সব গাধার দল)। দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশী বা পাকিস্থানী বৃটিশরা ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় প্রজন্মের হিন্দুদের থেকে শিক্ষা,দীক্ষা ধন দৌলতে সব দিক থেকেই পিছিয়ে। একজন হিন্দু দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের ইংল্যান্ডে গড় আয় দ্বিতীয় প্রজন্মের পাকিস্থানীদের থেকে ৩-৪ গুন বেশী-উচ্চ শিক্ষার হার ত অনেক বেশী ( বিবিসির রিপোর্ট)। এরা আপনার কাছে ইমানদার। আমাদের কাছে ব্রেইনওয়াশড র্যাডিক্যাল দাঙ্গাবাজ-যাদের থেকে সন্ত্রাসবাদি হওয়ার চান্স খুবই বেশী।
নিউ ইয়ার্ক বা লস এঞ্জেলেস বা শিকাগোর মতন বড় শহর বাদ দিলে, দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলমানদের বাকী আমেরিকানদের সাথে স্কুলেই বড় হতে হয়। সেখানে কেওই ইসলামি কালচার ধরে রাখতে পারে না-সেই ভাবে-কারন সেক্ষেত্রে তার পক্ষে বন্ধু বান্ধব পাওয়া সমস্যা হবে। বাবা-মায়ের চাপে অনেকেই অনেক কিছু করে ( ভারতের ছেলে মেয়ে গুলোও করে)-কিন্ত পরবর্ত্তীতে বয়সকালে নাইট ক্লাবে যাওয়া শুরু হলে, সেসব উড়ে যায়। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই এটা হয়। ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে যারা আমাদের কলেজের বন্ধু-তারাও আমাদের মতন সেকুলার। প্রায় ধর্মহীনই বলা চলে। তাদের ছেলে মেয়েরাও আমাদের ছেলে মেয়েদের সাথে বড় হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয় হিসাবে। ওরা ধর্মের পার্থক্যটা কোনদিনই জানবে না। কারন ধর্মীয় পরিচয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বহীন ছিল-এখনো আছে।
@বিপ্লব পাল,
বিষয়টি আসলে সে রকম না , আমরা মসুলমানরা কিছু ব্যবসা আছে যা করার অনুমতি নাই , তার পর হিজাব আর দাড়ি নিয়ে ভাল জব পাওয়া বেশ কঠিন । তারপর নামাজের টাইম নিয়ে ও সমস্যা হয় , তাই অনেকেই পার্টাইম জব করে । ধন দৌলত আর উচ্চ কর্মকর্তার দিকে আমরা কম হব এটা খুবই নরমাল বিষয় ।
বেশীর ভাগ সময় এ বিষয় ঠিক না , অনেক ছোট শহরে একমাত্র বাংজ্ঞালি পরিবার লোক হওয়া সত্তেও , তারা অনেক ভাল মসুলমান হিসাবে দেখেছি । তাছাড়া, এখন তো প্রতিটি শহরেই আমারা মসুলমানরা আছি । ফ্রেন্ডসিপ আমাদের সাথে হওয়ার সম্ভাবনা বেশী(কালো-সাদা-ইন্ডিয়ান) । তারপর দেখেন , রাশিয়াতে যেহেতু আমরা ঠিকতে পারছি, তাহলে অন্য জায়গায় আমাদের সমস্যা হওয়ার কথা না । ইনশি-আল্লাহ আমাদের তেমন কিছু হবে না ।
@ফুয়াদ,
এই তো ভাল কথা বলেছেন, “আসলে মসুলমান সমাজকে শিক্ষিত করা দরকার , মসুলমানরা শিক্ষিত হইলে পৃথিবীকে দ্রত অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত”
শিক্ষিত হবার কোন শর্টকার্ট নেই। শুধু ঐশী গ্রন্থ আকড়ে ধরে আধুনিক বিজ্ঞান শেখা যাবে না। যারা ধর্মকে বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করাতে চায় তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তারা আসলেই জাতির কতটা উপকারী না ভেবে দেখা আশু দরকার। এভাবে জাতিকে বারে বারে পেছানো হয়েছে বহুবার, অন্যরা এগিয়েছে আর আমরা কেবল নিজেদের শ্রেষ্ঠ জাতি ধর্ম ইত্যাদী বড় বড় বুলিই আউড়ে যাচ্ছি। যাদের ঘৃণা করার বাণী ছাড়ি তাদের কাছেই ছুটে যেতে হয় জ্ঞান বিজ্ঞানের হালুয়া রুটির খোজে।
@আদিল মাহমুদ,
গ্রন্থ আকরে ধরেই আমাদের বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে , জ্ঞানে উন্নতি করতে হবে । আসলে ধর্ম আর বিজ্ঞান পরস্পরের সহায়ক ।
কিন্তু আমি মনে করি মুসলিম বিজ্ঞানীদের ই , প্রমান করতে হবে ধর্ম বিজ্ঞানের প্রতিদন্ডি নয় । কারন আমি ও আমরা আগে ঈমান কে গুরুত্ব দেই । তাহলে বিজ্ঞানীদের উচিত ধর্মের যে বিষয় তারা বোঝেন না , ঐ বিষয়ে মন্তব্য না করা । আমি এ ব্যপারে ইবনে সিনার উপর রগন্নিত । মেটাফিজিক্স উনার বিষয় না , ফিজিক্স উনার বিষয় বা মেডিকেল ঊনার বিষয় । তিনি কেন মেটাফিজিক্সের বিষয়ে বই লিখতে যান । ঐ বিষয়ের জন্য তো ফক্রুদ্দিন আল রাজি আর ইমাম গাজ্জালি রঃ সহ অনেকেই আছেন । উনি যদি ভাল করে জেনে লিখতেন , তাহলে এই সমস্যা হইতো না। মেটাফিজিক্সেসে উনার মাত্র তিনটি মন্তব্য, (যা মনে হয় উনি নিজেও বিশ্বাস করতেন না ) এ পরিস্তিথি তৈরি করল । কিন্তু তিনি লিখলেন,
“আমার মত কাউকে ব্লাসফেমীর দায়ে অভিযুক্ত করা সহজ কিংবা সহজলভ্য নয়
আমার চেয়ে দৃঢ় বিশ্বাস আর নেই
আমার মত কেউ যদি অধার্মিক হয়ে থাকে
তবে পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম নেই।”
মৃত্যুর তিন দিন আগে থেকে শুধু কোরান পড়া শুনলেন ।
আমি মনে করি বিজ্ঞানিদের উচত সঠিক ধারনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া । কিন্তু ধর্মের ব্যপারে না জানলে মন্তব্য না করা । বিজ্ঞানের বই লিখলে শধু বিজ্ঞানের বই লিখতে হবে ।
আদি্ল ভাই
(১) আমি লিখেছিলাম হিন্দু মেয়েরা রক্ষনশীল হলেও, তারা রক্ষনশীল ছেলে কিন্ত পছন্দ করে না। আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে।
(২) আমার চেনা শোনা বাংলাদেশী পরিবারে কারু্র ছেলে্কে আরবী পড়তে দেখি নি। তারা ত বাংলায় পড়ে দেখি।
(৩) ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলমানরা আরো গোঁড়া-কারন টা সামাজিক বিভেদ। আমেরিকায় মোটে এটা সত্য না।
এখানে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুসলিমদের ্মধ্যে ধর্মীয় গোড়ামি দেখি নি।
(৪) দক্ষিন ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মটা একটু বেশী-এটা ঠিক। বাঙালী আর কেরালাতে কম-কারন বামপন্থী শাসন।
(৫) বাংলাদেশে এখনো ধর্মীয় আচরনে লোকে শ্রদ্ধা পাচ্ছে কারন সেখানে এখনো ঠিক ঠাক ধনতন্ত্র আসে নি-যা ভারতে অনেকটাই এসে গেছে। মানে সেই অবস্থা এখনো আসে নি-যেখানে একজন কর্মীর কর্মদক্ষতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ধর্মীয় লোকেরা ্দক্ষ কর্মী হতে পারে-কিন্ত ম্যানেজমেন্টে একদম ব্যার্থ হয়। কারন যুক্তিবাদি সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ম্যানেজারদের সব থেকে বড়গুন-সেটা তারা পারে না। ফলে আস্তে আস্তে ধর্মহীন লোকেরা ধনতন্ত্রে ফেবারড হতে থাকে। সেই ধাপটা বাংলাদেশে আসে নি। আস্তে আস্তে আসবে।
@বিপ্লব পাল,
নিজ়েরা রক্ষনশীল, কিন্তু রক্ষনশীল ছেলে পছন্দ করেন না এ ধারনায় ব্যাপক মজা পেলাম।
আপনার চেনা জানা বাংলাদেশী পরিবার কয়টি ঠিক জানি না। তবে আপনি মনে হয় আরেকটি ফ্যাক্টর চিন্তা করেননি তাহল আপনার নাম দেখেই ওই লাইনের অনেকে আপনার সাথে হয়ত অতটা ঘনিষ্ঠভাবে মিশবেনই না।
আরবী পড়ার সাথে বাংলা পড়ার তেমন সংঘাত মনে হয় নেই। আরবী পড়ার অর্থ এ না যে তারা বাংলা পড়ে না। আরবী পড়ে শুধুমাত্র সপ্তাহে হয়ত একদিন, তাও আরবী ভাষা পড়ে আরবী সাহিত্য শেখার জন্য নয়। পড়ার মূল উদ্দেশ্য থাকে কোরান পাঠ করার। কারন মুসলমান বিশ্বাস অনুযায়ী ছেলেময়েকে কোরান পাঠ করানো বাবা মায়ের একটা বড় দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। সনাতনী ধারনা মতে কোরান এখনো আরবীতেই পড়াকে সঠিক ধরা হয়। কোরানের বাইরে এরা কেউই আরবী ভাষা নিয়ে মাথা ঘামায় না। এমনকি কোরানেও মানেই তেমন জানে না, শিখে খালি সঠিক উচ্চারনে আরবীতে কোরান পড়া।
ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাপারটা বুঝি। আমারো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তেমনি মনে হয়েছে। আরেকটি ঘটনা শুনেছিলাম যেখানে একজন দুপুর বেলা এক আত্মীয়ের বাড়ি গেছিল, তখন বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না, তাকে পর্দার আড়াল থেকে মহিলা কথাবার্তা এমনি রাজকীয় লাঞ্চও খাইয়ে ছেড়েছিলেন, যদিও চাক্ষুস দেখা দেননি। গায়েবী আওয়াজের মতন ভেতর থেকে আওয়াজ ভেসে আসছিল।
বাংলাদেশের ব্যাপারে আপনার থিয়োরী ঠিক। পুরো কালচারেই এখনো প্রফেশনালিজম তেমনভাবে আসেনি।
জ্ঞানার্জনের মুখ্য উদ্দেশ্যও জেনেটিক সারভাইভাল। সব জ্ঞান ই আমরা অর্জন করি, আরো ভালো ভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে। তাই জ্ঞান বলতে যদি আপনি ধার্মিক জ্ঞান বোঝান ( যদিও তা দর্শন শাস্ত্র অনুসারে জ্ঞানের অন্তর্ভুক্তই না) , তাহলে সে শিখে লাভটাই বা কি? এখানে একজন বাচ্চাকে আমরা ফুটবল টেনিস সাঁতার গান নাচ ইত্যাদি শেখাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতি, মুসলমানদের জন্যে মসজিদ গুলিতে আরবি শিক্ষা ইত্যাদি কিছু ক্লাস ও
চালু আছে। বাংলা ক্লাসে তাও ভাল ছাত্র হয়-মসজিদে আরবি শিক্ষা নিতে কিন্ত খুব কম বাঙালী ছাত্রই যায় ( প্রায় যায় না বললেই চলে)। বাংলাদেশীরা তাহলে তাদের ছেলে মেয়েদের আরবি শিখতে পাঠাচ্ছেন না কেন এখানে ( ব্যাতিক্রম আছে, খুবই কম)?
কারন তারা ভাল করেই জানেন, তাহা ছেলে মেয়েটির জীবনে, আমেরিকায় কাজের জিনিস নহে। বাংলাটা তাও শেখার দরকার আত্মীয় সজনদের সাথে কথা বলার জন্যে ( যদিও সেটাও শেখে না)।
আর ধর্মীয় জ্ঞান -জ্ঞানের পর্যায়ভুক্তই না ( এপিস্টিমলজির আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী)।
এই নিয়ে আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন।
http://biplabpal2000.googlepages.com/gganbiggan.pdf
বিপ্লব পাল, পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে আপনার খাস বাংগালী কথা শুনে হাসি পেল।এশীয়দের পরিচ্ছন্নতা জ্ঞান(Hygienic sense) সাধারণভাবে ইউরোপীয়দের চেয়ে ভালো এবং এ ব্যাপারটি কিন্তু তাদের ধর্ম হতেই এসেছে।স্বাস্থ্য বিষয়ক ইসলামী নিয়ম কানুনগুলো কখনও পড়ে দেখেছেন?এতো সুন্দর বিধান কোনো স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের বইতেও পাবেন না।
@al murshed,
একখানা খাটি সাস্থ্যবিজ্ঞানই বটে। অভিশাপ, শয়তানী, যাদুটোনা আর কোন বিজ্ঞানে পাবেন?
Say: ”I seek refuge with (Allâh) the Lord of the daybreak
”From the evil of what He has created;
And from the evil of the darkening (night) as it comes with its darkness; (or the moon as it sets or goes away).
”And from the evil of the witchcrafts when they blow in the knots
And from the evil of the envier when he envies.” (সুরা ফালাক ১৩৩, আয়াত ১-৫)
@আকাশ মালিক,আমার বক্তব্যের সাথে আপনার উদ্ধৃতি কীভাবে প্রাসংগিক হয়েছে?আর Satanism,Witchcraft যে বাস্তব জিনিস তা কি আপনি জানেন না?
