কাহনঃ বাংলা আবৃত্তি আর বাক শৈলী
ক্যাথেরীনা রোজারিও কেয়া
পর্ব ৩
এক সময়ে বাংলা একাডেমির বই মেলায় প্রচুর আবৃত্তির ক্যাসেট প্রকাশিত হতো। আর তাতে মুলত প্রেম ভিত্তিক কবিতাই থাকতো। নারী কণ্ঠের আবৃত্তি মানেই ‘তুমি আজ বড় বেশী সিগারেট খাচ্ছো শুভংকর’ জাতীয় অতি নাটকীয় মেয়েলী গলায় আবৃত্তি হতো। নারীকণ্ঠের আবৃত্তি সেই বুহ্য থেকে বেরুতে পেরেছে কিনা জানি না তবে বিশাল প্রভাব ফেলেছে বাংলা আবৃত্তির নতুন শ্রোতাদের ওপর। ৮০, ৯০ দশকে মজা করে বলা হোত আবৃত্তিকার তিন ধরনের, টেলিভিশনের আবৃত্তিকার, ক্যাসেট আবৃত্তিকার আর বিপ্লবী আবৃত্তিকার। শেষের দলটি ছিলো ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রীক। রাজনৈতিক আন্দোলনের সহায়ক শক্তি হিসেবে এই সব আবৃত্তিকার এবং সংগঠনের অবদান যথেষ্ট। এই নিয়ে কোন আরেকদিন লেখার ইচ্ছে রইলো।
এবারে আসুন আবৃত্তির শৈ্লী বা স্টাইল নিয়ে কিছু আলোচনা করি। শম্ভু মিত্রের আবৃত্তির ধরন কিন্তু গোলাম মোস্তাফার চেয়ে এক্কেবারেই ভিন্ন, ভিন্ন ইদানিং কালের আবৃত্তিকার উৎপল কুন্ডুর আবৃত্তির ধরন। কেউ জোর দিচ্ছেন শব্দে, কেউ ছন্দে, কেউ ভাবে। কিন্তু সকলেই স্বতন্ত্র। তাই আপনিও হোন আপনার স্বতন্ত্র ধারার শিল্পী, কারো মতন করে নয় নিজর মতন করেই করুন আবৃত্তি। আসলে দেখতে হবে ফরম আর কন্টেন্টের ব্যাপারটি। আপনি ১২ টা লাল বল তিন কোনা একটা ফ্রেমে আটকাতে পারেন আবার পারেন চারকোনা একটা ফ্রেমে। আপনি বলের রঙ গুলোতে আমল দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন। প্রাধান্য দিতে পারেন ফ্রেমে অথবা বল গুলোতে। ধরা যাক, আপনি আবৃত্তি করছেন মল্লিকা সেন গুপ্তের কবিতা “আমার চোখে তার দুচোখ বিঁধে গেল সৃষ্টি থেমে গেল অকস্মাৎ”। আপনি এই ৩-৩-৫ ছন্দে লেখা কবিতা টা ছন্দ বাচিঁয়ে শুধু তালেই পড়বেন নাকি কি তাল ভেঙ্গে দিতে “বিঁধে গেল” আর “অকস্মাৎ” এই দুটো শব্দকে বাঙ্ময় করে তুলবেন, তাকে চরিত্র দেবেন?
