লাব্বায়েক্ !
দুই ছেলে হজ্বে যাবে তাই নিয়ে মাহবুব সওদাগরের বাড়ী খুব ব্যস্ত। নুতন বিয়ে ওদের। এখনি সময় হজ্ব করার, পরে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেলে কঠিন হয়ে পড়বে। লোকে মনে করে হজ্বটা বুড়ো বয়সের ব্যাপার – বড্ড ভুল ধারণা কারণ হজ্বে খুবই শারীরিক পরিশ্রম হয়। বড়ো ছেলে ছোটাছুটি করে যোগাড়যন্ত্র করছে কিন্তু ছোটকে নিয়ে মহাসমস্যা। ছোটবেলা থেকেই তার রহস্যের শেষ নেই, তার রঙ্গরসের পাল্লায় পড়ে চিরকাল সবাই অস্থির। বাবা প্রস্তুতির কথা জিজ্ঞেস করলেই সে বলে – ‘‘হচ্ছে বাবা হচ্ছে, চিন্তা কোরনা। এ বছর যদি একজনের হজ্বও কবুল হয় তো আমারই হবে ইনশা আল্লাহ্’’।
বাবা আশ্বস্ত হন কিন্তু ছোটবৌ হয়না। তার বাবাও হজ্ব করেছে, সে জানে হজ্বে যেতে হলে কি হুলুস্থুল আয়োজন করতে হয়, কতো জায়গায় কতো ছোটাছুটি করতে হয়। সে দিব্যি দেখতে পাচ্ছে স্বামী তার মহা আরামে গা’ এলিয়ে আছে, যোগাড়যন্ত্রের কোন খবরই নেই। জিজ্ঞেস করলেই হেসে বলে – ‘‘আমারটা আমি করছি – তুমি তোমারটা গুছিয়ে নাও তো, শেষে তোমার জন্য দেরী না হয়’’। বৌ ত্রস্তে এটা ওটা গোছায় কিন্তু মনে গেঁথেই থাকে সন্দেহটা। তার ওপর সেদিন মাহবুব সওদাগরের কাছ থেকে স্বামী আরো এক লাখ টাকা চেয়ে নিল। কেন নিল?
তারপর একদিন বড় চলে গেল হজ্বের ক্যাম্পে বৌয়ের হাত ধরে। বাবা ছোটকে জিজ্ঞেস করলেন –
‘‘তোর হজ্ব-ক্যাম্প, ফçাইট, এসবের কিছুই তো বললি না’’।
ছোট হেসে বলে – ‘‘ক্যাম্পে কেন যাব। বাড়ি থেকে সোজা হজ্বে যাব – ব্যবস্থা সবই হচ্ছে – তুমি নিশ্চিন্ত থাকো তো বাবা’’।
যাবার দিন এল। রওনা হবার সময় বাবা বুকে জড়িয়ে দোয়া করলেন, মা অশ্রুসিক্ত চোখে ছেলে-বৌয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে কি বললেন বোঝা গেল না। গাড়ির ড্রাইভার ডি”ি’র মধ্যে স্যুটকেস পুরে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে। মা’কে জড়িয়ে ধরে কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে ছোট বলল – ‘‘দশদিন পর ফিরে আসব। দোয়া করো আর শুটকি রান্না করে রেখো মা’’।
বাবা অবাক হলেন – ‘‘দশদিন পর ফিরবি?’’
‘‘ফিরব বাবা, কথা দিচ্ছি হজ্ব করেই ফিরব। ঠাট্টা নয় বাবা – সত্যি বলছি’’।
বৌয়ের কানে গেল কথাটা। সে জানে দশদিনে হজ্ব করে ফেরা যায় না। কিন্তু সে এ-ও জানে স্বামী যে দৃ• আত্মবিশ্বাসে কথাটা বলেছে নিশ্চিন্ত হয়েই বলেছে। যা সে বলেছে তা করবে। কিন্তু কি করে করবে? এমনিতে স্বামী তাকে ছাড়া চোখে অন্ধকার দেখে, তার সান্নিধ্যে শক্তি পায় এগুলো নিয়ে মনে মনে তার ভারী স্বামীগর্ব। পেছনের সিটে বসল দু’জন – গাড়ী চলা শুরু করলে সে স্বামীর কানে কানে জিজ্ঞেস করে ঃ-
‘‘আমরা কোথায় যাচ্ছি গো? হ্যাঁ?’’
‘‘কোথায় আবার, হজ্বে যাচ্ছি’’।
‘‘এভাবে কেউ হজ্বে যায়? আসলে কোথায় যাচ্ছি সত্যি করে বলোনা !’’
ছোট হেসে বলে – ‘‘হজ্বেই যাচ্ছি। সবুর করো, একটু পরেই দেখতে পাবে’’।
বৌ সবুর করল। তারপর আর পারল না, বলল –
‘‘বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা বেশী নিলে কেন?’’
ছোট আবারও হেসে বলল – ‘‘সবুর করো, একটু পরে সেটাও দেখতে পাবে’’।
বৌ আবারও খুব সবুর করল। গাড়ী এসে দাঁড়াল বাস ষ্টেশনে। বৌ বলল
‘‘এ তো বাস ষ্টেশন’’ !
‘‘হ্যাঁ – বাস ষ্টেশনই তো’’।
‘‘বাসে করে হজ্বে যাচ্ছি?’’
‘‘হ্যাঁ। পথে কিছু কষ্ট করতে হবে – পারবে তো?’’
‘‘আমরা হজ্বে যাচ্ছি না। বাসে করে কেউ হজ্বে যায় না। বাবাকে এভাবে ঠকালে’’?
‘‘কাউকে ঠকাইনি। এ বছর যদি কারো হজ্ব কবুল হয় তো আমাদেরই হবে ইনশা আল্লাহ। ওখানে গিয়ে বলবে লাব্বায়েক্’’।
‘‘মানে কি?’’
‘‘লাব্বায়েক মানে হল আমি হাজির। অর্থাৎ হে আল্লাহ, তুমি ডেকেছ, এই যে আমি হাজির হয়েছি’’।
ড্রাইভার ডি”ি থেকে বাসে তুলে দিল স্যুটকেসগুলো, মৃদুহেসে বলল –
‘‘আপনেরে হাজার সালাম সার। আপনেরে হাজার হাজার সালাম সার। অ্যামতেই ধীরে ধীরে মুসলমানের চৌক্ষু খুইলা দিব আল্লায়’’।
‘‘সব রওনা হয়ে গেছে ঠিকমতো? পরের এক লাখ টাকারটাও?’’
‘‘হ সার। শ্যাষের চালান নিজের হাতে রওনা করাইয়া দিছি পরশু’’।
এসব শুনে রমণীয় কৌতুহলের চাপে বৌয়ের অজ্ঞান হবার অবস্থা কিন্তু স্বামীকে মনে হচ্ছে অচেনা। ওই বুকে কি এক অস্থির ঝড় চলছে তা তার চোখ দেখলে বোঝা যায়। তার সদা দুরন্ত কৌতুকময় চোখ দু’টো এখন যেন ফ্রেমে বাঁধা ঝড়ের ছবি। বাস চলা শুরু করলে বৌ বলল –
‘‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’’
‘‘রংপুর’’।
‘‘রং – পু – র’’? আঁৎকে উঠল বৌ, – ‘‘রংপুর কেন? ওখানে তো আমাদের কেউ নেই?’’
স্বামী শক্ত করে চেপে ধরল বৌয়ের হাত। গভীর নিঃশ্বাসে শুধু বলল – ‘‘আমার হাত ধরে থাকো’’।
এবার বৌয়ের হাতও আঁকড়ে ধরল স্বামীর হাত, বুঝল কিছু একটা ঘটতে যাছে যা আগে কখনো ঘটেনি। বাস চলছে সাভার পার হয়ে। স্বামী হাতের ব্যাগ খুলে বের করল মাস খানেক আগের কিছু পুরোন খবরের কাগজ। মোটামুটি একই তারিখের এতগুলো কাগজ – বৌ যেন কিছু একটা বুঝে বুঝেও বুঝতে পারছেনা। আড় চোখে দেখল স্বামী কাগজগুলো একটা একটা করে খুলছে – সেই সাথে শক্ত দৃ• হয়ে আসছে তার চিবুক, ঠোঁটে শক্ত হয়ে চেপে বসছে ঠোঁট আর ঘন হয়ে আসছে তার নিঃশ্বাস।
দুপুরে রংপুরে বাস থেকে নেমে ঘটঘটে বেবিট্যাক্সীতে গ্রামের পথ। বিকেলে দুর গ্রামের কাছাকাছি আসতেই কানে এল জনতার হৈ হৈ। কাছে এসে বৌ দেখল দাঁড়িয়ে আছে চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ ভর্তি তিনটে ট্রাক। ট্রাকের ওপর থেকে তরুণ-কিশোরের দল মহা উৎসাহে ক্ষুধার্ত লোকজনের মধ্যে বিতরণ করছে চাল-ডাল আলু-লবণ তেল আর পেঁয়াজ-মরিচ। ওড়নাটা কোমরে আচ্ছা করে পেঁচিয়ে মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিয়ে ট্রাকের ওপরে দাঁড়িয়ে তাদের নেত্রীত্ব দিচ্ছে পাড়ার আপামণি। হাঁকডাকে ব্যতিব্যস্ত গ্রামের মাতব্বর আর মসজিদের ইমাম। ভয়ংকর মঙ্গা দুর্ভিক্ষ চলছে উত্তরবঙ্গে, ক্ষুধার দাউ দাউ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে কোটি মানুষ। শুকিয়ে যাওয়া অশ্রু চোখে লুটিয়ে ঘুমিয়ে আছে হাড্ডিসার শিশুকন্যা, হাড্ডিসার বালক। অনাহার জর্জরিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, অনাহার জর্জরিত নিরুপায় যুবক। অন্য এক ভয়ংকর আতংকে আতংকিত ক্ষুধার্ত যুবতি – গত মঙ্গায় দু’টো নুন-ভাতের জন্য নোংরা ফড়িয়ার বিছানায় শরীর বিক্রী করার দুঃসহ স্মৃতি আবার তার সামনে কালনাগিনীর ছোবল তুলে এদিক ওদিক দুলছে। খবরের কাগজে সেসব পড়ছে আর ছবি দেখছে দেশের মানুষ কিন্তু চিনতে পারছে না। সরকারও চিনতে পারছে না।
ওরা এ দেশের নয়। ওরা পরিত্যক্ত, ওদের কেউ নেই।
পলকের জন্য টলে উঠল বৌয়ের মাথার ভেতর।
কিন্তু এখন জনতার ক্ষুধিত আর্তনাদ বদলে হয়েছে উৎসবের চীৎকার। বৌ মু© চোখে দেখল মানুষের আনন্দ, তারপর দুষ্টুমি করে বলল ঃ-
‘‘ও !! হজ্বের টাকায় দান-ধ্যান হচ্ছে তাহলে?’’
