ঈশ্বর কী আছে? ক্রেইগ-ফ্লু বিতর্ক
ফরিদ আহমেদ
ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে হইহল্লা এবং ঝগড়া ফ্যাসাদ আস্তিক এবং নাস্তিকেরা করে আসছেন সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই। আস্তিকেরা যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে সাফাই গেয়ে গেছেন গদগদ ভক্তিভরে, ঠিক একইভাবে নাস্তিকেরাও দ্বিধাহীন চিত্তে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন সেই সর্বশক্তিমানকে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ঈশ্বর যদি সত্যি যদি থেকে থাকেন, তবে একমাত্র তিনিই পারেন এই বিতর্কের উত্তপ্ত আগুনে জল ঢেলে দিতে। কিন্তু অসীম শক্তিমান ঈশ্বরের মনে হয় সেই আগ্রহটুকু বিন্দুমাত্রও নেই।
সুপ্রাচীনকালে মানুষের জন্যে কিছু রূপক গ্রন্থ টুপ করে মর্তধামে ফেলে দিয়ে তিনি যে কোথায় অদৃশ্য হয়েছেন কে জানে। তন্ন তন্ন করে হারিকেন দিয়ে খুঁজেও তার টিকিরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না আর কোথাও। এতে অবশ্য বিশ্বাসীদের তেমন কোন সমস্যা নেই। তিনি থাকলেও তারা বিশ্বাস করবে যে তিনি আছেন, না থাকলেও তিনি আছেন বলেই বিশ্বাস করে যাবে তারা। যত সমস্যা ওই গোড়া নাস্তিকদের নিয়ে। জ্বলন্ত প্রমাণ ছাড়া আর কোন কিছুতেই বিশ্বাস নেই তাদের। তবে নাস্তিকদের ক্ষেত্রে একটা সুবিধা হচ্ছে যে, তারা আস্তিকদের মত ঈশ্বর না বিশ্বাসে অন্ধের মত আটকে নেই। ঈশ্বরে না বিশ্বাস মূলত ঈশ্বরের স্বপক্ষে প্রমাণের অভাবের কারণে হয়েছে। কাজেই, কোন এক শুভক্ষণে যদি ঈশ্বরের সুমতি হয় এবং তিনি ভাবেন যে, যাই একটু দেখা দিয়ে আসি নাস্তিক ব্যাটাদের। ওরা নাকি বড় গলায় বলে বেড়ায় আমি নেই। এখন দেখুক আমি আছি কি নেই। আমি সত্যি কি মিথ্যা। সেক্ষেত্রে আমার ধারনা, কোন নাস্তিক, তা সে যতই গোড়া নাস্তিক হোক না কেন, কোনরকম আর গাঁইগুই করবে না ঈশ্বর নেই বলে। প্রমাণ প্রমাণ বলেইতো যত চেঁচামেচি তাদের। কাজেই ঈশ্বরকে চাক্ষুস দেখার পর নিশ্চয়ই আর কোন প্রমাণ বাকী থাকবে না তাদের কাছে।
তবে কথা হচ্ছে যে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের এই সামান্য সদিচ্ছা এবং সুমতির অভাবের কারণেই তার অস্তিত্ব বিষয়ক বিতর্ক এখনো কই মাছের মতো জিইয়ে আছে মানুষের মধ্যে। যত্রতত্র আস্তিক এবং নাস্তিকেরা অদৃশ্য ঈশ্বরকে নিয়ে গলা ফাটিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে যাচ্ছে অহরহ। কিন্তু এই বিতর্ক খুব কম সময়ই সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় সমান সুযোগ সুবিধা নিয়ে সমতল ভূমিতে হয়েছে। যে যার মত নিজের আঙ্গিনায় লম্ফঝম্প করে চলেছেন আস্তিক এবং নাস্তিকেরা। আস্তিকেরা তাদের বিপুল সংখ্যাধিক্য এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আনুকূল্য পেয়ে ইতিহাসের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই নাস্তিকদেরকে বেশ একহাত নিয়ে ছেড়েছে। অন্যদিকে, সংখ্যায় কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞান এবং যুক্তিবিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে নাস্তিকেরাও কম ঘোল খাওয়ায়নি আস্তিকদের, কম নাজেহাল করেনি বেচারাদের।
সুনির্দিষ্ট কাঠামোর উপর ভিত্তি করে কোন বিতর্কই যে েকেবারেই হয়নি তা অবশ্য নয়। এরকমই এক বিতর্কের আয়োজন করেছিল বিবিসি ১৯৪৮ সালে, ফাদার ফ্রেডারিক কপলস্টোন এবং দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের মধ্যে। রাসেল-কপলস্টোন বিতর্ক নামে তা বিখ্যাত। এই বিতর্কের পঁঞ্চাশ বছর পুর্তি উপলক্ষে ১৯৯৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি নেই সেই বিষয়ে এক একাডেমিক বিতর্কের আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন। বিতর্কে অংশ নিতে সম্মতি জানান ট্যালবট স্কুল অব থিওলজীর রিসার্চ প্রফেসর উইলিয়াম লেইন ক্রেইগ (William Lane Craig) এবং ইউনিভার্সিটি অব রেডিং এর দর্শনের এমেরিটাস প্রফেসর এন্টনি ফ্লু (Antony Flew)। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের প্রায় প্রায় চার হাজার ছাত্র এবং শিক্ষক এই বিতর্ক উপভোগ করে। এই বিতর্কের মডারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর কীথ ইয়ানডেল (Keith Yandell)।
চার ধাপের সহজ সরল ফর্ম্যাটে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিতার্কিকের জন্য বিশ মিনিট করে বরাদ্দ করা হয় সূচনা বক্তব্যের জন্য। পরবর্তীতে বারো মিনিট করে বরাদ্দ করা হয় সূচনা বক্তব্যের উপর মন্তব্য করার জন্য। এর পর আট মিনিট করে দেয়া হয় সেই বক্তব্যকে খণ্ডন করার জন্য এবং পাঁচ মিনিট করে দেয়া হয় তাদের বক্তব্য সমাপ্ত করার জন্য। সব শেষে আধাঘন্টা সময় আলাদা করে রাখা হয় প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য।
আমার ভয়াবহ অপছন্দের কাজের মধ্যে অনুবাদ অন্যতম। পারতপক্ষে কোন ধরনের অনুবাদ করার কোন ইচ্ছাই কখনো আমার হয়নি। বড্ড গ্যাড়াকলের কাজ এই অনুবাদ। অনেক হ্যাপা এর। আমার মত আলসে মানুষের জন্যে সে হ্যাপা আরো বেশি। ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়। কথাটা যে সত্যি না তা নিজেকে দিয়ে বুঝতে পারছি। একবার অভির পাল্লায় পড়ে বেলতলায় গিয়েছিলাম। মাইকেল শারমারের একটি প্রবন্ধ অনুবাদ করেছিলাম। সে যে কি দুঃসহ যাতনা, সে আমি জানি। তারপরই পণ করেছিলাম যে এই রাস্তায় আর নয়। কিন্তু সেই পণ ভেঙে আবারো বেলতলার রাস্তায় হাঁটা ধরেছি আমি। আগেরবার না হয় অভিকে গালমন্দ করে মনের ঝাল মেটানো গিয়েছিল। এবার আর সে সুযোগও নেই। স্ব-ইচ্ছায় কর্ম যে।
অনুবাদের ক্ষেত্রে আমি মুক্ত পথ বেছে নেবার চেষ্টা করেছি। বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে বিতর্কটি মিহি, কোমল এবং মসৃনভাবে উপস্থাপনার জন্য যতখানি স্বাধীনতা নেবার প্রয়োজন বলে মনে করেছি ততখানিই নিয়েছি আমি। তারপরও লেখাটি কোথাও নিরস বা কাঠখোট্টা মনে হলে নির্দ্বিধায় আপনারা আপনাদের মন্তব্য জানাতে পারেন। আপনাদের সুচিন্তিত পরামর্শ পেলে আমার পক্ষে অনুবাদ কর্মটিকে গতিশীল, পেলব, সহজবোধ্য এবং আকর্ষনীয় করা সহজতর হবে।
পর্ব – ১
প্রফেসর ক্রেইগের সূচনা বক্তব্য
শুভ সন্ধ্যা! অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কপলস্টন – রাসেলের (Copleston–Russel) বিখ্যাত বিতর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার সুযোগ করে দেবার জন্যে। ডক্টর ফ্লুর সাথে আজ রাতে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিতর্ক করতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ সম্মানকর।
প্রফেসর উইলিয়াম লেন ক্রেইগ
ঈশ্বর কি আছে না নেই তা যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্তে আসতে গেলে আমাদেরকে যুক্তিবিদ্যার মৌলিক নিয়মানুযায়ী অনুসন্ধান করা দরকার এবং নিজেদেরকে দু’টো মৌল প্রশ্ন করা প্রয়োজন (১) ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ আছে কি? এবং (২) ঈশ্বর না থাকার ব্যাপারে শক্তিশালী কোন যুক্তি আছে কিনা?
দ্বিতীয় প্রশ্নটা আমি ডক্টর ফ্লুর উপরই ছেড়ে দেব। কেন তিনি মনে করেন যে ঈশ্বর নেই, সেই কারণসমূহ উপস্থাপনা করার জন্য। কিন্তু একটা জিনিষ খেয়াল করে দেখবেন, যদিও নাস্তিক দার্শনিকেরা শত শত বছর ধরে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব প্রমাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু কেউই এখন পর্যন্ত ফলপ্রসু কোন যুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন নাই। কাজেই হাওয়ায় তলোয়ার না ঘুরিয়ে আমি বরং দেখি ‘ঈশ্বর নেই তার স্বপক্ষে কি কি যুক্তি আছে?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ডক্টর ফ্লু কী বলেন।
আসুন, তাহলে আমাদের প্রথম প্রশ্ন ‘ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে কি কি যুক্তি আছে?’ সেটা নিয়ে আলোকপাত করি। আস্তিকতা কেন নাস্তিকতার চেয়ে যুক্তিসঙ্গত সে বিষয়ে পাঁচটি যুক্তি বা কারণকে আজকে আমি উপস্থাপনা করবো। এর একেকটিকে নিয়েই গোটা গোটা বই লেখা হয়েছে। কাজেই আমি এখানে সেগুলোকে সংক্ষেপে আলোচনা করবো এবং সেগুলোর বিষয়ে ডক্টর ফ্লুর মতামত পাবার পর বিস্তারিত আলোচনায় যাবো হয়তো। এই যুক্তিগুলো একে অন্যের থেকে স্বাধীন এবং আলাদা। কিন্তু যখন সবগুলোকে একসাথে সমন্বিত করা হয় তখন তারা সমষ্টিগতভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে শক্তিশালী কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১. মহাবিশ্বের সূত্রপাত
কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে, এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এসেছে? নিঃসীম শূন্যতার বদলে কেন সব কিছু বিদ্যমান? নাস্তিকেরা সাধারণত বলে থাকেন যে, মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে আছে এবং কোন রকম কারণ ছাড়াই তৈরি হয়েছে। রাসেল যেমন কপলস্টনকে বলেছিলেন, ‘মহাবিশ্ব সবসময়ই বিদ্যমান ছিল, এর বাইরে আর কোন কথা নেই, ব্যাস’। কিন্তু এটাই কী আসল বাস্তবতা? মহাবিশ্বের যদি কোন সূচনা না থেকে থাকে তাহলে বলতে হবে যে মহাবিশ্বের অতীত ইতিহাসের ঘটনাসমূহর পরিমাণও অসীম। কিন্তু গণিতবিদরা দেখিয়েছেন যে, সত্যি সত্যি অসীমের উপস্থিতি আমাদেরকে স্ববিরোধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।। উদাহরণস্বরূপ, অসীম থেকে অসীমকে বিয়োগ করলে কি থাকে? গাণিতিকভাবে আপনি পরস্পরবিরোধী উত্তর পাবেন। এর অর্থ হচ্ছে অসীম কোন বাস্তবতা নয় বরং এটা মূলত আমাদের মস্তিষ্কের একটি ধারণা মাত্র। এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম গণিতবিদ ডেভিড হিলবার্ট বলেন যে, ‘বাস্তবে কোথাও অসীমকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা প্রকৃতিতেও নেই, আবার যুক্তিসঙ্গত চিন্তার বৈধ ভিত্তিও জোগান দেয় না……… অসীমের জন্য যে ভূমিকাটি পড়ে থাকে তা হচ্ছে একমাত্র ধারণা’। কিন্তু এর অর্থ দাড়াচ্ছে যে, যেহেতু অতীত ঘটনাসমূহ ধারণা নয় বরং বাস্তব, কাজে অতীতের ঘটনাসমূহ অবশ্যই সসীম হতে বাধ্য। ফলে, অতীতের ঘটনাসমূহ অতীতের দিকে অনন্তকাল পর্যন্ত যেতে পারে না। বরং, বিশ্বজগত কোথাও না কোথাও থেকে শুরু হয়েছে।
এই উপসংহার এস্ট্রোনমি এবং এস্ট্রোফিজিক্সের অসাধারণ সব আবিস্কার দিয়ে সমর্থিত হয়েছে। এস্ট্রোফিজিক্যাল প্রমাণসমূহ ধারণা দেয় যে এই বিশ্বজগত ১৫ বিলিওন বছর আগের মহা বিস্ফোরণ ‘বিগ ব্যাং’ থেকে সূত্রপাত হয়েছে। সময় এবং স্থানসহ বিশ্বজগতের সকল পদার্থ এবং শক্তিও তৈরি হয়েছে ওই ঘটনা থেকেই। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, জোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল যেমন বলেছেন, বিং ব্যাং তত্ত্ব এই মহাবিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হয়েছে সেই ধারণাকে সমর্থন করে। এর কারণ হচ্ছে যে, আপনি যখন সময়ের বিপরীতে যেতে থাকেন একটা পর্যায়ে যেয়ে হোয়েলের ভাষ্য অনুযায়ী ‘বিশ্বজগত সংকুচিত হতে হতে শূন্যতে পরিণত হয়ে যায়’। অর্থাৎ বিগ ব্যাং মডেল অনুযায়ী বিশ্বজগত কোন এক সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল এবং তা তৈরি হয়েছিল শূন্য থেকে।
এই বিষয়টা নাস্তিকদের জন্য খুবই বিব্রতকর। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এন্থনি কেনি (Anthony Kenny) আবেদন জানিয়েছেন এই বলে যে, ‘বিং ব্যাং এর সমর্থক কেউ যদি নাস্তিকও হয়, তাহলেও তাকে বিশ্বাস করতে হবে যে বিশ্বজগত শূন্য থেকেই এবং শূন্যের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে’। কিন্তু এই বক্তব্য কোন অর্থ বহন করে না। শূন্য থেকে কোন কিছু তৈরি হতে পারে না। শূন্যের বদলে বিশ্বজগত কেন উপস্থিত হয়েছে? কোথা থেকে এসেছে এই বিশ্বজগত? নিশ্চয়ই এমন কোন কারণ রয়েছে যার ফলে বিশ্বজগত তৈরি হয়েছে?
