বর্তমান কোরান সংস্কারকদের মতে, কোরানের আক্ষরিক ব্যখ্যা করা উচিত না, কারন আরবীতে এমন অনেক শব্দ আছে যার সমরুপ অন্য ভাষায় নেই। তাই কোরান ব্যখ্যায় root meaning এ ফিরে যাওয়া উচিত। আরো একটা সমস্যা হচ্ছে কোরান অনুবাদকারী ব্যখ্যার সময় নিজস্ব ধারনাও যুক্ত করে দেয়। এছাড়া biblical stories, legends, কিছু বিষয়ের Jewish version এমনভাবে আমাদের মাঝে মিশে গেছে যে সত্য-মিথ্যার বিবেচনা না করেই কোরান ব্যখ্যায় সেগুলো ব্যবহার করা হয়। যার ফলে কোরান অনুবাদ ও ব্যখ্যা পড়তে গিয়ে দেখা গেছে যে এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যায় এত বেশী pitfall তৈরী হয়েছে যে এর সঠিক সাধারন অর্থটাই বদলে গেছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ ব্যখ্যাকারীই নিজে নিজে কোরান বোঝার চেষ্টা না করে তার পূর্ববতীকে অন্ধভাবে অনুসরন করে। অনুবাদের ক্ষেত্রে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বিজ্ঞান-বিষয়ে সম্যক ধারনা। আমরা যত বেশী এই জগতের প্রাকৃতিক নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করব তত বেশী আমরা আল্লাহ কতৃক নবীদের কাছে প্রেরিত মানবজাতির জন্য পাঠানো সামাজিক নিয়ম-কানুনগুলো বুঝতে পারব। এই উভয় (প্রাকৃতিক ও সামাজিক) প্রকার নিয়ম-নীতি একটি উৎস থেকে এসেছে এবং এই নিয়মগুলো অপরিবর্তনীয়। তাই যতই আমরা প্রকৃতিকে আবিস্কার করব ততই আমরা কোরানের প্রকৃতি বিষয়ক আয়াতগুলো পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারব।
“In time We will show them Our signs in the utmost Horizons and within themselves, so that it will become clear to them that this Qur’an is indeed the Truth.— (41:53)
তাই বর্তমান কোরান সংকারকরা শুধু কোরানকে অনুসরন করে এর অনুবাদ এবং ব্যাখ্যার চেষ্টা করছেন এবং তাঁদের এই অনুবাদকে সতঃসিদ্ধ না ভেবে আরো গবেষনার জন্য আহবান করেছেন।
কিন্তু আমদের প্রচলিত ধর্ম মত (orthodoxy) বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যপারে উদাসীন ও জ্ঞান আহরনে অনিচ্ছুক। যার ফলে, বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞানের অভাবে কোরান ব্যখ্যাকারীদের ব্যাখ্যায় না থাকে কোন বাস্তবতা, না থাকে কোন যুক্তি সম্মত অর্থ। উদাহরণ হিসেবে সৈয়দ আবুল আলা মওদুদীর কথা বলা যায়। তার ব্যখ্যা সম্বলিত বই “তাফহিমুল-কোরান” প্রচলিত ইসলামিক সমাজে সমাদৃত। তার এই বইয়ে জীবন সৃস্টির যা ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে তার সাথে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। প্রাণ বির্তনের ধারা বিভিন্ন আয়াতে যেভাবে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞানের অভাবে এবং প্রচলিত কাহিনীর সমন্বয়ে সম্পূর্ণ অন্যভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে। মওদুদী রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং বিবর্তনের প্রায় সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। উদাহরণ সরুপ বলা যায় যে কোরান বলেছে মানুষ তৈরী হয়েছে extracts of clay; কিন্তু ব্যাখ্যাকারী ব্যাখ্যা করেছে “clay itself”. এই জ্ঞানী ব্যক্তিরা আজও বিশ্বাস করেন মানুষকে প্রথমে মাটি দ্বারা মডেল হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।
32:7-8 আয়েতে বলা হয়েছেঃ
“It is He who has made every thing which He has created in an appropriate form and initiated the creation of man from the inorganic matter of the earth; and made his progeny from an extract of (what may seem to you) a despised fluid.”
কোরান যেখানে মানুষ সৃস্টির পূর্ববর্তী রাসায়বনিক বিবর্তনের অবস্হা ব্যাখ্যা করেছে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন স্তরে গাছ-পালা, জীব-জন্তুদের মধ্যে sexual reproduction এর মাধ্যমে মানুষ পর্যায়ে এসেছে সেখানে মওদুদী Old Testament এর মানুষ সৃষ্টির ঘটনার সাথে মিলিয়ে এই আয়াতের তাফহিমুল-কোরানের (Volume-4, Page 40) ব্যাখ্যা করেছেঃ
“If at all it is accepted that the first life cell was directly created, then where is the hitch in accepting that the first individual of every living species of animals came in to being by direct creation by the Creator and from then onwards its progeny proceeded by mean of procreation.”
এই ধরনের সরাসরি জীবন সৃস্টির ব্যাখ্যা বিবর্তনবাদ, এমনকি sexual appearance এর স্তরকেও অস্বীকার করে। যার ফলে আমরা মুসলমানরা এখনো বিশ্বাস করি, আদম হচ্ছে প্রথম ব্যক্তি যাকে সরাসর মাটি থেকে সৃস্টি করা হয় এবং ঈভকে আদমের পাঁজরের হাড় থেকে সৃস্টি করা হয়েছে। কিন্তু এই আদম শব্দের অর্থ হচ্ছে মানব জাতি, কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়।
“He created you from a single life cell and made from it its opposite sex.” (39:6)
“Then from (the reproductive unit) we created علقه ‘Alaqa’.—-” (23:14)
‘য়ালাকা’ শব্দটি প্রায় সব ব্যাখ্যাকারী অনুবাদ করেছে জমাটবদ্ধ রক্ত হিসেবে যদিও early embryonic stage এ রক্তের কোন উপস্হিতি নেই। এই ‘য়ালাকার’ root meaning হচ্ছে a hanging object attached to a fixed object situated higher up।
জীবন সৃষ্টির ব্যাখ্যা ছাড়াও কোরান ব্যাখ্যাকারীরা মহাজগত সৃষ্টির উৎস সম্বন্ধে এমন ব্যাখ্যা প্রদান করেছে যা অপব্যখ্যায় পরিনত হয়েছে। কোরানের কিছু কিছু জায়গায় noun ব্যবহার না করে adjective principles ব্যবহার করেছে মূলতঃ ‘fundamental forms of energy’ সম্বন্ধে বর্নণার জন্য, যা পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়া ব্য্যখ্যা করা বেশ কঠিন। কোরান কিন্তু ১৪০০ বছর আগে উল্লেখ করেছে যে মানুষ ততদিন পর্যন্ত এই পৃথিবী ও আকাশমন্ডলীকে বুঝতে পারবে না যতদিন না তাকে ক্ষমতা দেয়া হয় অর্থাৎ যতদিন মানুষ পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরন না করবে ততদিন এই প্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে চিন্তে পারবেনা। অথচ ‘তাফহিমুল-কোরান’ ব্যাখ্যা করেছে যে মানুষ কখনও আল্লাহর এই সুমহান জ্ঞান বুঝতে পারবেনা, কারন এটা মানুষের বোঝার বাইরে (which doesn’t make any sense)।
“Say: Is it that you deny Him who created the earth in “Two Eras’ (41:9)
“So He completed them as seven (or a number of) heavens in Two Eras—“(41:12)
কোরানে বলা আছে এই পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলী সৃস্টি হয়েছে “Two Eras” তে।
সাধারনতঃ আরবী ‘Yaumayn ’শব্দটি অনুবাদ করা হয়েছে এখানে ‘দিন’ হিসেবে ; কিন্তু Yaumayn অর্থ হতে পারে Two days= Two stages =Two Eras = Two Aeons = Indefinitely long periods, a very long period of time; যা আমাদের গননায় হাজার বছর (32:5) অথবা কখনো পঞ্চাশ হাজার বছর (70:4) হতে পারে। বছরের হিসাব specific ভাবে উল্লেখ করা নেই। বৈজ্ঞানিক ভাষায় জীবন সৃস্টির পূর্ববর্তী material worldকে বলা হয় ‘Azoic’ কোরান এই ‘Azoic’ সময়টাকেই দূ-ভাগে ভাগ করেছে এবং বলছে Two Eras। এখানে Era শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কারন Era শুরু হয় কোন বড় ঘটনার সূচনা দিয়ে। কিন্তু আমাদের কোরানে বিজ্ঞ আলেমগন যারা বিজ্ঞানের ব না জেনেই এই সব আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন এবং আমাদের মত অন্ধ-বিশ্বাসীরা সেই ভাবেই যুগ যুগ পার করে যাচ্ছি। মওদুদী এই শব্দটিকে (Yaumayn) ৪৮ ঘন্টা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কোরান জীবন সৃস্টির সময়টাকে ভাগ করেছেন Four Eraতে। তাই বলা হয় বিবর্তন চলেছে Six Eraতে (32:4)। Biblical storyতে উল্লেখ আছে এই পৃথিবী ছয় দিনে তৈরী হয়েছে আরেকদিন আল্লাহ বিশ্রাম (Sabath) নিয়েছেন যার জন্য ইহুদীরা শনিবারে বিশ্রাম নেয়; আর ব্যাখ্যাকারীরাও ছয়দিনে পৃথিবী সৃস্টি হয়েছে ধারনাটা মেনে নিতে একটুও দেরি করেনি।
প্রচলিত কোরান ব্যাখ্যাকারীদের আরো একটা বিষয় প্রভাবিত করেছে, আর তা হলো ইহুদীদের বর্তমান ধর্মঅপুস্তকের কাহিনী। সেক্ষেত্রে উদাহরন হিসেবে ৩৮ নম্বর সূরার দাউদ (আঃ) এর ঘটনাটি উল্লেখ করতে পারি। এখানে ২১থেকে ২৪ আয়াতে একটি caseএর বর্ননা আছে যেখানে তৎকালীন সময়ের আর্থ-সামকজিক অব্যস্হার কথা উল্লেখ আছে এবং দাউদ (আঃ) কিভাবে সেখানে সুব্যবস্হা করেছিলেন অর্থাৎ তখনকার প্রচলিত ব্যবস্হা না মেনে নিয়ে আল্লাহ নির্দেশিত পথে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ব্যাখ্যাকারীরা এই আয়াতগুলো ইহুদী গল্পের প্রভাবে ব্যাখ্যা করেন যে তিনি কোন এক আর্মি অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষন করেন এবং আরো পরিকল্পনা করেন সেই অফিসারকে খুন করে তার স্ত্রীকে বিয়ে করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভুল বুঝতে পারেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। এই মিথ্যে ঘটনা Samuel-II (Chapter 11-12) এ উল্লেখ আছে। এমন কি মওদুদীর ‘তাফহিমুল-কোরানে’ এর বর্ননা করেছেন এবং সাদরে ঘটনাটি গ্রহন করেছেন। অন্যানরা এই ঘটনার কিছু অংশ গ্রহন করেছেন এবং ঘটনা মিথ্যা বলে বাদ না দিয়ে তাকে দোষমুক্ত করার জন্য দীর্ঘ আলোচনার অবতারনা করেছেন। কোরানেতো এই ঘটনার উল্লেখ নেই। তবে কি কোরানের ব্যাখ্যা কোরানের বাইরে বর্ননাকৃত ঘটনা দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত? কোরানের মতে, দাউদ (আঃ) একজন pious man ছিলেন যিনি সর্বদা আল্লাহর দেয়া divine laws মেনে চলতেন। কোরান একটি ঘটনার মাধ্যমে তার সময়ের রাজত্বকালে একটা অর্থনৈতিক অব্যবস্হার কথা বলেছেন যার জন্য তিনি অনুতপ্ত ছিলেন এবং সঠিক পথে তা বিচার করে আল্লাহর পথে (to put things right)অনুগামী হয়েছেন। কোরান ব্যাখ্যায় মওদুদীর কি এ বিষয়টি কি একবারও বিবেচনায় আনেন নি? এতেই বোঝা যায় মওদুদীর মত আলেমরা কোরান নিয়ে কি খেলাই না খেলেছেন।
বিঃদ্রঃ আমার এই লেখার মূল বক্তব্য, উদাহরণ Dr. Sayed Abdul Wadud এর Gateway to the Quran, এবং Tanveer Hussain এর Ad-Deen ও Al-Islam আর্টিকেল থেকে সংগৃহিত। আমি শুধু বাংলায় সংক্ষিপ্তকারে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
Ivy:
‘কেন আমি একজন ভাল মানুষ হব? আজ যদি আমি এখন মরে যাই– এই ভালত্ব দিয়ে কি হবে আমার (জনগনের না হয় উপকার হলো)? জন্তু-জানোয়ার কি ভাবে অথবা ভাবে কি না আমি জানি না, আমি তো মানুষ, তাই জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবি।’
If the society gets benefitted by the good people, that should not be the goal of a life in ideal sense?
Or the goal, according to you, should be what I am getting in this world or what I will get in the ‘other’ world?..always busy with myself.
‘আপনি আমার সম্বন্ধে মন্তব্য করে ফেললেন–আমার সম্বন্ধে না জেনেই।’
Somebody can make the comments about authors after reading their articles, because the article represents his/her views. It doesn’t need to know him/her personally
@Bright Smile,
প্রশ্ন তো সেটাই, কেন আমাকে ছাড়া অন্যকে নিয়ে ভাবব?
এই উদ্দেশ্যটাই বা কে ঠিক করে দিল?
@আইভি,
Bright Smile কে করা আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি বিবর্তনীয় দৃষ্টি কোণ থেকে উপরে দেয়ার চেষ্টা করেছি। জানিনা আপনার মনঃপুত হয়েছে কিনা। আপনি প্রাসঙ্গিকভাবে ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়?‘ বইটির পঞ্চম অধ্যায় : ধর্ম, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অধ্যায়টি পড়ে দেখতে পারেন।
@আইভি,
আপনার পাশের বাড়ীর ছেলেটা বখে গেলে আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য সেটা সমস্যা। তার মধ্যে বখে জাবার লক্ষন যদি আপনার চোখে পড়ে তবে তার অবিভাবককে সেটা আপনার জানানো উচিৎ। কারন সমস্যাটা আসলে আপনারও।
সুতরাং আপনি উন্যের ভাল চাইবেন যাতে আপনি নিজে ভাল থাকতে পারেন।
@অভিজিৎদা,
আরে আমি নিজেই তো আমার মতামত পরিস্কার করেছি। 🙂 আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, এ ধরনের ছদ্মবৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ হলে প্রথম পড়তে এসে যে কেউ আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষণ করতে পারে।আর আমার মতে আমাদের উপমহাদেশে এ মতবাদগুলো ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।আপনি যে পয়েন্টটা বলছেন সেটাও একদম ঠিক।কিন্তু মনে হয় সেটা আরেকটু লিবারেল এবং সেক্যুলার সমাজের জন্য প্রযোজ়্য। :-))
ভালো থাকবেন।
আর এভাবে ‘আপনি-আজ্ঞে’ করতে থাকলে আমিও ‘স্যার স্যার’ করে উল্টাইয়া বল্টাইয়া দিতে জানি।কারণ দিন-রাত স্যার স্যার না করলে আমাগো পাশ হয় না।আবার শুরু করুম নাকি? 😉
–ম্যাডাম, এটা শুধু আরবি ভাষা নয় যেকোনো ভাষা অনুবাদের সময় দুয়েকটি শব্দের সটিক অর্থ খুজে পেতে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনুবাদের সাথে সাথে একটি ব্যাখ্যা জুড়ে দেয়া যেতে পারে। বলাবাহুল্য কোরানের অনেক অনুবাদে এমনটি করা হয়েছে। যাই হোক কোরানে এমন কি কিছু আছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়? যদি তা সম্ভব হয় তবে অবশ্যই কোরানকে বাংলা বা ইংরেজি এরকম যেকোনো আধুনিক ভাষায় অনুবাদ করতে পারার কথা এবং বস্তুত তাই হয়েছে। কোরানকে যদি অন্য ভাষায় অনুবাদ করা না যায়, কোরানের কিছু অংশ যদি বোধগম্য না হয় তবে তা কোরানেরই দুর্বলতা। পৃথিবীর যাবতীয় জ্ঞান মানুষ অনুবাদের মাধ্যমেই পরস্পরের সাথে বিনিময় করেছে –কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে বলে শুনা যায় নি। কোরানের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হয় নি, তবে হ্যা তখনই সমস্যাটি দাড়ায় যখন কেউ অপছন্দের প্রশ্ন শুনিয়ে বসেন। তবে মজার বিষয় হলো আমাদের কারো কারো আরবি ভাষা শেখা আছে। তাই আমরা যখন উপরোক্ত ধরণের ওজর শুনি তখন হাসব না কাঁদব ভেবে পাই না।
– -আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন মুহাম্মদ নিজেই কোরান রচনার সময় বুঝে না বুঝে অনেক biblical stories, legends, Jewish version এর অনেক বিষয়ই ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
–আর এজন্যই নতুন কিছু আবিষ্কারের পরেই তা কোরানে পাওয়া যায়, আগে নয়। আমি একবার বলছিলাম কোরানে যখন সবজ্ঞানই খুজে পাওয়া যাচ্ছে তবে দয়া করে আগেভাগেই অনাবিষ্কৃত বিষয়গুলোকে খুজে বের করে দিতে।
ধর্মবিশ্বাসীরা পূর্বসংস্কার বশত তাদের ধর্মগ্রন্থকে যাচাই না করেই একে পরম সত্য বলে ধরে নেন। তাই এর মধ্যে কোনো অসংলগ্নতা খুজে পেলে তার কোনো এক গোজামিল ব্যাখ্যা দিয়েই কাজ সারেন(আধুনিক অনুবাদ ও তফসিরগুলোতে যা ঘটছে)।কেউ যদি এভাবে কোনো গ্রন্থকে পরম সত্য বা ঐশ্বরিক বলে ধরে নেন তবে এগ্রন্থের কোনো দোষত্রুটি তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও দেখবে না –এটাই স্বাভাবিক।
অস্তিকদের একটা সাধারন ধারনা হলো নাস্তিক হলে নিতীর কোন বালাই থাকেনা। মনের সুখে যা খুসি তাই করা যায়। আসলেই কি তাই ? ইচ্ছা করলেই কি আমি একজন আস্তিককে চড় মারতে পারবো ? আমার কি জানের মায়া নাই ? মানে ইচ্ছা করলেই সব করা সম্ভব না। এখানে অনন্ত জীবনের প্রেরনা থাকুক আর নাই থাকুক। এই ক্ষুদ্র জীবনেই পুরষ্কার ও শাস্তির অনেক ব্যাবস্থা আছে।
আইভি প্রশ্ন করেছেন ভাল হয়ে লাভ কি ? চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি খারাপ কাজ করলে একজনকে সাধারন ভাবে শাস্তি পেতে হয়। মানুষের কাছে অশ্রদ্ধার পাত্র হতে হয়। ভাল থাকলে আপনি অনেকের শ্রদ্ধা অর্জন করবেন। সামাজিক ভাবে হেয় হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। এসব কারন ছাড়াও যে পরম উদ্দেশ্য আস্তিকদের দরকার হয় সেটা আসলে কি?