@al murshed,
বাথরুমে হাত ধোওয়া কালচার ছাড়া ইউরোপ থেকে এশিয়রা পরিচ্ছনতায় সাধারনভাবে কতটা এগিয়ে তাতে আমি নিশ্চিত নই। খুব ছোট উদাহরন দেই; ইউরোপ আমেরিকায় যে ষ্ট্যান্ডার্ডে একটা খাবার দোকান বা রেষ্টূর্যান্ট চলে তার সিকিভাগ ফলো করলে অন্তত পাক/ভারত/বাংলাদেশের আশিভাগ দোকান হোটেল মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে।
সেই হাত ধোয়া কালচার মনে হয় সব এশিয় দেশে নয়, মুসলিম দেশগুলি আর ভারতেই আছে।
আর এতে ইসলাম ধর্মের পার্টিকুলার কতটা সরাসরি প্রভাব আছে তাও জানি না। কোরানের নিঃসন্দেহে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন আয়াত নেই, কোন হাদীসেও দেখেছি বলে মনে পড়ে না (অনেকের মতে আবার সব হাদীসই বর্জ়নীয় সে বিতর্ক বাদ)।
তবে এটা ঠিক যে কোন কালচারই শ্রেষ্ঠ নয়, সব কালচারেরই কিছু না কিছু ভাল দিক অবশ্যই আছে। ইসলামী কালচারেও নিঃসন্দেহে আছে। তেমনি বৈদিক সমাজ ব্যাবস্থাতে আছে। ব্রিটিশদের কলোনিয়ালিষ্ট বলে যতই গাল দেই না কেন উপমহাদেশে তাদের শাসনের ভাল দিক কি কিছু আমরা পাইনি?
@আদিল মাহমুদ,আপনি হাদীসের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বিধানগুলো দেখুন।পেশাব /মলত্যাগ করার পরে কীভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।এছাড়া নামাজের আগে যেভাবে ওজু বা প্রয়োজন বোধে গোসল করতে হয় তার চেয়ে ভালো ভাবে পরিচ্ছন্ন হওয়ার নিয়ম আমি আর কোথাও দেখিনি।আবার দৈহিক সম্পর্কের পরে ভালোভাবে গোসল করা,মেয়েদের ঋতুস্রাব কালীন সময়ে পরিচ্ছন্নতার নিয়ম ইত্যাদি বিশদভাবে বলা আছে।আর সব হাদিস তো ভূয়া হতে পারে না।হাদিস বিষয়ে কে কী বললো না বললো তা থেকে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়,এগুলো ইসলামী বিশষজ্ঞরা-ই ভালো বলতে পারবেন।
@al murshed,
আমি হাদীস বিষয়ক বিতর্কে মোটেও আগ্রহী না। সেই যোগ্যতাও নেই, ইছাও এই, তেমন কোন দরকারও দেখি না। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধিবিধান করতে হবে এমন ধারনা থেকে আমি মুক্ত। আমার স্ত্রীর প্রতি কেমন ব্যাবহার করতে হবে বা আমাদের দাম্পত্য কলহের সমাধান কোন ঐশী গ্রন্থে পাওয়া যাবে এমন ভাবা কিভাবে সম্ভব? আপনার খারাপ লাগতে পারে কিন্তু এটাই বাস্তব। আমি শুধু বিকল্প ধারনা হিসেবে হাদীস বিহীন ইসলাম চিন্তা করি, যদিও মনে করি না এটা সম্ভব।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলতে পারেন এ ধারনায় আমি একমত নই। এতদিন জানতাম বিশেষজ্ঞরাও অনেক কঠোর যাচাই বাছাই করে এসব সহী হাদীস রচণা করেছেন। এখন দেখি যতটা সহি আসলে ততটা নয়। আরো অনেক বিশেষজ্ঞ এগুলির সহীত্ব নিয়েই টান দিচ্ছেন। কোন বিশেষজ্ঞের দিকে যাব? তারচেয়ে ভাল নিজের মাথা একটু খাটানো। ভাল কথা হলে গ্রহন করব, নয়ত বাদ।
তবে আমি এও মনে করি না ধর্মগ্রন্থগুলি থেকে কিছুই শেখার নেই। এমন কি যেসব গ্রন্থ মানুষ রচিত সেগুলিতেও মানুষের শেখার মত বেশ কিছ্য জিনিস থাকতেই পারে, কারন সেগুলি অতীত যুগের মানুষের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল। সবই যে খারাপ তা কেমন করে বলি? তাই, ভাল কথা হলে যেকোন বইতেই হোক গ্রহন করি। জীবে সেবিছে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর; এতে কারো দ্বিমত থাকতে পারে? এ বাণী বিবেকানন্দ/যীশু নাকি নবী মোহাম্মদের তাতে কি কিছু যায় আসে?
তবে আপনি যেসব ক্ষেত্র বললেন সেগুলিতে সনাতনী ইসলামী বিধিবিধান অনুসারে অবশ্যই পরিষ্কার গাইড লাইন আছে এবং নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত উন্নত। তবে এসব গাইড লাইনের প্রায় বেশীরভাগই ব্যক্তিজীবনের। হুবহু একই রকম নাহলেও এগুলির বেশীরভাগই সূস্থ রুচির যেকোন মানুষ এমনিতেই মনে হয় পালন করবেন। খাওয়ার আগে হাত ধোয়া বা ইন্টারকোর্সের পর গোসল করা মন এহয় কমন সেন্স। কোরান হাদীসের যুগের বাইরে স্বাস্থ্য বিষয়ক বেশ কিছু ব্যাপার স্যাপার আছে যেগুলির ব্যাপারে কোন ইসলামী গাইড লাইন আছে বলে জানা নেই। তাই মনে হয় পরিচ্ছন্নতার সামগ্রীক বিচারে ইউরোপ আমেরিকা এগিয়ে থাকবে।
@আদিল মাহমুদ, একদম ঠিক কথা বলেছেন। সব সংস্কৃতির ভালো গুলো নিয়েই সাংস্কৃতিক সংশ্লেষন বা সিন্থেসিস সমাজের ‘রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস’ কে বাড়িয়ে তোলে। সেই সব সামাজিক মেমেটিক্সগুলিই সমাজে থেকে যায়, যা সমাজকে আরো উৎপাদনশীল করে তোলে। উদ্র লিবারাল বা উগ্র ধর্মবাদিরা এই জন্যেই টেকে না-কারন তাদের সংস্কৃতি সমাজকে উৎপাদনশীল করে না। এটাই ডারউইনিয়ান বস্তুবাদ ইতিহাসের মূল কথা। একটু চোখ খুললেই দেখবেন, এই উৎপাদনশীল হতে গিয়েই ধর্ম হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতিটা আমেরিকান বাবা বা মা, তাদের ছেলে মেয়েদের সেইসব জিনিসগুলোই করাচ্ছে, যাতে তারা স্কুল এবং কলেজে ভাল রেজাল্ট করতে পারে। সেখানে ধর্মের স্থান কোথায়? ফলে দক্ষিন এশিয়ার ছেলে মেয়েদের মাথায় আমেরিকাতে অন্তত ধর্মের ভুত প্রায় একদম নেই।
বাংলাদেশকেও ত এই আন্তর্জাতিক বিশ্বে মাথা উঁচু করতে হবে। বাংলাদেশের
ছেলে মেয়েরাও ভাল প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্যেই ধার্মিক আচরন আস্তে আস্তে ছাড়তে বাধ্য হবে। কারন কর্মস্থলে বা কোন বন্ধু মহলেই কেও ধার্মিক লোকজন পছন্দ করে না। ভারতে এটা সাংঘাতিক ভাবে সত্য। মেয়েরা ধার্মিক হলে তাও চলে, ছেলেরা ধার্মিক হলে মেয়েরা পাত্তা দিতেই চায় না। ফলে একটা আর্থ-সামাজিক-যৌন চাপের ফলে, ওরা আস্তে আস্তে ধর্মের বাঁধন কাটতে বাধ্য হবে বা হচ্ছে। এই ব্যাপারটা ভারতেই ভালই হয়েছে-বাংলাদেশেও হবে-হতে বাধ্য। কারন সেটাই উৎপাদনশীলতার সঠিক দিক।
@বিপ্লব পাল,
অধিকাংশ পিতামাতাই তাদের সন্তান্দের শিক্ষায়তনে পাঠাচ্ছে সন্তান্দের আর্থিক নিশ্চয়তার জন্য, তার মূখ্য উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন নয়। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন হবার মানষিকতা নিয়ে কয়জন তাদের সন্তাঙ্কে শিক্ষায়তনে পাঠাচ্ছে? বিষয়টি কি clear করবেন?
@বিপ্লব পাল,
“ভারতে এটা সাংঘাতিক ভাবে সত্য। মেয়েরা ধার্মিক হলে তাও চলে, ছেলেরা ধার্মিক হলে মেয়েরা পাত্তা দিতেই চায় না। ”
আপনার বহুদিন আগের একটা লেখায় প্রেমের জগতে আপনার নিজের ব্যক্তি অভিজ্ঞতার কথা পড়েছিলাম। সেখানে বলেছিলেন যে মনে হয় দুজন পিএইচডি করা মহিলার সাথে আপনার প্রেম ছিল এবং তারা অতি উচ্চশিক্ষিতা হলেও ধর্মের ব্যাপারে বেশ রক্ষনশীল। ব্যাপারটা কেমন উলটা হল না?
বাংলাদেশে কিন্তু অফিস আদালতে বা সামাজিকতার স্বার্থেই মানুষী অনেক ক্ষেত্রে ধার্মিক হতেই হয়। কোন অফিসে যদি আপনি রোজার দিকে দিব্বি লাঞ্চ করেন তাহলে সে অফিসে আপনার অবস্থান হবে অত্যন্ত নড়বড়ে। আমরা ছোটবেলাতে স্কুলে রোযার দিনে কৃতিত্ত্ব নিতে বানিয়ে হলেও বলতাম আজ আমি রোযা।
আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ধর্মের ভুত একদ্ম নেই ঠিক বলতে পারি না। দক্ষিন ভারতীয় স্পেসিফিক্যালী জানি না, তবে প্রায় সব শহরেই তো মন্দির আছে, সেখানে ভীড় ভাট্টা নেহায়েত কম দেখি না। হতে পারে বেশীরভাই দিওয়ালী জাতীয় উতসবের। আটলান্টায় বছর দুয়েক আগে ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে রাজকীয় মন্দির বানানো হয়েছে। তার ওপেনিং হয়েছে রীতিমত দেখার মত। তবে আমি যত ভারতীয়ের বাড়ি গেছি তাতে নাস্তিক ছাড়া ছোট হলেও একটা পূজা মন্ডপ দেখেছি।
আমার মনে হয় আমেরিকাতেও ভারতীয়দের ধর্ম ছাড়ার রেট অতটা দ্রুত নয়। তবে ভারতে সনাতনী হিন্দুত্ব মন হয় দক্ষিনে বেশী প্রকট।
বাংলাদেশী বা মোসলমানদের তো আরো অনেক কম। আমার দেখা অধিকাংশ পরিবারই ছেলেমেয়েদের সপ্তাহে একদিন আরবী স্কুলে পাঠায়। এখানে তারা আরো সতর্ক কারন ভিন্ন পাশ্চাত্য কালচারে ছেলেমেয়ের মাথা নষ্ট হবে এই আতংকে তারা চরমভাবে ভুগে। এ বছরের গোড়ায় লন্ডন থেকে এক বাবা এসেছিল আমার বাসায় বেড়াতে তার ৬ বছরের ছেলে নিয়ে। বাবা ধর্ম নিয়ে কোন মাথা ঘামায় না, কিন্তু সেই বাচ্চা ছেলে হালাল ছাড়া কিছু খায় না যদিও তার জন্ম ইংল্যান্ডে। কিন্তু সে পেয়েছে তার মায়ের প্রভাব।
@al murshed,
সেটা ত ১০০০ বছর আগের কথা যখন আরবদের বিজ্ঞান সেরা ছিল। সেটাকে ইসলামিক বিজ্ঞান না বলে আরবিক বিজ্ঞান বলাই ভাল। আপনার মন এবং বুদ্ধি মনে হচ্ছে সপ্তম শতকের আরবেই আটকে গেছে-অবশ্য সব ধর্মভীরু ্মুসলমানদেরই এই একই হাল। বিদ্যাবুদ্ধি সপ্তম শতকের আরবের খেজুর গাছে রসের অপেক্ষায় হ্যাঁ করে বসে আছে!
@বিপ্লব পাল,আরবের খেজুর গাছ থেকে রস পাড়া হয় কি না জানি না।সে রস থেকে কী গূড় তৈরি করা হয়?আপনি খেয়েছেন না কি আরব দেশের খেজুরের রস/গূড়?