আমরা আমাদের যুক্তিকে সারসংক্ষেপ করতে পারি এভাবেঃ
1. যা কিছু তৈরি হয়েছে তার পিছনে কারণ রয়েছে
2. বিশ্বজগত তৈরি হয়েছে
3. কাজেই বিশ্বজগতের পিছনেও কারণ রয়েছে
স্বাভাবিক ব্যবস্থা অনুযায়ীই স্থান এবং কালের কারণ অবশ্যই কারণহীন, সময়হীন, পরিবর্তনহীন এবং অকল্পনীয় শক্তি যা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে তার । অধিকন্তু, আমি বলবো যে, এটা ব্যক্তিগতও হতে বাধ্য। তা না হলে কিভাবে একটা সময়হীন কারণ (timeless cause) বিশ্বজগতের মত একটা সাময়িক প্রতিঘাত (temporal effect) সৃষ্টি করতে পারে? এই কারণ যদি প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত অবস্থার নৈর্ব্যক্তিক সমষ্টি হতো, তবে প্রভাব ছাড়া কারণ কখনোই থাকতে পারতো না। কারণ যদি সময়হীনভাবে থেকে থাকে তবে প্রভাবও থাকবে সময়হীনভাবেই। মাত্র একটাই কারণে কারণ হতে পারে সময়হীন এবং প্রভাব শুরু হতে পারে সময় দিয়ে। আর তা হচ্ছে যদি কোন ব্যক্তিগত প্রতিভূ কোন পূর্ব শর্ত ছাড়াই মুক্তভাবে সময়যুক্ত প্রভাব তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কাজেই এইখানে আমরা শুধু বিশ্বজগতের যৌক্তিক কারণই খুঁজে পাচ্ছি না, সেই সাথে একজন ব্যক্তিগত সৃষ্টিকর্তারও অস্তিত্ব টের পাচ্ছি।
খুব অবাক ব্যাপার না যে, বিং ব্যাং এর তত্ত্ব খ্রীস্টান আস্তিকেরা সবসময় যা বিশ্বাস করে এসেছে – ‘আদিতে ঈশ্বর স্বর্গ এবং পৃথিবী তৈরি করেছেন’ – তাকেই সমর্থন দিচ্ছে? আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, কোনটা বেশি যুক্তিসঙ্গত- আস্তিকেরা সঠিক নাকি নাস্তিকদের ভাষ্য অনুযায়ী মহাবিশ্ব কোন কারণ ছাড়াই শূন্য থেকে টুপ করে তৈরি হয়ে গিয়েছে? আমার অবশ্য বিকল্পগুলোকে মূল্যায়ন করতে তেমন কোন আপত্তি নেই।
২. বিশ্বজগতের জটিল বিন্যাস
গত তিরিশ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব যে সূক্ষ্ণ এবং জটিল বিন্যাসের উপর নির্ভর করে তা বিগ ব্যাং নিজেই জোগান দিয়েছে। আমরা এখন জানি যে প্রাণ-অবান্ধব বিশ্বজগতের সৃষ্টির সম্ভাবনা আমাদের মত প্রাণ-বান্ধব বিশ্বজগতের তুলনায় বেশিই ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে যে সেটা কতখানি বেশি ছিল? এর উত্তর হচ্ছে বিশ্বজগত প্রাণ-বান্ধব হওয়ার সম্ভাবনা এতই ক্ষুদ্রাদপিক্ষুদ্র যে তা অচিন্তনীয় এবং অপরিমেয়। উদাহরণস্বরূপ, স্টিফেন হকিং (Stephen Hawking) হিসাব করে দেখেছেন যে, বিগ ব্যাং এর এক সেকেণ্ড পর মহাবিশ্বের বিস্তৃতির হার যদি কয়েক হাজার মিলিওন মিলিওনের চেয়ে ছোট হত তাহলে মহাবিশ্ব জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড হয়ে ধ্বংস হয়ে যেত। পল ডেভিসের (Paul Davies) হিসাব অনুযায়ী, নক্ষত্র বিন্যাসের জন্য উপযোগী ( নক্ষত্র ছাড়া গ্রহ থাকতে পারে না) প্রাথমিক পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা হচ্ছে হাজার বিলিওন বিলিওন ভাগের একভাগ। ডেভিস আরো বলেছেন যে, মহাকর্ষের ১০১০০ ভাগের একভাগ পরিবর্তন হলেই তা প্রাণ-বান্ধব মহাবিশ্বের জন্য বিপুল বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো। মহাবিশ্বকে প্রাণ-বান্ধব হওয়ার জন্য বিগ ব্যাং এ প্রায় পঞ্চাশটার মত চলক (quantities) এবং ধ্রুবককে (constants) সূক্ষ্ণ-সমন্বিত (fine-tuned) হতে হয়েছে। শুধুমাত্র চলকগুলোকেই যে, সূক্ষ্ণ-সমন্বিত হতে হয়েছে তাই নয়। তাদের অনুপাতগুলোকেও সেই সাথে দারুণভাবে সূক্ষ্ণ-সমন্বিত হতে হয়েছে। কাজেই অসম্ভাব্যতা ক্রমবর্ধিত হয়ে পরিণত হচ্ছে এরূপ কোন অসম্ভাব্যতায় যতক্ষণ না আমাদের মনন কোন অচিন্তনীয় সংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
এই চলক এবং ধ্রুবকগুলোর যে মান, কেন সেগুলো সেই মান পেল সেই সম্পর্কে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। অজ্ঞেয়বাদী পদার্থবিজ্ঞানী পল ডেভিস একবার মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘আমার বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমি ক্রমাগত এই দৃঢ় বিশ্বাসে উপনীত হচ্ছি যে, মহাবিশ্ব এমন বিস্ময়কর বিচক্ষণতার সাথে তৈরি হয়েছে যে একে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক বাস্তবতা হিসাবে মেনে নেওয়া কঠিন’। একইভাবে, ফ্রেড হোয়েল বলেছেন যে, ‘তথ্যসমূহের সাধারণ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ধারণা দেয় যে, কোন এক অতি-প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা পদার্থবিজ্ঞানকে নিয়ে খেলা করেছে’। নাসার গডার্ড ইন্সটিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের প্রধান রবার্ট জাস্ট্রো (Robert Jastrow) একে ‘বিজ্ঞান থেকে আগত’ ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
কাজেই, আবারো দেখা যাচ্ছে যে, খ্রীস্টান আস্তিকেরা সবসময় যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছেন যে – এই বিশ্বজগতের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন – তা নাস্তিকদের দৃষ্টিভঙ্গি, এই মহাবিশ্ব কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শূন্য থেকে উদ্ভব হয়েছে এবং এমনভাবে সূক্ষ্ণ সমন্বিত হয়েছে যে এখানে বুদ্ধিমাণ প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে- তার তুলনায় অধিকতর অর্থবহ।
আমরা আমাদের যুক্তিকে নিচের মত করে সারসংক্ষেপ করতে পারিঃ
1. মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থার সুক্ষ্ণ সমন্বয় প্রাকৃতিক নিয়ম, দৈবতা বা পরিকল্পনার মাধ্যমে হয়েছে
2. সেটা প্রাকৃতিক নিয়ম বা দৈবতার কারণে হয়নি
3. কাজেই তা হয়েছে পরিকল্পনার মাধ্যমে।
চলবে……
মুক্তমনার মডারেটর, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে‘ গ্রন্থের লেখক।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই
এই কথা বললে জলন্ত চিতার আগুনে আমাকে পুড়িয়ে মারবে।
যেমন গ্যালিলিও কে বধ করা হয়েছিল পরে মানুষ জানতে পারে পৃথিবী র্সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে, কত বড় ভুল করে অশিক্ষিত মানুষ।
সক্রেটিস কে বিষে পাত্র মুখে তুলে নিতে হয়।
Jesus Christ was Crucified he had came from grave to relieve rebirth Larzaras
But being a son of God he did not suspected his followers more less fisher, Judaism? He would not or had not save his own life live being the Son of God.
Yes God had been killed by mankind if He he exist?
Prophet had seen or feel on meditation on mountain the He saw illuminated gleam. Heard Commands of Islamic God. But unfortunately Hishighness had to observed that His son and son in law had fight with each other.
Thought God his almighty but God who is a great creater of the UNIVERSE?
God’s Goddess in deferent name man create thousands Godss.
In santana Dharma Bramham ONE only on deep meditation and pure sacred
without enjoying any sexual or other any tip of human pleasures. You would feel that every soul has divine divinity.
Lord Buddha had never said the Existence of the God yes or no He said you have to decide whether God exist or not ?
SAT KATIE HAS SAID WHY YOU ARE RUN ING AFTER GOD JUST LET LET SEARCH OWN SELF WHEAR GOD EXIST.
LET us do something for welfare of mankind to mark your name or strike your name –when you was born you were crying eavryone were loughing
But do something noble for welfare of the mankind, when you had left behind the globe eavryone will cry but you will lough,as you love the peoples.