‘‘দান?’’ চকচক করে উঠল স্বামীর দু’চোখ – ‘‘কিসের দান? কাকে দান? আশরাফুল মাখলুকাত ওরা, আপাততঃ একটু কষ্টে পড়েছে। আমি তো শুধু উপহার দিচ্ছি, মানুষের প্রতি মানুষের উপহার’’।
মু© বৌয়ের মুখ ফসকে বেরিয়ে এল – ‘‘তুমি একটা ফেরেশতা !’’
‘‘না। আমি তার চেয়েও বড়, আমি বনি আদম। কোরাণ পড়ে দেখ, বনি ইসরাাইল আয়াত বাষট্টি’’।
তারপর স্বামী তার সেই পুরোন পরিচিত দুষ্টুমিভরা চোখে বললঃ-
‘‘আসলে কি জানো? ব্যবসায়ীর ছেলে তো আমি – উপহারের নামে আমি আসলে ব্যবসা করছি। ধারের ব্যবসা -শ্শ্শ্শ্ ……..কাউকে বোলনা যেন!’’
‘‘ধারের ব্যবসা? এই দুির্ভক্ষের দেশে?
বিষ্ময়ে বৌয়ের কথা আটকে গেল গলায়। বাক্চাতুরীতে আর দুষ্টুমিতে স্বামী তার অনন্য, কিন্তু একের পর এক এত বিস্ময়ের ধাক্কা সে আর সামলাতে পারছে না।
‘‘কিসের ধার? কাকে ধার ?’’
‘‘বুঝলে না? আল্লাকে ধার দিচ্ছি, প্রচুর লাভ হবে বৌ !’’
‘‘আল্লাকে ধার দিচ্ছ ? তওবা তওবা !’’
‘‘তওবা মানে? আল্লা তো নিজেই মানুষকে ডেকে ডেকে ধার চাচ্ছেন !
‘‘আল্লা মানুষকে ডেকে ডেকে ধার চাচ্ছেন ? তওবা তওবা !’’
‘‘কিসের তওবা ? খুলে দেখ কোরাণ শরীফ – ‘‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম কর্জ, আর আল্লাহ তাকে দ্বিগুন বহুগুন বেশী করে দেবেন?
‘‘কি ? কি বললে ??’’
‘‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম কর্জ, আর আল্লাহ তাকে দ্বিগুন বহুগুন বেশী করে দেবেন’’ – সুরা বাকারা ২৪৫।
‘‘কি আশ্চর্য্য !! এই দুর্ভিক্ষের সময়ে কেউ এ আয়াতের কথা দেশের সবাইকে বলে না কেন?’’
‘‘বলা দরকার, রেডিয়ো-টিভি খবরের কাগজ সব জায়গায় বলা দরকার। ঢাকায় ফিরে পড়ে দেখো সুরা হাদীদ আয়াত এগারো, মুয্যাম্মিল বিশ আর আত্ তাগাবুন সতেরো -‘‘কে সেই ব্যক্তি যে আল্লাহকে উত্তম ধার দেবে এরপর তার জন্য তিনি বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন …. আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও…. যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও তিনি তোমাদের জন্য তা দ্বিগুন করে দেবেন ….’’। এই দশ ট্রাকের ধার দিচ্ছি, রোজ হাশরে বিশ ট্রাকেরও বেশী সওয়াব পাব। তার সবটাই তোমাকে দিয়ে দেব যাও!’’
হেসে ফেলল বৌ। ছোটকে দেখে ছুটে এল মাতবর আর ইমাম – অনেক কথা হল তাদের মধ্যে। বৌ মু© চোখে দেখতে লাগল মানুষের আনন্দ। ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন তুলে দেবার মতো আনন্দ আছে? ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন তুলে দেবার মতো ইবাদত আছে? দিগন্েত তখন সুর্য্য ডুবুডুবু, মন্দ মন্থরে সন্ধ্যা নামছে। নামহীন এক গভীর তৃপ্তিতে ভরে আছে বৌয়ের মন। চমক ভাঙ্গল যখন স্বামী এসে বলল –
‘‘জানো, আমার দেখাদেখি অন্যেরাও কিছু পাঠাচ্ছে’’।
‘‘আমার কিছু গয়না আছে। তা থেকে কিছু নাহয়……..’’
‘‘আচ্ছা। অন্য ট্রাকগুলো অন্যান্য গ্রামে গেছে – কাল আমরা সেসব জায়গায় যাব। আমি চাই আমার বৌ নিজের হাতে খাবার বিলোবে আর বাচ্চাদের কোলে বসিয়ে মুখে তুলে খাওয়াবে। ক্যামেরা এনেছি – তোমার বাচ্চা খাওয়ানোর ছবি তুলব’’।
‘‘না – ছবি তুলবে না’’।
‘‘কেন? ছবি তুলবে না, আশ্চর্য্য মেয়েমানুষ তুমি !!’’
‘‘এসব ছবি তারাই তোলে যারা পত্রিকায় ছাপে প্রচারের জন্য। ছবি তুললে তোমারও সেই ইচ্ছে হবে’’।
‘‘তথাস্তু। প্রচারের জঞ্জাল আমাদের দরকার নেই, ছবি ক্যান্সেল। রাতে থাকবে ইমামের বাসায়, কষ্ট হবে না তো?’’
‘‘না – কষ্ট হবে কেন’’।
‘‘শোন। মন দিয়ে শোন’’।
বৌ মন দিয়ে শুনল, – এত মন দিয়ে সে কোনদিনই কারো কথা শোনেনি। অশরীরী এক দৃ•ক¥ে স্বামী তার ফিসফিস করে উঠল – ‘‘আমার ঘরে একদানা খাবার থাকতে মানুষকে না খেয়ে মরতে দেব না আমি’’।
শিউরে উঠল বৌ, – বললঃ- ‘‘শান্ত হও। মঙ্গা চিরদিন থাকবে না। মানুষ আবার উঠে দাঁড়াবে, ফসল ফলাবে, বৌ-বাচ্চা নিয়ে ভালই থাকবে। তখন আমরা আবার হজ্ব করতে যাব।’’
‘‘নিশ্চয়ই – অবশ্যই – ইনশা আল্লাহ’’।
দৃ• পদক্ষেপে স্বামী চলে গেল ট্রাকের কাছে। সামনে ধু ধু বন্ধ্যা জমি – ওপরে অবারিত আকাশ। পাশে ঝোপের ডালে উড়োউড়ি করছে একটা ফড়িং, মাটিতে ঘোরাঘুরি করছে নামহীন দু’টো পোকা আর পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে একদল পিঁপড়ে। কি যেন কি নিয়ে ওরা সবাই খুব ব্যস্ত।
ওদের কেউ কি কোনদিন না খেয়ে মরেছে?
বৌ কল্পনায় দেখল এয়ারপোর্টে সাদা কাপড়ে মাথা কামানো হাজার হাজার আনন্দিত হজ্বযাত্রী হুড়োহুড়ি করে প্লেনে উঠছে আর বুকভরা তৃপ্তিতে বলছে শুকুর আল্ হামদুলিল্লাহ!! ওদিকে দুরে দাঁড়িয়ে ছোট্ট দু’টো ক্ষুধার্ত ভাই-বোন হাত ধরাধরি করে করুণ চোখে তা দেখছে। ভাইটা আস্তে করে বলল – ‘‘বড় হইয়া ত’রে হজে লইয়া যামু’’। দ্বিধাগ্রস্ত ছোট্ট বোনটা কি যেন ভাবল। তারপর ফিসফিস করে যেন নিজেকেই প্রশ্ন করল – ‘‘ওইহানে ভাত আছে’?
আবারও পলকের জন্য বৌয়ের মাথাটা টলে উঠল।
মায়াময় গ্রামবাংলার প্রান্েত নেমে আসছে মায়াময় গ্রামবাংলার সন্ধ্যা। চমক ভাঙ্গল যখন পেছন থেকে স্বামী এসে তার হাত ধরল। বৌ চোখ তুলে দেখল স্বামীর দু’চোখে জ্বলছে হাজার জোনাকি। সেই জোনাকি-চোখ বৌয়ের দু’চোখে গেঁথে স্বামী বলল –
‘‘জানো, নবীজি বলেছেন যার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে সে মুসলমান নয়। যে মুসলমানই নয় তার আবার হজ্ব কি?’’
তারপর বৌ-এর হাত ছেড়ে সে সোজা হয়ে থমকে দাঁড়াল। পুরো নিঃশ্বাসটা বুকের ভেতরে টেনে একটু আটকে নিল যেন। তারপর দু’হাত সোজা ওপরে তুলে আকাশের দিকে মুখ তুলে সর্বশক্তিতে চীৎকার করে উঠল – ‘‘লা-ব্বা-য়ে-ক……!!’’
সুদুর পশ্চিমে দিগন্তবিস্তৃত মরুকেন্দ্রে তখন কাবা শরীফের চারধারে জলদমন্দ্রে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে লক্ষ কণ্ঠের সেই একই আকুতি – ‘‘লাব্বায়েক……..!!’’
হাসান মাহমুদ
Sir Hasan Mahmood,
I like your writings very much. But I don’t like this story.
Is is not an interesting story at all!
It does not fulfill all the characteristic of a real short story.
So, why so many discussions about this poorly knitted short story?
Please sir, don’t be angry with me…. Really I don’t like this story.
