(১)
খ্যাপা রামকৃষ্ণ বলতেন যত মত তত পথ। আজকের দুনিয়াই টিভি, ইউটিউব এবং ইন্টারনেটের নানান ধর্মীয় বিতর্কে যোগ দিলে বিলক্ষন মনে হতে পারে সফটওয়ার প্রোডাক্ট ভার্সনের ন্যায় কোরান-গীতা-বাইবেল ইত্যাদি গ্রন্থ সমূহের 700.0, 800.0….1900.0., 2000.0 ইতাদি ভার্সন সহজলভ্য। যেমন যুগ, যেমন জ্ঞান, তেমন ভার্সান! আবার একই যুগে নানান প্রকৃতি এবং দেশের ওপর নির্ভর করে কোরানের কোন ভার্সন চলবে! হিন্দু ধর্মগ্রন্থ এবং বাইবেলের ক্ষেত্রে এই ট্রেন্ড আবার অনেক দিনের পুরানো ইতিহাস।
ইউ টিউবে ‘জোকার’ জাকিরের কোরানিক ভার্সান ইংরেজী শিক্ষিত মুসলিমদের জন্যে, সৌদি আরবে আবার অন্য রকম-আমেরিকার চাপ খেয়ে পাশ্চাত্যে কোরান অনেক লিব্যালার-সেখানে পন্ডিতরা যুক্তি খোঁজেন উদারতান্ত্রিক ভার্সনের কমপ্যাটিবল কোরান কিভাবে রচনা করা যায়! গীতা বা বাইবেল বা হিন্দু ধর্ম গ্রন্থগুলির ও একই বেহাল অবস্থা!
বই সেই একটাই-আল কোরান। মহম্মদ নিজের কুকীর্তি বা সুকীর্তি, অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান সুপার মাফিয়া আল্লার নামে চালিয়ে কোরান রচনা করেন। মহম্মদের ইতিহাস আর কোরান পাশাপাশি রেখে পড়লে, যেকোন বুদ্ধিমান লোক খুব সহজেই বুঝবে কোরানে কি এবং কেন লেখা হয়েছিল। অবশ্য সে যুক্তিবাদের পথে ধার্মিকরা হাঁটবেন না-কারন অতটা হাঁটার কষ্ট নিতে জানলে, তারা ধার্মিক হবেন ই বা কেন!
হজরত মহম্মদ যা করেছেন, তাতে আমার আপত্তি নেই। ৪০০ খৃষ্টপূর্বাব্দের অর্থশাস্ত্রে কৌটিল্য উপদেশ দিয়েছিলেন রাজন্যবর্গ দেশ শাসন করতে, নিজের আইনকে ঈশ্বর কতৃক স্বপ্নে প্রদত্ত আইন বলে চালাবে। রাজাকে রাজ্য শাসন এবং বিস্তারের জন্যে নিজের আদেশকে ঈশ্বরের আদেশ বলে চালানোর সুচতুর কৌশল কৌটিল্য মহম্মদের জন্মের ১০০০ বছর আগেই দিয়ে গিয়েছিলেন। কৌটিল্যসুত্র মেনেই ভারত ও ইউরোপের রাজন্যবর্গ নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে রাজত্ব করেছে পৃথিবীর সর্বত্র। তবুও মহম্মদ কৌটিল্যের সেরা ছাত্র হিসাবে ইতিহাসে আবির্ভূত হলেন-কারন অন্যান্য রাজন্য বর্গ ঈশ্বরকে কাজে লাগিয়েছেন নিজেদের পারিবারিক রাজত্ব কায়েম করতে। সেখানে হজরত মহম্মদ সেই ঐশ্বরিক স্কীমকে হাতিয়ার করে মানব সমাজের আরো পূর্নাঙ্গ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। লক্ষ্য – মানব সাম্যের ওপর ভিত্তি করে গরীব দরদী এবং একটি শক্তিশালী সমাজের বিকাশ। তবে হ্যাঁ সেখানেও দাশ প্রথার বিলোপ, নারীর জন্যে সমানাধিকার তিনি আল্লার নামে নামালেন না। কারন সেই যুগে যখন শিশু মৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশী, নারীর গর্ভে ছয় থেকে সাতটি সন্তান না এলে, জনসংখ্যার বিলোপ ছিল অবসম্ভ্যাবী-তখন নারীকে প্রজননের মেশিন ছাড়া অন্য কিছু ভাবা ছিল অসম্ভব। কোরান এবং হিন্দু গ্রন্থ সমূহে তাই একই কারনে নারী সেই প্রজনন মেশিন । যাইহোক, এই ইসলামের ওপর ভিত্তি করেই আরবের প্যাগান সমাজ পরবর্ত্তী তিন শতকে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী এবং জ্ঞানী সমাজে পরিণত হল। কারন ইসলাম তৎকালীন সময় অনুসারে আরো উন্নত সামাজিক আইন এবং চিন্তা বলবৎ করতে সক্ষম হয়।
মনে রাখতে হবে নৃতত্ত্ববিজ্ঞান এবং বিবর্তনের দৃষ্টিতে ঈশ্বরের উৎপত্তির মূল কারন গোষ্ঠিবদ্ধ জীবন। প্রকৃতির ভয় থেকে ঈশ্বরের উৎপত্তি অতিসরলীকরন। পশু পাখীরাও ঝড় বাদলাকে ভয় পায়-কিন্ত তাদের ঈশ্বর নেই। ঈশ্বর আদিম সমাজে গোষ্ঠিবদ্ধ জীবনের জন্যে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ন প্রয়োজন হিসাবেই বিবর্তিত হয়েছে। একটি সমাজ কিছু আইনের ভিত্তিতে গোষ্টিবদ্ধ হয়-সেই আইন গুলির উৎপত্তিকে সমাজ বিজ্ঞানে বলে ‘সেলফ অর্গানাইজেশন’। অর্থাৎ কিছু অনু পরামানু যেমন নিজেদের আনবিক শক্তিক্ষেত্রের আওতাই এসে আস্তে আস্তে একটি শক্তিশালী ক্রীস্টাল তৈরী করে-তেমন ই মানুষ নিজেদের মধ্যে পারস্পারিক আইন তৈরীর মাধ্যমে একটি গোষ্ঠিবদ্ধ সমাজের জন্ম দিয়ে থাকে। এই আইন যত সমাজের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসের উপযোগী হয়, সমাজ তত শক্তিশালী হয়। অর্থাৎ যেসব সমাজের আইনগুলিতে সামরিক শক্তি বা মিলিটারিজম, পরোপকার বা আলট্রুইজম এবং প্রজননের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়-সেই সমাজ বিবর্তনের শক্তিতে ভবিষ্যতে সব থেকে প্রসার লাভ করে। মিলিটারিজম, আলট্রুইজম এবং রিপ্রোডাকশন -যেকোন প্রানীকূলের মূল সারভাইভার স্ট্রাটেজি। যদি ভিনগ্রহের কোন মানুষ আমাকে কোরান বা গীতাকে এক কথায় প্রকাশ করতে বলে-আমি লিখব এই বই গুলি মানব সমাজের সারভাইভাল স্ট্রাটেজির ম্যানুয়াল ছিল মধ্যযুগে।
কোরান বর্নিত সামাজিক নির্দেশাবলী এক শক্তিশালী আরব সমাজের জন্ম দিয়েছিল। কিন্ত ১২০০ শতাব্দি থেকে সেই সমাজ দুর্বল হতে শুরু করে। কেন? আরবরা বিজ্ঞানে যখন এত এগিয়ে ছিল, তখন তাদের মধ্যে থেকেই গ্যালিলিও বা কোপার্নিকাসের জন্ম হওয়া উচিত। কেন এমন হল না? এ প্রসঙ্গে স্যার কার্ল পপারের একটি বক্তব্য প্রাণিধানযোগ্য–যেকোন দর্শনের সব থেকে শক্তিশালী দিকটিই তার দুর্বলতম অধ্যায়। অর্থাৎ ইসলামের দর্শনের সব থেকে শক্তিশালী দিক- এক অভূতপূর্ব সামাজিক শক্তি যা কঠোর সামাজিক আইন এবং সমাজের জন্যে ব্যাক্তির আত্মত্যাগের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজের ভিত্তি হতে পারে না। সেখানে উদার নৈতিক ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ভোগ্য সমাজ দরকার। ১৫০০-১৮০০ সালের ইউরোপের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শিল্প বিপ্লব এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির পেছনে-সামরিক এবং বাজারের ( মূলত উপনিবেশিক) ভূমিকা ছিল মূখ্য। ওই সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিস্কারক, লিও নার্ডো দ্যা ভিঞ্চি, তৎকালীন নগর সম্রাজ্যের অধীশ্বর দের চিঠি লিখতেন -তার আবিস্কার দিয়ে আরো উন্নত অস্ত্র বানানো সম্ভব, তাই তাকে অর্থ দেওয়া হৌক সেসব বানাতে। অর্থাৎ প্রযুক্তিগত আবিস্কার গুলির পেছনে ( বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের কথা বলছি না) , বাজার থেকে ফয়দা তোলার ব্যাক্তিগত লোভ সেকালেও আবিস্কারদের ছিল-একালেও আছে। রেডীও থেকে ইন্টারনেট -বাজার ভিত্তিক সমস্ত প্রযুক্তির আবিস্কার এবং তার ব্যাপক বাজারীকরন আবিস্কারকদের ব্যাক্তিগত লোভ থেকেই উদ্ভুত। বাজারের অনুপস্থিতির কারনেই ভুতপূর্ব সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি মারণাস্ত্র এবং মিলিটারি প্রযুক্তি ছাড়া আর কিছুই বিশ্বকে দিতে পারে নি। কোন জীবনদায়ক্ ঔষুধ সেখানে আবিস্কার হয় নি-সব হয়েছে আমেরিকা বা ইংল্যান্ডে বা জার্মানীতে।
অর্থাৎ আমি যেটা বলতে চাইছি, ইসলামে সামাজিক শক্তির ব্যাপক চাপ থাকার জন্যে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি সত্ত্বেও আরব সমাজ সামন্ততান্ত্রিক থেকে ধনতান্ত্রিক সমাজে বিকশিত হল না। সেই ঘটনা ঘটল ইউরোপে-কারন সেখানকার রাজন্য বর্গ নিজ স্বার্থেই পোপ হতে মুক্ত হতে এবং উন্নত তর অস্ত্র ও উৎপাদনের জন্য ধর্মের ডানা ছেঁটে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগোলেন। আরবে শিল্প বিপ্লবের জন্যে ইসলামের ডানা ছাঁটা দরকার ছিল দ্বাদশ শতাব্দিতে। কিন্ত তা সম্ভব হল না ইসলামের দুর্বার সামাজিক শক্তির জন্যে। ফলে শিল্প বিপ্লব এবং বিজ্ঞানের উন্নতির সামনে ইসলামের সব থেকে শক্তিশালী ফিচারটিই তাদের পিছিয়ে পরার মূল কারন হিসাবে উদ্ভুত হচ্ছে ক্রমাগত ভাবে সেই দ্বাদশ শতাব্দি থেকে।
কিন্ত ধান ভাঙতে শিবের গীত গাইছি কেন? কারন মুসলমান সমাজের বিদ্বান ব্যাক্তিরাও বোঝেন প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর সমাজ না গড়ে তোলার জন্যে আজ পৃথিবীর ৫১ টি মুসলিম দেশই পাশ্চাত্যের থেকে অনেক বেশী পিছিয়ে পড়েছে। সামন্ততন্ত্র থেকে ধনতন্ত্রের উত্তোরন একমাত্র তুরস্ক ছাড়া কোথাও সেই ভাবে হয় নি। মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালেশিয়ার সাফল্য আংশিক। ফলে মুসলিম সমাজে বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে গিয়ে এক অদ্ভুত সার্কাসের চলছে। সেখানে বিজ্ঞানের প্রসারের বদলে ইসলাম ধর্ম কত বৈজ্ঞানিক, সেটা প্রচার করতে রাষ্ট্র এবং মিডিয়া “স্ব কিছুই কোরানে আছে” টাইপের অপবিজ্ঞানের জন্ম দিচ্ছে। এমন নয় যে হিন্দু বা খ্রীষ্ঠান ধর্মে এটা হচ্ছে না। ব্যাপক ভাবেই হচ্ছে। কিন্ত তার পেছনে রাষ্ট্রের মদত নেই। কিন্ত ইসলামের ক্ষেত্রে এই অপবিজ্ঞান রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় এক ভয়ংকর দূষনের রূপ নিয়েছে। আমি এই প্রবন্ধে দেখাবো কি ভাবে এই কুকীর্তি সাধিত হয় । কিভাবে একই আয়াত যা সপ্তম শতাব্দির আরবে ছিল রূপকথা, তা অপবিজ্ঞানীদের হাতে পড়ে, “বৈজ্ঞানিক সত্যের” দাবী করে।
(২)
একটি বাক্যের অর্থ কত প্রকার হতে পারে, এবং তা নিয়ে কি কি ঢপবাজি করা যায়, সেটা বুঝতে জ্যাকুস দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্ব খুবই উপযোগী।
ডিকনস্ট্রাকশন পাঠ করার একটি পদ্ধতি। দেরিদা দেখান
* প্রতিটা বাক্যের একাধিক অর্থ হতে পারে
* সেই অর্থগুলি পরস্পর বিরোধী হতে পারে
* একই বাক্যের নানা ব্যাখ্যা গুলির পরস্পর বিরোধিতা কমানোর কোন উপায় নেই
* তাই ব্যাখ্যা মূলক পাঠের সীমাবদ্ধতা আছে-এটাকে এপোরিয়া বলে
ডিকনস্ট্রাশনের মুলে আছে ডিফারেন্স (Différance)। এই তত্ত্ব অনুযায়ী
* একটি শব্দের নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই-এক টি শব্দের অর্থ তার কাছাকাছি সে সমার্থক শব্দগুলি আছে, তার সাথে পার্থক্য করে নির্নয় করতে হয়। বাড়ি শব্দটির অর্থ নির্নয় করতে আমদের দেখতে হবে কি করে এই শব্দটি ঘর, গৃহ, বাটিকা, প্রাসাদ, অট্টালিকা ইত্যাদি শব্দের থেকে আলাদা।
* যেহেতু প্রতিটি শন্দ একটি ইমেজ বা ছবি ( আসল বা এবস্ট্রাক্ট) কে প্রতিনিধিত্ব করে সেহেতু বাড়ির সাথে গৃহ, বাটিকা, অট্টালিকা ইত্যাদি শব্দগুলির পার্থক্য নিরূপন করতে, একই সাথে সমার্থক শব্দগুলির ইমেজ, সামাজিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকেও ভাবতে হবে ।
একটি বিতর্কিত সুরা ধরে উত্তর দিচ্ছিঃ
9:5 But when the forbidden months are past, then fight and slay the Pagans wherever ye find them, an seize them, beleaguer them, and lie in wait for them in every stratagem (of war); but if they repent, and establish regular prayers and practise regular charity, then open the way for them: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
এই আয়াতে সমস্ত গন্ডোগলের উৎপত্তি প্যাগান শব্দের অর্থ থেকে। আলি সিনা এটিকে বিধর্মীদের বি্রুদ্ধে যুদ্ধ বলেও ঘোষনা করতে পারেন-কারন কনটেক্সটুয়ালি মানেত তাই। আবার কেও ঐতিহাসিক দৃষ্টিতেও বলতে পারে, প্যাগান মানে তখনকার মক্কাবাসী ্যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রত ছিল। তাই বর্তমানে আয়াতটির কোন মূল্য নেই। সেটাও ঠিক। আবার কেও প্যাগান বলতে অমুসলিম ধরেও অর্থ করতে পারেন। আবার প্যাগান বলতে এখানে ইসলামের শত্রুও বোঝানো যেত পারে। ব্যাখ্যাগুলি পরস্পর বিরোধি অর্থের জন্ম দিচ্ছে-কিন্ত কোন ব্যাখ্যাকেই ভুল বলা যাবে না । এটার কারন প্যাগান শব্দটার “ডিফ্যারান্স”। কনটেক্সটুয়ালি শব্দটির একাধিক পরস্পর বিরোধি অর্থ হতে পারে-যার কোনটিকেই অস্বীকার করা যাবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ম গ্রন্থগুলিকে যখন আমরা ব্যাখ্যা করছি-সেই ব্যাখ্যামূলক অর্থের কোনটি ঠিক-আর কোন টি বেঠিক কে নির্নয় করবে? দেরিদার ডিকনস্টাকশন অনুযায়ী-এই ঠিক না বেঠিক ব্যাখ্যা এই প্রশ্নটিই অর্থহীন। কারন বাক্যের বাখ্যার সীমাবদ্ধতা আছে এবং একাধিক ব্যাখ্যাই কনটেক্সুয়াল কারনে ঠিক হতে পারে। একই বাক্য কখনোই একটিই মাত্র অর্থ বহন করে না।
এবার ত তাহলে বিশাল গেরো হল। দেরিদার মূল কথা হল একটি বাক্য দিয়ে একটি না একাধিক অর্থ পাঠকের কাছে সব সময় পৌছে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কোরানের ১২০০ ইন্টারপ্রেটেশন থাকলে ১২০০ টিই ঠিক হতে পারে। তাহলে কি সিদ্ধান্তে আসা যায়?
