আজকাল দু’টাকা তিন টাকা দামের পত্রিকাগুলো বেশ জনপ্রিয়। সকালে অফিস যাবার পথে, কিংবা বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে যখন অসহনীয় জ্যামের মুখোমুখি হতে হয় নগরবাসীকে তখন অনেকেই সময় কাটাবার জন্য এই পত্রিকাগুলো কিনে থাকেন। এমন পত্রিকা এখন বেশ কয়েকটা আছে। তারা সকলেই যাত্রাপথের এই বিরাট পাঠক গোষ্ঠিকে ধরতে চায়। যেহেতু পাঠক শুধুমাত্র লাল রঙের শিরোনামটিই দেখে নির্ধারণ করেন কোন পত্রিকাটি তিনি কিনবেন, তাই পত্রিকাওয়ালা সবসময় চেষ্টা করেন আকর্ষণীয় কোনও শিরোনাম দিতে। এই যেমন ধরুণ, “বাংলাদেশ দ্বিখন্ডিত হচ্ছে” কিংবা “অস্কার পাচ্ছে ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’ সিনেমাটি”। বাংলাদেশ দ্বিখন্ডিত কিংবা বাংলাদেশের একটি সিনেমা অস্কার পাচ্ছে এমন খবরে আশ্চর্যান্বিত হয়ে আপনি সেই পত্রিকা কিনলেন। কিন্তু মূল খবর পড়ার পর দেখতে পাবেন, সেখানে লেখা আছে বাংলাদেশের এক উগ্রপন্থি রাজনৈতিক দল ঘোষণা দিয়েছে তারা চায় বাংলাদেশকে ভেঙ্গে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক, কিংবা ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’ ছবির পরিচালক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার ছবিটি অস্কার পাবার যোগ্য।
আমার এই প্রবন্ধের শিরোনামটিও অনেকটা এমন। শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, এখানে বিবর্তন তত্ত্বের মাধ্যমে হিসেব নিকেশ করে বলে দেওয়া হবে, আমরা কোথায় যাচ্ছি। শুরুতেই তাই বলে রাখি বিবর্তন এভাবে কাজ করে না। প্রাকৃতিক নির্বাচনের কোনও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নেই। এটি কাজ করে অনেকটা ব্লাইন্ড ওয়াচমেকারের মতো। কার ভবিষ্যতে কোন কোন বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হবে, কোন কোন বৈশিষ্ট্য বিয়োজিত হবে- এই নিয়ে বিবর্তনের মাথা ব্যাথা নেই। সাধারণভাবে তার মাথায় তাকে শুধু টিকে থাকার সংগ্রাম। টিকে থাকতে গিয়ে যে বৈশিষ্ট্যগুলো অভিযোজনের সহায়ক, সেগুলোই সে রক্ষা করে চলে।
মানুষের পরবর্তী ঠিকানা কী? কোটি বছরের বিবর্তনে ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ নামক এক উচ্চবুদ্ধি সম্পন্ন প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে, আরও কোটি কিংবা লক্ষ বছর পর তারা দেখতে কেমন হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাধারণভাবে দুইটি মতবাদ উঠে আসে। একদল মনে করেন, অনান্য প্রাণীর তুলনায় আমাদের মস্তিষ্কের আকার বড়। সেই মস্তিষ্ক আরও বড় হতে থাকবে, আমরা সময়ের সাথে সাথে আরও বুদ্ধিমান হবো। আবার অনেকে বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শারিরিক পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দিয়েছি।
“বড় মাথা, বড় মস্তিষ্ক” হবার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অবশ্য নেই। মানুষের করোটির কয়েকহাজার বছরের ফসিল গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, হোমোসেমিয়ান্স দের দ্রুত মস্তিষ্ক বৃদ্ধি এখন বন্ধ। ফসিল রেকর্ড আরও বলছে গত কয়েকহাজার বছরে শারিরিক ভাবে মানুষের কোনও পরিবর্তন হয়নি। কয়েকবছর আগেও বিজ্ঞানীরা তাই মনে করতেন, মানুষের শারিরিক পরিবর্তন এখন বন্ধ। মানুষের বিবর্তন হচ্ছেনা। আধুনিক মানুষ হবার পর শারিরিক ভাবে তারা অপিরিবর্তীত আছে, হয়তো থাকবে।
কিন্তু ডিএনএ প্রযুক্তির উদ্ভাবন গবেষণার এই ক্ষেত্রে এক বৈপ্ললিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। মানুষের জিন এখন বলছে অন্য এক গল্প। মানুষের বিবর্তন হচ্ছে এবং সেটা অন্যান্য অনেক প্রজাতির চেয়ে দ্রুত। উপরের করা প্রশ্নগুলো এখন আবার ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। বড় মস্তিষ্ক হবার যদি সম্ভাবনা না থাকে তাহলে কী হবে। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত উদ্ভুত নতুন নতুন রোগ- ব্যাধি কিংবা বৈশ্বিক উষ্ণতা (global warming) বৃদ্ধি এইসব নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে কী নতুন কোনও প্রজাতির উদ্ভব হবে। নাকি প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ নিজেরাই নিজেদের বিবর্তিত করে তৈরি করবে মানুষ-বট। যাদের মস্তিষ্ক হবে সিলিকনের আর দেহ হবে স্টিলের।
হোমোসেপিয়েন্সদের সাথে অন্যান্য প্রজাতির পার্থক্যঃ
