ভাবনাগুলো অভিমান করেছে,
ছন্দগুলোও নির্বাসনে…
কবিতার খাতা তাই শুন্য পড়ে রয়।
খুব ব্যস্ত মন আজকাল,
যত্তসব বাজে ছাইপাঁশ কাজে!
বাঁধভাঙ্গা গান,গুনগুনের নেই অবসর,
বৃষ্টি দেখে দৃষ্টি উদাস হওয়া বিকেল,
কোথায় হারালো,খোঁজ নেই তার !
এলোচুলে বসিনা এখন ভেজা হাওয়ার পাশে,
হাত বাড়িয়ে জোসনা ছুঁয়ে দেখা…
হাস্যকর ছেলেমানুষী…আর হয় না!
উড়ো মেঘ,বাউরি হাওয়ার দিনে আধচেনা কোনপথে
ভবঘুরে হয়ে যাওয়া…
মনে নেই,ভুলে গেছি ।
থির জলে ঢিল ছোড়া,
পাখির উড়ে যাওয়া…হেসে ওঠা অকারন…
হয় না…বহুকাল হয় না।
মরালীর মত সরোবরে
ঢেউ তোলা দিন,ফুরিয়েছে বুঝি!
এখন আমি জলপিপি,
সীমিত আমার বিচরণ…।
আজকাল আলসে মনটা ব্যস্ত খুব,
খুউব পটু,চাবি দেওয়া পুতুলের মতন !
৫ জুলাই,২০০৯
সুপ্রভাত। অনেক ভাল লাগল আপনার কবিতা। ভাবটা সাধারণ। আমি নিজেও লিখেছি এমন একটি কবিতা। কিন্তু শব্দ, ছন্দ। ওফ্। আমারটা ছিড়ে ফেলতে হবে।
এটিই মুক্তমনাতে আমার প্রথম মন্তব্য। আমি জানতামনা বাংলায় এমন একটা সাইট আছে। কবিতা ভালবাসি, তাই সাইট খুলেই সোজা কাব্য বিভাগে চলে এসেছি।
@রাত প্রহরী,
ধন্যবাদ।সবই আপনাদের বদান্যতা ।
ছিঁড়ে ফেলবার আগে লেখাটি পাঠিয়ে দিন না, যাচাই হয়ে যাক ! 🙂
পুতুলরা এমন কবিতা লিখতে পারে না।
শেষ পর্যন্ত সবাই ঐ ছকে বাঁধা জীবনেই ফিরে যায়,দু’চারটে হতভাগা বাউণ্ডুলে বাদে!
আরেকটি নিটোল কবিতা।মডারেটরের প্রতি অনুরোধ একঘেয়েমির দোহাই দিয়ে একই বিষয়ের পর পর লেখাকে ব্যক্তিগত ব্লগে না পাঠিয়ে উন্মুক্তভাবেই প্রকাশ করা হোক।সবাই সব্যসাচী লেখক হয় না।কেউ কেউ কবি।শুধুই সত্যিকারের কবি।কবির স্থায়িত্ব কামনা করি।
@আগন্তুক,
সেই হতভাগাদের দলেই ভীড়তে চাই ।পুতুল জীবন কে বা চায় !
প্রজাপতির পাখাথেকে রং কি সত্যিই হাড়িয়ে গেছে নাকি রং হাড়িয়েছে আমাদের চোখ ? আমর আগের প্রজম্নেরও কি একই অভিজ্ঞতা হয়েছিলো ? একটা বয়সের পরে সবাই কি পুতুল হয়ে যায় ? পুতুল হবার বয়সটা ঠিক কত ? নাকি আমরাই প্রথম হতভাগা প্রজম্ন যারা সময়ের অনেক আগেই পুতুল হয়ে যাচ্ছি ?
খুব কম কবিতা আমার ভালো লাগে। আপনার কবিতা আমার ভাল লেগেছে। অনেক শুভ কামনা রইলো।
@আতিক রাঢ়ী,
কি জানি আমরা হয়তো সময়ের একটু আগেই পুতুল হয়ে যাচ্ছি !
সত্যি বলতে এইসব ছকে ফেলা নিশ্চিন্ত জীবন বড় একঘেয়ে…সেই রকম এক অনুভুতি থেকে কবিতাটির জন্ম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন ।