চেইনরিএ্যাকশন
একটা পামগাছেরগায়েছায়ামূর্তিরমতলেপ্টে আছিআমি।ওয়েলেবি প্লাজার পার্কিং লটের আধো অন্ধকারে। তীক্ষ্ণচোখেতাকিয়েআছিমার্কেটেরমেইনগেটেরদিকে।শিরায়শিরায়রক্তেরমধ্যেএড্রেনালিনেরউন্মাতালনাচটেরপাচ্ছি।নাকেরনিচেবিন্দুবিন্দুকরেঘামজমছে।
এইঅনুভূতিআমারখুবইপরিচিত।তারপরওকেন যেন আগের চেয়েঅনেকবেশিউত্তেজনাটেরপাচ্ছি এবার।
স্থিরদেহেঅস্থিরচিত্তেসময়গুনছি আমি।কিছুক্ষণেরমধ্যেইপরমআনন্দেসুখেরসাগরেভাসবো।
হালকাচোখেএকবারচারপাশটাদেখেনিলাম আমি।অস্বাভাবিককোন কিছুচোখেপড়লোনা।সবকিছুইখুবস্বাভাবিকআছে।দুঃশ্চিন্তারকিছুনেই।
দূরথেকেভেসেআসাঅস্পষ্টকণ্ঠস্বরেআমিআবারগেটেরদিকেতাকালাম।মার্কেটের দুজনকর্মচারীহেঁটেহেঁটেপ্রায়খালিপার্কিংলটেরশেষমাথায়পার্ককরাএকটাহোন্ডাসিভিকেরদিকেএগিয়েগেল।আমিগভীরসন্তুষ্টিরসাথেলক্ষ্যকরলামযে, তারাডাইনেবায়েকোনদিকেনাতাকিয়েবড়রাস্তারদিকেচলেগেল।শুভ লক্ষণ! যেভাবেভেবেছিলামঠিকসেভাবেইএগুচ্ছেসবকিছু।
বুকেরমধ্যেরধুকপুকশব্দশুনতেশুনতেআমিঅপেক্ষাকরতেথাকি।ঘড়ির কাঁটা যেন স্থির হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কয়েক যুগ ধরে অপেক্ষায় আছি আমি। অবশেষে আমিআমারঅপেক্ষারপুরস্কারপেয়েগেলাম।সেআসছে।
অপূর্বসুন্দরদেহবল্লবীনিয়েমেয়েটাহেঁটেযাচ্ছেতার গাড়িরদিকে। পিছন থেকে তার আন্দোলিত গুরু নিতম্ব দেখতে পাচ্ছি।বড়সড় একটা ঢোক গিললাম আমি। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে আমার। উরুসন্ধিতে জাগরণ শুরু হয়েছে। পার্সেরমধ্যেহাতঢুকিয়েচাবিখুঁজছে সে এখন।উত্তেজনায় আমারচোখজ্বলজ্বলকরেউঠলো।আবছাঅন্ধকারেআমিতারমুখদেখতেপাচ্ছিনা।শুধুমাত্রউজ্জ্বলসোনালীচুলগুলোচোখেপড়ছে।কিন্তুতাসত্ত্বেওআমি খুবভালকরেইজানিসেদেখতেকেমন অপূর্ব সুন্দরী।