Asraf
[…] আগুনে পুড়ে মরবে ওই তোমারই কাছে ‘‘লাব্বায়েক‘’ বলে হজ্ব করতে গিয়ে ? তোমারই ইচ্ছেতে […]
ভাই ফুয়াদ,
আপনাকে অনেক ধণ্যবাদ ধৈর্যের সাথে উত্তর দেবার জন্য। আসলে কি জানেন, ধর্ম পুরো ব্যাপারটাই হল মানুষের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এটা যুক্তি তর্কের কোন ব্যাপার নয়। তাই কোন ধর্ম ভাল বা খারাপ তা কখোনই বলা উচিত নয়। কারন তাতে কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে, যেটা ধর্মবাদী সমাজ ছাড়া যেকোন সভ্য সমাজেই খুব নিন্দনীয়।
ধর্ম একদিনে নাজিল হয়নি। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে এরও বিকাশ হয়েছে। এক কালে ধর্মের নামে মানুষ বলি দেওয়া ছিল খুব স্বাভাবিক ঘটনা, সেখান থেকে আসমানী কেতাব প্রাপ্ত ধর্মগুলি তূলনামূলকভাবে অমৃতের মত। আবার আসমানী কেতাবগুলিও সময়ের সাথে সাথে উন্নতি লাভ করেছে। তাই বড় ধর্মগুলির মধ্যে ইসলাম তূলনামুলকভাবে সবচেয়ে আধুনিক। তাই বলে ইসলাম ও কিন্তু সমালোচনার উপর নেই। পৃথিবীর সবাই এখন নিজ নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করলে কি এ পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে? অতীতে তাই হয়েছে, ধর্মের নামে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ প্রান দিয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমি কোন পন্ডিত কি বলেন তা জানার তেমন দরকার দেখি না। আমি নিজে নাস্তিক হইনি। তবে আমি প্রথমে মানুষ, তারপর ধার্মিক। উল্টাটা না।
হিন্দু ধর্ম আমার কাছে সারা জীবনই রহস্যময় লাগে। আমি এখনো এ ধর্মের তেমন কিছু বুঝি না। বাংলাদেশে থাকতে হিন্দুদের দেখেছি যে তারাও ভগবান মানেন (অনেকটা আমাদের আল্লাহর মত)। এখন স্বামীজির শিষ্যদের থেকে জানছি যে তাদের গড বা ভগবান আসলে কোন ঐশী শক্তি বা এন্টিটি নয়, তাদের মতে গড হল কার্মা (অর্থাৎ কর্ম)। তুমি এ জীবনে যা করছ তাই হল তোমার গড, অনেকটা এমন। আমি নিজে এ বিষয়ে পড়াশুনা করিনি, তবে তাদের কথাবার্তা শুনতে মন্দ লাগে না। যদিও এর মাঝেও অনেক ফাক আছে যার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা হতে পারে না।
আমার কথা শুনলে আবারো বলব যে নিজের মানবীয় সত্ত্বাকে ধর্মীয় সত্ত্বার আবরনে ঢেকে না রাখলে কোন সমস্যা হবার কথা না। পৃথিবীর কোন দেশ বা সমাজই শুধু ধর্মগ্রন্থের উপর নির্ভর করে চলে না। এমনকি শরিয়া ভক্ত গোড়া ইসলামী দেশগুলিও না।
@adil mahmood,
Ramakrishna practised various religious paths including islam. Ramakrishna said, ” Jibey prem korey jei jon, shei jon shebichey Iswar”. “If you serve the living being you serve God”. “Shiv gyaney Jib seva”. Vedanta says ” every soul is potentially divine”. You do not need to go to any religious place to be a hindu. This single sentence briefly covers the message of hinduism.
“Namaste” means (various interpretations)..
“I bow unto your divine soul.”
“I respect that divinity within you that is also within me.”
“the light within me honors the light within you” (in yoga)
“I honor the Spirit in you which is also in me.” — attributed to author Deepak Chopra
“I honor the place in you in which the entire Universe dwells, I honor the place in you which is of Love, of Integrity, of Wisdom and of Peace. When you are in that place in you, and I am in that place in me, we are One.”
“I salute the God within you.”
“Your spirit and my spirit are ONE.” — attributed to Lilias Folan’s shared teachings from her journeys to India.
“That which is of the Divine in me greets that which is of the Divine in you.”
“The Divinity within me perceives and adores the Divinity within you.”
“All that is best and highest in me greets/salutes all that is best and highest in you.”
“I greet the God within.”
I know very little. Hinduism/ Sanatan Dharma has evolved in course of time. It has adapted things.
It has lots of philosophical aspects and interpretations etc. Lots of flexibility is there.
Just take the positive aspects which suits you.
Thanks a lot for your good attitude and positive thinking. That is good for you. Peace.
@adil mahmood,
Looks like everyone is here!
Adil, just in case you did not notice, I have recently added some more thoughts to where our discussions ended last time:
http://blog.mukto-mona.com/?p=1526#comments
It appears two-thirds the way down the page.
Sorry, could not write earlier.
All the best.
ইব্রাহীম (আঃ)কে শুধু মুসলমানরাই না ইহুদিরাও নবী হিসাবে মান্য করে। কেউ কি বলতে পারবেন তবে কেন আমরা মুসলিমরাই শুধু কোরবানীর মত একটা আনুষ্ঠানিকতা পালন করে যাচ্ছি? ইহুদিরা কেন করছে না? কোরান কি সত্যি ইসমাইলকে কোরবানী দেওয়ার কথা বলেছে না কি রুপক অর্থে ব্যবহার করেছে? নিচের অনুবাদটি পড়ে কি মনে হয় আপনাদের?
Thanks.
Ivy
@ivy,
আপনি যেভাবে বলতেছেন, ইহুদী or খিষ্ঠান রা আমাদের চেয়ে ভাল মসুলমান !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ইহুদীরা তাদের LAW অনুষারে আমাদের মসজিদে আসতে পারে, ইবাদত ও করতে পারে ।
যাইহোক,
তারা হযরত ইসমাঈল a: {SON OF ABRAHAM and Hz Hazera a:} থেকে, হযরত ঈসাক আঃ{SON OF ABRAHAM :} কে প্রাধান্য দেয় যেহুতু তিনি HAZROT Sara A: সন্তান । এবং ঈহুদীরা হযরত ঈসাক আঃ বংশধর ।
খিষ্ঠান রা ও হযরত ঈসাক আঃ কে প্রাধান্য দেয় ।
@ফুয়াদ,
প্রশ্নটা কোন ধর্ম ভাল/খারাপ সেই প্রশ্ন না। আপনার কাছে ইসলাম শ্রেষ্ঠ, একজন হিন্দুর কাছে হিন্দুত্ব শ্রেষ্ঠ। এটা কোন যুক্তিতর্কের ব্যাপার না, বিশ্বাসের ব্যাপার। দয়া করে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন। জানি খুব রাগ করবেন হিন্দু ধ্ররমের ওকালতী করায়। আমরা সনাতন হিন্দু ধর্ম বলতে বিধবা সহমরন, জাত যাওয়া ইত্যাদী ভয়াবহ ব্যাপার বুঝি। কিন্তু আজকাল কিছু সংকারবাদী আধুনিক হিন্দুরা বলছেন (বিশেষ করে স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যরা) যে যারা হিন্দু ধর্মের নামে অই সব অমানবিক রীতি চালিয়েছে তার সাথে আসল হিন্দু ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। তারা আপনাকে এমন হিন্দু ধর্মের খোজ দিবে যে আপনি তাতে মুগ্ধ হতে বাধ্য।
যেমন স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্ম অনুসারে ইসলাম, খ্রীষ্টিয়ানিটি…।জগতের যাবতীয় সব ধর্মই ভ্যালিড। এত বড় উদার ধর্ম আর কয়টা পাবেন? তারা এমন কি আমাদের নবী মোহাম্মদকেও অবতার হিসেবে মানে।
সাদা চোখে পড়লে, তূললামূলকভাবে আপনার কাছে বৌদ্ধ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী। কারন তাতে কোন জাতপাত নেই, বিধর্মী বা কারো প্রতিই ঘৃণা নেই, যুদ্ধ/রক্তপাতের কোন আহবান নেই…নারীর প্রতি কোন হেয়কারী ভার্স নাই। আছে শুধু শান্তির ললিত বানী।
আশা করি বোঝার চেষ্টা করবেন।
@adil mahmood,
@adil mahmood,
{এটা কোন যুক্তিতর্কের ব্যাপার না, বিশ্বাসের ব্যাপার।} Why don’t I believe this. brother. Am I not from this society?
তিনি{Ivy} ত মুসলিম তাই উনাকে বলেছিলাম । ইহুদিরা করে {বা করে না} বলে, তাই ত আমাদের করতে হবে না ।
উনার কেন এর উত্তর দিয়ে ছিলাম । আমাকে এজন্য মাফ করবেন ।
স্বামী বিবেকানন্দের একটি ভাষন যেটি ধর্মীয় কোন এক সমাবেশ এ দিয়েছিলেন, এটি বই আকারে আমি পড়েছিলাম Class 10 থাকতেই । আমার বাড়ি হবীগন্জ রামকৃষ্ন মিষনের কাছে । ঐখানে অনেক দিন ই যাইতাম ।যাইহোক, এখান যেখানে থাকি সেখানে আমার রুম মেট হিন্দু । যিনি রুমে Shiva এবং পুরা বিষ্ণু Family And দেবী দুরগা {কারও মতে এটি পার্বতি} ছবি লাগয়ে রাখছেন ।Shiva, Bishnu, Brama কে হিন্দুদের কেউ কেউ এক ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ ভাবে । দেবী দুর্গাকে শক্তির রূপ ভাবা হয় যাহা Women রূপে অসুর কে ধ্বংশ করেছিলেন ।
বৌদ্ধ ধর্ম, যৈন ধর্ম অহিন্ষ ধর্ম ।
{হিন্দু ধর্ম অনুসারে ইসলাম, খ্রীষ্টিয়ানিটি…।জগতের যাবতীয় সব ধর্মই ভ্যালিড।} হিন্দু ধর্ম আল্লাহকেও স্বীকার করে নিতে পারে । আর ইসলাম ঈ সব ধর্ম কে ইনভ্যালিড বলে ।
ইসলাম কেন অন্যদের মত Philosophical চিন্তা করে না সেটা বুঝতে হলে Taakaltul Falasafi by Immam Gazzali. এই বইটি পরেন ।
কেন Ivy আপা দের মত চিন্তা করা হয় না, তাহলে আপনাকে Ibn Taimiyah আর Muhammod Bin Abdul Wahaber বই গোলা পরতে হবে।
আল্লাহ বা GOD নিয়ে আমাদের এমন চিন্তা কেন, তাহলে Yahiya Ulum ud Din পরতে হবে ।
আমাকে আবারও মাফ করবেন ।
@ivy,
কোরবানী সুন্নত অথবা অয়াজীব । ফরজ নয় ।
@ফুয়াদ,
কোরবানী ফরজ, ওয়াজীব বা সুন্নত —তা আমার প্রশ্ন নয়; আর প্রশ্নটা যখন এসেই গেল তখন বলুন তো কে এটাকে ওয়াজীব বা সুন্নত বানালো। কোরানে তো কোরবানীর কথা এভাবে বলা নেই। যেটা আছে সেটা হজ্জ উপলক্ষে লোকজনকে feast বা ভোজ খাওয়ানোর আয়োজন। মোল্লারা তালগোল পাকিয়ে সব এক কোরে ফেলেছে। আর আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ইব্রহীমকে ইহুদীরা যদি নবী হিসেবে মান্য করে, তবে তাঁর যে ক’জন স্ত্রীই থাক, নবীর সুন্না (যদি ছেলে কোরবানী সত্যি গল্প হয়) কেন পালন করছে না? মুহম্মদের পূর্ব পুরুষ বলেই কি আমরা আনুষ্ঠানিকতা ধরে রাখব? ইসলামে ‘personal salvation’ বলে কিছু নেই। এটা খ্রীষ্টানদের ধারনা। এখানে মুসলমানরা ভাল না ইহুদীরা ভাল এ প্রশ্ন নয়,– পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে যে কোন কাজই অন্যায়।
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
I am sorry for Writing from biblical term. At Day of Last judgment, I will see Where I was wrong or Right. I am sorry again.