অনন্ত জীবন ও অনন্ত নিরবিচ্ছিন্ন সুখ এর প্রতিশ্রুতি। ব্যাস পশুকূল থেকে বেশ আলাদা হওয়া গেল। এখন যারা অসংখ্য হুর আর গেলমান নিয়ে, সারাবে চুর হয়ে অনন্ত জীবন কাটাতে চান, কাটাতে পারেন। কিন্তু এই পরম লক্ষ্য যাদেরকে আকৃ্ষ্ট করে না তাদের সাথে পশুকুলের পার্থক্য খুবই সামান্য এমন সিদ্ধান্ত টানার কি যৌক্তিকতা আছে বুঝলাম না।
Dr Biplob Pal wrote:
[To me it looks like, he was a liberal in sexual matter but his followers do not want to accept ]
Agreed. Muhammad loved women–all kinds of them. Nothing is particularly wrong in this. He had extraordinary passion for them.
Unfortunately, when we expose this human side of Muhammad, Islamists attempt to cover Muhammad’s lasciviousness. I find nothing wrong in Muhammad being a sexual animal—it is just the way we, human beings, are made of.
To Ms Ivy:
Thanks for answering those questions.
Unfortunately, they are totally unsatisfactory, at least to me.
You have accused me of hurling personsl attacks on you without any convincing proof. I have nothing personal against you. I have crticised every QOM. If you are not one of them why should be so perturbed?
In another post you have questioned the authority of Bukahri, Tabari, and many ahadith, but had never questioned the Qur’an. What does this prove? Am I right or wrong?
You have brought in political reasons for the text books used by all the Madrassas of the Saudi Arabia, Pakistan, Bangladesh, Iraq, Pakistan….
Don’t you think your argument is so feeble it will not stand a chance ? These text books are there since time immemorial.
Anyway, please forgive me if I had heart your feelings. It had never been my intetion. Please take it easy. Criticising a religion is not an easy job, we are bound to hurt some believers’ ‘amor propre.’
AK
অভিজিৎ,
আপনার এই মানবতা বোধ দেখানোর কি দরকার? আপনি কি সমাজে বোধ সম্পন্ন মানুষ দেখতে চান? কি হবে একটা ভাল পৃথিবী গড়ে? কেন আমি একজন ভাল মানুষ হব? আজ যদি আমি এখন মরে যাই– এই ভালত্ব দিয়ে কি হবে আমার (জনগনের না হয় উপকার হলো)? জন্তু-জানোয়ার কি ভাবে অথবা ভাবে কি না আমি জানি না, আমি তো মানুষ, তাই জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবি।
মানুষ তার ইচ্ছা-শক্তিতে চলে। তবে কি অন্য প্রাণীরাও কি ইচ্ছা-শক্তিতে চলে নাকি কোন শক্তি দ্বা্রা নিয়ন্ত্রিত। আমরা মানুষরা কখনো বিভিন্ন ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে full vegeterian, half vegeterian বা মাংস ছাড়া জীবন অচল করে ফেলি। একটি তৃণভোজী প্রাণী বা গরুর বাচ্চাকে যদি মাংস খাওয়াতে চেষ্টা করি বা বাঘে বাচ্চাকে যদি তৃণভোজী করানোর চেষ্টা করি তবে কি সেই বাচ্চাটা বড় বাঘ হয়ে মাংস খেতে চাইবে না? যদি না হয়, তবে কেন না? আর মানুষের বাচ্চাকে যদি বানর বা নেকড়ে প্রজাতির কাছে লালন-পালন করতে দেই তবে কি সেই বাচ্চার আচরন তাদের মত হবে? উলটো দিকে মানুষ একটা বানরের বাচ্চা বা নেকড়েকে কি মানুষের মত গড়ে তুলতে পারবে–মুসলমান বা হিন্দু বানর বা নেকড়ে? যার ঘরে বড় হবে আর কি! বলতে পারবেন মানুষ কেন অন্য সৃষ্টি থেকে আলাদা। এই প্রশ্নগুলো করছি একজন আস্তিক হিসেবে একজন নাস্তিকের কাছে?
ধন্যবাদ।
@আইভি,
আমি বুঝতে পারছি আপনি খানিকটা ইমোশনাল হয়ে আছেন। হয়ত লেখার উপর এত ধরনের কমেন্টের কেরিক্যাচার দেখে হতভম্ব হয়ে গেছেন। আমাকে করা আপনার প্রশগুলোর মধ্যেও সেই ছোঁয়া আছে। তারপরও কিছু উত্তর দেই। হয়ত এই পারস্পরিক মতবিনিময় আমাদের উপকারই করবে।
আমি এ ব্যাপারে কোন মানবতা বোধ দেখিয়েছি বলে মনে পড়ছে না। আমার যৌক্তিভাবে যা মনে হয়েছে তাই বলার চেষ্টা করেছি। ‘ কি হবে একটা ভাল পৃথিবী গড়ে? ‘ – আপনার এই কথায় নৈরাশ্যবাদিতার ছাপ স্পষ্ট। এত নিরাশ হচ্ছেন কেন? ভাল পৃথিবী আপনি যেমন চান, আমিও তেমনি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে, কিন্তু লক্ষ্য বোধ হয় এত ভিন্ন নয়। ‘এই ভালত্ব দিয়ে কি হবে’ -এটা আমি চিন্তা করিনা।
মানুষের কথা কিংবা তাদের ভালত্বের কথা কেন ভাবি – এট বৈজ্ঞানিকভাবে যদি চিন্তা করি – তা হলে আমি জানি যে, এটা সম্ভবত হচ্ছে বিবর্তনের শিক্ষা। আরো ভাল ভাবে বললে এটা আমাদের মধ্যে রয়ে যাওয়া বিবর্তনের তাড়না। আমি জানি যে ভবিষ্যতে মানুষ টিকে থাকলে আমার জিনপুল রক্ষা পায়। বিবর্তনের ‘গ্রুপ সিলেকশন’-এর ব্যাপারটা এখানে এসে পড়বে। ভবিষ্যত জিনপুল রক্ষার জন্য শুধু মানুষই ভাবে না – আপনি যদি দেখেন ছোট স্কেলে সব প্রানীই কম বেশি চিন্তা করে। সব প্রানীই নিজেকে বিপদে ফেলেও নিজ সন্তানকে রক্ষা করতে চায়। কেন বলুন তো? কারণ এতে ভবিষ্যত জিনপুল রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আপনি কি কখনো দেখেছেন, এক বড় শিকারী পাখি যখন ছোট শিকারকে আক্রমন করে তখন সেই শিকারভুক্ত অন্য সদস্যের কেউ শিকারীকে দেখতে পেলে গলা ছেড়ে ডেকে উঠে যাতে। এর ফলে লক্ষ্যবর্তী বিপন্ন পাখিটি সতর্ক হতে পারে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে, কিন্তু এটা করতে গিয়ে ডেকে ওঠা পাখিটি নিজের বিপদ ডেকে আনে। কারণ শিকারী বড় পাখিটি তখন তাকে তাড়া করে। কিন্তু নিজেকে বিপদে ফেলেও কেন এই আত্মত্যাগ? কারণ – ওই যে বললাম ‘গ্রুপ সিলেকশনের’ মাধ্যমে জিন রক্ষা করার প্রনোদনা।
কাজেই বিবর্তনের কারণেই ছোট স্কেলে ‘মানবিকতা’ অনেক প্রানীর মধ্যেই কিন্তু বিরল নয়। ভ্যাম্পায়ার বাদুরেরা নিজেদের মধ্যে খাদ্য ভাগাভাগি করে, বানর এবং গরিলারা তাদের দলের কোন সদস্য মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকলে তাকে সহায়তা করর্ জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে, এমনকি ‘দশে মিলে’ কাজ করে তার জন্য খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসে। ডলফিনেরা অসুস্থ অপর সহযাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে সৈকতের দিকে নিয়ে যায়, যার ফলে অসুস্থ ডলফিনটির পর্যাপ্ত আলো বাতাস পেতে সুবিধা হয়, তিমি মাছেরা তাদের দলের অপর কোন আহত তিমি মাছকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। হাতীরা তাদের পরিবারের অসুস্থ বা আহত সদস্যকে বাঁচানোর জন্য সবোর্চ্চ ত্যাগ স্বীকার করে। এ ধরনের দৃষ্টান্ত বিরল নয়। বিবর্তনের কারণেই প্রাণিজগতে এল্ট্রুইজম নামে একটি বৈশিষ্ট্য – যা আমরা মানুষের ক্ষেত্রে ‘মানবিকতা’ বলে আমরা অভিহিত করি।
প্রশ্নটা আস্তিক-নাস্তিকের নয় – প্রশ্নটা হওয়া উচিৎ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি কোন থেকে। একটি মানুষের সাথে অন্য প্রজাতির প্রানীর সম্পর্ক কি আর পার্থক্যই বা কতটুকু এগুলো কিন্তু বিজ্ঞানীরা বস্তুনিষ্ঠভাবেই অধ্যয়ন করছেন। আসলে সত্যি বলতে কি, আমরা যতই আলাদা করে ভাবতে ভালবাসিনা কেন – মানুষও কিন্তু এই প্রকৃতিরই অংশ, অন্যান্য প্রানীদের মত মানুষও প্রকৃতিতে এসেছে বিবর্তনের ধারাবাহিকতায়। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে অন্যান্য সকল প্রানীদের মত মানুষও ক্ষুধা, তৃষ্ণায় কাতর হয়, রোগ শোকে ভোগে কিংবা যৌনাকর্ষণে তাড়িত হয়। প্রানী জগতের বেসিক ইন্সটিংক্ট গুলো মানুষের মধ্যেও একই। মানুষ এই প্রকৃতিরই অংশ, অন্যান্য প্রাণীর মতই লাখ লাখ বছর ধরে প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়ায়ই তার উৎপত্তি ঘটেছে। কিন্তু তারপরও বিবর্তনের এই প্রক্রিয়াতেই মানুষের মধ্যে অনন্যসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটেছে যা প্রকৃতিতে সেভাবে আগে কখনও ঘটেনি। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় যে কী ধরনের অভিনব এবং জটিল বৈশিষ্ট্যের উৎপত্তি ঘটতে পারে তারই সাক্ষ্য বহন করে চলেছি আমরা। মানুষের অনন্যসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে দু’টির কথা তো চোখ বন্ধ করেই বলা যায় : মানুষ একমাত্র প্রাণী যে দুই পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়াতে শিখেছে, আর ওদিকে আবার খুব অসাধারণ রকমের বড় মস্তিস্কেরও বিবর্তন ঘটেছে যা অন্য কোন প্রাণীতে ঘটতে দেখা যায় নি। বর্তমানে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স্টিভেন পিঙ্কার এক সাক্ষাৎকারে মজা করে বলেছিলেন, ‘হুট করে দেখলে মানুষের বিবর্তনকে তো অসাধারণ বলেই মনে হয়। যে পদ্ধতি থেকে শামুক, বট গাছ বা মাছের মতো জীবের জন্ম হয় তা থেকেই কী করে আবার চাঁদে পৌঁছে যাওয়া, মহাসমুদ্র পাড়ি দেওয়া বা ইন্টারনেটের জন্মদাতা এমন এক বুদ্ধিমান প্রাণীর উৎপত্তি ঘটতে পারে? তাহলে কি কোন স্বর্গীয় স্পর্শ আমাদের মস্তিস্ককে বিশেষভাবে তৈরি করেছিল? না, আমি তা মনে করি না, কারণ ডারউইনের দেওয়া প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়া দিয়েই মানুষের বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।’ এবং বিজ্ঞানীরা তা দিচ্ছেনও আপনি কম সময়ের মধ্যে ব্যাপারগুলো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বুঝতে চাইলে বন্যা আহমেদের বিবর্তনের পথ ধরে বইটির ৯ম অধ্যায় : আমাদের গল্প দিয়ে শুরু করতে পারেন। সায়েন্টিফিক আমেরিকানের What Makes Us Human? প্রবন্ধটিও এ প্রসঙ্গে গুরুত্বপুর্ণ (যদিও প্রবন্ধটি পুরোটা নেটে নেই – আপনাকে গাঁটের পয়সা খরচ করে কিনতে হবে)। পড়ে দেখুন, তারপর এ নিয়ে পরে আবার আলাপ করা যাবে।
আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তাবারীঈ, বুখারী, ইসলামের বিরাট আলেম ছিলেন। তাদের রচনাকৃত বইগুলো আমাদের জীবন পথের পাথেয়। মুহম্মদের চরিত্রের জ্বলন্ত উদাহরণ। এখন তাদের সেই বইগুলির বর্ণিত বিষয়গুলো examine, cross-examine, logic, reasoning এমন কি তদকালীন রাজনৈতিক পরিস্হিতির বিচারেও যদি অসত্য, বানোয়াট হিসেব প্রমাণিত হয়, তারপরও কি তাদের বইগুলো রেফারেন্স হিসেবে আসবে? তাবারীঈ, বুখারীর উপর আপনাদের এত আস্হা কেন? তারা এমন কি প্রমাণ রেখে গেছে যার জন্য অন্য আর সব যুক্তি অকাট্য?
ধন্যবাদ।
@আইভি,
আপনারাই বা এমন কি প্রমাণ রেখেছেন যে আপনারা শব্দ নিয়ে ডক্টরিং করছেন না?আধুনিক সভ্যতায় এসব মান্ধাতার আমলের ধর্মগ্রন্থ ইন্টারপ্রেট করে সময় নষ্ট করার উপযোগিতাটাই বা কি?
Ms Ivy Wrote:
Ms Ivy did not provide the source of her information.