SARADA
আমি একটা লেখা ‘মুকতমনা’-তে পাঠিয়েছি । কোষ প্রতিবিম্ব–ব্রহ্মাণ্ড । লেখাটি মুক্তমনা যদি published করে, তবে বুঝতে পারবেন actually ঈশ্বরের অবস্থানটি কোথায় ? তবে এক কথায় বলা যায় প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বাস করেন । আর এই ব্রহ্মাণ্ডে যা আছে একটি জীব কোষে তাই আছে । আসুন ঈশ্বরকে খোঁজাখুঁজি না করে, মানুষকে ভালোবাসতে শিখি ।
আমার কমেন্টে কেও যদি কট্টর আস্তিক ও নাস্তিকতার গন্ধ পাই তাহলে সেটা দায় তার উপর যিনি এমনটা মনে করেন। এখনো সংশয়বাদের উপর আছি। মনে হয় এই থেইক্যা রক্ষা নাই। 🙁
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় স্রষ্টা আছেন কিন্তু তিনি বিতর্ক পছন্দ করেন বলে আমাদেরকে চেহারাটা দেখান না। হে হে হে হে হে হে হে। তিনি আসলে দেখতে চান বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে কে তাকে বিশ্বাস করে।(আমি সংশয়বাদী মানুষ)আর এই বিশ্বাসের নাম হইল ঈমান। তিনি তার এত সুন্দর বেহেস্ত (যদিও বেহেস্ত দেখি নাই) কি আর এমনে এমনে দিবেন? শত অসংগতির মাঝে সসীম ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার স্বীকার এই মানুষ গুলো যখন স্রষ্টা নামক অস্পৃশ্য ও অদৃশ্য সত্তা নিয়ে বিতর্ক করে তখন আমরা দর্শকরা প্রচন্ড বিনোদন পাই। যদিও আমি এখনও স্রষ্টা বিষয়ে সুচিন্তিত ও সুষ্ঠূ সমাধান পেলাম না নিজ অক্ষমতার কারণে। এখন কাকে দায়ী করব? নিজেকে নাকি তত্বীয় কসমোলজীর অনুসারে প্রাকৃতিক ত্রুটিকে নাকি আরশের উপরে বসে থাকা ঐ স্রষ্টাকে?
@ আদিল মাহমুদ,
ছুট্ট থাকতে শুনে আসছি আদম বেটা ৬০ গজ লম্বা। আপনার প্রশ্নটি চোখে পড়া মাত্র এক হুজুর বন্ধুকে ফোন করলাম সে এক বাক্যে বলে ফেলল-তুই কি আদম যে ১২০ হাত লম্বা ছিল এটাতেও ভুল ধরতে চাস?
আসলেই হাদিস মতে আমার দেয়া তথ্যটি ভূল ছিল মনে হয়।
যাক আপনার অবগতির জনানো যাচ্ছে যে , হাদিস-কুরআনের মুখস্থ বা গবেষণা বিদ্যা আমার শূন্য। এরপরও ইন্টারনেট ঘেটে যা পাইলাম তা দিলাম।তবে এ সমন্ধে হয়তো ভাল লেখা পাওয়া যেতে পারে মুক্তমনা বন্ধুদের কারো কাছে।
Adam was shaped completely like Allah; Adam was 60 cubits (30m) in height…(Sahih Bukhari, 8.74.246)
Volume 8, Book 74, Number 246: Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “Allah created Adam in his complete shape and form (directly), sixty cubits in height.
কিন্ত এই কিউবিট বা আরবি ধিরা নিয়ে একটু ক্যারা আছে।নিচে লক্ষ্য করুন-
আরবি-ইংলিস ডিকশনারী The Hans Wehr Dictionary of Modern Written Arabic, 4th edition by J. Milton Cowan, pp. 356-357 এর মতে-
In Syria: ذراع dhiraa’ = 0.68 m
In Egypt: ذراع بلدى dhiraa’ baladee = 0.58 m
ذراع استانبولى dhiraa’ instanboolee = 0.665 m
ذراع هندازة dhiraa’ hindaazah = 0.656 m
ذراع معمارى dhiraa mi’maaree’ = 0.75 m
In Iraq: ذراع حلبى dhiraa’ Halabee = 0.68 m
ذراع بغدادى dhiraa’ baghdaadee = 0.80 m
উপরের সবগুলো কিউবিট এর হিসাবই ইংলিস কিউবিট(ইংলিশ ১ কিউবিট=০.৩০মি.) হতে বড়।মুহাম্মদ যেহেতু আরবের ছিল, তাই আরবি কিউবিট ধরাই যুক্তিযুক্ত।যদি সব থেকে ছোট আরবি ধিরা অর্থ্যাৎ ১ ধিরা = ০.৫৮ মিটার ধরি তবে উপরের হাদিস মতে –
আদম এর উচ্চতা হবে ৬০×০.৫৮=৩৪.৮ মিটার =১১৪ফুট। এতে আদমের ওজন হবে ৫৫০ টন। আর যদি বড় আরবি ধিরা অর্থ্যাৎ ১ ধিরা =০.৮০ মিটার ধরি তবে ৬০×০.৮০=৪৮.০ মিটার =১৫৭.৫ ফুট=১০৫ হাত। আর এতে আদমের ওজন হবে ১৪৫৫ টন।
নিচের তথ্যটিও সাংঘাতিক-
al-Hasan b. Yahya – ‘Abd al-Razzaq – Hisham b. Hassan – Sawwar, the son in law (khatan) of ‘Ata’ – ‘Ata’ b. Abi Rabah এর মতে-
“ When God cast Adam down from Paradise, Adam’s feet were upon earth, while his head was in heaven and he heard the speech and prayers of the inhabitants of heaven. He became (too) familiar with them, and the angels were in awe of him so much so that they eventually complained to God in their various prayers (du’a’ and salah). God, therefore, lowered Adam down to earth. Adam missed what he used to hear from the angels and felt lonely so much so that he eventually complained about it to God in his various prayers. He was therefore sent to Mecca. (On the way, every) place where he set foot became a village, and (the interval between) his steps became a desert, until he reached Mecca. God sent down a jewel (yaqut [“ruby”]) of Paradise where the house is located today. (Adam) continued to circumambulate it, until God sent down the Flood. That jewel was lifted up, until God sent His friend Abraham to (re)build the House (in its later form). This is (meant by) God’s word: “And We established for Abraham the place of the House of residence.”
আদম বেটারে চিনতে যেয়ে আল্লাহ বেটাকেও চেনা যায়। বেটা বললাম এ জন্য যে কুরআন মতে আল্লাহর হাত, পা, কান, মুখ, হ্যান্ডসাম চেহারা সবই নাকি আছে।তবে তাকে বেটা বলতে দোষ কি?আর বেটি হবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। পড়তে চাইলে আবুল কাসেম সাহেবের একটা চমৎকার লেখা আছে ইন্টারনেটে।
http://www.islam-watch.org/AbulKasem/BismiAllah/1a.htm
@হেলাল,
আদম আঃ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিলেন, তা দিয়ে কিছু বুঝায় না । কারন হাদিস দিয়ে ওই সময় এর মানুষ কে বুঝনোর জন্য রূপকভাবে বলা হয়েছে । উচ্চতা আসলে কত ছিল তা বলা মুশকিল ।
কোরানে এরূপ বলা হয় নাই ।
এটা সম্পূরন মারিফতের বিষয়, আপনার কি শরিয়তের আরেক পারট মারিফত সমপরকে জানা আছে ?
@হেলাল,
অনেক ধণ্যবাদ কষ্ট করে তথ্যগুলি বের করার জন্য। জানার পর আমার অনুভুতি একই আছে, ধর্ম বিষয়ে যত কম জানার চেষ্টা করা যায় ততই মনে হয় ভাল।
যদিও আধুনিক ইসলামিষ্টদের মতে এসব হাদীসের কথাবার্তার কোন মূল্য নেই। আমি তাই কোরানে আছে কিনা তা জানতে চাচ্ছিলাম। মনে হয় না এমন কিছু আছে বলে।
ফুয়াদ,
১।ধরে নিলাম আপনার খোদার কেরামতিতেই বিংব্যাং এর মাধ্যমে মহাবিশ্ব এবং জৈব-রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রাণ সৃষ্টি এবং সমস্ত উদ্ভিদ- প্রাণী পয়দা হল।কিন্ত এখানেও তো আপনারা ক্যারা লাগাইছেন। আদম হাওয়া নাকি বেহেস্ত থেকে টুপ করে দুনিয়াতে পড়ছে। আবিস্কৃত হওয়া মানষের ফসিলগুলো তো আপনার ১২০ হাত লম্বা আদম হাওয়াকে সাপোর্ট করেনা। আপনার মুহাম্মদ বাইবেল হতে আদম-হাওয়ার কাহিনী কুরাণে ঢুকাইছে।আর তাদের হিসাবের আদম কাহিনী মাত্র কয়েক হাজার বছরের পুরনো।
“তাও যদি মানতে না চাইলে, খোদা র ক্ষমতা যা আমরা বলি, তা দেখেন । ঐ রূপ সত্তার পক্ষে সব কিছুই কি সম্ভব নয় ।”
আপনার খোদা বিজ্ঞানের যুক্তির বাহিরে অলৌকিক কোন কিছুতো এখনও দেখাইলো না।
@হেলাল,
আদম হাওয়া ১২০ হাত লম্বা ছিলেন এমন তথ্য কি কোরানে আছে? বাইবেলেও কি আছে? শুধুই জানতে চাচ্ছি।
বিতর্কটা মজার মনে হচেছ।
তবে ফুয়াদ সাহেবের খোদার সাথে বিতর্কে আলোচিত খোদার বিস্তর পার্থক্য।আপনার খোদা তো মহাবিশ্ব বেশী দিন আগে বানাননি এবং বানাইতেও বেশী সময় নেননি কিন্ত বিতর্কে আলোচিত খোদা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বেই মহাবিশ্ব বানায়ছে এবং বানাইতেও লম্বা সময় নিয়েছে।ফুয়াদ ভাই ,আপনি যদি বিশ্বাস করেন এই খোদাই আপনার তবে আপনি কাফের হয়া যাবার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
আমি বিনীত ভাবে সবাইকে অনুরুধ করব ,মুক্তমনায় যাতে আস্তিকরা আসতে সাহস পায় ,সে জন্য সত্য হলেও আক্রমনাত্বক অপ্রিয় কথা না বলার জন্য।
@হেলাল,
ইসলাম সম্প’কে আপনার ধারনা ভিন্ন । আমার খোদা কতদিন সময় নিছে, এটা আপনার জানার কথা না । ৬ দিন এর কাহীনি বেশ পুরুনো । এবং যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে , তা অনেক দিন বুঝায় । তা মানতে চাইলে হাদিস গুলো দেখেন ।
তাও যদি মানতে না চাইলে, খোদা র ক্ষমতা যা আমরা বলি, তা দেখেন । ঐ রূপ সত্তার পক্ষে সব কিছুই কি সম্ভব নয় ।
ফরিদ আহমেদ,
সুমনের মতামতের সাথে একমত পোষন করছি এবং ফরিদ আহমেদকে এমন একটি স্পর্শকাতর লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।সিরিজের অন্নান্য পর্বগুলি পড়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।ভালো থাকুন। :evilgrin:
মামুন।
২৭।০৮।২০০৯
আদিল মাহমুদ,
কারো বক্তব্য বা উদ্ধৃতি খন্ডন করতে হলে কিংবা কোট করতে হলে উদ্ধৃত অংশ সিলেক্ট করে উদ্ধৃতি বাটনটি ব্যবহার করুন। সিলেক্টেড অংশের সামনে এবং পেছনে অনেকটা এরকম –
(blockquote tag) উদ্ধৃতি এখানে থাকবে (blockquote tag)
ট্যাগ দেখতে পাবেন ।
এবার এর নীচে আপনার বক্তব্য দিন। তাহলে একজনের বক্তব্যের সাথে আপনার বক্তব্য মিশে যাবে না। দুটি ভিন্ন রঙ এ দেখতে পাবেন। অনেকেই কিন্তু ফীচারটি ব্যবহার করছেন। আপনিও করুন।
আর সামগ্রিকভাবে ব্লগ সদস্যদের অনুরোধ করা হচ্ছে লগ-ইন অবস্থায় মন্তব্য করতে। এর ফলে মডারেরটরদের উপর চাপ কমে, এবং মন্তব্যও সাথে সাথেই দেখা যায়।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধণ্যবাদ। নিজে টেকনিক্যাল লাইনের লোক হলেও টেকনোলজী বুঝতে পারি না বলে বন্ধু বান্ধবে খেপায়, দেখা যাছে অভিযোগ সত্য।
এত সোজা উপায় এতদিন খেয়ালই করিনি।
@আদিল মাহমুদ,
আমার কোন লেখায় কি আমি এধরনের কথা বলেছি । আপনি ঈ বলেন ?