অ) আল্লা বা ঈশ্বরকে যত্ই বুদ্ধিমান ভাব না কেন-একটি গ্রন্থের মধ্যে দিয়ে তার বক্তব্যকে পৃথিবীতে পাঠানোর মতন বোকামী আর হতে পারে না! কারন সেই বই এর হাজার হাজার ভাবার্থ হতে পারে, ফলে আল্লা বা ঈশ্বর ঠিক কি চাইছেন, তা কোনদিনই জানা সম্ভব না। অর্থাৎ হীরক রাজার দেশের অবস্থা–ব্যাখ্যার কোন শেষ নাই-ব্যাখ্যার চেষ্টা বৃথা তাই। সুতরাং একজন চোর, ডাকাত, মাস্টারমশাই, ব্যাবসায়ী, যোদ্ধা-একই বই পড়লেও এদের কাছে কোরানের ব্যাখ্যা হবে আলাদা। মোদ্দাকথা ১৫০০ মিলিয়ান মুসলিম কোরান পড়ে ১৫০০ মিলিয়ান ব্যাখ্যা তুলে নিয়ে আসতে পারে-যার অনেক গুলিই পরস্পর বিরোধি হবে-কিছু মিল থাকবে। এবং সেটাই বাস্তব। আল্লা বা ঈশ্বর বুদ্ধিমান হলে বই এর মাধ্যমে, ইনস্ট্রাকশন পাঠানোর রামপাঁঠামো কাজটি করতেন না। উনি ত সৃষ্টির মা-বাপ। একদম মানুষের মস্তিস্কের মধ্যে কোরানটাকে জেনেটিক্যালি ওয়ারড করে পাঠিয়ে দিলেই লেঠা চুকে যেত! আল্লা কি চান? তার আইনের সাম্রাজ্য! সেটা ত মানুষের জেনেটিক কোডে ঢুকিয়ে দিলেই অনায়াসেই হয়ে যেত! উনিই ত মানুষ তৈরী করেছেন! সেটা না করে বই এর মাধ্যমে তার ইচ্ছা বা আইনের কথা জানানোর গাধামো কেন তিনি করলেন তা সত্যই খুব গোলমেলে! একবার ভেবে দেখুন। একটি প্রতিষ্ঠিত আইনের ও হাজার ব্যাখ্যা হয়-আইন বাক্যটি কিন্ত বদলায় না। সুতরাং কিছু আইন সংকলন করে ছেড়ে দিলেই আইনের সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয় না-সামাজিক বিবর্তনের সাথে সাথে সেই একই আইনের ব্যাখ্যাও বদলে যায়। সুতরাং একটি গ্রন্থের মাধ্যমে সর্বকালীন সার্বজনীন একটি ধর্মের প্রতিষ্টা করার ধারনাটাই ডাঁহা ভুল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বা আল্লার যদি সত্যিই অস্তিত্ব থাকত -ধর্ম রাজ্য বানাতে ধর্ম গ্রন্থ বাজারে ছাড়ার মতন বোকামি তিনি করতেন না। জেনেটিক কোডে সামান্য রদ-বদল করে তিনি তার ধর্ম রাজ্য বানাতে পারতেন! ধর্মগ্রন্থ বাজারে ছেড়ে ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্টার খোয়াব মানবিক ক্রিয়া-কলাপ, যা এই বান্দা বর্তমান প্রবন্ধের মধ্যে দিয়ে করে চলেছে। কারন মানুষের জেনেটিক কোড বদল করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই!
আ) ধর্মের ব্যাখ্যা মূলক বিতর্কগুলি অর্থহীন জঞ্জালের সৃষ্টি করছে। কারন কোন ব্যাখ্যাই আসলে বেঠিক না। যে কোরানে বিজ্ঞান পাচ্ছে সেও ঠিক ব্যাখ্যা করছে-যে পাচ্ছে না-বা উলটো পাচ্ছে সেও ঠিক ব্যাখ্যা করছে। কারন ওই রকম দুর্বল বাক্যের একটি মাত্র ভাবার্থ থাকতে পারে না। সুতরাং যারা কোরানে বিষ্ঠা এবং মূত্র পাচ্ছে তারাও যেমন ঠিক-আবার যারা ফুল ফলের শোভিত গন্ধ পাচ্ছে তারাও ঠিক। দেরিদার কথা মানতে গেলে ব্যাখ্যা মূলক বিতর্ক সম্পূর্ন অর্থহীন-একাধিক পরস্পর বিরোধি ব্যাখ্যা থাকাটাই বাক্যের ধর্ম!
(৩)
তাহলে কি আমরা জাকির নায়েকের এই ধরনের ধরনের ধাপ্পাবাজির সামনে অসহায়? মোটেও না। আসল সমস্যার মুলেই আঘাত করতে হবে। ডিকনস্ট্রাকশন জনিত দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ধর্মকে মানবিক বা যুগোপযোগী করে তোলার চেষ্টাকে বলে “উইক থিওলজি” বা “দুর্বল ধর্মতত্ত্ব”। এটাই ধর্মতত্ত্বের পোষ্টমডার্নিজম-যে কোন ধর্মতত্ত্বের একটি ই মাত্র ব্যাখ্যা থাকতে হবে তার মানে নেই। কারন ধর্মের টেক্সট বা বাক্যগুলির গঠন খুব দুর্বল। গোদের ওপর বিষফোরার মতন মধ্যযুগীয় শব্দ। ফলে আইসক্রীমের বা চালের যেমন গার্ডেন ভ্যারাইটি প্রোডাক্ট লাইন থাকতে পারে-ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম মানেও যে একটিই মাত্র ধর্ম বোঝাতে হবে, তারই বা মানে কি আছে? আসল সত্য ত এটাই ১৫০০ মিলিয়ান মুসলমান ১৫০০ মিলিয়ান রকমের ইসলাম ধর্ম পালন করে। হিন্দু দের মধ্যেও তাই-এক বিলিয়ান হিন্দুর জন্যে এক বিলিয়ান হিন্দু ধর্ম। ভারতে বা পাকিস্থানে যে ধরনের ইসলাম পালন করা সহজ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, আমেরিকাতে তাত হবে না। তাই এখানে, আমেরিকাতে ইসলামের বিবর্তন বা হিন্দু ধর্মের বিবর্তন ও অন্যভাবে হবে। এবং এই ভাবেই ধর্মের উদারনৈতিক ব্যাখ্যাগুলি ক্রমশ গোঁড়া বা রক্ষনশীল ব্যাখ্যাকে কোনঠাসা করতে সক্ষম হবে, সেই বিবর্তনের পথেই। এই ভাবেই ত হিন্দু সংস্কার আন্দোলন সফল হয়েছে। তাই ইসলামের যত বেশী ব্যাখ্যা বাজারে আসবে ধর্মটার বিবর্তন হবে তত দ্রুত-কারন মানুষ তার যুগোপযোগী ব্যাখ্যাটাই খুঁজে নেবে। এই ভাবে বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্ম সংস্কার আন্দোলন কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। ভারতের ইসলাম আর আরবের ইসলাম এক না। বাংলার ইসলাম, বাংলার মাটির সাথে কথা বলেই তার ভাবার্থ খুঁজেছিল এক সময়-এখন আবার আরবী হওয়ার চেষ্টা করছে। যা অতীব হাস্যকর কারন বাংলার ইসলামও এই ধরনের উইক থিওলজি থেকে বাংলা সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিবর্তিত ধর্ম। সেই বিবর্তনকে উপেক্ষা করে, আরবের ইসলাম বাংলায় চালাতে গেলে, বাংলা ভাই টাইপের চরিত্রই ভবিষ্যত।
আবার ধর্মীয় মৌলবাদিরা ডিকনস্ট্রাকশনের ভাষায় স্ট্রং থিওলজিস্ট-কারন তারা বিশ্বাস করে ধর্মীয় বাক্যের একটিই মাত্র ব্যাখ্যা আছে -যা তারা মানে। কিন্ত আমরা দেখালাম, তা অবৈজ্ঞানিক ধারনা। ধর্মীয় বাক্যের একাধিক অর্থ থাকাটাই বাস্তবে সত্য। মূলত এদের জন্যেই মৌলবাদি জঞ্জালে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী।
কিন্ত ধর্মে বিজ্ঞান খুঁজে পাওয়া অপবিজ্ঞানীদের কি হবে? ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কির মতে এই ধরনের উৎপাতের কারন ধর্মগ্রন্থগুলির বাক্য উইক টেক্সট বা দুর্বল ভাবে গঠিত বাক্য যা বিজ্ঞানের ভাষা হতে পারে না। রিচার্ড ডকিন্স ও এই ব্যাপারে সহমত। অর্থাৎ নিউটনের তৃতীয় সূত্র বিজ্ঞান যে ভাষায় লেখে, সেখানে একটি বাক্যের একাধিক মানে নেই। বিজ্ঞান ভাষ্যে বাক্যকে ভীষন ভাবে অবজেক্টিভ হতে হবে যাতে একটিই মাত্র অর্থ হয় এবং সেই অর্থ অনুসরন করে তার পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান সম্ভব। কোন বাক্যের একাধিক পরস্পর বিরোধি অর্থ থাকলে, সেই বাক্যকে আমরা বলব উইকটেক্সট ( দুর্বল বাক্য) এবং সেই বাক্যটি বিজ্ঞানের জগতে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। সুতরাং আমাদের স্ট্যান্ডার্ড উত্তর হওয়া উচিত-কোরান বা গীতায় বিজ্ঞান আছে কি নেই-তাই নিয়ে ধার্মিক রা যত খুশী মাথা ঘামাক। তাতে বিজ্ঞানীদের কিছু যায় আসে না-কারন ওই গ্রন্থ গুলির টেক্সট এত দুর্বল -তা একাধিক অর্থ বহন করে, তাই তা বিজ্ঞানের বিবেচ্য নয়। কেও যদি কোরানে বিজ্ঞান আছে বলে গর্বিত বা খুশী হয়। তাতে কি যায় আসে। হিরোইন বা কোকেন খেয়েও লোকে আপাত ভাবে খুবী উজ্জীবিত থাকে। সেটা তাদের চয়েস-কিন্ত বিজ্ঞানী মহলে তা অর্থহীন প্রলাপ ছাড়া কিছুই না।
মোদ্দা কথা আল্লা নিজের ভেলকি বা কেরামতি দেখাতে চাইলে, মানুষের জেনেটিক কোডেই সেটা করতে পারতেন-বই এর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্ত্তনের চেষ্টাটা আমাদের মতন নশ্বর মানুষের কাজ!
আপনার লেখাটি ফেইসবুকে আমাদের পেজে শেয়ার করলাম । ধন্যবাদ স্যার ।।
অর্থের সমস্যা তো থাকেই, তার উপর অনুবাদ হয়, ফলে অর্থ আরো পাল্টে যায়, কিন্তু দেরিদার নামটাই তো শুধু পাওয়া গেলো, তবে তার আলোকে ব্যাখাটা জোকার জাকিরের মতই এক পলকেই শেষ হয়ে গেলো।
উদারনৈতিকতা নামের এক ধরণের অব্যাখ্যাত সমাজের প্রসংগ আপনি প্রায়ই টানেন, সেটা কি এখনো বিবর্তনের পথে আছে, নাকি কোনোদিন সেটা আলোর মুখ দেখবে? নাকি ওটার সংজ্ঞাও দেয়া যাচ্ছে না ভাষার এই সমস্যার কারণে? নাকি ওটা মার্কিন মুলুকে স্থাপিত হয়ে গেছে?
আপনি হিন্দু ও খ্রিস্টান সমাজের সফল রিফর্মের কথা বলেছেন, কতটা সফল এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে, তবে হ্যা ও দুটির ধ্বজাধারীরা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক ধরণের সুবিধাবাদী অবস্থান নিয়েছে এক কালে। ইসলাম এখনো সে রকমের রিফর্মে কিংবা বড় পর্যায়ের বিভাগে যায়নি বলেই মনে হয় পশ্চিমারা আতঙ্কিত। আপনার শংকা সে গোত্রের না হলে ভালো। কিন্তু আপনার অবস্থান সন্দেহের সৃষ্টি করে। একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন কি, যে আপনি কি দার্শনিকভাবেই ঈশ্বরতত্ত্বের বিরোধী নাকি শুধু ধর্মগুলির বিরোধী?
আমি জানতে চাচ্ছি, সে জন্যেই আপনার লেখাটার লিংকে ক্লিক করেছিলাম, তর্কে যাবার মতন জ্ঞান আমার নাই, সাহায্য করলেই খুশি হব।
বিপ্লব,
এখানে অপ্রাসংগিক, তবে সদা সত্য কথা বলার একটি বিষয় আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায় যা আপনাদের কথায় আবারো মনে হল।
আমরা সভ্য শিক্ষিত সমাজ কোন প্রতিবন্ধী লোককে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করি না ল্যাংড়া মতিন বা কানা কানাই হিসেবে। কিন্তু বলতে কি দোষ আছে, কারন ব্যাপারটা তো আসলে সত্য? স্বচ্ছতা কি সব সময় থাকা ভাল?