Anyway, this is what is written on page 1052 of the ‘Reliance of the Traveller’ :
[X149 Ibn ‘Abbas (b3.2) is ‘Abdullah ibn ‘Abbas al-Muttalib (Allah be pleased with him), born three years before the Hijra (A.D. 619) in Mecca. He was the cousin and Companion of the Prophet (Allah bless him and give him peace) and kept his company during the lifetime, relating some 1,66o hadiths from him. Among the most knowledgeable of the Companions, much Koranic exegesis is also related from him, and the caliph ‘Umar used to call for Ibn ‘Abbas when he could not reach a conclusion on a particular legal question, telling him, “This and the likes of it are what you are for,” and he would adopt Ibn ‘Abbas’s judgment on the matter without consulting anyone else. His memory was phenomenal, and when the poet Ibn Abi Rabi’ delivered an eighty stanza ode in his presence, Ibn ‘Abbas could recite it by heart upon hearing it the once. The scholar of the Muslims of his time, he was visited by many people seeking knowledge of the lawful and unlawful, poetry, Arabic, and geneology. He went blind in his later years and resided at Taif, where he died in 68/687 (al-A’alam (y136), 4.95).]
So, who could be Muhammad’s constant companion? A child, a small boy or a person who is at least of age that made him understand what Muhammad was about? There are plenty of controversies on Muhammad’s birth and death dates. Therefore, although from the birth date (AD 619) of Ibn Abbas, it might appear he could be anywhere between twelve and thirteen, a better guess would be he was around fifteen—to be Muhammad’s constant companion. Because, as per the Islamic rule a person of fifteen years is sexually competent and eligible to join Jihad.
That Muhammad was a womanizer is not my invention. History of al-Tabari says so.
People used to say that Muhammad was a womaniser (Tabari, vol.ix, p.139).
Besides, whenever Muhammad won a war he used to distribute captive women to his nearest companions, even to his sons-in-laws such as Ali, Uthman to enjoy those women. Umar, ibn Umar…etc. also got share of captive women to have sex with them. There are a number of ahadith on this.
So, is it farfetched to assume Muhammad also distributed sex slaves to ibn Abbas, his constant companion?
I am wondering why Ms Ivy averted the few questions I asked of her.
AK
@আবুল কাশেম,
I kind of find it strange that Muslims want to deny Muhammad was a womanizer. Ample number of Hadith exist to prove he was a good lover of women and he always unabashedly appreciated their beauty in the court. He was not ashamed of his love for women and to be practically honest, this proves he was a normal human being who followed historical standard of their time. There is nothing humiliating in the fact that he was womanizer-it just proves he was a man-that’s all. As far as I remember, in one of the Hadith he even ridiculed his court members that they are shy about women’s beauty which they should not be.
To me it looks like, he was a liberal in sexual matter but his followers do not want to accept it!
A good reference:
@আবুল কাশেম,
কোন বিষয় সম্বন্ধে academic degree বা ছাড়পত্র না পেলে কি কারো আর্টিকেল আলোচনার যোগ্য নয়?
Google করুন; এই সব অবিখ্যাতদের নাম হয়ত পেয়ে যাবেন।
আপনার প্রশ্নের উত্তরে আপনাকেই প্রশ্ন করি, আপনি কি জানেন এই সব মাদ্রাসা শিক্ষা বা মাদ্রাসা তৈরী্র রাজনৈ্তিক কারণ?
আপনি আমার সম্বন্ধে মন্তব্য করে ফেললেন–আমার সম্বন্ধে না জেনেই। এই রকম অশ্রদ্ধার আচরন আমি আগেও পেয়েছি এই মুক্তমনার পাঠকদের কাছ থেকে। তাই নতুন করে খুব একটা কাবু করতে পারেননি। কোন জায়গায়, কারা এর পাঠক জেনে-বুঝেই লেখাটি পোস্ট করেছি।
@আইভি,
আপনার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কাশেম সাহেব মনে হয় না কোন ব্যক্তিগত আক্রমন অন্তত এইখানে করেছেন বলে।
“It appears Ms Ivy is most likely, a Qur’an only Muslimah (QOM). I think the QOM are orphans. None of the Islamic sects will ever accept them or their tafsir.”
আমি যতটুকু আপনার মতামত জেনেছি তাতে এখন পর্যন্ত অনেকটা নিশ্চিতভাবে জেনেছি যে আপনি কোন হাদীস মানেন না, তাই কোরান ওনলি মোসলমান বলা মনে হয় খুব একটা ভুল হল না। আমার ভুল হয়ে থাকলে ব্যাখ্যা করবেন।
আর এই উক্তির শেষ অংশটুকু কি অস্বীকার করা যায়? মূলধারার কতজন মোসলমান QOM দের সাদরে গ্রহন করবে? আমি কোন হাদীস মানি না বললে মাথার দাম ঘোষনা করে বসবে না?
আগেও বলেছি, আমরা যদি হাজার বছর ধরে ভুল সোর্স লালন পালন করে ভুল ইসলাম শিখি তবে তার দায় ইসলামের সমালোচনাকারীদের নয়, আমাদের নিজের। তাই পলিটিক্যাল কারনে কি হচ্ছে না হচ্ছে আ জাতীয় কথাবার্তা নাস্তিকদের না শুনিয়ে আমাদের নিজেদেরই আগে শোনানো উচিত। আপনার লেখাগুলি আসলে এখানে না ছাপিয়ে মুলধারার ইসলামী সাইটে, এবং তারচেয়েও বড় আমাদের দেশের মূলধারার মিডীয়ায় প্রকাশ করা উচিত।
নিজেরা ভুল ভাল বই পড়ে যাব শত শত বছর ধরে আর কেঊ তার সমালোচনা করলে তেড়ে আসব এটা কি কোন সূস্থ যুক্তির কথা হতে পারে?
আপনার মতে অবশ্য কারেকশনের কাজ শুরু হয়েছে আগে জানিয়েছেন। যদিও আমি এমন কোন লক্ষন এখনো দেখিনি যাতে মনে হতে পারে যে সেই কারেকশনের কাজ আরো হাজার বছরে সাগফল্যের ধারে কাছেও যাবে বলে। যতদিন তা সেটা করা যাচ্ছে ততদিন সমালোচনাকারীদের ব্যাংগ বিদ্রুপ সয়ে যেতেই হবে।
আর কারেকশনের দরকার আছে সত্য সত্যই বিশ্বাস করে থাকলে বলতে হবে যে এই সমালোচনাকারীরা আসলে ইসলামের উপকারই করছে। যা আমরা করতে পারছি না তা তারা অনেকটা করে দিচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
আমি যেমন ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কিছু না লেখার চেষ্টা করি, তেমনি অন্যদের থেকেও সেই একই standard আশা করি। “বোকা”,”orphan”,” কোন গ্রুপে গ্রহণযোগ্য না”– এ গুলো অবান্তর। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।
@ বিপ্লব পাল,
আমি শিক্ষিত বাঙালীর জ্ঞান গম্যিকে ইগনোর করাই পছন্দ করি-বরং চাষাভুশোদের সাথে মিশলে জীবন ভান্ডারে অনেক কিছু পাবে। শিক্ষিত বাঙালীর এক পা জাকির গঙে ( হিন্দু ভার্সন ও অনেক আছে) আর আরেক পা আধুনিকতায়-এই সব কচুরীপানাদের পাত্তা না দিলেও চলবে।
হক কথা। শমশের আলী, জাকির নায়েক এসব নালায়েকদেরকে নিয়ে শিক্ষিত সমাজই বেশী লাফায়।কিন্ত আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা অশিক্ষিতরাই করে বেশী। গ্রামের দোররা মারা, এক পীরের মুরিদদের সাথে আরেক পীরের মুরিদদের মারামারি, ফতুয়া নিয়া ধরাধরি যেমন নবী গায়েব জানত কিনা, অথবা ছেলে-মেয়েদের মাদ্রাসা পাঠানো অথবা বোমা হামলা করা ইত্যাদি কিন্ত অশিক্ষিতরাই করে। শিক্ষিত সমাজ জাকির নায়েকদের নিয়ে যতই লাফাক না কেন ঝামেলায় যেতে খুব একটা রাজি হয়না। এখানে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের অশিক্ষিতই ধরলাম। অশিক্ষিতরা অলৌকিকতায় যত মজা পায় লৌকিকতায় তত আগ্রহ দেখায় না।আমি গ্রামে দেখেছি কোন লোক হয়তো বউকে বলল‘তোকে তালাক দিলাম।‘ এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের অশিক্ষিত লোকেরা কোন মতেই দোররা মারার নির্মল মজা হাত ছাড়া করতে রাজি হয় না। হিল্লা বিয়ে, দোররা মারা এগুলোকে তারা বিনোদন হিসেবে দেখে। শিক্ষিত লোকেরা কিন্ত এসব ঝামেলায় সহজে পা বাড়ায় না।বড় বড় দাঙ্গা গুলিও অশিক্ষিতরাই ঘটায়। তাছাড়া নিজামীরা কিন্ত অশিক্ষিত মাদ্রাসা ছাত্রদেরকেই পথে নামায় মারামারির জন্য।
তাছাড়া আমার ধারণা ধর্মের বেড়াজাল হতে বের হতে শিক্ষিতরাই বেশী সক্ষম।
@হেলাল,
তাছাড়া আমার ধারণা ধর্মের বেড়াজাল হতে বের হতে শিক্ষিতরাই বেশী সক্ষম।
ঠিক কথা।আর এদেরই দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে পথ দেখানো।নিজামিরা যখন গরীব,অশিক্ষিত মানুষের অসহায়তাকে পুঁজি করে ধর্মীয় সন্ত্রাস ছড়ায়,তখন জাকির নায়েকদের কথার জালে আক্রান্ত এই ভ্রান্ত তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা প্রতিবাদের কণ্ঠ হারিয়ে ফেলে।তারা দ্বিধায় ভোগে,কারণ ধর্ম তো নিজামিদের মতটাকেও সমর্থন করে।কাজেই প্রতিবাদ করে কেউ ‘গুনাহ’ করতে নারাজ।
আসলে সমাজে জাকির নায়েক ও নিজামিরা একে অন্যের পরিপূরক।একের গড়া ‘ইন্টারপ্রেটেশনের’ ফাউন্ডেশনে আরেক গাঁথে লাশের ইঁট,আর সবাই মিলে গড়ে তোলে অর্থের সুরম্য হর্ম্য!ফাউন্ডেশনে আঘাত হানা বেশি জরুরি।জাকির নায়েকরা মানুষকে বোকা বানাতে না পারলে,বিজ্ঞানের তোড়ে নিজামিরা এমনিই ভেসে যাবে।ভালো থাকবেন। :-))
কথাটি সত্য। কিন্ত তাও দুটি ভুল –
(১) জাকির নায়েকের মতন লোকেরা মুক্তমোনায় লিখলে, সেটা মুক্তমনার সুবিধা। কারন জাকিরের ভক্তরাও সেক্ষেত্রে এখানে আসবে দেখতে, গুরুর কি হাল। আই ভি র যুক্তির কি বেহাল অবস্থা সেটা কমেন্ট পড়লেই বোঝা যাবে। শুন্য ময়দানের চেয়ে রণক্ষেত্রে পেশী আস্ফালন অনেক বেশী কার্যকর।
(২) শিক্ষিত মানেই বুদ্ধিমান বা বিচক্ষন আর অশিক্ষিত মানেই ধর্মভীরু অন্ধ বিশ্বাসী এমন ভাবা ঠিক না। আসলে এই উপমহাদেশের মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেনী পরজীবি-এদের চিন্তা-ভাবনা খুবী ুরর্বল এবং অর্থহীন। একজন অশিক্ষিত লোক, মাঠ থেকে , জীবন থেকে শেখে, আর একজন বাঙালী-শিক্ষিত বই আর লেখকের নাম উল্লেখ করে নিজের বিদ্যা জাহির করে। আমি শিক্ষিত বাঙালীর জ্ঞান গম্যিকে ইগনোর করাই পছন্দ করি-বরং চাষাভুশোদের সাথে মিশলে জীবন ভান্ডারে অনেক কিছু পাবে। শিক্ষিত বাঙালীর এক পা জাকির গঙে ( হিন্দু ভার্সন ও অনেক আছে) আর আরেক পা আধুনিকতায়-এই সব কচুরীপানাদের পাত্তা না দিলেও চলবে।
@বিপ্লব পাল,
হা হা হা!!বিপ্লবদা আপনি আমার মন্তব্যগুলো যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন,আমার প্রফেসররা এভাবে খাতা না দেখলেই হয়!নাহলে আগামী জুলাইতে ডাক্তার হবার স্বপ্নটা মাঠে মারা যাবে। 😉 !!
হ্যাঁ এ উদ্দেশ্যে প্রকাশ হলে আপত্তি নেই।আপত্তি করেছি এই ভেবে যে,প্রথম কেউ এই সাইটে ঢুকে ও ধরনের একটা লেখা দেখে আমাদের ভুল বুঝতে পারে এই ভেবে।
আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টটা আংশিকভাবে সমর্থন করছি।হ্যাঁ,হাসপাতালে গরীব,অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে অনেক অসামান্য মূল্যবোধের পরিচয় দেখেছি যা তথাকথিত শিক্ষিত নাগরিকদের লজ্জা দিতে পারে।তবে যেহেতু সাধারণ অর্থে ‘একাডেমিক শিক্ষা’-তে শিক্ষিত লোকেরাই পলিসিমেকার কাজেই তাদের মধ্যে সেক্যুলার চেতনার বিকাশ একান্ত বেশি কাম্য।আপনার অবজ্ঞার যথার্থ কারণ আছে বটে,কিন্তু তবুও এদের কথা ভুলে গেলে চলবে না।মুক্তমনা কিন্তু একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো পরিচিত নয়।এখনও আমাদের লক্ষ্য মূলত শিক্ষার্থী তরুণ-সমাজকে যুক্তির আলোকে পথ দেখানো।আর এদের নিয়ে ভাবতে হয় বলেই বোধহয় আপনি ইউটিউবে জাকির নায়েককে রিফিউট করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন।আপনার এই ত্যাগে কিন্তু উপকৃত হয়েছে আমার মত আরো অনেক নবিস তরুণ।কাজেই এদের কথাও ভাবতে হবে।আর চাষাদের মধ্যেও কিন্তু ভুরি ভুরি আরজ আলী মাতুব্বর নেই।এরা যে সবাই জীবন থেকে অনেক কিছু শেখে – এটাও কিন্তু আমাদের একটা ফ্যান্টাসি।
“তারা” টা কে তার কোন সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তারা কি নাস্তিক, বিধর্মী… কোরানে অবিস্বাসীরা…? হাংগামা সৃষ্টিকারি অনেক শ্রেনীই তো আছে। ধর্মের খাতিরে মোসলমান ও মোসলমানকে নির্দ্বিধায় মেরে ফেলছে, এরাও কোরানে বিশ্বাসী, মনে হয় না কোরান নিয়ে কোন কূটপ্রশ্ন এদের মাঝে আছে।
@ফুয়াদ,
“মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।“
১.বুঝলাম এবং মেনে নিলাম তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী কিন্ত আমার কথা হল আপনার আল্লাহর এত ক্ষমতা থাকতে তার বান্দাদের রক্ষা করেন না কেন? যদি বলেন আল্লাহ পরিক্ষা করতে চান তবে অবুঝ শিশুদের তিনি কি পরিক্ষা করবেন?
২.আর আল্লাহ তো কুত্তা- বিলাইদের জন্য স্বর্গ-নরক বানাননি, তবে নেরি কুত্তা ও বিদেশী অতি আদরের পালিত কুত্তার সুখ-দু:খে এত পার্থক্য কেন?
@হেলাল,
একেবারে খাঁটি কথা ।
মামুন।
هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْه
آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ
هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ
ُ مُتَشَابِهَاتٌ……………..
It is He Who has sent down to you the Book. In it are Verses that are entirely clear, they are the foundations of the Book [and those are the Verses of Al-Ahkâm (commandments, etc.), Al-Farâ’id (obligatory duties) and Al-Hudud (legal laws for the punishment of thieves, adulterers, etc.)]; and others not entirely clear. So as for those in whose hearts there is a deviation (from the truth) they follow that which is not entirely clear thereof, seeking Al-Fitnah (polytheism and trials, etc.), and seeking for its hidden meanings, but none knows its hidden meanings except Allâh. And those who are firmly grounded in knowledge say: ”We believe in it; the whole of it (clear and unclear Verses) are from our Lord.” And none receive admonition except men of understanding. (Tafsir At-Tabarî).