@ivy,
আইভি,
আপনি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন করেছেন।
ধর্মের নামে এত বড় নিষ্ঠুরতা শুধু আমরাই কেন করব?
সবচেয়ে বড় কথা, এতে কার কত বড় উপকার হচ্ছে? ইব্রাহীম/ঈসমাইলের কোন উপকার হচ্ছে? গরীবরা অন্তত কিছুদিন মাংস খেতে পারছে? যারা সারা বছর খেতে পায় না তারা ২/৩ দিন পেট ফাটিয়ে খেলেই তাদের বিরাট কিছু প্রাপ্তি হবে? তার চেয়ে কোরবানীর টাকাটা কোন ইনভেষ্টমেন্ট ফান্ড গঠন করে খাটিয়ে সেই গরীবদের স্বাবলম্বী বানাবার প্রকল্প কি অনেক বেশী যুক্তিযুক্ত হত না? যাকাত ফান্ড দিয়েও এমন কিছু করা যায়। লাখ লাখ নীরিহ পশুর জীবন অনর্থক নিষ্ঠুরভাবে নেওয়ার চেয়ে এ জাতীয় কিছু করাটা অনেক যুক্তিসংগত হত এটা বুঝতে কোরান হাদীসের আয়াত বা ব্যাখ্যা নিয়ে গবেষনার কোনই দরকার নেই। রহমানুর রহিম আল্লাহ এত বড় নিষ্ঠুরতা কিভাবে মেনে নেন বা চালাতে বলেন?
আমি দেশে থাকতে মানুষের কাছে এ লাইনে কথা বলতে চেয়েছি, তাতে কপালে কড়া ধাতানি ছাড়া আর কিছু জোটেনি।
ধর্মগুরুদের একটি বড় সমস্যা (বরং বলা ভাল দ্বিচারিতা) হল; কোরানের বিতর্কিত আয়াত নিয়ে এনারা প্রথমেই শুরু করেন যে শাব্দিক অর্থই সব না, তোমাকে “কনটেকষ্ট” বুঝতে হবে। মানে, শাব্দিক অর্থ সব সময় না ধরে স্পিরিচুয়াল শিক্ষা নিতে হবে। খুব ভাল কথা। এই জ্ঞানীরাই আবার হাদীস কোরান ব্যাবহার করে মেয়েদের ঘরে আটকাবার পায়তারা বা কোরবানী দরকার তা ব্যাখ্যা করতে কোরানের আয়াত হুবহু অনুবাদ করে শেষ কথা বলে দেন।
আমরা কবে প্রকৃত ধার্মিক হব?
Adil Mahmood,
আপনার এ মন্তব্বের উত্তর এই গল্পের লেখক হাসান মাহমুদের “ইসলাম ও শারিয়া” বই থেকেই কিছু অংশ তুলে ধরলাম।
““ইসলামে কোন স্ত্রী প্রহার নেই, এটা আয়াতের ভুল অনুবাদ” শারিয়া-তত্ত্বগুরু শাহ আব্দুল হানবান, খবর আলোচনা ফোরাম, ২রা মে, ৩৮ মুক্তিসন (২০০৮) ।
কোরআনের অনেক অনুবাদক ‘প্রহার কর’ এর পর ব্রাকেটে (অল্প করিয়া) ঢুকিয়ে বেপারটাকে হালকা করার চেস্টা করেছেন। — সমস্যাটি হল স্ত্রী অবাধ্য কি না তা ওই স্বমী ঠিক করবে, এবং সে কখন কি কারনে কি ভাবে কতটা মারপিট করছে তা দেখার কেউ নেই।—কিভাবে মারলে স্ত্রীর গায়ে দাগ পরবে না সেই ‘বৈজ্ঞানিক’ পদ্ধতির ওপর নামকরা মওলানার অনেক কেতাব আছে। ইসলামে বৌ পেটানোর বিষয়ে কাজ করেছেন অনেক ইসলামি বিশেষজ্ঞ। এঁরা বলেনঃ
১। যে ধর্মে আল্লাহ-রসূ্লের প্রতি বাধ্যতায় জর-জবরদস্তি নেই সে ধর্মে স্বামীর বাধ্য হবার ব্যপারে মারপিট হতে পারে না।––
৬। কাউয়াম অর্থাৎ উপাজঙ্কারী বা নিয়ন্ত্রক। তখন সাধারনভাবে পুরুষজাতি আয় করত এবং নারীজাতি তা থেকে ব্যয় করত। কারন সেই সামাজিক চিত্রটা বর্ণনা করেছে মাত্র, চিরকালের জন্য বৈধ করেনি। বৈধ করলে কোরানের সাথে বাস্তব মিলছে না কারন বর্তমান বিশ্বে কোটি কোটি নারী উপারজর্নকারী এবং তার পরিবার তা থেকে খরচ করে। তারা কি স্বামী পেটাবে?
৭। আয়াতে আছে, “নেককার স্ত্রীলো্কগন হয় অনূগতা”। কার অনূগতা? শারিয়াপন্হী্রা দাবী করেন এ আনুগত্য স্বামীর প্রতি। প্রগতীল বিশেষজ্ঞরা বলেন এটা শুধু আল্লাহ’র প্রতিই। কেননা ইসলামে শর্তহীন পূর্ণ আনুগত্য শুধু আল্লাহ ও নবী-রসূ্ল ছাড়া আর কারো প্রতি হতে পারে না।——-
৯। আয়াতে আছে, “আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে।“ যেহেতু অবাধ্যতা লোকচক্ষুর অন্তরালে নাও হতে পারে তাই আয়াতটা নিশ্চয় অবাধ্যতার কথা বলেনি।
১০। ঠিক পরের আয়াতটা, নিসা আয়াত ৩৫-এ আছেঃ পরিবার ভাঙ্গার অবস্হা হলে স্বামীর ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে মুরুব্বীদের দিয়ে সালিশের চেষ্টা করতে হবে। গায়ে হাত তুলে মারপিটের পর সালিশ করাটা তামাশা মাত্র, ও-সালিশে লাভ হয় না। তাই আয়াতটা নিশ্চয় মারপিটের কথা বলেনি। —-
অর্থাৎ তাঁদের দাবি হলো আয়াতটা অনুবাদে স্ত্রী প্রহার থাকতে পারে না। —
‘দারাবা’ শব্দের বিভিন্ন মানে আছে। –ডঃ আব্দুল হামিদ আবু সুলায়মান মালয়শিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেক্টর এবং আমেরিকার (ভার্জিনয়া) ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক থট এর প্রেসিডেন্ট। কোরানে ‘দারাবা’ থেকে উদ্ভূত শব্দাবলী নিয়ে তাঁর প্রবন্ধ ২৪ শে জানুয়ারি ২০০৮ (মুক্তিসন ৩৮) ইন্টারনেটে বাংলার নারী আলোচনা ফোরামে দিয়েছিলেন।–বহু বছর আগে ডঃ এদিপ ইউকসেল এবং অন্যান্যরাও একই যুক্তি দিয়েছন। —-
আরেকটা শক্তিশালী যুক্তি দেখান তাঁরা। পিকথালের অনুবাদে সূরা রা’দ, আয়াত ১৭, “এভাবেই আল্লাহ সত্য অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন।“ এখানে ‘মারপিট’ শব্দটা লাগালে এটা দাঁড়াবে ঃ“এভাবেই আল্লাহ সত্য অসত্যের মারপিট করেন।“ এটি উদ্ভট কথা, তাই এর অন্য অর্থ ধরতে হবে। বাংলায় ‘খাওয়া’ শব্দের চল্লিশটা ভিন্ন অর্থ—
এভাবে আরো বহু নারী-বিরোধী হাদিস ও দলিল ধীরে ধীরা গো্পনে মুছে ফেলা হছে। কিন্ত ইসলাম নিয়ে এভাবে লুকোচুরি না করে ব্যাপারটা খোলাখুলি ঘোষনা করেই তো করা যায়। তুর্কি সরকার এটাই করেছেন।
ডঃ সুলায়মান বলেছেন, “—সূরা নিসা আয়াত ৩৪-এ ‘দারাবা’ শব্দটি আঘাত, ব্যথা বা অসন্মান বুঝায় না। সবচাইতে যুক্তিযুক্ত হইবে ছাড়িয়ে দেওয়া, তালাক দেওয়া বা আলাদা হইয়া যাওয়া।““
Thanks.