আমাদের গ্রামাঞ্চলে বা শহরেও অশিক্ষিত এলাকায় কিন্তু এখনো এই কালচার প্রচলিত।
আপনার লেখা পড়ার শুরুতেই হোচট খেলাম।
একজন ‘মুক্তমনা’ লেখক হিসাবে দায়িত্ব সাধারনভাবে অন্য মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ( এমনকি আপনার প্রতিপক্ষ আপনার প্রতি না প্রদর্শন করলেউ)। আপনি জাকির নামক জনৈক ব্যাক্তিকে ‘জোকার’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। যেটা একজন ব্যাক্তিকে অসম্মানার্থে করা হয়েছে বলেই ধারনা। ধরা যাক আমি জাকির নামক ব্যাক্তিকে চিনিনা কিন্তু আপনার লেখা পড়ার পরে ঐ ব্যাক্তিকে না জেনেই তার সম্পর্কে আমার একটি খারাপ ধারনা হতে পারে। তাছাড়া উক্ত ব্যাক্তি এখানে আত্মপক্ষ সমর্থনে অনুপস্থিত তাই এ ধরনের চরিত্র হনন ‘গীবত’-এর শামিল।
তাকে আপনার ‘জোকার’ মনে হতেই পারে। এবং সেটা হওয়া উচিত আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই ব্লগ একটি ‘পাবলিক প্লেস’। তাই আপনার ব্যাক্তিগত মত প্রকাশের চেয়ে সংযত বক্তব্য প্রকাশ করলেই আশা করি নতুন লেখক বা পাঠকের কাছে আপনার সম্মান বৃদ্ধিপাবে।
এছাড়া আমরা কিছু পেশাকে খুব কদর্য ভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করি। যেমন নাপিত। আমরা কেউ বেশী বাড়াবাড়ি করলে তাকে নাপিত অমুক হিসাবে উল্লেখ করি এতে উল্লেখকারীর কদর্যতাই প্রকাশ পায়। ‘জোকার’ একটি পেশা ও একটি শিল্প আশা করি এই তথ্যটি আপনার জানা আছে।
এখানে যারা আসেন আশাকরি তারা প্রানবন্ত যুক্তি ও বিতর্কের কারনেই আসেন। জাকির সাহেবের যুক্তির বিরুদ্ধে আপনার কিছু বলার থাকলে তা সবাই সহজেই গ্রহন করবেন, কিন্তু তাকে ব্যাক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাকে মানুষ আপনার দুর্বলতা হিসাবেই প্রতিপন্ন করবে।
এক্ষেত্রও আগের মতামত প্রযোজ্য। একজন ধর্ম বিশ্বাসীব্যাক্তি (আপনি অবশ্যই আগুন্তুক পাঠককে আপনার মন মত বানিয়ে নিতে পারবেননা) যখনই এই সব অবমাননা কর ভূমিকা পাঠকরবেন, সে তার স্বাভাবিক যুক্তি বুদ্ধির দরজা বন্ধ করে দিবেন এবং বাকিটুকু না পরেই একটি ‘পূর্ব-ধারনা’-এর বশবর্তি হয়ে আক্রমনাত্বক হয়ে উঠবেন। একজন লেখক চায় পাঠকের সম্মতি (যদিও হতে পারেন পাঠক প্রথমত একজন ভিন্নামতাবলম্বী)। আর পাঠকের সম্মতি অর্জন করতে হলে লেখককে কৌশলি হতে হয়। যেহতু আপনি আপনার চাহিদা মোতাবেক পাঠক সৃষ্টি করতে পারবেননা তাই আপনা হতে আগত পাঠকের উপর প্রভাব বিস্তারই লেখকের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে যেভাবে শুরুতেই আপনার ব্যাক্তিগত মতামত জন প্রচলিত বা জনপ্রিয় ‘সিম্বল’ যেমন আল্লাহ, মুহাম্মদ কিংবা জাকির সাহেবের উপর আপনি প্রয়োগ করেছেন তাতে লেখক হিসাবে সাধারন পাঠকের প্রত্যাশাকে আপনি আঘাত করেছেন তার পাশাপাশি নৈতিক ভাবেও আমি আপনাকে মুক্ত-মনা লেখক সমর্থন করতে পারছিনা।
প্রকৃতি বিজ্ঞানের তত্ব বা বর্ননার মধ্যে দ্ব্যার্থকতার অবকাশ না থাকলেউ সামাজিক বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার মধ্যে দ্ব্যার্থকতার অবকাশ রয়ে যায়। ‘কেইনসীয় অর্থনীতির’ বিভিন্ন স্কুল কেইনসীয় ধারনাকে বিভিন্ন ভাগে ব্যাখ্যা করেন। কেইন্স ‘নিয়ন্ত্রন’ বলতে কি বুঝিয়েছেন কিংবা এডাম স্মিথ ‘ অদৃশ্য হাত’ বলতে কি বুঝিয়েছেন তাতে কিন্তু যথেষ্ঠ মতভেদ আছে।
আরব সভ্যতার পতনে যে কারনগুলি দেখিয়েছে তা নিতান্তই শিশুসুলভ। প্রতিটি যুগের নিজস্ব একটা চাহিদা থাকে যে সমাজ সেই চাহিদাকে পুরন করে তারাই সেই যুগে শেষ্ঠত্ব লাভ করে। আরব সমাজ তার যুগের চাহিদাকে পূরন করেছিল বলেই তৎকালিন যুগে শির্ষে অবস্থান করেছে কিন্তু যুগের চাহিদার পরিবর্তন বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় সভ্যতা তাদের কাছ থেকে। গ্রীক সভ্যতাতে এত বেশী জ্ঞান বিজ্ঞানের ও বানিজ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি চর্চা হবার পরও তারা কিন্তু সভ্যতাকে ধরে রাখতে পারেনি কারন প্রতিটি সভ্যতাই শির্ষে উঠার পর এক ধরনের জড়তায় ভোগে যা পরিবর্তনের গতি রুদ্ধ করে দেয়। আর জড়তা পতন ডেকে আনে। বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা নিয়েও অহমিকা করার কিছুই নেই। নিজেদের চরম সভ্য ভাবার কোন সুযোগ নেই কারন আমরা নিজেরাই আমাদের আজান্তে ধ্বংসের বীজ বপন করে চলেছি।
@shamim,
অনেক কথার সাথেই একমত, আমার ধারনা লেখক সামাজিক বিজ্ঞান গুলর দ্ব্যার্থকতার কথা বলেন নি, তিনি বিজ্ঞানের বিষয়গুলর কথা বলেছে, যেমন কুরানে যদি এ কথা বলা থাকত যে উহারা কি দেখেনা যে সুর্য কখন ডুবেনা, পৃথিবীর আন্হিক গতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে দেখা যায় তাহলে সেটা আরো পরিস্কার হত, কারন সুর্য ডুবে এ কথার থেকে সুর্য ডুবেনা এ কথা অনেক বেশী আপেক্ষিক সত্য, বিজ্ঞান জানা মানুষেরা অন্তত বিভ্রান্ত হত না, আমি যখন এ বিষয়টি আপনাকে লিখছি, তখন আমার ছোট ভাই, ছোট বোন যে ক্লাস এইট এ পড়ে, তারা আমাকে কুরানে বিজ্ঞানের জ্ঞান দিতে বসে গিয়েছে, ঘটনাটা ছিল এরকম, আমার পিতা আমাকে ডেকে বললেন আলোচনা করবেন, এ বিষয়টি যখন উঠল তখন আমি বললাম পরিস্কার কোন বক্তব্য কুরান থেকে নেই, এর পরই আমার বলা বন্ধ হয়ে গেল, আমার পিতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন, আমাকে কাফের ও বঞ্চিত করবেন এ কথা বলতে দ্বীধা করলেন না, তখন সবার মানসিকতা প্রায় একি রকম দেখলাম, কেউ-ই মানবতার কথা বলতে পারলনা। অথচ তারা আমাকে আলোচনার কথা বলে ই শুরু করল।
আশা করি আপ্নার কাছে ব্যাপারটা পরিস্কার যে জাকির নায়েকদের এসব লেকচারে এরা কতটা বিভ্রান্ত ও উন্মত্ত।
@shamim,
(1) উক্ত জোকারটি যেভাষায় নাস্তিকদের সম্বোধন করেন, তার জন্যে তাকে জোকার বলা অন্যায় নয়। তাছারা, জোকার নায়েক নামটা আমি দিয়েছি এমন না। বলতে গেলে, মুসলিম, অমুসলিমদের সবাই যারা তার মিথ্যেচারিতা পছন্দ করে না, তারাই এই নাম তাকে দিয়েছে। এই প্রশ্নটা আপনি তাদের করলেও পারেন। এবং আমার ধারনা আপনার বক্তব্য আমার অজ্ঞতাপ্রসূত বলেই মনে হচ্ছে।
জোকার নায়েককে জোকার বললে জাকির নায়েক কে অপমান করা হয় না। তবে জোকারদের অবশ্যই অপমান করা হয়। কারন তারা সৎপেশায় আছে। জাকিরের মতন মিথ্যে বেচে খায় না। তবে সেই অর্থে বৃহত্তর সত্য হল, স্যাটায়ার মার্কা কথাবার্তা, কাওকে আঘাত না করে, করা অসম্ভব।
এটা আপনার একটু দ্বিচারিতা হচ্ছে। কোরানে প্যাগানদের এবং অবিশ্বাসীদের যে ভাষায় আক্রমন করেছে, আমি তার ১% ও করি নি। আল্লা জাতি ধর্ম বিশ্বাস তুলে আক্রমন করে, তা অমৃত সমান? আর তা মানুষ করলেই দোষের? কোরান যে ভাষায় প্যাগানদের আক্রমন করেছে, সেটা জেনে বুঝে যদি কোন মুসলিম পিসড অফ না হয়, তাহলে তাদের বিশ্বাসকে আক্রমন করলে, সেটা হজম করার ক্ষমতা তাদের রাখতে হবে। নইলে সেই ধর্ম বিশ্বকে সন্তাসবাদি ছাড়া আর কিছু দিতে পারবে না।
আর ইতিহাস নিয়ে আপনি যা লিখেছেন, তার সাথে আমার বক্তব্যের পার্থক্য কোথায়? আপনার যাদি পার্থক্য লেগে থাকে, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি আমার লেখা বুঝতে ভুল করেছেন।
@বিপ্লব পাল,
ধরাযাক আমি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুশকে ‘হারামজাদা’ মনে করি কিংবা অনেকে তাই মনে করেন। সেটা আমি বা অন্যেরা করতেই পারি। আমি যখন আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মহলে এটি নিয়ে আলাপ করব তখন এটি সম্ভবত কোন দোষনীয় নয়। কিন্তু ধরুন কোন পত্রিকায় বা পাবলিক অনুষ্ঠানে যখন ঐ ব্যাক্তির উদৃতি দিব তখন নিশ্চই তাকে ‘হারামজাদা’ বুশ বলে সম্বোধন করবনা। কিংবা ধরুন আমি মনে করি আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন চোর। আমিকি তাকে পাবলিক প্লেসে ‘চোর প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করব?
এই প্রশ্নের উত্তর কেবল যাকে আপনি সম্বোধন করেছেন তিনিই দিতে পারেন। অন্য কেউ নয়। ধরা যাক আপনাকে আমি মনে করলাম আপনাকে ‘ খচ্চর বিপ্লব’ বললে আপনাকে অপমান করা হয় না মনে করে তার ব্যাবহার শুরু করলাম কিংবা আরেকজনকে ‘কুত্তা অমুক’ বললে তাকে ছোট করা হয়না বলে মনে করা শুরু করলাম। এতে কি হবে; ব্লগে প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে এবং একটি অস্থিতিশীলতা শুরু হবে। আপনাকে যারা পছন্দ করে তারা আমাকে শত্রু জ্ঞান করবে। এর পর আমি আপনার লেখার যতই যৌক্তিক সমালোচনা করিনা কেন তা বিদ্বেশ প্রসুত মনে হবে। আসলে নিজে যা মনে হল তাই করাই কল্যান নয়। এমনকি সংখাগরিষ্ঠ লোক যা ভাবে তা করাই কল্যানকর নয়। যা সঠিক তার সমর্থন যত কমই হোকনা কেন তা করাই কল্যান। নইলে ধর্মের দোষ কোথায়?
আমিতো চাই আপনি ০% ও করবেনন না। যে কারনে আল্লা যে কাজ করলে (‘আল্লা জাতি ধর্ম বিশ্বাস তুলে আক্রমন করে’) অপছন্দ করেন সেই কাজ যদি আপনি নিজেই করে বসেন তাতে আপনি আর আলাদা হলেন কিসে?
আল্লাতো একটি রূপক মাত্র। যারা আল্লার নামে শোষন করে তাদের একটি ঢাল মাত্র। । ঐ ঢালেরতো কোন দোষ নেই কারন সেটি একটি যন্ত্রমাত্র। সমস্য হলো ঐ ঢালের পিছনে লুকানো লোকগুলি যারা ঢালকে চালায়। ছিনতাই করার জন্য কিন্তু চাকু দায়ী নয় বরং ছিনতাইকারী দায়ী হয়। আর এই সব সিম্বলকে আঘাত করে কোন লাভ হয় না কারন এতে অন্ধ বিশ্বাসকে উস্কে দেয়া হয়।
আমাদের টার্গেট হল মানুষ, আল্লাহ নয় (যার অস্তিত্ব নেই সে কিভাবে টার্গেট হতে পারে)। আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের মধ্যে পজেটিভ রূপান্তর ঘটানো যাতে তারা নিজের থেকেই সত্যকে উপলব্ধি করে। এর জন্য উচিত মানুষকে সম্মান জানানো এবং তাদের বর্তমান বিশ্বাসকে (তা যতই মিথ্যা হোক) আপাত ভাবে সম্মান করা। সম্মান করার অর্থ তাকে মেনে নেয়া নয়। যেমন, আমি বিরোধী দলের সমর্থক হতে পারি কিন্তু সরকারী দল থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আমি সম্মান করি। আমার বিরোধিতা যুক্তির মাধ্যমে, অসম্মানের দ্বারা নয়।
@shamim,
দেখুন এখানে যুক্তিদুটো পক্ষেই চলতে পারে। যদি আমি প্রধানমন্ত্রিকে আড়ালে আবডালে চোর বলে গালাগাল দিই আর পাবলিক প্লেসে বলি মহান, তাহলে আমার চরিত্রের দ্বিচারিতাই প্রকাশ পাবে।
অধিকাংশ হিন্দু পাবলিক প্লেসে মুসলমান বা ইসলাম নিয়ে গালাগাল দেয় না। ঘরে ঢুকে, নিজেদের মধ্যে সম্পূর্ন অন্যরূপ ধারন করে। মুসললানরাও হিন্দুদের নিয়ে প্রকাশ্যে বা পাবকিল প্লেসে গালাগাল দেয় না খুব বেশী-কিন্ত নিজেদের মধ্যে আমি যদ্দুর জানি তারাও হিন্দুদের মুন্ডপাত করে। অর্থাৎ এই ব্যাপারে হিন্দু মুসলমান সবাই ডবল স্টান্ডার্ড নিয়ে থাকে। এটাকে আমি মোটেও ভাল বলে মনে করি না। এগুলো মোটেও স্বচ্ছ চরিত্রর উদাহরন না। আর একজন লেখকের স্বচ্ছ থাকা ভাল।
হা হা হা হা হা !
খুব করে হেসে নিলাম বিপ্লব দা !
আপনার অদ্ভুত সুন্দর লেখাটা পড়ে ব্যক্তিগত উপলব্ধি যে কী চমৎকার হয়েছে, তা আর নাই বললাম। অতঃপর সবগুলো মন্তব্য পড়ে পড়ে নিচে এসে কোন কোন মন্তব্য হুজুরীয় মন্তব্য থেকে এতো বেশি বিনোদন পেলাম যে, না হেসে আর পারলাম না ! হা হা হা !
ধন্যবাদ বিপ্লদা। নতুন কিছু উৎবচন তৈরিতে এই বিনোদনটা আমাকে খুব সহায়তা করবে।
@বিপ্লবদা,
যাই বলেন…শয়তান কিন্তু ভালো বিনোদন দিতে পারে। :laugh:
@আগন্তুক, হুম!!মোগাম্বো খুশ হ্যায়!
@আদিল মাহমুদ,
একসাথে সবগুলো ধর্মই কিন্তু ‘ইনভ্যালিড’ হতেই পারে এবং তার পক্ষেই প্রমাণ বেশি।আর আপনি কি বলতে চাইছেন যে শয়তানের পুজাটা এতই খারাপ যে ওটা কখনোই ‘ভ্যালিড’ হতে পারে না?যদি আপনি শয়তানের পূজক হতেন তবে কিন্তু এমন ভাবতেন না! হা হা হা :laugh: !
হ্যাঁ ঘুরে ফিরে সব দোষ ‘বড়ে ভাই’ তথা আল্লামিয়ারই, শয়তান বড়জোর মুম্বাইয়ের ‘ডন’! :laugh:
@আগন্তুক,
ভাই রে আপনি তো দেখি আমাকে শয়তানের সাথে লড়াই এ নামিয়েই ছাড়বেন। মনে হচ্ছে সাথে সাথে নিজেও শয়তানের পক্ষ নিয়ে তাতে যোগ দিবেনঃ)। আমি শয়তান ভাল কি মন্দ, তার পূজো কিরকম তেমন কোন কথাই বলিনি।
এক শয়তানের ঠেলাতেই বাচি না আর তার সাথে আবার গোদের উপর বিষ ফোড়ার মত আপনি!
মাফ করে দেন ভাই, শয়তানের নাম আর মুখেও আনছি না।
@আদিল মাহমুদ, আদিল ভাই যাই বলেন, একটা ভ্যালিড ধর্মের জন্য আপনার আকুতি কিন্তু স্পষ্ট। আপনার মন্তব্যে থেকে সেটা কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যায়।
ভ্যালিড ধর্ম মানে- যে ধর্ম স্রষ্টা মানুষের জন্য মনোনিত করেছেন। যা পালনের মাধ্যমে একজন মানূষ দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হতে পারে। আমি ভুল বলে থাকলে, আশাকরি সুধরে দেবেন। উপরের বক্তব্য গুলো ইসলাম ধর্মের মূল স্লোগানের সাথে কেমন আদ্ভুত ভাবে মিলে যায়, তাই না?
মুসকিলটা হচ্ছে, গাছে না উঠতেই এক কাদির মত, জন্মেই এক জন মুসলমান একেবেরে ভ্যালিড ধর্মটা পেয়ে যায়। আর অমুসল্মানদেরকে ছেড়তে হবে তাদের মা, বাবা, পরিবার, সমাজ সবকিছু সেই ভ্যালিড ধর্মকে পাবার জন্য, এটা কেমন না ?
মানে লেবেল প্লেইং গ্রাউন্ড এটাকে বলা যাবেনা। পক্ষপাতিত্তের ব্যাপার এসে যায়।
আর শয়তানের উপাখ্যান কেবল সেমেটিক শাখায় উৎপন্ন ধর্মের মধ্যেই পাবেন। হিন্দু বা বৌ্দ্ধ ধর্ম শয়তান ছাড়াই চলছে। বৈ্দিক মতে ঈশ্বর মঙ্গলময়। অমঙ্গল যা তা আমাদের ভ্রম। অমঙ্গলের মূলত কোন অস্তিত্ব আসলে নেই। একারনেই রামকৃ্ষনের পক্ষে বলা সম্ভব হয়েছে -যত মত তত পথ।
@আতিক রাঢ়ী,
দেখুন আমার মনে হয় না যে আমি অন্তত এই থ্রেডে কোন ভ্যালিড ধর্মের প্রতি কোনরকম আকুতি প্রকাশ করেছি বলে।
এখানে আমার মূল আর্গুমেন্ট কোনভাবেই কোন ধর্ম বড় বা ছোট, শয়তান ভাল কি মন্দ, বা তার মন্দ কাজে তার দায় বেশী না আল্লাহর দায় বেশী এ জাতীয় কিছু ছিল না। আমার মূল আর্গুমেন্ট ছিল যে সব ধর্মই একই সাথে ভ্যালিড এ জাতীয় অবাস্তব কথাবার্তা অনেকটা ভন্ডামী ছাড়া তেমন কিছু না।
এ বিষয়ে বিপ্লবের সাথে আমার কথা হচ্ছিল, তার প্রথম অংশ এখানে আবার তুলে দিচ্ছি; “সব ধর্ম কিভাবে ভ্যালীড হয়? যেমন বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদের হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলাম, ইহুদীবাদ, বা খ্রীষ্টীয়ানদের মিল থেকে অমিল অনেক অনেক বেশী। কোনটা ঠিক বেঠিক তা এখানে কথা না, কথা হল সবগুলি একই সাথে সঠিক হতে পারে না।
এর সাথে কোণ প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতি আমার আকুতি কোথায় প্রকাশ পেল তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে আসে না।
শয়তান প্রসংগ টেনেছিলাম দেখাতে যে ধর্মীয় বিশ্বাসের পার্থক্য কত প্রকট হতে পারে সেটা দেখাতে, কোনভাবেই আমি সেখানে শয়তান কত মন্দ বা তার মন্দ কাজের দায় কার সে আলোচনায় যাইনি, অথচ আগন্তুক সাহেব কেন যেন ধরে নিলেন যে আমি শয়তানের উপর বেজায় রাগ ঝেড়ে বসেছি।
কারো কাছে শয়তান সত্য, আবার কারো কাছে মহীষাসূর সত্য। এগুলোর কোনটাই কোনদিন প্রমান করা যাবে না, তাই এসব নিয়ে তর্ক মানে বৃথা সময় নষ্ট।
আর যদি জানতেই চান তো বলি যে আমি মনে করি না যা ধর্মের হাজারো বাজে দিক থাকলেও ধর্মহীন পৃথিবী খুব ভাল কিছু হবে বলে। আপনি বা আর কেঊ উল্টাটা ঠিক মনে করতে পারেন, আমার কোন আপত্তি নেই।
আরো বলতে চাই যে কেউ জন্মগত সূত্রে ইসলাম বা কোন ধর্ম পেয়ে গেল মানে ভ্যালিড কোন ধর্ম পেয়ে গেল তাতেও আমি বিশ্বাস করি না। আমার কাছে ধর্ম মানে জীবন যাপন করা, তা যে ধর্ম মতে বা নাস্তিক যেমতেই হোক না কেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মওয়ালারা এমন কিছু মানতে চাইবেন না এটাই আমি বলতে চেয়েছি।
@আতিক রাঢ়ী,
আপনি রেগে আছেন। পরে কথা হবে।
The Quran has presented Iblees as an embodiment of rebellion, disobedience, insubordination and revolt. He refused to obey Allah, took up a rebellious path and became among those who disobey (2/24), as opposed to Malaika whose nature is only to obey and follow and bow before Allah’s Command (38/73).