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। এর মধ্যে কিছু আয়াত আছে সুস্পষ্ঠ, সেগুলোই কিতবের (আসল) মূল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের মনে কুটিলতা আছে, তারা অনুসরণ করে রূপক আয়াতগুলো, ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেন, আমরা (স্পষ্ঠ ও অষ্পষ্ঠ আয়াতসহ)এর প্রতি ইমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তিসম্পন্নরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না। (সুরা আল ইমরান (৩) আয়াত ৭)
উপরের বাক্যগুলো মুহাম্মদ বলেছিলেন মদিনায় এসে। মক্কায় থাকতে স্থানীয় কবি-সাহিত্তিক ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে শুনেশুনে, নিজের নবুয়তি প্রমান করতে গিয়ে বিশ্বভ্রম্মান্ড, জগৎ ও জীবন নিয়ে একেক জায়গায় একেক সময় বিভিন্ন রকম, স্ববিরোধী, বিভ্রান্তিকর আবোল-তাবোল কথা বলেছেন, এখন তার সবগুলো প্রমানিত মিথ্যে কথা রূপক না হলে উপায় আছে? তিনি নিজেই জানেন না যা বলেছেন তার ব্যাখ্যা কি? তাই বলছেন, ওগুলোর ব্যাখ্যা শুধু আল্লাহই জানেন। সুচতুর মুহাম্মদ নির্দিস্ট করে বলেন নি, কোনটা রূপক আর কোনটা আসল। ফোড়া না ফুড়ি কোনটায় আছে বুড়ী। ‘আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেন, আমরা (স্পষ্ঠ ও অষ্পষ্ঠ আয়াতসহ) এর প্রতি ইমান এনেছি’। যারা ব্যাখ্যাহীন, অর্থহীন অষ্পষ্ঠ বাক্যে না বুঝে বিশ্বাস করে, ঈমান আনে তারা জ্ঞানে সুগভীর নয়, তারা জ্ঞানহীন বোকা। মুহাম্মদের অনুসারী অন্ধবিশ্বাসী (আল্লাজীনা ইউমিনুনা বিল গাইব,-সুরা বাকারা আয়াত ২) এই বোকারা সাত আসমান সাত জমিনকে, মে’রাজের ঘঠনাকে, জুলকার্নাইনের ঘঠনাকে রূপক বানিয়েছেন। তারা ‘দাহাহা’ (সুরা আশ-শামস- আয়াত ৬) শব্দের নতুন অর্থ আবিষ্কার করেছেন, পাখির ডিম, উটের ডিম, ঘোড়ার ডিম। ‘আদম’ (সুরা বাকারা- আয়াত ৩৩,৩৪,৩৫) শব্দের অর্থ মানব জাতি। ‘কুন ফায়াকুন’ (সুরা ইয়াসীন- আয়াত ৮২) অর্থ বিগব্যাং। ‘আবাবীল’ (সুরা ফীল- আয়াত ৩) শব্দের অর্থ ক্রুজ মিসাইল। ‘সিত্তাতি আইয়াম’ (সুরা ইউনুস- আয়াত ৩) শব্দের অর্থ ১০ বছর, ৫০ বছর, যুগ-সতাব্দী। ‘সুতিহাত’ (সুরা গাশিয়াহ- আয়াত ২০) শব্দের অর্থ গোলাকার। দীর্ঘ ১৬টি বছর আরবী উর্দু ফার্সী ভাষা ব্যাকরণ অধ্যয়ন করেছি, তাবারী, জালালাইন, মউদুদী, আশরাফ আলী থানভী, হোসেইন আহমেদ মদনীসহ অনেক তাফসিরকারকের বইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে। উপরোল্লেখিত শব্দ-বাক্য সমুহের এমন আজগুবী অর্থ-ব্যাখা কেউ করেন নি। বর্তমান বিজ্ঞানের যুগের মডার্ণ ইসলামিস্টদের অন্তরের জ্বালা আমাদের বুজ়তে মোটেই কষ্ট হয় না। তবে তাদের এই ভন্ডামী ও প্রতারণামুলক শব্দের অর্থ পরিবর্তন, বাক্যের ব্যাখা কোরানকে বিজ্ঞান বানাতে পারবে না, ধর্মকেও বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। আল্লাহ ও ধর্মের জন্ম হয়েছে (মানুষ কর্তৃক) তাই তার মৃত্যু অবশ্যাম্ভাবী। কাল বা সময়ের জন্ম নেই, তার মৃত্যুও নেই।
@Akash Malik,
অনবদ্য লিখেছেন।হক কথা।মাটির নির্যাস???চিবানো মাংস,আরো কত কি!!!মাটির এক্সট্র্যাক্ট আর মানুষের ভৌত উপাদান কি এক নাকি?আর এক্সট্র্যাক্ট মানেই কি গঠনকারী মূল উপাদান নাকি??যত্তসব গাঁজাখুরী ব্যাখ্যা!খটখটে মাটি থেকে ষাট হাত লম্বা আদমকে তৈরি করা হয়েছিল এখানে বিবর্তনের ‘ব’ও নেই।আর ষাট হাত লম্বা মানুষ কখনো ছিল নাকি?
১।কোনটা সহি হাদিস আর কোনটা ভূয়া হাদিস, কুরআনের কোন ব্যাখ্যাটা সঠিক আর কোনটি ভূল তা ব্যপারগুলি বেশ গোলমেলে।গা বাঁচাতে জায়গামত, যুগপযোগি সহি হাদিস যেমন ভূয়া হয়ে যায়, তেমনি কুরআনের ব্যাখ্যাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই এইসব আলোচনা গুলি আমার কাছে সময় অপচয় বাদে কিছু মনে হয়না। তাছাড়া এসব আলোচনায় অতি অবশ্যই দু একজন পাওয়া যায় যারা কিছুটা শিষ্টাচার লঙ্গন করবেই।যেমন আপনি হাদিস-কুরআন সমন্ধে বা নবী-সাহাবা সমন্ধে কিছুই জানেন না বা আপনি হাজার চেষ্ঠা করলে ও রাসূলের সাহাবাদের সমান হতে পারবেন না অথবা উনারা কি জানতেন ঐটিঈ আপনি জানেন না ইত্যাদি।
২। আরেকটা ব্যাপার বেশ লক্ষ্য করা যায় আল্লাহর অস্তিত্ নিয়ে বা মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে আলোচনা বহুদুর চলে যায়। কিন্ত এসব বিষয়(অর্থ্যাৎআল্লাহ একজন আছেন এবং মহাবিশ্ব দুই দিনেই বা দুই যুগেই সৃষ্টি হয়েছে, আদম এর হাড্ডি থেকেই ঈভ সৃষ্টি হয়েছে ইত্যাদি।) মেনে নিয়েও সহজ সরল কথায় বলা যায় প্রচলিত ধর্মগুলি ভুয়া।
• আল্লাহর এত ক্ষমতা থাকতে যুদ্ধ করে ,নিষ্ঠুর পন্থায়, অমানুষিক চেষ্টার দ্বারা, এমনকি যারা আল্লাহকে বিশ্বাষ করে এই পৈচাশিক পথে গিয়েছে তাদেরও জীবনের বিনিময়ে কেন আল্লাহর কথা বা আদেশ তারই সৃষ্ট জীবকে শুনাতে হবে। আল্লাহ কি তাহলে একজন যুদ্ধবাজ নেতা যেমন হালাকু খাঁ, চেঙ্গীশ খাঁ তাদের মতোই ক্ষমতা ছাড়া অন্য কোন ক্ষমতা নেয়।এসব যুদ্ধবাজ নেতা যুদ্ধ জয়ে যেমন তাদের সৈন্যদের মাল আর নারীর লোভ দেখানো হতো ঠিক একই পথ আল্লাহর জন্য কেন?
• ইসলাম ধর্ম মতে নবী এবং তার সাহাবা সকল কালের জন্য অনুকরনীয় আদর্শ। তাহলে তাদের মতই কি আমরাও ডজন ডজন বিয়ে করব বা একজন আরেকজনকে মেরে ফেলব? আল্লাহ নিজে এসে দেখাও দিলেন না আবার নবীর কথা অনুযায়ী আল্লাহর কার্যকলাপও মানবীয় আচরনের বাহিরে কিছুই মনে হয়না তাহলে আমি কেন ধর্মকে বিশ্বাষ করব?
• আবার ইরাক ,আফগানিস্থানের মতো আল্লাহর খাস বান্দারা এমনকি তাদের শিশু সন্তানরা বিপদে পড়লেও আল্লাহ কোন দিন তাদের রক্ষা করলেন না কেন?
নাকি এসব বিষয়েও সহি হাদিস -ভুয়া হাদিস বা কুরআনের কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কোন অতি প্রাকৃত শক্তিতে (অর্থাৎ মুহাম্মদ একজন যুদ্ধবাজ বিজয়ী নেতা বাদে ঐশরিক কোন কিছু) বা ধর্মে বিশ্বাষের মৌলিক বিষয়গুলির অন্তত একটিও কি ইসলামে আছে?
আমি কোন ধর্মালার কাছ থেকে এসব বিষয়ে জানতে চাচ্ছি নাস্তিকদের কাছ থেকে নয়।
@হেলাল,
Sura al bakarah
আমরা নাহয় প্রথমে সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি, পরে কঠিন প্রশ্নগুলোর দিকে এগুনো যাবে।
১) কোরান কিভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে, সেটা তো আরবদেরই সবার চেয়ে ভাল বুঝার কথা, তাই না? হুমায়ুন আজাদ কিংবা প্রমথ চৌধুরীর লেখা একজন বাংলা জানা বিদেশী যত না ভাল বুঝবে, তার চেয়ে তো আমাদের বাঙ্গালীদেরই ভাল বুঝার কথা।তাহলে কোরান ব্যাখ্যার জন্য আমরা কেন আপনি বা এডিপ ইয়ুকসেল-লেইথ সালেহ আল শায়বানদের মত ভিনদেশী সংস্কারকদের দ্বারস্থ হই?
২) আল্লাহ যেহেতু সব জানেন এবং সব পারেন, তো নিজের মনোভাব প্রকাশের এত উপায় থাকতে শুধুই একটা বই লেখার কি দরকার ছিল? একটা বইয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে যা কখনওই অতিক্রম করা যায় না। আল্লাহর যেহেতু এতই মানুষের ভালবাসা দরকার, তিনি তো প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে জন্ম থেকেই তার সৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান ঢুকিয়ে দিতে পারতেন। ইসলাম যাই বলুক, মানুষ ঈমান নিয়ে জন্মায় না। মানুষ অন্ধ বিশ্বাস করার প্রবনতা নিয়ে জন্মায়(একারণেই পৃ্থিবীর বেশিরভাগ মানুষ আস্তিক) এবং এর পেছনে রয়েছে মানব বিবর্তনের সুদীর্ঘ ইতিহাস।
৩) আল্লাহ যেহেতু সব পারেন, তিনি কি এমন একটা বই লিখতে পারতেন না যা দ্বিতীয়বার ব্যাখ্যা করা অপ্রয়োজনীয় হত?
আপনারা যখন বিবর্তনের সাথে ধর্মের মিলন ঘটানোর চেষ্টা করেন, তখন সত্যই খুব দুঃখ হয়। প্রাকৃ্তিক নির্বাচন তত্ত্বের বদৌলতে আমরা এখন নিশ্চিন্তে বলতে পারি যে স্রষ্টা ছাড়াই পৃথিবীতে এমন বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগতের বিকাশ সম্ভব। স্রষ্টা থাকলেও থাকতে পারে, তবে সে organized religion গুলোর ঈশ্বরের মত না। বিবর্তন সম্পর্কে কষ্ট করে অন্তত একটি বই পড়ুন, আমি কি বলছি বুঝতে পারবেন।
@পৃথিবী,
খুবই সুন্দর লিখেছেন।অনেক ধন্যবাদ।
@পৃথিবী,
কষ্ট করে পড়ার অভ্যেস থাকলে কেও ধার্মিক হয় না। অলস মস্কিস্কই মূলত ধার্মিকে বাসা-কারন আল্লাকে দোহাই পেরে নিজের চিন্তা ভাবনা করার ফ্যাকাল্টি অফ রাখা যায়। চিন্তাবিদ আর আল্লাবিদ একসাথে হওয়া মুশকিল-চিন্তাই যদি কেও করবে, ত আল্লাড় হাতে চিন্তা করার দ্বায়িত্ব ছাড়বে কেন!!
কি হাস্যকর আপনিই বুঝুন! মহান আল্লা যদি চাইবেন, তার মাফিক পৃথিবী চলুক, কোরানটা মানুষের মাথার মধ্যে ঢূকিয়েই মানুষের জন্ম দিতে পারতেন। মানুষ জেনেটিক্যালি ওয়ারড হয়েই জন্ম নেই-সেখানেই কোরানের ব্যাপারগুলো ঢোকালেই আল্লার কাজ খতম-কোরান লাগত না! জেনেটিক্সটা টুইক করলেই ত হত! সেটা না করে আল্লা কোরান দিয়েছেন তাদের হাতে যারা সভ্যতার নিরিখে সেকালেও পৃথিবীতে সবার থেকে পিছিয়ে ছিল-আর আজকে ত আদিবাসি দের থেকেও পিছিয়ে।
পিছিয়ে পড়া লোকেদের জন্যে কোরান মহা ভরসাস্থল। কারন, এই গ্রন্থ পড়লে তারা ভরসা পান, তারাই সেরা-বাকীরা ভুল। এদিকে নিজেরা যে সবার থেকে পিছিয়ে পড়েছে, সেটা ভোলাতে এই মহান গ্রন্থটি কিন্ত ওস্তাদ। এর সাইকোলজিক্যাল মূল্য অস্বীকার করে কে! হেরোইন বা আফিং ই এই ধরনের ইলেশনের জন্ম দিতে পারে
!
@বিপ্লব পাল,
হ, শুধু নাস্তিকরাই কষ্ঠ করে পরে । বাকি রা খালি খায় আর ঘুমায় ।
তাহলে পরীক্ষা হবে কি ভাবে ?
আল্লাহ সুবাহানা তালা পরিক্ষা নিতাছেন । তার অনুষারী কে দরিদ্র অসহায় করে ।
আর যাদের সম্মান বেশী তাদের অপমান ও বেশী ।
@ফুয়াদ,
উনি পরীক্ষা কিসের নিচ্ছেন সেটা বলবেন কি? আপনার আমার? আপনি আমি পিঁপড়ের চেয়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র -এই মহাবিশ্বের বয়স ১২ বিলিয়ান বছর-মানে আপনার আমার জীবন পলকের চেয়েও কম মহাবিশ্বের কাছে!
তাহলে মহাবিশ্বের অধিশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন কার? আপনি, আমি ত্ কেও ক্ষনিকের তরেও টিকছি না এই মহাবিশ্বে! আপনার মন ছোটবেলায় যা ছিল এখনো তা আছে? আপনার দেহের কোষগুলির প্রতি অনুপরমানু প্রতিমাসে পালটায়। তাহলে কে আপনি?? আপনার মন না দেহ? সে সব সবকিছুইত পালটাছে–আর কিসের পরীক্ষা দিচ্ছেন????
তাছাড়া আপনার মন ও আপনার না-সমাজের। ভেবে দেখুন-আজ খ্রীষ্ঠানের ঘরে জন্মালে আপনি অন্যরকম হতেন। আমার মতন নাস্তিক ও হতে পারতেন যদি ছোটবেলা থেকে আপনার ধর্মের চেয়ে বিজ্ঞানকে জানার চেষ্টা বেশী থাকত।
অর্থাৎ যেটাকে আপনি ‘আমি’ ভাবছেন সেইটা আসলে কি??? আগে সেটা ক্লিয়ার করুন-তারপর আল্লাকে পরীক্ষা দেবেন।
@ফুয়াদ,
হুজুর, ঝামেলায় পড়লেই খালি ‘আল্লাহর পরীক্ষা’,’ আল্লাহর পরীক্ষা’ বইলা চিক্কুর পাড়লে হইবো? কোরান না পইড়াও, কোনদিন আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী না কইরাও কাফির নাসারা এত উন্নতি কইরা ফেলাইলো, আর আমগো ঘাড়ে কুরআন থাকা সত্ত্বেও আমরা খালি দিনে দিনে পিছাইতেই আছি আর আল্লাহর পরীক্ষা দিতেই আছি, আর পরীক্ষায় ফেল করতেই আছি। মাশাল্লাহ
@ফুয়াদ, আল্লাহর মনে কি কোন কনফিউশন আছে যে পরীক্ষা দিতে হবে? :nerd: ?:-)
@বিপ্লব পাল,
এভাবেতো ভাবিনাই। চমৎকার বলেছেন।একদম ঠিক কথা।
@পৃথিবী,
চোখ অন্ধ হলে কিছু দেখা যায় না শুধু অনুমান করে জীবন চালাতে পারা যায় কিন্তু মন ও চিন্তা- শক্তি কারো যদি বদ্ধ ও অন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাকে জগতের এমন কেউ নাই বা দাওয়াই নাই তাকে সেখান থেকে মুক্তি দিতে পারে ???????
পূথিবী,রফিক ও আগন্তকের মতের সাথে ১০০% সহমত পোষন করছি।
মামুন।
Ms Ivy wrote:
My questions are:
Who are Dr Sayed Abdul Wadud and Mr Tanveer Hussain? What Islamic qualifications do these two authors have?
Which Madrassas, Islamic Universities, Islamic Colleges, Islamic Seminaries accept the works of these two Islamic scholars?