আমারসঙ্গেতারপ্রথমদেখাহয়েছেচারদিনআগেএইমার্কেটেই।তারপরযাঘটেছেতারজন্যঅবশ্যসেইদায়ী।সেইদিনপাশেরমেয়েটারসাথেখোশগল্পেএতোইমশগুলছিলযেআমারসিগারেটেরপ্যাকেটটাযেদুইবারস্ক্যানকরেছেসেটাসে বুঝতেইপারেনি।গর্দভমেয়ে!আমিওকিছুবলিনিতখন।কেনবলতেযাবো?লোকজনেরকাছথেকেঠিকমতদামনেওয়াতারদায়িত্ব।আমারনা।নিজেরদায়িত্বঠিকমতপালননা করেসেআমারকাছথেকেবেশিটাকানিয়েনিয়েছে।এইভয়ানকঅপরাধেরজন্যতাকেতোশাস্তিপেতেইহবে।
পকেটেরমধ্যেহাতঢোকালামআমি।আঙ্গুলেপরিচিতশীতলস্পর্শটাচামড়ায়আগুনধরিয়েদিল।
কুঁজোহয়েআমিযে চুপিচুপিতারগাড়িরপিছনেচলেএসেছিসেটাসেএকদমইখেয়ালকরেনাই।আমি হেঁচকা টানেগাড়িরদরজাখোলারআগমুহূর্ত পর্যন্তবুঝতেইপারেনি সে কিছু।তাকেগাড়ি থেকে টেনেবেরকরারচেষ্টাকরতেইসেতারসর্বশক্তিদিয়েবাধাদেওয়ারচেষ্টাকরতেলাগলো।সেইসাথেবিকটচিৎকার।আমিঅবশ্যএতেদমেগেলামনাএকটুকুও।আশে পাশে কেউ নেই যে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে। তারলম্বানখগুলোআমারমুখেরচামড়ারমধ্যেগেঁথেযাচ্ছে।বেশঅবাকইহলাম আমি।আগের গুলোরকেউইলড়াইকরারসাহসদেখায়নিআমারসাথে।কতসহজশিকার ছিলসেগুলো।তবেতারলড়াইকরারকারণেইআনন্দবেশিপেতেশুরুকরেছিআমি সেটাওস্বীকারকরতেহবে।প্রতিরোধ না থাকলে বিজয়ের কোন আনন্দ নেই।
সমস্ত শক্তি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে এলাম তাকে আমি। বাহাতেতার চুলের মুঠি শক্তকরে ধরেআমিডানহাতদিয়েধীরেধীরেপকেটথেকেপ্রায়দেড় হাতলম্বালোহারচেইনটাবেরকরলাম।চেইনটাদেখেইআতংকেচোখবড়বড়হয়েগেলতার।কোন রকমসুযোগনাদিয়েইঅত্যন্ত দ্রুতগতিতেতীব্রভাবেআঘাতকরলামতার ঘাড়ে।কালচেরক্তবেরিয়েএলোঝলকদিয়েসাথেসাথে।ছোপ ছোপ রক্তে মাখামাখিহয়েগেলতার সাদাটি–শার্ট।আমিনির্দয়ভাবেআবারোআঘাতকরলামতারমুখে।কড়াৎকরেনাকেরহাড়ভাঙারশব্দশুনেতৃপ্তিরনিশ্বাসবেরিয়েএলোআমারবুকচিরে।তীব্রব্যথায়অমানুষিকচিৎকারদিয়েমাটিতেপড়েগেলোসে। আমিউল্লাসেরসাথেতারনেতিয়েযাওয়াদেখলাম।তারপর উন্মত্তেরমতোচেইনদিয়েএকেরপরএকআঘাতকরেযেতেথাকলামতাকে।মেয়েটারবিকটচিৎকারএকসময় ধীরেধীরেগোঙানিতেপরিণতহলো।আহ!কিঅপূর্বতৃপ্তি!একেবারেপরিপূর্ণ যৌনসঙ্গমেরমতোচরম আনন্দ পাচ্ছি আমি!