আদিল মাহমুদ,এসব প্রশ্ন মূল এপ্লিকেশন ফর্মে থাকে না।আলাদা আরেকটি ফর্ম পূরণ করতে হয় যাতে MCQ এর মতো উত্তর বেছে নিতে হয়।প্রশ্নগুলো হচ্ছে,Ethnicity(British white,Non-British white,Asian British,Bangladeshi British,Chinese British,Black,Mixed etc),Religious belief,Sexual orientation(Heterosexual/homosexual/Bisexual etc),Country of Origin ইত্যাদি।এবং এটা-ই সাধারণ নিয়ম।তবে ইন্টারভিউতে এসব প্রশ্ন করা হয় না।ব্রিটেনে মানুষকে ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায় না যদিও খ্রিস্টমাস ঘটা করেই পালন করে।এবং খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাও নাম মাত্র-ই খ্রীস্টান,অল্প কিছু বুড়ো মানুষ ছাড়া চার্চে যায় না কেউ।তাই অনেক চার্চ এখন মুসলমানরা কিনে নিয়ে মসজিদ বানাচ্ছে বা ইস্কুলে পরিণত করছে যেখানে অন্যান্য শিক্ষার সাথে সাথে ধর্মীয় শিক্ষা ও দেয়া হয়।ব্রিটেনের মানুষ সাধারণ ভাবে লিবারেল।তবে ইংরেজ সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা বা গ্রামাঞ্চলে কিছুটা বর্ণবাদী মনোভাব দেখা যায়।সরাসরি কেউ বর্ণবাদিতা না করলেও তাদের নিজস্ব সূক্ষ্ম পদ্ধতি আছে,যা তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে উঠাবসা না করলে বোঝা যাবে না।ব্রিটেনের পুলিস বাহিনীতে বর্নবাদ একটি বড় সমস্যা।স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বর্ণবাদ বিষয়ক মামলা আছে।এগুলো করেছে পুলিসের-ই প্রাক্তন মুসলিম বা অমুসলিম,কালো কর্মকর্তা।
@al murshed,
তাই বলুন, এবার পরিষ্কার হয়েছে। এই এমসিকিউ ফর্মটা মনে হয় ঐচ্ছিক। আমেরিকাতেও এরকম ফর্ম আছে (EOE) তবে সেটা সম্পুর্ণভাবে ঐচ্ছিক যা শুধুমাত্র ষ্ট্যাট এর কাজে বাবহার হয়। তবে তাতেও ধর্মের কোন উল্লেখ নেই কারন উত্তর আমেরিকিয় কালচারে ধর্মে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোন গুরুত্ব সাধারনভাবে নেই এবং এ বিষয়ে অযাচিত কৌতূহল অত্যন্ত কঠোরভাবে দেখা হয়।
আমেরিকায় আস্তিক বেশী হলেও ব্যাবহারিক দিক থেকে অনেকটা ব্রিটেনের মতই। যে যার মত চার্চ মসজিদ মন্দিরে যায়, যে যায় না সে যায় না। কেউই কারো উপর জোর ফলায় না। সবচেয়ে স্বশ্তির কথা কেউ দাবী তোলে না যা আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রুপ তাই ২ হাজার বছর আগের বাইবেল অক্ষরে অক্ষরে মেনে জীবন বিধান চালাতে হবে, গনতন্ত্র বা মনুষ্য রচিত আইন কানুন মানি না। এই উপলব্ধি তাদের ২০০ বছর আগেই দেশ স্বাধীন করার সময় থেকেই হয়েছে, তাই ধর্মকে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে রাখা হয়। এর ফল হিসেবেই উত্তর আমেরিয়া সব ভাষাভাষি বর্ণ ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ সহাবস্থানের অভয়ারণ্য হয়েছে।
বর্নবাদ অবশ্যই কিছু আছে, তবে তাতে ধর্মের প্রভাব অতি অতি সামান্য। আমার ধারনা ইউরোপেও তাই। আমি ইউরোপ যাইনি কখনো, তবে যা শুনি তাতে মনে হয় ইউরোপিয়ানরা ধর্মের দিক থেকে বেশী উদার হলেও ইমিগ্র্যান্টদের প্রতি উদারতা আমেরিকানদের থেকে কম। বর্ণবাদও মনে হয় বেশী।
বর্ণবাদ নেই আর কোথায়? আমরা এত যে বর্ণবাদ করে চেচাই খোদ আমাদের দেশেই কি বর্ণবাদ নেই? বেশ ভালই আছে। বিয়ের বাজারে এখনো আমরা ফর্সা মেয়ে খুজে বেড়াই, কাউকে চেনাতে হলে বলি অই যে কাইল্লা বেটাটা। স্নেহ করে কালো মেয়েদের ডাকি মা কালী।
@আদিল মাহমুদ,ধর্ম,Ethnicity,জাতীয়তা,যৌন আচরণ,ইত্যাদি বিষয়ক ফর্ম-টি প্রত্যেক চাকুরি প্রার্থীকেই জমা দিতে হয়।আর এ ফর্মটি শুধু-ই পরিসংখ্যানের কাজে ব্যবহার করা হয় কি না সে বিষয়ে আরো অনেকের মতো আমার ও সন্দেহ রয়েছে।
@al murshed,
আমেরিকায় এতে অত্যন্ত কড়া আইন আছে, সেই ঐচ্ছিক ফর্মের সাতেহ চাকরির কোন সম্পর্ক নেই। সেই ফর্মেও ধরমের কোন স্থান নেই, আছে শুধু লিংগ, এথনিসিটি, ওয়ার ভেটেরান কিনা এই সামান্য কয়েকটি জিনিস।
এটা সম্পূর্ণভাবে পরিসংখ্যানের কাজে ব্যাবহার হয়।
@আদিল মাহমুদ, ইভাঞ্জেলিস্টদের ঘটনাটি কী রকম?তারা তো শুনেছি জেরুজালেম-এ তাদের মেসিয়াহ আসা ত্বরান্বিত করার জন্য ইস্রাইলের নিষ্ঠুরতা নির্দ্বিধায় মেনে নেয় এবং উপরন্তু সব সব রকমের সাহায্য সহযোগিতার(যে কোনো লেভেলে) জন্য সদা প্রস্তুত।আর তারা-ই তো ইহুদিদের পরে আমেরিকার সবচে প্রভাবশালী গোষ্ঠি তাই না?
@al murshed,
আমি এ বিষয়ে ডিটেলস ঘাটিনি, তবে শুনেছি অনেকটা একই রকম অভিযোগ। তারাই ধর্মীয় কারনে ইসরাইলের পক্ষে।
@আদিল মাহমুদ, আমেরিকা কি ধর্ম,জাতি বিষয়ে আসলে-ই এতো উদার?তাহলে ইহুদিদের কোনো বিষয়ে কেউ এমন কি সংগত কারণে কোনো সমালোচনা করলে এন্টিসেমিটিজমের জিগির তুলে তার উপর রাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়ে কেনো?আর আমেরিকা ভু-খন্ডের আসল অধিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের(একটি ভুল নাম) মেরে,ধুরে শেষ করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে কেনো?(বিপ্লব পাল আবার আমাকে সম্ভবতঃএন্টিসেমিটিক এবং এন্টিআমেরিকান লেবেল দিয়ে দিবেন)
@al murshed,
প্রশ্নটার ধরাবাধা উত্তর নেই। এক একজন এক একভাবে দেবেন। আমি বলব চিন্তা করতে হবে আপেক্ষিকতার বিচারে। এবসোলিঊল বলে কিছু নেই। যেমন; মধ্যপ্রাচ্যে আপনি বাংলাদেশী হিসেবে কেমন ব্যবহার আশা করেন আর যুক্ত্ররাষ্ট্রে কেমন আশা করেন?
আমেরিকায় এখনো বর্ণগত সমস্যা প্রকট না হলেও ভালই আছে। নাহলে আর ওবামার গায়ের রং দেখেই সব মাইনরিটির লোকজন তাকে অন্ধভাবে সমর্থন করবেন কেন (বলছি না যে ওনার যোগ্যতার ভিত্তিতে সেটা ভুল ছিল)। তবে প্রত্যহ জীবনে এর প্রভাব অত্যন্ত ক্ষীন, মূল কারন মনে হয় এরা অত্যন্ত প্রফেশনাল তাই। রডনি কিং মার্কা দাঙ্গা টাইপ হলিঊডি ছবি দেখে মনে করার কারন নেই যে অমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে। চাকরি বাকরিতে কিছুটা রেসিজম হয়, তবে তার প্রভাব অনেক উচু লেভেলে হয়। আমি আপনি যে লেভেলে সেখানে কেই ওসব নিয়ে ভাবে না। তবে আমার চোখে প্রকটভাবে দৃষ্টিকটূ লাগে যে কালো সাদা বিয়ে এখনো বেশ বিরল ব্যাপার। সূক্ষ্ণ পার্থক্য অবশ্যই আছে।
ইহুদীদের কথা বলছেন? সত্যতা তো অবশ্যই আছে। তবে আরেকটি জিনিস চিন্তা করতে হবে, এর পরেও আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার মোসলমান আসছে, স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েও যাচ্ছে, কেউ তাদের মসজিদে যেতে তবলীগে যেতে বাধা দিচ্ছে না বরং উল্টোই করছে, সরকার উদারভাবে মসজিদের জন্যও টাকা দেয়। ইহুদী কমিউনিটি ছোট হলেও তারা এতই প্রভাবশালী যে ইচ্ছে করলে তারা যেকোন ছলছূতায় নুতন মোসলমান ঢোকানো তো বটেই এমনকি যারা আগে নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাদেরও বের করার ব্যবস্থা করতেই পারে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমেরিকান সাধারন ইহুদী নাগরিকেরা মোটামুটিভাবে মোসলমানদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। আমি একবার এল এ তে একটা ধর্মীয় বিতর্কের কথা শুনেছিলাম যেখানে কোন উপযুক্ত মুসলিম বক্তা পাওয়া যাচ্ছিল না, একজন ইহুদী সেখানে ইসলামের পক্ষে বলেছে। এ ধরনের উদাহরন ভুরি ভুরি আছে।
সংগত কারন অনেক সময় যতটা সংগত মনে হয় অতটা নাও হতে পারে সেটাও মনে রাখতে হবে।
ধর্মের ব্যাপারে কে না সেন্টিমেন্টাল হয়? এবার চিন্তা করেন তো মধ্যপ্রাচ্যের সাথে তূলনাটা কেমন হবে? সেখানে কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে তো দুরের কথা, অন্য ধর্মের যতই ভাল কথা হোক প্রচার করতে পারে? আমাদের দেশে যদি আজ আমি ইহুদীবাদের পক্ষে একটা কথা বলি আমার কি হবে বলতে পারেন?
রেড ইন্ডিয়ানদের ব্যাপারে অভিযোগ তো পুরোই সত্য। তবে সেগুলি এখন অনেকটা ইতিহাস। বর্তমানে মেরে শেষ করে দিচ্ছে তেমন কোন ঘটনা আমি জানি না। তবে নেটিভ ইন্ডিয়ানদের অবস্থা ১০০ বছর আগেই এতই খারাপ করা হয়েছে যে বেচারাদের এখন অনেকটা নিজেদের রিজার্ভের ভেতর থাকতে হয়। তার মানেই এই না যে এটা বাধ্যতামূলক। তারা অন্য যেকোন নাগরিকের মতই যেখানে খুশী যেতে পারে, সুবিধে কিছু বেশীই পায়। সরকারী চাকরীতে কোটা আছে। তাদের রিজার্ভের ভেতর আমেরিকান পুলিশ গ্রেফতার করতেও পারে না।
@আদিল মাহমুদ, ইউরোপের বর্ণবাদ বিষয়ে আপনার ধারণা সত্যি।তবে আমেরিকাও তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
@আদিল মাহমুদ, আমাদের দেশে ও ঘোরতর বর্ণবাদ রয়েছে সে ব্যাপারে আমি আপনার সাথে ১০০% একমত।এই বর্ণবাদ বাংলাদেশের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা,সামাজিক উন্নতি বা নাগরিক অধিকার আদায়ে কোনো প্রভাব ফেলে না।তবে কিছু মানুষের কথা-বার্তায় এবং বিশেষ করে বিয়ের পাত্র-পাত্রী খুঁজতে গেলে এটা প্রকটভাবে ধরা পড়ে।আমি বিভিন্ন সময়ে আমার আত্মীয় -স্বজনদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে কালো রংটি আসলে ত্বকে মেলানিন নামক একটি পদার্থের উপস্থিতির কারণেই হয়ে থাকে এবং এটা ভালো কারণ তাদের স্কিন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।কিন্তু কে শোনে কার কথা।এমন কি যার গায়ের রং কালো সে নিজেও আরেকজনকে কাইল্যা বলছে এবং আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে সে একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ।ইন্ডিয়াতে জাত -পাত ,বর্নবাদ ভালোভাবেই আছে বলে মনে হয় যদিও সরকার তা দূর করতে চেষ্টা করছে।ইসলামের সৌন্দর্যের অন্যতম দিক হলো তা কোনো ধরণের বর্নবাদ,জাত-পাত ইত্যাদি সমর্থন করে না।আর এ কারণেই তা আমেরিকার কালো মানুষ এবং ভারত উপমহাদেশ নিম্ন-বর্ণের হিন্দুদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল।
@আদিল মাহমুদ,এই গাত্র বর্ণবাদ আছে বলে-ই তো ”ফেয়ার এন্ড লাভলী” ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে।এখোন মিডিয়ার কারণে আরেক ধরণের বর্ণ বাদ চালু হতে যাচ্ছে বা হয়ে গেছে, আর তা হলো,”সৌন্দর্য বর্ণবাদ”।
আচ্ছা আমেরিকার বিরুদ্ধে এই জিহাদি গানটির গায়ক, লেখক এবং সুরকার কে, আমাকে একটু জানাবেন? বাংলাদেশে কি এমন অনেক গান আজকাল তৈরী হচ্ছে?
httpv://www.youtube.com/watch?v=jRf67zCvg1w
@বিপ্লব পাল,বেশ মজার তো।ডিস্কো বারের মতো নেচে নেচে,স্পট লাইট নাড়িয়ে নাড়িয়ে গান।পোশাক দেখে তো মনে হয় ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট,তবে উচ্চারণ বাংলাদেশের মতো।না,এধরনের সংগীত এই প্রথম শুনলাম।বাংলাদেশে হুজিরা কিছু সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ চালালেও সাধারণ মানুষ(মুসলিম,হিন্দু,খ্রিস্টান) ধর্ম বিষয়ে উদার।
বিপ্লব পাল, আপনার ঊন ভিডিও দেখে এবং বক্তব্য শুনে ‘মানসিক ভারসাম্যহীনতা”ক্রনিক রোগ’ ইত্যাদি যেসব বিশেষণে আমাকে ভূষিত করতে চেয়েছেন তার কারণ বোঝা গেল না?এমন কি আমাকে কেনো সাম্প্রদায়িক(Communal,sectarian)আখ্যা দিয়েছেন তারও কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না।আপনি এই যে বিভিন্ন মন্তব্যে বিভিন্ন জনকে গায়ের জোরে বিভিন্ন লেবেল দিয়ে দিচ্ছেন(বা গালাগাল করছেন) এটা কেনো হচ্ছে বলুন তো? আপনি ভালো আছেন তো দাদা?