Before rejecting Islamic stalwarts such as ibn Kathir, Jalalyn, Maulana Maududi, ibn Abbas…Ms Ivy should explain:
Why almost all Islamic institutions accept the tafsirs of those impeccable Islamic scholars?
Why the Madrassas and Islamic learnning centres in Bangladesh, India, and Pakistan have adopted the Tafsirs of Jalalyn, ibn Abbas, and to some extent Maulana Maududi as text books? Are these Islamic seminaries wrong? Why do they not accept Dr Wadud and Mr Tanveer’s work as texts?
It is good to note the desperation of a few Islam-loving persons to defend the indefensible. Islam is complete mumbo jumbo. It is fruitless to come to its aid. Islam belongs to the dustbin of history.
Even Allah says no one could interpret the Qur’an except Himself.
So why must we trust the tafsirs of the upstarts like Dr Sayed Abdul Wadud and Mr Tanveer Hussain?
Personally, I consider ibn Abbas’s tafsir to be the most reliable, because he lived in the time Muhammad. Ibn Abbas was Muhammad’s cousin brother, was Muhammad’s constant companion, fought battles with Myhammad, enjoyed women with Muhammad, read the Qur’an with Muhammad, and saw Muhammad die.
So, who knew Muhammad and the Qur’an most?–Dr Sayed Abdul Wadud or ibn Abbas?
Next, comes Jalalyn, then ibn Kathir, then perhaps the modern Islamists such as Syed Kutb, Maududi.. and so on.
Lastly, the hadis comes next to explain the Qur’an.
It appears Ms Ivy is most likely, a Qur’an only Muslimah (QOM). I think the QOM are orphans. None of the Islamic sects will ever accept them or their tafsir.
AK
@আবুল কাশেম,
ইবনে আব্বাসের জন্ম ৬১৮ বা ৬১৯ CE এর কোন এক সময় এবং মুহম্মদ এর মৃত্যূর সময়ের কাছাকাছি(৬৩১-৬৩২) তার বয়স ছিল ১১, ১২ বা ১৩ বছর। তো মুহম্মদ এই বয়সের একটি ছেলেকে সর্বসময়ের সঙ্গী করেছিলেন নিজের নাতিদের বাদ দিয়ে, যুদ্ধ নিয়ে গিয়েছিলেন, এমনকি womanizingর সময়ে দাদার বয়সী ভায়ের সাথে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। What a joke! এটাও সত্য বা fact হিসেবে স্বীকৃত। আমাদের logic, reasoning এর এই অবস্হা। নাকি মুহম্মদের ক্ষেত্রে সবই সম্ভব।
লেখাটা মুক্তমনায় প্রকাশ লইয়া আমার কোন মত নাই। গাররেজ ইন – গার্বেজ আউট। মাঝখান থেইকা আমরা কিছু ভাল বিনোদন পাইলাম। আইভি ম্যাডামের ইন্টারপ্রিটেশন আগেও আমি দেখছি। আমার হাসি পাওন ছাড়া বেশি কিছু মনে হয় নাই। আকাশ মালিকের বই খন্ডাইতে গিয়া আইভি ম্যাডাম ‘ইন্টারপ্রিটেশন’ হাজির করছিলেন – আয়শারে যখন আমগো মহানবী বিয়া করছিলেন, তখন নাকি উনার বয়স আছিলো চল্লিশ, আর আয়েশা নাকি আবু বকরের মাইয়া না; আয়শা নাকি আবু বকরের বোন। কই যামু সারা জীবন জাইনা আইলাম আয়শার নাম হইতাছে Aisha bint Abu Bakr , মানে আবু বকরের কন্যা, এখন আইভি ম্যাডামের ‘ইন্টারপ্রেটেশনের’ ঠেলায় আয়শা আবু বকরের বোন হইয়া গেল গা। কি আর করি। আমার কোন ভুল হইতাছে কিনা জাননের লাইগা উইকিপিডিয়াতেও দেখলাম। সেখানেও লেখা আছে – Aisha was the daughter of Um Ruman and Abu Bakr of Mecca. । অথচ আইভি ম্যাডামের ইন্টারপ্রিটেশন অনুযায়ী আয়শা আবু বকরের বইন।
আসলে আমগো মহানবী ৪৮ বছর বয়সে আয়শারে ৬ বছরের শিশু অবস্থায় বিয়া করছিল, এইটার রেফারেন্স এত জায়গায় আছে যে, আইভি ম্যাডাম গো মত মডারেট মুসলিমারা এখন প্রাণপনে চেষ্টা করতাছেন ইতিহাস খডাইতে। কখনো কন আয়শারে যখন বিয়া করছিলেন তখন নাকি তার বয়স আছিলো ১৭, কখনো হেরে বানায় দেন আবু বকরের বইন।
একই কথা কওন যায় আদল হাওয়া গল্পের ক্ষেত্রেও। এখন জ্জান বিজ্ঞান এমন জায়গায় আগায় গেছে, যে সবাই বুঝে আদম হাওয়া শয়তানের গল্প এইগুলা রূপকথা ছাড়া আর কিছু না। বিবর্তন তত্ত্বের লগে পাল্লা দিয়া এই রূপকথা টিকবো না। হের লাইগা আইভি ম্যাডাম নতুন ইন্টারপ্রিটেশন লইয়া আইছেন – ‘আদম শব্দের অর্থ হচ্ছে মানব জাতি, কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়।’ আমার ত কোরান পইড়া তা মনে হয় নাই। কোরানে দেখেন যেমনে আদম সৃষ্টির কথা কইছে, যেমনে সিজদা দিতে গিয়া ইবলিসের লগে গ্যাঞ্জাম লাগছে বইলা আয়াতে আছে – হেইগুলা ‘প্রথম মানব’ লইয়া রূপকথা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। যতই ভালা ভালা ইন্টারপ্রেটেশন হাজির করা হোক না কেন যে লাউ সেই কদুই। আর হাওয়ার জন্ম যে আদমের পাঁজরের হাড্ডি থেইকা সেইটা অনেক হাদিসেও আছে। হাদিসে মহানবী কইছে – “Be friendly to women for womankind was created from a rib, but the bent part of the rib, high up, if you try to straighten it you will break it; if you do nothing, she will continue to be bent.” এখন আইভি যদি কন হাওয়া আইছে বিব্বতন তত্ত্ব অনুযায়ি, তাইলে আমার আর কওনের কিছু নাই।
আমি আতিকের গল্পের সাথে একমত –
আমাদেরকে কোরানের অর্থ ও ব্যাখ্যা ঐ সময় পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে যে পর্যন্ত না চারিদিকে সাধু সাধু রব পড়ে যায়।
@রফিক,
অতএব, এই কিতাব আবিশ্বাসী কিংবা নাস্থিকদের জন্য নয় । যারা বিশ্বাস করছে তাদের জন্য ঈ ।
অতএব, এই ব্যক্ষা গুলি ও আপনার জন্য নয় । মনে করুন, আমাদের মত মুর্খ যারা আসে তাদের জন্য ঈ মুক্তমনা এই লেখা ছাপিয়েছে । এ জন্য মুক্তমনাকে ধন্যবাদ । যদিও লেখার সাথে আমি পুরা পুরি একমত নই । আবার বিপক্ষে ও নেই ।
এই পুরা হাদিস টাই রূপক, তা আপনি যা ঈ বলেন ।
@ফুয়াদ,
হুজুর, আগে নাস্তিক শব্দটার বানান শিখেন, তারপর লিখতে বসেন। আমি কি কইছি আমি ‘নাস্থিক’? এই কিতাব আমার লাইগা না, সেইটা কি আল্লাহ আপ্নেরে কানে কানে কইয়া গেছে নাকি স্বপ্নে দেখা দিছে? আমার মনে যেইগুলা প্রশ্ন আছে সেইগুলার জবাব আপনে বা আইভি দিলেই হইব। আমি আস্তিক না নাস্তিক সেইটা লইয়া আপ্নের মাথা না ঘামাইলেও সারব।
আইভি একখান লেখা পোস্ট করছে, আমি কমেন্ট করছি। লেখার উপরে কমেন্ট করণের অধিকার সকলেরই আছে। এইটা আপ্নে গো শারিয়া আইন না যে কমেন্ট করলেই যারে তারে পাথর মারবেন। আর আইভি তো কয় নাই এই লেখা খালি ফুয়াদ হুজুরের লাইগা, ‘নাস্থিক’ গো লাইগা না। কইছে নাকি?
তওবা তওবা। এইটা কি কইলেন হুজুর? পুরা হাদিসটাই রূপক? এইটা নবীজীর মুখের কথা। বুখারির সহি হাদিস থেইকা উঠাইছি। য়াপ্নের কথায় ঈমানদার বান্দারা ব্যাজার হইব। আপ্নে ইচ্ছা মত একটারে রূপক বানাইবেন, আরেক্টারে মাথায় তুইলা নাচবেন, এইটা তো হয় না।
আপ্নের কমেন্ট বড়ই মজাদার।
@ফুয়েদ সাহেব,
বিশ্বাস করলে আমার লেখা “এক্স-ওয়াই-জেড এন্ড মী” গ্রন্থটি (যা প্রকৃতপক্ষে একটি গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই না) একটি মহাগ্রন্থ হয়ে যেতে কতক্ষণ? অন্তত: আমার আর আমার অন্ধ-অনুসারিদের কাছে?
কিন্তু, এটা মহাগ্রন্থ-সেরাগ্রন্থ সমুহের একটি বা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অনুপম গ্রন্থ প্রমাণ করতে হলে আমাকে নিশ্চই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের পক্ষে উপযুক্ত যুক্তি প্রদান করতে হবে, নচেত আমার এই দাবী ফাঁকা বুলিই হবে শুধু। আমার বা আমার অনুগতদের বিশ্বাস-পরম বিশ্বাসে কারুর একটা চুলও ছিঁড়ে যাবে না।
@রফিক,
মুহম্মদের চরিত্র হিসেবে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আপনারা তাবারীঈ, বুখারীর বর্ণিত হাদীস রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে এসেছেন। ধর্মকে একপাশে রেখে একজন ইতিহাসের চরিত্র হিসেবে মুহম্মদকে যদি বিশ্লেষণ করতে বলা হয় তা হলেও এই তাবারীঈ, বুখারীর বইগুলো ছাড়া আর কোন রেফারেন্স প্রচলিত সমাজে নেই। কিন্তু এই হাদীসবইগুলীর authenticity নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে এবং খুব ভাল ভাবেই যদি প্রমাণ করা যায় যে এই হাদীসগুলোর কোন সত্যতা নেই, তবুও কি ইতিহাসের মানুষ হিসেবে মুহম্মদের চরিত্রকে এই ভিত্তিহীন বইগুলো দিয়েই খন্ডন করবেন? আমার যুক্তি-প্রমাণ আপনার কাছে হাস্যকর লেগেছে—যাই হোক একটা তো উপকার করতে পেরেছি (laughing therapy) । কিন্তু এইটুকু মনে রাখবেন ইসলামকে বাঁচাতে বা মুহম্মদের চরিত্রকে কালিমা লেপন থেকে উদ্ধার করতে আমি লিখতে বসিনি। আপনাদের মতো কিছু মানুষ এইসব ভিত্তিহীন হাদীসগুলোকে ব্যবহার করে একদিকে মুহম্মদকে যেমন হীন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিল এবং অন্যদেকে কিছু মানুষ একদম ফেরেশতা তূল্য করেছিল—-তাদের বক্তব্যে বিরক্ত হয়েই লিখতে শুরু করি। আপনি নিশ্চই জানেন বুখারী বেঁচে থাকাকালীন তার হাদীসগুলো ‘বোখারী শরীফ’ হিসেবে compile করা হয়নি। আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন এই বোখারীর লিপিবদ্ধ লেখাগুলোই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরছে? বোখারীর এমন অনেকগুলো হাদীস আছে যার একটাকে দিয়ে অন্যটা ভুল প্রমাণ করা যায়, অর্থাৎ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা যায়। আপানারা মুক্তমনা হিসেবে এই সব হাদীসকে অস্বীকার করে একটা কাজ তো এগিয়ে নিতে পারতেন। তা না করে আমরা যারা বুখারী, তাবারীঈর ইতিহাস বিশ্বাস করছিনা তাদেরকে বিদ্রুপ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। জানেন তাবারীঈ তার নিজের লেখা সম্পর্কে কি বলেছেন? বলেছেন, “I am writing this book as I hear from the narrators. If anything sounds absurd, I should not be blamed or held accountable. The responsibility of all blunders rests squarely on the shoulders of those who have narrated these stories to me.”
Tareekhil Umam Wal Mulook (The History of Nations and Kings) বইটা ইমাম তাবারী লিখিত এবং সাধারনত পরিচিত “The Mother of All Histories”। এই বইটা লেখা হয় ৮৩৯-৯২৩ CE –র মাঝামাঝি সময়ে। তিনি মারা যান ৩১০ AH, মানে নবীর মৃত্যূর প্রায় ৩০০ বছর পর। তা হলে তার source কি? তার ১৩ খন্ডের ইতিহাস এবং ৩০ খন্ডের কোরানের ব্যখ্যা তৎকালীন রাজকীয় ক্ষমতাশীলদের দারা নির্দেশিত ছিল। তিনি সেই সময়ে সবচেয়ে উচ্চপদস্হ ইমাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। পরবর্তী ইতিহাসবিদরা এমনকি আজ পর্যন্ত সবাই সেই ইমামের লেখনীকেই অনুসরন করছেন।
আরো একটা সংবাদ হচ্ছে বর্তমানে Turkeyতে সরকারী পর্যায়ে এই হাদীসগুলোর সত্যতা নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে, মানে কোন হাদীসগুলো নবীর মৃত্যূর পড়ে হাদীস হিসেবে বানিয়ে বানিয়ে চালু করা হয়েছে। সেই যাচাই-বাছাইতে যদি আপনার রেফারেন্সকৃত হাদীসগুলো বাদ পড়ে যায় (উদাহরন সরুপ ঈভের জন্ম রহস্য) তখন আপনার রেফারেন্সের কি হবে?
ধন্যবাদ।
আইভি
@আইভি,
ম্যাডাম, আপনে তো মনে হয় কোরান ছাড়া আর কিছুই মানেন না। আবার কোরানেরও হরেক রকম ইন্টারপ্রিটেশন আছে আপ্নের কাছে। আপ্নারে আগেই কইছি – কোরানে মহানবীর নাম উল্লেখ করা হইছে মাত্র ৪ বার। শুধু কোরান পইড়া কি ইতিহাস জানন যাইবো নাকি? আপনে তো হাদিস মানেন না। মানেন না ইবনে ইসহাক আর ইবনে হিশামের ‘সিরাত’। আপ্নে তাবাকাত, সহি বুখারি, তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক কিছুই মানবেন না, আর কইত্থেইকা এক Sayed Abdul Wadud আর Tanveer Hussain এর রেফারেন্স লইয়া আইছেন। এরা কি মুহাম্মদের সময় জন্মাইছিল নাকি তারিখ আল্ তাবারি’র আগে কিতাব লিখছিলো? এদের রেফারেন্স ক্যান ইশহাক, বুখারি গো থেইকা বেশি অথেন্টিক হইবো? আপ্নের যুক্তিতে আপ্নেই কইলাম আটকায় যাইতাছেন।
যাউক আসল কথা হইলো আইজকার দুইন্যার জ্ঞান বিজ্ঞনের লগে টিকতে না পাইরা আবোল তাবোল রূপকথাগুলানরে জাতে উঠানোর পায়তারা করা হইতাছে। হেইগুলা কি আর আমরা বুঝি না? আপনার ইবনে ইসহাক, বুখারি, আল্ তাবারি এত কিছুতে সন্দেহ হয় – খালি কোরান আল্লাহর কাছ থেইকা আইছে – এই মহান বিশ্বাসে সন্দেহ হয় না। কি আর করমু।
@আইভি,
ম্যাডাম যে বস্তু বুঝতে এত সমস্যা, যার সত্যতা নিয়ে এত ভ্রান্তি, কেন এবং কোন যুক্তিতে তাকে সম্পূর্ণ জীবনবিধান দাবি করা চলে? কোরান ও হাদিস নিয়ে আপনার লেখা থেকে কি তবে এই সিদ্ধান্ত টানবো যে কোরান বোঝা সম্ভব না আর হাদিসের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ, সুতরাং সত্যিকারের ইসলামকে জানাই অসম্ভব? :-Y
যাকে জানাই যায় না তার ভিত্তিতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা যেমন অবান্তর তেমনি ইসলামী জীবণধারণও অসম্ভব। সুতরাং এ নিয়ে কিছু বলারই থাকে ন। ব্যাক্তিগত জীবণে এই হিং টিং ছট যার ইচ্ছা মাথায় তুলে রাখুন, যার ইচ্ছা ময়লার বাক্সে ফেলে দিন। কিন্তু সামষ্টিক জীবন চালাতে এমন কিছু দরকার যা পরিষ্কার বোঝা যায়। যার সঠিকতা আর ভুলের মাত্রা স্পষ্ট।
I can judge this article as what আতিক রাঢ়ী told in the story ‘লেখাটা পড়ার পরে, ছোট বেলায় সোনা কালিদাস পন্ডিতের বাবার গল্পটা মনে পড়ে গেল।…..’