উন্মত্তেরমতোআমিমেয়েটাকেপেটাচ্ছিঠিকই।তবে তা একেবারেমেরেফেলারজন্যনা।শুধুমাত্রআহতকরারজন্য।মেয়েটাযে ভালভাবেইআহতহয়েছেসেটা বেশ বোঝাযাচ্ছে।নিশ্বাসনেওয়ারজন্যডাঙ্গায়তোলামাছেরমতখাবিখাচ্ছেসে।অনেকেরকাছেবীভৎসমনেহলেওআমারকাছেঅনন্যসুন্দরএকটাদৃশ্যবলেইমনেহচ্ছেএটাকে।আমিদাঁড়িয়েদাঁড়িয়েআরোকিছুক্ষণউপভোগকরলামদারুণ সৌন্দর্যময়দৃশ্যটাকে।তারপাশেঝুঁকেপড়েরক্তেভেজাঠান্ডাচেইনটাজড়িয়েদিলামতারআহতঘাড়ে।তারপরসমস্ত শক্তি দিয়ে চাপদিলাম।আমিচাপবাড়াতেইদমবন্ধহয়েআসতেথাকলোতার।মুখহাহয়েগেছে।বিস্ফোরিত চোখদুটোবেরহয়েআসছেকোটরছেড়ে।
আমিনাকডুবিয়েদিলামতারসোনালীচুলেরমধ্যে।ঘ্রাণনিলাম দীর্ঘ করে।মিষ্টি একটা গন্ধ পেলাম। পরিচিত! খুবই পরিচিত গন্ধ। সাথে সাথেই প্রবলঘৃণা জেগে উঠলো আমার বুকের মধ্যে।বুনোজানোয়ারেরমতহিসহিসকরেতার কানেরকাছেবললাম ‘জাহান্নামে যা হারামজাদী’।শেষবারেরমতোএকটাঝাঁকিদিয়েমেয়েটারশরীরনিথরহয়েগেল।রক্তেরসাগরেপড়েথাকাতারদেহটারদিকেতাকিয়েআমারমুখটাতৃপ্তিময়হাসিতেউদ্ভাসিতহয়েউঠলো।পকেটথেকেপেপারটাওয়েলবেরকরেহাতমুছেআমিওটাদিয়েইআমারপ্রিয়চেইনটাকেমুড়িয়েপকেটেরেখেদিলাম।আমারকাজশেষ।কেউদেখেনাই।পকেটেহাতঢুকিয়েঠোঁটগোলকরেশিষদিয়েআমারপ্রিয়একটাগানেরসুরভাজতেভাজতেআমি হেঁটেযেতেথাকলামবড়রাস্তারদিকে।
****************
‘পোষ্টমর্টেমরিপোর্টপুলিসেরসন্দেহকেনিশ্চিতকরেছেযেস্যান্ডিপিয়ার্সধারাবাহিকখুনেরআরেকশিকার’।চ্যানেলসেভেনেরব্রেকিংনিউজদিচ্ছেভ্যানেসা মেডিনা।‘তেইশবছরবয়সীস্যান্ডিপিয়ার্সেরক্ষতবিক্ষতদেহআজসকালেকারপার্কিংএখুঁজেপেয়েছেতারইএকসহকর্মী।স্যান্ডিরশরীরেপ্রাপ্তক্ষতগতছয় মাসেসাউথফ্লোরিডায়হত্যারশিকারহওয়াতিনজনতরুণীরসাথেপুরোপুরিমিলরয়েছে।করোনারেররিপোর্টঅনুযায়ীহত্যারশিকারহওয়ামেয়েগুলোর প্রত্যেকেইস্বর্ণকেশী এবং অল্পবয়েসি।মৃত্যুরআগেতাদেরকেনিষ্ঠুরভাবেবেদম মারপিটকরাহয়েছেএবংপরেলোহারচেইনদিয়েনৃশংসভাবেগলাটিপেহত্যাকরাহয়েছে..।‘