অন্যান্য সকল প্রজাতি থেকে মানুষের যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা। এর ব্যাপক উন্নতি মানুষের বিবর্তনে ঢের প্রভাব ফেলছে। যেমন, কিছু জেনেটিক কারণে অনেক শিশু “ডায়বেটিস” রোগ নিয়ে জন্মায়। আদিম যুগে এই ধরণের মিউটেশন বিলুপ্ত হয়ে যেত, কারণ- তারা বংশবৃদ্ধি করে সন্তান উৎপাদনের অনেক আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। কিন্তু আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আমরা ইনসুলিন দিয়ে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি। ফলে শিশুটি প্রাকৃতিক নিষ্ঠুরতা উপেক্ষা করে টিকে থাকতে পারছে এবং সন্তান জন্ম দিচ্ছে পরিনত বয়সে। অর্থাৎ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ব্যবহার করে আমরা শিশু মৃত্যুর হার বহুলাংশে কমিয়ে এনেছি। ফলে কম বেশি সবাই বংশ বৃদ্ধি করার সুযোগ পাচ্ছে।
মিলার বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, শক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, কাপড়ের ব্যবহার, টেলিস্কোপ, মাইক্রোস্কোপ, ভাষা, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন এতোসব কারণে মানুষ অন্যান্য সবার থেকে আলাদা। যদিও পূর্বপুরুষের অনেক স্বভাব আমাদের মধ্যে আজও দেখা যায় তবুও এটা অনস্বীকার্য যে, অন্যান্য সকল প্রজাতির বিবর্তন থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে আমরা মানুষের বিবর্তন ব্যাখ্যা করতে পারবোনা।
হোমোসেপিয়েন্সরা কী কী কারণে বিলুপ্ত হতে পারেঃ
১। একটি নির্দিষ্টি প্রাকৃতিক পরিবেশে অভ্যস্থ প্রজাতিরা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে, যদি পরিবেশ বদলে যায়। এমনটা মানুষের ক্ষেত্রে ঘটার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। কারণ মানুষের প্রাকৃতিক বিভিন্ন পরিবেশ খাপ খাওয়ানোর উচ্চক্ষমতা আছে। যেমন, বাংলাদেশের গড়ে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অভ্যস্থ একজন ছাত্র যখন উচ্চ শিক্ষার্থে কানাডা যায় তখন সে কানাডার মাইনাস ২০ ডিগ্রিতেও অভ্যস্থ হয়ে যায়, আবার কানাডার মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অভ্যস্থ একজন কর্মসুত্রে আফ্রিকার তীব্র গরমেও বেঁচে থাকতে পারেন।
এছাড়াও সম্পূর্ন পৃথিবীজুড়েই এখন মানুষ ছড়িয়ে আছে। সুতরাং একটা বড় উল্কাপাতে অধিকাংশ মানুষ ধ্বংস হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে না, যারা বেঁচে থাকবেন তারা বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ঠিকই আবার মানব সভ্যতার দৌড় অব্যাহত রাখবেন।
২। মানুষ প্রকৃতিকে বদলে দিচ্ছে (বন উজাড় করা, কার্বন- ডাই- অক্সাইড দূষণ)। ফলে এমনটা হতে পারে যে, বদলাতে বদলাতে তারা প্রকৃতির এমন অবস্থা করে ফেলবে যে, তাতে নিজেদেরই বাঁচার কোন উপায় থাকবে না।
৩। অনেক সময় একটি প্রজাতি আরেক প্রজাতির দ্বারা বিতাড়িত হয়। যেমন আমরা হোমোসেপিয়েন্সরা পৃথিবীর বুক থেকে নিয়ান্ডার্থালদের বিতাড়িত করেছি। অর্থাৎ প্রকৃতির বুকে আমাদের সাথে প্রতিযোগীতায় নিয়ান্ডার্থালরা টিকে থাকতে পারে নাই, তারা হারিয়ে গেছে।
এখন কথা হলো, প্রকৃতিতে এখন এমন কোন প্রজাতি নেই যারা মানুষের সাথে পাল্লা দেবার সামর্থ্য রাখে। তবে এমন একটা সম্ভাবনা আছে যে, মানুষ থেকেই আরেকটি প্রজাতির উদ্ভব ঘটবে যার পাল্লা দেবার যোগ্যতা থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে মানুষ হারিয়ে যাবে না, বরঞ্চ যোগ্যরা হবে মানুষের পরিবর্তিত একটি রূপ।
৪। প্রাকৃতিক নির্বাচন মূলত কাজ করে ভৌগলিক ভাবে স্বতন্ত্র অঞ্চলে বসবাসকারী সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বিশিষ্ট প্রজাতির উপর। [Mayr 2001 p 254]আর এই কারণেই সারা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হোমোসেপিয়েন্সদের উপর প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রভাব কম। যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি আজ পৃথিবী মূলত একটা গ্রামে পরিনত হয়েছে। সকল জনগোষ্ঠি একে অন্যের সান্নিধ্যে আসছে, তাদের মধ্যে বিয়ে হচ্ছে। ফলে জিনেটিক মিক্সিং হচ্ছে অহরহ।
৫। জীবন বিধ্বংসী কোন ব্যাকটিয়ে বা ভাইরাসে সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা মানুষ নিমেষেই করে ফেলতে পারবে। আর না পারলেও এই কারণে পৃথিবীর সকল মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে না।
কীভাবে এমন একটি প্রজাতির উদ্ভব হতে পারে, যা হোমোসেপিয়েন্সদের পূণঃস্থাপন করতে পারবেঃ
১।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে মানুষ থেকেই যদি অন্য একটি প্রজাতির উদ্ভব হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে সে মানুষকে প্রতিস্থাপন করার যোগ্য হবে। তবে প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে এমনটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ প্রাকৃতিক নির্বাচন মূলত কাজ করে, ভৌগলিক ভাবে স্বতন্ত্র অঞ্চলে বসবাসকারী সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বিশিষ্ট প্রজাতির উপর।
