আমার কোরানের ব্যখ্যা ও কিছু কথা লেখাটিকে কেউ কেউ ছদ্মবৈজ্ঞানিক লেখা বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন; কিন্তু আমিতো কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখা লিখিনি, এমন কি কোরান ও বিজ্ঞানের মধ্যে যোগাযোগ আছে সেটা বলারও চেষ্টা করিনি। আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কোরান ব্যখ্যাকারীদের সমালোচনা করা। আর সেটা করতে গিয়ে আমি এমন কিছু কোরানের আয়াত select করেছিলাম যেগুলো এই মুক্ত-মনাতে অন্য লেখাতে ব্যবহার করা হয়েছিল সৃস্টি রহস্য নিয়ে কোরানের গাঁজাখুরী ব্যাখ্যা বর্ণনা করতে। আর সেই লেখা কিছু পাঠক দ্বারা সমাদৃত হয়েছিল এই কোরানব্যখ্যাকারীদেরই অসীম জ্ঞান-ভান্ডার ও চিন্তা-চেতনার গুনে। Think & Reflect কথাটি সবার জন্য প্রযোজ্য। আরো একটা বিষয় নিয়ে অনেকেই আমার লেখার সমালোচনা করেছেন—সেটা হচ্ছে শব্দের বিভিন্ন অর্থ। অনেকেই বলেছেন যে বর্তমান সংস্কারকরা শব্দের নতুন নতুন অর্থ বের করছে। কেউ কিন্তু বানিয়ে বানিয়ে নতুন কোন অর্থ বের করেনি। আপনি পুরনো আরবী ডিকশনারী খুলে দেখুন, দেখবেন না ব্যবহার করা শব্দগুলো সেখানেই আছে। আরো একটা বিষয়ে খুব সমালোচনা করে গেছেন, সেটা হচ্ছে ‘context’ অনুযায়ী শব্দের অর্থের ব্যবহার। এ প্রসঙ্গে একটা আয়াতের ব্যাখ্যা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছি। যদিও ব্যাপারটা চর্বিত-চর্বন তারপরেও না উল্লেখ করে উপায় নেই। সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াত– যেটাতে স্ত্রী-প্রহারের অনুমতি আছে বলে অনেকেই নাক সিটকেছেন।‘দারাবা’ শব্দের অনেকগুলো অর্থ হয়, যেমন- প্রহার করা, আঘাত করা, ভ্রমণ করা, বের হয়ে যাওয়া, উপেক্ষা করা, ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন, ব্যখ্যাকারীরা কেন প্রহার করা অর্থটাই গ্রহণ করলো? বাকীঅর্থগুলো ব্যবহার করে দেখলোনা কেন? একটা শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকলে সবগুলোই on test এ ব্যবহার করে দেখা উচিত। আর test এ যদি প্রহার করা কথাটিই টিকে যায় তবে পরের লাইনে (আয়াত ৩৫) আছে, যদি স্বামী-স্ত্রীর আর একসাথে থাকার উপায় না থাকে তবে দু’পক্ষের লোক ডেকে সালিশের চেষ্টা করতে হবে। এটা কেমন কথা, গায়ে হাত তুলে মার-পিটের পর সালিশে আর কি বিচার করবে সেই স্ত্রীর!!! স্বামীতো বিচার করেই ফেলেছে। এর পর সালিশিটা একটা তামাশার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে না? সেক্ষেত্রে ব্যাখ্যাকারীর শব্দটির অর্থ ব্যবহারের পূর্বে think & reflect ব্যাপারটি বোঝার কি দরকার ছিলনা? আমি মনে করি এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দোষ সেই সব ব্যাখ্যাকারীদের। আর কোরানের ভেতর থেকেই কোরানের ব্যাখ্যা করা যায়। কোরানে যেখানে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের পোশাক স্বরুপ বলা হয়েছে, সেখানে প্রহারের অধিকার দিলে এই কথাটার কোন মানে হয় না। তাই ৩৪ নম্বর আয়াতে প্রহার অর্থটি ব্যবহার না করে ‘সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যাওয়া’ বা ‘ত্যাগ করা’ কথাটি বেশি মানান সই। আর যারা মনে করেন স্ত্রীকে পেটানোর কথাই আছে তাদের কে বলব, সূরা রা’দ-এর ১৭ আয়াতে বলা আছে “এভাবেই আল্লাহ সত্য অসত্যরে দৃষ্টান্ত প্রদান করেন”। এখানেও ‘দারাবা’ শব্দটি আছে যা ‘দৃষ্টান্ত প্রদান করা’ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আর যদি এটার পরিবর্তে প্রহার করা শব্দটি ব্যবহার হয় তবে অর্থ হবে “এভাবেই আল্লাহ সত্য অসত্যরে প্রহার করেন”। অর্থটি কি বোধগম্য হচ্ছে?
কোরান ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আরো একটা বিষয় খুব বিবেচনা করা হয়, আর তা হচ্ছে হাদীসের আলোকে কোরান ব্যাখ্যা। খুব silly লাগলেও বলছি, কোন অনুবাদক যদি শার্লক হোমসের একটি গল্প বাংলা অনুবাদ করতে চায় তবে কি সে সেই গল্পের বাইরের কোন বিষয় কি সেটাতে ঢুকিয়ে দেবে, নাকি ভাষাটা প্রাঞ্জল করার জন্য শব্দ-অর্থ নিয়ে খেলা করবে? আমার মতে শুধু ভাষা ও শব্দ নিয়েই গবেষনা করা উচিত। অথচ কোরানের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ(শুধু আমরা যারা বিশ্বাস করি, নাস্তিকগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়)বইয়ের ব্যাখ্যায় বা অনুবাদে সব সময়ই শুনি কোরানের বাইরে হাদীসের উপর নির্ভর করতে। কেন? মুহম্মদের মৃত্যূর প্রায় দুইশ’ বছর পর থেকে তাবারী, বুখারী আর অন্যান্য যারা হাদীস সংগ্রহ করছিল, তাদের এই মহৎ কাজের আগের দুইশ’ বছর মুসলমানরা কোরান ব্যাখ্যা করলো বা বুঝল কিভাবে? এর মাঝে কি কেউ মুহম্মদ সম্বন্ধে কিছু লিখে যান নি? সেগুলো গেলো কোথায়? খলীফা উসমানের সময়ে মুখে-মুখে বলার চেয়ে লিখিত বিষয়ে গুরুত্বপ্রদান করা হতো। এর বেশ প্রমান পত্র আছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় উসমানের শাসনকালের ইসলামিক রাস্ট্রের নথি-পত্র কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারনটা কি? লিখিত বা প্রমান নেই এমন ঘটনাগুলো যা সত্য-অসত্যের মিশ্রণে বর্ণনাকৃত তা কোরান ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে এমন কি মুহম্মদের চরিত্র ব্যখ্যার ক্ষেত্রে reference হয়ে উঠে কি করে? মুহম্মদ তো একটি ঐতিহাসিক চরিত্র, কোন কাল্পনিক চরিত্র নয়। সেক্ষেত্রে referenceগুলোর credibility, accountabilityর ব্যাপারটা তো থেকেই যাচ্ছে। নাস্তিক বা যারা ইসলাম সম্বন্ধে নিন্দা করতে পছন্দ করেন এক পর্যায়ে এসে মুহম্মদের নারী প্রীতি নিয়ে আলোচনা করতে বেশ প্রীত বোধ করেন এবং এর সপক্ষে হাদীস বইগুলো থেকে উদাহরণ হিসেবে অনেক হাদীসই তুলে ধরেন এবং সেই হাদীসের support এ কিছু আয়াতও দেখিয়ে দেন যা মুহম্মদ সুবিধা অনুযায়ী (তাদের মতে) আল্লাহর নামে সৃষ্টি করেছিলেন। এখন আমি উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করব। চিন্তা করে দেখুন এগুলো আপনারা বিশ্বাস করেন কিনা?
–The Messenger (S) used to visit all nine of his wives every night. [Vol 3 pg 52 Book of Nikah, #34].
কিন্তু অন্যদিকে বুখারী বারে বারে বিভিন্ন যায়গায় বর্ণনা করেছেন যে নবীজী সারারাত এত নামাজ পড়তেন যে তার পা ফুলে যেত। এই দুইটা কাজ কি একসাথে করা সম্ভব?
–The Messenger (S) used to have intercourse with all of his wives in one hour of the day and night (without taking a bath) and these (wives) were eleven. The narrator tries to preempt an objection by stating that he had the (sexual) power of 30 men. [Vol 1 pg 189, Book of Bath #266].
এখানে বুখারী ১১জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। তাহলে তার কোন তথ্যটা সঠিক? আর একজন মানুষের ৩০ জনের সমান power কথাটার মানে কি? এটা কিভাবে পরিক্ষীত হলো? পৃথিবীর আর কোন মানুষের এমন ক্ষমতার কথা শুনেছেন? এটা তো মাত্র ১৪০০ বছর আগের ঘটনা। এ রকম power কি সম্ভব? যদি ‘হাঁ’ বলে স্বীকার করেন, তবে প্রমাণ চাইব। আর যদি ‘না’ মনে করেন, তবে যে বইতে এই ধরনের প্রকৃতি বিরুদ্ধ তথ্য দেয়া হয় সেই বই মুহম্মদের চরিত্র বর্ণনার reference হিসেবে কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে!! বুখারী শরীফ থেকে তার নারীভোগের অন্যান্য হাদীসগুলো বিশ্বাস করলে তার ৩০ জন পুরুষের সমান ক্ষমতা হাদীসটাও বিশ্বাস করতে হবে। কারণ, দু’টো তথ্যই বুখারীর দেয়া।
–The sun rises between the two antlers of Satan. [Beginning of Creation 2:235 #504].
মুহম্মদ সম্বন্ধে বুখারীর কথা বিশ্বাস করলে তার দেয়া এ তথ্যটাও গ্রহণ করা উচিত।
–Hoors (beauties of the heaven) will be full-breasted and free of menstruation. [Bukhari, Beginning of Creation 2:225 #473].
“Hoor” শব্দটি আরবীতে বহুবচন হিসেব ব্যবহিত যার অর্থ বুদ্ধিমান, যোগ্যসঙ্গী। আর “Ahwar” পুরুষ-বাচক এবং “Haoora” স্ত্রী-বাচক। কিন্তু শত শত বছর ধরে ইসলামের ইতিহাসবিদরা এবং ইমামগণ “Hoor” বলতে voluptuous নারীদের ছবিই এঁকে গেছেন। অতৃপ্ত মন যা চেয়েছে সেভাবেই সবকিছুর ব্যাখ্যা করে গেছে। কেউ তলিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি। কোরান ব্যাখ্যাকারীদের অপব্যাখ্যার কারনে নাস্তিকরাও ভেবে যাচ্ছেন মুসলামান পুরুষরা এই ৭০/৭২জন হুরের আশায় দুনিয়ার ইসলাম পালন করে যাচ্ছে। বলছেন তারা ঠিকই। এক পক্ষ মিথ্যা আশায় বুক বেঁধে আছেন, আর অন্য পক্ষ মিথ্যে বিষয় নিয়ে মাতামাতি করে কোরানকে গাঁজাখুরীর ঝাঁপি বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। শুনেছি, অনেক নাস্তিকই নাকি কোরান-হাদীস সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান নিয়েই নাস্তিক হয়েছেন। নাস্তিকরা তো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেনা। কোরান সংস্কারবাদীরা যদি হাদীসের credibility না থাকা প্রমান করতে পারে এবং এতদিনের ইসলাম যে মিথ্যের খোলসে আবৃত ছিল সেটা প্রমান করতে চায় তাতে নাস্তিকরা এত বিমুখ কেন?
–Prophet Job was bathing. Locusts of gold started raining on him. [Vol 2 Kitabul Anbia, pg 281 #616] এটা ব্যাখ্যা করার কি আর প্রয়োজন আছে?
–The earth is resting on the horns of a great bull. When he shakes his head he brings earthquakes. (Ibne Kathir 2:29, 50:1).
Then Ibne Kathir changes his mind:
–The earth is resting on a fish. The fish is resting on water, water
on the Mount Safa in Makkah, Safa on an angel, the angel on a rock, the rock on air. When the fish moves, it causes earthquakes. (Imam Ibne Kathir, Tafseer part I pg 76).
তাহলে এ হাদীসটাও বিশ্বাস করতে হয়। আমাকে কি কেউ বলতে পারবেন এই হাদীসটা কোরানের কোন অংশের ব্যাখ্যা করে?
–In the night of Me’raaj (Ascension), Imam Ghazali rebuked Prophet Moses. Prophet Muhammad said, “Respect him O Ghazali!” (Malfoozat Haji Imdadullah Mahajir Makki, Imdadul Mushtaq by Ashraf Ali Thanwi).
উল্লেখ্য যে গাজ্জালী মুহম্মদের মৃত্যূর ৫ শতক পরে জন্মেছিলেন। আর তিনিই কিনা নবী মুসাকে তিরস্কার করেছিলেন। বুঝুন তা হলে কার বই reference হিসেবে ব্যবহার করছেন!!
–Allah sits in His chair, but the chair rests in His feet like sandals. (Tabari 1:21).
ব্যাপারটা কেউ বুঝিয়ে দিতে পারবেন কি?
শাহ ওয়ালিউল্লাহ Durr-e-thameen নাম দিয়ে ৪০টি হাদীস বানিয়েছিলেন।তিনি দাবী করেন যে মুহম্মদ প্রায়ই তার কাছে আসত এবং অনেক কিছু বলত ও করত. (Dr. Masood-ud-Din Usmani, Iman-e-Khalis pg 74)। মনে রাখবেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ জন্মেছিলেন মুহম্মদের মৃত্যুর ১১ শতক পরে।
Reference হিসেবে মানুষতো সেই তথ্যই ব্যবহার করে যা সত্য ও প্রমাণ করা যায়, কোন উদ্ভট কিছু নয়। আর যে বই বা লেখায় এমন বানোয়াট এবং উদ্ভট কথা লেখা থাকে সেগুলো কি করে reference হয় একজন মানুষের চরিত্র ব্যাখ্যা করতে তা আমার বোধগম্য নয়। তাই মুহম্মদ সম্বন্ধে সমালোচনায় অবশ্যই বিবেচনার প্রয়োজন। ইসলাম bashing এর নামে মিথ্যা বিষয় নিয়ে মাতামাতি করা, আর যারা সে সুযোগটা করে দিয়েছে তারা, দু’দলই মানুষ ও সমাজের ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছুই করেনি। অসত্য তথ্যের উপর গবেষনামুলক বই লিখলেই কি আর সত্য উদঘাটন হয়। বরং আরও সত্যের রাস্তায় pitfall তৈরী করা হয়।
লেখাটিতে ইতোমধ্যেই বহু মন্তব্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপাততঃ আর কোন মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না। লেখক এবং ব্লগারদের মধ্যে যারা আনুষঙ্গিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে মুক্তমনার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।
ব্লগারদের ব্লগের অন্যান্য লেখায় মন্তব্য এবং আলোচনা করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আইভি ম্যাডামের লেখাটা আর তারপর সবাইর মন্তব্যগুলা পইড়া একটা জিনিসই মনে হইলো – যেইটা Supa (ম্যাডাম?) উপরে কইছেন। আইভি যদি মনে করে কোরানের বিকৃত ব্যাখ্যা করা হইছে, তাইলে যারা বিকৃত করতাছে – সেই মোল্লা গো বিরুদ্ধে তার লেখা উচিৎ। ইসলামরে সাক্ষী সাবুত মাইনা বউ পিটানো, হিল্লা, পাথর মারা, চাইর বিয়া -এইগুলা যারা করতাছে তাগোর বিরুদ্ধে লিখেন। সউদি আরব, ইরান, পাকিস্তানে মুস্লিম মেয়েদের কি হাল হইছে মোল্লাদের হাতে পঈড়া, হেইডা তো সবাই দেখতাছে। আল্লার ওয়াস্তে তাগো গিয়া বুঝান। তা না কইরা মুক্তমনা আর নাস্তিকদের কনভিন্স কইরা কি হইব? হেরা তো ধর্মই মানে না; হাদিস সত্য না মিথ্যা এইটা লইয়া এইখানে ক্যাচাল কইরা লাভ কি? সুপা ম্যাডামে এক লাইনেই কইয়া দিছে আসল কথা – , try convincing the Islamists rathar than Mukto-monas to do something about those problemetic hadiths। মোল্লারা আইভি ম্যাডামের কথা শুনলেই হইবো। চার বিয়া, হিলা, এইগুলা বন্ধ হইব। আর অযথা ক্যাচালও থাকে না
@রফিক,
আপনি আসল কথা বলেছেন। যারা সব হাদীস ভূল জাতীয় তত্ত্বে বিশ্বাস করেন তারা কেন নিজ কমিঊনিটি যারা এসব ভুল গ্রন্থের জালে পড়ে হাজার বছর ধরে খাবি খাচ্ছে তাদের হেদায়েতের চেষ্টা করেন না আমি বুঝি না।
ধর্ম্প্রন্থে যাই লেখা থাক, মোসলমানদের মধ্যে সেসবের কুপ্রভাব দুর করা গেলে কি আর কেউ সমালোচনা করে সুবিধে করতে পারবে? এর সরল কথাটা কেউই বুঝতে চান না। কোরানে নারীর অধিকার পুরুষের সমান এটা প্রমানে আয়াতের নানান রকম ব্যাখ্যা, কন্ট্যাক্সট, আরবী শব্দ নিয়ে ধস্তাধস্তি এসদের কি কোন প্রয়োযন থাকত যদি দেখা যেত ইসলামী দেশগুলোয় নারী পুরুষে আসলেই তেমন ভেদাভেদ নেই?
কৌতূহলী হচ্ছে, এই লেখাটা কি দেখেছেন? আপনাকে উতসর্গ করেই লেখা কিন্তুঃ)।
http://www.shodalap.com/R_Rafiq.htm
@আদিল মাহমুদ,
না লেখাটা আগে দেখি নাই। দেখলাম এখন। উনি ঠিক কি বলতে চাইতাছেন খুব বেশি পরিস্কার না। আমি ছদ্মনামে লিখতাছি সেইটাই বোধ হয় ইনায় বিনায় কইবার লাগতাছেন। এখন আমারো মনে হয় ঊনারে রানা ফারুকের লাহান ফোন নাম্বার বিলানো লাগবো। এইগুলা বিলাইলে উনাগোই কোপাকুপি করতে সুবিধা হেইটা কি আমি বুঝি না? ফোন নাম্বার দিয়া মরিয়া প্রমাণ করণ লাগিব যে কাদম্বিনী গায়েবি না। যাউক, এই রায়হান সাহেবের লেখা আমি অনেকদিন ধইরাই পড়ি। একজন কামেল আদমী। যখন আল্লাহ খোদার বিরুদ্ধে একসসময় লিখছেন তখন নিজের নামে লিখেন নাই, এখন আল্লাহর খাস বান্দা হওনের পর অন্যের ছদ্মনাম খুঁইজা বেড়াইতেছেন। ইদানিং দেখি আমারব্লগ নামে আরেটা ব্লগে গিয়া অযথা ক্যাচাকেচি করেন। নিজেই নিজেরে আহাম্মকের লাহান প্রশ্ন করেন, তারপর নিজেই আবার ওইগুলার উত্তর দেন। কি আর কমু। সবই জোকার নায়েকের প্রভাব। আর আপ্নে আদিল মাহমুদ – আপ্নেরেও কই – আপ্নেও বুধ হয় আসল নামে লেখেন না । একটা আলোচনায় কইছিলেন বোধ হয়। তো কে কি নামে লিখতাছে সেইটা না বিছরাইয়া আসেন টপিক লইয়া আলোচনা করি। নাইলে ‘চালনি কইব ঝাজ্রিরে তোর পেছনে…’ টাইপ অবস্থা হইব।
হ যা কইতাছিলাম আপনেরে। মুসলিম বিশ্বের সমস্যাগুলা কিন্তু মুসলমান্দেরই ঠিক করণ লাগব। যেমনে পুরা জিনিস মোল্লাগো হাতে যাইতাছে গিয়া – দেইখা ডর লাগে। সেই দিক থেইকা আমি আইভি ম্যাডামের লেখার কিছুটা হইলেও সাপোর্ট করি। মুল্লাগো চোখ খুলা গেলে খারাপ হইব না। কিন্তু উনার ডাইরেকশন ভুল দিকে গেছে গা। মুল্লাগো থুইয়া নাস্তিকগো পিছে লাগছেন। এইটাই আমি কইতে গেছিলাম। এ ছাড়া উনার লেখা আমার ভালাই লাগে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনিতো শুধু আঙ্গুল তুলে বলেই যাচ্ছেন। আপনিও তো এখন প্রচলিত ইসলাম সম্বন্ধে অনেক জ্ঞানী। আপনি কতটুকু এগিয়েছেন?
যারা ‘ভুল ধরানোর দরকার’ তারা তাদের নিজ কমিউনিটিতে নিবেদিত ভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন।
@আইভি,
ভুল বললেন, আমি প্রচলিত ধর্ম সম্পর্কে আসলে কিছুই জানি না। আপনি হয়ত অনেক জানেন, পড়াশুনাও প্রচুর করেছেন দেখা যায়। আমার হয়েছে উলটো, কিছুটা পড়াশুনা করতে গিয়ে আরো সব জট পাকাচ্ছে। বরং পড়াশুনার আগে ভাল মোসলমান ছিলাম মনে হয়। আর আমি সবসময়ই বলি; আমার কাছে সঠিক ইসলাম বা অন্য যেকোন ধর্মই কেবল মানব মুক্তির একমাত্র পথ, পূর্ণ জীবন দর্শন এ জাতীয় তত্ত্বে বিশ্বাস নেই। তাই অন্য কাউকে হেদায়েত করার তেমন গরজ অনুভব করি না। ধর্ম মানুষ মানসিক শান্তির জন্য পালন করতেই পারে, কিন্তু কোন প্রচলিত ধর্ম ছাড়া জীবন লক্ষ্যহীন বা ভাল মানুষ হওয়া যাবে না তা বিশ্বাস করি না।
আর আমি তো আপনার মত ১০০% কনভিন্সড হইনি যে হাদীস বিহীন ইসলাম সম্ভব। এটা পরিষ্কার যে অনেক হাদীস বানোয়াট, তাই বলে সব নিশ্চয়ই না। হাদীস সব বাতিল হওয়া মানে অনেকটা মোহাম্মদের অস্তিত্ত্বও লোপাট হওয়া। আপনি যেসব যুক্তিতে সব হাদীস পাইকারী হারে বাতিল করে দিচ্ছেন তেমন যুক্তিতে তো কোরানের অথেনটিসিটি নিয়েও কথা উঠতে পারে। তারবেলায় কি বলবেন? হাদীস গ্রন্থ নবীর মৃত্যুর ৩০০ শ বছর পর আবির্ভূত হয়েছে বলছেন, তো আমি তো এখন জেনেছি যে কোরানও নবী মোহাম্মদের সময় পূর্ণ গ্রন্থ আকারে ছিল না। পূর্ণ, বর্তমান কোরান রূপে তা প্রকাশ পেয়েছে বহু পরে।
তবে জেনে ভাল লাগল যে ভূল ধরানোর কাজটা আমাদের কমিউনিটিতে ভালভাবে চলছে। একটু যদি দেখান আমাদের দেশে কারা এসব করছে, কি কি উপায়ে। কয়টা আর্টিকেল মূলধারা মিডীয়ায় এসেছে হাদীস বাতিল করার আহবান জানিয়ে এসব যদি একটু জানান তো মনে বল পাই।
আদিল মাহমুদ,
আমি জানার চেষ্টা করছি এবং পড়া-শুনা করার চেষ্টায় আছি। কিন্তু এ জন্য পরিবারের শান্তি অনেকখানি বিঘ্নিত হচ্ছে। এককালে আমি প্রচলিত ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করতাম এবং পালনের পর কোন কার্যকারিতা না দেখে সমস্যাটা কোথায় তা খোঁজার করি এবং পড়া-শুনা শুরু করি। আমি যখন হাদীসগুলো পড়া শুরু করি এবং এগুলো সংগ্রহের ইতিহাস, পেছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জানতে থাকি তখন logic, reasoning দ্বারা অনন্ত নিজেকে বুঝাতে পারি যে এই ইসলাম মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রচারিত ইসলাম নয়। আর হাদীসগুলোর কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে তা নির্ধারন করা এত কঠিন যে সেগুলো আমি একপাশে সরিয়ে রাখছি বাক্স-বন্দি করে। তবে এই হাদীসগুলোর যেগুলো কোরানের সাথে contradict না করে সেগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই authentic হিসেবে নয়। তবে এখানেও সমস্যা থেকে যাচ্ছে। এই contradict না করা হাদীসগুলোও যে মুহম্মদের কাজের সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। মুশকিল হচ্ছে মুহম্মদ এবং তার ইতিহাস সংগ্রহ করা (যা বর্তমান সমাজে প্রচলিত) সময়ের মধ্যে ৬-৭ জেনারশনের পার্থক্য। লিখিত দলিল আর মুখে মুখে বলা দলিলের পার্থক্য আছে না? কৌতুহল জাগে এর মাঝে কেউ, কিছুই কি লিখে যাননি নবী সম্বন্ধে? আরব দেশে কি লেখকের অভাব ছিল? তাদের সেই লেখাগুলো কোথায়? কোরানে নবীর সঙ্গীদের সবচেয়ে যোগ্যসঙ্গী হিসেবে সংজ্ঙ্গায়িত করা হয়েছে; অথচ হাদীসে পাই তার উল্টো। তা আপনি কোরান বিশ্বাস করবেন, না হাদিস!!
একথাটাও ঠিক না। মুহুম্মদ (সাঃ) বেঁচে থাকা অবস্হাতেই কোরান বই আকারে সংগ্রহ করে গেছেন। এ নিয়ে পড়ে আমার লেখার ইচ্ছে আছে।
আর কমিউনিটি বলতে আমি বাংলাদেশকে বুঝাইনি। আমি থাকি দেশের বাইরে। তাই বর্তমান গ্লোবাল সোসাইটির আমরা যে যখানে আছি চেষ্টা করছি ইসলামের এই মিথ্যা বিষয়গুলো বর্জন করতে এবং নৈতিকভাবে অন্যকে জানাতে(আমি পরবর্তীতে আপনাকে লিঙ্কগুলো দেবার চেষ্টা করব)। শিক্ষিত মানুষদের মস্তিস্কটাকেই যদি কাজে লাগানো না যায় অশিক্ষিত মানুষদের বোঝানো তো বহুদুর। কারন, শিক্ষিত, ক্ষমতাধর ব্যক্তিগণই পারে সমাজ বদলাতে। গত ১৪০০ বছরে ইসলামিক বিশেষজ্ঞ্ররা (সবাই নয়, তবে সংখ্যায় কম) তাদের মস্তিস্ক নামক বস্তুটি কাজে লাগায়নি বলেকি এখন যারা কাজে লাগাচ্ছে তাদের কি উপেক্ষা করা উচিত? বরং মিথ্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের মত সাধারন মানুষদেরও উচিত সত্য-মিথ্যা যাচাই করে তথ্য গ্রহণ করা।
@আদিল মাহমুদ,
প্রশ্ন দিয়ে আশে-পাশের মোল্লা মানসিকতার মানুষদের জর্জিত করুন। এটাও সমাজ-সচেতনার আরেকটি উপায়।
@রফিক,
নাস্তিকরা ধর্ম মানেনা কিন্তু মোল্লা মানসিকতার জ্ঞানীদের কোরানের ব্যাখ্যা ও হাদীসগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে ইসলামের অসাড়তা বুঝাতেও তো পিছ পা নয়। তাই আমার বক্তব্য দু’পক্ষের জন্যই।
আর মুক্ত-মনা হতে হলে নাস্তিক হতে হবে নাকি?
ধন্যবাদ।
@আইভি,
নাস্তিকদের সমর্থনে মোল্লা মানসিকতার জ্ঞানীদের কোরানের ব্যাখ্যা ও হাদীসের রেফারেন্স আছে, আপনার সমর্থনে কি বা কে আছে আমার জানা নেই। কোন মানসিকতার মানুষের কাছে বিশুদ্ধ ইসলাম পাওয়া যায় একটু ফরমান প্লীজ। ১৫শো বছর যাবত মোল্লা মানসিকতার জ্ঞানীরা কোরান হাদীসের অশুদ্ধ ব্যাখ্যা করে আসছে আর আপনারা তাদের বিরোদ্ধে কিছুই করলেন না, আখেরাতে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন? এবারতো বাজারে বিশুদ্ধ ইসলামটা ছাড়ুন, শুদ্ধ ইসলাম দিয়ে আমাদের ভুল প্রমান করে দিন, আমরা আমাদের সকল লেখা একসাথে ডিলিট করে দেবো।
@আইভি,
না মুক্তমনা হইতে হইলে নাস্তিক না হইলেও চলব মনে হয়। হের লাইগাই তো আমি নাস্তিক আর মুক্তমনা গো আলাদা আলাদা শব্দ দিয়া লিখিছি। তয় মুক্তমনা হইতে হইলে কোরানরে আলাদা কইরা গায়েবি বানায় রাখলে চলবো না, ওইটার সমালোচনা বাদ দিলে ক্যাম্নে কি!
যাউক, আপ্নে যেমনে হাদিস টাইনা নাস্তিক আর মোল্লা গো এক কাতারে ফালাইলেন হেইডা মনে হয় ঠিক হইলো না। আপ্নের যুক্তি অনুযায়ী – রবিন্দ্রনাথের দাঁড়ি আছিল, আর রামছাগলেরও দাঁড়ি আছে। তাই রবিন্দ্রনাথ আর রামছাগল একই কাতারে থাকব। এইডা নিশ্চয় ঠিক যুক্তি হইল না। নাস্তিকরা কোরান হাদিস লইয়া ফাল পারে ধর্মের অসারতা দেখাইতে আর মোল্লারা হাদিস ব্যবহার করে হিল্লা করতে, চার বিয়া করতে আর ইসলামি রাজত্ব বানাইতে। দুইটা এক হইলো?
তাও যাউক, যদি আপনে আপ্নের লেখা দিয়া মল্লা গো চোখ খুল্বার পারেন, আমি আপনের সাপোর্টে আছি। আপনে সেইটা লইয়া কাম করেন, সবার না হোক, আমার সাপোর্ট পাইবেন। সেইটা আগেই কইছি।
ভালা থাইকেন, ম্যাডাম। অনেক জালাইছি আপ্নেরে। মাফ কইরা দিয়েন।
এই রুপক বিষয়টি কোরানের আলোচনা সমালোচনায় অতি অবধারিতভাবে চলে আসে। এই রূপকের গোটা ব্যাপারটা আমার কাছে আরেক রূপকের মতই লাগে।
বেশ কিছু সমালোচানার জবাবে বলে দেওয়া হয় এ আয়াতগূলি রূপক। পয়েন্ট ও আছে, “তিনিই তোমাদের প্রতি কিতাব অবতির্ণ করেছেন যার মধ্যে মজবুত আয়াতগুলো উম্মুল কিতাবের(মুল কিতাবের অংশ), অন্যগুলো রুপক, যাদের মনে বিকৃতি তারা ফিৎনা (বিরোধ) সৃষ্টিও কদর্থের উদ্দেশ্যে যা রুপক তা অনুসরণ করে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। -সুরা আল-ই-ইমরান, ৩/৭”
মুশকিল হল রুপকের সংজ্ঞা কি? কোনটি রূপক কোনটি রূপক না তা কি করে বোঝা যাবে? রূপকের সংজ্ঞা ব্যক্তি বা কালের ব্যাবধানে পরিবর্তন হতে পারে। যেমন কোরানের একটি আয়াতে আল্লাহ বলেছেন (১০ঃ১); তিনি সূর্যকে দিয়েছেন তার উজ্জ্বলতা, চন্দ্রকে তার আলো। চাদের নিজের আলো নেই তা আমরা আজ জানি। তাই আজ আমরা বলতে পারি যে এটা আসলে রূপক। কিন্তু হাজার বছর আগের মানূষের কাছে তো তা রূপক বলে মনে হত না নিশ্চয়ই, জারন তখন মানুষের ধারণা ছিল যে চাদের নিজের আলো আছে।
আরো বুঝতে পারি না যখন আল্লাহ কোরানেরই অন্য (১৪ঃ৪) যায়গায় বলেন যে তিনি তার দূত পাঠিয়েছেন সবকিছু পরিষ্কার করে বলে দেবার জন্য। “We sent not an apostle except (to teach) in the language of his (own) people, in order to make (things) clear to them.” এখানে কোনরকম রূপকের কথা নেই, বরং মনে হওয়া স্বাভাবিক যে মানুষ যেন এহেন রূপক জাতীয় সমস্যায় না পড়ে সে চেষ্টাই করা হয়েছে।
আইভি বা ফুয়াদ কেউ কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
পরের আয়াত (আরো কিছু এ জাতীয় আয়াত আছে) পড়ে কিন্তু মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে কোরান আসলে কেবল আরবী ভাষীদের জন্যই নাজিল হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
১০০% সত্য কথা। আল্লাহ যদি বইখানি লিখতেন, রুপক বাক্য কখনো ব্যবহার করতেন না। এ যে মানুষের হাতে লিখা বই, তাই ১৫শো বছর যাবত এ বইয়ের কথা বুঝতে গিয়ে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে করে সহস্র দলে বিভক্ত হয়ে, একে অন্যের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত অপমানিত হয়েছে, খুন হয়েছে অগনিত অসংখ্য মুসলমান নারী ও পুরুষ। এ বই সর্বকালের সর্বযুগের মানুষের অনুসরণীয় অনুকরণীয় জীবন বিধান হতে পারেনা। পিছিয়ে পড়া মুসলিম জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের হাতে কোরান নয় চাই বিজ্ঞান।
@Akash Malik,
আপনার মূল অভিযোগ সত্য। কার ধর্ম বা ইসলাম কত বড় বা আসল এসব নিয়ে মানব জাতির অর্থহীন হানাগানি হয়েছে যে কোয়ান্টিফাই করা যাবে না। পিছিয়ে পড়া মোসলমানদের টিকে থাকার জন্য আধুনিক শিক্ষা অতি অবশ্যই জরূরী এতে কোনরকম সন্দেদ নেই। কোরানে বিজ্ঞান না খুজে আসল উপায়ে বিজ্ঞান খোজাই হবে পথ।
তবে ধরা যাক, কোরান নবী মোহাম্মদ বা তার সাহাবাদের উর্বর মস্তিস্কের ফসল; তাহলে কি এটা বেশী যুক্তিযুক্ত হত না যে তিনি যা লিখেছেন তা অন্তত নিজে জানেন বলেই লিখেছেন? তিনি নুতন কিছু নিজে লিখে নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তার অনেক কিছু আবার নিজেই জানেন না, কেমন কেমন লাগে না?
আমি আপনি নুতন ধর্ম বা ফিলোসপি প্রচার করতে চাইলে কি তেমন কিছু করতাম? নিজের পেশ করা বক্তব্যকে অন্তত নিজে ব্যাখ্যা করতে পারতাম না?