হাতেবিয়ারেরগ্লাসএবংঠোঁটেজ্বলন্তসিগারেটনিয়েসোফায়হেলানদিয়েখবরশুনছি আমি।ব্রেকিংনিউজশেষহতেইরিমোটের বোতাম টিপে টেলিভিশন বন্ধকরেদেই।বিয়ারেরগ্লাসেহালকাএকটাচুমুকদিয়েগভীরভাবেসিগারেটেটানদিয়েএকগালধোয়াছাড়ি।কুণ্ডলীপাকিয়েআমারসামনেউড়তেথাকেধোঁয়া।সেদিকেএকদৃষ্টিতেতাকিয়েথাকি আমি।সিনেমারফ্লাশব্যাকেরমতধোঁয়ারমধ্যেদেখাদিতেথাকেটুকরোটুকরোসব স্মৃতি।
ওইতোআমি। দশবছরেরছোট্ট একটা ছেলে। হেঁটেযাচ্ছিআমার সদাহাস্যময়ীমায়েরসাথে।হাতেহাতরেখেমায়ের সাথে গা ঘেষে ধুলোমাখাপথদিয়ে।আমারমাকেঅবশ্যপ্রতিবারইআমারকাছেআলাদাচেহারারমনেহয়।এরকারণবোধহয়যে মায়েরচেহারাআমারভালকরেমনেনেই।শুধুমনেআছেবড়বড়চোখেরশান্তসমাহিতচেহারারএকজনসুন্দরী মহিলাছিলেনতিনি।। মমতা ঝরানো হাসিলেগেইথাকতো আমার মায়েরমুখে।তারপর ….মায়েরকফিনেরপাশেদাঁড়িয়েআছিআমি।কাঁদছি! আকুল হয়ে কাঁদছি!আরোপরে… আমারএকহারা দীর্ঘদেহীসুদর্শন কৃষ্ণকায়বাবাহাতধরেআছেএক শেতাঙ্গিনী মহিলার।
কীঅপূর্বসুন্দরী তিনি!লম্বা,পাতলা দেহবল্লবী।একমাথাসোনালীচুল আর নিখুঁতপানপাতারমতোমুখমণ্ডল।মুক্তোরমতোএকঝাঁকদাঁতবেরকরেমিষ্টিকরেহাসছেনআমারদিকেতাকিয়ে।অনেক সুন্দর একটা দৃশ্য। কিন্তুকোথায়যেনকিএকটাগোলমাল আছে!কি যেন মিলছে না ঠিকমত। হুম!মনেপড়েছে।চোখ!মুখের হাসির বিন্দুমাত্র ছাপ পড়ে নাই সেখানে। আমার নতুন মায়ের ঘন নীলদুটোচোখেকোনহাসিনেই।সাপেরমতোশীতলদৃষ্টিতেসে দুটোতাকিয়েআছেআমারদিকে। তাতে জ্বলন্ত ঘৃণা।
সারাশরীরেতীব্রব্যথাছড়িয়েপড়লোআমার।অন্ধকারএকটারুমেশুয়েআছি আমি।জোছনারম্লানআলোজানালাগলেএসেপড়েছেআমাররুমে।রক্তপিপাসুডাইনীরমতোআমারসৎমাঝুঁকেআছেআমারউপর।সোনালীচুলগুলোঝুলেপড়েছেমুখেরদুইপাশদিয়ে।মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে সেখান থেকে। হাতেলোহারচেইন।ক্রুদ্ধগলায়শাপশাপান্তকরছেআমাকে।তারপরলোহারচেইনটাচাবুকেরমতোনেমেআসছেআমারছোট্টশরীরের উপর।ভয়ে আতংকে দিশেহারা আমিচিৎকারকরেপ্রাণপনে সরেযাবারচেষ্টাকরছি তার কাছ থেকে।ছোট্টএকটাকামরা।কোথায়পালাবোআমি?