কবিরা কিন্তু ছন্দের ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন মনে করেন, আবৃত্তিকার হিসেবে আপনি কিন্তু ছন্দ ভাংতেও পারেন আবার মেনে নিয়েও কবিতাটি পড়তে পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেনো কবিতার অর্থ্যের কোনো তারতম্য না ঘটে। ওই যে বললাম, লাল বল গুলোতে প্রাধান্য দেবেন নাকি ফ্রেমে। ছন্দ জ়েনে রাখা ভাল কেননা কিছু কবিতা ছন্দ মেনে পড়লে তা শুনতে বেশ মনকাড়া হয়। ছন্দের কিছু ধারনা দেয়া যায় এই ভাবে যে, কবিতায় যতি থাকে নিয়ন্ত্রিত। তাই দুই যতির মধ্যে নির্দিষ্ট মাপের পর্ব থাকে। পর্ব মাপার মাধ্যম হচ্ছে “ মাত্রা”। মাত্রা কি? সবচেয়ে ছোটো ধ্বনি উচ্চারন করতে যেটুকু সময় লাগে তাকে বলা হয় মাত্রা।
ছন্দ মুলত তিন ধরনের। ছড়ায় ব্যবহার করা যে ছন্দ তা হোল শ্বাসঘাত প্রধান। ছড়ার ছন্দের পর্ব এর মাত্রা সবসময় কিন্তু চার। ছড়ার পর্ব এর প্রথম অক্ষরে একটা ঝোক পড়ে। এই ছন্দে গোনা হয় স্বরের সঙ্খ্যা। যত স্বর তত মাত্রা। এর জন্যে এর নাম স্বর বৃত্ত ছন্দ। এর আগে আমরা যে বললাম অক্ষরের মাত্রা সঙ্খ্যা গোনা হয় ধ্বনি উচ্চারণের সময়কে কেন্দ্র করে। এই স্বরবৃত্ত ছন্দে কিন্তু এই নিয়ম মানা হয় না। কবি ইচ্ছে মত শব্দকে এক মাত্রা বা দু’মাত্রা করেন। এই কারণে নানা ছড়া পড়ার সময় আমরা শব্দকে টেনে লম্বা করি বা সঙ্কুচিত করি। উদাহরণ দেই—
যমুনাবতি / স্বরসতী/ কাল যমুনার বিয়ে/
যমুনা যাবেন/ শ্বশুর বাড়ী/ কাজী তলা দিয়ে/
এই দু’লাইনেই চারের পরিবর্তে পাঁচ পর্ব রয়েছে তাই ছড়ার মজাটা পেতে চাইলে যমুনা বতীর পরিবর্তে পড়তে হবে “যম্না বতী”। যমুনা নয়।
দ্বিতীয় ধরনের ছন্দ কে বলা হয় মাত্রাবৃত্ত। এতে সংস্কৃত ছন্দের প্রভাব বেশি। সংস্কৃতে ধ্বনির মাত্রা মুল্য নির্ধারিত। উদাহরণ দেই-
ঊঁচা ঊঁচা/ পাবত তহি /বসই সবরী /বালী। এখানে ঊঁচা ঊঁচা কে দুই মাত্রা পড়তে হবে ছন্দের খাতিরে। এই ধরনের ছন্দে একটা সুর আসে। যারা নতুন চর্চা শুরু করলেন তাদের জন্যে এই ধরনের কবিতা আবৃত্তির জড়তা দূর করতে এবং স্বরযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ সহায়ক।
বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশী কবিতা লেখা হয়েছে পয়ার ছন্দে। এটিকে অক্ষর বৃত্তও বলা হয়। এটি তৃ্তীয় ধরনের ছন্দ। এই ছন্দ বেশ ধীর তালে চলে। এই ছন্দে কবিতার ভাবকে চলতে হয় ছন্দ যতির সাথে তাল মিলিয়ে। এই ছন্দে ব্যাঞ্জন গুলো কখন দু মাত্রা আবার কখন এক মাত্রা। উদাহরণ দেয়া যায়-
শুন বাছা রাম/ মনোগত
এ মায়ের আশা /ছিল যত
এটি ৬+৪ দশ মাত্রা। এই ছন্দে নতুন রূপ আনলেন, ৮ আর ৬ মাত্রায় লিখলেন মাইকেল মধুসুদন।
ছন্দ চর্চা সময় সাপেক্ষ। আগ্রহী হলে এই বিষয়ে ব্যাপক পড়াশুনোর সুযোগ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ছন্দের প্রকৃতিতে বলেছিলেন “কাব্ব্য পড়তে গিয়ে যদি অনুভব করি যে ছন্দ পড়ছি, তাহলে সেই প্রগল্ভতা ছন্দকে ধিক্কার দেবে।”