আমি কোথায় বললাম যে
ভাল করে চিন্তা করেন । আপনি কি নিজে নিজেই একটি বিষয় ধারনা নিতে ছেন না, যাচাঈ না করে ।
যাইহোক ,
ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষ কেন লিখে তা কি কখনো ভাল করে ভেবে দেখেছেন?
হা দেখেছি । আমি কালকে বা গত পরশু, আমার Facebook এর Status এ বিষয় এ দিছিলাম এরকম
“If you fall into trap of Philosophy, You will never find how to come out … ”
আমি বাড়াবাড়ি নিয়ে কন দিন কিছু বলি নাই । আপনার এ ধারনা হল কেন ?
এখানে বাড়া বাড়ির প্রতিবাদ করা হইতেছিল না । ভাল করে দেখেন ।
আমি কুট করেছিলাম
এখন, জানাব, ভাল করে দেখান কোথায় বাড়া বাড়ির প্রতিবাদ করা হইতেছিল । যদি সত্য বাদী হণ, তাহলে দেখান কোথায় ? পুরালাইন টা আবার কুট করে দিছি।
নাকি, এখানে পুরো ধর্মকে ই বাতিল করা হইতেছে । এটা কি পুরা ধর্মকে আঘাত নয় । তাহলে, আমি যে sumon সাহেব কে লিখেছিলাম, এটা আমার ও কোনো বাড়াবাড়ি ছিল না ।
নিজেকে নিয়ে আগে চিন্তা করেন । মানুষের সম্পর্কে Predict করা বাদ দেন ।
@ফুয়াদ,
আপনার যায়গায় আর কেঊ হলে আমি সেই Prediction করতাম না, ঠিক।
আপনি এখানে আনকোরা নুতন কোন সদস্য না, তাই আপনার মনোভাব কি তা অনেকটা আমি জানি। শুধু আমি নই, এ ফোরামে যারা গত দুয়েক মাস আপনার লেখা পড়ে যাচ্ছে তারা সবাই মোটামুটি আচ করতে পারে। তাই আমি নেহায়েত হাওয়ার উপর Predict করি না। এর সাথে যোগ হয় আপনার রহস্যময় বাংলায় বলা উচ্চমার্গীয় কথাবার্তা, যার মর্ম উদ্ধার মনে হয় কারো পক্ষেই করা খুব সহজ না। আমি জানি না আপনার ভাষাজ্ঞান এত দূর্বল কেন। এটা বাংলা টাপের ত্রুটি নয়, ভাষাজ্ঞানের দূর্বলতা। যাও বোঝা যায় তাতে যত না থাকে যুক্তি তার থেকে বেশী থাকে উত্তেজিত কথাবার্তা।
যারা ধর্মকে ঝেটিয়ে একেবারে দুর করে ফেলতে চান আমি তাদের সাথে একমত কোনভাবেই না। আগেই দেখেন আমি গতদিন বিপ্লবের কথার প্রতিবাদ করেছি যখন উনি বললেন যে সব ঘোর ধার্মিকই ভন্ড। কিন্তু আমি বুঝতে পারি তারা কেন অমন দাবী করেন যা আপনি মনে হয় না বুঝতে চেষ্টা করেন বলে। ধরেন নেশা জাতীয় দ্রব্য। নেশা জাতীয় অনেক অষুধ আছে যা আসলে মানুষের রোগের চিকিতসা মানে কল্যানের জন্য এসেছে, কিন্তু অনেকে সেসব মাদক হিসেবে ব্যবহার করে। কেউ যদি এখন বলে যে সেসব নেশাকারী অষুধ ঝেটিয়ে দূর কর, তবে আমি কি খুব জোর গলায় তার প্রতিবাদ করতে যাব? যদিও জানি যে তার অভিযোগ ১০০% ঠিক না। জোর গলায় প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আগে প্রমান করতে হবে যে নেশাকারী অশুধের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক না। সে বিষয়ে আমার সংশয় থাকলে আমার গলার জোর আসবে কোথা থেকে?
আর আপনি যদি আসলেই ঈস্বর বা আল্লাহয় বিশ্বাস করেন আর কেউ যদি বলে যে সে ঈশ্বর বা আল্লাহকে ছাই দিয়ে ধরবে তবে আপনার কি তাতে চিন্তিত হবার কথা নাকি অট্টহাসি দেবার কথা? এ নিয়ে এত উত্তেজিত হবার কি আছে? আল্লাহর কাছে দায়ি থাকলে তো তিনি থাকবেন। তিনি ঈশ্বরকে কেন ঝেটিয়ে দুর করতে চান উত্তেজিত না হয়ে তাই আগে শুনে দেখেন না, তারপর নাহয় মন্তব্য করুন।
প্রায় অধিকাংশ ধার্মিকই ধর্মের, বিশেষ করে নিজ ধর্মের কোন সমালোচনা সহজভাবে নিতে পারেন না, তা সে যতই তথ্যপূর্ণ বা যুক্তিপূর্ণ হোক না কেন। তার মনে প্রথম ধারনাই আসে এগুলি সবই অন্য ধর্মের লোকের বা নাস্তিকদের কুটিল কোন ষড়যন্ত্রের অংশ। মুক্তমণার নামে এমন অভিযোগ অসংখ্যবার এসেছে। হাতে পারে আপনি ব্যক্তিগতভাবে তা মনে করেন না, তবে যারা ধর্মকে অন্ধভাবে ডিফেন্ড করে তারা প্রায় ৯০% লোকই এমন মনে করবে। বাকি ১০% কে বলা যাবে ব্যাতিক্রম। আপনার কাছ থেকে আমি কোনদিন নিজ ধর্মের কোন রকম সমালোচনা কোনদিন শুনতে পাইনি। কখনো কখনো হাস্যকরভাবে নিজ ধর্ম ডিফেন্ড করেন যা আমাকে আপনি ৯০% দলের মাঝে পড়েন তেমন ভাবতে বাধ্য করেন। যেমন, রাশাদ খালিফার বলপূর্বক কোরানে ১৯ আবিষ্কার সম্পর্কে আপনার বাণীঃ “**আরবি ভাষা না জেনে কুরানে সংখ্যাত্বত্ত আছে, কি না , তা নিয়ে চিন্তা করা, পাগলামি ছাড়া, আর কিছুই নয় । ” (রায়হান আবীরের লেখায়) মজার ব্যাপার হল, রাশাদ খলিফা তার তত্ত্ব প্রমানে কোরানের আয়াত ইচ্ছেমত বাদ দিয়েছেন, এমনকি নিজের নাম পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিয়েছেন তা ঘোর ধার্মিক হয়েও আপনার চোখে পড়েনি। এই সোজা ব্যাপার জানতে আরবীতে পন্ডিত হতে হয় না। আপনি আরো ঊল্টা রাশাদ সাহেবের মত জানার অপেক্ষায় আছেন। যেখানে ষ্পষ্ট যে তিনি কোরান ইচ্ছেমত কাটা ছেড়া করেছেন সেখানে তার মত জানার দরকার কতটা সে আপনিই ভাল জানেন। সেজন্যই আমি সবসময় বলি যে উচ্চ শিক্ষিত লোকেও যে কিবাহেব নিজ ধর্মের নামে আজগুবী গালগল্প ডিফেন্ড করতে পারেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
মূক্তমণায় যারা ধর্মের সমালোচনা করেন তারা বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে করেন, স্রেফ ভাল লাগে না দেখে করেন না। ধর্ম শুধু আপননিই না, আরো কেঊ কেউ ডিফেন্ড করেন; যেমন আইভি, তার সম্পর্কে আমি তেমন Prediction কোনদিন করব না। আশা করি বুঝেছেন আমার Prediction এর কারন।
সুপ্রিয় ফরিদ ভাই,
আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। এবার অবশ্য আপনার লেখায় করা মন্তব্যগুলিন বেশী ভালো লাগছে। তবে আমার কাছে মনে হয় ঈশ্বর নিয়ে তর্ক করাটা বেশ উচ্চমার্গীয় ব্যাপার। ধর্মের একশো চৌদ্দটা অসংগতি চোখে আংগুল দিয়ে দেখানোর পরও যারা ধর্মে সুপারগ্লুর মত আটকে থাকে সেখানে ঈশ্বরের অনস্তিত্বের ব্যাপারে বিজ্ঞান এখনো যেখানে জোরালো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারে নাই সেটা তারা মেনে নেবে কিভাবে! পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষই ধর্মকে পেয়েছে উত্তরাধীকারে এবং নিজের ধর্ম সম্বন্ধে সঠিক বা পুর্নাংগ জ্ঞান তাদের নাই। অন্য ধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞানতো অনেক দুরের ব্যাপার। কিন্তু তখনই অবাক লাগে যখন তাদের সামনে ধর্ম নিয়ে তর্ক করলে না বুঝেই তারা তেড়ে আসেন। তাই আমি বলিকি, ধর্ম নামক আগাছাকে আগে সমাজ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে তারপর ঈশ্বর ব্যাটাকে ছাই দিয়ে ধরতে হবে। ফরিদ ভাইর কাছে জানতে ইচ্ছে করছে এই টপিকসের মত ধর্মে বিশ্বাসীদের সাথে ধর্মে অবিশ্বাসীদের ধর্ম নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক যুক্তিতর্ক হয়েছে কিনা? আপনাকে ধন্যবাদ, আবারো ন্যাড়া করার জন্য এবং ঐ অবস্থায় বেলতলায় আসার জন্য। ভালো থাকবেন।
@suman,
সুমনের মতামতের সাথে একমত পোষন করছি এবং ফরিদ আহমেদকে এমন একটি স্পর্শকাতর লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।সিরিজের অন্নান্য পর্বগুলি পড়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।ভালো থাকুন।
মামুন।
২৭।০৮।২০০৯
@suman,
আপনি বললে ই তো আর কিছু আগাছা হইব না । আগে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করেন ।
@ফুয়াদ সাহেব,
আপনাকে দেখে অবশ্য ধর্মকে আরও বেশী আগাছা মনে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট করে বললে, গাঁজার আগাছা মনে হচ্ছে। আর আপনার মন্তব্য আপনার নিজের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। ধন্যবাদ।
suman,
অত্যন্ত সত্য কথা।
ধর্ম যেহেতু আবেগের জিনিস তাই ধার্মিকরা আবেগবসশতঃ ধর্মের নামে অনেক সময়ই যা তা বিশ্বাস ও প্রচার করেন। অমানবিক প্রাগ ঐতিহাসিক কালাকালনুন থেকে এই আধুনিক যুগে রুপকথার মত কেচ্ছাকাহিনী সবই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন। তাই কেউ গনেশের মূর্তি দুধ খাচ্ছে বিশ্বাস করে দুধের বালতি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেন, উচ্চ শিক্ষিত কেউ আবার মাছের পেটে আল্লাহু লেখা পাওয়া গেছে শুনে সবাইকে খবর পাঠান। কিছুদিন আগে একজন একটা ভিডিও লিংক দিয়েছিলেন যাতে নাকি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কোন এক মসজিদের সিসিটিভি তে ধরা পড়া গভীর রাতে জীনের নামায পড়ার লাইভ দৃশ্য।
ধার্মিকরা এধরনের মানসিকতা থেকে মুক্তি পেলে মনে হয় আস্তিক নাস্তিক এত খটমট লাগে না। যে যার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন না, অন্যকে না জ্বালালেই তো হল।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই, ভালই তো বললেন ।
কিন্তু আপনার নাস্থিক ভাই , আগে ধর্মকে আগাছা বলছে । আপনি দোষ পেলেন আমার ।
আপনি যা বলেন বা বুঝছেন, তাই সত্য , ঠিক না ? আর অন্য মানুষরা ঘাষ খায় ।
আপনার কাছে, ধর্ম ও আমাদের আগছা মনে হয় । এটাঈ হইতেছে সত্য ।
@ফুয়াদ,
দুঃখ পেতেই পারেন। তবেও আমিও ধর্মকে আগাছা এনং ধার্মিকদের পরগাছা বলেই মনে করি।যাদের আত্মবিশ্বাস নেই-গভীরে গিয়ে চিন্তা করতে পারে না-ধর্ম তাদের জন্যে। বুদ্ধিমান আত্মবিশ্বাসী লোকেদের কাছে আল্লা একধরনের আগাছাই বলতে পারেন।
@ফুয়াদ,
ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষ কেন লিখে তা কি কখনো ভাল করে ভেবে দেখেছেন? শুধু গতবাধা ভাবে সব বুশের কারসাজি…হিন্দু ইহুদীদের ষড়যন্ত্র এ জাতীয় ভাবনা ছেড়ে একটু যুক্তিপূর্ণভাবে ভাবতে শিখেন।
ধার্মিক ব্যক্তিরা জগতে ধর্মের নামে যেভাবে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেন তত সহজে মনে হয় আর কিছুর দোহাই পেড়ে আশান্তি করা যায় না।
আমি যা বলতে চেয়েছি তা খুব সোজা। ধর্ম হওয়া উচিত ব্যক্তি পর্যায়ে, প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজ পছন্দের ধর্ম বেছে নেওয়ার, বা নাস্তিক হবার। তাই প্রতেক্যের উচিত অন্যের পছন্দকে দাম দেওয়া। ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র চালানো বা জোরাজুরি না করে যার যার ধর্ম তাকে তা ব্যক্তি পর্যায়ে চর্চা করতে দিলেই সমস্যা থাকে না। ইসলামেও ধর্ম নিয়ে জোরাজুরি বাড়াবাড়ি কড়ভাবে নিষেধ আছে। ধর্মের নামে কোনই বাড়াবাড়ি কি আপনার চোখে কখনো পড়ে না? কোনদিক এ নিয়ে কিছু বলেছেন? আর কেঊ সে বাড়াবাড়ির প্রতিবাদ করলেই আপনার লাগে? কোন সাচ্চা ধার্মিক ইসলাম ডিফেন্ডার এ জাতীয় কাজ সাধারনত করেন না। তারা রোজার কত ফজিলত, সেহরী ইফতারে কত সোয়াব কোরানে বিজ্ঞান তা নিয়ে বিশাল কলাম লেখেন, ভাল কথা লিখতেই পারেন। তাই বলে ধর্মের নামে দোররা মারা, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কারো মাথার দাম ঘোষনা, মধ্যপ্রাচ্যে কিবাহবে ধর্মের নামে মানবাধিকার হরন করা হয় এসব নিয়ে তেমন কিছু লেখেন না। তো এখন ধার্মিকদের উপর মানুষের শ্রদ্ধা হবে কি করে?