Although nothing in ‘nature’ obeys Man, he can obviously learn to channel its workings to his advantage. When Man was made to settle on earth at first his needs were very limited and the means of subsistence plentiful. However, the baser instincts of Man eventually got the better of him. Driven by selfishness, human beings began to live according to their own self-made systems. As a result, they lost their blissful life. Humanity was split into different races, tribes and nations, with enmity amongst them.
In this universe, man is the only creature who is given choice and discretion. He may or may not obey the Laws of Allah; the choice is his. This discretion is not given to any other creature. Man decides to disobey Allah’s Laws when he is overpowered by his feelings and emotions. These emotions instigate him for personal gain against universal good. He by-passes the Laws of Allah and starts following his own emotions. At this stage his intellect tells him the ways and means to achieve these objects. These emotions and the intellect which guides them to achieve these objectives, are given the name of Iblees by the Quran. Because of his rebellious nature, it was said that he was born out of fire (7/12) and since feelings of human beings remain hidden Iblees or Shait’an was also called a Jinn (18/50). Jinn means one who is hidden. At the time of his birth, along with emotions, a man is also given the power of discretion by virtue of which he is capable of disobedience, and they accompany him throughout his life span (15/36).
@আইভি/ফুয়াদ,
ধণ্যবাদ, আপনাদের কাছ থেকে পরিষ্কার হল যে ইবলিস আসলে জ্বীন গোত্রীয়। কিন্তু মূল সমস্যা থেকে যাচ্ছে, বরং বলা যায় আইভি আরো ঘণীভূত করলেন। যদিও আইভির কথা থেকে মনে করে নেওয়া যেতে পারে যে শয়তান আসলে কোন সত্ত্বা বা এন্টিটি নয়, অনেকটা রূপক জাতীয় ব্যাপার? মনে হয় বিপ্লবের এই ডেরিদার থিয়োরী অনুযায়ী যার যেভাবে খুশী সেভাবে ব্যাখ্যা করে নিতে পারে।
“In this universe, man is the only creature who is given choice and discretion. He may or may not obey the Laws of Allah; the choice is his. This discretion is not given to any other creature”। আমিও অনেকটা এমনি জানি আর তাতেই শয়তানের কেচ্ছা কেমন যেন লাগে। মানুষই একমাত্র জীব যার স্বাধীন বুদ্ধি বিবেচণা দেওয়া হলে শয়তান জ্বীন হয়ে কেমন করে বেলাইনে যায়? মানুষ হলে নাহয় বেলাইনে যেতে পারে। কিন্তু মানুষ ছাড়া অন্য যেকোন সৃষ্টির তো স্বাধীন বিচার বুদ্ধি নেই, মানে তারা অনেকটা প্রি-প্রোগ্রামড, তাদের যাবতীয় কাজের দায়ভার তো সে হিসেবে প্রোগ্রামারের হওয়া উচিত।
@আদিল মাহমুদ,
আরেকবার পড়ুন নিচের অংশটা। শয়তান বলতে মানুষের selfish desireকেই বোঝানো হয়েছে।
Verse 51:56 states that God has created Jinn and mankind for Ibadah. Ibadah is not worship. It means obeying Allah by serving his creation. As for the “Jinn”, the term literally means “hidden”.
According to Sir Syed Ahmad Khan, Allama Aslam Jairajpuri, Imam Raghib Isfahani, Allamas Inayatullah Khan Al-Mashriqi, Sir Iqbal, G.A. Parwez, Obaidullah Sindhi, Tamanna Imadi and many other scholars, Jinn refers to nomads, uncivilized people, dwellers of the deserts and jungles, those of fiery temperament and all people who lived far away from urban life, hence mostly remaining out of sight from the city dwellers. The Quran refers to the urbanites as Ins and the nomads as jinn.
@আইভি,
পরিষ্কার করে বলার জন্য ধণ্যবাদ। তাহলে আগে যা ভেবেছিলাম তাই, শয়তান আসলে কোন নির্দিষ্ট চরিত্র নয়, শয়তান হল মানুষের মন্দ রিপুর প্রতীকি নাম। আরো নীচে যেসব স্কলারদের রেফারেন্স দিলেন তাতেও এটা সমর্থন করে। ওনারা আরো জানাচ্ছেন যে জ্বীন জিনিসটাও আসলে তেমনি একটা ব্যাপার; “Jinn refers to nomads, uncivilized people, dwellers of the deserts and jungles, those of fiery temperament and all people who lived far away from urban life, hence mostly remaining out of sight from the city dwellers.” সোজা কথায় মনে হয় জ্বীন বলতে এনারা বোঝাচ্ছেন রগচটা অসভ্য, নীচ প্রকৃতির মানুষদেরই, ভিন্ন কোন প্রজাতি নয়।
তাহলে এতদিন যে শুনে এসেছি জ্বীন জাতির কথা যাদের কিনা আগুন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে এসব কথাবার্তা ঠিক নয়?
তাহলে এই আয়াতের জাষ্টিফিকেশন কি?
“Verse 51:56 states that God has created Jinn ।।
জ্বীন কে কেন mankind থেকে ভিন্ন করে গড সৃষ্টি করলেন? এর মানেই কি? নীচ, অসভ্য, বর্বরদের গড মানবজাতি থেকে আলাদা হিসেবে গড নিজেই সৃষ্টি করেছেন? সুরা জ্বীন পড়লে কিন্তু পরিষ্কার ই মনে হয় যে জ্বীন মানব জাতি থেকে ভিন্ন কিছু।
@আইভি,
Now you made me laugh.
Did you ever notice, even when laws of Bangladesh and India are very well documented in their penal code and when these laws have been in practice over more than 200 years, yet, lawyers fight among themselves to interpret that version of the law?
How do you know which laws have been revealed by Allah by an obscured mediavel book?
I raised this question in the article that Allah must have been the most stupid and dumb person because, despite he could make a lawful society by tweaking human genetics by 1%, he decided to reveal his laws in the desert of the middle east which is and was by far one of the most backward civilization in world. On the top of his stupid selection of place and time, Allah proved his further rat-head by revealing his wishes in the form of ‘setence” which we all know can never be fully comprehended!
If Allah desires the human beings to follow his laws, I must say he did too many mistakes and foolishness so that we human beings can say bye bye to Allah because human knowledge and intellect has surpassed him!
আমি মনে করি শুধু তার প্রথম জীবনেই না, সারা জীবনেই এটা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। আর এই রিচুয়াল বাদ দেবার পক্ষে কথা বলে আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের চিন্তার :reallypissed: কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছি।
@আইভি, তাদেরকে লালনের গান শোনান-
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে-
লালন বলে জাতের কি রূপ
দেখলাম না এই নজরে
কেউ মালা কেউ তসবি গলে
তাই তো রে জাত ভিন্ন বলে
যাওয়া কিংবা আসার বেলায়
জাতের চিহ্ন রয় কারে?
সুন্নৎ দিলে হয় মুসলমান
নারীর তবে কি হয় বিধান?
বামন চিনি পৈতে প্রমাণ
বামনী চিনি কি প্রকারে?
জগৎ বেড়ে জাতের কথা
লোকে গল্প করে যথা-তথা
লালন বলে জাতের খৎনা
ডুবিয়েছি সাত বাজার।
@বিপ্লব পাল/আইভি,
আসলে আমার মতে ধার্মিকদের যাবতীয় সমস্যার মূল হল এই রিচূয়াল ঘটির ব্যাপার স্যাপারগুলিতে। রিচূয়ালগুলি ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলেই মানুষ হয়ত ধর্মের আসল লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে।
মানব কল্যানই সব ধর্মের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকলে কেন ধর্মে ধর্মে এত হানাহানি হবে?
তবে বলা যত সহজ করা ততোধিক কঠিন। রিচূয়াল পালনই হয়েছে এখন সব ধর্মের মুল ব্যাপার, এর সাথে কোন আপস ধার্মিকরা মানতে চান না।
@আদিল মাহমুদ,
ভাইজান,ধীরে কন।রিচুয়ালগুলো ধর্মের সাথে এমনভাবেই জড়িয়ে গেছে যে,এগুলোকে আলাদা করতে গেলে ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’-এর দশা হবে।আসলে ধর্ম শব্দটির তো কোন দোষ নেই তাই না?হ্যাঁ যেমন জলের ধর্ম তারল্য,তেমনি মানুষের একমাত্র ধর্ম মানবতা।নামাজ,পুজো,প্রার্থনা -অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব নির্লজ্জ লোভের মার্জিত বহিঃপ্রকাশ।
শয়তান বেচারির উপর আপনার এত রাগ কেন ভাই?মিল্টনের Paradise Lost পড়ুন,ভাবনার খোরাক পাবেন,সেইসাথে ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’টিও আরেকবার পড়ে ফেলুন।এসব শয়তান,অসুর,রাক্ষস -জাতীয় বলির পাঁঠাদের তৈরিই করা হয়েছিল কল্পিত ঈশ্বরের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে।তা শয়তান সৃষ্টির দায়ভারও কিন্তু সেই সর্বশক্তিমানের উপরই পড়ে।কাজেই এসব ‘বচ্চে লোগ’ দের ছাড়ুন এবং আসল ‘ভাই’ বা মাফিয়া ডনকে দোষ দিন।
আর হ্যাঁ বিবেকানন্দ শয়তান-উপাসনাকে বোঝান নি।উনি প্রধান প্রচলিত ধর্ম তথা, পার্সি ধর্ম,অদ্বৈতবাদ,ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্ম নিয়েই মূলত আলোচনা করেছেন।আমার উপরও বিবেকানন্দ ও মুহাম্মদের প্রভাব প্রায় বিপ্লবদার মতই।
@আগন্তুক,
আমি ভালই জানি যে রিচূয়াল বিহীন স্রেফ কোন মানব ধর্ম প্রতিষ্ঠা কোন ধার্মিকই সহজভাবে মেনে নেবেন না, নিজেই স্বীকার করেছি।
শয়তানের উপর আমার বিশেষ রাগ এখানে কোথায় দেখলেন? শয়তান প্রসংগ এ জন্য টেনেছিলাম দেখাতে যে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের মধ্যে মত পার্থক্য কত প্রকট হতে পারে তা দেখাতে। মুল বক্তব্য ছিল সব ধর্মই একই সাথে ভ্যালিড হতে পারে না সেটা বলা।
তবে শয়তান সম্পর্কে আমি এখনো বেশ কনফিউজড। কারো কারো মতে সে ছিল ফেরেশতাদের সর্দার, আবার কেউ কেউ এমনো বলেন যে সে নাকি জ্বীন ছিল। ফেরেশতা বা জ্বীন যেই হোক, দেখা যাচ্ছে যে তার স্বাধীন বুদ্ধি ছিল, যার বদৌলতে সে আদম হাওয়াকে ভিলেনী কায়দায় প্ররোচিত করতে পেরেছিল। যদিও ইসলাম মতে ফেরেশতাদের কোন স্বাধীন বিচার বুদ্ধি নেই। আবার জ্বীন হয়ে থাকলে প্রশ্ন আসে যে তাকেই বা প্ররোচিত করার মত বদ বুদ্ধি কে দিতে গেল? কারন আদম ঈভের বেহেশত থেকে মর্ত্যে বিতাড়নের পরই না শয়তানকে ক্ষমতা দেওয়া হল মানুষ কে বিভ্রান্ত করার। তাই সে ঘটনা ঘটার আগেই শয়তান সে এলেম পেল কোথায়? ঘুরিয়া ফিরিয়ে দায় ভার আল্লাহর দিকেই যাচ্ছে?
@আদিল মাহমুদ,
শয়তান জীন ছিল । সে এত ইবাদত করছিল যে আল্লাহ সুবাহানাতালা তাকে উনার কাছের ফেরেস্থাদের সাথে রাখতেন । সে ফেরেস্থাদের সরদার ও হয়েছিল ।
তাকে কেঊ প্রলোচনা দেয় নি । সে নিজের মনে অহংকার পুষছিল । তাকে কেঊ প্রলোচনা দেয় নি ।
@আদিল মাহমুদ, শয়তানের সৃষ্টী ধর্মের অনেক গোঁজামিলের বৃহত্তম গোঁজ-আরে বাবা শয়তানের ধ্বংশই যদি আল্লার কাম্য হয়, তাকে আবার বাজারে ছাড়া কেন? কেন মানুষকে প্রলুদ্ধ করা? কি লাভ? মানুষের ত স্বাধীন চিন্তা নেই!! কারন স্বাধীন চিন্তা থাকলে ঈশ্বরই টেকে না-যেহেতু সেইক্কেত্রে ভবিষ্যত জানা নেই!! শয়তানের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হলে স্বাধীন চিন্তার অস্তিত্বও স্বীকার করতে হয়।
এইসব রূপকথা যারা বিশ্বাস করে, তাদের মন শিশুরও অধম।
বিপ্লবদা এক জায়গায় রামকৃষ্ণ – বিবেকানন্দের উদার অপব্যখ্যার কথা বলেছেন।এ প্রসঙ্গে একটা সুন্দর উদাহরণ মনে পড়ছে।সব অপব্যাখ্যাই কিন্তু অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়।আসলে অনেকে মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ধর্মকে মেলাতে পারে না,আবার যুক্তির তলোয়ার দিয়ে ধর্মের বেড়াজাল কেটে বেরিয়ে আসতেও ভয় পায়।এ ধরনের মানুষই বেশি এবং সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এরা কিছু অপব্যাখ্যা দেন।বিবেকানন্দের এমন একটি অপব্যাখ্যার উদাহরণ
গীতার এই শ্লোকটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় হিন্দুধর্মের সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে,ঠিক যেমনটি ব্যবহৃত হয় “লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়াদীন” -ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে।বিবেকানন্দ এই শ্লোকের ব্যখ্যা করেছেন একটু বৃহৎ পরিপ্রেক্ষিতে – বলেছেন এখানে তাবৎ ধর্মের সত্যতা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।”যে যথা ” বলতে আক্ষরিকভাবে “যিনি যেভাবেই” বোঝালেও শ্লোকটির ‘কন্টেক্সচুয়াল মিনিং’ কিন্তু শুধু ‘বর্ণাশ্রমোচিত’ ধর্ম বা উপাসনা-পদ্ধতি বোঝায়।
যদিও এই অপব্যখ্যাটি তৎকালীন ‘শ্রেষ্ঠত্বের মদমত্ত’ গোঁড়া খ্রিস্টান পাদ্রিদের বাধ্য করেছিল কিছুটা ‘উদার’ হতে।কাজেই মানবতার দৃষ্টিতে এটি সদুদেশ্য প্রণোদিত ছিল।মুসলমানদের মধ্যেও অনেক ব্যাখ্যাই সদুদেশ্য প্রণোদিত।তবে বিবেকানন্দ যেমন ভ্রান্ত ছিলেন,তেমনি এরাও ভ্রান্ত।এদের সবাই কোনভাবেই ভণ্ড নয়।
@আগন্তুক, বিবেকানন্দ পড়ে দুই শ্রেনীর বাঙালী তৈরী হয়েছে-এক, আমার মতন যারা তার নির্যাসটা নিয়েও ধর্মকে বর্জন করেই চলে-দুই রিফর্মহিন্দু ধর্মে আস্থা ফিরেছে। দ্বিতীয় শ্রেনীর লোকেরা অনেকটাই মুসলিম এপোলোজেটিকদের মতন-মনন এবং ব্যাবহারেও। দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক ১০ টা পেলে, প্রথম গোত্রের লোক, ধর্ম বর্জন করে চলে ২-৪ টি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় শ্রেনীর লোকেদের মধ্যে উদারতা আসলেও যুক্তি বুদ্ধি আসে নি। অর্কুটে বিবেকানন্দ বলে একাধিক ফোরাম আছে-বৃহত্তমটিতে ২৫০,০০০ মেম্বার আছে। সেই ফোরামে আমি একবার লিখেছিলাম শেষ বয়সে বিবেকানন্দ বিয়ে না করার জন্যে পস্তেছেন-তথ্য প্রমানসহ-নিবেদিতার লেখা থেকে। আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হল-অজুহাত, আমার সেই তথ্যদানে, অনেক মেম্বাররা মানসিক দিয়ে অসুস্থ বোধ করছেন। আমাকে মডারেটররা অনুরোধ করল আমি যেন না লিখি। আরেকবার প্রমান করে দিলাম বিবেকানন্দের মৌলিক দর্শন বলতে কিছু নেই-দেখলাম অধিকাংশ মেম্বার একমত বিবেকানন্দের বানী ঈশ্বর প্রসূত, তাই এসব না ভাবলেও চলবে।
এদের সাথে মুসলিমদের পার্থক্য কোথায়?