আইভির এই লেখাকে কেউ কেউ বেশ বাকাভাবে নিচ্ছেন, এটা মনে হয় ঠিক নয়। আইভির এটা প্রথম লেখা হলেও উনি বেশ কিছুদিন ধরেই ফোরামের আলোচনায় অংশ নেন, অন্যকে শ্রদ্ধা করে বিতর্ক চালানোর বিরল গুন তার আছে।
বিপ্লব পাল ও অভিজিত প্রকৃত মুক্তমণার মত কথা বলেছেন, সবারই মনে রাখা উচিত। মুক্তমণায় শুধু একপেশে লেখা ছাপা হলে মুক্তমণাকে বদ্ধমনা নাম দিতে হবে।
আইভির কথার সাথে একমত না হতে পারেন, সেক্ষত্রে ঢালাও ভাবে মন্তব্য না করে অনুগ্রহ করে কোন কোন পয়েন্টে আপত্তি আছে তুলে ধরেন। মুক্তমণায় সবাই তো আর পুরানা নন, অনেকে নুতন পাঠক আছেন, তারা অতীতের অনেক লেখাই পড়েননি। তাদের কথা মনে করে হলেও আলোচনায় অংশ নিন; যেমন খান মোহাম্মদ সাহেবের কোন লেখা আমি নিজেও কোনদিন পড়েছি বলে মনে হচ্ছে না।
ব্লগারদের অনুরোধ করা হচ্ছে একই দিনে একই বিষয়ে পর পর একাধিক লেখা প্রকাশ না করতে। এতে ব্লগের বৈচিত্র লংঘিত হয়।
একই লেখকের একই বিষয়ে একাধিক লেখা পর পর প্রকাশিত হলে এখন থেকে দ্বিতীয়টিকে ব্যক্তিগত লেখা হিসবে নিজস্ব ব্লগে সংরক্ষণ করা হবে।
@মুক্তমনা এডমিন,
আমি আম্র দ্বিতীয় লেখাটি মুছে দিলাম। কতদিন পর সেটা পোষ্ট করা যাবে বলবেন কি?
ধন্যবাদ।
@ivy,
আপনি এখন আপনার দ্বিতীয় লেখাটা পোস্ট করতে পারেন। আপনাকে পোস্ট করতে কখনোই নিরুৎসাহিত করা হয়নি, শুধু ব্লগের বৈচিত্র বজায় রাখতে একই লেখকের একই ধরনের লেখা পর পর পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
না। এই লেখাও মুক্তমনায় ছাপানো উচিত। নইলে বিশ্লেষন সম্ভব না। আমি আসলে এই উইকেন্ডে সময় পেলেই একটা বড় কিছু লিখব-এই ব্যাখ্যামূলক ঢপবাজির ওপরে। কোরানে একটা বাক্য অনেক কবার এসেছে-সেটা হচ্ছে, আল্লাই ভাল জানেন! আসলে ওটা হবে, আল্লাই ভালো জানেন মানে আল্লা বলতে চেয়েছেন-মানুষ জানে না! কোরান পড়েও জানা সম্ভব না-তাই কোরান পড়া বৃথা!
@বিপ্লব পাল,
আমিও ঠিক তাই মনে করি। আইভি যেহেতু কাউকে আক্রমণ করে লিখছেন না, তাকে মডারেটরদের পক্ষ থেকে ব্লগ একাউন্ট-এর এক্সেস দেয়া হয়েছে। ব্লগ-এর একাউন্ট থাকলে প্রবন্ধ সরাসরি প্রকাশিত হয়। কেউ যদি তার প্রবন্ধের সাথে দ্বিমত করেন, তিনি তা মন্তব্যে জানাতেই পারেন, এবং অনেকেই সেটা করছেনও। আর মুক্তমনায় শুধু একে অপরের পিঠ-চাপড়ানো লেখাই থাকবে বিপরীত কোন মত প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না – এটা ভাবলে আমরাও কিন্তু কূপমন্ডুকই হয়ে যাব। আমার মনে হয় মুক্তমনার সদস্যরা কিন্তু যথেষ্ট আলোকিতই। এ ধরণের লেখায় আমি অন্ততঃ শঙ্কিত বোধ করি না। অনেকেই লেখাটায় মন্তব্য/ মতামত দিয়েছেন। এটাই হোক মুক্তমনার আলোকবর্তিকা। আমি দেখেছি প্রায় সব ধর্মীয় সাইটে ধর্মের বিরুদ্ধে টু শব্দ করলেই ব্যান হতে হয়। আর আরো বড় স্কেলে চিন্তা করলে হুমায়ুন আজাদের অবস্থা দেখলেই ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নমুনা বোঝা যায়। সেখানে মুক্তমনায় একাউন্ট খুলে আইভির মত কেউ লেখা প্রকাশ করছেন – এটাতে শঙ্কিত না হয়ে বরং মুক্তমনাদের গৌরবান্বিতই বোধ করা উচিত। এটাই সত্যিকার সহিষ্ণুতা। আজ প্রমাণ হোক যে মুক্তমনারা ঈশ্বর কিংবা আল্লা খোদার দোহাই না পেড়েও কিংবা ধর্মগ্রন্থের বুলি না কপচিয়েও অনেক বেশি মানবিক, অনেক বেশি পরমতসহিষ্ণু। মনে নেই –
দ্বার রুদ্ধ করে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি!
@অভিজিৎ,
বিপ্লব এবং অভির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত এই বিষয়ে।
আমি মনে করি যে, মুক্তমনায় সকল পক্ষেরই মতামত প্রতিফলিত হবার সমান সুযোগ থাকা উচিত। ব্যক্তি আক্রমন যুক্ত এবং একেবারেই উদ্ভট যুক্তিসম্পন্ন লেখা ছাড়া আর সব ধরনের লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে মুক্তমনা মুক্ত অবস্থান নেবে সেটাই আমার কামনা। শুধু মুখে মুখে নিজেদেরকে মুক্তমনা দাবী করলেইতো হবে না, কাজেও সেটা করে দেখানো উচিত আমাদের। কোন লেখকের বক্তব্য বা চিন্তা-ভাবনার সাথে দ্বিমত থাকলে যুক্তি দিয়ে তা খণ্ডন করা যেতে পারে। মুক্তমনায় প্রকাশিত প্রবন্ধগুলোতে যেহেতু এখন মতামত দেয়ার সুযোগ রয়েছে, কাজে কোন মতামতই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাড় পাবার আর কোন রাস্তা নেই। আইভি তার অবস্থান থেকে প্রবন্ধটি লিখেছেন। এখন যারা এটির বিষয়বস্তু বা যুক্তিকে অপছন্দ করছেন, তারা তাদের যুক্তিতর্ক নিয়ে হাজির হয়ে যান এর বিপরীতে। মুক্তমনার পাতা আলোকিত হয়ে উঠুক প্রানবন্ত বিতর্কে।
@ফরিদ,
ভাই মুক্তমনা হতে গিয়ে যদি ধ্বংসের সূচনাকারী মন্তব্যগুলোর প্রচার মেনে নিতে হয় ,তবে মানবতার খাতিরে অমন ‘মুক্তমনা’ অন্তত আমি হতে চাই না।আমার দ্বিতীয় মন্তব্যের জবাবে বিপ্লব দা খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন…
মওদুদিরা আর যাই করুক অন্তত বিজ্ঞানের ক্লাসগুলোকে কলঙ্কিত করে নি।একজন মওদুদি,নিজামি বা সায়েদির চেয়ে জাকির নায়েক প্রজাতির একজন ছদ্মবৈজ্ঞানিক সমাজের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।মওদুদিরা অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষকে অন্ধকারেই রেখে দেয়,আর জাকির নায়েকরা শিক্ষার আলোকপ্রাপ্ত মানুষদের অন্ধকারে ঠেলে দেয়।
আমি তেমন ‘মুক্তমনা’ হতে চাই না যে ‘মুক্তমনা’ হওয়ার জন্য এমন জঘন্য মতের প্রচার মেনে নিতে হবে যা মেডিকেল কলেজগুলোতে ‘বুকাইলিজম’ শিক্ষা দিতে অনুপ্রাণিত করে।আমি তেমন সহিষ্ণু হতে চাই না যার জন্য ছাত্রশিবিরের চাইনিজ কুড়ালের তলায় গলা পেতে দিতে হয়।প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলাম যখন মৌলবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্রশিবির আমাকে হত্যা করে আমার নামে একটা লেকচার গ্যালারি স্থাপনের হুমকি দেয়।আমি রগড় করে জবাব দিয়েছিলাম “তাতে যেন শুধু ফরেন্সিক মেডিসিন পড়ানো হয়।আর আমার বন্ধুর নামে যে হোস্টেলটা হবে,ওটা যেন কম্বাইন্ড হয়।” 😉
স্বভাব অনুযায়ী রগড় করলেও বুঝতেই পারছেন ওটা সিরিয়াস হুমকিই ছিল।নেহাত কৌশল ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে আমরা বেঁচে যাই। 🙂
আমি মনে করি উপমহাদেশের পরিস্থিতি এখন এতটাই নাজুক যে ,মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে ছদ্মবৈজ্ঞানিক মতবাদকে আইন করে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।মৌলবাদ ক্ষতিকর,ছদ্মবিজ্ঞান ভয়ঙ্কর।মৌলবাদ থেকে উত্তরণ সম্ভব,কিন্তু ছদ্মবিজ্ঞানের ব্ল্যাক হোলে একবার পড়ে গেলে সেখান থেকে সমাজের আর রেহাই নেই।আশা করি আমি আমার পরিপ্রেক্ষিত বোঝাতে পেরেছি।ভালো থাকবেন। 🙂
@আগন্তুক,
আপনার মানসিক অবস্থার সাথে একমত পোষন করার পরেও আপনার বক্তব্যের প্রতি দ্বিমত পোষণ করতে বাধ্য হলাম। আপনি বাংলাদেশের মেডিকেলে এবং অন্যত্র যে ছদ্মবিজ্ঞানের আগ্রাসন দেখছেন সেটা শতকরা একশতভাগ সত্যি। বাংলাদেশের সংখ্যাগড়িষ্ঠ মানসিকতার মানুষদের দ্বারা গঠিত সমাজ জীবনে যে জিনিসগুলো দেখছেন, তার কিছুটা ছায়া তো আমাদের ব্লগেও পড়বে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়? কেবল কৃত্রিম দেওয়াল তুলে মুক্তমনাকে ‘আলাদা দ্বীপপুঞ্জ’ বানিয়ে বসে থাকলেই সমাধান মিলবে বলে আপনি মনে করেন? আমি অন্ততঃ তা ভাবি না। ওদের এখানে আসতে দিন, তর্ক করতে দিন – ওদের বলিষ্ঠ যুক্তিগুলো আমরাও জানতে চাই।
আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুক্তমনার সদস্যরা পড়ালেখা করা জানা শোনা আলোকিত মানুষ। ওই যে কথায় বলে না – বিশ্বাস করতে কিছু পড়তে হয় না, বিশ্বাস ভেঙ্গে নিজেকে গড়তে লাগে অনেক অধ্যাবসায়। সেজন্যই আমি আইভিদের লেখা নিয়ে ভীত নই। কারণ আমি জানি আমরা সঙ্খ্যায় কম হতে পারি, কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে আছি পাহাড়ের ওপরে। পাহাড়ের ওপরে থেকে যুদ্ধ করার সুবিধে অনেক। 🙂 ছোট একটা পাথর গড়িয়ে দিলেই সেটা প্রায় ব্রহ্মাস্ত্রে রূপ নিয়ে নীচে চলে যায়, তাই না? আসলে এই ইন্টারনেটের যুগে আমাদের হাতে এত তথ্য যে কারো কন্ঠরোধ করে ঘায়েল করার দরকার পরে না। বিপ্লবের মত আমিও চাই জাকির নায়েকেরা এখানে আসুক তাদের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করুক। অসুবিধে কি!
আরেকটা জিনিস চিন্তা করে দেখুন – আইভির লেখার কল্যানেই কিছু আমরা বিপরীত যুক্তিগুলোও শুনতে পাচ্ছি সদস্যদের কাছ থেকে। আবুল কাশেম, আদিল মাহমুদ, বিপ্লব, রফিক, আতিক, হেলাল, আকাশ মালিক সবাই কিন্তু তথ্য দিয়েই সব কিছু মোকাবেলা করছেন, আইভির লেখাটা না আসলে আমরা কি জানতে পারতাম আবুল কাশেমের বিশ্লেষণ, নাকি শুনতে পেতাম আতিকের কালীদাসের গল্প, বলুন? 🙂 এটাও কিন্তু কম পাওয়া নয়।
ব্যক্তিগতভাবে, আমি আইভির বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করি, কিন্তু তার বক্তব্য দেয়ার অধিকারের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত। “I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it”. – Beatrice Hall এত এই উক্তিটা আমি সত্যই মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
ফারুক সাহেবেকে অন্তত ব্লগ কমেন্ট এক্সেস দেবার জোর দাবী রইল। ওনার যুক্তিবোধ যাই হোক উনি ভদ্রভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন।
মুক্তমনায় নগন্য সংখ্যক আস্তিকের মাঝে ফারুক সাহেবদের কন্ট্রিবিউশন খুবই দরকার।
@অভিজিৎ,
খুবি ভাল লাগল , আপনার মন্তব্যগুলো।
আমি একটি লেখা পাঠিয়েছিলাম , সেটা ছাপা হয়নি। ব্লগ একাউন্ট-এর এক্সেস না পাওয়ায় প্রতিমন্তব্য প্রকাশে দেরি হওয়ায় , সমস্যা হচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
দাদা আপনার লেখাটার অপেক্ষায় আছি।
সত্যজিতের ভাষায় বলতে গেলে…’একটা মন্তব্য করে এতগুলো লোককে এত হাংগামার মধ্যে ফেলিচি,ভাবতেই একটা পিকিউলিয়ার ফিলিং হচ্চে…”
আমার মত এক অর্বাচীনের কথা নিয়ে যে এত এত পণ্ডিত মানুষ ভাবছে – ভাবতেই অবাক লাগছে।অভিজিৎদা রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা উদ্ধৃত করে ‘ভ্রম’-এর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।হ্যাঁ আমরা সবাই জানি বৈপরীত্যের প্রয়োজনীয়তার কথা,পরমতসহিষ্ণুতার কথা।এবং এটি কোন নতুন ইস্যুও নয়।পৃথিবীর অনেক মুক্তমনাই বলেছেন যে,মৌলবাদীদেরও তাদের মতবাদ প্রচারের সুযোগ দেয়া উচিত।এটি যথেষ্ট পুরনো একটি ইস্যু এবং তসলিমাকে ফ্রান্সে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
বাংলা সাহিত্যে ‘মুক্তমনা’ শব্দটির জ্বলন্ত প্রতীক ‘ফেলুদা’ ওরফে প্রদোষ মিত্তির।ফেলুদাকে বারবার তোপসেকে বলতে শুনি ‘মনটাকে খোলা রাখতে হয় রে’…ভূত-প্রেত,এলিয়েন -ইত্যাদি কোন ব্যাপারেই তার বিশ্বাস -অবিশ্বাস – কোনটাই নেই,রয়েছে বিশুদ্ধ সন্দেহবাদী দৃষ্টিভঙ্গি।হ্যাঁ এটাই আদর্শ মুক্তমনা দৃষ্টিভঙ্গি।
কিন্তু এর সাথে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে বিশুদ্ধ নৈয়ায়িক দৃষ্টিভংগি ও নিরেট সহিষ্ণূতার চেয়েও প্রয়োজন মানবকল্যাণের আকাংক্ষা।যদি একটি বিশেষ মতবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে থাকে তবে কি রাষ্ট্রের উচিত নয় সেটিকে দমন করা?তবে কি ৭২ এ জামাতের রাজনীতি বন্ধ করাটাও ভুল ছিল না?মানবতার কথা চিন্তা না করলে,রাজাকাররাও তাদের অবস্থানে ঠিকই ছিল না কি?জাকির নায়েক ও হারুন ইয়াহিয়ার প্রবন্ধও কেন তবে মুক্তমনায় প্রকাশ হচ্ছে না?কারণ এরাই তো গুরু।আর মওদুদিকেই বা গালমন্দ করার দরকার কি?তবে কি প্রয়োজন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার?এসব দাবী কি তবে ভিত্তিহীন নয়।
আগাছা ফসল ধ্বংস করবে জেনেও কি আমাদের তা সহ্য করে যেতে হবে?কি প্রয়োজন তবে মুক্তবুদ্ধিচর্চার?নৈয়ায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যায় একটি কাজ করেও যদি মানুষের কল্যাণ হয় ,তবে সেটা কি অসহিষ্ণুতা?