আপনার মুশকিল হল আপনি উত্তেজিত হয়ে “ঘাস খায়’ জাতীয় কথাবার্তা বলতে বেশী পছন্দ করেন, বক্তব্য কোট করেন, যদিও সে বক্তব্যের ভুল কি তা বেশি বলেন না। আপনার শেষ লাইলের মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝলাম না।
@ফুয়াদ সাহেব,
আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি আপনাকে আগাছা বলিনি, আগাছা বলেছি ধর্মকে। এই দেখুন না আপনি ধর্মের নেশায় এমন বুদ হয়ে আছেন যে আপনি যুক্তি মানছেন না, শুধু বলে যাচ্ছেন তাল গাছ আমার, তাল গাছ আমার। কিন্তু ভায়া তাল গাছ যে আপনার তার প্রমাণতো দিতে হবে, তাইনা? আর গ্রহনযোগ্য প্রমাণ ছাড়া যখন আপনি কিছু নাছোড়বান্দার মত দাবি করবেন তখন আপনাকে সুস্থ্য বলি কিভাবে! এবার নিশ্চয় বুঝেছেন সমস্যাটা কোথায় এবং কিসের প্রভাবে! ধন্যবাদ।
ঈশ্বর নিয়ে আলোচনা সময় নষ্ট। কোন বুদ্ধিমান লোকদের করা উচিত না। আমি জীবনে যত সি এই ও দের দেখেছি এখানে,সবাই নাস্তিক ছিল। বুদ্ধিমান ধার্মিক দেখেছি-তবে, ধার্মিক অথচ ভাল মানুষ দেখিনি। ধার্মিক মানে আমি আস্তিক বলছি না-যারা খুব ধর্ম ধর্ম করে,ধর্মীয় রীতি মেনে চলে, তাদের সবাই ধান্দাবাজ।
আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক সময়ের অপচয়। বিবর্তনের প্রয়োজনে ঈশ্বরে ধারনা এসেছে-কাজ ফুরালে ঈশ্বর ও চলে যাব সমাজ থেকে। আরব জাতিকে একত্র করতে আল্লা বিবর্তনের পথে এসেছিলেন-আবার সেই বিবর্তনের পথেই তিনি ইতিহাসে হারিয়ে যাবেন।
@বিপ্লব পাল,
আপনি আপনার সত্যিকার পরিচয় দিলেন, এটাঈ নাস্থিক সাম্প্রদায়ীক বক্তিদের আসল চেহারা । আপনি কি পৃথিবীর সব মানুষ্কে দেখছেন , যে সার্বিক ভাবে বলে দিলেন ধান্দাবাজ । নিজেই নিজেকে বিচার করুন । আমি ত ধর্ম পালন করি, আর এই টাই আমার কি দোষ, ধান্দাবাজ হয়ে গেলাম ।
আমার আম্মা কিংবা নানি তারা ও ধান্দাবাজ হয়ে গেল । এটা ঈ আপনার বিবেক ! এটাঈ আপনার নিরপেক্ষতা ! মিথ্যা নিরপেক্ষ সাজেন ।
@বিপ্লব পাল,
ফুয়াদ সাহেবের অভিযোগ কিন্তু অনেকটা সত্য। যারা ধর্ম কর্ম করে, মানে বিভিন্ন রীতিনীতি পাকন করে তারা সবাই যে ধান্দাবাজ এটা বলাটা বাড়াবাড়ি হবে।
অনেক বদ লোকে ধর্মের ভেক ধরে, ঠিক। কিন্তু তার মানেই এই না যে সব ধার্মিকই খারাপ। আমি নিজে দুই শ্রেনীর মানুষই দেখেছি, কোনটা বেশী কোনটা কম তা বিবেচ্য না।
আসলে বলা যায় যে মানুষ ভাল কি মন্দ তা ধর্মীয় লেবাস দিয়ে বোঝা যায় না।
@আদিল মাহমুদ, এবং অন্যান্যরা- আমার কথায় রাগলে কিছু করার নেই। যদি সত্যই কেও ধার্মিক হয়-ধর্ম মেনে, তাহলে তার ধর্মীয় আচরন প্রতিফলিত হবে মানুষের প্রতি ভালোবাসায়, মানুষের জন্যে কাজে। সে ধর্মীয় মানুষ আলাদা। যারা নামাজ পড়ে/পুজো করে-হজ্জ বা তীর্থে যায়-তারা সব ধান্দাবাজ-এসব পুজো, নামাজের সাথে ধর্মের কোন যোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আমার কাছে যে দ্বীনের ন্যায় জীবনযাপন করে নিজের জীবন সমাজের জন্যে উতসর্গ করেছে, সত্য কথা বলে এবং জ্ঞান আহরোনে জীবন কাটাচ্ছে-সেই কোরানের আসল বাণীর সন্ধান পেয়েছে। যারা নিজেদের মুসলমান মুসলমান বলে চিল্লাচ্ছে, নামাজ পড়েছে-অথচ ধনীর মতন থাকে, লোককে ঠকায়-সমাজের জন্য কোন দান করে না-তারা যতই আল্লা আল্লা করুক না কেন-তারা ধান্দাবাজই।
@বিপ্লব পাল,
“যারা নিজেদের মুসলমান মুসলমান বলে চিল্লাচ্ছে, নামাজ পড়েছে-অথচ ধনীর মতন থাকে, লোককে ঠকায়-সমাজের জন্য কোন দান করে না-তারা যতই আল্লা আল্লা করুক না কেন-তারা ধান্দাবাজই। ”
এ কথা অত্যন্ত সত্য। কারোই আপত্তি থাকার কথা না। তার মানেই কিন্তু এ কোনমতেই দাঁড়ায় না যে যারাই আল্লাহ আল্লাহ করে…নামাজ রোজা করে তারা সবাই ধান্দাবাজ বা খারাপ লোক।
“যারা নামাজ পড়ে/পুজো করে-হজ্জ বা তীর্থে যায়-তারা সব ধান্দাবাজ-এসব পুজো, নামাজের সাথে ধর্মের কোন যোগ আছে বলে আমি মনে করি না।”
– অনেকে ধান্দাবাজ, নিজ স্বার্থে যায়, ঠিক; তবে অনেকে ভুল বা ঠিক যাই হোক বিশ্বাসের টানে যায়। তাদের কি দোষারপ করাটা ঠিক?
সুহৃদ পাঠক বৃন্দ,
একটা গল্প মনে পড়ে গেলো, ছোটবেলায় শোনা রূপকথার গল্প! চাঁদের বুড়ির চাঁদে বসে চড়কায় সূতো কাটার গল্প! আজকাল, সপ্তাকাশের চূড়োয় বসে বিশ্ব শাসন করছে আল্লাহ বা GOD নামের এক রূপকথার রাজা! তাকে নিয়ে এতো মাতামাতি! আমার এক চাইনিজ (নাস্তিক!) বন্ধু অপর এক ধার্মিক বাংলাদেশীকে বলছিল, তোমার তো তবুও একটা গতি আছে, বিফল মনোরথ হলে করো স্বরনাপন্ন হতে পারো, অন্ততঃ মনে মনে দু-একটা দুঃখ শেয়ার করতে পারো! আমারতো তাও নেই! ওর আসলে এজগতে এখন আর আপন বলতে কেউ নেই! সে অন্য কথা। তা ওর দুঃখ শুনে আমি ওকে বলে ছিলাম যে, ওর মতো তুমিও এই GOD-এর উপরে নির্ভর করতে পারো, পারো খানিকটা শেয়ার করতে তোমার কষ্ট গুলো। ও বললে, অমন অবিবেচকের সাথে শেয়ার! তার আগে যে তাকে প্রমান করতে হবে সে GOD! অন্ততঃ আমার চাইতে উত্তম বিবেচনা বোধ সম্পন্ন, এটি তাকে নিশ্চিন্ত করতে হবেই!
যাই হোক স্বর্গের হুর পরী, আরাম আয়েশ, আর তার রাজ্য বিস্তার ও তার প্রতি মানব জাতির বদান্যতার আকাঙ্খা দেখলে তো অতিমানবীয় মনে হয় না, বরং অমানবিকই মনে হয়। তবুও বিশ্বাসীদের মনে উনি আছেন! আর এই সব বিশ্বাসীরা আমার জনৈক শ্রদ্ধেয় স্কুল শিক্ষকের মতে অপদার্থ, গর্ধব এবং ডি. এল, রায়ের নন্দলালের মতো!
বাস্তবেও দেখুন পরিবারের সেই ছেলেটিকেই সাধারনতঃ তার বাবা মায়েরা মক্তব মাদ্রাসা কিংবা চার্চের ধর্মীয় শিক্ষায় ব্রতী হতে পাঠান যার আসলে ঘটে কিছু নেই বলে বাবা-মায়েরা কবুল করে নেন! কিছু একটা করে খেয়ে থাকবে বলে! আর ওরাও তাই করে, কারন ওরা জানে যে ঐ মগজের খোলটাতে ঘিলুর বদলে আছে অন্যকিছু! আর যাদের মাথায় আসলে কিছু আছে তাদের বাবা-মা ও-পথে তাকে ছেড়ে দিলেও নিজগুনেই সংশয়বাদীতার যৌক্তিক পথে ফিরে আসে কিংবা ওপথ মাড়ায়ই না। যেমন, সয়ং চার্লস ডারউইন! তবে আমি একজন সংশয়বাদী হলফ করে বলতে পারি যে, কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব আদৌ কিন্তু নেই, থাকতে পারেনা।
ওপরে আপনাদের অজস্র যুক্তি ছাড়াও তথাকথিত ধর্মীয় বি গুলোতে কোন বিঞ্জান সম্মত কিংবা যুক্তিগ্রাহ্য সৃষ্টি রহস্য লিপিবদ্ধ নেই! বরং বাংলাদেশের যেকোন স্থানের কোন মূর্খ রিক্সাওয়ালার সাথে সৃষ্টি রহস্য নিয়ে আলাপ করুন, দেখবেন কোন ধর্ম পুস্তক পড়া নেই তবুও তার ব্যাখ্যা ধর্মীয় পুস্তকের অনুরূপই হবে! কি প্রমান হয়? বিশ্বাস নাহলে একবার একটু কষ্ট করে মিলিয়ে নিন।
যার অস্তিত্ব এখনো পাওয়া যায় নি, তার অনস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য কি নাস্তিকদের ঘুম হারাম করতে হবে নাকি?! কি অদ্ভুত কথা! ঈশ্বরের অনস্তিত্বটা তো মনে হয় সাধারণ কয়েকটা প্রশ্ন হতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
হায়রে!! এতো ফাইন টিউনিং, এরপরও প্রাণ সৃষ্টির জন্য একজন অতিপ্রাকৃত স্রষ্টার প্রয়োজন পড়ল!