Ivy
@ivy,
With due respect, আপনার কথা মেনে নিলাম। দারাবার অর্থ প্রহার না হইয়ে অন্য কিছু হতে পারে। তাতে কিন্তু আমার প্রশ্নের পুরো জবাব হয় না। মূল প্রশ্ন, কেন স্পেসিফিকেলি পুরুষদের উদ্দেশ্যেই এই বিধান? কেন নারীদের উদ্দেশ্য করে অমন কিছু বলা নাই? পুরুষদের ইচ্ছে হলেই নারীকে তার ইচ্ছেমত সেক্স এ মত দিতে হবে, নারীর ইচ্ছে বা অনিচ্ছা কোন ব্যাপার না। নারীর জন্য অমন নিয়ম নেই কেন?
নারীর তালাকের অধিকার আছে; ভাল। কিন্তু সেই পদ্ধুতি পুরুষের মত অত সহজ না না যে আপনি ৩ তালাক মুখে মুখে দিলেন আর মুক্তি পেলেন।
এখন কোন বিধর্মী বা নাস্তিক যদি কোরানে নারী/পুরুষে দুস্তর পক্ষপাত করা হয়েছে বলে সমালোচনা করে তবে তার আমি কি উত্তর দিব?
কূটতর্ক বা আরবী ভাষার অর্থ দিয়ে সব সমালোচনার জবাব হয় না।
@adil mahmood,
নাস্তিকরা বা বিধর্মীরা যখন-তখন যে কোন বিষয়ে কোরানে মহিলাদের অমর্যাদার আয়াতগুলো হাজির করেন। যেমন এই হজ্জ ব্লগে আতিক নিয়ে এসেছেন।
উনি তথাকথিত অনুবাদ থেকেই আল্লাহর বাণী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে খুব এক হাত দেখিয়ে দিলেন। দোষটা তো আসলে উনার না, দোষী হচ্ছেন ঐ সব ব্যক্তিবর্গ যারা আমাদের উপকার করবে বলে কোরান অনুবাদ করে ‘বর’ দিতে গিয়ে ‘বরে শাপ’ দিয়ে গিয়েছেন। উপায় কি বলুন? এখনতো আমাদের কোরান সম্বন্ধে মিথ্যা, ভুল সংশোধন না করে তো আর উপায় নেই। আর সেই লক্ষে কিছু শিক্ষিত, যুক্তিবাদী সংস্কারক প্রচলিত ইসলামের বিরুদ্ধে, নিজের জীবন বিপন্ন জেনেও সত্যটাকে উপস্হাপনের চেষ্টা করছে। কিনতু নাস্তিকরা, যারা ভুল অনুবাদের কোরান এবং ভিত্তিহীন হাদীসগুলো উপস্হাপনের মাধ্যমে, আমরা যারা কোরান বিশ্বাস করি তাদেরকে হাস্যকর কিছু বানাবার চেষ্টা করেছেন; তারা এত সংস্কারবিহীন হয়েও সংস্কারকদের কাজগুলোকে একটু ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করেন না। বরং “you and your sources” বলে পুরনো যা তাদের পক্ষে যায় তাই নিয়ে মেতে থাকেন। আর অপরদিকে তথাকথিত মুসলমানরা মেষশাবকের মত চোখ বন্ধ করে, বিচার-বিবেচনা না করে ইসলামের সব আলেমদের (??) কথাই ধ্রুব সত্য হিসেবে মেনে নিয়ে জীবন-যাপন করছে; আর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে বরং আমাদেরকেই বিভিন্ন “cult” এর অন্তর্ভূক্ত করে দিচ্ছে।
এখন এই অবস্হায় আপনি যদি কিছু বলতে যান, তা হলে শব্দের অর্থ, একই আয়াতের আগে-পরের লাইন, একই শব্দের ভিন্ন ব্যবহার না জানলে তো চলছে না। কোরান তো একটা বই যাতে “powerful and important” কিছু information আছে। আলেম ব্যক্তিরা যদি information দিয়ে পক্ষপাত দুষ্ট না হয়ে যদি বইটির আনুবাদ লিখত, তাহলে তো আমাদের এই অবস্হা হতো না। এই যে ‘প্রহার’ বা ‘দারাবা’ শব্দটি নিয়ে এত তুলকালাম কান্ড—এমনকি এই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন নাস্তিক বিজ্ঞ ব্যক্তিগণও এই একটি শব্দকে কেন্দ্র করে কোরানের বিভিন্ন আয়াত উল্লেখ করে নারীদের কত অমর্যাদা করা হয়েছে তা নিয়ে আর্টিকেল লিখে ফেলেছেন। এখন যদি তাদেরকে প্রমানও দেয়া হয় তারা কি তাদের আর্টিকেল গুলো আবার ঘুরিয়ে লিখবেন? কখনো না। শব্দের যে অনেক রকম ব্যবহার হয় তা আমরা জানি; কিনতু তাতে কি? আমরা নিজেরা যা ভাবি তাই সত্য ভাবি এবং বিশ্বাস করি, সত্যটাকে বিশ্বাস করিনা। আর এই নাস্তিকরা আমদের কি দিয়েছে? কিছু না বুঝা কোরানের বাণী দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করা, আর আস্তিক ব্যক্তিদেরকে নিজের জ্ঞানের ভারের বোঝা দিয়ে অবজ্ঞা করা ছাড়া। সবাই তো ইসলামী সিস্টেম বলতে তালেবান, সৌদীয়ানদের বুঝায়। কিনতু কোন দেশেই ইসলামী সিস্টেম চালু নেই। এরা কোরানের কোন কিছুই না মেনে শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখেছে। জোর করিয়ে বোরখা পড়িয়ে তো আর বেহেস্তে নেয়া যায় না বরং পদানত করা যায়। অন্য ব্যক্তির উপর সর্দারী করার মজাই আলাদা। নাস্তিক এবং ঘোর আস্তিক, দু’দলই শুধু তর্কে জেতার আশায় কাজ করে যাচ্ছে।
হাসান মাহমুদের “ইসলাম ও শারিয়া” বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আপনার মহিলা সংক্রান্ত আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এই বইটি আস্তিক-নাস্তিক সবাই পড়ে দেখতে পারেন। বইটি এই মুক্ত-মনাতেই ই-বুক হিসেবে পড়া যাবে।
ধন্যবাদ।
আইভি
Fuad,
Fact is; after the days of Ibrahim, the Hajj ritual became nothing but statue worship. Different tribes of Arabs used to gather for some days perform a ritual. This is very much similar to this days. Major difference may be now a days instead of worshiping the idols the hajis used to worship Allah. I don’t know about the effect in after life, but at least for this materialistic earthy life it means very little. Nothing but performing a ritual, bad people like me may suspect that it is a mask of hiding true color.
Why?
If you look at even 20 years back you wouldn’t see that many of Hajis around you. Funny thing is, at that time our life was relatively way peaceful. Corruption and moral deagradation wasn’t that acute like this days.
Another meaningless but cruel islamic ritual (to me of course) is Qurbani. I agree that Ibrahim had set a great example of sacrifice; however that can’t justify a bit to me the slaughtering of millions innocent lives every year in festive mode. What a greal lesson we get every year by buying cows/goats and slaughtering them right in front of our eyes with smily face! It is also nothing but a status symbol. How expensive your cow is? Oh ho..this year I’m having a Camel! Every year some folks even use to purchase deer from the zoo.
I am sure the same folks who justify this cruel ritual by some pretext would say it is extremely cruel and barbaric if the non-muslims use to perform this.
@Adil Mahmood,
About slaughtering. Earlier, at our home during Kali Puja, once in a year, we used to slaughter a goat in front of the Goddess as part of the ritual. Now, that has been stopped at our home for many years due to humanitarian reason. Many people who used to slaughter goats during the Puja ritual also stopped doing that due to humanitarian reason.
About cow slaughtering. The opinion people of Vaishnava sect (ISKCON) give is, cow is a domestic animal. It is used for agricultural purpose, and for milk. A mother gives milk, but when she gets old, we do not kill her. A cow is like a mother who provides us many things. This opinion I heard from a priest of ISKCON.
Just thought I will let you know.
Thanks.
@Truthseeker,
Thanks for stopping this cruelty.
@Adil Mahmood,
Brother,
Don’t you see the poor people waiting for it ? If one day take good food then whats wrong.I saw it. I saw it .
{slaughtering of millions innocent lives every year} Every single people is destroying millions innocent bacteria and germs in a moment ?
Look,
Jakat{2.5% money give to poor} is Faroz for Muslim But they are not doing it , They are doing Kurbani which is may be Oajib.
{How expensive your cow is? Oh ho..this year I’m having a Camel! Every year some folks even use to purchase deer from the zoo.}
So what kind of Muslim they are .
@ফুয়াদ,
আমি আইভি কে কোরবানী নিয়ে আরো কিছু কথা বলেছি, ওখানে দয়া করে পড়ে নিবেন।
কোরবানীতে লাখ লাখ গরু ছাগল ভেড়া উট মারা আর ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া মারা আপনার কাছে এক হল?
আপনি যত সহজে একটা মশা/মাছি বা পিপড়া মারতে পারেন তত সহজে কি গরু ছাগল দূরে থাক, এমন কি একটা বিড়াল ও মারতে পারবেন?
এ যুক্তি অনেকটা এমনঃ ২ সংখ্যাটি ১ থেকে বড়, আবার ১০০০ ও ১ থেকে বড়; তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে ২ এবং ১০০০ সমান।
@adil mahmood,
ছোট বলিয়া কি তাদের প্রানী অধিকার নাই । ছোট শিশুকে মারলে বেশী অপরাধ নাকি পূর্ন বয়ষ্ক কে ? গাছ চলতে পারেনা বলে কি গাছের জীবন নাই ।
ফুয়াদ,
“হজের সাথে পৌত্তলিকতার কি সম্পর্ক দেখলেন ?”