তাই বলি আগে কবিতার ভাব প্রকাশই মুখ্য হলে আবৃত্তির অনেক খানি এগিয়ে যায়।
ছন্দের প্রসঙ্গ যখন আসলো তখন উচ্চারনের বিষয়টা ও এখানেই আলোচনা করি। উচ্চারণের সুত্র আছে। সব তো জানা সম্ভব নয়, তাই প্রধাণ একটা বলি যা কিনা আমাদের প্রায়ই কাজে লাগে। শব্দের শুরুতে যদি “অ” থাকে বা ব্যাঞ্জন যুক্ত “অ” থাকে যেমন ক+অ=ক খ্+অ= খ। তবে সে “অ” এর উচ্চারন “ও” এর মতন হয়। যেমন অভিধান এর উচ্চারন হবে ওভিধান, অভিমান হবে ওভিমান, অনুকুল হবে ওনুকুল।
ঠিক একি ভাবে যদি “অ” এর পরে য ফলা থাকে তাহলে “ও” কারের মতন উচ্চারণ হয়। অন্য এর উচ্চারণ হবে ওন্য, বন্যা র উচ্চারন হবে বোন্যা, তথ্য এর উচ্চারন হবে তোথ্য। ব্যতিক্রম হোল বন্ধ্যা, অন্ত্য। এগুলো কিন্তু বোন্ধ্যা বা ওন্ত্য নয়।
ক্ষ থাকলে অ এর উচ্চারন ও এর মতন হয়। অক্ষ এর উচ্চারন হবে ওক্ষ।
সাধু ভাষার শব্দ চলিত ভাষায় আসলে অ এর উচ্চারন “ও” এর মতন হয়। মরিবার হয়ে যাবে মোরবার। ব্যতিক্রম হোল “হইবো” কখন ও “হোব” হবে না “হবো” হবে। একাক্ষর শব্দের প্রথমে “অ” থাকলে আর পরে “ন” থাকলে ও কারের মতন হয়। যেমন, “মোন” বোন।”
তিন বর্ণে তৈরী শব্দে অ এর আগে যদি অ, আ, এ বা ও কার থাকে তাহলে অ এর উচ্চারন “ও” হয়। কলোস, রতোন, ওজোন, ইত্যাদি।
এবারে মজার কথাটা বলি, ওই যে শব্দের আগে “অ” টা যদি “না “অর্থে বা “সহিত” অর্থে বসে তখন কিন্তু এই “ও” সুত্র আর খাটবে না। অমর শব্দের অর্থ হলো যার মৃত্যু নেই। ( না অর্থে) আগের সুত্র অনুযায়ী হওয়া উচিত ছিল “ওমর”। তা না হয়ে কিন্তু অমরই থাকবে। জল সমেত অর্থাত সজল এর উচ্চারণ সোজল না হয়ে হবে “সজল” যেহেতু সমেত অর্থে ব্যবহার হচ্ছে।
শব্দ কে কিন্তু চরিত্র দেয়া যায়। আমরা কারো কারো কথা মন দিয়ে শুনি, মনে করি, মনে রাখি। শুধু কি তারা কি বললেন তার জন্যেই, নাকি কেমন করে বললেন এর জন্যেও আমাদের মনে দাগ কাটে?
আমার আঞ্চলিক ভাষার প্রতি প্রচন্ড মমত্ববোধ রয়েছে কিন্তু সেই সাথে মনে হয় প্রমিত বাংলাটাও জানা প্রয়োজন। আবৃত্তির জন্যেই শুধু নয়, সুন্দর করে বাংলা বলে দেখুন কি ভীষণ ভাল লাগবে নিজেরই। প্রতিদিন কত না ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, কথ্য বাংলার আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে মন কাড়া মিষ্টি বাংলা শব্দগুলো। কি দুঃখের কথা! আমি লিখিত বা রাবীন্দ্রিক বাংলার কথা বলছি না , বলছি কথ্য বাংলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রমিত বাংলা ব্যবহারের চর্চার কথা।
আমার খুব ভাল লাগে, এই কথাটি বলা যা ভীষণ ভাল লাগে, দারুণ ভাল লাগে, অসম্ভব ভাল লাগে, অকল্পনীয় ভাল লাগে। দেখুন না খানিকটা চর্চা করে কেমন লাগে।। যদিও পরিবেশের সাথে আপনাকে খাপ খাওয়াতে হবে সত্যি, কিন্তু আপনিও তো পারেন পরিবশে তৈরী করতে অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে।।