ব্যাক্তিগত ভাবে, আমি বিবেকানন্দকে পছন্দই করি-ভারতীয় জাতিয়তাবাদের তিনিই আদি গুরু–তেমনই হজরত মহম্মদকেও আমার পছন্দ –আদর্শের প্রতি তার নিষ্ঠায়।
মনের রাখতে হবে রুশদি বা তসলিমা, প্রানের ভয়ে, তাদের ইসলাম বিরোধি কলম বন্ধ করে দিয়েছেন। হজরত মহম্মদ যখন িসলামের প্রাথমিক ধারনা গুলি দিচ্ছেন
তখন তার জীবনের ওপর ও আঘাত এসেছে-লোভ দেখানো হয়েছে-কিন্ত তিনি তার পথ থেকে সরেন নি-ভয় বা লোভ অতিক্রম করে ভীষন দারিদ্রকেই বরন করেছেন বেশ কিছু বছর। তার মতন ধনী ব্যাবসায়ীর এসব কিছু কি দরকার ছিল? সুতরাং তার জীবনী থেকে এটাই উঠে আসে যে তিনি যা সত্য বলে মনে করেছেন, তার জন্যে সবকিছু ত্যাগ করার ক্ষমতা রেখেছেন-এটা অস্বীকার করা যায় না।
তিনি প্রমান করেছেন আদ্সশ দিয়ে পৃথিবীকে বদলানো যায়-যে কাজটা আমরাও করার চেষ্টা করছি। মুসলমানদের সমস্যা হল, তারা বিশ্বাস করে, মহ ম্মদের সেই নীতিগুলি
আজও দরকার-এটাই সমস্যার মূল- কারন আধুনিক জ্ঞান ভান্ডারের সামনে এসব কিছুই-কোন ধর্মেরই দরকার নেই। একটি সমাজ এখন বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয় আর ধর্মের ফলে খোঁড়া হতে থাকে। যা মুসলমানদেশ গুলিতে হচ্ছে। ভারতেও মুসলমানদের জন্যে হিন্দুত্ববাদের রমরমা। দেশটা পেছোচ্ছে।
ঐতিহাসিক দিক দিয়ে কেও যদি মহ ম্মদকে পৃথিবীর সেরা ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ব বলে মনে করে, তাতে আমি একমত না হলেও, আপত্তি করব না–কিন্ত কেও যদি মনে করে মহ ম্মদের ধর্ম দিয়ে পৃথিবীকে আবার পরিবর্তন করা যাবে, বা সেটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম-তাহলে বলতেই হবে সেই ব্যাক্তি হয় অজ্ঞ বা ধর্মান্ধ বা মানসিক দিয়ে ভারসাম্যহীন।
@Biplab,
বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ এনারা কি ইশ্বর মানতেন? আমি বিবেকানন্দের শিষ্যদের কাছে শুনি যে তারা কোন ইশ্বর বা গড মানেন না। তাদের মতে মানুষের কার্মাই হল গড।
বিবেকানন্দ বা যেই বলুন না যে সব ধর্মই ভ্যালীড বা সঠিক এ যাতীয় কথাবার্তা আমার কাছে শস্তা চটকদার কথা ছাড়া তেমন কিছু মনে হয় না। নিজের ধর্ম কত উদার তা প্রমান করতে এ জাতীয় বাণী খুবই কাজ দেয়। তার বেশী কিছু নয়। সব ধর্ম কিভাবে ভ্যালীড হয়? যেমন বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদের হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলাম, ইহুদীবাদ, বা খ্রীষ্টীয়ানদের মিল থেকে অমিল অনেক অনেক বেশী। কোনটা ঠিক বেঠিক তা এখানে কথা না, কথা হল সবগুলি একই সাথে সঠিক হতে পারে না। আর যদি ধর্মের মানব কল্যানের দিকগুলির কথা শুধু বোঝানো হয়ে থাকে তো বলতে হয় সে বিবেচনায় তো ধর্মেরই আসলে তেমন প্রয়োযন নেই।
জেনেশুনে এ ধরনের বানী দেওয়া অতি নাটকীয়তা বলেই মনে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
আমার ও এরকম ঈ মনে হয় । বোদ্ধ ধরমের কথা ও এই রকম ই মনে হয় । নিরবান পরম শান্তি, জগতের সকল প্রানী সুখী হোক । এই জাতীয় কথা । আর ইসলাম কি বলে দেখেন ঃবাদশাহ্ শাহ্জাহান একবার তার দরবারী আলিমদের নিকট ফতওয়া তলব করে বললেন, আমি অসুস্থ, অসুস্থতার কারণে আমার জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়িয হবে কি? দরবারী আলিমরা বাদশার মনতুষ্টির জন্যই হোক বা দুনিয়াবী ফায়দা লাভের জন্যই হোক, তারা ফতওয়া দিল, বাদশাহ্ নামদার যেহেতু আপনি অসুস্থ আর আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজ্য অচল হয়ে পড়বে, কাজেই রাজ্য ও প্রজাদের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার জন্য এ অবস্থায় রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়িয হবে। বাদশা তার দরবারী আলিমদের মৌখিক ফতওয়ায় আশ্বস্ত না হতে পেরে লিখিত ফতওয়ার নির্দেশ দিলেন। দরবারী আলিমরা বাদশাহ্কে এ ব্যাপারে লিখিত ফতওয়া দিল। বাদশাহ্ তাতেও নিশ্চিত হতে পারলেন না, তাই তিনি বললেন, এ ফতওয়াতে অন্যান্য আরো আলিমের দস্তখত লাগবে। দরবারী আলিমরা তখন তাদের সমগোত্রীয় ৩০০ আলিমের দস্তখত সংগ্রহ করে ফতওয়াটি বাদশাহ্র নিকট পেশ করলো। বাদশাহ্ ফতওয়াটি আদ্যপান্ত ভালরূপে পাঠ করা দেখলেন এবং বললেন যে, সেখানে তার শাহী মসজিদের যিনি খতীব, নূরুল আনওয়ার ও তাফসীরে আহ্মদীর ন্যায় বিশ্ববিখ্যাত কিতাবের মুছান্নিফ, তৎকালীন যামানার শ্রেষ্ঠতম আলিম, হযরতুল আল্লামা, মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দস্তখত ব্যতীত এ ফতওয়া গ্রহনযোগ্য হবে না। তখন দরবারী আলিমরা উক্ত ফতওয়াটি হযরত মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দরবারে নিয়ে যায় দস্তখত নেবার জন্য। হযরত মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমি আজ এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবো না, বরং বাদশাহ্ আমার মসজিদে জুমুয়ার নামাজ পড়তে আসেন, তাই আমি বাদশাহ্ ও মুছল্লীগণের সম্মূখে এ ব্যাপারে ফতওয়া দিব। অতঃপর জুমুয়ার দিন বাদশাহ্ তাঁর উজীর-নাজীরসহ জুমুয়ার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলেন। অনেক মুছল্লীও উপস্থিত হলেন এবং দরবারী আলিমরাও উপস্থিত। সকলেই অপেক্ষা করছে হযরত মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ফতওয়া শুনার জন্য। ইতিমধ্যে হযরত মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি মিম্বরে উঠে বসলেন এবং বললেন, মুছল্লী ভাইয়েরা আমার নিকট ৩০০ আলিমের দস্তখত সম্বলিত একটি ফতওয়া এসেছে। যাতে বলা হয়েছে যে, বৃহত্তর স্বার্থে, বাদশাহ্র অসুস্থতার কারণে, বাদশাহ্র জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়িয। এ ব্যাপারে আমার ফতওয়া হলো- “যারা এ ফতওয়া দিয়েছে এবং যে চেয়েছে উভয়েই কাফির হয়ে গেছে।” কারণ ওহীর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, হারাম হারাম হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে গেছে এবং হালাল হালাল হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে গেছে। তাই শরীয়তের দৃষ্টিতে হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম বলা কাট্টা কুফরী। যারা বলবে তারা কাট্টা কাফির হবে।(তুষার নামে এক ব্যক্তি http://www.somewhereinblog.net/blog/TUSHARZIA/29004110 এইখানে দিছেন )
বাদশারে সরাসরী কাফির বলা হঈছে, কোন কেয়ার করা হয়নি ।
@আদিল মাহমুদ,
রামকৃষ্ণ বা বিবেকানন্দ হিন্দু দর্শনের যে অংশের প্রতিনিধি, তাকে অদ্বৈতবাদ বলে।
সমস্ত ধর্মকেন্দ্রিক চিন্তাকে হিন্দু ধর্মে তিন ভাগে ভাঙে
(১) দ্বৈতবাদ-মানে আমি এবং ঈশ্বর আলাদা অস্তিত্ব-ইসলাম বা যেকোন আব্রাহামিক ধর্মে যা মানে-ঈশ্বরই সৃষ্টিকর্তা এবং মানুষ তার সৃষ্টিমাত্র
(২) অদ্বৈতবাদ-মানে আমি এবং ঈশ্বর আলাদা অস্তিত্ব নই। আপনি এবং আমিও আলাদা কোন অস্তিত্ব না । আমরা সবাই মহাজাগতিক চেতনার নানান বহিঃপ্রকাশ। তাই ‘আমি’ র বৃহত্তর উপলদ্দধির মাধ্যমে এই ‘পরমাত্মার” উপল্দধি করতে হয়। এই মহাজাগতিক চেতনা বা ইউনিভার্সাল কনসাসনেসের ধারনার কারন হল-এই যেটাকে ‘আমি’ বলছি-সেটাত আমার পিতা-মাতা-সমাজ-শিক্ষা-বিবর্তন জনিত পরিবেশ থেকে আলাদা না। ১০ মিলিয়ান বছর আগে জন্মালে এই ‘আমি’ টা ত বানর জাতীয় প্রাইমেটই হত। সুতরাং আমার আলাদা কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না। আমার মন বা জ্ঞান বলে যা চালাচ্ছি তা ত আমার পিতা-মাতা-বন্ধু-শিক্ষক-পরিবেশ–এই সবার জ্ঞান বা চেতনা থেকে এসেছে। সুতরাং আমার মন বা চেতনার পৃথক অস্তিত্ব আছে, এমন ভাবাটাই ভুল। অ্থাৎ আদিল মাহমুদ বা বিপ্লব পাল -সবাই একই বিশ্বচেতনর অংশমাত্র যা আলাদা হতে পারে না। এই বিশ্বচেতনার সর্বাধিক উপলদ্ধিকেই অদ্বৈতবাদিরা বলেন “অহম ব্রহ্মন”- আমিই ব্রহ্মন বা সেই চেতনা।
এটি নাস্তিক্য হিন্দু ধর্মের অঙ্গ।
(৩) দ্বৈত অদ্বৈতবাদ-এর উদাহরন বৈষ্ণব ধর্ম। এখানে এরা মানেন অদ্বৈতবাদই আসল -কিন্ত ঈশ্বর প্রেম বা আল্লা প্রেমে যে মজা আছে, তা উনারা ছারতে চান না। তাই ‘আমিই কৃষ্ণ জেনেও ”
কৃষ্ণকে ইনারা প্রেমিক হিসাবে পেতে চান।
যতমত ততপথ বলার আগে রাম কৃষ্ণ সব ধর্ম পালন করেছেন। ইসলাম পালন করেছেন ১ বছর-প্রতিদিন ৫ বার নামাজ পড়তেন, রোজা রাখতেন-তার সুফী গুরু ছিল দুজন। সুতরাং এটি বলার আগে, তিনি পরীক্ষাকরেই বলেছেন। এবং আমি নিজেও সব ধর্ম দ্সশন চর্চা করার পর কথাটি ঠিক বলেই মনে করি-যদি ধর্মের খুব গভীরে যাওয়া যায়। এই নিয়ে আমি লিখেওছিলাম। কিন্ত গভীরে যেতে হবে-এই সব ওপরওপর কোরান বা এইসব চর্চা করে-সেখানে যাওয়া যায় না।
ধর্ম ত আসলে বিবর্তনের একটা প্রডাক্ট-যা মানুষের জন্যেই বিবর্তিত হয়েছে। মানুষের জৈবিক বা সামাজিক ধর্ম যেহেতু এক, তাই এই সব প্রোডাক্ট গুলো খুব বেশী আলাদা হতে পারে না-আসলে আলাদা দেখায় ওপর থেকে। জৈব-সামজিক কারন গুলো দেখলে দেখা যাবে প্রতিটা ধর্মেই সিনার্জি আছে।
কিন্ত সব থেকে বড় কথা যেটা-কোন ধর্মের দরকার নেই এই যুগে। বিজ্ঞান দিয়েই ধর্মের সব প্রয়োজন মেটানো যায়। তাই ধর্মের প্রয়োজন আমার কাছে শধু এটা বিশ্লেষন করতে যে আমাদের কি চাহিদা মেটাচ্ছে সেই ধর্ম-আর বিজ্ঞান দয়ে তা মেটানো যায় কি না। এই নিয়ে আমি আগেই মুক্তমনাতে লিখেছি–
@Biplab,
হিন্দু ধর্মের এই তিন ভিন্ন ধরনের দর্শনের সাথে আমার পরিচয় ছিল না। অনেক ধণ্যবাদ সোজা ভাষায় বোঝানোর জন্য। এজন্যই হিন্দু ধর্ম ব্যাপারটা আমার কাছে চিরকালই খুব কনফিউজিং লাগে।
রামকৃষ্ণ যে ইসলাম ধর্ম পালন করেছিলেন এও আমার জন্য নুতন তথ্য। আসলে আমাদের এপার বাংলায় রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ এদের সম্পর্কে জানা খুব সহজ ব্যাপার না। যীশু বা মূসা সম্পর্কে যত সহজে জানা যায় রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সম্পর্কে জানা যায় না।
তবে রামকৃষ্ণ ইসলাম বা অন্য সব প্রধান ধর্ম পালন করতে পারেন; তার মানেই এই না যে সব ধর্মই একই সাথে ভ্যালিড হতে পারে। শয়তানের পূজা কিছু লোকে করে থাকে, কেউ আল্লাহ বা এক ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারে…।কেউ আবার এদের কাউকে মানেন না…মানেন সূর্য, সাপ বা মা কালি জাতীয় কিছু
অন্তত রিচূয়াল সাইডে কোনভাবেই সব ধর্ম সমান হতে পারে না। এদের
সব ধর্ম ভ্যালিড কেবল মাত্র একভাবেই বলা যেতে পারে এই অর্থ যে রিচূয়াল সাইড যাই হোক, ধর্মের আল্টিমেট উদ্দেশ্য হতে হবে মানব কল্যান এই অর্থে। কিন্তু মুশকিল হল রিচূয়াল দিক কে কম গুরুত্ত্ব দিতে কোন ধর্মই রাজী নয়। যাবতীয় প্রতিষ্ঠির ধর্মের ভিত্তিই হল এই রিচূয়াল দিকগুলি, মানব কল্যান জাতীয় ব্যাপার স্যাপার পরের কথা।
@আদিল মাহমুদ,
এটা বিতর্কিত ব্যাপার। অর্থহীন প্যাগান রিচুয়াল বর্জন করে, কর্ম নির্ভর ধর্ম স্থাপন করতে চেয়েছিলেন মহম্মদ প্রথম জীবনে-সুতরাং ইসলামের ভিত্তিতে মোটেও রিচুয়াল ছিল না-ছিল সেই কর্মযোগই–কিন্ত আলটিমেটলি ধর্মটা হয়ে দাঁড়াল নামাজ আর হজ্জ করার ধর্ম!!! হিন্দু ধর্মেওগীতা তে বলছে মূর্তিপূজার বর্জন করে আমার স্বরন নাও-একদম কোরানের ভাষাতেই-যে মূর্তিপূজা করে লোকে লোভে পড়ে-তাতে কি দুর্গা পূজো আটকেছে? পুজাটাই আসল হিন্দু ধর্ম হয়ে গেছে-তথচ গীতা পরিস্কার ভাবেই বলছে লোকে মূর্তি পুজো করে লোভে! যার সাথে কোরানের পার্থক্য নেই!