আসলে এভাবে আমাদের ভাবতে শেখানো হয়েছে কয়েকশত বছর ধরে, যার সাথে কোরআনে উল্লেখিত হজ্জের কোন মিল নেই। আমাদের ব্যক্তিগত পাপ-পূণ্য, আত্তিক শুদ্ধতা হজ্জের উদ্দেশ্য নয়। কো্রানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে হজ্জ শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, এটা সমগ্র মানব জাতির জন্য একটি মিলন ক্ষেত্র যেখানে “দ্বীন-ই-ইসলাম” পযবেক্ষনের (witnessing) জন্য আহবান করা হয়। হজ্জের উদ্দেশ্য হচ্ছে এক ধরনের আঙগীকার যার উদ্দেশ্য মতামত আদান-প্রদান করা, ভোজের আয়োজন করা। ইব্রাহীম (আঃ) হজ্জের আয়োজন করেছিলেন বিভিন্ন যায়গার লোকজনদের দাওয়াত করে কোন ধরমের বাধ্য-বাধকতা ছাড়াই (22:26)।
আমরা কি সব মানুষকে কোন ধরমীয় সমাবেশে একত্র করতে পারব? কেউ কি সেই ডাকে সারা দেবে? অবশ্যই না। এই ধরনের ধরমীয় সমাবেশে শুধু মাত্র একই মনোভাবপন্ন লোক যাবে। অন্য আর কেউ নয়। হজ্জের আসল উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূ্রে সরে এসে এখন মুসলিমরা শুধু এটাকে ব্যক্তিগত তীথযাত্রা বানিয়ে ফেলেছে। ইসলাম কোন ধরম নয়। ইসলাম একটা জীবন-যাপনের পদ্ধতি। যতদিন আমরা এটাকে ধরম হিসেবে গ্রহন করব ততদিন আমাদের এই উভয়সংকটের (dilemma) মাঝে থাকতে হবে।
Which one (Hajj) make sense——-
Man-made hajj system or Quranic hajj?
Thanks.
Ivy
@ivy,
তাহলে,
ধর্ম আর জীবন বিধানের মধ্যে পার্থক্য কি ?
{মন্তব্য মডারেশনের জন্য বিবেচনাধীন। মুক্তমনার নীতিমালার সাথে কোন বৈরিতা না থাকলে মডারেশন শেষে এটি উন্মুক্ত করা হবে।} এডমিন ভাই,
আমি ত বৈরি কিছু লেখেছি বলে মনে হয়না । দয়াকরে আগের লেখা গুলি উন্মুক্ত করবেন ।
গল্পটা সুন্দর কিন্তূ বাস্তবটা এমন না। হাজী বলতেই অ।মার চোখে এখন হাজী সেলীম আর আলহ্বাজ বল তে এরশাদের চেহারা ভাসে।
হজ্জ্ব আমার কাছে অিত পুরনো একটা ব্যবসা ছাড়া আর কিছু না। কোরানের সত্য-মিথ্যা প্রমানের লেখাতে কোটি কোটি বই লাখ লাখ ওয়েব সাইট হাজার হাজার ফোরাম তৈরী ও পূরণ হেেয়ছে। সত্যটা চলছে সত্যের পথে।
ইসলাম নিজেই নিজের সত্যতা প্র তিষ্ঠার যুদ্ধে লিপ্ত। মানব কল্যানের কথা চিন্তার সময় কই? আইভী আপা ভাবেন এক মত, অন্য জন আবার অন্য মত।
বাংলাদেশ আ ছে বিসমিল্লাহ নিয়ে। হুজুর দের জয় হোক।
পাকিস্তানের ইসলাম তালেবান ঝাড় বা ধর কেন্দ্রীক।
আরব বিশ্বে ইসলাম কোপা সামসু টাইপ।
ইরাকের চিন্তা ইউ এস এ নিয়া।
আ ফ্রিকার ইসলাম ওদের মতই বরবর।
পশ্চিমা বিশ্ব প্রতিদিন নতুন নতুন মত দেয় ইসলাম নিয়া।
সত্যটা কিন্তু পানির মত সহজ। প্রগতী, সভ্যতা, সমাজ সামনে এ গিয়ে যাবে নিজের মত ক রে। সে আমরা মানি আর না মানি , চাই আর না চাই। বাধা দিলে পরে যাবে, সাপোরট করলে দ্রুত যাবে।
লিখে রাথুন আমি বলে গেলাম, নশ্বর পৃথীবিতে ধমের দিন প্রায় শেষ। গল্প বলে ভন্ডামীর দিন শেষ।
আামার সন্তান বড় হোক সত্য এক প্ৃথীবিতে।
@Mufakharul Islam,
আপনি এ সবের মধ্যে ভন্ডামী খুজে পেলেন । আমরা দেখেছি আপনারা কে কি দিয়েছেন পৃথিবীকে । যুদ্ধ বিদ্রহ ছারা কিছুই দেন নাই । কিছুই করতে পারেন নাই । তাই আপনাদের রাশিয়া, চীন এখন আমাদের পথে হাঠে । আপনাদের মত না মান লেই, আমরা খারাপ । আপনারা ভালোর এক শেষ । আর কত চান ?
লিখে রাখুন আপনারাই মানব জাতি কে ধংশ করবেন । শুনছি আপনারা এখন antimatter এবং বস্তু এর মিলন গঠিয়ে বিশাল শক্তি উৎপাদন করে বৃহৎ বোমা আবিষ্কার করার নেশায় আছেন । এই পৃথিবীর শেষ প্রান ও ধ্বংশ করবেন । আরকি চান । আপনাদের নিজেদের বড় বংশের লোক ভাবতে ভালবাসেন । তাইতো বিবর্তনের ধোয়া তোলেন । মনে রাখুন ধর্ম নিয়ে বাড়া বাড়ি ভাল নয় যেমন, তেমনই অধর্ম নিয়ে বাড়া-বাড়ি ও ভাল নয় ।
ফুয়াদ,
হজ্জ প্রথা কিন্তু আমাদের নবী প্রথম চালু করেননি। ইসলাম চালু হবার, এমনকি তার জন্মের অনেক আগে থেকে হজ্জ প্রথা চালু ছিল। পার্থক্য হল, তখন কাবা ঘরের চারদিকে মানুষ মুর্তিগুলিকে কেন্দ্র করে পাক খেত। তাই সে অর্থে আইভি খুব ভুল মনে হয় বলেননি।
হজ্জ কিন্তু সবার জন্য ফরজ না। ইসলাম কোনদিন তা বলেনি।
ব্যাবহারিক দিক চিন্তা করে, আপনি কি আসলেই বিশ্বাস করেন যে হজ্জ থেকে সবাই উচ্চ মানবিক শিক্ষা লাভ করছে? আমি কিন্তু বলছি না যে প্রথাটা খারাপ। আমাদের দেশের বড় বড় চোর জোচ্চর সবাই দেখবেন বছর বছর সপরিবারে হজ্জ করছে। তাদের আত্মিক কোন উন্নতি হচ্ছে কি? অনেকে তো আবার নাতি নাতনি বেয়াই তালুই সহ হজ্জ করেছেন। আমার তো মনে হয় তাদের আরো উলটো হয়। কারন প্রচলিত ধারনা মতে হজ্জ করলে আগের সব পাপ মুছে যায়, মানুষ নবগাত শিশুর মত নিষ্পাপ জীবন লাভ করে। এসব কীর্তিমানরা তাদের পাপ মুছে বিবেকের কাছে পরিষ্কার হতে এর চেয়ে ভাল উপায় আর কি পাবে?
আমি বলছি না যে হজ্জ করার জন্যই তারা খারাপ হয়। শুধু বলতে চাই যে উচ্চ মূল্যবোধ, উন্নত জীবনের জন্য হজ্জ বাধ্যতামূল্ক না। যার ভাল হবার তিনি এমনিতেই হবেন। যার হবার না তার বছর বছর হজ্জ করেও কোন ফায়দা হবে না। বড় জোর নামের শেষে আল হাজ লাগাতে পারবেন।
@adil mahmood,
আমার মল্যবোধ অনুষারে আমাকে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
{হজ্জ প্রথা কিন্তু আমাদের নবী প্রথম চালু করেননি। ইসলাম চালু হবার, এমনকি তার জন্মের অনেক আগে থেকে হজ্জ প্রথা চালু ছিল। পার্থক্য হল, তখন কাবা ঘরের চারদিকে মানুষ মুর্তিগুলিকে কেন্দ্র করে পাক খেত। তাই সে অর্থে আইভি খুব ভুল মনে হয় বলেননি।}এটা আমি ঠিক মানতে পারলামনা Sorry.
হজ তো ইব্রাহীম আঃ থেকে শুরু হয়েছে এটা পৌত্তলিক কি করে হয় ?
{হজ্জ কিন্তু সবার জন্য ফরজ না। ইসলাম কোনদিন তা বলেনি} অবশ্যই আপনি এটি ঠিক বলেছেন ।
{আমাদের দেশের বড় বড় চোর জোচ্চর সবাই দেখবেন বছর বছর সপরিবারে হজ্জ করছে। তাদের আত্মিক কোন উন্নতি হচ্ছে কি?} তাদের কথা আর কি বলবেন । তাদের জন্য ইত আমাদের এই আবস্থা । আরও কিছু মানুষ আছে যারা আইনের ফাক Use করে, নুতুন নুতুন সমস্যা সৃষ্ঠি করে । এত সমস্যা সৃষ্ঠি হয়েছে যে, সমস্যার সগরে আমরা হবুডুবু খাইতেছি ।
@adil mahmood,
about kaba
http://www.youtube.com/watch?v=FYcoNibQEbQ&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=sFTc46b6h-c&feature=related
@Truthseeker,
http://www.youtube.com/watch?v=OUWKoN1dW-Q
@ফুয়াদ,
Thanks for the link.