ঈশ্বরের সৃষ্টি নিয়ে কেউ চিন্তা করলে যেমন তাঁর ‘মাথা নষ্ট হয়ে যাবে’, তেমনিভাবে মহাবিশ্বের উত্পত্তি নিয়ে চিন্তা করলেও এটি হতে পারে। 😛 কিন্তু এটি নিয়েই যে আস্তিকেরা কেন বারবার প্রশ্ন তোলে, আমার মাথায় ঢোকে না! 😕
ইন্টারেষ্টিং। এ পর্যন্ত যা জানা গেল, সারসংক্ষেপ অনুযায়ী ঈশ্বর না থাকার চেয়ে ইশ্বর আছেন এমন যুক্তিই জোর পাচ্ছে!
যদিও যুক্তিবিদ্যার একটা কথা জিজ্ঞাসা করি।
ধরুন, কেউ যদি কোন কিছু দাবী করে তবে তো দাবীকারীর দায় থাকে সে দাবী প্রমান করে দেখানো। নাকি, কেউ সে দাবী অস্বীকার করলে তার দায় থাকে কেন অস্বীকার করছেন তা প্রমান করার? আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
আমি যতটুকু জানি যে আদালতগুলিও অনেকটা একই হাইপোথিসিসে চলে, কাউকে অপরাধী বললে বাদী পক্ষকে প্রমান করতে হয় যে অভিযুক্ত উক্ত অপরাধে অপরাধী, অভিযুক্তকে বলা হয় না যে প্রমান কর তুমি অপরাধী নও। শুনেছি কেবল ইটালীতে নাকি উলটা।
@আদিল মাহমুদ,
বিষয়টি আপনাকে বুঝিয়ে বলি। এখনো প্রমাণিত হয়নি এমনকিছু কেউ দাবি করলে তা প্রমাণের দায়িত্ব (বারডেন অফ প্রুফ) যিনি দাবি করেছেন তারই। তিনি যদি বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারেন তবেই তা অপ্রমাণিত। প্রমাণ করার পূর্বে কাউকে তা অপ্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ করার কোনো যৌক্তিক অধিকার তার নেই। বিষয়টি প্রমাণ করার পরই তিনি যে কাউকে তা অপ্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
যেমন আমি দাবি করলাম যে আমি আকাশে উড়তে পারি। এবার তা প্রমাণের দায়িত্ব আমারই। আমি তা প্রমাণ না করে আমার কথায় অবিশ্বাস করা কাউকে বলতে পারব না- তাহলে আপনি প্রমাণ করেন তো আমি আকাশে উড়তে পারি না, অবশ্য আমার দাবিটি প্রমাণের পরেই আমি তা পারি। ইশ্বরের অস্তিত্বের দাবিকারকদেরই আগে ইশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে তারপর ……..
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি যা বললেন আমিও তাই জানতাম। সাধারণ যুক্তিবিদ্যা বলে যে কেউ কোন কিছু নুতন দাবী করলে তাকেই আ প্রমান করে দেখাতে হয়। সে বলতে পারে না যে অমুকে আমার দাবীকে মিথ্যা প্রমান করতে পারেনি তাই আমার দাবী সত্য।
কিন্তু এ লেখার শুরুতেই দেখেনঃ
“(১) ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ আছে কি? এবং (২) ঈশ্বর না থাকার ব্যাপারে শক্তিশালী কোন যুক্তি আছে কিনা? ”
(২) নং পয়েন্টটা তাহলে কি করে বিবেচনায় আনা যায়?
@আদিল মাহমুদ,
ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকার ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ থাকলে তবেই আপনার ২ নম্বর পয়েন্ট বিবেচনায় আনার প্রয়োজন হবে। আমি আসলে এটাই আপনাকে বলেছিলাম। যা প্রমাণিতই হয় নাই, যার কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞাই নেই তাকে অপ্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন আছে কি।
@সৈকত চৌধুরী,
আমরা ভাল কাজ করলে ই , আল্লাহ সুবাহানাতালা তাকে বেহেশতে দিতে বাধ্য নন । একজন মসুলমান হইলেই, তাকে আল্লাহ সুবাহানাতালা বেহেশতে দিতে বাধ্য নন । আর আল্লাহ সুবাহানাতালা কাউকে বেহেশতে দিলে, কারো কাছে তিনি জবাব-দিহিতা করতে বাধ্য নন । তিনি যাকে ইছছা তাকেই বেহেশতে দিতে পারেন । সে যত গুনাহ গার ঈ হোক । কাউ কে বেহেশত বা দুজকে দেওয়াতে উনার কোনো অপরাদ নাই । কারন উনি স্রষ্ঠা, তাই উনার অধিকার আছে এটা করার । উনিই সবচেয়ে ভাল বুঝবেন আসলে বিষয়টি কি । এটাই, আপনাকে বুঝতে হবে ।
আর তিনি ন্যয় বিচারক, কারো প্রতি অন্যায় করা হবে না ।
@ফুয়াদ,
আপনি যেগুলো বললেন অর্থাৎ আল্লার অস্তিত্ব থেকে আরম্ভ করে বাদবাকি সবকিছু কিন্তু আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে। আর আমরা আল্লার বৈশিষ্ট্য দেখেই তো তাকে চিনব। আল্লার পরীক্ষা করার এমন নমুনা দেখলে তাকে চিনতে কারো বাকি থাকার কথা না।
@ফুয়াদ, স্রষ্টা যে আছেন, তা আমরা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে পারব না। আবার তিনি যে নাই, এর পেছনেও কিন্তু উপরের বিতর্কটাতে কিছু যুক্তি খণ্ডানো হয়েছে। ধরে নিলাম, ঈশ্বর আছেন। এক্ষেত্রে আপনার কি মনে হয়, আমরা কি অযৌক্তিকভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করি? উত্তর যদি-
১. হ্যা হয়, তাহলে ঈশ্বর আমাদেরকে যা শাস্তি দেবেন আমাদের মাথা পেতে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কারন তাঁর আদেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা নিজ দায়িত্বে তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছি।
২. না হয় আর তিনি যদি ন্যায় বিচারকই হন, তাহলে তিনি কেন আমাদেরকে শাস্তি দেবেন? কি যুক্তিতে? তাছাড়া আপনারা তো আছেনই তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণ করার কাজে নিয়োজিত; আপনারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তিনি আছেন, তাঁর অস্তিত্বের নিদর্শন নাকি পথেঘাটে চলতে ফিরতেই পাওয়া যায়, এরপরও যদি প্রমাণ করতে না পারেন তিনি আছেন, তাহলে আমাদের অবিশ্বাসের দায় কি আপনাদের উপরও বর্তায় না?
@ আবিশ্বাসী,
“.না হয় আর তিনি যদি ন্যায় বিচারকই হন, তাহলে তিনি কেন আমাদেরকে শাস্তি দেবেন? কি যুক্তিতে? তাছাড়া আপনারা তো আছেনই তাঁর অস্তিত্ব প্রমাণ করার কাজে নিয়োজিত; আপনারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তিনি আছেন, তাঁর অস্তিত্বের নিদর্শন নাকি পথেঘাটে চলতে ফিরতেই পাওয়া যায়, এরপরও যদি প্রমাণ করতে না পারেন তিনি আছেন, তাহলে আমাদের অবিশ্বাসের দায় কি আপনাদের উপরও বর্তায় না? ”
সবার বাধ্যতামুলকবাহবে ইসলাম গ্রহন করতে হবে কোন যুক্তিতে এ প্রসংগে আপনি যা বললেন তা আসে। এটা এখনো আমি কোন যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা পাইনি। কারন সাধারন বুদ্ধি বলে ধর্ম আসলে পারিবারিকবাহবে বেশিরভাগ মানুষ পায়, নিজ বিচার বুদ্ধি দিয়ে পরিণত বয়সে ধর্ম গ্রহন করার হার অত্যন্ত কম। তাই খুব স্বাভাবিকবাহবে প্রশ্ন আসে যে যার জন্ম অন্য ধর্মাল্বী বা নাস্তিকের ঘরে তার কেন মোসলমান না হবার মহা অপরাধে ভুগতে হবে?
এটা আমি আমি তবলীগ জামাতের কাছে জিজ্ঞাসা করতাম। তাদের বক্তব্য ছিল যে সে দায় পড়ে অন্য মোসলমানদের উপরেও। প্রত্যক মোসলমানের নাকি দায় আছে ধর্ম প্রচারের, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ইসলামের দাওয়াত দিতে। তাই তারা ইসলামী দাওয়াত দেওয়াকে এত গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করেন। একারনেই মোসলমানরা মনে করে জগতে সব মানুষ্কে মোসলমান বানানো তাদের পবিত্র দায়িত্ব।
মহাবিশ্বকে প্রাণ-বান্ধব হওয়ার জন্য বিগ ব্যাং এ প্রায় পঞ্চাশটার মত চলক (quantities) এবং ধ্রুবককে (constants) সূক্ষ্ণ-সমন্বিত (fine-tuned) হতে হয়েছে।
হুম সেই ফাইন টিউনিং তত্ত্ব। তবে বন্যা আপার বিবর্তনের পথ ধরে পড়ে আমিও একমত যে, প্রাণের বিকাশের জন্য এমন ফাইন টিউনিং হতেই হবে এমন তো কথা নেই। অন্যভাবে টিউনড হলে হয়তো অন্য ভাবে প্রাণের বিকাশ ঘটতো!!
মূল বিতর্কটা যদি খ্রিষ্টানদের ঈশ্বর নিয়ে হয় তাহলে এই কথাটা কিভাবে সত্য হয়। ঈশ্বর যে মানুষের বানানো একটা আইডিয়া সেটা কী প্রমান করা বাকী আছে?
যাই হোক আশা করি পরের পর্বগুলোতে আরও জম্পেশ বিতর্ক পড়তে পারবো। আর ফরিদ ভাই, অনুবাদটি মিহি, কোমল এবং মসৃনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এই পর্বে যদিও রসের অভাব আছে, সেটা তো আর আপনার ঘাড়ে বর্তায় না। 😀
পরিশেষে আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা ঘেন্না করে দেক!! 😀
এই মেরেছে-ঈশ্বর ত অনেক রকমের। ৬০০ কোটি লোকের ৬০০ কোটি ঈশ্বর থাকে! সৃষ্টিকর্ত্তা ঈশ্বর হলে-সৃষ্টিতত্ত্ব ছেড়ে দিয়ে বাইবেল কোরান পড়লেই ত মিটে গেল!
ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা-সেটা খুব নিম্নমানের ধর্মীয় ধারনা। বিজ্ঞান এবং দর্শন কোন দিক দিয়েই এর যুক্তি দেওয়া সম্ভব না। এটা আমার না-বিবেকানন্দের বক্তব্য ছিল।
যার জন্যে ভারতে আস্তিক-নাস্তিকদের দীর্ঘ বিতর্কের কারনে, উপনিষদের ঈশ্বর-সৃষ্টিকর্তা নন। সেই ঈশ্বর হয়ে যান সমগ্র সৃষ্টি। অর্থাৎ প্যান্থেইজম। আমিই ঈশ্বর বা অহম ব্রহ্মন। এর আবার দুরকরমের মানে আছে। প্রথম মানেটা হল “আমি” বিশ্ব ব্রহ্মান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নই-কারন আমার চেতনার জগতে আমি বলে ত কিছু নেই। যাকিছু আছে তা পিতা মাতা ফ্যামিলি বন্ধু প্রকৃতি এবং নানান বই, সিনেমা ইত্যাদি থেকে উদ্ভুত একটি সামগ্রিক চেতনা যেটাকে উনিভার্সাল কনসাসনেস বলে অদ্বৈতবাদি দার্শনিকরা মনে করেন।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে দার্শনিক জগতে মানুষই সিঙ্গুলার পয়েন্ট। মানুষ না থাকলে ধর্ম, ঈশ্বর, বিজ্ঞান এসব কোথায় থাকে?
যাইহোক বর্তমান যুগের লড়াইটা আধ্যাত্মিক ঈশ্বর বনাম রাজনৈতিক ঈশ্বরের। এই নিয়ে বহুদিন আগে কিছু লিখেছিলাম-তুলে দিলাম।
http://biplabspiritualism.blogspot.com/2008/07/what-is-god-will-he-exist-anymore_13.html
@সৈকত চৌধুরী,
জেনে ভাল লাগল যে আপনি আসলে ভুল বোঝেননি। ধণ্যবাদ।
ফুয়াদ,
আল্লাহ যা ইচ্ছে তাই করবেন কোনরকম ব্যাখ্যা ছাড়া, ব্যাপারটা কি স্বৈরাচারী মনে হয় না? এটা কোন সাধারণ যুক্তির মধ্যে কিন্তু পড়ে না। এ জাতীয় কথাবার্তা শুনলে যেকোন অবিশ্বাসীর যিনি শৈশবে ধর্মের কোন ছোয়া পাননি তার আল্লাহর উপর তেমন একটা শ্রদ্ধাভাব কি জন্মাবে? আমিও জানি যে প্রশ্নপত্র এক হলে কোন বৈচিত্র আসত না, সবাই আস্তিক ভাল মানুষ হয়ে যেত। আমি নিজেও তা রফিক সাহেবকে বলেছি। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। তাই বলে প্রশ্নপত্রের পার্থক্য এতটা? কারো জন্য প্রশ্ন ২+২=? কারো জন্য ফুরিয়ার সিরিজের সমাধান?
আল্লাহ জানেন তার বান্দা কতটূকু সহ্য করতে পারবে? তাহলে তো বলতে হয় যে আল্লাহ যাকে যে অবস্থায় রেখেছেন তার সেই অবস্থাতেই খুশী হবার কথা, তাই না? তাই কি হয়? আশেপাশে কি তাই দেখতে পান? একজন মানুষকে জন্মাদ্ধ বা পংগু করে জন্ম দিলে তাকে যতই পরকালের সোজা হিসেবের লোভ দেখানো হক তিনি কি তাতে খুশী থাকতে পারবেন? তার মনে কি কখনো এমন প্রশ্ন আসবে না যে আল্লাহ তার উপর সুবিচার করতে পারেননি? এটা ধনী দরিদ্রের ব্যাপার নয়। রাস্তার ফকির থেকে রাজা মহারাজা বনে যাবার উদাহরন বহু আছে। কিন্তু আজন্ম অন্ধ পঙ্গু… এরকম বহু উদাহরন আছে যাদের আসলে বলা চলে দুনিয়াতে কোন সুযোগই দেওয়া হয়নি।
প্রায়ই শুনি যে আমরা জানি না কিসে আমাদের ভাল কিসে মন্দ, আল্লাহ জানেন, তাই আল্লাহর সব কাজই খুশী মনে মেনে নিতে হয়। এর উদাহরন হিসেবে কিছু অত্যন্ত সুইধাজনক সরক উদাহরন দেওয়া হয়। যেমনঃ আমি একটি প্লেন মিস করলাম…এটা কিবাহবে ভাল হয়??? পরে জানা গেল যে সেই প্লেন এক্সিডেন্ট করে সবাই মারা গেছে! বাহ, তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আমাকে বাচাতেই প্লেন মিস করিয়েছিলেন আর আমি তাকে ভুল বুঝেছিলাম। কিন্তু আরো অসংখ্য উদাহরন আছে যা এবাহবে ব্যাখ্যা করার কোন উপায় নেই, অন্তত দুনিয়ার যুক্তির জগতে। আমার এক চেনা দম্পতির অত্যন্ত বিকলাংগ একটি সন্তান আছে, তাদের জীবন বলা যায় আধারময়, এ জাতীয় ঘটনা কি কোন জাগতিক হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়? কিংবা, কথা নেই বার্তা নেই, একটা ৪ বছরের ফুটফূতে শিশু মারা গেল? সে বড় হয়ে সন্ত্রাসী হত, তাই আল্লাহ নিয়ে গেলেন? আল্লাহই তো তাকে সন্ত্রাসী না বানিয়ে ভালমানুষ বানাতে পারতেন।
আললে তাই আমি সবসময় বলি যে ধর্মের কোন জাগতিক যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা হয় না। এটা পুরোপুরি বিশ্বাসে ব্যাপার। যুক্তি দিয়ে হয়ত তর্ক চালানো যায় তবে এক পর্যায় গিয়ে হাস্যকর আলোচনায় পরিণত হয়।
@আদিল মাহমুদ,
খুশি হওয়ার ব্যপার টা মানুষ বিষেশ নির্ভর করে । এটা ও পরিক্ষার অংশ । আরেক টি বিষয়,শয়তান মানূষকে সব সময় তার কি নাঈ সেটাই
তুলে ধরে, কি আছে তা সব সময় ধরে না ।
প্রধান বিষয় এই যে, আল্লাহ সুবাহানাতালা ই একমাএ ব্যক্তি যিনি যে কারো দুঃখ কে ০ করে দিতে পারেন । অথবা দুঃখকে সুখে পরিনিত করতে পারেন । মৃত্যর পর বা যেকোন সময় , আল্লাহ সুবাহানা তালা ঈ একমাএ ব্যক্তি যিনি ঐ দুঃখকেও সুখে পরিনিত করতে পারেন । কিভাবে আমরা তা জানি না । যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবাহানাতালাকে বিশ্বাস করতে পারলে , তার এ ক্ষমতাকে ও বিশ্বাস করতে পারবেন ।
আপনিকি বিষয় টুকু বুঝতে পারেছেন ? কেঊ পুঙ্গু, চরম অশহায় তার কষ্ঠকে ও আল্লাহ সুবাহানাতালা সুখে করতে পারেন ।
বিংশ শতাব্দির অন্যতম শ্রষ্ঠ অথবা সর্বশ্রেষ্ঠ (কারো মতে) আলেম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ রঃ যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৌদি আরবের প্রধান শরিয়া মুফতি ছিলেন, তিনি কিন্তু জন্মান্ধ ।
@ফুয়াদ,
“বিংশ শতাব্দির অন্যতম শ্রষ্ঠ অথবা সর্বশ্রেষ্ঠ (কারো মতে) আলেম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ রঃ যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৌদি আরবের প্রধান শরিয়া মুফতি ছিলেন, তিনি কিন্তু জন্মান্ধ ।” এ দ্বারা কি বোঝায় ঠিক বুঝলাম না। তিনি কি অত্যন্ত সুখী সফল একজন মানুষের উদাহরন বলতে চাচ্ছেন? বিথোফেন…মহাকবি হোমার এরাও সব জন্মান্ধ, তাতেই বা কি প্রমান হল? এতে কি আমরা বলতে পারি যে মানুষ জন্মান্ধ হলে বা পংগু হলে তার কোনই অসুবিধা হয় না, সে অন্য আর ১০টা মানুষের মতই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে? তাদের কোনদিন মনেই হত না এই জগতটা প্রান ভরে দেখতে?
দেখুন, শয়তানে মানূষকে কি মন্ত্রনা দেয়, এ জাতীয় কথাবার্তা কোন যুক্তিবিধ্যায় পড়ে না। তাই আবারো বলছি যে যুক্তির জগতে বিশ্বাস টেনে আনবেন না। সে হিসেবে জগতের যাবতীয় কুমন্ত্রনাদাঙ্কারী শয়তান। তো এখন ক্রিমিনালরা যদি আদালতে দাঁড়িয়ে বলে যে জজ সাহেব আমার কি দোষ, সব তো করিয়েছে শয়তান। নাহলে কি আমি আর মন্দ কাজ করতে যাই? এটা যুক্তি কেমন শোনাবে? আল্লাহ পরীক্ষা করেন, যাকে ইচ্ছা ভাল রাখেন যাকে ইচ্ছা কষ্ট দেন, পরকালে কারো বিচার সহজ কারো কঠিন করবেন এটাই বিশ্বাসের ভিত্তিতে মেনে নেন, কিভাবে তাও আমরা যখন জানি না তখন যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে না যাওয়াটাই উত্তম।
এখানেই তো মেরে দিলেন । আগেই পরিষ্কার করে দিলেন আপনি কার পক্ষে তাহলে তো আমাদের কাছে কোনো গুরুত্ব ঈ থাকলো না ।
হা ঠিক বলেছেন । যেমন আপনি এখানে ।
পরবরতীতে মনে হয় জাবাব নিয়া আসবেন । এ জন্য ই এই লেখা। যাইহোক, বলেন আমরা শুনি ।
এই যুক্তি তো সাধারন আস্থিকরা ও করে । নাস্থিকরা জবাব দেয় । তাই কঠিন জবাব যে আসবে এখন ঈ বুঝতে পারতেছি । তবে যতঈ ঈশব্র কে নেই প্রমান করুন আর বুলুন না কেন , তিনি থাকলে তিনি আছেন ঈ । আপনাদের কথায় উনার কিছু আসে যায় না । আল্লাহ সুবাহানাতালা আমাদের ক্ষ্মা করেন ।
@ফুয়াদ,
লেখাটা যদি আপনি মন দিয়ে পড়েন, তাহলে বুঝবেন -লেখাটা ফরিদ সাহেবের না। উনি উইলিয়ার ক্রেইগ এবং এন্টনি ফ্লু এর একটি বিতর্ক অনুবাদ করেছেন। আপনি জানেন কিনা জানি না – উইলিয়াম ক্রেইগ এবং এন্টনি ফ্লু দুজনেই একাডেমিয়ার সাথে যুক্ত খুব উঁচুমানের দার্শনিক। এদের বিতর্ক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আল্লাহ সুবাহানাতালা আপনাকে যত ইচ্ছা ‘ক্ষ্মা’ করুক, দয়া করে আমাদের মত ছা-পোষা মানুষদের কথা ভেবে লেখকদের নিরুৎসাহিত করবেন না।
@অভিজি দা,
আসলে আমি উনাকে নিরুৎসাহিত করতে চায়নি । আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তাই বলেছিলাম ।
হা অবশ্যই । অনেক কিছু শিখার আছে । লেখক কে ধন্যবাদ । আর আমি দুঃখিত্ ।
@ফুয়াদ,
হ, তা ঠিক। তিনি থাকলে তিনি আছেনই। খালি একটাই প্রবলেম – ঈশব্র নিজে আইস্যা কিছু কইতে পারেন না। নিজে আইস্যা উপস্থিত হইলেই তো ল্যাঠা চুইক্যা যায়। দুইন্যার বেবাগ নাস্তিকেরা আসিক হইয়া যাইতো এক মিনিটেই। তা না কইরা তিনি ঠুটা জগন্নাথ সাইজ্যা সাত আসমানের উপ্রে বইয়া থাকেন, আর তিনি যে আছেন সেইটা প্রমাণ করনের জন্য ফুয়াদ সাহেব গো লাহান সৈন্য গো দরকার পড়ে, যারা নিজেরাও কোনদিনই ঈশ্বররে না দেইখা উনি যে আছেন তা নানা কিসিমের যুক্তি হাজির কইরা প্রমাণ করনের চেষ্টা করেন। আর মুখে কন – উনার কিছু আসে যায় না। বাহ।
@রফিক,
শুনলে হয়ত বিরক্ত হবেন, তবে ধর্মীয় ফিলসোপি অনুযায়ী এর খুব সহজ ব্যাখ্যা আছে। ইসলামেও শুনেছি যারা আল্লাহকে না দেখেই বিশ্বাস করে তাদের অনেক বেশী ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে (সম্ভবত কোরানে এমন একটা আয়াত আছে)।
এর পেছনের যুক্তিটা অনেকটা এরকম যা আমি নিশ্চিত আপনিও জানেন, আল্লাহ বা ঈশ্বর আমাদের নিয়ে পরীক্ষা করছেন…যদি তিনি নিজে এসে দেখা দিতেন তাহলে তো আর পরীক্ষার কোন মানে থাকত না, অনেকটা পরীক্ষার আগেই কোয়েশ্চেন আউট। আপনিই যেমন বললেন জগতে আর কোন নাস্তিক থাকত না।