@al murshed, যার নিজেদেরকে হিন্দু বা মুসলমান ভাবে, তাদের আমি মানসিক ভারসাম্যহীনই ভাবি। কারন ঘটে একটু বুদ্ধি থাকলেই বোঝা যায় একজন হিন্দু বাবা বা মা, মুসলিম বাবা বা মায়েদের থেকে কোন ভাবেই আলাদা না। মাতৃত্ব, পিতৃত্ব এগুলো যখন ধর্ম নির্বিশেশে এক তখন কোথাকার কোন মধ্যযুগে, কোন এক মহম্মদ বা কানাই কি বলে গেল, তাই নিয়ে যারা নাচা নাচি খুনোখুনি করে, তাদের মানসিক ভারসাম্য কি ভাবে আছে বলে ভাবব? আমার কাছে কোন যুক্তি নেই এইসব গর্দভসুলভ হিন্দু বা মুসলিম পরিচয়ের।
@বিপ্লব পাল,আপনি আবারও গালাগাল করছেন?ব্রিটেনে চাকরির এপ্লিকেশন করার সময় ধর্ম বিশ্বাস(হিন্দু,মুসলিম,ইহুদি,খ্রিস্টান,নাস্তিক কিনা ইত্যাদি) ও উল্লেখ করতে হয়।এটাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
@al murshed,
ব্রিটেনে চাকরির আবেদনে ধর্ম উল্লেখ করতে হয় এটা আমার জানা ছিল না। সত্যিই বিস্ময়ের। এটা কি শুধু সরকারী চাকরীর জন্য নাকি সব চাকরীর জন্যই লাগে?
আমার মতে এর কোন মানে নেই। আর গায়ের রং জিজ্ঞাসা করতেই বা তাহলে ক্ষতি কি? চাকরীর ক্ষেত্রে আমার ধর্ম কি গায়ের রং এর গুরুত্ত্ব কি যদি না আমি গীর্জার পাদ্রী বা মসজিদের ইমাম পোজিশনের জন্য আবেদন না করি?
ঊত্তর আমেরিকায় ফর্ম তো দুরের কথা এমনকি আপনাকে ইন্টারভিঊতেও কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারবে না আপনার ধর্ম কি। এমনকি কোন দেশে জন্ম বা আমেরিকার নাগরিক কিনা তাও জিজ্ঞাসা করতে পারবে না, কড়া আইন আছে। ব্যক্তিজীবনেও কেউ ঘনিষ্টতা ছাড়া কারো ধর্ম জিজ্ঞাসা করাটাকে রূড ধরা হয়, শুধু এজন্যই রেসিজমের চার্জ আনা যায়।
আমার ধারনা ছিল ইউরোপ উত্তর আমেরিকা থেকে বেশী লিবারেল। ব্রিটেনে নাস্তিক মনে হয় আমেরিকা থেকে অনেক বেশী।
@al murshed,
বৃটেন যা করে, আমাদের ও তাই করতে হবে না কি?
না কি ওরা সাদা চামড়ার লোক বলে, আমাদের তাই করতে হবে? আমাদের আদর্শ? ওরা হেগে হাত না ধুলে আমরাও ধোব না???? এটাই ত বলছেন না কি?
আমেরিকাতে জাতি, ধর্ম, বর্নের কোন পরিচয় দিতে হয় না। কারন এই রাষ্ট্র মানুষকে চেনে, তার কাজের আউটপুটের ভিত্তিতে।
বিপ্লব পাল,আপনি একদিকে নিজেকে সমাজ তন্ত্রী বলে দাবি করেন আবার অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লুটেরা ধণীদের পাইকারি লুট পাটের পক্ষে সাফাই গাইছেন,এটা আপনার মার্ক্সবাদের কোন তত্ত্ব সমর্থন করে?
@al murshed,
লুঠেরাদের পক্ষে সাফাই আমি কোন কালেই গাই নি। আপনি আমার আগের লেখাটা পড়তে পারেন
http://www.mukto-mona.com/Articles/biplab_pal/american_rajniti.htm
আর আল্লাখাওয়াবে এই ধারনার বশবর্তী লোক যখন নিজে চোখে দেখি-তখন কি তত্ত্বে বিশ্বাস করতে হবে?
আদিল ভাই এর জন্যে বলি-
ভারতে মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেশ প্রাইভেট সেক্টরে হয়-পাবলিক সেক্টরে না। সেখানে চাকরি পেতে গেলে নামের বদলে নাম্বার দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সাচার কমিটির রিপোর্টে দেখা গেছে ভারতে মুসলমানরা সরকারী চাকরিতে ৩%-৫%–কিন্ত উচ্চশিক্ষাতেও তারা সেই পার্সেন্টেজে আসছে। এর মূল কারন অবশ্যই বড় ফ্যামিলি হওয়ার জন্যে অনেক বাবা মা পড়াতে পারছেন না। ভারতে শিক্ষাত অবৈতনিক।
@বিপ্লব পাল,
ভারতের পাবলিক সার্ভিসের এই নিয়ম জানা ছিল না। ইন্টারভিউ এর কোন ব্যাপার নেই যাতে জাত/ধর্ম/বর্ণ কাজ করতে পারে?
বড় ফ্যামিলি কি মোসলমান পরিবারগুলিতেই বেশী হয়?
@আদিল মাহমুদ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আছে-অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেই। ভারতে জাতি বর্ন রাজ্য এত বেশী-ওই রিস্ক, কেও নিতে চাই না। হিন্দু-মুসলমান শুধু একমাত্র বিভেদ না ভারতে।
বিপ্লব পাল,Generalisation আমি করি না, আপনি করেন।আপনি বিভিন্ন জায়গায় মুসলমান এবং মুসলিম দেশকে ভিক্ষুক,খেতে পায় না ইত্যাদি বলেন।মুক্তমনার আরেকটি Thread”আমি কার বাবা রে ,আমি কার খালু রে”-এ আমি আপনাকে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছি, আপনি তার উত্তর দিতে পারেন নি।মনে হচ্ছে আপনি মুসলিম বিদ্বেষী।
বিপ্লব পাল, ‘ভারতে এবং ইউরোপে মুসলমানদের মধ্যে ক্রিমিনালের সংখ্যা বেশি”,-Where did you get this information?Back up your claim with statistics.
@al murshed,
গত বছর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের কিছু খবর পড়েছিলাম যেগুলিতে আশংকাজনভাবে মোসলমান পলিলিক্যাল এসাইলামে আসা লোকদের দ্বারা বেশ কিছু রেপের রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। তবে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার কতভাগ মোসলমান আর তাদের আনুপাতিক ক্রাইমের হার অন্য কমিউনিটির সাথে কতটা তূলনামূলক সেটা বলতে পারি না।
আই এখবর জেনেছিলাম একটা ইমিগ্রেশন ফোরামে এক ইউরোপীয়র কাছ থেকে, পরে নিজে একটু ঘাটাঘাটি করে সত্যতা কিছুটা হলেও পেয়েছিলাম।
আশা করি ইমোশনালি নেবেন না। এখানে দেখতে পারেন।
http://fjordman.blogspot.com/2005/02/muslim-rape-epidemic-in-sweden-and.html
@আদিল মাহমুদ,
আরে ভারতের স্টাট ফুয়াদকেই দিয়েছিলাম। ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ২০%-আর ক্রমিনাল দের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা ৩৫%। এটা সাচার রিপোর্টেই আছে। তবে মুসলমান বলেই ক্রিমিনাল এটা সত্য না। আল্লা খাওয়াবে এই বিশ্বাসে বিশ্বাসি হয়ে মুসলমান পরিবার গুলি বড় হয়-তার পর দারিদ্র সহ্য করতে না পারে ক্রিমিন্যাল হয়। পশ্চিম বঙ্গ থেকে যে সব মহিলা মুম্বাই এ বেশ্যা বৃত্তির জন্যে পাচার হয়-তাদের অধিকাংশই মুসলিম। এটাও প্রমানিত সত্য। এর জন্যে মুসলমান দায়ী নিশ্চয় বলব না-কিন্ত তারা আল্লা খাওয়াবে বিশ্বাস করে জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে চাই না-এটা ত নিশ্চিত ভাবেই দায়ী।
@বিপ্লব পাল,
আমি জানি না মুসলমান ক্রিমিনালদের আসলেই কোন মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে কিনা যে “আল্লাহ খাওয়াবে” দর্শনই তাদের ক্রিমিনাল হবার জন্য দায়ী। এ নিয়ে কি কোন সলিড ষ্টাডী আছে?
আমার তো মনে হয় যে বড় কারন হতে পারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষমূলক নীতি। ভারত যতই সেক্যুলার বলে দাবী করুক বড় ধরনের সমস্যা তো আছেই, মোসলমানরা সবার মত সমান সুযোগ সুবিধে পায় এটা নিশ্চয়ই দাবী করবেন না। কোন জনগোষ্ঠিকে সুযোগ সুবিধে কম দিলে তারা হতাশা থেকেই ক্রাইম করা শুরু করতেই পারে।
@বিপ্লব পাল, ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন,আল্লাহ খাওয়াবেন এ ধারণা করে বাবা -মা’রা বেশি সন্তান নেন না,বরং সন্তানরা বড় হয়ে কাজ-কর্ম করে বুড়ো বয়সে খাওয়াবে, এ চিন্তা থেকেই দরিদ্র পরিবারগুলোর কেউ কেউ বেশি বেশি সন্তান নেন।
@বিপ্লব পাল,দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র চাকরি দেয়ার মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের পতিতালয়ে পাচার করে যেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসার আর কোনো উপায় থাকে না।পশ্চিম বঙ্গের কম্যুনিষ্ট সরকার এ বিষয়ে কি করছে বলুন তো?
বিপ্লব পাল,জর্জ সোরস Philanthropist বটে,অন্যান্য অনেক ধণ কুবেরের মতো-ই- অর্থাত গরু মেরে জুতো দান করেন।এই সোরস সাহেব ১৯৯২ সালে ব্রিটিশ পাউণ্ডের শর্ট সেলিং করে ব্রিটিশ অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছিলেন।আবার ১৯৯৭ সালে এশিয়ান টাইগারদের বিশেষতঃ মালয়েশিয়ার সর্বনাশ করেছিলেন একই কায়দায়,যে ধাক্কা দেশটি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারে নি।আর বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তা তৈরির সাথে জ়ড়িত হেজ় ফাণ্ডের অন্যান্য রথী-মহারথীদের অন্যতম হলো সোরস।গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক শুনানিতে তার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়েছে সোরস। নিজেকে নাস্তিক দাবি করলেও সে ইহুদী।আর ম্যাডফ ওরফে বার্নি হচ্ছে সেই দুষ্প্রাপ্য দুষ্ট লোক যে নিজে ইহুদী হয়ে অন্য ইহুদীদের মহা সর্বনাশ করেছে।Get the facts,দাদা।’শুধু ঝেড়ে দিলুম’-বললেই কি হয়ে গেল না কি?
@al murshed,
আপনার ভারসাম্য নিয়ে আমার সংশয় হচ্ছে। সম্ভবত আপনি ইহুদি বি্দ্বেশে ভুগছেন যা ক্রনিক রোগ। সরোস শুধু নাস্তিক নন-নাস্তিকতা প্রচারে খরচ ও করেন! তাছাড়া, উনি আইন ভাঙেন নি। ্ সব ব্যাবসাই সফল হয় না কি? ব্যাবসায়ী ব্যার্থ হলেই সে চোর হয়ে গেল! ম্যাডফের মতন চোর ডাকাতদের ধর্ম দেখতে গেলে দাউদের ও ধর্ম দেখতে হয়। সেটা ত আপনার চোখে পড়ার কথা না!
@বিপ্লব পাল,আপনি সোরসকে নাস্তিক এবং ম্যাডফ কে খ্রিস্টান বলেছেন।অথচ তারা দুজন-ই ইহুদী।আর ইহুদি হচ্ছে একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠি( ethnic group).আর আস্তিকতা,নাস্তিকতা হচ্ছে বিশ্বাসের ব্যাপার।আমার পোস্টগুলো দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে আমি ইহুদী,খ্রিস্টান,হিন্দু বা নাস্তিক,-কারো প্রতি বিদ্বেষে ভুগি না।
@বিপ্লব পাল, জর্জ সোরস কে ফ্রান্সের আদালত ২০০২ সালে Insider trading-এর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং ২.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিল।সোরস নিষ্পাপ হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস তাকে ডেকে নিয়ে
Grilling করলো কেন এবং সোরস তার দায়িত্ব স্বীকার করে মোটা অংকের টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে রফা করলো কেন?আর আপনি শুধু নাস্তিক বলে তার এইসব ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার করতে চাইছেন?দাদা,নাস্তিকদের কি কোনো নীতিবোধ থাকতে নেই?
@al murshed, জর্জ সরোস ধোয়া তুলসি পাতা নয়। কিন্ত ইনসাইডার ট্রেডিং এর যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, সেটা অনেকটাই কাক তলীয়।
(১) সোরোস জন্মগত ভাবে ইহুদি বলে, মহাতির ইহুদি বিদ্বেশের কার্ড খেলছিলেন, এ কথা সরোস মহাতিরের রাজনীতির বিরুদ্ধেই বলেছেন
(ঈয়াইকি থেকে)
(২)
উনি নিজেও ফ্রি মার্কেট অর্থনীতির কড়া সমালোচক
[
From wiki]
(৩)
উনি ইহুদি বিদ্বেশের জন্যে আমেরিকার উগ্র বিদেশনীতিকে দায়ী করেছেন-ইস্রায়েলকেই দায়ী করেছেন।
At a Jewish forum in New York City, November 5, 2003, Soros partially attributed a recent resurgence of antisemitism to the policies of Israel and the United States, and to successful Jews such as himself:
@বিপ্লব পাল, দাউদ ইব্রাহিমকে অপরাধী বলে-ই জানি।সে নামে মুসলমান বলেই তার প্রতি আমার ভালো বাসা আছে এ ধারণা আপনি কোত্থেকে পেলেন?