২। বিজ্ঞানীরা এখনও জিন প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ব করতে পারেন নি। যদি জিন প্রযুক্তি মানুষের সম্পূর্ণ আয়ত্বে এসে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো বাবা মা তাদের ভবিষ্যত সন্তানের সকল খারাপ জিন (শারিরিক ভাবে দূর্বল, মাদকাসক্ত, চোখে কম দেখা ইত্যাদি) আগে থেকেই সনাক্ত করে সেগুলো নির্মূল করে দিবেন। ভালো জিন (গান গাওয়া, অংকে ভালো) অন্তর্নিবিষ্ট করবেন। সবাই না করলেও অনেকেই এই সুযোগ গ্রহণ করবে। ফলে এমন একটি মানবগোষ্ঠির উদ্ভব হবে, যারা একদম পরিপূর্ণ।
৩। কৃত্রিমভাবে তৈরী প্রজাতির দ্বারা। তবে সেই প্রজাতি কম্পিউটার ভিত্তিক হবে। মানুষ হয়তো তার মস্তিষ্ক কম্পিউটারে আপলোড করে দিবে, আর শরীর পরিবর্তন করে রোবট বানিয়ে ফেলবে। তবে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বিভিন্ন ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রযুক্তি যে উন্নতি হয়েছে তাতে করে, অদূর ভবিষ্যতেই মানুষের রোবট হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। [Pearson 2004]
উপরের তিন ধাপের আলোচনায় আমরা তাহলে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। তা হলো, প্রাকৃতিক নির্বাচনে মানুষের বিবর্তন হবার সম্ভাবনা খুবই কম, বিবর্তন হতে পারে তবে সেটা হবে কৃত্রিম নির্বাচনের (জিন প্রতিস্থাপন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি) কারণে। সত্যিকার অর্থেই কী হবে তা আমরা দেখে যেতে পারবো না। কারণ বিবর্তন বিরক্তিকর ধীর গতির। লক্ষ্য বছর পর হয়তো আমাদের থেকে উদ্ভুত নতুন কোন প্রজাতি ফসিল বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তন নিয়ে বই (কিংবা electronic- book) লিখবে।
তথ্যসূত্রঃ
১। সায়েন্টিফিক এমেরিকান। জানুয়ারি ২০০৯ সংখ্যা
২। The Future of Homo Sapiens- http://www.web4health.info/en/aux/homo-sapiens-future.html
৩। The Future of Human Evolution by Nick Bostrom, Future of Humanity Institute, Faculty of Philosophy & James Martin 21st Century School, University of Oxford
ভালই লাগল। তবে আমি আসলেই ভেবেছিলাম বিবর্তনের গতিপথ নিয়ে কথা হবে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন? এতে কিন্তু মানুষের জিন পুল থেকে প্রচুর জিন হারিয়ে যাবে। ফলে টিকে থাকা মানুষগুলো থেকে পরবর্তী কয়েক প্রজন্ম পর দেখা যাবে আমাদের থেকে অনেকটা ভিন্ন ফেনোটাইপিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে মানুষ জন্মাচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে টিকে যাওয়া মানুষের বিভিন্ন দলগুলো তখন হয়ত কয়েক সহস্রাব্দি পর পরষ্পর যৌনোৎপাদনেও অক্ষম হয়ে পড়বে। মানুষের বিভিন্ন গোত্র হয়ে পড়বে প্রজাতিগত দিক হতে ভিন্ন ভিন্ন। কোন একসময় এমন ভিন্ন প্রজাতির মানুষগুলোর আবার পরষ্পরের সাথে সাক্ষাত হলে ব্যাপারটা কেমন হবে ভাবুন তো একবার? 😎
ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা বা সকল মানুষের বিলুপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে কি করে এতটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হল?
[১] জেনেটিক বিবর্তন মিউটেশনের ওপর এবং কোন মিউটেশন টিকে থাকবে তার ওপর নির্ভর শীল। মিউটেশনের জৈবরাযায়নিক প্রক্রিয়াতে রেডীয়েশন ফিল্ডের ভূমিকা আছে-তবে তা খুবই শক্তিশালী এক্সরে জাতীয় ওয়েভ হতে হয়। চিন্তা শক্তির মতন মিলিমিটার ওয়েভ, পরমানু ত দূরের কথা কোষকেও দেখতে পাবে না। তাই চিন্তা শক্তি দিয়ে বিবর্তন বৈজ্ঞানিক সমর্থিত চিন্তা না।
আর মেমেটিক্স সেটা মোটেও বলে না।
ধরুন মিঊটেশনের জন্য কোন কালে কোন পুরুষের ব্রেইন এমন ভাবে তৈরী হল যে সে ভাল শিকারি হতে পারল। তখন তার মিউটেশনগুলো পরবর্ত্তী প্রজন্মে অনেক ভাল করে ছড়িয়ে পরত-কারন সে যেহেতু অধিক খাবার সংগ্রহ করতে পারত-তার সঙ্গিনীর সংখ্যাও অনেক বেশী থাকত।
আজকালত সে ভাবে বিবর্তন হয় না! যারা গরীব এবং অশিক্ষিত, তাদেরই ছেলে মেয়ে বেশী থাকে!
[২] মেমেটিক্স জেনেটিক মিঊটেশনের ওপর মস্তিস্কের প্রভাবের কথা মোটেও বলে না।
আরেকটা ব্যাপার বলি। মিঊটেশন হয় হাইড্রোজেন উইক বন্ডিং ভেঙে। সেখানে ইনফ্রারেড বিকিরন করে মিউটেশন ঘটানো যায়। এক্স রে দিয়েও যায়। কিন্ত আমাদের যে আলফা বা বিটা বিকিরন বেরোয় তা ভীষন দুর্বল। তাই দিয়ে কোন বন্ড ভাঙা যায় না।আর বন্ডটা ভাংতে হবে যখন শক্রানুর ক্রমোজমটা ক্রসওভারে আছে ডিম্বানুর সাথে মিলনের আগে-সেই নক্ষত্রক্ষনে।
আমার একটা গল্প মনে করল। এক সন্নাসী সবাইকে বলত সঙ্গমের সময় ঈশ্বর পার্থনা করতে। তাহলে না কি মনের মতন সন্তান পাওয়া যাবে। শুক্রনুগুলো ঐশ্বরিক চিন্তা নিয়ে ডিম্বানুর মধ্যে ঢুকে মিউটেশন কন্ট্রোল করবে আর কি!!!!