@Biplab,
দাদা,থট রিডিং জানেন নাকি?পুরোপুরি মনের কথা বললেন।আমি ‘বিশ্বনবী’-তে মুহাম্মদ সম্পর্কে একই ধারনা ব্যাক্ত করেছিলাম।যদিও আবুল কাশেম ও আকাশ মালিক সাহেবের পয়েন্টগুলোও উড়িয়ে দেয়া যায় না।মুহাম্মদকে আমার পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম দক্ষ কূটনীতিবিদ মনে হয় এবং সে কথা লিখেওছি।আর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব উপাধিটাই একটা ভূয়া কথা।এককথায় মুহাম্মদ ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও দক্ষ কুটনীতিবিদ যিনি তাঁর অন্ধ বিশ্বাস কিংবা ছলনা – যাই হোক না কেন- তার প্রতি অচলায়তন নিষ্ঠা রেখে একটি সমৃদ্ধ ‘আরব সাম্রাজ্য’ গড়তে চেয়েছিলেন।
হ্যাঁ বিবেকানন্দ সম্পর্কে ১০০% সহমত।আর ওই প্রমাণগুলোও উড়িয়ে দেয়া যায় না।দু চারজন উদারমনা সন্নেসী অবশ্য পাওয়া যায়।যেমন ময়মনসিংহ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ ও নিবেদিতার ব্যাপারটি স্বীকার করেন।এমনকি সুনীল গঙ্গোপাধ্যাইয়ের চেয়েও এক পা এগিয়ে তিনি।সুনীল লিখেছেন ব্যাপারটা মুলত নিবেদিতার তরফ থেকেই ছিল।কিন্তু উনি বলেন যে আগ দোনো তরফ লাগি থি।আসলে যৌনতা নিয়ে স্বামিজির অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক নিস্পৃহতা ছিল।উনি ভাবতেন মানুষের যাবতীয় শ্রেষ্ঠ ক্ষমতার বিকাশের উপায় ্যৌনতা অবদমন।নিজের অসামান্য মেধা সম্বন্ধেও এই ব্যখ্যাই দিয়েছিলেন।আচ্ছা ওঁর মেধা সম্পর্কিত তথ্যগুলো কতটা অতিরঞ্জিত?তবে ব্যাটা বাঘের বাচ্চা ছিল,যাই বলেন – ঠিক কিনা? :-))
@আগন্তুক, মেধা ত অবশ্যই ছিল। নইলে, মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে, এক পয়সা পকেটে না নিয়ে আমেরিকায় এসে ওই ভয়ংকর শিকাগোর শীতে পিপের মধ্যে রাত্রিবাস করে, নিজের দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করা মুশকিলের কাজ ত বটেই। দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়াতে তার শিষ্যরা কেও কেও হাজার একর জমি দিয়েছিল-তাদের একটি হচ্ছে গোটা ট্রাবুকো ক্যানিয়নের একটি বিশাল পাহাড়–এখন রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পত্তি। হলিউডে রামকৃষ্ণ মিশনের জমির পরিমান অনেক স্টুডিওর চেয়ে বেশী। সেটাও কেও দান করে গেছে ১৯১৪ সালে। বস্তুবাদি সাফল্য ত বলতেই হবে-তবে তার দার্শনিক চিন্তায় নতুন কিছু ছিল না। সেই পুরানো মদ আরো চিত্তাকর্ষক বোতলে পরিবেশন।
বাঙালী হিন্দুদের একটা সুবিধা হচ্ছে, তারা হিন্দু দর্শনের ফোরফ্রন্টে থাকতে পারে–বাঙালী মুসলমানদের সেই সুবিধা নেই-কারন ইসলামের দর্শন ও রীতিনীতিগুলী আরব সমাজ ভিত্তিক। ফলে বাঙালী মুসলমানরা ইসলাম ধর্মে সেরকম কিছু মৌলিক অবদান রাখে নি, যা আরবের বাইরে পারস্যের লোকেরা পেরেছে।
আর যেসব লোক দাবী করে আমার ধর্ম সবার সেরা, এবং তার জন্যে কারন দেখাতে যায়, তাদের দেখে আমার গোপাল ভাঁড়ের কথা মনে পড়ে- আমার বিষ্ঠার গন্ধ তোমার থেকে ভাল টাইপের লজিক আর কি।
মুক্তমনা এডমিনের কাছে এক গ্লাস পানি চাই। উপরের কথা শুনে আমার মাথার সার্কিটে ছ্যাত ছ্যাত শুরু হইছে। 😀
@রায়হান আবীর, অত ভাবার কিছু নেই-ধার্মিক লোকেরা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়-এটা বার বার প্রমান হচ্ছে আর কি।
@বিপ্লব পাল,
আমি সেদিন থেকেই লেখাটা ফলো করছি। আপনার কুলনেস দেখে মোটামুটি পাংখা…
আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন, যারা ব্যাবসা করে, তারা ব্যাবসার তাগিদেই অনেক খবর রাখে? সাক্ষর বা নিরক্ষর যায় হৌন না কেন? মহম্মদ কিন্ত একজন সফল ক্যারাভান ম্যানেজার ছিলেন। নানান স্থানে পসার নিয়ে গেছেন। লাভ ও করেছেন। সেকালে জ্ঞানার্জনের জন্যে ভ্রুমনের দরকার হত-সাক্ষরতার নয়। আর মহম্মদ ব্যাবসার খাতিরে নানান শ্রেনীর লোকের সাথে ওঠা বসা বা ভ্রুমনে যেতেন। তাছাড়া তিনি সৎ ছিলেন বলেই তার সাথে লোকে ব্যাবসা করত। সৎ লোকরা শেখেও বেশী। সুতরাং তার জ্ঞানার্জনটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক-যে ব্যাবসার জন্যেই তিনি ইহুদি, ক্রীষ্ঠানদের সাথে মিশেছেন এবং একেশ্বরবাদের সাথে তার ভালোই পরিচয় ছিল। সাথে সাথে বুদ্ধমান এবং সৎ হওয়াই, একেশ্বরবাদকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায়, সেটাও যুদ্ধ এবং নানান ঘটনার মাধ্যমে বুঝেছেন। সেটাই ঈশ্বরের নামে চালিয়েছেন-তখনকার দিনে সব রাজারাই তাই করত। সেটাও এমন কিছু নতুন কিছু বা অন্যায় কিছু করেন নি। আর তিনি বিলাস বিহীন জীবন যাপন করেছেন সেটা বলা কি খুব ঠিক হবে? এতজন বিবি নিয়ে যিনি বাস করেছেন, তার জীবন বিলাসবিহীন ছিল একথা বলি কি করে-বিশেষ করে সঙ্গমই যখন ছিল মধ্য যুগের বহত্তম আনন্দ। তিনি যদি বুদ্ধের মতন ভিক্ষুকের জীবন কাটাতেন, আপনার কথা মেনে নি্তাম। তবে গরীবদের কথা, তাদের দারিদ্রের কথা তিনি নিশ্চয় ভেবেছেন-সেটাত কোরান পড়লেই বোঝা যায়।
@বিপ্লব পাল,
ওনার অধিকাংশ বিয়ে রাজনিতিক । আর কিছু মানুষরে সাহায্য করার জন্য । কিছু কুসংষ্কার দূর করার জন্য । আর যে ৯ বছরের বালিকার কথা বলতেছেন , সে না থাকলে ইসলাম এত দূর পৌছত না ।
একটা মিথ্যা পড়তে পড়তে , আপনার ধারনা হইছে ওইটাই সত্য কথা । একটা গল্প শুনুন ঃ
আশা করি বুঝতে পারছেন । আর আপনার “দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্বের আলোকে ধর্মগ্রন্থের ব্যক্ষা ” এর ও ইসলামিক ব্যক্ষা আছে । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
চোর আর নামাজীর গল্পটা সত্য সত্যই ভাল লেগেছে, কৌতুক হিসেবে বলা যেতে পারে বেশ চমতকার।
এ গল্পে অবশ্য বেশ বড় ফাক আছে বাস্তবতার দৃষ্টিতে। একজন চোর কিন্তু সবসময়ই চোর। তবে নামাজী সম্পর্কে তেমন কিছু বলা যায় না, এ গল্পের সরল assumption হল নামাজী মানেই ভাল মানুষ। এ assumption ঠিক নয়। মানুষ ভাল নাকি মন্দ তা নামাজের মাত্রা দেখে বোঝা যায় না। আশা করি বুঝতে পারবেন। নামাকী মানুষ ভালও হতে পারেন, আবার ভয়াবহ বদ লোকও হতে পারে, তাই না?
@আদিল মাহমুদ,
হতে পারে, কিন্তু আমি যা বুঝাইতে ছি , তা ত ঠিক আছে বলে আমার মনে হয় ।
@ ফুয়াদ,
আপনি কি বুঝিয়েছেন তা আমি বুঝেছি। সেটা অনেকটা আপনার আর বিপ্লবের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে আমি কোন মন্তব্য করিনি। আমি শুধু একটা কৌতুক পড়ে যে মজা পাওয়া যায় তাই পেয়েছি।
সে প্রসংগ যখন টানলেনই তখন বলতে হয় যে, সে কৌতূক দ্বারা আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন যে যে যেমন সে বাকি সবাইকে তেমনি ভাবে। হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।
এ জাতীয় কথাবার্তা আসলে যুক্তি প্রমান ভিত্তিক তর্ক থেকে ব্যক্তিগত রেষারেষির জন্ম দেয় বেশী। মোহাম্মদকে ডিফেন্ড করতে চাইলে বরং যেসব ইসলামী সোর্স দিয়ে (তার মধ্যে সহী বূখারী হাদীস ও আছে) তার চরিত্র হনন করা হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন সেগুলো চ্যালেনজ় করুন, ভুল বার করুন।
আর যদি বলে দেন যে যেসব হাদীস কেবল আপনার কথাকে সমর্থন করে সেগুলিই কেবল ঠিক, আর যা আপনার মতের বিরুদ্ধে যায় সেগূলি ভুল তাহলে তো আর যুক্তি তর্কের প্রয়োযান নেই। তভে সেক্ষেত্রেও আপনার উচিত হবে সেসব হাদীস চিরতরে বাদ দেবার জন্য চেষ্টা করা।
@ফুয়াদ, বিয়ে করাকে আমাদের বাংলা ভাষাতেও কন্যা উদ্ধার বলে। তা ফুয়াদ ভাই, আমি আশঙ্কিত। এই বাংলায় এক সময় কুলীন ব্রাহ্মনরা ৫০-৭০টা করে বিয়ে করে বলত তারা কন্যা উদ্ধার করছে।
নিজের যৌন আকাখঙ্কা মেটানোটাকে কন্যা উদ্ধার বলাটাও ডিকনস্ট্রাকশন-আপনার চোখে ধর্মের চশমা। তাই এর মধ্যে কোন যৌণতার গন্ধ পাচ্ছেন না। স্বয়ং মহম্মদ কিন্ত তার যৌণ ইচ্ছা গোপন করেন নি। আপনি কি তার থেকেও বেশী জানতেন কেন তিনি বিয়ে করেছিলেন?
বুদ্ধ আম্রপলিকে উদ্ধার করেন নি? তার জন্যে তাকে আম্রপলিকে কি বিয়ে করতে হয়েছিল? বুদ্ধর অনেক শিষ্যা ছিলেন, তাদের কাউকেই ত বুদ্ধর বিয়ে করার প্রয়োজন হয় নি।
@বিপ্লব পাল,
উনি যে সব বিয়ে করেছেন তার আনেক বিয়ে রাজনিতিক উদ্দেশ্য করছেন তা, হাদিস থেকে প্রমান পাওয়া যায় ।
আর মন্দিরের বশ্যা সৃষ্ঠই হবার সম্ভাবনা ছিল, তাই, অন্যদের পথে উনি হাটেন নি ।
ঊনি বিবাহ করছেন , যারা আমাদের ইসলাম শিক্ষা দিছেন ।
যে হাদিস কোরান এর বিপরীতে যায় তা মানার নিয়ম নাই । বলা হয়, ঐ সব হাদীসের মানে আমরা বুঝতে ছি না । আর আমাদের রেকর্ড ভুল হতে পারে । অথবা, বর্ননাকারী ও ভুল বুঝতে পারে । ধন্যবাদ
জনাব ফুয়াদ, মন্দিরের বেশ্যাবৃত্তি হিন্দু ধর্মের রেওয়াজ, বৌদ্ধ ধর্মের না। আম্রপালি একজন বিশিষ্ট গণিকা ছিলেন প্রথম জীবনে-পরবর্তী কালে সব ছেড়ে ভিখারীনি হয়ে যান। আপেলের সাথে কুমড়ার তুলনা করতে বোধ হয় আপনাদের জুরি নেই!
@ফুয়াদ,
আপনার মিথ্যে বানোয়াট গল্প মোল্লাদের মুখ থেকে বহু আগেই শুনেছি, শুনেছি নীচের হাদিসগুলোও।
বোখারী শরীফ খুলে দেখুন আল্লাহর নবীর ভোগবিলাসহীন জীবন, মানবকল্যানের জন্যে যার মন সদা ব্যাকুল ছিল।
Volume 1, Book 5, Number 270:
Narrated Muhammad bin Al-Muntathir:
on the authority of his father that he had asked ‘Aisha about the saying of Ibn ‘Umar(i.e. he did not like to be a Muhrim while the smell of scent was still coming from his body). ‘Aisha said, “I scented Allah’s Apostle and he went round (had sexual intercourse with) all his wives, and in the morning he was Muhrim (after taking a bath).”
Volume 1, Book 5, Number 268:
Narrated Qatada:
Anas bin Malik said, “The Prophet used to visit all his wives in a round, during the day and night and they were eleven in number.” I asked Anas, “Had the Prophet the strength for it?” Anas replied, “We used to say that the Prophet was given the strength of thirty (men).” And Sa’id said on the authority of Qatada that Anas had told him about nine wives only (not eleven).
তবে শুধু নবী নয়, তার সাহাবীগনও অতি দুঃখ কষ্টে ফকিরি ভিখিরী জীবন কাটিয়েছেন। তাদের না ছিল ধনের লোভ, না ছিল নারীর লিপ্সা। নীচের হাদিসগুলো দেখুন-
Allah’s Messenger set out on an expedition to Khaibar and we took it (the territory of Khaibar) by force, and there were gathered the prisoners of war. There came Dihya and he said: Messenger of Allah, bestow upon me a girl out of the prisones. The prophet said: go and get any girl. Dihya made a choice for Safiya the daughter of Huyayy b. Akhtab, (the chief of Quraiza). There came a person to Allah’s Apostle and said: Apostle of Allah, you have bestowed Safiya upon Dihya and she is worthy of you only. The prophet said: call him back along with her. So he came along with her. When Allah’s Apostle saw Safiya he said: take any other girl from among the prisoners. The Prophet then granted her (Safiya) freedom and then married her. On the way Umm Sulaim embellished Safiya and then sent her to the Prophet at night. Allah’s Apostle appeared as a bridegroom in the morning (মুসলিম শরিফ, বুক ৮, হাদিস নাম্বার ৩৩২৫)
Abu Sirma said to Abu Sa’id al Khadri: 0 Abu Sa’id, did you hear Allah’s Messenger mentioning al-‘azl (Withdrawing the male sexual organ before emission of semen to avoid-conception)? He said: Yes, and added: We went out with Allah’s Messenger on the expedition to the Bi’l-Mustaliq and took captive some excellent Arab women; and we desired them, for we were suffering from the absence of our wives. So we decided to have sexual intercourse with them by observing ‘azl, but we said: we are doing an act whereas Allah’s Messenger is amongst us; why not ask him? So we asked Allah’s Messenger, and he said: It does not matter if you do not do it, for every soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born. (মুসলিম শরিফ, বুক ৮, হাদিস নাম্বার ৩৩৭১)
Abdullah (b. Mas’ud) reported: “We were on an expedition with Allah’s Messenger and we had no women with us. We said: Should we not have ourselves castrated? The Prophet forbade us to do so. He then granted us permission that we should contract temporary marriage for a stipulated period giving her a garment, and ‘Abdullah then recited this verse: ‘Those who believe do not make unlawful the good things which Allah has made lawful for you, and do not transgress. Allah does not like transgressors” (al-Qur’an, 5:87). ((মুসলিম শরিফ, বুক ৮, হাদিস নাম্বার ৩২৪৩)
হজরত সাবরা জোহানী (রাঃ) বলেনঃ ‘ নবীজির অনুমতি পেয়ে আমি বনি সোলায়েম গোত্রের এক বন্ধুকে নিয়ে মেয়ের সন্ধানে বেড়িয়ে পরি। আমরা বনু-আমির গোত্রের এক সুন্দরী যুবতীর সম্মুখীন হলাম যার ছিল উস্ট্রীর মতো লম্বা গলা।য়ামরা তাকে অস্থায়ী বিয়ের (Temporary Marriage) প্রস্তাব দিলাম। প্রস্তাবে মহিলাটি জানতে চাইলো তাকে দেবার মতো আমাদের কি আছে? আমরা বললাম, গায়ের চাদর ব্যতিত আমাদের কিছুই নেই। আমার বন্ধুর চাদরখানি আমার চাদরের চেয়ে সুন্দর ও মুল্যবান ছিল, তথাপি মেয়েটি আমাকেই গ্রহন করলো। আমি তিনদিন মহিলাটির সাথে থাকার পর নবীজি আদেশ দিলেন- অস্থায়ী বিয়ের যাদের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে তাদের মহিলাদিগকে ছেড়ে দেয়া হউক।(সহিহ মুসলিম শরিফ, বুক ৮, হাদিস নাম্বার ৩২৫২)।
আজিকার দিনের মুসলমানরা সাহাবীদের পবিত্র আদর্শ ভুলে গিয়ে প্রায়শঃ বেশ্বালয়ে তশরিফ ফরমান।
@Akash Malik,
সামান্য জ্ঞান যার আছে , সে ও বুঝবে ঐ হাদিস গুলার মধ্যে হয়ত, ঘাপলা থাকতে পারে । সত্য না ও হতে পারে ।
আর মুতা বিয়ে অনেক আগেই স্থগিত করা হয়েছে । আর যদি ঐ হাদিস গুলো মিথ্যা হইলে আপনি কি করবেন ? ইমাম বুখারী কিংবা মুসলিম বললেই একটা বিষয় শুদ্ধ হবে না ।
যে সব হাদিসের মানে বুঝা যায় না, ঐ সব হাদীস যেভাবে আছে রেখে দিলেন । সমস্যা কোথায় ।
জনাব বিপ্লব, আপনার লেখা দেখলে মনে হয় আপনি জগতের সব সত্য বুঝে ফেলেছেন।কোন দ্বিধা নাই।এটা ভাল।এরকম একটা অনুভুতি আমিও চাই।পারছিনা।কেবলই মনে হয় “দরবেশ সিরাজ সাই কয় লালনরে তোর সদাই মনের ভ্রম যায় না।”
আপনি বলবেন কেন, কিসের প্রভাবে একেকজন মানুষ একেক রকম চিন্তা করে?আপনি কেন এত বুদ্ধিমান,আর আমি কেন এত নির্বোধ? আপনি হয়ত কতিপয় পারিপার্শিক প্রভাবের কথা বলবেন।সেই প্রভাবেরই বা আদি কারণ কি?