আমি শব্দে চরিত্র দেয়ার চেষ্টা করি, অনেক গুলো গাছ বলতে গিয়ে গাছের “আ” টাকে প্রলম্বিত করি। তাতে আমার আশে পাশের মানুষ মুখ টিপে হাসে, আমি লক্ষ্য করি। কিন্তু ভাবি এই আমার ইচ্ছের স্বাধীনতা, বাংলা যদি আমারি ভাষা হবে তাকে আমি জমকাল সাজাবো, গুছিয়ে রাখবো, আটপৌরে করে রাখবো। কিন্তু হারাতে দেব না। অনেকে বলেন আমার ভাষা আমি বলব যেমন খুশি তেমন বলব। বলব, কিন্ত সেই সাথে দেখব তার অসম্মান যেন না হয়।
মুল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। মাইক্রোফোনের ব্যাবহার জানা একান্ত প্রয়োজন। বাবাদের সময়ে মাইক্রোফোনের চল ছিল না। যারা মাইক ছাড়া দর্শকের কাছে পৌঁছুতে পারত না তাদের মাইক চাটা কণ্ঠ বলে হেয় করা হত। যা হোক এ যুগে মাইক্রোফোন বিশেষ সহায়ক। তাজ বা রয়েলের মাইক্রোফোনের সাথে রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারের মাইকের বিশাল পার্থক্য আছে। আপনি খোলা মঞ্চে যে ভাবে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন প্রসেনিয়ামে করবেন আরো পরিমিত ভাবে।
মাক্রোফোন মুখের ডান অথবা বাঁদিক বরাবর রাখুন, ঠোঁট বরাবর নয়। মাইক্রোফোনের সাথে মুখের দুরত্ব রাখুন এক বিঘত পরিমান। এটি একটি প্রচলিত মাপ।
মাইক্রোফোনে শব্দ পৌঁছুতে যদি মাথা ওপরে তুলে ধরতে হয় অথবা নামাতে হয় তবে এর অবস্থান ঠিক নেই। কণ্ঠ বিকৃত আসবার সম্ভাবনা আছে। প, ফ, ব, ভ সহশব্দ বলবার সময় মুখটা মাইক্রোফোনের থেকে সরিয়ে ফেলুন। হাতে যদি স্ক্রীপ্ট থাকে লক্ষ করুন তার জন্যে যেন আপনার মুখ ঢেকে না যায়। স্ক্রিপ্টের ক্লিপ আগেই খুলে রাখুন।। যাতে পাতা ওল্টানোর আওয়াজ না আসে।
আপনি যখন মঞ্চে উঠবেন আপনার কণ্ঠ শোনার সঙ্গে আপনাকেও দেখছে মানুষ। বিশেষ কিছু করবেন না যাতে আপনার কণ্ঠকে মলিন করে। আমি একজন কে জানি যিনি লাল একটা টুপি পড়ে মঞ্চে উঠতেন, আমি একজন কে জানি যিনি কাঁধে ব্যাগ নিয়ে উঠে পরতেন মঞ্চে।। দর্শকের চোখ সেই ব্যাগ আর টুপি ছাপিয়ে কণ্ঠ অবধি কখন পৌঁছুতো, বা আদৌ পৌঁছুতো কিনা জানি না।
একটা কথা বলি আজ এই ব্যাস্ততার সময়ে কেউ যদি আপনার কথা আবৃত্তি শুনতেই চায় তাহলে তাকে ভাল কিছু শোনানো আপনার অবশ্য কর্তব্য। এটা ভাববার কোন কারণ নেই দর্শক আপনার কাছে কোন কারনে দায়বদ্ধ তাই যা কিছু গেলানো সম্ভব। আমরা মনে করি যিনি অভিনয় করেন অথবা গান গান তারা সকলেই আবৃত্তি করতে পারবেন। তাই তো দেখি অনেকেই কোন মহড়া ছাড়াই বই হাতে উঠে পরেন মঞ্চে। যেন শুদ্ধ করে বাংলা বলতে পারলেই আবৃত্তি করা যায়। অনেক বড় বড় আবৃত্তিকার আছেন মঞ্চে মেরে দেবার প্রবনতা যাদের। কিন্ত যে কোন শিল্পের মত মহড়া ছাড়া আবৃত্তি নিয়ে মঞ্চে ওঠা আবৃত্তি শিল্পের অবমাননা বৈকি।