না দাদা। সেরকম কিছু হয় না। মিউটেশন আগেও যা ছিল-আজও তাই আছে। তবে এপিহজেনেটিক্স বলে একটি শাখা আছে। সেখানে দেখবেন প্রবল কেমিক্যালের প্রভাবে বাজে মিউটেশন শরীরে জন্ম নিতে পারে। যা ক্যান্সারের মূল কারন।
বিপ্লব পাল,
যে মিথষ্ক্রিয়ার কথা অভিজিৎ রায় বলেছেন, আপনার আজকের বক্তব্য কি পক্ষান্তরে তাকেই সমর্থন করেনা? অথাৎ জেনেটিক বিবর্তনে কি মনোজাগতিক উৎকর্ষতার প্রভাব বিস্তারের কোন জায়গা নেই? মিম এর নাম আমি শুনেছি, আবছা একটা ধারনা ছিলো। অভিজিৎ রায়ের মন্তব্য আর ভিডিও দুটি দেখার পরে অনেক পরিষ্কার হলো। ধন্যবাদ অভিজিৎ রায়কে এজন্যে। আমি কিন্তু মনেকরি যে জেনেটিক বিবর্তনে প্রানীর মনোজাগতিক গতিপ্রকৃতির একটা প্রভাব রয়েছে। আপনি যদি আলফা, বেটা ইত্যাদি ব্রেইন রেডিয়েশনের কথাই বলেন তো সেতো যে কোন লাইফের জন্যেই সত্য। যেমন, একটা ব্যাকটেরিয়া প্রতিকুল তাপমাত্রায় তার সেল ডিভিশনের হার কমিয়ে দিচ্ছে, আবার অনুকুল পরিস্থিতিতে তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই যে প্রভেদ এটি থাকতোনা যদিনা ডি.এন.এ. বা আর. এন. এ. রেপ্লিফিকেশনের ক্ষেত্রে কেমিক্যাল কম্বিনেশনের ইন্টারআ্যটমিক ইন্টারেকশনের সুইট্যাবিলিটি না থাকতো। তার মানে হলো কেমিক্যাল কম্বিনেশন বা রিকম্বিনেশনে একধরনের ইলেকট্রনিক ফোর্স বা আপনার ভাষায় সিগন্যাল কাজ না করতো। অর্থাৎ এখানে একধরনের অফ-অন সুইচিং ক্রিয়াশীল। আজকের দিনেও আমাদের মনোজাগতিক অভিপ্রায় ঐ সুইচিংকে আরোও বেশী হয়তো প্রভাবিত করে। আর তাই বিবর্তনীয় ধারায় ঐ আলফা, বেটার কমপ্লেক্স কম্বিনেশন তো একটা নিশ্চিন্ত ব্যাপার বলেই মনে হয়। তা যদি নাহতো তাহলে যে ডাইবেটিক রোগীদের উদাহরণ অভিজিৎ রায় দিয়েছেন তার ব্যাক্ষা কি? একটা প্রিমিটিভ পর্যায়ের এককোষী জীব বিকশিত হয়েই তো আজকের পর্যায়ে এসেছে, আর ঠিক এই ডেভেরপমেন্ট এর জন্যে যেমন দরকার ডারউইনের ন্যচারাল সিলেকশনের মতো অভিযোজন প্রকৃয়ার তেমনি দরকার সেখানকার আলফা, বেটা টাইপের কোন না কোন এক ধরনের ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল, যা অভিযোজনকে কোন একটি নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত করবে। আমার কেনো যেনো মনে হয়, যে প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো বিবর্তনটা একেবারেই ন্যচারালী সিলেকটিভ ছিলো মানে অনেকটা লটারীর মতো পরবর্তীতে এতে আন্যান্য ফ্যাকটরস গুলো সংযোজিত হয়েছে, মানুষের বেলায় এখন তার আন্তঃমনোজাগতিক মিথষ্ক্রিয়া কাজ করছে, যা অভিজিৎ রায় বলতে চেষ্টা করেছেন। কি জানি, আমারতো এমন ই মনে হয়। দেখি আরো তথ্য হয়তো পাওয়া যাবে আপনাদের কাছে।
লেখাটা ভাল লাগলো। কিন্তু তারপরও কোথায় যেন অসম্পূর্ণতার একটা খেদ রয়েই গেল। মান্যষের ভবিষ্যতের কথা বলতে গেলে জিন আর মিমের কনফ্লিক্টের কথা কিন্তু বলতে হবে। জিনের কথা আমরা সবাই জানি – এটি বায়োলজিকাল রেপ্লিকেটর। জিনের মত আরেকটি ব্যাপার আছে – যা সাংস্কৃতিক রেপ্লিকেটর। আমি আমার আগের একটি লেখায় হালকা ভাবে এটি বলেছিলাম।
সোজা কথায় – জিন যেমন আমাদের শরীরবৃত্তিয় তথ্য বংশ পরম্পরায় বহন করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক তথ্য বংশপরম্পরায় বহন করে নিয়ে যায় ‘মিম’। কাজেই ‘মিম’ হচ্ছে আমাদের ‘সাংষ্কৃতিক তথ্যের একক’, যা ক্রমিক অনুকরণ বা প্রতিলিপির মধ্যমে একজনের মন থেকে মনান্তরে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক যেভাবে শারীরবৃত্তীয় তথ্যের একক জিন ছড়িয়ে পড়ে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে। যে ব্যক্তি মিমটি বহন করে তাদের মিমটির ‘হোস্ট’ বা বাহক বলা যায়। ‘মেমেপ্লেক্স’ হল একসাথে বাহকের মনে অবস্থানকারী পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত একদল ’মিম’, । কোন বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতি-নীতি, কোন দেশীয় সাংষ্কৃতিক বা কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ –এগুলো সবই মেমেপ্লেক্সের উদাহরণ। সুসান ব্ল্যাকমোর তার ‘মিম মেশিন’ বইয়ে মেমেপ্লেক্সের অনেক আকর্ষনীয় উদাহরণ হাজির করেছেন।
এখন কথা হচ্ছে কেন মিমের কথা আমি এখানে বলছি?বলিছি কারণ, মানুষই হচ্ছে এই পৃথিবীতে একমাত্র প্রানী – যারা শুধু ‘জিন মেশিন’ই নয়, সেই সাথে আবার ‘মিম মেশিন’ও। তারা শুধু বংশবৃদ্ধি করে জিনকেই টিকিয়ে রাখে না, সেই সাথে রেপ্লিকেট করে আইডিয়া, রীতি, নীতি, সংস্কার, কুসংস্কার, জিহাদ এবং বিশ্বাসের নানা পদের ভাইরাস। মিম এজন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, মানব সভ্যতা যত এগুচ্ছে – অনেক ক্ষেত্রে জিন এবং মিমের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। কিভাবে?
