চন্দ্রনাথ বসু একজন ভাবুক জ্ঞানবান পণ্ডিত মানুষ। তাঁর ‘শকুন্তলা’ সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথ ‘আশ্চর্য প্রতিভার পরিচয়’ পেয়েছিলেন। এই পণ্ডিত চন্দ্রনাথ বসু ‘হিন্দুপত্নী’ এবং ‘হিন্দুবিবাহের বয়স ও উদ্দেশ্য’ নামে দু’টি আলোচিত প্রবন্ধ লেখেন। উক্ত প্রবন্ধে হিন্দুবিবাহের ‘আধ্যাত্মিকতা’, ‘হিন্দুদম্পতির একীকরণতা’ এবং ‘বাল্যবিবাহ’ সম্বন্ধে তিনি প্রথা শাস্ত্র ও ধর্মমতের সঙ্গে একমত হয়েও নিজের মত বিস্তৃতভাব লেখেন। তখন কয়েকটি ‘কাগজেও অবিশ্রান্ত প্রতিধ্বনিত’ হতে থাকে শ্রী চন্দ্রনাথ বসুর মত। ‘খ্যাতনামা গুণী ও গুণজ্ঞ লেখক শ্রীযুক্ত’ অক্ষয়কুমার সরকারও উক্ত প্রবন্ধদ্বয়ের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে চন্দ্রনাথ বাবুর প্রশংসা ও কিছু সমালোচনা করে প্রবন্ধ লেখেন। মানুষের শরীর, মন ও সমাজের মঙ্গল সম্পর্কিত প্রায় সব বিষয়েই অত্যন্ত সংবেদনশীল রবীন্দ্রনাথ যেমন বরাবর নিজের মত পরিষ্কার করে প্রকাশ করেন, এ-ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সময়টা বাংলা ১২৯৪ সন, সায়ান্স অ্যাসোসিয়েশন হলে রবীন্দ্রনাথ উক্ত প্রবন্ধ দু’টি অবলম্বন করে হিন্দুবিবাহ, বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সুদীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন।… (এর পর পড়ুন এখান)