‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’,
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননায় ভূষিত প্রথম বাঙালি
.
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরেকটি বিরল সম্মান বয়ে আনলেন বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’-এ ভূষিত হলেন তিনি। ১২ আগস্ট ২০০৯ বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত প্রায় ৩.০০ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাকজমকের সাথে মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে দিয়ে নিজ হাতে ড. ইউনূসের গলায় এ পদক পরিয়ে দেন। এ সময় তাঁকে সহায়তা করেন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রীড়া, সঙ্গীত ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অনন্য সাধারণ অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা জানাতে নির্বাচিত ১৬ জনের নাম গত জুলাই ২০০৯ মাসেই ঘোষণা করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে ১২ জন আমেরিকান এবং ৪ জন আমেরিকার বাইরের। ড. ইউনূস ছাড়া বাকিরা হচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু, ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, মার্কিন সিনেটর রবার্ট এডোয়ার্ড কেনেডি, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা সিডনি পয়টিয়ার, সাবেক প্রথম মহিলা আইরিশ প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, অভিনেত্রী চিতা রিভেরা, নাগরিক আন্দোলনের নেতা রেভারেন্ড জোসেফ-ই-লোয়ারি, আমেরিকান আদিবাসী ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ জোসেফ মেডিসিন ক্রো, সমাজকর্মী ন্যান্সি গুডমান ব্রিঙ্কার, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. জানেট ডেভিসন রাউলি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সান্ড্রা ডে ও’কনর, টেনিস তারকা বিলি জিন কিং, মানবতাবাদী হিস্পানিক চিকিৎসক ড. পেড্রো জোসে গ্রিয়ান জুনিয়র প্রমুখ।
দু’জনকে মরণোত্তর পুরস্কার দেয়া হয়। তাঁরা হলেন রিপাবলিকান দলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো কেম্প এবং সমকামী অধিকার আন্দোলনের নেতা হার্ভে মিল্ক। অসুস্থতার জন্য সিনেটর রবার্ট এডোয়ার্ড কেনেডি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় তাঁর পক্ষে পদক নেন তাঁর কন্যা কার কেনেডি।
১৯৪৫ সাল থেকে চালু হওয়া এই সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক (presidential medal of freedom) প্রদানের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে সম্মানিত করে থাকেন। বিগত ৬৪ বছরের ইতিহাসে এশিয়া মহাদেশ থেকে মাত্র পাঁচজন এ পদকে ভূষিত হন। তাঁদের মধ্যে ভারতের মাদার তেরেসা, মায়ানমারের ওঙ সান সুকি অন্যতম। প্রফেসর ইউনূস হচ্ছেন পঞ্চম এশিয়ান ও প্রথম বাঙালি যিনি এই সম্মান লাভ করলেন।
প্রত্যেককে পদক পরিয়ে দেয়ার ফাঁকে ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁদের সম্পর্কে পরিচিতিমূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বারাক ওবামা বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদক পরিয়ে দেয়ার সময় বলেন, জনগণকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ ব্যবস্থা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। জনগণকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করতে তিনি ক্ষুদ্রঋণ লাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ব্যাংকিং খাতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর জনগণকে লাভজনক ব্যবসার পথ দেখিয়েছেন। এভাবে মুহাম্মদ ইউনূস সৃষ্টিশীলতার নব দিগন্ত উন্মোচন করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে নিজস্ব ক্ষমতার প্রতি সচেতন করেছেন।
এর আগে এই পদক সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন- এটি আমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এদেশ ও অন্যসব দেশের কিছু সর্বোত্তম নাগরিককে ধন্যবাদ জানানোর একটি সুযোগ। এমন এক সময়ে যখন প্রায়ই আমাদের মাঝে নৈরাশ্যবাদ ও সংশয় দেখা দেয়, পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা অনেক সময়ই ভুলে যাই, আমাদের সামনে চলার পথটি অনেক দীর্ঘ ও বন্ধুর মনে হয়, তখন এ অসামান্য মানুষগুলো, এ পরিবর্তনের নায়করা আমাদের এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেন, উৎকর্ষ অর্জন আমাদের সাধ্যের বাইরে নয়। তারা আমাদের আশার বাণী শোনান। তারা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, স্বপ্ন পূরণ, অন্যের স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়া এবং আমাদের সন্তানদের জন্য এ পৃথিবীকে নতুন করে গড়ে তোলার ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই রয়েছে।