কিছু উদাহরণ আমি আগে দিয়েছি। যেমন, কিছু জেনেটিক কারণে অনেক শিশু ‘ডায়াবেটিস’ রোগ নিয় জন্মায়। আদিম যুগে এই ধরণের ক্ষতিকর মিউটেশন বিলুপ্ত হয়ে যেত, কারণ – তারা বংশবৃদ্ধি করে সন্তান উৎপাদনের আগেই মারা যেত। ফলে জিনপুলে এর প্রভাব ছিলো সানান্যই। কিন্তু আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আমরা ইনসুলিন দিয়ে শিশু টিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি। আধুনিক চিকিৎসার কল্যাণে এ ধরণের শিশুরা প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা উপেক্ষা করে টিকে থাকতে পারে সন্তান ধারণ করতে পারে পরিণত বয়সে। এটা কিন্তু জিন এবং মিমের কনফ্লিক্ট। মানুষের জীবনকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি বলেই (এই মানবিকতাও একটা দর্শন – সুতরাং মিম) আমরা ন্যাচারল সিলেকশন উপেক্ষা করে আমরা অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখি, তাদের সেবা যত্ন করি। এর প্রভাব পড়বে বিবর্তনে।
জিন আর মিমের আরেকটা কনফ্লিক্ট উল্লেখ করি। জিন চায় যত ইচ্ছে প্রতিলিপি তৈরি করতে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে জন্মহার একদম পড়তির দিকে। অনেক দম্পতি ইচ্ছে করেই সন্তান নেয় না। তারা চায় নির্ঝঞ্ঝাটে জীবনটা উপভোগ করতে। এটাও জিন এবং মিমের দ্বন্দ্ব। জিন বলছে রেপ্লিকট কর – সন্তান নাও, আর মিম বলছে – ধূর শালা – এত বাড়তি ঝামেলার কি দরকার, যেমন আছি থাকি না!
জিন এবং মিমের সংঘর্ষ এবং সুষম মিথস্ক্রিয়াতেই হয়ত লুকিয়ে মানব বিবর্তনের ভবিষ্যত। কে জানে!
মিম নিয়ে দুটো ভিডিও দিলাম –
httpv://www.youtube.com/watch?v=fQ_9-Qx5Hz4
httpv://www.youtube.com/watch?v=WHkFVdPstA4
@অভিজিৎ,
মেমেটিক্স আর জেনেটিক্সকে একাসনে বসানো ঠিক না। মেমেটিক্স সোশ্যাল সায়েন্সে একটি এম্পিরিক্যাল মডেল যা ডারউইনিয়ান হিস্টরিক্যাল মেটেরিয়ালিজমকে ব্যাখ্যা করে। মেমেটিক্স দিয়ে কিছু ব্যাখ্যা হয়-কিছু হয় না-এটা স্যোশাল সায়েন্সের মডেলিং এর জন্যে একটা ভাল হিউরিস্টিক -তার বেশী কিছু না। তার সাথে জেনেটিক্সের মতন সুপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক শাখার তুলনা কোন মতেই চলে না। আরো উন্নত কম্পিউটার মডেলিং এলে মেমেটিক্স হারিয়ে যাবে-জেনেটিক্স না।
আসল সত্য হল ভবিষ্যত আমরা জানি না। কালকে যদি মস্তিস্ক সংরক্ষন বা ট্রান্সপ্লান্ট বা মেমরি চেঞ্জ করার প্রযুক্তি চলে আসে, মানুষ টেকনিক্যালি অমর হয়ে যাবে। ২০০-৫০০ বছরের মধ্যে এমন না হওয়ার কারন নেই। এই নিয়ে আগে লিখেছিলাম।
http://biplabpal2000.googlepages.com/Imortality.pdf
আবার মানুষে মানুষে ভাষার মাধ্যমে যোগাযোগ না করে, শুধু আলফা-বিটা ইত্যাদি ব্রেইন রেডিয়েশন দিয়ে যোগযোগ করা সম্ভব। সেই প্রযুক্তি এসে গেলে ইন্ডিভিস্যুয়াল মানুষের অস্তিত্বই হারিয়ে যাবে। আমি এই প্রবন্ধ লিখতে বসলে অভিজিত রায়ের মেমরী আব চিন্তা ভাবনার সাহায্য শুধু এই রেডিয়েশন মারফত নিতে পারব-অর্থাৎ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মস্তিস্কের সাহায্য পাবে। সিঙ্গল মানুষ বলতেই আর কিছু থাকবে না।
তাই এসব না লিখে সায়েন্স ফিকশন লেখা ভাল। বহুদিন থেকে হাত নিশপিশ করছে। সময় পাচ্ছি না।
@বিপ্লব,
হ্যা আমিও সে কথাই ভাবতাম। কিন্তু সম্প্রতি পিবিএস-এর বিবর্তনের উপর একটা ডকুমেন্টরী দেখার পর আমার ধারণা অনেকটাই বদলেছে। সেখানে জিন এবং মিমের বেশ কয়েকটা বিরোধ উল্লেখ করে দেখানো হয় যে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের চেয়ে মানব সভ্যতার বিবর্তনে এখন মিমই প্রভাব রাখছে বেশি। ইন ফ্যাক্ট, বহু বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীদের ধরণা প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রভাবে বিবর্তন অনেকদিন ধরেই শেষ হয়ে গেছে – যা হচ্ছে মিম তথা সংস্কৃতির বিবর্তন। তবে তুমি যেটা বলেছ সেটা এখনো খুব বেশি করেই সত্যি যে, মেমেটিক্স আর জেনেটিক্সকে একাসনে বসানো ঠিক না।
সায়েন্স ফিকশন কিন্তু আসলেই তোমার লেখা উচিৎ। বিবর্তনের উপর একবার একটা ছোট সায়েন্স ফিকশন লিখেছিলে। চমৎকার হয়েছিলো। তোমার কাছ থেকে ভাল কিছু সায়েন্স ফিকশনের প্রত্যাশায় আছি।
@অভিজিৎ,
কোন লিঙ্ক কি দেওয়া যাবে।
একই পর্যবেক্ষন আমার নিজেরও।
একেবারে সহমত।
তৃতীয় নয়ন,
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। পুরো লেখাটা পড়ে মনে হলো বিবর্তন ঘটছে মানবকুলে এমন তথ্য যেনো নেই, কিন্তু বিষয়টিকে ঠিক এমন করে ভাবাটা ঠিক কিনা জানিনে। আমি কোন তথ্য উপাত্য নয় জাষ্ট অনুভূতির ব্যপারটাই বলি। ঢাকায় থাকাকালীন এবং ভারতে আর এখন দক্ষিন কোরিয়াতে বিভিন্ন মিউজিয়ামে মোটামুটি ঘুড়েছি। বোধটি ওখানেই আটকে আছে, কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন ব্যবহার্য তৈজষ দেখেছি। মনে হয়েছে ক্ষয়ে যাওয়া ওসবই যদি আজ আমাদের নিত্যব্যবহার্য হতো তাহলে সম্ভবতঃ ক্রীতদাস প্রথা এখনো টিকে থাকতো। ঢাকায় মানসিংহের ভাঙ্গা তরবারীটা দেখে থাকলে, ওটা হাতে নিয়ে শাহবাগ থেকে টি. এস. সি আসতে আমিতো আমি আমাদের গামা টুটুলেরও (ও এখন শাহ্ সিমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার, কিছু মনে করিস নে টুটুল, শুধু তুলনার জন্যেই তোকে টেনে আনা!) ত্রাহী মধুসূদন দশা হতো! অথচ ওটা হাতে নিয়েই ঈশাখাঁ-মানসিংহ যুদ্ধ হয়েছিলো! এতো অর্ধ হাজার বছরেরও কম সময়ের কথা!