@আদিল মাহমুদ,
১৫শো বছর পূর্বে হলে আমরাও যুল্কার্ণাইনের পঙ্খিল জলাশয় দেখার মতো ব্যাখ্যাহীন বক্তব্য দিয়ে পার পেয়ে যেতাম। ১৫শো বছর পূর্বে আমাদের জন্ম হলে আমরাও অন্তরের সকল ঈমান দিয়ে বিশ্বাস করতাম- শক্ত পাহাড়ের খুটির কারণে আমাদের ভারে পৃথিবী কাঁৎ হয়ে যাচ্ছেনা। আসলেই মুহাম্মদের ব্যাখ্যা জানা ছিলনা তার চেয়ে বড় কথা ব্যাখ্যার প্রয়োজনও হয় নাই। আর যারা ব্যাখ্যা চেয়েছিল তাদেরকে ব্যাখ্যা না দিয়ে পালটা বলেছেন- তোমরা কি আমার নবীকে বিশ্বাস করোনা, তোমরা কি আমার নবীকে পূর্বতন জাহান্নামীদের মতো প্রশ্ন করবে? তারপর দেখিয়েছেন ব্যাখ্যা চাওয়ার পরনতি কি হতে পারে, ভয়াবহ জাহান্নামের আগুন। ব্যাখা না জানার কারণেই রুপক বলা হয়েছে।
অপ্রাসঙ্গীকভাবে একটা প্রশ্ন এখানে রেখে যাই। সারা রমজান মাস নিশীত রজনী জেগে মুসলমানগণ তারাবীহর নামাজ পড়েন, মুহাম্মদ কিন্তু তারাবীহর নামাজ পড়তেন না। এই নামাজের কথা কোরানের কোন্ সুরায় লিখা আছে হাদীস বিহীন কোরানিক মুসলমান কেউ কি এর ব্যাখ্যা দেবেন?
Narrated Abu Salama bin ‘Abdur Rahman:
that he asked ‘Aisha “How was the prayer of Allah’s Apostle in Ramadan?” She replied, “He did not pray more than eleven Rakat in Ramadan or in any other month. He used to pray four Rakat —and then he would pray four —and then he would pray three Rakat (Witr).” (ঈষৎ সংক্ষেপিত)
Bukhari Shareef, Volume 3, Book 32
এশার নামাজে ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ আর ৩ রাকাত বিতির, মোট ১১ রাকাত হলো মুহাম্মদের নামাজ। মুহাম্মদের পরে তারাবীহর নামাজ কোন পয়গাম্বরের যুগে নাজিল হলো? উল্লেখ্য, শীয়াদের মতে তারাবীহর নামাজ পড়া বিদাত।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে আমার মনে হয় ফিলোসফাররা তাদের নিজেদের ফিলোসফিকে কখনোই শতভাগ সঠিক মনে করেন না। ধর্ম প্রচারকদের সাথে ফিলোসফারদের এটা একটা মৌ্লিক পার্থক্য।
মোহাম্মদ যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন তখন তাকে টেক্কাদিতে হয়েছিল ঈশ্বর পুত্র ঈসা, রাসুল মুসা, নুহু ইত্যাদি প্রভাবশালী ঐতিহাসিক চরিত্রকে। নীজের শ্রেষ্ঠত্ত্ব তুলে ধরার জন্য তাকে চাঁদকে খন্ডিত করা, মেরাজে যাওয়া, ফেরেস্তার সাথে সাক্ষাৎ করা, ফেরেস্তা কতৃক যুদ্ধে সাহায্যের ব্যাবস্থা করা এসব আনেক কারিশমার দোহাই তাকে পাড়তে হয়েছে। বর্বর মক্কাবাসি জানতোনা চন্দ্রগ্রহন কি। বানিজ্যের সুবাদে মুহাম্মদকে যেহেতু আনেক সফর করতে হয়েছে এবং আনেক জাতির সংস্পর্ষে আসার সুজোগ তার হয়েছিল ফলে চন্দ্রগ্রহন সম্পর্কে আগে থেকে জানা মুহাম্মদের জন্য অসম্ভব ছিলোনা।
আর আদম-হাওয়ার আদি গল্পতো আরবে বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। কোরানের এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে প্রচীন গল্প গুলো। এখন শুধু গল্প বললেতো আর ধর্ম প্রচার হয়না। তাই গুরুগম্ভীর করার জন্য আনেক কবিদের আদ্ধাতিক কবিতাও তাকে ওহি হিসাবে চালাতে হয়েছে। কাবিতা মানেই রূপকের ছড়াছড়ি। কোরানের রূপরের উৎসও তাই।
লালনের আনেক গান আছে যার অর্থ কার কাছেই বোধগম্য না। সিরাজ সাঁই তাকে অনেক কিছু বলেছেন যা সিরাজ সাঁই আবার তার গুরুর কাছে শিখেছিল। এগুলি এমন কিছু উপলব্ধি বা অভিজ্ঞতার ব্যাপার যা ভাষার দ্বা্রা পুরপুরি প্রকাশ করা যায় না। বা বলা যায় উপলব্ধিগুলোই ছিলো অসম্পূর্ন। যেমন চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, আমরা ভেবে করবো কি ? বা আট কুঠুরি নয় দরজা জাতিয় গান গুলো। যে লালন এই সব গুরুতত্ত্বে্র কথা বলেছেন আবার সেই স্বী্কার করছেন অন্য গানে- আমি একদিনো না দেখিলাম তারে// আশাপূর্ন হলোনা আমার মোনের বাসনা। এখানে সহজেই বোঝা যায় সে বুজরুকি আছে এমন গান গুলো গুরুরদেয়া বিদ্যার বিদ হজম। আর পরের গান গুলো সরল স্বকারোক্তি।
মুহাম্মদের ক্ষেত্রেও বুজরুকি দেখানোর জন্য যে সব আয়াতের আমদানি হয়েছে কোরানে তাও ঐ গুরুবিদ্যাজাত বদহজম। এসবের মানে না পরিষ্কার ছিলো তার গুরুদের কাছে না মুহাম্মদের নিজের কাছে।
@আতিক রাঢ়ী,
কি উলটা পালটা বলেন , রাসূলের জন্মের আগের অনেক রেফারেন্স গিয়া দেখেন , তারা অইগুলা ভাল করেই জানত । অশুভ লক্ষন মনে করত । আর উনি কোন কুদরত দেখাইবার জন্য আসেন নি ।
@ আদিল মাহমুদ ,
আপনার প্রশ্ন গোলোর সুন্দর জবাব আছে । এখন সময় নাই । অনেক বড় । তারচেয়ে , আপনি একটি তফসীরের বই কিনে পড়ে ফেলেন । “দা মেসেইজ অব আল কুরান ” মুহাম্মদ আসাদের এই তফসীর টাও দেখতে পারেন । যুক্তিবাদী মানুষের জন্য এই তফসীর ভাল ।
কালের সাথে ধর্ম গ্রন্থগুলোকে যুগপোযুগী করতে যতই আধুনিক ব্যাখ্যা দেওয়া হোক না কেনো সেক্ষেত্রে পুরোটাই কৃ্তিত্ত্ব ব্যাখ্যাকারির, মুল রচনাকারির নয়। বিষয়টি compare এর জন্য নস্ট্রাডামুসের আধুনিক ভবিষ্যৎ বানী গুলো পড়ে দেখতে পারেন।
কিন্ত আল্লাহ মনে হয় তার নিজের বানী মানুষকে কোন রকম ব্যাখ্যা করার অনুমোদন দেন না। তাই কুরানে তিনি বলেছেন-
এ সংরক্ষন ও আবৃত্তি করানোর (ভার) আমারই সুতরাং যখন আমি পড়ি তুমি সেই পাঠের অনুসরণ করো। তারপর এর বিশদ ব্যাখ্যার (দায়িত্ব) আমারই।
-সুরা কিয়ামা, ৭৫/১৭-১৯
তিনিই তোমাদের প্রতি কিতাব অবতির্ণ করেছেন যার মধ্যে মজবুত আয়াতগুলো উম্মুল কিতাবের(মুল কিতাবের অংশ), অন্যগুলো রুপক, যাদের মনে বিকৃতি তারা ফিৎনা (বিরোধ) সৃষ্টিও কদর্থের উদ্দেশ্যে যা রুপক তা অনুসরণ করে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না।
-সুরা আল-ই-ইমরান, ৩/৭
আল্লাহ যেখানে খুব সহজ ভাষায় মানুষকে কুরানকে ব্যাখ্যা করতে নিষেধ করেছেন সেখানে কুরানের আধুনিক ব্যাখ্যাকারীরা যে যার মত কুরানকে ব্যাখ্যা করে কি আল্লাহর আদেশকে সরাসরি লঙ্গন করছেন না? তবে আশাকরি আপনার মতো কুরানের আধুনিক ব্যাখ্যাকারীরা নিজের পক্ষে কুরানকে টানার জন্য মুল অর্থ বিকৃতি এই আয়াত গুলোরও একটি মন গড়া ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারবেন। তাই শুভকামনা রইলো।
আইভি আপা,
হাদিস টা পাওয়া গেছে
Sahih Bukhari: Volume 1, Book 5, Number 268:
Narrated Qatada:
আপনার দেওয়া হাদিস টি
দেখুন তো, হদিসটা কি ছিল, আর আপনি কি করলেন । কেন করলেন ? যদি দয়াকরে বলতেন ।
@ফুয়াদ,
ঊপরের দুই হাদীসের দুই ভার্ষনের মৌলিক পার্থক্যটা আসলে কি?
আপনার পাওয়া মূল হাদীস আর আইভির কোট করা বিকৃত হাদীসের তফাত কতটা?
intercourse এর যায়গায় visit হলেই হাদীসটায় আর কোন সমস্যা থাকছে না? মানুষে ওয়াইফ visit করে শুধু প্রেমময় কথাবার্তা বলার জন্য? তাও নাহয় মানা যেত, কিন্তু strength of thirty (men) কি আসল কথা বলছে না? ১১ জন স্ত্রী না থেকে ৯ জন থাকলেই সমস্যা মিটে গেল?
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই , আমি জানি না, আইভি আপা অই গুলো কোথা থেকে পাইছেন । যাইহোক, আসল সমস্যা হইতেছে হাদিস আপনি এক অক্ষর ও চেঞ্জ করতে পারবেন না । আর উনি প্রায় ডিফ্রেন্ট করে ফেলেছেন । এখানে আমার ভুল ও হঈতে পারে ।
ওই ধরনের হাদিস গোলো ঠিক কি না , তা প্রশ্ন সাপেক্ষ । তাই ঐ গুলো যেমন আছে, তেমন ঈ রেখে দেওয়া হয় । হয়ত , বহু বছর পর , কেঊ এগুলার মানে বুঝতে পারবে ।
(১০ঃ১); তিনি সূর্যকে দিয়েছেন তার উজ্জ্বলতা
ভুল রেফারেন্স দিছেন । তবে ওই আয়াতটি কোরানে আছে । আর তা, চাদের রিফল্কটেদ লাইট বুঝানো হয়েছে্ চাদের ডাইরেক্ট আলো না (আমি যত দূর জানি), {এখানে কোন শব্দের কোন অর্থ তা নিয়ে যুক্তি তর্কের দরকার নাই, মনে করুন, আপনাদের অর্থ ও আমি মেনে নিছি }।
_______________________________
রূপক বলতে বুঝায়, যেমন “আল্লাহ সুবাহানাতালার আত্মা ” এটা রূপক । “আল্লাহর পা ” এ গুলো রূপক । এধরনের আরও রূপক আছে । যাদের অন্তরে কপটতা আছে তারা ওই গুলোর ও অর্থ বের করে, যেমন মুক্তমনারা , http://www.mukto-mona.com/Articles/mizan_rahman/hotobuddhi_hotobak.htm এই আর্টিক্যল দেখেন (এখানে কোরানের আয়াতের নম্বর গোলা মিলতেছে না, তবে আমি জানি ওই গুলো কোরানের ই আয়াত) । এ ধরনের আপনারা অনেক ব্যক্ষা করেন ।
আদিল ভাই , পারলে আপনি একটি তফসীর ভাল করে পড়েন। ওই খানে ওই বিষয় গুলোর আলোচনা আছে । কি রূপক ? কি না । বাংলা তফসীরুল মারিফাতুল আল কোরান , মওলানা মহিউদ্দিন খান সম্পাদিত , খুব সহজেই পাওয়া যায় ।
@ফুয়াদ,
হ্যা, আমি ভুল আয়াত নম্বর লিখেছিলাম দেখা যাচ্ছে, আসলে ওটা হবে 10:5; ইউসুফ আলী সাহেবের অনুবাদ অনুসারে, “It is He Who made the sun to be a shining glory and the moon to be a light (of beauty), and measured out stages for it; that ye might know the number of years and the count (of time). No wise did Allah create this but in truth and righteousness. (Thus) doth He explain His Signs in detail, for those who understand.”।
দেখুন এখানে চাদের আলো রিফেল্কেড নাকি নিজের তার কিছুই কিন্তু বলা নেই। কেউ আগে থেকে ব্যাপারটা না জানলে শুধু এই আয়াত পড়ে কিভাবে ভাববে যে চাদের নিজের আলো নেই, রিফ্লেক্টেড? He Who made the sun to be a shining glory and the moon to be a light (of beauty) পড়ে তো মনে হয় আল্লাহ চাদকে আলো হিসেবে বানিয়েছেন।
পিকথল সাহেবের আনুবাদ অনুযায়ী; “He it is Who appointed the sun a splendour and the moon a light,”
পড়লে কি বোঝা যায়? এখানে আল্লাহ তৈরী করেছেন না বলে বলা হয়েছে ভার দিয়েছেন।
আমার উদ্দেশ্য এ আয়াত নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করা ছিল না, ছিল বলা যে রূপকের সংজ্ঞা এক এক কালে এক একজনের কাছে বিভিন্ন হতে পারে। একইভাবে যুলকারনাঈনের সেই পঙ্কিল জলাশয়ের উদাহরন ও দেওয়া যায়। আজ শোনা যায় যে সেই আয়াত আসলে রূপক, কিন্তু সেযুগের মানুষের কাছে তো সেই আয়াত আক্ষরিকভাবে সত্য বলে মনে হতেই পারত। কারন তখন মানূষের ধারণা ছিল যে সূর্য প্রতিদিন কোথাও থেকে উঠে আর রাতে বিশ্রাম নিতে যায়।
আপনি রূপকের কোন সংজ্ঞা দেননি, কেবল একটি উদাহরন দিয়েছেন।
@ফুয়াদ,
শুধু কোরানকেই বুঝানো হয়েছে। কোন হাদীস বই নয়।
@ফুয়াদ,
আামি হাদীসটির কিছুই পরিবর্তন করিনি। এটা বুখারী শরীফের মদিনা পাবলিশং কোম্পানী, করাচী ১৯৮২ থেকে নেয়া।এর প্রিন্টার হচ্ছে হামিদ এন্ড কোং।
@ আইভী আপু,
আপনি কই হারাইলেন!!!
নতুন কিছু লেখেন।
আপনি কি সম্প্রতি ‘গজনি’ দেখে আমির খানের অভিনয়ে আপ্লুত?নাকি আসলেই অমন কোন শক্ত ব্যামো আপনার আছে?আপনি কি লিখেছিলেন ভুলে গেছেন নাকি?শুধু ‘ছদ্মবৈজ্ঞানিক’ নয় আপনার লেখাটিকে আমি ‘বিশুদ্ধ ছদ্মবৈজ্ঞানিক’ হিসেবে মার্ক করেছিলাম এবং অনেক যুক্তিবাদী সদস্য আমাকে সমর্থন করেছিলেন।মহাশয়া ,দয়া করে বলুন,আপনার লেখাটি কোন দিক থেকে মরিস বুকাইলি ও কিথ মুরের অসাধু ও গাঁজাখুরি ব্যাখ্যার চেয়ে আলাদা ছিল?
আপনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম extract শব্দটির অর্থ প্রসঙ্গে।আপনি প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন।বোধ করি মাতৃভাষাটি জানার সময় আপনার হয় না।মাটির নির্যাস অনুবাদ করলেও কুরানের তত্ব পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক বলেই প্রমাণিত হয়।কারণ নির্যাস শব্দের অর্থ কখনোই মৌলিক উপাদান নয়।দয়া করে অভিধান দেখুন।বাজারে কালজিরের এক্সট্রাক্ট পাওয়া যায়।খেয়ে দেখুন! 🙂
তাই নাকি?তো আপনি তবে আরবী শব্দের এত মানে খুঁজছেন কেন?নাকি অভিধানকেও আপনার কুরানের অন্তর্গত বলে মনে হয়।শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থটাই কি সবসময় ঠিক নাকি?ব্রং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শব্দের প্রায়োগিক অর্থই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কি মনে হয় ডঃমুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বা সৈয়দ মুজতবা আলি এরা কেউই আরবি জানতেন না?নাকি বলতে চাইছেন এদের চেয়ে হারুন ইয়াহিয়ার মত দাগিরা বেশি তালেবর?
যৌনতা নিয়ে অত শুচিবাই কেন ম্যাডাম?একটা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ সারা রাত সঙ্গমে লিপ্ত থাকলে তা নিয়ে এত কথা বল্বার কি আছে?যৌনতা যদি অতই খারাপ তাহলে তো বিবেকানন্দের উগ্র যৌনতাবিরোধীতাকেই চূড়ান্ত আদর্শ বলে ধরে নিতে হয়।স্বামী-স্ত্রীর বা প্রেমিক-প্রেমিকার যৌন সম্পর্ক সহজ সুন্দর একটি ব্যাপার।আমি তো বলব মুহাম্মদ ভালো দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন! 😉 আধুনিক বহুগামী যুবকদের চূড়ান্ত আদর্শ হওয়া উচিত মুহাম্মদ! 😉 !