@al murshed,
যুক্তিটা ছিল, দাউদ ইব্রাহিম মুসলমান বলে সব মুসলমানকে আপনি দায়ী করবেন কি না? কারন আপনি ম্যডফ, সরোস এদের উদাহরন টানছিলেন। যদিও সরোজ ইস্রায়েলের প্যালেস্টাইন নীতি সমর্থন করে না-সেটা আপনি জানতেন না।
@বিপ্লব পাল,ইহুদীকে ইহুদী,খ্রিস্টান কে খ্রিস্টান,হিন্দুকে হিন্দু এবং মুসলমানকে মুসলমান বললে তা মানসিক ভারসাম্যহীনতা বা ক্রনিক রোগ বলে মনে হবে, এটি সাইকিয়াট্রির কোন বইতে পেয়েছেন জানতে পারি কি?
@al murshed,
নিশ্চয়। আপনি কেন সাম্প্রদায়িক-তা অবশ্যই আপনার জানা উচিত। আপনাদের মতন লোকেরাই ত সংখ্যাধিক্য-তাই আমি আগে থেকেই সবাই কে জানিয়ে রেখেছি–
httpv://www.youtube.com/watch?v=auCq6ThgwN0
অভিজিত,
জানি যে ট্রেন্ডটা পরিষ্কার, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবুও আমাদের সাদা চোখে পরিষ্কার মনে হলেও ষ্ট্যাটিসটিক্সের লোকের কাছে রিলেশনশিপ ততটা শক্তিশালী নাও হতে পারে।
আমেরিকায় একবার নাকি চিকিতসকদের এক ধর্মঘটের সময় দেখা গেছিল যে রোগীর মৃত্যুহার কম। এ জাতীয় রেজাল্ট আসে কিনা তা সম্ভাবনার মধ্যে পড়ে।
আমার ষ্ট্যাটিস্টিক্সের বিদ্যা মত আরো কিছু ফ্যাক্টর ও যোগ করে দেখা উচিত যে রিলেশনশিপ আসলেই কতটা ভ্যালীড। শুধু দুটো ফ্যাক্টর অনেক সময় ভুল রেজাল্ট দিতে পারে। যেমনঃ, ধর্মের সাথে শিক্ষার মান ইন্ট্রোডিউস করা যেতে পারে। তাহলে হয়ত আমেরিকান এনোমালির পরিষ্কার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। আবার শিক্ষা ও ধর্মের মধ্যেও রিলেশনশিপ থাকতে পারে। আমি মনে হয় সরল ব্যাপারকে বেশ জটিল করে ফেলছি, তবে আপনারা যারা এগুলি নিয়ে বিরোধী পক্ষের সাথে বিতর্ক করতে চান তারা এই পয়েন্টগুলি মনে রাখলে বিপদে পড়তে হবে না।
আচ্ছা, উল্টোটা কি হতে পারে না? মানে মানুষ গরীব হলে ধর্মচর্চা বাড়ে? আমি তো অন্তত ব্যক্তিপর্যায়ে তেমনি দেখি। কোন নাস্তিক ভিক্ষুককে কি অন্তত ভারত বা বাংলাদেশে দেখে যায়?
হয়ত আপনার দেওয়া লিংকে জবাব আছে, পড়ে দেখব অবশ্যই। ধণ্যবাদ।
এতদিনে আপনাকের নাস্তিক হবার একটা ভাল পয়েন্ট পাওয়া গেল যা আমাকে কনভিন্সড করেছে। শখ করে গরীব হতে চায় কে? 🙂
@আদিল মাহমুদ,
আমি কিন্তু সেই কারনেই নাস্তিক!
যত সি ই ও বা বড় বড় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার দেখেছি, তারা ঈস্বরের হাত দিয়ে ডাইস খেলে না। তারা নাস্তিক ই। তাই থেকে আমার দৃঢ় ধারনা নাস্তিক হলে আর যাইহোক পয়সা না হলেও গরীব হব না!
আসলে আমরা কখনোই যুক্তিচ্যুত হই না। সেটাই ধণ সম্পত্তি অর্জনে সাহায্য করে।
@বিপ্লব পাল, Madoff,Stanford,Soros এই চোর এবং জোচ্চোর আর
Lehman,Chase,UBS …….ইত্যাদির CEO নামধারীগুলো যে ঈশ্বরের হাত দিয়ে জ়ুয়া খেলে না তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কিছু আছে এবং তারা নাস্তিক???!!!
জ্বী,দাদা,”রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি”।এটাই তো অগাধ ধণ সম্পত্তি অর্জনের সবচে বড় যুক্তি? আপনি আসলে কি বলুন তো?সমাজতান্ত্রিক?ধণতান্ত্রিক?প্রাক্তন সমাজতান্ত্রিক?সমাজ-ধণ-নাস্তিক তান্ত্রিক?(যদি ও আমি কাউকে লেবেল দেয়া বিশ্বাস করি না।)তবে আপনি তো আমাকে আপনার মন গড়া একটা লেবেল দিয়ে দিয়েছেন-ইসলামী বাম-পন্থি(!)-মন্দ নয়।
@al murshed,
@al murshed,
Madoff,Stanford,Soros এই চোর এবং জোচ্চোর আর
Lehman,Chase,UBS …….ইত্যাদির CEO নামধারীগুলো যে ঈশ্বরের হাত দিয়ে জ়ুয়া খেলে না তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কিছু আছে এবং তারা নাস্তিক???!!
>>
জর্জ সরোস নাস্তিক এবং স্যার কার্ল পপারের অনুগামী। তিনি কোন চুরির দায়ে অভিযুক্ত নন এবং আফ্রিকাতে প্রতি বছর বিশাল টাকা দান করেন, খাদ্য দ্রব্য কিনতে। বাকী দুজন দাগী চোর এবং সেই জন্যে জেল হাজতে আছে। ম্যাডফ ক্রীষ্টান। স্ট্যানফোর্ডের ব্যাপারটা জানি না। ভারত এবং ইউরোপে মুসলমানদের মধ্যে ক্রিমিন্যালের সংখ্যা সব থেকে বেশী ( যদি ধর্ম দিয়ে ভাগ করি)-তাহলে আমিও বলি–কি দাদা,ভারতে ত সব মাফিয়া আর দাগি নামগুলো কিন্ত আরবিক? খুশী হবেন ত? আপনার যুক্তিই বাড়িয়ে দিলাম।
এই জেনারাইজ করাটা কোন জায়গায় চলে না। ঠিক ও না। কারন তা ঠিক হলে, খুব সহজেই বলে দেওয়া যায়, ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমান আর সন্ত্রাসীতে কোন পার্থক্য নেই
যেহেতু সব সন্ত্রাসীই ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমান।
@বিপ্লব পাল, গরিব হতে এত ভয় কেন ভাই? প্রকৃতিগত-সৎ থাকতে গেলে গরিব হতেই হবে।
বিপ্লবের কথায় একটু সরলীকরণের ছাপ থাকলেও তার মূল বক্তব্য আসলে সত্যকে লঙ্ঘন করে না। আসলে বহু গবেষনাইয় বেরিয়ে এসেছে যে দারিদ্রের সাথে ধর্মের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। যদি আপনি কোন দেশের ধর্মীয় প্রভাব এবং পার ক্যাপিটা গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্টের প্লট করেন তবে গ্রাফটা দাঁড়াবে অনেকটা এরকম।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2009/10/wealthvsreliogisity.jpg[/img]
আমি এই গ্রাফটা অধ্যাপক ভিক্টর স্টেঙ্গরের নতুন বই – ‘নিউ এথিজম’ এ দেখেছি। ইন্টারনেটেও অনেক সাইটে গ্রাফটা আছে। আপনি দেখবেন, আমেরিকা এবং কুয়েতের মত দু’ একটি দেশ ছাড়া বাকী সব কমবেশী দেশই এই গ্রাফের কোরিলেশন সর্মথন করে।
আমেরিকা এই গ্রাফে ব্যতিক্রম কেন তার ব্যাখ্যা বোঝাও খুব একটা কষ্টকর নয়। কারন তারা ধর্ম জিনিসটাকেও ‘ব্যবসা’র পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। এখানে চার্চকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়, তা আসলে ধর্মীয় পরিবৃত্তির বাইরে গিয়েও সাধারন জনগনকে আকৃষ্ট করে। সধারাণ ফল ফেস্টভাল থেকে শুরু করে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের ক্লাসিকাল পিয়ানো বাজনা সবই এখন হয় চার্চে। এই ‘আমেরিকান এনোমালি’ বাদ দিলে ধর্ম এবং দারিদ্রতার একটা স্পষ্ট সম্পর্কই পাওয়া যায় কিন্তু।
আসলে যে সমস্ত দেশ যত দারিদ্রক্লিষ্ট, সে দেশেই যে ধর্ম নিয়ে বেশি নাচানাচি হয়, আর শাসকেরাও ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তা বোধ হয় বলে দেবার দরকার নেই খুব একটা। সেজন্যই দারিদ্রক্লিষ্ট তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্ম খুব বড় একটা নিয়মক হয়ে কাজ করে।
@অভিজিৎ,
বেশ ইন্টারেষ্টিং গ্রাফ। ব্যাতিক্রমে মনে হচ্ছে কুয়েতও আছে, মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সব দেশই কি ব্যাতিক্রম হবার কথা নয়?
আর গ্রাফটায় মনে হচ্ছে ডিস্পার্স্ন অনেক বেশী। কো-রিলেশন কতটা শক্ত? মানে R-Square value কত? আমার তো আপাত চোখে মনে হচ্ছে খুব বেশী নয়।
@আদিল মাহমুদ,
ইরান বা ইরাক ব্যাতিক্তম না। কুয়েত বা সৌদি ব্যাতিক্রম। তেলের দাম কমে ্গেলে, সেটা থাকবে না। কোরিলেশন ত এমনি তে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
ইরাকের ব্যাপারটা মনে হয় না আলোচনায় আসা উচিত। ওদের আজকের এই হাল তো ন্যাচারাল নয়। অবশ্য যুদ্ধপূর্ব ইরাকের অবস্থা এই মুহুর্তে জানি না।
গ্রাফে আফ্রিকার ডানে আর ইষ্ট ইউরোপের নীচের বেশ কিছু পয়েন্ট বেশ অফ।
@আদিল,
হ্যা, অফ কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখুন এটি গ্রাফের মূল বক্তব্যকে সেই পয়েন্টগুলো অস্বীকার করেছে না। অর্থাৎ, গ্রাফ দেখলে যে কেউ বুঝবে – যে দেশে ধর্মীয় প্রভাব যত বাড়ছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দারিদ্র্য, আর ধর্মীয় প্রভাব যেখানে কম মানুষের স্বচ্ছলতাও বেশী। আমেরিকা কুয়েত এই ট্রেন্ড থেকে ব্যতিক্রম। আমেরিকা অন্যতম স্বচ্ছল দেশ হওয়া সত্ত্বেও রিলিজিয়সিটি বেশি… তার রিলিজ্যসিটির মাপ দারিদ্রক্লিষ্ট মেক্সিকো বা চিলির সারিতে। কেন এটা হল তা আমি আগেই ব্যাখ্যা করেছি। আরো অনেক কারণই থাকতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রাফের মূল বক্তব্য অবিকৃতই থেকে যাচ্ছে।
আমি এই গ্রাফের কোরিলেশন কোফেসিয়েন্ট এর ভ্যালু জানি না। এ ধরনের সামাজিক গ্রাফে মূলতঃ ট্রেন্ডটাই বিশ্লেষণে আসে, গাণিতিক ফ্যাক্টর আর ঠিক কত, তা সেরকম ভাবে আসে না। তারপরেও আমি খুঁজে দেখব, পেলে অবশ্যই জানাবো।
এ নিয়ে একটি বিশ্লেষন আছে এখানে –
The survey finds a strong relationship between a country’s religiosity and its economic status. In poorer nations, religion remains central to the lives of individuals, while secular perspectives are more common in richer nations. This relationship generally is consistent across regions and countries, although there are some exceptions, including most notably the United States, which is a much more religious country than its level of prosperity would indicate. Other nations deviate from the pattern as well, including the oil-rich, predominantly Muslim — and very religious — kingdom of Kuwait.
আপনি বিশ্লেষন পুরোটা পড়তে চাইলে PEW GLOBAL ATTITUDE PROJECT দেখতে পারেন।
@অভিজিৎ, I agree.
বিপ্লব পাল,মধ্যপ্রাচ্য,মধ্য এশিয়া এবং মাগরেব অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর জন্য জনসংখ্যা কোনো সমস্যা-ই না।শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার কিছু মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ(যেমনঃবাংলাদেশ),যাদের জনসংখ্যা সমস্যা আছে তাদের অনেক আগেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছিল এবং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছিল।এবং বাংলাদেশের ধর্ম ভীরু,দরিদ্র মানুষেরা আল্লাহ খাওয়াবে-এ আশায় ঘরে বসে থাকে না।তারা কৃষিকাজ করে,মাটি কাটে,দিন-মজুরি করে,রিকশা চালানো,ঠেলা গাড়ী চালানো,বোঝা টানা ইত্যাদি কঠিন শ্রমে নিয়োজিত থাকে একবেলা পেট পুরে খাওয়ার জন্যে।আর ভারতের জনসংখ্যা-ই বা চীনের সাথে পাল্লা দিচ্ছে কেনো,সেখানে তো মুসলমানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ নয়?এবং অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে কম্যুনিষ্ট শাসনে থাকা চীনের জনসংখ্যা এতো বেশি কেনো,সেখানে তো মুসলমানদের সংখ্যা হাতে গোনা?