যেলোহারচেইনটাদিয়েআমাকেবিছানারসাথেবেধেরাখাহয়েছিলতামাত্রখুলতেপেরেছি।জানালারকাঁচভেঙ্গেসবেমাত্র বাইরেঝাঁপিয়েপড়তেযাবোএমনসময়দরজাখুলেঢুকেপড়লোআমারসৎমা।রাগেবিকৃতহয়েগেছেতার অনিন্দ্য সুন্দরমুখটা।ক্রুদ্ধআক্রোশেছুটেআসছেআমারদিকে।কি মনে করে যেন লোহারচেইনটাহাতেতুলেনিলামআমি।নিমেষেইকোথাথেকেঅদ্ভুতএকচেতনাএসেগ্রাসকরলোআমাকে।যেসমস্তভয়এতদিনআমাকেস্থবিরকরেরেখেছিল।সবঅদৃশ্যহয়েগেলোনিমেষেই।রক্তেরমাঝেকোণঠাসাআহতবাঘেরসমস্তঅনুভূতিগুলোপ্রলয়নাচনশুরুকরেছে আমার।
ক্রোধ…ঘৃণা…প্রতিশোধ……।
ডাইনিটা আমারকাছাকাছিআসতেচাবুকেরমতোচেইনটাচালিয়েহেঁচকা টানদিলামআমি।সাপেরমতোতারগলায়পেঁচিয়েগেছেচেইনটা।আমার পায়ের কাছে দড়াম্করেমেঝেতেপড়েগেলসে।হাকরেদমনেওয়ারচেষ্টাকরছে।বিন্দুমাত্রইতস্ততনাকরেআমিনির্দয়ভাবে আবারোচেইনটাদিয়েআঘাতকরলামতাকে।
একবার…..দুইবার……তিনবার……অসংখ্যবার!!
তারজান্তব চিৎকারআমারকানেসঙ্গীতের মতমধুরহয়েবাজলো।ভাগ্যভাল।বাবাবাড়িতেছিলনা।প্রত্যেকটাআঘাতেহাড্ডিচুরমারহয়েযেতেথাকলোতার।আরবুকেরমধ্যেরোমাঞ্চকরঅনুভূতিখেলাকরেযেতেথাকলোআমার।সারাশরীরেরলোমখাড়াহয়েগেছেআমার।উত্তেজনারআনন্দে।অচেতনহয়েপড়েআছেসে।রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত।বিজয়েরউল্লাস!!তীব্র সুখ ছুঁয়ে গেলো আমাকে। আমিঝুঁকেপড়েযত্নের সাথে চেইনটাজড়ালামতারগলায়।তারপরসমস্তশক্তিদিয়েফাঁসদিতেথাকলামগলায়।উষ্ণরক্তচুইয়েচুইয়েপড়তেলাগলোআমারআঙুলগলে।অবশেষে মৃত্যুরশীতলহাততারশরীরথেকেবেরকরেনিয়েগেলোপ্রাণবায়ু।আমিবাঁধনআলগাকরেদিলাম।পরিতৃপ্তিরসাথেতাকিয়েথাকলামতারনিস্তরঙ্গ দেহেরদিকে।কুত্তীমাগীটাএতদিনে তারপ্রাপ্যপেয়েছে।
‘বেঞ্জি!’
কর্কশএকটাকণ্ঠস্বরশুনেআমিচোখখুলেতাকালাম।নোংরাকালোপাথরেরদেয়ালচোখেপড়লোআমার।ছোট্টজানালাগলেএকফালিআলোএসেপড়েছেঅন্ধকাররুমে।সকালহচ্ছে। তিনজনইউনিফর্মধারীগার্ডঅপেক্ষাকরছেআমারজন্য।বিছানাছেড়েদাঁড়াতেইজানালাদিয়েবাইরেচোখগেলো।সবেমাত্রসূর্যউঠেছে।একঝলক আলোএসেপড়লোআমারচোখে।
‘সময়হয়েগেছে’।আমারহাতপাশিকলদিয়েবাধতেবাধতেমোলায়েমস্বরেএকজনগার্ডবললো।হাতপাবাধাহতেইআমাকেনিয়েমিছিল করে করিডোরদিয়েএগিয়েযেতেথাকলোতারা।আমিঘাড়ঘুরিয়েশেষবারেরমতোছোট্ট জানালাটাদিয়েএক চিলতে আকাশের দিকে তাকালাম।
আমারজীবনের শেষসূর্যোদয়।আরকোনমিষ্টি ভোরদেখাহবেনাআমার।
মায়ামি, ফ্লোরিডা।
farid300@gmail.com
(একটি বিদেশী গল্প অবলম্বনে)
—————————————————————–
ফরিদ আহমেদ, মুক্তমনার মডারেটর, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে‘গ্রন্থের লেখক।
ভালো লিখেছেন :vampire:
The beginning of this story is nice.