বারাক ওবামার এমন আবেগময় চমৎকার বাণী সবার মধ্যেই সাহস ও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে সক্ষম বৈ কি। এবং ভাবতে ভীষণ গর্ব হয় যে, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত কালো মানুষ বারাক ওবামা, যাকে একজন মানবতাবাদী তরুণ নেতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোটা বিশ্ব ভাবতে পছন্দ করে, তাঁর সাহসের প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন বাঙালিও রয়েছেন, যিনি আমাদেরই লোক, ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ পর্যন্ত এসে লেখাটা শেষ হয়ে যেতে পারতো। অন্তত বাঙালি হিসেবে সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম আমি। কিন্তু তা যে হলো না, এর কারণ নিউজ ওয়ার্ল্ড নিউইয়র্ক-এর একটি খবরে কতকগুলো বিষণ্ন প্রশ্ন এসে ভর করলো মনে। তার ব্যাখ্যা আর নাই দিলাম। তার চে’ ‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেও ড. ইউনূসের খোঁজ নেয় নি বাংলাদেশ দূতাবাস’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটাই না হয় হুবহু উদ্ধৃত করি-
‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে কোনো সম্মান দেখায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী একজন কূটনীতিক বলেন, সরকার থেকে আমাদের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাকে সালাম জানাতেও যেতে পারিনি।
১২ আগস্ট হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ওবামা বিশ্বের ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেন। মূলত এটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজ হাতে সম্মাননার মেডেলটি পরিয়ে দেন ড. ইউনূসের গলায়। বাংলাদেশী ড. ইউনূসের নাম ঘোষণার সাথে সাথে হোয়াইট হাউসের পাম রুম উল্লসিত হয়ে উঠেছিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামা বললেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আত্মবিশ্বাসকে জাগ্রত করেছেন ড. ইউনূস।
মেডেল নেয়ার বিভিন্ন দেশ তাদের কৃতী সন্তানদের অভিবাদন জানাতে প্রেরণ করেছিল স্ব স্ব দেশের দূতদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। হোয়াইট হাউসের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কোনো বাংলাদেশী কূটনীতিক।
পুরস্কৃত ব্যক্তিত্বদের সম্মানে স্ব স্ব দেশের দূতাবাস সংবর্ধনা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালায় তাদের এই অর্জনকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দূতাবাস ছিল নির্বিকার।
১১ থেকে ১৪ আগস্ট চার দিন ওয়াশিংটনে অবস্থান করেছেন ড. ইউনূস। কিন্তু বাংলাদেশী কূটনীতিকরা তাকে কুশলবিনিময়ের ন্যূনতম সৌজন্য দেখাননি।
নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে তিনি এসে নামলে শত আমেরিকানের বিমুগ্ধ চোখ ছিল ড. ইউনূসকে ঘিরে।
গত শুক্রবার দেশে ফেরার সময়ও জেএফকে টার্মিনালে অজানা-অচেনা শত মানুষ ঘিরে ধরেছিল তাকে একনজর দেখতে। হুড়োহুড়ি লেগে গিয়েছিল ছবি তোলার জন্য। ড. ইউনূস ছিলেন একা। নিজে নিজেই বোর্ডিং কার্ড নিয়েছেন। সেখানেও বাংলাদেশী কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। বিষয়টি এয়ারপোর্টে উপস্থিত অনেক বাংলাদেশীর চোখ এড়ায়নি। এ জন্য তার প্রতিবাদ করেছেন প্রকাশ্যে। জানতে চেয়েছেন এই উপেক্ষা-অবহেলার হেতু কী।’
রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ হয়তো বুঝি না। তবে কৈশোরের পাঠ্যে শিখে নেয়া প্রবাদটি ঠিকই মনে পড়ে যায়- গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। একান্তই বাঙালি প্রবাদ। এই যোগী যে ভিখ পায় না, তা কি গ্রামবাসীর স্বচ্ছ স্মৃতিতে যোগীর বেড়ে ওঠার ভাঙাচোরা ছবি-কণার অহেতুক উৎপীড়ন, না কি যোগীকে ধারণ করার ক্ষমতা গ্রামবাসীর থাকে না, কে জানে। তবে এটা ঠিক যে, তপস্যার সঙ্কুল পথ ও যাত্রা যোগীকে পরিচিতির মগ্নতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সময়ের পরিশ্রুত প্রজন্মের নির্মোহ চোখই পারে যোগীর যোগ্যতা মেপে দেখার স্থিতি ধারণ করতে।
ড. ইউনূস কে ও কী, তা জানতেও হয়তো আমাদেরকে আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে, সময়ের সেই পরিশ্রুত প্রজন্মের জন্যে।