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং তার প্রতিক্রিয়া, শক্তি রসদের স্বল্পতা ছাড়াও আমাদের বর্ত্তমান খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে খাদ্যে খনিজ গ্রহনের মাত্রা, দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি (যার সিংহভাগই কৃত্রিম), আমাদের চেতনাগত এবং মনোজাগতিক বিষয়াবলীই খুবই সন্তর্পনে কাজ করে চলেছে। আমিই দেখেছি আমার ছোটবেলার আগ্রহ দৃষ্টিভঙ্গী আর আমার ছেলের মধ্যে বিস্তর পার্থ্যক্য। আমি বলছি না যে এটিই বিবর্তন, বলছি এই সব ছোট ছোট ব্যবধানই সময়ের পরিক্রমায় দেহমন গঠনে বিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। সাথে সাথে সামাজিক আর রাজনৈতিক গতি প্রকৃতিও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। দুটি বিষয়ে আমার নজর আটকে আছে, আর এদুটি বিষয়ই আপনার মন্তব্যে দেখে চমকিত হয়েছি। একটি হলো গ্রীন হাউজ এফেক্ট আর অন্যটি হলো জনসংখ্যা বিস্ফোরন! আমার ধারনা এদুটির একটিও সহসা মানুষ নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। আর এর প্রভাবই মূলতঃ মানব জাতিকে বাধ্যকরবে তড়িৎ বিবর্তিত হতে। তা সে ইতিবাচকই হোক বা নেতিবাচকই হোক, হবে। মনে হচ্ছে অন্যান্য অসুবিধা গুলো মানুষ ওভারকাম করে গেলেও মস্তিষ্কে অতি তেজষ্ক্রিয় বিকিরনের প্রভাব ভবিষ্যতে এড়িয়ে যেতে পারবেনা, ফলে একধরনের জেনেটিক বিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। সাথে থাকছে অন্যান্য ফ্যাকটরস। আর দ্বিতীয়টি হলো, জনসংখ্যার চাপে মানুষ সম্ভবতঃ পাতালপুরীকেই নির্ভরযোগ্য বসতি হিসেবে শেষ অবধি বেছে নেবে! যা ভিনগ্রহে নিবাস স্থাপনের চাইতে সহজ এবং ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জন্যে স্বাভাবিক হবে! আর এই দুয়ের সম্মিলনেই মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ কারিগরী দিকটি ব্যাপকতা পেতে যাচ্ছে! অবশ্য আমার এরকম মনে হওয়ার পেছনে অনেক ছোটবেলাতেই সোভিয়েত লেখক আলেস্কান্দর বেলায়েভের উভচর মানুষ এর প্রভাব পরে থাকতে পারে! দেখাযাক, ভবিষ্যতের অতি উৎকর্ষিত অ্যম্ফিবিয়ানরা আমাদের ফসিল নেড়ে চেড়ে বলবে, অত মিলিয়ন বছর আগে হোমোস্যাপিয়েন্সরা স্থলে চড়ে বেড়াতো আর অক্টেন চালিত জাহাজ ডুবিতে ডুবে মড়তো! এদিকে হানিমুন করতে মঙ্গলের লাল পাথুড়ে পাহাড়ে গড়িয়ে বেড়াতো কিংবা চাঙ্গা হতে জুটি বেঁধে ছুটতো শুক্রের আলো-আঁধারী ষ্টীম বাথটাবে!
ভাববার বিষয়। ভবিষ্যতে রোবট মানব হয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি দেখি।
প্রবন্ধটি পড়ে ভাল লাগলো। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় গ্লোবাল ওয়ার্মিং ফলে ফলে উদ্ভুত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি কি মানুষ ঠেকাতে পারবে? সেটা না পারলে মানুষের অস্তিত্ব নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে। তারা যাবে কোথায়? গ্লোবাল ওয়ার্মিং যদি চলতেই থাকে তাহলে এক এন্টার্কটিকার বরফ সম্পুর্ণ গলে গেলেই সারা পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৬০ মিটার বৃদ্ধি পাবে। (সুত্র: Lexicon Universal Encyclopeida) সেক্ষেত্রে পৃথিবীর অধিকাংশ স্থলভাগই নিমজ্জিত হবে। তখন মানবজাতির কি হবে? কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং থামানোর মত কোন কার্যকর প্রযুক্তি এখনো মানুষের হাতে নেই। ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার যতদিন থাকছে… গ্লোবাল ওয়ার্মিং খুব সম্ভবত ততদিন থাকছেই।। মানবজাতি যেভাবেই বিবর্তিত হোক না কেন তাদের থাকার জায়গা লাগবে তো। অদূর ভবিষ্যতে ভীনগ্রহে বসতি স্থাপন করার মত নির্ভরযোগ্য নিশ্চয়তাও এখনো বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। তাছারা ভবিষ্যতে শক্তির উৎসই বা কি হবে? ফসিল ফুয়েলের মত নির্ভযোগ্য শক্তির উৎস কি সৌরশক্তি বা পারমানবিক শক্তি হতে পারবে? শুধু তাই নয় পৃথিবীর জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে খাদ্য উৎপাদন না বাড়ালে মানবজাতি ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখিন হবে। উন্নয়নশীল বিশ্বে এখনো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার কোন সন্তোষজনক চিত্র পাওয়া যাইনি। পৃথিবীর জনসংখ্যা ১০০০ কোটিতে পৌছতে খুব বেশী সময় লাগবে না। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য স্থলভাগ কমে গেলে বর্ধিত জনসংখ্যা কোথায় যাবে? একদিকে মানুষ বাড়বে অপরদিকে থাকার জায়গা ও খাদ্য উৎপাদনের জায়গা কমবে, বনভূ্মি উজাড় হবে- এর ফলাফল হবে মারাত্নক। বায়ুমন্ডলে ওজনস্তরের ক্ষয়ও মানবজাতির (এবং সমগ্র প্রাণীকুল) জন্য মারাত্নক হুমকি। এসবকিছুর মোকাবেলা করেই মানবজাতিকে টিকে থাকতে হবে। এসব প্রশ্নের উপরই নির্ভর করছে মানবজাতির ভবিষ্যত!