But plot construction of this story very much poor.
You started the story abruptly and nicely. but you can not use this opportunity properly.
Thanks again…
Sorry ……..
Waiting for something really nice………
Asraf
@Asraf,
Thanks for your constructive criticism. Point taken.
There is nothing to be sorry about.
I’ll try my best to produce something really nice in future.
Cheers!
Farid
@ফরিদ,
Thanks for your positive answer. Only for this reason I like মুক্তমনা.
Thanks ….
Asraf
ভাল লাগল-তবে শেষেরটা শর্টকাট মেরে দিল-আরেকটু মাংসের দরকার ছিল শেষে।
ভালো লেগেছে গল্পটা। শেষ হওয়ার পরেও রেশ থেকে যাচ্ছে – ভালো ছোটগল্প পড়ার পরে যে অনুভূতি পাঠকের হওয়ার কথা। গল্পের নামকরণে দারুণ সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন ফরিদ। অভিনন্দন ফরিদকে উপভোগ্য এই গল্পটার জন্য।
গল্পের চেয়ে গল্প লেখার ধরন নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হলো। গল্পটায় গতিময়তা আছে, বহমানতা আছে, শুরু থেকে ধরে রাখার উপকরণ আছে। আর শেষেতো বিষাদভরা চমক আছেই। ছোট ছোট বাক্যে লেখা ছোট দেহের এই গল্পে যে রগরগে শব্দগুলো আনা হয়েছে তা বরং মানিয়ে গেছে চরিত্রের হিংস্রতার সাথে, মিশে গেছে চরিত্রের বোধ আর অনুভবের সাথে।
লেখাটার যে জিনিষটা এই শ্যাঁওলা পাঠককে টেনেছে তা হলো গল্পের বিন্যাস অথবা লে আউটটা। উল্টো পায়ে হেঁটে পাঠককে বর্তমানে ঠেকানোর বিষয়টা আমোদ দিয়েছে।
লিখতে থাকুন – পড়ে আনন্দ পাই – এই ধরনের লেখা নিমিত্ত করে বাংলায় মন নির্ভর মনকাড়া গল্প পড়ার অভ্যেস আর চর্চা করি – দাবী রইলো ফরিদ আহমেদের কাছে।
অপরাধপ্রবণতার প্রেক্ষাপট, বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ছোঁয়া আর সাহিত্যরসের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছে চেইন রিএ্যাকশন গল্পে। গল্পের পটভূমি তৈরিতে রয়েছে নৈপূণ্যের পরিচয় আর এর পরিণতিতে ঘটেছে ন্যায়ের সমীকরন।
তারপরও মানবিকতাবোধের প্রাবল্যে বুকের কোথায় যেন চিন করে ব্যথা অনুভূত হয় গল্পের মূল চরিত্রটির জন্যে। এখানেই ফরিদ আহমদের সার্থকতা। ধন্যবাদ ফরিদকে।
একদম মাসুদ রানার কোন গল্পের মত ।
ফরিদ ভাই,
শ্বাসরুদ্ধকর একটা গল্প। আপনার বর্ননাশৈলীতো আছেই। মার কথা মনে করিয়ে দিলেন। কতদিন মাকে দেখিনা।