এ লেখাটি কিন্তু ছদ্মবৈজ্ঞানিক নয়! এজন্য লেখিকাকে অশেষ ধন্যবাদ। :laugh:
To Ivy apa and Fuad bhaijan:
Bravo for demostrating your anti-hadith stand. Some allah’s soldiars (ie. Jihadists) may take this stand as anti-islamic and behead you two. So please be careful. Also, try convincing the Islamists rathat than Mukto-monas to do something about those problemetic hadiths. These are spoiling the game – once the believers start understanding the meanings they may loose their faith. And without faith there wont be anything left for the profitiers to keeps on selling allah’s messages.
I wonder why allah relies so much on people like Joker Naik or Ivy apa rather than doing something about it. Allah should come out to express his feeling and clarify what he meant to say so that there wont be any confusion and a lot of nastics(atheiests) and kafirs, I am sure, will have a change in heart and do the things He really wants from them. After all, why would anyone like to be burned in hell? We all want ever virgin hoors along with sweet grapes, apples and wines etc.
I am still waiting to hear your response to the questions raised by Mr Adil Mahmood.
@Supa,
You was wrong about me , my position was not against Hadis . May be What I wrote to Adil Mahmud Vai, you didn’t see. Look at this :-
According to Immam Ahmed Hadis should judge by Al Quran , then other most authentic Hadis .So, if you judge That Hadis (What was giving by Ivy apa}, then what you will find(I gave it up there). So, You should careful and you don’t need to believe on it , as well you don’t need to disbelieve on it . That type of Hadis, have no need for You.
What Ms Ivy has written is nothing new.
Often I receive e-mails similar in contents of Ms Ivy’s:
On the topic of beating women please note that the man can beat not only his wives, but also any woman that is under him or under his protection. Because the word is ‘Nisa’ which means women in general. Such women might include:
Mother, sisters, maid-servants, cousin sisters, women employees…and so on.
Ms Ivy is irate that we use authentic Islamic references. Amazingly, she had not used any authentic or unauthentic references to back up her claims.
I do not think most Muslims will accept Ms Ivy’s contention.
Anyway, let us dissect the Qur’an on verse 4:34 to demonstrate that Ms Ivy is incorrect in her interpretation of the Qur’an.
Transliteration of 4:34
Arijaalu qawwaamoona’alan-nisaa’i bimaa faddalallaahu ba’dahum ‘alaa bad’din wa bimaa ‘anfaqoo min ‘amwaalihim; fassalihaaruqaannitaatum baafizaatulligahaybi bimaa hafizal-laah; wallaateetakhaafoona nushoozahunna fil-madaaji’i wadriboohunna fa’in ‘ata’nakum falaa tabghoo ‘alayhinna sabeelaa; innallaaha kaana’ Aliyyan Kabeera.
English translation:
Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has made one of them to excel the other, and because they spend (to support them) from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient (to Allah and to their husbands), and guard in the husband’s absence what Allah orders them to guard (e.g. their chastity and their husband’s property). As to those women on whose part you see ill conduct, admonish them (first), (next) refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly, if it is useful); but if they obey you, seek not against them means (of annoyance). Surely, Allah is Ever Most High, Most Great.
Meaning of some key Arabic words:
Ae-rijalu qawwaamoona ‘alan-nisaa’i—Men are the protectors and maintainers of women
Qantitat—Those (women who are obedient to Allah)
Hafi-zatul-lilghayb—Those (women) who guard (their chastity and their husband’s property) in (their husband’s) absence
Ma hafi-zallah—What Allah orders them to guard
Nushu-zahunn—Their disloyalty and ill-conduct
Needless to say, the word ‘wadriboohunna’ means to beat.
Please note that the original Arabic text does not say ‘lightly.’
To get the true meaning disregard all the words inside the brackets.
References:
The Noble Quran; Transliteratu=ion in Roman Script by Dr. Muhammad Taqi-uddin Al-Hilaly and Dr. Muhammad Muhsin Khan
Kalimatul-Qur’an—A Disctionary pf the Qur’anic Words ; compiled by Ash-Shaikh Hassanin Muhammad Makhluf
Further, that beating of women, especially wives, is a cornerstone of Islam can be demonstrated from the biography of Muhammad as written by Tabari. Ibn Ishaq’s Sirat Rasul Allah also contains similar passages.
According to these biographers Muhammad’s last instruction to his ummah was to beat their women.
I know Ms Ivy will have tough time digesting the truth, but if she declines Tabari and Ibn Ishaq, Bukhari, Muslim, Ibn Majah, Ibn Kathir….the entire edifice of Islam crumbles.
Here is the last message of Muhammad:
“Now then, O people, you have a right over your wives and they have a right over you. You have [the right] that they should not cause anyone of whom you dislike to tread your beds, and that they should not commit any open indecency (fahishah). If they do, then God permits you to shut them in separate rooms and to beat them, but not severely. If they abstain from [evil], they have the right to their food and clothing in accordance with custom (bi’l-maruf). Treat women well, for they are [like] domestic animals (‘awan) with you and do not possess anything for themselves. You have taken them only as a trust from God, and you have made the enjoyment of their persons lawful by the word of God, so understand and listen to my words, O people. I have conveyed the Message, and have left you with something which, if you hold fast to it, you will never go astray; that is, the Book of God and the sunnah of His Prophet. Listen to my words, O people, for I have conveyed the message and understand [it]. Know for certain that every Muslim is a brother of another Muslim, and that all Muslims are brethren. It is not lawful for a person [to take] from his brother except that which he has given him willingly, so do not wrong yourselves. O God, have I not conveyed the message?” It was reported [to me] that the people said, “O God, yes.” And the Messenger of God said, “O God, bear witness.”
Reference:
Al-Tabari, Abu Ja’far Muhammad b. Jarir. The History of al-Tabari. Vol.IX: The Last Years of the Prophet. Translated and annotated by Ismail K. Poonawala. State University of NewYork Press, Albany, 1990
(pages 112-114)
আমার এ নিয়ে আগে একটা বিশ্লেষণ ছিলো। সেটা পাওয়া যাবে এখানে।
প্রথমতঃ আমার মতে আগের অনুবাদকেরা (নতুন রিফর্মিস্ট অনুবাদকদের কথা বলছি না) স্ত্রী-প্রহারের ব্যাপারটি সঠিক ভাবেই অনুবাদ করেছিলেন বলে আমি মনে করি। আইভি বলেছেন, দারাবা শব্দের অনেক অর্থ হয়। হয়তো তার কথা ঠিক। কিন্তু সুরা নিসায় ব্যবহৃত হয়েছে ইদ্রিবুহুনা (idriboohunna’)। এর আদি শব্দ দারাবা হলেও ইদ্রিবুহুনা শব্দটি আরবীতে খুব স্পেসিফিক। সেটা হল –
ইদ্রিবু – প্রহার কর (Beat)
হুনা – তাদের (them)
আর সেজন্যই আমরা দেখি কোরানের সব প্রমিনেন্ট অনুবাদক ‘তাদেরকে প্রহার কর’ অর্থেই সুরাটির অনুবাদ করেছেন। আমি কিছু উদাহরণ দেই –
1. Yusuf Ali:
“….As to those women on whose part ye fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (Next), refuse to share their beds, (And last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them Means (of annoyance): For Allah is Most High, great (above you all).”
2. Pickthal:
“…As for those from whom ye fear rebellion, admonish them and banish them to beds apart, and scourge them. Then if they obey you, seek not a way against them. Lo! Allah is ever High, Exalted, Great.”
3. Shakir:
“…and (as to) those on whose part you fear desertion, admonish them, and leave them alone in the sleeping-places and beat them; then if they obey you, do not seek a way against them; surely Allah is High, Great.”
4. Al-Hilali & Mohsin Khan:
“….As to those women on whose part you see illconduct, admonish them (first), (next), refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly, if it is useful), but if they return to obedience, seek not against them means (of annoyance). Surely, Allâh is Ever Most High, Most Great.”
5. Dr. T.B. Irving:
“…Admonish those women whose surliness you fear, and leave them alone in their beds, and [even] beat them [if necessary]. If they obey you, do not seek any way [to proceed] against them. God is Sublime, Great.”
6. Muhammad Sarwar:
“…Admonish women who disobey (God’s laws), do not sleep with them and beat them. If they obey (the laws of God), do not try to find fault in them. God is High and Supreme.”
7. Rashad Khalifa
“….If you experience rebellion from the women, you shall first talk to them, then (you may use negative incentives like) deserting them in bed, then you may (as a last alternative) beat them. If they obey you, you are not permitted to transgress against them. GOD is Most High, Supreme.”
8. Abdul-Majid Daryabadi:
“…And those wives whose refractoriness ye fear, exhort them, and avoid them in beds, and beat them; but if they obey you, seek not a way against them; verily Allah is ever Lofty, Grand.”
9. E.H. Palmer
“…But those whose perverseness ye fear, admonish them and remove them into bedchambers and beat them; but if they submit to you, then do not seek a way against them; verily, God is high and great.”
10. Muhammad Ayub Khan:
“…And those whose rebellion you fear, admonish them and leave them alone in the beds, and beat them; then if they obey you, do not seek a way against them; God is surely High, Great.”
11. Ahmed Raza Khan:
“…the women from whom you fear disobedience, (at first) advise them and (then) do not cohabit with them, and (lastly) beat them; then if they obey you, do not seek to do injustice to them; indeed Allah is Supreme, Great.”
12. Hassan Qaribullah & Ahmad Darwish:
“…Those from whom you fear rebelliousness, admonish them and desert them in the bed and smack them (without harshness). Then, if they obey you, do not look for any way against them. Allah is High, Great.”
13. Mahmud Y. Zayid:
“…and (as to) those on whose part you fear desertion, admonish them, and leave them alone in the sleeping-places and beat them; then if they obey you, do not seek a way against them; surely Allah is High, Great.”
14. Muhammad Asad:
“…And as for those woolen whose ill-will” you have reason to fear, admonish them [first]; then leave them alone in bed; then beat them ;4s and if thereupon…”
হয়ত আইভি দাবী করবেন, উপরের অনুবাদকগন কেউই আরবী বঝেননি, কিংবা ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমি তার সাথে দ্বিমত করব। আমার মতে তারা সঠিক ভাবেই আয়াতের অর্থ বুঝেছিলেন, এবং সেজন্যই তারা ‘প্রহার’ অর্থেই অনুবাদ করেছিলেন।
আইভি যেটা বলছেন প্রহার ব্যবহার নাকরে ‘ত্যাগ কর’ / এড়িয়ে চল – অর্থে ব্যবহার করার কথা – সেটার শাব্দিক উৎস কিন্তু ভিন্ন। ওটার আরবী হল – “Adriboo Anhunna”
আইভি যে কোন আরবী স্কলারের সাথে কথা বললেই আমার কথার সত্যতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
আমার এই মন্তব্য কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, কেবল সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য দেয়া হল।
সবাইকে ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ দা, আমি আরবি ব্যকরণ জানি না, তবে আমার যা মনে হয়, রিফর্মিস্টরা শব্দের ব্যবহারিক অর্থ অনুযায়ী অনুবাদ না করে শব্দের মূলে গিয়ে অনুবাদ করছে। বাংলায় একটা শব্দ আছে “বেশ”। এই শব্দটার বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। যেমন, পাখিটা বেশ তো! এখানে ‘বেশ’ শব্দটা দ্বারা বুঝাচ্ছে ‘সুন্দর’। আবার, “পাখিটি বেশ বড়”- এখানে আরেক অর্থ। তেমনি আরেকটা বাক্যে, যেমনঃ- সে তার বেশ পরিধান করল- এখানে বেশ শব্দটার অর্থ পোশাক। এই ‘বেশ’-এর সাথে পরি ও প্র উপসর্গ দুটি যোগ করলে হয় যথাক্রমে পরিবেশ ও প্রবেশ। এখন মনে করি একটি বাক্যের ইংরেজি অনুবাদ করা হবে। বাক্যটি হলঃ- রহিম আমাদের পরিবেশ(প্রাকৃতিক পরিবেশ অর্থে) নষ্ট করছে। এখানে পরিবেশ এর ইংরেজি পরিভাষিক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে Environment। কিন্তু কেউ যদি পরিবেশ শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বেশ’ শব্দের বিভিন্ন অর্থের মধ্য হতে নিজের সুবিধামত ‘পোশাক’ শব্দটাকে চয়ন করে, সেক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করলে বাক্যটি হয়-“Rahim is spoiling our dresses”. এখানে বাক্যটা তার যোগ্যতা হারায় না ঠিকই, তবে এর আসল অর্থ থেকে বিচ্যুত হয়। ‘দারাবা’ বা ‘ইদ্রিবুহুন্না’র ক্ষেত্রেও কি এমনটা হচ্ছে না?
@অবিশ্বাসী,
হ্যা, আমিও ঠিক এ কথাই বলতে চেয়েছি। আরো দেখুন – ইউসুফ আলী, পিকথাল, সাকির, মোহসিন খান, রাশাদ খলিফা সহ কোরানের সুপরিচিত অনুবাদকেরা ‘প্রহার কর’ অর্থেই সুরা নিসার অনুবাদ করেছেন। কেন করলেন? আমার আপনার আরবী জ্ঞান তুচ্ছ হতে পারে, কিন্তু তাদের মত আরবী জানা বিখ্যাত অনুবাদকেরা কেন এটা করলেন – এই প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই করা যায়।
@অভিজিৎদা,
সত্য সবসময়ই বিশ্বাসীদের আঘাত করে।এটা মেনে নিয়েই সত্যানুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে। :-))
শিশু বানানটা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হয়েছে।
বউ পেটানোর আয়াতের নতুন অনুবাদকে অবশ্যই সমর্থন জানাই, কিন্তু এই নতুন অর্থ ও ব্যাখ্যার আগে যে অসংখ্য নারীকে এই অভিশপ্ত আয়াতের ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়েছে, তার জন্য দায়ী কে? যারা অনুবাদ করেছে তারা, নাকি আল্লাহ?
@অবিশ্বাসী,
দেখেন, কিছু দুই নম্বর আছে যারা আইন থাকুক আর না থাকুক , তার পথ সে বার করবেই । আর এই ব্যক্ষা নুতুন না , ইসলামী আইনবিদরা তাও জানেন । তারা , অধিকংশ(ফিকাহ) কতৃক সমর্থিত ব্যক্ষার দিকে যান ।
কয়জন নারী কতবিক্ষত হয়েছে তা আমার জানা নেই , কিন্তু আমি ও জানি চীন দেশেও খুন হয়, বোও পেটানো হয়, কিংবা আমেরিকায় । দুনিয়া শিক্ষিত(যদিও কিছু শিক্ষিত লোকরাও এসব করে) হইলে এটা কমে যাবে । এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন ।
তাহলে, কোরান শরীফ বার বার শিক্ষিত হওয়ার জন্য বলতেছে । তা চোখে পরে না । কোরান ত কোশলে তা বন্দই করতে চাইতেছে । কোরান শরীফ চাইতেছে, নারী-পুরুষের সম্মান মূলক এক সমাজ । কিন্তু, আপনারা কি করলেন , মুস্লিম ফিলসফীর মধ্যে জোর কইরা আপনাদের ফিলসফী ডুকাই দিলেন । কারবার সারা । মসুলমানদের ভিতর দুই ফিলসফীর জগরা হইবো , আপনারা বাইরে দাড়িয়ে হাসবেন , মসুলমান রা দিন কে দিন কু শিক্ষার দিকে যাইবে ।
@ফুয়াদ,
দুটিই এক। তবে চীনা কিংবা আমেরিকানরা যেখানে ২০/১০০ সেখানে ইসলাম কিংবা ইসলামিস্টরা ১০/১০০। বুঝলেন?