আইভি আপা,
আশা করি বাংলা লেখা এনজয় করছেন।
হজ্জ সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা ধর্মীয় যেকোন রিচুয়ালের ক্ষেত্রেই খাটে বলে আমি মনে করি। ধর্মের আসল উদ্দেশ্য এককথায় নিশ্চয়ই ভাল পথে থাকা, কিছু বাধাধরা নিয়মনীতি পালন নয়। তাই আমার বিচারে রিচুয়ালিষ্টিক কোনকিছুই গুরুত্ত্বপূর্ণ না। তবে কেউ যদি মনে করেন যে নামায রোজা হজ্জ পূজা করে মানসিক শান্তি পাচ্ছেন তাতেও আমার আপত্তি নাই। দুদিন আগেই আমার এক বন্ধুর সাথে আলাপ হচ্ছিল ইসলাম ধর্ম কত খাটি তা প্রমান করতে সে বলছিল যে নামাজ পড়ে সে এক অপার্থিব শান্তি পায়। আমি শুধু তাকে বললাম যে সেটা খুবই সম্ভব, তবে এটা ইসলাম কতটা খাটি তার কোন প্রমন হতে পারে না; কারন একজন ধার্মিক হিন্দুও গংগার জলে স্নান করে বা পূজা করে একই ধরনেও শান্তি পেতে পারে।
মোদ্দা কথা; মানুষ ভাল পথে থাকলে কে কিভাবে ঈশ্বরকে ডাকল তা কোন বড় কথা হতে পারে না। ভাল থাকার পাঠ যে শুধু ধর্মগ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় এ ধারনা অত্যন্ত অবাস্তব।
গোড়া ধার্মিকদের সমস্যা হল তারা এটা কিছুতেই মানেন না। তাদের মতে প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস না করলে মানুষ ভাল থাকতে পারে না, তাও হতে হবে শুধুমাত্র তিনি যেই ধর্মে বিশ্বাস করেন সেটাতে। মডারেট ধার্মিক যারা (যেমন অধিকাংশ মোসলমান এই দলে পড়েন) তারা এতটা নাহলেও বিশ্বাস করেন যে কোরানে কোন অমানবিক কিছু নেই, সব কিছুই বাস্তব সম্মত এবং সারা মানব জাতির জন্য যেকোন সময়ের জন্য অবশ্য কর্তব্য। এর সাথে কোন আপোষ নেই। মজার ব্যাপার হল তাদের প্রায় প্রত্যেকেই তাদের গোটা জীবন পার করছেন বিজাতীয় ভাষায় লেখা যে গ্রন্থ অবশ্য পালনীয় সে গ্রন্থের বেশীরভাগ আয়াত না বুঝে। পালন করা তো বহু দুরের ব্যাপার। বেশী হলে তারা নিয়মিত আরবীতে কোরান পাঠ করেন পরকালের সওয়াবের আশায়, বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে না। কোরানের যেসব আয়াত নিয়ে বিতর্ক হয় সেগুলো তারা নানান ছূতায় এড়িয়ে যান, শেষ অস্ত্র হিসেবে উত্তেজিত হয়ে যান। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেন যে কোরানেই বলা আছে তোমাদের দিলে তালা মারা আছে তোমরা কখোনই বুঝবে না। মুশকিল হল তিনি নিজে কতটুকু বুঝেন তাই বা কে জানে।
কোরানে পরিষ্কার ভাষায় অবাধ্য স্ত্রী বশীকরনের আয়াত আছে। মুদু প্রহার (আপনার মতে ওটা আসলে মুদু ভর্তষনা) এর নিদান আছে। কিন্তু অবাধ্য স্বামীর জন্য কি ব্যাবস্থা? আল্লাহ কি ধরে নিয়েছেন যে অবাধ্য স্বামী বলে কিছু নেই, থাকতে পারে না? মুশকিল হল আমার বিবেচনায় জগতে অবাধ্য স্বামীর সংখ্যা অবাধ্য স্ত্রীর থেকে অনেক বেশী।
আমি অনেকেকে জিজ্ঞেস করেছি। কোন সন্তোষজনক উত্তর পাইনি। যারা আসলে কিছুই জানেন না তারা জ্ঞানীর মত শুর্উ করেন কোরানের শাব্দিক অর্থ সব না, তোমাকে “কনটেকষ্ট” বুঝতে হবে। সেই “কনটেকষ্ট” টা যে কি তিনি নিজেও জানেন না। যারা আরেকটু স্মার্ট তাদের অধিকাংশ উত্তেজিত জবাব পেয়েছি যে স্ত্রীকে শুধু মোসলমানরাই পেটায় না। সব সমাজই আসলে পুরুষ শাসিত। সেটা আমিও মানি। কিন্তু এ যুক্তিতে কোরানে কেন অবাধ্য স্বামীর নিদান নেই তার কোন ব্যাখ্যা হয় না। যে গ্রন্থ পুরো মানব জাতির সম সময়ের জন্য প্রেসকিপশন তাতে এমন ফাক কেন? একজন বিখ্যাত ইসলাম বিষেষজ্ঞ যিনি বাংলা ফোরামগুলিতে একচেটিয়া লিখে বেড়ান তো সাফ বলেই দিয়েছেন যে এ ব্যাপারটা কোরানে “উহ্য” রাখা হয়েছে। এ ধরনের কথাবার্তাকে কি কোন যুক্তির কথা বলা যায়? আরো কেউ পালটা যুক্তি হিসেবে বলে দেন যে কোরানে নারীদের পুরুষদের থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যেমন মায়ের পায়ের তলার সন্তানের বেহেশত। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদের জন্য ভরনপোষনের ব্যাবস্থা আছে। এতেও কিন্তু অবাধ্য স্বামী সমস্যার কোন যুক্তি গ্রাহ্য সমাধান হচ্ছে না। কথায় কথায় নিশ্চয়ই তালাক নেওয়া যায় না।
আমার মতে ধর্ম মানুন কোন অসুবিধে নেই, কিন্তু নিজের যে ধর্মীয় সত্ত্বার বাইরেও একটা মানবিক সত্ত্বা আছে তা মনে রাখাটা খুব জরুরী। জগতের কোন সভ্য সমাজই শুধু ধর্ম গ্রন্থের ভরষায় সমাজ চালায় না। সে চেষ্টা করলে তালেবানি রাজত্বের ইমিগ্রেশন নেওয় হবে উচিত কাজ।
@adil mahmood,
আপনার লেখা সত্যই ইদানিং দুর্দান্ত হয়ে উঠছে। খুবই ভাল লাগলো আপনার প্রতিক্রিয়া পড়ে।
আপনার গল্পটা একটা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সত্যি সবাই যদি এটা বুঝতে পারতো।
হজ্জ্ কোন তীথযাত্রা নয়। ধরমীয় আচার-পদধতী যা আমরা ব্যক্তিগত পরিত্রানের জন্য করি, হজ্জ্ কিন্ত তা নয়। কোরানে স্পস্ট করে লেখা আছে যে হজ্জ্ মানব জাতির কল্যানের জন্য। হজ্জ্ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যপক ভাবে ঐক্য তৈরী করা, যেখানে মানুষের রাজনৈ্তিক, অথনৈতিক, সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে যাতে করে মানব জাতির কল্যান সাধন হয়।
আমরা যদি এই পৃথিবীতে শান্তি তৈ্রী করতে পারি পরবতী জীবনে সেটাই ফিরে পাবো। কোরান শুধু আল্লাহর বিরাজমানতার ব্যাখ্যা দিয়েছে, কিন্ত প্রতিদান স্বরূপ কোন ধরমীয় আচার-পদধতী পালন করার কথা নেই। হজ্জ্ এর মানে হচ্ছে, “to argue or debate, ”। মক্কা এবং কাবা শুধু মাত্র মানুষের মিলন ক্ষেত্র, এর ধরমীয় কোন মূল্য নেই, বতমান হজ্জ্ মানুষের তৈ্রী। বতমান হজ্জ্ মানুষকে আবার সেই পুরনো পৌত্তলিকতায় ফিরিয়ে নিয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
এর ধরমীয় কোন মূল্য নেই, বতমান হজ্জ্ মানুষের তৈ্রী। বতমান হজ্জ্ মানুষকে আবার সেই পুরনো পৌত্তলিকতায় ফিরিয়ে নিয়েছে।
হজের সাথে পৌত্তলিকতার কি সম্পর্ক দেখলেন ? আরাফাতের ময়দানে শুধু স্ব শরীেল ভাষন শুনলেই হজ হয়ে যায় । এটি জীবনে একবার ফরজ । হজ সব Muslim দের মিলন ক্ষেত্র , প্রয়োজনীয় আদেশ উপদেশ শিক্ষা গ্রহন করা এর উদ্দেশ্য । তাহলে এর ধরমীয় কোন মূল্য নেই কোথায় পেলেন । এটি ফরজ ।
বিশাল সিন্ধুতে deuterium এ সামান্য পানি পাওয়া যায় ঠিক তেমনি এই বৃহৎ নাস্থিকতার মধ্যে বিরল একটি লেখা । এখানের মানুষ আপনার কথা মূল্য দিবে না । না দিলে নাই । আপনার লেখা চালিয়ে যান । Atiq ভাই, কোরানে অযৌক্তিক ও অমানবিক কথা নাই । আপনি বিশ্বাস করলে করেন, না করলে নাই ।
আচ্ছা এডমিন ভাই, আমাদের কি আমাদের মন মানুষি কথার অনুষারে এখানে লেখা পাঠানোর অনুমতি আছে । আর যদি থাকে তাহলে নিয়মাবলী কি ?
কোরানে অমানবিক কথা নাই বলা আসলে নিজের সাথে নিজের প্রতারণা করা। কোরানে অন্ততঃ ১০৯ – ১৬৪ টা আয়াত আছে যেখানে অমুসলিম আর কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে যাবার আহবান জানানো হয়েছে। যারা এই জিহাদের আহবানে সাড়া না দেবে, তাদের সরাসরি ‘হিপোক্রিট’ বলা হয়েছে। এগুলোতে কোন কনফিউশন নাই। সবচেয়ে সরাসরি বলা হয়েছে এখানে –
“And slay them wherever ye find them, and drive them out of the places whence they drove you out, for persecution [of Muslims] is worse than slaughter [of non-believers]…and fight them until persecution is no more, and religion is for Allah.” Sura (2:191-193)
দেখুন এখানে কোরানের সিক্ষাঃ
http://www.faithfreedom.org/Articles/quran_teaches.htm
আতিক ঠিকই বলেছে। সব ধর্মগ্রন্থের মত কোরানেও বিস্তর ভাল কথা বলা আছে, আবার যেমন রয়েছে আনেক অযৌক্তিক ও অমানবিক কথা।যখন মানুষকে এইসব গ্রন্থ থেকে উদাহরন টেনে ভালো কাজে উৎসাহিত করা হবে তখন খারাপ উদাহরন টেনে তাদেরকে বিপরীত দিকে আকৃ্ষ্ট করার লোকের আভাবও হবেনা। তার অনেক দৃষ্টান্তই আমরা সমাজে দেখি মৌলবাদীদের কাজকর্মে। বাংলা ভাই থেকে বিন লাদেন সবাই ভাবে আমরা আল্লাহর পথেই আছি, আল্লাহ যেভাবে যেভাবে ইহুদী-খ্রীস্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলেছেন, সেভাবেই ৯/১১ ঘটাচ্ছি, রমনা পার্কের বেশরিয়তি সমাবেশে বোমা মারছি। এদের কাজকর্ম দেখলেই বোঝা যায় কোরানে অমানবিক কথা নাই বলা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করা।
@রফিক,
ভাই,
{Atiq ভাই, কোরানে অযৌক্তিক ও অমানবিক কথা নাই । আপনি বিশ্বাস করলে করেন, না করলে নাই} আমার একথার মানে হল আমি কোন যুক্তি কোরানের বিপরিতে চাইতেছি না ।{বিশ্বাস করলে করেন, না করলে নাই} একথার অর্থ তা ঈ ।
দেখুন ত মিলিয়ে আপনি কি সত্য গোপন করেন নাই ?