একজন নিরক্ষর মহম্মদ কিভাবে এত তথ্য জানলেন, কেন তার মধ্যে মানব কল্যানের জন্য এত আকুতি জেগে উঠল।যেজন্য তিনি নিজের ভাবনা মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লার কথা বলে চালালেন। কেন তিনি সমসাময়িক অন্যদের মত ভোগবিলাসে মত্ত হলেন না।
মন্তব্যটা আপনাদের মানের না হলেও নির্বোধকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য একটু কষ্ট করবেন।
ধন্যবাদ
@খালেদ,
মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন না, তিনি কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যও জানতেন না।
ক্ষমতা, সম্পদ ও অবাধ নারীভোগের তাড়নায়।
এক রাতে ৯ বছরের শিশু থেকে ৫০ বছরের বুড়ি নিয়ে মোট ১২জন নারীর সাথে সঙ্গম করার পর আর বিলাসিতার শক্তি বা সময় কই?
@Akash Malik,
এটা যে মিথ্যা একটা পাগলে ও বুঝব । উনার বও ছিল মানলাম । এই লেখা ১০০% মিথ্য বুঝতে আইন্সটাইন হইতে হয় না ।
@ফুয়াদ, তাহলে ত বলতেই হয় আপনারা যার হদিসে বিশ্বাস করেন তারা সবাই পাগল। মহম্মদ একরাতে সব বিবির সাথে শুতেন, এটাত মালিক সাহেব হাদিস থেকে দিলেন। দেখছেন ত আপনি নিজেই নিজেকে পাগল বলছেন। তাহলে আমরা খুবই ভাগ্যবান আপনি স্বীকার করেই নিলেন, একমাত্র পাগলেই হদিসে বিশ্বাস করে।
@ফুয়াদ,
ভাই পড়াশুনো করুন।মুহাম্মদ সব বিবির সাথে একই দিনে সঙ্গম করতেন এবং তার ৩০ জন পুরুষের সমান ক্ষ্মতা ছিল – এ কথা সিরাতে আছে।
আচ্ছা ডিকন্সট্রাকশন সম্পর্কে ভাল কোন বই বা প্রবন্ধ কি আছে? বিষয়টা খুবই কৌতুহলদ্দীপক লাগছে।
@পৃথিবী,
http://www.erraticimpact.com/~20thcentury/html/derrida.htm#online
ei link ye anek boi ache
ভুলে পুরোটাই উদ্ধৃতির মধ্যে পড়ে গেছে। 🙂
@আগন্তুক,
ঠিক করে দেয়া হলো। :-))
ধন্যবাদ বিপ্লবদাকে সুন্দর একটি প্রবন্ধের জন্য।
তবে প্রথমেই সতর্ক করে দিই যেন কেউ ভেবে না বসে যে,বাক্যের অনেক মানে থাকে বলে সব বাক্যই অর্থহীন – এ জাতীয় কিছু।তাহলে মানুষের সব জ্ঞানই অর্থহীন হয়ে পড়ে।
মহম্মদের ইতিহাস আর কোরান পাশাপাশি রেখে পড়লে, যেকোন বুদ্ধিমান লোক খুব সহজেই বুঝবে কোরানে কি এবং কেন কেন লেখা হয়েছিল।
অর্থাৎ বিপ্লবদা এটাও শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে,অনেক অর্থ বা ব্যাখ্যা থাকলেও ‘কন্টেক্সচুয়াল মিনিং’ কিন্তু সহজেই বোধগম্য।গীতা-বাইবেল-কুরান কি অর্থ প্রকাশ করে তা বোঝার জন্য আইনস্টাইন বা শ্রয়ডিঙ্গার হতে হয় না।দেশ-কাল-পাত্র তথা পরিপ্রেক্ষিত বিচার করলেই একদম স্বচ্ছ হয়ে যায় সব কিছু।
বাক্যের অনেকগুলো অর্থই হতে পারে কিন্তু তার মধ্যে কন্টেক্সচুয়াল অর্থটাই শুধু গ্রহনযোগ্য।কাজেই এই লেখা পড়ে ভুলেও ভাবা উচিত নয় যে ‘জোকার জাকির’
দের ব্যাখ্যা গ্রহনযোগ্য হতে পারে।
বাক্যের সীমাবদ্ধতাগুলো যুক্তিবিদ্যার আলোকে জানতাম।কিন্তু এদের যে একটা গালভরা নাম আছে – ‘ডিকনস্ট্রাকশন তত্ব’- তা জানতাম না।অত বিদ্যে নেই ঘটে।আর কন্টেক্সচুয়াল মিনিং বুঝতে তেমন কষ্ট হয় না বলে বিকল্প অর্থগুলো মনেই আসে না।তাই বিপ্লবদাকে কয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলেছিলাম ‘আমি ভাত খাই’ সংক্রান্ত।ব্যস্ততার মধ্যেও উনি ব্যাপারটা আমায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।তার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় যুক্তির সীমাবদ্ধতার মধ্যে এই তত্বটিও পড়ে।যেমন বার্ট্রান্ড রাসেলের সেট সঙ্ক্রান্ত প্যারাডক্সটি।বাক্য ও যুক্তি সীমাবদ্ধ বলেই তো প্যারাডক্স তৈরি হয় যার সমাধান জাকির নায়েকদের মত রামছাগলরাই করতে পারে ধর্মের ‘আলোকে!’বিপ্লবদাকে অনুরোধ করব বিষয়টি নিয়ে আরেকটু পড়াশোনা করার জন্য কিছু লিঙ্ক দিলে।
@আগন্তুক,
সম্পূর্ণ বিষয়টাকে দুর্বল ধর্মতত্ত্ব বলে। দুর্বল ধর্মতত্ত্ব মৌলবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অর্থ। ১৫০০ মিলিয়ান মুসলিমদের অধিকাংশের জ্ঞান গম্যির যা অবস্থা, তাতে ইসলাম তারা ছাড়বেন না। কিন্ত তারা অমানবিক নন। তাই কোরানের মানবিক ব্যাখ্যাতে ( যাতে যতই গোঁজ থাক না কেন) যদি তাদের উপকার হয়-ভালোই ত। এই গোঁজ ত রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দও দিয়েছিলেন।
দুর্বল ধর্মতত্ত্বঃ
[১]http://en.wikipedia.org/wiki/Deconstruction-and-religion
[২]http://en.wikipedia.org/wiki/Postmodern_Christianity
[3]http://www.jcrt.org/archives/07.2/heltzel.pdf
[4]http://www.jcrt.org/archives/05.2/robbins.pdf
ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্বের কাহিনী একেবারেই জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
কুরআনের তাফসিরগুলো পড়লেই বোঝা যায় সেখানে কত কত মতপার্থক্য। আর আয়াতগুলোও যে কত অস্বচ্ছ ও কনফিউজিং সেটা তো না বললেই নয়। দেরিদার তত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করছে।
দেরিদার এই তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলেও আমি আসলে এই বিষয়টা অনেক আগে থেকেই অনুভব করতাম। এমন কোন বাক্য তৈরী কি সম্ভব যা শুধু একটি অর্থই পোষণ করে? এই প্রশ্নটা প্রায়ই আমার মনে জাগত। ঈশ্বরের বাণীর মাধ্যম হিসেবে মনুষ্য ভাষা যে মোটেই উপযুক্ত নয়, এই অনুভূতির কারণেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম।
তবে এই মুহুর্তে একটি বাক্যের কথা মনে পড়ছে- “আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি”। এই বাক্যকে আর কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
@পৃথিবী
এখানে বাংলাদেশ এবং ভালোবাসা এই শব্দদুটির প্রচুর ডিফারান্স আছে।
যেমন
বাংলাদেশ== বাংলাদেশের জনগণ
== বাংলাদেশের প্রকৃতি-সৌন্দর্য্য
== উভয় দুই প্রকৃতি
== ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশের স্বাধীন রাজনৈতিক অসিত্ব
== ইসলামিক জাতিয়তাবাদি বাংলাদেশ যা বাঙালী মুসলমানদের সার্বভৌম রাষ্ট্র
== বাংলাদেশের জনগন কিন্ত রাজনীতি না বা সবকিছুই
== বাংলাদেশের সংস্কৃতি ( যেমন আমি যদি বলি ” আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি”–যেহেতু আমি ভারতীয়-আমার দৃষ্টিতে এর মানে দাঁড়াবে, আমি বাংলাদেশের জনগন বা সংস্কৃতি বা উভয়কেই ভালবাসি। অনেক ভারতীয় বাংলদেসশের রাজনৈতিক
অস্তিত্ব পছন্দ না করলেও বাঙ্গালী সংস্কৃতি পছন্দ করে। আবার বাংলাদেশীদের কাছে রাজনৈতিক অস্তিত্বটাই আসল)
জাস্ট হিসাব করে দেখুন ” আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি” এই কথাটা
একজন বাংলাদেশী ইসলামিক জাতিয়তাবাদি, বাঙালী জাতিয়তাবাদি, বা পশ্চিম বঙ্গ বাসি-এদের সবার কাছে আলালা অর্থে প্রকাশিত।
@বিপ্লব পাল,
খুবই সত্য কথা। সেজন্য দেশপ্রেমের সংজ্ঞাতেও দেখা যায় বিস্তর ফারাক। বিগত বিএনপি-জামাত আমলে যখন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার আর নিপীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছিলো আশঙ্কাজনকভাবে, তখন আমরা তা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলাম। আমাদের কাছে মনে হয়েছিলো, দেশকে ভালবাসা মানে দেশের নিপীড়িত মানুষকে ভালবাসা, তাদের বেঁচে থাকার লড়াইকে সহায়তা করা। অথচ সরকারের চোখে দেশপ্রেমের সংজ্ঞা ছিলো ভিন্ন। তাদের কাছে মনে হয়েছিলো সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরে, এগুলো নিয়ে লেখালিখি করে আমরা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছি। বাংলাদেশকে ‘ভালবাসা’র ব্যাপারটা থেকেই দুই গ্রুপ দুই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলো।
আমাকে লিখতে হয়েছিলো ‘যুক্তির আলোয় দেশের ভাবমূর্তি ও দেশপ্রেম’ এবং ‘বোমা হামলা আর ভাবমূর্তির ষোলকলা’র মত প্রবন্ধ।
মুক্তমনায় বিজ্ঞান এবং দর্শন নিয়ে যে রকম সূক্ষ আলোচনা হয়, তা মনে হয় না বাংলা আর কোন ফোরামে এমন ব্যাপক আকারে হয়। বিজ্ঞান আর দর্শনের সাম্প্রতিক জ্ঞানকে সামনে নিয়ে আসতে বিপ্লব বরাবরই অনন্য। দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন শুধু ধর্মের ক্ষেত্রেই নয়, মার্ক্সবাদের জন্যও প্রযোজ্য। আমি আগে আমার মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান? নামের একটি লেখায় দেরিদোর উল্লেখ করে বলেছিলাম মার্ক্সবাদকে ‘বৈজ্ঞানিক’ নয় বরং আধুনিক মানবতাবাদী দৃষ্টিকোন থেকেই আজকের দিনে এর গুরুত্ব এবং আরোপযোগ্যতা বিবেচনা করা উচিৎ। ধর্ম্বাদীদের মত মার্ক্সবাদীরাও তখন খুশি হননি। একই ভাবে ব্যাজার হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছিলেন।
বিপ্লবকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
@অভিজিৎ,
বিজ্ঞান এবং ধর্ম দর্শনের চর্চা মুক্তমনাতেই এখন সর্বাধিক। কিন্ত রাজনৈতিক দর্শনের চর্চা একদম বন্ধ হয়ে গেছে -সদস্যদের উৎসাহ নেই। সম্প্রতি অমর্ত্য সেন এবং মহঃ ইউনুসকে নিয়ে লেখাটাতে কোন রেসপন্সই এল না। ধর্ম দর্শন রৃহত্তর রাজনৈতিক দর্শনের ই অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং রাজনৈতিক দর্শনের ভিত তৈরী না হলে ধর্ম দর্শন অধরাই থাকবে।
রাজনৈতিক দর্শনের চর্চা মুক্তমনাতে বাড়াতে হবে।
বিপ্লব পাল,
অদ্ভূত সুন্দর ব্যাক্ষ্যা! অক্ষয় হয়ে থাকুক আপনার লেখাটি। একটা ব্যপার কি জানেন? যথাযথ উপাত্য বিহীন অন্ধ বিশ্বাস হলো একধরনের মানসিক রোগ। কাউকে বুঝাতে যে কি ঝামেলা! আপনার প্রবন্ধটি কাজে দেবে এবার! তবে একটি মন্তব্য করতে চাই, এতো প্রাঞ্জল আর শক্তিশালী প্রবন্ধটা কোথায় যেনো একটু হোঁচট খেয়েছে। আবার পড়ে দেখলাম, এটি কিছুইনা জাষ্ট একটা শব্দ। আর তা হলো ‘ঢপবাজী’। আধুনিক চটুল বটে, তবে এমন সুন্দর একটি যুক্তিবাদী প্রবন্ধে ঠিক মানায় কিনা, একটু ভেবে দেখবেন? প্রবন্ধটি আমার সংগ্রহে রাখলাম। ভালো থাকুন।
@Patraput, দর্শনের সব থেকে দূরহ সত্য আসলেই জলের মতন স্বচ্ছ হওয়া উচিত। যেহেতু আমি যেসব বিষয় নিয়ে লিখি, তা আসলেই ভীষন ভারিক্কী -তাই আড্ডার ঢঙে বলার চেষ্টা করি। যাতে লেখাটা পাঠকের ওপর চাপ সৃষ্টি না করে, তাকে কিছুটা আমোদ দিতে পারে। সুতরাং আড্ডার শব্দ গুলি -যেমন ঢপবাজি, রামপাঁঠামো ইত্যাদি আমার লেখাতে আসবে।
আপনি কি বাংলাদেশের না পশ্চিম বাংলার? আমাদের বাংলায় ঢপবাজি (বা ধাপ্পাবাজির অপভ্রংশ) ত লেখকরা ব্যাবহার করেন সাহিত্যে-প্রবন্ধে যদিও তার ব্যাবহার দেখি না। স্ল্যাং বা আরবান ডিকশনারী না ব্যাবহার করলে, আড্ডার মেজাজটা লেখায় রাখা যায় না। অবশ্য বাকি পাঠকদের মতও জানতে চাইব। রক্ষনশীল না আড্ডার ভাষা-কোনটা তারা চাইছেন।
@বিপ্লব পাল,
উনি জানেন বলে কি দোষ করেছেন ? । এটা আকিদার বিষয় ।
@ফুয়াদ, ভাই, কি বললেন আপনে নিজে বুঝছেন তো?
@বিপ্লব পাল,
দাদা সহমত।এ কাজটি দুর্ধর্ষ রকমের ভালো করতেন সৈয়দ মুজতবা আলি এবং তারপরে নাম করতে চাই কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর।আমার তো মনে হয় দুরূহ ভাষায় লেখাটা এক ধরনের ‘পণ্ডিতম্মন্য হীনমন্যতা।”মীনক্ষোভাকুল কুবলয়’ লেখার চেয়ে ‘মাছের তাড়নে যে পদ্ম কাঁপিতেছে’- লেখাই ভালো নয় কি?
আল্লাহ সুবাহানোতালা সমাজ পরিবরতন চাইতেছেন , এটাই আপনার ভুল ধারনা । তিনি পরিক্ষা করতেছেন । বিশ্ব তার নিজের মত চলতেছে ।
আর আপনার কি সালাফি দের চেনা আছে । তারা ইসলামের কোন নতুন কিছুই মানে না । অনেকে, বিজ্ঞান দিয়ে ইসলাম এর ব্যক্ষা কে ও বিদাত বলে ।
আল্লাহ সুবাহানাতালাকে আপনারঈ খুজে বেড় করতে হবে । এটাই পরিক্ষা ।
কোরানের ভারষন না বলে, কোরানের ব্যক্ষা বলেন । কোরানের কোনে ভারষন নাই ।
___________________________________
আপনাদের বৈজ্ঞানিক ফিলসফি দিয়ে চললে মসুলমান দের আরো কাদতে হবে, উন্নতি দূরে থাক, অন্য জাতির লাত্তি খাইয়া যাবে । যেমন ঃ জিন্নার পাকিস্থান । লাত্তি খাইয়া যাইতেছে । বাংলাদেশ, মিশর কোন দাম ই নাই । মসুলমান রা যতঈ আপনাদের ফিলসফি নিতাছে , তত ই মার খাইয়া জাইতেছে ।
আরও উদাহারন দোখুন ইরান, তারা ইসলাম বিরোধি ফিলসফির সাথে কম্প্রমাইজ করছে, কইরা লাভ হইছে কি । এখন নিজেরা নিজেরা মাইর করতেছে ।
যেকোন বিদাত দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে গেলেই, উল্টা হবে । রিএকশন হবে । আরও অবনতি হবে ।
@ফুয়াদ,
কোরানের একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে, এবং আকছার হচ্ছে, এ কথাটই কিন্তু অত্যন্ত সত্য। এটা বুঝতে কি কোন ডক্টরিন লাগে?
জিন্নার পাকিস্তানের সাথে বিপ্লবদের ফিলোসপির কি সম্পর্ক একটু ব্যাখ্যা করবেন? বৈজ্ঞানিক ফিলোসপির কারনেই তাদের এত দূর্ভোগ? কে জানে। তবে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানেরই বা এত দূর্ভোগ কেন তাই বা কে জানে। তারা তো বিজ্ঞান আধুনিক ফিলোসপি সব ছেড়ে ৬০০ শতাব্দীতে ফিরে যাবার চেষ্টায় অনেকটা সফল হয়েহিল।
আপনার মতে যা বুঝলাম, বাংলাদেশ, মিশর, ইরান, পাকিস্তান এরা “বেদাত” মতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কারনে ভুগছে। বিশুদ্ধ ইসলামের উদাহরন কে হতে পারে? তাদের মুল্যায়নই বা কেমন, মানে তাদের জীবন যাত্রার মান কেমন?
@ফুয়াদ,
আপনার ওই আল্লাতালার পরীক্ষা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। তখন পালাইলেন। আবার করছি।
[১] আল্লাতালা কার পরীক্ষা নিচ্ছেন? আপনার?
[২] আচ্ছা আপনি কে? খ্রীষ্ঠান পরিবারে জন্মালে আপনি কে হতেন? ২০ মিলিয়ান বছর আগে বানর হয়ে জন্মালে আপনি কে হতেন? আপনার “আমি” তে কত শতাংশ সমাজ আর আপনি?
[৩] আপনার মন বদলাচ্ছে-দেহকোষ বদলাচ্ছে-তাহলে আপনি ঠিক কি? দেহ বা মন ত না-তা বদলাচ্ছে? তাহলে কোন আপনি আল্লার কাছে কি পরীক্ষা দিচ্ছেন?
আরে ভাই খুব সহজ ব্যাপার-যিনি এই ‘ডিজাইনের মালিক” তিনি জেনেটিক কোড একটু -সামান্য চেঞ্জ করলেই, ‘তার সমাজ এসে যেত!” এই বই বাজারে কেন ছাড়তে গেলেন। ওটাত মানুষ করে থাকে। মানুষের ডিজাইনই যার হাতে, তার ত এসব কিছু করার দরকার নেই নিজের বানী পৃথিবীতে এভাবে পাঠাটে-জ়িনটা সামান্য বদলালেই কাজ হাসিল হয় তার!
তারো আগে সেইদিন পালিয়েছিলেন। আজ জবাব দিন-আপনি কে বলে আপনার মনে হয়? মন না, দেহ না-তাহলে কে আপনি? তার পরে ভাববেন আল্লা কিসের পরীক্ষা নিচ্ছেন। আপনার সারাজীবনের উপস্থিতি এই মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র-ব্যাক্টেরিয়ার থেকেও ছোট-আপনি হাগলেন না মুতলেন, তাতে এই সুবিশাল ১৩ বিলিয়ান বছরের মহাবিশ্বের কি যায় আসে? না তার ‘অধীশ্বরের’ কিছু যায় আসে?
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ । প্রথম ই বলে নিচ্ছি আমি পালিয়েছি, ব্যপারটা বুঝি নাই । আমি তো এখানে লেখতেছিই । হয়ত দেখি নাই ।
যাইহোক,
[১] আল্লাতালা কার পরীক্ষা নিচ্ছেন? আপনার?
উত্তরঃ আমার আপনার সবার । (exam for intelligent)
[২] আচ্ছা আপনি কে? খ্রীষ্ঠান পরিবারে জন্মালে আপনি কে হতেন? ২০ মিলিয়ান বছর আগে বানর হয়ে জন্মালে আপনি কে হতেন? আপনার “আমি” তে কত শতাংশ সমাজ আর আপনি?
উত্তরঃ আমি একজন মানুষ । খ্রীষ্ঠান পরিবারে জন্মালে আমি মানুষি হতাম । ২০ মিলিয়ান বছর আগে বানর হয়ে জন্মালে আমি মানুষ হতাম না । আমি সমাজের , সমাজ আমার । অতএব, সমাজের দোষ ত্রুটি আমার, আমার দোষ ত্রুটির কিছু অংশ সমাজের ।
[৩] আপনার মন বদলাচ্ছে-দেহকোষ বদলাচ্ছে-তাহলে আপনি ঠিক কি? দেহ বা মন ত না-তা বদলাচ্ছে? তাহলে কোন আপনি আল্লার কাছে কি পরীক্ষা দিচ্ছেন?
আমার মন বদলাচ্ছে-দেহকোষ বদলাচ্ছে , পরমানু বদলাচ্ছে, তাহলেও আমি মানুষ । মানুষ যা আমিও তা ।মনে করুন, আপনার ডি এন এ কি আর কারো ডি এন এ এর সাথে পুরো পুরি মিলে যায় । নিচের দুইটি আয়াত দেখেন ঃ
আমার জানা মতে হিন্দু ফিলসফিতে এ ব্যপারে ব্যপক আলোচনা আছে । যাইহোক, আমার নিজের মতামত বা মানুষ সৃষ্ঠ মতামতের গ্রহন যোগ্যতা নাই । তাই, আয়াত গুলি ভাল করে দেখেন।
@ফুয়াদ,
যাক আপনি উত্তরের ধারে কাছে আসতে পেরেছেন।
(১) তাহলে এটা বুঝেছেন, যে সেকালেও লোকে জানত দেহ বা মন পরিবর্তন শীল বলে ‘আমি’ র সংজ্ঞা দেহ বা মন দিয়ে দেওয়া যায় না। তার জন্যে আত্মার ধারনা আনতে হয়-যা বৈজ্ঞানিক প্রমানিত না। এবার আপনিই আরেকটু ভেবে বলুন, এই আত্মার ধারনাটির পেছনে আসল দার্শনিক কারনটি কি? আমি কোন আয়াত বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা শুনতে চাইছি না। এর কারন খুবী সাধারন একটি দার্শনিক সমস্যা। সেটা কি জানেন?
(২) আর যদি ডি এন এ কেই আমাদের আসল সত্ত্বা বলে মেনে নেন-যা আমাদের জীবন কালে প্রায় অপরিবর্তন শীল ( এপিজেনেটিক্স পরিবর্তন ছাড়া) , তাহলে ত এটাই ঠিক-আমাদের সন্তানের মধ্যেই সেই ‘আমি’ বেঁচে থাকি? তাহলে এই ধর্মের সাত কীর্তন ছেড়ে ছেল মেয়ে মানুষ করা , ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত তাই নয় কি? সেটাই ত আসল ধর্ম কি বলেন? আপনিই বলুন সন্তান মানুষ করার চেয়ে আর কোন বড় ধর্ম আপনি জানেন কি না?
(৩) ২০৪০ সালে আমি কখন হাগব, মুতব মহান ঈশ্বর ত আগে থেকেই ঠিক করে দিয়েছেন! এখানে আমার “পরীক্ষা” দেওয়ার স্কোপটা কোথায়? আমি পাশ করব বা ফেইল করব, সেটা ত আপনার মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি সর্বজ্ঞ আগে থেকেই জেনে বসে আছেন! তাহলে আপনার পরীক্ষায় পাশ বা ফেল করা থেকে উনি আপনাকে নিয়ে নতুন কি জানবেন? উনি ত সব আগেইেজেনে বসে আছেন! যবে থেকে জন্ম দিয়েছেন তবে থেকেই! ভেবে দেখুন। আপনার পরীক্ষা দেওয়ার কথাটি সত্য হতে হলে মানব জাতির ‘স্বাধীন ইচ্ছা” থাকতে হবে, যাতে ঈশ্বর ইন্টারফেয়ার করতে পারবেন না। কারন পরীক্ষক উত্তর বলে দিলে, সেটা আর পরীক্ষা হয় না! সুতরাং আপনি মানুষের স্বাধীন ই চ্ছার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিচ্ছেন-তাই যদি হয়-তাহলে পৃথিবী মানুষের দ্বারাই পরিচালিত। ঈশ্বরের দ্বারা নয়।
আশা করি আপনার ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপরাটা যে বিরাট স্ববিরোধিতা, সেটা বুঝেছেন।
@ফুয়াদ,
তা হুজুর আপনিই আপনার মডেল ইসলামিক একটা দ্যাশের উদাহরন এই নাদান বান্দারে দেন- যারা নাকি কুরান ফলো কইরা এই জমানায় জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতিতো করছেই পরকালে বেহেস্তে জাওনের রস্তাভি সুজা কইরা রাখছে। বেছি দরকার নাই হুজুর এ্যাকখান দ্যাশ। ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
নাহ, ডিএনএ কে আসল সত্ত্বা বলে মেনে নিচ্ছি না । আরও বিষয় আছে ।
আপানার বোধ হয় ইসলামে এই আংশটুকু জানা নাই । আল্লাহ সুবাহানাতালা জানেন আমরা কি করব(তাই তিনি তকদির লিখে রেখেছেন) , কিন্তু ঠিক করে রাখেন নাঈ আমরা কি করব , আমরা এ ব্যপারে স্বাধীন । আল্লাহ সুবাহানাতালার হুকুম ছাড়া কিছুই ঘটে না। আমরা কিছু করতে চাইলে, আল্লাহ সুবাহানাতালা তার অনুমতি দিয়ে দেন , ইন্টারফিয়ার করেন না, তাই ঘটনা হয়ে যায় । মানুষের জীবন মানুষ করতিক নিরবাচীত ।
মাঝে মাঝে যে, স্বাস্থি বা স্বরন করিয়ে দেন না, তা কিন্তু নয় ।
@ফুয়াদ,
” আল্লাহ সুবাহানাতালা জানেন আমরা কি করব(তাই তিনি তকদির লিখে রেখেছেন) , কিন্তু ঠিক করে রাখেন নাঈ আমরা কি করব , আমরা এ ব্যপারে স্বাধীন । আল্লাহ সুবাহানাতালার হুকুম ছাড়া কিছুই ঘটে না। ”
ঠিক বুঝতে পারলাম না এটার মানে কি হল। মনে হচ্ছে; আপনি বলতে চাচ্ছেন যে যদিও আল্লাহ জানেন আমরা কি করব, কিন্তু তিনি নিজে সেটা ঠিক করে রাখেননি। তাই সেটার দায় আমাদের। তাই না? অর্থাত, আমরা কি করব না করব তা আগে থেকে কোনভাবে ঠিক করা আছে, যদিও তা আপনার মতে আল্লাহ ঠিক করেন নাই।
এ থেকে যা বুঝতে পারলম তা হল, (সংশোধন করে দেবেন যদি ভুল বুঝি); আমাদের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ আগে থেকেই কোনভাবে ঠিক করা আছে। কে ঠিক করে রেখেছে তা পরিষ্কার হল না, কারন আপনি বলছেন যে আল্লাহ ঠিক করেননি। এখন আমরা কেবল সেই প্রোগ্রাম অনুযায়ী সেসব কাজ করে যাচ্ছি, আল্লাহ শুধু অনুমতি দিচ্ছেন।
কিছুতেই যা বুঝতে পারছি না, তাহল, আগে থেকেই যদি কোনভাবে বা কেউ আমাদের কাজকারবার ঠিক করে রাখেন তবে আমরা স্বাধীন হলাম কি করে?
আগে থেকেই ঠিক করে রাখার মানে কি এই না যে আল্লাহ যেমন আমার তকদীরে লিখে রেখেছেন আমি দুনিয়ায় আস্তিক হব বা ভাল কাজ করব সেটা, তেমনি বিপ্লব নাস্তিক হবেন বা মন্দ কাজ করবেন সেটা? তাহলে আর মানুষের দায় বা পরীক্ষার প্রশ্ন আসে কিভাবে? আগে থেকেই যা তকদীরে আল্লাহ লিখে রেখেছেন তার দায় আমাদের উপর কিভাবে বর্তায়?
এ প্রসংগ নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি, অনেক ধার্মিকের বক্তব্য শুনেছি, কোনদিন পরিষ্কার হয়নি।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে, আমরা কি করব না করব, তা আমরাই করি । কিন্তু আমরা কি করব আল্লাহ সুবাহানাতালা আগে থেকেই জানেন । তাই তিনি লিখে রেখেছেন ।
উদাহারন দিলে বুঝতে পারবেন , যেমন ২০০৯ সালে এই সময়ে ফুয়াদ কি করবে তা আল্লাহ সুবাহানাতালা বহু আগেই জানেন । তা ঈ তিনি লিখে রেখছেন ।
একটা প্রশ্ন আসে, আল্লাহ সুবাহানাতালা যখন জানেন তখন পরিক্ষা নিবার কি দরকার ?
কারনঃ আল্লাহ সুবাহানাতালা কারো বিচার না করে, তারে শাস্থি দেন না । বিচার হলে দোষের প্রমান দরকার । তারপর ও মনে রাখবেন, যে আল্লাহ সুবাহানাতালা ক্ষমাশীল ।
আর আমি যতদূর জানতে পেরেছি তত দূর ব্যক্ষা করেছি । আমি ভুল করতে পারি ।
উপরের ব্যক্ষা , আহলে সুন্নাতুয়াল জামাতের আকিদা ।
@ফুয়াদ,
আপনার মাথা কি সুস্থ আছে?
ধরুন আল্লা তালা জানেন আমি ক বাবুকে খুন করবো। কিন্ত তিনি ঠিক করে রাখেন নি আমি তার সাথে প্রেম করব না খুন করব?
একটু ভেবে দেখুন। এ ধরনের স্ববিরোধিতা একমাত্র মানসিক দিক দিয়ে ভারসাম্যহীন লোকদের মাথা থেকেই বেড়োতে পারে।
জ্যাক দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্বকে অস্বিকার করা খুবই কঠিন কাজ। আমি এমন বাক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে দেখেছি যার দ্বারা মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশ করা যায়।প্রথমে মনে হয়েছিলো কাজটা বোধহয় খুব সহজ হবে কিন্তু দেখলাম যে সব চেয়ে সরল বাক্য এমনকি হাঁ, না জাতীয় এক শব্দের বাক্য গুলিও মনের ভাব সম্পূর্ন ভাবে প্রকাশ করতে অক্ষম।
“হাঁ” শব্দ দ্বারা সব সময় সম্মতি জ্ঞাপন করা বোঝায়না। যেমন-“হাঁ” তোমাকে বলেছে ? অনেক ক্ষেত্রে -তোমাকে বলেছে ? এই অংশটুকুও বলা হয়না। কিন্তু এই”হাঁ” এর অর্থ দাঁড়ায় সরাসরি না। আবার আছে “হাঁ” এর রকমফের, পুলিশ জোর করে “হাঁ” বলিয়ে নিতে পারে। তোষামদ কারির “হাঁ” পুরো ভিন্ন জিনিষ।
আমরা যখন ডাক্তারকে রোগের কথা খুলে বলি, আসলে কতটা প্রকাশ করতে পারি? আবার প্রেমিক পেমিকাকে যখন তার ভালবাসার কথা বলতে চায় তখন প্রায়ই যে পর্যন্ত সে বলতে পারে তা হলো- তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
আবার ধরুন আপনি একটা রং এর কথা অপরকে বলে বোঝাতে চাইছেন আর রং টা যদি লাল, নীল টাইপের না হয়ে একটু Uncommon হয় দেখবেন খবর হয়ে যাবে বোঝাতে।
আসলে আমাদের ভাষা এখনো যথেষ্ট উন্নত না যা দিয়ে আমরা যা অনুভব করি তার পুরোটাই প্রকাশ করতে পারি।
কোরানের নিত্য নতুণ ব্যাখ্যা্র এই বিনোদন মেলায় কাবাবমে হাড্ডি হয়ে থাকবে বিপ্লব পালের এই লেখাটি।
যারা হাড্ডি পছন্দ করেন তাদর পক্ষথেকে বিপ্লব পালকে তার অনবদ্য লেখাটির জন্য অসংখ ধন্যবাদ।।
কিন্তু প্রত্যেক বাক্যেরই যদি পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা থাকা স্বাভাবিক হয়, তাহলে বিজ্ঞানই বা এর উর্ধ্বে হবে কেমনে? বৈজ্ঞানিক সত্য প্রকাশের জন্য তো আমাদেরকে সেই বাক্যেরই শরণাপন্ন হতে হয়।
@পৃথিবী,
বৈজ্ঞানিক সত্য আসলে কি?
হয় পরীক্ষা লদ্ধ রেজাল্ট-যা কিছু নাম্বার। বা সেই রেজাল্টের ব্যাখ্যা। প্রথমটি আলোচনায় আসে না। দ্বিতীয়টি আসে। রেজাল্টের ব্যাখ্যা ভাষায় প্রকাশ করা। যারা জার্নালে পেপার লিখে থাকেন, তারা বিলক্ষন জানেন কোরান বা গীতার ভাষায় রেজাল্ট ব্যাখ্যা করলে, তাদের পেপার সম্পাদক ফেলবেন ডাস্টবিনে-অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সেখানে বাক্য এবং ভাষার প্রয়োগ করতে হয়, যাতে নানাবিধ ব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। কিন্ত তার পরেও এই ভাষাগত ব্যাখ্যার সমস্যা বিজ্ঞানের পেপারেও ভাল রকমেই থাকে-কিন্ত ঐ বিষয়ের একাধিক পেপারের পরে, তা আস্তে আস্তে ‘দূর’ হতে থাকে। আর সেই জন্যেই বিজ্ঞানে গনিত এবং ছবির ব্যাবহার ভাষার থেকেও বেশী করতে হয়-যাতে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধটিতে ডিকনস্ট্রাকশন জনিত দুর্বলতা কম থাকে (
এর পরেও থাকে) । সেই জন্যেই বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধকে বলে স্ট্রং টেক্সট-যার একাধিক ব্যাখা থাকলেও ব্যাখ্যাগুলি কাছাকাছি হবে-যাতে পরীক্ষার সাথে মেলানো যায়।