শিক্ষিত হলে এসব কমবে কি কমবে না, সেটা নির্ভর করে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর। শিক্ষাটা যদি মাদ্রাসা স্টাইল হয়ে থাকে, তাহলে তা কমবে তো না, বরং কয়েকগুণ বাড়বে। এবার শেষ প্যারাটার উত্তরও নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন।
@অবিশ্বাসী,
এখানেই আপনার পুরা প্রশ্নের উত্তর আছে । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
দাদা আপনাকে ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি মানবতাবাদী, মুক্তমনা দাবীদার কোন ব্যক্তি মানুষকে ঘৃণা করেনা, হউক সে যেকো্ন ধর্মের, বর্ণের বা সপ্রদায়ের। আমরা ঘৃণা করি সেই মতবাদকে, যে মতবাদ মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়। ধর্মের জন্মলগ্ন থেকে ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত মানুষ খুন হয়েছে অন্য কোন কারণে তত মানুষ খুন হয়নি। ধর্মের জন্যে মানুষ মানুষকে যত সহজে স্ব-উল্লাসে নির্দ্বিধায় হত্যা করতে পারে অন্য কোন কারণে সেভাবে পারেণা। ধর্ম মানুষকে বন্য-হিংস্র পশুত্ত্ব শিক্ষা দেয়, সে হউক যেকোন ধর্ম- হিন্দু, ইহুদী, খৃস্টান কিংবা ইসলাম। ধর্ম যতদিন থাকবে মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়ীকতা, বর্ণবৈষম্য, শ্রেণীবৈষম্য ততদিন থাকবে।
দাদা ভাই, আপনার মন্তব্য একটু ছোট্ট করলে ভাল হয়না? আর বানান ব্যাকরণ চেষ্টা করলেই তো ঠিক করে নিতে পারেণ, নিজের ভাষাটাকেই যদি সঠিকভাবে জানতে না পারেণ তাহলে বুঝবো কি ভাবে আপনি পরের বিদেশি ভাষা আরবী জেনে বুঝে কোরান হাদিস থেকে আমাদেরকে নসিহত করছেন।
@Akash Malik,
আপনি কি দেখেন নি ট্রসার বোমা, রাশিয়া কর্তীক নির্মিত, কমিঊনিজমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, যাকে “সকল বোমার পিতা বলা হয়”,। আপনি কি দেখান নি সেকুলাদের শক্তিশালী “সকল বোমার মাতা” । দেখেন নি যে কোন সময় পৃথিবী ধংশ হওয়ার সম্ভাবনা । কত ঘৃনা ছড়ানো হয়েছে নেশনালিজমের, পলিটিকাল পার্টি থেকে। আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন এথিস্ট কন্সেপ্ট নেশনালিজমের ভয়াল থাবার প্রথম আর দ্বিতীয় মহা-যুদ্ধ , পাঞ্জাবী নেশনালিজমের বাংলায় গন হত্যা । কত মানুষ, কত নিরাপরাদ আপনাদের রাক্ষশী অগ্রশনে ধংশ হয়ে গেছে, সে হিসাব রেখেছেন । দেখুন ত ক্যলকোলেশন করে । ধর্ম না নাস্তিকতা দায়ী বেশি ।
আপনি কি দেখেছেন এমন ব্যক্তি, যে তার আপন মা কর্তৃক রেলগাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া । তার জমে থাকা কষ্ঠ কি আপনি বোঝেন । না-হ কখনো বুঝতে চান নি । বুঝতে চান নি পশের দরিদ্র মানুষ গুলো কিভাবে বেঁচে থাকে, কার আশায় বেঁচে থাকে । আমি তাকে দেখেছি , তাদের দেখেছি । মানুষ মায়ের ভালবাসা না পেয়েও, শুধু মাত্র আল্লাহ সুবাহানাতালার ভালবাসায় বেঁচে থাকে । আল্লাহ সুবাহানাতালার আশা ঈ তার সব । Allah is the Light of the heavens and the earth তাই, এই কথার অর্থ আমি বুঝতে পারি । কিন্তু দুঃখের বিষয়, আপনাদের মত জ্ঞানী ব্যক্তিরা পারে না । নিজের জ্ঞানের অহংকারে অন্ধ । এ চোখ, কে আপনাকে খুলে দেবে । আল্লাহ সুবাহানাতালার দেওয়া স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন । আবার শেষ বিচার চাইবেন না । তা কি করে হয় জনাব । দেখা হবে শেষ বিচারে ।
আল্লাহ সুবাহানাতালাই সব ভাল জানেন ।
@ফুয়াদ,
কাইন্ডলি একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হত। ?:-)
@অবিশ্বাসী,
আকাশ মালিক সাহেব মনে হয় বুঝতে পারছেন, ঊনাকেই প্রশ্ন করেন । অথবা, উনাকে দেওয়া আমার জবাবটা ফল করেন । তাহলে, আমার মনেহয় বুঝতে পারবেন ।
@অবিশ্বাসী,
অসাধারন প্রশ্ন । অবশ্যই অাল্লাহকে নিতে হবে এই দ্বায়িত্ব, তার কোরঅান, তার বান্দা, ১৪০০ অপব্যবহার।
ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সবচেেেয় বড় অভিযোগ হলো, তার নামেই সবচেয়ে বেশি অধর্ম হয়েছে। এতোটাই দ্বায়িত্তহীন কেন মহান ঈশ্বর!!!?????????
আমরা যদি জেনেও না জানার ভান করি, বুঝেও না বুঝার অভিনয় করি, দেখেও দেখিনা, শুনেও শুনিনা, জেগেও জাগাইনা, তাহলে বাঙ্গালী মুসলমানজাতি যখন জেগে উঠবে ততক্ষনে জগতের ঘড়ির কাঁটায় বেলা দ্বিপ্রহর হয়ে যাবে। এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে, আমরা যখন কোরান হাদিস চষে নারীর রক্তস্রাব, হায়েজ-নেফাস, তালাক-হীলা নিয়ে ব্যস্ত, পৃথবীর মানুষ তখন চাঁদে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা ধর্ম রেখেও দাস-প্রথা বিলুপ্ত করেছে, শ্রেণী-বৈষম্য দূর করতে পেরেছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতি সাধন করেছে, এমন অজুহাতে ধর্ম রেখে মুসলিম জাতীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবেনা। এখানে গদাধর (রামকৃষ্ণ) আর জালালুদ্দিন রুমীর উপমা অবান্তর। আমি বরং ওমর খৈইয়ামের ভাষায় বলবো- নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতায় শুন্য থাক। আশা আছে সময় পেলে গদাধর আর জালালুদ্দিনের ন্যাংটা নৃত্যের ঈস্বরসন্ধান নিয়ে কিছু লিখবো। জানি ওসব অচল মুদ্রা, বর্তমান বিশ্ব-বাজারে এর কোন মুল্য নেই, ওসব তালাবদ্ধ শো-কেইছে মানায়, নতুন প্রজন্ম তা হাতেই তোলবেনা। গদাধর মা কালীর দর্শনার্থে আপন বুকে ছুরি মারতে উদ্দ্যত হন, দাবী করেণ কালীকে স্বচক্ষে দেখেছেন, এমনকি তিনি এক পর্যায়ে নবী মুহাম্মদকেও দেখেছেন বলে দাবী করেণ, যে দাবী অনেক মুসলমান আউলিয়া গাউস কুতুবও করেন নি। এমন উন্মাদের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাম্য হতে পারেনা। ছোট বেলা রামকৃষ্ণ বৃক্ষের আড়ালে লুকিয়ে জলের ঘাটে স্নানরত মহিলাদেরকে কাপড় বদলাতে দেখে পুলকিত হতেন, বড় হয়ে ৬ বছরের শিশু সারদামণিকে বিয়ে করেণ, এমন ইতিহাস আজিকার শিশুরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। কিতাবে আছে বৃদ্ধ বয়সে বাবা ক্ষুদিরামের সপ্নযোগে পাওয়া গদাধরের জন্মের আগামবার্তা, মরিয়মের জন্ম নিয়ে বৃদ্ধ নবী জাকারিয়ার সপ্ন দেখা, মুহাম্মদের স্ত্রী ৬ বছরের সিশু আয়েশা আর রামকৃষ্ণের স্ত্রী ৬ বছরের সিশু সারদামণি, মুহাম্মদ বায়তুল মোকাদ্দাসে তার পূর্বতন সকল নবীকে স্বশরীরে দেখেছেন, রামকৃষ্ণও বৃন্দাবনে রাম-সীতা, রাধা-কৃষ্ণকে দেখেছেন। গদাধর অশিক্ষিত ও মৃগীরোগী ছিলেন, মুহাম্মদ ও অশিক্ষিত মৃগীরোগী ছিলেন। থাক ওসব আলমারীর শোভা বর্ধনের উপাদান বা উলুপোকার খাদ্য হয়ে। সিরাজ শাহ, লালন শাহ, জালালুদ্দিন রুমী, ওমর খৈইয়াম, ফরিদুদ্দিন আখতার (শেখ ফরিদ) আমাদের জন্যে ভাল কবি হতে পারেন, আমাদের আগামী দিনের শিশুদের কাছে তারা অচল মুদ্রা, শুধুই ইতিহাস।
ধার্মিক হয়ে বৈজ্ঞানিক হওয়া যায়, কিন্তু বৈজ্ঞানিক হয়ে ধার্মিক হওয়া যায়না। পৃথিবী সমতল বিশ্বাস করি কারণ তা ধর্মগ্রন্থে লিখা আছে আর আমি একজন ধার্মিক, আবার পৃথিবী গোল বিশ্বাস করি কারণ তা বৈজ্ঞানিক সত্য, আর আমি একজন বৈজ্ঞানিক, এ মিথ্যাচার নয় কি? এখানে নতুন প্রজন্মের জন্যে শিক্ষাটা কি?
@Akash Malik,
সহমত।এদের থেকে শুধু কাব্যরসটুকুই নেয়া চলে। :-))
@Akash Malik,
যে তর্কের আগেই হার মেনে বসে আছে তার সাথে কি তর্ক করে মজা পাবেন? আমি তো আগেই বলেছি আমার বিশ্বাস আমি কোন যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারব না। আমি হাস্যকর নানান রকম যুক্তির অবতারনা করতে পারি তাতে বৃথাই তর্ক করা ছাড়া আর কিছু হবে না।
“সনাতন ধর্মীয় ধারনার বাইরেও আমার বিশ্বাস একজন ক্রিয়েটর আছে ”
কথার মানে খুব সহজ। আমার চোখে এখন আপনাদের কুদরতে সনাতন ধর্মগুলির মারাত্মক ত্রুটি ও ফাক ধরা পড়ছে। তাই আমি ইশ্বর বিশ্বাসী হলেও নিজেকে কোন ধর্মের লোক বলা যায় তা নিজেও জানি না। তবে ইসলাম, হিন্দুত্ব, জূডাইজম, খ্রীষ্টিয়ানিটি সব ধর্ম মিথ্য প্রমানিত হওয়ার সাথে আমার বিশ্বাসের তেমন সম্পর্ক সরাসরি নেই। সেজন্যই বলেছিলাম যে সনাতন বিশ্বাসের বাইরে আমার একজন ক্রিয়েটর আছে যেই ক্রিয়েটর সনাতন ধর্মগুলির ক্রিয়েটর থেকে অনেক বড়।
দেখুন আপনি বা কেউ নবী মোহাম্মদকে নিয়ে যত খুশী নেগেটিভ লিখুন আমার কিছুই বলব না, যতক্ষন পর্যন্ত যথাযথ ইসলামী রেফারেন্স দিচ্ছেন। তার জন্যই দেখেন আমি বিপ্লবের লেখার ভক্ত, আগেই বলেছি। গোলাম মোস্তফার বিশ্বনবীর সমালোচনাও যৌক্তিক হয়েছে বলেই আমি মনে করি। তবে আপনি যেমন বললেন; যে কারনে ১৫ শ বছর ধরে শুধু ভালই লেখা হয়েছে এ মানসিকতার প্রতিবাদ করি তেমনি প্রতিবাদ করব নবী মোহামদকে শুধু কিছু বাছাই করা হাদীসের ভিত্তিতে একতরফা ভাবে নারী লোলুপ, দুবৃত্ত, ভন্ড এইরকম রায় দিলে। নবী মোহাম্মদের নিঃসন্দেহে ভাল দিক ও অনেক আছে। তা কি চেপে যাওয়া সত গবেষকের লক্ষন? তাহলে যারা একতরফা তাকে শ্রেষ্ঠ মহামানব বলে চিত্রায়িত করে তার সাথে আপনাদের মৌলিক পার্থক্য কোথায় থাকল? দুটো কি দুই চরম পন্থা নয়? মুক্তমনা মানে আমার কাছে নিরপেক্ষ, কারো শুধু ভাল বা খারাপ দিক নিয়ে নড়াচড়া না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আমি মুক্তমণায় কাউকে জিজ্ঞাসা করিনি কেন শুধু ইসলাম বা নবী মোহাম্মদকেই বেশী আক্রমন করা হয়। আমি বুঝতে পারি তার যৌক্তিক কারন আছে। তবে আমি বুঝলেও এটা সবাইর চোখেই লাগবে যে মুক্তমনায় ইসলাম বা মোহাম্মদের সমালোচনামূলক লেখা অন্য ধর্মের সমালোচনা থেকে অনেক বেশী।
হাদিস বাদ দিয়ে মুহার আদর্শ কিভাবে মেনে চলবেন বুঝি নাই।আর কোরানই বা বুঝবেন কিভাবে?
আল্যা তাহলে ২৩ বছরে কোরান নাযিল করলেন বা করালেন কেন? আর এত বড় মহানবি পাটাইলেন বা কোন দুঃখে? যাই হোক আপনারা যে কিছু জিনিস বাদ দিতে শিখেছেন সেজন্য সাধুবাদ জানাই। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে বড়টাও বাদ দিতে পারবেন।
মানুষের কোন লেখাই নির্ভুল নয় । নির্ভুল নয় নিঊটনের Philosophiae Naturalis Principia Mathematica কিংবা Karl Marx এর Das Kapital: Kritik der politischen Ökonomie এ কিছু না কিছু ভুল থাকবেই ।আর ইমাম আবু হানীফা রঃ ( হানীফা ঊনার মেয়ের নাম, উনি উনার মেয়ের নামে পরিচিত) , বলেছিলেন , তোমরা আমার ফতোয়া গুলি কেন লিখে রাখতেছে, আমরা ত নির্দিষ্ঠ সময় অনুষারে দিতেছি । ইমাম আহমেদ রঃ একটি বই লেখার পর, কেঊ একজন ওই বইয়ের ভুল ধরার পর উনি বলেন , কোরান ঈ একমাত্র নির্ভুল গ্রন্থ । আইভি আপাকে অবশ্যঈ ধন্যবাদ, কিন্তু , যারা আগে ব্যক্ষা করেছিল তাদের নাম সম্মানের সাহিত নিলে কি ভাল হয় না, হয়ত তারা ভুল করেছেন । কি বলব ? আপনি ত রাসূল সঃ নামের শেষে সঃ ও বলেন নি ।
আদিল ভাই,
সমালোচনার চেয়ে সত্য খোজা অনেক ভাল, সমালোচনা করে আপনি বড় সমালোচক হতে পারবেন, বা মনে করতে পারেন এতেই সত্য বেড়িয়ে আসবে । কিন্তু এই ধারনা ভুল । কারন কথার ঊপর কথা থাকে । একের ঊপর আরেক সমালোচনা । আর জয় পরাজয় নির্ভর করে সমালোচকের উপর , ধরুন ডা জাকির এখানে লেখেন , দেখবেন উনি তর্কে জিতে জাইতেছেন । আবার, আরও বড় নাস্থিক তার্কিক আইলে হয়ত ডাঃ জাকির হেরেজেতে ও পারেন, আবার নাও পারেন । তারমানে তার্কিকের উপর নির্ভর করে । হাদিস গ্রন্থের সব কিছুই ভুল বা সুদ্ধ একেক জন একেক রকম বলবে । ইমাম বুখারী কোন দিন বলেন নাই , উনার বই ১০০% নির্ভুল । তাই, একঈ বিষয়ের অনেক গুলো হাদিস পড়লেই বুঝতে পারবেন । যদি সত্য চান, তাহইলেই । রাসূল সঃ একদিন (ইচ্ছে করেই ,যাতে তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা না হয়ে যায়, রাসূলের উম্মতের জন্য) তাহাজ্জুতের নামাজ মিস করেছিলেন, এ জন্য আল্লাহ সুবাহানাতালা তাকে সম্মধন করেছেন, কাপড়ে(বা লেপ বা কম্বল) আবৃত মনুষ বলে । উনি যে, রাত থেকে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তেন , পা ফুলে বড় হয়ে যেত তার পক্ষে অনেক অনেক হাদিস আছে(একটি গ্রন্থে নয়, বহু বহু গ্রন্থে) তাই এই {The Messenger (S) used to have intercourse with all of his wives in one hour of the day and night (without taking a bath) and these (wives) were eleven. The narrator tries to preempt an objection by stating that he had the (sexual) power of 30 men. [Vol 1 pg 189, Book of Bath #266].} ধরনের হাদিসে সমস্যা আছে, তা সহজেই বু্ঝা যায়।
হিন্দি অথবা হলিঊডের ছবি , (বাংলা ছবি কম কিসে ) কোন জিনিসটি ভাল, কোনটি ভাল নয়, এর এক নুতুন ধারনা তৈরি করেছে । এর ভিতর দিয়ে অন্যরা ভাল মন্দ বিচার করতেছে , ইসলামকে বিচার করতেছে । আর দিনকে দিন সত্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছে । খারাপ মানুষ সব সময় পৃথিবীতে ছিল, থাকবে । তাই, এরা ত যে দিক পাবে , নিজেদের বাচাতে , সে দিকেই যাবে । কেঊ ধর্মের আড়ালে , বা নাস্তিকতার আলোকে নিজেকে বাচাতে চাইবে । যে ভাবে পারে সে ভাবেই চাইবে । আল্লাহ সুবাহানাতালার বিচারে কেও বাচবে না । কেঊ ফাকি দিতে পারবে না । এই ত কয়দিন আগে পত্রিকায় পড়লাম , নারী বিপ্লব এর পর থেকে বর্তমানের নারী রা অনেক অসুখী (রেফারেন্স দিতে পারবো না, এম এক্স পত্রিকায় পড়েছিলাম)। আমার দাদা আমাকে বলেছিলেন উনি যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি দেখেছেন, বাড়ীতে মহিলাদের সম্মান ভিন্ন, কারো মেয়ে থাকলে সে বরং অনেক খুশি হত । সব সময় সব দেশে একই আবস্থা বিরাজ করে না । কিছু সময় মানুষ ভাল থাকে , কিছু সময় খারাপ থাকে । কিছু সময় নির্দিষ্ঠ পরিমান মানুষ নির্দিষ্ঠ সময় ভাল থাকে, আর কোন সময় থাকে না । মনে করুন, আল্লাহ সুবাহানাতালা একটা পগ্রাম বানালেন, অইটা নিজ মতেই চলে, চলতে চলতে এক সময় নিজের আশপাশে দেখে অইটার ভিতরের কেঊ বল্ল কোন গড নাই । তাহলে কি হাস্যকর হয় না ।
কেঊ যদি বলে, কি দরকার ছিল এই পরিক্ষার ? কেন এই পরিক্ষা ? এখন শেষ বিচারে যদি আল্লাশ সুবাহানাতালা আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়া দেন । তাহলে কি হবে । দুঃখ, কষ্ঠ , সুখ , এ সব কিছুর ধারনা আপেক্ষিক ।
ধর্ম বলতে , এখন শুধু ইসলামকেই বুঝায় , অন্য গুলো, তাদের কালচারের মত হয়ে গেছে । ধর্মের কিছু বাকি নাই । থাকলেও অনেক কম । আরও কিছু বের হয়েছে , যারা নিজেদের এক ঈশব্রবাদী দবি করে । নিজেদেরকেও আল্লাহ সুবাহানাতালার পথের পথিক বলে, কিন্তু সব কিছু সহজ না , এ জন্য ঈ আল্লাহ সুবাহানাতাল কলিমাতে রাসূল সঃ এর নাম জরিয়ে দিয়েছেন , “লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহামাদুর রাসুল্লাহ ” তার মানে, মুহাম্মদ সঃ যে আল্লাহ সুবাহানআতালার কথা বলতেছে ওই আল্লাহ সুবাহানাতালা কে বিশ্বাস কর ।
আল্লাহ সুবাহানাতালা কেন এত ব্যক্তি থেকে এক মুহাম্মদ সঃ কে সিলেক্ট করলেন, কেনঈ বা আরবি ভাষা ইত্যাদির প্রশ্নের কোন ভিত্তি আছে ! উনি যদি মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি কর্তা হয়ে থাকেন, তার ত এমন ঈ হওয়ার কথা নয় কি ? তিনি কেন অন্ন্যের ধার ধারি হতে যাবেন। উনি যাকে ইচ্ছা সিলেক্ট করবেন, যে ভাষা ইচ্ছা ওই ভাষাতেই দিবেন ।
যারা মনে করেন যে পৃথিবীর অনেক মানুষ দুজকে যাবে তাদের কি হবে ? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যারা অস্থির, তাদের বলি , আপনারা কি মনে করেন বেহেস্থ বা দুজকের কোন মানে নাঈ । ওই খানে গেলেই বুঝতে পারবেন কি বিষয় । তবে, আল্লাহ সুবাহান্তালার শাস্তি কোন সহজ বিষয় না, তাও বুঝি । তবে, কারো প্রতি যে অন্যায় করা হবে না , তাও বুঝি ।
যাইহোক, আমার এই লেখার প্রতিটি বিষয় লাইনে লাইনে রিভিউট করা যাইবো, দরকার নাই । আদিল ভাই, আপনার অন্যন্য লেখা দেখে আপনাকে ভাল মানুষ মনে হল, তাই আপনার চিন্তার জন্য এই বিষয় গুলি লিখলাম । আমাকে মাফ করবেন । আর অন্যদের বলি, এই লেখার সমালোচনার দরকার নাই । প্রতিটি লাইনে লাইনে উত্তর করতে পারবেন আমি জানি ।
@ফুয়াদ,
প্রথমেই বলি, আমি শুধু ইসলাম বা কোন ধর্মের সমালোচনা শোনার জন্য এখানে আসি না। আপনি যা বলতে চাইছেন তাই, আমি সত্য জানার জন্যই আসি। তাই যুক্তিপূর্ন কথা আইভি বা আপনি বললেও মানব বা অভিজিত/বিপ্লব এরা বললেও মানব।
আইভির থেকে জেনেছি যে বুখারী হাদীস শরীফ সম্ভবত বুখারী সাহেব লিখে যাননি। জাকির নায়েক সাহেবের সমালোচনা আমি শখ করে কেন করতে যাব বলেন? উনি নিজেই আজগুবি যুক্তি বিশেষ করে বিবর্তনের বিরদ্ধে ডাহা মিথ্যা (হতে পারে অজ্ঞানতাবশতঃ) কথা বলেছেন, এটা বুঝতে কোনরকম বিতর্কের দরকার হয় না।
আল্লাহ কেন আরবী ভাষাতেই কোরান পাঠালেন এই রহস্য আমার কাছে দিন দিন আরো রহস্যাবৃত হচ্ছে। আপনার মত কঠিন বিশ্বাসী হলে সহজেই বলে দিতে পারতাম ওনার যা ইচ্ছে করেছেন…ল্যাঠা চুকে যেত। কোন আয়াতের প্রকৃত অর্থ কি, দারাবা মানে পেটানো নাকি এড়িয়ে চলা এগুলি নিয়েই বা কেন মাথা ঘামানো বলেন। ওনার সৃষ্টি নারী উনি পুরুষকে পেটাবার অধিকার দিতেই পারেন। আমি কোন বাপের ব্যাটা এর বিরুদ্ধে কথা বলার? এ লাইনে চিন্তা করলে কোনরকম বিতর্ক থাকে না। নাস্তিকদের ও কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
নারী বিপ্লবের পর নারীরা বেশী অসূখী এ জাতীয় খবরের উপর খুব একটা ভরষা করবেন না। ২০০৪ কি ২০০৫ এ বিবিসি একবার জরিপ করে বের করেছিল যে আমাদের বাংলাদেশের মানুষরাই নাকি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী সুখী। আপনার কি মনে হয়? বেশী কিছু বলছি না, শুধু বলতে চাই যে দেশের ধনী দরিদ্র সবার জীবনের লক্ষ্য থাকে (কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে) যেকোন উপায়ে উন্নত বিশ্বে একটা ঘাটি গাড়ার সে দেশের মানুষ সবচেয়ে সুখী এহেন দাবী চরম হাস্যকর নয়?