পরমতসহিষ্ণুতা দেখাতে যদি এসব ছদ্মবৈজ্ঞানিক মতবাদকে প্রশ্রয় দিতেই হয়,তবে আই,ডি তত্বকে আইন করে পাঠ্যক্রম থেকে নিষ্ক্রান্ত করাটাও কি অসহিষ্ণনুতা নয়?তবে তো আইডি অবশ্যই পড়ানো উচিত!
আমার বিজ্ঞ প্রবাসী মুক্তমনা বন্ধুরা,আসুন,দেখুন বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে এখন এমব্রায়োলজির নামে ‘কিথ মুর’ তত্ব পড়ানো হয়,বিরক্তিতে মনটা ভেঙ্গে যায়।দেখে যান ফিজিওলজি পড়ানোর ছলে কি করে আল্লাহর নিয়ামত বোঝানো হয়।দেখে যান ধর্ম আমাদের বিজ্ঞান-শিক্ষার সময় কিভাবে নষ্ট করছে।
পরম শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ একবার বলেছিলেন যে, ষাটের দশকে শিক্ষিত লোকেরা মসজিদে ছুটতো না,আজকাল যারা টুপি-দাড়ি নিয়ে মসজিদে ছোটে তাদের অধিকাংশই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার…এই অপুরনীয় ক্ষতি এবং ‘প্রগতিশীল মৌলবাদ’ প্রচারের দায়ভার কিন্তু মওদুদি-নিজামিদের নয়।বরং হারুন ইয়াহিয়া,জাকির নায়েক এর দোসরদের।আমি বলছি না এদের কন্ঠ রুদ্ধ করে দেয়া হোক।এদের মতামত আটকানোর পক্ষপাতী আমি নই।কিন্তু এ ধরনের প্রবন্ধ গুলো আমাদের সম্পর্কেও বিভ্রান্তি তৈরি করে না কি?
আমি একজন সাধাসিধে ছাত্র এবং মানুষ হিসেবে বেশ নিরাবেগ এবং কাষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।আবেগকে সেদিন সামলানো শক্ত হয়েছিল যে দিন,গত ১১ই মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পুরো রাজশাহী শহরে ঘিরে থাকা জামাত-শিবির হায়েনাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি ও আমার বন্ধুদের ৫টি গ্রাম পেরিয়ে শহরের বাইরে আত্মগোপন করতে হয়েছিল।রাতে যখন বাস ভার্সিটি পেরুচ্ছিল আতঙ্ক হচ্ছিল কখন একটা বোমা এসে আমাদের উড়িয়ে দেয়।আর আধ ঘন্টা পর হাসপাতাল থেকে বেরুলে হয়তো আপনাদের সাথে তর্ক করা হোত না,হয়ে যেতাম কোন নব্যশিক্ষিত ‘ইন্টেলেকচুয়াল মুসলিম’ এর তরবারির শিকার।গত ১১ই মার্চ জামাত-শিবির চক্র রাজশাহীতে একটা বিপুল ধ্বংসযজ্ঞের নীল-নকশা করে,পুলিশ-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে।কিন্তু বিডি আর এর ঘটনার রেশ এবং ঐ দিনই বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স এ অগ্নিকান্ড হওয়াতে ব্যাপারটা চাপা পড়ে যায়।আরব্য অর্থপুষ্ট এই জানোয়ারদের থামাতে যদি একটু ‘অসহিষ্ণূ’ হতে হয় তবে আমাকে ক্ষমা করবেন।
@আগন্তুক,
দুটো ব্যাপারকে গুলিয়ে ফেললেন
১) মৌলবাদি দের মুক্তমনায় সুযোগ দেওয়া উচিত কিনা
২) মৌলবাদিদের রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে আটকানো উচিত কি না। দুটো এক না। প্রথমটির উত্তর হ্যা। দ্বিতীয়টির উত্তর- হ্যা রাষ্ট্রের উচিত মৌলবাদিদের ধরে ধরে জেল ভর্তি করা। এই ব্যাপারে আমি আনকম্প্রোমাইজিং যে একট মতবাদ শুধু তার উন্নত যুক্তির জন্যে টেকে না। আসলেই ইতিহাস সেই ভাবে তৈরী হয় নি। যেসব মতবাদ শক্তিশালী মিলিটারিজমের জন্ম দিয়েছে, তারাই টিকে গেছে-এটাই ঐতিহাসিক সত্য। সুতরাং মৌলবাদের মাধ্যমে মিলিটান্সি সৃষ্টি হলে তারাই টিকবে-এই সব বৈজ্ঞানিক যুক্তি টুক্তি টিকবে না। যেহেতু সেটাই ইতিহাসের ধারা, তাই আমি ত মনে করি, রাষ্ট্রের উচিত বন্দুক আর আইন দিয়েই দিয়েই মৌলবাদ ধ্বংশ করা। এছাড়া আমাদের কোন বিজয় হবে বলে যদি কেও ভাবে-আমি তাদের দলে নেই। কারন উন্নত যুক্তিবাদি সমাজ অতীতেও বর্বরদের হাতে হেরেছে-এখনো হারছে-
@বিপ্লব পাল,
দাদা বুঝলাম এবং আপনার সাথে আমিও এক্মত।আমি যে একটু গুলিয়ে ফেলেছিলুম তার কারণ বলতে পারেন আমার বয়স,এবং প্রত্যক্ষ নির্যাতনের শিকার হওয়া।তবে আমি যে কোন উদারনৈতিক চেতনাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অঙ্গীভূত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি এ কারণেই মুক্তমনাকেও আমি একটি সুন্দর রাষ্ট্রের আদর্শিক হাতিয়ার হিসেবে দেখতে চেয়েছি।হয়তো আমার এ দেখা ভুল।হয়তো আপনাদের পর্যায়ে পৌঁছে আমিও অন্য দৃষ্টিতে দেখতে পারবো।আপনাকে অজস্র অজস্র ধন্যবাদ একটা সুন্দর উত্তর দেবার জন্য।আজ একটু হলেও শান্তিতে ঘুমুতে পারব। 😀
@আগন্তুক,
সহমত, একশ ভাগ সহমত। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এক জিনিস এর মতের প্রচার আরেক জিনিস। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে মতের প্রচার হয়েছে। ধর্মবাদীদের আত্নরক্ষার সু্যোগ দেয়া যেতে পারে প্রচারের নয়। অবশ্য আমার মনে হওয়াটা ভুলও হতে পারে। ধন্যবাদ।
এ ধরনের একটা বিশুদ্ধ ছদ্মবৈজ্ঞানিক লেখা মুক্তমনার গায়ে একটা দগদগে ঘা!আর এর দরকারটাই বা কি?এ তো বুকাইলি,মুর,ইয়াহিয়া আর নায়েকের পঁচা-গলা বানোয়াট তত্ত্বের চর্বিত-চর্বন ছাড়া কিছুই না।এর প্রতিটি ব্যাখ্যা এর আগে অভিজিতদা,বিপ্লব দা,খান মুহাম্মদ ও আরো অনেকে স্পষ্টভাবে খণ্ডন করেছেন।আমিও কিছু কিছু দিক তুলে ধরেছি।এভাবে কুরান বোঝার চেষ্টা না করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করুন।ধর্মগ্রন্থগুলো রূপকথার মত বিনোদন দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকুক – এই হোক মানুষের প্রত্যয়।
@আগন্তুক,
সহমত…
@সুমন
অনেক ধন্যবাদ।
@আগন্তুক, সাইটে সবাই মিলে কোরানকে আক্রমন করলে তো হবে না, কোরানকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে হবে। লেখকেরা তাদের সুচিন্তিত লেখা পাঠাক, লেখা গ্রহন করতে হবে কি হবে না সেটি পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলে ভাল হয়।
আইভি ম্যাডামের লেখা পড়ে মনে পড়ছে, ইংরেজী একটি প্রবাদ- Cut your coat according to your cloth. I mean explain the Quran according to the situation. ঝোপ বুঝে কোপ মারা আর কাহাকে বলে! :-)) :laugh: , ধন্যবাদ।
মুহাম্মদের সময়ে বিজ্ঞান অনেক পিছিয়ে ছিল। আর আরব দেশে বিজ্ঞান বলতে কিছুই ছিলনা মুহাম্মদের সময়ে। মুহাম্মদ আর তার সাহাবারা কোরানের কিছুই বুঝেনি বলে আমার মনে হচ্ছে।
@মুরতাদ,
আইভির বক্তব্যের মূল সূর অনুযায়ী তাই হতে হবে।
@মুরতাদ,
হজরত মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর নবী ছিলেন । উনার কোরান বুঝতে কোন তফসির লাগতো না। এখানে তফসিরের ভুলের কথা বলা হয়েছে । আর আল্লাহ সুবাহানাতালা তার রাসূলকে কোন জ্ঞান দিবেন না , এটা কি করে ভাবলেন । আপনি হাজার চেষ্ঠা করলে ও তার রাসূলের সমান হতে পারবেন না ।
কোরানের একদম ছোট ছাত্ররাও জানে, কোরানের সম্পূর্ন অর্থ একমাত্র আল্লাহ সুবাহানা তালা ঈ জানেন । তার পর, তাঁর মননিত ব্যক্তিরা যাকে তিনি যতটুকু ইচ্ছা জ্ঞান দেন । মানুষ তার নিজের জ্ঞান অনুষারে বুঝতে পারে ।
আপনি রাসূল সঃ সাহাবীদের কথা বলতেছেন উনারা কিছু জানতেন না । উনারা কি জানতেন ঐটিঈ আপনি জানেন না ।
@ফুয়াদ,
কুরানের সম্যক গ্যান একমাত্র আল্লা ফাক জানলিই হোবে ক্যাবা কোরি! এই খিতাব নাই আল্লা পাঠাইছেন মানুষির জন্যি-মানুষির জীবন চলার সঠিক গাইডলাইন্স, তা কিছু কিছু গ্যান যদি একমাত্র উনার আয়ত্ত্বেই সংরক্ষিত রাখেন, তালি ফোরা, মানুস জানবি ক্যাবা করি?
যে বইডা দেয়া হল মানুষির জন্যি, অথচ মানুষই অর্ধেক বক্তব্য তার বুইঝল না-বুইঝলেন শুধু প্রণেতা সবই-তালি ফলডা কি হল?
আইভির বক্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে যে সিদ্ধান্ত উপনয়ন কর্তিচে সে মোতাবেক নবি আর তার সাহাবারা কোরানের বক্তব্য-জ্ঞান সম্পর্কে এ্যাহাবারেই তলানিতে ছিলেন। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের জ্ঞান বাড়ল আর অল্প অল্প করি মানুষ কুরানের অর্থ বুঝতি সক্ষম হল-এখনও হতিচে।
এত দুর্বোধ্য একটা খিতাব আল্লা দিল আমাগির জন্যি, যে ছোদ্দশো বছর ফার হয়া গেল এহনও অনেক ব্যখ্যাই আমরা বুজি না-ভিন্ন মানে করি-বহুমত পোষণ করি-বহু শাখাফ্রশাখায় বিভক্ত হই। আবার বলেন, ইডা নাই নাজেল করা হয়েছে সহজ-সরল ভাষায় সকল জনগোষ্ঠী সাধারণের জন্যি।
আমি এই ব্যাখ্যার ঢপবাজি নিয়ে একটি সাধারন লেখার চেষ্টা করছি-হয়ে উঠছে না।
যারা দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন দর্শন পড়েছেন, তারা জানেন কখনোই একটা বাক্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ বহন করতে পারে না। আবার তার করোলারি হল, একটি নির্দিষ্ট বক্তব্যকে ( আসলে ভাব বা নির্দেশ বলা ভাল) কখনোই কোন বাক্যের মাধ্যমের ১০০% প্রকাশ করা যায় না।
এর মানে দাঁড়ায় একটাই-যদিও মহান গুনধর মাফিয়া আল্লার অস্তিত্ব স্বীকার করেও নিই ( সমস্ত মাহাত্ম্য স্বত্ত্বেও) -তাহলেও তিনি ঠিক কি চেয়েছেন-তা কোন বই দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব না-আই বই থেকে অর্থ খুজলেও, আসলেই ঠিক চেয়েছেন, সেটারও অসীম সংখ্যক ব্যাখ্যা সম্ভব।
তাই একটা মধ্যযুগীয় বইকে ভিত্তি করে এত হল্লা করা অর্থহীন সময় নষ্ট-অবশ্য মুসলীমরা সেটা করে বলেই সব সব থেকে পিছিয়ে আছে। এই সব মধ্য যুগীয় বই, বর্তমান জ্ঞান ভান্ডারের সামনে অর্থহীন-যারা এই সব নিয়ে পড়ে আছে, তারা সময় নষ্ট করছে-পৃথিবীর ক্ষতি করছে।
@বিপ্লব পাল,
অভিজিৎ দা কেও এই ব্যাপারে হতাশ হতে দেখেছি।জগতে জ্ঞানের এত বিষয় থাকতে কেন সবাই ধর্ম বিষয়ক লেখা
বেশি পড়ে?
আমার মনে হয়, মুসলমানরা একটা উত্তরনকাল অতিক্রম করছে।যে প্রশ্ন গুলো এতদিন করার সাহস তারা সঞ্চয় করে উঠতে পারেনি, সে গুলি তারা করা শুরু করেছে।এটা ভাল লক্ষন। অন্য প্রধান প্রধান ধর্ম গুলো বয়সে প্রবীন হওয়াতে আরো আগেই মোটাদাগে এই পর্ব পার হয়ে গেছে।
@আতিক রাঢ়ী,
এইটি আপনার ভুল ধারনা , এখন যে প্রশ্ন গুলি দেখতেছেন এর চেয়েও কঠিন কঠিন প্রশ্ন করতো মুতাজিলা রা ।
মুতাজিলাদের একটি যুক্তি শুনুন । আল্লাহ সুবাহানাতালার ইচ্ছা ছাড়া কিছুঈ হয়না, তাহলে মানুষ যে অপরাদ করে তার কোন দোষ নেঈ । নামজ, রোজা করার দরকার নেই ।
কোন কিছু যুক্তিতে পরলে মানতো, না পরলে মান তো না । সব জায়গায় যুক্তি খুজতো । যুক্তি খুজতে খুজতে কুফরী আকীদা গুলা বেড় করলো । তাই, ধংশ হল।
@ফুয়াদ, আমি মুতাজিলাদের ভালবাসি। মুসলমান সপ্রদায়ের মধ্যে তারাই প্রথম সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো নিয়ে হাজির হয়েছিলো। যুক্তির অলোয় পথ দেখার চেষ্টা করেছিলো। আমিও একটা নমুনা দেইঃ
স্রষ্টা বা আদি বস্তু এক, মুসলমান ও ইহুদীদের বিশ্বাসের এই প্রধান জায়গাটি নিয়ে তারা বলেছিলো- স্রষ্টা সব জানেন বলতে যা বোঝান হয়ে থাকে তা হলো- স্রষ্টা হচ্ছেন এখানে জ্ঞাতা। তাহলে প্রশ্ন আসে তিনি কি জানেন? যা নাই তা জানা সম্ভব না। সুতরাং যার সম্পর্কে তিনি জানেন তাও তারই মত সুপ্রাচীন। তারমানে আদি বস্তু এক না একাধিক।
ফুয়াদ ভাই, বললেন জখন পুরাটা বলেন। তারা কিভাবে ধ্বংস হলো ? আব্বাসিরা ক্ষমতায় এসে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছিলো। কিন্তু যুক্তিযে পাল্টা যুক্তিদিয়ে মোকাবেলা করতে হয় এই সরল সত্যটা আজো মুসল্মানরা বুঝলোনা। মুতাজিলাদের হত্যা করা গেছে কিন্তু তাদের উত্থাপিত প্রশ্ন গুলোকে হত্যা করা যায়নি। তলোয়ার দিয়ে সব কিছুর সমাধান করা যায় না।
যুগের সীমাবদ্ধতার কারনে মুতাজিলারা তাদের কথা দ্রুত প্রচার করতে পারেনি। আজ আর সেই সমস্যা নেই। আর হাত যতই নিশফিশ করুক হত্যা করার জন্য এ যুগের মুতাজলাদের সামনে পাচ্ছেনও না সহজে। :laugh:
@বিপ্লব পাল,
দাদা মনের কথাটা কেড়ে নিলেন একেবারে।বেড়ে বলেছেন – মাফিয়া ডন আল্লাহ।! 😀
আর হ্যাঁ বাক্য সম্বন্ধে যেটা বললেন সেটাও ঠিক।কিন্তু এই সুযোগটা নিয়ে এরা আধুনিক মানুষকে মধ্যযুগে ঠেলে দিচ্ছে।যেকোন বাক্যেই নানান অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়,যেকোন শব্দকেই নিয়ম ভেঙ্গে অন্য রূপ দেওয়াও সম্ভব।কিন্তু কথা হচ্ছে কুরানের আল্লাহ ঠিক অতটা বুদ্ধিমান নন।তিনি প্রচণ্ড মাত্রায় সেকেলে এবং গণিতে একেবারে ফটিক।তাঁর বাক্যগুলোর সেকেলে ব্যাখ্যা গুলোই মূলের কাছাকাছি।একেলেগুলো আসলে বিজ্ঞানের ঝড়ে উড়ে যাবার হাত থেকে বাঁচবার চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
দেবীবাবুর অমর বইগুলো বাংলাদেশে অত্যন্ত দুর্লভ এবং দুর্মল্যও বটে।বইগুলো প্লিজ আপলোড করুন।আমি কিছু বই পড়েছি।অদ্ভুৎ,অসামান্য!
