বেসরকারী টিভি চ্যানেল থেকে


বিডিআর ‘বিদ্রোহ’ নাকি পরিকল্পিত ‘গণহত্যা’?


প্রথম যখন বিডিআর বিদ্রোহের খবর পাওয়া গিয়েছিলো, তখন অনেকেরই তাদের প্রতি খুব সহানুভূতি ছিলো। কেউ কেউ একে ‘প্রলেতারিয়েতদের বিল্পব’ বলেও অভিহিত করে ফেলেছিলেন। এখন বোধ হয় সেই সহানুভূতি অনেকের মধ্যেই আর নেই। একের পর এক বেরিয়ে আসছে গণকবরের সন্ধান। প্রায় দেড়শর উপরে সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপারটা কি তাৎক্ষনিক উষ্ণতার বহিঃপ্রকাশ ছিলো, নাকি এর পিছনে ছিলো কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা? এ নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা এখন তুঙ্গে।


বেসরকারী টিভি চ্যানেল থেকে কিছু ভিডিও এখানে দেওয়া হল ইউটিউবের সৌজন্যে-



(1)



(2)



(3)




(4)


–  এই মর্মান্তিক ঘটনা হয়ত একদিনের ক্ষোভ থেকে হয়নি বরং তা দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভুত ক্ষোভের বহিপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে । বিডিআর জওয়ানদের এত বড় আক্রমণ কোন পুর্বপরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব না বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অথবা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা তার কোন আঁচ পেলনা কেন?


– বিডিআরদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে তারা বহুদিন ধরে তাদের দাবিদাওয়া করে আসছেন। কর্তৃপক্ষ সেগুলো আগে আমলেই নিলেন না কেন?


– সেনাবাহিনীর দূর্নীতির খবরগুলো এত পরে লাইম লাইটে এলো কেন? ফকরুদ্দীন-মঈন সরকারের আমলে ঘটা করে রাজনীতিবিদ আর সিভিল জনগনের দূর্নীতির হদিস পেলো দুদক, কেবল আর্মির দুর্নীতি থেকে গেলো লোকচক্ষুর অন্তরালে। কেন? আপনি কি মনে করেন মেজর জেনারেল শাকিলের ডাল-ভাত কর্মসূচীর দূর্নীতি বিডিআরদের এই নৃশংসতায় কোন প্রভাব ফেলেছে?


–  বিডিআরদের সায়ত্বশাসনের দাবীই বা কতটুকু সমর্থনযোগ্য বলে পাঠকেরা মনে করেন?


– প্রধানমন্ত্রী বিডিআরকে  ঘটনার পরপরই  তাদের দাবী অনুযায়ী সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেছেন।  এই সিদ্ধান্ত এখন  সমালোচনার মুখে পড়েছে। আপনি কি মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত হটকারী ছিলো নাকি সে সময় অত্যন্ত সময়োপযোগী ছিলো? সার্বিকভাবে সরকার কি ঘটনা সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন, নাকি অপরিনামদর্শীতার?


– দরবার হলে কেউ অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে না বা যাওয়ার রেওয়াজ নেই বলে শোনা যায়।  অথচ মিডিয়ায় প্রথমে এসেছিলো যে ডিজি প্রথমে গুলি করে জওয়ানদের উপর, তারপরই নাকি জওয়ানরা বিদ্রোহ করে; কিন্তু আজ বেরিয়ে এসেছে কথাটা মিথ্যা এবং পরিকল্পিত। কেন এই পরিকল্পিত মিথ্যা অত্যন্ত সফল উপায়ে রটানো হল?


– অস্ত্রাগারের চাবি নাকি কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছেই রক্ষিত ছিলো এবং গোলাবারুদের মজুতখানাও নাকি অস্ত্রাগার থেকে বেশ দূরে।  দরবার হলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এতো দ্রুততার সাথে কিভাবে ঘটানো সম্ভব হল ?


– ঘটনা ঘটার পরপরই প্রায় সকল জওয়ানদের মুখমণ্ডলে লাল কাপড় বাঁধা থাকতে দেখা গেলো। এতগুলো  কাপড়গুলো কখন এবং কিভাবে সংগৃহিত হলো ?


– শুধু অফিসার হত্যা নয়, তাদের কলোনি ও পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ভস্ম করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী এবং শিশুদের নিপীড়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ পোশাকে ধৃত জওয়ানদের কাছ থেকে লুটপাটকৃত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারও করা হয়েছে ।  এগুলো কিসের আলামত বলে পাঠকেরা মনে করেন?


– এই নজীরবিহীন বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে কি কলকাঠি নেড়েছে কেউ? এই রক্তক্ষয় কি আসলে কোন বৃহৎ পরিকল্পণার অংশ?


প্রিয় পাঠক আপনার কি অভিমত? আপনার প্রতিক্রিয়া জানান।