৩০% সুদের ব্যাপারটা সত্য। এটা একটা জালিয়াতি। জালিয়াতি বলার কারন সুদ গ্রহীতাকে প্রতারিত করতে বলা হচ্ছে ১৫% সুদের কথা।
আসাকরি কেউ আভিযোগটি খন্ডন করতে এগিয়ে আসবেন। যতক্ষননা সেটা কেউ করছেননা ততক্ষন দয়াকরে ইউনুসকে গালিদিতে বারন করার কোন অধিকার আপনাদের নেই।
@আতিক রাঢ়ী,
দেখা যাক কি জবাব বা জবাব আসে কিনা।
ইঊনুস অর্থলোভী শাইলক হতে পারেন, বাংলাদেশে অনেকেই তাই; কিন্তু যেভাবেই হোক তিনি বাংলাদেশের সম্মান যেভাবে বহিঃবিশ্বে বাড়িয়েছেন তাকে কোনভাবেই খাট করা যায় না।
ডঃ ইউনুস সম্পর্কে এ ধরনের বিতর্কিত কথাবার্তা ওনার নোবেল জয় থেকেই শুনে আসছি। কেউ কি একটু বাস্তব ভিত্তিক ডিটেলস আলোচনা করতে পারেন? যতটুকু জেনেছি তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই যে তার ব্যাঙ্কের সুদের হার অত্যন্ত উচ্চ। প্রদানে ব্যার্থ হলে খেলাপিদের হালের বলদ, ঘরের চাল খুলে নেওয়ার মত অমানবিক অভিযোগ বিস্বাস করার মত যথেষ্ট কারন আছে। গ্রামীন ফোনের বদৌলতে নাকি প্রতি বছর বিদেশে কয়েকশ কোটি টাকা চলে যায়।
কিন্তু বিনীতভাবে স্মরন করাতে চাই যে লোন পরিশোধে ব্যার্থ হলে সে অর্থ তো আদায়ের ব্যাবস্থা করতে হবে। যদিও এটা মনে হয় নিশ্চিত সত্য যে আমাদের দেশে এমন কোন আইন নেই যা কোর্টের আদেশ ছাড়া ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশের অনুপশ্তিতিতে ঘরের চাল হালের বলদ বলপূর্বক নিয়ে যেতে অনূমোদন দেয়।
কিভাবে জানতে চাই না, তবে ডঃ ইউনুস আমাদের দেশের সম্মান ভাবমুর্তি বহিঃবিশ্বে বিপ্লবাত্মকভাবে বাড়িয়েছেন। তার নোবেল প্রাইজ পাওয়ার সময়ে বাংলা ভাই শায়খ বাহিনীর দৌলতে আমাদের ইমেজ দাড়াচ্ছিল পাকিস্তান আফগানিস্তান জাতীয় কোন এক দেশের সমতূল্য। সেসময় তার নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিঃসন্দেহে আমাদের মুখ রক্ষা করতে অনেকটা সাহায্য করেছে। এমন একজন ব্যাক্তির দেশের স্বার্থেই উচিত অমানবিক অন্যায় আচরন থেকে দূরে থাকা।
@আদিল মাহমুদ,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। জনাব নৃপেন সরকারের মন্তব্যের সূত্র ধরে ধন্যবাদসহকারে প্রথমেই বলে রাখি, লেখক গ্রামীণে চাকুরি করেন কি না তা দিয়ে সম্ভবত পোস্টের বক্তব্যের সাথে গুলিয়ে ফেলা স্বচ্ছ চিন্তার জন্য কোনভাবেই অনুকূল হবে না। যুক্তি ও বাস্তবতাই এখানে বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ। গ্রামীণের সুদ সম্পর্কে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও অসত্য বক্তব্যকে শিরোধার্য মানার আগে প্রকৃত তথ্য খোঁজার অনুরোধ করবো। আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিকই অনেক নৈতিকতাবর্জিত রাজনীতিকের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে কোনরূপ যাচাই না করে ধ্রুবসত্যজ্ঞানে বিশ্বাস করে নেয় বলেই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বারোটা তো বেজেছেই, সাথে সাথে মানুষের মধ্যে অদ্ভুত এক নীতিশূন্যতারও সৃষ্টি হয়েছে। কী ভয়ঙ্কর যুক্তিবোধরহিত অন্ধকার আমাদের সামনে কে জানে ! রাতকে দিন বা দিনকে রাত বানাবার জুড়ি সম্ভবত আমাদের রাজনীতিকদের সহজাত বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। আপনি গ্রামীণ সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ার প্রেক্ষিতে অনুরোধ করছি এই লিঙ্কটাতে একটু ঢু মেরে আসার জন্য। কমিউনিটি ব্লগ সচলায়তনের এই অভিন্ন পোস্টেই সেখানে বেশ কিছু বিতর্ক হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। আপনার বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সাথে সাথে চিন্তারও কিছু খোরাক পেতে পারেন প্রাসঙ্গিক এবং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও।
খুব বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, আমরা যে যতো যুক্তিবাদীই হই না কেন, কোন কোন ক্ষেত্রে এখনো কেন যেনো রাজনীতির চশমা ছাড়া কিছু দেখতে চাই না।
এছাড়া অন্য এই পোস্টটিও আপনাকে আরো কিছু জানতে ও ভাবাতে সহায়তা করতে পারে।
আবারো ধন্যবাদ জানাই। শুভেচ্ছা।
@রণদীপম বসু,
কে কোথায় চাকরি করে তা আসলে মোটেই জরুরী না। সে হিসেবে বাংলাদেশের হাজার হাজার স্মার্ট ছেলেমেয়ে আরো অনেক ভয়াবহ চরিত্রের (যাদের সম্পর্কে কোন বিতর্ক নেই) ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বা করতে বাধ্য হয়। বিদেশে আমরাও অনেকে বাধ্য হই। ডঃ ইউনুস কি অন্তত সালমান রহমান
বা আজিজ ভাই জাতীয় চরিত্র থেকে তর্কাতিতভাবে উত্তম নন?