শেষ কথা, আবৃত্তি বিষয়ী এই লেখাটি যদি আপনাদের আগ্রহী করে তোলে তবে শুনুন না কিছু আবৃত্তির ক্যাসেট। শুনুন কাজি নজরুল ইসলাম কাজি সব্যসাচী, উৎপল দত্ত, দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায়, প্রদীপ ঘোষ, শিশির ভাদুড়ী, গোলাম মোস্তফা, ইকবাল বাহার চৌধুরীর ক্যাসেট সহ ইদানিং কালের আবৃত্তিকারদের আবৃত্তির ক্যাসেট। তবে আমি জোর দেব পুরনো আবৃত্তির সংগ্রহের ওপর। আমি স্মৃতি তাড়িত হতে বলছি না , কিন্তু স্মৃতি বিবর্জিত হলে কিন্তু ঐতিহ্যহীন হতে হয়। আজ এ পর্যন্তই। আবৃত্তির কাহন এখাকেই ক্ষান্ত দিলাম।
তথ্যসূত্রঃ
লেখাটার জন্যে সাহায্য নিলাম আবৃত্তি বিষয়ক পত্রিকা ছন্দনীড়ের ১০, ১৩, ১৯ সংখ্যার আবৃত্তি বিষয়ক পত্রিকা বাল্মিকির ১ এবং ২ সংখার এবং আবৃত্তি তীর্থের ১৯৯৭ উৎসব সংখ্যার।
আরো সহায়ক হলো ডঃ অমিতাভ ভট্টাচার্যের স্বরের উৎস সন্ধানে , বিমল কান্তি ভট্টচার্যের্যর প্রসঙ্গ কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি -প্রাচীন গ্রীস, ডঃ অরুন বসুর আবৃত্তির সংজ্ঞা কি? প্রদীপ ঘোষের আবৃত্তি শিল্পের স্বাতন্ত্র ও গণসংযোগ, A I Heigh এর Tragic Drama of Greece বই গুলো পড়ে।
আবৃত্তির উপর আর লিখলেন না ?
ক্যাথেরীনা কেয়া শুধু একজন আবৃত্তিশিল্পীই নন, আবৃত্তিবিজ্ঞানীও। স্বর, মাত্রা, উচ্চারণ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম, যা আগে জানতাম না। কেয়াকে ধন্যবাদ শিক্ষনীয় এই লেখাটা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখার জন্য।
আবৃত্তির খুঁটিনাটি না জানলেও আমি আবৃত্তি উপভোগ করি। এই লেখাটা পড়ে মনে হলো শ্রোতাদেরও আবৃত্তির কলাকৌশল সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান থাকা দরকার, হয়তো আবৃত্তি তাতে আরো বেশি উপভোগ্য হবে।
ইয়ে একটা ক্ল্যারিফিকেশন দেবার ছিলো। ডঃ রোজারিও কেয়ার আবৃত্তির সংকলনের চমৎকার পাতাটি মুক্তমনায় সাজিয়েছেন আমাদের মডারেটর ফরিদ আহমেদ। প্রোগ্রামিং এর ছোট্ট এক বাগের কারণে মুক্তমনা এডমিনের প্রোফাইলের ছবিটা আমার প্রোফাইলের সাথে লটকে গ্যাছে :clown: ! কষ্ট না করেই কিভাবে ক্রেডিট পাওয়া যায় এটা তার একটা দৃষ্টান্ত।
যাহোক, ফরিদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ কেয়ার আবৃত্তির পাতাটি এত চমৎকার করে সাজানোর জন্য। আমি কবিতা অত শত বুঝি না, কিন্তু কেয়ার আবৃত্তি যে অসাধারণ সেটা বুঝতে বোধ হয় রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগে না। আমার প্রিয় কবিতাটা এখানে পেস্ট না করে থাকতে পারলাম না 😀 । এই আবৃত্তি বোধ হয় বারে বারে শোনার মতই।
আগ্রহী শ্রোতারা, যারা ক্যাথেরীনার আবৃত্তির সিডি “একজন অনিমেষে আজো জেগে আছে”-র কবিতাগুলো এমপিথ্রিতে শুনতে ইচ্ছুক তারা এখানে ক্লিক করুন।