ধর্ম বলতে শুধু ইসলামকেই বোঝায় বলছেন। বাকি সব ধর্ম শুধুই কালচার। সে ইসলাম আসলে কি? কারা সেটা পালন করছে? যারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ, ৩০ রোজা, হজ্জ করছে শুধু তারাই? এগুলি কি আসলে স্রেফ কিছু রিচূয়াল পালন নয়? এসব রিচূয়াল পালনে কৃতিত্ত্ব বেশী নাকি নাকি সত উপায়ে জীবন যাপন বেশী গুরুত্তপূর্ন এবং বেশী কৃতিত্ত্বের বলে আপনার মনে হয়? আমার কাছে তো যিনি হাক ডাক করে মসজিদে গিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে নানা কুকুর্ম করেন তার থেকে যিনি নামাজ রোজার ধার ধারেন না কিন্তু ব্যক্তি জীবনে সত তাকে অনেক বেশী ধার্মিক মনে হয়।
আমি জানি না নিজে কেমন মানুষ বলে, তবে এই ফোরামে নিশ্চয়ই ভাল মানুষ আরো আছেন। হতে পারে বেশীরভাগই নাস্তিক, তার মানে কিন্তু মানুষ খারাপ এমন ধারনা কিন্তু অত্যন্ত অন্যায়, তাই না?
@আদিল মাহমুদ,
আমি জানি না , মুক্তমনায় আসলে কি সত্য শিখতে পারবেন , আমার জাষ্ট একটা রিকোয়েষ্ট, এখানে কেঊ কিছু বললেই বিশ্বাস না করে , নিজে ঐই বিষয় নিয়ে কিছু রিসারচ করেন । তাহলে, কিছু পাইলেও পাইতে পারেন । এখান কার ব্যক্তিরা , হাদিস কোরান যে নিজস্ব উদ্দশ্যে ব্যবহার করে , তা বুঝছেন কি না , আমি জানি না ।
আর মুক্তমনায় যেখানে সরাসরী আল্লাহ সুবাহানাতালা(মাফিয়া ডন) আর রাসূল সঃ কে গালিগালাজ করে, তারা সত্যের সন্ধান পাবে বলে মনে হয় না। আর আপনি নিজেও যদি পান, দেইখেন অনেক দেরী যেন না হয়ে যায় । এই সত্য মিথ্যার খেলায় মানুষ গুলি বলি হইতেছে । দয়াকরে, এক খানা তফসির পরেন কোরানের প্রথম থেকে । কিছু ইলজিকাল কথা পাইবেন, কিন্তু সহজেই বুঝতে পারবেন তা কি বা তফসীর কারকের ভুল নাকি।
ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
আমি তো মনে করি আমি আপনার, আইভি- সবার লেখা থেকেই অনেক কিছু শিখছি। আর মুক্তমনা এই শেখার নীতিতে বিশ্বাসী বলেই আপনাদের কমেন্ট বা পোস্ট আটকানো হয় না। আপনারা স্বাধীন ভাবেই আপনাদের কথা এই প্ল্যাটফর্মে এসে বলতে পারছেন। তারপরেও এত বিরাগ কেন? মতামতের অমিল কিংবা দর্শনগত মতবিরোধ তো থাকবেই, তা বলে ব্যাপারটাকে শত্রুতায় নিয়ে যাবার তো কোন মানে নেই, তাই না?
আমরা আল্লাহ রসুল কেন, যে কোন আউকেই অযথা গালিগালাজ করাকে নিরুৎসাহিত করি। আপনি নিশ্চয় দেখেছেন যে, গালিগালাজের জন্য এর আগে নাস্তিক-আস্তিক নির্বিশেষে ওয়ার্নিং দেয়া হয়েছে। যুক্তি যদি দৃঢ় হয়, তবে অযথা গালিগালাজের কিন্তু দরকার পড়ে না। আর একটা কথাও বলি এ প্রসঙ্গে। আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন – আপনার মন্তব্যও কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই যে ভদ্রতা/সভ্যতার সীমার মধ্যে থাকে? অনেকেই কিন্তু দ্বিমত করবেন। এর আগে কেউ কেউ এ নিয়ে বলেছেনও দেখলাম। খেয়াল করেছেন কি? আপনি সম্ভবতঃ আল্লাহ রসুল নিয়েই চিন্তিত, জগতের আর কিছুর প্রতি আপনার কোন মাথা ব্যাথা নেই। কাজেই সেগুলো হয়ত আপনার কাছে গালিগালাজও নয়, কোন অপরাধও নয়। আমি অবশ্য অন্য মানুষের অধিকারের ব্যাপারটাও মাথায় রাখার চেষ্টা করি, এবং অনেক ক্ষেত্রেই ক্লপিত সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বেশি। তারপরেও আপনি মুক্তমনায় আগের মতই লিখুন তাই আমি অন্তর থেকে চাই। শুধু একটাই অনুরোধ অযথা বৈরিতা সৃষ্টি করার কিন্তু দরকার নেই।
@ফুয়াদ,
আমি কারো কথাই এখন আর ধ্রুব সত্য ধরে নেই না যাচাই বাছাই করা ছাড়া। ছোটবেলা থেকে ধর্মের নামে অনেক আবর্জনা মাথায় ঢোকানো হয়েছে যেগুলি এখন জানতে পেরেছি সব গালগল্প আর আবেগের বশতঃ বাগাড়ম্বড়। মুক্তমণায় অনেক কিছু শিখেছি, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আজকাল যাচাই করা খুব কঠিন কিছু নয়, হাদীস কোরানের অসংখ্য ভার্ষন অনলাইনেই আছে। মুক্তমণায় কিন্তু আস্তিক নাস্তিক সবাইকেই সমান সূযোগ দেওয়া হয়। আপনার কোন বক্তব্য কি এরা ছাপায়নি এমন নজির আছে? এনারা ভুল তথ্য দিলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন, তবেই না আলোচনা জমবে। একতরফা লেখা আমারো ভাল লাগে না।
@আদিল মাহমুদ,
বিপ্লব দার যেমন নামজী ধার্মিক দেখলেই তাকে ভন্ড মনে হয়, তেমনি আমার ও এখন নাস্তিক দেখলেই মনে হয় ভন্ড । সহজ সরল মানুষের মাথায় পচা জ্ঞানের কাঠাল ভাঙ্গে খায় ।
আর সমালোচনা ত ভাল কথা, অনলাইনে যে গালি গালাজ দেখলাম , আর দেখতে বাকি নাই । গালি গালাজ আর সমালোচনা এক কথা না । সেটে ত আপনি মানেন ।
তাদের একজন(নাস্তিকের ধরমোকথা) ব্লাগে(http://www.somewhereinblog.net/blog/nastikerdharmakathablog)
@ফুয়াদ,
বিপ্লবের সে কথার প্রতিবাদ কিন্তু আমি করেছিলাম কারন আমি জানি অমন ধারনা সঠিক নয়, ঠিক তেমনি সঠিক নয় সব নাস্তিকই খারাপ এহেন ধারনা। দুটো হল দুই এক্সষ্ট্রীম। এধরনের চিন্তাভাবনা আস্তিক নাস্তিকের বিভেদকে বেহুদাই বাড়াবে। আসলে মানুষ ভাল নাকি খারাপ তা ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে না।
আমরা বাংগালীরা জাতিগতভাবেই যুক্তিপূর্ণ আলোচনা তেমন চালাতে পারি না। সহজেই উত্তেজিত হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু করে দেই। নূতন কিছু নয়, সামনাসামনি যেমন হয়, অনলাইনেও হয়।
@ফুয়াদ,
মানুষের লেখার ভুল ধরার আগে নিজের মাতৃভাষাটা আগে লিখতে শিখুন। :laugh: :laugh: :laugh:
আপনার বানান কৌতুক,আর আপনার যুক্তি?? :laugh: :laugh: :laugh: :laugh:
@আগন্তুক,
আমি আগেই বলছিলাম এখানে কমেন্ট না করার জন্য । বানান আমার ছোট কাল থেকেই ভুল হয় , আমি ও ভুলে ভরা হাজারো মানূষের এক মানুষ । আমার যুক্তি গুলো আপনি বুঝবেন না । শুদ্ধ মনে একবার কোরান পুরো পরে দেখুন , এই পৃথিবী অন্য রকম দেখতে লাগবে । আর এ রকম ভাবতে পারেন,
দেখা হবে শেষ বিচারে । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
তথাস্তু!!!!! :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh:
@ফুয়াদ, হুমমম অই পর্যন্ত অপেক্ষায় রইলাম।।
@ফুয়াদ,
এজন্যই তো কোরানে এত ভুল। 🙂
কোন দুঃখে একজন লোক বিনাযুক্তিতে আল্লাহ সুবাহানাতালাকে মহাবিশ্বের ‘সৃষ্ঠি কর্তা’ হিসেবে মানতে যাবে?
@ফুয়াদ,
Truth ba Saty ek matro somalochona karlei ase..refutation ba attempt to falsification-is the only foundation of truth.
That’s why religious truth is nothing more than rotten eggs in the dustbin.
@বিপ্লব পাল,
আমি এখানে কি জবাব দিব যে মনে করে ,
আপনার আর আমার অবস্থান ভিন্ন । সত্য যে ডস্টবিনে না, সেটা আপনি ভাল করেই জানেন । না হলে এর পিছনে এত মানুষ পাইতেন না । না-কি অই মানুষ গুলো ও ডাস্টবিনের অংশ । কিন্তু ডাস্টবিনের অংশ এই মানুষ গুলো কে নিয়ে আপনাদের কি সমস্যা । আপনারা তো মাহা-আনন্দে আমাদের উপর আপনাদের সব আবর্জনা ফেলতেছেন । ফেলেন- খুশি থাকেন ।
ভুলেও যেন আমাদের কথা গুলো একবার ও না দেখেন , আমরা যে এক আল্লাহ সুবাহানাতালার কথা বলতেছি । আমরা সমাজ রক্ষা করে চলছি যুগ যুগ ধরে । তাহলে, কারা আবর্জনা, কারা অন্যায়কারী তা শেষ বিচারেই দেখা যাবে । আল্লাহ সুবাহানাতালাই সব ভাল জানেন ।
ধন্যবাদ ।
হাদীসের ক্রেডিবিলিটি খুব সামান্য বুঝলাম (বুঝতে আসলে অত আলোচনা লাগে না)। কিন্তু তাহলে নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে জানার বিশ্বাসযোগ্য উপায় কি? কোরানে তো তার কথা আছে খুবই কম। বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন তো যেকোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ সম্বন্ধেই করা যায়। হাদীস ছাড়া আর কোন ইতিহাস বইতে যদি নবী মোহাম্মাদ সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা থাকে তাহলে তাকে কি মেনে নেবেন? এক কথায় উড়িয়ে দেবেন না এগুলি সবই ইসলাম বিরোধীদের ম্যানুফ্যাকচার বলে? মোহাম্মদের যে সেযুগের আরব দেশে সমাজ সংস্কারক হিসেবে অত সফলতা তাই বা আমরা কিভাবে জানব? আল্টিমেটলি কি সেই গোড়াতেই ফিরে যেতে হবে না যে পুরো ইভ্যালুয়েশনের ব্যাপারটা আসলে বিশ্বাসভিত্তিক?
নাস্তিকরা ভুল হাদীস নিয়ে মাতামাতি করে দোষ করতে পারে, কিন্তু তারা কেন সেই সব ভুল হাদীসকে অত গুরুত্ত্ব দেয় তা সে বিষয় বোঝা আরো বেশী গুরুত্ত্বপূর্ন। শুধু হাদীস লেখক আর নাস্তিকদের উপরই দায় চাপিয়ে দিলেই হবে? আপনার কাছে যেসব হাদীস ভুল বলে প্রমান হচ্ছে, অধিকাংশ মোসলমানের কাছে (মনে হয় ১০০% না হলেও ৯৫% এর বেশী হবে) এসব হাদীস গ্রন্থ পরম পবিত্র। এমন যদি হত যে ইসলাম ফলোয়াররা এসব হাদীসের কোন গুরুত্ত্ব দেয় না তাহলে না হয় বলা যেত যে নাস্তিকেরা নন ইস্যুকে নিয়ে মাতামাতি করছে।
একই কথা বলা যায় কোরানের অইসব “দারাবা” জাতীয় কথাবার্তার ব্যাখায়। যদি দেখানো যেত যে আরব দেশে বা মোসলমান দেশে কেউ ধর্মের নামে বউ পেটায় না তাহলেই অমন ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত হত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রে কি আছে তা মন দিয়ে শোনা বেশী গুরুত্ত্বপূর্ন নাকি সেই সুত্রের প্রয়োগে রকেট কিভাবে ওড়ে তা বেশী গুরুত্ত্বপূর্ন?