ঊনি আসলে নোবেল প্রাইজ পাবার পর রাজনীতিতে নামার একটা চেষ্টা নিয়েছিলেন, তা বড় কোন দল এবং তাদের চেলা চামুন্ডা দলীয় বুদ্ধিজীবিরা ভাল চোখে দেখেনি। তখন অনেকেই মনে হয় তার নামে যাতা ছড়িয়েছে।
@রণদীপম বসু,
The story about the interest rate is a little fuzzy for ordinary people to visualize. It is a matter of paying attention to it.
Suppose Mr. X borrowed Tk100 at 15% rate for a year. The Grameen Bank divides (100+15) by 52 weeks and recovers this amount every week.
Notice that Mr. X pays Tk 15 for the whole year even though he does not hold the total money (Tk100) for the whole year.
Now consider the case when we borrow money for buying cars or homes. Every month we pay a fraction of the principal and some interest. Next month we pay interest on the remaining principal amount only and we pay more towards the principal. This means every month we keep lesser principal amount and so we pay lesser interest amount.
On the contrary, for each subsequent month, Mr. X pays interest on the fraction of principal which has already been paid off.
I worked on this whole issue using a mortgage calculation spreadsheet using Tk100 as principal for one year with interest rate of 15%. Based on the standard mortgage calculation spreadsheet, the total interest for a year Mr. X is supposed to pay is only Tk6.84. But he pays Tk15.00 instead.
The above instance gives an idea on how a 15% interest in the front end is not really 15%. It is more than 30%.
Dear Friends,
How are you all?
A friend of mine used to work for Dr. Yunus’s Bank. But soon he discovered that he is working for a monster. My friend was sent to take off poor people’s roof, because they couldn’t pay the money they borrowed. Poor people started to grab my friend’s leg and cry. And my friend decided to leave the job on the spot, and he did.
Thank you
Adnan Lermontov
@adnan lermontov,
@adnan lermontov,
I agree. Your friend is a sensible person. So he left the monster. Mr. Basu still works for this monster and praises him at his every opportunity.
Dr. Yunus is an example of the greatest propagandist and lobbyist. Having his business of making money by embezzling the poor in Bangladesh, he became able to hypnotise the US President, Bill Clinton, and finally went to the height of grabbing the Nobel Prize. Now he got another from President Obama. Does anybody know his contribution to Obama’s election?
Ex-Finance Minister, Saifur Rahman was right that the development and growth of Bangladesh is not due to Grameen Bank alone. Grameen Bank is a machine to expliot the poor by charging about 35% as interest. One commentator from Bangladesh said year before his Nobel Prize,”আমি তো তাকে হযরত ইউনুস বলি। তার সবই গ্রামীন – গ্রামীন ব্যংক, গ্রামীন ফোন, ইত্যাদি। গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ।”
Dr. Yunus has a 30-storied building in Mirpur. His business on the concept of “Grameen” has made him one of the richest persons in Bangladesh. I appreciate that his success in business has generated hundreds of new jobs in Bangladesh. Mr. Basu holds one of them.
Whatever be the means, Bangladesh is known all over the world for this grand prize. I am proud in that sense. However, awarding a Nobel prize to a businessman is absolutely wrong. Bill Gates should have gotten one long before Dr. Yunus. Bill did not exploit any poor. In fact, it is for his contribution, every home has access to computer and the Internet.