@al murshed,
খুব ভুল জানেন। ইউ এন হাঙ্গার ইন্ডেক্সে মিশর, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকার অনেক দেশ ( নাইজেরিয়া, লিবিয়া) ই আছে-যারা ইসলাম ্প্রধান। ধর্ম মানুশকে
গরীব করে, এটা গবেশনা লদ্ধ সত্য। আমেরিকাতে দেখা গেছে গরীব্ দের মধ্যে ধর্মের প্রাবল্য বেশী।
@বিপ্লব পাল, আপনি আবার ও মূল প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।প্রশ্নটা ছিল জনসংখ্যা নিয়ে,খাদ্যাভাব নিয়ে নয়।জনসংখ্যা কম থাকলেও নানা কারণে একটি দেশের মানুষ দরিদ্র হতে পারে।আপনি মিশর,নাইজেরিয়া,লিবিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন,আফ্রিকার বাকী দেশগুলোর কি সমস্যা?হিন্দু ধর্ম প্রধান ভারত তো খুব শিগগীর -বিশ্বের অন্যতম শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে অথবা হয়ে গেছে,সেখানে ধর্ম কিভাবে বাধা দিয়েছে?ধর্ম মানুষকে গরীব করে,এ তত্ত্ব কে দিয়েছে মার্ক্স,এঙ্গেলস না লেনিন?পৃথিবীর সবচে ঋণগ্রস্ত দেশ আমেরিকার দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য ধর্ম দায়ী এ টা কি বল্লেন?আপনি তো দিনে দুপুরে ডাকাতি শুরু করে দিলেন ,মশাই।মার্ক্স,এঙ্গেলসদের বইগুলো নূতন করে পড়ুন।
@al murshed,
ধর্ম বলতে একটা নৃতাত্ত্বিক আচরন বোঝায়। আফ্রইকায় তীব্র খাদ্যাভাব
মূলত নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া ও ইজিপ্ট সহ ১২ টা সাব সাহারান দেশে। যাদের প্রায় সকল দেশই সুন্নী ইসলাম। বাকি কিছু খ্রীশটান দেশ ও গরীব আছে।
ধর্ম কেন মানুশকে গরীব করে, তাই নিয়ে একাধিক গবেশনা হয়েছে। আমি আগে একটা ছোট প্রবন্ধ লিখেছিলাম। আরো রেফারেন্স দিচ্ছি। মার্কস এঙ্গেলেস টেনে লাভ নেই-কারন ধর্ম কিভাবে গরীবকে শ্রেনী সচেনতা না দিয়ে বেহুঁশ করে-সেসব আলোচনায় যেতে চাইছি না। আধুনিক কিছু গবেশনার রেজাল্টই দেখুনঃ
http://www.guardian.co.uk/society/2002/jan/16/socialexclusion2
অর্থনীতি কেন বলে ধার্মিকরা গরীব থাকবে! এটাw পড়ুন
আমেরিকার সমাজবিজ্ঞানীদের ্মার্কস এঙ্গেলেস পড়তে বলে হয় না? কারন এ কথাটা তারাই বলেছেন। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে এটা এগ চিকেন সমস্যা। দারিদ্র ই ধর্মকেটানে-আবার ধ্র্ম দারিদ্রকে।
আর মার্কস এঙ্গেলেস নিয়ে তর্ক করতে হলে সমাজতন্ত্রের ওপর লেখা আমার প্রবন্ধে আসুন না। সেখানেই দেখা যাক আপনি আদৌ মার্কস বা এঙ্গেলেস নিয়ে কি বলতে চাইছেন। এই থ্রেডে কেন? আমি ত মার্কস নিয়ে একটা খুলেছি। যদি মনে করেন, আপনি মার্কসবাদ আমার থেকে ভাল বোঝেন, সেখানেই আসুন।
@বিপ্লব পাল, 100% correct.
বিপ্লব পাল,আল্লাহ খাওয়াবে এই চিন্তায় মুসলিম দেশগুলোতে ৩০% লোক না খেয়ে থাকে এ তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?কোরান হাদিসে কোথাও এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় নি,বরং আল্লাহ’র উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।বিশ্বে এখোন ১০০ কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে কষ্ট পাচ্ছে,এদের কত পার্সেণ্ট মুসলমান?আফ্রিকা,এশিয়া,ল্যাটিন আমেরিকার যেসব মানুষ ক্ষুধা এবং দারিদ্রে কষ্ট পাচ্ছে তার কারণ কি?
@al murshed,
বিপ্লব তো মনে হয় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। দেখা যাক তিনি কি বলেন।
তবে আমার মনে হয় ৩০% লোক না খেয়ে থাকে এটা অতিরঞ্জন হবার সম্ভাবনা প্রবল। বিশ্বের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের বেকারত্ব ৩০% এটাকে বিপ্লব গুলিয়ে ফেলেছেন কিনা কে জানে।
দারিদ্রের হার, বেকারত্ব, না খেয়ে থাকা এই ৩ জিনিসের হার এক হতে পারে না। ৩ টা ভিন্ন ভিন্ন।
তবে ৩০% বিতর্কে না গিয়েও বলা যায় যে মূল বক্তব্যে বেশ সত্যতা আছে। সামগ্রিকভাবেই মুসলিম বিশ্ব অর্থনীতি, জ্ঞান বিজ্ঞান, মানবাধিকার, এমনকি শিল্পকলাতেও বহু যোজন পিছিয়ে আছে।
@al murshed,
‘Allah will feed us’..based on this theory 100% people are starving in Muslim world.
@Bright Smile,what is your source of information?
@al murshed,
ল্যাটি্ন আমেরিকা, ভারতে যেখানেই ্মানুশ খাদ্যাভাবে আছে, সেখানে ধর্মের ভূমিকা দারুন গুরুত্বপূর্ণ। সব ধর্মই সমান ভাই—এই নিয়ে গবেশনা পত্রw অনেক-চাইলেই পাঠিয়ে দিচ্ছি।
@বিপ্লব পাল,’ আল্লাহ খাওয়াবে,মুসলিম বিশ্বের ৩০% না খাওয়া,১০০ কোটি খাদ্যাভাবগ্রস্ত মানুষের কতো পার্সেন্ট মুসলমান? -এসব প্রশ্নের উত্তর পাই নি।আর ল্যাটিন আমেরিকার খাদ্যাভাবের মূল কারণ নিয়ে গতো বছর অনেক লেখালেখি হয়েছে,সেখানে কোথাও ধর্মের উল্লেখ পাই নি, আপনি এসব কিছু-ই পড়েন নি ?ধর্মের কারণে ল্যাটিন আমেরিকায় খাদ্যাভাব-একথা শুনলে চে গুয়েভারা কবর হতে লাফ দিয়ে বন্দুক হাতে ছুটে আসবে।আর আফ্রিকার-ই বা কী হলো?
@al murshed,
হা হা হাআআআআআআআআ
ভাল বলেছেন।
বেশ জমে উঠেছে।
@al murshed,
চেগুয়েভেরা নাও ছুটে আস্তে পারে। কারন উনি বার বার ই বলেছেন, ধর্মের কারনে কি করে মানুশ বেঁহুশ হয়ে থাকে ল্যাটিন আমেরিকাতে। আগে চে কে নিয়ে একটু পড়াশোনা করুন। ্তারপর আবোল তাবোল বকবেন।
বোঝার চেস্টা করুন ধর্ম হচ্ছে শোশক শ্রেনীর সব থেকে বড় হাতিয়ার। এটাই মাক্সিস্টরা মনে করে।
সেটা অবশ্য আপনাদের মতন ইসলামিক বামপন্থীদের বোঝার কথা না।
অভিজিত,আমার প্রশ্নের গভীরতা আপনি বুঝতে পেরেছেন দেখে এবং আপনার empathic,বিজ্ঞান তথ্য সমৃদ্ধ উত্তর পড়ে ভালো লাগলো,যদিও প্রশ্নগুলো আপনার উদ্দেশ্যে ছিলো না।তবে এসব-ই তো মানব জাতির চিরন্তন প্রশ্ন তাই না? বিজ্ঞান- ভিত্তিক লেখা আমার সব সময়-ই ভালো লাগে,শুধু ভালো লাগে না বিজ্ঞানের নামে রাজনীতি করা।আর বিজ্ঞানকে আমি মুসলমান হিসেবে কখনো-ই ধর্ম বিরোধী মনে করি না।আপনার লেখার সূত্র ধরে পরবর্তিতে সংক্ষিপ্ত আলোচনার ইচ্ছে রইলো।
বিপ্লব,
সেটাই তো জীবনের উদ্দেশ্য বলে আমি বুঝি। সাথে আরো কিছু হয়ত জুড়ে দেওয়া যায় যে শুধু নিজকে নিয়ে নয়, মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমষ্টীকে নিয়েও ভাবা।
তবে এ জাতীয় কথাবার্তা প্রায়ই শুনি;
আমি বা আমরা কে
কোথা থেকে এলাম।
কেনই বা এলাম
না এলে কি হত…
চলে গেলে কি হবে…
জীবনের উদ্দেশ্য কি শুধুই বেচে থাকা…।
এ জাতীয় গুরুত্র পয়েন্টের কোন শেষ নেই, সবই এন্টেনার উপর দিয়ে যায়।
আপনাদের আলোচনা থেকে অনেক কিছু শিখলাম, যদিও মানব জাতির উদ্দেশ্য কি, কোথায় চলেছি এ জাতীয় দার্শনিক প্রশ্ন আমাকে বেশী ভাবায় না আর এ জাতীয় প্রশ্ন তুলে গডের অস্তিত্বের প্রমান বা নাকচ আরো অর্থহীন মনে হয়।
জন্ম মৃত্যু আসলেই পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল ব্যাপার। এর মাঝে উদ্দেশ্য বিধেয় খোজার মত দার্শনিক চেত্না মনে হয় আমার নেই। আমি আসলে মনে হয় খুবই নিম্নমেধার লোক, সাধারনভাবেই দর্শন শাস্ত্রের অনেক কিছু বা উপযোগিতা মোটেও বুঝি না।
বিপ্লবের লেখাটা পড়লাম। অনেক আগেই শুনেছিলাম আমেরিকায় ইমমর্টাল সোসাইটি আছে।
মানুষ মরণ্নে জয় করতে পারবে কিনা জানি না, তবে মনে হয় না একবার মৃত্যুর পর আবার বেচে উঠতে আমার অন্তত ভাল লাগবে বলে।
@আদিল মাহমুদ,
প্রতিটি নিশ্বাসে, প্রতিটি মানুশH এই কথা ভেবে চলেছে-জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে। আমাদের প্রতিটি কাজই এক অর্থে এর উত্তর খোঁজা। এবং তা বেঁচে থাকার মাধ্যমেই প্রতিভাত হয়।
@বিপ্লব পাল,
কে জানে, হবে হয়ত।
আমার বুদ্ধিবৃত্তি আসলেই তেমন উচ্চদরের নয়।
জীবিকা, পরিবার ও সার্বিক নিরাপত্তাই মনে হয় আমাকে বেশি ভাবায়।
@আদিল মাহমুদ,
সেটাই ত জৈবিক ধর্ম-মানে জীবনের উদ্দেশ্যটাত আপনারে জেনেটিক্সেই বসে আছে। এর বাইরে আসলেই কোন ধর্ম নেই। এটা নিয়ে ভাবলেই আপনি আসল ধর্মের সন্ধান পাবেন।
বিপ্লব পাল,মহাবিশ্ব(Universe) কেনো মানুষের মতো একটি বুদ্ধিমান প্রাণীর জন্ম দিতে গেল,যার চেতনার গভীর হতে উঠে আসবে এ প্রশ্নগুলো,”Who am I?Where did I come from?Why am I here?What are we doing here?”এবং এসব প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে প্রতিদিনের দিনযাপনের একঘেয়েমি এবং যন্ত্রণার অর্থহীনতার জন্য বিষাদে,ক্ষোভে এবং অভিমানে একজন মানব( বা সমগ্র মানব জাতি) যদি তার অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় তার যৌক্তিকতাকে আপনি কীভাবে অস্বীকার করবেন?