সব নাস্তিকরাই হাদীস ঘেটে শুধু মোহাম্মদের খারাপ দিক ধরে তাকে অত্যন্ত বদ কোন চরিত্র হিসেবে চিত্রায়িত করেছে এ অভিযোগ সত্য নয়। এমন কেউ কেউ আছেন। তাদের ঊল্টা আছেন আরো অনেক বেশী, যারা হাদীস ঘেটে মোহাম্মদের ভাল ভাল কাহিনী কোট করে তাকে সর্বকালের মহামানব বলে প্রমান করেন। এরাই বা কেন রেহাই পাবেন? বিপ্লব পালের মত কিছু লেখক আছেন যারা ভাল খারাপ দুদিকই বিবেচনা করে মোটামুটি ব্যালেন্সড চরিত্র বিশ্লেষন করছেন। মোহাম্মদ বা ইসলামের সেই যুগের আরব সমাজে অসীম গুরুত্ব ছিল তা তারা ষ্পষ্ট ভাষাতেই স্বীকার করছেন।
@আদিল মাহমুদ,
হাদীসের ক্রেডিবিলিটি খুব বুঝতে যদি এত আলোচনার প্রয়োজন না হয় তা হলে দেখুন এই সাইটে বেশির ভাগ রেফারেন্স বুখারী, তাবারী থেকেই নেয়া। আমার এই হাদীস ক্রেডিবিলিটির প্রশ্ন মুসলিম এবং অন্যান্য সবার জন্য। যে বই এত অথেন্টিক দাবী করা হয় সেখানে এত absurd বিষয় কেন? কোরান ও হাদীস নবী সম্পর্কে সম্পূর্ণ দু’রকম কথা বলে কেন?
আবারও প্রশ্ন করি, উপায় না থাকলেও কি সবেধন নীল মনি হাদীসগুলোর উপরই কি নির্ভর করতে হবে? আর আমি কোন কথাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমি নাস্তিকদের এই ভুল হাদীস নিয়ে মাতামাতিতে এ জন্যই বিরক্ত যে, কোরানকে তো তারা গাঁজাখুরী, মুহম্মদের বানানো কীর্তি বলে ঘোষনা দিয়েই দিয়েছে; হাদীসের absurdity দেখে সেটাও বাদ, রেফেরেন্সের অযোগ্য বিবেচনায় আনছে না কেন? আমি তো এই সাইট থেকে বুঝেছিলাম মুক্ত-মনারা think & reflect অনুযায়ী চলে। সেক্ষেত্রে হাদীস লেখকদের background নিয়ে একটু গবেষনা করলেই তো আসল খবর বের হয়ে আসে। শুধু মাত্র তর্কের খাতিরে হাদীস-বিশ্বাসী মুসলমানদের শায়েস্তা করাটা কোন কাজের কথা না। বলুক তারা মুসলমানদের কোরান-হাদীস দুটোই বানানো। তা তো বলছে না। বরং কোরান বানানো আর হাদীস কালের সাক্ষী হিসেবে অধিক জনপ্রিয়।
কেউ একদিন “দারাবা” মানে বউ পেটানো এই অর্থ দিয়েই ধর্মের নামে শুরু করেছিল এখন সেটা কি থামানোর কোন দরকার নেই? না কোরানের নামে যা চলছে চলুক। অন্যায়ের প্রতিবাদ ব্যপারটি তা হলে কিভাবে শুরু হবে? সূত্রটি কিছু ক্ষমতাবান, অসভ্য লোকের কারনে কি ভুলভাবেই শিখে যাব?
যা একবার ব্যাখ্যা হয়ে গেছে সেটাই সতঃসিদ্ধ?
আমি কোন পক্ষেরই না। কেউ যদি চরিত্রগত সংযম, স্হিরতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা দেখাতে না পারে তাকে আমরা প্রফেট হিসেবে মানবই বা কেন? সে তো আর সাধারন মানুষের মতই। হাদীস অনুযায়ী মুহম্মদ একজন সাধারন লিডারের চেয়েও নিম্নস্তরের যার জীবনের শেষ ২২/২৩ বছর কেটেছে নারীভোগ আর নামাজের পাটিতে।
@আইভি,
” কেউ যদি চরিত্রগত সংযম, স্হিরতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা দেখাতে না পারে তাকে আমরা প্রফেট হিসেবে মানবই বা কেন? সে তো আর সাধারন মানুষের মতই।হাদীস অনুযায়ী মুহম্মদ একজন সাধারন লিডারের চেয়েও নিম্নস্তরের যার জীবনের শেষ ২২/২৩ বছর কেটেছে নারীভোগ আর নামাজের পাটিতে”
যার জীবন ও চরিত্র নিয়ে আপনার ক্ষোভ আছে বা সন্দেহ আছে, সে লিডারের উপর নাজিল হওয়া কোরানের সত্যতা নিয়ে আপনার সন্দেহ কেন আসেনা তা তো বুঝলাম না।
হাদীসকেও যদি বাতিলের খাতায় ফেলতে হয়,তবে মুহম্মদের আর কি প্রয়োজন ছিল? আর আপনি যদি হাদিসকে বাতিলের খাতায় ফেলেন, সে হিসাবে আপনি মুহম্মদকেও বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন। তাতে করে আপনার ঈমান যে ছুটে গেছে,এবং আপনি যে কাফির হয়ে গেছেন তা নিয়ে আর কোন সাচ্চা মুসলমানেরই(!! ঠিক কারা সম্পূর্ন বা সাচ্চা মুসলমান তা আমার জানা নাই) সন্দেহ থাকবেনা যে আপনি কাফির :-)) কারন আপনার এই হাদীস বিরোধিতা ঈমানের সাতটি মূল বিষয়ের দূই নম্বর শর্তের বিরোধী। দুই নম্বর শর্তটি হল,- নবী রাসূল ও তাদের বানীর উপর নিঃশর্ত বিশ্বাস রাখা( এটা সম্ভবত তিন নম্বর,আমার ঠিক মনে নেই)
@tanvy,
আমি তো শিখেছিলাম পাঁচটা। আর দুইটা কি?
জানেন, কোরানে এই সাত-পাঁচের কথা নেই আছে শুধু হাদীস বইয়ে।
@আইভি,
ছিয়া ছিত্তার সত্যতা নিয়ে চ্যালেজ্ঞ। আপনাদের সাহস আছে।যাক গিয়া। বোঝাগেল হাদিসে এত বেশি সমস্যা আছে যে এগুলির যাচাই-বাছাইও অবান্তর এখন। মানে সব ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। দিলাম। এখন মুহাম্মদকে জানার উপায় কি ? দুশত বছর পরে বুখারিরা হাদিস সংকলনে নেমেছিলো বলে যদি তারা দিভ্রান্ত হয়ে থেকে থাকেন তবে আজকে ১৪০০ বছর পরে নেমে আপনারা কিভাবে সত্যের কাছাকাছি জাবেন, মানে কোন পদ্ধতিতে আপনারা কাজ করবেন একটু ব্যাখ্যা করলে সুবিধা হতো। মানে আরো অনেক বিতর্কিত ইতিহাসের ক্ষেত্রে আপনাদের পদ্ধতিটা প্রোয়োগ করা যেত।
শোনেন একবার এক রাজা স্ব্প্নে দেখলো- তার রাজ্যে এক ভয়াবহ বিপদ আসছে। তার পরিত্রানের একমাত্র উপায় যদি সে বলতে পারে ২+২= কত ? তবে প্রশ্নকর্তা বলে দিয়েছিলো উত্তরটা আর যাই হোক ৪ হবেনা।
তো সে পরেরদিন দেশের সব বড় পন্ডিৎদের কাছে এর সমাধান চাইলো। রাজা কারো উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে না পেরে একে একে সবাইকে হত্যার নির্দেশ দিলো। এমন সময় এক রাখাল একটা ময়না পাখি হাতে নিয়ে দরবারে ঢুকলো। বললো, সে উত্তরটা জানে। রাজা তাকে ব্যার্থতার পরিনাম মনে করিয়ে দিলো। তার পরও সে বললো সে উত্তরটা জানে। রাজা তাকে তার উত্তর পেশের অনুমতি দিলো। উত্তরেথ সে বললো- আমার সাধের ময়না, কোন কথা কয়না। রাজা বললেন খামস বেয়াদব, জল্লাদকে ডাকাহোক—। রাখাল বললো জাহাপনা এর সঠিক উত্তরটা কি ? মৃত্যুর পূর্বে খুবি জেনে যেতে ইচ্ছে করছে।
এইবার রাজা পড়লেন মহা বিপদে। কারন উত্তটা তার জানানেই। রাখাল তখন বললো, জাহাপনা তাহলে আমার উত্তরটা ভুল এটা আপনি বুঝলেন কি ভাবে, সেখানে আপনি নিজেই উত্তরতা জানেন না।
আমি যদি বলি নিউটনের সুত্রগুলো ঠিক না, তাহলে আমাকেই আধিকতর গ্রহন যোগ্য সুত্রটাকি সেটা বলতে হবে। সুতরাং হাদিস ঠিক নেই তাহলে ঠিকটা কি সেটাতো আপনাদেরকেই বলতে হবে। এখানেও শুধু বলেই দায়িত্ত্ব শেষ করা যাবেনা। কেন আপনারটাই ঠিক সেটাও আপনাদেরকেই বলতে হবে।
আপনারা কি কোরানের সঠিক অর্থ করার কাজ শুরু করেছেন, নাকি করে ফেলেছেন ? নাকি এত বিশাল কাজ এক জীবনে সম্ভব না ? খুব ইচ্ছা করছে আপনাদের করা কোরানের অর্থ ও ব্যাখ্যার পূর্ন সংকোলোন হাতে পেতে।
এভাবে খামচে খামচে কুমিরের বাচ্চার মত একটা একটা
ব্যাখা সামনে আনলে আলোচনাটা অসম্পূর্নই থেকে যাবে।
আর একটা ব্যাপরে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাচ্ছি।
কোরানের আনেক ভুল সংকোলোন খলিফা ওসমান পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। হাসেমিরা ওসমানের বিরুদ্ধে তখন কোরানকে বিকৃ্ত করার অভিজোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিল। হাসেমিরা কিন্তু আর কখনই নিজেদের ক্ষমতাকে সেভাবে সংহত করত পারেনি। আলীর অশান্ত ছয় বছরের শাসন কালের পরেই কিন্তু মুয়াবিয়ার ২০ বছরের শাসন কাল।
মুহাম্মদের মক্কা বিজয়ের পরে ইসলাম গ্রহন করেছিলো মুয়াবিয়া। তার সময়ে কোরানের উপরে যেটাকে বলে ডক্ট্রিরিং হয়নি সেটা কিভাবে নিশ্চিৎ হওয়া যায় যেখানে ভুল সংকোলোন পোড়ান হয়ে ছিলো মুহাম্মদের মৃত্যুর প্রায় ত্রিশ বছর পরেও। আর সেগুলোর ভুলের ব্যাপারে হাসেমি ও উমাইয়াদের মধ্যে তখনো দ্বীমত ছিলো। এখনো শিয়া, সুন্নিরা নামাজের ওয়াক্ত কয়টা সেই মৌ্লিক প্রশ্নে একমত হতে পারেনি।
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছিলো, কোরান সত্য কারন কোরানের ওমুক আয়াতে বলা হয়েছে কোরান সত্য। তাহলে আর আলোচনা করার কোনই মানে হয়না।
@আতিক রাঢ়ী,
আসলেই কি আপনি কোরানের ইতিহাস জানেন ?
এসব ফাওল কথা বার্তায়, মুক্তমনাদের বোকা বানাতে পারবেন । বিভিন্ন জায়গায় যে আয়াত বিছিন্ন আয়াত গুলো ছিল, ঐ গুলি পুরিয়েছেন । কোন সংকলিত কমপ্লিট কোরান নয় । ইনকমপ্লিট মানেই সমস্যা বা ভুল। যেমন ঃ এখানে পস্রাব করিবেন …… তাই পুরা হয়েছে ।
হাজার হাজার হাফেজ সাহাবী ছিল, যারা সাক্ষী ছিল । আর হযরত আলী রঃ নিজেই বলেছেন , আমি যদি হইতাম তাহলে আমিও তাই করতাম । হুদাই হাসেমি, উমাইয়া ঝগরা নিয়া আসে ন । কয়দিন আগে ছড়ানো হল, সোদি বাৎস নাকি সূরা তওবার দুঈ আয়াত নাকি কোরান থেকে বাদ দিয়ে দিয়ছেন । মওলানা মহিউদ্দিন খান তা সুনে বলেন ঃ আমি পূরা সূরা ওই খানে পাঠ করতে দেখছি বাৎসার কাছেই ।
শিয়া রেফারেন্স দিয়া , আমাদের বোকা বানাতে পারবেন না । আকাশ মালিক তার বই কি করলেন, কিছু শিয়া যুক্তি আর কিছু ক্রিষ্ঠান আর সেকুলার দের যুক্তি মিলিয়ে , এক খান বইলেখে ফেললেন । ভাবলেন, হ লেখে ফেলেছি এক নির্ভুল বই ।শিয়া যে ইহুদী ইবনে সাবার(ইবনে সাবার নাম অবশ্য কোথাও উল্লেখ করছেন) সৃষ্ঠি তা কোশলে এড়িয়ে গেলেন । যারে হজরত আলী রঃ আগুন দিয়া পূড়াই ছিলেন । শিয়া সোর্স তো ইসলামের বিপরীতেই থাকবে তাই স্বাভাবিক । তাই, আকাশ মালিক কি করলেন ,প্রথমে সুন্নি সোর্স ব্যবহার করে,তারপর শিয়া ব্যাক্ষা ও সোর্স ব্যবহার করে ফেললেন আবার সেকুলার ক্রিষ্ঠান সোর্স ও ডুকাইয়া দিলেন । আর মুক্তমনারা বুইঝাফেল লেন , খাস বুখারী থেকে আইছে!! ।
আসলে আকাশ মালিকের মত বহু মানুষ ঈসলামকে ধংশের জন্য বহু আগে রাসূল সঃ থেকেই ছিল । আকাশ মালিক , আর আপনারা কি করলেন ঐ গুলো ঈ ব্যবহার করা শুরু করলেন । করেন , আধা হাসা-আধ মিসার খেলায় আতিক ভাই, আপনি গোল খাইছেন , ভাববেন না সবাই আপনার মত গোল খাইবো ।
প্রপগান্ডা হওয়াই স্বভাবিক , কারন ইসলাম সত্য , তারে ভুল প্রমান করার লাগি , এই ধরনের প্রপগান্ডা থাকবেই । প্রপগান্ডা দিয়ে জন পল পারছিল পুরাপুরি , কিন্তু ইবনে সাবা পারেনি , পারছে আধা । খলি মসুলমান দের মধ্যে বিভেত বাড়াইতে পারছে ।
@আইভি,
আপনি কিন্তু হাদীস বাদ দিলে আমরা নবীজির জীবনী বিকল্প কিভাবে নির্ভুলভাবে শিখতে পারি এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি। তাহলে Tanvy সাহেব যে প্রশ্ন করেছেন “দুই নম্বর শর্তটি হল,- নবী রাসূল ও তাদের বানীর উপর নিঃশর্ত বিশ্বাস রাখা” এটা কিভাবে মানা সম্ভব? মোহাম্মদের জীবনীর কোন গুরুত্ত্ব না থাকলে তিনি যে কোরান আল্লাহ তরফ থেকে এনেছেন বলে দাবী করেছেন তার বিশ্বাসযোগ্যতাই বা কিভাবে বুঝব? কোরানের অথেনটিসিটি বোঝার জন্য কি ব্যক্তি মোহাম্মদের চরিত্র পুংখানুপুংখভাবে জানা অতি প্রয়োযনীয় নয়? যদু মধু রাম শ্যাম যেই এসে দাবী করুক সে অহী পেয়েছে তাহলেই আমরা মেনে নেব? সে মানুষ হিসেবে ভাল না খারাপ সে বিবেচনা করব না? মোহাম্মদের নওবুয়ত প্রাপ্তির দাবী সে আমলে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছিল কারন ব্যক্তি জীবনে তিনি সত, সদা সত্যবাদী ছিলেন বলেই। কাজেই শুধু কোরান বিশ্বাস করি হাদীস মানি না এমন কথাবার্তা মনে হয় যৌক্তিক না। হাদীস না মানলে অন্তত বিকল্প বিশ্বস্ত সূত্র দেখানো উচিত।
হাদীসের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এ কারনেই, হাদীসের সাহায্য ছাড়া মোহাম্মদকে মহাপুরুষ হিসেবে চিত্রায়িত করা যায় না। এতদিন যেই মুশকিল তেমন দেখা যায়নি তাহল সাথে সাথে বেশ কিছু হাদীস বেরিয়ে যাচ্ছে যা আল্লাহর প্রেরিত পুরুষের চরিত্রের সাথে কেমন যেন খাপ খায় না। এগূলিও এতদিন হাদীস বইতেই ছিল, কিন্তু মোল্লা আলেমরা এগুলি জনসমক্ষে তেমন প্রচার করতেন না। এখন ইন্টারনেটের প্রচারের ফলে আর এগুলি ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। আমি নিজেও ইন্টারনেট নামক বস্তু না আসলে বা সারা জীবন বাংলাদেশে থাকলে এসব হাদীস কোনদিন জানতাম না। বলতে পারেন যে হাদীস বাতিলের দাবী এ শতাব্দীতেই প্রথম হয়নি, আগেও হয়েছে। হয়েছে, হযরত ওমর মনে হয় হাদীসের রচনায় রাজী ছিলেন না। কিন্তু তারপরেও সত্য হল হাদীসের জনপ্রিয়তায় কোন ভাটা পড়েনি। এখনো অসংখ্য অনলাইন হাদীস ফোরাম আছে, এন্টি হাদীস ফোরাম আছে কিনা আমার জানা নেই। আপনার মত দুয়েকজন হয়ত বিক্ষিপ্তভাবে বিরুদ্ধে বলেন তবে কোনরকম সংগঠিত প্রচার এখনো চোখে পড়েনি।
“আমি নাস্তিকদের এই ভুল হাদীস নিয়ে মাতামাতিতে এ জন্যই বিরক্ত যে, কোরানকে তো তারা গাঁজাখুরী, মুহম্মদের বানানো কীর্তি বলে ঘোষনা দিয়েই দিয়েছে; হাদীসের absurdity দেখে সেটাও বাদ, রেফেরেন্সের অযোগ্য বিবেচনায় আনছে না কেন” – আপনার এ কথাটি অবশ্যই ব্যাখ্যার দাবী রাখে। কথায় কঠিন যুক্তি আছে।
তবে আমার যা মনে হয় তাহল, নাস্তিকরা কোরান হাদীস কোনটাকেই ছাড় দেয় না। তবে তাদের এপ্রোচ আমি যা বুঝি তা হল কোরান বিষয়ক আক্রমন তারা শানান ইসলাম ধর্মের অসারতা প্রমান করার জন্য। আর হাদীস তারা আক্রমন করেন নবী মোহাম্মদের ব্যক্তি চরিত্র উদঘাটনে। কোরানের বিভিন্ন বিতর্কিত আয়াত নিয়ে অন্ততকাল তর্ক করা যায়, কারন শব্দের নানান ব্যাখ্যা জাতীয় কারনে দুপক্ষই অন্তত বেনেফিট অফ ডাউট পেতে পারে। তবে হাদীস বিষয়ক বিতর্কে সে উপায় নেই। বিতর্কিত হাদীসগুলি অত্যন্ত সরল ভাষায় লেখা। তবে এ সব অর্থহীন বিতর্কে না গিয়ে অন্তত ষ্পষ্টভাবে বলা যায় যে কোরানের এক আয়াতের অর্থ এক একজনের কাছে এক একরকম হতে পারে সে কোরান সমগ্র মানব জাতির কেয়ামত পর্যন্ত কোড অফ কন্ডাক্ট হতে পারে না। পূর্ণ কোড অফ কন্ডাক্ট তো কোনমতেই না, কারন কোরানিক আইন কানুনের বাইরেও মানব জীবনের বহু বিষয় আছে, যা স্থান কাল পাত্র ভেদে ভ্যারী করে।
কোরান আর হাদীসে যে ১০০% সঙ্ঘাত আছে এ কথাও পুরোপুরি ঠিক নয়। কিছু সঙ্ঘাত আছে, তবে অনেক ব্যাপারে মিলও আছে। কোরানের নারী শিক্ষা বিষয়ক আয়াতগুলির সংগে হাদীসের নারী শিক্ষার (বলা ভাল চরম অবমাননাকারী) অমিল থেকে মিল ই বেশী পাওয়া যাবে, অন্তত এপ্রোচের দিক দিয়ে। কোরানে যেমন শুধু অবাধ্য নারীর বিরুদ্ধেই নিদান দেওয়া আছে অবাধ্য পুরুষের জন্য কোনরকম ব্যাবস্থা নেই হাদীস ও একই। একই কথা বলা যায় বিধর্মীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টিকারি কথাবার্তায়ও।
আপনি যেসব হাস্যকর হাদীস কোট করে অসারতা প্রমান করতে চাইছেন অনেকেই সেগুলিকেই রূপক বলে সাদরে গ্রহন করবেন, তেমন বান্দা এখানেই আছেন।
কিছু যুক্তি দিয়েছেন যার পালটা যুক্তি দেওয়া খুবই সহজ। যেমনঃ
“-The Messenger (S) used to visit all nine of his wives every night. [Vol 3 pg 52 Book of Nikah, #34].