আমার একটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন ছিল। পুং এবং স্ত্রী লিঙ্গ-এই দু’য়ের বিভেদ কোন সময়ে হয়েছে? এটা কি বন্যা, উনার বইয়টিতে পাওয়া যাবে?
আসলে বিবর্তনের উপর কোন একাডেমিক বই পড়ি নি। কেউ কি আমাকে ভাল একটি রেফারেন্স দিতে পারবেন যেটা পড়লে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। সেলফিশ জিন পড়া শরু করছি। বইটি হাতে পেলাম মাত্র। এটি থেকে কি পুরো প্রক্রিয়াটি পাওয়া যাবে। পুরো প্রক্রিয়া বলতে বুঝাচ্ছি একদম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিভাবে আসলাম এই।
@স্বাধীন,
স্ত্রী পুরুষ বিভিক্তি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন আগে হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে সামগ্রিকভাবে সেক্সের উদ্ভবের ব্যাপারটা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অনেকটা ধাঁধার মত। আপনি এই লিঙ্ক থেকে আমার পৃথিবীর সাথে একটা আলোচনা দেখতে পারেন।
বন্যার ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এটা অন লাইনে পড়া যাবে এখান থেকে। এ ছাড়া ডঃ আখতারুজ্জামানের বিবর্তনবিদ্যা বইটি একাডেমিক বই হিসেবে আমি রেকমেন্ড করব। আর ইংরেজীতে তো বই আছে অজস্র। একদম বেসিক লেভেলের বইয়ের জন্য ‘Introducing Evolution’, written by Dylan Evans & Howard Selina দেখতে পারেন।
@অভিজিৎ, ডাঃ আখতারুজ্জামানের বইটা কি ইবুক হিসেবে পাওয়া যাবে? নেটে খুজেছিলাম, পেলাম না। এমনিতে ঢাকায় কোন দোকানে পাওয়া যাবে, বলতে পারেন?
@পৃথিবী,
না, ডঃ ম. আখতারুজ্জামানের বইটি নেটে নেই। ঢাকায় পাঠ্যপুস্তকের স্টলগুলোতে বইটা পাওয়া যাবার কথা। আমি যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন কিনেছিলাম নীলক্ষেত থেকে। নীলক্ষেত মার্কেটের ভিতরের দিকে ‘মডার্ণ লাইব্রেরী’ বলে একটা দোকান ছিলো তখন। সেখানে বাংলা ইংরেজী – বিভিন্ন টেক্সট বই পাওয়া যেত। জানি না এখন আছে কিনা সেটি। আমি কিনেছিলাম প্রায় ৭/৮ বছর আগে। আপনি নীলক্ষেতে ঘুরে দেখতে পারেন।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎ’দা।
আবীর কথা রেখেছেন দেখা যাচ্ছে, ধণ্যবাদ।
বিবর্তনের এ,বি,সি,ডি থেকে যা বুঝছি তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে আসলেই বিবর্তন নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ভবিষ্যদবানী করাটা চরম বোকামি। তবে বিবর্তন বিরোধী মহল একে বিবর্তন তত্ত্বের দূর্বলতা বলে প্রচার করতে পারে। আমি নিজে বিবর্তন তত্ত্ব বিরোধী হলে গলা ফাটিয়ে চেচাতাম; আরে মিয়া যে তত্ত্ব দিয়ে শুধু অতীতে কি ছিলাম তা জানতে পারছি, ভবিষ্যতে কি হবে তা জানার উপায় নেই অমন তত্ত্বের খ্যাতা পুড়ি।
যদিও বুঝতে পারছি এটা আসলে বিবর্তন তত্ত্বের দূর্বলতা নয়, অনেক আনসার্টেইন ভ্যারিয়েবলের অনিশ্চয়তার জন্যই।
“এছাড়াও সম্পূর্ন পৃথিবীজুড়েই এখন মানুষ ছড়িয়ে আছে। সুতরাং একটা বড় উল্কাপাতে অধিকাংশ মানুষ ধ্বংস হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে না, যারা বেঁচে থাকবেন তারা বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ঠিকই আবার মানব সভ্যতার দৌড় অব্যাহত রাখবেন।”
তাহলে ডাইনোসররা কেন ঝাড়ে বংশে নিপাত হয়ে গেল? নাকি তারা শুধু পৃথিবীর একটা নির্দিষ্ট অংশেই ছিল? তবে অমন সিচুয়েশনে মানুষ উজাড় হয়ে যদি নিম্ন শ্রেনীর প্রানী এমনকি ব্যাক্টেরিয়াও বেচে থাকতে তারাও তো ভবিষ্যতে মানুষে পরিণত হতে পারে?
তবে মানুষ এপ থেকে হয়ে আসলে কেন কেবলমাত্র কিছু এপই মানূষ হল, সব এপ নয়? কিছু কেন আদি অকৃত্রিম এপই থাকল আর কিছু হল উন্নত প্রজাতির মানুষ? তেলাপোকার মত নীচু শ্রেনীর প্রানীই বা কেন বিবর্তনের ধার ধারছে না (আশা করি এই তথ্য সঠিক)?