১।বির্তকটা মনে হয় ভালই জমবে। আইভি কি দয়া করে ‘বিজ্ঞানের সাথে সরাসরি কুরআনের সংগাত/বিপরিত’ এমন বিষয় গুলো অবতারনা করবেন?
২।পৃথিবী ও আকাশমন্ডলি সৃষ্টি হয়েছে দুই যুগে বা ধাপে বা দিনে। কিন্ত আকাশমন্ডলি মানে কি সেই ব্যাখ্যা না দিয়ে দিন বা যুগ নিয়ে টানাটানি করা কি ঠিক?
আইভইর লেখার ষ্টাইল অত্যন্ত চমতকার, পড়তে বেশ ভাল লাগে। তবে লেখাটা মনে হয় পুরো দেখা যাচ্ছে না, আমি ” আমাদের মত অন্ধ-বিশ্বাসীরা সেই ভাবেই যুগ যুগ পার করে যাচ্ছি। মওদুদী এই শব্দটিকে ( ” এর পরে আর কিছু দেখছি না।
এইটুকু পড়ে আমি যা বুঝলাম তা হল কোরান পড়ে বোঝা খুব সহজ কোন ব্যাপার নয়। বিশেষ করে বিজ্ঞানের আধুনিক এবং গভীর জ্ঞান না থাকলে বোঝা প্রায় অসম্ভব, এমনকি ভুল বোঝার সম্ভাবনা প্রবল।
এটা ঠিক আমার কাছে পরিষ্কার হয় না কখনোই। কারো মতে কোরানে এমন আয়াত আছে যাতে ষ্পষ্ট লেখা আছে যে কোরানকে লেখা হয়েছে সহজ সরল ভাষায় যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে (আক্ষরিক অনুবাদ হুবহু হয়ত এমন না, তবে অনেকটা একই ৪৩) ৪৩;৩
““We have made it a Quran in
Arabic, that ye may be able to understand (and learn wisdom).”
এই লিংকে ৪ নং পাতার শেষে দেখতে পারেন।
http://mukto-mona.com/Articles/mizan_rahman/out_of_context.pdf
কিন্তু আইভির মতে যা বুঝতে পারছি আসলে ব্যাপারটা অনেকটা উলটা।
এটা ঠিক যে আইভির দেওয়া অনেক ব্যাখ্যা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু কোরানে এমন অনেক আয়াত আছে যা বুঝতে কোনরকম বিজ্ঞান দরকার হয় বলে মনে হয় না। বেশ কিছু আয়াত আছে যা আল্লাহর আত্মতুষ্টি। যেমন, তিনি সৃষ্টি করেছেন নদী।।পাহাড়…।।
আইভির মত মেনে নিলে প্রশ্ন আসে (যা আমাকে সবসময়ই ভাবায়) যে এত জটিল একটা গ্রন্থ কিভাবে পৃথিবীর সব কালের সব ভাষাভাষি মানুষের জন্য অবশ্যপালনীয় হতে পারে? যেখানে খোদ আরবী ভাষিরাই ভুল ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন সেখানে আমাদের কি হবে?
কোরানে আরেকটি আয়াত আছে যাতে বলা হয়েছে যে পৃথিবীর সব ভাষাভাসি মানুষের জন্যই আল্লাহ নিজ ভাষায় তার বাণি পাঠিয়েছেন, নবী রসূলসহ। এ আয়াত মতে করান কি শুধুমাত্র আরবীও ভাষীদের জন্য এটা বোঝায় না? ১৪;১ ত ১৪;২৭, আগের দেওয়া লিংকের ৫ নং পাতায় পড়ে দেখেন।
““Revelation leads mankind from the depths of darkness into light. It comes to
every age and nation in its own language. So was it before; so is it always”
আইভির কথায় আরো যা বুঝলাম তা হল, কোরানের সব বানী বা নির্দেশ সব কালের জন্য নয়। কারন বিজ্ঞান বিবর্তনশীল, বিজ্ঞানের সবকিছুই আমরা আজ জানি না, ২০০ বছর পর যা জানব আজ তা জানি না, সে হিসেবে কিছু আয়াত বা নির্দেশ আজ ভ্যালীড নয়, ২০০ বছর পর হতে চালু হতে হবে। প্রশ্ন হতে পারে, যে এর সীমারেখা কোথায়? কিভাবে আমরা বুঝব কোনটা আজকের জন্য আর কোনটা ভবিষ্যতের জন্য? বেশ কিছু আয়াত আছে যেগুলিতে বিজ্ঞানের কোণ ব্যাপার নেই, সেগুলি কি চিরন্তন?
এমন আরো অনেক প্রশ্ন আসতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
কোরানে দুই প্রকারের আয়াত আছে । আরবী ভাষায় নিয়মাবালী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ব্যক্তি যে সব আয়াতের অর্থ সুস্পষ্ঠ ভাবে বুঝতে পারে, সে সব আয়াতকে মুকতাম বলে । এরূপ ব্যক্তি যে সব আয়াতের অর্থ সুস্ঠরূপে বুঝতে সক্ষম না, সেসব আয়াতকে মু্তাশবিহাত বলে ।
মুকতাম আয়াত গুলো আনুস্রন করবেন । নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, মাতাপিতার প্রতি কর্তব্য, গীবত, অহংকারবীহিন জীবন, মিথ্যা অপবাদ, আমানত রক্ষা, সুদ না খাওয়া ইত্যাদি বিষয় গুলি সহজেই বুঝা যায় ।{” কারো মতে কোরানে এমন আয়াত আছে যাতে ষ্পষ্ট লেখা আছে যে কোরানকে লেখা হয়েছে সহজ সরল ভাষায় যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে ” by Adil vai} । ঐ বিষয় গুলিকেই বুঝানো হয় ।
@ফুয়াদ,
আপনার ব্যাখ্যার জন্য ধণ্যবাদ।
এমন কি কোন গাইড লাইন আছে যাতে বোঝা যায় কোন কোন আয়াত কোন কোন শ্রেনীতে পড়বে? কোনটা রুপক আর কোনটা ষ্পষ্ট? আমার তো মনে হয় না যে এমন কোন কোরান তফসীর আছে যাতে কোন তফসীরকারক এই রূপক আয়াতগুলির কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে রুপক বলে বাদ দিয়েছেন। তারা সব আয়াতেরই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কোনতা রূপক কোনটা ষ্পষ্ট তার শ্রেনীবিভাগে মনে হয় কেউই জাননি।
আর আপনার কোট করা আয়াত দিয়ে বোঝা গেল যে কোরানের কিছু অংশ হল আসল, তাহলে বাকী অংশগুলি যেগুলি রূপক সেগুলির অতটা গুরুত্ত্ব নেই?
আপনার থেকে জানলাম যে যাদের জ্ঞান সুগভীর তারা রুপক বা ষ্পষ্ট সব কিছুতেই ঈমান আনে? আইভি আগে একবার বলেছিলেন যে কোন কিছুই যাচাই বাছাই ছাড়া বিশ্বাস না করতে।
মুকতাম আয়াতগুলি যে পুরো ষ্পষ্ট তাও কিন্তু না। এখন তো দেখছি বেশ কিছু ইসলামবিদ আছেন যারা নামাগ, রোজার মত বেসিক রিচুয়াল নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাদের মতে নামাজ রোজার আসল মানে ভিন্ন।
আমি কিন্তু যে আয়াত কোট করেছিলাম তাতে এই শ্রেনীবিভাগের কথা ছিল না। এই দুটি আয়াত পর পর থাকলে মনে হয় অতটা কনফিঊশন আসত না।
ধর্ম চর্চার মনে হয় একটা বড় সমস্যা হল এক একজনের এক এক রকমের ব্যাখ্যা।
আইভির মতে কিন্তু বোঝা যায় যে কোরানের পূর্নাংগ মানে মনে হয় কখনোই আমরা জানতে পারব না। কারন উনি বলতে চাইছেন যে সময়ের সাথে মানুষ বিজ্ঞানের নুতন নুতন বিষয় জানবে, তখন অনেক আয়াতের মানে যা আগে বোঝা যেত না ভালভাবে বোঝা যাবে। বিজ্ঞানের তো কোন সীমা নেই, মানুষ জেনেই যাবে……যদিও ব্যাপারটা উলটা হলে আর কোনই সমস্যা হত না। নাস্তিকদের থোতা মুখ সহজেই ভোতা হয়ে যেত। মানে, মানুষ কোরান পাঠ করে যদি বিজ্ঞান জানতে থাকত আর কি।
আমি যে শেষ আয়াত কোট করেছি তাতে কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে কোরান আরবী ভাষিদের জন্যই এসেছিল, আমাদের বাংলাভাষিদের জন্য সে হিসেবে অন্য কিতাব আসার কথা। কোরানে কি অমন কথা কোথাও আছে যে সমগ্র মানব জাতির জন্য এই আরবী কোরানই অবশ্য পালনীয়, যা ইসলামবিদরা দাবী করেন?
@আদিল মাহমুদ,
{“এমন কি কোন গাইড লাইন আছে যাতে বোঝা যায় কোন কোন আয়াত কোন কোন শ্রেনীতে পড়বে? কোনটা রুপক আর কোনটা ষ্পষ্ট? আমার তো মনে হয় না যে এমন কোন কোরান তফসীর আছে যাতে কোন তফসীরকারক এই রূপক আয়াতগুলির কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে রুপক বলে বাদ দিয়েছেন” by adil vai}
১
গাইডলাইন আছে বলে আমার জানা নাই, আপনি পড়ে যেটা বুঝবেন, বুঝলেন, যেটা বুঝবেন না রেখে দিয়েন, । এটাই নিয়ম । আর অথবা যারা জ্ঞানী তাদের কছে জিজ্ঞাসা করার নিয়ম (তফসির) । (কত নম্বর আয়াতে আছে ভুলেগেছি) । আর তফসীর বিদরা ও তো ধরেন ভুল করতে পারেন । তাই নয় কি ? ঊপরে তো আইভি আপা তো লেকছেন ঈ ।
তফসির পড়েও যদি না বুঝেন, তাহলে পড়ে যান, বিশ্বস করুন । এই ।
২
আমি অনেক আয়াত বলতে পারবো যার কোন তফসির পাবেন না । যেমন ঃ
“আলিফ লাম মীম ” এই আয়াতের তফসির কেউ দেখাইতে পারবেন ।
{“আইভির মতে কিন্তু বোঝা যায় যে কোরানের পূর্নাংগ মানে মনে হয় কখনোই আমরা জানতে পারব না” by adil vai}
ঠিক, আল্লাহ সুবাহানাতালার কোরান, উনি ঈ সবচেয়ে ভাল বোঝেন । সব জানেন ।
তার পর, তাঁর মননিত ব্যক্তিরা যাকে তিনি যতটুকু ইচ্ছা জ্ঞান দেন । মানুষ তার নিজের জ্ঞান অনুষারে বুঝতে পারে ।
{“কোরানে কি অমন কথা কোথাও আছে যে সমগ্র মানব জাতির জন্য এই আরবী কোরানই অবশ্য পালনীয়, যা ইসলামবিদরা দাবী করেন?”by adil vai}
সূরা ইউনুস আয়াত-৫৭
বাংলা অনুবাদটি কেমন জানি, তাই English টা ও দিলাম ।
@ফুয়াদ,
এই আয়াতে কিন্তু আমি যা জিজ্ঞাসা করেছিলাম তার সরাসরি উত্তর নেই। এই আয়াতে কি আরবী বা কোরানের কথা স্পেসিফিক্যালি বলা হয়েছে? আল্লাহর কাছ থেকে তো শুধু কোরানই নয়, নির্দেশক আরো এসেছে, কয়েকটি আমরা সবাই জানি। আমার তো মনে হয় আরো অনেক এসেছে, তাই তো আল্লাহই বলেছেন যে তিনি সব জাতির কাছে তাদের নিজ ভাষায় গ্রন্থ ও নবী রসূল পাঠিয়েছেন। আয়াতটা আগে কোট করেছিলাম। “Revelation leads mankind from the depths of darkness into light. It comes to every age and nation in its own language. So was it before; so is it always”
It comes to every age and nation
এতে কি বোঝা যায়?
লেখাটা পড়ার পরে, ছোট বেলায় সোনা কালিদাস পন্ডিতের বাবার গল্পটা মনে পড়ে গেল। আপনাদেরকে বলি, আপনাদেরো মনে পড়বে। রাজ দরবারে কালিদাস পন্ডিতেরমর্জাদা বৃ্দ্ধিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অন্য সভাসদেরা রাজাকে পরামর্ষ দিলো যে কালিদাস এত বড় পন্ডিত, তার বাবা নাজানি কত বড় পন্ডিত। তাকে রাজ দরবারে ডাকা হোক। তার পান্ডিত্ত্ব দর্শনে সকলে ধন্য হোক। কালিদাসের বাবা ছিলেন কালিদাসের বিপরীত। কালিদাস ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পারলেন। তাই দ্রুত বাড়ী গিয়ে বাবাকে প্রশিক্ষন দিলেন যে তিনি যেন রাজদরবারে গিয়ে ভগবান, কৃষ্ণ ও রাম নাম জপ করা ছাড়া আর কিছুই উচ্চারন না করেন। তো কালিদাসের বাবা পাছে ভুলে না জান সে জন্য পুরো পথ এই তিনটা শব্দ মুখস্ত করতে করতে চললেন।এই সময় হঠাৎ একটা ব্যাং পাশের পুকুরে ঝাপিয়ে পড়ার শব্দে কালদাসের বাবার মনোযোগ গেল ছুটে। রাজ দরবারে পোছেতে আর বেশি বাকি নাই, অথচ কিছুতেই তিনি আর শব্দ তিনটা মনে করতে পারছিলেন না। অনেক চেষ্টার পর যা তিনি মনে করতে পেরেছিলেন তা উচ্চারন করলে যা দাড়ায় তা হলো -ভকর-। সুতরাংভকর, ভকর করতে করতেই তিনি রাজ দরবারে প্রবেশ করলেন। তাকে যে প্রশ্নই করা হচ্ছিলো উত্তরে সে কেবল এই শব্দটাই বলে যাচ্ছিলো। পরে সবাই মিলে কালিদাস কে ধরলো এর মানে কি তা ব্যাখ্যা করার জন্য। কালিদাস বললো, তার বাবা ভগবান, কৃষ্ণ ও রাম থেকে অদ্যাক্ষর নিয়ে জপের সুবিদার্থে এই শব্দটি উদ্ভাবন করে নিয়েছেন। চারিদিক থেকে সাধু সাধু রব পড়ে গেল।
আমাদেরকে কোরানের অর্থ ও ব্যাখ্যা ঐ সময় পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে যে পর্যন্ত না চারিদিকে সাধু সাধু রব পড়ে যায়।
@আতিক রাঢ়ী,
খাসা বলেছেন। 😉 এরাও চালিয়েই যাবে।
now i want comment about this from mr. akas malik
এডমিন,
আমার লেখার পুরোটা প্রকাশ পায়নি। অনুগ্রহ করে ঠিক করে দেবেন।
ধন্যবাদ।
@ivy,
আপনার লেখা ঠিক করে দেয়া হল। লেখাটি ভুল বশতঃ দু বার পোস্ট করা হয়েছিল। যে লেখাটিতে পাঠকেরা ইতোমধ্যেই কমেন্ট করেছেন, সেটি রেখে অপরটি মুছে দেয়া হল।
অনেক ধন্যবাদ।