কিন্তু অন্যদিকে বুখারী বারে বারে বিভিন্ন যায়গায় বর্ণনা করেছেন যে নবীজী সারারাত এত নামাজ পড়তেন যে তার পা ফুলে যেত। এই দুইটা কাজ কি একসাথে করা সম্ভব?
যেমন কোন হাদীস ভক্ত দাবী করতে পারেন যে নবীজ়ী প্রতি রাতেই এত নামাজ পড়তেন তেমন কথা তো বুখারী বলেননি। হয়ত বিশেষ কোন রাতের কথা বলেছেন। এ জাতীয় কূটতর্ক আসলে শেষ হবে না।
@আইভি আপা,
-The Messenger (S) used to visit all nine of his wives every night. [Vol 3 pg 52 Book of Nikah, #34].
-The Messenger (S) used to have intercourse with all of his wives in one hour of the day and night (without taking a bath) and these (wives) were eleven. The narrator tries to preempt an objection by stating that he had the (sexual) power of 30 men. [Vol 1 pg 189, Book of Bath #266].
আপনার এই দুই হাদীস
http://www.iiu.edu.my/deed/hadith/bukhari/index.html
http://www.iiu.edu.my/deed/hadith/muslim/index.html
এই বুখারী শরীফের লিংকগুলিতে পাওয়া জাইতেছে না । আপনি কি দয়া করে যদি বের করে দিতেন ।
@আদিল মাহমুদ,
আমিও কিন্তু ‘বিশ্বনবী’র উপসংহারে মুহাম্মদকে মূলত ভাল মানুষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছি।আমার মনে হয় তিনি যা প্রচার করতেন তাতে বিশ্বাস করতেন।তবে এটাও ঠিক যে তাঁর ভণ্ড হবার পক্ষেও প্রচুর আলামত আছে কোরান-হাদিস দু জায়গাতেই।
একটু খোলা মনে ভাবুন তো দেখি…এখনকার রাজনৈতিক নেতারা যেসব আদর্শের বুলি আওড়ায় তার কোনটাতেই আদৌ বিশ্বাস করে না।মাঝে মাঝে লোক দেখানোর জন্য পালন করে বটে!ধর্ম কিন্তু সবসময়ই রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আর ইসলামের সাথে রাজনীতির তো একেবারে হরিহরাত্মা সম্পর্ক! যারা রাজনীতি থেকে ইসলামকে আলাদা করার কথা বলেন তারা এটা কখনোই বলেন না যে,ইসলামিক মত মেনে চলতে গেলে ধর্মকে রাজনীতি থেকে কখনোই আলাদা করা চলে না।কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র বা যে কোন হিন্দু শাস্ত্রে পাবেন যে ক্ষাত্র রাজনীতির মূল শক্তি বস্তুত তথাকথিত ‘ব্রহ্মতেজ!’
…তো এখনকার নেতারা যদি ভণ্ড হন তবে আগেকার ওরাই বা কিসের অত সাধু?মানবতার ইতিহাস যুদ্ধের,রক্তের।মানুষের স্বার্থে আধুনিক পৃথিবীতে এরা কখনোই অনুকরনীয় নয়।প্রায় প্রতিটি ধর্মগুরুরই ভণ্ড হবার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাইজান ,আপনি মনে হচ্ছে বিপ্লবদা’র লেখা ‘দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন’ তত্বটিকে একটু ভুল অর্থে প্রয়োগ করছেন।ডিকনস্ট্রাকশন তত্ব অনুযায়ি একটা বাক্যের অনেক ‘যৌক্তিক’ ব্যাখ্যা থাকতে পারে কিন্তু কনটেক্সচুয়াল অর্থে কোন দ্বিধা থাকতে পারে না।কারণ সুনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশে অক্ষম হলে সে শব্দগুচ্ছকে ব্যাকরণ ‘বাক্য’ বলেই কল্কে দেবে না।আর কুরানের কনটেক্সচুয়াল মিনিং জলের মত সোজা।ও বুঝতে শার্লক হোমস হতে হয় না।মগজে সামান্য ধুসর পদার্থ থাকলেই চলে।
আপনি চোখ খুলতে চাইছেন,কিন্তু কেন যেন পেরেও পারছেন না।হয়তো বহুকালের সংস্কার।তবে যেভাবে মেনেছেন যে কুরান ‘সব কালের সব যুগের’ মানুষের উপযোগী নয়,তেমনি হয়তো মনে মনে বুঝতেই পারছেন যে কোন গ্রন্থই অলৌকিক নয়!
ভালো থাকুন। 🙂
@আগন্তুক,
যেকোন চরিত্র বিশ্লেষনমূলক লেখা যতই যুক্তিবাদী তথ্যভিত্তিক হোক না কেন সেটা যদি একতরফা হয় তাহলে সে লেখা তার বিশ্বাসযোগ্যতা বেশ খানিকটা হারায়। হাদীসের আলোকে নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে আগে যা জেনে এসেছি বা জানানো হয়েছে তাতে তাকে বিরাট মহাপুরুষ বলেই মনে হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে আদর্শ মানুষ হলেন নবী মোহাম্মদ। তার প্রতিটি কাজই আমাদের অনুকরন করতে হবে, তবেই দুনিয়া আখেরাতের অনন্ত শান্তি। এর পর মুক্তমণাদের কল্যানে জানতে পেরেছি যে তার অনেক কার্যকলাপ, দৈনন্দিন লাইফ ষ্টাইল সে আমলে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও এ আমলে পালন করার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
মুশকিল হয় মোহাম্মদের চরিত্রের দুটি দিক থেকে বেছে কেঊ যদি শুধু একতরফা ভাবে তার চরিত্র বর্ণনা করে যান তখন। ট্রেডিশনাল ইসলামিষ্টরা এ কাজ যুগ যুগ ধরে করে এসেছেন। তবে মুক্তমনা যারা, অন্তত দাবী করেন তাদের উচিত এ মানসিকতা ত্যাগ করে সত্য কথা বলা। তার মানে এই না যে ৫০%-৫০% হতেই হবে। আপনার বিশ্বনবী সম্পর্কে মূল্যায়ন তাই আমার কাছে অনেক বেশী বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে, বিপ্লবের ইসলাম বা নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে এসেসমেন্ট ও যথেষ্ট যুক্তিপূর্ন মনে হয়।
আমি নিজে আরবী কিছুই জানি না, এমন কি বাংলাদেশের প্রায় সব মোসলমান ছেলেময়ের মত আমাকে ছোটবেলায় জোর করে কড়ান খতম ও দেওয়ানো হয়নি। আমার বাবা শেষ বয়সে হজ্জ করেছিলেন, মা সারাজীবনই বংশগতভাবে কঠিন নামাজী, তবে তারা কেন যেন আমাকে কোনদিন এসব নিয়ে বেশী চাপাচাপি করেননি। কোরানের বাংলা অনুবাদ অনেক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ থেকেই পড়েছিলাম। তাই আরবী সম্পর্কে আসলে আমি কিছুই জানি না, তাই আরবী শব্দের মূল নিয়ে ধস্তাধস্তিতে আমার নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া কোন গতি থাকে না।
ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে যা বললেন তাতে আমারো কোণ সন্দেহ নেই। আসলে সব ধার্মিক একটা জিনিস ভালই করেন কিন্তু মুখে স্বীকার করতে চান না। তাহল যুগের সাথে যে ধর্ম বদল হচ্ছে সেটা। এটা স্বীকার করাকে ধার্মিকরা তাদের ধর্মকে ছোট করা বলে মনে করেন। অথচ তারা নিজেরাই অনেক ব্যাপারে আপোস করে বসে থাকেন। কিন্তু যখনই বলা হয় যে যুগের সাথে ধর্ম বদল করতে হয় অমনি তারা অত্যন্ত খেপে ওঠেন। যেমন বিশুদ্ধ ইসলাম মতে কি বাংলাদেশের মত ইসলামী দেশের মূর্তি পূজক হিন্দু ধর্মের প্রতি কোনরকম সহানুভূতি দেখানো সম্ভব? কিন্তু আমাদের দেশে তো রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেই সাহায্য দেওয়া হয়। এইরকম হাজারো উদাহরন দেওয়া যায়। বলা যেতে পারে যে সৌদী বা মধ্যপ্রাচ্যে এটা খাটে না, এটা হয়ত খাটে না কিন্তু তারাও নবী মোহাম্মদ যুগের ইসলাম এখন পালন করতে পারে না। রাজনীতিবিদরা মানুষে যা শুনতে চািবে তাই বলবে।
আমার চোখ খলার ব্যাপারে যা বলছেন তা হয়ত সত্য, আমি নিজেই জানি না। মানুষের উপর বাল্যকালের পরিবেশ শিক্ষার প্রভাব অসীম। তবে সনাতন ধর্মীয় ধারনার বাইরেও আমার বিশ্বাস একজন ক্রিয়েটর আছে। এ বিশ্বাসের ভিত্তী আমি যুক্তির আলোকে পুরো ব্যাখ্যা করতে পারব না। আমার বিশ্বাস আমারই থাক না, কারো তো তাতে কিছু এসে যাচ্ছে না।
@আদিল মাহমুদ,
হুঁ!আপনার মন্তব্যগুলো থেকে স্পষ্টই বুঝতে পারি তা।সত্যি ব্যক্তিগত বিশ্বাসে অন্যদের অনধিকার চর্চা করা ঠিক না।
আমি সংশয়বাদী এবং কিছু সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে অজ্ঞেয়বাদী!তবে আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের মত অনেক অজ্ঞেয়বাদী যেমন নাস্তিক্যকেও একটি ধর্ম বলে মনে করেন আমি তা মনে করি না।আমার কাছে নাস্তিক্য ও আস্তিক্য উভয়ই যুক্তিসাপেক্ষে বরণীয় হতে পারে।তবে সর্বেশ্বরবাদ (Pantheism)বাদে কোন আস্তিক্য দর্শনকেই আমার কাছে নিতান্ত বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।ক্রিয়েটরের ধারনার চেয়ে স্রষ্টা ও সৃষ্টির অভিন্নতার ধারনা অনেক ভালো ,আমার মতে।কারণ অন্তত এখানে কেউ স্রষ্টার ‘গোলাম’ নয়।আর প্রত্যাদেশ বিরোধী আস্তিক্য আমার কাছে নিছকই ID তত্ব!ধর্মীয় দর্শনের মধ্যে pantheist দর্শনগুলোই শুধু একটু পরিন্ত মস্তিষ্কের পরিচয়।যেমন ঊপনিষদ বর্ণিত অদ্বৈতবাদ,বৈষ্ণব ধর্মের প্রকৃত রূপ ও সুফিজম যা শরিয়ত অনুযায়ি কখনোই ইসলাম নয়।সংশয়বাদী দৃষ্টিকোণ থেকে একমাত্র এই আস্তিক্য দর্শনগুলোই নাস্তিক্য দর্শনগুলোর সাথে পাতে তুল্বার যোগ্য,বাকিগুলো সব রূপকথা-বাচ্চাদের জন্য।তবে বেদান্তকেও রাহুল সাংকৃত্যায়ন মানব শোষণের জন্য ‘সূক্ষ্ম নৌকা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন,সেটাও বাজিয়ে দেখা উচিত।
আর নাস্তিকদের আইভি আপুরা যতই গাল পাড়ুক ,তাঁদের যুকতিগুলোই কিন্তু সাবালক।আস্তিকদের যুক্তিগুলো নিতান্তই নাবালক আর হাস্যকর।আর প্রচলিত অর্থে বৈদান্তিক বা সুফি সাধক কিন্তু মোটেই আস্তিক নন!
@আদিল মাহমুদ,
আমি যখন বলি- আমি বিশ্বাস করি চাঁদের আলো নেই, এটা আমার বিশ্বাস নয় জ্ঞান। একজন অন্ধ মানুষ যখন বলেন, আমি বিশ্বাস করি চাঁদের আলো নেই, এটা তাঁর জ্ঞান নয় বিশ্বাস। জ্ঞানের কাছে বিশ্বাস অর্থহীন। আপনার হাতের কলমটি দেখে, আমার বিশ্বাস আপনার হাতে একটি কলম আছে, অথবা আগুনের ধোঁয়া দেখে, আমার বিশ্বাস এর নীচে আগুন আছে বলা অর্থহীন।
নবী মুহাম্মদের ভাল দিকটাই শুধু ১৫ শত বছর যাবত পড়ে, জেনে, শুনে আসছেন, আমরা কেন তার সমালোচনায় তার ভাল দিকটা তোলে ধরিনা, বারবার এ অভিযোগ করার পেছনের যুক্তিটা আমার বোধগম্য নয়। ধর্মের আলোচনায় মুক্তমনার সকল লেখকই শুধু ইসলাম ও মুহাম্মদের সমালোচনা করেছেন এমনটা তো বলা যাবেনা। অন্যান্য ধর্ম ও সেই সকল ধর্ম-প্রবর্তক, ধর্মগ্রন্থ রচয়ীতাদেরও যথেষ্ট সমালোচনা করা হয়েছে। কোনদিন তো অভিযোগ করেন নি ইহুদী, খৃস্টান, হিন্দুদের নবী পয়গাম্বর আবতার, তাদের ধর্মগ্রন্থ রচয়ীতাদের ভাল দিকটা কেন তোলে ধরা হয়না। নাকি তাদের কোন ভাল দিকই নেই যে জানার আগ্রহ থাকবে? শুধু মুহাম্মদের জন্যে চিত্তের ব্যাকুলতা কি পক্ষপাতিত্ব নয়? আপনার ক্রীয়েটার কি মুহাম্মদেরই নির্দেশিত ক্রীয়েটার নন? তাহলে,
বলাটার অর্থ কি?