@al murshed,
দেখে ভাল লাগছে যে, আপনি কোন উষ্মা না প্রকাশ করে খোলা মনে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। বিপ্লব আপনার প্রশ্নের যে উত্তরই দিক না কেন – আপনি অবশ্যই আমার থেকে একটি ধন্যবাদ পেতে পারেন। এবং সেই ধন্যবাদের কারণ আপনার এই নতুন বন্ধুসুলভ মনভাব। এই মনোভাবটি বজায় রাখুন। দেখবেন আলোচনা করতেও ভাল লাগছে, শুনতেও ভাল লাগছে। ব্যাপারগুলোকে জয় পরাজয়ের দিকে ঠেলে না দিয়ে আপনি যদি খোলা মনে আলোচনা চালিয়ে যান, তবে আমাদের ব্লগের পরিবেশটিও সুন্দর থাকে।
বিপ্লব কি উত্তর দেবে জানি না, তবে আমি একটু ছোট করে উত্তর দিয়ে যাই। হয়ত আমার উত্তর আপনার মনঃপুত হবে না, তবুও আমি মনে করি এই আলোচনা দু’পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমরা হয়তো উভয়েই এতে লাভবান হব।
হ্যা এটা ঠিক মৃত্যু আমরা এড়াতে পারি না। আস্তিক হোক, নাস্তিক, হোক, মুসলিম হোক, খ্রীষ্টান হোক, বৌদ্ধ হোক, কিংবা হোক চার্বাক চ্যালা – মৃত্যুকে অস্বীকার করতে পারি কই! কিন্তু মৃত্যু আছে বলেই আমাদের কুসংস্কারের কাছে মাথা নত করে সব কিছু সঁপে দিতে আমি অন্ততঃ রাজী নই। আসলে আমি মৃত্যু জিনিসটাকে একটি বায়োলজিকাল প্রসেস ছাড়া ভিন্ন কিছু দেখি না। জীবিবিজ্ঞানের চোখে দেখলে, আমরা (উদ্ভিদ এবং প্রাণী) উত্তরাধিকার সূত্রে বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের যারা যৌনসংযোগের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে প্রকৃতিতে টিকে রয়েছে তাদের থেকে মরণ জিন (Death Gene) প্রাপ্ত হয়েছি এবং বহন করে চলেছি। এই ধরনের জিন তার পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পিত উপায়েই মৃত্যুকে ত্বরান্নিত করে চলেছে। যৌনজননের মাধ্যমে বংশবিস্তাররের ব্যাপারটিতে আমি এখানে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ, যে সমস্ত প্রজাতি যৌনজননকে বংশবিস্তারের একটি মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে, তাদের ‘মৃত্যু’ নামক ব্যাপারটিকেও তার জীবগত বৈশিষ্ট হিসেবে গ্রহণ করে নিতে হয়েছে। দেখা গেছে স্তন্যপায়ী জীবের ক্ষেত্রে সেক্স-সেল বা যৌনকোষগুলোই (জীববিজ্ঞানীরা বলেন ‘জার্মপ্লাজম’) হচ্ছে একমাত্র কোষ যারা সরাসরি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে নিজেদের জিন সঞ্চারিত করে টিকে থাকে। জীবনের এই অংশটি অমর। কিন্তু সে তুলনায় সোমাটিক সেল দিয়ে তৈরী দেহকোষগুলো হয় স্বল্পায়ুর। অনেকে এই ব্যাপারটির নামকরণ করেছেন ‘প্রোগ্রামড্ ডেথ’। এ যেন অনেকটা বেহুলা-লক্ষিন্দর কিংবা বাবর-হুমায়ূনের মত ব্যাপার-স্যাপার – জননকোষের অমরত্বকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে দেহকোষকে বরণ করে নিতে হয়েছে মৃত্যুভাগ্য। প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স হালকাচালে তার ‘সেলফিশ জিন’ বইয়ে বলেছেন, ‘মৃত্যু’ও বোধহয় সিফিলিস বা গনোরিয়ার মত একধরনের ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’ যা আমরা বংশ পরম্পরায় সৃষ্টির শুরু থেকে বহন করে চলেছি! ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মত সরল কোষী জীব যারা যৌন জনন নয়, বরং কোষ বিভাজনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে টিকে আছে তারা কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই অমর। এদের দেহ কোষ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে বিভাজিত হয়, তার পর বিভাজিত অংশগুলিও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় বিভাজিত হয়; কোন অংশই আসলে সেভাবে ‘মৃত্যুবরণ’ করে না।
আবার অধিকাংশ ক্যান্সার কোষই অমর, অন্ততঃ তাত্ত্বিকভাবে তো বটেই। একটি সাধারণ কোষকে জীবদ্দশায় মোটামুটি গোটা পঞ্চাশেক বার কালচার বা পুরুৎপাদন করা যায়। এই হাফ-সেঞ্চুরির সীমাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘হেফ্লিক লিমিট’ (Hayflick Limit)। কখনো সখনো ক্যান্সারাক্রান্ত কোন কোন কোষে সংকীর্ণ টেলোমার থাকার কারণে এটি কোষস্থিত ডিএনএ’র মরণ জিনকে স্থায়ীভাবে ‘সুইচ অফ’ করিয়ে দেয় । এর ফলে এই কোষ তার আভ্যন্তরীন ‘হেফ্লিক’ লিমিটকে অতিক্রম করে যায়। তখন আক্ষরিকভাবেই অসংখ্যবার – মানে অসীম সংখ্যকবার সেই কোষকে কালচার করা সম্ভব। এই ব্যাপারটাই তাত্ত্বিকভাবে কোষটিকে প্রদান করে অমরত্ব। হেনরিয়েটা ল্যাকস নামে এক মহিলা ১৯৫২ সালে সার্ভিকাল ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর ডাক্তাররা ক্যান্সারাক্রান্ত দেহকোষটিকে সরিয়ে নিয়ে ল্যাবে রেখে দিয়েছিল। এই কোষের মরণজিন স্থায়ীভাবে ‘সুইচ অফ’ করা এবং কোষটি এখনো ল্যাবরেটরীর জারে বহাল তবিয়তে ‘জীবিত’ অবস্থায় আছে। প্রতিদিনই এই সেল থেকে কয়েশ বার করে সেল-কালচার করা হচ্ছে, এই কোষকে এখন ‘হেলা কোষ’ নামে অভিহিত করা হয়। যদি কোন দিন ভবিষ্যত- প্রযুক্তি আর জৈবমুল্যবোধ (bioethics) আমাদের সেই সুযোগ দেয়, তবে আমরা হয়ত হেলাকোষ ক্লোন করে হেনরিয়েটাকে আবার আমাদের পৃথিবীতে ফেরত আনতে পারব।
আবার ব্রাইন শ্রিম্প (brine shrimp), গোলকৃমি বা নেমাটোড, কিংবা টার্ডিগ্রেডের মত কিছু প্রাণি আছে যারা মৃত্যুকে লুকিয়ে রাখতে পারে, জীববিজ্ঞানের ভাষায় এ অবস্থাকে বলে ‘ক্রিপ্টোবায়টিক স্টেট’। যেমন, ব্রাইন শ্রিম্পগুলো লবনাক্ত পানিতে সমানে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে, কিন্তু পানি যখন শুকিয়ে যায়, তখন তারা ডিম্বানু উৎপাদন, এমনকি নিজেদের দেহের বৃদ্ধি কিংবা মেটাবলিজম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। শ্রিম্পগুলোকে দেখতে তখন মৃত মনে হলেও এরা আসলে মৃত নয় – বরং এদের এই মরণাপন্ন মধ্যেও জীবনের বীজ লুকানো থাকে। এই অবস্থাটিকেই বলে ‘ক্রিপ্টোবায়টিক স্টেট’। আবার কখনো তারা পানি খুঁজে পেলে আবারো নতুন করে ‘নবজীবন প্রাপ্ত’ হয়। এদের অদ্ভুতুরে ব্যাপার স্যাপার অনেকটা ভাইরাসের মত। ভাইরাসের কথা আরেকবার চিন্তা করা যাক। ভাইরাস জীবণ ও জড়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে। ভাইরাসকে কেউ জড় বলতে পারেন, আবার জীবিত বলতেও বাঁধা নেই। এমনিতে ভাইরাস ‘মৃতবৎ’, তবে তারা ‘বেঁচে’ ওঠে অন্য জীবিত কোষকে আশ্রয় করে। ভাইরাসে থাকে প্রোটিনবাহী নিউক্লিয়িক এসিড। এই নিউক্লিয়িক এসিডই ভাইরাসের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের আধার। উপযুক্ত পোষক দেহ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ‘ক্রিপ্টোবায়টিক স্টেট’-এ জীবনকে লুকিয়ে রাখে। আর তারপর উপযুক্ত দেহ পেলে আবারো কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অমরত্বের খেলা চালিয়ে যেতে থাকে।
কাজেই দেখা যাচ্ছে ‘মৃত্যু’ ব্যাপারটি সব জীবের জন্যই অত্যাবশ্যকীয় নিয়ামক নয়। ভাইরাসের আনবিক সজ্জার মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে অমরত্বের বীজ। এই অঙ্গসজ্জাই আসলে ডিএনএর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয় তারা কখন ঘাপটি মেরে ‘ক্রিপ্টোবায়টিক স্টেট’-এ পড়ে থাকবে, আর কখন নবজীবনের ঝর্ণাধারায় নিজেদের আলোকিত করবে। সে হিসেবে ভাইরাসেরা আক্ষরিক অর্থেই কিন্তু অমর – এরা স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করে না। তবে মানুষের নিজের প্রয়োজনে রাসায়নিক জীবাণুনাশক ঔষধপত্রাদির উদ্ভাবন ও তার প্রয়োগে জীবাণুনাশের ব্যাপারটি এক্ষেত্রে আলাদা। আমি এগুলো নিয়ে আমার একটি লেখা লিখেছিলাম – ‘আত্মা নিয়ে ইতং বিতং’ লেখাটি পড়ে দেখা যেতে পারে।
এখন তাহলে মূল কথা কি দাঁড়ালো? দাঁড়ালো এই যে আমাদের মত জীবেরা যারা বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরী করে, তাদের জন্য মৃত্যু এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা আমরা স্বীকার করেই নিয়েছি। কিন্তু সেজন্য ভীত হবার কিছু নেই।
দেখুন, আপনি মারা যাবেন বলেই আপনার ধর্ম বা আপনার বিশ্বাসটি সত্যি হয়ে যাবে না। তা হলে এককজন হিন্দুও কিন্তু দাবী করতে পারে – যেহেতু সে মারা যাবে, সেহেতু মা কালী কিংবা গনেশ বলে সত্যই কিছু আছে। একই ভাবে একজন খ্রীস্টানও মৃত্যু ভয় দেখিয়ে খ্রীস্টানিটির সত্যতা দাবী করতে পারে। আসলে পুরো ব্যাপারটাই হাস্যকরা তামাসায় রূপ নেবে তখন। আসলে মৃত্যু ভয় দেখিয়ে নিজ নিজ বিশ্বাসের সাফাই গাওয়া – মানুষের বৌদ্ধিক ভীরুতা ছাড়া আর কিছু নয়।
যুক্তিবিরোধী এবং আযৌক্তিক ভয়ের মধ্যে মৃত্যু ভয় সম্ভবতঃ সর্বোচ্চ। এটি প্রায় সকল কুসংস্কারের জননী। ঈশ্বরে বিশ্বাস আর ধর্মের টিকে থাকার পেছনে সবেচেয়ে শক্তিশালী কারণ এই মৃত্যু ভয়। কিন্তু আমরা ভুলে যাই এই মৃত্যুভয় আসলে বিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভুত এক বৈশিষ্ট্য যা আমরা টিকে থাকার স্বার্থেই বহন করে নিয়ে যাই বংশ পরম্পরায়। মৃত্যুভয় না থাকলে আত্মহত্যায় আর নানা ভাবে আমরা জীবনহানি ঘটিয়ে প্রজাতিকে ধ্বংস করে দিতাম। প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণেই মৃত্যুভয় আমাদের মস্তিষ্কে এমনি ভাবে গেঁথে থাকে। এই ব্যাপারগুলো জানা থাকলে হয়তো ভয় কমবে না, কিন্তু বৌদ্ধিক ভীরুতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরেকটা ব্যাপার কখনো অমরত্বের স্বাদ পেতে চাইলে হয়ত আমাদের বিজ্ঞানেরই দারস্থ হতে হবে। ধর্মের বানীগুলো আমাদের অমর করতে পারবে না, কেউ পারলে সেটা হবে বিজ্ঞান। এ নিয়ে কিন্তু বেশ ভালই কাজ হচ্ছে ইদানিং। দেখুন – Cryonics। আগামী বিশ্বের পৃথিবী মৃত্যভয় হীন হতেও পারে। আশা করতে দোষ কি!
@অভিজিৎ,
এই নিয়ে আমার একটি প্রবন্ধ আছে-মুর্শেদ সাহেব পড়ে দেখতে পারেনঃ
http://biplabpal2000.googlepages.com/Imortality.pdf
@বিপ্লব পাল,
হ্যা – এই লেখাটার কথা আবছা ভাবে মনে পড়ছিলো। মনে হচ্ছিলো তুমি কখনো কিছু একটা লিখেছিলে অমরত্ব নিয়ে। এখন আবারো পড়লাম, এবং আবারো ভাল লাগলো। 🙂
তোমার এ ধরণের পুরোন লেখা টেখাগুলো একটু আপডেট করে ইউনিকোডে দিতে পারো কিন্তু। ইউনিকোডে থাকলে গুগোল সার্চ করে সহজেই পেয়ে যাওয়া যায়।
@al murshed,
উত্তর পাই নি কে বলল? এগুলো নিয়ে আমি সব সময় ভাবি। আমার একটা ব্লগই আছে শুধু এই
“আমি কে” বা “জীবনের উদ্দেশ্য কি” তাই নিয়ে–এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান দিয়ে দেওয়া উচিত।
এখানে ধর্ম ঢোকানো মানে, ভুল চিন্তা ঢোকানো।
http://biplabspiritualism.blogspot.com/2007/09/essence-of-being-born-into-this-world.html
বিপ্লব পাল,এস্টরয়েডের ধাক্কায়,পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটে বা ৫০০০ কোটি বছর পরে সূর্যের মৃত্যু ঘটলেও পৃথিবীর সব কিছু-ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।আর এসবের কথা বাদ দিলেও এক সময় Big Crunch শুরু হলে এ Universe- টিও আবার আদি অবস্থায় ফিরে যাবে।মানুষের এতো অর্জন,মোজার্ট ও বীটোফেনের সিম্ফনি,বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার,সাহিত্য কর্ম,আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে এতো তত্ব-কথা সব-ই মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবে।তাহলে এই অস্তিত্বের অর্থ কি?কী দরকার ছিল মহাবিশ্বের অস্তিত্বে আসার,এতো আয়োজনের,মানব সৃষ্টি হয়ে এতো হানা-হানি কাটাকাটির?
বিপ্লব পাল,আমার আম্মাকেও(যিনি ধার্মিক) আমি একদিন এভাবে-ই বুঝিয়েছিলাম যে আপনি মরে গেলে ও আমাদের মাঝে-ই বেঁচে থাকবেন।কিন্তু যারা নিঃসন্তান,বা বিয়ে করেন নি বা সন্তান জন্মানোর আগেই মৃত্যু বরণ করলেন তাদের কি হবে?আর সন্তান তো ভিন্ন মানুষ,ভিন্ন সত্বা,বাবা-মার জেনেটিক কোড দিয়ে তৈরি হলেও।
@al murshed,
আপনার এবং আপনার আত্মীয় বা জাতির মধ্যে জেনেটিক কোডের পার্থক্য মোটে ২০-১০০ পি পি এম বা দশ লক্ষে ২০/১০০ । সুতরাং আমরা একটা জেনেটিক গ্রুপ পুল হিসাবে বাঁচি। ছেলে মেয়ে রাখাটা, সেই গ্রুপের প্রতি কর্তব্য-সেই কর্তব্য, ছেমে মেয়ে না করে, ভবিষ্যতের ছেলে মেয়েদের জন্যে আরো ভাল পৃথিবী রেখে দিয়েও করা যায়।
বিপ্লব পাল,একদিন সবাইকে-ই মরতে হবে এটা Realise করা কি সত্যি-ই এতো সহজ?তাহলে পৃথিবীর মানুষ(আস্তিক এবং নাস্তিক) এতো অন্যায়,অত্যাচার করতো না এবং অনন্তকাল বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতো না?আসলে প্রতিনিয়ত খ্যাত এবং অখ্যাত মানুষকে মরে যেতে দেখলেও আমরা ভাবি আমার দেরি আছে বা আমি এতো বছর বাঁচবো এবং দ্রুত ভুলে গিয়ে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায়(ন্যায় এবং অন্যায় কাজে) ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
@al murshed,
মৃত্যুকে অনুভব করা খুবই সহজ। মাথাটা একটু যুক্তিপূর্ণ থাকলেই হল!