মানুষ-বটের ধারনা শুনলে কেমন কেমন জানি লাগে। ভাগ্য ভাল তেমন যুগে আমি থাকব না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কথাগুলোর উত্তর নয়, আমার ধারণাটুকু ব্যক্ত করছি।
অতীতে ডাইনোসররা কেন বিলুপ্ত হয়েছিল জানতে পেরেছি বলেই তো আকাশে উল্কা ধংসের প্রস্তুতি যাতে আমরাও বিলুপ্ত হয়ে না যাই। পরিবেশ-মাতা শুধুই তার ইচ্ছেমতো আমাদের পৃথিবীর সকল প্রানীজগত সাজাবেন ধংস করবেন তা আমরা আর মানতে রাজী নয়। আমরা তার অনুমতি ছাড়াই ডলির (Dolly the Sheep) জন্ম দিয়েছি। Lion আর Tiger এর মিলন ঘটিয়ে Liger এর জন্ম দিয়েছি। আচ্ছা এর একটা বাংলা নাম কি হতে পারে, সিংবাঘ? মন্দ না, ডিজিটেল নাম হবে, সিংহ+বাঘ। যদি পুরুষ বাঘ হয় আর নারী সিংহ তাহলে নাম দেবো বাঘসি, শুনতে ফারসী শুনাবে। কুকুরের পূর্বপুরুষ আবার নেকড়ে বাঘ। এখন কুকুরেরা নেকড়ে বাঘ দেখলে বলে কুটুম্বিতার দরকার নেই বাবা পালিয়ে বাঁচি। বাংলাদেশে আল্লাহর পারমিশন কুন ফায়াকুন এর অপেক্ষা না করে যতো প্রকার নতুন প্রজাতির ধান জন্ম নিল, আমাদের পূর্বপুরুষ বাবা আদমকে তাদের সকল নাম জানতে হলে নতুন করে স্কুলে যেতে হবে। বেহেস্তে যা শিখেছিলেন তা যথেষ্ঠ নয়। মাত্র চল্লিশ বছর পুর্বে আমাদের হাইস্কুলের দরজা দিয়ে ঢুকতে কিছু ছাত্রের মাথা নিচু করতে হতো এখনকার ছাত্রদের জন্যে আর দরজা না হলেও চলবে ওরা জানালা দিয়েই ঢুকতে পারবে। একদিন বোধ হয় দাদা-নানীর কথা মতো আমাদের উত্তরপুরুষরা তিন কোটা দিয়ে বেগুন পাড়বে। আমরা তাদেরকে চিনতে ভুল করবো, বলবো তোরা লিলিপুটিয়ান প্রজাতি। ওরাং, ওটাং, বানর, শিম্পাঞ্জীরা আমাদের পূর্বপুরুষ নয়। আমরা তাদের গর্ভের সন্তান নই, তাদের সাথে আমাদের মাতা-পিতা সন্তানের সম্পর্ক নেই বরং ভাই বোনের (Cousin) সম্পর্ক। আমরা যে শুধুই মানুষ তা বলা বোধ হয় ঠিক নয়, আমরা আসলেই এপমানুষ। এপ থেকে একজন বা দুজন এপ মানুষ হলো বাকিরা এপ রইলো কিভাবে, ব্যাপারটা আসলে বোঝা খুব কঠিন নয়। এখানে এসে আমাদেরকে জানতে হবে কিসের প্রভাবে কিসের তাগিদে ( Environment, Random Selection, Natural Selection, Mutation, Genetic Variation) বিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। অতীতে কোন এক শুভক্ষনে আমাদের একদল এপ এমন একটি নতুন পরিবেশ বা অবস্থার সম্মুখিন হয়েছিল যাদের বেঁচে থাকার জন্যে বিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আমরা সেই দলের অন্তর্ভুক্ত এপ-প্রজাতি। সেই শুভক্ষনে বাকিরা আমাদের সাথে ছিলনা বিধায় এপ রয়ে গেছে। একদল নেকড়েবাঘ কুকুর হয়েছে বলে নেকড়েবাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাবে তা তো হয়না। আমাদের চোখের সামনে অনবরত সর্বদাই সকল স্তরে বিবর্তন ঘটছে। তেলাপোকা আর সার্কের ব্যাপারে বলা যায়, এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্যে তাদের বিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি। মহাশক্তিশালী ডাইনোসররা সমুলে ধংস হলো অথচ তেলাপোকা রইলো কিভাবে? ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয় নাই তাদের ছোট ভার্সন টিকটিকি এখনো আছে। ডাইনোসরের সময়ে পৃথিবী ছিল দুই মাসের মানবশিশুর মতো। দিনে চৌদ্দবার খায় আর ষোলবার বমি করে। পেটে প্রচুর গ্যাস, আগ্নেয়গিরী, আর উপরে জ্বীন, ভুতের (উল্কা, ধুমকেতু) ধাপাধাপি। সবাই মিলে অনেক দিন যাবত বিষাক্ত গ্যাস, আন্ধকার ধুলিকনা আর ঘন কাল ধোঁয়ায় ঢেকে দিল পৃথিবীকে, সূর্যের আলো বিহীন পৃথিবীতে শ্বাসরোদ্ধ অবস্থায় আর কতোদিন বাঁচবে অভাগা ডাইনোসররা? তাদের দূর্ভাগ্য আমাদের জন্যে একদিন সৌভাগ্য হয়ে দেখা দিল। তবে আমরা নয় আজ এই পৃথিবীতে নিয়ান্ডার্তাল প্রজাতির মানুষ থাকার কথা, তাদের জন্যে দুঃখ হয়, সে আরেক মর্মান্তিক ইতিহাস।
অত্যন্ত সঠিক বক্তব্য । বিবর্তনের ভিত্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং বিবর্তন নিয়ে নস্ট্রাডামুসদের কেরামতি চলে না!এই ওয়েবসাইটেই একজন আমেরিকা-প্রবাসী এম,ডি কোর্সের ছাত্রকে দেখেছি মানুষের বিবর্তনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিজিৎদার সাথে কুতর্কে লিপ্ত হতে।এ ধরনের এখনো যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো খামাখা ঝগড়া বাদ দিয়ে এই সুখপাঠ্য লেখাটা পড়ে নিতে।
আমি পুরোপুরি একমত যে,জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া মানবজাতির বিবর্তন অত্যন্ত শ্লথগতির।আর বিবর্তন নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ভবিষ্যদবানী করাটা চরম বোকামি।
Good analysis..to summarize
1) Natural selection will be replaced by artifitial selection-removing genetic defects than creating better mutation ( even that is a possibility)
2) Social structure will change-there will be no Bangladesh, India, America-but earth as one nation.
3) language will converge into a single language
@বিপ্লব পাল,
হক কথা!