191. And slay them wherever ye catch them, and turn them out from where they have Turned you out; for tumult and oppression are worse than slaughter; but fight them not at the Sacred Mosque, unless they (first) fight you there; but if they fight you, slay them. Such is the reward of those who suppress faith.
192. But if they cease, Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
193. And fight them on until there is no more Tumult or oppression, and there prevail justice and faith in Allah. but if they cease, Let there be no hostility except to those who practise oppression.
(Yusuf Ali Translation) নিচের লিংকে 2 Sura এর Yusuf Ali, PICKTHAL, SHAKIR তিন প্রকার Translation দেওয়া আছে মিলিয়ে নিন ।
http://www.usc.edu/schools/college/crcc/engagement/resources/texts/muslim/quran/002.qmt.html
তফসির পড়ে ব্যাক্ষা যেনে নিন ।
ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
Do you know whats the problem with a theist like you? you are so blind that u can not concur though u all r made palpably realized about the erroneous, fallacious and extremely callous and brutal verses in quran. we, the atheist are being in accord with you that many verses in Quran is very good, but at the same time we dont fear your uncouth Allah to perceive the erroneous and fallacious verses of Quran.
one more point to make out 4 u. U never need to believe in Factual because it is true…but u must have to believe in fictional to make it true.
Thank you.
@Mithoon,
{one more point to make out 4 u. U never need to believe in Factual because it is true…but u must have to believe in fictional to make it true.}
“[because it is true]” It’s your judgment. I have different judgment . My won judgment . My judgment could be wrong, also your judgment could be wrong. How can you say “U never need to believe in Factual because it is true” ?
Thank you
@ফুয়াদ,
“যখন মানুষকে এইসব গ্রন্থ থেকে উদাহরন টেনে ভালো কাজে উৎসাহিত করা হবে তখন খারাপ উদাহরন টেনে তাদেরকে বিপরীত দিকে আকৃ্ষ্ট করার লোকের আভাবও হবেনা।“
দেখুন একই আয়াতের ব্যাখ্যাঃ
[Haith = Wherever = Whenever. Thaqif = Find out = Come to know. Hence, fight them regardless of your knowledge of their socio-geographic origins. The Masjid of Security in Makkah must be a safe Sanctuary, a model of amnesty, and a Meeting point for all mankind. 2:125, 2:144-148, 3:96, 5:2, 5:97, 9:18, 22:25-28, 48:25. Qatl = Kill = Bring low = Subdue = Fight = Attack = Slay = Strike = Defend]
——
[No compulsion or coercion in religion 2:256. Lillah = For God’s sake alone. Zulm = Displace something from its rightful place = Replace good with evil = Oppression = Relegation of the Truth = Exploitation = Violation of human rights = Doing wrong to oneself or others]
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
{“যখন মানুষকে এইসব গ্রন্থ থেকে উদাহরন টেনে ভালো কাজে উৎসাহিত করা হবে তখন খারাপ উদাহরন টেনে তাদেরকে বিপরীত দিকে আকৃ্ষ্ট করার লোকের আভাবও হবেনা।“} একথা তো আমি বলি নাই ।
ধন্যবাদ
@ফুয়াদ,
I know you didn’t say that. I used that to start my opinion and give the examples of different interpretations of same verses. I shouldn’t write anybody’s name on the top. Sorry for that.
Thanks.
Ivy
গল্পটা ভাল লেগেছে, পড়ে মজা পেয়েছি।
তবে গল্পের মেসেজটির ব্যাপারে কিছু সেয়ার করতে চাই।
সব ধর্মগ্রন্থের মত কোরানেও বিস্তর ভাল কথা বলা আছে, আবার যেমন রয়েছে আনেক অযৌক্তিক ও অমানবিক কথা।যখন মানুষকে এইসব গ্রন্থ থেকে উদাহরন টেনে ভালো কাজে উৎসাহিত করা হবে তখন খারাপ উদাহরন টেনে তাদেরকে বিপরীত দিকে আকৃ্ষ্ট করার লোকের আভাবও হবেনা।
@Atiq,
যূক্তিবাদি মানবিক অনুভুতি সম্পন্ন মানুষ হতে পারলে কেন আমরা ধর্মর পজিটিভ ইউজ টা নিসচিত করতে পারব না..?
@আনিক আহসান,
আসলে যুক্তিবাদি মানবিক আনুভূতি সম্পন্ন মানুষদের নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সে যে ধর্মাবলম্বী হোক। আস্তিক হোক বা নাস্তিক হোক। কিন্তু সমস্যাটা অন্যদেরকে নিয়ে। যারা যুক্তি বলতে ধর্মগ্রন্থে উল্ল্যেখ থাকাটাই যথেষ্ট মনে করে।এই যেমন আমাদের ফুয়াদ ভাই। নারী আবমাননার চুড়ান্ত দলিল হচ্ছে প্রতিটা ধর্মগ্রন্থ। সুরা নিসায় পরিষ্কার বলা আছে- “আমি (আল্লাহ্) তোমাদের কতককে কতকের উপরে মর্যাদা দিয়েছি, যেমন পুরুষকে নারীর উপরে।” এবং যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছে -” এটা আমি(আল্লাহ্) আমার সার্বভৌম ক্ষমতা বলেই করেছি।” আল্লাহ্ নিজে যে ধরনের যুক্তিবাদের নজির এখানে রাখলেন তাতে তার আনুসারীরা যে বলবে -‘আপনি বিশ্বাস করলে করেন, না করলে নাই’ এতে আর আবাক কি।
মুসলমান সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে মুতাজিলারাই যুক্তিবাদকে সম্বলকরে এগিয়ে যাবার সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি আগ্রবর্তি হয়েছিলো। তাদের উত্থাপিত প্রশ্নগুলো এতটাই বুদ্ধিদিপ্ত ছিলো যা আজো সমান ভাবে প্রযজ্য।
যেমন তারা বলেছিলেন- ঈশ্ব্রর সব জানেন বলতে আমরা কি বোঝাই ? ঈশ্ব্রর হচ্ছেন জ্ঞাতা।
তাহলে প্রশ্ন আসে তিঁনি কি জনেন ? তিনি জ্ঞেয় বস্তুকে জানেন। যা নাই তা জানা অবান্তর।
সুতরাং জ্ঞাতা থাকলে আবশ্যই জ্ঞেয় থাকতে হবে। অতএব,জ্ঞাতা ঈশ্ব্রর যদি আদি সত্ত্বা হন তবে তিনি যা জানেন তাও তাঁরই মত আদি। তারা সমাধানে এসেছিলেন যে আদি সত্ত্বা এক নয় একাধিক।
তারা আরো অনেক চিত্তাকর্ষক প্রশ্ন তুলেছিলেন,সব এখানে বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। যে কারনে বলা তা হলো এই বুদ্ধিদিপ্ত সম্প্রদায়ের প্রতি মুসলমানদের অপর অংশ কতৃক উপঠৌকন হিসাবে ছিলো নির্বিচার হত্যা।
বিবি আয়েশার হারিয়ে যাওয়া এবং রাত শেষে এক যুবক সাহাবির সাথে ফিরে আসা নিয়ে যে মহা কেলেংকারি হয়েছিল তা নিয়ে মক্কার যে সব কবিকূল কাব্য চর্চায় মেতেছিলো কাকতালিও ভাবে তাদের প্রায় সবাই কিছুদিন আগে-পরে আততায়ীর হাতে প্রান দিয়েছিলেন। নবী ছিলেন এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে বরাবরই নিশ্চুপ। তাঁর এই মৌনতার স্বীকার ওই সব কবিকূল থেকে শুরুকরে আমাদের আজকের হুমায়ূন আজাদ।
সুতরাং সাধু সাবধান। পদ্ধতিগত ভাবে মানুষের মানবিকবোধের উন্নয়ন কল্পে ধর্মের ভাল দিকের ব্যাবহারের ঝুকি অনেক। তার চাইতে বিজ্ঞান মনষ্ক, যুক্তিবাদি, সর্বপরি মুক্তমনের মানূষের আবাদ, এই সময় মানব সভ্যতার জন্য আনেক বেশি প্রয়োজন।
@Atiq,
যারা মিথ্যা অপবাদ ছড়াইছিল, তারা আবু বকর রঃ এর আশ্রিত ছিল । এবং তিনি পরে তাদের ক্ষমা করিয়া দিয়েছিলেন ।
@Atiq, আমি মক্কাবাসী কবি দের পরিনতির কথা বলেছি। এই রস আড্ডায় অসংখ্য সাধারন মানূষের অংশনেয়া খুবই স্বাভাবিক। এদেরকে সাধারন ক্ষমা ছাড়া আর কিবা করার ছিলো।
@Atiq,
প্রধান দুইজন যারা মিথ্যা অপবাদ ছড়াইছিল । আমিতাদের কথা বলেছি ।
@Atiq, একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। এটা যে মিথ্যা অপবাদ ছিলো তা নিশ্চৎ হয়েছিলো, ঘটনার ৪০ দিন পরে নাজিল হওয়া কোরানের আয়াতের মাধ্যমে। আল্লাহ বলেছেন আয়েসা নির্দোষ। সুতরাং সে নির্দোষ। এখানে আর কোন যুক্তি তর্কের অবকাশ নেই। এর সাথে সম্পুরক হিসাবে আরো যে সব আয়াত নাজিল হয়েছিলো তা বেশ মজার। যেমন- কোন নারীর বিরুদ্ধে জিনার অপবাদ দিতে গেলে আন্তত চার জন সাক্ষী থাকতে হবে। নারী জাতির কল্যানে এটাই বোধহয় কোরানের সবচেয়ে মহান করুনাময় আয়াত। কারন এই জাতীয় ঘটনায় এক জন সাক্ষী পাওয়াই বিরল।