আমার দাদু, দিদা, ঠাকুর্দা, ঠাম্মার মৃত্যুত দেখেছি। আজকে আমার বাবা মায়েরা সেই বয়সে প্রায় পৌছে গেছে। আমি তাদের বয়সে পৌছে গেছি-যা ছোটবেলায় দেখতাম। এবং দেখছি কি ভাবে সন্তান থেকে বাবা-বাবা থেকে ঠাকুদ্দা হয়ে, মৃত্যুর দিকে সবাই এগোচ্ছি।
এটা ট্রেন জার্নির মতন। বাবার বয়সে পৌছেছি মানে, বুঝতে পারছি ইঞ্জিন মাঝের স্টেশনে চলে এসেছে। একদিন ত থামবেই। থামতেই হবে। এটা থেকেই বুঝি আমার সাথে গরু ছাগলদের জীবন চক্ত্রের কোন পার্থক্য নেই। আমরা সবাই এই জৈব চক্ত্রের ভৃত্য।
এই টুকু বুঝতে ধর্মের ললিপপ লাগে না কি?
মৃত্যচিন্তা মশাই আমারও আছে-তবে কি না তারজন্যে ধর্মের কাছে কেন যেতে হবে? আমার জেনেটিক সত্ত্বাত মরছে না-তা আমার ছেলের মধ্যেই থেকে যাবে। আর অত ভেবেই বা হবে কি? যেকোন দিন এস্টারয়েডের ধাক্কায় বা সোলার ফ্লেয়ারে মানবকূলই ধ্বংশ হয়ে যাবে যেমন ভাবে ডাইনোসররা হারিয়ে গেছে। অতদূরw যেতে হবে না-১৮৪৮ সাল নাগাদ এক সামান্য এস্টারয়েডের ধাক্কায় পৃথিবীতে দশবছর খাদ্যাভাব ছিল। এমনিতেই মুসলিম দেশগুলিতে আল্লা খাওয়াবে এই চিন্তায় ৩০% লোক খেতে পায় না-কারন জন্ম নিয়ন্ত্রনের বালাই নেই। এর ওপর একটা মাঝারি সাইজের এস্টারয়েড এসে পড়লে বা একটা বড় ভলকানিক ইরাপসন হলে খাদ্যাভাব হবে তীব্র–তখন আমার ধারনা ধর্ম এমনিতেই ধ্বংশ হবে। কারন পেটে খিদে থাকলে কেw ্ধর্মের পরোয়া করে না-খাবার চুরি বা ডাকাতি করে খাই!
@বিপ্লব পাল,
Like boys, girls also carry genetic characteristics.
@Bright Smile, হ্যা-ঠিক ই।
“Both the groups need peaceful co-existence and thereby will need healthy discourse with each other. ”
কমেন্টটায় ১০ তারা, সবাই এ কথাটা মনে রাখলে খুব ভাল হয়।
Mukto-mona Admin,you have blocked my access to your blog site again.I can’t even read any of your blogs neither in English nor in Bangla.Is this the example of your free thinking,scientific and logical way to propagate your ideals of atheism.Come on,sir,atheists people have given their life for their ideals.And you are simply afraid of an ordinary person’s comment.I had to abandon my evening tea with my family in order to read your blog and writing my protest from a public computer.As I said before, you had done the same thing with me in the past and deleted the thread or links entirely from your site containing strong rebuttal by learned muslim personnel.There will be always people on this earth who will believe in Allah( or God) and there will always be people with atheistic beliefs.Taking the stance of -only the atheists think about the peace for humanity- is wrong.Both the groups need peaceful co-existence and thereby will need healthy discourse with each other.
@al murshed,
আপনাকে ব্লক করা হয়নি। ব্লক করা হলে আপনি এই মন্তব্য সাইটে এসে করতে পারতেন না। আমাদের সাইট ১ দিনের জন্য ডাউন ছিলো, ফলে অনেকেই আমাদের সাইট ভিজিট করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে আছে সেই ম্যাসেজ। আমাদের শুভানুধ্যায়ীরা যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সেখানে আপনি এসেছেন মিথ্যা অনুযোগ করতে – আপনাকে নাকি ব্লক করা হয়েছে। দয়া করে ছেঁদো কথাবার্তা বাদ দিয়ে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু লিখুন। এর আগেও মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন আপনার মন্তব্য নাকি মুক্তমনায় আটকে দেয়া হচ্ছে, অথচ আপনার মন্তব্য আপনার অভিযোগের ঠিক মাথার উপরেই প্রকাশিত হয়েছিলো। আপনি বোধ হয় নিজেকে ইদানিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শুরু করেছেন, না? আর কত নিজেকে বোকা বানাবেন? আপনার জন্য করুণা ছারা এই মুহূর্তে আমাদের আর কিছু নেই। আপনার অতৃপ্ত মনের শান্তি হোক, এই কামনা করি।
@মুক্তমনা এডমিন,নিজেকে বড় মনে করা বা কিছু একটা করে নাম কামানোর চেষ্টা পরিত্যাগ করেছি সে দিন থেকেই যে দিন আমি পুনরায় ইসলাম ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেছি।কারণ,মানুষ মরে গেলে সবি পেছনে পড়ে থাকে,কিছুই সাথে যায় না।আমার সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।কারণ, এ ব্যাপারটি অতীতে বার বার ঘটেছে।তখন আপনাদের কোনো টেকনিক্যাল সমস্যার কথা শোনা যায় নি।মিঃ মনোয়ার আহমেদের একটি চিঠির পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।কোথায় মিঃ মনোয়ারের চিঠির সেই লিঙ্ক টি ?সুপেরা’র মিঃ আবুল কাসেমকে ভুল প্রমাণিত করার সেই লিঙ্কটি-ই বা কোথায়?আজ যে মুহূর্তে আমি সাইবার ক্যাফে থেকে ব্লগ সাইটে ঢোকার চেষ্টা করলাম সাথে সাথে পেয়ে গেলাম।আর এখন অবশ্য আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে লিখলাম।
@al murshed,
আবারো আপনি আবোল তাবোল বক্তব্য সমন্বিত মন্তব্য করছেন। আপনি সাইবার ক্যাফে নাকি বাসা থেকে মন্তব্য করেছেন, সেটা নিয়ে আমরা ভাবিত নই। যখন সাইট ডাউন ছিলো আপনি এক্সেস করতে পারেননি, অন্য পাঠক এবং সদস্যদের মতই। এখন করতে পারছেন – কারণ আমরা খুব কষ্ট করে হলেও সাইটটা আপ্লোড করতে পেরেছি। এটুকু সামান্য বিষয় বুঝতে কি আপনার অসুবিধা হচ্ছে? নিজের অনুমান থেকে না লিখে একটু অ্নুসন্ধাণ করুন না – সাইট যখন ডাউন ছিলো কেউ এক্সেস করতে পেরেছিলো কিনা? তা হলেই তো আপনার উত্তর পেয়ে যেতেন। আপনি যে সমস্ত লিঙ্কের কথা উল্লেখ করেছেন, সবই আমাদের সাইটে আছে। আপনার যা করতে হবে, তা হচ্ছে – একটু কষ্ট করে সার্চ দিয়ে বের করা।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আমরা সাইট পুনরায় দাঁড়া করানোর চেষ্টায় খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। দয়া করে এ সময় অনর্থক মিথ্যা কথা বলে জটিলতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। আপনাকে লেখালিখিতে আগেও বাধা দেয়া হয়নি, এখনো হচ্ছে না – এই নিশ্চয়তাটুকু দিতে পারি। আপনি যে ‘need peaceful co-existence’ বলে উচ্চকন্ঠ হয়েছেন, সেটার প্রচেষ্টা আপনার কাছে থেকে আসলে আমরা বাধিত হব।
@al murshed,
ভাই, আপনার সমস্যাটা কি? দুই দিন পর পর মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আসেন কেন? এর আগেও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন আর মুক্তমনা এডমিন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আপনার অভিযোগগুলো ছিল মিথ্যা এবং বানোয়াট। তারপরও দেখছি আপনার অভিযোগনামার কোন কমতি নেই।
আমরা যেখানে মুক্তমনাকে পুনরুদ্ধার করতে হিমসিম খাচ্ছি, এখনো সবটুকু ফেরত আসেনি, সেখানে আপনি আপনার মিথ্যা অভিযোগের তলোয়ার নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন যুদ্ধংদেহী মেজাজে। এর পর থেকে কোন অভিযোগ করার আগে তার সত্যতার বিষয়ে সন্দেহমুক্ত হয়ে করবেন বলেই আশা করছি। পূর্ব নির্ধারিত ধারনার বশবর্তী হয়ে অপরিপক্ক মন্তব্য না করলেই সবার জন্য মঙ্গল।
কোন আরাফাতের ব্যাপারে কথা বলছেন? ফিলিস্তিনের?
সাধারণত তিনটা ক্যাটাগরিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।
একঃ পৃথিবীটাকে শান্তির নীড় বানানোর জন্য সত্যি সত্যি যারা কাজ করেন। যেমন, মাদার তেরেসা।
দুইঃ দুনিয়াটাকে অশান্তিময় করার জন্য যারা আজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন। যেমন, হেনরি কিসিঞ্জার।
তিনঃ ভেজিটেবল জাতীয় মানুষজন, যারা শান্তি বা অশান্তি কোনটাতেই কোন অবদান রাখেননি কখনো। যেমন, ডঃ ইউনুস।
ওবামা মনে হয় তৃতীয় ক্যাটাগরিতেই নোবেল শান্তি পুরস্কারটা পেয়েছেন।
@ফরিদ,
সুন্দর এনালাইসিস।
@ফরিদ, Dr Yunus vegetable?!!He created a big market for the Western Capitalists using the labour of poor women of the third world through his micro-credit system(usury at cut- throat rate) that was considered safe investment with guaranteed return even in the recession period.Also he provided Telenor a big share of the telecommunications market (60% of GP) of Bangladesh.
হুন বুঝিতে পারিয়াছি
ওবামার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া যে একটি হোয়াইট ওয়াশ মাত্র এ বিষয়ে বিপ্লব বাবুদের মতো আঁতেলেকচুয়ালদের মনে এখনো সন্দেহ রহিয়াছে দেখিয়া যার পর নাই আশ্চর্যান্বিত হইলাম।আর নোবেল পুরস্কারটি একটি বিশেষ গোষ্ঠির রাজনৈতিক এবং নিজস্ব এজেন্ডা বিবেচনায় দেয়া হয়-তাহা তো আর নতুন কিছু নয়।
সাধু ভাষায় সাধু কথা পঠনপূর্ব্বক যৎপরোনাস্তি পুলক অনুভব করিলাম! :laugh: এই প্রশ্নই জাগিতেছে যে,তাহা হইলে বিপ্লববাবুরাই বা কেন ইহা হইতে বঞ্চিত হইবেন।পুরোহিতকুলেরও ন্যায্য দাবী রহিয়াছে! :laugh: :laugh: :laugh:
“The man, B. H. Obama, will not deliver what he promises and what people expect from him, simply because the government of the United States of America always promises to make love, but in the end rapes anally.” By Adnan Lermontov
@আদনান লারমোনটভ, Very well said,but won’t it anger your gay friends?
@আল মোর্শেদ,
How do you know that Mr. Adnan has gay friends? just curious.
আর আপনি সব থুইয়া কার গে ফ্রেন্ড আছে হেই লইয়া পইড়া গ্যালেন ক্যান, আর তার হাঁরির খবর জানলেনই বা ক্যামনে? নাকি আপ্নেই আদনান সাবের অই গে বন্ধু? হাছা কইরা কন।
@রফিক, I did not say Adnan has got gay friends.Read the last sentence of his comment,”-..the United States of America always promises to make love,but in the end rapes anally”.I am talking about his columnist friends who write in support of homosexuality on this website.How else will a gay man make love anatomically?It was just a fun,nothing personal.No I am Straight and can make love physically with the woman kind only.And homosexuality is prohibited in Islam.Could I request you not to write in filthy,dialect in wrong spelling?At least show some respect to the martyrs of Ekushe.
অত্যন্ত উপভোগ্য লেখা।
যতদুর মনে পড়ে গর বছর নির্বাচনের সময় আপনি ওবামাকে নিয়ে অত্যন্ত এক্সাইটেড ছিলেন। শুধু আপনি নন, সামগ্রীকভাবে গোটা বাংগালী বা ইমিগ্র্যান্ট সম্প্রদায় হয়েছিল। দোষও দেওয়া যায় না, বুশ চাচা যা করে গেছিলেন তাতে কোন বিকল্প ছিল না। তবে আমার খালি মনে হয়েছিল মানূষের আশা অতিমাত্রায় হয়ে যাচ্ছে। তিনি নির্বাচিত হলেই কালো মানুষদের যাবতীয় সমস্যা মিটে যাবে, আমেরিকান অর্থনীতি যাদুমন্ত্রবলে ঘুরে দাঁড়াবে, মধ্যপ্রাচ্য নীতি পালটে দেবে, ইরাক আফগানিস্তানের যুদ্ধবাজী বন্ধ করে দেবে এ ধরনের আশা মনে হয়েছিল অত্যন্ত অর্বাচীন।
তবে তিনি যে এভাবে হেলথ কেয়ার প্ল্যান থেকে একের পর এক পিছু হটবেন তা আমিও ভাবিনি। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম ওবামার উপর প্রত্যাশা আর বর্তমানের প্রাপ্তির বিষয়ে আপনাকে একটা পূর্নাংগ লেখা লিখতে বলি। লিখে ফেলুন না।
নোবেল শান্তি পুরষ্কার আসলেই অনেকটা বিতর্কিত হয়। আমিও ডঃ ইঊনুস শান্তি না হয়ে অর্থনীতিতে পেলে অনেক বেশী খুশী হতাম। তার কড়া বাংগালী সমালোচকরাও ইংগিত করে যে তিনি ক্লিন্টন সাহেবের দোশ্ত বিধায় নাকি……
আরাফাতের অস্ত্র পাচারের খবর জানতাম না।