@আদিল মাহমুদ,
হ, আবার আল্লাহই কইলাম কইছে, তার নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাটাও লড়ে না। আর আল্লাহ যেহেতু সর্বশক্তিমান – তিনি এই পরিক্ষার ফল আগে থেকেইকাই জানেন, তাই না? কারে দোজখে পাঠাইবেন, আর কারে বেহেস্তে। যেখানে ফলাফল আগেই নির্ধারিত – তো এই আজীব পরীক্ষার কি মানে। কোয়েশ্চেন এমনেও আউট, অমনেও আউট।
একটা গান আছে না –
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে, বিরাট শিশু আনমনে খেলিছ ।
@আদিল মাহমুদ,
বন্ধু আদিল আপনি বললেন আল্লাহ আমাদের নিয়ে পরীক্ষা করছেন। আচ্ছা, পরীক্ষাটা কোন ধরণের? বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ব্যতিত মানুষ তার নিজ পরিবারের ধর্মই গ্রহণ করে। এখন যারা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় মুসলমান হলো তারা মৃত্যুর পরে অনন্তকালের জন্য বেহেশতে যাবে আর অমুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় যারা অমুসলিম হলো তারা অনন্তকালের জন্য দোযখে যাবে- এই হলো পরীক্ষার নমুনা।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যারা নিজ ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে তারাও কিন্তু খুব একটা বুঝে শুনে বা জেনে তা করেনা।
স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি পাওয়া তো দূরের কথা স্রষ্টার অস্তিত্ব থাকতে পারে এরকম সন্দেহ করার মতোও কোনো যুক্তি খুজে পাওয়া যায় না। বিষয়টা আমি পরিষ্কার করছি। যেমন আমরা কখনো মনে করিনা আমাদের তিনটি হাত থাকলেও থাকতে পারে।
এবার এক বেহেশত যাত্রীর কথা বলি। সে আমাদের বাসার কাজের বু। মহিলাটির জন্ম হয়েছিল হিন্দু পরিবারে। কিন্তু অতি অল্প বয়সে এক মুসলমান ডাকাত তাকে মুসলমান বানিয়ে বিয়ে করে। তারপর দীর্ঘ একযুগের মহা নির্যাতন। গণপিটুনিতে ডাকাতটির মৃত্যু হলে মহিলাটির অন্য একজায়গায় বিয়ে হয়। তারপর কয়েক সন্তান জন্ম দেয়ার পর তালাক। এরপর নানা জায়গা ঘুরেফিরে আমাদের বাসায়। মহিলাটি এতবেশি মুসলমান হয়েছে যে ওর নামায রোজা দেখে আমি হতবম্ভ। সমস্যার বষয় হলো আমি নামায না পড়ে কোথায় চলে গেলাম, কোথায় গিয়ে রোজা খেলাম তা খুজে বের করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওকে। এছাড়া নামাজের সময় বেশি করে চেচামাচি করে আমাকে সতর্ক করে দেয়া, নাস্তিক বন্ধুদের কেউ বাসায় এসেছে কি না তা দেখাও ওর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বন্ধু আদিল, ইমান নিয়ে মরতে পারলে মহিলাটি অনন্তকালের জন্য বেহেশতে যাবে তাই না ?
@ফুয়াদ,
আমার মনে হচ্ছে না যে আপনি লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেছেন। উত্তর দেবার জন্যে মুখিয়েই ছিলেন, ফলে প্রাক-সিদ্ধান্তের বশবর্তী হয়ে এখান থেকে অখান থেকে খাবলা দিয়ে উদ্ধৃতি তুলে এনে নিজের মনমত করে যা বলার বলে চলে গেছেন। ভাল করে পড়লেই ঠিকই বুঝতে পারতেন যে, লেখাটি ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব বিষয়ক একটি একাডেমিক বিতর্কের অনুবাদ কর্ম বই আর কিছু নয়। আমি শুধুমাত্র এর শুরুতে সামান্য একটি ভূমিকা যোগ করেছি। এবং এই ভূমিকার ফলে কোনক্রমেই অনুবাদকর্মটির মূলসুর কোথাও ব্যাহত হয়নি, পক্ষপাতপূর্ণ হয়ে যায়নি। এই বিতর্কটি কেন, কোথায় এবং কি ধরনের কার্যবিধি বিন্যাসে হয়েছে তা আমার ভূমিকাতেই বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে প্রফেসর ফ্লু যেমন সুযোগ পেয়েছেন তার বক্তব্য রাখার, প্রতিপক্ষের বক্তব্য খণ্ডনের, সমাপনী বক্তব্য দেবার, তেমনি প্রফেসর ক্রেইগ সুযোগ পেয়েছেন তার বক্তব্য উপস্থাপনের, প্রেফসর ফ্লুর বক্তব্য খণ্ডানোর এবং উপসংহার টানার। প্রতিটি পর্বেই প্রত্যেকের জন্য সমপরিমাণ সময় বন্টন করা ছিল। এমনকি বিতর্কের পরে দুজনেই প্রশ্নোত্তর পর্বেও অংশ নিয়েছেন।
আগেই বলেছি, এটি একটি বিতর্ক, কোন সিদ্ধান্তমূলক রচনা নয়। ফলে, আমার পক্ষপাতগত অবস্থানে এর কোন রকম রকমফের হচ্ছে না, মেরে দেবারতো কোন প্রশ্নই আসে না। আপনিও আপনার পক্ষপাতমূলক অবস্থান থেকেই ভাল করে পড়ুন না বিতর্কটি। দুই পক্ষেরই মতামত সমভাবে প্রতিফলিত হয়েছে এখানে। কাজেই, গুরুত্ব দেবার ক্ষেত্রে সমস্যাতো হবার কথা নয়।
মুক্তমনা আমার আঙিনা। কাজেই, আমি এখানে লম্ফঝম্প দেবো সেটাই স্বাভাবিক। তবে, আপনিও কিন্তু কম উধ্বমুখী লাফ ঝাপ দিচ্ছেন না এখানে। 😀 এটাই মুক্তমনার অনন্য বৈশিষ্ট্য। কার আঙিনা সেটা বড় কথা নয়। যে কেউই দাপাদাপি করতে পারে এখানে।
@ফরিদ,
না ভাই পড়েছিলাম । যাইহোক, লেখার শেষ পরযন্ত আছি , চালিয়ে যান । এবং আপনাকে ধন্যবাদ, আর আমি দুঃখিৎ ।
এই কথাকে ঘুরিয়ে বলা যায়, আপনা রা আপনাদের ঐখানে লাফালাফি করেন, আর আমরা ঊভয় যায়গাতেই করি । যাইয়হোক, এইটা আমার বলার উদ্দেশ্য না।
আপনার লেখার জন্য আবার ও ধন্যবাদ । মুক্তমনাকে ও অবশ্য ঈ ধন্যবাদ, যে আমি কমেন্ট করতে পারি ।
@ফুয়াদ,
ভুল স্বীকার এবং দুঃখ প্রকাশের যে সৌজন্যতা ও ঔদার্য প্রদর্শন করেছেন তার জন্যে নিঃসন্দেহে আপনি আমার তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্য। লেখার শেষ পর্যন্ত থাকবেন জেনেও খুশী হলাম।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি মনে হয় আমার উপর একটু অকারনেই কুপিত হচ্ছেন। আমি যা বলেছি তার কোনটাই আমার নিজের কথা বা বিশ্বাস না। আমি ধর্মের দৃষ্টিতে রফিক সাহেবের মূল প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ্বাস করা না করা যার যার নিজের ব্যাপার।
এটা আমার নিজের কোন ব্যাখ্যা নয়, আমি নিজেও জানি এর মধ্যে অনেক ফাক আছে। আল্লাহর পরীক্ষার প্রশ্ন এক একজনের জন্য এক একরকম কেন তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা আমি এখনো পাইনি। যদিও ধার্মিকরা এর ব্যাখ্যা দেন যে কারো প্রতি অবিচার করা হবে না, প্রত্যেককে তার প্রশ্নপত্রের ষ্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিচার করা হবে। কারো বিচার কঠিন, কারো সহজ। অনেকের কাছেই শুনতে আজব লাগবে জানি।
আর বেহেশত দোজখে যাবার ব্যাপারে আমি কি করে জানব বলেন। তেমন কোন দাবী তো আমি করিনি। কেউ যদি তেমন দাবী করে থাকেন তবে বলতে হবে যে তার ধর্মজ্ঞানে ভেজাল আছে।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল মাহমুদ ভাই,
১ আল্লাহ সুবাহানাতালার তো এই অধিকার আছে যে, যাকে যে প্রশ্ন দেবার ইছছা ঐ প্রশ্ন দেওয়ার, তাই নয় কি ? আপনাকে এই বিষয়টি বুঝতে হবে যে, যদি আপনি মানতে পারেন যে আল্লাহ সুবাহানাতালা এই পৃথিবীর স্রষ্ঠা, তাহলে আপনাকে এইটাও মানতে হবে যে তিনি উনার ইছছা মত কাজ করতে পারেন, এবং উনি যা করেন তাহাই সঠিক । উনি ভাল করেই জানেন কোনটি উনার বান্দা বহন করতে পারবে কোন টি না ।
২
আল্লাহ সুবাহানাতালা সবাইকে কেন একই প্রশ্ন দিবেন তাও আমি বুঝতে পারতে ছিনা । তিনি কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে কাউকে না দিয়ে । এখানে দেখুন ঃ হাদিসে কুদসীঃ
“Allah will say on the Day of Judgment, ‘O son of Adam, I was sick and you did not visit Me.’ He will say, ‘O my Lord, how could I visit You, when you are the Lord of the Worlds.’ Allah will say, ‘Did you not know that My servant so-and-so was sick and you did not visit him? Did you not know that if you had visited him, you would have found Me there?’ Allah will say, ‘O son of Adam, I asked you for food and you fed Me not.’ He shall say, ‘O my Lord, how could I feed you and you are the Lord of the Worlds?’ And Allah will say, ‘Did you not know that My servant so-and-so was in need of food and you did not feed him? Did you not know that if you had fed him, you would have found that to have been for Me?’ ‘O son of Adam, I asked you for water and you did not give Me to drink.’ The man shall say, ‘O my Lord, how could I give You water, when You are the Lord of the Worlds?’ Allah will say, ‘My servant so-and-so asked you for water and you did not give him to drink water. Did you not know that if you had given him to drink, you would have found that to have been for Me.’ (Muslim, Hadith no. 4661)
৩ সবাইকে এ কি রকম প্রশ্ন দিলে পরিক্ষাঈ হবে না, কারন পৃথিবীর যে এই বৈচিত্র তাহাই হবে না, সবাই এমনে তেই বুঝতে পারবে, আমাদের এই এই কাজ করতে হবে ।
তাই, এধরনের ফিলসফিকাল প্রশ্ন দিয়ে ইসলাম কে দর্শন এর পরযায়ে নেওয়া ঠিক না, বলে আমার মনে হয় ।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার উপর আমি মোটেও কুপিত হই নাই। আপনাকে বরং আমার ভালো লাগে।
ফুয়াদের প্রতি আমার কিছু বলার আছে
১।আপনাকে তো আগে আল্লার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে তাই না। তারপর না হয় হাদিসে কুদসি নিয়ে দৌড়ঝাপ করলেন।
২।আমরা আল্লার বৈশিষ্ট্য দেখেই তো তাকে চিনব। আল্লার পরীক্ষা করার নমুনা দেখলেই তাকে চিনতে কারো বাকি থাকার কথা নয়।